ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত উদ্যোক্তা মেলা ‘ব্যাটল অব ট্রেডার্স–সিজন ৫’ এবং উইন্টার ফেস্ট। তিন দিনব্যাপী মেলাটির আয়োজন করেছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারশিপ ক্লাব (BSEC)।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসোরিয়াল ফেলো অধ্যাপক হাফিজ টি. এ. খান (Prof. Hafiz T. A. Khan, Professorial Fellow, Oxford University)।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডিনরা, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী।
এই উদ্যোক্তা মেলায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। নানা ধরনের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী স্টরের বাহারি পণ্যে সেজেছে মেলাটি। মেলাটি তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়ন, পণ্য প্রদর্শন ও উদ্যোক্তা সক্ষমতা বিকাশে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য তরুণদের উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী শিক্ষা ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন।
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। উদ্যোক্তা মেলার পাশাপাশি উইন্টার ফেস্ট উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের বাহারি পিঠা ও খাবারের স্টল, যা ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ওই মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অফিস অব দ্য স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও প্লেসমেন্টের উপপরিচালক কে এম মনিরুল ইসলাম।
সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যবস্থাপকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ‘৫ম শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন- ২০২৫’ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূবালী ব্যাংকের ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলাধীন শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দের অংশগ্রহণে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আল মামুন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চল প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক আবু লাইছ মো. শামসুজ্জামান ।
২০২৫ সালে ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিভিন্ন কৌশল ও দিক নিয়ে সম্মেলনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
দেশের পেট্রোল পাম্প মালিকদের জন্য বিশেষায়িত গ্রিন ফাইন্যান্সিং সুবিধা চালুর লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. ও ফ্লোকো বাংলাদেশ লিমিটেড। সম্প্রতি ব্যাংকের কর্পোরেট অফিসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা খুচরা জ্বালানি খাতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কার্যক্রম সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই চুক্তির আওতায়, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি যোগ্য পেট্রোল পাম্প মালিকদের বিশেষভাবে নকশাকৃত গ্রিন ফাইন্যান্সিং সমাধান প্রদান করবে। এসব অর্থায়ন সুবিধার মাধ্যমে পাম্প মালিকরা ব্যায়বহুল প্রাথমিক বিনিয়োগের চাপ ছাড়াই আধুনিক ফুয়েল ট্যাংক পরিষ্কারকরণ, স্লাজ অপসারণ এবং বাষ্প নির্গমন হ্রাস প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবেন। এ উদ্যোগটি বাংলাদেশের জাতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এবং পরিবেশগত সম্মতি নিশ্চিতকরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, পাশাপাশি ডাউনস্ট্রিম ফুয়েল রিটেইল খাতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।
সমঝোতা স্মারকে প্রাইম ব্যাংক পিএলসির পক্ষে স্বাক্ষর করেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং ফ্লোকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর তৌহিদ ইফতাখার হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংক পিএলসির এসএমই বিজনেস বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান মোহাম্মদ আমিনুর রহমান এবং এস বিজনেস ও রিফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান শেখ নূর আলম। এছাড়াও ফ্লোকো বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান মারুফ আলমসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
উন্নত পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও সহজলভ্য অর্থায়নের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এবং ফ্লোকো বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের জ্বালানি অবকাঠামো খাতে পরিবেশগত দায়বদ্ধতার একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে যাচ্ছে।
এডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ পিএলসি (এসিআই) -এর ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভা গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানির চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
উক্ত সভায় ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত অর্থ বছরের জন্য প্রস্তুতকৃত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী সমূহ ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ পরিচালকমন্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডারগণ উক্ত অর্থবছরের জন্য ২৫% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেন।
এডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ পিএলসি - এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা ব্যবসার উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরেন এবং শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
ড. আরিফ দৌলা সার্বিক সহযোগিতার জন্য কোম্পানির স্টেকহোল্ডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রচেষ্টা ও অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন (বিসএ)-এর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২০২৫ ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউস্থ বিএডিসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংগঠনের সদস্য, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সভার শুরুতে শেখ আব্দুল হালিমের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এজিএমে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর তথ্যসমৃদ্ধ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে বিএসের সেক্রেটারি জেনারেল ড. আলী আফজালের উপস্থাপনায় ২০২৪ সালের বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয় এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অডিটর নিয়োগ ও অডিট ফি নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সংগঠনের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৫ উপস্থাপন করা হয় এবং তা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অনলাইন মেম্বারশিপ সফটওয়্যার-সংক্রান্ত প্রেজেন্টেশনও সভায় তুলে ধরা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। মধ্যাহ্নভোজ ও নামাজের বিরতির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক আয়োজন ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়, যা উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।
সভা শেষে সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে দেশের বীজ খাতের উন্নয়ন, গবেষণা ও মানোন্নয়নে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা আরও জোরদার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি) স্টুডেন্ট রিসার্চ ডে ২০২৫ আয়োজন করে গত রোববার ইউনিভার্সিটির মাল্টিপারপাজ হলে। ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এতে ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের মোট ৫৫ জন শিক্ষার্থী তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। উপস্থাপিত গবেষণাগুলোতে নানা বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক অনুসন্ধান ও সমস্যা সমাধানের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসেনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এর চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমেরিটাস ড. সৈয়দ সাদ আন্দালীব।
শিক্ষার্থীদের গবেষণা উপস্থাপনাগুলো বিচার করেন দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা একদল বিশেষজ্ঞ। বিচারক প্যানেলে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইউনিভার্সিটি অব শারজাহর সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমেদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. এনামুল হক, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।
মৌখিক উপস্থাপনায় সেরা নির্বাচিত হন ইইই বিভাগের মো. নাফিস ইমতিয়াজ, ফার্মেসি বিভাগের সাজেদ আহমেদ রিফাত এবং ইংরেজি বিভাগের শানজিদা আক্তার প্রীতি। পোস্টার উপস্থাপনায় সেরা হন ইইই বিভাগের মোহাম্মদ ফারহান তানভীর, ইংরেজি বিভাগের আনামিকা আক্তার ওমি এবং সিএসই বিভাগের মো. আব্দুর রহমান।
আইআরটির পরিচালক অধ্যাপক ড. হাসনাত এম. আলমগীর পুরো অনুষ্ঠানটি মডারেট করেন। তিনি অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজনের জন্য সকল আয়োজক ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিশুবিষয়ক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহুদ্দিন আহমেদ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের Spring-2021 থেকে Summer-2025 পর্যন্ত বিভিন্ন প্রোগ্রামে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এবারের সমাবর্তনে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল এবং ৮৩ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেলসহ মোট ৯৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। সমাবর্তনের অংশ হিসেবে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বে জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেজের দল, মাহতিম সাকিব ও শাহরিয়ার চৌধুরী তাদের পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। পাশাপাশি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির সাংস্কৃতিক ক্লাবের উদ্যোগে নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর করে তোলা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ, জেনারেল সেক্রেটারি ও প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল আলিম, ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা, ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা আজিজুল বারী (শিপু) এবং এল. মীর আবদুল আলিম। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর শামিম আরা হাসান, উপউপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর বুলবুল আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম এবং ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)-এর ৫৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্প্রতি ঢাকার নীলক্ষেতস্থ আইসিএমএ ভবনের রুহুল কুদ্দুস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় ফেলো ও অ্যাসোসিয়েট সদস্যবৃন্দ, সাবেক সভাপতিসহ কাউন্সিলের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এজিএম-এ প্রতিষ্ঠানের গত বছরের কার্যক্রম ও অর্জন পর্যালোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যৎ কৌশলগত দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
আইসিএমএবির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুব-উল-আলম, এফসিএমএ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক অগ্রগতি ও অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, এফসিএমএ। তিনি সদস্যদের অব্যাহত সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি সিএমএ পেশায় উদ্ভাবন, রূপান্তর ও পেশাগত উৎকর্ষ নিশ্চিত করতে চলতি বছরে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
সিএমএ পরীক্ষা ব্যবস্থার বছরব্যাপী কার্যক্রম ও অগ্রগতি তুলে ধরেন সহ-সভাপতি আবদুল মতিন পাটোয়ারী, এফসিএমএ। অপর সহ-সভাপতি মো. কাউসার আলম, এফসিএমএ ২০২৫ সালে সিএমএ শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম ও উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন।
আইসিএমএবির সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, এফসিএমএ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম ও অর্জনের পাশাপাশি নিরীক্ষিত হিসাব ও আর্থিক বিবরণী সভায় উপস্থাপন করেন।
এজিএম-এ উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ থাকায় সদস্যরা বার্ষিক প্রতিবেদন ও বিভিন্ন পেশাগত বিষয়ে গঠনমূলক মতামত প্রদান করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে ফেলো ও অ্যাসোসিয়েট সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ সভায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সম্পৃক্ততার শক্তিশালী চিত্র তুলে ধরে।
এজিএমের পাশাপাশি একই দিনে আইসিএমএবি কাউন্সিল নির্বাচন এবং ঢাকা ব্রাঞ্চ কাউন্সিল (ডিবিসি) নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়।
ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩ এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙ্গামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারির জাকির হোসেন এবং শীতকুন্ডের মো. জোবায়ের।
সম্প্রতি বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসাতেই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার প্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিক্স খাতের আমদানি নির্ভরতা ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহবান জানান তিনি।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩ এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। ২৫ জানুয়ারি, ২০২৬ তারিখ পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে ।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক ‘ব্যাংক এশিয়া’ তাদের ইসলামিক ব্যাংকিং সেবার সফলতার ১৭ বছর পূর্ণ করেছে। এই বিশেষ মাইলফলক উদযাপন উপলক্ষে গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়া টাওয়ারে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর শরীয়াহ ভিত্তিক আধুনিক ব্যাংকিং সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ব্যাংক এশিয়ার ইসলামিক ব্যাংকিং উইং। দীর্ঘ ১৭ বছরের এই পথচলায় প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত ইসলামিক ব্যাংকিং সেবাদাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব ও শরীয়াহ পরিপালন নিয়ে আলোচনা করেন ব্যাংকের শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মুফতি শাহেদ রহমানী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির প্রাক্তন সদস্য সচিব মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ্, ফকিহ্ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ মোফাজ্জল হুসাইন খান এবং ড. মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। ধর্মীয় স্কলারদের এই উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে এক ভিন্ন মর্যাদা দান করে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিকুল আরেফিন। এ সময় অন্যান্য উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ব্যাংক এশিয়া শুরু থেকেই শরীয়াহ নীতিমালাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমানত সংগ্রহ ও বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান—সকল স্তরের গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজনীয় ও কল্যাণমুখী ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করাই এই বিভাগের মূল লক্ষ্য।
আলোচনা শেষে এক বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়, যেখানে ব্যাংক এশিয়ার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। দীর্ঘ ১৭ বছরের অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয়ে ব্যাংক এশিয়া আগামী দিনগুলোতে আরও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। মূলত গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন এবং স্বচ্ছ শরীয়াহ ভিত্তিক অর্থায়নের মাধ্যমেই ব্যাংকটি আগামীর পথে এগিয়ে যেতে চায়।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ পিএলসি (এসিআই) তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত কোম্পানির ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এসিআই-এর চেয়ারম্যান জনাব এম আনিস উদ দৌলা।
অনুষ্ঠানে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত অর্থ বছরের জন্য প্রস্তুতকৃত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন পেশ করা হলে শেয়ারহোল্ডারগণ তা অনুমোদন করেন। একই সাথে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের আস্থা ও সমর্থনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করা হয়।
সভায় এসিআই পিএলসি-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা বিগত বছরের ব্যবসায়িক সাফল্য এবং প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো তুলে ধরেন। তিনি শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
ড. আরিফ দৌলা তাঁর বক্তব্যে কোম্পানির সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি এসিআই-এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিষ্ঠা এবং নিরলস পরিশ্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁদের ধন্যবাদ জানান। মূলত মানসম্মত পণ্য ও সেবার মাধ্যমে বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করাই প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য বলে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন।
সম্প্রতি পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল দি সী-প্রিন্সেস-এর নাগর ব্যানকুয়েট হলে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের তিন দিনব্যাপী এক বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। ‘Rebuild Trust on ICB Islamic Bank’ বা ‘আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ওপর আস্থা পুনর্গঠন’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটির ‘বিজনেস কনফারেন্স ২০২৫’, ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ২০২৬-২০৩০’ এবং ‘এমপ্লয়িজ কনফারেন্স ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে ব্যাংকটির আমানতকারী, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী এবং সারা দেশের বিভিন্ন শাখা থেকে আগত প্রায় ২০০ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপের পরিচালক এবং আকিজ মটরস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আমিন উদ্দিনের উপস্থিতি। তিনি তাঁর বক্তব্যে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের সাথে পুনরায় ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মজিবুর রহমানের চৌকস নেতৃত্ব ও সুশাসনে মুগ্ধ হয়ে আকিজ মটরস পুনরায় এই ব্যাংকের সাথে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। বর্তমানে আকিজ সিএনজি স্টেশনের লেনদেন এই ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং শীঘ্রই আকিজ গ্রুপের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য যাবতীয় লেনদেন আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালনার ঘোষণা দেন তিনি। ব্যাংকের আধুনিক গ্রাহকসেবা ও শক্তিশালী ব্যবস্থাপনারও ভূয়সী প্রশংসা করেন এই শীর্ষ ব্যবসায়ী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মজিবুর রহমান। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডেপুটেশনে কর্মরত অতিরিক্ত পরিচালক ডক্টর সুমন্ত কুমার সাহা ব্যাংকের ২০২৬-২০৩০ মেয়াদী পাঁচ বছর মেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের রূপরেখা তুলে ধরেন। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠানটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের প্রথম সারির একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংকে উন্নীত করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া করপোরেট ক্লায়েন্ট হিসেবে প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রাহাত খলিলসহ বিভিন্ন শীর্ষ ব্যবসায়ীরা এই ব্যাংকের সাথে তাঁদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত ‘এমপ্লয়িজ কনফারেন্স’-এ বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপকগণ তাঁদের দৈনিক কার্যক্রমের সীমাবদ্ধতা, সমস্যা ও আগামীর সম্ভাবনাগুলো সরাসরি চেয়ারম্যানের সামনে উপস্থাপন করেন। জনাব মোঃ মজিবুর রহমান প্রতিটি বিষয়ের গঠনমূলক ব্যাখ্যা প্রদান করেন এবং তাৎক্ষণিক সমাধানের পথ বাতলে দেন। ব্যাংকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ধরনের বড় কর্মসূচি গ্রহণের ফলে কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত অর্থায়নে হলেও নিয়মিত এ ধরণের অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান।
পরিশেষে, চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ মজিবুর রহমান ব্যাংকের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে সকলের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সঠিক নেতৃত্ব এবং গ্রাহক ও কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক খুব শীঘ্রই দেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করবে। মূলত আস্থার সংকট কাটিয়ে নতুন উদ্যমে পথচলাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
এসিআই ফর্মুলেশনস পিএলসি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা।
অনুষ্ঠানে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন পেশ করা হলে তা শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্তটিও চূড়ান্ত করা হয়।
সভায় এসিআই ফর্মুলেশনস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুস্মিতা আনিস কোম্পানির ব্যবসায়িক অগ্রগতি ও উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো তুলে ধরেন। তিনি শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁদের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠা ও শ্রমের প্রশংসা করে সকলকে ধন্যবাদ জানান।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এই সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসিআই ফর্মুলেশনস তাদের মানসম্মত পণ্য ও সেবার মাধ্যমে বাজারে অবস্থান আরও সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।