টেলর সুইফটের পোয়াবারো। মার্কিন এই পপতারকার একের পর এক সুখবর আসছেই। এই তো কিছু দিন আগেই এমটিভি বার্ষিক মিউজিক ভিডিও অ্যাওয়ার্ডের রাত আলো করে রাখলেন। তারপরেই খবর দিলেন পরের অ্যালবামের। আর এখন কিনা জানালেন, রুপালি পর্দায়ও আবার হাজির হচ্ছেন এই গায়িকা।
এমটিভি বার্ষিক মিউজিক ভিডিও অ্যাওয়ার্ডে ‘বর্ষসেরা ভিডিও’র পুরস্কার জিতে সেদিনই ঘোষণা দিয়েছিলেন নতুন অ্যালবাম ‘মিডনাইটস’ আসছে শিগগিরই। আর এবারের খবর হলো, ডিজনির ছবি ‘ক্রুয়েলা’র সিকুয়েলে দেখা যাবে তাকে। তবে টেলরের চরিত্রটি কেমন হবে এ নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। এতটুকু জানা গেছে, কোনো অতিথি চরিত্র নয়, বেশ ভালোই পর্দায় সময় পাবেন এই তারকা।
এই মুহূর্তে টেলর ব্যস্ত তার অ্যালবাম ‘মিডনাইটস’ নিয়ে। আগামী ২১ অক্টোবর মুক্তি পাবে। বলে রাখা ভালো, এই অ্যালবামের প্রত্যেকটি গানই লেখা গভীর রাতে। তাই অ্যালবামের নাম ‘মিডনাইটস’। টেলরভক্তদেরও যে গান শোনার তর সইছে না এটা নিশ্চিত বলা যায়। এই ব্যস্ততার মধ্যেই সেরে নিচ্ছেন সিনেমার কাজও।
শুধু ‘ক্রুয়েলা টু’-ই নয়, হাতে আছে আরও সিনেমা। চলতি বছরেই মুক্তি পাবে ‘আমস্টারডাম’। টেলরকে শেষ দেখা গেছে ‘ক্যাটস’ মিউজিক্যাল ফিল্মে। ২০০৯ সালে ‘হানা মন্টেনা: দ্য মুভি’তে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুইফট। এ ছাড়া তিনি জোনাস ব্রাদার্স ও ডেমি লোভাটোর সঙ্গে ‘জোনাস ব্রাদার্স: দ্য থ্রিডি কনসার্ট এক্সপেরিয়েন্স’-এও অভিনয় করেন।
নাটকের আকাশে উজ্জ্বল এক তারার নাম তানিয়া বৃষ্টি। ২০১৫ সালে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছেন। একটানা পথচলার দশ বছর পেরিয়ে আজ তিনি এক পরিপক্ব শিল্পী। এই এক দশকে তার অভিনয়ের পরিধি ছুঁয়েছে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র– নরম-কোমল প্রেমিকা, প্রতিবাদী নারী, প্রান্তিক জনপদের নারী, পরিবারের দায়িত্বশীল কন্যা কিংবা ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের গল্প বলা এক মানুষ। প্রতিটি ভূমিকায় তিনি নিজেকে ভেঙে গড়েছেন, প্রতিবার যেন নতুন এক তানিয়া বৃষ্টিকে খুঁজে পাওয়া যায়।
তানিয়া বৃষ্টির অভিনয়ে একটি অনাড়ম্বর সৌন্দর্য আছে, যা সহজে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তার হাসি যেমন মিষ্টি, তেমনি চোখের ভাষায় খেলা করে এক অনুচ্চারিত বেদনা। অভিনয়ের ভেতরে যে আত্মনিবেদন, তা হয়তো খুব বেশি উচ্চকিত নয়, তবে গভীর। কখনও কখনও ক্যামেরার সামান্য এক দৃষ্টি বিনিময়েই বোঝা যায় দৃশ্যের ভেতরে তার অনুরণন।
ঈদ মানেই উৎসব, আর সে উৎসবে তানিয়া বৃষ্টির নাটক যেন দর্শকের জন্য এক পরম প্রাপ্তি। গত ঈদেও তার সরব উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। ‘তাসের ঘর’, ‘মানুষ’, ‘ভালোবাসা অন্তহীন’, ‘পাষাণী’, ‘মনে পড়ে তোমাকে’ ও ‘ক্যাফেতে ভালোবাসা’– এই নাটকগুলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রচার হয়েছে ইউটিউব ও টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে। প্রতিটি নাটকে তিনি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছেন। একটি নারীর মনের প্রতিটি স্তর যেন খুলে ধরেছেন তিনি অভিনয়ের পরতে পরতে।
এই জনপ্রিয়তার পথে কেবল ফুল বিছানো ছিল না। কিছু কাজ হয়তো তাকেও তৃপ্ত করেনি, কিছু চিত্রনাট্যে হয়তো গভীরতা ছিল না, তবু তিনি বলছেন, এখনকার দিনে গল্প বাছাইয়ে তিনি অনেক বেশি সচেতন। তার কথায়, ‘গল্পের প্রতি আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি মনোযোগী আমি। এখন মনে হয়, নিজেকে বারবার ভাঙার মতো চরিত্রই আমাকে টানে।
শুধু ক্যামেরায় মুখ দেখানোর জন্য কাজ করতে রাজি নই। এখন যেকোনো নাটকে কাজ করার আগে গল্পটা ভালো হওয়া জরুরি মনে করি। কারণ দর্শক গল্পটাই আগে খোঁজেন। এরপর চরিত্রে নিজের অভিনয় করার সুযোগটা কেমন আছে তাও ভেবে দেখি।’ এই আত্মঅনুসন্ধানী মনোভাবই তাকে করে তুলছে আরও পরিণত, আরও আবেগপ্রবণ শিল্পী।
শুধু কাজের মাধ্যমেই নয়, তানিয়া বৃষ্টি প্রায়ই থাকেন আলোচনায় ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গেও। প্রেম, বিয়ে, সম্পর্ক সবকিছুতে থাকে ভক্তদের কৌতূহল। তবে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আপাতত ব্যক্তিগত জীবনের এসব পরিকল্পনা থেকে দূরে তিনি। বর্তমানে নিজের সব মনোযোগ অভিনয়ে, নিজেকে আরও শিল্পসম্মত করে গড়ে তোলায়।
বরাবরই নাটকের ছোটপর্দা থেকে সিনেমার বড়পর্দার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল তার। ক্যারিয়ারের শুরুতে সুযোগ পেয়ে যান আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ ছবিতে। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাব পেলেও নিয়মিত হননি বড়পর্দায়। ছোটপর্দাকে ঘিরে যার স্বপ্ন। এখন তিনি চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ দ্বিতীয় রানারআপের মধ্য দিয়ে শোবিজে আসেন তানিয়া বৃষ্টি। এরপরই রচিত হয় শুধুই।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী সঞ্জয় কাপুর। ২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরের সঙ্গে এ প্রয়াত শিল্পপতির বিয়ে হয়েছিল। কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের ঘরে দুই সন্তানের জন্মও জন্মও হয়েছিল। তবে তাদের বিয়ে স্থায়ী হয়নি।
বিবাহবিচ্ছেদের পরে শুধুই সন্তান ও কাজে মন দিয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল কিনা তা এ অভিনেত্রীর, সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।
কারিশমা কাপুর সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি। এমনকি কখনো কারও সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জনও শোনা যায়নি। সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে ২০০২ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন কারিশমা কাপুর। তবে বিয়ের আগেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর এক বছর যেতে না যেতে সঞ্জয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কারিশমা। সঞ্জয় ও অভিষেক ছাড়া আর কোনো পুরুষের সঙ্গে কখনো সম্পর্কে জড়াননি এ অভিনেত্রী। শুধু তা-ই নয় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনো তিনি খুব একটা কথাও বলেননি। কারিশমাকে ২০২২ সালে ইনস্টাগ্রামে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক অনুরাগী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি কি দ্বিতীয় বিয়ে করতে ইচ্ছুক?’ তিনি জবাবে কিছুই বলেননি। শুধু একটি ইমোজি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।’ সেই ইমোজি ও মন্তব্য দেখে তার ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে নিশ্চয়ই সিদ্ধান্তহীনতা ভুগছেন কারিশমা। মানে কোথাও গিয়ে তার মনে এখনো বিয়ের ইচ্ছে রয়েছে কিনা। যদিও এরপরে বিয়ে নিয়ে আর কখনো তিনি মুখ খোলেননি।
বলিউডে যাদের প্রেম ও দাম্পত্যের গল্প রূপকথার মতো মনে হয়, রিতেশ দেশমুখ ও জেনিলিয়া ডিসুজা সেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন নিঃসন্দেহে। ‘তুঝে মেরি কাসম’ ছবিতে একসঙ্গে পথচলা শুরু, তারপর প্রেম আর বিবাহ, সব মিলিয়ে যেন নিখুঁত সিনেমার চিত্রনাট্য। তবে এই প্রেমকাহিনির পেছনে ছিল আরেকটি অজানা অধ্যায়। জানা যায়, রিতেশকে বিয়ে করার আগে জেনেলিয়া নাকি জন আব্রাহামকে প্রায় বিয়েই করে বসেছিলেন।
রীতেশের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার বছর দুয়েক আগে ২০১০ সালে জন আব্রাহামের সঙ্গে জুটি বেঁধে সিনেমা করেন অভিনেত্রী। সেখানেই বিয়ের দৃশ্যে পুরোহিত এনে অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তারা, হয় সিঁদুরদানও। যদিও গোটাটাই ছিল সিনেমার অংশ। কিন্তু, আচমকা খবর ছড়িয়ে যায়, বিয়ে করে ফেলেছেন জেনেলিয়া-জন।
এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জেনেলিয়া বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না এ সব নিয়ে। সব বাজে কথা। আমরা বিয়ে করেছি, এ সব পিআর-দের বানানো গল্প।’
চলতি বছরের ২০ জুন মুক্তি পেতে চলেছে জেনেলিয়া অভিনীত সিতারে জমিন পার সিনেমাটি। অভিনেতা আমির খানের প্রযোজনায় এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা আর.এস. প্রসন্ন। জেনেলিয়ার পাশাপাশি এ ছবিতে অভিনয় করেছেন, আমির খান, ব্রিজেন্দ্র কালা, ডলি আহলুওয়ালিয়াসহ আরও অনেকে।
এক মাসের নীরবতা ভেঙে অবশেষে কাজে ফিরলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ফেসবুকে একগুচ্ছ প্রাণবন্ত ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘১ মাস পর…।’ ক্যাপশন ছোট হলেও তার প্রত্যাবর্তন ছিল বড়সড় চমক।
ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলোতে খোলা চুল, ঠোঁটে মিষ্টি হাসি- যেন ঝলমলে আলোয় ফিরে এসেছেন ফারিয়া। অনেক ভক্ত-অনুরাগী যেন খুঁজে পেয়েছেন সেই পুরোনো নায়িকাকে নতুন রূপে।
বলা দরকার, গত মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারিয়া কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া। অভিযোগ ছিল- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর বিষয়। ঘটনার পর মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। তবে ২০ মে জামিনে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হন এই চিত্রনায়িকা।
ভারতের হিন্দি সিনেমার দুই তারকা শাহরুখ খান ও সালমান খানকে একসঙ্গে নিয়ে ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ নামের যে সিনেমাটি নির্মাণের কথা শোনা গিয়েছিল বছর খানেক আগে, সেই সিনেমার কাজ আগাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় সিনেমা বন্ধের যে গুঞ্জন উঠেছে সেটি ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। এনডিটিভি লিখেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ সিনেমার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তবে সময় লাগবে।
চলতি বছরের শুরুতে সালমান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এই সিনেমাটি হয়ত হচ্ছে না’। এরপর থেকেই নানা গুঞ্জন ছড়াতে থাকে যে সিনেমাটি আর আলোর মুখ দেখবে না।
‘পিপিং মুন’ নামের যে অনলাইন পত্রিকাটি ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ বন্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিল, তারাও পরে সেই প্রতিবেদন সরিয়ে নেয়। ‘টাইগার বনাম পাঠান’ সিনেমাটি যশরাজ চলচ্চিত্রের স্পাই ইউনিভার্সের অংশ।
এই ফ্রাঞ্জাইজির শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘এক থা টাইগার’ সিনেমা দিয়ে। সেখানে সালমানের চরিত্র ছিল রাষ্ট্রীয় গুপ্তচর সংস্থার কর্মকর্তা।
তারপর ২০১৭ সালে এর সিক্যুয়েল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ মুক্তি পায়। এরপর ২০২৩ সালে আসে ‘টাইগার থ্রি’।
এই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে শাহরুখ খান যুক্ত হন ২০২৩ সালে, তার অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমে। ওই সিনেমায় সালমান খান হাজির হন ক্যামিও চরিত্রে।
এই ধারাবাহিকের আরও সিনেমার মধ্যে আছে হৃতিক রোশন ও টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘ওয়ার’। যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। এর সিক্যুয়েল ‘ওয়ার ২’ সিনেমার কাজ চলছে। যেখানে দেখা মিলবে হৃতিক রোশান ও দক্ষিণের তারকা জুনিয়র এনটিআরের। যা পরিচালনা করছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়।
এছাড়া ‘আলফা’ নামের নতুন সিনেমারও পরিকল্পনা রয়েছে , যেখানে অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট ও শরভারি ওয়াঘ।
শাহরুখ খান ও সালমান খানের আগেও একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘করন অর্জুন’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হাম তুমহারে হ্যায় সানাম’সহ আরো কয়েকটি।
সালমান খানকে সর্বশেষ দেখা গেছে এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত ‘সিকান্দার’ সিনেমায়। চলতি বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে শাহরুখ খান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল রাজকুমার হিরানির ‘ডাঙ্কি’। সামনে তাকে দেখা যাবে ‘কিং’ সিনেমায়।
বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট মেয়ে রাহার জন্মের পর থেকেই প্রতি মাসে তাকে একটি করে ই-মেইল পাঠিয়ে আসছেন। তাতে লেখা থাকে–আজ রাহা প্রথম হেঁটেছে এক পা, আজ সে দাদির কোলে ঘুমিয়ে পড়েছিল, আজ সে বাবার গালে এক ছোট্ট চুমু খেয়েছে।
সেই ই-মেইলের সঙ্গে থাকে অসংখ্য ছবি–কখনও বাবার সঙ্গে খেলায় মত্ত, কখনও মায়ের কাঁধে মাথা রেখে ঘুম। ই-মেইল অ্যাটাচমেন্টে সাজিয়ে রাখা থাকে ছোট ছোট মুহূর্তের জীবন্ত স্মৃতি।
আলিয়া বলেন, আমি চাই, রাহা যখন বড় হবে। ওর যখন ১৫ বছর বয়স হবে, তখন আমি তাকে মেইল বক্সটি দিয়ে বলব, ‘এই দেখো, এগুলো তোমার ছোটবেলার গল্প। এইভাবে আমরা তোমায় ভালোবেসে বড় করেছি।’
রাহা আসার পর অনেক কিছুই বদলেছে আলিয়ার জীবনে। আগের তুলনায় অনেক বেশি ধৈর্য ধরতে পারেন তিনি, অনেক কিছু বুঝে নিতে পারেন সময় নিয়ে।
এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, ‘আমি নিজেকে নতুন করে চিনতে শিখেছি।’ তবে এই মাতৃত্বের যাত্রা একেবারে খোলামেলা ছিল না শুরু থেকেই। প্রথমদিকে মেয়েকে আড়ালে রাখতে চেয়েছিলেন রণবীর ও আলিয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরুতে রাহার একটিও ছবি প্রকাশ করেননি। কারণ ক্যামেরা আর ফ্ল্যাশ থেকে রাহাকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন তারা। সময়ের সঙ্গে বদলে যায় অনেক কিছু। একদিন আলিয়া নিজেই সবার সামনে নিয়ে এলেন। সেদিন সবাই অবাক হয়েছিলেন।
কারণ, ক্যামেরা দেখে ভয় পায়নি একরত্তি রাহা। সাবলীলভাবে তাকিয়ে পোজও দিয়েছিল। যেন একেবারে তৈরি সে, এই দুনিয়ার আলো আর ক্যামেরার ঝলক সামলাতে। এরপর চলতি বছরে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার পর থেকে আরও বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন রণবীর ও আলিয়া।
ক্যামেরার সামনে আলিয়া নানান চরিত্রে অভিনয় করেন। বাস্তব জীবনে তার সেরা চরিত্র ‘মা’ এবং সেই চরিত্রে তিনি নিজের জন্য নয়, রাহার জন্য প্রতিটি দিন লিখে রেখে যাচ্ছেন একেকটি দৃশ্য। একেকটি লাইভ মেমোরি। যেন একদিন সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন জানবে তার জীবনের গল্প; সে যেন দেখে, ভালোবাসা কেমন করে জমা হয় প্রতিদিনের ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তে।
ঈদে মুক্তি পায় বাঁধন অভিনীত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ছবিটি। মুক্তির ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও ছবিটি নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। যতই দিন যাচ্ছে ছবিটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহও বাড়ছে। এদিকে ঈদের আলোচিত আরেক ছবি তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’। নিজের অভিনীত ছবির প্রচারের ফাঁকে দেখলেন ‘উৎসব’ ছবিটি। পরে ছবিটি নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানালেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
গত সোমবার ‘উৎসব’ ছবিটি দেখেছেন বলে নিজের ফেসবুক পোস্টে জানান বাঁধন। দেখার পর নিজের মুগ্ধতার কথা জানালেন এভাবে, ‘উৎসব’ ছবিটি দেখার পর আমার মধ্যে অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করেছে। আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ছবি দেখার পর আমি এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিলাম যে ছবির পরিচালক তানিমকে ঠিকমতো কৃতজ্ঞতা জানাতে পারিনি।’
‘উৎসব’ আলাদা ধরনের একটা ছবি, যা সাধারণত বাংলাদেশে দেখা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন বাঁধন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে এমন চলচ্চিত্র খুব কমই দেখা যায়, যা সুনির্মিত এবং একই সঙ্গে চিত্রনাট্য নিখুঁত—রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও লিঙ্গ-সংবেদনশীলও। ছবিটি দেখার পর সত্যিই আমি একেবারে বাক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করে এসেছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আরও প্রগতিশীল নির্মাতা দরকার, তার থেকেও বেশি দরকার এমন প্রযোজক, যাদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহস থাকবে, যারা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান।’
তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ বাঁধনের মাঝে আশার সঞ্চার করেছে বলেও জানালেন। বাঁধন লিখেছেন, ‘উৎসব’ আমাকে আশার আলো দেখিয়েছে। গর্বিত করেছে। আর আমাকে যেটা সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে, তা হলো দর্শকের প্রতিক্রিয়া। মনে হয়েছে, দর্শকেরা পুরোপুরি তৈরি। তারা এই ধরনের সিনেমা দেখতে চায়।’
সবশেষে বাঁধন লিখেছেন, ‘এখনই সবচেয়ে সুন্দর সময়, ভাবার সময়, আমাদের প্রতিভাবানদের নিয়ে আসলে কী করছি। আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যে সমাজ আমাদের তৈরি করেছে, সেই সমাজকে আমরা কী দিচ্ছি।’
‘উৎসব’ ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, তারিক আনাম খান, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মান প্রমুখ।
শ্রীলঙ্কার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে হারিয়ে গিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। লাক্স তারকা। সেখানকার প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে ভক্ত-অনুসারীদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন এই লাক্স তারকা।
শ্রীলঙ্কার কন্দালামা হ্রদের পাশে সবুজেঘেরা এক রিসোর্টে স্বামী সনি পোদ্দারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন মিম। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রিসোর্টের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটছেন তিনি, আর একপাশে পাহাড়, অন্যপাশে হ্রদ । প্রকৃতির মাঝেই যেন নিজেকে বিলীন করে দিয়েছেন এই জনপ্রিয় নায়িকা।
প্রকাশিত ছবির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে মিম লিখেছেন, ‘যখন প্রকৃতি তোমার হাতের তালুতে পুরোপুরি এসে যায়। যা ছবির সঙ্গে যেন অদ্ভুতভাবে মিলে গেছে।’ ভ্রমণের প্রতি মিমের দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আগের ঈদেও থাইল্যান্ড ভ্রমণের ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার তার গন্তব্য শ্রীলঙ্কা, আর সঙ্গী স্বামী, যার ফলে ভক্তদের আগ্রহ যেন দ্বিগুণ।
অভিনেত্রী হিসেবে মিমকে সবশেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া রায়হান রাফী পরিচালিত ‘দামাল’ ছবিতে। তার আগে একই বছর ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পরাণ’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। ‘পরাণ’-এর সফলতার পর নতুন নতুন প্রস্তাব পেলেও স্ক্রিপ্ট এবং চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় আপাতত নতুন প্রজেক্টে যুক্ত হননি মিম।
তবে ভ্রমণপ্রেমী এই তারকার ছুটি কাটানোর ছবি দেখে নেটিজেনদের দাবি, পর্দায় যতই অনুপস্থিত থাকুন না কেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম যেন পুরোপুরি অনস্ক্রিনেই রয়েছেন।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নজির গাজী (৪৯) ও দিদারুল ইসলাম (৩৮) নামে দুই ’জলদস্যুকে’ আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা ও ১১টার দিকে উপজেলার উপকুলবর্তী যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় আটক দুই জলদস্যুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা।
এর আগে সোমবার রাত আটটার দিকে সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে উঠে আসার সময় স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে অপর কয়েক সহযোগিসহ এসব জলদস্যুরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আটকরা হলেন— শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের নওশাদ গাজী এবং আশাশুনি উপজেলার চাকলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম।
আবু হামজা, সিদ্দিক হোসেন ও আকবর আলীসহ স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে আটটার দিকে অপরিচিত পাঁচ/সাত জন ব্যক্তি সুন্দরবন তীরবর্তী যতীন্দ্রনগর বাজারে যায়। এসময় নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তারা মাইক্রো বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের জন্য কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নাম—পরিচয়সহ সুন্দরবন এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় যতীন্দ্রনগর বাজারে উপস্থিত লোকজন ধাওয়া করে দিদারুলকে ধরে পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তীতে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে নজীরকে আটকের পাশাপাশি তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই চক্রের ব্যবহৃত মাছ শিকারের নৌকার মধ্যে থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, জোনাব বাহিনী এখন সুন্দরবনে খুব বেশি তৎপর না। বরং নজীর, তার ভাই নবাব ও ছেলে আব্দুর রহিম এবং মুন্সিগঞ্জ আটিরউপর এলাকার আছাদুলসহ কয়েকজনকে নিয়ে জোনাবের নামে সুন্দরবনে দস্যুতায় লিপ্ত। সোমবার রাতে নজীর আলীকে আটকের পরপরই তার ছেলে আব্দুর রহিম ও ভাই নবাব ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
আটক নজীর আলীর ভাষ্য, তিনি সুন্দরবনের ত্রাস কুখ্যাত জোনাব বাহিনীর সদ্যদের উপরে তুলে দেওয়া এবং সুন্দরবনে নামিয়ে দেয়ার কাজ করেন। সোমবার ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে জোনাব বাহিনীর দুই সদস্যকে যতীন্দ্রনগর বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যেয়ে মাছ শিকারের পাশাপাশি তারা পরিচিত জলদস্যুদের উপরে নিচে উঠানামার কাজ করেন বলেও দাবি তার। উপরে উঠে যাওয়া দুই জলদস্যু উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি তার নৌকার মধ্যে রেখে যায় বলেও তিনি দাবি করেন।
দিদারুল জানান, তিনি নজীর আলীর শ্রমিক হিসেবে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেদের জিম্মি করারসহ মুক্তিপণ আদায়ের কাজ করেন। লোকারয়ে পৌঁছে দেওয়া দুই জলদস্যুকে সুন্দরবনের পুটেরদুনে এলাকা থেকে নিয়ে আসার কথাও নিশ্চিত করেন তিনি। তবে তার কাছে মোবাইলের পাওয়ার ব্যাঙ্কসহ নানান সরঞ্জামাদির বিষয়ে জানতে চাইলে নিরুত্তর থাকেন।
এদিকে অস্ত্র উদ্ধারসহ দু’জনকে আটকের বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, নজীরের দেওয়া তথ্যে নৌকায় থাকা ককসিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। আটকের পর উভয়কে শ্যামনগর থানায় নেওয়া হয়েছে। তারা মাছ শিকারির ছদ্মবেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করতেন বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাহিনীর নাম—পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
দীর্ঘ সময় পর ঈদুল আজহায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত দুটি সিনেমা। একটি রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’, অন্যটি তানিম নূরের ‘উৎসব’। সেই আমেজ না কাটতেই কলকাতার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া। গত শনিবার মহরতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিং। প্রথম পর্ব ‘অর্ধাঙ্গিনী’র মতো এবারও জয়ার সঙ্গে থাকছেন কৌশিক সেন ও চূর্ণী গাঙ্গুলী। এই তিনজনের সঙ্গে নতুন পর্বে যুক্ত হচ্ছেন ইন্দ্রাশিস রায়।
গল্পের পটভূমি সম্পর্কে জানা যায়, সুমনের (কৌশিক) অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে তার সাবেক স্ত্রী শুভ্রা (চূর্ণী) ও বর্তমান স্ত্রী মেঘনার (জয়া) দেখা হওয়া এবং টানাপড়েনকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল অর্ধাঙ্গিনীর পটভূমি। আগের ঘটনার বছর দুয়েক পর একটা বিয়েকে কেন্দ্র করে আবার মুখোমুখি হয় সুমন, শুভ্রা ও মেঘনা।
‘অর্ধাঙ্গিনী’র মতো এবারের সিনেমাটি নিয়েও আশাবাদী জয়া আহসান। তাঁর ভাষ্য, ‘কৌশিকদার সঙ্গে আমরা খুব এনজয় করে কাজ করি। এবারও তেমনটি হবে। কাজের ক্ষেত্রে প্রতিদিন আলাদা অভিজ্ঞতা হয়। নিজেকে আরও উন্নত করি অভিনেত্রী হিসেবে। এতে আবারও আমার সহশিল্পী হিসেবে চূর্ণী গাঙ্গুলীকে পাচ্ছি। তার মতো অভিনেত্রী পাওয়া মানে নিজের চরিত্রের আরও উত্তরণ ঘটা।’
‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’র শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত জয়া ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন ঈদের দুই সিনেমার প্রচারে। ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহে দারুণ খুশি অভিনেত্রী। এদিকে কলকাতায় ছবির শুটিং শুরুর আগে দুই বাংলার শিল্পীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন। কোনো রকম বিচ্ছিন্নতা দুই বাংলার শিল্পীদের কাম্য নয় বলেও জানান জয়া।
কলকাতার টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়া আহসান বলেন, ‘কোনোভাবেই শিল্পীদের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়। কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিল্পীদের কাজ হচ্ছে সবকিছু একসঙ্গে করা। আমরা যে রকম বলি গ্লোবাল, গ্লোবালি আমরা যে বেঁচে আছি—সে অর্থে শিল্পীদের তো কোনো ভৌগোলিক সীমারেখা থাকা উচিত নয়। তার ভেতর আমাদের সংস্কৃতি এক, মূল্যবোধ এক, আবেগ-অনুভূতি এক, সেখানে আমরা কেন বিচ্ছিন্ন থাকব! সবচেয়ে বড় কথা—আমাদের ভাষা এক। আমরা বাংলায় কথা বলি। আমাদের চেষ্টাটা সব সময় থাকবে, পৃথিবীর যে কোণে যে বাঙালিই থাকুক, যে বাংলাভাষী মানুষই থাকুক, তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা—তা আমাদের শিল্পকর্ম দিয়ে। এটার জন্য আমাদের দুই বাংলাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে’ কথা প্রসঙ্গে জয়া আহসান তার কথায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ব্যাপারও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক পটভূমির যে ব্যাপারগুলো, তা যারা দেশের নীতিনির্ধারক আছেন, এসব তাদের সমস্যা। এসব সমস্যা তারাই আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবেন। আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে কোনো বিদ্বেষ, কোনো রকম অসহিষ্ণুতা কখনোই কাম্য নয়, সেটা আমরা হতে দিতে চাই না।’
বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম শাবানা। ১৯৫২ সালের ১৫ জুন তিনি পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সে হিসেবে ৭৩ বছর পূর্ণ করে ৭৪–এ পদার্পণ করলেন শাবানা। শাবানা বাংলার ঘরে ঘরে ছিলেন দেবীতুল্য অভিনেত্রী।
সব শ্রেণির দর্শকদের কাছে এই অভিনেত্রী ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র। জীবন্ত অভিনয় দিয়ে খুব সহজেই দর্শক হৃদয়ে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন বলেই অভিনয় থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও তার কথা ভুলতে পারে না এদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
শাবানা সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য তুলে ধারা হলো পাঠকদের জন্য-
১. শাবানার আসল নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। চলচ্চিত্রে নাম পরিবর্তন করে হন শাবানা।
২. ১৯৬৭ সালে পরিচালক এহতেশামের উর্দু ছবি ‘চকোরি’ দিয়ে পর্দায় আগমন।
৩. শাবানা অভিনীত ছবির সংখ্যা প্রায় ৫০০ এর মতো।
৪. বাংলা ছবিতে দর্শকদের সবচেয়ে বেশি চোখে জল আনা অভিনেত্রীর নাম শাবানা।
৫. নায়ক-নায়িকার বাইরেও ভাবী-মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে সিনেমাকে টেনে নিয়ে যেতে পারতেন শাবানা।
৬. শাবানার স্বামীর নাম ওয়াহিদ সাদিক। যিনি একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক।
৭. শাবানার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ‘এস এস প্রোডাকশনস’।
৮. অভিনয়ের জন্য ১১ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শাবানা। যা বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ইতিহাস।
৯. শাবানার বাবার নাম ফয়েজ চৌধুরী যিনি একজন টাইপিস্ট ছিলেন এবং মা ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন গৃহিনী।
১০. শাবানা অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ।
১১. শাবানার জন্ম ঢাকার গেন্ডারিয়ায়। পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে।
১২. শাবানার বিপরীতে প্রথম নায়ক ছিলেন নাদিম।
১৩ . শাবানা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তাই ইতি ঘটে মাত্র ৯ বছর বয়সে।
১৪.শাবানা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকেন
১৫. শাবানার ঢাকার বাসা বারিধারায়। দেশে এলে, এখানেই থাকেন পরিবারসহ।
মাত্র আট বছর বয়সে সিনেমায় অভিনয়ে নাম লেখান শাবানা। এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ নামের ছবিতে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ‘চকোরী’ ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় শুরু। ২৫ বছর ধরে অভিনয় থেকে দূরে সরে আছেন চলচ্চিত্রের গুণী এই অভিনয়শিল্পী।
অভিনয়জীবনে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হুট করেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। শুরুর দিকে নিউইয়র্কে থাকলেও এখন স্বামী, সন্তান, নাতি-নাতনি নিয়ে নিউ জার্সিতে থাকছেন।
বয়স নিয়ে সর্বদাই অকপট থাকেন রুনা খান। বয়স চল্লিশের কোটায় থাকলেও তা যেন কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তার কাছে। প্রতিনিয়তই নিজেকে নতুনভাবে মেলে ধরছেন অভিনেত্রী ও মডেল রুনা খান। শুধু অভিনয় শৈলীতেই নয়, সময়ের সঙ্গে নিজের রূপ-লাবণ্যও ধরে রেখেছেন রুনা খান।
অভিনেত্রী মনে করেন, বয়স লুকানো যায় না, লুকানোর বিষয়ও না। বয়স উদযাপন করার বিষয়। তবে বাড়তি বয়স নিয়ে অন্যান্য তারকাদের সঙ্গেও তুলনা করা হয় রুনাকে। বিশেষ করে, পঞ্চাশের অভিনেত্রী জয়া আহসানের সঙ্গে তুলনা করা হয় তাকে।
আর এ বিষয়টিকে ‘বোকা চর্চা’ বলে মনে করেন রুনা খান।
নিজেকে নানা ভাবে নীরিক্ষণ করছেনে এই অভিনেত্রী। ওজন কমিয়েছেন। নিজের ফ্যাশন ধরনে এনেছেন পরিবর্তন।
এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসছেন বারবার। রুনা খান এখন রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। গতকাল শুক্রবার তিনি হাডসন নদীর তীরে বেশকিছু ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। ছবিগুলো নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।
রুনা খানের মন্তব্যবাক্সে সাধারণের মন্তব্য করতে পারছেন না, তা ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমে সেভ করে পোস্ট করে অনেকেই মন্তব্য করছেন।
এসব মন্তব্যে ইতিবাচক নেতিবাচক অভিমত রয়েছে।
তবে নির্মাতা নোমান রবিন নিজের অভিমত জুড়ে দিয়েছেন। তিনি নিজের ভাষায় বলছেন, আমার বউডারে এমন বেহেস্তি পোষাকে মুক্ত আকাশের নিচে উড়তে দেখতাম চাই। কোনো টেনশন ছাড়া, জড়তা ছাড়া বউ বাচ্চাগুলারে চলাফেরা করতে দেখতে চাই। আম্রিকা এমন এক দেশ যেখানে চোখের ইবাদত, মুখের ইবাদত, সর্বোপরি চিন্তার ইবাদতকে প্রধান্য দেয়া হয়। খুব শিগ্রই নিউইয়র্কে আসমু। ভালো থাকো।
ঈদুল আজহায় চলচ্চিত্র-সিরিজ—সব মাধ্যমেই রয়েছেন অভিনেত্রী রুনা খান। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ এসেছে তাঁর ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। অন্যদিকে, আইস্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘পাপ কাহিনী’ এবং ওয়েব ফিল্ম ‘নীলপদ্ম’।
এই ঈদে রূপালি পর্দা যেন একটু বেশিই আলোকিত। কারণ, একসঙ্গে দুটি সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান। একটি রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’, অন্যটি তানিম নূরের ‘উৎসব’। ঈদের সকাল থেকে শুরু করে আজও, দর্শকের হাত ধরে সিনেমা হলে ছুটে চলেছেন জয়া। ছবির সঙ্গে দর্শকের হৃদয়ের সংযোগটা যেন নিজ চোখেই প্রত্যক্ষ করতে চান তিনি।
‘তাণ্ডব’-এর প্রচারে গিয়ে জয়া বললেন, ‘ঈদে যখন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়, তখন ঈদের আবহটাই যেন সেই সিনেমাকে ঘিরে তৈরি হয়। ঈদের সকাল থেকেই সবাই খবর নেয়, সিনেমাটি কেমন চলছে। জানলাম, ‘তাণ্ডব’ দেখতে সকাল থেকেই হলে দর্শকের ভিড় লেগে আছে। সিনেমাটি নিয়ে মানুষ রীতিমতো উন্মাদ হয়ে উঠেছে। এটাই তো আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
শাকিব খানের সঙ্গে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর স্ক্রিন শেয়ার করেছেন জয়া। অ্যাকশন ঘরানার ‘তাণ্ডব’-এ তিনি অভিনয় করেছেন এক সাংবাদিকের চরিত্রে। ছবিতে আরও রয়েছেন আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এজাজুল ইসলাম, সুমন আনোয়ার ও মুকিত জাকারিয়ার মতো দক্ষ অভিনয়শিল্পীরা।
দর্শকের সঙ্গে একত্রে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে জয়া বলেন, ‘আমি নিজেই দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করেছি। একজন দর্শক হিসেবে বলতে পারি, পুরো টাকাটা উসুল! সিনেমা হলে যখন চারদিক থেকে শিস ও হাততালির শব্দ উঠছিল, তখনই বুঝে গেছি, ‘তাণ্ডব’ মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাণ্ডব’-এর মূল শক্তি তার গল্প। আমাদের টিম ছিল অসাধারণ। পর্দার সামনেও যেমন, তেমনি পেছনেও সবাই একদম হৃদয় দিয়ে কাজ করেছে। আমরা নিজেরাও ভীষণ আনন্দ নিয়ে ছবিটি করেছি। এরইমধ্যে দর্শকদের যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে মন ভরে গেছে।”
অন্যদিকে, ‘উৎসব’ সিনেমার প্রচারেও পিছিয়ে নেই জয়া আহসান। গতকাল তিনি নিজে গিয়েছিলেন একটি প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের সঙ্গে সিনেমা দেখতে। বিনিময় করেছেন কুশল, শুনেছেন মতামত।
জয়া বলেন, ‘উৎসব’ দেখার পর দর্শকরা নিজেরাই বলছেন-এই সিনেমাটি অনেক দিন মানুষের মনে থাকবে। ছবিটিতে যে শিল্পীরা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। আমি নিজে দেশের বাইরে ও দেশের ভেতরে ছুটে চলা একজন শিল্পী; চঞ্চল ব্যস্ত একজন মানুষ, আর অপি তো যেকোনো কাজ করেন না-যতক্ষণ না সেটা তার পছন্দ হয়। এতগুলো ভিন্নধর্মী শিল্পীকে এক ফ্রেমে আনা গেছে কেবল পরিচালকের মুন্সিয়ানায়। আমার বিশ্বাস, সিনেমাটির যাত্রা হবে দীর্ঘ।’
একটু হেসে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই সিনেমা দেখতে গিয়ে টিকিট পাইনি। সেটা মনে হলে লজ্জাও লাগে। আশা করি, নির্মাতারা দর্শকদের জন্য টিকিট পাওয়ার সুযোগ আরও সহজ করে তুলবেন।’
ঈদের দুই ভিন্নস্বাদের ছবি ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’ দুটোতেই জয়াকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন আবহে। অথচ, প্রতিটি চরিত্রেই যেন তার এক নিজস্ব ছাপ, এক অনবদ্য সত্তা।
এ ঈদে, সিনেমা হলে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে-‘তাণ্ডব’ চলছে, ‘উৎসব’ জমছে। আর তার কেন্দ্রে আছেন জয়া আহসান। অভিনয়ের তাণ্ডব আর শিল্পের উৎসবে যিনি একসঙ্গে মাতাচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের।