সোনালী ব্যাংক পিএলসির নিজস্ব সফটওয়্যার সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোকে বিভিন্ন এনজিও কর্তৃক প্রদানকৃত বিভিন্ন ফি ও চার্জ আদায়ে সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
০৮ সেপ্টেম্বর সোমবার এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুক্তি শেষে পরষ্পর চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির এমডি অ্যান্ড সিইও জনাব মো. শওকত আলী খান এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক জনাব মো. দাউদ মিয়া (অতিরিক্ত সচিব)।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মো. রফিকুল ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার জনাব আকলিমা ইসলাম, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জনাব মো. তৌফিক আল মাহমুদ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জনাব মো. আনোয়ার হোসেন, ইউএনডিপি ও অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ম্যাগাজিন “উইমেন’স ট্যাবলয়েড পাবলিকেশনস ইউকে” ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) নুরুন নাহার বেগম-কে ‘বেস্ট ওম্যান সিটিও’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক এই জনপ্রিয় ম্যাগাজিনটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ পুরস্কার প্রদান করেছে।
“উইমেন’স ট্যাবলয়েড অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫” অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের সিটিও-কে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। ম্যাগাজিনটির এমন আয়োজনের লক্ষ্য হলো, ঊর্ধ্বতন ও সিএক্সও পর্যায়ের অসাধারণ নারী নেতৃত্ব, নারী উদ্যোক্তা এবং নারীকেন্দ্রিক উদ্যোগে প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি ও সম্মাননা জানানো।
ব্র্যাক ব্যাংকের হোমগ্রোন ট্যালেন্ট নুরুন নাহার বেগম বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় নারীদের একজন। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথম ও একমাত্র নারী সিটিও হিসেবে তিনি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং বিপ্লবের পথিকৃৎ। আর্থিক প্রযুক্তি খাতে ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নুরুন নাহার বেগম শুধু সিনিয়র লিডার হিসেবেই নয়, বরং দেশের প্রযুক্তি খাতে নারীদের জন্য জাতীয় অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে পুরুষ আধিপত্য লক্ষণীয়। এমন একটি খাতে বাধা-বিপত্তি ভেঙে তিনি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গিয়েছেন এবং তৈরি করেছেন এমন এক স্ট্যান্ডার্ড, যা নতুন ক্ষেত্র তৈরি করার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর কাজ শুধু ব্র্যাক ব্যাংককে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের শীর্ষেই নেয়নি, বরং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীরা কী কী করতে পারে, সেটিও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
নুরুন নাহার বেগমের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “নাহার ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। ব্যাংকের শুরুর যাত্রা থেকেই তিনি শক্তিশালী প্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, সহজ, সুবিধাজনক ও নিরাপদ ব্যাংকিং নিশ্চিত করতে তাঁর অভিজ্ঞতা অসংখ্য ডিজিটাল প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। এই অর্জন ব্র্যাক ব্যাংক পরিবারের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সম্মাননা বাংলাদেশের অন্যান্য কর্পোরেট পেশাজীবীদের তাঁদের ক্যারিয়ারে উৎকর্ষতা সাধনে অনুপ্রাণিত করবে।”
প্রযুক্তি ক্ষেত্র ছাড়াও নুরুন নাহার বেগম নারী ক্ষমতায়নে এক অগ্রণী কণ্ঠস্বর। তিনি ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টার্নাল উইমেন ফোরাম ‘তারা ফোরাম’-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই ফোরামটি ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম নারীবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এআই-নির্ভর গ্লোবাল প্রযুক্তি ব্র্যান্ড টেকনো বার্লিনে অনুষ্ঠিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কনজিউমার টেকনোলজি এক্সপো আইএফএ ২০২৫-এ রীতিমতো ঝড় তুলেছে। একসাথে তিনটি সম্মানজনক গ্লোবাল প্রোডাক্ট টেকনোলজি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড জিতে এই ব্র্যান্ডটি একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে,
টেকনো পোভা স্লিম ৫জি, মেগাবুক এস১৪ এবং এআই গ্লাসেস সিরিজ-এর মতো উদ্ভাবনী পণ্যগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে এই সম্মাননা, যা এআই-নির্ভর ডিজাইন, গ্রাহক-কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কনজিউমার প্রযুক্তিতে টেকনো'র শীর্ষস্থানীয় অবস্থান তুলে ধরেছে।
আইএফএ গ্লোবাল প্রোডাক্ট টেকনোলজি ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডসকে ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সবচেয়ে বিশ্বস্ত স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই অ্যাওয়ার্ড শুধুমাত্র সেই ব্র্যান্ডগুলোকেই দেওয়া হয়, যারা উদ্ভাবন এবং বুদ্ধিমত্তায় নতুন মান তৈরি করে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ডিভাইসগুলোর মধ্যে, টেকনো পোভা স্লিম ৫জি বিশ্বের সবচেয়ে স্লিম ৫জি কার্ভড-স্ক্রিন স্মার্টফোন হিসেবে আলাদা স্থান তৈরি করেছে যার মধ্যে রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ। বাংলাদেশে ৫জি ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে, এবং এই ফোনটি সেই কানেক্টিভিটিকে করে তুলতে পারে আরও ফাস্ট, স্মুথ ও স্মার্ট।
ইন্ড্রাস্টির বিভিন্ন লিকস এবং অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ার হিন্টস অনুযায়ী, গ্লোবাই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত এই প্রডাক্টগুলো শীঘ্রই লঞ্চ হতে পারে বাংলাদেশে যাতে দেশের মানুষ সরাসরি ব্যবহার করতে পারবে এআই-নির্ভর স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস।
টেকনো’র এই ইনোভেশনগুলো প্রমাণ করে যে স্টাইল, স্মার্টনেস ও অ্যাফোর্ডেবিলিটির সঙ্গে কীভাবে উদীয়মান বাজারে প্রযুক্তিকে সবার নাগালে আনা যায়।
বিশ্বমানের এই স্বীকৃতির ফলে টেকনো'র ব্র্যান্ড এসেন্স "স্টপ অ্যাট নাথিং" আরও জোরালো হয়েছে যা বিশ্বজুড়ে ক্রিয়েটিভিটি, কানেক্টিভিটি এবং ইনোভেশনকে অনুপ্রাণিত করে।
“মার্কেটিং ওয়েল বিং” প্রতিপাদ্য নিয়ে আসন্ন ৮ম বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে ২০২৫-এর লোগো উন্মোচন করা হয়েছে। ১৬ ও ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য এই দুইদিনব্যাপী আয়োজনে দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট হাউস এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।
১৬ অক্টোবর সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট হাউসসমূহে দিবসটি উদযাপিত হবে। ১৭ অক্টোবর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে, যেখানে দেশসেরা বিপণন ও বিক্রয় পেশাজীবীরা অংশ নেবেন।
দেশের বৃহত্তম সেলস ও মার্কেটিং পেশাজীবী কমিউনিটির কল্যাণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও এ আয়োজন করছে মার্কেটারস' ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (MIB)।
দেশজুড়ে ৫৭ জেলায় বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে দেশের উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক।
নিজেদের পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) নিয়ে লক্ষ্যপূরণের ধারাবাহিকতায় অর্থবহ এ উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কমিউনিটির অংশগ্রহণ উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে এ কর্মসূচি। তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় জনগণকে যুক্ত করে পরিবেশবান্ধব ইকোসিস্টেম ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ উদ্যোগ।
এ উদ্যোগের অধীনে এখন পর্যন্ত ৪৫ জেলায় বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরায় বড় পরিসরে আয়োজনের পাশাপাশি সারাদেশে ৬২ হাজার ৪০০টির বেশি চারা রোপণ ও বিতরণ করা এ হয়েছে। বাংলালিংকের রিজিওনাল টিম, প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে এ উদ্যোগকে ঘিরে তৈরি হয়েছে সম্মিলিত উদ্দীপনা। বাকি জেলাগুলোতে কর্মসূচি শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এ উদ্যোগের কার্যক্রম শেষ হবে।
এ উদ্যোগ নিয়ে বাংলালিংকের ডেপুটি সিইও জহরত আদিব চৌধুরী বলেন, “পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা বাংলালিংকের ইএসজি কৌশলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বৃক্ষরোপণের উদ্যোগে পাশে থাকা মানে শুধু চারা রোপণই নয়, একইসাথে এ উদ্যোগ কমিউনিটিকে একতাবদ্ধ করতে, সচেতনতা বাড়াতে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে। সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা স্থানীয় জনগণের পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত। উদ্ভাবন আর দায়িত্ববোধের সমন্বয়ই পৃথিবীর সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে। এ ধরনের উদ্যোগে পাশে থাকার মাধ্যমে বাংলালিংক পরিবেশ ও সমাজের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।”
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুকীদ মজুমদার বাবু বলেন, “বৃক্ষরোপণ মানে শুধু চারা রোপণ করাই নয়; এ ধরনের উদ্যোগ সচেতনতা গড়ে তুলতে, তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে এবং সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার সংস্কৃতি তৈরিতে ভূমিকা রাখে। প্রকৃতির সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে আমরা সবুজ, সুস্থ ও টেকসই বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছি। একসাথে আমরা শুধু বৃক্ষরোপণই নয়, পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের জন্য আশার সঞ্চার করছি।”
উত্তরায় বাংলালিংকের প্রায় ১০০ জন কর্মী ষোলহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে মিলে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ করেন। এ উদ্যোগের ফলে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সম্মিলিতভাবে পরিবেশ ও সবুজ ভবিষ্যতের জন্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে নিজেদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম, ষোলহাটি সরকারি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনা জিন্নাতুল ফেরদৌস, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের ঢাকা জেলা-ভিত্তিক উপদেষ্টা ড. মুন্সি শাহজাহান এবং ঢাকা জেলার প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সভাপতি মো. আসলাম হোসেনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলালিংক সম্পর্কে:
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক দেশের মানুষের ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ‘ডিজিটাল ফর অল’ লক্ষ্য নিয়ে গ্রাহকদের জন্য বিস্তৃত পরিসরে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলালিংকের সেবার পোর্টফোলিওতে রয়েছে: টেলকো-অ্যাগনোস্টিক সুপার অ্যাপ মাইবিএল, বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি ও দেশের প্রথম এআই-র্নিভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাকেজ রাইজ। নাসডাকের তালিকাভুক্ত বৈশ্বিক ডিজিটাল অপারেটর ভিওন লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ আগামী নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. শরীয়াহ্ নীতিমালা অনুসরণ, আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তি এবং উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাতে উদাহরণ তৈরি করেছে। এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে ইউনিয়ন ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে নির্ভরযোগ্য ও পছন্দের এবং ভবিষ্যতেও গ্রাহকদের আরো উন্নত এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি নির্ভর সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই প্রথম রাত ৮টায় সেল শুরু | থাকছে ৯ টাকার ডিল | সর্বোচ্চ ৮০% পর্যন্ত ছাড় | শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণের সুযোগ
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই–কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করেছে প্রতীক্ষিত ৯.৯ অ্যানিভার্সারি মেগা সেল। এবারের আয়োজনে যুক্ত হয়েছে এক নতুন মাত্রা। প্রথমবারের মতো আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় এই সেলের উদ্বোধন হবে, যাতে কর্মব্যস্ত দিনের শেষে গ্রাহকরা সরাসরি বিশেষ অফারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। সেল চলবে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পুরো ক্যাম্পেইন জুড়ে থাকছে গ্রাহকদের জন্য নানা সুযোগ–সুবিধা। ফ্ল্যাশ সেল ও মেগা ডিলে সর্বোচ্চ ৮০% পর্যন্ত ছাড়, হট ডিলে সর্বোচ্চ ৭৫% পর্যন্ত ছাড় এবং বড় আকর্ষণ হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণের পারিবারিক ট্যুর প্যাকেজ জেতার সুযোগ।
এই আয়োজনের মূল কেন্দ্রে রয়েছে দুটি বড় প্রতিযোগিতা। এর মধ্যে ‘দারাজ জ্যাকপট: বাই মোর অ্যান্ড উইন’ প্রতিযোগিতা চলবে পুরো ক্যাম্পেইন সময়জুড়ে। সর্বাধিক সংখ্যক সফল অর্ডার সম্পন্নকারী গ্রাহকরা পাবেন চমকপ্রদ পুরস্কার, যার মধ্যে রয়েছে পরিবার নিয়ে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ প্যাকেজ ও নতুন রেফ্রিজারেটর। অপর প্রতিযোগিতা ‘অ্যাড টু কার্ট অ্যান্ড উইন’ চলবে ৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এসময় গ্রাহকরা যাঁরা সবচেয়ে বেশি পণ্য কার্টে যোগ করবেন এবং ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময় অন্তত একটি ক্রয় সম্পন্ন করবেন, তাঁদের জন্য থাকছে এক্সক্লুসিভ পুরস্কার।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার হিসেবে রাখা হয়েছে ৯, ৯৯, ৯৯৯ এবং ৯৯৯৯ টাকার ডিল, যা থাকবে হাজারো পণ্যে এবং পাওয়া যাবে বিভিন্ন সময়ে। পাশাপাশি থাকছে স্টোরজুড়ে ডাবল টাকা ভাউচার, শীর্ষ ব্র্যান্ডে ২০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ফ্ল্যাট ছাড় এবং নির্বাচিত পণ্যে ৫০% ফ্ল্যাট ছাড়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাইটজুড়ে শিপিং ডিসকাউন্ট।
উদ্বোধনী দিনে থাকছে বিশেষ আয়োজন ‘মিডনাইট রাশ আওয়ার’। ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় শুরু হওয়ার পর রাত ৯টা - ১০টা এবং রাত ১২টা - ১টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে ৮-৯ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ভাউচার। এছাড়া পুরো ক্যাম্পেইন চলাকালে গ্রাহকরা যেকোনো সময় ফ্ল্যাশ ভাউচার সংগ্রহ করে বিশেষ মূল্যছাড় উপভোগ পারবেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকছে ফ্ল্যাশ ড্রপস, যেখানে দেওয়া হবে জনপ্রিয় পণ্যে এক্সক্লুসিভ ছাড়।
গ্রাহকদের বাড়তি সাশ্রয় দিতে দারাজ অংশীদার হয়েছে একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, লংকাবাংলা, ইবিএল, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও ইউসিবি–র মাধ্যমে প্রিপেমেন্টে দেওয়া হবে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। এর পাশাপাশি ইবিএল ও এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে থাকবে বিশেষ কিস্তি সুবিধা ও ক্যাশব্যাক। বিকাশ ব্যবহারকারীরা সংগ্রহযোগ্য ভাউচারের মাধ্যমে অতিরিক্ত ১০% ছাড় পাবেন। ৭৯৯ টাকার বেশি অর্ডারে দেওয়া হবে ফ্রি ডেলিভারি সেবা। দারাজ চয়েস চ্যানেলের গ্রাহকরা পাবেন বিশেষ সুবিধা, যেমন — ৪টি কিনলে ফ্রি শিপিং, আর ৫টি কিনলে একটি ফ্রি পণ্যের সঙ্গে ফ্রি শিপিং।
ক্যাম্পেইনে সফল করতে দারাজের সাথে পার্টনারশিপ করেছে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড। এক্সক্লুসিভ প্লাটিনাম পার্টনার হিসেবে রয়েছে লট্টো, ডেটল, প্যারাশুট ও ইউনিলিভার। গোল্ড স্পনসর হিসেবে রয়েছে ওরাইমো। সিলভার স্পনসর হিসেবে রয়েছে লজিটেক, নেসলে, ইনসেপ্টা, হিমালয়া, টিপি–লিংক ও রিবানা। এসব অংশীদারিত্বের ফলে ইলেকট্রনিকস, ফ্যাশন, ভোগ্যপণ্য, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যসেবা, গৃহস্থালি সামগ্রী ও জীবনধারা—সব ধরনের পণ্যে গ্রাহকরা উপভোগ করবেন প্রিমিয়াম অফার।
দারাজ বাংলাদেশের চীফ কমার্শিয়াল অফিসার কামরুল হাসান বলেন, "৯.৯ অ্যানিভার্সারি মেগা সেল কেবল একটি প্রচারণা নয়, এটি মূলত লাখো গ্রাহকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম।" তিনি আরও বলেন, "গ্রাহকদের সুবিধায় এবছর সর্বপ্রথম রাত ৮টায় সেল শুরু হবে। এ ছাড়াও পুরো আয়োজন সাজানো হয়েছে ব্যতিক্রমী অফার, আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং দেশের সেরা ব্র্যান্ডগুলোর বেস্ট ডিলের মাধ্যমে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।"
দারাজ জানিয়েছে, রিয়েল–টাইম আপডেট, প্রতিযোগিতার ঘোষণা এবং ফ্ল্যাশ ড্রপস সম্পর্কিত তথ্য জানতে গ্রাহকদের দারাজ অ্যাপ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত থাকতে হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ (EMRD) এবং বিপিসি এর উদ্যোগে “প্রকল্প বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় এবং বিপিসির আওতাধীন সমাপ্ত প্রকল্প সমুহের অভিজ্ঞতা বিনিময়”, শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ERL), চট্টগ্রাম-এ অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যানের সক্রিয় তত্ত্বাবধান ও সহায়তায়। এটি ছিল ইএমআরডি’র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজন, যেখানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মীদের অভিজ্ঞতা বিনিময়, বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং মোঃ আমিন ঊল আহসান, চেয়ারম্যান (সচিব), বিপিসি কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন। এসময় সব প্রকল্প পরিচালক (PD), সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মীবৃন্দ, বিপিসি’র আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ এবং ইএমআরডি’র পরিকল্পনা উইংসহ অন্যান্য উইংয়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম-ঢাকা পাইপলাইন (CDPL), সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (SPM) ও কাস্টডি ফ্লো মিটার প্রকল্পের তিনজন প্রকল্প পরিচালককে সফলভাবে প্রকল্প সম্পাদনের স্বীকৃতি স্বরূপ ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন সচিব, ইএমআরডি।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রকল্প পরিচালক ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সুপারিশ উপস্থাপন করেন। একই সাথে সচিব, ইএমআরডি এবং বিপিসি চেয়ারম্যান প্রদত্ত কৌশলগত দিকনির্দেশনা ও কার্যকর পরামর্শ ভবিষ্যৎ প্রকল্পসমূহের সফল বাস্তবায়নে গেম চেঞ্জার হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই আয়োজনের মাধ্যমে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ নিজেকে একটি “রিয়েল চেঞ্জ মেকার” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা সফল প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে বলে আশা করা যায়।
ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগ ‘অপরাজেয় আমি’ এর অংশ হিসেবে ও বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিসঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্ক (বিডিডিএন)-এর সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য একটি জব ফেয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এই চাকরি মেলাটি প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য মেধা ও কর্মসংস্থানের সুযোগকে এক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এ মেলায় ৬০০ -এরও বেশি নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী এবং ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিলো ম্যানুফ্যাকচারিং, রিটেইল, ব্যাংকিং, আইসিটি, টেক্সটাইল ও উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বার্জার পেইন্টস, উর্মি গ্রুপ, টিম গ্রুপ, শিন শিন গ্রুপ, সাজিদা ফাউন্ডেশন, এ সি আই লজিস্টিকস (স্বপ্ন), এম. এম. ইস্পাহানি, ব্র্যাক ব্যাংক, বি-স্ক্যানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে নিজ নিজ নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন চাকরিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধীব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন: “সত্যিকারের উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পায়। এই ধরনের জব ফেয়ার আমাদের দেখিয়ে দেয় কিভাবে সরকার, বেসরকারি খাত ও সহযোগী সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে অন্তর্ভুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।”
ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আবদুল মোমেন বলেন: “ব্র্যাক ব্যাংক শুধুমাত্র আর্থিক সেবাই নয়, কর্মসংস্থানের মতো শক্তিশালী সুযোগ সৃষ্টিতেও বিশ্বাস করে। কর্মসংস্থানই মর্যাদা, ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার অন্যতম মাধ্যম। এই মেলার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য প্রতিভা ও কর্মসংস্থানের এক অনন্য সমন্বয় হয়েছে।”
বিডিডিএন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির বলেন: “এই জব ফেয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার একটি বাস্তব অগ্রগতি। প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের জন্য দরজা খুলে দিয়ে আমরা শুধু তাঁদেরকেই নয়, জাতীয় প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকেও উন্মোচন করছি।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিডিএন বোর্ড সদস্য ও বিইএফ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডেসিগনেট ম্যাক্স টুনিয়ন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন, যারা অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার তৈরির এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে সাজায়, যেন সামাজিক সংকীর্ণতা এবং আর্থিক বাধা দূর করে প্রতিটি মানুষ সম্ভাবনার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং একটি অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৮৫টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
পদ্মা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ১৩০ তম সভা ০৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালক জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমানের, সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সভাটি। এই সময় অন্যান্য পরিচালকবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, তামিম মারজান হুদা, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ রুকুনুজ্জামান, ব্যারিস্টার-এট-‘ল এবং এএইচএম আরিফুল ইসলাম এফসিএ। সভা পরিচালনা করেন পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোঃ তালহা (চলতি দায়িত্বে)।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপ ২০২৫। আর দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ সরাসরি দেখাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম – বাংলালিংকের টফি।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুবাই ও আবুধাবিতে এ টুর্নামেন্টে মোট ১৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দেশজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা টানটান উত্তজনাপূর্ণ এ ম্যাচগুলো উপভোগ করতে পারবেন টফির মাধ্যমে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস টফি অ্যাপ, টফি লাইভ ডট কম এবং স্মার্ট টিভিতে (অ্যান্ড্রয়েড টিভি, স্যামসাং টাইজন ও এলজি ওয়েবওএস) সরাসরি প্রতিটি ম্যাচ দেখা যাবে। এতে করে দর্শকেরা স্মার্ট টিভির বড় পর্দায় কিংবা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনেও এশিয়া কাপের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “টফির মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের এশিয়া কাপ ২০২৫ সরাসরি দেখার সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশ ক্রিকেট সবাইকে এক করে দেয়। আমরা চাই, টফির মাধ্যমে ক্রিকেট ভক্তরা কোন বাধা ছাড়াই যেন নিরবচ্ছিনভাবে টুর্নামেন্টের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে পারেন, সেটা বড় স্ক্রিনেই হোক কিংবা ফোনে। অলওয়েজ অন’ প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় বিশ্বের জনপ্রিয় সব খেলার পাশাপাশি টফিতে নাটক, সিনেমা ও আন্তর্জাতিক কনটেন্টও রয়েছে। টফিকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের সবার জন্য নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরের যাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।”
কিবরিয়া বলেন “আমাদের সাশ্রয়ী স্পোর্টস প্যাকের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, ভক্তরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের প্রিয় খেলার প্রতিটি রোমাঞ্চকর মুহূর্ত যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে উপভোগ করতে পারেন।”
সাশ্রয়ী খরচে টফিতে বোনাস প্রিমিয়াম কনটেন্ট হিসেবে ই পি এল টুর্নামেন্ট দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা এক দিনে মাত্র ২৫ টাকা, ৭ দিনে ৫৫ টাকা এবং ৩০ দিনে ১১০ টাকায় এশিয়া কাপ ও ইপিএল, দুটোই দেখতে পারবেন।
‘অলওয়েজ অন’ প্রতিশ্রুতিতে টফি সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিনোদনের সুযোগ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখছে। সরাসরি ক্রিকেট ও ফুটবল (ইপিএল ২০২৫-২৬) ম্যাচ দেখা থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় তুর্কি ঐতিহাসিক টেলিভিশন সিরিজ কুরুলুস: ওসমান এবং দেশের সিনেমা ও নাটক সবই রয়েছে টফিতে। প্ল্যাটফর্মটিতে রয়েছে সবার জন্যই কিছু না কিছু।
দেশের নান্দনিক, রুচিসম্মত ও ফ্যাশনেবল ব্র্যান্ড হিসেবে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে প্রথম সারিতে রয়েছে টুয়েলভ ক্লথিং লিমিটেড। এই সেপ্টেম্বরে ক্রেতাদের জন্য নানা ডিজাইনের পোষাকের পাশাপাশি দূর্দান্ত অফারে সাজানো হয়েছে টুয়েলভের প্রতিটি আউটলেট। অনলাইনেও ক্রেতারা উপভোগ করতে পারবেন দারুণ এসব অফার। এছাড়া, নিজেদের লয়্যাল কার্ডধারী ক্রেতাদের জন্যও বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের আয়োজন করে থাকে টুয়েলভ। বাংলাদেশের আবহাওয়ার কথা সবসময় বিবেচনা করে নিজেদের কালেকশন সম্মৃদ্ধ করেছে টুয়েলভ কতৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সিজন অফ সেল নামে নতুন ক্যাম্পেইন চালু করেছে টুয়েলভ। স্টক সীমিত থাকায় এই অফার চলবে খুবই অল্প দিনের জন্য। যেখানে সকল পণ্যের ওপর থাকছে ৩৩% পর্যন্ত মূল্য ছাড়। টুয়েলভের সকল আউটলেটের পাশাপাশি অনলাইনেও অর্ডারের মাধ্যমে ক্রেতারা এই অফার উপভোগ করতে পারবেন। এ বিষয়ে টুয়েলভের কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, টুয়েলভ ক্রেতাদের নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে একটি বিশাল পরিবার তৈরি করেছে। সেই পরিবারেরে সদস্যদের আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করার জন্যই এ আয়োজন।
বাংলাদেশের পেশাজীবী, তরুণ ও ডিজিটাল নোম্যাডদের জন্য এসেছে অতি হালকা ডিজাইন, দ্রুত চার্জিং ও দ্রুতগতির ১৩তম প্রজন্মের কোর আই৯ ও ৩২ জিবি র্যামের অসাধারণ সমন্বয়
এআই-প্রযুক্তি নির্ভর ব্র্যান্ড টেকনো, বাংলাদেশে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী আল্ট্রাবুক মেগাবুক টি১ ১৫.৬ (১৩তম জেনারেশন ইনটেল) উন্মোচন করেছে। স্মার্ট এই ডিভাইসটিকে পারফরম্যান্স পাওয়ারহাউজ হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে; এতে এমন ফ্ল্যাগশিপ স্পেসিফিকেশন নিয়ে আসা হয়েছে যা সাধারণত উচ্চমূল্যের ল্যাপটপে পাওয়া যায়। ফলে পেশাজীবী, তরুণ ও ডিজিটাল নোম্যাডদের জন্য উন্নত পারফরম্যান্স এখন আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
মেগাবুক টি১ এর অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর নিখুঁত পারফরম্যান্স ইঞ্জিন। এতে ১৩তম জেনারেশন ইনটেল কোর আই৯-১৩৯০০এইচকে প্রসেসর (৫.৪ গিগাহার্জ পর্যন্ত) এবং ইনটেল আইরিস এক্সই গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে, যা ডেস্কটপ-ক্লাস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে এবং মাল্টিটাস্কিং, ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কফ্লো, ও ডিমান্ডিং অ্যাপগুলো খুব সহজেই পরিচালনা করতে পারে। ১টিবি এসএসডি স্টোরেজের সাথে ৩২জিবি এলপিডিডিআর৪ র্যাম যুক্ত হয়ে নিশ্চিত করে দ্রুত গতি ও স্মুথ পারফরমেন্স।
মেগাবুক টি১ ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। এর অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাথে পোর্টেবিলিটির সমন্বয় এর কারণে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুটি বড় পুরস্কার জিতেছে - রেড ডট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এবং বেস্ট অফ আইফা ২০২৩। মাত্র ১৪.৮ মিলিমিটার পাতলা এবং ১.৫৬ কেজি হালকা ওজনের ডিভাইসটিতে ৭০ওয়াট পার আওয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে যা ১৭.৫ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ব্যবহার করা সম্ভব। পাশাপাশি প্রিমিয়াম ন্যানো অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় বডি এবং স্টারট্রেইলস ফ্যান্টম নান্দনিকতার সাথে আকর্ষণীয় ভিজ্যুয়াল ও স্থায়িত্ব প্রদান করে।
এর ১৪ ইঞ্চি এফএইচডি ডিসপ্লেতে (১৯২০×১০৮০, ১৬:৯) ৩০০ নিটস ব্রাইটনেস এবং শতভাগ এসআরজিবি কালার গ্যামাট ব্যবহার করা হয়েছে যা টিইউভি আই কমফোর্ট সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে যা ব্যবহারকারীদের পেশাদার মানের ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত করে। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সুবিধাজনক করতে এতে এলইডি ব্যাকলিট কীবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে ৪ স্তরের ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্টমেন্ট রয়েছে, একটি ২-ইন-১ ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়ার বাটন, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য এআই নয়েজ রিডাকশন অ্যালগরিদম এবং টেকনো ভিওসি সাউন্ড সিস্টেম ডুয়েল মাইক্রোফোন সহ পেশাদার মানের অডিও রয়েছে এই ডিভাইসে।
এতে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি, বিভিন্ন কানেক্টিভিটি অপশন সহ দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ডুয়েল টাইপ-সি পোর্ট (১০ জিবিপিএস, ডেটা, চার্জিং, ডিসপ্লে), এইচডিএমএল ১.৪, ইউএসবি ৩.২ জেন ২ (১০ জিবিপিএস), দুইটি ইউএসবি ৩.২ জেন ১ (৫ জিবিপিএস), ইউএসবি ২.০, আরজে ৪৫ ইথারনেট, টিএফ কার্ড স্লট, ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক, রিসেট সুইচ এবং কেঞ্জিংটন লক ব্যবহার করা হয়েছে। এতে পোর্টেবিলিটির পাশাপাশি, দ্রুত চার্জিং নিশ্চিত করতে ৬৫ ওয়াট জিএএন সুপার-ফাস্ট চার্জার নিয়ে আসা হয়েছে।
টেকনো মেগাবুক টি১ ১৫.৬ (১৩তম জেন ইনটেল) এর মূল্য রাখা হয়েছে ৮৯,৯০০ টাকা মাত্র। পারফরম্যান্স, পোর্টেবিলিটি ও স্টাইলের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে এটি। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ডিজাইনের সাথে প্রিমিয়াম ল্যাপটপটি টেকনোর সকল আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে। আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- www.tecno-mobile.com/bd
বাংলাদেশে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ ফান্ডে অংশগ্রহণ করেছে। যার মূল লক্ষ্য উদ্ভাবনী ও সম্প্রসারণযোগ্য স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করা। এতে করে উদ্যোক্তারা সহজ শর্তে ঋণ ও ইক্যুইটি বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
স্টার্টআপ ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড একটি পুনঃঅর্থায়নভিত্তিক রিভলভিং স্কিম। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের জন্য একটি শক্তিশালী ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হবে, যা উদ্ভাবনী ব্যবসার বিকাশে ভূমিকা রাখবে এবং দেশের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ফান্ড প্রত্যাশী স্টার্টআপগুলোকে অবশ্যই বৈধ ট্রেড লাইসেন্স বা আরজেএসসি নিবন্ধিত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হতে হবে। পাশাপাশি তাদের পণ্য, সেবা, প্রক্রিয়া বা প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন থাকা আবশ্যক। যেসব পণ্য ও ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারণযোগ্য ও প্রচলিত বাজার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে সক্ষম, তাদেরকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এই ফান্ড থেকে উদ্যোক্তারা মাত্র ৪% ইন্টারেস্ট হারে ২ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক-এর গভর্নর ড. আহসান এইচ. মানসুর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে স্টার্টআপগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই ফান্ড উদ্ভাবন, নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ এবং নতুন প্রজন্মের আইডিয়া বাস্তবায়নে সহায়ক হবে, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “এই রূপান্তরমূলক যাত্রার অংশ হতে আইপিডিসি গর্বিত। বাংলাদেশ ব্যাংককে সাথে নিয়ে আমরা উদ্যোক্তাদের শুধু মূলধনই নয়, পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও বিকাশেরও সুযোগ দিতে চাই। তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলোকে বাস্তব রূপ দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অবদান রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার; এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হুসনে আরা শিখা; অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান; আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশিক হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র এই অংশীদারিত্ব দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পেয়ে উদ্ভাবন, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। এই পদক্ষেপ দেশে উদ্যোক্তা-বান্ধব এক নতুন যুগের সূচনা করবে এবং উদ্ভাবনী আইডিয়া, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও অন্তর্ভুক্তির শক্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে বলে সবার প্রত্যাশা।