মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
১৪ পৌষ ১৪৩২

৩ লাখ ৭৬ হাজার প্রবাসীর কাছে ব্যালট প্রেরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:১৮

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে গত ১০ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩০৯ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে।

গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ও নয় দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী ভোটারের কাছে এই পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়েছে বলে বাসসকে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন বিষয়ক আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান।

তিনি বলেন, দেশের মধ্যে ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়বে এবং আমরা আশা করি, দেশের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবী, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ও আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের নিবন্ধনের এই সংখ্যা ১০ লাখ হতে পারে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন ৬ লাখের বেশি হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ৩৭ হাজার ৬১২ জন প্রবাসীর কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়েছে। গত শনিবার সৌদি আরবে ৪৫ হাজার ৫৫০টি পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ৫৭ হাজার ৩৬০ জন প্রবাসীর কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে সৌদি আরবে সর্বোচ্চ ২২ হাজার পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ হাজার ৯৯৯টি, যুক্তরাজ্যে ৩ হাজার ৫০০টি, কুয়েতে ৯০০টি ও সৌদি আরবে ১৭ হাজার ৫০০টি পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে গত ১০ দিনে মোট ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩০৯টি পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়েছে বলে ইসি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর মধ্যে সৌদি আরবে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২২ হাজার ৩৯৩ জন প্রবাসীর কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়েছে।


সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত থাকুন

বিজিবির প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করতে বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি বিজিবিও প্রস্তুত আছে। নির্বাচনে ৩৫ হাজার বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি। সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিজিবি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বিজিবি সদর দপ্তরে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোথাও কোন ধরনের ছাড় দেয়া হচ্ছে না। দেশের মধ্যে অপরাধ করে যাতে কেউ সীমান্ত দিয়ে পার হতে না পারে সে জন্য স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।

পদক প্রদান শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গকে সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিজিবি সদস্যদের সহায়তা চান।

এছাড়া সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবি সদস্যদের কঠোর ও কৌশলী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজিবি সদস্যদের অপরিসীম সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তিনি স্মরণ করেন। একইসঙ্গে উপদেষ্টা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদকে। এছাড়া গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে, যাদের আত্মদানে উন্মোচিত হয়েছে শোষণ ও বৈষ্যমহীন দেশ গড়ার নতুন পথ। তিনি আরো স্মরণ করেন এ আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবি এক সুদীর্ঘ ও গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বিজিবি এক ‘ত্রিমাত্রিক’ বাহিনী হিসেবে দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা ও জনকল্যাণমূলক কাজে অনন্য ভূমিকা রাখছে। বিজিবির উন্নয়নে সরকার সর্বাত্নক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। সীমান্ত দিয়ে কোন মাদক প্রবেশ করবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি চোরাকারবারী ও মাদক পাচারকারীদের সহায়তা করে কিংবা সাহায্য করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই সর্বদা সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত কৌশলী ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। দেশের স্বার্থ শতভাগ রক্ষা করতে হবে।

সীমান্তে চোরাকারবারীদের আইনের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমান্তে প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জেলা প্রশাসনের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


মনোনয়নপত্র জমার সময় আর বাড়ছে না: নির্বাচন কমিশন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময় আর বাড়ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ইসি এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আর বাড়ছে না। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজই ছিল শেষ দিন।’

তফশিল অনুযায়ী, সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারাদেশের আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়গুলোতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। শেষ দিনে দেশের বিভিন্ন আসনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সারাদেশে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনভর কতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেন— এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে তথ্য আসার প্রক্রিয়া চলছে। এগুলো সংগ্রহ ও সংকলন করতে কিছুটা সময় লাগবে।’

নির্বাচনি সময়সূচি অনুযায়ী, জমা পড়া এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হবে আজ ৩০ ডিসেম্বর থেকে, যা চলবে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর আপিল দায়ের, নিষ্পত্তি এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ আইজিপির

আপডেটেড ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যেকোনও মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হবে। নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতার উদ্ভব হলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব নির্দেশনা দেন আইজিপি।

বাহারুল আলম বলেন, প্রাক-নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দৃশ্যমান উপস্থিতি আরও বাড়াতে হবে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

আইজিপি বলেন, পুলিশের দায়িত্ব পালনে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করে দ্রুত আদালতে সোপর্দ করারও নির্দেশনা দেন তিনি।

এছাড়া থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে আইজিপি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলেন, লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে সরকার ঘোষিত পুরস্কারের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে, যাতে সাধারণ জনগণ এ বিষয়ে আরও উৎসাহিত হয়।

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা। পুলিশ সদর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) এ কে এম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম, ডিআইজি (গোপনীয়) মো. কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় নভেম্বর ২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানার অগ্রগতি, মামলা তদন্ত ও বিচারের ফলাফল, সাজার হারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।


৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে এনসিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে দেশজুড়ে ৪৭টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থীরা। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি উল্লেখ করেন, যদিও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে আসন সমঝোতা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে কারিগরি ত্রুটি বা অন্য কোনো কারণে কারো প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার শঙ্কা থেকে তাঁরা কৌশলে ৪৭টি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় নির্বাচনী জোটে এনসিপির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যদিও আসন ভাগাভাগির বিষয়ে জোটের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আভাস দিচ্ছে যে এনসিপিকে শেষ পর্যন্ত ৩০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। আজকের সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম জানান, চূড়ান্ত সমঝোতা যাই হোক না কেন, তাঁরা নির্বাচনমুখী অবস্থানে অনড় রয়েছেন এবং একটি অংশগ্রহণমূলক ভোটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নতুন রাজনৈতিক ভূমিকা। নাহিদ ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেন যে, আসিফ মাহমুদ এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন এবং তিনি দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে আসিফ মাহমুদ নিজে এবারের নির্বাচনে কোনো আসন থেকে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বরং তাঁকে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মনোনীত প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে এবং মাঠপর্যায়ের কৌশল নির্ধারণে তিনি মূল ভূমিকা পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বিকেল ৫টার পর সারাদেশে এই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এমন এক ব্যস্ততম দিনে এনসিপির এই ঘোষণা এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কৌশলগত অবস্থান নির্বাচনী অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিচিত মুখ আসিফ মাহমুদের সরাসরি ভোটযুদ্ধে না নেমে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে অবস্থান নেওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন সবার নজর ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার দিকে, যেখানে নির্ধারিত হবে ৪৭ জন প্রার্থীর মধ্যে কতজন শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে টিকে থাকেন।


নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী সামান্তা শারমিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন। মূলত জামায়াতে ইসলামীর সাথে এনসিপির নির্বাচনী জোট ও আসন সমঝোতার সিদ্ধান্তের প্রতি নীতিগত ভিন্নমত পোষণ করেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

সামান্তা শারমিন তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে, ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার মানুষের সমন্বয়ে গঠিত এনসিপির মতো একটি নতুন দলে অভ্যন্তরীণ বিতর্ক হওয়া স্বাভাবিক। তিনি মনে করেন, মাত্র ১০ মাসের পথচলায় দলের একটি সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক রূপ নির্ধারিত হওয়া কঠিন এবং বর্তমানে দলটির ভেতরে একটি ‘আদর্শিক লড়াই’ বা ইনার পার্টি স্ট্রাগল চলছে। তবে সম্প্রতি জামায়াতের সাথে জোট গঠনের যে কৌশলগত সিদ্ধান্ত দল নিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি শুরু থেকেই নিজের জোরালো আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নৈতিক কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “যেহেতু আমি এই জোট গঠনের সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করি না, আবার একই সঙ্গে দল থেকেও এই মুহূর্তে পদত্যাগ করছি না—তাই এনসিপি-জামায়াত জোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কিংবা জামায়াতের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাংগঠনিক বা আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করা আমার কাছে নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।” নিজের রাজনৈতিক সততা ও অবস্থানের প্রতি অবিচল থাকতেই তিনি এই নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।

সামান্তা শারমিন আরও বলেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট করা এনসিপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মোড়। এর ভালো-মন্দ ফলাফলের সঙ্গে দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি দলে থাকলেও তাঁর নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এই সিদ্ধান্তের পরিণতির ওপর নির্ভর করবে। তিনি সময়ের ওপর বিশ্বাস রেখে তাঁর এই অবস্থানের চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য অপেক্ষা করবেন।

উল্লেখ্য, জামায়াতের সাথে জোট গঠনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে এনসিপির অভ্যন্তরে চরম অস্থিরতা ও পদত্যাগের হিড়িক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ডা. তাসনিম জারা, ডা. তাজনূভা জাবীন, নুসরাত তাবাসসুম এবং মীর আরশাদুল হকের মতো শীর্ষ নেতারা দল ছেড়েছেন অথবা নিষ্ক্রিয় হয়েছেন। সামান্তা শারমিনের এই ঘোষণা দলটির অভ্যন্তরীণ সংকটকে আরও গভীর করল। তবে পদত্যাগ না করে কেবল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর মাধ্যমে তিনি এক ভিন্নধর্মী প্রতিবাদী অবস্থান গ্রহণ করলেন, যা রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ৫৬টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করল ইসি

আপডেটেড ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দযোগ্য ৫৬টি প্রতীকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এক জরুরি নির্দেশনার মাধ্যমে এই তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংরক্ষিত প্রতীকগুলো বাদে এই ৫৬টি প্রতীক থেকে স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ পাবেন।

ইসির প্রকাশিত তালিকায় থাকা প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে— মোটরসাইকেল, আলমিরা, ট্রাক্টর, মগ, উট, টেলিফোন, মাইক, কলস, ড্রেসিং টেবিল, ময়ূর, কলার ছড়ি, ঢেঁকি, মোবাইল ফোন, কাপ-পিরিচ, তালা, কুমির, থালা, কম্পিউটার, দালান, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চিরুনি, চিংড়ি, জগ, জাহাজ, টর্চলাইট, টিউবওয়েল, দোতলা বাস, দোলনা, পাগড়ি, মোড়া, মোরগ, রেল ইঞ্জিন, লিচু, সেলাই মেশিন, সোফা, সিঁড়ি, পানির ট্যাপ, পালকি, ফলের ঝুড়ি, ফুটবল, সূর্যমুখী, ফুল, হরিণ, হাঁস, বক, বালতি, বেবি টেক্সি, টেবিল, বৈদ্যুতিক পাখা, টেবিল ল্যাম্প, বৈদ্যুতিক বাল্ব, টেবিল ঘড়ি, হ্যান্ডশেক, হুঁকা ও হেলিকপ্টার।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই তালিকা থেকে কোনো প্রতীক যদি নতুন করে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অনুকূলে সংরক্ষিত হয়, তবে সেটি আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দযোগ্য থাকবে না। এছাড়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের নাম ও পদবিসহ একটি হালনাগাদ তালিকাও বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য এই প্রতীকের তালিকা প্রকাশ নির্বাচনী প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে প্রার্থীরা তাদের পছন্দের প্রতীক বেছে নেওয়ার প্রাথমিক ধারণা লাভ করবেন, যা পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিক বরাদ্দের সময় সহায়ক হবে। মূলত একটি স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল নির্বাচনের লক্ষ্যেই ইসি এই আগাম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।


নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি (জেপি)-র চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) আসন থেকে আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেননি।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, “আমার শরীর বেশ অসুস্থ। যদিও এই আসন থেকে লড়ার জন্য ফরম তুলেছিলাম, কিন্তু বর্তমান শারীরিক অবস্থায় নির্বাচন পরিচালনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণেই মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তবে অসুস্থতার বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক কারণে এই সিদ্ধান্ত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে গত বুধবার তাঁর পক্ষে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার পিরোজপুরে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে এক বিশাল বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় একদল জনতা। সেখানে আন্দোলনকারীরা তাঁকে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার অভিযোগে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির একদিন পরই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসন থেকে মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর এই প্রস্থান পিরোজপুরের নির্বাচনী সমীকরণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদের সরে দাঁড়ানো পিরোজপুর-২ আসনের নির্বাচনী লড়াইকে এক নতুন মোড় দিল। বর্তমানে এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।


নতুন বিপাকে পড়েছেন তাসনিম জারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে সদ্য পদত্যাগকারী নেত্রী এবং ঢাকা-৯ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. তাসনিম জারা তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে নতুন করে আইনি ও প্রযুক্তিগত জটিলতার মুখে পড়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত পূরণে নির্বাচন কমিশনের অসহযোগিতার বিষয়টি সামনে এনেছেন তিনি।

বাংলাদেশে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তবে তাঁকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের অন্তত ১ শতাংশের স্বাক্ষর বা সমর্থনযুক্ত তালিকা জমা দিতে হয়। এই তালিকার প্রতিটি নামের পাশে ভোটারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের পাশাপাশি ভোটার তালিকায় থাকা তাঁদের সুনির্দিষ্ট ‘সিরিয়াল নম্বর’ বা ক্রমিক নম্বর উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। ডা. তাসনিম জারা গতকাল রোববার থেকেই তাঁর নির্বাচনী এলাকা খিলগাঁও থেকে এই স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিলেন।

তবে আজ দুপুর নাগাদ এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ভোটারদের এই প্রয়োজনীয় সিরিয়াল নম্বর পাওয়ার সকল পথ বর্তমানে অকার্যকর হয়ে রয়েছে। তাসনিম জারা বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী পাঁচটি উপায়ে (এসএমএস, অনলাইন ওয়েবসাইট, কল সেন্টার, কিউআর কোড এবং অ্যাপ) এই নম্বর পাওয়ার কথা থাকলেও, বর্তমানে একটি পথও কার্যকর নয়।” তিনি অভিযোগ করেন যে, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট ও সার্ভার দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাউন হয়ে আছে, যার ফলে সাধারণ ভোটারদের তথ্য যাচাই করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা. জারা আরও বলেন, “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে এভাবে প্রতিটি পথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এটি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য প্রক্রিয়াটিকে কার্যত অসম্ভব করে তোলার নামান্তর।” প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় থাকলেও ডাটাবেজে প্রবেশ করতে না পারায় তাঁর প্রার্থিতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

উল্লেখ্য, আজ সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমার চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। এমন এক জরুরি মুহূর্তে প্রযুক্তির এই বিভ্রাট বা প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা কেবল তাসনিম জারা নয়, বরং অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্যই একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি এই আইনি ও কারিগরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেন কি না, এখন সেটিই দেখার বিষয়। মূলত নির্বাচনী ব্যবস্থার এমন অসংগতি নিয়ে ডা. জারার এই প্রতিবাদ রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


বগুড়া-৪ আসনে নির্বাচন করবেন হিরো আলম, বলছেন ‘গানম্যান প্রয়োজন’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন ফরমটি উত্তোলন করেন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নয়, বরং নবগঠিত ‘আমজনতা পার্টি’র মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নামছেন। আজ বিকেল ৫টার নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই তিনি প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ তাঁর মনোনয়নপত্রটি জমা দেবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে হিরো আলম নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বিগত নির্বাচনগুলোতে আমি বারবার হামলা ও মামলার শিকার হয়েছি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছি। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন গানম্যান বরাদ্দ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কেবল আমি নই, অনেক প্রার্থীই এখন নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন এবং গানম্যানের দাবি জানাচ্ছেন।” তিনি আরও যোগ করেন যে, দেশবাসী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং বিগত বছরগুলোর মতো অনিয়মের নির্বাচন এবার আর কেউ দেখতে চায় না।

নির্বাচনী আসন নির্বাচনের বিষয়ে হিরো আলম এক বিশেষ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, অনেকে তাঁকে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করার অনুরোধ করেছিলেন। তবে ওই আসন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করছেন বিধায় তাঁর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি সদর আসন থেকে লড়ার চিন্তা বাদ দিয়েছেন। হিরো আলম উল্লেখ করেন যে, তিনি এর আগে ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের নির্বাচনেও বগুড়া-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ওই এলাকার মানুষের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই পুনরায় কাহালু-নন্দীগ্রামের মানুষের অধিকার আদায়েই তিনি এই আসনটিকে বেছে নিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, গতকালই হিরো আলম আনুষ্ঠানিকভাবে তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন আমজনতা দলে যোগদান করেছেন। দলীয় ব্যানারে তাঁর এই নতুন রাজনৈতিক যাত্রা বগুড়ার নির্বাচনী সমীকরণে বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। এর আগে তিনি একাধিকবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। এবার দলীয় প্রতীকে এবং তারেক রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার এক নতুন কৌশল অবলম্বন করলেন। মূলত নিজের নিরাপত্তা এবং একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন তাঁর প্রধান দাবি।


রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষে এক অনন্য ও সাদামাঠা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি সাধারণ মানুষের বাহন রিকশায় চড়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর প্রার্থিতা দাখিল করেন। মির্জা ফখরুলের এমন ব্যতিক্রমী উপস্থিতির দৃশ্যটি স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এক বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন মির্জা ফখরুল। ধর্মীয় এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিমকে সঙ্গে নিয়ে একটি রিকশায় চড়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিলাসবহুল গাড়ি পরিহার করে সরাসরি রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার এই দৃশ্যটি উপস্থিত জনতাকে বেশ অবাক ও আনন্দিত করে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ইশরাত ফারজানা কার্যালয়ের প্রবেশমুখে দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুলকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের জন্য তাঁর মনোনয়নপত্রটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বিএনপি মহাসচিবের এমন সাধারণ জীবনযাপন ও তৃণমূলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তাঁর নির্বাচনী এলাকায় এক নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। মূলত উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই এই দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।


ঢাকা-৮ আসনে এনসিপির প্রার্থী মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি দলটির নির্ধারিত প্রতীক ‘শাপলা কলি’ নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামবেন। গত রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) এনসিপির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখপাত্র আরিফুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে প্রার্থীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দলের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা-৮ আসনে নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গঠিত এই রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্বাচনী অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। বর্তমানে এনসিপির প্রার্থীরা সারাদেশে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ঢাকা-৮ আসনে নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর প্রার্থিতা এই এলাকার নির্বাচনী সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


ঢাকা-১৭ আসনে তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে তাঁর পক্ষে এই মনোনয়ন ফরম দাখিল করা হয়।

তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্রটি জমা দেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম এবং দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে তারেক রহমানের সরাসরি নির্বাচনি লড়াইয়ে নামার এই প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক মহলে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসন থেকে তারেক রহমানের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এই আসন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির মিত্র দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি তারেক রহমানের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এর পরিবর্তে তিনি তাঁর পৈতৃক এলাকা ভোলা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যারিস্টার পার্থ ইতিপূর্বেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোলা-১ আসন থেকে বিএনপির সমর্থনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় রাজধানীর এই হাই-প্রোফাইল আসনটিকে ঘিরে এখন ব্যাপক নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে। তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেছে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।


banner close