গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প, জ্ঞান বিনিময় ও কর্মশালা, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, চাকরির বিজ্ঞপ্তি ও রেফারেল এবং চাকরি মেলা আয়োজন ও অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
১২ জুলাই ২০২৫ তারিখে বুয়েটের উপাচার্যের দপ্তরে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ হাসিব চৌধুরী, এবং রিসার্চ এন্ড ইনভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং- বুয়েট -এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম এইচ এম ফাইরোজ, মানব সম্পদ পরিচালক সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম এবং ফ্যাক্টরি ডিরেক্টর হাকান অলতিনিসিক। এছাড়াও দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারক শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে একটি কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) খাতে যৌথ উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনী প্রকল্পে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পেশাজীবীদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.-এর কাছ থেকে পে-রোল সেবা নেবে রহিম গ্রুপ। সম্প্রতি গুলশানে ব্যাংকের কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই চুক্তির আওতায় রহিম গ্রুপের কর্মীরা প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করবেন, যার মধ্যে রয়েছে অগ্রাধিকারমূলক ব্যাংকিং সেবা, ক্রেডিট কার্ড ও ঋণ সুবিধা। এছাড়াও তারা প্রাইম ব্যাংকের আধুনিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাইমপে’-এর সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেতন প্রদানসহ কর্পোরেট পেমেন্ট কার্যক্রম আরও সহজ এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে করতে পারবে রহিম গ্রুপ কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং রহিম গ্রুপ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মারুফ মহসিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- মামুর আহমেদ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক; মোহাম্মদ নূর-ই-আলম সিদ্দিক, এসভিপি ও টিম হেড, করপোরেট অ্যান্ড ইন্সটিটিউশনাল ব্যাংকিং; হাসিনা ফেরদৌস, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব পে-রোল ব্যাংকিং এবং হাসিবুর রহমান, ভিপি, করপোরেট অ্যান্ড ইন্সটিটিউশনাল ব্যাংকিং। এছাড়া রহিম গ্রুপের হেড অব অ্যাকাউন্টস গোলাম সারোয়ার; সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আমদানির পাশাপাশি বাংলাদেশে ২০১৭ সালে মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশী-বিদেশী মিলে প্রায় ১৭টি মোবাইল ফোন কারখানা দেশে উৎপাদন করছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে, যেখানে প্রায় ১ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন এখন কেবল স্থানীয় বাজারেই নয়, ভবিষ্যতে বিদেশেও রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য নতুন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। মোবাইল ফোন উৎপাদন ঘিরে দেশে আধুনিক প্যাকেজিং, প্রিন্টিং, ব্যাটারি, চার্জার, হেডফোন, ডাটা কেবল সহ আরো অনেক ধরনের কম্পোনেন্ট এর শিল্প গড়ে উঠেছে যেখানে কমপক্ষে ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং আরো প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ এখানে কাজ করছে।
এছাড়াও, এই শিল্পের সঙ্গে সারাদেশে প্রায় ২০ হাজার অনুমোদিত মোবাইল ফোন বিক্রেতা যুক্ত আছেন, যেখানে প্রায় ৮০ হাজার কর্মী সরাসরি কর্মরত। উৎপাদন ও বিতরণ পর্যায়ে মোট প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ সরাসরি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। গড়ে প্রতি পরিবারের ৫ জন সদস্য হিসেবে ধরা হলে, কমপক্ষে ৮ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনুমোদিত মোবাইল কারখানাগুলোর উপর নির্ভরশীল।
তবে দীর্ঘদিন ধরে বৈধ শিল্পের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ বা “গ্রে” হ্যান্ডসেটের প্রবেশ ও ব্যবহার। দেশের মোট মোবাইল বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ এখন এই অবৈধ মার্কেটের দখলে। এর ফলে বৈধভাবে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুকির মধ্যে পড়েছে এবং সরকার বছরে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বাজার চোরাকারবারীদের হাতে চলে যাচ্ছে। এছাড়া, অবৈধ ফোন দিয়ে আর্থিক প্রতারণাসহ অনেক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, যার প্রকৃত অপরাধীকে খুজে বের করা যায় না।
অবশেষে সরকার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০২৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (NEIR) চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নিবন্ধনবিহীন ফোন দেশে ব্যবহার করা যাবে না। এই উদ্যোগের ফলে সরকারের হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় নিশ্চিত হবে এবং বাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং ভোক্তার অধিকার সুনিশ্চিত হবে। আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
NEIR ভোগান্তি না সুরক্ষাঃ
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী NEIR–এর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ও ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছে—যাদেরকে সাধারণভাবে “লাগেজ পার্টি” বলা হয়। এদের মাধ্যমে দেশে চোরাই, নকল, কপি ও রিফার্বিশড হ্যান্ডসেটের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আর প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কারণ এসব পণ্য ট্যাক্স ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করে, ফলে দাম কম মনে হলেও গ্রাহকরা আসলে পাচ্ছেন কম মানের এবং অনিরাপদ পণ্য। এরা প্রচার করছে NEIR ব্যবহারে মানুষের ভোগান্তি হবে। প্রকৃতপক্ষে NEIR ব্যবহার যথাসম্ভব সহজ করার জন্য বিটিআরসি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাহক যাতে হয়রানি না হয় তার জন্য যা যা করার দরকার আমাদের দিক থেকে আমরাও তা করবো। তাই এই ভয় অমুলক।
ভ্যাট/ট্যাক্স কাঠামো ও উৎপাদননীতিঃ
দেশীয় উৎপাদনে ভ্যাট/ট্যাক্সের কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা কোনো বৈষম্য নয় - এটি বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনসেনটিভ পলিসি। দেশে উৎপাদন শিল্প গড়ে তোলা একটি বড় বিনিয়োগ, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে এবং আমদানি নির্ভরতা কমায়। তবে, আমদানিকৃত বৈধ হ্যান্ডসেটের ওপর ট্যাক্স আর দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ট্যাক্স পার্থক্য আরও কমিয়ে আনার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে, যাতে উভয় খাতই ভারসাম্যপূর্ণভাবে টিকে থাকতে পারে।
দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের দাম ও মানঃ
দেশে উৎপাদিত ফোনের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম ও সাশ্রয়ী।
গত দুই বছরে ডলার ও মোবাইল উপকরণের দাম প্রায় ৬০% বৃদ্ধি পেলেও, স্থানীয় উৎপাদকরা খরচ নিয়ন্ত্রণে রেখে দাম বাড়াননি। বরং আমরা ব্যাংক ঋণ রিশিডিউল করে, মার্কেটিং বাজেট সমন্বয় করে ও অন্যান্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উৎকর্ষতা এনে দাম কমানোর নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি।
অন্যদিকে, আমদানিকৃত গ্রে ফোনের দাম কম এর কারণ হলো ট্যাক্স ফাঁকি ও নিম্নমানের কপি বা রিফার্বিশড পণ্য। এসব পণ্যে ওয়ারেন্টি সেবা নেই, সফটওয়্যার সাপোর্ট দুর্বল, এবং অনেক সময় চুরি যাওয়া ফোনও বিক্রি করা হয় - যা সরাসরি ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন।
নৈতিকতা ও গ্রাহক সুরক্ষাঃ
NEIR চালু হলে গ্রাহকরা সহজেই জানতে পারবেন তাঁদের ফোনটি বৈধভাবে আমদানি বা উৎপাদিত কিনা। বৈধ হ্যান্ডসেট ক্রেতারা পাবেন— অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি ও আফটার সেলস সার্ভিস, সফটওয়্যার আপডেট, নিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের নিশ্চয়তা। অবৈধ ফোনে প্রায়ই ম্যালওয়্যার, অননুমোদিত সফটওয়্যার ও ডাটা চুরির ঝুঁকি থাকে। অন্যদিকে, NEIR–এর মাধ্যমে হারানো ফোন ট্র্যাক ও বন্ধ করার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা, যা গ্রাহক নিরাপত্তায় বড় অগ্রগতি।
বৈধভাবে ব্যবসা করা শুধু আইনি বাধ্যবাধকতা নয়—এটি নৈতিক দায়িত্বও বটে। একজন উদ্যোক্তা যখন শুল্ক ও কর পরিশোধ করে ব্যবসা করেন, তখন তিনি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। অন্যদিকে, ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া মানে রাষ্ট্র, সমাজ ও ভোক্তার সাথে প্রতারণা করা।
বিটিআরসির ভেন্ডর লাইসেন্স নিয়ে যে কেউ বৈধভাবে মোবাইল আমদানীর ব্যবসা করতে পারে – এই পথ সবসময়ই খোলা রয়েছে। এখানে বৈষম্য করা বা একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ নেই। কারো ব্যবসা বন্ধ করা বা ক্ষতি করা আমাদের কারো কাম্য না। কিন্তু অবৈধ প্রক্রিয়ায় অবৈধ ফোন, চোরাই ফোন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আসা ফোনের ব্যবসা বন্ধ হোক সেটা আমরা সবাই চাই।
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবঃ
অবৈধভাবে দেশে আসা স্মার্টফোনের কারণে প্রতিবছর সরকার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারায়।এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতে উন্নয়নে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এছাড়া অবৈধ ব্যবসা বৈধ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অন্যায় প্রতিযোগিতা তৈরি করে এবং সাইবার অপরাধ ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা প্রতিরোধের আহ্বানঃ
বিগত সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগে নিবন্ধনবিহীন ফোন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। তবে এবার বিটিআরসি–র উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে এবং এটি দেশের মোবাইল শিল্পের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু অসাধু গোষ্ঠী জনমনে ভীতির সঞ্চার ও গুজব ছড়িয়ে এই উদ্যোগকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
MIOB মনে করে—এখন সময় এসেছে গ্রে মার্কেট নয়, ন্যায্য বাজার ব্যবস্থার পক্ষে দাঁড়ানোর।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি. ও বাংলাদেশ ব্যাংক এর মধ্যে ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধার আওতায় সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহনমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় যোগ্য প্রান্তিক/ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যাদের প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাথে '১০/৫০/১০০ টাকার অ্যাকাউন্ট' আছে, তাদের সেবা ও ঋণ প্রদান কার্যক্রমকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি সুবিধা প্রদান করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ নাজমুল হক এবং w` প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান এস এম ওয়ালি উল মোর্শেদ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি বিনিময় সম্পাদন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির এসএমই এবং কৃষি ঋণ বিভাগীয় প্রধান আসিফ খান ও উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ক দিনব্যাপী ওয়ার্কশপ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ভবনের রাইজ সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রযুক্তি বিকাশে ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি (বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের) সুরক্ষা ও বাণিজ্যিকীকরণ সম্পর্কে শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিল্পখাতের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিল্প–একাডেমিয়া সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবনের পরিবেশ আরও শক্তিশালী করা।
ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের ন্যানোম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এ. এস. এম. এ. হাসিব; জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের চিফ পিপল অফিসার শারমিন সুলতান এবং ডিফেন্স অ্যান্ড লার্জ কর্পোরেটের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ তৌহিদ হোসেন (অবঃ)। এছাড়া বুয়েট এর পাশাপাশি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), গাজীপুর এবং আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাইজ-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
দিনব্যাপী ওয়ার্কশপটি তিনটি সেশনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেশনের বিষয় ছিল ‘ম্যানেজিং ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি: দ্য রোল অফ দ্য স্টেট অ্যান্ড অর্গানাইজেশন ইন ইনোভেশন’। এ সেশনে বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইনস্টিটিউট অফ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির (আইএটি) পরিচালক প্রফেসর ড. মহিদুস সামাদ খান বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্ভাবন ও গবেষণাকে টেকসই করতে হলে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি (আইপি) রাইটসকে নীতিগতভাবে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয় সেশনে ‘প্র্যাকটিক্যাল ইনসাইট অন আইপি ইনফ্রিঞ্জমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট। তিনি আদালতের বিভিন্ন কেস স্টাডি ও বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরে ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে আইনি সুরক্ষা ও সচেতনতার অভাবে অনেক উদ্ভাবক তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ হারাচ্ছেন এবং এই ক্ষেত্রে আইনজীবী, গবেষক ও শিল্পখাতের যৌথ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেষ সেশনের বিষয় ছিল ‘স্ট্রেনদেনিং দ্য আইপি পলিসি অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ: দ্য রোল অফ পেটেন্টস ইন ড্রাইভিং ইনোভেশন’। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মির্জা গোলাম সারোয়ার বাংলাদেশের আইপি কাঠামোকে শক্তিশালী করার উপায়, পেটেন্ট আবেদন প্রক্রিয়া এবং বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে উদ্ভাবনের অর্থনৈতিক মূল্য সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এ. এস. এম. এ. হাসিব বলেন, “উদ্ভাবন ও গবেষণার প্রকৃত মূল্য তখনই পাওয়া যায়, যখন তার বুদ্ধিবৃত্তিক স্বত্ব সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়। একাডেমিয়া ও শিল্পের পারস্পরিক সহযোগিতা এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বুয়েট সবসময় এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানায়, যা দেশের প্রযুক্তি-নির্ভর অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।”
জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের চিফ পিপল অফিসার শারমিন সুলতান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের গবেষণা ও উদ্ভাবনের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে শিল্পখাতকে একাডেমিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা জরুরি। এই ওয়ার্কশপ তরুণ গবেষকদের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির গুরুত্ব ও বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন করবে, যা ভবিষ্যতে দেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনোভেশনকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।”
আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে বুয়েট ও জিপিএইচ ইস্পাত যৌথভাবে গবেষণা, ইনোভেশন ও প্রযুক্তি উন্নয়ন সংক্রান্ত আরও কার্যক্রম হাতে নেবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিল্পখাতের বাস্তব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করার সুযোগ পাবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে একাডেমিয়া ও শিল্পখাতের মধ্যে নতুন আলোচনা ও সহযোগিতার পথ উন্মোচিত হলো, যা দেশের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি পরিবারের পক্ষ থেকে বিগত ২৭.১০.২০২৫ তারিখে মেট্রোরেল পিলারের বেয়ারিং প্যাড দুর্ঘটনায় নিহত মরহুম আবুল কালাম এর পরিবারকে ১৫.০০ (পনের) লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের (সিএসআর) অংশ হিসেবে ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং ফান্ড হতে ০৫.০০ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। অবশিষ্ট ১০.০০ লক্ষ টাকা মিডল্যান্ড ব্যাংক পরিবারের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়। ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ ইং তারিখে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মরহুম আবুল কালাম এর সহধর্মিনী মিসেস আইরিন আকতার প্রিয়া’র নিকট আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হস্তান্তর করেন মিডল্যান্ড ব্যাংকের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জনাব মোঃ আহসান-উজ জামান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের প্রধান হিসাব কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সৈয়দ সাকিবুজ্জামান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রদেয় আর্থিক সহায়তার অর্থে মিডল্যান্ড ব্যাংক পরিবারের পক্ষ হতে মরহুম আবুল কালাম এর নাবালক সন্তান আবদুল্লাহ আবরার (৪ বছর) এবং পারিশা মারিয়াম সুরা (৩ বছর) এর নামে ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং উইন্ডো মিডল্যান্ড ব্যাংক সালাম এর আওতায় প্রতিটি ৭.৫০ লক্ষ টাকা সমমূল্যের দুইটি মাসিক মুনাফা জিম্মাদার আমানত হিসাব খোলা হয়, যার প্রাপ্ত মুনাফা হতে প্রতি মাসে তারা তাদের পারিবারিক বিভিন্ন ব্যয় পরিচালনা করতে পারবে।
প্রিয়জনের সুস্থতায় গ্রাহকরা যেন হাতের নাগালেই দরকারি সব ওষুধ সাশ্রয়ে কেনার সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতে অন্যতম শীর্ষ ফার্মেসি চেইন একেএস ফার্মেসি এবং বিকাশ সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৬০ টিরও বেশি একেএস ফার্মেসি থেকে সহজেই বিকাশ পেমেন্টে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন গ্রাহকরা, সাথে থাকছে ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একেএস খান হেলথকেয়ার লিমিটেড-এর চিফ বিজনেস অফিসার মোস্তফা কামাল এবং বিকাশ-এর ইভিপি ও হেড অফ মার্চেন্ট পেমেন্টস ফয়সাল শহীদ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অফারের আওতায় যেকোনো একেএস ফার্মেসি থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা পেমেন্ট বিকাশ করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে গ্রাহকরা মাসে ১ বার এবং অফার চলাকালীন সর্বোচ্চ ২ বার ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ, পেমেন্ট গেটওয়ে (চেকআউট পেমেন্ট), কিউআর স্ক্যান, *২৪৭# ডায়াল করে, অথবা বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে বিকাশ পেমেন্টে অফারটি উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। অফারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে -- https://www.bkash.com/campaign/payment-aks-pharmacy-offer-oct25 – লিংকে।
সম্প্রতি, বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রতিষ্ঠানটির অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
পরিদর্শনকালে তিনি সত্যিকার অর্থেই কানেক্টেড ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে সাব-১ গিগাহার্টজ লো ব্যান্ড স্পেক্ট্রামের সর্বোত্তম বরাদ্দ প্রক্রিয়া ও সমতাপূর্ণ বন্টনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকেরা নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী কানেক্টিভিটি সেবা উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, গ্রামীণ এলাকায় ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড নেটওয়ার্ক কভারেজ বিস্তৃত করা, নেটওয়ার্ক জ্যাম কমিয়ে আনা এবং দেশের সকল টেলিকম অপারেটরের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে কৌশলগত পরিকল্পনার ওপরও জোর দেন তিনি। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশজুড়ে উচ্চমানের ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পরিদর্শনকালে তার সাথে বাংলালিংকের প্রতিনিধিদের একটি ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় গ্রাহক-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উন্নত সংযোগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে কীভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং গ্রাহকদের ডিজিটাল ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করছে তা তুলে উঠে আসে।
বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) শক্তিশালী করা, ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো ও দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও সেবার মান বৃদ্ধিতে চলমান বিনিয়োগ কার্যক্রম উপস্থাপন করে। সরকারের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনের মানোন্নয়নে ডিজিটাল ও আর্থিক সেবা সম্প্রসারণেও বাংলালিংকের গৃহীত উদ্যোগগুলোর ওপরে এ সময়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন। স্পেকট্রামের কার্যকারিতা বাড়নো, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা ও সকল গ্রাহকের জন্য উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমাদের যে মূল্যবান পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। তিনি লো ব্যান্ড স্পেকট্রাম এবং ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের সুষ্ঠু ও সমতাপূর্ণ বণ্টনের ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছেন তা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য উচ্চমান সম্পন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী ‘ডিজিটাল ডিভিডেন্ড ব্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃত এ স্পেকট্রাম গ্রামীণ সংযোগ সম্প্রসারণ, কভারেজ বৃদ্ধি ও নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স উন্নত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর সুফল উন্মোচন করা গেলে অপারেটররা আরও উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবে এবং সত্যিকার অর্থে কানেক্টেড বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি। ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর লালমাটিয়াস্থ ব্যাংক এশিয়া ইনস্টিটিউট ফর ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএআইটিডি)-এ এটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংক এশিয়ার এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব রুমানা আখতার তুলি কর্মসূচিতে রিসোর্স পারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের সচেতনতা ও উপলব্ধি বাড়ানোই ছিল এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ও করপোরেট অফিসের কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পারস্পারিক সম্মানজনক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাংক এশিয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
অফিস সহকারীদের বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ‘ওয়েলনেস উইক’। চোখ পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে আইপিডিসি’র ১৭জন অফিস সহকারীকে বিনামূল্যের চশমা প্রদান করা হয়।
সপ্তাহব্যাপি আয়োজিত ‘ওয়েলনেস উইক’ ক্যাম্পেইনে আইপিডিসি’র কর্মীদের চোখ পরীক্ষা করেন প্রফেশনাল চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। পরীক্ষার রিপোর্ট অনুয়ায়ী প্রয়োজন ভেদে ১৭জনকে চশমা প্রদান করা হয়, যা তাদের কাজের স্বাচ্ছন্দ্য ও দৈনন্দিন জীবনে আরও স্বস্তি এনে দিবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “আইপিডিসি বিশ্বাস করে, কর্মীরাই সাফল্যের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের প্রতিটি সাফল্যের পেছনে রয়েছেন এই পরিশ্রমী মানুষগুলো। তাই তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা আমাদের কর্তব্য এবং তাদের সুস্থতায় ভূমিকা রাখতে পারা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। এমন উদ্যোগ আমাদের সেই বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে তোলে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।”
চোখের যত্ন বিষয়ক এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আইপিডিসি’র ‘ওয়েলনেস উইক’ এর সমাপ্তি ঘটলো, যেখানে কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে মিতশুবিশি গাড়ি ক্রয়ে বিশেষ ছাড় পাবেন প্রাইম ব্যাংকপিএলসি-এর গ্রাহকরা। বাংলাদেশে মিতশুবিশি গাড়ির অফিসিয়াল পরিবেশক র্যাংস লিমিটেড। সম্প্রতি ঢাকায় ব্যাংকের করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকরা বাংলাদেশে মিতশুবিশি গাড়ি ক্রয়ে বিশেষ মূল্য উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা ও প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদানে এ উদ্যোগ প্রাইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন মামুর আহমেদ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন এবং র্যাংস লিমিটেড-এর পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামদুর রহমান (সাইমন)। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জোয়াদার তানভীর ফয়সাল, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট প্রাইম ব্যাংক; মোহাম্মদ ফাহিম হোসেন, হেড অব মার্কেটিং, র্যাংস লিমিটেড এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহক ও কর্মীদের প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকারকে আরও সুসংহত করল, যা গ্রাহকদের সামগ্রীক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।
দেশের ই-কমার্স খাতের পথপ্রদর্শক প্রতিষ্ঠান দারাজ বাংলাদেশ আরও একবার বছরের সর্ববৃহৎ বিক্রয় উৎসব—১১.১১ ক্যাম্পেইন নিয়ে হাজির হয়েছে, যার মূল প্রতিপাদ্য “দ্য রিয়েল বস”। বিকিকিনির এই মহোৎসব শুরু হবে আগামী ১০ নভেম্বর ২০২৫ রাত ৮টা থেকে এবং চলবে ২১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সকল পণ্য ক্যাটাগরিতে উপভোগ করতে পারবেন নজিরবিহীন ছাড়, রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতা এবং লাভজনক শপিং অভিজ্ঞতা।
ক্যাম্পেইনে থাকছে ডিলের রেকর্ড সংগ্রহ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ফ্ল্যাশ সেল ও মেগা ডিলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যহ্রাস, হট ডিলে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং বিশেষ আকর্ষণ ১১ / ১১১ / ১,১১১ / ১১,১১১ টাকার ডিল। দারাজ নিশ্চিত করেছে যে সকল মেগা ডিলের মূল্য প্রচলিত অফলাইন বাজারের মূল্যের চেয়ে বহুলাংশে কম থাকবে। এছাড়া, ক্রেতারা ফ্ল্যাট ডিসকাউন্টসহ ব্র্যান্ড রাশ আওয়ারের সুবিধা নিতে পারবেন। ৩৯৯ টাকা ও ৭৯৯ টাকার উপরে অর্ডারে ডেলিভারি ডিসকাউন্ট ও ফ্রি ডেলিভারি সহ বিস্তৃত পণ্যে থাকছে ফ্রি ডেলিভারি অফার।
ক্রেতাদের অনলাইন কেনাকাটাকে সহজবোধ্য করতে এবারে আয়োজন করা হয়েছে দারাজের জনপ্রিয় ১ টাকা গেম, যেখানে যে কেউ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নির্ধারিত পণ্য অর্ডার করার মাধ্যমে অংশ নিতে পারবেন। এই গেমে রয়েছে ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার, প্রথম পুরস্কার ডেটল-স্পন্সরড রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০ বাইক, দ্বিতীয় পুরস্কার লটো-প্রদত্ত শ্রীলঙ্কা যুগল ভ্রমণের প্যাকেজ, তৃতীয় পুরস্কার রিভোর সৌজন্যে রিভো এ১১ ইলেকট্রিক স্কুটার, এবং আরও ৭টি চমকপ্রদ পুরস্কার। এই আকর্ষণীয় পুরস্কারগুলো জেতার জন্য ক্রেতাদের, গেম লাইভ হওয়ার সময় থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বিনামুল্যে ১ টাকার পণ্যগুলো অবশ্যই অর্ডার করে প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য হতে হবে। এরপর ১০ নভেম্বর রাত ৮টায় মূল বিকিকিনি শুরু হওয়ার পর গ্রাহকরা প্রতিদিনের মজার মিশন এবং সরাসরি কেনাকাটার চ্যালেঞ্জগুলিতে অংশ নিতে পারবেন। পুরস্কার জেতার জন্য বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে ডেলিভারি হওয়া অর্ডারগুলোর সর্বোচ্চ মোট মূল্যের ভিত্তিতে। এছাড়াও, গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী হওয়ার জন্য অংশগ্রহণকারীকে ন্যূনতম ৩০০ টাকার ডেটল পণ্য কেনার শর্ত পূরণ করতে হবে।
এই বছর ১১.১১ ক্যাম্পেইনের ইভেন্টগুলো আরও বিস্তৃত ও সুবিন্যস্ত। কেনাকাটার এই উৎসব শুরু হবে ১০ নভেম্বর রাত ৮টায় মিডনাইট রাশ আওয়ারের মাধ্যমে, যেখানে রাত ৮টা-৯টা এবং রাত ১২টা-১টায় থাকছে ৮ শতাংশ উচ্চমূল্যের ভাউচার। এরপর ক্যাম্পেইন চলাকালীন যেকোনো সময় সারপ্রাইজ ফ্ল্যাশ ভাউচার পাওয়া যাবে। ক্যাম্পেইনে থাকছে ইলেকট্রিকাল টুয়েসডে, বুধবারের বাজার, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস থার্সডে, লাইফস্টাইল কোজি ফ্রাইডে, চয়েস ডে স্যাটারডে, ফ্যাশন ফরোয়ার্ড সানডে এবং ডি-মল মানডে (দারাজমল মানডে) -এর মতো থিমভিত্তিক দিন। পাশাপাশি, আবুল খায়ের, হায়ার, বাটা, লটো, ইউনিলিভার, শান, গ্লোবাল ব্র্যান্ডস, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, এবং মিস্টিন এর মত শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বিশেষ ছাড় নিয়ে ব্র্যান্ড ডে আয়োজন করবে। দারাজ চয়েস চ্যানেলের ব্যবহারকারীরা ৪টি কিনলে ফ্রি ডেলিভারি এবং ৫টি কিনলে ১টি ফ্রি সহ ফ্রি ডেলিভারি-এর মতো বিশেষ অফার পাবেন।
এই ক্যাম্পেইনে ব্র্যান্ড পার্টনারদের একটি বৃহৎ মেলবন্ধন ঘটেছে। হায়ার, লটো, ইউনিলিভার, ডেটল এবং হিমালয়া হলো এক্সক্লুসিভ প্ল্যাটিনাম পার্টনার, এবং আবুল খায়ের, বাটা, মিস্টিন, শান, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, এবং ন্যাচারকেয়ার হলো গোল্ড স্পন্সর। মামাআর্থ, টিপিলিংক, অর্গানিক নিউট্রিশন, ফ্রেশ, এসিআই, নিওকেয়ার সিলভার স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এই সুবিশাল অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করছে যে গ্রাহকরা ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন, এফএমসিজি, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং লাইফস্টাইল সহ সকল প্রধান ক্যাটাগরিতে বছরের সেরা দামে প্রিমিয়াম পণ্য হাতে পাবেন।
এই মেগা ক্যাম্পেইনকে আরও লাভজনক করতে, দারাজ দেশের শীর্ষস্থানীয় পেমেন্ট পার্টনারদের সাথে একযোগে কাজ করছে। বিকাশ, নগদ, মাস্টারকার্ড, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, সিটি ব্যাংক পিএলসি, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি ব্যাংক পিএলসি, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলে গ্রাহকরা ভাউচারের মাধ্যমে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত সাশ্রয় নিশ্চিত করতে পারবেন। এছাড়াও, গ্রাহকরা বরাবরের মতো ৬ মাস পর্যন্ত ০% ইন্টারেস্ট ইএমআই (কিস্তি) সুবিধা নিতে পারবেন।
১১.১১ এর আগেই, দারাজ বাংলাদেশ তাদের দারাজমল প্ল্যাটফর্মের উন্নত সংস্করণ উন্মোচন করেছে—যা ভেরিফাইড ব্র্যান্ড ও অনুমোদিত বিক্রেতাদের থেকে নির্ভরযোগ্য পণ্য পাওয়ার জন্য দেশের একটি বিশ্বস্ত অনলাইন গন্তব্য। নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি অথেন্টিসিটি গ্যারান্টি সহ তিন গুণ ক্যাশব্যাক (শর্ত প্রযোজ্য) অফার করছে নতুন দারাজমলের ব্র্যান্ড ও অনুমোদিত বিক্রেতারা, যা গ্রাহকদের ১১.১১ এবং এর পরেও আরও বেশি আস্থা ও সুবিধা দেবে।
ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বেন ই বলেন, "১১.১১ এখন আর কেবলমাত্র একটি বিক্রয় উৎসব নয়—এটি দেশের অনলাইন কেনাকাটা এবং ক্রেতাদের বিপুল উৎসাহের এক জাতীয় মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর, আমরা আরও বেশি মূল্যছাড়, উন্নততর গ্রাহকসেবা এবং ফলপ্রসূ শপিং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বাজারের মানদণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 'দ্য রিয়াল বস' আমাদের সেইসব সম্মানিত গ্রাহকদের ভূমিকাকেই চিহ্নিত করে, যাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ১১.১১-কে আজ এই বিশাল পরিসর দিয়েছে। এবারের আয়োজনে নজিরবিহীন ডিল, সুচিন্তিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং অবিশ্বাস্য পুরস্কারের সমন্বয়ে আমরা সেই পরিধিকে আরও বহুগুণে বিস্তৃত করেছি।"
অসাধারণ ফ্ল্যাশ সেল থেকে শুরু করে গ্র্যান্ড গিভাওয়ে পর্যন্ত, ১১.১১ “দ্য রিয়েল বস” সারা দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে প্রস্তুত। আজই দারাজ ১১.১১ ক্যাম্পেইন পেজ ভিজিট করুন অথবা দারাজ অ্যাপ ডাউনলোড করুন। লাইভ আপডেট পেতে দারাজ বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকুন আর উপভোগ করুন বছরের সবচেয়ে বড় সেল দারাজ ১১.১১!
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি. এবং হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত।
চুক্তিতে কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন হেড অব কার্ডস জাহির আহমেদ এবং হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডিরেক্টর অব অপারেশনস শাহিদুস সাদেক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি’স কো অর্ডিনেশন টিম মো. মামুন উর রহমান এবং হলিডে ইন ঢাকার মার্কেটিং ইনচার্জ তানজিলা আফরিনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ব্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
চুক্তির ফলে কমিউনিটি ব্যাংকের হিসাবধারী, কার্ডধারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেকহোল্ডাররা হলিডে ইন ঢাকায় পাবেন বিশেষ সুযোগ-সুবিধা; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
ডাইনিং, আবাসন, স্পা সার্ভিস, জিম, সুইমিং পুল এবং হেলথ ক্লাব মেম্বারশিপে আকর্ষণীয় ছাড়
বুফে রেস্টুরেন্টে “বাই ওয়ান, গেট ওয়ান ফ্রি” অফার
গ্রাহককে নানাবিধ অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ এবং প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদানে কমিউনিটি ব্যাংকের ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতকে শক্তিশালী করতে এবং মানসম্মত সোলার প্যানেলের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এ একটি অত্যাধুনিক সোলার প্যানেল টেস্টিং ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক (গ্রেড-১) জনাব এস এম ফেরদৌস আলম। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, স্রেডা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ডিপিডিসি, ডেসকো, ইটকল, রাজউক এবং বিএসটিআই’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানসম্মত সোলার প্যানেল আমদানি এবং দেশে উৎপাদিত সোলার প্যানেলের গুণগত মান বিশ্বমানে উন্নীত করতে এই ল্যাবরেটরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন শিল্প সচিব। তিনি বলেন, এই অত্যাধুনিক সুবিধা দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করবে। সোলার প্যানেল টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপনের মাধ্যমে বিএসটিআই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে সক্ষম হবে, যা ভোক্তা সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
বিএসটিআই মহাপরিচালক (গ্রেড-১) বলেন, আমাদের দেশে ব্যবহৃত প্রতিটি সোলার প্যানেল হোক পরীক্ষিত, মানসম্মত এবং টেকসই যাতে বাংলাদেশ আলোকিত হয় মানসম্মত সোলার শক্তিতে। আজকের এই উদ্বোধন শুধু এক প্রযু্ক্তিগত অর্জন নয়, এটি আমাদের জাতীয় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন; একটি পরিচ্ছন্ন, টেকসই ও শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশের প্রতিজ্ঞা।
এই ল্যবরেটরির মূল প্রযু্ক্তি এসেছে জার্মানির একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। এর কেন্দ্রে রয়েছে একটি উচ্চ নির্ভুলতা স্ট্যান্ডার্ড সান সিমুলেটর (High Precision Standarad Sun Simulator) যা সোলার মডিউলের কার্যদক্ষতা অত্যন্ত নিখুঁত ও নির্ভুলভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম। এটি সর্বোচ্চ 2700mmx × 1600mm সাইজের সোলার মডিউল পরীক্ষণ করতে সক্ষম একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি, যে সক্ষমতা বাংলাদেশে একমাত্র বিএসটিআইতেই স্থাপিত হয়েছে।