সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ব্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পুরষ্কার প্রদান করেছে। ২৩ আগস্ট (শনিবার) মতিঝিলস্থ রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন্য আলাদাভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ৩ বিভাগীয় কার্যালয়, শীর্ষ ৩ আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১০ টি শাখাকে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।
এছাড়াও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক, আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ এবং আরবিটিএ এর প্রিন্সিপালসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ব্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পুরষ্কার প্রদান করেছে। ২৩ আগস্ট (শনিবার) মতিঝিলস্থ রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন্য আলাদাভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ৩ বিভাগীয় কার্যালয়, শীর্ষ ৩ আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১০ টি শাখাকে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।
এছাড়াও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক, আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ এবং আরবিটিএ এর প্রিন্সিপালসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের সিগনেচার অনবোর্ডিং প্রোগ্রাম -- ইয়াং লিডারস প্রোগ্রাম (ওয়াইএলপি)- এর আওতায় ৫৩ জন সদ্য পাশ করা মেধাবী গ্র্যাজুয়েটকে নিয়োগ দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়াইএলপি প্রোগ্রামের আওতায় নিয়োগপ্রাপ্তরা এক বছর ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এবং ফাংশনে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই ৩৬০-ডিগ্রি লার্নিংয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাঁরা উদ্ভাবন, পরিবর্তন ও প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার সুযোগ পাবেন।
ইয়াং লিডারদের লার্নিং পিরিয়ড সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁদের আগ্রহ ও সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাংকটির বিভিন্ন ডিভিশনে স্থায়ী দায়িত্বে নিযুক্ত করা হবে। এর ফলে তাঁরা ব্যাংকের ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় অর্থপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন।
ওয়াইএলপি অনবোর্ডিং প্রসেসে ইয়াং লিডারদের একটি বিস্তৃত এবং সুশৃঙ্খল নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ছিল সাইকোমেট্রিক অ্যাসেসমেন্ট, পারসোনালিটি প্রোফাইলিং এবং পেশাদার ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কম্পিটেন্সি-বেসড ইন্টারভিউ। এর ফলে নিশ্চিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানে সেরা এবং সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থীর নিয়োগ।
৭ আগস্ট ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের উপস্থিতিতে ইয়াং লিডারদের নতুন এই ব্যাচকে স্বাগত জানানো হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ লিডারদের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আর্থিক খাতের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে এমন পরবর্তী প্রজন্মের লিডারদের প্রস্তুত করতে ব্র্যাক ব্যাংক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তরুণ মেধাবীদের বিনিয়োগ শুধু আমাদের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে না, বরং একটি প্রাণবন্ত ও অগ্রসর চিন্তার কর্মপরিবেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিকেও পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ বছরের ইয়াং লিডারস আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসবে শক্তি, উদ্ভাবনী চিন্তা আর বড় লক্ষ্য অর্জনের আকাঙ্ক্ষা।”
ব্র্যাক ব্যাংকের ইয়াং লিডারস প্রোগ্রাম প্রতি বছরই দেশের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে ক্যারিয়ার শুরুর অন্যতম আকাঙ্ক্ষিত প্রোগামে পরিণত হয়েছে। এ বছরের নিয়োগের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক আবারও প্রমাণ করেছে যে, এটি লক্ষ্য ও কর্মদক্ষতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক ট্যালেন্ট-চালিত প্রতিষ্ঠান।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সীমান্ত ব্যাংক এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট এর মধ্যে সম্প্রতি এবিসি রিয়েল এস্টেট এর প্রধান কার্যালয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রাহকেরা এবিসি রিয়েল এস্টেট এর ফ্ল্যাট ক্রয়ে সীমান্ত ব্যাংক এর হোমলোন ”সীমান্ত নিবাস” গ্রহনের ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত ইন্টারেস্ট রেট ও লোন প্রসেসিং ফি সুবিধা পাবেন ।
সীমান্ত ব্যাংকের হেড অব বিজনেস মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট এর পরিচালক সৌগত ঘোষ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেন। এ সময় সীমান্ত ব্যাংকের রিটেইল অ্যাসেট ও লাইবিলিটি এর ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ সাজ্জাদ, এবিসি রিয়েল এস্টেট এর জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মোহাম্মদ জাকির হোসেন-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উভয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট পরিষেবা বিকাশে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে বদ্ধ পরিকর।
পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি হিসেবে লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করলো বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের মোল্ড অ্যান্ড ডাই ফ্যাক্টরি কমপ্লেক্স। টেকসই উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানির সাশ্রয়ী ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব অবস্থানের কারনে লিড সনদ প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। লিড সনদ অর্জনের মধ্য দিয়ে গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপনায় ওয়ালটনের ঝুড়িতে যুক্ত হলো আরেকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
বুধবার (২০ আগস্ট, ২০২৫) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লিড প্লাটিনাম সনদ গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণসহ লিড সনদ অর্জনের ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ৩৬০-ডিগ্রি টোটাল সলিউশন লিমিটেডের আন্তর্জাতিক গ্রিন বিল্ডিং বিশেষজ্ঞ অনন্ত আহমেদ ও অন্য কর্মকর্তাগণ।
লিড সনদ অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেকের চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম বলেন, পরিবেশবান্ধ কারখানার স্বীকৃতি হিসেবে ওয়ালটন মোল্ড অ্যান্ড ডাই কারখানা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করায় ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা চাই- ভবিষ্যত প্রজম্মের জন্য একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে। সেজন্য কারখানা থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সর্বত্র টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন ও গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপনে লিড সনদ ওয়ালটনকে আরো বেশি উৎসাহিত করবে।
মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশবান্ধব লিড সনদ অর্জনে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করায় ৩৬০-ডিগ্রি টোটাল সলিউশনকে ধন্যবাদ জানান ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার লক্ষ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে ওয়ালটন কারখানায় পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন গ্রিন প্রকল্প ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জিরো কার্বন নিঃসরণ, সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানির ব্যবহারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গ্রিন স্ট্রাকচারাল ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। রুফটপ সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট, ফ্লোটিং বা ভাসমান সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট, রেইন ওয়াটার বা বৃষ্টির পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও পুনঃব্যবহার নিশ্চিত, অ্যাডভান্সড ভেন্টিলেশন সিস্টেম, প্লাস্টিক ও মেটাল রিসাইক্লিং ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় ওয়ালটনের এসব গ্রিন ইনিশিয়েটিভ অব্যাহত থাকবে।
আন্তর্জাতিক গ্রিন বিল্ডিং বিশেষজ্ঞ অনন্ত আহমেদ জানান, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পখাতে ওয়ালটনই প্রথম বিশ্বব্যাপী মর্যাদাপূর্ন লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে। এই সনদ একটি বিল্ডিং বা প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব এবং কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করে। এর মাধ্যমে একটি বিল্ডিং কতটুকু পরিবেশ-বান্ধব, তা বোঝা যায়। লিড সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে শক্তি ও পানির ব্যবহার, কার্বন নিঃসরণ, উপকরণ নির্বাচন এবং অভ্যন্তরীণ পরিবেশগত গুণমানসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়। এসব বিষয়ে কোন বিল্ডিং বা প্রকল্প কত স্কোর করে, তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের লিড সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়। ওয়ালটনের মোল্ড অ্যান্ড ডাই ফ্যাক্টরি সর্বোচ্চ স্কোর পাওয়ায় লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক টেকসই মানদন্ড অনুসরণে ৩ লাখ ৭৬ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গ্রিন স্ট্রাকচারাল ডিজাইনে মোল্ড অ্যান্ড ডাই কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। কারখানায় বৈদ্যুতিক আলোর চেয়ে দিনের আলোর পর্যাপ্ত ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে ২.১ মেগাওয়াটের রুফটপ সোলার পাওয়ার পয়েন্ট। ওয়ালটন যে পরিমাণ বিদ্যুৎ তৈরি করছে, তার চেয়েও কম পরিমাণ বিদ্যুৎ কারখানায় ব্যবহার করছে। এছাড়া কারখানার আভ্যন্তরীণ পরিবেশ ও বাতাসকে আরামদায়ক রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাডভান্সড ভেন্টিলেশন সিস্টেম। বৃষ্টির পানি ব্যবহার ও পুণঃব্যবহারেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
এনআরবিসি ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ, ২০২৫ সালের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাদের সম্মানী অনুমোদন করা হয়। ২১ আগস্ট, ২০২৫, বৃহস্পতিবার, কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সভায় স্বশরীর ও অনলাইন প্লাটফর্মে স্বতন্ত্র পরিচালক, উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ অংশ নেন।
সভায় স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. আনোয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মো: শফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনলাইন প্লাটফর্মে প্রদত্ত সর্বোচ্চ ভোটের মাধ্যমে ৪ টি এজেন্ডা পাস করা হয়। এছাড়া অনলাইন এবং সশরীরে উপস্থিত বিনিয়োকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
এজিএমে অংশগ্রহণকারী সকল স্বতন্ত্র পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, আমানতকারী ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন পরিচালনা পর্ষদ আমনতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। তিনি আরও বলেন, ঋণশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে ব্যাংকের গুণগত সম্পদ ও মুনাফা বৃদ্ধি করাই এই পর্ষদের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে, তিনি সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, এফসিএ, বলেন, ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার কারণে আমানতের পরিমান ২০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সুবিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেকসই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে শেয়ারহোল্ডারগণ তাদের বিনিয়োগের কাঙ্খিত সুফল পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, আমানতকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এনআরবিসি ব্যাংকের প্রাণশক্তি। আমরা দক্ষ পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কমপ্লায়েন্স, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যাত্রা করা এনআরবিসি ব্যাংক পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয় ২০২১ সালে। বর্তমানে সারাদেশে ব্যাংকটির ১০৯টি শাখা এবং ৪১৫টি উপশাখার মাধ্যমে প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত Sustainability Rating 2024- এ দেশের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের মধ্যে গৌরবময় অবস্থান অর্জন করেছে পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী-এর নিকট টেকসই অর্থায়নে শ্রেষ্ঠত্বের সনদ ও ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পূবালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইছা উপস্থিত ছিলেন।
এই অর্জন পূবালী ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ভিশনের প্রতিফলনÑ সুশাসন, পরিবেশবান্ধব অর্থায়ন, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংকে সমন্বিত করে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০২৪ সালের সাসটেইনেবল রেটিং এর জন্য ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক অর্জন করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। ২০ আগস্ট ২০২৫ইং তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর এর নিকট থেকে উক্ত ক্রেস্ট ও সম্মাননা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ বাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মনোজ কুমার হাওলাদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী এবং শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এম. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২০২৪ সালে ব্যাংকিং কার্যক্রমে বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক অগ্রগতি ও উৎকর্ষতার জন্য এই সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সাল থেকে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স, গ্রীণ রিফাইন্যান্স, কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর), কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবেলিটি এবং ব্যাংকিং সেবার পরিধি ক্যাটাগরীর উপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই ধরনের সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার পাশাপাশি গ্রাহকদের সাথে ব্যাংকের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ১০,০০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন।
বিগত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের এই লক্ষণীয় ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকটির ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের এমন মাইলফলক ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করে চলেছে।
এই সাফল্য উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাংকটি ২০ আগস্ট ২০২৫ ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগ দেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক। এ সময় ব্র্যাংকটির ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের রিজিওনাল হেড, ক্লাস্টার হেড এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ) এ. কে. এম. তারেক এবং সিনিয়র জোনাল হেড (সাউথ) তাহের হাসান আল মামুন।
ব্যাংকের এমন সাফল্যে গ্রাহক আস্থা এবং গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্কের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “গ্রাহকের সাথে আস্থার সম্পর্ককে আমরা আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বড় দক্ষতা হিসেবে দেখি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের বাকি সময়ে এবং সামনের বছরগুলোতেও ডিপোজিট প্রবৃদ্ধিতে আমাদের এমন সাফল্য অব্যাহত থাকবে।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
গ্রাহকদের জন্য ব্লাইন্ড নচ ‘টাকা পে-কার্ড উদ্বোধন করেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি (এমডিবি)। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কার্ডের উদ্বোধন করা হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান-উজ জামান আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা পে-কার্ড উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) নাজমুল হুদা সরকার, রিটেইল ডিস্ট্রিবিউশন ডিভিশনের প্রধান মো. রাশেদ আকতার এবং কার্ডস বিভাগের প্রধান মো. আবেদ-উর-রহমান। অনুষ্ঠানে তারা বিশেষভাবে নকশাকৃত টাকা পে-কার্ডের প্ল্যাকার্ড উন্মোচন করেন।
টাকা পে-কার্ড হলো বাংলাদেশের নিজস্ব পেমেন্ট কার্ড, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় চালু করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমানো এবং দেশীয় লেনদেন সহজ করা। এটি মূলত একটি ডেবিট কার্ড এবং শুধু দেশীয় লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
টাকা পে-কার্ডের প্রধান সুবিধা হলো- বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়। টাকা পে-কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর নির্ভরতা কমবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো ভিসা বা মাস্টারকার্ডের জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় বার্ষিক ফি প্রদান করতে হয়, যা দেশের রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যাংকের ব্যয় বৃদ্ধি করে। টাকা পে-কার্ড সেই ব্যয় দূর করবে। বর্তমানে এই কার্ড পিওএস এবং এটিএম মেশিনে ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, খুব শিগগিরই ই-কমার্স লেনদেনেও এটি ব্যবহার করা যাবে। এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় বাজারে লেনদেন আরও সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। টাকা পে-কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই নিরাপদ লেনদেন করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক কার্ডের তুলনায় টাকা পে-কার্ড ব্যবহারে লেনদেনের খরচ কম হবে।
সম্প্রতি দেশীয় শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস কম্পানি মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ এবং টিসিএলের মধ্যে একটি ট্রেডমার্ক লাইসেন্স সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে একমাত্র মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপই বাংলাদেশে বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড টিসিএল ব্র্যান্ডের টিভি, ফ্রিজ, এসি, সিলিং ফ্যান, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস ও হাউস হোল্ড পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেল। এর ফলে এখন থেকে টিসিএলের পণ্য মিনিস্টার-মাইওয়ানের প্রতিটা শোরুমে পাওয়া যাবে।
মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ্রে পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিলরুবা তনু এবং টিসিএলের পক্ষে মেসার্স শাহনূর ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী নুর-ই-আলম সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন দুপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ প্রমুখ।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের পক্ষে দিলরুবা তনু বলেন, আমাদের উৎপাদন দক্ষতা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা টিসিএল ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্যকে বাংলাদেশের বাজারে আরও জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
নুর-ই-আলম বলেন, বাংলাদেশের বাজারে মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপ যে আস্থা, সুনাম ও গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন করেছে তা সত্যিই অনন্য। তাদের বিশাল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের অঙ্গীকার টিসিএল এর কাছে অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
সিজি রানার বিডি থেকে সম্পূর্ণ নতুন বিওয়াইডি গাড়ি কেনার জন্য ক্রেতাদের অটো লোন দিচ্ছে ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল)। সম্প্রতি ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইবিএল উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং প্রধান এম খোরশেদ আনোয়ার এবং সিজি রানার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিদ সাকিফ খান।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর তারাসহ ইবিএল রিটেইল অ্যাসেট বিভাগ প্রধান মো. জাহেদ চৌধুরী, বিওয়াইডি বাংলাদেশের বিক্রয় বিভাগ প্রধান ফাহমিদ ফেরদৌস এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফটোতে দেখা যাচ্ছে।
দেশে প্রথমবারের মতো সেলফ-চেকআউট কাউন্টার চালু করল দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’। প্রথাগত কেনাকাটায় এটি ক্রেতাবান্ধব ব্যতিক্রমী এক অগ্রণী পদক্ষেপ। এই মাইলফলকটি স্বপ্নর টিমের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশন এবং স্বপ্নর তরুণ টেক টিমের উদ্যোগে ডিজাইন করা হয়েছে। এই প্রজেক্টে মাস্টারকার্ড, সানমি এবং ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছেন। বিশেষ এ সেবাটি সম্মানিত ক্রেতাদের জন্য প্রাথমিকভাবে গুলশান-১ আউটলেটে উদ্বোধন করা বুধবার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাব্বির হাসান নাসির, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, স্বপ্নের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুকাইয়া রাফা , সুনমির কান্ট্রি হেড সানিউল জাদিদ, ইস্টার্ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং প্রধান এম. খোরশেদ আনোয়ার, সফটওয়্যার ডেভেলপার মিরাজ অনিকসহ আরও অনেকে ।
সেলফ-চেকআউট কাউন্টারের মাধ্যমে, ক্রেতারা এখন নিজের সুবিধামত কেনাকাটা শেষে নিজেরাই পে করতে পারবেন। স্টোরে পণ্যগুলো স্ক্যান করে ভিসা ও মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে এবং ক্যাশ কাউন্টারে লাইনে না দাঁড়িয়ে তাতক্ষণিকভাবে এই সেবা নিতে পারবেন ক্রেতারা। মূল প্রযুক্তিটি স্বপ্নর তরুণ টিম তৈরি করেছে এবং শুরু থেকেই পার্টনার হিসেবে মাস্টারকার্ড এগিয়ে আসে: সুনমির সঙ্গে সংযুক্ত করে উদ্যোগটি সহজ করেন তারা। তা ছাড়া ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ের সমাধান দেয়। উল্লেখ্য, গুলশানের পর সারাদেশে পর্যায়ক্রমে এটির সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে স্বপ্নর।
স্বপ্ন সেলফ-চেকআউট কাউন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে, মাস্টারকার্ড কার্ডহোল্ডারদের জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। গুলশান-১ আউটলেটে ১ হাজার টাকা বা তার বেশি কেনাকাটায় মাস্টারকার্ড ব্যবহার করলে কার্ডহোল্ডাররা উপহার হিসেবে পাবেন পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ।
অনুষ্ঠানে স্বপ্নের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুকাইয়া রাফা বলেন, ‘রিটেইলে বাংলাদেশের প্রথম সেলফ-চেকআউট সিস্টেম তৈরি করা দলের অংশ হতে পারাটা সম্মানের। এই প্রকল্প প্রমাণ করে যে তরুণ বাংলাদেশি প্রযুক্তবিদরা যেকোনো উন্নত দেশের সমতুল্য উদ্ভাবনে সক্ষম।’