বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ‘দ্য ওয়ে’ বা ‘আগামীর পথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল অংশগ্রহণমূলক বক্তৃতা, প্যানেল আলোচনা, বিতর্ক, তরুণদের উদ্ভাবিত উদ্যোগের পাশাপাশি ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রদর্শন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, মিউজিক থেরাপিসহ নানা অনুষ্ঠান। ২৪শে আগস্ট ২০২৫, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও অ্যাডভোকেসির মতো নানা কাজে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা এবং তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ব্র্যাক ইয়ুথ প্রোগ্রামের সদস্য, তরুণ পেশাজীবী, উন্নয়ন সহযোগী, গণমাধ্যম এবং ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।
দিনের শুরুতে ‘দ্য সায়েন্স অফ ফাইন্ডিং আ ওয়ে’ শীর্ষক সেশনে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, সমাজ যা বলছে সেই গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে তরুণরা যে যেই পেশাতেই থাকুক না কেন, তারা পরিবর্তনের পথ দেখাতে পারেন।
তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লক্ষ্য অনুসরণ করতে হবে কারণ পরিবর্তনের উদ্যোগগুলো নিয়ে কাজ শুরু হলে তা স্বাভাবিকভাবেই অংশীদার এবং রিসোর্সকে আকৃষ্ট করে। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের যাত্রা এবং ব্র্যাকের ‘সল্যুশন ইকোসিস্টেম’ বা সমাধান কাঠামো, যেখানে উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সামাজিক উদ্যোগগুলো একসাথে কাজ করছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আসিফ সালেহ্ বলেন, উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকাটা খুবই জরুরি। সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে তার জন্য দীর্ঘ অধ্যবসায় প্রয়োজন এবং দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে একই সাথে অ্যাকটিভিজম, পলিসি, উন্নয়ন এবং এর বাণিজ্যিক দিকগুলোকেও সন্নিবেশিত করতে হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এই অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দানেই প্রকৃত পরিতৃপ্তি। আমরা যখন নিজেদের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে পারি এবং সেগুলো পূরণের জন্য সৃজনশীল সমাধান খুঁজে পাই, তখনই এটি সম্ভব হয়। নিজের, সমাজের এবং দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে প্রায়ই হতাশা জন্ম নেয়। তবে অন্যদের সঙ্গে তুলনায় না গিয়ে নিজের ভেতরের স্বকীয়তাকে খুঁজে বের করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ অন্যের মঙ্গলে অবদান রাখার মাধ্যমেই নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর ঊর্ধ্বতন পরিচালক মৌটুসী কবীর এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, লার্নিং অ্যান্ড টিচিং ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন্স খায়রুল বাশার, অপারেশনস ডিরেক্টর সাজেদুল করিম, স্টুডেন্ট লাইফ-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর তাহসিনা রহমান।
‘স্পার্কটক’ পর্বে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়ন থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐতি রায় তুলে ধরেন তার জীবন ও সংগ্রামের গল্প। এ ছাড়া ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহিনুর সাইফ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ডিবেট ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সংসদীয় ব্যবস্থার আদলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। পরে ‘বিয়ন্ড ওয়ান ওয়ে’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দ্য ডেইলি স্টারের চিফ বিজনেস অফিসার তাজদীন হাসান, মাম্মিকিডস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম পলকা এবং ইটস হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাশিরা হারুন এতে অংশ নেন। ‘দ্য ওয়ে অফ হারমনি’ শীর্ষক সেশনে ছিল আরমিন মুসা ও তাঁর দলের সম্মিলিত মিউজিক থেরাপি পরিবেশনা। এ ছাড়া ‘ডিজাইন কোয়েস্ট: সলভ ফর সোসাইটি’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করে শিশুদের জন্য খেলাভিত্তিক শিক্ষার সোশ্যাল স্টার্ট ‘মেকা টিম’।
এ ছাড়াও ছিল তরুণ উদ্ভাবকদের পাশাপাশি ব্র্যাকের নানা উদ্যোগের প্রদর্শন। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ওয়াটার হ্যাকাথন এবং আমরা নতুন নেটওয়ার্কের অংশগ্রহণকারীরা উপস্থাপন করেন তিনটি প্রকল্প—যত্নের দোকান, ইকো কেয়ার এবং উজ্জীবন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স ক্লাব এবং এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে প্রদর্শিত হয় প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে পাঁচটি প্রকল্প।
ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি (সিসিপি); নগর উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউডিপি), ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ডেভেলপন্ট (বিআইইডি), ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি (আইডিপি) ও আল্ট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন (ইউপিজি) কর্মসূচি, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনগত সুরক্ষা কর্মসূচি (সেলপ) এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারের (বিএলবিসি) নানা উদ্যোগ ও সেবাগুলো এখানে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তার জন্য ‘মনের যত্ন’ এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে তাদের বৈশ্বিক কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
‘অলওয়েজ অ্যা ওয়ে-দ্য হিউম্যান লাইব্রেরি’ শীর্ষক আয়োজনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং ব্র্যাক ইয়াং প্রফেশনাল প্রোগ্রাম ও আমরা নতুন নেটওয়ার্কের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা ও জীবনের গল্পগুলো তুলে ধরেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ফিল্ম ক্লাব দেশি ও আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবের উদ্যোগে স্থাপিত গ্রাফিতি ওয়ালে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ইচ্ছেমতো রং দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে ‘ব্র্যাক-ইউ এক্সপ্রেস’-এর পক্ষ থেকে তরুণদের মতামতগুলো ভিডিও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ধারণ করা হয়, যেখানে তরুণরা খোলামেলাভাবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত ‘দ্য ওয়ে’ বুথগুলো তরুণদের ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল ও সৃজনশীল উদ্ভাবনের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তরুণদের পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রস্তুত করার জন্য ব্র্যাকের প্রতিশ্রুতিকেই পুনর্ব্যক্ত করে ‘দ্য ওয়ে’।
প্রিয়জনের সুস্থতায় গ্রাহকরা যেন হাতের নাগালেই দরকারি সব ওষুধ সাশ্রয়ে কেনার সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতে অন্যতম শীর্ষ ফার্মেসি চেইন একেএস ফার্মেসি এবং বিকাশ সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৬০ টিরও বেশি একেএস ফার্মেসি থেকে সহজেই বিকাশ পেমেন্টে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন গ্রাহকরা, সাথে থাকছে ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একেএস খান হেলথকেয়ার লিমিটেড-এর চিফ বিজনেস অফিসার মোস্তফা কামাল এবং বিকাশ-এর ইভিপি ও হেড অফ মার্চেন্ট পেমেন্টস ফয়সাল শহীদ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অফারের আওতায় যেকোনো একেএস ফার্মেসি থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে ন্যূনতম ১,০০০ টাকা পেমেন্ট বিকাশ করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৫০ টাকা ক্যাশব্যাক। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে গ্রাহকরা মাসে ১ বার এবং অফার চলাকালীন সর্বোচ্চ ২ বার ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপ, পেমেন্ট গেটওয়ে (চেকআউট পেমেন্ট), কিউআর স্ক্যান, *২৪৭# ডায়াল করে, অথবা বিকাশ অ্যাপ থেকে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে বিকাশ পেমেন্টে অফারটি উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। অফারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে -- https://www.bkash.com/campaign/payment-aks-pharmacy-offer-oct25 – লিংকে।
সম্প্রতি, বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রতিষ্ঠানটির অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
পরিদর্শনকালে তিনি সত্যিকার অর্থেই কানেক্টেড ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে সাব-১ গিগাহার্টজ লো ব্যান্ড স্পেক্ট্রামের সর্বোত্তম বরাদ্দ প্রক্রিয়া ও সমতাপূর্ণ বন্টনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকেরা নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী কানেক্টিভিটি সেবা উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, গ্রামীণ এলাকায় ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড নেটওয়ার্ক কভারেজ বিস্তৃত করা, নেটওয়ার্ক জ্যাম কমিয়ে আনা এবং দেশের সকল টেলিকম অপারেটরের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে কৌশলগত পরিকল্পনার ওপরও জোর দেন তিনি। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশজুড়ে উচ্চমানের ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পরিদর্শনকালে তার সাথে বাংলালিংকের প্রতিনিধিদের একটি ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় গ্রাহক-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উন্নত সংযোগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে কীভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং গ্রাহকদের ডিজিটাল ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করছে তা তুলে উঠে আসে।
বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) শক্তিশালী করা, ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো ও দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও সেবার মান বৃদ্ধিতে চলমান বিনিয়োগ কার্যক্রম উপস্থাপন করে। সরকারের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনের মানোন্নয়নে ডিজিটাল ও আর্থিক সেবা সম্প্রসারণেও বাংলালিংকের গৃহীত উদ্যোগগুলোর ওপরে এ সময়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন। স্পেকট্রামের কার্যকারিতা বাড়নো, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা ও সকল গ্রাহকের জন্য উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমাদের যে মূল্যবান পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। তিনি লো ব্যান্ড স্পেকট্রাম এবং ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের সুষ্ঠু ও সমতাপূর্ণ বণ্টনের ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছেন তা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য উচ্চমান সম্পন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী ‘ডিজিটাল ডিভিডেন্ড ব্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃত এ স্পেকট্রাম গ্রামীণ সংযোগ সম্প্রসারণ, কভারেজ বৃদ্ধি ও নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স উন্নত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর সুফল উন্মোচন করা গেলে অপারেটররা আরও উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবে এবং সত্যিকার অর্থে কানেক্টেড বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি। ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর লালমাটিয়াস্থ ব্যাংক এশিয়া ইনস্টিটিউট ফর ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএআইটিডি)-এ এটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংক এশিয়ার এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব রুমানা আখতার তুলি কর্মসূচিতে রিসোর্স পারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের সচেতনতা ও উপলব্ধি বাড়ানোই ছিল এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ও করপোরেট অফিসের কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পারস্পারিক সম্মানজনক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাংক এশিয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
অফিস সহকারীদের বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ‘ওয়েলনেস উইক’। চোখ পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে আইপিডিসি’র ১৭জন অফিস সহকারীকে বিনামূল্যের চশমা প্রদান করা হয়।
সপ্তাহব্যাপি আয়োজিত ‘ওয়েলনেস উইক’ ক্যাম্পেইনে আইপিডিসি’র কর্মীদের চোখ পরীক্ষা করেন প্রফেশনাল চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। পরীক্ষার রিপোর্ট অনুয়ায়ী প্রয়োজন ভেদে ১৭জনকে চশমা প্রদান করা হয়, যা তাদের কাজের স্বাচ্ছন্দ্য ও দৈনন্দিন জীবনে আরও স্বস্তি এনে দিবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “আইপিডিসি বিশ্বাস করে, কর্মীরাই সাফল্যের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের প্রতিটি সাফল্যের পেছনে রয়েছেন এই পরিশ্রমী মানুষগুলো। তাই তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা আমাদের কর্তব্য এবং তাদের সুস্থতায় ভূমিকা রাখতে পারা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। এমন উদ্যোগ আমাদের সেই বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে তোলে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।”
চোখের যত্ন বিষয়ক এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আইপিডিসি’র ‘ওয়েলনেস উইক’ এর সমাপ্তি ঘটলো, যেখানে কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে মিতশুবিশি গাড়ি ক্রয়ে বিশেষ ছাড় পাবেন প্রাইম ব্যাংকপিএলসি-এর গ্রাহকরা। বাংলাদেশে মিতশুবিশি গাড়ির অফিসিয়াল পরিবেশক র্যাংস লিমিটেড। সম্প্রতি ঢাকায় ব্যাংকের করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকরা বাংলাদেশে মিতশুবিশি গাড়ি ক্রয়ে বিশেষ মূল্য উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা ও প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদানে এ উদ্যোগ প্রাইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন মামুর আহমেদ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন এবং র্যাংস লিমিটেড-এর পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামদুর রহমান (সাইমন)। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জোয়াদার তানভীর ফয়সাল, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট প্রাইম ব্যাংক; মোহাম্মদ ফাহিম হোসেন, হেড অব মার্কেটিং, র্যাংস লিমিটেড এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহক ও কর্মীদের প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকারকে আরও সুসংহত করল, যা গ্রাহকদের সামগ্রীক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।
দেশের ই-কমার্স খাতের পথপ্রদর্শক প্রতিষ্ঠান দারাজ বাংলাদেশ আরও একবার বছরের সর্ববৃহৎ বিক্রয় উৎসব—১১.১১ ক্যাম্পেইন নিয়ে হাজির হয়েছে, যার মূল প্রতিপাদ্য “দ্য রিয়েল বস”। বিকিকিনির এই মহোৎসব শুরু হবে আগামী ১০ নভেম্বর ২০২৫ রাত ৮টা থেকে এবং চলবে ২১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সকল পণ্য ক্যাটাগরিতে উপভোগ করতে পারবেন নজিরবিহীন ছাড়, রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতা এবং লাভজনক শপিং অভিজ্ঞতা।
ক্যাম্পেইনে থাকছে ডিলের রেকর্ড সংগ্রহ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ফ্ল্যাশ সেল ও মেগা ডিলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যহ্রাস, হট ডিলে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং বিশেষ আকর্ষণ ১১ / ১১১ / ১,১১১ / ১১,১১১ টাকার ডিল। দারাজ নিশ্চিত করেছে যে সকল মেগা ডিলের মূল্য প্রচলিত অফলাইন বাজারের মূল্যের চেয়ে বহুলাংশে কম থাকবে। এছাড়া, ক্রেতারা ফ্ল্যাট ডিসকাউন্টসহ ব্র্যান্ড রাশ আওয়ারের সুবিধা নিতে পারবেন। ৩৯৯ টাকা ও ৭৯৯ টাকার উপরে অর্ডারে ডেলিভারি ডিসকাউন্ট ও ফ্রি ডেলিভারি সহ বিস্তৃত পণ্যে থাকছে ফ্রি ডেলিভারি অফার।
ক্রেতাদের অনলাইন কেনাকাটাকে সহজবোধ্য করতে এবারে আয়োজন করা হয়েছে দারাজের জনপ্রিয় ১ টাকা গেম, যেখানে যে কেউ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নির্ধারিত পণ্য অর্ডার করার মাধ্যমে অংশ নিতে পারবেন। এই গেমে রয়েছে ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার, প্রথম পুরস্কার ডেটল-স্পন্সরড রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০ বাইক, দ্বিতীয় পুরস্কার লটো-প্রদত্ত শ্রীলঙ্কা যুগল ভ্রমণের প্যাকেজ, তৃতীয় পুরস্কার রিভোর সৌজন্যে রিভো এ১১ ইলেকট্রিক স্কুটার, এবং আরও ৭টি চমকপ্রদ পুরস্কার। এই আকর্ষণীয় পুরস্কারগুলো জেতার জন্য ক্রেতাদের, গেম লাইভ হওয়ার সময় থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বিনামুল্যে ১ টাকার পণ্যগুলো অবশ্যই অর্ডার করে প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য হতে হবে। এরপর ১০ নভেম্বর রাত ৮টায় মূল বিকিকিনি শুরু হওয়ার পর গ্রাহকরা প্রতিদিনের মজার মিশন এবং সরাসরি কেনাকাটার চ্যালেঞ্জগুলিতে অংশ নিতে পারবেন। পুরস্কার জেতার জন্য বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে ডেলিভারি হওয়া অর্ডারগুলোর সর্বোচ্চ মোট মূল্যের ভিত্তিতে। এছাড়াও, গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী হওয়ার জন্য অংশগ্রহণকারীকে ন্যূনতম ৩০০ টাকার ডেটল পণ্য কেনার শর্ত পূরণ করতে হবে।
এই বছর ১১.১১ ক্যাম্পেইনের ইভেন্টগুলো আরও বিস্তৃত ও সুবিন্যস্ত। কেনাকাটার এই উৎসব শুরু হবে ১০ নভেম্বর রাত ৮টায় মিডনাইট রাশ আওয়ারের মাধ্যমে, যেখানে রাত ৮টা-৯টা এবং রাত ১২টা-১টায় থাকছে ৮ শতাংশ উচ্চমূল্যের ভাউচার। এরপর ক্যাম্পেইন চলাকালীন যেকোনো সময় সারপ্রাইজ ফ্ল্যাশ ভাউচার পাওয়া যাবে। ক্যাম্পেইনে থাকছে ইলেকট্রিকাল টুয়েসডে, বুধবারের বাজার, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস থার্সডে, লাইফস্টাইল কোজি ফ্রাইডে, চয়েস ডে স্যাটারডে, ফ্যাশন ফরোয়ার্ড সানডে এবং ডি-মল মানডে (দারাজমল মানডে) -এর মতো থিমভিত্তিক দিন। পাশাপাশি, আবুল খায়ের, হায়ার, বাটা, লটো, ইউনিলিভার, শান, গ্লোবাল ব্র্যান্ডস, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, এবং মিস্টিন এর মত শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বিশেষ ছাড় নিয়ে ব্র্যান্ড ডে আয়োজন করবে। দারাজ চয়েস চ্যানেলের ব্যবহারকারীরা ৪টি কিনলে ফ্রি ডেলিভারি এবং ৫টি কিনলে ১টি ফ্রি সহ ফ্রি ডেলিভারি-এর মতো বিশেষ অফার পাবেন।
এই ক্যাম্পেইনে ব্র্যান্ড পার্টনারদের একটি বৃহৎ মেলবন্ধন ঘটেছে। হায়ার, লটো, ইউনিলিভার, ডেটল এবং হিমালয়া হলো এক্সক্লুসিভ প্ল্যাটিনাম পার্টনার, এবং আবুল খায়ের, বাটা, মিস্টিন, শান, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, এবং ন্যাচারকেয়ার হলো গোল্ড স্পন্সর। মামাআর্থ, টিপিলিংক, অর্গানিক নিউট্রিশন, ফ্রেশ, এসিআই, নিওকেয়ার সিলভার স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এই সুবিশাল অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করছে যে গ্রাহকরা ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন, এফএমসিজি, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং লাইফস্টাইল সহ সকল প্রধান ক্যাটাগরিতে বছরের সেরা দামে প্রিমিয়াম পণ্য হাতে পাবেন।
এই মেগা ক্যাম্পেইনকে আরও লাভজনক করতে, দারাজ দেশের শীর্ষস্থানীয় পেমেন্ট পার্টনারদের সাথে একযোগে কাজ করছে। বিকাশ, নগদ, মাস্টারকার্ড, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, সিটি ব্যাংক পিএলসি, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি ব্যাংক পিএলসি, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলে গ্রাহকরা ভাউচারের মাধ্যমে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত সাশ্রয় নিশ্চিত করতে পারবেন। এছাড়াও, গ্রাহকরা বরাবরের মতো ৬ মাস পর্যন্ত ০% ইন্টারেস্ট ইএমআই (কিস্তি) সুবিধা নিতে পারবেন।
১১.১১ এর আগেই, দারাজ বাংলাদেশ তাদের দারাজমল প্ল্যাটফর্মের উন্নত সংস্করণ উন্মোচন করেছে—যা ভেরিফাইড ব্র্যান্ড ও অনুমোদিত বিক্রেতাদের থেকে নির্ভরযোগ্য পণ্য পাওয়ার জন্য দেশের একটি বিশ্বস্ত অনলাইন গন্তব্য। নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি অথেন্টিসিটি গ্যারান্টি সহ তিন গুণ ক্যাশব্যাক (শর্ত প্রযোজ্য) অফার করছে নতুন দারাজমলের ব্র্যান্ড ও অনুমোদিত বিক্রেতারা, যা গ্রাহকদের ১১.১১ এবং এর পরেও আরও বেশি আস্থা ও সুবিধা দেবে।
ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বেন ই বলেন, "১১.১১ এখন আর কেবলমাত্র একটি বিক্রয় উৎসব নয়—এটি দেশের অনলাইন কেনাকাটা এবং ক্রেতাদের বিপুল উৎসাহের এক জাতীয় মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর, আমরা আরও বেশি মূল্যছাড়, উন্নততর গ্রাহকসেবা এবং ফলপ্রসূ শপিং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বাজারের মানদণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 'দ্য রিয়াল বস' আমাদের সেইসব সম্মানিত গ্রাহকদের ভূমিকাকেই চিহ্নিত করে, যাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ১১.১১-কে আজ এই বিশাল পরিসর দিয়েছে। এবারের আয়োজনে নজিরবিহীন ডিল, সুচিন্তিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং অবিশ্বাস্য পুরস্কারের সমন্বয়ে আমরা সেই পরিধিকে আরও বহুগুণে বিস্তৃত করেছি।"
অসাধারণ ফ্ল্যাশ সেল থেকে শুরু করে গ্র্যান্ড গিভাওয়ে পর্যন্ত, ১১.১১ “দ্য রিয়েল বস” সারা দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে প্রস্তুত। আজই দারাজ ১১.১১ ক্যাম্পেইন পেজ ভিজিট করুন অথবা দারাজ অ্যাপ ডাউনলোড করুন। লাইভ আপডেট পেতে দারাজ বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকুন আর উপভোগ করুন বছরের সবচেয়ে বড় সেল দারাজ ১১.১১!
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি. এবং হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত।
চুক্তিতে কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন হেড অব কার্ডস জাহির আহমেদ এবং হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডিরেক্টর অব অপারেশনস শাহিদুস সাদেক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি’স কো অর্ডিনেশন টিম মো. মামুন উর রহমান এবং হলিডে ইন ঢাকার মার্কেটিং ইনচার্জ তানজিলা আফরিনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ব্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
চুক্তির ফলে কমিউনিটি ব্যাংকের হিসাবধারী, কার্ডধারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেকহোল্ডাররা হলিডে ইন ঢাকায় পাবেন বিশেষ সুযোগ-সুবিধা; যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
ডাইনিং, আবাসন, স্পা সার্ভিস, জিম, সুইমিং পুল এবং হেলথ ক্লাব মেম্বারশিপে আকর্ষণীয় ছাড়
বুফে রেস্টুরেন্টে “বাই ওয়ান, গেট ওয়ান ফ্রি” অফার
গ্রাহককে নানাবিধ অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ এবং প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদানে কমিউনিটি ব্যাংকের ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতকে শক্তিশালী করতে এবং মানসম্মত সোলার প্যানেলের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এ একটি অত্যাধুনিক সোলার প্যানেল টেস্টিং ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক (গ্রেড-১) জনাব এস এম ফেরদৌস আলম। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, স্রেডা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ডিপিডিসি, ডেসকো, ইটকল, রাজউক এবং বিএসটিআই’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানসম্মত সোলার প্যানেল আমদানি এবং দেশে উৎপাদিত সোলার প্যানেলের গুণগত মান বিশ্বমানে উন্নীত করতে এই ল্যাবরেটরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন শিল্প সচিব। তিনি বলেন, এই অত্যাধুনিক সুবিধা দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করবে। সোলার প্যানেল টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপনের মাধ্যমে বিএসটিআই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে সক্ষম হবে, যা ভোক্তা সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
বিএসটিআই মহাপরিচালক (গ্রেড-১) বলেন, আমাদের দেশে ব্যবহৃত প্রতিটি সোলার প্যানেল হোক পরীক্ষিত, মানসম্মত এবং টেকসই যাতে বাংলাদেশ আলোকিত হয় মানসম্মত সোলার শক্তিতে। আজকের এই উদ্বোধন শুধু এক প্রযু্ক্তিগত অর্জন নয়, এটি আমাদের জাতীয় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন; একটি পরিচ্ছন্ন, টেকসই ও শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশের প্রতিজ্ঞা।
এই ল্যবরেটরির মূল প্রযু্ক্তি এসেছে জার্মানির একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। এর কেন্দ্রে রয়েছে একটি উচ্চ নির্ভুলতা স্ট্যান্ডার্ড সান সিমুলেটর (High Precision Standarad Sun Simulator) যা সোলার মডিউলের কার্যদক্ষতা অত্যন্ত নিখুঁত ও নির্ভুলভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম। এটি সর্বোচ্চ 2700mmx × 1600mm সাইজের সোলার মডিউল পরীক্ষণ করতে সক্ষম একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি, যে সক্ষমতা বাংলাদেশে একমাত্র বিএসটিআইতেই স্থাপিত হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে, যার মাধ্যমে মেটলাইফের পলিসিহোল্ডাররা ব্যাংকের ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল উভয় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সহজে ও নির্বিঘ্নে ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে মেটলাইফ গ্রাহকরা ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, আস্থা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, পেমেন্ট গেটওয়ে, এটিএম/সিডিএম এবং ডিরেক্ট ডেবিট ইনস্ট্রাকশন-এর মাধ্যমে তাদের প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন। উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রিয়েল-টাইম এপিআই সংযোগের মাধ্যমে এই ইন্টিগ্রেশন কার্যকর হয়েছে, যা তাৎক্ষণিক পেমেন্ট আপডেট, লেনদেন দ্রুত সমন্বয় এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
৩০ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলা আহমদ
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “এই অংশীদারিত্ব ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনকে এগিয়ে নেওয়া এবং ইকোসিস্টেম ইন্টারঅপারেবিলিটি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকের অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করেছে। আমাদের বিস্তৃত চ্যানেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেটলাইফ গ্রাহকদের প্রিমিয়াম পরিশোধের সুবিধা প্রদান করে আমরা গ্রাহক সুবিধা বৃদ্ধি করছি এবং আরও ক্যাশলেস ও সংযুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখছি।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলা আহমদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো আরও বেশি মানুষকে বিমার বিশ্বমানের সুবিধার আওতায় আনা। ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে এই নির্বিঘ্ন পেমেন্ট অভিজ্ঞতা গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রতি আস্থা আরও বৃদ্ধি করবে।”
দেশের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেটলাইফ প্রায় ১০ লাখ ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে। সাত দশকেরও বেশি সময়ে গড়ে ওঠা আস্থার ভিত্তিতে মেটলাইফ সারা দেশের ব্যক্তি ও পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সুরক্ষা এবং উদ্ভাবনী সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
শক্তিশালী ডিজিটাল সক্ষমতা এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনের জন্য পরিচিত ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, যা সহজ ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়ার সুবিধা, অধিক কার্যকারিতা এবং নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করে। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আর্থিক সেবা খাতে আরও ইন্টারঅপারেবল এবং ভবিষ্যৎ উপযোগী কাঠামো গড়ে তুলতে আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সহযোগিতা জোরদার করার করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. শরীয়াহ্ নীতিমালা অনুস্মরণ, আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তি এবং উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানের মাধ্যমে সবসময় গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ইউনিয়ন ব্যাংক ধীরে ধীরে গণমানুষের ব্যাংকে পরিণত হচ্ছে। শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক ভবিষ্যতেও গ্রাহকদের আরো উন্নত, কল্যাণমুখী এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ০৪ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলাধীন চকপাঁচপাড়া চৌরাস্তা মোড় এলাকার “রহীমা ও আরিফা খাতুন মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানা”-এর ৫ম তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের জন্য ১০.০০ (দশ লক্ষ) টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। ০৪ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে ব্যাংকের জনসংযোগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রধান কে. এম. হারুনুর রশীদ, রহীমা ও আরিফা খাতুন মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানা এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা মো: শফিকুল ইসলাম এর নিকট উক্ত অনুদানের চেক প্রদান করেন। উক্ত অনুদানের চেক প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে রহীমা ও আরিফা খাতুন মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানা এর ভাইস প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল কাফি এবং ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মো: কামাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বড় হয়ে মনেহয় ত্বক ও চুলের যত্নে আমি সবকিছু জানি । আমার মায়ের সব ঘরোয়া টিপস যেমন সাইনি চুলের জন্য চালের পানি, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা, ব্রণের জন্য লেবুর রস আবার ব্রণের দাগের জন্য টুথপেস্ট সহ কত কিছু। আমার মা যুগের পর যুগ বিশ্বাস করে মেনে চলেছে এসব। ত্বকের যত্নে কেমিক্যালের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ বহুদিন ধরে এই ধারনা চলে আসছে কিন্তু বাস্তবতা একদমই ভিন্ন।
আমি নিজেও আমার মায়ের আর ঈদ ম্যাগাজিনে পাওয়া ত্বকের যত্নে এই চর্চাগুলো অভ্যাস করি। প্রতিদিন ঘরোয়া মিক্সচার দিয়ে তৈরি ক্রিম মুখ আর চুলে ব্যবহার করে ভাবতাম ঠিকই করছি কিন্তু না ধীরে ধীরে আমার ত্বক যখন রুক্ষ হতে শুরু করল, ত্বকে লাল আভা আসলো আর চুলের আগা ফেটে গেল তখন মনেহল কিছু একটা ভুল হচ্ছে।
তখন শুরু করলাম ত্বকের যত্নে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়া, ইনফ্লুয়েন্সারদের স্কিনকেয়ার ব্লগ দেখা আর এক্সপার্টদের পরামর্শ নেওয়া। আমি জানলাম এই রূপচর্চার বেশিরভাগ পদ্ধতি ছিল ভুল বিশ্বাস থেকে। কেমিক্যাল সবসময় খারাপ নয় এমনকি পানিও কেমিক্যাল। অনেক ল্যাবই এমন উপাদান তৈরি করে যা প্রাকৃতিক নির্যাসের থেকেও উপযোগী। সঠিকভাবে প্রিজারভেটিভস ব্যবহারে আমাদের ত্বক ও প্রোডাক্ট ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকে। সবচেয়ে জরুরি হল নিরাপত্তা, সঠিক ডোজ আর ফর্মুলেশন ‘প্রাকৃতিক’ বা ‘কেমিক্যাল’ কিছু নয়।
এখন অনেক তথ্যের সহজ অ্যাক্সেস পেয়ে আমি ফরেন ব্রান্ডগুলোর ক্রিম, শ্যাম্পু আর তেল ব্যবহার শুরু করি। যেগুলোর বেশিরভাগই ছিল ইউএস এবং কোরিয়ার আর আমি ভেবেই নিয়েছিলাম বিদেশী ব্র্যান্ড মানেই ভালো। কিন্তু এগুলোও কাজ করল না কারণ এই প্রোডাক্টগুলো আমাদের ত্বকের টাইপ, আবহাওয়া বা আদ্রতার ভিত্তিতে তৈরি নয়। আমার ত্বকের উজ্জলতা বা চুলের ঘনত্ব কোনটিই হয়নি। অবশেষে বুঝলাম হাই প্রাইস কিংবা বিদেশী অরিজিন হলেই যে তা কার্যকরী হবে বিষয়টা এমনও না।
ঠিক এমন সময়ে দেশীয় ব্রান্ড আমার চোখে পড়ল। তারা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে আমাদের ত্বক, চুল এবং আবহাওয়ার ভিত্তিতে প্রোডাক্ট তৈরি করে। আমার কাছে স্কিন ক্যাফে এমনই একটা নাম । দেশীয় একটি ব্র্যান্ড যা প্রাকৃতিক উপাদান এবং সাইন্টিফিক ফরমুলেশনের অনন্য সমন্বয়ে কাজ করে। তাদের প্রতিটি প্রোডাক্ট ডার্মাটোলজিক্যালি টেস্টেড। তাদের রয়েছে হাইড্রেটিং ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজার উইথ নিয়াসিনামাইড, সানস্ক্রিনস উইথ এসপিএফ ৫০, হেয়ার কেয়ার, বডি কেয়ার আর লিপ বাম যেগুলো মোহিতো ও স্মুদির মজার ফ্লেভারে। এগুলো নিরাপদ, কার্যকরী আর বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশী ত্বকের যত্নে। সবচেয়ে মজার বিষয় সকল প্রোডাক্ট ইউনিসেক্স হওয়ায় ব্যবহার করতে পারে সবাই।
আমার মায়ের রুটিনে ভালবাসা ছিল কিন্তু ভালবাসায় শেষ না এখন আমি নিজে ত্বক ও চুলের যত্ন নেই আরও সচেতনভাবে। আমি লেবেল পড়ি, প্রোডাক্ট টেস্ট করি আর আমার বডির কথা শুনি। আমি প্রোডাক্ট জেনেবুঝে পছন্দ করি মিথ বা ভুল বিশ্বাস শুনে নয়।
বাংলাদেশী সৌন্দর্যের ভবিষ্যৎ এখন আরও উজ্জ্বল শুধু ট্রেন্ড বা ঘরোয়া পদ্ধতি নয় বরং বিজ্ঞান, নিরাপত্তা আর স্বচ্ছতা। নারীরা চায় ক্লিয়ার লেবেলস, অনেস্ট তথ্য আর এমন প্রোডাক্ট যা তাদের ত্বক ও চুলের জন্য উপযোগী। প্রোডাক্ট সিলেক্টে নলেজ ও রিলায়েবল গাইডেন্স অ্যাক্সেসসের মাধ্যমে আমরা আরও সচেতন হব।
দেশের যুবসমাজকে ডিজিটাল আর্থিক সুবিধায় আরও অন্তর্ভুক্ত ও সক্ষম করে তুলতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি. এবং উদীয়মান ফিনটেক স্টার্টআপ স্পিøটপে বাংলাদেশ লিমিটেড একটি কৌশলগত সহযোগিতায় যুক্ত হয়েছে। নতুন এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হচ্ছে তরুণদের জন্য আরও সহজ, নমনীয় ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল পেমেন্ট সমাধান তৈরি করা।
ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবায় অগ্রগতি ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও সুদৃঢ় করার স্বপ্ন থেকেই কমিউনিটি ব্যাংকের এই উদ্যোগ। ব্যাংকটি বিশ্বাস করে- প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক আর্থিক সমাধান বাংলাদেশি যুবসমাজকে আরও এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যৌথভাবে দুই প্রতিষ্ঠান এমন সব স্মার্ট ও গ্রাহকবান্ধব সেবা চালুর পরিকল্পনা করছে যা বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী এবং তরুণ পেশাজীবীদের আর্থিক লেনদেনকে করবে দ্রুত, নিরাপদ ও ঝামেলাহীন।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং স্পিøটপে বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জুবায়ের মাহমুদ পুলক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর ও পারস্পরিক চুক্তিপত্র বিনিময় করেন।
কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কমিউনিটি ব্যাংকের সিআইটিও, হেড অব ডিএফএস ও ডেপুটি হেড অব আরএমডি মোঃ তানজীম মোর্শেদ ভূঁইয়া, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম, হেড অব এডিসি ও হেড অব এমডি’স কো-অর্ডিনেশন টিম মো. মামুন উর রহমান; স্পিøটপে’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কো-ফাউন্ডার ও সিএমও ইনসাফ মাহমুদ এবং কো-ফাউন্ডার ও সিটিও মীর মুত্তাসিম হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ।
এই সহযোগিতা দেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি দায়িত্বশীল, প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নেবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মকে আরও সাশ্রয়ী, আধুনিক ও নিরাপদ আর্থিক সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করবে। চুক্তিনুযায়ী কমিউনিটি ব্যাংক, উদ্ভাবনী ফিনটেক সমাধানে সমর্থন, অংশীদারিত্ব এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সক্ষম করে তোলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।