রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৯

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিইসির কার্যালয়ে এই বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। অন্যদিকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া।

বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি, নির্বাচনী পরিবেশ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে গত কয়েক দিনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভোটার নিবন্ধন এবং নির্বাচনী কার্যক্রম গুছিয়ে আনার প্রেক্ষাপটে ইসির সঙ্গে দলটির এই সাক্ষাৎ বিশেষ রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করছে। সভা শেষে বিএনপির প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করার কথা রয়েছে। মূলত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ইসির সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর ধারাবাহিক যোগাযোগের অংশ হিসেবেই এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।


ভোলা-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম দাখিল

আপডেটেড ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪১
ভোলা জেলা প্রতিনিধি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন- দৌলতখান) আসনে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব মো: হাফিজ ইব্রাহিম।

রবিবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার (ইউএনও) মনোরঞ্জন বর্মন এ মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করেন।

দীর্ঘদিন পর নির্বাচনমুখী এই আয়োজন ঘিরে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এর আগে উপজেলা সড়কে হাফিজ ইব্রাহিমের বাসভবন কুড়ালিয়া হাউজে মনোয়ন পত্র দাখিল উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।

দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির শান্তি, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্নার মাগফেরাত কামনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও নেক হায়াৎ কামনা, এবং তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। একই সঙ্গে ভোলা-২ আসনের মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ভোলার স্বনামধন্য আলেম বাটামারা দরবার শরীফের বর্তমান গদিনীশিন পীরসাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোঃ মহিবুল্যাহ।

দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আল এমরান খোকন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. কাজী মো: আজম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান কবির, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী আকবর হাওলাদার, দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইকবাল হোসেন প্রমূখ।


তারেক রহমানের সম্মানে ঢাকা-১৭ আসন ছাড়লেন পার্থ, লড়বেন ভোলা-১ থেকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজধানীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের নির্বাচনী সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এই আসনটি থেকে প্রাথমিকভাবে বিএনপির মিত্র দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নির্বাচন করার কথা ছিল এবং তিনি দীর্ঘদিন সেখানে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও চালিয়েছিলেন। তবে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এই আসন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসায় পার্থ এই আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারেক রহমানের প্রতি সম্মান জানিয়েই তিনি এই ছাড় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

আন্দালিব রহমান পার্থ এই বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, “ঢাকা-১৭ আসনের জন্য তারেক ভাই-ই হচ্ছেন সেরা বা বেস্ট প্রার্থী। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানের জায়গা থেকে আমি এই আসন থেকে আর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করিনি।” তিনি মনে করেন, তারেক রহমানের সরাসরি অংশগ্রহণ এই আসনে দল ও জোটের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। একই সঙ্গে পার্থ জানান যে, তিনি ইতিমধ্যে তাঁর পৈতৃক এলাকা ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচনের জন্য গতকালই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে, ঢাকা-১৭ আসন থেকে তারেক রহমানের পক্ষে আজ সকালে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে এই মনোনয়ন ফরমটি সংগ্রহ করেন। বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর দপ্তর থেকে এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের দেশে ফেরা এবং রাজধানীর এই অভিজাত আসন থেকে সরাসরি নির্বাচনের ঘোষণা রাজনৈতিক মহলে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। মূলত জোটের অভ্যন্তরীণ সমঝোতা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি শরিক দলের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমেই এই রদবদলটি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আন্দালিব রহমান পার্থের এই সিদ্ধান্ত জোটের ঐক্যকে যেমন সুসংহত করল, তেমনি ঢাকা-১৭ ও ভোলা-১ উভয় আসনেই নির্বাচনী আমেজকে আরও বাড়িয়ে দিল। বর্তমানে মনোনয়নপত্র জমাদান ও পরবর্তী নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি ও এর মিত্র দলগুলোর প্রার্থীরা।


ঢাকা-১৭ আসনে চমক দেখাতে চায় বিএনপি: তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনে বড় ধরনের চমক দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে এই আসন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। তারেক রহমানের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার সেগুনবাগিচায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন ফরমটি উত্তোলন করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে তারেক রহমানের সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের এই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা-১৭ আসনের মাধ্যমে তারেক রহমানকে নির্বাচনী রাজনীতিতে সক্রিয় করার পরিকল্পনা করছে দলের হাইকমান্ড। তবে এই আসনটি নিয়ে শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের সঙ্গে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। পার্থ আগে থেকেই এই আসনটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সূত্রমতে, বিএনপি পার্থকে তাঁদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি যদি বিএনপিতে যোগ দেন, তবে ঢাকা-১৭ আসনটি তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যথায়, বিএনপি তাঁকে ভোলা সদর আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে। তবে এ বিষয়ে আজ বা আগামীকাল সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি।

এদিকে, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বিএনপিতে যোগদানের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএনপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি এবং তিনি তাঁর নিজ দল বিজেপির প্রতীক নিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন। ফলে ঢাকা-১৭ আসনে তারেক রহমান বনাম পার্থের এক সম্ভাব্য লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এরপর আগামী মঙ্গলবার থেকে রোববার পর্যন্ত চলবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে এবং ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে সেসব আপিল নিষ্পত্তি হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তারেক রহমানের এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী সমীকরণকে আমূল বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


১৫ বছরে দেশে প্রকৃত অর্থে কোনো নির্বাচন হয়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভোলা প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকল রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আশা করছি, একটি অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, এ নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্বের কয়েকটি কারণ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে গত ১৫ বছরে দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। যদি নির্বাচনের কথা বলা হয়, তাহলে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালে। এর অর্থ হলো, বিপুল সংখ্যক জনগণ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা আশপাশে, তারা কখনো নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভোলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ‘ভোটের গাড়ি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, এবার আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) প্রত্যেকটি মানুষ যেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দেখতে পায়। আমরা মনে করি, এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই আমরা চাই, মানুষ যেন তার ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারে। আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, এই সরকার কোনো দলের পক্ষে নয়। আগামী পরশুদিন মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ দিন। তখন আপনারা জানতে পারবেন কারা কারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সবাই ভোট দিয়ে আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু বিশেষ দাবিদাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তনটি হয়েছে (আওয়ামী লীগ সরকার পতন)। যে পরিবর্তনের জন্য আমাদের ছেলে-মেয়েরা জীবন দিয়েছে। তাদের দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে আমরা একটি ছোটখাটো তালিকা তৈরি করেছি। শতভাগ প্রতিফলিত হয়েছে- তা নয়, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকাটি প্রথমবারের মতো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে, যাতে আপনারা বলতে পারেন এসব পরিবর্তন আপনারা চান কি চান না।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আলাদাভাবে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। তালিকার শতভাগ বিষয়ের মধ্যে যদি আপনারা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ বিষয়ে একমত হন, তাহলে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে পারবেন। আর একমত না হলে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগও থাকবে। সামনে আমাদের আপামর জনগণের দুটি দায়িত্ব রয়েছে কী কী পরিবর্তন চান বা চান না, সে বিষয়ে মতামত দেওয়ার। যদি পরিবর্তন চান, তাহলে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকবে পরবর্তী বাংলাদেশের ওপর। কারণ, পরবর্তী বাংলাদেশে যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে আসবেন, তারা আপনাদের মতামতকে মূল্যায়ন করবেন।

‘আরেকটি বিষয় হলো, দেশ যে স্বাভাবিক লাইন থেকে সরে গিয়েছিল, তা আবার যথাযথ স্থানে ফিরিয়ে আনা। যাতে আপনাদের অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করতে না পারে, সে ধরনের একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। পরবর্তী সংসদের দায়িত্ব থাকবে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা। আপনাদের মতামতকে আপনাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে অগ্রাহ্য করা সম্ভব হবে না, কারণ কিছুদিন পর ভোটের জন্য তাদের আবার আপনাদের কাছেই যেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলার পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


পার্বত্য তিন জেলার ৩৪ ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে ইসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় দুর্গম ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হেলিকপ্টার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি—এই তিন জেলায় মোট ৩৪টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আনা-নেওয়ার কাজে এ হেলিকপ্টার সহায়তা নেওয়া হবে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। ইতোমধ্যে এ চিঠি সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১১টি ভোটকেন্দ্রে, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ২০টি ভোটকেন্দ্রে এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ০৩টি ভোটকেন্দ্র, মোট ৩টি পার্বত্য জেলার ৩৪টি ভোটকেন্দ্রের ১০৯টি ভোটকক্ষের নির্বাচনী মালামাল, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদসাদের (আনসার ও ভিডিপি সদস্যসহ) উপজেলা সদর হতে ভোটকেন্দ্রে প্রেরণ এবং উপজেলা সদরে ফেরত আনার জন্য হেলিকপ্টার সহায়তা প্রয়োজন হবে।

নির্বাচনী দ্রব্যাদির পরিমান এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা, বিদ্যমান হেলিকপ্টারের ধারণ ক্ষমতা, আবহাওয়া ইত্যাদি বিবেচনায় যাতায়াতের তারিখ ও প্রাসঙ্গিক বিষয় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের সাথে আলোচনাক্রমে নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।

ইসি জানায়, পার্বত্য এলাকা ছাড়াও দ্বীপ, হাওর-বাওর বা অন্যান্য দুর্গম অঞ্চলে সম্ভাব্য উদ্ধার তৎপরতা এবং ব্যালট পেপারসহ অন্যানা নির্বাচনী মালামাল তাৎক্ষণিকভাবে প্রেরণের জন্য তেজগাঁও হেলিপ্যাডে দুটি হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

নির্বাচনী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‍্যাব, আর্মড পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চাহিদার ভিত্তিতে হেলিকপ্টার ব্যবহারের ব্যবস্থাও রাখা হবে। এসব হেলিকপ্টার ব্যবহারের ব্যয় চাহিদা প্রাপ্তি সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাজেট থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হেলিকপ্টার সার্ভিস প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও অনুরোধ জানানো হয়েছে এ চিঠির মাধ্যমে।

উল্লেখ্য, আগামী বছর ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।


ঋণখেলাপি না হতে জনগনের কাছে ৩৬ কোটি টাকা চাইলেন মান্না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ৩৬ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের জালে আটকে যাওয়ায় তাঁর নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই সংকট থেকে উত্তরণ এবং নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে থাকতে দেশের মানুষের কাছে ৩৬ কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভাবনীয় আহ্বান জানান।

মান্না তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জে একটি হিমাগারের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী নাজমুল কাদির শাহজাহান দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, যাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। শিবগঞ্জের ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে নেওয়া ৩৬ কোটি টাকা ঋণের মূল স্বাক্ষরকারী ছিলেন ওই পলাতক সহযোগী। মান্না জানান, তিনি ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য ব্যাংকে আবেদন করলেও একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় আইনি জটিলতা তৈরি করা হয়েছে যাতে তিনি নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েন। এক্ষেত্রে তিনি সরাসরি বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের বিএনপি নেতাদের প্রভাব ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন।

নিজের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বলেন, সাধারণত ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করলেই ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম কাটানো সম্ভব। তাই তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেন, যদি কেউ এক বছরের জন্য তাঁকে এই ৩৬ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তা করেন, তবে তিনি ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বেরিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারবেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে তাঁর সচল ব্যবসা থেকে এই অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে। মান্না স্পষ্ট করে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চান এবং এটি তাঁর একটি গণতান্ত্রিক অধিকার।

আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে মান্না জানান, আগামীকাল রোববার এই সংক্রান্ত একটি বিষয়ে আদালতে রায় হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা ব্যক্ত করলেও অভিযোগ করেন যে, এর আগে তাঁর পক্ষে আসা আদেশগুলো রাজনৈতিক প্রভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, বিচারব্যবস্থা এখনো কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাবিত হচ্ছে। যদি কালকের রায় তাঁর বিপক্ষে যায়, তবে তিনি উচ্চ আদালতের চেম্বার জজ বরাবর আবেদনসহ আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। মূলত একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে দাবি করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে তাঁর এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান।


ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন মহিউদ্দিন রনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আলোচিত আন্দোলনকারী মহিউদ্দিন রনি। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

ভিডিও বার্তায় নিজের রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে রনি বলেন, “ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং ভিনদেশি সব ধরনের আগ্রাসনমুক্ত একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আমি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে কাজ করতে চাই।” তিনি মনে করেন, সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণ জরুরি।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকার প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে রনি জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁকে এই সমর্থকদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশাল এই কাজ সম্পন্ন করতে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার অর্থাৎ—এয়ারপোর্ট, উত্তরা, খিলক্ষেত, আশকোনা, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও তুরাগ এলাকার অন্তত ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। যারা মাঠ পর্যায়ে সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে সমর্থন সংগ্রহে তাঁকে সহায়তা করবেন।

উল্লেখ্য, মহিউদ্দিন রনি এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ একক ও যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এবার সরাসরি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। তাঁর এই ঘোষণা উত্তরার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তরুণ ও সাধারণ ভোটারদের একটি বড় অংশ রনির এই সাহসী উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। এখন দেখার বিষয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় জনসমর্থন সংগ্রহ করে তিনি চূড়ান্তভাবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে পারেন কি না।


ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন ডা. তাসনিম জারা

আপডেটেড ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। ডা. জারা উল্লেখ করেন, বর্তমান সময়ের বাস্তবিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দেশবাসীকে দিয়েছিলেন, তা রক্ষা করতেই এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর এই অবস্থান।

ডা. তাসনিম জারা তাঁর পোস্টে স্বীকার করেন যে, একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে যে সাংগঠনিক শক্তি, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা সুবিধা পাওয়া যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তিনি সেসব সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তবুও সাধারণ মানুষের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে তিনি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, “আপনাদের মেয়ে হিসেবে আমার সততা ও নিষ্ঠার ওপর ভিত্তি করে যদি আপনারা স্নেহ ও সমর্থন দেন, তবেই আমি সেবা করার সুযোগ পাব।”

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর প্রার্থিতা বৈধ করার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ঢাকা-৯ আসনের ৪ হাজার ৬৯৩ জন ভোটারের সমর্থনযুক্ত স্বাক্ষর প্রয়োজন। এই বিপুল পরিমাণ স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ আগামীকাল থেকেই শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ডা. জারা মনে করেন, মাত্র এক দিনে এত মানুষের সমর্থন সংগ্রহ করা বেশ কঠিন হলেও এলাকাবাসী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকলে এটি সফল করা সম্ভব। এই কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আগ্রহীদের যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আর্থিক স্বচ্ছতার নজির দেখিয়ে ডা. তাসনিম জারা তাঁর ফেসবুক পোস্টে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, এর আগে তাঁর নির্বাচনী তহবিলের জন্য যারা অর্থ অনুদান দিয়েছিলেন, তাঁর এই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে কেউ যদি অর্থ ফেরত পেতে চান, তবে তাঁদের তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অনুদান প্রদানকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি অর্থ ফেরতের জন্য একটি বিশেষ অনলাইন ফর্মের লিংক শেয়ার করেছেন। বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো অর্থ এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা অনুদান ফেরতের প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন। ডা. জারার এই সিদ্ধান্ত এবং স্বচ্ছতা রাজনৈতিক মহলে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মূলত জনগণের ওপর ভরসা করেই তিনি রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে স্বতন্ত্রভাবে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধনে ৮ লাখ ছাড়াল ভোটারের সংখ্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রবর্তিত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশ ও প্রবাস মিলিয়ে মোট ৮ লাখ ৮৭২ জন ভোটার সফলভাবে এই ডিজিটাল নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে ৭ লাখ ২৮ হাজার ৬১৭ জন পুরুষ এবং ৭২ হাজার ২৫৩ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এই নতুন ভোটদান পদ্ধতির প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিবন্ধনকারী এসেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৯৩ জন। এছাড়াও কাতার, ওমান, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী ভোটার এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে দেশের ভেতরে অবস্থানরত সরকারি চাকুরিজীবী, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬১ জন ভোটার ‘ইন-কান্ট্রি’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রবাসী ভোটারদের সুবিধার্থে এবং অধিক জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে এই নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বের ১৪৮টি দেশ থেকে প্রবাসীরা তাঁদের বর্তমান অবস্থানের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সহজেই ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারছেন। এ ছাড়াও আইনি হেফাজতে বা কারাগারে থাকা ব্যক্তিরা এবং পেশাগত কারণে নিজ কেন্দ্রে যেতে অক্ষম ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় এই আধুনিক পদ্ধতিটি নির্বাচনী ইতিহাসে এক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যেই ইসি এই তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থার পরিধি ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলেছে।


লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে জাতীয় পার্টি: শামীম হায়দার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত না হলে জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২৪৩টি আসনে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণাকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী স্পষ্ট করে বলেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রধান শর্ত হলো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। এই পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন যে, সরকার এই গুরুদায়িত্ব পালনে আশঙ্কাজনকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, যদি ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশনের উন্নতি না হয় এবং সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি না হয়, তবে জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, জাতীয় পার্টি সবসময়ই একটি নির্বাচনমুখী দল এবং তারা জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীরা একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নিতে উন্মুখ হয়ে আছে। অনেক আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে দলকে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হয়েছে। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে আজ ২৪৩টি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হলো। তিনি এখনও আশা প্রকাশ করেন যে, সরকার জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একটি সুষ্ঠু ও সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এস এম আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং শরিফুল ইসলাম জিন্নাহসহ দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মূলত সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ এবং বড় পরিসরে প্রার্থী ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি জোরালো বার্তা দিল। দলটির এই অবস্থান নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক মহলে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


যশোরের ৬টির মধ্যে ৪টি আসনেই প্রার্থী পরিবর্তন বিএনপির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর জেলার নির্বাচনী সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। জেলার মোট ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতেই প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরিবর্তন করে নতুন মুখ চূড়ান্ত করেছে দলটি। এর মধ্যে একটি আসন মিত্র দল বা জোটের শরিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই আকস্মিক রদবদলে স্থানীয় রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এখানে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির পরিবর্তে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনকে। তৃপ্তি দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালালেও শেষ পর্যন্ত তাঁর জায়গায় লিটনকে বেছে নিয়েছে দল। বাদ পড়া মফিকুল হাসান তৃপ্তি সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও নিজে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনেও নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এই আসনে প্রথমে কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূবকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজীকে। দলীয় সূত্র ও স্থানীয় নেতাদের দাবি, টিএস আইয়ূব কয়েকটি ব্যাংকে ঋণখেলাপি হওয়ায় এবং আদালত থেকে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় আইনি জটিলতা এড়াতে ফারাজীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যদিও আইয়ূব দাবি করেছেন, ফারাজীকে কেবল ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে রাখা হয়েছে।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনটি বিএনপি তাদের দীর্ঘদিনের জোটের শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামকে (একাংশ) ছেড়ে দিয়েছে। এখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের পরিবর্তে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে জমিয়তের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাস ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। এ ছাড়া যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে বাদ দিয়ে কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। শ্রাবণ গত দেড় মাস এলাকায় সরব থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্থানীয় নেতৃত্বের হাতেই ধানের শীষ তুলে দিল দল।

যশোরের এই ছয়টি আসনের মধ্যে কেবল যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে সাবিরা সুলতানা মুন্নী এবং যশোর-৩ (সদর) আসনে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মনোনয়ন অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং আইনি ও কৌশলগত কারণে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক হলেও নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ঘনিয়ে আসায় এই রদবদল যশোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।


চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় বড় বদল: আমীর খসরুসহ তিন আসনে পরিবর্তন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম জেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক কৌশল ও মাঠের বাস্তবতা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-১০ এবং চট্টগ্রাম-১১ আসনে নতুন করে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই রদবদলের মাধ্যমে চট্টগ্রামের নির্বাচনী লড়াইয়ে অভিজ্ঞ ও প্রভাবশালী নেতাদের পাশাপাশি সংগঠনের সক্রিয় কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে দলটি।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বড় চমক হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩ নভেম্বর ঘোষিত তালিকায় এই আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আগে চট্টগ্রাম-১০ আসনের জন্য মনোনীত থাকলেও বর্তমানে সেই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাইদ আল নোমানকে নতুন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিএনপি।

একইভাবে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনেও পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। গত ৩ নভেম্বর এই আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর পরিবর্তে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মূলত নির্বাচনের মাঠের চূড়ান্ত লড়াইয়ে জয় নিশ্চিত করতেই এই রদবদল করা হয়েছে বলে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। দলের এই অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের ফলে সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে নির্বাচনী আমেজে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই আসনগুলো পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যেই বিএনপি তাদের রণকৌশল সাজিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।


কুমিল্লা-৩ আসনে আসিফ মাহমুদের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর কর্মী ও সমর্থকরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন ফরমটি উত্তোলন করেন। এনসিপির মুরাদনগর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মিনহাজুল হক এবং জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাহেব আলী এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিনহাজুল হক জানিয়েছেন যে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র পাঠালে সেই অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন করা হয়। মুরাদনগরের আপামর জনসাধারণ তাঁকে এই আসন থেকে নির্বাচনে দেখতে চায় বলে উপজেলা এনসিপির পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একাধিক অভ্যন্তরীণ বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কোনো দলের সঙ্গে জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, সে বিষয়টিও তাঁরা নজরে রাখছেন। মূলত স্থানীয় পর্যায়ে সমর্থক ও জনসাধারণের প্রবল আগ্রহের কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজা হাসান জানিয়েছেন, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে তাঁর সমর্থকরা মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এটি একটি উন্মুক্ত প্রক্রিয়া হওয়ায় যে কেউ ফরম সংগ্রহ করতে পারেন এবং এ পর্যন্ত মুরাদনগর আসন থেকে মোট ৯০টি মনোনয়নপত্র সংগৃহীত হয়েছে। সাবেক উপদেষ্টা নিজে সশরীরে উপস্থিত না থাকায় প্রশাসন বিষয়টি সাধারণ নিয়মেই দেখছে। এখন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে তাঁর নির্বাচনি লড়াইয়ের পরবর্তী আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আসিফ মাহমুদ এই আসন থেকে নির্বাচনে লড়লে মুরাদনগরের নির্বাচনি লড়াইয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।


banner close