নজরুলসংগীতের অনুষ্ঠান ‘সালাউদ্দিন আহমেদের বৈঠকখানা’-এর শততম পর্ব আয়োজিত হচ্ছে আজ। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়। নজরুলসংগীত ও আজকের আয়োজন নিয়ে নিজের অনুভূতি জানালেন নজরুলসংগীতশিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদ।
আগামীকালের (আজ) আয়োজন নিয়ে বলুন?
আয়োজনটা হচ্ছে সালাউদ্দিন আহমেদের বৈঠকখানা। আমার যত গান, আমাদের যত গান। এই প্রতিপাদ্য নিয়েই যখন করোনা শুরু হলো, প্রচণ্ড ব্যস্ততার সংগীতজীবনে একদম নিস্তব্ধতা নেমে এল। ওই সময় আমরা ভাবলাম, সাংস্কৃতিকভাবে একটি শক্তি যদি মানুষকে দিতে পারি…। তাতে আমরা একটু ব্যস্তও হলাম আবার আমাদের শুদ্ধ সংগীতের যে শক্তি, সেটা দিয়ে তাদের একটু উৎসাহিতও করা হলো। এই ভাবনা থেকে আমরা প্রতি শুক্রবার রাত ৯টায় সালাউদ্দিন আহমেদের বৈঠকখানা আমরা অনলাইনে সরাসরি অনুষ্ঠান শুরু করলাম। খুব সুখের বিষয় হচ্ছে, পুরো পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষ এটির সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে। তাদের একটা ভালো লাগার জায়গায় পৌঁছাল। আমিসহ মাঝে মাঝেই অতিথি শিল্পীরা এসেছেন। আরেকটি প্রেক্ষাপট হলো, আমার কাছে যারা গান শেখে, তাদের কাছে যে আমি শুদ্ধ সংগীত দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ওই ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণের একটা পাঠ মঞ্চ পরিবেশনা। তালিম নামে একটি সংগঠন শুরু করি। ছেলে-মেয়ে তৈরি করতে হলে তাদের গান গাওয়ার জায়গাটা দিতে হবে। আমি তখন বছর পাঁচ কি সাত আগে শুরু করি। কখনো শিল্পকলার মঞ্চে কিংবা জাদুঘরের মঞ্চে করেছি। এটাও মানুষের অনেক আগ্রহের জায়গায় ছিল। নিজের পকেটের টাকা দিয়েই এটা করি। কখনো স্পন্সরের পেছনে দৌড়াইনি। একটা সময় যেটা হলো যে, পরিবেশ-পরিস্থিতি মিলে একটা বিরতি হয়ে গেল। এরপর করোনা শুরু হলো। তখন আমরা এই অনুষ্ঠানটি শুরু করি। এটা অনেক জনপ্রিয় হয়। এক এক করে শততম পর্বে চলে এল। ভাবলাম যে, ছাত্র-ছাত্রী সবাইকে নিয়ে এটা উদ্যাপন করি।
কারা কারা গাইবেন?
বেশির ভাগই আমার ছাত্র-ছাত্রীরা গাইবেন। তা ছাড়া বাইরের শিল্পীরাও থাকবেন।
এটা তো অনলাইনের আয়োজন ছিল?
মঞ্চে এই প্রথম আমরা শততম পর্ব দিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ বৈঠকখান করতে যাচ্ছি। এখন মাঝে মাঝেই আমরা মঞ্চে এভাবে আয়োজন করব। ছেলে-মেয়েদের অতিথিদের সামনে কেমন করে গাইতে হয়, সেটা শেখাব। তালিমের ব্যাপারটাই এভাবে হবে। গুণীজনের সামনে তারা যেন গান গাওয়ার প্র্যাকটিসটা করতে পারে। এভাবেই পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
শততম পর্ব পর্যন্ত আসতে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন?
আমি সুখী এ জন্য যে, সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছে। চ্যালেঞ্জ ছিল দুই রকম। এমন তো আমাদের গেছে যে, লকডাউনে আমরা কেউ বের হতেই পরিনি। তখন অতিথি শিল্পী আমি সেভাবে আনতে পারিনি। তখন হয়তো পরপর দুটি পর্ব আমি একাই করেছি। অর্থনৈতিক কিছু সমস্যা হয়েছে। এটা অবশ্য সব সময়ই থাকে। তবে এটা কোনো বিষয় ছিল না। আমার উদ্যোগের কাছে সব সমস্যা উড়ে গেছে। তবে একটা শ্রেণির মানুষ আছে, যারা পজিটিভ অ্যাকটিভিটি করতে গেলেও খুঁত, ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে। তারা অনেকেই ভাবতে শুরু করল, সালাউদ্দিন আহমেদের হয়তো এর সঙ্গে অর্থকড়ির কোনো সম্পর্ক আছে। যেহেতু অনলাইনের সঙ্গে একটা অর্থের সম্পর্ক আছে, আমি তা জোর গলায় বলতে চাই। আমি একজন সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, শিক্ষক। আমার উদ্দেশ্য হলো, আমি যেমন নিজে গান গাই, আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারি, গত ৩০ বছরে সাস্কৃতিক অঙ্গনে পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে যারা কাজ করেছে, আমি তাদের একজন।
আপনার একটা অন্যতম উদ্দেশ্য নতুন শিল্পী তৈরি করা। নতুন শিল্পীদের মধ্যে নজরুলসংগীতের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?
অনেক সম্ভাবনা। এটাই আমার ভালো লাগার জায়গা। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। নতুন প্রজন্মকে তৈরি করা আমার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য। নিজে গান গাওয়ার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের তৈরি করা কিন্তু অনেক পরিশ্রমসাধ্য কাজ। এই কাজটি আমি করে যাচ্ছি। সুখের কথা, দেশের বাইরে যেখানেই যাই, যে শহরেই যাই, ফলোয়ার তো আছেই, আমার ছাত্র-ছাত্রীদেরও পাই। আমাদের পরের ও তার পরের প্রজন্মের কথা বলি। আমাদের পরের প্রজন্ম পুরোপুরি গান গাইছে। তার পরের প্রজন্ম জাস্ট সামনে এসেছে। এই দুটি প্রজন্মকেই যদি দেখি, তাহলে দেখব, আমরা অনেক শিল্পী তৈরি করেছি। তারা বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকতা করছে। গান করছে। পুরোপুরি গানকে আশ্রয় করে সামনে চলে আসছে। এটা আমার একটা ভালো লাগার জায়গা।
নজরুলসংগীত শুদ্ধভাবে গাওয়ার যে আন্দোলন, তার কী অবস্থা?
আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের নজরুল ইনস্টিটিউটকে। আমি সেখানে প্রথম স্বরলিপি করার ব্যাপারটার সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। সেটা আজকে প্রায় ২৫ বছর আগের কথা। এখন অনলাইনে সার্চ করলেই গান পাওয়া যায়। তখন পাওয়া যেত না। ইনস্টিটিউটে সংগৃহীত যে রেকর্ড আমরা আদি রেকর্ড বলি, যেগুলো ১৯৪২ সালের আগে করা। ওই সব রেকর্ড অনুসারে তখন স্বরলিপির কাজ চলছে। ওই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত করলাম। আমি তখন ১৮তম খণ্ড এবং ২৫তম খণ্ড, যার দুটিই আমার করা স্বরলিপি বই। এখানে কাজ করতে গিয়ে নতুন করে অনুভব করলাম, নজরুলকে নজরুলের মতো করে রাখতে চাই, দেখতে চাই। আমাদের জাতীয় কবি। তার যে সৃষ্টিকর্ম, সেটাকে তার মতো করে প্রতিষ্ঠিত করব। নজরুল নিজেও এটিই চাইতেন। নজরুল যেহেতু অসময়ে নির্বাক হয়ে গিয়েছিলেন। তার গান নিয়ে অনেক ছেলেখেলা হয়েছে। তারা কথায় কথায় বলে যে, নজরুলের গান একটু এদিক-ওদিক করা যায়। অথচ কোনো দিনই নজরুল এদিক-ওদিক করতে বলেননি। বরং তিনি প্রচণ্ড বিরক্ত হতেন। এ কথাও বলেছেন, ইদানীং আমার গান প্রায়ই কোনো না কোনো মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। ঘটনাক্রমে আকাশবাণীতে আমি গান শুনলাম। কিছু শিল্পী গান গাইছেন। আমার গান নিয়ে তারা এমন কাণ্ডকারখানা করছে। মনে হচ্ছে যেন আমার গানের রক্তরস সব বেরিয়ে যাবে। তিনি খুবই বিরক্ত হয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেছেন, তার শিল্পকর্ম যেন তার মতোই রাখা হয়। এই কাজটিই আমরা নজরুল ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে করলাম।
প্রযুক্তির উন্নয়নে গানের প্রচারে নেতিবাচক কিংবা ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়ছে?
সালাউদ্দিন আহমেদ বৈঠকখানার আরেকটি ভালো দিক বলি, এই কারোনাকালীন সময় থেকে সারা বিশ্বের অনেক শিল্পী আমার কাছে অনলাইনে গান শেখে। এমনকি কলকাতার অনেক শিল্পী আমার কাছে গান শেখে। তারা ওখানে বলে যে, এই গান সালাউদ্দিন স্যারের কাছ থেকে শিখেছি। তাদেরও আমি বলি, আসুন আমরা নজরুলকে তার মতো করে সবাই মিলে প্রতিষ্ঠিত করি। অনেক খামখেয়ালি হয়েছে, আর খামখেয়ালি না করি।
সর্বস্তরের জনগণের মাঝে নজরুলসংগীতকে ছড়িয়ে দিতে আপনার পরিকল্পনা কী?
অনলাইন প্ল্যাটফর্মটা অনেক শক্তিশালী। এত দ্রুত শ্রোতার কাছে পৌঁছানোর জন্য আর কোনো মিডিয়া নেই। আমি এটাকে শতভাগ ব্যবহার করতে চাচ্ছি। বিশেষভাবে অনুরোধ বেসরকারি চ্যানেলগুলোর কাছে, তাদের অনেক ভালো ইকুইপমেন্ট আছে। আমরা যদি নজরুলকে তার মতো করে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করি, একটু যদি আন্তরিক হই সবাই মিলে। তা হলে নজরুলকে অন্য কলেবরে রেখে যেতে পারব। একটা জিনিস ঘটে, নজরুলের গান নিয়ে অনেকেই মনে করে একটু বেশি কঠিন করে গাইলেই বোধ হয় নজরুলের গান ভালো হয়। অকারণে যেগুলো সহজ গান সেগুলো কঠিন করে গাওয়ার দরকার নেই। তাহলে সাধারণ শ্রোতা তো গান শুনবে না। সুর যদি দুরূহ হয়, তখন আপামর মানুষ সেটা শুনতে চায় না। তারা বিব্রত হয়। এই মেসেজটা ছাত্র-ছাত্রীদের দিই। নজরুলের যেমন দুরূহ গান আছে একটা শ্রেণির জন্য, আবার সাধারণ মানুষের জন্যও তার গান আছে। সবার জন্য যে গান, সেগুলো সাধারণের উপভোগ্য করে পরিবেশন করতে হবে। এটাকে অকারণে কঠিন করে গাইলে মানুষ শুনবে না।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে কিছু বলার আছে?
আমাদের সমাজের অভিভাবকদের বিশেষ করে আমি অনুরোধ করতে চাই, এখনো কিন্তু সংগীত বা সংগীত শেখার বিরুদ্ধে অবস্থান অনেকেরই আছে। আমি তাদের অনুরোধ করব, আমাদের যে শুদ্ধ সংস্কৃতি, এই সংস্কৃতির চর্চা সবাই করবেন। অকারণে বিপরীতধর্মী কোনো সংস্কৃতি নিয়ে আপনারা মাতামাতি করবেন না। ছেলে-মেয়েদের যদি আমরা নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করতে পারি, তাহলে তারা বিপথে যাবে না। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের সংস্কৃতি শেখান, তাহলে তারা কোনো কূপমণ্ডূকতা, ধর্মান্ধতা, সমাজ পরিপন্থী কোনো কাজ এগুলো করতেই পারে না।
অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করার পর এবার নিজের রূপের দ্যুতি ছড়িয়ে ভক্তদের নজর কাড়লেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। সচরাচর মেকওভার ফটোশুটে দেখা না গেলেও সম্প্রতি একটি ব্রাইডাল লুকে লাল বেনারসিতে নিজেকে রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলোতে সোনালি জরির কাজ করা লাল বেনারসি, ভারী কুন্দনের গয়না, গাঢ় কাজল ও লালের উষ্ণ আভায় নিজেকে অনন্য রূপে মেলে ধরেছেন এই অভিনেত্রী।
সাদিয়ার এই স্নিগ্ধ ও আভিজাত্যপূর্ণ সাজ দেখে ভক্তরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। কেউ মন্তব্যের ঘরে তাকে ‘বাংলাদেশের রানি’ আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ তার মাঝে বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন।
নিজের পরিশ্রমে অর্জিত সাফল্য ও স্বাধীনতা থেকেই নিজেকে ‘রানি’ ভাবতে ভালোবাসেন সাদিয়া, যার প্রতিফলন তার এই দৃপ্ত ভঙ্গিমা ও ফটোশুটে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উৎসব’ সিনেমা এবং ‘দেরি করে আসবেন’, ‘খুঁজি তোকে’, ‘মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর’সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে চলতি বছরও তিনি দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি তার এই নতুন ফ্যাশন স্টেটমেন্টও ভক্তমহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনের নানা গুঞ্জন ছাপিয়ে ক্যারিয়ারের দৌড়ে বলিউডের অন্য নায়িকাদের চেয়ে বর্তমানে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। ২০২৬ সালটি তার জন্য ‘লাকি ইয়ার’ হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে; কারণ যেখানে অন্য নায়িকারা নতুন প্রজেক্টের অপেক্ষায়, সেখানে তামান্নার হাতে রয়েছে পাঁচটি সিনেমা। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, কাজের সংখ্যার দিক থেকে আলিয়া ভাট ও কৃতি শ্যাননের মতো জনপ্রিয় তারকাদেরও পেছনে ফেলেছেন তিনি।
তামান্নার আসন্ন সিনেমাগুলোর তালিকায় রয়েছে ‘ও রোমিও’, ‘ভি শান্তারাম’, ‘ভান’, ‘রেঞ্জার’ এবং ‘মারিয়া আইপিএস’। এর মধ্যে একটি সিনেমায় তার সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধছেন তৃপ্তি দিমরি এবং আরেকটিতে বিপরীতে দেখা যাবে সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীকে। অন্যদিকে, আলিয়া ভাটের হাতে রয়েছে শিব রাওয়াইল পরিচালিত স্পাই থ্রিলার ‘আলফা’ এবং সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’।
এছাড়া অভিনেত্রী শর্বরী ‘আলফা’র পাশাপাশি অভিনয় করবেন ‘ইয়ে প্রেম মোল লিয়া’ সিনেমায়। অন্যদিকে কৃতি শ্যানন ও রাশমিকা মান্দানাকে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা যাবে ‘ককটেল ২’ সিনেমায়। পাশাপাশি রাশমিকা ‘বর্ডার ২’ এবং কৃতি ‘ডন ৩’ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। তবে সব মিলিয়ে আগামী বছরের বলিউড রেসে সংখ্যার বিচারে তামান্নাই এখন পর্যন্ত চালকের আসনে রয়েছেন।
কন্নড়, তামিল ও তেলুগু সিনেমায় নিজের শক্ত অবস্থান তৈরির পর এবার বলিউডের বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে দক্ষিণী অভিনেত্রী রুক্মিণী বসন্তের। ‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’ সিনেমায় রাজকুমারী চরিত্রে সাফল্যের পর তার ক্যারিয়ারে নতুন মোড় এসেছে এবং তিনি হিন্দি সিনেমায় অভিনয়ের জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছেন। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানান, হিন্দি প্রজেক্ট নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা চলছে এবং বিষয়টি নিয়ে তিনি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।
হিন্দি ভাষার সঙ্গে নিজের সখ্যতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রুক্মিণী জানান, সামরিক (ফৌজি) পরিবারের সন্তান হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা থেকেই তিনি এই ভাষার সঙ্গে পরিচিত। বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে বড় হওয়ার কারণে হিন্দির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল নিবিড়। এতদিন এই ভাষায় সেভাবে অভিনয়ের সুযোগ না পেলেও, তিনি এখন তার হিন্দি ভাষাগত দক্ষতা কাজে লাগাতে আগ্রহী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই ঈশ্বরের কৃপায় তার বলিউড যাত্রা শুরু হবে।
ইতোমধ্যেই ‘সপ্ত সাগরদাচে এলো’ এবং ‘মাদ্রাসি’র মতো সিনেমায় অভিনয় করে রুক্মিণী নিজের জাত চিনিয়েছেন। এর আগে ‘আপস্টার্টস’ সিনেমার মাধ্যমে হিন্দিতে তার স্বল্প পরিসরে অভিষেক হলেও এবার বড় পরিসরে কাজের অপেক্ষা করছেন তিনি। বর্তমানে তার হাতে ‘টক্সিক: এ ফেয়ারি টেল ফর গ্রোন-আপস’, ‘ড্রাগন’ এবং মণিরত্নমের একটি নামহীন সিনেমার কাজ রয়েছে।
বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং অভিনীত সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ ভারতের বক্স অফিসে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আয়ের দিক থেকে সিনেমাটি দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের ব্লকবাস্টার হিট ‘পুষ্পা টু’-এর দ্বিতীয় সপ্তাহের আয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মুক্তির দ্বিতীয় রবিবারে ‘পুষ্পা টু’ যেখানে ৫৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল, সেখানে আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ একই সময়ে ৫৮ কোটি টাকা আয় করে সেই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছে। সালমান খান ও আমির খানের মতো তারকাদের সাম্প্রতিক সিনেমাগুলো যা করতে পারেনি, রণবীর সিংয়ের এই সিনেমা সেই সফলতাই করে দেখিয়েছে।
মুক্তির মাত্র ১০ দিনেই ‘ধুরন্ধর’ ভারতের বাজারে সর্বমোট ৩৫১ কোটি ৬১ লাখ রুপি আয় করেছে। সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন রামপাল, অক্ষয় খান্না ও আর মাধবনের মতো তারকাদের নিয়ে নির্মিত এই অ্যাকশনধর্মী সিনেমাটি শুধুমাত্র দ্বিতীয় সপ্তাহান্তেই প্রায় ১১১ কোটি টাকা আয় ঘরে তুলেছে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, বক্স অফিসে বড় কোনো নতুন সিনেমা মুক্তি না থাকায় এবং সামনে বড়দিন ও নববর্ষের ছুটি থাকায় ‘ধুরন্ধর’ এই সুযোগটি পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগাবে। তাদের ধারণা, বর্তমান আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে সিনেমাটি খুব দ্রুতই ৫০০ কোটি রুপির ক্লাবে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের নিজ বাসভবন থেকে হলিউডের প্রখ্যাত নির্মাতা ও অভিনেতা রব রেইনার এবং তার স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৭৮ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি পরিচালক ও তার ৬৮ বছর বয়সী স্ত্রীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এনবিসি নিউজের বরাতে জানা যায়, প্রাথমিক তদন্তে উভয়ের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের প্রমাণ মেলায় পুলিশ বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই দেখছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এলএপিডি) ক্যাপ্টেন মাইক ব্ল্যান্ড জানিয়েছেন, ঘটনাটির তদন্তভার ডাকাতি ও হত্যা বিভাগের গোয়েন্দাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে রেইনারের বাড়িতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন বাস বলেছেন, এটি শহরের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
রব রেইনার হলিউডের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ‘দিস ইজ স্পাইনাল ট্যাপ’, ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’, ‘হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি’ এবং ‘এ ফিউ গুড মেন’-এর মতো কালজয়ী সিনেমা পরিচালনার জন্য বিখ্যাত। এছাড়া ‘স্লিপলেস ইন সিয়াটেল’ ও ‘দ্য উলফ অফ ওয়াল স্ট্রিট’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় তার অভিনয়ও দর্শকদের মনে দাগ কেটেছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে ‘হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি’ সিনেমার সেটে মিশেল সিঙ্গার রেইনারের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মৃত্যুকালে এই দম্পতি তিন সন্তান রেখে গেছেন।
বাংলা গানের জনপ্রিয় ধারার নির্মাতা, কিংবদন্তি কবি ও গীতিকবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “এসো গণতন্ত্র গড়ে তুলি নতুন দিনের, নতুন দিনের” শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘কবি আবদুল হাই মাশরেকী’ গবেষণা কেন্দ্র ও মাসিক জনপ্রশাসন পত্রিকা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং এতে সভাপতিত্ব করেন চিত্রশিল্পী ও সমাজসেবী সন্তু সাহা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. গোলাম শফিক—কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব; প্রফেসর গাউসুর রহমান—গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কবি; মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম—প্রাবন্ধিক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ, দৈনিক বাংলার সমাচারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ,ও মজিবুর রহমান—সভাপতি, উত্তরাস্থ ঈশ্বরগঞ্জ ফোরাম।
বক্তারা বলেন, আবদুল হাই মাশরেকী ছিলেন এক মুক্তপ্রাণ মানবিক রেনেসাঁর কবি। তিনি ছিলেন মাটির কাছাকাছি থাকা ভূমিপুত্র, যিনি মানুষের প্রয়োজনকে সর্বাগ্রে স্থান দিতেন। প্রয়োজন হলে তিনি নিজের লেখা ও সৃষ্টিকর্ম বিনা পারিশ্রমিকে মানুষের হাতে তুলে দিতেন। বক্তারা আরও বলেন, তার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অবদান যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাংস্কৃতিকভাবে বঞ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও নাতে রাসুল পরিবেশন করেন গজলশিল্পী ওস্তাদ জামাল হাসান ও সহশিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠান অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি গোলাম কাদের, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারা আকবর সিরাজী, কবিপুত্র নঈম মাশরেকী, শহীদুল ইসলাম সেলিম, মো. রুহুল আমিন বাদল প্রমূখ।
আলোচনা সভায় কবি আবদুল হাই মাশরেকীর জীবন, সাহিত্যকর্ম ও গণতান্ত্রিক চেতনায় তার অবদানের ওপর আলোকপাত করা হয়।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম প্রথমবারের মতো দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির কোনো প্রজেক্টে কাজ করতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি নতুন চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি, যেটি পরিচালনা করবেন কাজী আসাদ।
পরিচালক কাজী আসাদ জানিয়েছেন, মিম ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী এবং গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। তবে এই প্রজেক্টে তাঁকে গ্ল্যামারাস লুকের বাইরে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের চরিত্রে ভাঙার চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে নির্মাতারা আশাবাদী।
চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই মিম চিত্রনাট্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, গল্পের গভীরতা তাঁর মন ছুঁয়েছে, যে কারণে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অন্য কোনো কাজ নিচ্ছেন না। মিম বলেন যে, তিনি অনেক কাজের প্রস্তাব পেলেও গল্প বা অন্যান্য বিষয় মনমতো না হওয়ায় বিরত ছিলেন, কিন্তু কাজী আসাদের এই গল্পটি এবং চরকির আগের কাজ দেখার পর তিনি মনে করেছেন যে এই কাজটি করা উচিত।
তবে এই সিনেমায় মিমকে ঠিক কেমন চরিত্রে দেখা যাবে, সে সম্পর্কে অভিনেত্রী কোনো ইঙ্গিত দেননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন যে, গল্পে একটি দারুণ চমক থাকবে এবং সেটি তাঁর চরিত্রের যাত্রার মধ্য দিয়েই প্রকাশ পাবে। মিম চরকির কাজের প্রশংসা করে আশা প্রকাশ করেন যে তাঁর প্রথম এই কাজটিও দর্শকপ্রিয়তা পাবে।
এই চরকি অরিজিনাল ফিল্মটির গল্প লিখেছেন মাহমুদুল হাসান টিপু, এবং কাজী আসাদ নির্মাতা হিসেবে এর চিত্রনাট্য করেছেন আসাদুজ্জামান আবীরের সঙ্গে।
সম্প্রতি ‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে পুনরায় আলোচনায় আসা বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুন রামপাল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী গ্যাব্রিয়েলা ডিমিট্রিয়ডসের সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অর্জুন রামপাল ও গ্যাব্রিয়েলা দুজনেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সেই পডকাস্টে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে গ্যাব্রিয়েলা ডিমিট্রিয়ডস প্রথমে বলেন যে তাঁদের বাগদান হয়ে গেছে, কিন্তু তাঁরা বিবাহিত নন এবং ভবিষ্যতে কী হবে তা বলা যায় না। সঙ্গে সঙ্গেই অর্জুন রামপাল বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন যে, তাঁরা বিবাহিত না হলেও বাগদান সম্পন্ন করেছেন, যা শুনে রিয়া অবাক হয়ে যান।
অর্জুন রামপাল এবং গ্যাব্রিয়েলার মধ্যে প্রায় ছয় বছরের সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্কের আগে অর্জুন ১৯৯৮ সালে মডেল মেহর জেসিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই বিয়ে থেকে তাঁদের মাহিকা রামপাল ও মাইরা রামপাল নামে দুই সন্তান রয়েছে। তবে ২০১৯ সালে অর্জুন ও মেহরের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে এবং সেই বছর থেকেই গ্যাব্রিয়ালের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়।
অভিনয়শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ব্যতিক্রমী আয়োজনে নতুন সিনেমা ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
গতকাল এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তানিম নূর পরিচালিত নতুন সিনেমা ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর অভিনয়শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে ট্রেন ভ্রমণের আমেজ সৃষ্টি করে দর্শকদের সিনেমার জগতে প্রবেশ করানো হয়। লাল পর্দা সরিয়ে মঞ্চে ট্রেনের আদলে সাজানো সেটে একে একে পরিচিত মুখেরা মঞ্চে আসেন, যা গল্পের দেশে যাত্রার ইঙ্গিত দেয়।
এই সিনেমায় মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, জাকিয়া বারী মম, আজমেরী হক বাঁধন, ইন্তেখাব দিনার, শ্যামল মাওলা, সাবিলা নূর এবং শরীফুল রাজের মতো তারকাদের সঙ্গে আরও অনেক নতুন মুখকে দেখা যাবে।
এই সিনেমাটি বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে। নির্মাতা তানিম নূর পূর্বে হুমায়ূন আহমেদের গল্প অবলম্বনে ‘উৎসব’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন। 'বনলতা এক্সপ্রেস'-এ চিত্রা চরিত্রে অভিনয় করবেন সাবিলা নূর। সিনেমাটির শুটিং আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে এবং এটি আগামী রোজার ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্মাতা তানিম নূর জানান যে, ‘উৎসব’ তৈরির পর অনেকে তাঁকে আবারও পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা থেকেই তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।
অভিনয়শিল্পীরাও এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। মোশাররফ করিম চরিত্র এবং চিত্রনাট্যের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে জানান, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের প্রতি তাঁর বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, তানিম নূরের পরিচালনায় এবং হুমায়ূন আহমেদের গল্পে কাজ করতে পারাটা দর্শকদের জন্য বাড়তি আগ্রহের বিষয় হবে। আজমেরী হক বাঁধন জানান, তাঁর মেয়ে তাঁকে এই প্রকল্পে কাজ করতে উৎসাহিত করেছে, কারণ তিনি হুমায়ূন আহমেদের গল্পের অনুরাগী এবং তাঁর সহশিল্পীরাও পছন্দের। জাকিয়া বারী মম নির্মাতা তানিম নূর এবং সহশিল্পীদের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আশা করেন এটি একটি দারুণ যাত্রা হবে।
চলতি ডিসেম্বরে বিয়ের গুঞ্জন এবং জল্পনার কেন্দ্রে থাকা অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু এবং পরিচালক রাজ নিদিমরু অবশেষে বিয়ের পর প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন। বিয়ের মাত্র দুদিন পরেই হানিমুনে উড়ে গিয়েছিলেন এই দম্পতি, যা নেটিজেনদের সমালোচনার জন্ম দিলেও, এবার সেখান থেকে ফিরে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন তারা।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, নবদম্পতিরা নিজেদের মতো করে রং মিলিয়ে জিনস, টি-শার্ট এবং ট্রাউজার-জ্যাকেটে সেজেছেন। একে অপরের সঙ্গে কথায় এবং খুনসুটিতে মগ্ন থাকায় তাদের প্রকাশ্যে দেখে অনুরাগীরা দারুণ খুশি হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে অভিনেতা নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন সময় পার করেছেন সামান্থা, যার মধ্যে ছিল রোগভোগও। সেই কঠিন অধ্যায় কাটিয়ে চলতি ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে তিনি ‘ফ্যামিলি ম্যান’ খ্যাত পরিচালক রাজ নিদিমরুর সঙ্গে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেন। এই তারকা দম্পতিকে একফ্রেমে দেখায় ভক্তমহলে আনন্দের ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে, সামান্থাকে সবশেষ ২০২৩ সালে বিজয় দেবেরাকোন্ডার বিপরীতে ‘কুশি’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। এছাড়া ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল: হানিবানি’-তেও তাকে বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে দেখা গেছে।
বলিউডের নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতে মুক্তির পরপরই বক্স অফিসে এক বিশাল সাফল্য লাভ করেছে এবং দর্শক মহলে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। রণবীর সিং অভিনীত এই ছবিটি শুধু আয়ের দিক থেকেই নয়, সমালোচক ও দর্শকদের মন্তব্যের জেরেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে অক্ষয় খান্নার একটি দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি প্রথম সপ্তাহেই ২০৭.২৫ কোটি টাকা আয় করে। দ্বিতীয় শনিবারে এর আয় লাফিয়ে ৪৪.৬ কোটি টাকায় পৌঁছায়, যা দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য সর্বোচ্চ ছিল। সবমিলিয়ে ছবিটি ২৮৩.৮১ কোটি টাকা আয় করেছে এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দ্বিতীয় রোববারের মধ্যেই এটি ৩০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করতে পারে।
তবে ভারতের এই সাফল্যের বিপরীতে আন্তর্জাতিক বাজারে একটি বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বলিউড হাঙ্গামার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘ধুরন্ধর’ প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। একটি সূত্র জানিয়েছে, ছবিটির বিষয়বস্তু নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ আপত্তি তোলায় নির্মাতাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অনুমোদন পাওয়া যায়নি, যা উপসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে নতুন নয়।
নির্মাতারা ছবিটি একটি স্পাই থ্রিলার হিসেবে দাবি করেছেন, যার প্রেক্ষাপট পাকিস্তান এবং এটি হামজা আলি মাজারি নামক এক রহস্যময় চরিত্রের ওপর আলোকপাত করে, যিনি কুখ্যাত রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা রয়েছে, সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়ায় রিভিউ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যার নিন্দা জানিয়েছে ফিল্ম ক্রিটিক্স গিল্ড। সত্য ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত এই ছবিতে সংসদ বিস্ফোরণ, মুম্বাই তাজ হোটেল হামলা ও বিমান ছিনতাইয়ের মতো একাধিক সংবেদনশীল ঘটনাও চিত্রিত হয়েছে।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী রুমানা রশীদ ঈশিতা জানিয়েছেন, তার জীবনের প্রথম রোজগার ছিল মাত্র ৬৪ টাকা। বিটিভির একটি নৃত্যনাট্যে অংশ নেওয়ার সুবাদে তিনি এই সম্মানী পেয়েছিলেন। মাছরাঙা টেলিভিশনের জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’-এর নতুন পর্বে অতিথি হয়ে এসে এসব অজানা ও মজার স্মৃতি শেয়ার করেছেন তিনি। রুম্মান রশীদ খানের সঞ্চালনায় এই বিশেষ পর্বটি আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় মাছরাঙা টেলিভিশন এবং রেডিও দিনরাত ৯৩.৬ এফএম-এ প্রচারিত হবে।
চলতি সপ্তাহেই ক্যামেরার সামনে ঈশিতার পথচলার ৩৯ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। ১৯৮৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আল মনসুরের একটি নৃত্যনাট্যে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে মাত্র ৬ বছর বয়সে তার পর্দায় অভিষেক ঘটে। ‘নতুন কুঁড়ি’র দুইবারের চ্যাম্পিয়ন এই তারকা তার প্রথম আয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বিটিভি থেকে পাওয়া সেই ৬৪ টাকা তার নানু তৎক্ষণাৎ উত্তরা ব্যাংকে জমা করে দিয়েছিলেন। এমনকি তিনি যখন ভালো উপার্জন করতেন, তখনও বাসা থেকে তাকে খামে ভরে মাসিক ৫০ টাকা হাতখরচ দেওয়া হতো, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বেড়ে ৫০০ টাকা হয়েছিল।
পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন ঈশিতা। এই সময়ে অনেক লোভনীয় নাটক, সিরিজ ও সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও, তিনি জানান, মনের মতো চরিত্র ও স্ক্রিপ্ট পেলে যেকোনো মাধ্যমে আবার কাজ করতে তিনি প্রস্তুত। জেড আই ফয়সাল প্রযোজিত এই অনুষ্ঠানে ঈশিতার জীবনের এমন অনেক না বলা কথা জানা যাবে।
নানা জল্পনা-কল্পনা ও আয়োজকদের শতভাগ প্রস্তুতির পরও অবশেষে বাতিল হয়ে গেল আতিফ আসলামের বহুল প্রতীক্ষিত কনসার্ট। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পূর্বাচল নতুন শহরের চাইনিজ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই মেগা ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়ায় তা আর হচ্ছে না।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘মেইন স্টেজ ইনক’ এবং সহ-আয়োজক ‘স্পিরিট অব জুলাই’ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কনসার্টটি আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী ছিল। তাদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, কনসার্টের মোট মুনাফার ৪০ শতাংশ অর্থ ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ প্রদান করা হবে। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অনুমতিপত্র আসেনি। এরপর শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ১৩ তারিখের কনসার্টটি আয়োজন করা যে অসম্ভব, তা নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আয়োজক।
মূলত জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত এক মাস ধরেই দেশে বড় ধরনের কোনো কনসার্টের অনুমোদন দিচ্ছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আতিফ আসলামের কনসার্টটিও সেই প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বেড়াজালে আটকে গেল। অথচ দর্শকদের সুবিধার্থে আয়োজকরা টিকিটের মূল্য ৪০ শতাংশ কমিয়েছিলেন এবং যাতায়াতের জন্য কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ভেন্যু পর্যন্ত বিআরটিসি ফ্রি শাটল সার্ভিসের ব্যবস্থাও করেছিলেন।
‘আতিফ আসলাম অ্যাট মেইন স্টেজ শো’ শিরোনামের এই জমকালো আয়োজনে পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ছাড়াও মঞ্চ মাতানোর কথা ছিল ব্যান্ড নেমেসিস, আজম খান ফিডারস এবং দেশের কয়েকজন ফোক শিল্পীর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক জটিলতায় ভেস্তে গেল সব আয়োজন।