শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
১২ পৌষ ১৪৩২

ঋণখেলাপি না হতে জনগনের কাছে ৩৬ কোটি টাকা চাইলেন মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:১২

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ৩৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের জালে আটকে যাওয়ায় তাঁর নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই সংকট থেকে উত্তরণ এবং নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে থাকতে দেশের মানুষের কাছে ৩৬ কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভাবনীয় আহ্বান জানান।

মান্না তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জে একটি হিমাগারের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী নাজমুল কাদির শাহজাহান দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, যাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। শিবগঞ্জের ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে নেওয়া ৩৬ কোটি টাকা ঋণের মূল স্বাক্ষরকারী ছিলেন ওই পলাতক সহযোগী। মান্না জানান, তিনি ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য ব্যাংকে আবেদন করলেও একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় আইনি জটিলতা তৈরি করা হয়েছে যাতে তিনি নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েন। এক্ষেত্রে তিনি সরাসরি বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের বিএনপি নেতাদের প্রভাব ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন।

নিজের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বলেন, সাধারণত ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করলেই ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটানো সম্ভব। তাই তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেন, যদি কেউ এক বছরের জন্য তাঁকে এই ৩৬ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করেন, তবে তিনি ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বেরিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারবেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে তাঁর সচল ব্যবসা থেকে এই অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে। মান্না স্পষ্ট করে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চান এবং এটি তাঁর একটি গণতান্ত্রিক অধিকার।

আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে মান্না জানান, আগামীকাল রোববার এই সংক্রান্ত একটি বিষয়ে আদালতে রায় হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা ব্যক্ত করলেও অভিযোগ করেন যে, এর আগে তাঁর পক্ষে আসা আদেশগুলো রাজনৈতিক প্রভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, বিচারব্যবস্থা এখনো কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাবিত হচ্ছে। যদি কালকের রায় তাঁর বিপক্ষে যায়, তবে তিনি উচ্চ আদালতের চেম্বার জজ বরাবর আবেদনসহ আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। মূলত একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে দাবি করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে তাঁর এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান।


ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন মহিউদ্দিন রনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আলোচিত আন্দোলনকারী মহিউদ্দিন রনি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

ভিডিও বার্তায় নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে রনি বলেন, “ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং ভিনদেশি সব ধরনের আগ্রাসনমুক্ত একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আমি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে কাজ করতে চাই।” তিনি মনে করেন, সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণ জরুরি।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকার প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে রনি জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁকে এই সমর্থকদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশাল এই কাজ সম্পন্ন করতে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার অর্থাৎ—এয়ারপোর্ট, উত্তরা, খিলক্ষেত, আশকোনা, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও তুরাগ এলাকার অন্তত ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। যারা মাঠ পর্যায়ে সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে সমর্থন সংগ্রহে তাঁকে সহায়তা করবেন।

উল্লেখ্য, মহিউদ্দিন রনি এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ একক ও যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এবার সরাসরি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। তাঁর এই ঘোষণা উত্তরার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তরুণ ও সাধারণ ভোটারদের একটি বড় অংশ রনির এই সাহসী উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। এখন দেখার বিষয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় জনসমর্থন সংগ্রহ করে তিনি চূড়ান্তভাবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে পারেন কি না।


ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন ডা. তাসনিম জারা

আপডেটেড ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। ডা. জারা উল্লেখ করেন, বর্তমান সময়ের বাস্তবিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দেশবাসীকে দিয়েছিলেন, তা রক্ষা করতেই এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর এই অবস্থান।

ডা. তাসনিম জারা তাঁর পোস্টে স্বীকার করেন যে, একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে যে সাংগঠনিক শক্তি, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা সুবিধা পাওয়া যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তিনি সেসব সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তবুও সাধারণ মানুষের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে তিনি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, “আপনাদের মেয়ে হিসেবে আমার সততা ও নিষ্ঠার ওপর ভিত্তি করে যদি আপনারা স্নেহ ও সমর্থন দেন, তবেই আমি সেবা করার সুযোগ পাব।”

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর প্রার্থিতা বৈধ করার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ঢাকা-৯ আসনের ৪ হাজার ৬৯৩ জন ভোটারের সমর্থনযুক্ত স্বাক্ষর প্রয়োজন। এই বিপুল পরিমাণ স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ আগামীকাল থেকেই শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ডা. জারা মনে করেন, মাত্র এক দিনে এত মানুষের সমর্থন সংগ্রহ করা বেশ কঠিন হলেও এলাকাবাসী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকলে এটি সফল করা সম্ভব। এই কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আগ্রহীদের যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আর্থিক স্বচ্ছতার নজির দেখিয়ে ডা. তাসনিম জারা তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, এর আগে তাঁর নির্বাচনী তহবিলের জন্য যারা অর্থ অনুদান দিয়েছিলেন, তাঁর এই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে কেউ যদি অর্থ ফেরত পেতে চান, তবে তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অনুদান প্রদানকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি অর্থ ফেরতের জন্য একটি বিশেষ অনলাইন ফর্মের লিংক শেয়ার করেছেন। বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো অর্থ এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা অনুদান ফেরতের প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন। ডা. জারার এই সিদ্ধান্ত এবং স্বচ্ছতা রাজনৈতিক মহলে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মূলত জনগণের ওপর ভরসা করেই তিনি রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে স্বতন্ত্রভাবে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধনে ৮ লাখ ছাড়াল ভোটারের সংখ্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রবর্তিত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশ ও প্রবাস মিলিয়ে মোট ৮ লাখ ৮৭২ জন ভোটার সফলভাবে এই ডিজিটাল নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে ৭ লাখ ২৮ হাজার ৬১৭ জন পুরুষ এবং ৭২ হাজার ২৫৩ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এই নতুন ভোটদান পদ্ধতির প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিবন্ধনকারী এসেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৯৩ জন। এছাড়াও কাতার, ওমান, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী ভোটার এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে দেশের ভেতরে অবস্থানরত সরকারি চাকুরিজীবী, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬১ জন ভোটার ‘ইন-কান্ট্রি’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রবাসী ভোটারদের সুবিধার্থে এবং অধিক জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে এই নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বের ১৪৮টি দেশ থেকে প্রবাসীরা তাঁদের বর্তমান অবস্থানের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সহজেই ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারছেন। এ ছাড়াও আইনি হেফাজতে বা কারাগারে থাকা ব্যক্তিরা এবং পেশাগত কারণে নিজ কেন্দ্রে যেতে অক্ষম ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় এই আধুনিক পদ্ধতিটি নির্বাচনী ইতিহাসে এক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যেই ইসি এই তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থার পরিধি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলেছে।


লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে জাতীয় পার্টি: শামীম হায়দার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত না হলে জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২৪৩টি আসনে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী স্পষ্ট করে বলেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রধান শর্ত হলো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। এই পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন যে, সরকার এই গুরুদায়িত্ব পালনে আশঙ্কাজনকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যদি ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশনের উন্নতি না হয় এবং সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি না হয়, তবে জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, জাতীয় পার্টি সবসময়ই একটি নির্বাচনমুখী দল এবং তারা জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীরা একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নিতে উন্মুখ হয়ে আছে। অনেক আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে দলকে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হয়েছে। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে আজ ২৪৩টি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হলো। তিনি এখনও আশা প্রকাশ করেন যে, সরকার জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একটি সুষ্ঠু ও সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এস এম আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং শরিফুল ইসলাম জিন্নাহসহ দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মূলত সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ এবং বড় পরিসরে প্রার্থী ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি জোরালো বার্তা দিল। দলটির এই অবস্থান নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক মহলে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


যশোরের ৬টির মধ্যে ৪টি আসনেই প্রার্থী পরিবর্তন বিএনপির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর জেলার নির্বাচনী সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। জেলার মোট ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতেই প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরিবর্তন করে নতুন মুখ চূড়ান্ত করেছে দলটি। এর মধ্যে একটি আসন মিত্র দল বা জোটের শরিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই আকস্মিক রদবদলে স্থানীয় রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এখানে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির পরিবর্তে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনকে। তৃপ্তি দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালালেও শেষ পর্যন্ত তাঁর জায়গায় লিটনকে বেছে নিয়েছে দল। বাদ পড়া মফিকুল হাসান তৃপ্তি সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও নিজে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনেও নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এই আসনে প্রথমে কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূবকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজীকে। দলীয় সূত্র ও স্থানীয় নেতাদের দাবি, টিএস আইয়ূব কয়েকটি ব্যাংকে ঋণখেলাপি হওয়ায় এবং আদালত থেকে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় আইনি জটিলতা এড়াতে ফারাজীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও আইয়ূব দাবি করেছেন, ফারাজীকে কেবল ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে রাখা হয়েছে।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনটি বিএনপি তাদের দীর্ঘদিনের জোটের শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামকে (একাংশ) ছেড়ে দিয়েছে। এখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের পরিবর্তে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে জমিয়তের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাস ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। এ ছাড়া যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে বাদ দিয়ে কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। শ্রাবণ গত দেড় মাস এলাকায় সরব থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্থানীয় নেতৃত্বের হাতেই ধানের শীষ তুলে দিল দল।

যশোরের এই ছয়টি আসনের মধ্যে কেবল যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে সাবিরা সুলতানা মুন্নী এবং যশোর-৩ (সদর) আসনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মনোনয়ন অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং আইনি ও কৌশলগত কারণে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক হলেও নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ঘনিয়ে আসায় এই রদবদল যশোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।


চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বড় বদল: আমীর খসরুসহ তিন আসনে পরিবর্তন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম জেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক কৌশল ও মাঠের বাস্তবতা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-১০ এবং চট্টগ্রাম-১১ আসনে নতুন করে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই রদবদলের মাধ্যমে চট্টগ্রামের নির্বাচনী লড়াইয়ে অভিজ্ঞ ও প্রভাবশালী নেতাদের পাশাপাশি সংগঠনের সক্রিয় কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে দলটি।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বড় চমক হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩ নভেম্বর ঘোষিত তালিকায় এই আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আগে চট্টগ্রাম-১০ আসনের জন্য মনোনীত থাকলেও বর্তমানে সেই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাইদ আল নোমানকে নতুন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিএনপি।

একইভাবে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনেও পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। গত ৩ নভেম্বর এই আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর পরিবর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মূলত নির্বাচনের মাঠের চূড়ান্ত লড়াইয়ে জয় নিশ্চিত করতেই এই রদবদল করা হয়েছে বলে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। দলের এই অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের ফলে সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে নির্বাচনী আমেজে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই আসনগুলো পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যেই বিএনপি তাদের রণকৌশল সাজিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।


কুমিল্লা-৩ আসনে আসিফ মাহমুদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর কর্মী ও সমর্থকরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন ফরমটি উত্তোলন করেন। এনসিপির মুরাদনগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মিনহাজুল হক এবং জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাহেব আলী এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিনহাজুল হক জানিয়েছেন যে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র পাঠালে সেই অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করা হয়। মুরাদনগরের আপামর জনসাধারণ তাঁকে এই আসন থেকে নির্বাচনে দেখতে চায় বলে উপজেলা এনসিপির পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একাধিক অভ্যন্তরীণ বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কোনো দলের সঙ্গে জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, সে বিষয়টিও তাঁরা নজরে রাখছেন। মূলত স্থানীয় পর্যায়ে সমর্থক ও জনসাধারণের প্রবল আগ্রহের কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজা হাসান জানিয়েছেন, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে তাঁর সমর্থকরা মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এটি একটি উন্মুক্ত প্রক্রিয়া হওয়ায় যে কেউ ফরম সংগ্রহ করতে পারেন এবং এ পর্যন্ত মুরাদনগর আসন থেকে মোট ৯০টি মনোনয়নপত্র সংগৃহীত হয়েছে। সাবেক উপদেষ্টা নিজে সশরীরে উপস্থিত না থাকায় প্রশাসন বিষয়টি সাধারণ নিয়মেই দেখছে। এখন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে তাঁর নির্বাচনি লড়াইয়ের পরবর্তী আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আসিফ মাহমুদ এই আসন থেকে নির্বাচনে লড়লে মুরাদনগরের নির্বাচনি লড়াইয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


এনআইডি কার্যক্রম সম্পন্ন করলেন তারেক রহমান; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাবেন পরিচয়পত্র

আপডেটেড ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দুপুর ১টার দিকে তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে যান এবং সেখানে এনআইডি নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ এবং ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রদান করেন।

তারেক রহমানের পাশাপাশি তাঁর কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও ভোটার হওয়ার লক্ষ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। তাঁরা উভয়েই ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত গুলশান এলাকার ভোটার হতে যাচ্ছেন। ইতিপূর্বে তাঁরা অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার হওয়ার প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ করেছিলেন।

এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এএসএম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের পর তা সার্ভারে যাচাই-বাছাই করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৭ থেকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারেক রহমান তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাবেন। সিস্টেম অনুযায়ী এনআইডি নম্বর জেনারেট হওয়ার পর তিনি সেটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা স্মার্টকার্ড হিসেবে সংগ্রহ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০০৭-২০০৮ সালে যখন প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, তখন তারেক রহমান কারাগারে ছিলেন। ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে চলে যান এবং দীর্ঘ সময় দেশে ফিরতে না পারায় ভোটার তালিকায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এর আগে তাঁর মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০০৮ সালে এবং তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান সম্প্রতি ভোটার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন।

আজ নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার আগে তারেক রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক আবেগঘন কর্মসূচি পালন করেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ শরীফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারত ও এনআইডি কার্যক্রম শেষে তারেক রহমান ধানমন্ডিতে তাঁর শ্বশুরের বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’র উদ্দেশ্যে রওনা হন। দীর্ঘ দেড় যুগ পর তাঁর এই নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনে তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার পর আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোটার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দুপুর ১টার দিকে তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের পেছনে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) পৌঁছান। সেখানে তিনি ও তাঁর কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান ও জাইমা রহমান আগেই অনলাইনে ভোটার হওয়ার প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন করেছিলেন। আজ সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাঁরা আঙুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ প্রদানের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। তাঁরা উভয়েই ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত গুলশান এলাকার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছেন। বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের পর স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর তৈরি হবে।

নির্বাচন কমিশনে আসার আগে আজ সকালে তারেক রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক আবেগঘন কর্মসূচি পালন করেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন থেকে বের হয়ে তিনি বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছান। সেখানে তিনি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি পাশে থাকা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেন। তারেক রহমান শহীদ হাদির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান এবং নজরুল ও হাদির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

কবর জিয়ারত ও নির্বাচন কমিশনের কাজ শেষে তারেক রহমানের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ধানমন্ডিতে তাঁর শ্বশুরের বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তাঁর চিকিৎসাধীন মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে। এরপর বিকেলে তিনি পুনরায় গুলশানের বাসভবনে ফিরে বিশ্রাম নেবেন। দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রিয় নেতার এমন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ এবং ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়াটি বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। মূলত নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে নেওয়া এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার লক্ষ্যেই তিনি এই আইনি পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছেন।


ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার হচ্ছেন তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন। তাঁরা রাজধানীর গুলশান এলাকার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন করেছেন।

আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তারেক রহমান ও তাঁর কন্যা অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়াটি আগেই শেষ করেছেন। আজ দুপুরে তাঁরা সশরীরে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ প্রদানের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

এনআইডি মহাপরিচালক প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্যগুলো সার্ভারে যাচাই করবে। যদি তথ্যে কোনো অসংগতি না থাকে, তবে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের এনআইডি নম্বর তৈরি হয়ে যাবে। এরপর তাঁরা নির্বাচন কমিশন থেকে সরাসরি জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন অথবা তাঁদের মোবাইল ফোনে আসা বার্তার মাধ্যমে অনলাইন থেকে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে তারেক রহমানের ভোটার হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আজ দুপুরেই তাঁর এই নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। মূলত নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইনি প্রক্রিয়া হিসেবেই তিনি এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন।


তারেক রহমানের ভোটার হতে আইনি কোনো বাধা নেই : ইসি মাছউদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটার হতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি জানান, ইসি চাইলে যেকোনো সময় যে কাউকে ভোটার করতে পারেন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসি মাছউদ দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।

এদিকে ভোটার হতে তারেক রহমান আজ শনিবার নির্বাচন ভবনে যাওয়ার কথা জানা গেছে।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন তারেক রহমান।

এর আগে ২২ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে শনিবার ভোটার হবেন।’


নির্বাচনে ভোট দিতে ৭ লাখ ১৭ হাজার নিবন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ইতোমধ্যেই ৭ লাখ ১৭ হাজার ২১৭ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করছেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যেই প্রবাসী ভোটারদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে। ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে জানিয়েছেন, গত ছয় দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২ লাখ ২ হাজার ৮৮৮ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।

ইসির ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধনকারীর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৫৬ জন এবং নারী ভোটার ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন।

প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সর্বাধিক নিবন্ধন এসেছে সৌদি আরব থেকে, যেখানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। কাতারে ৫৭ হাজার ৩১৬, ওমানে ৪৩ হাজার ২০৬, মালয়েশিয়ায় ৪০ হাজার ৩৩৩, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ৬৬২ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ হাজার ৫০০ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

দেশের ভিতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৫ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন।

জেলাভিত্তিক শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা ৬৬ হাজার ৫৯২ জন, ঢাকায় ৫৮ হাজার ৫৮৫; চট্টগ্রামে ৫৭ হাজার ৪৫৮; নোয়াখালীতে ৩৮ হাজার ১১৮, সিলেটে ২৮ হাজার ৬৭, চাঁদপুরে ২৬ হাজার ৩৫৬ জন। আসনভিত্তিক শীর্ষে ফেনী-৩ আসনে ১০ হাজার ৭৭৯ জন নিবন্ধন করেছেন, চট্টগ্রাম-১৫তে ৯ হাজার ৪১০, কুমিল্লা-১০-এ ৮ হাজার ৯৩৫ এবং নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৮৩২ জন।

গত সপ্তাহে বিভিন্ন দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ কুয়েতে ১০ হাজার, যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার ৫০০, কাতারে ১ হাজার ৫০০, পোল্যান্ডে ১ হাজার, বাহরাইনে ৪ হাজার ৫০০, মরিশাসে ৫০০, বেলজিয়ামে ২০০, আয়ারল্যান্ডে ৭০০, স্পেনে ১ হাজার ৫০০, সুইডেনে ৪৮৮, ডেনমার্কে ৬০০ এবং পর্তুগালে ২ হাজার ৫০০। এর আগে কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছিল। আরও আগে অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার, কাতারে ১১ হাজার এবং যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সহ অন্যান্য দেশে ব্যালট পাঠানো হয়েছে।


ঢাকা-১৫ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে ঢাকা-১৫ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুচ আলী জামায়াত আমিরের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকা-১৫ আসন থেকে এখন পর্যন্ত জামায়াত আমিরের পাশাপাশি বিএনপির শফিকুল ইসলাম খান মিল্টনসহ প্রায় এক ডজন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়াও একই দিনে ঢাকা-১৩ আসন থেকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক এবং জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সারাদিনে ঢাকা-১৩ ও ঢাকা-১৫ আসন মিলিয়ে মোট ২১ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। নির্বাচনী লড়াইকে কেন্দ্র করে রাজধানীর এই আসনগুলোতে এখন ব্যাপক রাজনৈতিক তৎপরতা ও আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সরাসরি অংশগ্রহণের খবরে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক কৌতূহল ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রার্থীরা এখন তাঁদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুছিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


banner close