সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২

নতুন বিপাকে পড়েছেন তাসনিম জারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩২

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে সদ্য পদত্যাগকারী নেত্রী এবং ঢাকা-৯ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. তাসনিম জারা তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে নতুন করে আইনি ও প্রযুক্তিগত জটিলতার মুখে পড়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত পূরণে নির্বাচন কমিশনের অসহযোগিতার বিষয়টি সামনে এনেছেন তিনি।

বাংলাদেশে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তবে তাঁকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের অন্তত ১ শতাংশের স্বাক্ষর বা সমর্থনযুক্ত তালিকা জমা দিতে হয়। এই তালিকার প্রতিটি নামের পাশে ভোটারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের পাশাপাশি ভোটার তালিকায় থাকা তাঁদের সুনির্দিষ্ট ‘সিরিয়াল নম্বর’ বা ক্রমিক নম্বর উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। ডা. তাসনিম জারা গতকাল রোববার থেকেই তাঁর নির্বাচনী এলাকা খিলগাঁও থেকে এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিলেন।

তবে আজ দুপুর নাগাদ এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ভোটারদের এই প্রয়োজনীয় সিরিয়াল নম্বর পাওয়ার সকল পথ বর্তমানে অকার্যকর হয়ে রয়েছে। তাসনিম জারা বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী পাঁচটি উপায়ে (এসএমএস, অনলাইন ওয়েবসাইট, কল সেন্টার, কিউআর কোড এবং অ্যাপ) এই নম্বর পাওয়ার কথা থাকলেও, বর্তমানে একটি পথও কার্যকর নয়।” তিনি অভিযোগ করেন যে, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ও সার্ভার দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাউন হয়ে আছে, যার ফলে সাধারণ ভোটারদের তথ্য যাচাই করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা. জারা আরও বলেন, “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে এভাবে প্রতিটি পথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এটি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রক্রিয়াটিকে কার্যত অসম্ভব করে তোলার নামান্তর।” প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় থাকলেও ডাটাবেজে প্রবেশ করতে না পারায় তাঁর প্রার্থিতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

উল্লেখ্য, আজ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমার চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। এমন এক জরুরি মুহূর্তে প্রযুক্তির এই বিভ্রাট বা প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা কেবল তাসনিম জারা নয়, বরং অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্যই একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি এই আইনি ও কারিগরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেন কি না, এখন সেটিই দেখার বিষয়। মূলত নির্বাচনী ব্যবস্থার এমন অসংগতি নিয়ে ডা. জারার এই প্রতিবাদ রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ৫৬টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করল ইসি

আপডেটেড ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দযোগ্য ৫৬টি প্রতীকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এক জরুরি নির্দেশনার মাধ্যমে এই তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংরক্ষিত প্রতীকগুলো বাদে এই ৫৬টি প্রতীক থেকে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ পাবেন।

ইসির প্রকাশিত তালিকায় থাকা প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে— মোটরসাইকেল, আলমিরা, ট্রাক্টর, মগ, উট, টেলিফোন, মাইক, কলস, ড্রেসিং টেবিল, ময়ূর, কলার ছড়ি, ঢেঁকি, মোবাইল ফোন, কাপ-পিরিচ, তালা, কুমির, থালা, কম্পিউটার, দালান, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চিরুনি, চিংড়ি, জগ, জাহাজ, টর্চলাইট, টিউবওয়েল, দোতলা বাস, দোলনা, পাগড়ি, মোড়া, মোরগ, রেল ইঞ্জিন, লিচু, সেলাই মেশিন, সোফা, সিঁড়ি, পানির ট্যাপ, পালকি, ফলের ঝুড়ি, ফুটবল, সূর্যমুখী, ফুল, হরিণ, হাঁস, বক, বালতি, বেবি টেক্সি, টেবিল, বৈদ্যুতিক পাখা, টেবিল ল্যাম্প, বৈদ্যুতিক বাল্ব, টেবিল ঘড়ি, হ্যান্ডশেক, হুঁকা ও হেলিকপ্টার।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই তালিকা থেকে কোনো প্রতীক যদি নতুন করে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অনুকূলে সংরক্ষিত হয়, তবে সেটি আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দযোগ্য থাকবে না। এছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের নাম ও পদবিসহ একটি হালনাগাদ তালিকাও বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য এই প্রতীকের তালিকা প্রকাশ নির্বাচনী প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের পছন্দের প্রতীক বেছে নেওয়ার প্রাথমিক ধারণা লাভ করবেন, যা পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক বরাদ্দের সময় সহায়ক হবে। মূলত একটি স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল নির্বাচনের লক্ষ্যেই ইসি এই আগাম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।


নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি (জেপি)-র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) আসন থেকে আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেননি।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, “আমার শরীর বেশ অসুস্থ। যদিও এই আসন থেকে লড়ার জন্য ফরম তুলেছিলাম, কিন্তু বর্তমান শারীরিক অবস্থায় নির্বাচন পরিচালনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণেই মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তবে অসুস্থতার বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক কারণে এই সিদ্ধান্ত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে গত বুধবার তাঁর পক্ষে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার পিরোজপুরে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে এক বিশাল বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় একদল জনতা। সেখানে আন্দোলনকারীরা তাঁকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার অভিযোগে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির একদিন পরই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসন থেকে মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর এই প্রস্থান পিরোজপুরের নির্বাচনী সমীকরণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদের সরে দাঁড়ানো পিরোজপুর-২ আসনের নির্বাচনী লড়াইকে এক নতুন মোড় দিল। বর্তমানে এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।


বগুড়া-৪ আসনে নির্বাচন করবেন হিরো আলম, বলছেন ‘গানম্যান প্রয়োজন’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন ফরমটি উত্তোলন করেন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নয়, বরং নবগঠিত ‘আমজনতা পার্টি’র মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নামছেন। আজ বিকেল ৫টার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই তিনি প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ তাঁর মনোনয়নপত্রটি জমা দেবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে হিরো আলম নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বিগত নির্বাচনগুলোতে আমি বারবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছি। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন গানম্যান বরাদ্দ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কেবল আমি নই, অনেক প্রার্থীই এখন নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন এবং গানম্যানের দাবি জানাচ্ছেন।” তিনি আরও যোগ করেন যে, দেশবাসী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং বিগত বছরগুলোর মতো অনিয়মের নির্বাচন এবার আর কেউ দেখতে চায় না।

নির্বাচনী আসন নির্বাচনের বিষয়ে হিরো আলম এক বিশেষ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, অনেকে তাঁকে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করার অনুরোধ করেছিলেন। তবে ওই আসন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করছেন বিধায় তাঁর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি সদর আসন থেকে লড়ার চিন্তা বাদ দিয়েছেন। হিরো আলম উল্লেখ করেন যে, তিনি এর আগে ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের নির্বাচনেও বগুড়া-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ওই এলাকার মানুষের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই পুনরায় কাহালু-নন্দীগ্রামের মানুষের অধিকার আদায়েই তিনি এই আসনটিকে বেছে নিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, গতকালই হিরো আলম আনুষ্ঠানিকভাবে তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন আমজনতা দলে যোগদান করেছেন। দলীয় ব্যানারে তাঁর এই নতুন রাজনৈতিক যাত্রা বগুড়ার নির্বাচনী সমীকরণে বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। এর আগে তিনি একাধিকবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। এবার দলীয় প্রতীকে এবং তারেক রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার এক নতুন কৌশল অবলম্বন করলেন। মূলত নিজের নিরাপত্তা এবং একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন তাঁর প্রধান দাবি।


রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষে এক অনন্য ও সাদামাঠা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি সাধারণ মানুষের বাহন রিকশায় চড়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর প্রার্থিতা দাখিল করেন। মির্জা ফখরুলের এমন ব্যতিক্রমী উপস্থিতির দৃশ্যটি স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এক বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন মির্জা ফখরুল। ধর্মীয় এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিমকে সঙ্গে নিয়ে একটি রিকশায় চড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিলাসবহুল গাড়ি পরিহার করে সরাসরি রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার এই দৃশ্যটি উপস্থিত জনতাকে বেশ অবাক ও আনন্দিত করে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ইশরাত ফারজানা কার্যালয়ের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুলকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জন্য তাঁর মনোনয়নপত্রটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিএনপি মহাসচিবের এমন সাধারণ জীবনযাপন ও তৃণমূলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তাঁর নির্বাচনী এলাকায় এক নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। মূলত উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই এই দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।


ঢাকা-৮ আসনে এনসিপির প্রার্থী মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি দলটির নির্ধারিত প্রতীক ‘শাপলা কলি’ নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন। গত রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) এনসিপির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখপাত্র আরিফুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে প্রার্থীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দলের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা-৮ আসনে নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গঠিত এই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্বাচনী অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। বর্তমানে এনসিপির প্রার্থীরা সারাদেশে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ঢাকা-৮ আসনে নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর প্রার্থিতা এই এলাকার নির্বাচনী সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


ঢাকা-১৭ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে তাঁর পক্ষে এই মনোনয়ন ফরম দাখিল করা হয়।

তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্রটি জমা দেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম এবং দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে তারেক রহমানের সরাসরি নির্বাচনি লড়াইয়ে নামার এই প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক মহলে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসন থেকে তারেক রহমানের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এই আসন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির মিত্র দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি তারেক রহমানের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এর পরিবর্তে তিনি তাঁর পৈতৃক এলাকা ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যারিস্টার পার্থ ইতিপূর্বেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোলা-১ আসন থেকে বিএনপির সমর্থনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় রাজধানীর এই হাই-প্রোফাইল আসনটিকে ঘিরে এখন ব্যাপক নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে। তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেছে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।


মনোনয়নপত্র জমা আজ, টিপসই দিলেন খালেদা জিয়া

আপডেটেড ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরের পরিবর্তে টিপসই দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় তাঁর পক্ষে নির্ধারিত আসনগুলোতে দাপ্তরিক এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। দলীয় সূত্র অনুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়া এবার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন, যার মধ্যে রয়েছে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ এবং ফেনী-১ আসন।

ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে দিনাজপুর-৩ আসনের মনোনয়নপত্রটি গতকাল রবিবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। দিনাজপুর জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এই ফরমটি দাখিল করেন। আজ সোমবার বগুড়া-৭ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন তাঁর উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু ও জেলা বিএনপির সভাপতি। একই দিনে ফেনী-১ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু। মূলত বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার তিনি স্বাক্ষরের পরিবর্তে টিপসই ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।

জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষেও আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বগুড়া-৬ এবং রাজধানীর অভিজাত আসন ঢাকা-১৭ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারেক রহমানের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা আজ এই ফরমগুলো সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করবেন। দীর্ঘ সময় পর শীর্ষ নেতৃত্বের এমন সরাসরি অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

তফসিল অনুযায়ী, সংগৃহীত সকল মনোনয়নপত্র আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারির মধ্যে যাচাই-বাছাই করা হবে। বৈধ প্রার্থীদের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারি। এরপরের দিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। মূলত আজকের দিনটি প্রার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিকেল ৫টার পর আর কোনো মনোনয়নপত্র গ্রহণের সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে সারা দেশে বিএনপি ও জোটের প্রার্থীরা তাঁদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে ভিড় জমাচ্ছেন।


মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ, সংগ্রহ ৩১১৪টি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাঁদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রবিবার পর্যন্ত সারা দেশে ৩ হাজার ১১৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও দাখিল করেছেন মাত্র ১৬৬ জন। তবে শেষ দিনে আজ সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ নিবন্ধিত ৫৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় দলটি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনো প্রার্থী ৫ জনের বেশি ব্যক্তিকে সাথে নিতে পারবেন না এবং কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সাবেক সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে তা শিথিল রাখা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমার সময় জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা এবং প্রয়োজনীয় হলফনামা ও দলিলাদি যুক্ত করা বাধ্যতামূলক।

মনোনয়নপত্র জমার সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছেন যে, এখন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যদি দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে সময়ের প্রয়োজন মনে করে এবং কমিশনকে অনুরোধ জানায়, তবে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোটের মূল তারিখ অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি অপরিবর্তিত রেখেই যাচাই-বাছাই ও আপিলের সময় থেকে দু-একদিন সমন্বয় করে নেওয়া সম্ভব হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তফশিল অনুযায়ী, আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হলে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপর কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন, যা নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারি এবং ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক পাওয়ার পর ২২ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন যা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। সবশেষে ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে সারা দেশের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে শেষ মুহূর্তের ব্যাপক প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।


ঢাকা-১৭ ও বগুড়া-৬ আসন থেকে লড়ছেন তারেক রহমান: মনোনয়নপত্রে সই সম্পন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই দুটি আসনের দলীয় মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেল এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছর ৩ মাস প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরে এটিই তারেক রহমানের প্রথম কোনো নির্বাচনী দাপ্তরিক বা প্রশাসনিক কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ। সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট দুটি আসনের নির্বাচনী সমন্বয়কদের নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বসেন তিনি। সভা শেষে তিনি নিজ হাতে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর সম্পন্ন করেন।

তারেক রহমানের এই সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর অভিজাত এলাকা ঢাকা-১৭ এবং তাঁর পৈতৃক এলাকা বগুড়া-৬ আসন থেকে তাঁর প্রার্থিতা সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচনী সমীকরণকে আমূল বদলে দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আগামীকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় আজই যাবতীয় আইনি ও দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। তাঁর এই পদক্ষেপে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূলত দীর্ঘ নির্বাসন শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তিনি দেশের সক্রিয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান সুসংহত করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন।


নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নওগাঁ-৫ আসনের এনসিপি প্রার্থী মনিরা শারমিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমিন। আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। মনিরা শারমিন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছিল এনসিপি। সেই তালিকায় নওগাঁ-৫ আসনে মনিরা শারমিনের নাম ছিল। তাঁর এই আকস্মিক সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে স্থানীয় রাজনীতি ও দলটির অভ্যন্তরে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জেলায় এনসিপি মনোনীত অন্য প্রার্থীরা হলেন—নওগাঁ-১ (পোরশা-সাপাহার-নিয়ামতপুর) আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামুইরহাট) আসনে জেলা কমিটির আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান চৌধুরী, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বাদলগাছী) আসনে পরিমল চন্দ্র উরাও এবং নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে জেলা সদস্য আব্দুল হামিদ। নওগাঁ-৬ আসনে দলটির পক্ষ থেকে আগে থেকেই কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। মনিরা শারমিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ফলে নওগাঁ-৫ আসনের নির্বাচনী সমীকরণে নতুন মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ধারাবাহিক পদত্যাগ ও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর মিছিলে এবার নওগাঁর এই নেত্রীর নামও যুক্ত হলো।


মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ২৭৮০, জমা দিলেন ৩১ জন: শেষ সময় আগামীকাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত সারাদেশে ২ হাজার ৭৮০ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ফরম সংগ্রহ করলেও এখন পর্যন্ত তা জমা দেওয়ার হার বেশ কম। নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, সংগ্রহকৃত ২ হাজার ৭৮০টি ফরমের বিপরীতে মাত্র ৩১ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র চূড়ান্তভাবে দাখিল করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের ১০টি প্রশাসনিক অঞ্চলের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৫০৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন, যার মধ্যে জমা দিয়েছেন মাত্র ২ জন। এর পরেই কুমিলল্লা অঞ্চলে ৪০৫ জন এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৩৩৯ জন প্রার্থী ফরম সংগ্রহ করেছেন। অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে খুলনায় ৩০২ জন, রংপুরে ২৮৩ জন, রাজশাহীতে ২৬৯ জন, চট্টগ্রামে ২৪০ জন, বরিশালে ১৬১ জন এবং ফরিদপুর অঞ্চলে ১৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। সবচেয়ে কম ১২৭ জন প্রার্থী ফরম সংগ্রহ করেছেন সিলেট অঞ্চলে। দাখিলের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলে যথাক্রমে ৮ ও ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে রাজশাহী ও কুমিলল্লা অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীই তাঁদের ফরম জমা দেননি।

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করেছে যে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার জন্য হাতে আর মাত্র এক দিন সময় বাকি আছে। আগামীকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে সকল প্রার্থীকে তাঁদের সংগৃহীত ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। ফলে শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অফিসগুলোতে ব্যাপক ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে আপিল করা যাবে এবং ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে সেসব আপিল নিষ্পত্তি হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং পরদিন ২২ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। সব শেষে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ও নথিপত্র গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সকল দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।


তারেক রহমানের ভোটার আবেদন অনুমোদন করল নির্বাচন কমিশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছরেরও বেশি সময় পর দেশের মাটিতে ফিরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় যুক্ত হলেন তিনি।

এর আগে গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভোটার নিবন্ধনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তারেক রহমান। দুপুর ১টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছান এবং আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ প্রদানের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন। প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন আজ তাঁর এই আবেদনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করল।

তারেক রহমানের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও একই দিনে ভোটার নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। জাইমা ও জোবায়দা রহমান দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবনে প্রবেশ করে ১২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত গুলশান এলাকার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন।

ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ করে শনিবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন তারেক রহমান। এ সময় ভবনের বাইরে ও রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী তাঁকে মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান। তারেক রহমানও গাড়িতে ওঠার আগে হাত নেড়ে তাঁদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসার অভিবাদন গ্রহণ করেন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে তাঁর এই ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়াটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথে একটি বড় আইনি অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মূলত নাগরিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় হওয়ার লক্ষ্যেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।


banner close