শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
১১ পৌষ ১৪৩২

তারেক রহমানের ভোটার হতে আইনি কোনো বাধা নেই : ইসি মাছউদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:১৮

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটার হতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি জানান, ইসি চাইলে যেকোনো সময় যে কাউকে ভোটার করতে পারেন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসি মাছউদ দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।

এদিকে ভোটার হতে তারেক রহমান আজ শনিবার নির্বাচন ভবনে যাওয়ার কথা জানা গেছে।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন তারেক রহমান।

এর আগে ২২ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে শনিবার ভোটার হবেন।’


নির্বাচনে ভোট দিতে ৭ লাখ ১৭ হাজার নিবন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ইতোমধ্যেই ৭ লাখ ১৭ হাজার ২১৭ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করছেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যেই প্রবাসী ভোটারদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে। ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে জানিয়েছেন, গত ছয় দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২ লাখ ২ হাজার ৮৮৮ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।

ইসির ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধনকারীর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৬ জন এবং নারী ভোটার ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন।

প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সর্বাধিক নিবন্ধন এসেছে সৌদি আরব থেকে, যেখানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। কাতারে ৫৭ হাজার ৩১৬, ওমানে ৪৩ হাজার ২০৬, মালয়েশিয়ায় ৪০ হাজার ৩৩৩, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ৬৬২ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ হাজার ৫০০ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

দেশের ভিতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৫ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন।

জেলাভিত্তিক শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা ৬৬ হাজার ৫৯২ জন, ঢাকায় ৫৮ হাজার ৫৮৫; চট্টগ্রামে ৫৭ হাজার ৪৫৮; নোয়াখালীতে ৩৮ হাজার ১১৮, সিলেটে ২৮ হাজার ৬৭, চাঁদপুরে ২৬ হাজার ৩৫৬ জন। আসনভিত্তিক শীর্ষে ফেনী-৩ আসনে ১০ হাজার ৭৭৯ জন নিবন্ধন করেছেন, চট্টগ্রাম-১৫তে ৯ হাজার ৪১০, কুমিল্লা-১০-এ ৮ হাজার ৯৩৫ এবং নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৮৩২ জন।

গত সপ্তাহে বিভিন্ন দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ কুয়েতে ১০ হাজার, যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার ৫০০, কাতারে ১ হাজার ৫০০, পোল্যান্ডে ১ হাজার, বাহরাইনে ৪ হাজার ৫০০, মরিশাসে ৫০০, বেলজিয়ামে ২০০, আয়ারল্যান্ডে ৭০০, স্পেনে ১ হাজার ৫০০, সুইডেনে ৪৮৮, ডেনমার্কে ৬০০ এবং পর্তুগালে ২ হাজার ৫০০। এর আগে কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছিল। আরও আগে অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার, কাতারে ১১ হাজার এবং যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সহ অন্যান্য দেশে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।


ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে ঢাকা-১৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুচ আলী জামায়াত আমিরের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকা-১৫ আসন থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াত আমিরের পাশাপাশি বিএনপির শফিকুল ইসলাম খান মিল্টনসহ প্রায় এক ডজন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়াও একই দিনে ঢাকা-১৩ আসন থেকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক এবং জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সারাদিনে ঢাকা-১৩ ও ঢাকা-১৫ আসন মিলিয়ে মোট ২১ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। নির্বাচনী লড়াইকে কেন্দ্র করে রাজধানীর এই আসনগুলোতে এখন ব্যাপক রাজনৈতিক তৎপরতা ও আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সরাসরি অংশগ্রহণের খবরে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক কৌতূহল ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রার্থীরা এখন তাঁদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুছিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


বন্দিদের ভোট প্রদানে ইসির নির্দেশিকা জারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে দেশের বিভিন্ন কারাগার বা আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং’ বা আইসিপিভি পদ্ধতির মাধ্যমে আটক ব্যক্তিরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কারা মহাপরিদর্শকের কাছে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বন্দিদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেবে এবং এজন্য একটি সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি কারাগার বা ডিটেনশন সেন্টার থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেওয়া হবে, যাঁরা আটক ভোটারদের তথ্য পোর্টালে আপলোড করার পাশাপাশি নিবন্ধনের পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন। নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালট, নির্দেশাবলি ও ঘোষণাপত্র সংবলিত খামগুলো ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই খামে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার থাকবে।

কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের জন্য কারাগারের ভেতরেই একটি গোপন ভোটকক্ষ বা উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবে। পোস্টাল ব্যালট পেপারে কোনো প্রার্থীর নাম থাকবে না, সেখানে কেবল নির্বাচনি প্রতীক এবং তার পাশে ফাঁকা ঘর থাকবে। তাই ভোটারদের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ও প্রতীকগুলো কর্তৃপক্ষ আগেই সরবরাহ করবে। ভোটাররা তাঁদের পছন্দের প্রতীকের পাশে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন এবং একইভাবে গণভোটের ক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ঘরে ভোট প্রদান করবেন। ভোট দেওয়ার আগে ঘোষণাপত্রে নাম ও পরিচয় লিখে স্বাক্ষর করতে হবে, তবে কেউ স্বাক্ষর করতে না পারলে অন্য একজন ভোটার তা সত্যায়ন করে দেবেন।

ভোট প্রদান শেষে ব্যালট পেপারগুলো ছোট খামে ভরে এবং ঘোষণাপত্রসহ সবকিছু রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানায় পাঠানো হলুদ খামে ভরে মুখ বন্ধ করতে হবে। এই খামগুলো কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার পর সেগুলো অত্যন্ত সুরক্ষার সাথে ডাক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ডাক বিভাগের প্রতিনিধিরা দ্রুততম সময়ে এই ব্যালটগুলো সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছে দেবেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই ডাক যোগাযোগের জন্য ভোটারদের কোনো মাশুল দিতে হবে না, যার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। মূলত আইনি প্রক্রিয়ায় আটক থাকা নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার বজায় রাখতেই নির্বাচন কমিশন এই আধুনিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।


পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধনের সময় বাড়াল ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগে নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর নির্ধারিত থাকলেও তা বাড়িয়ে এখন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। যারা এখনো এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হননি, তাঁদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করার বিশেষ আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন সচিব আরও জানান, প্রার্থীরা যাতে তাঁদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যাংক লেনদেন ও আনুষঙ্গিক কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারেন, সেজন্য আগামী শনিবার দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক ও আর্থিক সকল প্রক্রিয়া সহজতর করাই ইসির মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আসন্ন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন যে, মাঠ পর্যায়ে এই বিষয়টি তদারকি করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দেশ ও প্রবাস মিলিয়ে মোট ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার পোস্টাল ব্যালটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনের দিন দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা রয়েছেন। কমিশন ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে এবং গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার প্রবাসীর ঠিকানায় ব্যালট পাঠানো সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের এই উদ্যোগটিকে আরও কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক করতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে।


হাইকোর্টে রিট খারিজ: নির্বাচনে লড়তে পারবেন না মাহমুদুর রহমান মান্না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বড় ধরনের আইনি ধাক্কা খেলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে তাঁর করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে গেল বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেন।

আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত জানান, আইন অনুযায়ী ঋণখেলাপি হওয়ায় মান্না নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তবে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন মান্নার আইনজীবীরা।

ঘটনার নেপথ্যে জানা যায়, মাহমুদুর রহমান মান্নার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’-এর কাছে বিপুল পরিমাণ পাওনা আদায়ে গত ১০ ডিসেম্বর ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করেছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা। বগুড়ার শিবগঞ্জে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকের খেলাপি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এই বকেয়া পরিশোধের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও মান্না বা তাঁর অংশীদাররা তা পরিশোধ করেননি।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বকেয়ার পরিমাণ বর্তমানে ৩৮ কোটি ছাড়িয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ওই কোল্ড স্টোরেজে মান্নার ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে, বাকি ৫০ শতাংশের মালিক তাঁর দুই অংশীদার। নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে এই বিশাল অঙ্কের ঋণখেলাপির বোঝা মান্নার রাজনৈতিক পথচলায় এক বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


মিত্রদের আরও ৮ আসন ছাড়ল বিএনপি: নুর-সাকী-রাশেদদের নাম ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মিত্র ও সহযোগীদের জন্য আরও ৮টি আসন ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা ঘোষণা করেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে ৪টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল দলটি।

ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বিএনপির সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে লড়বেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী। জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দার পিরোজপুর-১ আসন থেকে এবং এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। অন্যদিকে যশোর-৫ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি রশিদকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়াও সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দেওয়া ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭ এবং ববি হাজ্জাজ ঢাকা-১৩ আসন থেকে লড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া এসব আসনে বিএনপির কোনো নিজস্ব প্রার্থী থাকবে না। দলের কেউ যদি এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী ঐক্য সুসংহত রাখতেই এই ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি এ পর্যন্ত ২৭২ আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮টি আসনের মধ্যে গতকাল ৪টি এবং আজ ৮টি মিলিয়ে মোট ১২টি আসনে শরিক ও মিত্রদের ছাড় দেওয়া হলো। বর্তমানে ১৬টি আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি রয়েছে, যা খুব দ্রুতই জানানো হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। মূলত সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা সম্পন্ন করে একটি শক্তিশালী নির্বাচনী ফ্রন্ট হিসেবেই বিএনপি এবার ভোটের মাঠে নামার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে।


প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ৬ লাখ ৭২ হাজার ছাড়াল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থায় অংশ নিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন প্রবাসী ভোটার হিসেবে সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন পুরুষ এবং ৫০ হাজার ২১০ জন নারী ভোটার রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশনের এই উদ্ভাবনী উদ্যোগের ফলে প্রবাসী ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং নির্বাচনের দিন পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটকর্মীরাও সহজে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত অ্যাপে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। গত ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ভোটারদের বর্তমান ঠিকানায় ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে এবং তারা তাদের ভোট প্রদান করে নির্ধারিত ফিরতি খামের মাধ্যমে তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠাবেন।

বর্তমানে সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এই সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুত নিবন্ধিত হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রবাসীদের রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণের পথ সুগম করতে প্রায় ৫০ লাখ ভোটারকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার প্রস্তুতি হিসেবে এই আধুনিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া নির্বাচনী ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মূলত প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এবং ভোটদান প্রক্রিয়াকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতেই কমিশন এই ‘হাইব্রিড’ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।


পলাতক আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেরারি বা পলাতক আসামিদের প্রার্থী হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) নতুন বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি আইনের চোখে পলাতক থাকেন, তবে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের মধ্যে থাকা দীর্ঘদিনের বিভ্রান্তি দূর করতে কমিশন একটি বিশেষ পরিপত্র জারি করে ‘পলাতক’ ও ‘অভিযুক্ত’ আসামির সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। এই নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে দেশের সকল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে কার্যকর করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইসির জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, পলাতক আসামি বলতে সেই ব্যক্তিকে বোঝাবে যিনি জামিন পাওয়ার পর পালিয়ে গেছেন অথবা বিচার প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই আদালতে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও নির্দিষ্ট সময়ে আত্মসমর্পণ করেননি। অন্যদিকে, ‘অভিযুক্ত’ বলতে সেই আসামিকে বোঝানো হবে যার বিরুদ্ধে আদালত ইতিমধ্যে অভিযোগ গঠন বা চার্জ গঠন করেছেন। এর ফলে মামলার প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেও পলাতক হিসেবে চিহ্নিতরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

হলফনামা দাখিলের বিষয়েও ইসি নতুন নিয়ম স্পষ্ট করেছে। যারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে আদালতের জামিন আদেশের সত্যায়িত কপি জমা দেওয়া ঐচ্ছিক করা হয়েছে। তবে যারা বর্তমানে কারাগারে অন্তরীণ থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাদের হলফনামা অবশ্যই সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। এ ছাড়াও নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে প্রার্থী নিজে অথবা তাঁর নিয়োজিত নির্বাচনি এজেন্টের নামে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মূলত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং আইনি জটিলতা এড়াতেই ভোটগ্রহণের প্রায় ৫০ দিন আগে এই বিশেষ নির্দেশনা জারি করল ইসি। এই নির্দেশনার ফলে পলাতক নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সব পথ আনুষ্ঠানিকভাবে রুদ্ধ হয়ে গেল।


নির্বাচনী নিরপেক্ষতা রক্ষায় নতুন ভিডব্লিউবি ও এমসিবিপি কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ ইসির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে শতভাগ প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ রাখার লক্ষ্যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর অংশ হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি (এমসিবিপি) এবং ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি)-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর নতুন কোনো কার্যক্রম শুরু করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনী কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব প্রকল্পের অধীনে নতুন কোনো সুবিধাভোগী তালিকাভুক্তি বা নতুন করে কোনো বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। তবে সাধারণ জনজীবন যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য আগে থেকে চলমান থাকা নিয়মিত কার্যক্রমগুলো যথারীতি অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মূলত ভোটারদের প্রভাবিত করার সুযোগ বন্ধ করা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতেই এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি।

ইসি আরও উল্লেখ করেছে যে, যদি কোনো বিশেষ বা জরুরি কারণে নির্দিষ্ট এলাকায় নতুন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়ে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরাসরি তা করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিষয়টি পরিচালনা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের পথে কোনো ধরনের প্রশাসনিক বা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম যাতে বিতর্কের সৃষ্টি না করে, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে কমিশন।


নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছেন পুলিশ সুপাররা। এমনটি বাস্তবায়ন না হলে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চেয়েছেন তারা। নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তারা। পাশাপাশি সুষ্ঠু ভোটের জন্য নানা দাবির কথা তুলে ধরেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ডিসি-এসপি, সব রেঞ্জের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্মেলনে এমন দাবির কথা জানান এসপিরা।

এসপিরা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে আসামিসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করছি। আমাদের যানবাহন সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। একই দিনে দুটি নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ হবে। নির্বাচনের দিন অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভোট দিতে গেলে পুলিশকে বলা হয় সহযোগিতা করার জন্য। এখানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মীদের রাখার জন্য সুপারিশ করেন তারা।

পুলিশ সুপাররা আরও বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে পুলিশের যে বাজেট ছিল এটা বৈষম্য ছিল। এই নির্বাচনে বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করছি। এছাড়া আমরা পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার চাই।

সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা বলেন, মাঠ পর্যায়ে এখনো যে বৈধ অস্ত্র রয়েছে, দ্রুত সেগুলো উদ্ধার করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। দূর অঞ্চলে যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার দেওয়ার সুপারিশ করছি। এআই এবং অপতথ্য প্রচার আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। আইনের বাইরে আমরা একটি কাজও করতে রাজি নই। আমাদের অনেক উপজেলায় গাড়ি পুড়ে গেছে এবং সেসব উপজেলায় গাড়ি প্রয়োজন। এছাড়া গণভোটের প্রচারের জন্য সময় বাড়ানো দরকার। সীমান্ত জেলাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন বলেও জানান ডিসিরা।


কোনোভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করবেন না

ডিসি-এসপিদের সিইসি
আপডেটেড ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) কথা শুনে ‘বুকের জোর’ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আমি এখন অনেক আশ্বস্ত হয়ে ফিরছি। আপনাদের কথাবার্তা শুনে আমার বুকের জোর অনেক বেড়েছে। আপনারা মাঠে যান। আমি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। পেশাগতভাবে কাজ করবেন, কোনোভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করবেন না।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।

মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আমার একমাত্র এজেন্ডা হলো, আমি জাতির জন্য কিছু করতে পেরেছি—এটুকু সন্তুষ্টি নিয়ে মরতে চাই।’ তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নির্বাচনের ‘ভিভিআইপি’ হিসেবে অভিহিত করেন।

পুলিশ ও প্রশাসনকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখার নির্দেশ দেন সিইসি। ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের উসকানি অনেক হতে পারে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।

সিইসি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা যাতে নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন এবং ভোট দিয়ে শান্তিতে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন এখন ‘অভিযোগ কেন্দ্রে’ (কমপ্লেইন লজিং সেন্টার) পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত কমিশনে অভিযোগ আসছে। মানুষ জানে না যে অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে করতে হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের সামনে অভিযোগ জানানোর নম্বর টানিয়ে রাখার নির্দেশ দেন তিনি। যাতে কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে বা ভয়ভীতি দেখালে মানুষ অভিযোগ জানাতে পারেন।

ঢাকা শহর পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এগুলো সরানোর খবর তিনি পাচ্ছেন না। প্রতিটি কাজের প্রচার করার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনা বিধি পড়ার তাগিদ দিয়ে সিইসি বলেন, তা না হলে প্রাথমিক দায়িত্ব পালনেই তারা ব্যর্থ হবেন।


এই নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন: ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, এই নির্বাচন ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী সত্যি সত্যি এবার ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সুতরাং সমন্বয়হীনতার কোনো সুযোগ নেই। সমন্বয়হীনতার সামান্যতম কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি যদি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দৃষ্টিগোচর হয়, সেটি কিন্তু আমরা স্বাভাবিক এবং সহজভাবে নেব না।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটরিয়ামে গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ উপলক্ষ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থাপনাবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন প্রধান অতিথি এবং নির্বাচন কমিশনারগণ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আটজন বিভাগীয় কমিশনার, আট জন ডিআইজি, ৬৪ জন জেলা প্রশাসক, ৬৪ জন এসপি, ১০ জন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ৬৪ জন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ২২৬ জন অংশগ্রহণ করেন।

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, কারো কাছে দায়বদ্ধ না। শুধু দায়বদ্ধ আইনের কাছে।

উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যেহেতু নির্বাচন কমিশনেরই একজন। সুতরাং আপনারাও শুধু আইনের কাছে দায়বদ্ধ। সুতরাং ভয়ের কোনো কারণ নেই। নির্বাচন কমিশন, আমরা, আপনারা— সবাই মিলে নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচনটি হবে, সেটি যদি আমরা সফলভাবে করতে ব্যর্থ হই, আমরা সকলেই ব্যর্থ হব। বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে।

তিনি ৫ আগস্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে— আমরা কোথা থেকে কোথায় এসেছি। আমাদের তফসিল ঘোষণার পর থেকে একটি ঘটনা বাদে বাকি যতগুলোর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে মাঠ পর্যায়ে, প্রতিটি কার্যক্রম আইনসঙ্গতভাবে এবং খুব সাহসিকতার সাথে হয়েছে।

ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আমার আকুল আবেদন— নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মাঠে নেমে পড়ুন, একসাথে মুভ করুন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার মহোদয়রা, মাঠে নেমে পড়ুন; একসাথে মুভ করুন। ওসি সাহেব, ইউএনও সাহেব, আনসার ভিডিপি অফিসার একসাথে মুভ করুন।


banner close