রোববার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ব্র্যাক হেলথকেয়ারে বিশেষ ছাড় উপভোগ করবেন বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা

করপোরেট ডেস্ক
প্রকাশিত
করপোরেট ডেস্ক
প্রকাশিত : ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৫৫

নিজেদের অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের বিশেষ স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে সম্প্রতি ব্র্যাক হেলথকেয়ারের সাথে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক।

এ অংশীদারত্বের ফলে, বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা এখন থেকে ব্র্যাক হেলথকেয়ারের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্যাকেজে ৩০ শতাংশ ছাড়, কিডনি ফাংশন টেস্টে ২৫ শতাংশ ছাড়, রেডিওলজি ও ইমেজিং পরীক্ষায় ১০ শতাংশ ছাড় এবং ফার্মেসি থেকে নির্ধারিত ওষুধ ক্রয়ে ৫ শতাংশ ছাড়।

সম্প্রতি, বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার্স ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলালিংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির লয়্যালটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার জাইন জামান ও লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার। ব্র্যাক হেলথকেয়ারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পার্টনারশিপ মো. রোকনুজ্জামান এবং মার্কেট আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের ডেপুটি ম্যানেজার একেএম মঈনউদ্দিন।
এ নিয়ে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “বাংলালিংকে আমরা সবসময় আমাদের গ্রাহকদের জীবন আরও উন্নত ও সহজ করতে কাজ করি। ব্র্যাক হেলথকেয়ারের সাথে এ অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা চাই আমাদের অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যরা যেন আরও সহজে ও কম খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা লাভ করেন।”

ব্র্যাক হেলথকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পার্টনারশিপ মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “বাংলালিংকের সাথে এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা চাই আরও বেশি মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পাক। আমরা সবাইকে নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাকে অভ্যাসে পরিণত করতে উৎসাহিত করতে চাই।”


বিজেএমসিতে চাকুরীজীবীদের বেতন ভাতা ও অবসরপ্রাপ্তদের আনুতোষিক পরিশোধের দাবিতে ‘গেইট মিটিং’ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতাদি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থান “করিম চেম্বার”ভবন অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রদান না করে বিজেএমসি’র ‘অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মানের অনুমতি প্রদানের লক্ষ্যে বাপাশিকস ও সিবিএ এর পক্ষ হতে ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর আবেদন প্রেরণ করা হয়।

কিন্তু রোববার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় নিম্নোক্ত দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে বিজেএমসি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যেগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের (আদমজী কোর্ট, এনেক্স-১ ভবন) মেইন গেইটে এক ‘গেইট মিটিং’ এর আয়োজন করে।

একইসাথে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি জুটমিলসমূহের অফিস গেইটে এই ‘গেইট মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়। বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের গেইট মিটিং-এ বিজেএমসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করে।

বিজেএমসি’র মুখ্য পরিচালন কর্মকর্তা মো. নাসিমুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাঃ ও সা:সেবা) মো. মামুনুর রশিদ, মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) মো. আব্দু মালেক, মহাব্যবস্থাপক (আইন) এ এস এম মামুনুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) ও সভাপতি অফিসার্স এসোসিয়েশন জিয়াউল হক ভূঞা, মহাব্যবস্থাপক (মহাসচিব অফিসার্স এসোসিয়েশন মো. রুহুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক (পুর) ও সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ ইঞ্জি. ইসরাফিল খান, সভাপতি (সিবিএ) মো. আমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্য রাখেন।

কর্মকর্তাগণ তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, “গত সরকার ১লা জুলাই ২০২০ সালে বিজেএমসি’র উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশ্যাকের মাধ্যমে চাকুরী অবসায়ন করে এবং উদ্বৃত্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আত্তীকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যত্র আত্তীকরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার ঘোষণা দেয়।

কিন্তু অদ্যাবধি ৫ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও আত্তীকরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কারনে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি যা এখনো চলমান রয়েছে। মিল বন্ধ পরবর্তী প্রায় ৪ বছর বিজেএমসি’র মজুদ পণ্য বিক্রয়লব্ধ টাকা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে।

গত জুলাই ২০২৪ হতে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। গত ০৮/০৯ মাস যাবত অর্থ মন্ত্রণালয় হতে কোন রকমের অর্থ বরাদ্দ না করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছে না।

ফলে অনেকেই আর্থিক সংকটের কারনে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এ অবস্থায় নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানান।

এছাড়া বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের পর হতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ সরকার কোন অর্থ বরাদ্দ না করায় শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকুরি হতে অবসর গিয়ে আর্থিক সংকটের কারনে বিনা চিকিৎসায় অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। অনেকেই সন্তানদের লেখাপড়া এমনকি ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছে না। কাজেই মানবিক কারনে অবসরপ্রাপ্তদের ন্যায্য আনুতোষিক পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান অর্থ বরাদ্দের আহবান জানানো হয়।

সভায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিজেএমসি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন এবং সর্ববৃহৎ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে ঢাকা শহরে বিজেএমসি’র নিজস্ব কোন ‘অফিস ভবন’ নেই। বর্তমানে বিজেএমসি’র ব্যবহৃত আদমজী কোর্ট ভবনটি একসময় বিজেএমসি’র মালিকানাধীন থাকলেও কত কয়েক বছর পূর্বে এ ভবনটি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যায়।

ফলে বিজেএমসি এখন ভাড়াটিয়া হিসেবে এ ভবনে অবস্থান করছে। ঢাকা শহরে বিজেএমসি’র একমাত্র জায়গা ৯৯, মতিঝিল, করিম চেম্বার ভবনটি ভেঙে নতুন একটি ‘অফিস ভবন কাম বাণিজ্যিক ভবন’ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ও লালিত স্বপ্ন ছিল।

বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক করিম চেম্বার ভবনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে, যা বিজেএমসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কোনদিন বাস্তবায়ন হতে দিবে না। বিজেএমসি’র সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের একমাত্র প্রাণের দাবি তাদের নিজস্ব জায়গা করিম চেম্বারে বিজেএমসি’র নিজস্ব অফিস কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মান করার সদয় অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লিখিত দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আরো কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা জানান।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ‘গেইট মিটিং’ শেষে বিজেএমসি প্রধান কার্যালয় ও মিলগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষ হতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণের জন্য বিজেএমসি’র চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তর করা হয়।


ওয়াকাথন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলালিংকের ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী অপারেটর বাংলালিংক ৬ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় একযোগে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে ওয়াকাথন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের বার্ষিক ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ উদ্বোধন করেছে।

এ উদ্যোগে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও সামগ্রিকভাবে সুস্থতা ও কল্যাণ নিয়ে যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে ৫৬০ জনের বেশি কর্মী অংশ নেন।

কর্মী-কেন্দ্রিক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলায় বাংলালিংকের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বছর এ আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্ট্রেন্থ ইন অ্যাকশন, কেয়ার ইন এভরি স্টেপ।,’ যেখানে গুরুত্ব পায় সচেতনতার মাধ্যমে প্রাত্যহিক অভ্যাস গড়ে তোলা, কাজের ক্ষেত্রে কর্মীদের প্রতি যত্নশীল আচরণ, সহকর্মীদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি ও ব্যক্তিগত সুস্থতায় নিয়মিত অনুশীলনের অভ্যাস।

সপ্তাহজুড়ে কর্মীদের মধ্যে সুস্থতা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে নানামুখী কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলালিংক। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যক্তিগত পরামর্শ পর্ব, অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সরাসরি নিরাপত্তা মহড়া, মননশীলতা চর্চা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক সুস্থতা আয়োজন। প্রতিটি উদ্যোগই স্বাস্থ্যকর রুটিন গড়ে তোলা, সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অনুশীলন এবং ভারসাম্যপূর্ণ ও সচেতন জীবনযাপনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন থেকে ওয়াকাথন শুরু হয়। অন্যান্য শহরে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করেন। সদিচ্ছা ও সচেতনতার মাধ্যমে ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়েই সার্বিকভাবে সুস্থ থাকার দিকে যাত্রা শুরু হয়, এ বার্তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওয়াকাথনের নির্ধারিত পথে যাত্রা করেন বাংলালিংকের কর্মীরা।

টাইগার’স ডেনে ‘সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক ২০২৫’ -এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে সহ প্রতিষ্ঠানটির লিডারশিপ টিমের সদস্যেরা। তাদের উপস্থিতি নিরাপদ, যত্নশীল ও সহায়ক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরালো করেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের প্রধান মানবসম্পদ ও প্রশাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল কাদের বলেন, “ওয়াকাথনের মাধ্যমে এ সপ্তাহ অর্থবহভাবে শুরু হয়েছে। সুরক্ষা ও সুস্থতা সাময়িক কোন বিষয় নিয়, বরং এটা আমাদের প্রতিদিনের গড়ে তোলা অভ্যাসের ব্যাপার – এ আয়োজন আমাদের সে বার্তাই দেয়। আমাদের কর্মীরা যখন নিজেদের সুস্বাস্থ্য ও সুরক্ষায় সহযোগিতা পান, তখন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানই আরও শক্তিশালী হয়। নিজেদের যত্ন নেওয়া, পরস্পরের খোঁজ রাখা এবং এমন এক কর্মপরিবেশ তৈরি করা যেখানে সুস্থতা স্বাভাবিকভাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অংশ, সেফটি অ্যান্ড ওয়েলনেস উইক আমাদের সেই মানসিকতাকে আরও দৃঢ় করেছে।”

কর্মীদের পাশাপাশি গ্রাহকদের সুরক্ষা ও সুস্থতার প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলালিংক। গ্রাহকেরা যেন তাদের কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, এজন্য কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বাংলালিংক তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকদের জন্য দুই ঘণ্টার ফ্রি কলিং সুবিধার ঘোষণা দেয়।


‘আইসিটি উইমেন অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি পেলেন আম্বারীন রেজা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতের রূপান্তরে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি পেলেন ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা। ১০ম ব্র্যাক ব্যাংক―দ্য ডেইলি স্টার আইসিটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাকে ‘আইসিটি উইমেন অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ফুডপান্ডার বিস্তৃতি ও ইতিবাচক প্রভাবের প্রশংসা করে বলেন, ‘ফুডপান্ডা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে।’ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, তিনি নিজেও সপ্তাহে অন্তত একবার ফুডপ্যান্ডা ব্যবহার করেন।

২০১৩ সালে জুবায়ের বি এ সিদ্দিকীর সঙ্গে যৌথভাবে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন আম্বারীন রেজা। রেস্টুরেন্ট, শপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল বাণিজ্যে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ফুডপ্যান্ডা এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাট ও কর প্রদানের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব আয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফুডপ্যান্ডা।

ফ্রিল্যান্স রাইডারদের জন্য সুবিধামতো সময়ে কাজের সুযোগ বা ‘ফ্লেক্সিবল আর্নিং মডেল’ চালু রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে রাইডাররা নিজেদের পছন্দ ও সময় অনুযায়ী কাজ করে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পাচ্ছেন।

পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে আম্বারীন রেজা বলেন, ‘এই সম্মাননা পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। ফুডপ্যান্ডাকে গড়ে তোলা ও আজকের অবস্থানে নিয়ে আসা কোনো একক ব্যক্তির কাজ নয়, এটি আমাদের পুরো দলের নিরলস প্রচেষ্টা ও নিবেদনের ফল। আমি এই পুরস্কার ফুডপ্যান্ডার কর্মী, গ্রাহক, রেস্টুরেন্ট পার্টনার ও রাইডারদের উৎসর্গ করছি।’ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একজন কর্মজীবী মা হিসেবে আমি আমার সন্তানদের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সহমর্মিতার ফলে আমি আমার প্যাশনকে এগিয়ে নিতে পেরেছি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার মা, স্বামী ও সহোদরদের প্রতি; তাদের অনুপ্রেরণাতে আমি এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাই।’

গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার শেরাটন হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আইসিটি উদ্যোক্তা, সাংবাদিক ও করপোরেট খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উৎকর্ষ এবং সামাজিক প্রভাব বিস্তারকারী উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে উৎসাহিত করতে গত এক দশক ধরে এই সম্মাননা দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক ও দ্য ডেইলি স্টার।

ফুডপ্যান্ডা সম্পর্কে:

ফুডপ্যান্ডা এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। সুবিধামতো ও দ্রুততম সময়ে গ্রাহকদের কাছে খাবার, গ্রোসারি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। অভিনব প্রযুক্তি ও সুদক্ষ পরিচালনার সমন্বয় এবং রিটেইল পার্টনারদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কুইক-কমার্সে (কিউ-কমার্স) নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুডপ্যান্ডা। খাবার ডেলিভারি দেয়ার লক্ষাধিক অপশন ছাড়াও অন-ডিমান্ড পণ্য ডেলিভারি সুবিধা প্রদানে রয়েছে প্যান্ডামার্ট ক্লাউড স্টোর। সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, বাংলাদেশ, লাওস, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমার- এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১০টি বাজারে ফুডপ্যান্ডার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি হিরো’র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফুডপ্যান্ডা।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.foodpanda.com


বাংলাদেশে জ্যাক মোটরসের নতুন ডিস্ট্রিবিউটর  র‌্যানকন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জ্যাক মোটরস-এর অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে যুক্ত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ অটোমোটিভ ম্যানুফ্যাকচারার র‌্যানকন এবং এখন থেকে তারা জ্যাক মোটরস-এর সেলস ও আফটার-সেলস সাপোর্ট প্রদান করবে।

৬ ডিসেম্বর (শনিবার) ঢাকার আইসিসিবিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জ্যাক মোটরসের লেটেস্ট দুইটি ডাবল কেবিন ৪x৪ মডেল ‘টি৯ হান্টার’ ও ‘টি৮’ পিকআপ ভ্যান এবং জ্যাক-এর নতুন এন সিরিজের ১.৫ টন ও ৩ টন এর বাণিজ্যিক ট্রাক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। সেসময় দেশের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ, কর্পোরেট প্রতিনিধি, ডিলার পার্টনারদের সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন ‘টি৯ হান্টার’ ডাবল কেবিন ৪x৪ মডেলে আছে শক্তিশালী ২ লিটার টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন এবং ৮ স্পিড জেডএফ অটোমেটিক ট্রান্সমিশন। এটি সর্বোচ্চ ৪১০ এনএম পর্যন্ত টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। ২১০ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের সাথে গাড়িতে আরও আছে ফোর-হুইল ড্রাইভ, সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক সানরুফ, লেদার ইন্টেরিয়র, পাওয়ার ফ্রন্ট সিট, প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম, ১০.৪ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন (অ্যাপেল কারপ্লে ও অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্টেড), ফ্রন্ট ও রিয়ার ডিস্ক ব্রেক, ১৮ ইঞ্চি অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় হুইল, এলইডি হেডলাইট ও ফগলাইট ইত্যাদি ফিচারস। সব মিলিয়ে ‘টি৯ হান্টার’ পারফর্ম্যান্স, আধুনিক প্রযুক্তি ও আরামদায়ক অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজারের সবচেয়ে আকর্ষনীয় অফারে মাত্র ৪৬.৫ লক্ষ টাকায় এই মডেলটি পাওয়া যাবে। সাথে থাকবে ৫ বছর/ ১ লক্ষ কিলোমিটার ওয়ারেন্টি।

‘টি৮’ ডাবল কেবিন ৪x৪ মডেলে আছে ২ লিটার টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন এবং ৬ স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন। এটি সর্বোচ্চ ৩২৯ এনএম পর্যন্ত টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ২১০ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের সাথে গাড়িতে আরও আছে ১৮ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল, লেদার কভার্ড ইন্টেরিয়র, মাল্টিফাংশনাল লেদার-বাউন্ড স্টিয়ারিং, এলইডি হেডলাইট/ফগলাইট, এবিএস-এর মতো ফিচারস। মাত্র ৩৪.৫০ লক্ষ টাকায় এই মডেলটি পাওয়া যাবে, সাথে থাকবে ৫ বছর/ ১ লক্ষ কিলোমিটার ওয়ারেন্টি। র‌্যানকন-এর শোরুমে এসে ‘টি৯ হান্টার’ ও ‘টি৮’ দুটি মডেলই বুকিং ও টেস্ট ড্রাইভ দেওয়া যাবে।

এছাড়া, এন সিরিজের ১.৫ টন ও ৩ টন এর বাণিজ্যিক ট্রাক দুটি বাংলাদেশের রোড কন্ডিশন ও পরিবেশ বিবেচনা করে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য এই ট্রাকের সঙ্গে আছে র‍্যানকন-এর দেশব্যাপি বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্ক, যা নির্বিঘ্ন সার্ভিসিং এবং স্পেয়ার পার্টসের সহজলভ্যতাও নিশ্চিত করবে।

এ প্রসঙ্গে র‌্যানকন গ্রুপ-এর গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, “র‌্যানকন সবসময়ই আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত ব্র্যান্ড ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার জ্যাক মোটরসের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হতে পেরে আমরা আনন্দিত। জ্যাক-এর নতুন গাড়ি ও ট্রাকগুলো বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আমি আশাবাদী।”

র‌্যানকন গ্লোবাল ট্রাকস লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শন হাকিম বলেন, “উন্নত মানের নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী ৪টি মডেল বাজারে আনার মাধ্যমে দেশের অটোমোটিভ সেক্টরে নতুন মাত্রা

যোগ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে র‌্যানকনের দেশব্যাপি বিস্তৃত অটোমোটিভ সার্ভিস নেটওয়ার্ক ব্যাপক সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস।”


কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানী (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের স্বনামধন্য প্রসাধনী প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানী (বাংলাদেশ) লিমিটেড-এর ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (রবিবার) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মোঃ এবাদুল করিম, স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ও কাজী মামুনুল আশরাফ, কোম্পানী সচিব মোঃ কামরুজ্জামান, এফসিএমএ এবং সিএফও মোহাঃ শামীম কবির, এফসিএমএ।

উক্ত সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী ও কোম্পানীর সার্বিক কার্যক্রমের উপর আলোচনা করা হয় এবং আলোচ্যসূচিসমূহ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

আলোচ্য সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ৬৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ এবং ১০ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।


আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও আকিজ মটরস এর মধ্যে MOU সম্পাদন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও আকিজ গ্রুপ অব কোম্পানিজ―র সহযোগী প্রতিষ্ঠান আকিজ মটরস এর মধ্যে একটি মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্টান্ডিং MOU স্বাক্ষরিত হলো। এরই আলোকে আকিজ মটরস এর সকল ক্রেতার যাবতীয় ভেহিকল লোন সার্ভিস প্রদান করবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। পাশাপাশি উক্ত কোম্পানির সকল আমদানী প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হবে লেটার অব ক্রেডিট।

অন্যদিকে আকিজ মটরস কর্তৃপক্ষ আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে জমা রাখবেন কয়েক কোটি টাকার আমানত। এছাড়াও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য থাকবে বিশেষ সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন মডেলের বাইক কেনার সুযোগ।

এ সম্পর্কিত সকল প্রচার প্রচারণায় উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে অংশ নেবে।

এই মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্টান্ডিং এর পুরো প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মানিত নির্বাহী পরিচালক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান।

আকিজ চেম্বারে অনুষ্ঠিত এই MOU সম্পাদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকিজ মটরস এর সিইও শেখ আমিন উদ্দীন ও ব্রান্ডিং ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপদেষ্টা মোঃ আবু সাঈদ।

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এপিডি ও রিকভারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ক্যাপ্টেন সৈয়দ সাখাওয়াৎ হোসেন, পিএসসি, বিএন ( অবঃ) এবং বিজনেস ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ ইমরুল কায়েস ও শামীম আহমেদ।

এছাড়া আকিজ মটরস এর সিনিয়র ম্যানেজার সাঈদ হাসানসহ গ্রুপের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দও এই MOU সম্পাদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি―র বার্ষিক রিস্ক কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র বার্ষিক রিস্ক কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৬ ডিসেম্বর (শনিবার) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় বার্ষিক রিস্ক কনফারেন্স ২০২৫―এর এ আয়োজন করা হয়।

রিস্ক কনফারেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস-২) এর পরিচালক আ.ন.ম. মঈনুল কবীর। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের জয়েন্ট ডিরেক্টর মাহমুদা হক এবং এম. এম. অপূর্ব আবরার রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি―এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত। এ সময় ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট, ডিভিশন হেড এবং শাখা ব্যবস্থাপকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কনফারেন্সে ব্যাংকের সামগ্রিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন কৌশল, নীতি এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় বক্তারা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নত মান বজায় রাখা এবং টেকসই ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।


ভূমিকম্পের ব্যাপারে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্কতা তৈরির আহ্বান

‘ভূমিকম্প: বাস্তবতা, ধারণা ও সচেতনতার কৌশল’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (বাস্থই)
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (বাস্থই) -এ ‘ভূমিকম্প: বাস্তবতা, ধারণা ও সচেতনতার কৌশল’শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা আয়োজন করা হয়। আগারগাঁওয়ে বাস্থই কার্যালয়ের সেমিনার হলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ।
বাস্থই সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন প্রখ্যাত পুর প্রকৌশলী ও বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. শামীম জেড বসুনিয়া, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও লিডিং ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা, স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, স্থাপত্য অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান স্থপতি আসিফুর রহমান ভূঁইয়া, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন হায়দার, বাস্থই-এর ফেলো সদস্য স্থপতি ও নগরবিদ ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা মিয়া, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব গোলাম মোস্তফা, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ (চলতি দায়িত্ব) মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্সের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন চৌধুরী, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি প্যাট্রিক ডি' রোজারিও। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহ সভাপতি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) স্থপতি খান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক জগলুল।
গোলটেবিল আলোচনা সঞ্চালনা করেন স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) স্থপতি নওয়াজীশ মাহবুব। স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ড. মাসুদ উর রশিদ।

আলোচনায় অধ্যাপক ড. শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, অভিজ্ঞ স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এবং ভবন নির্মাণ যথাযথভাবে তদারকি করলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি তাড়াহুড়ো না করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধ করা না গেলেও ক্ষতি কমানো সম্ভব। ভবন অনুমোদন প্রক্রিয়ায় তদারকি না থাকার বিষয়টি তিনি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি, গ্যাস লিকেজ, ভুল নির্মাণ, রেগুলেটরি অথরিটি গঠন, ব্লক ডেভেলপমেন্ট ও টিডিআর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান জানান, সব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভূমিকম্প-সহনশীল ডিজাইনে দক্ষ নন। সিপিডি এবং ট্রেনিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি স্থপতি ও প্রকৌশলীর সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সাবেক আইএবি সভাপতি ও সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির অ-বৈজ্ঞানিক ভূমিকম্প পূর্বাভাস ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, “ভয় নয়, এখন প্রয়োজন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া—ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করা, জরুরি সেবা পৌঁছানোর জন্য সরু সড়ক প্রশস্ত করা, হাসপাতাল সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অবকাঠামো সংস্কার ও শক্তিশালীকরণ, আলগা ফ্রি-স্ট্যান্ডিং আসবাবপত্র দেয়ালে সুরক্ষিতভাবে বেঁধে রাখা, দক্ষ পেশাজীবীদের মাধ্যমে নতুন ভবন নির্মাণের আগে যথাযথ মাটির পরীক্ষা নিশ্চিত করা এবং জরুরি বহির্গমনপথ স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা।”
সভাপতির বক্তব্যে ড.আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, পোস্ট ডিজাস্টার নিয়ে কাজ করলে আমরা সরকারকে অনেক কিছু রেকমেন্ড করতে পারব, আমরা দেশকে রক্ষা করতে চাই দেশের সবকিছুর রক্ষা করতে চাই একসাথে বাঁচতে চাই।
আলোচনা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান সকলে।ভূমিকম্প-সম্পর্কিত ভুল ধারণা দূর করে বাস্তবসম্মত প্রস্তুতি গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় এ গোল্টেবিল বৈঠকে।


টেকসই উন্নয়ন ও ক্লাইমেট অ্যাকশান রিপোর্ট উন্মোচন করেছে প্রাইম ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

টেকসই উন্নয়ন রিপোর্ট ও ক্লাইমেট অ্যাকশান রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। আজ (০৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ রিপোর্ট উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংক দায়িত্বশীল এবং জলবায়ু সচেতন ব্যাংকিং কার্যক্রমের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী। এ সময় তিনি প্রাইম ব্যাংকের টেকসই যাত্রা সম্পর্কে অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেন এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রতি রেগুলেটরের প্রত্যাশা তুলে ধরেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ; অতিরিক্ত ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ফয়সাল রহমান; ডিএমডি ও সিআরও জিয়াউর রহমান; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সিএসআর অংশীদারগণ।

প্রাইম ব্যাংকের সিইও হাসান ও. রশীদ ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই লক্ষ্য ও বৈশ্বিক জলবায়ু অগ্রাধিকারগুলির সাথে প্রাইম ব্যাংকের কৌশলগত সঙ্গতি তুলে ধরে বলেন, “আমাদের ব্যবসার মূল ধারণার সাথে টেকসই উন্নয়নকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রচেস্টা এবং একটি সবুজ ভবিষ্যত গঠনে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব প্রতিফলিত হয়েছে এই রিপোর্টে।”

প্রাইম ব্যাংক তার সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে, ব্যাংকটি সমাজে টেকসই উন্নয়ন প্রচারের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। রিপোর্টগুলো প্রকাশ করে, প্রাইম ব্যাংক তার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রদর্শন করেছে। এছাড়াও, ব্যাংকটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। এসব কার্যক্রম জাতীয় ও বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।


বিকাশ-এর কন্টাক্টলেস এনএফসি পেমেন্টে কেনাকাটা হবে আরও দ্রুত, নিরাপদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন থেকে এনএফসি (নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) এনাবেল্ড কিউআর-এ ট্যাপ করেই পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশ-এ। গ্রাহকের ডিজিটাল পেমেন্ট অভিজ্ঞতাকে আরও ঝামেলাহীন, নিরাপদ ও কন্টাক্টলেস করতেই এই সেবা চালু করেছে বিকাশ। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহকরা এখন কোনো পিন নম্বর ছাড়াই মাত্র এক ট্যাপে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন, যা তাদের ক্যাশলেস পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং দেশের ডিজিটাল পেমেন্টের ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।

এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুবিধা গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনকে বিশেষ করে ছোট-বড় দোকান, সুপারশপ, ক্যাফে ও অন্যান্য খুচরা বিক্রেতার কাছে পেমেন্ট আরও দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত করে তুলছে। বিকাশ-এর মাধ্যমে এনএফসি পেমেন্ট করতে হলে গ্রাহককে এনএফসি চিহ্নিত কিউআর কোডে মোবাইল ট্যাপ করতে হবে। এরপর লগইন করলে সরাসরি পেমেন্ট স্ক্রিনে নিয়ে যাবে। এখানে টাকার পরিমাণ বসিয়ে নিশ্চিত করলেই পেমেন্টটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। ফলে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা যেমন থাকলো না, তেমনি বাড়লো বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও। উল্লেখ্য, ১ হাজার টাকা পর্যন্ত পিন ছাড়াই এনএফসি পেমেন্ট করা যাচ্ছে।

প্রযুক্তির অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিনের লেনদেনকে আরও সহজ, নিরাপদ ও ঝামেলাহীন করতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা নিয়ে আসছে বিকাশ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার এনএফসি পেমেন্ট সুবিধা চালু করলো প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকরা এখন ক্যাশলেস, কন্টাক্টলেস ও নিরাপদ লেনদেনের অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। ধারাবাহিকভাবে বিকাশ-এর এই এনএফসি পেমেন্ট সেবাটি সারাদেশের মার্চেন্ট পয়েন্টগুলোতে বিস্তৃত করা হবে।


শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৯০৯তম সভা অনুষ্ঠিত

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ৯০৯তম সভা অনুষ্ঠিত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর নির্বাহী কমিটির ৯০৯তম সভা ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ইং তারিখে ব্যাংকের কর্পোরেট প্রধান কার্যালয়ের পর্ষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব আক্কাচ উদ্দিন মোল্লা। সভায় বিভিন্ন খাতে অর্থায়ন এবং ব্যাংকিং সম্পর্কিত বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব ফকির আখতারুজ্জামান, ব্যাংকের পরিচালক ও কমিটির সদস্যবৃন্দ জনাব মো: সানাউল্লাহ সাহিদ, জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জি. মো: তৌহীদুর রহমান, জনাব মোহাম্মদ ইউনুছ এবং জনাব খন্দকার শাকিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ এবং কোম্পানি সচিব জনাব মো: আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।


আড়ংয়ের আয়োজনে “উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড ২০২৫: কারুশিল্পের উৎসব”

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের কারুশিল্পী, ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, শীতের প্রিয় সব খাবার, গান ও ডিজিটাল অভিজ্ঞতার এক রঙিন মিলনমেলা

আড়ং আয়োজিত “উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড ২০২৫: কারুশিল্পের উৎসব” হচ্ছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ কারুশিল্প ঐতিহ্যের কারিগর ও তাদের শিল্প উদযাপনের এক বর্ণিল উৎসব।

এই ডিসেম্বর জুড়ে আড়ং তেজগাঁও আউটলেট রূপ নেবে এক প্রাণবন্ত উৎসবস্থলে, যেখানে কারুশিল্পী, ক্রেতা এবং কমিউনিটি একসাথে উদযাপন করবে জামদানি, নকশীকাঁথা, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, গহনা, রিকশা আর্টসহ নানা কারুশিল্প। প্রায় পাঁচ দশক ধরে আড়ংকে সংজ্ঞায়িত করে আসা গ্রামীণ কারুশিল্পীদের দক্ষতা ও গল্পকে এই আয়োজন বিশেষভাবে তুলে ধরবে। উৎসবের দিনগুলোতে আড়ং তেজগাঁও আউটলেট রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড ২০২৫-এর প্রতিটি সপ্তাহে থাকবে ভিন্ন ভিন্ন থিম—পিঠা উৎসব, ঠান্ডা বিটস, বিয়ে উৎসব এবং দেশের শীর্ষ শিল্পীদের কনসার্টসহ বিশেষ গ্র্যান্ড ফিনালে। পুরো কার্নিভালটি সাজানো হয়েছে পরিবার-বান্ধব বিষয়টি মাথায় রেখে, যেখানে থাকবে পিঠা, ফুচকা, চটপটি, কাবাবসহ জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডের ফুড কার্ট, শিশুদের জন্য বিশেষ কিডস জোন এবং টেরাকোটা টেলসে কার্নিভাল গেমস, সাথে বড় শিল্পীদের লাইভ মিউজিক এবং ডু-ইট-ইয়োরসেলফ ক্রাফট জোন।

এছাড়া দর্শনার্থীরা নতুনভাবে সাজানো aarong.com-এর জোনে গিয়ে প্ল্যাটফর্মটি নতুনভাবে উপভোগ করতে পারবেন। আড়ংয়ের পাশাপাশি থাকছে ব্র্যাকের অন্যান্য সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ—আড়ং অরিজিনস (ব্র্যাকের উচ্চমানের খাদ্য ব্র্যান্ড), আড়ং ডেইরি (গ্রামীণ কৃষকদের সহায়তাপ্রাপ্ত গুণগতমানের দুগ্ধজাত পণ্য), ব্র্যাক হেলথকেয়ার (সহজলভ্য ও কমিউনিটি-কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবা), এবং অতিথি (স্থানীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে ব্র্যাকের ইকো ট্যুরিজম উদ্যোগ)।

উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড ২০২৫ আড়ংয়ের টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক প্রভাবের অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করে, আর প্রতিটি পণ্যের পেছনের কারিশিল্পীর সাথে গ্রাহকদের মেলবন্ধন নিশ্চিত করে ।


ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল এসএমই লোন ‘সাফল্য’ পাবেন আইফারমারের রিটেইলাররা

আপডেটেড ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৭
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দেশের কৃষি-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইফারমারের নিবন্ধিত এগ্রি-রিটেইলারদের ডিজিটাল অর্থায়ন সুবিধা ‘সাফল্য’ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

এই সহযোগিতার ফলে আইফারমার সেন্টারের রিটেইলাররা সরাসরি ব্র্যাক ব্যাংকের ‘সাফল্য’ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল নিতে পারবেন। এটিই দেশের প্রথম এসএমই ডিজিটাল লেন্ডিং উদ্যোগ। ব্র্যাক ব্যাংকের ‘সুবিধা’ অ্যাপ এবং আইফারমারের ‘কৃশপ’ অ্যাপ ব্যবহার করে রিটেইলাররা এই ডিজিটাল লোন নিতে পারবেন, যা অত্যন্ত সহজ, দ্রুত ও ঝামেলাহীন।

এই উদ্যোগটি এগ্রি-ইনপুট রিটেইলারদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ইনপুট সংগ্রহে রিটেইলারদের তাৎক্ষণিক পেমেন্ট নিশ্চিত করবে। এটি অনানুষ্ঠানিক ঋণ নির্ভরতা কমাবে এবং ফসল রোপণ ও কাটার মৌসুমে তাঁদের কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

৪ নভেম্বর ২০২৫ ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এবং আইফারমরারে কো-ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও ফাহাদ ইফাজ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই চুক্তির বিষয়ে সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশের এসএমই ফাইন্যান্সিংয়ের রূপ বদলে দিচ্ছে ‘সাফল্য’। আইফারমারের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব ইনপুট রিটেইলারদের আনুষ্ঠানিক অর্থায়ন সুবিধার আওতায় এনে তাঁদের জন্য ইনস্ট্যান্ট ও সম্পূর্ণ ডিজিটাল ঋণসুবিধা নিশ্চিত করবে। আমাদের এই উদ্যোগ গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করবে এবং দেশের কৃষিভিত্তিক সাপ্লাই চেইনকে আরও শক্তিশালী করবে।”

ফাহাদ ইফাজ বলেন, “আমাদের এগ্রি-ইনপুট রিটেইলাররা দেশের কৃষি ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে এই সহযোগিতা তাঁদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রয়োজনীয়তা পূরণের পাশাপাশি দেশের কৃষিব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করবে।”

এই উদ্যোগটি ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও গ্রামীণ উদ্যোক্তারা যাতে দ্রুত ও সহজে নিরাপদ অর্থায়ন সুবিধা উপভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যে ব্যাংকটির উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ৩০২টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।


banner close