বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন যারা

২০২১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মীর সাব্বির মাহমুদ, আজমেরী হক বাঁধন, সিয়াম আহমেদ ও তাসনোভা তামান্না
আপডেটেড
৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:২০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:০৮

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, চলচ্চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদান রাখায় আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন (যৌথভাবে) অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে (যৌথভাবে) নির্বাচিত হয়েছে মাতিয়া বানু শুকু নির্মিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মিত ‘নোনাজলের কাব্য’। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন (যৌথভাবে) মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল); শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (যৌথভাবে) হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)। পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ) ও খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)পুরস্কার পেয়েছেন।

শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে আকা রেজা গালিবের ‘ধর’ এবং শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে কাওসার চৌধুরীর ‘বধ্যভূমিতে একদিন।’

এবার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হয়েছেন সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)। শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে কে. এম. আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গায়িকা চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন) এবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।

এছাড়া শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা চরিত্রে প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর) পুরস্কার পেয়েছেন। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)।

শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি) এবং শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)।

শ্রেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (দলগত) সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা শিল্পী হিসেবে ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য) পুরস্কার জিতেছেন। শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান (দলগত) পুরস্কার পেয়েছেন মো. ফারুক ও মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)।

শিগগির বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার কথা রয়েছে।


নতুন ঝলকে সাবিলা নূর

আপডেটেড ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:৪৫
বিনোদন প্রতিবেদক

এই তো কয়েক বছর আগেই শীর্ষ চাহিদাসম্পন্ন মডেল-অভিনেত্রীর কাতারে ছিলেন সাবিলা নূর। তবে অসংখ্য নতুনের ভিড়ে এখন চাহিদার শীর্ষে না থাকলেও ব্যস্ততার দিক থেকে পিছিয়ে নেই এই টিভি তারকা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার রোজার ঈদে একগুচ্ছ নাটকে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। দর্শক ও টিভি চ্যানেলের খোরাক জোগাতে কাজ করেছেন চাঁদ রাত পর্যন্ত। সেই ব্যস্ততার ক্লান্তি কেটেছে ঈদের দীর্ঘ অবসর যাপনে।

কিন্তু রোজার ঈদের রেশ কাটার আগেই আবার কোরবানি ঈদের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে টেলিপাড়ায়। লাইট-ক্যামেরা আর অ্যাকশনের হাঁকডাক আবারও শুরু হয়েছে বিভিন্ন লোকেশনে। যার অংশ হিসেবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোও বেশ সরব। গেল বছরে তুমুল প্রশংসা পাওয়া ‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজের গোলাম মামুন চরিত্রটি নিয়ে কোরবানি ঈদের জন্য নির্মিত হচ্ছে স্পিন অব সিরিজ। ‘গোলাম মামুন’ শিরোনামে এটি নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীন। সিরিজটির গোলাম মামুন চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।

এবার জানা গেল, সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চলতি বছরের আসন্ন সিরিজগুলোর এক ঝলক শেয়ার করেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই কর্তৃপক্ষ। সেখানে ‘গোলাম মামুন’-এর ফার্স্ট লুকে অপূর্বের সঙ্গে দেখা গেছে সাবিলা নূরকেও। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কথা বলতে নারাজ টিম। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হইচই জানায়, সিরিজটিতে নিজের আততায়ীকে খুনের দায়ে আটক হয় মামুন, সঙ্গে বন্ধু দম্পতির খুনেও জড়িয়ে যায় তার নাম। আইনরক্ষক মামুনকে আইন ভেঙে পুলিশের হাত থেকে পালাতে হয় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে। কিন্তু বাইরেও অপেক্ষা করছে আরও বড় বিপদ।

এর আগে শিহাব শাহীন জানিয়েছিলেন, সিরিজটিতে ক্রাইম থ্রিলার, সঙ্গে ড্রামার মিশেল রয়েছে। গোলাম মামুনের যে চরিত্র সেটাকে ঘিরেই পুরো গল্প। তার জীবনে কী কী ঘটেছে, তা-ই দেখানো হবে এতে। এ প্রসঙ্গে সাবিলা নূরও একটু রক্ষণশীল ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে বলার মতো কোনো সুযোগ আমার কাছে নেই। তাই একটু অপেক্ষা করতে চাই। দেখা যাক কী হয়। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু চমকজাগানিয়া কাজে যুক্ত হবো।’ আসছে ঈদুল আজহায় ‘গোলাম মামুন’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।


বলিউড নিয়ে আবার মুখ খুললেন বিদ্যা বালান

বলিউড তারকা বিদ্যা বালান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ডার্টি পিকচারখ্যাত বলিউড তারকা বিদ্যা বালান অভিনীত ‘দো অওর দো পেয়ার’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১৮ এপ্রিল। শীর্ষ গুহঠাকুরতা পরিচালিত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় বিদ্যা। সম্প্রতি সিনেমাটির প্রচারে এসে ক্যারিয়ারের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে ভাগ করেছেন বিদ্যা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন নারীপ্রধান চরিত্রের সিনেমা করতে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন, বলিউডে এমন অনেক পুরুষ অভিনেতা আছেন যারা নারীপ্রধান সিনেমায় অভিনয় করতে চান না।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বালান ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে তার মত ভাগ করে নেন। এদিন তিনি জানান, ইন্ডাস্ট্রি এগোলেও নারীপ্রধান চরিত্রের সিনেমায় অভিনয় করতে আজও অস্বস্তিবোধ করেন পুরুষরা। অনেকেই চান না নারীরা স্পটলাইট পান। তবে অভিনেত্রীর দাবি, এতে অভিনেতাদেরই লোকসান হয়। কারণ তারা নারীকেন্দ্রিক এসব দারুণ ও অভিনব ছবিগুলোর অংশ হতে পারেন না।

এর পাশাপাশি আবারও নেপোটিজম বা স্বজনপ্রীতি নিয়ে মুখ খোলেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, নেপোটিজম থাক বা না থাক, আমি তো আছি এখানে। ইন্ডাস্ট্রি কারও বাবার নয়, তেমন হলে তো সব বাবার ছেলেমেয়েই সফল হয়ে যেত। সাক্ষাৎকারে বলিউড নায়কদের নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন বিদ্যা। অভিনেত্রী বলেন, আমার তো মনে হয় না তারা (নায়করা) বিদ্যা বালানের সিনেমা বা কোনো নারীপ্রধান সিনেমায় অভিনয় করতে চাইবেন। সত্যি কথা বলতে কি এটা তাদের ক্ষতি। কারণ তাদের থেকে আমাদের সিনেমা বেশি ভালো হয়। তারা তো সব ফর্মুলানির্ভর সিনেমা করছেন।

তিনি বলেন, নারীদের সিনেমা অনেক বেশি এক্সাইটিং হয়। মানুষজন প্রশংসা করেন; কিন্তু পুরুষ অভিনেতারা নারীকেন্দ্রিক সিনেমা নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন। আমার মনে হয় না তারা চাইবেন যে কেউ তাদের জায়গাটা নিয়ে নিক। কিন্তু এতে আমার খারাপ লাগে না।

প্রসঙ্গত, ক্যারিয়ারে বিদ্যা বালান বরাবরই নারীপ্রধান চরিত্রের সিনেমা করে এসেছেন। ‘সে নো ওয়ান কিলড জেসিকা’ হোক বা ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘কাহানি’, বা অন্য ছবি। আর এসব সিনেমায় তিনি বাজিমাত করেছেন।

বিষয়:

বিশ্ব ভ্রমণের ঘোষণা শাকিরার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

সাবেক প্রেমিক স্প্যানিশ ফুটবলার জেরার্ড পিকের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন কলম্বিয়ান পপস্টার শাকিরা। তারপরও ওয়াকা ওয়াকাখ্যাত এই গায়িকা নিজেকে সামলিয়ে নানা প্রতিকূলতার পথ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মন ভালো রাখতে নতুন অ্যালবামের ঘোষণা দেওয়ার পর এবার গান নিয়ে বিশ্ব সফরে বের হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি এক ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শাকিরা জানান, চলতি বছরের শেষ দিকে শুরু হবে তার সফর। মূল উদ্দেশ্য নতুন অ্যালবাম ‘লাস মুহেরেস ইয়া নো ইয়োরান’ (নারীরা এখন আর কাঁদে না) এর প্রচার। পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই হবে তার প্রথম ট্যুর। সারা বিশ্বের মানুষ এই সংগীত উৎসবের জন্য অপেক্ষা করে।

শাকিরা যখন মঞ্চে উঠছিলেন, তখন পর্দায় স্প্যানিশ ভাষায় লেখা দেখা যায় ‘লা লোবা সে ভিয়েন’ যার অর্থ ‘নেকড়ে আসছে’। এই পপ তারকাকে দেখেই ইন্ডিও ক্লাবে উপস্থিত দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। ‘শাকিরা: বিজেডআরপি মিউজিক ৫৩তম সেশন’ গান দিয়ে কনসার্ট শুরু করেন শাকিরা, যেটা তার সাবেক প্রেমিক জেরার্ড পিকেকে উদ্দেশ্য করে লেখা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকের উদ্দেশ্যে স্প্যানিশ ও ইংরেজি ভাষায় শাকিরা বলেন, ‘অবশেষে আমরা সফরে যাচ্ছি– নভেম্বরে এখান থেকে শুরু করছি!’ তার ঘোষণায় চিৎকার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ভক্তরা। শাকিরা বলেন, ‘এখানেই শুরু, এই নভেম্বরে, এই শহরে! আর অপেক্ষা করতে পারছি না!

সর্বশেষ ২০২৭ সালে ‘এল ডোরাডো’ নামের অ্যালবাম বাজারে আসে শাকিরার। দীর্ঘ সাত বছর গত মার্চে নতুন অ্যালবাম নিয়ে আসেন এই গায়িকা। দীর্ঘ এই বিরতির জন্য শাকিরা দায় জেরার্ড পিকের ঘাড়ে। তার ভাষায়, পিকে যাতে তার ক্যারিয়ারে মনোযোগ দিতে পারেন, সে জন্য তিনি নিজের কাজে বিরতি দিয়েছিলেন; কিন্তু সেই ত্যাগের ফলাফল ‘শূন্য’। বিচ্ছেদের আগে পিকের বার্সেলোনার বাড়িতে থাকতেন শাকিরা। এর মধ্যে বিপুল অংকের কর ফাঁকির মামলাতেও ফেঁসেছেন তিনি। কিছুদিন আগে বার্সেলোনার বাড়ি ছেড়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। গ্রামি অ্যাওয়ার্ডজয়ী শাকিরা দুই সন্তান নিয়ে এখন থাকেন মিয়ামিতে। কোচেলা ভ্যালি ফেস্টিভালে উপস্থিত দর্শককে ধন্যবাদ জানিয়ে শাকিরা বলেন, ‘এই প্রথম আমরা কোচেলায় এসেছি। আমার পতাকা নিয়ে এখানে উপস্থিত হওয়াটা আমার জন্য সম্মানের এবং আমি খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। আমার সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’

বিষয়:

মন্দের ভালো ঈদের সিনেমা

আপডেটেড ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:১৬
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

সমালোচনা, বাধা-বিপত্তি এমনকি চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের অনুরোধকে তোয়াক্কা না করে এবার ঈদে অনেকটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনেমা ব্যবসায়ীরা। সৃষ্টি করেছেন নতুন রেকর্ড। লোকসানের ভয়-ডরকে উপেক্ষা করে ঈদুল ‍ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ১১টি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে কোনো কোনো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে মাত্র ২টি প্রেক্ষাগৃহে। আবার ঈদের প্রথম তিন চার দিন যেতে না যেতেই এক হালি ছবি নামিয়েও দিয়েছেন হল মালিকরা।

এবার ঈদে রোমান্টিক, ফ্যামিলি ড্রামা, থ্রিলার, হরর থেকে শুরু করে তথাকথিত বাণিজ্যিক, কথিত বিকল্পধারা এমনকি অনুদানের সিনেমাও মুক্তি পেয়েছে। তবে প্রিয়তমার পর গত ঈদের মতো এবারও শাকিব খান অভিনীত ও হিমেল আশরাফ পরিচালিত রাজকুমার ছবি একাই ১২৭টি সিনেমা দখল করে নিয়েছে। ব্যবসাও করছে বেশ ভালোই। এত ছবির ভিড়েও বলা চলে অনেকটা ফাঁকা মাঠেই গোল দিচ্ছেন শাকিব খান। কারণ তার জনপ্রিয়তার ধারে কাছেও নেই অন্য ছবিগুলোর নায়করা। ফলে, একচেটিয়া রাজত্ব করছে শাকিব খানের রাজ কুমার। যদিও রাজকুমারের গল্প ও গান নিয়ে কিছুটা সমালোচনা হচ্ছে, তবে এসব সমালোচনাকে গায়ে না মেখে শাকিব ভক্তরা প্রেক্ষাগৃহে ছুটছেন প্রিয় নায়কের সিনেমা দেখতে। দর্শকের কথা চিন্তা করে ঈদের আগেই অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে নতুন নতুন নজির স্থাপন করেন ছবিটির নির্মাতাপক্ষ। ঠিক তেমনি ঈদের দিন থেকেই রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্তের সিনেমা হলে ‘রাজকুমার’র দাপট লক্ষণীয়।

রাজকুমারের পরের অবস্থানে রয়েছে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’ সিনেমাটি। ২১টি হল পেয়েছে ছবিটি। জানা গেছে, প্রেক্ষাগৃহের মতো দর্শক সাড়ায়ও ‘রাজকুমার’র পরেই অবস্থান করছে এটি। বিশেষ করে ছবিটির গল্প দর্শক-সমালোচকদের মুগ্ধ করছে। নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী তো ‘ওমর’ দেখে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, হাউমাউ করে কেঁদেছেন নির্মাতাকে জড়িয়ে ধরে। মিশুক মনি পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’ নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনেকের। স্টার সিনেপ্লেক্স ছবিটির জন্য সর্বোচ্চ শো বরাদ্দ দিয়েছিল; কিন্তু মুক্তির পর সেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমীকরণ মিলছে না সেভাবে। তাই ছবিটির শো কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। আদর আজাদ ও পূজা চেরি অভিনীত ‘লিপস্টিক’ ছবিটি ঈদের প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত বেশ ভালোই ব্যবসা করছে; কিন্তু সিনেমা হল সংকটে পড়ে লোকসান গুনেতে হতে পারে প্রযোজককে। মাত্র ৭টি সিনেমা হল পেয়েছে লিপস্টিক। ছবিতে সাবলীল অভিনয়ের সুবাদে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন আদর ও পূজা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান।

ঈদের সিনেমা নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখনও তো ঈদের আমেজ আছে। মানুষ ছুটিতে, বেড়ানোর মধ্যে আছে। সেই হিসেবে ছবিগুলো ভালোই যাচ্ছে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে ‘রাজকুমার’ ছবিটি বেশ ভালো চলছে। কারণ শাকিব খানের দর্শক-ভক্ত প্রচুর। এরপর ‘ওমর’ ছবিটি দারুণ যাচ্ছে। আমরা এই ঈদে মোট আটটি ছবি চালাচ্ছি। এর মধ্যে শরিফুল রাজ অভিনীত ‘ওমর’ থেকে অসাধারণ সাড়া পাচ্ছি। বাকিগুলো মন্দের ভালো চলছে বলা যায়। দেয়ালের দেশ, মায়া খুব একটা সাড়া ফেলতে পারছে না দর্শক মহলে। অন্যদিকে সোনার চর তো দুই সিনেমা হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের কাজল রেখা ১০ প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আবার প্রচারণার কারণে মাত্র ৬ সিনেমা হল নিয়েও ঢিমে তালে চলছি ‘মোনা: জিন-২’।

অন্যদিকে দর্শক টানতে পারছে না ‘মেঘনা কন্যা’, ‘গ্রিন কার্ড’ ও পরিচালিত ‘আহারে জীবন’ ছবিগুলো। কয়েকটি সিনেমা হল থেকে নামিয়েও দেওয়া হয়েছে এই সিনেমা হলগুলোকেS।


জ্যাকসন হাইটসে উদযাপিত হলো চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ

জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পাপী মনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে উদযাপিত হলো চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ। জমকালো আয়োজনে বিপুল সংখ্যক দর্শকের মন মাতালেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পাপী মনা এবং লুমিনসহ স্থানীয় শিল্পীরা।

জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত পাপী মনা ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কে ফোবানাতে গান গাওয়ার পর এ বছর তার লেখা এবং সুর করা গান গেয়ে মাতিয়েছিলেন জ্যাকসন হাইটস। ২০১৪ সালে তার ‘ভুল’ গানটি সারা ফেলে।

বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ-এর উদ্যোগে দেশি সাজ এবং তরঙ্গ কেয়ার ইনক-এর আয়োজনে শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ অনুষ্ঠানে ছিল পোশাক ও লোকজ শিল্পের মেলা, লোকসঙ্গীত, নৃত্য, পুঁথি পাঠ ও আবৃত্তি। ছিল বিনামূল্যে পান্তা-ইলিশ। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল চ্যানেল আই।

বিষয়:

বন্ডকন্যার সিনেমা দিয়ে শুরু হবে কান উৎসব

কান উৎসবে লেয়া সেদ্যু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বছর শেষে আবারও ঘনিয়ে আসছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসব। আগামী ১৪ মে দক্ষিণ ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরের তীরে কান উৎসবের পর্দা উঠবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন ফরাসি কমেডিয়ান-অভিনেত্রী ক্যামিল কোতাঁন। প্রতি বছরেই উৎসবের উদ্বোধনী সিনেমার প্রতি আলাদা এক আকর্ষণ থাকে সবার। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারও। আসন্ন ৭৭তম কান উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে কোয়ান্তাঁ দ্যুপিয়ো পরিচালিত ‘দ্য সেকেন্ড অ্যাক্ট’। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বন্ডকন্যা লেয়া সেদ্যু। জেমস বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজের সর্বশেষ দুই ছবি ‘স্পেক্টর’ ও ‘নো টাইম টু ডাই’-তে দেখা গেছে তাকে। ‘দ্য সেকেন্ড অ্যাক্ট’ ছবিতে তার সহশিল্পী ফরাসি দুই তারকা ভাসোঁ লান্দোঁ ও লুই গারেল। লালগালিচায় একসঙ্গে হাজির হবেন তারা।

ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে থাকছে উদ্বোধনী ছবির বিশেষ প্রদর্শনী। ফ্রান্সের কোয়ান্তাঁ দ্যুপিয়ো একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংগীতশিল্পী। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ১৩টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। এরমধ্যে ২০১০ সালে কান উৎসবের সমান্তরাল বিভাগ ক্রিটিকস উইকে ‘রাবার’ ও ২০১৯ সালে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে ‘ডিয়ারস্ক্রিন’ স্থান পায়।

‘দ্য সেকেন্ড অ্যাক্ট’ কোয়ান্তাঁ দ্যুপিয়োর একটি ফ্র্যাঞ্চাইজের চতুর্থ পর্ব। আগের তিনটি কিস্তি ছিল ‘ম্যান্ডিবলস’, ‘স্মোকিং কজেস কফিং’ ও ‘ইয়ানিক’। এরমধ্যে ২০২২ সালে কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে প্রতিযোগিতার বাইরে দেখানো হয় ‘স্মোকিং কজেস কফিং’।

আগের তিন পর্বের মতো নতুনটিতেও অভিনয় করেছেন রাফায়েল ক্যুনার। এ ছাড়া আছেন সমকালীন ফরাসি চলচ্চিত্রের আলোকিত মুখ আলাঁ শাবা, বেনোয়াঁ পুলভর্দ, জ্যঁ দুজারদাঁ, আদেল একজারকোপুলোস, লেয়া ড্রুকার, বেনোয়াঁ মেজিমেল, আনাইস দ্যুমুস্তিয়ের, ভাসোঁ লাকস্ত, জিল ল্যুলুশ, এদুয়ার্দ বেয়ার, পিও মারমাই।

এবারের জুরি প্রেসিডেন্ট থাকছেন ‘বার্বি’র পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। ফ্রান্স টেলিভিশনস এবং ব্রুট সরাসরি সম্প্রচার করবে উদ্বোধনী আয়োজন। অনুষ্ঠানটির পাশাপাশি ‘দ্য সেকেন্ড অ্যাক্ট’ দেখাবে ফ্রান্সের অনেক প্রেক্ষাগৃহ। এ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফ্রেঞ্চ সিনেমাস (এফএনসিএফ)।

বিষয়:

ঈদ মুক্তি থেকে সরে দাঁড়ালো ‘পটু’ ও ‘ডেডবডি’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

শেষ মুহূর্তে এসে ঈদে মুক্তি থেকে সরে দাঁড়ালো আহমেদ হুমায়ুন নির্মিত ‘পটু’ ও মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘ডেডবডি’ ছবি দুটি। দুই ছবির পক্ষ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে দুটি ভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে।

‘পটু’ প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আব্দুল আজিজ জানালেন, তাদের ছবিটির পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই ঘোষণা দিয়েও সরে দাঁড়িয়েছেন তারা। তবে এই ঈদে প্রতিষ্ঠানটির ‘মোনা: জ্বীন ২’ চলবে প্রেক্ষাগৃহে।

অন্যদিকে ‘ডেডবডি’ নিয়ে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনন্ত জলিলের পরামর্শ শুনেছেন পরিচালক-প্রযোজক ইকবাল। জলিলকে উদ্দেশ করে ইকবাল বলেছেন, ‘ব্রাদার (অনন্ত জলিল) আপনাকে আমি ভালোবাসি। আপনি বলার সাথে সাথে আমি ঈদে রিলিজ না করে দুই সপ্তাহ পিছিয়েছি। এবং হল মালিকদের চিঠি দিয়ে দুই সপ্তাহ পর প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করেছি।’

ইকবাল জানান, ঈদের পরিবর্তে আগামী ৩ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তার ছবিটি। ভৌতিক ধাঁচের গল্পে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, রোশান, শ্যামল মাওলা, অন্বেষা রায় প্রমুখ।

বিষয়:

ধ্রুব মিউজিক স্টেশন-এর তারকাবহুল ঈদ উৎসব

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩৭
বিনোদন প্রতিবেদক

ঈদ ঘিরে শ্রোতা-দর্শকদের জন্য বিভিন্ন ঘরানার গান ভিডিও নিয়ে হাজির হয়েছে দেশের অন্যতম অডিও ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)। গত ২৯ মার্চ থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের (ডিএমএস) ঈদ উৎসব ঘিরে তাদের আয়োজনের গানগুলো।

প্রতিষ্ঠানটির বর্ণিল ঈদ আয়োজনে এবার রয়েছে বাংলা সংগীতের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র শওকত আলী ইমন ও আঁখি আলমগীরের কণ্ঠে ‘কফির পেয়ালা’। আশিক মাহমুদের কথায় গানটির সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ। সংগীতায়োজন করেছেন শওকত আলী ইমন নিজেই। গানের ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিথিল রহমান। এই প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জিসান খান শুভর কণ্ঠে শ্রোতারা শুনতে পাবেন ‘মেঘ ২’ শিরোনামের নতুন গান। শুভর কথা ও সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সুনামগঞ্জের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ণ করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

নাহিদ হাসানের কণ্ঠে আসছে ‘তোমার ভেজাচুল’ শিরোনামের নতুন গান। মাহমুদ শাওনের অনবদ্য কাব্যমালায় সুর দিয়েছেন নাহিদ নিজেই। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

সামজ ভাই গেয়েছেন ‘আঘাত’ শিরোনামের নতুন গান। জিসান খান শুভর কথা ও সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সুনামগঞ্জের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়ণ করে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

কণ্ঠশিল্পী খালেদ মুন্না গেয়েছেন ‘তোমার নিষ্ঠুর আচরণে বুকে ধাক্কা লাগে’। প্রিন্স রুবেলের কথা ও সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন রোজেন রহমান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত।

আলোচিত কণ্ঠশিল্পী সাথী খানের কণ্ঠে প্রকাশ পাবে ‘বেশি কথা না বলিয়া’ শিরোনামের গান। সচল পাগল সুজনের কথা ও সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আদিব কবীর। ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাজ বিশ্বাস শংকর।

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ঐশী দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী জনি খানের সঙ্গে। তাদের দুজনের নতুন গান ‘বেসামাল’। মাহতাব হোসেনের গীতিকবিতায় সুর দিয়েছেন জনি খান। সংগীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন রাহাত বাপ্পী।

প্রতিবারে মতো এবারও ধ্রুব মিউজিক স্টেশন সুযোগ করে দিয়েছে নতুন প্রতিভাবানদের। নতুন একটি ব্যান্ডকে তারা তুলে এনেছে। নতুন এই ব্যান্ডের নাম ফড়িং ব্যান্ড। তাদের নতুন গান ‘সোনার ফড়িং’ প্রকাশ পাচ্ছে এবারের ঈদে। শেখ মো. পলাশের কথা ও সুরে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ব্যান্ডের ভোকাল রাছেল সিকদার। সংগীতায়োজনে ছিলেন তরিক। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন ফারহান আহমেদ রাফাত। এই প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী এ আর টুটুলের কণ্ঠে ‘নীলচে খামে’ প্রকাশ পাবে এবারের ঈদে। সালেহ আকরাম মেরিনের কাব্যমালায় সুর দিয়েছেন এ আর টুটুল নিজেই। সংগীতায়োজন করেছেন মুশফিক লিটু।

নিজের কথা, সুর ও কণ্ঠে শ্রোতাদের জন্য নতুন গান নিয়ে আসছেন কণ্ঠশিল্পী এহসান কবির। গানের শিরোনাম ‘মনটা আমার ভাড়া দেব’। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন তমাল হাসান। ভিডিও নির্মাণ করেছেন মামুন রনি।

ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) জানায়, ২৯ মার্চ থেকে প্রকাশ শুরু হওয়া এই ঈদ উৎসব চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। গানগুলো তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের পাশাপাশি গানগুলো শুনতে পাওয়া যাবে দেশি ও আন্তর্জাতিক একাধিক অ্যাপে।

বিষয়:

এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নতুন সিনেমার মাধ্যমে ঈদ বিনোদনটা বেশ পুরনো। বিগত কয়েক দশকে ঢালিউড চলচ্চিত্রের অনেক চড়াই- উৎরাই হলেও ঈদের সময় বাংলা ছবির শোরগোলটা ছিল স্বাভাবিক। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এমনকি ব্যবসায়িক সিনেমাগুলোর পাশাপাশি মূলধারার কাতারে শামিল হচ্ছে শৈল্পিক ও নিরীক্ষাধর্মী ছবিগুলোও। তাই ভিন্ন স্বাদে বাড়ছে দর্শকদের প্রত্যাশা। চলুন, ঈদুল ফিতর ২০২৪-এ মুক্তি পাওয়া তেমনি কিছু বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।

রাজকুমার

২০২২ সালের ২৯ মার্চ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশের পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়েছে ‘রাজকুমার’ নিয়ে। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার এই মুভিতে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নায়িকা হয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আর এ নিয়ে মোট ৩টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করলেন পরিচালক হিমেল আশরাফ।

এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মোস্তফা, আফজাল হোসেন, ফারুক আহমেদ এবং ডা. এজাজ।

রাজকুমার’ বাংলাদেশের একটি গ্রাম্য যুবকের আমেরিকার যান্ত্রিক শহরে তার মাকে খোঁজার গল্প। এই অক্লান্ত যাত্রায় একে একে যুবকটি সম্মুখীন হয় অভিবাসন বাধা, ভিন্ন সংস্কৃতি, এমনকি প্রেম-ভালবাসার।

কাজলরেখা

দেশের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রকার গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণার ফসল এই চলচ্চিত্র। মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির গল্প, পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন সেলিম নিজেই। সিনেমার পটভূমিক আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের।

মুভির নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। সুচ কুমারের ভূমিকায় থাকছেন শরিফুল রাজ। আর খলচরিত্র কঙ্কণ দাসী হিসেবে রয়েছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা।

চলচ্চিত্রটিতে আরও আছেন ছোট পর্দার তারকা খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, ও শাহানা সুমি।

লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী

ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকি’র ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের ১২টি ওয়েব ফিল্মের একটি ‘মনোগামী’। পরিচালনায় আছেন স্বয়ং প্রজেক্ট তত্বাবধায়ক প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রজেক্টের অধীনে ইতোমধ্যে তার পরিচালিত ও অভিনীত ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ফিল্মটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরে ‘মনোগামী’র মাধ্যমে তিনি তুলে ধরতে যাচ্ছেন নারী-পুরুষের সম্পর্কের তীক্ত সত্য কিছু দিক। এর আগে তার এই প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিলো ‘ব্যাচেলার’ (২০০৪) ছবিতে। এবারে আলোকপাত করা হয়েছে বিবাহিত জীবনের দিকে।

সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন এ সময়ের বিনোদন পাড়ার সবচেয়ে পরিচিত মুখ চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে আছেন সঙ্গীতশিল্পী ও ইউটিউবার জেফার রহমান এবং নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমাকে।

দেয়ালের দেশ

বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত এই রোমান্টিক ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চিত্র-পরিচালনা করলেন মিশুক মনি। ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও সবই তার লেখা। চলচ্চিত্রের গল্প এগিয়েছে দুটি ভিন্ন সময়কে কেন্দ্র করে।

`দেয়ালের দেশ’-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছেন শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। ব্যবসায়িক ছবির নায়িকা হিসেবে সুপরিচিত বুবলীকে এবার দেখা যাবে অকৃত্রিম বাস্তবধর্মী চরিত্রে।

চলচ্চিত্রের অন্যান্য সহশিল্পীরা হলেন জিনাত শানু স্বাগতা, আজিজুল হাকিম, সাবেরী আলম, শাহাদাত হোসেন, এ কে আজাদ সেতু, সমাপ্তি মাশুক, এবং দীপক সুমন।

মেট্রো সিনেমার ব্যানারে যৌথ ভাবে ছবির প্রযোজনা করেছেন মাহফুজুর রহমান ও মিশুক মনি।

ওমর

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্রকার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ দীর্ঘদিন পর বিনোদন পাড়ায় ফিরছেন ‘ওমর’-এর মাধ্যমে। মুভির শিরোনামটি ঠিক করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবির গল্প নিয়ে এখনও ‘ওমর’ টিমের কেউই তেমন কিছু প্রকাশ করেননি। তবে চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।

চলচ্চিত্রের নাম চরিত্রে রয়েছেন শরীফুল রাজ। বিশেষ একটি চরিত্রে আবির্ভূত হবেন কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এছাড়া আরও থাকছেন ফজলুর রমান বাবু, নাসির উদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এরফান মৃধা শিবলু, ও আয়মান সিমলাকে। মাস্টার কমিউনিকেশন্সের ব্যানারে মুভির প্রযোজনায় ছিলেন খোরশেদ আলম।

মায়া: দ্য লাভ

স্বরচিত কাহিনী, সংলাপ, ও চিত্রনাট্য নিয়ে জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালনা করেছেন ‘মায়া: দ্য লাভ’। রোমান্টিক ঘরানার এই সিনেমায় শবনম বুবলীর বিপরীতে রয়েছেন তিন অভিনেতা; সাইমন সাদিক, জিয়াউল রোশান, এবং আনিসুর রহমান মিলন।

তিন নায়ক ও এক নায়িকার চতুর্মুখী প্রেমকাহিনী নিয়ে এগিয়ে গেছে এই চলচ্চিত্রের গল্প। বুবলী এই প্রথম কোনও মুভিতে তিন নায়কের বিপরীতে অভিনয় করলেন।

সিনেমাটির প্রযোজক হিসেবে আছেন আলিনুর আশিক ভুঁইয়া।

এশা মার্ডার: কর্মফল

মিশন এক্সট্রিম মুভি সিরিজ-খ্যাত পরিচালক সানী সানোয়ারের নতুন চমক ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। পরিচালক নিজেও পেশায় একজন গোয়েন্দা পুলিশ হওয়ায় রহস্য ও অপরাধ জগতের সরব উপস্থিতি থাকবে চলচ্চিত্রে। সিনেমাটি পটভূমিতে আছে আজিমপুরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের সত্য ঘটনা।

শ্রেষ্ঠাংশে নারী পুলিশ কর্মকর্তার বেশে আবির্ভূত হবেন আজমেরী হক বাঁধন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে পূজা ক্রুজকে। এর বাইরেও সিনেমাটিতে রয়েছে এক ঝাঁক তারকা। তারা হলেন শতাব্দী ওয়াদুদ, শহিদুজ্জামান সেলিম, শরীফ সিরাজ, মিশা সওদাগর, মাজনুন মিজান, সুমিত সেনগুপ্ত, ফারুক আহমেদ, এজাজ আহমেদ, নিবির আদনান নাহিদ, আনিসুল হক বরুণ, সুষমা সরকার এবং দীপু ঈমাম।

মোনা: জ্বীন-২

`জ্বীন’ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় জাজ মাল্টিমিডিয়া এবারের ঈদুল ফিতরে নিয়ে আসছে ‘মোনা: জ্বীন-২’। সিক্যুয়াল হলেও এতে আগের চলচ্চিত্রের অনেক কিছুই পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরিচালনায় নাদের চৌধুরীর বদলে থাকছেন কামরুজ্জামান রোমান। আর নাম ভূমিকায় পূজা চেরীর পরিবর্তে রয়েছেন নতুন মুখ সুপ্রভাত।

জামালপুরের এক বাড়িতে জ্বীনের উৎপাত নিয়ে সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ‘মোনা’র চিত্রনাট্য। জ্বীনের ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকতে না পেরে মালিক বাড়িটি ভাড়া দেন একটি মাদ্রাসাকে। কিন্তু সেই মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরাও কিছু দিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। নানা রকম ভৌতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এক পর্যায়ে উন্মুক্ত হতে শুরু করে আসল রহস্য।

‘মোন: জ্বীন-২’-এর অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন আহমেদ রুবেল, তারিক আনাম খান, দীপা খন্দকার, আরিয়ানা, সামিনা বাসার, সাজ্জাদ হোসেন, মাহমুদুল হাসান মিঠু, শেহজাদ ওমর, রেবেকা, এবং শামীম।

মেঘনা কন্যা

ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত এই অপরাধ-সংক্রান্ত নাট্য-চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে নারী পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। একদিকে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে নিষিদ্ধপল্লীর অন্ধকার জগতের দিকে, অন্যদিকে এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শহুরে নারীদের অসহায়ত্বকে। সিনেমার সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ খান হীরক ও ফাহমিদুর রহমান।

`মেঘনা কন্যা’র প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, কাজী নওশাবা আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি এবং সাজ্জাদ হোসেইন।

মুভিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন চিরকুট ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট শারমিন সুলতানা সুমি।

আহারে জীবন

এই চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে প্রায় ২৫ বছর পর একসঙ্গে হলেন গুণী নির্মাতা ছটকু আহমেদ এবং প্রখ্যাত চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনার পাশাপাশি রচনাও করেছেন ছটকু আহমেদ। সামাজিক ছবিটির পটভূমিতে রয়েছে করোনাকালীন দুর্দশা ও নানা ধরনের সামাজিক টানাপোড়েন।

ফেরদৌসের সঙ্গে ‘আহারে জীবন’ সিনেমায় জুটি বেধেছেন নায়িকা পূর্ণিমা। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুচরিতা, জয় চৌধুরী, মিশা সওদাগর, কাজী হায়াত, তুষার খান, মারুফ আকিব, মৌমিতা মৌ, সাহানুর রেবেকা এবং অহনা আঁখি।

ঈদুল ফিতর ২০২৪-এ এই ১০টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রতিটি স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু ও নাট্যধারাকে প্রতিনিধিত্ব করছে। তন্মধ্যে ব্যবসায়িক সিনেমা হিসেবে অন্য সবগুলোর থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকছে শাকিব খানের রাজকুমার মুভি। এই তালিকার ২য় ব্যবসায়িক চলচ্চিত্রটি ‘মায়া: দ্যা লাভ’। ফেরদৌস-পূর্ণিমা জুটির ভক্তরা আলাদা ভাবে চোখ রাখবেন ‘আহারে জীবন’ ছবিতে।

এছাড়া বাকি সবগুলোতেই থাকছে নিরীক্ষা ও তথাকথিত নির্মাণশৈলীর বাইরে শিল্পের ছোঁয়া। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কাজলরেখা’, ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’, ‘ওমর’, ও ‘দেয়ালের দেশ’। ক্রাইম-ড্রামা ‘মেঘনা কন্যা’ এবং থ্রিলার ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ দারুণ কিছু নাটকীয়তার প্রত্যাশা রাখছে। পরিশেষে, ভৌতিক মুভি ‘মোনা: জ্বীন-২’-এর সংযোজন পরিপূর্ণ একটি প্যাকেজে পরিণত করেছে বড় পর্দার এবারের ঈদ আয়োজনকে।


বলিউডে ঈদের ছবি ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ঈদ উপলক্ষে বলিউডে প্রতি বছরই মুক্তি পায় একাধিক সিনেমা। তবে এবার ঈদে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ সিনেমাটি। ২৫ বছর আগে একই নামের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন ও গোবিন্দ। ছবিটি বেশ ব্যবসা সফল হয়। এবার আব্বাস জাফর পরিচালিত একই নামের ছবিতে ‘বড়ে’ ও ‘ছোটে’ মিয়া হয়ে আসছেন বলিউডের দুই প্রজন্মের দুই অ্যাকশন হিরো অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ। এটিই তাদের একসঙ্গে প্রথম অভিনয়। অক্ষয়কে ‘বড়ে’ সম্বোধন করে জ্যাকিপুত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমি যে বছর জন্মেছি, সে বছর বলিউডে পা রেখেছেন আপনি। তবে আমি নিশ্চিত, আপনি এখনো লাফ দিয়ে আমার চেয়ে উঁচুতে উঠতে পারবেন।’

অন্যদিকে টাইগারকে উদ্দেশ্য করে অক্ষয় লিখেছেন, ‘যে বছর আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে, সে বছরই তুমি জন্মেছ। তাই তো এ সিনেমা আমার জন্য অনেক বেশি আবেগের।’ ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ সিনেমায় দুই নায়িকা ছিলেন রাভিনা ট্যান্ডন ও রামাইয়া কৃষ্ণন। সিনেমাটি মূলত কমেডি ঘরানার ছিল। আর এবারের সিনেমাটি অ্যাকশনে ভরপুর। তবে হাস্যরসের ছোঁয়া নেই, তা নয়। এবার সিনেমার নায়িকা হয়েছেন মানুষী চিল্লার এবং আলায়া ফার্নিচারওয়ালা। এ কারণে রিমেক ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরই বড় পর্দা কাঁপাতে আসছেন বলিউডের দুই সুপারস্টার। আগামীকাল ১০ এপ্রিল মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে সিনেমাটির ২ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ট্রেলার। সেখানে আক্কি-টাইগারের যুগলবন্দি অভিনয়ের প্রথম ঝলকেই বাজিমাত। সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অক্ষয়-টাইগার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাকশনের দৃশ্যের সঙ্গে রয়েছে পাওয়ারফুল সংলাপও। পৃথ্বীরাজ সুকুমারনকে দেখা যাবে কবিরের চরিত্রে। সে একজন সাইকোপ্যাথ কিলার, যে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিপজ্জনক একটি অস্ত্র নিজের দখলে নিয়ে নেয়। সেটি উদ্ধার করতেই যুদ্ধক্ষেত্রে নামবেন অক্ষয়-টাইগার। পুলিশের চরিত্রে রয়েছেন রণিত রায়। অক্ষয়-টাইগার শেষ পর্যন্ত সাইকোপ্যাথ কিলারকে ধরতে পারবেন? ভারত রক্ষার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত এ জুটির জয় হয় কি না সেটিই সিনেমার মূল রসদ।


ঈদের সর্বাধিক নাটকে সামিরা খান মাহি!

আপডেটেড ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:২৩
বিনোদন প্রতিবেদক

দেখতে দেখতে ঈদ একদম দ্বারপ্রান্ত। দর্শক ও টিভি চ্যানেল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের খোরাক জোগাতে প্রতি ঈদের জন্যই তৈরি হয় শত শত নাটক। এবার ঈদেও চ্যানেল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছয় শতাধিক ঈদের নাটক প্রচার হবে। এসব নাটকেরে বেশিরভাগই প্রচারিত হবে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই বিনামূল্যে যখন-তখন দেখা যাবে এসব নাটক। এবার টেলিভিশন চ্যানেলে দৃশ্যপট একটু পরিবর্তন হয়েছে। বাজেট বাড়ায় চ্যানেলগুলোতে কমেছে নাটকের সংখ্যা।

গত কয়েক বছরের মতো এবার ঈদেও টিভি নাটকে বেশি দেখা মিলবে নতুন প্রজন্মের চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের। এই তালিকায় অভিনেত্রীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন উঠতি তারকা সামিরা খান মাহি। জানা গেছে, ঈদকে ঘিরে গত দুই মাস টানা শুটিং নিয়ে ব্যস্ত এিই দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো নাটকের কাজ করছেন। এবারো নানা চরিত্রে হাজির হতে দেখা যাবে মাহিকে। কমপক্ষে দেড় ডজন নাটকে এবার ঈদে দেখা মিলবে তার। এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনাও আছে। তবে সংখ্যার বিচারে নয়, কাজগুলো মানের বিচারেই করেছেন বলে জানালেন মাহি।

তার অভিনীত এবারের ঈদ নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘দালাল’, ‘নেশার লাটিম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘পলাতক প্রেম’, ‘কিছু গল্পে নাম থাকে না’, ‘প্রাইভেট বিয়ে’, ‘নয়ন পাখি’, ‘নাইটগার্ড’, ‘এসাইনমেন্ট’, ‘চিটাংগা ফুয়া সিলেটি ফুড়ি’, ‘সবটুকু ছোঁয়া লাগে’, ‘প্রাক্তন’, ‘বসগিরি’ প্রভৃতি। এ নাটকগুলোতে তাকে দেখা যাবে মোশাররফ করিম, মুশফিক আর ফারহান, জোভান, ইরফান সাজ্জাদ, নিলয় আলমগীর, ইয়াশ রোহান, খায়রুল বাশার, শ্যামল মাওলাদের সঙ্গে।

সামিরা খান মাহি জানান ঈদের আগের দিন পর্যন্ত শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সত্যি বলতে সংখ্যার বিচার কোনো দিনও করি না। তবে এবার টানা কাজ করেছি। যে গল্পগুলোতে কাজ করেছি তার বেশির ভাগও বেশ ব্যতিক্রমী। আমার বিশ্বাস এ কাজগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে। এ অভিনেত্রী বলেন, রাত-দিন এক করে অনেক কষ্ট করে নাটকগুলোর কাজ শেষ করছি। সবার টিমওয়ার্ক রয়েছে এখানে। তাই এ নাটকগুলো যদি দর্শকদের মনে কিছুটাও দাগ ফেলতে পারে- সেটাই আসলে সার্থকতা।


এখনো চূড়ান্ত হয়নি ঈদের ছবি

ঈদে মুক্তির তালিকায় রয়েছে শাকিব খানের 'রাজকুমার' ছবিটি।
আপডেটেড ৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০২
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

ঈদের ছবি কয়টি? প্রতিবার ঈদ এলেই এমন প্রশ্নটি ওঠে। কারণ শুরুতে অনেক নাম শোনা যায়; কিন্তু সময় যত ঘনিয়ে আসে, ততই নানা জটিলতায় পড়ে কমতে থাকে সিনেমার সংখ্যা। ব্যতিক্রম হয়নি আসন্ন রোজার ঈদের সিনেমার ক্ষেত্রেও। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকেই ঈদের ছবি হিসেবে শোনা যাচ্ছে ১৩টির নাম। এরই মধ্যে অনেক ছবির প্রযোজক-পরিচালক ফেসবুকে এমনকি সংবাদ সম্মেলন করেও ঘোষণা দিয়েছেন- ঈদুল ফিতরেই আসবে তাদের ছবি। এবারের ঈদে মুক্তির তালিকায় থাকা সিনেমাগুলো হলো- রাজকুমার, দেয়ালের দেশ, লিপস্টিক, ওমর, কাজলরেখা, মেঘনাকন্যা, সোনার চর, মায়া-দ্য লাভ, জ্বীন ২, পটু, ডেডবডি, আহারে জীবন ও গ্রিনকার্ড।

তবে মুখে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিলেও শেষমেশ পাল্টে যাচ্ছে ঈদের ছবির হিসাব-নিকাশ। কারণ এক শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ ছবিটিই দখল করে নিয়েছে প্রায় সব সিনেমা হল। বর্তমানে সিনেমা হলের সংখ্যা ৫০-এরও কম। প্রদর্শক মালিকদের মতে, সারা দেশে মাত্র ৪৬টি প্রেক্ষাগৃহ সচল রয়েছে। আর ঈদ উপলক্ষে বন্ধ থাকা প্রায় ১০০ সিনেমা হল খোলা হয়; কিন্তু প্রায় দেড়শ সিনেমা হলের ১০০-রও বেশি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে হিমেল আশরাফ পরিচালিত রাজকুমার ছবিটি। বাকি ছবিগুলো গড়ে ৮টি প্রেক্ষাগৃহও পাচ্ছে না। অন্যদিকে সিনেমা হল মালিকরা এক ঈদে এত ছবি মুক্তি দেওয়াকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘সবাই ঈদে সিনেমা মুক্তি দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন; কিন্তু আমাদের দেশে এত সিনেমা হল কোথায়? ছবিগুলো কোথায় চলবে। এটা নিয়ে কেউ ভাবছেন না। রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদের সিনেমা থাকলে বাকি কয়েক মাস সিনেমা হল ফাঁকা হয়ে থাকবে। তখন আমরা কী সিনেমা চালাব।’

বিষয়টি নিয়ে প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘ঈদের সময়টাতে ছবি মুক্তি দেওয়া উন্মুক্ত। কারণ ঈদ ছাড়া সিনেমা চলছে না। তাই ঈদেই ছবি মুক্তি দিয়ে ব্যবসা করতে চান; কিন্তু এতে হিতে বিপরীতও হয়। এতে অনেক সিনেমার ভিড়ে কিছু সিনেমা দর্শকের কাছ পর্যন্ত যেতে পারে না। দিনশেষে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হয়। প্রযোজক সিনেমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ২৯ জেলায় কোনো সিনেমা হল নেই। এতগুলো সিনেমা কোথায় চলবে। শাকিব খানের রাজকুমার সিনেমা বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহে চলবে। বাকি সিনেমাগুলো তো বেশি হল পাবে না। তাই ধীরে-সুস্থে চিন্তা করে প্রযোজক ও নির্মাতাদের সিনেমা মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এতে ইন্ডাস্ট্রির উপকার হবে।’

দেশে নিয়মিত সিঙ্গেল স্ক্রিন চালু রয়েছে ৭০টি। ঈদের সময় এই তালিকা বেড়ে হয় ১৫০টির মতো। এর মধ্যে সিনেপ্লেক্স রয়েছে ৭টি, ব্লকবাস্টার সিনেমা ১টি, লায়ন সিনেমা ১টি, সিলভার স্ক্রিন ১টি। চলচ্চিত্র পরিবেশক অভি কথাচিত্রের অভি বলেন, ‘ঈদের সময় প্রায় ১৫০টি সিনেমা হল চালু থাকবে। এর মধ্যে শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি প্রায় শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে চলবে। এ ছাড়া আমি নিজে চারটি সিনেমার পরিবেশনার সঙ্গে যুক্ত আছি। বলা যায়, ঈদের সিনেমার ব্যবসা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত।’

ঈদের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমার তালিকা জেনে অবাকই হয়েছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমান। তিনি বলেন, তবে কি ঈদ ছাড়া সিনেমা চলছে না? ঈদে এতগুলো ছবি একসঙ্গে মুক্তি পেলে কেউই ভালো ব্যবসা করতে পারবে না। এটা প্রযোজকদের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। জেনে-শুনে কেউ যদি সিনেমায় পুঁজি হারাতে চায়, তাহলে কিছুই বলার নেই। আমি মনে করি, তাদের অর্থের প্রতি কোনো মায়া নেই।

এদিকে এসব নানা হিসাব-নিকাশ শেষে এরইমধ্যে ঈদের সিনেমা থেকে সরে এসেছেন বেশ কয়েকটি ছবির নির্মাতা। তারা বলেন, এত টাকা খরচ করে সিনেমা বানিয়ে জেনে-শুনে জলে ফেলার কোনো মানে নেই। মাত্র ৮-১০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দিয়ে লাভের আশা তো দূরের কথা, টাকা তুলে আনার চিন্তা করাও বোকামি। তবে কয়েকটি সিনেমা সরে গেলেও এবার ঈদে ঠিক কতটি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।

স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও বিপণন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেজবাহ আহমেদ বলেন, এবার ঈদে আমাদের ফোকাস বেশি রাজকুমার, ওমর, কাজল রেখা সিনেমাগুলোতে। দর্শকরাও জানে এই সিনেমাগুলো ঈদে আসবে। অনেক সিনেমা আছে, যা ঈদে আসবে বলে আসে না। শুনেছি ১০টির বেশি সিনেমা রিলিজ পাবে। শেষ সময়ে এতগুলো সিনেমা থাকবে না! তবে যেগুলোর হাইপ বেশি দর্শক চাইবে সেগুলো চলবে বেশি।

অন্যদিকে, ঐহিত্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলটি ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে। এর কর্ণধার ও সাবেক হলমালিক সমিতির সভাপতি এবং প্রযোজক ইফতেখার নওশাদ জানান, ‘রাজকুমার’ দিয়ে হল খুলবেন। তিনি বললেন, মধুমিতার ৫৫ বছরের ইতিহাসে সর্বাধিক আয়করা সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘প্রিয়তমা’ এগিয়ে। একই টিমের সিনেমা ‘রাজকুমার’। সুতরাং এ ছাড়া কোনো ওয়ে নেই। শাকিবের বেশ কিছু ভক্ত আমাকে ‘রাজকুমার’ চালানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠায়। তারা শাকিবের আমেরিকায় স্নো-ফলে দাঁড়ানো এমন কয়েকটি ছবিও দিয়েছে। আমি নিজেও তা দেখে মুগ্ধ। তাই আমি ‘রাজকুমার’ দেখাব।


প্রথমবার ‘আনন্দ মেলা’য় রুনা লায়লা  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা তার দীর্ঘদিনের সংগীত জীবনের পথচলায় এবারই প্রথম বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঈদ বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দ মেলা’য় গান গাইলেন। পুরোনো নয়, একেবারে নতুন একটি মৌলিক গান গেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটনের লেখা ও আশরাফ বাবুর সুর সঙ্গীতে ‘নতুন পৃথিবী’ শিরোনামের একটি গান গেয়েছেন রুনা লায়লা শুধু ‘আনন্দ মেলা’র জন্যই। আর গানটিতে রুনা লায়লার সঙ্গে সুরে সুরে গানে গানে কণ্ঠ মিলিয়েছেন এই প্রজন্মের চার শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনা, সাব্বির, ইমরান ও ঝিলিক। মনিরুল ইসলাম ও ইয়াসির আরাফাতের প্রযোজনায নির্মিত ‘আনন্দ মেলা’ আগামী ঈদের দিন রাত ১০টার ইংনেজি সংবাদের পর বিটিভিতে প্রচারিত হবে।

‘আনন্দ মেলা’য় গান গাওয়া প্রসঙ্গে দেশবরেণ্য সংগীত তারকা রুনা লায়লা বলেন,‘এর আগে আমাকে আনন্দ মেলায় গান গাওয়ার কথা বিশেষভাবে বলেনি কেউ বা প্রস্তাব আসেনি কারও কাছ থেকে। প্রস্তাব পেলে হয়ত আরও আগেই জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানে আমার গান গাওয়া হয়ে যেত। যাইহোক দেরীতে হলেও আনন্দ মেলার জন্য গান গাইতে পেরে ভালো লাগছে। আনজীর লিটন এই গানটিও খুব চমৎকার লিখেছে, সুর সংগীতেও আশরাফ বাবু ভালো করেছে। আমার সঙ্গে এই প্রজন্মের শিল্পীরাও বেশ আন্তরিকতা নিয়ে গানটি গেয়েছে। বিটিভি কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। এমনকি আনন্দ মেলা’র শুটিং-এর সময় যে মানুষটি আমার জন্য বার বার চেয়ারটি এনে দিয়েছে তাকেও বিশেষ ধন্যবাদ।’

রুনা লায়লার সঙ্গে আনন্দমেলায় গান গাওয়া প্রসঙ্গে কণা বলেন, ‘এটা এখনো আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয় যে আমাদের পরম শ্রদ্ধার ভালোবাসার রুনা ম্যাম আমার পাশে দাঁড়িয়ে গান গাইছেন, তারসঙ্গে আমি আমরা গাইছি। জীবনে এমন দিন আসবে ভাবিনি কখনো। আল্লাহর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ রুনা ম্যাম’কে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।’ সাব্বির বলেন, ‘রুনা ম্যামের পাশে দাঁড়িয়ে একই গান গাইবো, এমনটা কল্পনাও করিনি কখনো। কিন্তু এমন একটা কিছু হয়েগেছে-বিশ্বাসই হচ্ছে না। তিনি এত বড় একজন শিল্পী; কিন্তু একজন অতি সাধারণ মানুষের মতো আমাদের সঙ্গে মিশেন, আদর করেন।’

সংগীতশিল্পী ইমরান বলেন, ‘এর আগেও শ্রদ্ধেয় রুনা ম্যামের সঙ্গে গান গাইবার সঙ্গে সুযোগ হয়েছে। কিন্তু বিটিভির সিগনেচার অনুষ্ঠান আনন্দ মেলায় ম্যামের সঙ্গে গাইতে পেরেছি-এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ ঝিলিক বলেন, ‘সেরাকণ্ঠের সেই বিজয় মুকুট ম্যামের হাতে থেকে মাথায় পড়ার পর থেকে তার আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে চলেছি। তিনি আমার কণ্ঠের প্রশংসা করেন সবসময়, এটাই আমার ভালো লাগা। আনন্দ মেলায় তার সঙ্গে গাইতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে।’

বিষয়:

banner close