সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫
৯ ভাদ্র ১৪৩২

ওয়ালটন ডিজি-টেকের দেশব্যাপী ডিলার মিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:২৯

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সম্প্রতি সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিলার মিট আয়োজন করেছে। নলেজ শেয়ারিং সেশনের মাধ্যমে বিশ্বের নতুন নতুন টেকনোলজি, ওয়ালটনের নতুন ও আপকামিং প্রযুক্তিপণ্য, ব্যবসায়িক সুবিধা এবং আকর্ষণীয় অফারসহ কিভাবে ক্রেতাদের আরো বেশি সেবা দেয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়ে প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে অবহিত করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও কুমিল্লায় এসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ডিলাররা ওয়ালটনের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মনিটর, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন আইটি পণ্যের বিস্তারিত তথ্য জানার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি বিশেষ ছাড়, প্রোমোশনাল সুবিধা ও ডিলারশিপের সুযোগ সম্পর্কেও তাঁদের অবহিত করা হচ্ছে। রিফারব্রিশড পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এই আয়োজন ডিলারদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের আইটি ব্যবসার গতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানগুলোতে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ছাড়াও আইটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকছেন। তাঁরা মনে করেন, ওয়ালটনের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, "গ্রাহকদের সর্বোচ্চমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদানের পাশাপাশি তাদের কাঙিক্ষত সেবা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের সেতুবন্ধন হিসেবে ডিলারগণ কাজ করেন। ক্রেতাদের চাহিদা আরো ভালো করে বুঝতে এবং তাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি রিফারব্রিশড পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সারা বছরব্যাপী আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।”


ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘দ্য ওয়ে’ ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রত্যয় তরুণ শিক্ষার্থীদের

আপডেটেড ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্য ওয়ে’ বা ‘আগামীর পথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল অংশগ্রহণমূলক বক্তৃতা, প্যানেল আলোচনা, বিতর্ক, তরুণদের উদ্ভাবিত উদ্যোগের পাশাপাশি ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রদর্শন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, মিউজিক থেরাপিসহ নানা অনুষ্ঠান। ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও অ্যাডভোকেসির মতো নানা কাজে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা এবং তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।

ব্র্যাক ইউনিভার্টিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী যুব উৎসব “দ্য ওয়ে” তে রং দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ব্র্যাক ইয়ুথ প্রোগ্রামের সদস্য, তরুণ পেশাজীবী, উন্নয়ন সহযোগী, গণমাধ্যম এবং ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্টিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী যুব উৎসব “দ্য ওয়ে”-এর একটি পর্বে বাগেরহাটের মংলার চিলা ইউনিয়নের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐতি রায় তার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অনুপ্রেরণামূলক গল্প শোনান। বামে দাড়িয়ে আছেন তার মা।

দিনের শুরুতে ‘দ্য সায়েন্স অফ ফাইন্ডিং আ ওয়ে’ শীর্ষক সেশনে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, সমাজ যা বলছে সেই গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে তরুণরা যে যেই পেশাতেই থাকুক না কেন, তারা পরিবর্তনের পথ দেখাতে পারেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্টিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী যুব উৎসব “দ্য ওয়ে” তে ”দ্য সায়েন্স অফ ফাইন্ডিং অ্যা ওয়ে” শীর্ষক বক্তব্য দিচ্ছেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্।

তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লক্ষ্য অনুসরণ করতে হবে কারণ পরিবর্তনের উদ্যোগগুলো নিয়ে কাজ শুরু হলে তা স্বাভাবিকভাবেই অংশীদার এবং রিসোর্সকে আকৃষ্ট করে। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের যাত্রা এবং ব্র্যাকের ‘সল্যুশন ইকোসিস্টেম’ বা সমাধান কাঠামো, যেখানে উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সামাজিক উদ্যোগগুলো একসাথে কাজ করছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আসিফ সালেহ্ বলেন, উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকাটা খুবই জরুরি। সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে তার জন্য দীর্ঘ অধ্যবসায় প্রয়োজন এবং দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে একই সাথে অ্যাকটিভিজম, পলিসি, উন্নয়ন এবং এর বাণিজ্যিক দিকগুলোকেও সন্নিবেশিত করতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এই অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দানেই প্রকৃত পরিতৃপ্তি। আমরা যখন নিজেদের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সেগুলো পূরণের জন্য সৃজনশীল সমাধান খুঁজে পাই, তখনই এটি সম্ভব হয়। নিজের, সমাজের এবং দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে প্রায়ই হতাশা জন্ম নেয়। তবে অন্যদের সঙ্গে তুলনায় না গিয়ে নিজের ভেতরের স্বকীয়তাকে খুঁজে বের করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ অন্যের মঙ্গলে অবদান রাখার মাধ্যমেই নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায়।

ব্র্যাক ইউনিভার্টিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী যুব উৎসব “দ্য ওয়ে” তে সমাপনী বক্তব্য দিচ্ছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর ঊর্ধ্বতন পরিচালক মৌটুসী কবীর এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, লার্নিং অ্যান্ড টিচিং ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার, অপারেশনস ডিরেক্টর সাজেদুল করিম, স্টুডেন্ট লাইফ-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।

‘স্পার্কটক’ পর্বে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐতি রায় তুলে ধরেন তার জীবন ও সংগ্রামের গল্প। এ ছাড়া ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহিনুর সাইফ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সংসদীয় ব্যবস্থার আদলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। পরে ‘বিয়ন্ড ওয়ান ওয়ে’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দ্য ডেইলি স্টারের চিফ বিজনেস অফিসার তাজদীন হাসান, মাম্মিকিডস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম পলকা এবং ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাশিরা হারুন এতে অংশ নেন। ‘দ্য ওয়ে অফ হারমনি’ শীর্ষক সেশনে ছিল আরমিন মুসা ও তাঁর দলের সম্মিলিত মিউজিক থেরাপি পরিবেশনা। এ ছাড়া ‘ডিজাইন কোয়েস্ট: সলভ ফর সোসাইটি’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করে শিশুদের জন্য খেলাভিত্তিক শিক্ষার সোশ্যাল স্টার্ট ‘মেকা টিম’।

এ ছাড়াও ছিল তরুণ উদ্ভাবকদের পাশাপাশি ব্র্যাকের নানা উদ্যোগের প্রদর্শন। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ওয়াটার হ্যাকাথন এবং আমরা নতুন নেটওয়ার্কের অংশগ্রহণকারীরা উপস্থাপন করেন তিনটি প্রকল্প—যত্নের দোকান, ইকো কেয়ার এবং উজ্জীবন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স ক্লাব এবং এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে প্রদর্শিত হয় প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে পাঁচটি প্রকল্প।

ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি (সিসিপি); নগর উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউডিপি), ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপন্ট (বিআইইডি), ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি (আইডিপি) ও আল্ট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন (ইউপিজি) কর্মসূচি, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনগত সুরক্ষা কর্মসূচি (সেলপ) এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারের (বিএলবিসি) নানা উদ্যোগ ও সেবাগুলো এখানে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তার জন্য ‘মনের যত্ন’ এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে তাদের বৈশ্বিক কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

‘অলওয়েজ অ্যা ওয়ে-দ্য হিউম্যান লাইব্রেরি’ শীর্ষক আয়োজনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং ব্র্যাক ইয়াং প্রফেশনাল প্রোগ্রাম ও আমরা নতুন নেটওয়ার্কের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা ও জীবনের গল্পগুলো তুলে ধরেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাব দেশি ও আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে স্থাপিত গ্রাফিতি ওয়ালে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো রং দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে ‘ব্র্যাক-ইউ এক্সপ্রেস’-এর পক্ষ থেকে তরুণদের মতামতগুলো ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ধারণ করা হয়, যেখানে তরুণরা খোলামেলাভাবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।

অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত ‘দ্য ওয়ে’ বুথগুলো তরুণদের ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও সৃজনশীল উদ্ভাবনের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তরুণদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রস্তুত করার জন্য ব্র্যাকের প্রতিশ্রুতিকেই পুনর্ব্যক্ত করে ‘দ্য ওয়ে’।


পদ্মা ব্যাংকের ১২৯তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ১২৯ তম সভা ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোঃ শওকত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদ্মা ব্যাংকের পর্ষদ সভায় অন্যান্য পরিচালকবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, তামিম মারজান হুদা, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ রুকুনুজ্জামান, ব্যারিস্টার-এট-‘ল এবং এএইচএম আরিফুল ইসলাম এফসিএ। সভা পরিচালনা করেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোঃ তালহা (চলতি দায়িত্বে)।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় পরপর তৃতীয় বার যমুনা ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যমুনা ব্যাংক টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব অর্থায়ন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি, সেবার বিস্তৃতি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বহুমুখী সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ২০২৪ সালের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের তালিকায় পরপর ৩ বার স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত সাসটেইনেবিলিটি রেটিং রিকগনিশন অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মির্জা ইলিয়াস উদ্দীন আহম্মদ -এর হাতে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার, সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের (এসএফডি) পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী, যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ প্রসান্ত সামিরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মির্জা ইলিয়াস বলেন: “যমুনা ব্যাংকের গৃহীত টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলো শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতার নিদর্শন নয়; বরং এগুলো আমাদের ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় করার দিকেও একটি সুপরিকল্পিত কৌশল। যমুনা ব্যাংক মনে করে, এই রেটিং শুধু একটি স্বীকৃতি নয়; বরং আমাদের দায়িত্বশীল ও ভবিষ্যৎমুখী ব্যাংকিংয়ের প্রতিফলন”।


ব্লুমবার্গের ইএসজি রেটিংয়ে দেশসেরা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রেটিংয়ে অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংকের স্বীকৃতি অর্জন করলো ব্র্যাক ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে টেকসই ব্যাংকিং-যাত্রায় আরও নিজের অবস্থান শক্তিশালী করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছর শীর্ষ দশে থাকার গৌরব অর্জন করেছে ব্যাংকটি। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও পঞ্চমবারের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ব্লুমবার্গ ইএসজি স্বীকৃতি

ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিং ২০২৪-এ ব্র্যাক ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩.৮ সামগ্রিক স্কোর অর্জন করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ (১.৭৬), সামাজিক (৫.৮৩) এবং সুশাসন (৩.০৭)-এর স্কোর। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স (৩.৫১) ও সিটি ব্যাংক (২.৬৪)-কে ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে পরিচালিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।

এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মতো ব্লুমবার্গের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জায়গা করে নিতে সমর্থ্য হয়েছে।

ব্লুমবার্গের এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি এসেছে ব্র্যাক ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কার্বন নিঃসরণ রিপোর্ট, সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট ২০২৪, আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট এবং অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের মাধ্যমে ব্যাংকটি সুশাসনে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছে। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের টেকসই অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০,২১৫ কোটি টাকায়, যা ব্যাংকটির মোট অ্যাসেট পোর্টফোলিওর ৮২%।

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বাজার মূলধন (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারহোল্ডিং (৩২%) আর্থিক খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বস্থানের প্রতিফলন। এছাড়াও, তিন ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ তথ্য (জিএইচজি স্কোপ ১, ২, ৩) প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই ব্যাংক রেটিং ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংক পঞ্চম বছরের মতো ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ‘এক্সেলেন্ট’ রেটিং অর্জন করেছে, যা দেশে মাত্র আরও দুটি ব্যাংক অর্জন করতে পেরেছে।

সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইনডেক্স, সিএসআর অ্যাক্টিভিটিস, গ্রিন রিফাইন্যান্স, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি ইনডেক্স এবং ব্যাংকিং সার্ভিসেস কাভারেজ— এই পাচটি পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে রেটিং করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্র্যাক ব্যাংকই বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক, যারা পার্টনারশিপ ফর কার্বন অ্যাকাউন্টিং ফাইন্যান্সিয়ালস (পিসিএএফ) ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে স্কোপ ১, ২, ৩ কার্বন নিঃসরণ তথ্য প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড (আইএসএসবি) মানদণ্ড অনুযায়ী স্বতন্ত্র আইএফআরএস এস-১ ও এস-২ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকটি ১,০০০ কোটি টাকার সোশ্যাল বন্ড ইস্যুরও প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা হবে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএমএ) প্রিন্সিপালস অনুযায়ী।

টেকসই অর্থায়নকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০টি সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স হেল্পডেস্ক স্থাপন করেছে, যাতে গ্রাহকদের জন্য গ্রিন ফাইন্যান্স ও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আরও সহজলভ্য হয়। ব্যাংকিংয়ের বাইরেও ব্র্যাক ব্যাংকের সিএসআর উদ্যোগগুলো সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। শুধু ২০২৪ সালেই ব্যাংকটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির আওতায় ৫০,০০০ মানুষকে সেবা, জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের আওতায় ৪৬,০০০ কৃষককে সহায়তা এবং শিক্ষা খাতের আওতায় ৭০০ সুবিধাবঞ্চিত নারীকে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি দিয়েছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমন মর্যাদাপূর্ণ অর্জন সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “সাসটেইনেবিলিটি এখন আর কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং এটি এখন দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তি। ব্লুমবার্গ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এই স্বীকৃতি আমাদের দায়িত্বশীল ব্যাংকিং, স্বচ্ছতা ও ইমপ্যাক্ট তৈরির প্রতিশ্রুতিকে আরও সুদৃঢ় করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা বিশ্বাস করি, ইএসজি শুধু পরিবেশ রক্ষা বা সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ই নয়, বরং এটি একটি ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রক্রিয়া, যেখানে বিনিয়োগকারী, রেগুলেটর, সহকর্মী ও গ্রাহকেরা আস্থা রাখতে পারেন। আমরা সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন আরও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে জাতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারি।”

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।


রূপালী ব‍্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেল বিভিন্ন শাখা, জোনাল অফিস ও বিভাগীয় কার্যালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ব‍্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পুরষ্কার প্রদান করেছে। ২৩ আগস্ট (শনিবার) মতিঝিলস্থ রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন‍্য আলাদাভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ৩ বিভাগীয় কার্যালয়, শীর্ষ ৩ আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১০ টি শাখাকে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।

এছাড়াও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পুরস্কারের জন‍্য মনোনীত বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান ও মহাব‍্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের মহাব‍্যবস্থাপক, আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ এবং আরবিটিএ এর প্রিন্সিপালসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।


ইয়াং লিডারস প্রোগ্রামের অধীনে সদ্য পাশ করা মেধাবী গ্র্যাজুয়েটকে নিয়োগ দিল ব্র্যাক ব্যাংক

আপডেটেড ২৩ আগস্ট, ২০২৫ ২২:২২
করপোরেট ডেস্ক

ব্যাংকের সিগনেচার অনবোর্ডিং প্রোগ্রাম -- ইয়াং লিডারস প্রোগ্রাম (ওয়াইএলপি)- এর আওতায় ৫৩ জন সদ্য পাশ করা মেধাবী গ্র্যাজুয়েটকে নিয়োগ দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।

ব্র্যাক ব্যাংকের ওয়াইএলপি প্রোগ্রামের আওতায় নিয়োগপ্রাপ্তরা এক বছর ব্যাংকের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এবং ফাংশনে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই ৩৬০-ডিগ্রি লার্নিংয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাঁরা উদ্ভাবন, পরিবর্তন ও প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার সুযোগ পাবেন।

ইয়াং লিডারদের লার্নিং পিরিয়ড সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁদের আগ্রহ ও সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাংকটির বিভিন্ন ডিভিশনে স্থায়ী দায়িত্বে নিযুক্ত করা হবে। এর ফলে তাঁরা ব্যাংকের ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় অর্থপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন।

ওয়াইএলপি অনবোর্ডিং প্রসেসে ইয়াং লিডারদের একটি বিস্তৃত এবং সুশৃঙ্খল নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ছিল সাইকোমেট্রিক অ্যাসেসমেন্ট, পারসোনালিটি প্রোফাইলিং এবং পেশাদার ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কম্পিটেন্সি-বেসড ইন্টারভিউ। এর ফলে নিশ্চিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানে সেরা এবং সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থীর নিয়োগ।

৭ আগস্ট ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের উপস্থিতিতে ইয়াং লিডারদের নতুন এই ব্যাচকে স্বাগত জানানো হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ লিডারদের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আর্থিক খাতের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে এমন পরবর্তী প্রজন্মের লিডারদের প্রস্তুত করতে ব্র্যাক ব্যাংক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তরুণ মেধাবীদের বিনিয়োগ শুধু আমাদের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে না, বরং একটি প্রাণবন্ত ও অগ্রসর চিন্তার কর্মপরিবেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিকেও পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ বছরের ইয়াং লিডারস আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসবে শক্তি, উদ্ভাবনী চিন্তা আর বড় লক্ষ্য অর্জনের আকাঙ্ক্ষা।”

ব্র্যাক ব্যাংকের ইয়াং লিডারস প্রোগ্রাম প্রতি বছরই দেশের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে ক্যারিয়ার শুরুর অন্যতম আকাঙ্ক্ষিত প্রোগামে পরিণত হয়েছে। এ বছরের নিয়োগের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক আবারও প্রমাণ করেছে যে, এটি লক্ষ্য ও কর্মদক্ষতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক ট্যালেন্ট-চালিত প্রতিষ্ঠান।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৯ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।


রূপালী ব‍্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি পেল বিভিন্ন শাখা, জোনাল অফিস ও বিভাগীয় কার্যালয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ব‍্যাংকের ব্যবসাযিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পুরষ্কার প্রদান করেছে। ২৩ আগস্ট (শনিবার) মতিঝিলস্থ রূপালী ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন‍্য আলাদাভাবে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ৩ বিভাগীয় কার্যালয়, শীর্ষ ৩ আঞ্চলিক কার্যালয় ও ১০ টি শাখাকে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।


এছাড়াও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পুরস্কারের জন‍্য মনোনীত বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান ও মহাব‍্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের মহাব‍্যবস্থাপক, আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ এবং আরবিটিএ এর প্রিন্সিপালসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।


সীমান্ত ব্যাংক এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

সীমান্ত ব্যাংক এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট এর মধ্যে সম্প্রতি এবিসি রিয়েল এস্টেট এর প্রধান কার্যালয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রাহকেরা এবিসি রিয়েল এস্টেট এর ফ্ল্যাট ক্রয়ে সীমান্ত ব্যাংক এর হোমলোন ”সীমান্ত নিবাস” গ্রহনের ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত ইন্টারেস্ট রেট ও লোন প্রসেসিং ফি সুবিধা পাবেন ।

সীমান্ত ব্যাংকের হেড অব বিজনেস মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট এর পরিচালক সৌগত ঘোষ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেন। এ সময় সীমান্ত ব্যাংকের রিটেইল অ্যাসেট ও লাইবিলিটি এর ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ সাজ্জাদ, এবিসি রিয়েল এস্টেট এর জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মোহাম্মদ জাকির হোসেন-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উভয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট পরিষেবা বিকাশে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে বদ্ধ পরিকর।


লিড প্লাটিনাম সনদ পেল ওয়ালটনের পরিবেশবান্ধব মোল্ড অ্যান্ড ডাই ফ্যাক্টরি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি হিসেবে লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করলো বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের মোল্ড অ্যান্ড ডাই ফ্যাক্টরি কমপ্লেক্স। টেকসই উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানির সাশ্রয়ী ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব অবস্থানের কারনে লিড সনদ প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। লিড সনদ অর্জনের মধ্য দিয়ে গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপনায় ওয়ালটনের ঝুড়িতে যুক্ত হলো আরেকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

বুধবার (২০ আগস্ট, ২০২৫) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লিড প্লাটিনাম সনদ গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণসহ লিড সনদ অর্জনের ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ৩৬০-ডিগ্রি টোটাল সলিউশন লিমিটেডের আন্তর্জাতিক গ্রিন বিল্ডিং বিশেষজ্ঞ অনন্ত আহমেদ ও অন্য কর্মকর্তাগণ।

লিড সনদ অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেকের চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম বলেন, পরিবেশবান্ধ কারখানার স্বীকৃতি হিসেবে ওয়ালটন মোল্ড অ্যান্ড ডাই কারখানা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করায় ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা চাই- ভবিষ্যত প্রজম্মের জন্য একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে। সেজন্য কারখানা থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সর্বত্র টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন ও গ্রিন ফ্যাক্টরি স্থাপনে লিড সনদ ওয়ালটনকে আরো বেশি উৎসাহিত করবে।

মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশবান্ধব লিড সনদ অর্জনে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করায় ৩৬০-ডিগ্রি টোটাল সলিউশনকে ধন্যবাদ জানান ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার লক্ষ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে ওয়ালটন কারখানায় পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন গ্রিন প্রকল্প ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জিরো কার্বন নিঃসরণ, সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানির ব্যবহারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গ্রিন স্ট্রাকচারাল ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। রুফটপ সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট, ফ্লোটিং বা ভাসমান সোলার পাওয়ার প্রজেক্ট, রেইন ওয়াটার বা বৃষ্টির পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও পুনঃব্যবহার নিশ্চিত, অ্যাডভান্সড ভেন্টিলেশন সিস্টেম, প্লাস্টিক ও মেটাল রিসাইক্লিং ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় ওয়ালটনের এসব গ্রিন ইনিশিয়েটিভ অব্যাহত থাকবে।

আন্তর্জাতিক গ্রিন বিল্ডিং বিশেষজ্ঞ অনন্ত আহমেদ জানান, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পখাতে ওয়ালটনই প্রথম বিশ্বব্যাপী মর্যাদাপূর্ন লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে। এই সনদ একটি বিল্ডিং বা প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব এবং কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করে। এর মাধ্যমে একটি বিল্ডিং কতটুকু পরিবেশ-বান্ধব, তা বোঝা যায়। লিড সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে শক্তি ও পানির ব্যবহার, কার্বন নিঃসরণ, উপকরণ নির্বাচন এবং অভ্যন্তরীণ পরিবেশগত গুণমানসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়। এসব বিষয়ে কোন বিল্ডিং বা প্রকল্প কত স্কোর করে, তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের লিড সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয়। ওয়ালটনের মোল্ড অ্যান্ড ডাই ফ্যাক্টরি সর্বোচ্চ স্কোর পাওয়ায় লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক টেকসই মানদন্ড অনুসরণে ৩ লাখ ৭৬ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গ্রিন স্ট্রাকচারাল ডিজাইনে মোল্ড অ্যান্ড ডাই কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। কারখানায় বৈদ্যুতিক আলোর চেয়ে দিনের আলোর পর্যাপ্ত ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে ২.১ মেগাওয়াটের রুফটপ সোলার পাওয়ার পয়েন্ট। ওয়ালটন যে পরিমাণ বিদ্যুৎ তৈরি করছে, তার চেয়েও কম পরিমাণ বিদ্যুৎ কারখানায় ব্যবহার করছে। এছাড়া কারখানার আভ্যন্তরীণ পরিবেশ ও বাতাসকে আরামদায়ক রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাডভান্সড ভেন্টিলেশন সিস্টেম। বৃষ্টির পানি ব্যবহার ও পুণঃব্যবহারেরও ব্যবস্থা রয়েছে।


এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএম অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

এনআরবিসি ব্যাংকের ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ, ২০২৫ সালের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাদের সম্মানী অনুমোদন করা হয়। ২১ আগস্ট, ২০২৫, বৃহস্পতিবার, কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়ার সভাপতিত্বে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সভায় স্বশরীর ও অনলাইন প্লাটফর্মে স্বতন্ত্র পরিচালক, উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ অংশ নেন।

সভায় স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. আনোয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মো: শফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় শেয়ারহোল্ডারদের অনলাইন প্লাটফর্মে প্রদত্ত সর্বোচ্চ ভোটের মাধ্যমে ৪ টি এজেন্ডা পাস করা হয়। এছাড়া অনলাইন এবং সশরীরে উপস্থিত বিনিয়োকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।

এজিএমে অংশগ্রহণকারী সকল স্বতন্ত্র পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, আমানতকারী ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন পরিচালনা পর্ষদ আমনতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। তিনি আরও বলেন, ঋণশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে ব্যাংকের গুণগত সম্পদ ও মুনাফা বৃদ্ধি করাই এই পর্ষদের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে, তিনি সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, এফসিএ, বলেন, ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার কারণে আমানতের পরিমান ২০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। সুবিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেকসই ব্যবসায়িক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে শেয়ারহোল্ডারগণ তাদের বিনিয়োগের কাঙ্খিত সুফল পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, আমানতকারী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এনআরবিসি ব্যাংকের প্রাণশক্তি। আমরা দক্ষ পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কমপ্লায়েন্স, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে চাই।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যাত্রা করা এনআরবিসি ব্যাংক পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয় ২০২১ সালে। বর্তমানে সারাদেশে ব্যাংকটির ১০৯টি শাখা এবং ৪১৫টি উপশাখার মাধ্যমে প্রথাগত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করছে।


টেকসই অর্থায়নে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেল পূবালী ব্যাংক পিএলসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত Sustainability Rating 2024- এ দেশের শীর্ষ ১০ টেকসই ব্যাংকের মধ্যে গৌরবময় অবস্থান অর্জন করেছে পূবালী ব্যাংক পিএলসি।

এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী-এর নিকট টেকসই অর্থায়নে শ্রেষ্ঠত্বের সনদ ও ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পূবালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইছা উপস্থিত ছিলেন।

এই অর্জন পূবালী ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি ভিশনের প্রতিফলনÑ সুশাসন, পরিবেশবান্ধব অর্থায়ন, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংকে সমন্বিত করে জাতীয় অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা।


ব্যাংক থেকে সাসটেইনেবল রেটিং এর জন্য ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক অর্জন করল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
করপোরেট ডেস্ক

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০২৪ সালের সাসটেইনেবল রেটিং এর জন্য ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক অর্জন করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। ২০ আগস্ট ২০২৫ইং তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর এর নিকট থেকে উক্ত ক্রেস্ট ও সম্মাননা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ বাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মনোজ কুমার হাওলাদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী এবং শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এম. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২০২৪ সালে ব্যাংকিং কার্যক্রমে বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক অগ্রগতি ও উৎকর্ষতার জন্য এই সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সাল থেকে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স, গ্রীণ রিফাইন্যান্স, কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর), কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবেলিটি এবং ব্যাংকিং সেবার পরিধি ক্যাটাগরীর উপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই ধরনের সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার পাশাপাশি গ্রাহকদের সাথে ব্যাংকের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


banner close