ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র-১৪২৯’। দুই বাংলার চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রদর্শিত হবে গত বছরে দেশের সবচেয়ে আলোচিত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’।
গতকাল রোববার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সঞ্চালক হাবিবা রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘সিনেমা আমাদের বাস্তব জীবনেরই বহির্প্রকাশ। এ থেকে আমরা ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ শিক্ষা পাই।’
উৎসবের প্রথম দিনে আলমগীর কবির পরিচালিত ‘সীমানা পেরিয়ে’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্দা উঠল এবারের আসরের। এ ছাড়া প্রদর্শিত হয় ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শায়লা আক্তার লুমুন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই আমি এই আয়োজন উপভোগ করতে আসি। বড় স্ক্রিনে চলচ্চিত্র প্রদর্শন, সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহার- সব মিলিয়ে এই উৎসবের আমেজই ভিন্ন।’
উৎসবে আজ সকাল ১০টায় প্রদর্শিত হবে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, দুপুর ১টায় শাহিন দিল-রিয়াজ পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘শিল্প শহর স্বপ্নলোক’, বেলা সাড়ে ৩টায় ইয়াসমিন কবির পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘পরবাসী মন আমার’, সুবর্ণা সেঁজুতি পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঢেউ’ এবং একই সঙ্গে প্রদর্শিত হবে মিতালী রায় পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দূরে’ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রদর্শিত হবে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’।
পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে দুই বাংলার সমসাময়িক ও ধ্রুপদী ১৮টি চলচ্চিত্র, দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও দুটি প্রামাণ্যচিত্র। এবারের আসরে উৎসব সহযোগী হিসেবে রয়েছে এস কিউ গ্রুপ। প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে চ্যানেল আই, দ্য রিপোর্ট.লাইভ এবং দৈনিক বাংলা। প্রদর্শন সহযোগী হিসেবে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।
পর পর বেশ কয়েকটি ছবি সফল না হওয়ার পর সম্প্রতি ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’ ছবির মাধ্যমে আবার যেন স্বমহিমায় ফিরেছেন রণবীর কাপুর।
বক্স অফিসে আশানুরূপ ব্যবসাও করেছে সিনেমাটি। ছবিটি দেখে খুশি রণবীরের মা নীতু কাপুর। এই প্রসঙ্গে নীতু তার মনের কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, ছবিটি দেখার পর তার সবথেকে পছন্দের দৃশ্যের কথা বলেছেন ঋষি কাপুরের স্ত্রী নীতু। ওই দৃশ্যের একটি অংশ সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে পোস্ট করেছেন নীতু। সঙ্গে লিখেছেন, ‘এই দৃশ্য এবং সংলাপগুলো আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।’
দৃশ্যটি ছবির শেষের দিকের। যেখানে মিকি (ছবিতে রণবীরের চরিত্র) তিন্নিকে (শ্রদ্ধা কাপুর) পরিবারের গুরুত্ব বোঝায়। মিকি বলে, ‘পরিবারের সঙ্গে থাকতে আমি পছন্দ করি। ওদের থেকে আমি প্রচুর ভালোবাসা এবং স্বাধীনতা পেয়েছি। আমার সন্তানরাও যেন তাদের থেকে সমান ভালবাসা পায়, সেটাই আমার ইচ্ছা।’
লভ রঞ্জন পরিচালিত ‘তু ঝুঠি’ মুক্তির এগারো দিনের মাথায় একশো কোটির রুপির ব্যবসা স্পর্শ করে।
আগস্ট মাসে মুক্তি পাবে রণবীরের পরবর্তী ছবি ‘অ্যানিমাল’। ছবিতে রণবীরের লুক ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সম্প্রতি এই ছবির জন্য রণবীরের কঠোর শরীরচর্চার কথা জানিয়েছিলেন অভিনেতার প্রশিক্ষক শিবোহম। নতুন ছবিতে রণবীরের নতুন অবতারে আবির্ভাবের অপেক্ষায় দিন গুনছে অনুরাগী মহল।
দেশের সীমানার কোলঘেঁষে বেড়ে উঠছে একদল শিশু। পাহাড়ি এই জনপদে খুব একটা শিক্ষার আলো পৌঁছায় না। সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ময়মনসিংহে আয়োজন করা হয়েছিল কনসার্টের। ‘কনসার্ট ফর এডুকেশন’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চল ও গানের দল ব্রিং।
মহান স্বাধীনতা দিবসের (রোববার) সন্ধ্যায় কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের অফিস প্রাঙ্গণের খোলা ময়দানে সংগীত পরিবেশন করে গানের দল এফ মাইনর, মাদল ও ব্রিং। নানা ধরনের গানে মুখরিত হন উপস্থিত হাজার খানেকের বেশি শ্রোতা। যাদের বেশিরভাগই ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর।
কনসার্টের আয়োজক ও ব্রিং গানের দলের ভোকাল যাদু রিছিল বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চল নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রাম ও ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার ডেফুলীয়াপাড়া গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সহায়তায় আমরা কনসার্ট ফর এডুকেশনের আয়োজন করেছি। দুটি গ্রামের স্কুলের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিল গড়তে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখান থেকে পাওয়া তহবিল সঞ্চিত রেখে এর লভ্যাংশ দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনা নিশ্চিত করা হবে। এতে প্রতি মাসে শিক্ষকদের সম্মানি নিয়ে অনিশ্চয়তার একটা সুরাহা হবে এবং এর একটি স্থায়ী সমাধান হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
উদ্যোগের অনেকটাই সফল হয়েছে বলে জানান যাদু রিছিল। তিনি বলেন, ‘সামনে আরও কয়েকটি আয়োজন পরিকল্পনা আছে। পুরো ফান্ডটা উঠে গেলে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সেটা হস্তান্তর করবো।’
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে দারুণ উচ্ছ্বসিত পাহাড়ি মেয়েদের গানের দল এফ মাইনর। দলটির অন্যতম ভোকাল পিংকি চিরান বলেন, ‘সবার সঙ্গে দারুণ সময় কেটেছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য ফান্ড গঠনের এ উদ্যোগটা সফল হলে আমাদের ভালো লাগবে। আমাদের শ্রোতাদের অনুরোধ করবো, তারা যেন এমন উদ্যোগের সঙ্গে সবসময় থাকেন।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ মঞ্চনাটকের দল ঢাকা থিয়েটার। ঢাকা থিয়েটারের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও ফেডারেশনের নির্বাচিত সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদকে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি অগঠনতান্ত্রিকভাবে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে এই পদত্যাগের আবেদন জানানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যাহার পত্র পোস্ট করা হয়েছে নাট্যকর্মী সাইফ সুমনের অ্যাকাউন্ট থেকে। প্রত্যাহার পত্রটি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বরাবর দেয়া হয়েছে। তারিখ লেখা আছে ২২ মার্চ, ২০২৩।
সেখানে বলা হয়েছে, অত্যন্ত বেদনার সাথে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ফেডারেশনের নির্বাচিত সেক্রেটারি জেনারেল ‘ঢাকা থিয়েটারে’র জ্যেষ্ঠ সদস্য জনাব কামাল বায়েজীদকে ঢোরেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি অগঠনতান্ত্রিকভাবে তার পদ থেকে অব্যহতি দেয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ ফেডারেশন থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এই পদত্যাগ বেদনার এবং কষ্টের। কিন্তু অন্যারের বিরেুদ্ধে প্রতিবাদ করা আমাদের আদর্শ।’
সেখানে আরও লেখা হয়েছে যে, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ফেডারশেনের চেয়ারম্যানকে ঢাকা থিয়েটারের পক্ষ থেকে জানান যে, কামাল বায়েজীদকে অব্যহতি দান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয়নি। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে কামালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
কিন্তু এর কোনো উত্তর ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। এমনকি সংকট নিরসনে দুজন জ্যেষ্ঠ নাট্যজনও তার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে ওই পদত্যাগ পত্রে জানানো হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘সংকট নিরসনের উদ্যোগী হয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ও শ্রদ্ধেয় অভিনেতা-নির্দেশক আসাদুজ্জামান নূর ও নাট্যকার-নির্দেশক-অভিনেতা মামুনুর রশীদ স্বশরীরে আপনার সঙ্গে কথা বলেছে। সংকট নিরসনের আপনার পদক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেছে। কিন্তু আপনার পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
সেখানে আরও লেখা হয়েছে যে, নাসির উদ্দীন ইউসুফ সর্বশেষ এশিয়ান বাইনিয়াল চলাকালীন ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু এরপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও সংকট নিরসনে কোনো প্রকার উদ্যোগ নেয়নি ফেডারেশন।
এমন অবস্থায় কামাল বায়েজীদের সম্মান, সামাজিক মর্যাদা রক্ষা ও কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা থিয়েটার ফেডারেশনের সদস্যপদ প্রত্যাহারের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মারা গেছেন জনপ্রিয় মলিউড অভিনেতা ইনোসেন্ট। তামিল চলচ্চিত্রে বেশ কিছু স্মরণীয় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন তিনি। গতকাল রোববার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেতা। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
ইনোসেন্টকে কোচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল গলায় সংক্রমণের কারণে। সেখানে ১৬ মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি এবং তার মৃত্যুর খবর মালয়ালম সিনেমার প্রতিটি সিনেমাপ্রেমী এবং তারকাকে আহত করেছে।
একজন অভিনেতা ছাড়াও, ইনোসেন্ট চালকুডি এলএস নির্বাচনী এলাকার সাবেক সাংসদও ছিলেন। তিনি মালয়ালম মুভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। কমেডি চরিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করত। তার অভিনীত বেশ কিছু আইকনিক চরিত্র সবসময় আলোচিত লোকের মুখেমুখে।
১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এবং এবি রাজ পরিচালিত ‘নৃত্যশালা’ সিনেমার মাধ্যমে ইনোসেন্ট মালয়ালম চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন। পরবর্তীকালে তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা এবং চরিত্র দিয়ে প্রতিটি মালয়ালি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থান করে নেন।
বর্ষীয়ান অভিনেতাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘কাডুভা’ ছবিতে, যেখানে তিনি ‘এফআর ভাত্তাশেরিল’ নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অভিনেতাকে শেষ দেখা যাবে ফাহাদ ফাসিল অভিনীত ‘পাচুভুম অথভুথাভিলাকুম’ নামের একটি তামিল ছবিতে, যা খুব শিগগির মুক্তি পাওয়ার কথা।
‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার সহ-প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খান। এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে এ মামলা করেন শাকিব। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
এর আগে গত ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাকিব খান। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামি রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। একইসঙ্গে আগামী ৬ জুন পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
ওই দিন নিজের বাসার গ্যারেজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাকিব খান দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে প্রযোজক রহমত উল্লাহর আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। অপারেশন অগ্নিপথ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ নন বলেও তিনি জানান।
গত ১৫ মার্চ বুধবার বিকেলে সশরীরে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং ক্যামেরাম্যান সমিতিতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলা নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
পরে ১৮ মার্চ রহমত উল্লাহর নামে মানহানির মামলা করতে রাজধানীর গুলশান থানায় যান শাকিব খান। তবে পুলিশ মামলাটি নেয়নি। তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ।
১৯ মার্চ বিকেলে শাকিব খান তার অভিযোগ নিয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। ওইদিন ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, শাকিব খানের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
একটি ক্ষয়ে যাওয়া পোস্ট কার্ড। ওপরে বড় করে লেখা ‘বীরাঙ্গনা পুনর্বাসনের আবেদন’। পোস্ট কার্ডে একটি চিঠি যুক্ত করা। চিঠিটি একজন মায়ের। তার মেয়েকে নিয়ে লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
বঙ্গবন্ধু, ‘আপনার প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা। আমার সংসারে আমার বলিতে একমাত্র মেয়ে ***। সে কলেজের ছাত্রী ছিল।… বিগত ৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর দেশীয় রাজাকারদের সঙ্গে লইয়া পাকিস্তানি বাহিনী আমাদের এলাকা ঘেরাও দেয়।… সেই সময় আমার একমাত্র মেয়েকে তাহারা ধরিয়া লইয়া ***। আমরা ফেরত পাই নাই। ১৬ তারিখে স্বাধীনতার পর ১৭ তারিখে সে বাসায় ফিরিয়া আসে। কিন্তু মান-ইজ্জত সমস্তই বিসর্জন দিয়া। এখন সে বীরাঙ্গনা। আমি এই বীরাঙ্গনা মেয়েকে নিয়া খুব অসুবিধায় আছি। শুনিতে পাইলাম এই দেশের ২০,০০০ নির্যাতিত ও অগণিত বীরাঙ্গনা মহিলার পুনর্বাসনের জন্য আপনি আলাদা দপ্তর খুলিয়াছেন। আমার এই বীরাঙ্গনা মেয়েরও একটা বিহিত করিবেন এই আশা নিয়া লেখনী শেষ করিলাম।’
নোয়াখালী থেকে লেখা হয়েছিল এই চিঠিটি। গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নাটকের দল স্পর্ধার ফেসবুক পেজ থেকে এই চিঠিটি দিয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়। তখন তারা জানিয়েছিল- স্বাধীনতার সময়ে নির্যাতিত এই বীরাঙ্গনাদের নিয়ে নীলিমা ইব্রাহিম লিখেছিলেন ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নামে একটি বই- সেটিই মঞ্চে নিয়ে আসছেন তারা।
গতকাল স্বাধীনতা দিবসে ওই ফেসবুক পেজ থেকে আবারও পোস্ট দেয়া হয়। সঙ্গে সব্যসাচী হাজরার টাইপোগ্রাফিতে ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ বইয়ের নাম। তাতে লেখা হয়, ‘স্পর্ধা আসছে’, নীলিমা ইব্রাহিমকৃত ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নিয়ে। স্পর্ধা আসছে, এই বাংলার হাজারও তরুণ-তরুণীর পক্ষ হতে প্রত্যেক বীরাঙ্গনাকে বলতে, ‘বীরাঙ্গনা তোমাকে প্রণতি করি, হাজার সালাম তোমাকে। তুমি বীর মুক্তিযোদ্ধা, ওই মাটিতে তোমার অগ্রাধিকার। স্পর্ধা, আসছে …।’
দুটো পোস্ট থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, স্পর্ধা নাটকের দলটি এবার মঞ্চে আনছে নীলিমা ইব্রাহিমের এই অমর আখ্যান। স্পর্ধা থেকে জানানো হয়, সৈয়দ জামিল আহমেদের নির্দেশনায় এবার মঞ্চে আসবে নাটকটি। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি কিংবা শেষের দিকে নাটকটি মঞ্চে আসবে।
কারা অভিনয় করছেন? আরও কী থাকছে সে বিষয়ে বিষদ জানানো এখন মানা। আপাতত জানা গেছে, কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে জানানো হবে পরবর্তী তথ্য।
বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটারের বাইরে গিয়ে পেশাদার থিয়েটারের একটি নিরীক্ষা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘স্পর্ধা: ইন্ডিপেনডেন্ট থিয়েটার কালেক্টিভ’। বাংলাদেশের প্রথিতযশা মঞ্চ নির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদের সঙ্গে অভিনয়শিল্পী মহসিনা আক্তার ও সোহেল রানা কাজ করছেন এই দলে। নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি অভিনয় ও মঞ্চ সংশ্লিষ্ট নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দলটি।
সৈয়দ জামিল আহমেদ ঢাকার মঞ্চে ‘বিষাদ সিন্ধু’ ও ‘বেহুলার ভাসান’-এর মতো প্রযোজনা নির্দেশনা দিয়ে দারুণ খ্যাতি পেয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ বিরতি শেষে ২০১৭ সালে নাটবাঙলার আয়োজনে ‘রিজওয়ান’ নামে একটি নাটক মঞ্চে আনার মধ্য দিয়ে দারুণ শোরগোল ফেলে দেন। ফের ঢাকার মঞ্চে নিয়মিত কাজের শুরু হলো তার। এর পরেই গঠিত হয় স্পর্ধা: ইন্ডিপেনডেন্ট থিয়েটার কালেক্টিভ। ধীরে ধীরে তারা ‘জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা’, ‘৪.৪৮ মন্ত্রাস’ ও ‘বিস্ময়কর সবকিছু’ মঞ্চে আনে। এবার আনছে ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’।
২০১৭ সালের ২৭ মার্চ একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য সন্ধ্যার পর ট্রেনে করে ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন অভিনেতা। বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাতেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তিনি। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তার হার্টবিট পাননি। পরে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন অভিনেতা মিজু আহমেদ। তিনি মূলত খল অভিনেতা হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে বেশি পরিচিত।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই ভার্সেটাইল অভিনেতার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। একজন প্রযোজক হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তার চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস মুভিজ’-এর ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি। ১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম মিজানুর রহমান। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। শৈশব থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রি বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন মিজু আহমেদ।
বড় পর্দায় তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘তৃষ্ণা’ (১৯৭৮), ‘মহানগর’ (১৯৮১), ‘স্যারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘চাকর’ (১৯৯২), ‘সোলেমান ডাঙ্গা’ (১৯৯২), ‘ত্যাগ’ (১৯৯৩), ‘বশিরা’ (১৯৯৬), ‘আজকের সন্ত্রাসী’ (১৯৯৬), ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ (১৯৯৭), ‘কুলি’ (১৯৯৭), ‘লাঠি’ (১৯৯৯), ‘লাল বাদশা’ (১৯৯৯), ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’ (২০০০), ‘ঝড়’ (২০০০), ‘কষ্ট’ (২০০০), ‘ওদের ধর’ (২০০২), ‘ইতিহাস’ (২০০২), ‘ভাইয়া’ (২০০২), ‘হিংসা প্রতিহিংসা’ (২০০৩), ‘বিগ বস’ (২০০৩), ‘আজকের সমাজ’ (২০০৪), ‘মহিলা হোস্টেল’ (২০০৪), ‘ভণ্ড ওঝা’ (২০০৬) ইত্যাদি।
‘হ্যারি পটার’খ্যাত অভিনেতা ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফের জীবনে নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে যাচ্ছে। বাবা হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ এই তারকা। প্রেমিকার সঙ্গে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রেম করছেন। ১০ বছর পর এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন ড্যানিয়েল ও তার প্রেমিকা এরিন ডার্ক। অভিনেতার মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্তানসম্ভবা এরিন। শিগগির তাদের ঘর আলো করে আসছে প্রথম সন্তান।
২০১৩ সালে ‘কিল ইওর ডার্লিংস’ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেন ড্যানিয়েল ও এরিন। ওই ছবির সেটেই বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। এরপর কেটে গেছে প্রায় এক দশক। ‘কিল ইওর ডার্লিংস’-এর সেটে সেই যে একে অপরের হাত ধরেছিলেন, তার পর থেকে একসঙ্গেই পথচলা ড্যান ও এরিনের। যদিও এই সম্পর্ককে ব্যক্তিগত পরিসরে রাখতেই পছন্দ করেন তারা। ‘হ্যারি পটার’-এর মতো জনপ্রিয় সিরিজ়ে অভিনয়ের কারণে সিনেপ্রেমীদের কাছে পরিচিত মুখ ড্যানিয়েল। অন্যদিকে ড্যানিয়েলের জনপ্রিয়তার ধারে কাছে না থাকলেও হলিউডে নিজের স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করেছেন আমেরিকান অভিনেত্রী এরিন ডার্ক।
অভিনয় করেছেন ‘গুড গার্লস রিভল্ট’, ‘বিসাইড স্টিল ওয়াটার্স’, ‘মুনশাইন’-এর মতো ছবি ও সিরিজে। ২০১৬ সালে ড্যানিয়েলের সঙ্গে ‘ডোন্ট থিংক টোয়াইস’ ছবিতেও অভিনয় করেন এরিন। তবে শুধু অভিনয় নয়, এরিনের সঙ্গে ভবিষ্যতে চিত্রনাট্য লেখার ইচ্ছা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ড্যানিয়েল।
ড্যানিয়েলের সাম্প্রতিক ছবি ‘উইয়ার্ড: দ্য অ্যাল ইয়ানকোভিচ’-এর প্রিমিয়ারে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ড্যান ও এরিনকে। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন তারা। উপভোগ করছেন জীবনের অন্যতম সেরা সময়।
একমাস আগেই নিজের প্রেমের কথা সবার সামনে এনেছিলেন, তারপরই চরম অঘটন। হোটেলে রহস্যমৃত্যু ভোজপুরি অভিনেত্রী আকাঙ্খা দুবের। শোকে আচ্ছন্ন ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রি।
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই আত্মঘাতী অভিনেত্রী! তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বারাণসীতে শুটিং করতে গিয়েছিলেন তিনি। শুটিংয়ের পরে সারণাথ হোটেলে রওনা দেন। সেখানে তার ঘর থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন আকাঙ্খা, মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তিনি।
একমাস আগেই সহঅভিনেতা সমর সিংয়ের সঙ্গে প্রেমের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন সে কথাও। সামনের নতুন সব প্রজেক্টের জন্যই বারাণসী গিয়েছিলেন আকাঙ্খা। ভক্তরা যেন স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে তার মৃত্যুর খবরে। হঠাৎ করেই কী যেন হয়ে গেল।
‘মেরা জং মেরা ফসলা’ ছবি দিয়ে শুরু। মির্জাপুরে জন্ম আকাঙ্খার অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম না। মৃত্যুর কিছু সময় আগেও নিজের বেলি ড্যান্সের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেই পোস্টেও শোকপ্রকাশ করেছেন ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির ভক্ত-অনুরাগীরা। সকলের একটাই কথা, ভোজপুরি কুইন…এটা না করলেও পারতেন।
ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ছিলেন আজিম। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে আছে ‘হারানো দিন’, ‘নতুন সুর’, ‘মেঘ ভাঙ্গা রোদ’, ‘ডাকবাবু’, ‘সাত ভাই চম্পা’ ও ‘ভানুমতি’। পরিচালিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে—‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘জীবন মরণ’, ‘বদলা’, ‘গাদ্দার’, ‘দেবর ভাবী’। ‘মালা’, ‘ডাকবাবু’, ‘আমির সওদাগর’, ‘ভেলুয়া সুন্দরী’, ‘মধুমালা’, ‘রাখাল বন্ধু’ প্রভৃতি ছবিতে নায়ক ছিলেন আজিম।
তিনি ১৯৩৭ সালের ২৩ জুলাই সিলেটের হবিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন মুন্সেফ। তাই আজিমের শৈশব-কৈশোর কাটে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। পরবর্তীতে ঢাকার হাটখোলার ভবগতী ব্যানার্জী রোডে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে আজিমের পরিবার। ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
আজ এই চলচ্চিত্রাভিনেতার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাকে নিয়ে লিখেছেন স্ত্রী অভিনেত্রী সুজাতা। সেই লেখার অংশবিশেষ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
আজিম একজন বরেণ্য অভিনেতা ছিলেন। তাকে হারিয়ে এই ২০ বছরে শুধু একটি কথাই বারবার মনের মধ্যে উচ্চারিত হয়, তার কি একটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও প্রাপ্য নয়! মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কে রাষ্ট্র এত বছরেও স্বীকৃতি দিতে পারল না! এটা নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, চরম দুঃখবোধ আছে।
আমার এক ছেলে ফয়সাল আজিম, পুত্রবধূ, দুই নাতি—এদের নিয়ে জীবনযাপন। জানি না আমি কতদিন বাঁচবো, আমার বয়সও তো কম হলো না। তবে এই দুঃখবোধ নিয়েই কি মরতে হবে! যদি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় পেতেন, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতেন—হয়তো স্ত্রী হিসেবে শান্তিতে মরতে পারতাম। আমার সন্তান নাতিরা গর্ব নিয়ে বাঁচতে পারতো।
একজন যথার্থ মানুষকে সম্মাননা না দেয়ায় রাষ্ট্রের দায় থেকে যায়। আজিম অস্ত্র হাতে ময়দানে যুদ্ধ করেননি। তবে তিনি ছিলেন অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করা যোদ্ধাদের চরম সময়ের বন্ধু। জীবন বাজি রেখে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাই বলতেই পারি, একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালে দুই হাত বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন।
উনি মুক্তিযোদ্ধাদের কীভাবে সাহায্য করতেন কিছু উদাহরণ দেই।
আমাদের ১৯৬৭ সালে বিয়ে হয়। ১৯৭১ সাল চলে আসে। সারাদেশে যুদ্ধ চলছে। শাশুড়ির কথায় আমাকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। তখন গাড়িটির দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা। একমাস আগে কিনে দেয়া নতুন গাড়িটি বিক্রি করে সব টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে দেন। আমাকে বলেছিলেন, সবার আগে প্রয়োজন দেশ, গাড়ি বেঁচে থাকলে কেনা যাবে। তখন তো শুটিং বন্ধ ছিল। যুদ্ধ চলছে। হাতে তো ওভাবে টাকা ছিল না। যেভাবে সম্ভব হয়েছে আজিম টাকা জোগাড় করে দিতেন।
একদিন এক মুরগিওয়ালা এসেছেন। তার কাছ থেকে দুইটা মুরগি নিলেন, আর অনেক টাকা দিলেন। আমার চোখে পড়লো। বললাম, এত টাকা দিলেন আর দুইটা মুরগি নিলেন? উনি আমাকে ডেকে ঘরে নিয়ে গিয়ে বললেন, আস্তে কথা বলো। উনি মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযোদ্ধারা নানা ধরনের বেশে আসতেন, আজিম ওনাদের কী সাহায্য করবেন তা জোগাড় করে রাখতেন।
আমি একটি বই লিখেছি ‘শিমুলির একাত্তর’ নামে, সেখানেও এই কথাগুলো আছে। সেখানে আরও বিস্তারিত আছে। এখনো বেঁচে আছেন সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। উনি জানেন আজিমের অবদান। বিচিত্রার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর ছোট ভাই ফতেহ আলীও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারাও জানেন এইসব ঘটনা। এমন অনেকে আছেন যাদের হয়তো তখন আমি চিনে উঠতে পারিনি।
অভিনেত্রী সুমিতা দি থাকতেন এফডিসির ফ্লোরে, তাকে সাহায্য করতেন গিয়ে। চিত্রপরিচালক প্রদীপ দে এখনো বেঁচে আছেন—উনিও জানেন আজিম সাহেবের অবদান।
স্বাধীনতার পরে আমরা আবার শুটিং শুরু করলাম। কয়েকজন স্বনামধন্য পরিচালক ও এফডিসিকে আজিম উপহার দিয়েছেন। যেমন ইয়ার খান, আকবর কবির পিন্টু, আকবর হুদা মিন্টুকে পরিচালক বানিয়েছেন।
জসিম ওনার হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসেছেন। জসিমের ‘দোস্ত দুশমন’ ছবির প্রায় সমস্ত ব্যয় উনি করেছিলেন। জসিম শুধু ১০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। তখন এত ট্রান্সপোর্ট ছিল না। উনি নিজের গাড়ি দিয়ে শুটিংয়ের পর শিল্পী কলাকুশলীদের পৌঁছে দিতেন। তার কাছে কিছু চেয়ে কেউ কোনো দিন খালি হাতে ফেরেননি। এতটাই উদার মনের ছিলেন তিনি।
আশফাক নিপুণের পরিচালনায় ২০২১ সালে মুক্তি পায় ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর’। মোশররফ করিম অভিনীত এই সিরিজটি সে সময় কলকাতা ও বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে দারুণ সাড়া পায়। সিরিজটির দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা। তিনি জানান, আগামী ঈদুল ফিতরে ওসি হারুনরূপে ফিরছেন মোশাররফ করিম। ঈদেই আসছে ‘মহানগর ২’।
পাশাপাশি প্রকাশ পেয়েছে ‘মহানগর ২’-এর টিজার। এতে দেখা যায়, ঢাকা মহানগরের ব্যস্ত রোডে ছুটে চলেছে গাড়ি ও মানুষ। ব্যাকগ্রাউন্ডে অভিনেতা মোশাররফ করিম ঢাকা মহানগর নিয়ে একটি গল্প বলছেন। ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের টিজারে হাজির হয়ে গল্পের ওসি হারুন দুইটা কথা মনে রাখতে বলেন, এক, তার নাম যে হারুন সেটা। আর দুই, হারুন এত সহজে হারে না।
আশফাক নিপুণ জানান, আসছে ঈদের বিশেষ চমক হিসেবে হইচই মুক্তি দিচ্ছে ‘মহানগর ২’। তারই প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রকাশ হলো এক মিনিটের টিজার। যেখানে নিপুণ ওসি হারুনের কণ্ঠে বলেছেন সিরিজটি নির্মাণের প্রেক্ষাপট। এবারের পর্বের গল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই মহানগরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পিষে যায় সিস্টেমের চাকায়। এই সিস্টেমের কোণায় কোণায় ভূত। ভূতদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে মাঝে মাঝে নিজেকেও ভূত সাজতে হয়।’
তবে এই সিজনে ওসি হারুনের সঙ্গে নতুন-পুরনো মিলিয়ে আর কারা অভিনয় করছেন, সেটি এখনো প্রকাশ করেননি নিপুণ কিংবা হইচই কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, চমক থাকছে আরও। যা ক্রমশ প্রকাশ বলে জানান নির্মাতা।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আয়োজন করে থাকে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার। চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান, বিশেষ নাটক, তথ্যচিত্র, সংগীতানুষ্ঠান, কবিতা পাঠ, আলেখ্যানুষ্ঠান, আলোচনা ও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এবং লাইভ কনসার্ট। এর মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের নাটকগুলো নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
বিটিভির নাটক
স্বাধীনতা দিবসের নাটক ‘একটি দুঃস্বপ্নের রাত’। নান্নু চৌধুরীর রচনায় এটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, চিত্রলেখা গুহ, মোহাম্মদ বারী, মতিউর রহমান, আশিক চৌধুরী, সুমাইয়া সাকি, গাজী রোকন ও তমা ইসলাম। নাটকটি আজ রাত রাত ৯টায় প্রচারিত হবে।
মাছরাঙার নাটক
দেখা যাবে বিশেষ নাটক ‘বজ্রকণ্ঠ’। নাটকটি রচনা করেছেন সাদেক সাব্বির। গুণী অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও নিশাত প্রিয়ম। নাটকটি আজ রাত সাড়ে ১০টায় দেখা যাবে। এ ছাড়া দেখা যাবে বিশেষ অনুনাটক ‘স্মৃতিঘর’। শওকত আলীর ‘কোথায় আমার ভালোবাসা’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। এটি পরিচালনা করেছেন আশফাকুর রহমান আশিক। এতে অভিনয় করেছেন সানজিদা প্রীতি, ইরেশ যাকের, শাম্মী প্রমুখ। নাটকটি মাছরাঙা টেলিভিশনে সাড়ে ১১টায় প্রচারিত হবে।
বৈশাখীর নাটক
স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ নাটক ‘বীরাঙ্গনা’। টিপু আলম মিলনের গল্পে আনন জামানের চিত্রনাট্যে এটি পরিচালনা করেছেন শুদ্ধমান চৈতন। মিড এন্টারপ্রাইজের প্রযোজনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন অপর্ণা ঘোষ, রওনক হাসান, মনোজ প্রামাণিক, রিয়া খান, মনির জামান, সানজিদা মিলা প্রমুখ। নাটকটি প্রচারিত হবে আজ রাত ১০টায়।
আরটিভির নাটক
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ নাটক ‘অসমাপ্ত’। সারওয়ার রেজা জিমি ও তুহিন হোসেনের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে নাটকটি। এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী প্রমুখ। নাটকটি আজ রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত হবে।
চ্যানেল আইয়ের নাটক
রাত ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচারিত হবে নাটক বিশেষ নাটক ‘শেষ থেকে শুরু’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প ভাবনা নিয়ে অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায় অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান।
এই মুহূর্তে ভারতীয় কমেডিয়ানদের মধ্যে সবার আগে যার নাম রয়েছে তিনি হলেন কপিল শর্মা। ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় কমেডি শো’র মধ্যে অন্যতম। তাকে বলা হয় ভারতের কমেডিয়ানদের সম্রাট। তাই তার সম্পত্তির পরিমাণটাও কম নয়।
ছোট পর্দার কমেডি অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা শুরু হলে সবার প্রথমে কপিল শর্মার রিয়্যালিটি শোয়ের কথা উঠে আসে। বলিউড তারকারা নিজেদের ছবির প্রচারের ক্ষেত্র হিসেবে যেমন এই শো বেছে নেন, ঠিক তেমনই এই শোয়ে পারফর্ম করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কৌতুকাভিনেতারা। শুধু ছোট পর্দাতেই নয়, বড় পর্দাতেও নিজেকে গোছাতে শুরু করেছেন কপিল। চলতি মাসেই মুক্তি পেয়েছে নন্দিতা দাস পরিচালিত ‘জিগাটো’। এই ছবিতে সাহানা গোস্বামীর বিপরীতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে কপিলকে।
এর আগে ‘কিস কিসকো প্যার করু’, ‘ফিরঙ্গি’র মতো ছবিতে মুখ্য চরিত্রে কাজ করেছেন কপিল। বর্তমানে কপিলের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ কোটি রুপি। উপার্জনের নিরিখে বলিউডের তাবড় তাবড় তারকাদের টক্কর দেন কপিল।
রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালকের ভূমিকায় কাজ করেই সবচেয়ে বেশি উপার্জন করেন কপিল। শোয়ের প্রতিটি পর্বে কাজ করে ৫০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক পান তিনি। টেলিভিশন জগতের সঞ্চালকদের মধ্যে সর্বাধিক উপার্জন করেন কপিল। রিয়্যালিটি শো ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপনের প্রচারের মুখ হিসেবেও দেখা যায় কপিলকে। বিজ্ঞাপন ক্ষেত্রে কাজ করেও লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, বছরে ৩০ কোটি রুপির বেশি আয় করেন কপিল। প্রতি মাসে ৩ কোটি রুপি পর্যন্ত আয় করেন তিনি। অভিনয় এবং সঞ্চালনার পাশাপাশি অটোমোবাইল সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কপিল। সেখান থেকে অতিরিক্ত উপার্জন করেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যত টাকাই উপার্জন করুন না কেন, তার মানসিকতা এখনও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই। খুব সহজে খরচ করতে চান না তিনি।
গণমাধ্যমের খবরে আরও জানা যায়, মুম্বইয়ের পশ্চিম অন্ধেরিতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন কপিল। ইনস্টাগ্রামে মাঝেমধ্যেই ওই বাড়ির ঝলক ফুটে ওঠে। মুম্বইয়ের এই এলাকায় বলিপাড়ার তারকারা থাকেন। পশ্চিম অন্ধেরির যে এলাকায় কপিল বাড়ি কিনেছেন, সেই এলাকায় আলিয়া ভট্ট, নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি, সোনু সুদ এবং মিকা সিংহও বাড়ি কিনেছেন। এই বাড়িটি কিনতে ১৫ কোটি রুপি খরচ করেছেন কপিল।
এছাড়াও পঞ্জাবে একটি খামারবাড়ি কিনেছেন কপিল। এই বিলাসবহুল খামারবাড়ি তৈরি করতে ২৫ কোটি রুপি খরচ করেছেন কৌতুকাভিনেতা। মেকআপ করার সুবিধার জন্য নিজের জন্য একটি বিশাল ভ্যানিটি ভ্যান কিনেছেন কপিল। ভ্যানিটি ভ্যানের অন্দরসজ্জাও নজরকাড়া। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে মেকআপ ভ্যানটি কিনেছেন তিনি।
নামি ব্র্যান্ডের গাড়িও সংগ্রহে রাখার শখ রয়েছে কপিলের। অভিনেতার সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে মার্সিডিজ় বেঞ্জ এবং রেঞ্জ রোভার মডেলের মতো গাড়ি। তার সংগ্রহে রয়েছে মার্সিডিজ় বেঞ্জ ব্র্যান্ডের এস৩৫০ মডেলের গাড়ি। এই গাড়িটির দাম আনুমানিক ১ কোটি ৬৪ লাখ থেকে ২ কোটি রুপি। রেঞ্জ রোভার ইভোক মডেলের গাড়িটিও কিনেছেন কপিল। তার এই গাড়িটির মূল্য আনুমানিক ৭২ লাখ রুপি। ভলভো ব্র্যান্ডের এক্সসি৯০ মডেলের গাড়ি রয়েছে কপিলের সংগ্রহে। সেই এই গাড়িটির আনুমানিক মূল্য ১ কোটি রুপি।
৩০০ কোটি রুপির মালিক কপিল শৈশবে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। ১৯৮১ সালের ২ এপ্রিল পঞ্জাবের অমৃতসরে এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। কপিলের বাবা পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন। সংসার সামলাতেন কপিলের মা। মাঝেমধ্যে বাড়ির কাজে কপিলও তার মায়ের সঙ্গে হাত লাগাতেন। কিন্তু তার শৈশবের দিনগুলি আনন্দে কাটেনি। কপিলের পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল। পরিবারকে সাহায্য করতে ফোনবুথে কাজ করতেন কপিল। জামাকাপড় তৈরির কারখানাতেও কাজ করেছিলেন তিনি।
অমৃতসরে থাকাকালীন স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করেছিলেন কপিল। ১৯৯৭ সালে তার বাবার ক্যানসার ধরা পড়ে। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সাত বছরের মধ্যে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কপিলের বাবা। মুম্বইয়ে এসে বিভিন্ন কমেডি শোয়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন কপিল। ২০০৭ সালে একটি নামকরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন তিনি। পুরস্কার হিসাবে ১০ লাখ রুপিও পান। এই সময় তার কেরিয়ারে নতুন মোড় আসে। কৌতুকাভিনেতা হিসাবে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেন কপিল। বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ে পারফরম্যান্স থেকে শুরু করে সঞ্চালনার কাজ করতে দেখা যায় তাকে।
কপিল শর্মার নিজস্ব শো শুরু হওয়ার পর ব্যক্তিগত জীবনেও নতুন মোড় আসে। প্রীতি সিমোসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কপিলের ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রীতি। কিন্তু ২০১৭ সালে কপিল এবং প্রীতির আট বছরের দীর্ঘ সম্পর্কে ছেদ পড়ে। বিচ্ছেদের এক বছরের মধ্যে গিন্নি ছত্রথের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। বর্তমানে স্ত্রী এবং এক কন্যা এবং এক ছেলে নিয়ে সংসার করছেন কপিল।
সূত্র: আনন্দবাজার।