‘তুমি আমার মনের মাঝি’ খ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক আনোয়ার জাহান নান্টু মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে নাট্যপরিচালক সাগর জাহান।
এই নির্মাতা বলেন, ‘বার্ধক্যজনিত রোগের কারণে বাবা মারা গেছেন। আমার জীবনের সবকিছুর সঙ্গে মিশে আছেন বাবা। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’
সোমবার বাদ জোহর মগবাজার বড় মসজিদে জানাজার নামাজের পর তাকে দাফনের কথা রয়েছে।
আনোয়ার জাহান নান্টুর সুর ও সংগীত পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে ‘তুমি আমার মনের মাঝি’ ছাড়াও রয়েছে ‘প্রেমের সমাধি ভেঙে’, ‘চোখের জলে ভেসে চলেছি’, ‘তুমি ডুব দিওনা জলে কন্যা’ ও ‘আমার সুখের সাথী আয়রে’ ইত্যাদি।
‘গেম অব থ্রোনস’-এর প্রিক্যুয়েল ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’-এর দ্বিতীয় মৌসুমের পর্ব কমিয়ে আটটি করা হয়েছে। প্রথম পর্বে ছিল ১০টি পর্ব। পশ্চিমা বিনোদনভিত্তিক গণমাধ্যম ডেডলাইন বলছে, সিরিজটির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে এটি করা হয়েছে। কারণ তৃতীয় মৌসুমে প্রিক্যুয়েলটির স্পিনঅফ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এইচবিওর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গল্পের প্রয়োজনেই এই মৌসুমে আটটি পর্ব সাজানো হয়েছে। গল্পকে প্রাধান্য দিতেই অযথা পর্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেননি প্রযোজকরা। ২০২৪ সালের দিকে যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় পর্বের প্রিমিয়ার হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
২০২২ সালের ২১ আগস্ট ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’ প্রিমিয়ার হয়। নতুন কোনো অরিজিনাল সিরিজ হিসেবে প্রিমিয়ারেই এটি ইতিহাস গড়ে। ২২ মিলিয়নের বেশি দর্শক একসঙ্গে দেখেছিলেন এটি।
জর্জ আর আর মার্টিনের উপন্যাস ‘ফায়ার অ্যান্ড ব্লাড’ থেকে তৈরি করা হয়েছে সিরিজটি। হাউস অব টারগারিয়ানের কাহিনি; যা ‘গেম অব থ্রোনস’-এর ২০০ বছর আগের কাহিনি। তুমুল জনপ্রিয় ‘গেম অব থ্রোনস’ ২০১৯ সালে আটটি মৌসুমে প্রচারিত হয়।
দ্বিতীয় মৌসুমে একটি বড় যুদ্ধ থাকবে। এখন পর্যন্ত চার মৌসুমের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘গেম অব থ্রোনস’-এর মিগুয়েল স্যাপুচনিক থাকছেন দ্বিতীয় মৌসুমের পেছনে। সঙ্গে কো-ক্রিয়েটর হিসেবে থাকছেন রায়ান কন্ডাল। দ্বিতীয় মৌসুমে মূল দায়িত্বে থাকছেন কন্ডাল এবং নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকবেন স্যাপুচনিক।
তেলেগু ছবি ‘পুষ্পা’তে শুধু আল্লু অর্জুনের পারফরম্যান্সই দুর্দান্ত হয়নি। মাত্র একটি গান দিয়েই সবার মুখে মুখে চলে আসেন সামান্থা রুথ প্রভু। আইটেম সং ‘ও আন্তভা’ গানে মজেনি এমন লোক পাওয়া ভার। কিন্তু এই গান যখন করেন, তখন পরিবার থেকে বাধা এসেছিল। তা শোনেননি সামান্থা। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে গেছেন নিজের সিদ্ধান্তেই।
‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ ছবিতে আইটেম গানে পারফরম্যান্সের প্রস্তাব এসেছিল নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরপরই। তখন তার পরিবার ও কাছের বন্ধুরা মনে করেছেন, এই সময়ে তার আইটেম গানে নাচা উচিত হবে না।
কিন্তু সামান্থার বক্তব্য, তিনি যা করবেন, তা গোপন করার দরকার কী? সামান্থা বলেন, ‘যখন আমি এই গান করার প্রস্তাব পাই, তখন আমাদের বিচ্ছেদের মাঝামাঝি। বিচ্ছেদ ঘোষণার পরে আমার প্রত্যেক সুহৃদ ও পরিবারের সদস্যের কথা ছিল এ রকম ‘তোমার মাত্র বিচ্ছেদ হয়েছে, তুমি এখন বাসায় থাক। তোমার আইটেম সং করা ঠিক হবে না।’ এমনকি আমার কিছু বন্ধু, যারা আমাকে সব সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সাহস জোগাত, তারাও বলেছে, আইটেম সং কর না। কিন্তু আমার মনে হয়েছে, ‘ঠিক আছে, আমাকে এটাই করতে হবে।’
সামান্থা আরও বলেন, ‘আমি শুধু ভেবেছি, কেন আমার এটা লুকানো উচিত? আমি তো খারাপ কিছু করছি না। আমি এভাবে অপেক্ষা করিনি যে, আমাকে ট্রল করা হবে, যা-তা বলা হবে, ঘৃণা করা হবে, এসব থেকে দূরে চলে যাব এবং আমি ফিরে আসব এমনভাবে যে, আমি কোনো অপরাধ করেছি। আমি এমন না। আমি শতভাগ দিয়েই বিয়েটা করেছি। কিন্তু এটা কাজ করেনি। তবে আমি নিজেকে দোষী ভাবতে রাজি না। আমি সে রকম করে ভাবিনি।’
সামান্থা রুথ প্রভুকে দেখা যাবে তেলেগু ছবি ‘কুশি’তে। এই ছবিতে তাকে দেখা যাবে বিজয় দেবরকোন্ডার বিপরীতে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তি পাবে। এ ছাড়া প্রাইম ভিডিওর জন্য সিটাডেলের ভারতীয় ভার্সনের জন্যও কাজ করছেন এই অভিনেত্রী।
কদিন আগে কলকাতার একটি সিনেমার শুটিং শেষ করে ফিরেছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। এদিকে গতকাল ছিল এই অভিনেতার জন্মদিন। সবকিছু নিয়ে গতকাল দিনের শেষ ভাগে কথা বলেছেন দৈনিক বাংলার সঙ্গে।
দৈনিক বাংলার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের জন্য শুভ কামনা।
জন্মদিন কেমন কাটল?
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালাম। উইশ করল। সবাই অনেক কিছু উপহার দিল। আর বিকেলে আমার ফ্যানক্লাবের সবাই মিলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুসহ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতারি বিতরণ করল। সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমাকে আজ (গতকাল) দুপুরে জানিয়েছে। তারপর বাসা থেকে দ্রুত বের হয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টার যানজট ঠেলে আসাদগেট হাজির হয়েছি। এই কষ্ট আমাদের ফ্যানদের কষ্টের চেয়ে কিছুই না। মজার ব্যাপার হলো, এগুলো ওরা নিজেদের হাতখরচের টাকা থেকে বাঁচিয়ে করেছে। আমি সত্যিই আপ্লুত।
সারা দিনে কী কী উপহার পেলেন?
বেশি পেয়েছি আমার ভক্তদের ভালোবাসা। আর পরিবারের মানুষজন উপহার দিয়েছেন। আমার স্ত্রী উপহার দিয়েছে। তবে কী দিয়েছে সেটা বলা যাবে না।
কদিন আগে কলকাতার একটি সিনেমার শুটিং শেষ করে দেশে এলেন। কেমন ছিল নতুন জায়গার শুটিং অভিজ্ঞতা?
এবার অনেক দিন কলকাতায় ছিলাম। সেখানে ‘প্রতিপক্ষ’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করছিলাম। গত রোববার দেশে ফিরেছি। সেখানকার শুটিং অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। ওখানে খুব ফাস্ট কাজ হয় আর খুব পরিকল্পনা অনুযায়ী। সেভাবে আমাদের এখানে কাজ কম হয়। আমি এতটা অভ্যস্ত ছিলাম না। তাই কাজটা দ্রুত শেষ হয়েছে। তা ছাড়া আমার সঙ্গেও তাদের প্রত্যেকের আচার-আচরণ একেবারেই বন্ধুর মতো ছিল। দারুণভাবে আমাকে সহযোগিতা করছেন সহশিল্পীরা।
ওই ছবিতে আপনার সহশিল্পী ছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে নিশ্চয়ই অনেক আলাপ হয়েছে?
সত্যি তাই। তিনি বড় মাপের অভিনেতা। তার সঙ্গে কাজসহ নানা ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করেছি। তিনিও করেছেন। তিনি কাজে খুবই সহযোগিতা করেছেন। যদিও সিনেমায় আমাদের চরিত্র বিপরীতমুখী। আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্বই বেশি। দুটি জেনারেশনের গল্প বলা হয়েছে এই সিনেমায়। মজার ব্যাপার হলো, যতবারই বুম্বাদার সঙ্গে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেছি, তার সহযোগিতা পেয়েছি। শট ভালো হলে বুম্বাদা প্রশংসা করেছেন। একটু কম ভালো হলে বলতেন আরেকবার করে দ্যাখ।
গত ২৮ মার্চ ছিল চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খানের জন্মদিন। পরদিনই আপনার। বিষয়টা কেমন লাগে?
জন্মের বিষয়টা তো আমার হাতে ছিল না। এটা উপরওয়ালা ও আমার বাবা-মার বিষয়। তবে আমি যখন বিষয়টা বুঝতে পেরেছি, ভালো লেগেছে। সবাই আমার জন্মদিন ভুলে গেলেও বলতে পারব শাকিব খানের জন্মদিনের পরদিন আমার জন্মদিন। তবে এত অল্প সময়ে এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি আমি, সত্যিই আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।
সামনের কাজগুলো নিয়ে জানতে চাইছি।
অন্তর্জাল সিনেমার কাজ শেষ করেছি। তবে ঈদে আসবে কিনা এখনো বলতে পারছি না। কিছু কাজ গুছিয়ে এনেছি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজের বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সবকিছু জানাতে পারব।
আজ ছিলো ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদের জন্মদিন। প্রতিবারই তার জন্মদিন ঘিরে নানারকম আয়োজক করে ভক্তরা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘সিয়াম আহমেদ ফ্যান ক্লাব’- এর উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছেন ভক্তরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিয়াম আহমেদও।
এই আয়োজন প্রসঙ্গে সিয়াম বলেন, জন্মদিনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালাম। উইশ করলো সবাই। উপহারও পেলাম। তবে বিকেলে ছিলো আমার জন্য অন্যরকম সারপ্রাইজ। আমার ফ্যানক্লাবের উদ্যোগে সবাই মিলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুসহ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরন করলো। বিষয়টি আমাকে আজ (দুপুরে জানিয়েছে ওরা। তারপর বাসা থেকে দ্রুত বের হয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টার যানজট ঠেলে আসাদগেট হাজির হয়েছিলাম। এই কষ্ট আমার ফ্যানদের কষ্টের চেয়ে কিছুই না। মজার ব্যাপার হলো এগুলো ওরা নিজেদের হাত খরচের টাকা থেকে বাঁচিয়ে করেছে। আমি সত্যিই আপ্লুত।’
স্বাভাবিকভাবেই এমন আয়োজন উচ্ছসিত সিয়াম আহমেদ। তিনি জানান, ভক্তদের ভালোবাসাই তাকে আজকের সিয়াম আহমেদ করেছে। তাই তাদের ভালোবাসার মূল্য দিতেই এমন আয়োজনে উপস্থিত থাকেন তিনি।
বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের ছবির সেটে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্গ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ইউনিটের এক সদস্যের। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে পানালা দুর্গে চলছিল ছবির শুটিং। সেখানেই সজ্জা কোঠি থেকে পড়ে যান ছবির দলের এক কুশলী নাগেশ প্রশান্ত খোবারে। দুর্গ থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর চোট লাগে তার। ১০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে মৃত্যু হয় ওই ক্রু সদস্যের।
মারাঠি ছবি ‘বেদাত মরাঠে বীর দৌদলে সাত’ পরিচালনা করছেন মহেশ ম়াঞ্জরেকর। সেই পিরিয়ড ড্রামায় ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের চরিত্রে অভিনয় করছেন বলিউডের তারকা অভিনেতা অক্ষয় কুমার। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে পানালা দুর্গে শুটিং চলছিল ছবির। খুব সম্প্রতি শুটিংয়ের দলে এসে যোগ দেন ক্রু সদস্য নাগেশ প্রশান্ত খোবারে। সেটের ঘোড়ার যত্ন নেয়ার জন্য তাকে রাখা হয়েছিল। পানালা দুর্গের সজ্জা কোঠি থেকে আচমকাই পড়ে যান নাগেশ। সেই সময় মোবাইল ফোনে কথা বলতে নাকি ব্যস্ত ছিলেন তিনি। আনমনা হওয়ার ফলেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। সজ্জা কোঠি থেকে পড়ে মাথায় ও বুকে গুরুতর চোট লাগে নাগেশের। দুর্ঘটনার পরে দ্রুত কোলাপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ১০ দিন ভর্তি থাকার পরে মৃত্যু হয় নাগেশের।
শুটিং সেটে দুর্ঘটনায় নাগেশের মৃত্যু নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার ওপর ক্ষুব্ধ হয় নাগেশের পরিবার। তাদের দাবি- হাসপাতালে নাগেশের চিকিৎসার সব খরচ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই খরচ নাকি দেয়নি। প্রতিশ্রুতি পূরণ না করা পর্যন্ত নাগেশের শেষকৃত্য করবেন না তারা, দাবি পরিবারের। তবে এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকর বা প্রযোজনা সংস্থার কেউ।
তরুণ নির্মাতাদের খুঁজে বের করে তাদের ছবি নিয়ে উৎসবের আয়োজন করছে কোলাহল কমিউনিকেশন। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিপণন প্রতিষ্ঠান বায়োস্কোপ ফিল্মস। ‘কোলাহল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ নামের এই উৎসবটি শুরু হবে এ বছরই। তার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৮ মার্চ চুক্তিবদ্ধ হলো কোলাহল ও বায়োস্কোপ ফিল্মস। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিসকো শহরে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উৎসবরে পুরো আয়োজন প্রসঙ্গে কোলাহল কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক তানভীর তারেক বলেন, ‘এটি আমাদের একটি ড্রিম প্রজেক্ট। দেশ ও দেশের বাইরে যারা বাংলা ভাষাভাষি রয়েছেন তারা সকলেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। প্রতিযোগীদের ভেতর থেকে আমরা সৃজনশীল ও মেধাবী নির্মাতাদের খোঁজার এই কার্যক্রম পরিচালনা করব। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং সারাদেশ থেকে শর্ট ফিল্ম জমা দেবার শেষ তারিখটাও খুব শিগগির ঘোষণা করব।’
প্রাথমিকভাবে যে কোনো মেধাবী নির্মাতা তাদের যে কোনো ডিভাইসে বানানো নিজেদের শর্ট ফিল্ম পাঠাবেন। এরপর পাঁচজন বিচারকের মাধ্যমে তা বাছাই করে সেরা মেধাবীদের খুঁজে বের করা হবে। বিচারকদের তালিকায় থাকবেন দেশের গুণী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা।
আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া প্রসঙ্গে বায়োস্কোপ ফিল্মসের প্রধান নির্বাহী রাজ হামিদ বলেন, ‘কোলাহল কমিউনিকেশন সবসময় সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চা করে থাকে। আমরা বায়োস্কোপ ফিল্মস থেকে শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের কথা ভাবছিলাম। ঠিক সেসময় কোলাহলের এই উদ্যোগটি আমাদের কাজটিকে আরও সহজ করে দিয়েছে। আমরা একই সঙ্গে সেরা দশের ৩টি শর্ট ফিল্ম প্রযোজনা করব এবং সেরা ১০টি শর্ট ফিল্ম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার অধিকাংশ রাজ্যে বড় পর্দায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করব।’
আয়োজন প্রসঙ্গে তানভীর তারেক আরও বলেন, ‘আমরা ঠিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মতো এটিকে রাখছি না বলেই একেবারে সারাদেশ থেকে ট্যালেন্ট হান্ট করব। এর সঙ্গে একটি স্যাটেলাইট চ্যানেল ও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। একই সঙ্গে ৩ দিনব্যাপী আমাদের ফাইনাল রাউন্ডের অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র বিষয়ক সেমিনার ও তরুণ নির্মাতাদের নিয়ে ফিল্ম বিষয়ক কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র বিষয়ক বই প্রকাশ করা হবে।’
সেরা ১০ নির্মাতাকে নতুন একটি শর্টফিল্ম তৈরির ব্যবস্থা করাই তাদের পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
গত রাতেই পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন ঢাকার চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। বুধবার ভোর রাতে সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন আলহামদুল্লিল্লাহ। হাসপাতালের বেডে সন্তানের পাশে শুয়ে আছেন মাহি। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তার স্বামী রাকিব সরকার। ছবির নিচে অভিনন্দন জানাচ্ছেন মাহি ভক্তরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকার এ খবর নিশ্চিত করে জানান, মা-ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩২ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে সবার কাছে দোয়া চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাহি। লিখেছেন, ‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
গত বছরের আগস্টে মা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন মাহি নিজেই। তখন এই নায়িকা বলেছিলেন, ‘আমি তো আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়গুলো পার করছি। দিন-রাত কীভাবে চলে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছি না। প্রচণ্ড আদর-যত্নে দিনগুলো কেটে যাচ্ছে। কারণ আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে মা হতে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ।’
ঢাকার চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহী। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজের হাত ধরে চলচ্চিত্রে এলেও শাকিব খান থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর কিছুদিন হলো রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে হয়েছেন তিনি।
ঠিক ২৮ মার্চ, ২০০৩। তেলেগু সিনেমায় এলেন এক নতুন নায়ক। যদিও বাবা নামকরা চিত্র পরিচালক। শিশুশিল্পী হিসেবেই অভিষেক হয়েছিল চলচ্চিত্রে। তবু ওই দিনের অপেক্ষাটা এই নায়কের জন্য একটু অন্য রকম। কারণ, তারকা সন্তান হিসেবে নয়, নিজের ভক্ত তৈরি করে একদিন ‘পুষ্পারাজ’ হবেন গোটা ভারতে, সেই যাত্রাই শুরু হয়েছিল সেদিন। কে রাঘবেন্দ্র রাওয়ের হাত ধরেছিলেন এই নবীন নায়ক তার প্রথম যাত্রায়। ছবির নাম ‘গঙ্গোত্রী’। ২০০৩ থেকে ২০২৩ সাল। দুই দশক পেরিয়ে এই নায়কের রোমঞ্চকর সফরকে বলা যায় ‘গঙ্গোত্রী টু পুষ্পা’। নানা ইন্ডাস্ট্রির ভিড়ে আর তারকাদের ডামাডোলেও গোটা ভারতে নিজেকে তুলে ধরেছেন তার ভক্তদের কাছে ‘স্টাইল আইকন’ হিসেবে। দুই দশক পাড়ি দেয়া এই নায়কের নাম আল্লু অর্জুন।
এই দুই দশকে আল্লুর অর্জন কী? অর্জন এটাই যে, আল্লুকে পরিচয় পেতে তার পিতৃপরিচয়ের প্রয়োজন পড়ে না। প্যান ইন্ডিয়ান ‘নায়ক’ হিসেবে গোটা ভারতে আজ ‘পুষ্পা’র জয়। কিন্তু এই গোটা সফরে কী ছিল তার পুঁজি। ভয়ানক পরিশ্রম, অভিনয়ে নতুনত্ব, ভিন্ন ধারার স্টাইল, ডেডিকেশন আর এনার্জেটিক ড্যান্স ভঙ্গি দিয়ে নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন আল্লু। তেলেগু ছবির নাচে একটা ভিন্ন স্টাইল তৈরি করেন, যা তেলেগু ছবিতে আলাদা বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। আল্লু জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন দিনকে দিন।
২১ বছরের আল্লুর প্রথম ছবিই হিট রুপালি পর্দায়। তেলেগু দর্শক এক নতুন নায়ককে পেলেন। ধীরে ধীরে আল্লু নিজের জায়গা করে নিলেন। ‘আরিয়া’, ‘পরুগু’, ‘জুলাইয়ি’, ‘রেস গুরাম’, ‘ভেডাম’, ‘এস/ও সত্যমূর্তি’, ‘ইডারামাইলাথো’, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ আল্লু যেমন অভিনয়ের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন তার দর্শকের জন্য, দর্শকও আল্লুকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ‘স্টাইল আইকন’ তকমা। সবশেষ প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘পুষ্পা’ যার চূড়ান্ত নমুনা।
শুধু ঝলমলে পর্দায় উপস্থাপনই তো নয়! ব্যক্তি আল্লুও এক দারুণ মানুষ। তারকার জীবন ছাপিয়ে যায়নি বাবা কিংবা স্বামী আল্লু অর্জুনকে। ২০১১ সালের মার্চে এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে স্নেহা রেড্ডিকে ঘরে তুলে এনেছিলেন। ২০১৪ সালে আসে প্রথম সন্তান আয়ান আর দুই বছর পরে ২০১৬ সালে মেয়ে আরহা। ইনস্টাগ্রামে পাওয়া যায় তাদের পারিবারিক ছবি। সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে খুনসুটি বলে দেয়, শুটিং সেট থেকে তারকার পোশাক খুলে রেখে একজন বাবা কিংবা স্বামী হয়েই ঘরে ফেরেন এই তারকা।
দুই দশকের এই বর্ণিল সফরে জীবনের প্রতি কতটুকু কৃতজ্ঞ এই তেলেগু তারকা? ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে সে কথা উঠে এসেছে গতকাল। ‘আজকের দিনে আমি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে ২০ বছর পার করেছি। প্রচণ্ড পরিমাণে ভাগ্যবান এবং ভালোবাসায় সিক্ত আমি। ইন্ডাস্ট্রির সব প্রিয় মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা।’
এর পরই আল্লু জানান তার সবচেয়ে অন্তর্ভেদী কথাটি। ‘আপনাদের মতো দর্শক ভক্তদের কারণেই আমি আজকে আল্লু অর্জুন হয়ে উঠতে পেরেছি। আপনাদের সবার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’-এর বিশেষ প্রদর্শনী হলো আজ মঙ্গলবার। রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ছবির কলাকুশলীরা। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, কবি অসীম সাহাসহ অনেকেই।
প্রদর্শনী শেষে অতিথির বক্তব্য দিতে এসে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, শিশুতোষ এই সিনেমাটি অসাধারণ হয়েছে। এ ধরনের সিনেমা আরও হওয়া প্রয়োজন। পঁচাত্তরের পরে ইতিহাসকে উল্টো পথে চালানোর চেষ্টা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। যার কারণে প্রজন্ম ভুল ইতিহাস জানত, সঠিক ইতিহাস জানত না। এই সিনেমাটিতে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। ‘মাইক’ ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
বিশেষ প্রদর্শনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন মাইক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী তানভিন সুইটি, অভিনেতা নাদের চৌধুরী, জয়িতা মহলানবিশ, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খন্দকার মেঘদূত জলিল, মির্জা ত্বাবীব ওয়াসিতসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’। তরুণ লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল। খুব দ্রুতই সিনেমাটির প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে জানান পরিচালকরা।
একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, আমেরিকান সিটকম ‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি’-এর একটি পর্বের জন্য ভিডিও-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, এটি বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতকে বোঝাতে একটি ‘অপমানজনক শব্দ’ ব্যবহার করেছে।
আইনি নোটিশে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিঠুন বিজয় কুমার দাবি করেন যে, স্ট্রিমিং জায়ান্ট ‘বিগ ব্যাং থিওরি’-র সিজন ২-এর প্রথম পর্বটি সরিয়ে ফেলুক যেখানে কুনাল নায়ারের চরিত্র রাজ কুথরাপল্লি এবং জিম পারসন্সের চরিত্র শেলডন কুপার ঐশ্বর্য রাই ও মাধুরী দীক্ষিতের মধ্যে তুলনা করেছে।
প্রশ্নের মুখে থাকা দৃশ্যে, শেলডন কুপারের চরিত্রে অভিনয় করা জিম পারসন্স ঐশ্বর্য রাইকে গরীবের মাধুরী দীক্ষিত বলে ডাকেন। তার মন্তব্যের জবাবে কুণাল নায়ারের অভিনীত চরিত্র রাজ কুথরাপল্লী উত্তর দেন, ‘মাধুরী দীক্ষিতের তুলনায় ঐশ্বর্য রাই একজন দেবী এবং মাধুরী একজন কুষ্ঠরোগীর মতো পতিতা।’
কুমার বলেছিলেন যে দুটি চরিত্রের মন্তব্যগুলো সবই অসম্মানজনক ও মানহানিকর। তিনি নেটফ্লিক্সকে এপিসোডটি সরাতে বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অন্যথায় নারীর প্রতি বৈষম্য প্রচারের জন্য আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে নেটফ্লিক্সকে। জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়ে নেটফ্লিক্স-এর অফিসে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি’ তৈরি করেন চাক লোর ও বিল প্রাডি। ২০০৭ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই সিরিজ। ২০১৯ সালে ১২টি সিজনের পরে শেষ হয় এর যাত্রা।
হাতে মুখে এখনো পোড়ার দাগ। কিছু জায়গা কুঁচকে আছে। মাথার একসময়ের দীঘল চুল কদমফুলের মতো ছোট করে কাটা। পরণে কমলা রংয়ের জামা। গলায় কালো ওড়না। নাকে সেই চিরচেনা নথ। এভাবেই টানা দুই মাস পর ক্যামেরার সামনে এলেন শারমিন আখিঁ। ক্যামেরা তার চেনা। এই ক্যামেরার সামনেই দু মাস আগেও অভিনয় করেছেন তিনি। চরিত্রের প্রয়োজেন হেসেছেন কেঁদেছেন। কিন্তু গতকাল রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তিন তলায় আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এসে একদম প্রাপ্ত বয়স্ক আঁখি বললেন, ‘আমার বয়স আজ দুই মাস। অনেকেই হয়তো অবাক হচ্ছেন। কিন্তু এটা আমার নতুন জীবন। আজ থেকে দুই মাস আগে এই হাসপাতালে ঢুকেছিলাম অচেতন অবস্থায়। যখন আইসিইউতে ছিলাম তখন জানতাম না এই পৃথিবীতে আবার বিচরণ করব। মহান সৃষ্টিকর্তার দয়া আর ডাক্তারদের চেষ্টায় আমি নতুন জীবন পেয়েছি। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
গত ২৮ জানুয়ারি মিরপুরের একটি শুটিং বাড়ির বাথরুমে বিস্ফোরণ হওয়ায় দগ্ধ হন অভিনেত্রী শারমীন আঁখি। সেখানে তিনি অভিনেতা সজলের বিপরীতে একটি টেলিছবির শুটিং করছিলেন।
দগ্ধ হওয়ার পরপরই তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা টানা দুই মাস চিকিৎসা করেন আঁখির। দুই মাস পর তাকে গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। হাসপাতাল ছাড়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এই অভিনেত্রী।
শুরুতে হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, আঁখির শরীরের ৩৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছিল। পুড়ে গিয়েছিল কণ্ঠনালীও। সবার চেষ্টাতেই আঁখি সুস্থ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছে রোগীর ইচ্ছাশক্তি।
সেদিনের ঘটনা মনে করে আঁখি বলেন, ‘শুটিং এ একটা দৃশ্যর শটের জন্য আমাকে শাড়ি পরতে হবে। মেকআপ রুমে মেকআপ নিয়ে শাড়ি পরার আগে ওয়াশ রুমে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পরপরই খেলায় করলাম ওয়েল্ডিং করলে যেমন স্পার্ক করে সেরকম স্পার্ক হচ্ছে এক জায়গা থেকে। সেকেণ্ডের মধ্যে একটা নীল রংয়ের আগুন আমার চারপাশে ঘিরে ধরে। মুহুর্তের মধ্যে একটা বিস্ফোরণ ঘটে। বাথরুমের দরজটা ভেঙে আমি বাইরে ছিটকে পড়ি। সবাই ছুটে আসে। তারপর সবাই শুটিংয়ের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে আসার পর আমি আসলে বুঝতে পারি কতটা দগ্ধ হয়েছি।’
কথা বলেন আখির স্বামী রাহাত কবিরও। তিনি বলেন, ‘অনেকেই এই ঘটনা নিয়ে নানা কিছু রটনার চেষ্টা করছে। আমি বলতে চাই এটা একটা দুর্ঘটনা। তবে এরকম দুর্ঘটনা ঘটার পেছনে কারণ আছে। শুটিং হাউসের অযত্ন ও অবহেলা আছে। কারণ যেদিন এই ঘটনা ঘটে সেদিন ওই শুটিং বাড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো শুটিং হচ্ছিলো। হাউজটি একেবারে নতুন। তাই আমি মনে করি আর্টিস্ট ইকুয়িটি ও ডিরেক্টরস গিল্ডের শুটিং হাউজ নিরাপদ করার পেছনে অনেক কিছু করার আছে। আজ যদি আঁখি না হয়ে অন্য কোনো বড় তারকা হতো তাহলে নিশ্চয় সবকিছু দ্রুত সমাধান হতো।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন আঁখির চিকিৎসা প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। শারিরীকভাবে একটু সুস্থ হলেও তিনি একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তার মানসিক স্বাস্থ্যর দিকে নজর দিতে হবে। এ ছাড়া আগামী ছয় মাস তার পোষ্ট বার্নের চিকিৎসা চলবে। এখন তার রোদের আলোতে আসা যাবে না। কারণ এই সময়টা তার জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ।’
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা আঁখির মঞ্চে যাত্রা শুরু অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের মধ্য দিয়ে। এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র ‘বসন’ করেই আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীকালে টিভি নাটকে কাজ করেও আলোচনায় আসেন আঁখি।
বলিউডের রাজনীতি নিয়ে এবার বোমা ফাটালেন সাবেক ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার দাবি দেশে থাকাকালীন বাজে রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই দেশ ছেড়েছিলেন। সম্প্রতি পডকাস্ট আর্মচেয়ার বিশেষজ্ঞ ড্যাক্স শেফার্ডের সঙ্গে কথা বলার সময় অনেক বিষয় নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রিয়াঙ্কা।
কেন প্রিয়াঙ্কা দেশে ছেড়ে সুদূর আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন? সম্প্রতি সেসব নিয়ে খোলাসা করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পিগি চপস বলেন, ‘আমি আগে কখনও যা বলিনি, তা আজ বলছি…’। প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘সেসময় আমাকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একঘরে করে দেয়া হয়েছিল। আমাকে ছবিতে কাস্ট করা বন্ধ করা হয়। আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আর পেরে উঠছিলাম না। মনে হল একটা বিরতি দরকার।’
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সেসময় মিউজিক আমায় অন্য একটি দুনিয়ার অংশ হওয়ার সুযোগ করে দেয়। আমার ম্যানেজারের পরামর্শে আমি আন্তর্জাতিক মিউজিক ভিডিওতে কাজ করি।’
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমাকে কাজ পেতে হলে কেন কিছু দল, গোষ্ঠীর সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে? ততদিনে আমি অনেক কাজ করে ফেলেছি। তাই ওরা আমার ক্যারিয়ার নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছিল। আমাকে ওদের ছবি থেকেই শুধু বাদ দেয়া হয়নি, বাকিরাও যাতে না নেয়, তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। সেসময় মিউজিকের হাত ধরেই ঠিক করে ফেলি আমেরিকা চলে যাব।’
প্রিয়াঙ্কা বলেন, সেসময় মার্কিন মুলুকের তারকা গায়ক পিটবুল, উইল.আই.অ্যাম (উইলিমায় জেমস অ্যাডামস), ফ্যারেল উইলিয়ামস, মার্কিন র্যাপার জায়েজদের সঙ্গে কাজ করেছি। তখন বুঝলাম, আমার মিউজের ক্যারিয়ার এখনও শেষ হয়নি। পরবর্তীকালে আমি মার্কিন মুলুকে অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করি।’
এবিসির কোয়ান্টিকোতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে। পরবর্তীকালে ‘বেওয়াচ’, ‘ম্যাট্রিক্স: রেভোলিউশনস’, ‘দ্য হোয়াইট টাইগার’-এ দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। শিগগির ‘সিটাডেল’-এ দেখা যাবে তাকে। আগামী মে মাসে মুক্তি পাবে প্রিয়াঙ্কার আরও একটি হলিউড ছবি ‘লাভ এগেইন’।
দুজন দুই ঘরানার। তবে দুজনই তারকা। একজন ক্রিকেট জগতের, আরেকজন বলিউডের ঝলমলে পৃথিবীর। দুজন এখন এক ঘরে। বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা তারকা জুটি এখন ভারতের অন্যতম আলোচিত জুটি। পরস্পর নিজেদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে একটুও কার্পণ্য করেন না তারা। সম্প্রতি আনুশকা জানালেন, বিরাট কোহলির কোন গুণ দেখে প্রেমে পড়েছিলেন তিনি।
স্টার স্পোর্টসকে এক সাক্ষাৎকারে আনুশকা জানিয়েছেন, তার স্বামী বিরাট তাকে জানিয়েছিলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুব ভালো। আর এটাই মনে ধরে যায় আনুশকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রেম শুরুর আগে একটা বিষয় খুব ভালো লেগে যায়। সেটি ছিল তার প্রখর স্মৃতিশক্তি। এটা আমাকে সত্যিই অনেক কাজে দিত।’
আনুশকার এই কথা যে সত্য তা প্রমাণিত হলো বিরাটের কথায়। ভারতীয় এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমার স্মৃতিশক্তি একটু ভালো। সে আমাকে গুরুত্বপূর্ণ তারিখ মনে রাখতে বলে। আমি এগুলো বেশ মনে রাখতে পারি। আমি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মনে রাখি। শুধু ছোটখাটো কিছু ভুলে যাই।’
বিরাট কোহলি ও আনুশকার ঘরে এসেছে মেয়ে ভামিকা। মেয়ের ওপর যেন তারকা বাবা-মায়ের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে, সেদিকে বেজায় খেয়াল আনুশকার। মাতৃত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় সব কিছুতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সে প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আনুশকা বলেন, ‘এটা বাস্তবতা। যখন সন্তান থাকবে, তখন সামাজিক হওয়া যায় না। আমরা সুখী যে, আসলে দুজনেই আমরা খুব বেশি সামাজিক নই। আমরা সাধারণ জীবন যাপন করতে চাই। ঘরে সময় কাটাতে পছন্দ করি।’