প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.-এর কাছ থেকে ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা গ্রহণ করবে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। সম্প্রতি রাজধানীর প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এই সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তির আওতায়- এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড প্রাইম ব্যাংকের সমন্বিত ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা গ্রহণ করবে। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাইমপে’ (PrimePay) ব্যবহার করে সকল প্রকার অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট বা ডিসবার্সমেন্ট সম্পাদন করতে পারবে এবং প্রাইম ব্যাংকের বিস্তৃত শাখা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে সেলস কলেকশন করতে পারবে। পাশাপাশি ব্যাংকের উন্নত এমআইএস রিপোর্টিং ও রিকনসিলিয়েশন সিস্টেম এর মাধ্যমে এসএমসি-এর আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষ ও স্বচ্ছ হবে।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি.-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশিদ এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ নাসির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাইমপে (PrimePay) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করপোরেট ক্লায়েন্টরা সহজে ও নিরাপদে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারেন। এই সর্বাধুনিক ডিজিটাল চ্যানেলটির মাধ্যমে ইলেকট্রনিক এবং কাগজ-ভিত্তিক উভয় ধরনের লেনদেন- যেমন আরটিজিএস (RTGS), বিইএফটিএন (BEFTN), আন্তঃব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার, এনপিএসবি (NPSB), মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) ওয়ালেট ট্রান্সফার এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরযুক্ত করপোরেট চেক ও পে অর্ডার ইস্যু করা যায়। এছাড়াও করপোরেট গ্রাহকরা প্রাইমপে’র মাধ্যমে শুল্ক, কর, ভ্যাট ও ইউটিলিটি বিল প্রদান করতে পারেন।
দ্রুত অথরাইজেশন প্রক্রিয়ার কারণে প্রাইমপে গ্রাহকদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন, খরচ সাশ্রয় এবং অধিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। উন্নত টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত এই প্ল্যাটফর্মটি ওয়েবের মাধ্যমে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
ভিকারুননিসা অ্যালামনি অস্ট্রেলিয়া (VAAUS) সম্প্রতি সিডনির ল্যান্টানা ভেন্যুস এ আয়োজন করে VAAUS গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫, যার প্রধান সহযোগী ছিল এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস । এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১,১০০ অতিথি, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশে থেকে আসা প্রায় ৪০০ জন প্রাক্তন ভিকারুননিসা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো।
এই গ্র্যান্ড রিইউনিয়নের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় “চেঞ্জ দি স্টোরি” উদ্যোগের যা নারীদের সম্মান, সমতা আর নিরাপদ ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে পরিচালিত একটি যুগান্তকারী কমিউনিটি উদ্যোগ। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন ছিল সাইলেন্ট আর্ট অকশন যেখানে সম্প্রতি একুশে পদক জয়ী বিখ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স-এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ক্যাব্রামাট্টার সংসদ সদস্য মি. ট্রি ভো। তার উপস্থিতি পুরো অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান যোগ করে। সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান ও তার ভাই প্রতীক হাসান এর মনোমুগ্ধকর লাইভ পরিবেশনা, পাশাপাশি VAAUS সদস্যদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা পুরো আয়োজনকে উৎসবমুখর করে তোলে।
নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার (রাজ্যের প্রধান) ক্রিস মিন্স বলেন “গত আট বছর ধরে VAAUS অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কমিউনিটিকে সহযোগিতা করে আসছে, আর আজকের এই সন্ধ্যায় তারা নারী ও শিশু সুরক্ষার জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে যা নিঃসন্দেহে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন উদারভাবে সহায়তা করেন এবং এই সুন্দর সন্ধ্যাটি উপভোগ করেন,”।
“চেঞ্জ দ্য স্টোরি” ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য হলো সহানুভূতি, মুক্ত সংলাপ ও কমিউনিটি সহযোগিতার মাধ্যমে পারিবারিক ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বন্ধ করা। এ উদ্যোগ থেকে সংগৃহীত তহবিল এএলও এনলাইটেন্ড উইমেন (ক্যানবেরা) এবং কালচারাল ডাইভারসিটি নেটওয়ার্ক ইনক. (সিডনি) এই দুই সংগঠনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ব্যয় করা হবে, যারা বহুজাতিক ও অভিবাসী নারীদের উন্নয়নে কাজ করে আসছে।
এছাড়াও, VAAUS নতুন ভিকারুননিসা গ্র্যাজুয়েটদের জন্ অস্ট্রেলিয়া কেন্দ্রিক একটি মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে যা ইতোমধ্যে ২০২৬ সালের আসন্ন উদ্যোগসমূহের সহায়তায় ২০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সংগ্রহ করেছে। তাদের এই অব্যাহত প্রচেষ্টা আরও একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথে দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।
VAAUS এর সভাপতি ড. সুরঞ্জনা জেনিফার রহমান বলেন “এই উদ্যোগ আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এবং সহানুভূতিকে বাস্তব কর্মে রূপ দেওয়াকে প্রতিফলিত করে ”। তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়া, যেখানে প্রতিটি নারী নিজেকে সমর্থিত মনে করবে, প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা হবে, আর প্রতিটি উদ্যোগ হয়ে উঠবে স্থায়ী পরিবর্তনের অংশ।”
গত সাত বছরে VAAUS ছোট একটি অ্যালুমনি সংগঠন থেকে বিকশিত হয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ান চ্যারিটিজ অ্যান্ড নট-ফর-প্রফিটস কমিশন (এসিএনসি) এ নিবন্ধিত একটি দাতব্য সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার রয়েছে ডিডাকটিবল গিফট
রিসিপেন্ট (ডিজিআর) মর্যাদা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি অস্ট্রেলিয়ার ছয়টি অঙ্গরাজ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে মিলে ৪২,০০০ ডলারেরও বেশি অনুদান প্রদান করেছে। যা ব্যবহৃত হয়েছে দুর্যোগ সহায়তা, শিশুস্বাস্থ্য ও নারীদের কল্যাণমূলক কাজে।
ভিএএইউএস গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫–এর টাইটেল স্পনসর হিসেবে ছিলো এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস। এই অংশীদারিত্ব পারস্পরিক বন্ধন, সহযোগিতা আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক সুন্দর গল্প। দেশ-বিদেশে সরকারি অবকাঠামো, অফশোর এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস সবসময়ই এমন উদ্যোগকে পাশে থাকে যা মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। VAAUS–এর এই উদ্যোগ তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যা আগামী প্রজন্মের মনেও অনুপ্রেরণার আলো ছড়াবে।
প্রতিটি উদ্যোগ এবং গল্পের মাধ্যমে VAAUS প্রমাণ করে প্রকৃত শিক্ষা কেবল শ্রেণিকক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এটি ফুঁটে ওঠে সেবা, সৌহার্দ্য ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতি অঙ্গীকারের মাQধ্যমে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার ব্যাংকের গুলশান শাখার গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় অ্যাসোসিয়েট এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ আনছারুল কবির, ব্যাংকের এসইভিপি মোঃ মাসুদ পারভেজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহক ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদা ও অসুবিধার কথা আন্তরিকতার সাথে শুনে সেবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের সিদ্ধান্তসমূহ জানিয়ে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, এই ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত এখন সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষিত ও নিরাপদ রয়েছে। তিনি গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হয়ে আস্থার সাথে এ ব্যাংকে সকল ধরনের লেনদেন করার আহ্বান জানান। মতবিনিময় সভায় গ্রাহকরাও এই ব্যাংকের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা, ব্যাংকের সেবার মান ও কর্মকর্তাদের পেশাদার আচরনের কথা স্বীকার করে ভবিষ্যতেও এই ব্যাংকের সাথে লেনদেনসহ সকল প্রকার ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে বাংলালিংক। সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফ্ল্যাফশিপ মাইবিএল অ্যাপকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে নতুনভাবে সাজিয়েছে। এর ফলে, অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা এখন থেকে আরও সমৃদ্ধ মোবাইল সেলফ-কেয়ার অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন। আপডেট করা অ্যাপটি এখন আরও স্মার্ট। এর চমৎকার ইন্টারফেসের কারণে ব্যবহারকারীরা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাচ্ছন্দ্যে সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
অ্যাপটির হালনাগাদ করা সংস্করণ বাংলালিংকের ‘ডিজিটাল-ফার্স্ট’ কৌশলের প্রতিফলন ঘটেছে। অ্যাপটিতে ২০টির বেশি প্রয়োজনীয় ‘সেলফ-সার্ভিস’ ফিচার যুক্ত করা হয়েছে; যেমন: সিম ব্যবস্থাপনা, প্যাক নবায়ন, ভিওএলটিই সক্রিয় করা এবং পেগো, ডু নট ডিস্টার্ ও ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভিএএস) অপশন। নতুনভাবে ডিজাইন করা অ্যাপের ইন্টারফেসে এখন আরও সহজে নেভিগেশন করা যাবে। এখন ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে সহজেই মোবাইল সেবা ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করতে পারেন।
এআই উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে, গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগকে আরও স্মার্ট ও দ্রুত করতে মাইবিএল অ্যাপে এর আগে এআই প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দু’টি সেবা চালু করে বাংলালিংক। এর মধ্যে এআই প্রযুক্তিভিত্তিক কাস্টমার সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা জানানোর ও সমাধান গ্রহণ করতে পারেন; যেখানে ব্যবহারকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমস্যার সমাধান নিয়ে অগ্রগতি সরাসরি অ্যাপের মধ্যেই দেখা যায়। অন্যদিকে, এআই কাস্টমার কেয়ার চ্যাটবটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অ্যাকাউন্টের তথ্য, অফার বা ট্রাবলশুটিং – এসব বিষয়ে রিয়েল-টাইমে সহায়তা নিতে পারেন।
পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য মাইবিএল অ্যাপে আরও কিছু সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে; যেমন: স্মার্ট প্যাক সাজেশন, দ্রুত ই-বিল ডাউনলোড এবং সিকিউরিটি ডিপোজিট বৃদ্ধির অনুরোধ। এতে অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হয়েছে এবং গ্রাহকদের জন্য ব্যক্তি বিশেষায়িত সেবার পরিসব বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ নিষয়ে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “উন্নত মাইবিএল অ্যাপ আমাদের গ্রাহককেন্দ্রিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির ধারাবাহিক যাত্রারই অংশ।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেক বাংলালিংক ব্যবহারকারীর জন্য ডিজিটাল সেলফ-কেয়ারকে আরও সহজ, স্মার্ট করে তোলা, যা তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা কেবল সুবিধা পাওয়া মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা মোবাইল ব্যবহারে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ উপভোগ করবেন— কানেক্টেড থাকতে পারবেন, সহজে সেবা ব্যবস্থাপনা করতে পারবেন এবং স্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। একক প্ল্যাটফর্মে উদ্ভাবন, সেবা সহজ করা ও সবার জন্য সেবার সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলালিংক আরও দ্রুত, স্মার্ট ও ব্যক্তি বিশেষায়িত উপায়ে গ্রাহক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। এখন গ্রাহকেরা নিজেরাই নিজেদের ডিজিটাল জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবেন। আমাদের ডিও১৪৪০ লক্ষ্যের মাধ্যমে আমরা চাই প্রতিটি মানুষের জন্য ডিজিটাল ক্ষমতায়নের সুযোগ উন্মোচন করতে। এ উদ্যোগ আমাদের সে লক্ষ্যেরই প্রতিফলন।”
এই উদ্যোগ দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংকের অবস্থান এবং দেশের ডিজিটাল ক্ষমতায়নের যাত্রায় প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি তাদের ফ্ল্যাগশিপ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম ‘দ্য আনবাউন্ডারস’-এর মাধ্যমে ১২ জন মেধাবী তরুণকে নিয়োগ দিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আইপিডিসি বাংলাদেশের লক্ষ্য আর্থিক খাতে তরুণদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়তেও সহায়তা করা।
নতুন ‘আনবাউন্ডার’দের নির্বাচিত করা হয়েছে কয়েকটি কঠোর ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে, যেখানে ছিল যোগ্যতা পরীক্ষা, কেস বিশ্লেষণ, প্যানেল সাক্ষাৎকার এবং নেতৃত্বের দক্ষতা যাচাই।
এই বছরের ব্যাচটি বিশেষ, কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে, একাডেমিক ফলাফল চমৎকার এবং নেতৃত্বের গুনাবলী রয়েছে। নতুন ‘আনবাউন্ডার’রা দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন এবং সঙ্গে এনেছেন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি, যা আইপিডিসি’র মূল্যবোধ সততা, গ্রাহককেন্দ্রিকতা, সহযোগিতা এবং ধারাবাহিক উন্নয়ন-এর সঙ্গে মানানসই।
আইপিডিসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরা। তারা নতুন ট্রেইনিদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। কর্মকর্তারা এ প্রোগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা দেশের আগামী প্রজন্মের আর্থিক পেশাজীবীদের গঠনে সাহায্য করবে, এবং ‘আনবাউন্ডার’দের আইপিডিসি-র উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নৈতিক মানসম্পন্ন সংস্কৃতিতে স্বাগত জানান।
‘দ্যা আনবাউন্ডারস’ প্রোগ্রাম তরুণ পেশাজীবীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ। এতে তারা প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, বাস্তব প্রকল্পে অংশগ্রহণ করবে, সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ পাবে এবং বিশেষ ওয়ার্কশপে অংশ নিয়ে তাদের প্রযুক্তিগত, বিশ্লেষণাত্মক ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতা আরও শক্তিশালী করবে।
এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো ‘আনবাউন্ডার’দের এমন জ্ঞান, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্বের ক্ষমতা দিয়ে তৈরি করা, যা তাদের বাংলাদেশে পরিবর্তনশীল আর্থিক খাতে সফলভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
এ উপলক্ষ্যে আইপিডিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “এই মেধাবী তরুণদের আইপিডিসি পরিবারের অংশ হিসেবে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তাদের উদ্যম, কৌতূহল এবং উদ্ভাবনী চিন্তাধারা আমাদের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে এবং আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে আমি আশা করি।”
তিনি আরও বলেন যে, “আইপিডিসি তার কর্মীদের প্রতিভা বিকাশের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অনেক বর্তমান সিনিয়র কর্মকর্তা তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এমনই গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে, যা আইপিডিসি-র দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও নেতৃত্ব গঠনের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে।”
এর মাধ্যমে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি আবারও নিশ্চিত করল যে, তারা তরুণদের ক্ষমতায়ন, নেতৃত্ব গঠন এবং বাংলাদেশের আর্থিক সেবা খাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে অবদান রাখতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি নতুন এই ‘আনবাউন্ডারস’ ব্যাচ আইপিডিসি-র টেকসই প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সাথে ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম (এসএমটি) এর ১৭তম পর্যালোচনা সভা সোমবার প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন এসএমটির চেয়ারম্যান ও ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও মো. শওকত আলী খান। পর্যালোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যবৃন্দ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়, স্থানীয় কার্যালয়, ব্যাংকের মাঠ পর্যায়ের সকল জেনারেল ম্যানেজারসহ এসএমটি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি.’র পরিচালনা পর্ষদের ৭০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর, ২০২৫) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম বিপিএম। উক্ত সভায় কয়েকটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জনাব এ কে এম শহিদুর রহমান, বিপিএম, পিপিএম, এনডিসি, মহাপরিচালক, র্যাব; জনাব মো. গোলাম রসুল, অ্যাডিশনাল আইজি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব এ. কে. এম. আওলাদ হোসেন, অ্যাডিশনাল আইজি (অ্যাডমিন), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব মোঃ আকরাম হোসেন, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল আইজি (ফিন্যান্স), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ, বিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি (এইচআরএম), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব মোঃ ছিবগাত উল্লাহ, বিপিএম (সেবা), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব সরদার নূরুল আমিন, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল আইজি (ডেভেলপমেন্ট), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব কাজী মো. ফজলুল করিম, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব কামরুল আহসান, ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব মুনতাসিরুল ইসলাম, পিপিএম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (হাইওয়ে পুলিশ), বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব আহম্মদ মুঈদ, বিপিএম (সেবা), অ্যাডিশনাল ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব কামরুল হাসান তালুকদার, ইন্সপেক্টর, বাংলাদেশ পুলিশ; জনাব সৈয়দ রফিকুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক; জনাব মোহাম্মদ তফাজ্জুল হোসেন, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক; জনাব কিমিয়া সাআদত, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি. এবং কোম্পানি সচিব জনাব সাইফুল আলম এফসিএস সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ই-কমার্স খাতের পথপ্রদর্শক প্রতিষ্ঠান দারাজ বাংলাদেশ আরও একবার বছরের সর্ববৃহৎ বিক্রয় উৎসব—১১.১১ ক্যাম্পেইন নিয়ে হাজির হয়েছে, যার মূল প্রতিপাদ্য “দ্য রিয়েল বস”। বিকিকিনির এই মহোৎসব শুরু হবে আজ রাত ৮টা থেকে এবং চলবে ২১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সকল পণ্য ক্যাটাগরিতে উপভোগ করতে পারবেন নজিরবিহীন ছাড়, রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতা এবং লাভজনক শপিং অভিজ্ঞতা।
ক্যাম্পেইনে থাকছে ডিলের রেকর্ড সংগ্রহ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ফ্ল্যাশ সেল ও মেগা ডিলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যহ্রাস, হট ডিলে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং বিশেষ আকর্ষণ ১১ / ১১১ / ১,১১১ / ১১,১১১ টাকার ডিল। দারাজ নিশ্চিত করেছে যে সকল মেগা ডিলের মূল্য প্রচলিত অফলাইন বাজারের মূল্যের চেয়ে বহুলাংশে কম থাকবে। এছাড়া, ক্রেতারা ফ্ল্যাট ডিসকাউন্টসহ ব্র্যান্ড রাশ আওয়ারের সুবিধা নিতে পারবেন। ৩৯৯ টাকা ও ৭৯৯ টাকার উপরে অর্ডারে ডেলিভারি ডিসকাউন্ট ও ফ্রি ডেলিভারি সহ বিস্তৃত পণ্যে থাকছে ফ্রি ডেলিভারি অফার।
ক্রেতাদের অনলাইন কেনাকাটাকে সহজবোধ্য করতে এবারে আয়োজন করা হয়েছে দারাজের জনপ্রিয় ১ টাকা গেম, যেখানে যে কেউ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নির্ধারিত পণ্য অর্ডার করার মাধ্যমে অংশ নিতে পারবেন। এই গেমে রয়েছে ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার, প্রথম পুরস্কার ডেটল-স্পন্সরড রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০ বাইক, দ্বিতীয় পুরস্কার লটো-প্রদত্ত শ্রীলঙ্কা যুগল ভ্রমণের প্যাকেজ, তৃতীয় পুরস্কার রিভোর সৌজন্যে রিভো এ১১ ইলেকট্রিক স্কুটার, এবং আরও ৭টি চমকপ্রদ পুরস্কার। এই আকর্ষণীয় পুরস্কারগুলো জেতার জন্য ক্রেতাদের, গেম লাইভ হওয়ার সময় থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বিনামুল্যে ১ টাকার পণ্যগুলো অবশ্যই অর্ডার করে প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য হতে হবে। এরপর আজ রাত ৮টায় মূল বিকিকিনি শুরু হওয়ার পর গ্রাহকরা প্রতিদিনের মজার মিশন এবং সরাসরি কেনাকাটার চ্যালেঞ্জগুলিতে অংশ নিতে পারবেন। পুরস্কার জেতার জন্য বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে সর্বাধিক ডেলিভারি হওয়া অর্ডার সংখ্যার ভিত্তিতে যেখানে গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী হওয়ার জন্য অংশগ্রহণকারীকে ন্যূনতম ৩০০ টাকার ডেটল পণ্য কেনার শর্ত পূরণ করতে হবে।
এই বছর ১১.১১ ক্যাম্পেইনের ইভেন্টগুলো আরও বিস্তৃত ও সুবিন্যস্ত। কেনাকাটার এই উৎসব শুরু হবে আজ রাত ৮টায় মিডনাইট রাশ আওয়ারের মাধ্যমে, যেখানে রাত ৮টা-৯টা এবং রাত ১২টা-১টায় থাকছে ৮ শতাংশ উচ্চমূল্যের ভাউচার। এরপর ক্যাম্পেইন চলাকালীন যেকোনো সময় সারপ্রাইজ ফ্ল্যাশ ভাউচার পাওয়া যাবে। ক্যাম্পেইনে থাকছে ইলেকট্রিকাল টুয়েসডে, বুধবারের বাজার, বিউটি অ্যান্ড ওয়েলনেস থার্সডে, লাইফস্টাইল কোজি ফ্রাইডে, চয়েস ডে স্যাটারডে, ফ্যাশন ফরোয়ার্ড সানডে এবং ডি-মল মানডে (দারাজমল মানডে) -এর মতো থিমভিত্তিক দিন। পাশাপাশি, আবুল খায়ের, হায়ার, বাটা, লটো, ইউনিলিভার, শান, গ্লোবাল ব্র্যান্ডস, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, এবং মিস্টিন এর মত শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বিশেষ ছাড় নিয়ে ব্র্যান্ড ডে আয়োজন করবে। দারাজ চয়েস চ্যানেলের ব্যবহারকারীরা ৪টি কিনলে ফ্রি ডেলিভারি এবং ৫টি কিনলে ১টি ফ্রি সহ ফ্রি ডেলিভারি-এর মতো বিশেষ অফার পাবেন।
এই ক্যাম্পেইনে ব্র্যান্ড পার্টনারদের একটি বৃহৎ মেলবন্ধন ঘটেছে। হায়ার, লটো, ইউনিলিভার, ডেটল এবং হিমালয়া হলো এক্সক্লুসিভ প্ল্যাটিনাম পার্টনার, এবং আবুল খায়ের, বাটা, মিস্টিন, শান, ম্যারিকো, মোশন ভিউ, এবং ন্যাচারকেয়ার হলো গোল্ড স্পন্সর। মামাআর্থ, টিপিলিংক, অর্গানিক নিউট্রিশন, ফ্রেশ, এসিআই, নিওকেয়ার সিলভার স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
এই সুবিশাল অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করছে যে গ্রাহকরা ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন, এফএমসিজি, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং লাইফস্টাইল সহ সকল প্রধান ক্যাটাগরিতে বছরের সেরা দামে প্রিমিয়াম পণ্য হাতে পাবেন।
এই মেগা ক্যাম্পেইনকে আরও লাভজনক করতে, দারাজ দেশের শীর্ষস্থানীয় পেমেন্ট পার্টনারদের সাথে একযোগে কাজ করছে। বিকাশ, নগদ, মাস্টারকার্ড, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, সিটি ব্যাংক পিএলসি, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি ব্যাংক পিএলসি, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলে গ্রাহকরা ভাউচারের মাধ্যমে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত সাশ্রয় নিশ্চিত করতে পারবেন। এছাড়াও, গ্রাহকরা বরাবরের মতো ৬ মাস পর্যন্ত ০% ইন্টারেস্ট ইএমআই (কিস্তি) সুবিধা নিতে পারবেন।
১১.১১ এর আগেই, দারাজ বাংলাদেশ তাদের দারাজমল প্ল্যাটফর্মের উন্নত সংস্করণ উন্মোচন করেছে—যা ভেরিফাইড ব্র্যান্ড ও অনুমোদিত বিক্রেতাদের থেকে নির্ভরযোগ্য পণ্য পাওয়ার জন্য দেশের একটি বিশ্বস্ত অনলাইন গন্তব্য। নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি অথেন্টিসিটি গ্যারান্টি সহ তিন গুণ ক্যাশব্যাক (শর্ত প্রযোজ্য) অফার করছে নতুন দারাজমলের ব্র্যান্ড ও অনুমোদিত বিক্রেতারা, যা গ্রাহকদের ১১.১১ এবং এর পরেও আরও বেশি আস্থা ও সুবিধা দেবে।
ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বেন ই বলেন, "১১.১১ এখন আর কেবলমাত্র একটি বিক্রয় উৎসব নয়—এটি দেশের অনলাইন কেনাকাটা এবং ক্রেতাদের বিপুল উৎসাহের এক জাতীয় মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর, আমরা আরও বেশি মূল্যছাড়, উন্নততর গ্রাহকসেবা এবং ফলপ্রসূ শপিং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বাজারের মানদণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 'দ্য রিয়াল বস' আমাদের সেইসব সম্মানিত গ্রাহকদের ভূমিকাকেই চিহ্নিত করে, যাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ১১.১১-কে আজ এই বিশাল পরিসর দিয়েছে। এবারের আয়োজনে নজিরবিহীন ডিল, সুচিন্তিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং অবিশ্বাস্য পুরস্কারের সমন্বয়ে আমরা সেই পরিধিকে আরও বহুগুণে বিস্তৃত করেছি।"
অসাধারণ ফ্ল্যাশ সেল থেকে শুরু করে গ্র্যান্ড গিভাওয়ে পর্যন্ত, ১১.১১ “দ্য রিয়েল বস” সারা দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের জন্য অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে প্রস্তুত। আজই দারাজ ১১.১১ ক্যাম্পেইন পেজ ভিজিট করুন অথবা দারাজ অ্যাপ ডাউনলোড করুন। লাইভ আপডেট পেতে দারাজ বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকুন আর উপভোগ করুন বছরের সবচেয়ে বড় সেল দারাজ ১১.১১!
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের অংশ হিসেবে ০৫ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মোঃ মোকসুদুজ্জামান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজম্যান্ট থেকে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন হিউম্যান রিসোর্সেস ডিগ্রী লাভ করেন। মোঃ মোকসুদুজ্জামান ১৯৯৯ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
আর্থিক স্থিতিশীলতা ও গ্রাহকদের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান বজায় রেখেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে সর্বমোট ৩৮৪.৭৬ কোটি টাকার বিমা দাবি পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে দেশে অন্যতম নির্ভরযোগ্য ও আর্থিকভাবে সক্ষম ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
পরিশোধকৃত দাবির মধ্যে মৃত্যুজনিত দাবি বাবদ ২১৮.৪৯ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যবিমা দাবিতে ১৪৪.৫৪ কোটি টাকা এবং পলিসি মেয়াদপূর্তি ও অন্যান্য দাবি পরিশোধ বাবদ ২১.৭৩ কোটি টাকা নিষ্পত্তি করেছে গার্ডিয়ান। প্রয়োজনের সময়ে গ্রাহক ও তাদের পরিবারের সদস্যের পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ গার্ডিয়ান; প্রতিটি ক্ষেত্রে দাবি নিষ্পত্তি প্রতিষ্ঠানটির সে অঙ্গীকার পূরণের প্রতিফলন।
এ নিয়ে গার্ডিয়ান লাইফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ বলেন, “দাবি নিষ্পত্তি শুধুমাত্র লেনদেনই নয়; আমাদের কাছে দাবি পরিশোধের মানে হচ্ছে গ্রাহকদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি দাবি পূরণের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও দ্রুততা নিশ্চিত করি; পাশাপাশি, গ্রাহক স্বাচ্ছন্দ্যকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি। ডিজিটাল ব্যবস্থা ও সুশাসনে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আমাদের নির্ভরযোগ্য অবস্থান, দক্ষতা ও গ্রাহক আস্থার প্রতি অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।”
উদ্ভাবন, নিষ্ঠা ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ইন্স্যুরেন্স অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে ব্র্যাক, এপেক্স ও স্কয়ারের যৌথ লক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয় গার্ডিয়ান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি রিটেইল, গ্রুপ, মাইক্রোইন্স্যুরেন্স, ডিজিটাল ও ব্যাংকাস্যুরেন্স চ্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ১.৩ কোটি মানুষকে সেবা দিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ৫০০ -এরও বেশি দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
দেশের প্রথম ও একমাত্র শতভাগ ক্যাশলেস ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে গার্ডিয়ান লাইফ নিরাপদ ডিজিটাল ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ও দাবি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। গ্রাহকেরা যেন আত্মবিশাসী বোধ করেন এবং নিজেদের লেনদেনের ওপর যেন তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে, এজন্য গার্ডিয়ান লাইফে ক্যাশলেস মডেলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনে কাজ করছে গার্ডিয়ান। প্রতিষ্ঠানটি দেশজুড়ে গ্রাহক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা, কমিউনিটির ক্ষমতায়ন এবং দেশের ইন্স্যুরেন্সের খাতকে আরও স্মার্ট, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এআই প্রযুক্তির ব্যবহারসহ যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আজ ১০ নভেম্বর ২০২৫ইং তারিখে স্বাক্ষরিত হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি ও এআই এর ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা কার্যক্রমকে বিরাট অবদান রাখবে এই সমঝোতা স্মারক। রোগ নির্ণয়ে নির্ভুলতা নিশ্চিত করা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময় করা, এআই মডেল তৈরি ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একাডেমিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া, রোগ নির্ণয়ে নিত্য নতুন উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভূমিকা রাখবে এই সমঝোতা। বিশেষ করে নিখুঁতভাবে ক্যান্সার নির্ণয় ও উন্নত চিকিৎসায় অবদান রাখবে আজকের এই মহৎ উদ্যোগ। এমওইউতে বিএমইউর পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিএমইউর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন উক্ত ইউনিভার্সিটির মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী, পিএইচডি। এছাড়াও বিএমইউর পক্ষে বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স এর সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. শিরীন তরফদার, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মনির উদ্দিন সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি: এ্যাডভান্সিং মেডিক্যাল এডুকেশন, রিসার্চ এন্ড হেলথকেয়ার পার্টনারশিপস’ বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমইউর সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মোহাম্মদ মনির উদ্দিন ‘এ্যাডভান্স রিসার্চ অন বায়োমেডিক্যাল ডাটা ফর প্রিসিশন ডায়াগনোসিস এপ্লাইয়িং মাল্টিমোডাল-এআই’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সম্মানিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, এনএসইউর অধ্যাপক দীপক কুমার মিত্র।
বিএমইউর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়ের বর্তমান প্রশাসন উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চিকিৎসাসেবা, গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির এই যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যখাতকেও সেভাবেই এগিয়ে নিতে হবে। সেই লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজন দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করা। আজকের এই সমঝোতা স্মারক সেরকমই একটি উদ্যোগের বাস্তব প্রতিফলন। যার মূল লক্ষ্য রোগীদের সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করার সাথে সাথে উন্নত গবেষণা ও গুণগত শিক্ষা কার্যক্রমকেও এগিয়ে নেওয়া।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী, পিএইচডি বলেন, বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞান অভাবনীয়ভাবে এগিয়ে গেছে। নিত্যনতুন উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীর মাধ্যমে নির্ভুলভাবে রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান কার্যক্রমেও বিরাট অবদান রাখছে। বিএমইউ এবং এনএসইউর মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক নিখুঁতভাবে রোগ নির্ণয়সহ সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদান ও যৌথ গবেষণায় মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে বিএমইউর সম্মানিত ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ শামীম আহমেদ, ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিয়ার রহমান, ডিন অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরী, ডিন ডা. সাখাওয়াত হোসেন, নিউরোসার্জন ডা. মোঃ রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের একান্ত সচিব-২ মোঃ লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: ডা. সাইফুল আজম রঞ্জু। ছবি: মোঃ আরিফ খান। নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার।
সিটি ব্যাংক এবং ইউনিসেফ সম্প্রতি এক নতুন অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী, বিশেষ করে মেয়েদের, কর্মসংস্থান ও উদ্যোগ দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হবে।
সম্প্রতি সিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মাহিয়া জুনেদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও কাজী আজিজুর রহমান, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, যেমন বাগেরহাট জেলার কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা বাজারচাহিদা নির্ভও প্রশিক্ষণ, ক্যারিয়ার কোচিং এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ফলপ্রসূ শিক্ষার সুযোগের ওপর গুরুত্ব দেবে, যাতে পিছিয়ে পড়া তরুণ প্রজন্ম টেকসই জীবিকা গড়ে তুলতে পারে এবং জলবায়ু সহনশীল সম্প্রদায় গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “প্রত্যেক শিশু ও তরুণের স্বপ্ন দেখার, শেখার এবং বিকশিত হওয়ার অধিকার আছে। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব কেবল দক্ষতায় বিনিয়োগ নয়, এটি শিশুদের আশায় বিনিয়োগ। জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বঞ্চিত কিশোরী ও তরুণীদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে আমরা তাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছি। বেসরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি যেখানে প্রতিটি তরুণ অবদান রাখতে পারবে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে পারবে।”
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “বাংলাদেশে ইউনিসেফ দীর্ঘদিন ধরে শিশু ও তরুণদের জীবনোন্নয়ন ও নানা সুযোগ সৃষ্টি করে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। এই অর্থবহ অংশীদারত্বে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একসাথে আমরা তরুণদের, বিশেষ করে মেয়েদের এমন দক্ষতা ও সুযোগ তৈরি করতে চাই যা তাদেরকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
এশিয়া কোটিংস প্রাইভেট লিমিটেডকে উন্নত ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং সেবা দিতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এটি প্রতিষ্ঠানটির রিসিভেবল ম্যানেজমেন্টকে আরও কার্যকর ও সহজ করবে।
এই সহযোগিতার লক্ষ্য হলো ডিলার ও পরিবেশকদের কালেকশন প্রক্রিয়ায় গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
এই চুক্তির আওতায় এশিয়া কোটিংস ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সল্যুশন ব্যবহার করবে। এই ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় যুক্ত থাকবে প্রায় ৩০০ ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার, যা রিয়েল-টাইম কালেকশন ও সহজ রিকনসিলিয়েশন নিশ্চিত করবে।
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ, হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ. কে. এম. ফয়সাল হালিম এবং হেড অব কমার্শিয়াল ব্যাংকিং এ. টি. এম. জামাল উদ্দিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এশিয়া কোটিংস প্রাইভেট লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর শামারা ওয়ানিয়ারাচ্চি এবং হেড অব ফাইন্যান্স আহসান কবিরসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই উদ্যোগটি উদ্ভাবনী ও কার্যকর ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের অপারেশনাল দক্ষতা ও ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টকে আরও উন্নত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
২০২৫ সালের হেলি গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্সে ‘হেলি লয়্যালটি অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে বিদ্যুৎ প্রকৌশল খাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক। কোম্পানিটি গত ২০ বছর ধরে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে হেলি ফর্ক লিফট ও অন্যান্য ম্যাটেরিয়াল হ্যান্ডলিং পণ্য সরবরাহ করে আসছে। হেলির সঙ্গে এনার্জিপ্যাকের এই ধারাবাহিক অংশীদারিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
চীনের আনহুই প্রদেশের লেবানশান হোটেলে অনুষ্ঠিত আনহুই হেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভেহিকল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোং লি এর বার্ষিক সম্মেলনে পুরস্কারটি এনার্জিপ্যাকের হাতে তুলে দেয়া হয়। সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিবেশকেরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা হেলির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নতুন প্রজন্মের ম্যাটারিয়াল হ্যান্ডলিং সল্যুশন নিয়ে আলোচনা করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ বলেন, “হেলির কাছ থেকে পাওয়া এই স্বীকৃতি কেবল আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ নয়, বরং এটি আমাদের যৌথ বিশ্বাস— নির্ভরযোগ্য যন্ত্রপাতি অর্থনীতির ভিতকে আরও শক্তিশালী করে— এরই প্রতিফলন। বিগত দুই দশকে বাংলাদেশের শিল্পায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে হেলির অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা সেই যাত্রার অংশ হতে পেরে গর্বিত। ভবিষ্যতেও আমরা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সমাধান প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।”
বাংলাদেশে হেলির একমাত্র পরিবেশক হিসেবে এনার্জিপ্যাক বর্তমানে ১-১০ টন ক্ষমতার ইলেকট্রিক ফর্কলিফট, ১-৪৬ টন ক্ষমতার ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন ফর্কলিফট, ইলেকট্রিক প্যালেট ট্রাক ও স্ট্যাকার, টো ট্রাক, এম্পটি কনটেইনার হ্যান্ডলার, রিচ স্ট্যাকার, হুইল লোডারসহ নানা ধরণের যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে।
প্রায় তিন দশক ধরে আনহুই হেলি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভেহিকল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোং লিমিটেড চীনের ফর্কলিফট বাজারে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ফর্কলিফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
এই ‘লয়্যালটি অ্যাওয়ার্ড’ এনার্জিপ্যাক ও হেলির দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের প্রতীক, যা বছরের পর বছর আস্থা ও দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাতের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে চলেছে।