আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি-এর ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়, যার সরাসরি অংশটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব মোঃ মেহমুদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব মোঃ এবতাদুল ইসলাম; অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব কাজী মোঃ মাহবুব কাশেম, এফসিএ; নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক জনাব মোঃ গোলাম মোস্তফা; ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; কোম্পানি সচিব জনাব মোকাম্মেল হক এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ। এছাড়াও, পরিচালক জনাব মুহাম্মদ মনজুরুল হক সভায় ভার্চুয়ালী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মেহমুদ হোসেন বলেন, দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হিসেবে আইএফআইসি তার নেতৃত্বের অবস্থান পুনরুদ্ধারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কৌশলগত সংস্কারের মাধ্যমে কাজ করছে। তিনি উল্লেখ করেন, শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অনিয়ম বা দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ ব্যাংকের সামগ্রিক পারফরম্যান্স ও প্রধান আর্থিক সূচকসমূহ আগামী বছরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সৈয়দ মনসুর মোস্তফা জানান, ব্যাংক ইতোমধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অংশীজনদের আস্থা পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকের সব উদ্যোগই শেয়ারহোল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আইএফআইসি ব্যাংক অচিরেই একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীলতা পর্যায়ে পৌঁছাবে। সভায় নির্ধারিত এজেন্ডা গুলোর মধ্যে ২০২৪ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন এবং নিরীক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য প্রস্তাবসমূহ গৃহীত হয়। সভাটির এই অংশটি সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি জনাব মোকাম্মেল হক।
Haier এবার এশিয়া কাপ ২০২৫-এর Gold Sponsor – ক্রিকেট এখন গ্রাহকদের আরও কাছাকাছি
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড Haier, টানা ১৬ বছর ধরে রয়েছে প্রথম অবস্থানে। এবার তারা গর্বের সঙ্গে যুক্ত হলো এশিয়া কাপ ২০২৫-এর গোল্ড স্পনসর হিসেবে। ক্রিকেট দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, তাই এই অংশীদারিত্ব হায়ারের দীর্ঘমেয়াদী Sport-o-Tainment মার্কেটিং কৌশলের প্রতিফলন, যা তরুণ ও ক্রিকেটপ্রেমী গ্রাহকদের সঙ্গে তৈরি করবে গভীর সম্পর্ক।
এই Sponsorship-এর অংশ হিসেবে Haier নিশ্চিত করেছে স্টেডিয়াম জুড়ে অন-গ্রাউন্ড ভিজিবিলিটি– যেমন বাউন্ডারি লাইন ব্র্যান্ডিং, wicket mat, toss mat এবং বিগ স্ক্রিন অ্যাক্টিভেশন। এই সব টাপয়েন্ট Haier-কে প্রতিটি রোমাঞ্চকর মুহূর্তে গ্রাহকদের চোখের সামনে নিয়ে আসবে।
বিশ্বব্যাপী Haier-এর একটি সমৃদ্ধ স্পোর্টস মার্কেটিং পোর্টফোলিও রয়েছে, যেখানে অন্তর্ভুক্ত আছে বিশ্বের সেরা কিছু টুর্নামেন্ট – Indian Premier League (IPL), ICC Men’s T20 World Cup 2024, Champions Trophy এবং টেনিসের মর্যাদাপূর্ণ আসর যেমন Roland-Garros, ATP, US Open, French Open এবং Wimbledon।
Asia Cup-এর মতো আইকনিক টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়ে Haier নিজেকে অ্যাপ্লায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিতে আলাদা করে তুলেছে – মানুষের হৃদয় জয় করে, ব্র্যান্ড লয়ালটি শক্ত করছে এবং engagement-এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করছে। একইসঙ্গে Haier Bangladesh এই Sponsorship উপলক্ষে চালু করবে নানা রকম সোশ্যাল মিডিয়া engagement activities, যেখানে গ্রাহকরা মজার উপায়ে Asia Cup উদযাপনের সুযোগ পাবেন।
শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যস্ততা তৈরি ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনায় আগ্রহী করতে বিকাশ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে বইপড়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবার লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে। এই কর্মসূচির আওতায় এ বছর দেশজুড়ে ৩৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার বই বিতরণ করা হবে।
এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর জেলার কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পৌর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, জিয়াউল হক হাই স্কুল এন্ড কলেজ ও রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফেনী জেলার ফেনী পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যানিকেতন, ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুল, ফেনী গিরিশ-অক্ষয় একাডেমী, হলি ক্রিসেন্ট স্কুল, এবং ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বই দেয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর টাউনহল ও ফেনীর জেলা শিল্পকলা একডেমিতে পৃথক দু’টি অনুষ্ঠানে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি নেয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার এবং ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম স্ব স্ব জেলায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকাশ এর ইভিপি ও রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এর প্রধান হুমায়ুন কবির এবং অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্টি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান।
বইপড়া কার্যক্রম কে আরও জনপ্রিয় করতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সমসাময়িক বিষয়ের উপর কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে, ৮০জন কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ পায়, সে উদ্দেশ্যেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরও প্রসারিত ও কার্যকরী করতে ২০১৪ সাল থেকে বই পড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত আছে বিকাশ। এই কর্মসূচির আওতায় দেশজুড়ে এপর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ বই বিতরণ করেছে যার মাধ্যমে প্রায় ৩০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৩ লাখের বেশি পাঠক উপকৃত হয়েছে।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি তাদের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের গতিশীল নেতৃত্বে প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার এক নতুন যাত্রা শুরু করেছে। ব্যাংকিং, ফাইন্যান্স ও গভর্নেন্সে সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সমন্বয়ে এই বোর্ড দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে।
নতুন বোর্ডে দেশের অন্যতম সেরা ও দক্ষ ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস-চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার ডাঃ আরিফুর রহমান, বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মো. ফোরকান হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, অডিট কমিটি (সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক)। সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, এক্সিকিউটিভ কমিটি (সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক)। মো. সাজ্জাদ হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি (সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ব্যাংক এশিয়া)। প্রফেসর শেখ মোর্শেদ জাহান, স্বতন্ত্র পরিচালক (প্রফেসর, আইবিএ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। এম নুরুল আলম, FCS, CCEP-1, CGIA, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার অনবদ্য এই সমন্বয় প্রিমিয়ার ব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
বিগত ১৯ আগস্ট, ২০২৫ এই নতুন বোর্ড গঠিত হওয়ার পর থেকে প্রথম ৩ সপ্তাহে বোর্ডের অগ্রাধিকার ছিল—কর্পোরেট গভর্নেন্স ও কমপ্লায়েন্সকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকিং পলিসি প্রণয়নের মাধ্যমে আমানতকারীর আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম অটুট রাখা। পাশাপাশি মন্দ ঋণ (NPL) আদায় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মূল ফোকাসের ক্ষেত্রসমূহ হলো: অডিট ইস্যু – দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অডিট জটিলতা স্বচ্ছতার সাথে সমাধান। ডিভিশনাল স্ট্র্যাটেজি – প্রতিটি বিভাগের লক্ষ্য কর্পোরেট উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য করা। সার্ভিস কোয়ালিটি – কোনো গ্রাহক বিলম্ব ছাড়াই প্রয়োজনীয় সেবা পেতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রদান। অ্যাকাউন্ট সেগ্রিগেশন – ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করা। কর্পোরেট সংস্কৃতির পরিবর্তন – সব স্তরে দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি। কর্পোরেট গভর্নেন্স – আমানতকারীর সুরক্ষা ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য টেকসই কাঠামো গঠন।
এছাড়াও রেমিট্যান্স, রিটেইল, কর্পোরেট, এসএমই, কার্ডস, ডিজিটাল এবং ইসলামিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত সময় দিয়ে বোর্ড ও এক্সিকিউটিভ কমিটি, অডিট কমিটির বৈঠকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন সম্মানিত বোর্ড সদস্যরা। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে তাদের এই অসাধারণ কর্মস্পৃহা গ্রাহকবান্ধব সংস্কৃতির প্রতিফলন।
বোর্ডের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার— আমানতকারীর অর্থ নিরাপত্তা। খারাপ ঋণ ও অডিট ইস্যুতে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। গ্রাহকের অর্থ সুরক্ষায় নেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ। ব্যাংকের যেকোনো গ্রাহকের প্রয়োজনীয় ও প্রত্যাশিত পরিষেবাগুলো যাতে সবার আগে ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিতে “SERVICE FIRST” বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
যখন অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডলার ঘাটতি ও তারল্য সংকটে ভুগছে, তখন প্রিমিয়ার ব্যাংক দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে: প্রতিদিন প্রিমিয়ার ব্যাংকের সকল শাখার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে এলসি (LC) খোলা হচ্ছে, যা ব্যাংকের স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতার প্রমাণ। গ্রাহকরা পাচ্ছেন সর্বোচ্চ মানের সেবা, যেখানে দক্ষতা, যত্ন ও আস্থার উপর নতুন গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২৫ বছরের অগ্রযাত্রায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক ব্যবসা ও ব্যক্তিগত গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দিয়ে গড়ে তুলেছে উৎকর্ষতার ঐতিহ্য। আজ নতুন বোর্ড ও ভবিষ্যতমুখী কৌশলের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা রক্ষা ও সেবার মানোন্নয়নে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে প্রিমিয়ার ব্যাংক আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশের উদীয়মান নতুন উদ্ভাবনী ব্যবসায় উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার স্টার্ট-আপ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ তহবিল বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজীম এ. চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায়, প্রাইম ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার মাধ্যমে স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা এবং পরামর্শমূলক সেবা প্রদান করবে।
প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজীম এ. চৌধুরী বলেন, “নতুন নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশের সিএমএসএমই খাতকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এই সহযোগিতা আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আর্থিক ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তার মাধ্যমে আমরা নতুন উদ্যোগগুলোকে একটি সফল ব্যবসায় রূপান্তর করতে চাই, যা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, সিএমএসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।”
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন এবং টেকসই ও উদ্ভাবন-নির্ভর অর্থনীতি গড়তে এই উদ্যোগ প্রাইম ব্যাংকের জন্য এক অনন্য মাইলফলক।
আলিবাবা.কম, বিশ্বের বৃহত্তম বি-টু-বি ই-কমার্সের শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম আগামী ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর, ২৪তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল এক্সপো ২০২৫ ঢাকায় হল-বি: স্টল নং: বিটি১৭ই ও বিটি১৭এফ এ উপস্থিত থাকবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তা করার লক্ষ্যে আলিবাবা.কম বাংলাদেশের এসএমই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ করে টেক্সটাইল, পাট ও হস্তশিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বিক্রির সুযোগ দেখতে তাদের স্টলে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আলিবাবা.কম বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং পণ্য সংগ্রহ, সরবরাহকারী যাচাই, অনলাইন অর্ডার, পেমেন্ট, ডেলিভারি এবং বিক্রয়োত্তর সহায়তার জন্য এআই নির্ভর সমাধান প্রদান করে। এই এক্সপোতে আলিবাবা.কম স্থানীয় এসএমই ব্যবসায়ীদের রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন হলিডে’র আগে যা আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
"বিশ্ব টেক্সটাইল ও হস্তশিল্প বাজারে বাংলাদেশি এসএমইগুলোর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে," বলেছেন ফনসেল ল্যান, আলিবাবা.কম-এর হেড অফ গ্লোবাল পটেনশিয়াল কান্ট্রিজ। “এই এক্সপোর মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য স্থানীয় বিক্রেতাদেরকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা, যাতে তারা ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারে এবং সফলভাবে রপ্তানি করতে পারে।
টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল এক্সপো ২০২৫ বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী প্ল্যাটফর্ম যেখানে সুতা, কাপড়, ট্রিম এবং আনুষাঙ্গিক পণ্যের উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এটি টেক্সটাইল খাতে নেটওয়ার্কিং, পণ্য সংগ্রহ এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
এই এক্সপোতে আলিবাবা.কম- এর স্টলে, এআই নির্ভর পণ্য অপ্টিমাইজেশন এবং বিপণন কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দেবে, যা বাংলাদেশী এসএমই ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাসের সাথে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. আমদানি, রপ্তানী ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিকল্পে গ্রাহকদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় এ সেবা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছে।
জনপ্রিয় বেকারি ও ফাস্ট ফুড ব্র্যান্ড ‘আজোয়া বেক অ্যান্ড পেস্ট্রি’র ঢাকা ও গাজীপুরের ৫০টিরও বেশি আউটলেট থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডার গ্রাহকেরা খাবার অর্ডার করতে পারবেন। এজন্য সম্প্রতি ফুডপ্যান্ডার সাথে একটি চুক্তি সই করেছে আজোয়া।
এ চুক্তির ফলে ফুডপ্যান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে ‘হোম ডেলিভারি’ ও ‘পিকআপ’ অপশন ব্যবহার করে আজোয়া থেকে খাবার অর্ডার করা যাবে। এখন ৫০টির বেশি আউটলেট থেকে খাবার অর্ডারের সুযোগ থাকলেও এ বছরের মধ্যে আজোয়া’র আরও আউটলেট ফুডপ্যান্ডায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্প্রতি, ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি প্রসঙ্গে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের হেড অব সেলস মো. সিরাজুল হক বলেন, “আজোয়া বেক অ্যান্ড পেস্ট্রি জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। ফুডপ্যান্ডার সাথে এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আজোয়ার খাবার এখন আরও সহজে ক্রেতারা কিনতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস, এ অংশীদারিত্ব সফলভাবে এগিয়ে যাবে।”
এ বিষয়ে আজোয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম. হুমায়ুন কবীর বলেন, “আজোয়ার খাবার স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ। আমরা আমাদের সব পণ্যের সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফুডপ্যান্ডার সাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আরও বড় পরিসরের গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে আমাদের পণ্যকে তাদের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে পারবো।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ফুডপ্যান্ডার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সেলস মো. সিরাজুল হক, ফিল্ড সেলস লিড শেখ তানিম শাকের ও ফিল্ড সেলস স্পেশালিস্ট মো. জাকির হোসেন। আজোয়া বেক অ্যান্ড পেস্ট্রির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম. হুমায়ুন কবীর, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনির আহমেদ, পরিচালক আবু সৈয়দ মজুমদার ও আইটি ডিরেক্টর মাকসুদ আলী মিরাজ।
নতুন মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজ এনেছে মিতসুবিশি মোটরস, যা দেশের অটোমোবাইল এবং ৭ সিটের ফ্যামিলি কারের বাজারে এক মাত্রা যোগ করেছে। সম্পূর্ণ কালো রঙের এই বিশেষ এডিশনের প্রথম ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে বাজারে এসেছে এক্সপ্যান্ডার ম্যাট ব্ল্যাক। এর অনন্য ম্যাট ব্ল্যাক ফিনিশ, অত্যাধুনিক ফিচার এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজ ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের মধ্যে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক নজর কাড়ছে।
নতুন এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজে রয়েছে শক্তিশালী ১.৫ লিটার ডিওএইচসি মাইভেক ইঞ্জিন। এছাড়াও এতে ব্যবহার করা হয়েছে আকর্ষণীয় স্পোর্টি বডি-কিট। নিরাপত্তার দিক দিয়েও এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এর ডুয়েল এসআরএস এয়ারব্যাগস, ইবিডি’র সাথে এবিএস, হিল স্টার্ট অ্যাসিস্ট, অ্যাক্টিভ স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, রেয়ার পার্কিং সেন্সরস, রেয়ারভিউ ক্যামেরা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যবহারকারীর জন্য আরামের পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
গাড়ির ইন্টেরিয়রে যুক্ত হয়েছে ১০.৩ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, স্টেরিং মাউন্টেড কন্ট্রোলস, মাল্টিপল ইউএসবি পোর্টস এবং প্রিমিয়াম ব্ল্যাক ইন্টেরিয়র ট্রিম। এক্সটেরিয়রে নতুনত্ব এনেছে এর এলইডি হেডল্যাম্প, ডে-টাইম রানিং লাইট (ডিআরএল), স্টাইলিশ অ্যালয় হুইলস এবং ম্যাট ব্ল্যাক-এর এক্সক্লুসিভ বডি স্টাইলিং।
অটোমোটিভ ডিভিশন ১-এর ডিভিশনাল হেড অব মার্কেটিং মোহাম্মদ ফাহিম হোসেন বলেন, “আমাদের কাছে প্রতিটি গ্রাহকই গুরুত্বপূর্ণ। মিতসুবিশির মূল লক্ষ্য হলো গ্রাহকের প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী সঠিক সমাধান দেওয়া। এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজ চালু করার মাধ্যমে আমরা মডার্ন ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করছি। বিশেষ করে এমন ক্রেতাদের জন্য এই ভ্যারিয়েন্টটি তৈরি করা হয়েছে, যারা প্র্যাক্টিক্যালিটির সাথে সাথে স্টাইলিশ একটি গাড়ি চালাতে চান। আমরা বিশ্বাস করি এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজ বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে কাছে জনপ্রিয় হবে।”
মিতসুবিশি’র ঢাকা শোরুমে এসে আগ্রহী ক্রেতারা গাড়ির টেস্ট ড্রাইভ দিতে পারবেন, যা গ্রাহকদের জন্য গাড়ির আরাম, স্টাইল এবং পারফরম্যান্স সরাসরি এক্সপেরিয়েন্স করার সুযোগ দিচ্ছে। গ্রাহকদের আরও সুবিধা দিতে এক্সপ্যান্ডার ব্ল্যাক সিরিজে রয়েছে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি এবং প্রথম ২ বছরের মধ্যে ৬ বার পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিসিং।
দেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ খাতকে অর্থায়ন সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় স্টার্ট-আপ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সৃষ্ট ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে ব্র্যাক ব্যাংক, যা ব্যাংকটির এই খাতে অর্থায়ন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁদেরকে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে উৎসাহিত করা।
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এই সম্ভাবনাময় খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই খাতটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে টেকসই সম্পর্কও গড়ে তুলছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধাটি উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন পেতে সহায়তা করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোগগুলোর বিকাশে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯১টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
দেশে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার খাতে স্মার্ট ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারির ব্যবহার বাড়াতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও সোলশেয়ার লিমিটেড কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত এবং সোলশেয়ার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. সেবাস্টিয়ান গ্রোহ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান; সোলশেয়ার-এর ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আনিসা আলী, সিএফএ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অংশীদারিত্বের ফলে দেশের শত শত বৈদ্যুতিক পরিবহনের গ্যারেজ সহজেই স্মার্ট ব্যাটারি প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষম হবে। এখন পর্যন্ত উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনেক উদ্যোক্তা ব্যাটারি ব্যবহারে আগ্রহী হলেও অর্থায়নের সীমাবদ্ধতায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রিন এসএমই ঋণ সুবিধা ও সোলশেয়ার -এর উদ্ভাবনী পে-অ্যাজ-ইউ-গো (পিএওয়াইজি) প্রযুক্তি একত্রে উদ্যোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী, নমনীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্যারেজ মালিকরা টেকসই অর্থায়ন সুবিধা পাবেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারি ব্যবহার, দেশের বৈদ্যুতিক পরিবহন খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
এই উদ্যোগকে দেশের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার জন্য এক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
যমুনা ব্যাংক পিএলসি. এবং অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর যমুনা ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। যমুনা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও নূর মোহাম্মদ এবং অ্যাপোলো জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের উপদেষ্টা মসিউর রহমান কামাল উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. আব্দুস সালামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে যমুনা ব্যাংক তাদের সম্মানিত গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও সুফলদায়ক করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাপোলো ক্লিনিকের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধাসহ উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় করপোরেট গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাথে সম্প্রতি এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি। এই অংশীদারিত্বের ফলে, ব্যাংক এশিয়ার সকল কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত ইন্স্যুরেন্স সুবিধা পাবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি ঢাকায় গার্ডিয়ান এর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে গার্ডিয়ান এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (এক্টিং) শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ; চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মো. সজীব হোসেন, এফসিএ; এসভিপি ও হেড অব এইচআর ফারজানা কাদের; এসভিপি ও হেড অব ক্লেইমস জুবায়ের আহমেদ; এসভিপি ও হেড অব গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স গাজী রাফি আহমেদ শামস; এসভিপি ও ডেপুটি হেড অব গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স ইফতেখার আহমেদ; এসএভিপি ও হেড অব সার্ভিস (গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স) জিনাত ফেরদৌসী এবং বিজনেস রিলেশনশিপ ম্যানেজার (গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স) মো. মনজুরুল ইসলাম।
অন্যদিকে, ব্যাংক এশিয়া-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ অপারেটিং অফিসার মির্জা আজহার আহমেদ; ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (হিউম্যান রিসোর্সেস) রাজিব কুমার দে; সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (হিউম্যান রিসোর্সেস); অফিসার (হিউম্যান রিসোর্সেস) সৈয়দা আফিয়া খানম; অফিসার (হিউম্যান রিসোর্সেস) সৈয়দা মালিহা হোসেন; এবং জুনিয়র অফিসার (হিউম্যান রিসোর্সেস) সাহমিদ সাজ্জাদ আক্তার।
গার্ডিয়ান এর অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (এক্টিং) শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ, বলেন, “জীবনের কঠিন সময়ে ইন্স্যুরেন্স সুবিধা কর্মী ও তার পরিবাররের সদস্যদের সুরক্ষা ও স্বস্তি দেয়। ব্যাংক এশিয়ার কর্মীদের সুস্থতা ও কল্যাণে আমরা এই অংশীদারিত্বে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত।” তিনি আরও বলেন, “সবার জন্য ইন্স্যুরেন্সকে আরও সহজলভ্য করার অঙ্গীকারে আমরা অটল রয়েছি। ব্যাংক এশিয়ার কর্মীরা যেন সময়মত ও নির্ভরযোগ্য ইন্স্যুরেন্স সুবিধা পান, এই অংশীদারিত্ব তা-ই নিশ্চিত করবে।”
জার্মান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন সংস্থা টিইউভি রাইনল্যান্ড থেকে ‘রিয়েল কোয়ান্টাম ডট ডিসপ্লে’ সার্টিফিকেট অর্জন করেছে স্যামসাং কিউএলইডি টিভি। কোয়ান্টাম ডট সেমিকন্ডাক্টরের অতি ক্ষুদ্র অংশ যা অধিকতর পিওর ও ভাইব্রেন্ট রঙ উৎপন্ন করতে পারে। সেই সাথে এর শতভাগ কালার ভলিউম স্ক্রিনে নীল রঙের আধিক্য কমিয়ে টেলিভিশন দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক করে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাং কিউএলইডি টিভি স্ক্রিনের সব দিকে সমান উজ্জ্বলতা নিশ্চিত করে। ফলে, যেকোনো দিক থেকে স্ক্রিনে রঙের কোনো তারতম্য ছাড়াই টিভি দেখা যায়। উল্লেখ্য, এই প্রযুক্তি প্যান্টন এবং ভিডিই কর্তৃক অনুমোদিত। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বাজারে আসা নতুন কিউ৮এফ এবং ইউ৭এফ কিউএলইডি ৪কে মডেলগুলোও এই সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
ইন্টারন্যাশাল ইলেক্ট্রটেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি) -এর নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে টিইউভি রাইনল্যান্ড। যার মাধ্যমে টিইউভি রাইনল্যান্ড কিউএলইডি টিভির লাইট স্পেকট্রাম (আলোক বর্ণালী) বিশ্লেষণ করে। ফলাফলে দেখা গেছে, লাল, সবুজ ও নীল আলোর মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা রঙের নিখুঁততা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। এটি টেলিভিশনের দৃশ্যকে দর্শকের কাছে নিখুঁত ও প্রাণবন্ত করে তুলে।
স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ডিভিশন এর ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর এই অর্জন সম্পর্কে বলেন, “স্যামসাং-এ আমরা সবসময় আমাদের গ্রাহকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই সার্টিফিকেশন প্রমাণ করে যে, কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি কিউএলইডি টিভিগুলো ছবির সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে। স্যামসাং-ই একমাত্র টিভি ব্র্যান্ড যেটি এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রাহকের চাহিদার বিবেচনা করে, স্যামসাং এবার কিউএলইডির ৪৩” থেকে ৮৫” পর্যন্ত পুরো লাইনআপ বাজারে এনেছে। আমাদের ২০২৫ সালে বাজারে আসা এই টিভিগুলো বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা ভীষণ গর্বিত।”
আরেকটি বৈশ্বিক যাচাইকরণ সংস্থা জেনারেল সোসাইটি অফ সার্ভিল্যান্স (এসজিএস) থেকেও স্যামসাং-এর কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। এই পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, স্যামসাং-এর টিভিগুলো ক্যাডমিয়াম-মুক্ত ও পরিবেশবান্ধব। ক্ষতিকর ভারী ধাতু অপসারণের মাধ্যমে স্যামসাং দেখিয়েছে যে, উদ্ভাবন ও স্থায়িত্ব একসাথেই চলতে পারে।
স্যামসাং-এর এই অর্জনগুলো প্রমাণ করে যে, তারা ডিসপ্লে প্রযুক্তির জগতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য উন্নতমানের হোম এন্টারটেইনমেন্টের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।