শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩

আরাভ খানের আমন্ত্রণে সাকিবসহ আরও যারা দুবাই গেলেন

আপডেটেড
১৭ মার্চ, ২০২৩ ২০:৪৭
বিনোদন প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানের দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের বিষয়টি এখন দেশের অন্যতম আলোচনার বিষয়। স্থানীয় সময় গত বুধবার রাত ৮টায় জমকালো আয়োজনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধন করেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি ছাড়াও বিনোদন জগতের একঝাঁক তারকা দুবাইয়ে সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

এরমধ্যে আছেন চিত্রনায়িকা দীঘি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন দীঘি। আরাভের ফেসবুক ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস, হিরো আলম, গায়ক নোবেল, রুবেল খন্দকার, বেলাল খান ও জাহেদ পারভেজ পাভেলসহ বিনোদন জগতের অনেকেই সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী আয়োজনটি উপস্থাপনা করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। মঞ্চে এসে আরাভ খানকে প্রশংসায় ভাসান তিনি। তবে সাকিব আল হাসান মঞ্চে ওঠেননি।

আলোচিত গায়ক নোবেলের সঙ্গে ছবি দিয়েছেন আরাভ খান। তিনিও দুবাই গেছেন স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে।

তবে শুধু সেখানে উপস্থিত হয়েই তারকারা কাজ শেষ করেছেন এমন নয়। তাদের দেখা গেছে নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করতে। একইসঙ্গে যারা যেতে পারেননি তারাও ভিডিও দিয়েছেন। এরমধ্যে আছেন ইংলিশ ক্রিকেটার বেনি হাওয়েল, শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের পেসার উসুরু উদানা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের বাঁহাতি আগ্রাসী ওপেনার এভিন লুইস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রোহান মোস্তফা, আফগানিস্তানের ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই, পাকিস্তানের ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমিরসহ আরও অনেকে।

আরাভ খানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন শিল্পী বেলাল খান। ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইনও।

এ দিকে দুবাইয়ের ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটির মালিক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা পুলিশের বিশেষ (এসবি) শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদ।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যান। এই মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। মামলায় রবিউলের ভাড়া করা এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে ৯ মাস জেল খেটে বের হন।

২০২০ সালে রবিউল ভারতীয় পাসপোর্ট পান। সেখানে তার নাম বদলে লেখা হয় ‘আরাভ খান’। সেখান থেকে চলে যান দুবাই। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরব আমিরাত সরকার তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়। রবিউল এখন সেখানেই আছেন।


মালাইকার অন্তঃসত্ত্বার গুজবে চটেছেন অর্জুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

উইকিপিডিয়া বলছে মালাইকার বয়স এখন ৪৯, আর অর্জুনের ৩৭। ১২ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গেই চুটিয়ে প্রেম এবং লিভ-ইনও করছেন মালাইকা। আর তা নিয়েই চর্চার শেষ নেই। তারই মাঝে গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি গসিপ ম্যাগাজিনের দৌলতে খবর রটে যায় মালাইকা নাকি ফের মা হতে চলেছেন! যদিও সে সময়ই এ ধরনের ভুল খবরের তীব্র নিন্দা করেছিলেন অর্জুন। ফের একবার মালাইকার মা হওয়ার গুঞ্জনে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।

অর্জুন কাপুর সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আসলে মানুষ ভুলে যায় সেলিব্রিটিরাও মানুষ’। তার কথায়, ‘এই ক্লিকবিট সংস্কৃতি নেতিবাচকতার থেকেও খারাপ…। এই নেতিবাচক বিষয়গুলো আজকাল মানুষের মনোযোগ টানতে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো খুবই সাময়িক। তবে এটা খুব সত্যি কথা আমরা যারা অভিনেতা, তাদের ব্যক্তিগত জীবন সব সময় ব্যক্তিগত থাকে না। আর এই পেশায় আসার সময় এটা মেনে নিয়েই আসতে হবে। এটাও সত্য়ি, আমরা দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করি। কিন্তু এটাও তো মাথায় রাখতে হবে, আমরাও মানুষ। তাই আমার অনুরোধ কোনোকিছু লেখার আগে একটু ভাবুন। অনুমানের ভিত্তিতে কিছু লিখবেন না, জেনে নিয়ে তবেই লিখুন। কারণ, এ ধরনের কিছু লিখে দিলে আমাদের জীবনেও প্রভাব পড়ে।’

গসিপ ম্যাগাজিনে মালাইকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের ওপর বিশ্বাস রাখি। কখনো কোনো বিষয়ে পিছয়ে আসিনি বা কথা বলি না এমনটাও নয়, তাহলে কেন এমন লিখবেন যা চিরকাল থেকে যাবে! আমরা সবাই কাজ করার জন্যই এসেছি, তথ্য যাচাই না করে কিছু লিখবেন না। অন্যের জীবন নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না, যাতে মূল্য চোকাতে হয়। প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না, আজ আপনি যা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন, কাল সেটাই আপনার ওপর থেকে বিশ্বাসের ভিত নড়িয়ে দেবে।’

বিষয়:

শিল্পকলায় আশিষ অভিকুন্তকের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আগামী ২ জুন থেকে আয়োজিত হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের কর্মশালা ‘নিরীক্ষার কল্পনাপ্রবণতা’। প্রখ্যাত ভারতীয়, স্বাধীন ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটি পরিচালনা করবেন।

উদ্যোক্তারা জানান, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মী ও নির্মাতার পাশাপাশি নিরীক্ষাধর্মী এই চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন থিয়েটার নির্মাতা, অভিনয়শিল্পীসহ শিল্প ও সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত যেকোনো মাধ্যমের শিল্পীরা। আগামী ২ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে চলবে এই কর্মশালা। এ ছাড়াও আশিষ অভিকুন্তকের নির্বাচিত চলচ্চিত্র নিয়ে আগামী ২ জুন থেকে ৪ জুন প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে আশিষের নির্মিত চলচ্চিত্রের রেট্রোস্পেকটিভ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, যা সর্বসাধারণ ও দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ উপলক্ষে নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক প্রদর্শনীগুলোতে উপস্থিত থাকবেন এবং ২ জুন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিট দ্য ডিরেক্টর সেশন’। নির্মাতা এই সেশনে সরাসরি দর্শকদের সামনে উপস্থিত থেকে তার চলচ্চিত্র ও নির্মাণ প্রক্রিয়া বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিবেন।

এ ছাড়া আয়োজনে আরও উপস্থিত থাকবেন আশিষ অভিকুন্তকের সহধর্মিণী ও তার একাধিক চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী দেবলীনা সেন। ৩ জুন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে চিত্রশালা মিলনায়তনে তিনি দর্শকদের সামনে উপস্থিত হবেন ‘নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয়’ শীর্ষক একটি অধিবেশনে। কর্মশালার শেষ দিন ৬ জুন বিকেল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে ‘সিনেমা প্রায়োগা’ শিরোনামের একটি মাস্টার ক্লাসে অংশ নেবেন নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক। এই অধিবেশনটিও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


বরাদ্দ বেড়েছে সংস্কৃতি খাতে

আপডেটেড ১ জুন, ২০২৩ ১৯:৪৩
বিনোদন প্রতিবেদক

বরাদ্দ বেড়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৪৩৭ কোটি এবং উন্নয়ন ২৬২ কোটি টাকা। যা গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দের তুলনায় ৬২ কোটি টাকা বেশি।

২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৬৬২ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৫৫৬ কোটি টাকা।

পরিচালন বাবদ ২০২২-২৩ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে খরচ হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের মূল বাজেটে পরিচালন বরাদ্দ ছিল ৩৯০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল ২৪৭ কোটি টাকা। আর ২০২১-২২ অর্থ পরিচালন ব্যয় ছিল ৩৪৮ কোটি টাকা এবং উন্নয় ব্যয় ছিল ২০৮ কোটি টাকা।

আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত, নাটক ইত্যাদির বিকাশে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশজ সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন শিল্প-সাহিত্যের গবেষণা, প্রদর্শন, প্রকাশনা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ চিহ্নিতকরণ, খনন, সংস্কার, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট সংরক্ষণসহ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ভাষা শহীদ দিবস এবং বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসসমূহ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উদযাপন করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মনীষী ও গুণীজনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নিয়মিত পুরস্কার/সম্বর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া, অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।’


এবার কিন্তু আমি আর ছেড়ে কথা বলব না: পরীমনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

ঢালিউডে ‘শরিফুল রাজ-সুনেরাহ’ ইস্যু নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এসব নিয়েই খারাপ সময় কাটছে পরীমনির। এসবের মধ্যেই একজনকে দিলেন কঠোর হুঁশিয়ারি। যাকে পরীমণি ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘দিদি মিড লাইফ ক্রাইসিস ঠিকঠাক ডিল না করাটাও কিন্তু বিশাল মানসিক সমস্যা। একবার ৬ তলা বাড়ির মালিক বানায়ে দিছিলেন আমাকে। বাড়িটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন আবার আমার ঘরের মধ্যে ঢুকে পরতে যাবেন না দিদি।’

কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘এবার কিন্তু আমি আর ছেড়ে কথা বলব না আপনাকে। আর কোনো করুণা হবে না আপনার মিড লাইফ ক্রাইসিস নিয়ে।’


‘একজন বিক্রয়কর্মীর মৃত্যু’

আপডেটেড ১ জুন, ২০২৩ ১৯:১৭
বিনোদন প্রতিবেদক

‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ মার্কিন নাট্যকার আর্থার মিলারের এক বিখ্যাত সৃষ্টি। উইলি লোম্যান নামের একজন বিক্রয়কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকে উপজীব্য করে রচিত এই কাহিনি আধুনিক সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন পাঠ্য, তেমনি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের রঙ্গমঞ্চে প্রদর্শিত হচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে। ঢাকার মঞ্চে নতুন করে এটি হাজির করল থিয়েটারিয়ান নামের একটি নবীন নাট্যদল। এটি তাদের প্রথম প্রযোজনা। তারই দ্বাদশ প্রদর্শনী হলো সোমবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে। সেটি উপভোগের অভিজ্ঞতা ছিল মনোমুগ্ধকর।

ফতেহ্ লোহানীর অনুবাদ এবং আশিকুর রহমান লিয়নের নির্দেশনায় নাটকটির মঞ্চসজ্জা, আলোক প্রক্ষেপণ, শব্দ নিয়ন্ত্রণ, রূপসজ্জা, পরিচ্ছদ, নাট্যরূপ ও অভিনয়—সবই আকর্ষণীয় ছিল। এমন একটা চমৎকার মঞ্চনাটকের আরও বেশি প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন। সব মিলিয়ে নাটকটি যেকোনো পাঠক বা দর্শকের জীবনবোধকে আন্দোলিত করার সামর্থ্য রাখে।

পুঁজিবাদী সমাজে সাধারণ মানুষের নিরন্তর লড়াই, আপ্রাণ প্রয়াস এবং কখনো কখনো মৃত্যুর মতো বেদনাদায়ক বাস্তবতার কাছে পরাজয় ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের মূল নির্যাস। পুঁজিবাদের বেড়াজালে যে সমাজের জন্ম, সেখানে জনগণের অস্তিত্ত্বের মাপকাঠি নিরূপণ হয় অর্থের পাল্লায়। আর এমন আত্মকেন্দ্রিক সমাজে বিত্তের কাছে ব্যক্তির সত্ত্বা প্রতিনিয়ত পরাস্ত হয়। পরিণামে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। ব্যক্তির জীবন সংগ্রাম, স্মৃতি, অনুশোচনা, পিতা-পুত্রের সম্পর্ক ও টানাপোড়েন, নারী-পুরুষের জটিল রসায়ন প্রভৃতি বিষয় উঠে এসেছে। পুঁজিবাদী সমাজকে এখানে দেখা যায় ক্ষুধার্ত রাক্ষসের রূপে। তাই বাংলাদেশের সমকালীন নাগরিক জীবন বাস্তবতায় এই নাট্যপ্রযোজনা হয়ে ওঠে খুব প্রাসঙ্গিক।

চেতনাপ্রবাহ রীতিতে লেখা ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র উইলি লোম্যানের অস্থিরতা, স্ববিরোধিতা, আশাবাদ আর নৈরাশ্যের দোলাচল, ফ্ল্যাশব্যাক, সংসার-সম্পর্ক, প্রেম—ইত্যাদি প্রকাশে বাস্তবমুখী অভিনয়পদ্ধতির মনস্তাত্ত্বিক নির্যাসের সঙ্গে যুৎসই অনুসঙ্গ হয়েছে অভিব্যক্তিবাদী প্রকাশ। পুঁজিবাদী সমাজে আমরা কেমন করে বেঁচে থাকি আর প্রতিনিয়ত মারা যাই—সেই প্রশ্ন নাটকটির পরতে পরতে উত্থাপিত হয়েছে। স্মৃতি, স্বপ্ন, দ্বন্দ্ব এবং তর্কের এক মিশ্র ছবি এই নাটক, যা উইলি লোম্যানের জীবনের শেষ দিনটির বয়ান করে।

তিনি একজন ব্যর্থ বিক্রয়কর্মী বা সেলসম্যান, যিনি ‘অ্যামেরিকান ড্রিম’ সম্পর্কে ভুল ধারনা নিয়ে জীবনটা পার করেছিলেন। তার মৃত্যু তাই পুঁজিবাদী বিশ্বে মধ্যবিত্তের মৃত্যুর খুব সাধারণ ঘটনা ছাড়া কিছু নয়। ভোগবাদী পৃথিবীতে সবাই পণ্য হিসেবে গণ্য। বড় বড় কোম্পানি তার শ্রমিকদের রক্ত-মাংস থেকে শুরু করে মন ও মনন পর্যন্ত চুষে খায়, তারপর পরিত্যক্ত ছোবড়া হিসেবে সেকেলে শ্রমিকদের ছুড়ে ফেলে নতুন শ্রমবাজার ও শ্রমশক্তির দিকে ঝোঁকে। এটিই যেন বর্তমান বিশ্ব-অর্থনীতির পুঁজি তত্ত্বের লুকোনো রহস্য। আর এই শোষণমূলক অর্থনীতির পরতে পরতে লুকেয়ে থাকে লাখো মানুষ ও তাদের পরিবারের গল্প, নানা রঙের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আর ব্যর্থতার কাহিনী। এরকমই এক স্বপ্নভঙ্গের গল্প নিয়ে তৈরি আর্থার মিলারের ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’।

উইলি লোম্যানের চরিত্রে তৌহিদ বিপ্লব ও তার স্ত্রী লিন্ডার ভূমিকায় পলি চৌধুরী অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তাদের দু-জনেই বয়সে তরুণ। কিন্তু উইলি ও লিন্ডার বার্ধক্য মঞ্চে আরও বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলতে তাদের আরও করণীয় আছে বলে মনে হয়। এই দীর্ঘ নাটকে উইলি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মঞ্চে ছিলেন কখনো বিক্রয়কর্মী, কখনো, বাবা, কখনো স্বামী, কখনো বন্ধুর ভূমিকায়। কণ্ঠের কাজে তৌহিদ কিছুটা বৈচিত্র্য আনার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারেন। বিফ লোম্যানের চরিত্রে মো. মাইনুল ইসলাম তাওহীদ বেশ প্রাণবন্ত অভিনয় করেছেন। মঞ্চে তার উপস্থিতিও ছিল বেশ দীর্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য চরিত্রে আহমেদ সুজন, রামকান্ত মণ্ডল শ্রীকান্ত, নাজমুল নাঈম, আব্দুল হাই, মাধবীলতা, রিগ্যান সোহাগ রত্ন, আব্দুর রহমান সোহাগ, সায়েদুর রহমান নয়ন, তৌহিদা সিকদার, ফজলে হাসান রাব্বী, ফারাবী জামান শেহজাদী সাবলীল অভিনয় করেছেন।

চার্লি এবং বেন নামের দুটি চরিত্রের আবির্ভাব এই নাটকের বিভিন্ন দৃশ্যকে সমৃদ্ধ ও গতিময় করেছে। চার্লির ভূমিকায় আমিরুল মামুন চমৎকার কাজ করেছেন। একাধিক দৃশ্যে তিনি হাসি-কান্নাকে এমনভাবে একাকার করে দেন, যা এক গভীর জীবনদর্শনের অসাধারণ শৈল্পিক উপস্থাপন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে।

আগ্রহী দর্শকদের জন্য তথ্য দিয়ে রাখা, মহিলা সমিতি মঞ্চে ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের পরবর্তী প্রদর্শনী হবে আগামী ১৭ জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ৭টায়।


এবার মুখ খুললেন তানজিন তিশা, নেবেন আইনি ব্যবস্থা

আপডেটেড ১ জুন, ২০২৩ ১৪:১০
বিনোদন প্রতিবেদক

গত সোমবার রাতে অভিনেতা শরিফুল ইসলাম রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির নিজেদের মধ্যকার ক্যাজ্যুয়াল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা। সেসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসার ঘটনায় নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল ও শরিফুল রাজ।

এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন, অভিনেত্রী তানজিন তিশা। যুক্তরাষ্ট্রে বসে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি এ ঘটনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি অভিনেতা রাজের কাছে কিছু প্রশ্নও রেখেছেন।

স্ট্যাটাসে তিশা লিখেছেন, ‘দুটি শো-তে অ্যাটেন্ড করার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে আমি আমেরিকাতে আছি। বাংলাদেশে যখন সকাল তখন এখানে গভীর রাত। এ জন্য বাংলাদেশের খবরা-খবর খুব বেশি জানি না আমি৷ আমাকে জড়িয়ে যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, সেটি পরে আমি দেখেছি, জানতে পেরেছি।’

দুঃখ প্রকাশ করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এটা নিয়ে আমি বলতে চাই, স্যোশাল মিডিয়াতে আমার যে ভিডিও আপ করা হয়েছে, সেটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত ভিডিও। ৬-৭ বছর আগে আমরা বন্ধুরা ফান করে ভিডিওটি করেছিলাম। যেহেতু এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও, তাই এটার এক্সপ্লানেশন (ব্যাখ্যা) দেয়ার কিছু আছে বলে মনে করি না। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব জীবন আছে, পার্সোনালিটি আছে, ব্যক্তিগত ব্যাপার আছে, যেটাকে জাজ করার অধিকার অন্য কাউকে আমি দিতেও চাই না। তাই আমার দর্শক ও অনুরাগীদের উদ্দেশে এতটুকুই বলব ৬-৭ বছর আগের সামান্য একটা ক্লিপ দিয়ে ব্যক্তি তানজিন তিশাকে জাজ করে ফেলবেন না, প্লিজ। আপনাদের ভালবাসা আর দোয়ায় আমি আজ এই পর্যন্ত এসেছি। আমার অভিনয় আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখবেন, আমি আমার অভিনয় দিয়েই আপনাদের কাছে বেঁচে থাকতে চাই সবসময়, প্রিয় হয়ে থাকতে চাই। যদিও আমি বলেছি আমার এই ঘটনা নিয়ে কাউকে এক্সপ্লানেশন দিতে চাই না, তবে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আর দর্শকদের যদি এই ঘটনা বিব্রত করে, কষ্ট দেয় আমি মন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করছি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘এই ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা, অনলাইন নিউজে, ফেসুবকে গ্রুপে, কমেন্টে বলা হচ্ছে-লেখা হচ্ছে— শরীফুল রাজের সঙ্গে তিশার ‘আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও ফাঁস।’ যথাযথ সম্মান নিয়েই আপনাদের বলছি, এই ভিডিওর মধ্যে শরীফুল রাজ কোথা থেকে এলো? কী গোপনীয়তা এখানে? তার ফেসবুক আইডি থেকে এটি প্রকাশ পেয়েছে বলেই কেন ভাবছেন সেখানে আমি তার সাথে আছি৷ ভিডিওতে আমি একা এবং সেটা কোনো আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও না, বরং সেটা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ৷ সুতরাং ‘আপত্তিকর’ বা ‘গোপন ভিডিও ফাঁস’ শব্দগুলো কারেকশন করা উচিত। এটা বিব্রতকর এবং অসম্মানজনক।”

অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিশা আরও লিখেছেন, ‘একজন মানুষের প্রাইভেসি, হ্যাম্পার করা, হ্যারেসমেন্ট করা বা পারসোনাল ভিডিও অনুমতি ছাড়া পাবলিকলি প্রকাশ করা, এটা বিগ ক্রাইম। সো যার আইডি বা যিনি এটি আপ করেছেন বাংলাদেশে ফিরে আমি তার বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে ইতোমধ্যেই অনেকই ধারণা করতে পারছেন, অনেকের মুখে মুখেও এটি শোনা যাচ্ছে কে বা কারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আমি এখানে কারোর নাম উল্লেখ করতে চাই না, আমি দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে পদক্ষেপ নেব। সেই আইনই বলে দেবে কে বা কারা এই ব্যক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে, কে বা কারা এই ভয়ংকর অপরাধে জড়িত।’

শরীফুল রাজের উদ্দেশে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘রাজের আইডি থেকে ভিডিওগুলো আপ করা হয়েছে এবং রাজ তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে দুঃখ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। শুধু দুঃখ প্রকাশেই কেন ঘটনা শেষ করতে চাইছ রাজ? এই যে তোমাকে জড়িয়ে কয়েকটা মেয়ের সম্মান নষ্ট হলো, তাদের ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল সবাই, পরিবারের সামনে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে, এত সিলি সিলি ক্যাপশন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ভিডিওগুলোকেও আপত্তিকর বানানো হলো, এই দায়ভার কী তোমার না? কারণ তুমিই তো বলেছ তোমার আইডি হ্যাক করা হয়েছে। তোমার দায়িত্বশীলতার জায়গায় তুমি কী করছ? কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছ না? কেন এর পেছনের মূল হোতাকে খুঁজে বের করছ না?’

সবশেষে তিশা বলেন, ‘যদিও দেশে এসেই আমি এই ব্যপারে ব্যবস্থা নিব, তবুও রাজ আমি তোমার কাছ থেকে এতটুকু দায়িত্বশীল মনোভাব আশা করেছিলাম সত্যি। আসলে তানজিনা তিশা তার কাজ দিয়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এবং কাজ নিয়েই এই পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে আছে দর্শকের মনে কাজ নিয়েই থেকে যেতে চায়। তাই দর্শকদের কাছে অনুরোধ, আপনাদের তানজিন তিশা কে কাজের মাধ্যমেই বাঁচিয়ে রাখুন।’


সুনেরাহসহ তিন বন্ধুর কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজ

আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৩ ১৬:৫৮
বিনোদন প্রতিবেদক

গত সোমবার রাতে অভিনেতা শরিফুল ইসলাম রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে তিন অভিনেত্রীর নিজেদের মধ্যকার ক্যাজ্যুয়াল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা। সেসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসা নিয়ে কথা বললেন শরিফুল রাজ। এ বিষয়ে একটি ব্যাখা দিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজ।

শরীফুল রাজ লিখেছেন, মানুষ প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে পরিণত হয়। জন্মের পর নিজের পায়ে চলতে শিখতেও কয়েক বছর লেগে যায়। আর ঠিকঠাক কথা বলা শিখতে লেগে যায় আরও কিছু বছর। কিন্তু এই বলা আর চলার যাত্রা কখনো শেষ হয় না। তবে এ যাত্রায় আমরা কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হই, যাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ, কাজের আলাপ কিংবা কাজহীন দিনের আলাপ, সুস্থতা ও পাগলামী সবকিছুই ভাগ করে নেওয়া যায়। যাদের সঙ্গে চলার বা কথা বলার বিশেষ কোনো শর্ত থাকে না। শর্ত থাকে কেবল একটাই, সেটার নাম বন্ধুত্ব।

বন্ধুত্বের কোন আভিধানিক ভাষা হয় না জানিয়ে তিনি লেখেন, নিশ্চয়ই আপনাদের প্রত্যেকেরই এমন অনেক বন্ধু রয়েছে- যাদের সঙ্গে আপনারা আভিধানিক শব্দে কথা বলেন না। একসঙ্গে পথ চলার সময় ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে পথ চলেন না। যাদের সঙ্গে অনেক বেফাঁস কথা বলেন। কারণ বন্ধুত্ব তো এমনই। লিঙ্গ, বর্ণ, বয়সসহ সব সীমারেখার ওপরে মানুষের বন্ধুত্ব। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কের মাঝখানে লৈঙ্গিক পরিচয়ের সীমারেখা টেনে, ব্যাপারটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়। যখন কেউ বন্ধুদের মধ্যকার দ্বিধাহীন আড্ডার আলাপ টক অব দ্য টাউনে পরিণত করে। আমিও তেমনই এক সমস্যায় পড়েছি।

সিনেমার ডাবিংয়ে ব্যস্ত আছেন রাজ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে সিনেমার ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত। আমার সিনেমার কিছু গল্পের স্ক্রিপ্ট রিডিং করার কথা, এগুলো নিয়েই আমি ঠিকমতো সময় দিতে পারছি না। যখনই সময় পাচ্ছি গল্পের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছি, তার মধ্যে হঠাৎ করে কে বা কারা এসব করে আমাকে হেনস্তার শিকার করছে, যা ভাবতেই আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমাকে নিয়ে শেষ যতদিন থেকে নানাবিধ সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে ঘটনার চাউর করছে আমি তার শুরু থেকেই নীরব ছিলাম। কিন্তু নীরবতা মানেই দুর্বলতা না।’

রাজ আরও লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড বা অ্যাকসেস এমন কারও কাছে আছে অথবা হ্যাক করে কেউ আমার দীর্ঘকালের বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গের নিতান্ত বন্ধুত্বের আড্ডার ঘটনা লিক করে দেয়। যে বা যারা এ কাজ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের হেনস্তা করা। হয়তো তারা সফলও হয়েছে। আমি আমার তিন বন্ধু ও সহকর্মীর কাছে শর্তহীন দুঃখ প্রকাশ করছি; যারা আমার খুব ভালো বন্ধু দীর্ঘদিনের। সেই বন্ধুত্বের কোনো লিঙ্গ নেই। আমার কারণে তাদের হেনস্তার শিকার হতে হলো বলে। আমার সব শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক ও সমালোচকদের কাছেও আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। বন্ধুদের আড্ডার ঘটনা নোংরা উদ্দ্যেশে স্প্রেড করে মিসলিড করা হয়েছে বলে।’

ভক্তদের উদ্দেশ্য রাজ লিখেছেন, 'বহুবার হোঁচট খেয়েই তো হাঁটতে শিখেছি! আবারও হোঁচট খেলাম। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা সঙ্গে থাকলে নিশ্চয় আরও পরিণত হবো, শিখবো অতীতের ভুল থেকে। আমাকে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় রাখবেন। কারণ আপনাদের সমর্থন ছাড়া একজন শরিফুল রাজ কিছুই নয়। জগতের সব প্রাণী সুখী হোক। সবাইকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।’


চলে গেলেন নাট্যকার ও পরিচালক মোহন খান

আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৩ ১২:০৯
বিনোদন প্রতিবেদক

লেখক ও নাট্যনির্মাতা মোহন খান আর নেই। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর আগে তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা যায়, রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেকের বেশি সময় চিকিৎসা চলে এই নাট্য নির্মাতার। ওই সময় তার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। সেটা অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয় বলে জানান তার ছেলে ইউশা মোহন। তারপর অবস্থা উন্নতির দিকেই যাচ্ছিল। এর মধ্যে মোহন খানের ঘাড়ে স্পাইনাল কর্ডের ওপরে প্রেশার পয়েন্টে আরও একটি অস্ত্রোপাচার করতে হয়। এরপরই অবস্থার অবনতি ঘটে। অসুস্থ হয়ে পড়লে শুরুতে আইসিইউ এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় তাকে।

লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যুরবরণ করেন তিনি। মোহন খানের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

দেশের নাট্য অঙ্গনে পরিচিত মুখ মোহন খান। তার বড় কারণ বিগত তিন দশক ধরে তিনি এই অঙ্গনে বিচরণ করেছেন। তার পরিচালনায় দেশের নাটকের অধিকাংশ অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ ও রচনা করেন। তার পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বিটিভিতে প্রচার হয়। তার লেখা ও পরিচালনায় নাটক ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড় খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুর লতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি নাটক বানিয়ে তিনি প্রশংসিত হন। তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার মৃত্যুর পর ফেসবুকে তারকারা তার সঙ্গে ছবি শেয়ারের পাশাপাশি নানা ধরনের স্মৃতিময় পোষ্টও করছেন।

জানা যায়, আজ মোহন খানের মরদেহ তার লালমাটিয়ার বাড়িতে নেয়া হবে। বুধবার বাদ জোহর লালমাটিয়া শাহি মসজিদে নামাজে জানাজা হবে। এরপর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।


ঘুমে নাক ডাকেন প্রিয়াঙ্কা, স্বামী বললে বিশ্বাস করেন না

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে এখন হলিউডে রাজত্ব করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আপাতত ব্যস্ত হলিউড প্রোজেক্ট ‘হেডস অব স্টেট’ নিয়ে। অন্যদিকে শিগগিরই ফারহান আখতারের ‘জি লে জারা’র সঙ্গে বলিউডে ফিরবেন তিনি। তবে এসবের মধ্যে এক মজার খবরে আলোচনায় আছেন প্রিয়াঙ্কা। অভিনেত্রী নাকি নাক ডাকেন ঘুমের মধ্যে। আর স্বামী নিক জোনাস যখন সে কথা বলেন, তখন তা বিশ্বাসই করেন না অভিনেত্রী। তা নিজেই স্বীকার করলেন।

প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গেছে প্রাইম ভিডিওতে কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। যার মধ্যে একটি হলো ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন কি না। প্রিয়াঙ্কা জবাবে বলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে বলে আমি নাকি নাক ডাকি। কিন্তু আমি তা মনে করি না একেবারেই। আমার বিশ্বাস হয় না।’

২০১৮ সালে রাজস্থানের উমেধ প্যালেসে ধুমধাম করে রাজকীয় বিয়ে সেরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ১০ বছরের ছোট প্রেমিক নিক জোনাসের সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন নায়িকা। পরিবার-আত্মীয়-বন্ধুদের উপস্থিতিতে বসেছিল প্রিয়াঙ্কার বিয়ের গ্র্যান্ড আসর। হিন্দু ও ক্যাথলিক- দুই রীতিতেই বিয়ে সারেন তারা।

প্রিয়াঙ্কার ‘হেডস অব স্টেট’-এ তার সঙ্গে দেখা যাবে জন সিনা এবং প্রধান চরিত্রে ইদ্রিস এলবাকে। ছবিটি পরিচালনা করছেন ইলিয়া নাইশুলার এবং প্রযোজনা করেছে অ্যামাজন স্টুডিও। এটি এ মাসেই ফ্লোরে গিয়েছে। একই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বলিউড ছবি ‘জি লে জারা’তে তার সঙ্গে থাকবেন আলিয়া ভাট ও ক্যাটরিনা কাইফ।


ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে যা বললেন পরী ও সুনেরাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

গত সোমবার মধ্যরাতে জনপ্রিয় অভিনেতা শরিফুল রাজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে যায়। সেই হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড হয় বেশ কিছু একান্ত ভিডিও ও ছবি। ওইসব ভিডিও-ছবিতে দেখা গেছে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষিকে। প্রতিটি ভিডিওতে তাদেরকে ‘অস্বাভাবিক’ও আপত্তিকর কথাবার্তা দেখা গেছে। যদিও ঘণ্টাখানেক পর পরই সেগুলো রাজের একাউন্ট থেকে মুছে দেওয়া হয়। তবে ভিডিও গুলো ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এসব নিয়েই সারাদিন চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে একটি স্ট্যাটাস দেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এসব ভিডিও বছর পাঁচেক আগের, যখন তারা একসঙ্গে ‘ন ডরাই’ ছবির কাজ করেছিলেন।’

সুনেরাহ বলেন, ‘রাজকে আমি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে জানি এবং সে আমার বেস্টফ্রেন্ড। আমরা সবাই জানি, কীভাবে আমরা বেস্টফ্রেন্ডদের সঙ্গে কথা বলি। আপনাদের কাছে সমস্যা হলো সে (রাজ) একজন ছেলে আর আমি মেয়ে।’

কিছু দিন আগে রাজের সঙ্গে সুনেরাহর দেখা হয়েছিল একটি ডাবিং স্টুডিওতে। সে সময় তারা সেলফি তুলে পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। ওই ছবিকে ইঙ্গিত করে রাজের স্ত্রী, চিত্রনায়িকা পরীমণিও সোশ্যাল হ্যান্ডেলে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।

পরীর নাম উল্লেখ না করেই বিষয়টি নিয়ে সুনেরাহ বললেন, ‘বিয়ের পর রাজের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। সেদিন ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল একটি ডাবিং স্টুডিওতে, আমরা একটি ছবি তুলি। আমি জানি না পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলায় কী ভুল ছিল। তার স্ত্রী ছবিটি দেখে আমার ওপর কোনো কারণ ছাড়াই রেগে গিয়েছেন।’

ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলোর ব্যাখ্যা দেন সুনেরাহ। তিনি বলেন, যে ভিডিওগুলো আপনারা দেখেছেন, সেগুলো পাঁচ বছর আগের। আমাদের বয়স কম ছিল। আমরা সেভাবেই কথা বলার চেষ্টা করছিলাম, যেভাবে ‘ন ডরাই’র জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করতাম। কারণ আমরা (বিশেষ করে আমি) সিনেমায় এসব গালি ব্যবহার করেছি। আরেকটি ফটো আমি তাকে পাঠিয়েছিলাম শুটিংয়ের প্রয়োজনে মার খেয়ে ব্যথা পেয়েছিলাম, সেটা দেখানোর জন্য (ছবিতে লিয়াকত আমাকে মারতেন, যারা ‘ন ডরাই’ দেখেছেন তারা জানেন); আঘাতের কারণে শুটিংয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই বোঝাতে। এই ছবি আমি শুধু তাকে পাঠাইনি, নির্মাতাকেও দিয়েছি।”

সবশেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সুনেরাহ। তার ভাষ্য, ‘এটাকে বড় করে দেখবেন না অনুগ্রহ করে, কারণ আইডি হ্যাক হয়েছিল এটা নিশ্চিত। আর আমরা সবাই জানি কে করেছেন। জনসমক্ষে হৈচৈ করতে যার কোনও কারণ লাগে না! যারা এগুলো ছড়িয়ে আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নেবো।’

এদিকে হ্যাক হওয়ার পর নিজের অ্যাকাউন্ট আবার উদ্ধার করেছেন শরিফুল রাজ। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই ফাঁস হওয়া ভিডিও-ছবিগুলো ডিলিট করে দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি অভিনেতা।

তবে বিষয়টি কাল মুখ খুলেছেন পরীমনি। তিনি গণমাধ্যমে রাজ আর সুনেরাহ প্রেমের কথা প্রকাশ করেন। তার দাবি ১০ দিন হলো সুনেরাহ ও রাজ একসঙ্গে আছেন। কারণ টানা ১০ দিন হলো রাজ বাসায় থাকেন না।’

সংসার ভাঙার ইঙ্গিত করে পরীমনি বলেন, ‘আমার যদি সংসার ভাঙে তাহলে ওই মেয়ে দায়ি থাকবে। তার জন্য যদি আইন থাকে আমার জন্যও আইন আছে।’

তবে ভিডিওগুলো ছড়ানোর অভিযোগ তার দিকে আসলেও সেটা পরীমনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি কেন ছড়াতে যাবো। আমার কি দরকার পড়েছে। তার সঙ্গে তো আমার কোনো শত্রুতা নেই। আর আমি রাজের আইডি থেকে কেন দিবো?

এদিকে শুধু রাজ সুনেরাহ হয়, ভিডিওতে দেখা গেছে নাজিফা তুষি ও তানজিন তিশাকেও। তবে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।


কেউ ছিটকে পড়ে গেছে, কেউ প্রফেশন হিসেবে নিয়েছে

নৃত্যশিল্পী, নৃত্যপরিচালক ও কোরিওগ্রাফার লিখন রায়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
অপূর্ণ রুবেল

নৃত্যশিল্পী, নৃত্যপরিচালক ও কোরিওগ্রাফার লিখন রায়। স্বীকৃতি পেয়েছেন নৃত্যগুরু হিসেবেও। দুই দশকেরও বেশি নৃত্য ক্যারিয়ারে গড়েছেন নাচের স্কুল ‘নৃত্যকথা’। মঞ্চে তার সঙ্গে অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদের জুটি ছিল বেশ জনপ্রিয়। মাঝখানে বেশ কিছুদিন ছিলেন আড়ালে। সেই নীরবতা ভেঙে আবারও নৃত্যাঙ্গনে সরব হয়েছেন তিনি। দৈনিক বাংলার কথা হলো নৃত্যশিল্পী লিখন রায়ের সঙ্গে।

বাংলাদেশে নৃত্যাঙ্গনে এই সময়ে আপনার দৃষ্টিতে কী অবস্থা চলছে?
বাংলাদেশে নাচ এখন অনেক এগিয়েছে। আমাদের সময় যেমন ছিল, এখন সেই জায়গাটা অনেক অগ্রসর হয়েছে। আমার গুরু শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নিপা। তারা যখন নাচ নিয়ে করছেন তারও অনেক পর আমরা শুরু করি। তখন একটা সংকট ছিল প্রেস মিডিয়া বা অন্য জায়গায়, এটা খুব কাভারেজ পেত না। শিবলী ও নিপা আপাকে দেখেই তো আমাদের নৃত্য জগতে আসা। তারপর হাঁটি হাঁটি পা পা করে এতদূর এলাম। কেউ ছিটকে পড়ে গেছে, কেউ প্রফেশন হিসেবে নিয়েছে। তবে এখনো নাচকে প্রফেশন হিসেবে নেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। তবে কাজ হচ্ছে। কাজের জোয়ার বইছে।

আপনি নাচ থেকে বেশ কিছুদিনের বিরতি নিয়েছিলেন। এটির কারণ কী?
বিরতি নেয়ার কারণ আমি নিজেই। আমি অনেক আবেগী এবং অভিমানী একটা ছেলে। তাই এই বিরতির জন্য নিজেকেই দায়ী করি। আমারই কিছু নিজের মানুষ, কাছের মানুষ আমার ক্ষতি করতে চেয়েছিল, আমি সেটা বুঝে, অনুভব করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। মনে হয়েছিল, কাদের জন্য আমি কাজ করব? কাদের ভালোবাসব? যাদের আমি বুকে নিই তারাই আমার ক্ষতি করে। সেটা যখন বুঝলাম, গ্যাপ নিলাম। নিজেকে তৈরি করলাম। তৈরি করে আবার কাজে নামলাম।

আবার যে শুরু করলেন কীভাবে?
আমি আসলে করোনার আগ থেকে এ বছরের রমজান পর্যন্ত বিরতি নিয়েছিলাম। তবে নতুন করে শুরুর আগে খেয়াল করলাম, আমার অনেক ছাত্র দেশ-বিদেশে আছে। যারা আমার শেখানো কাজগুলো দিয়ে অনেক ভালো জায়গায় পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে আমার একটা ছেলে আছে, যে ছেলেটার কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি আবার আগের পর্যায়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। ছেলেটার নাম রাজু শেখ। সে আমাকে নতুন করে শুরু করতে উদ্বুদ্ধ করত। সব সময় বলত, স্যার যেকোনো মূল্যে আপনাকে দাঁড়াতেই হবে।

একসময় নাচের জগতে নাদিয়া-লিখন জুটি খুব পরিচিত ছিল। এই জুটি কি আবার দেখা যাবে?
আমার তরফ থেকে দেখা যাওয়ার পূর্ণ সম্মতি ও ইচ্ছা আছে। নাদিয়ার তরফ থেকে দেখা যাবে কি না তা আমি বলতে পারছি না। কারণ আমি কোনোদিন ভাবতেও পারিনি আমি-নাদিয়া আলাদা কেউ হব। আমার কাছে নাদিয়া যেমন ছিল, সে রকমই আছে। দেখা হয়তো যাবে। আমার দরজা ওর জন্য সব সময় খোলা।

নাচের প্রতি আপনার আগ্রহটা কীভাবে তৈরি হলো?
যখন আমি একদম ছোট আমার মা মারা যায়। দিদির কাছে বড় হয়েছি। চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমি শিবলী আর নিপার নাচ দেখতাম। তখন বায়না ধরতাম নাচ করার। দিদি তখন আমাকে নাচের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। পাশাপাশি পড়াশোনা চলতে থাকে। ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভারত সরকারের ‍বৃত্তি পেয়ে সেখানে নাচ নিয়ে পড়তে যাই। সেখান থেকেই নাচের ওপর ডিগ্রি নিয়ে আসি। আসার পর তো কাজ শুরু করলাম। তখন থেকেই সবাই চিনতে শুরু করল।

আপনি এখন কাউকে নাচের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন কি না?
না কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না। আমি যদি মার্কিংয়ে ১৫ হই, তাহলে বাকিরা সবাই ২০। আমার থেকে সবাই ভালো নাচে। প্রত্যেকটা ছেলেই দুর্দান্ত নাচে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করার কিছু নেই।

এখন কী ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগোচ্ছেন?
সারা জীবন তো রেডিমেড নাচ নেচে আসছি আমরা। কোথাও কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে যা কন্ট্রাক্ট হয়, সেটা করে দিয়ে সম্মানীটা নিয়ে চলে আসি। কিন্তু আমরা কখনো নির্মাতা হব বা কখনো প্রোডাকশন তৈরি করব, সেটা ভাবিনি। কেউ কখনো ভাবেনি। গত ঈদে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে ‘রংধনু’ নামে একটা নাচের প্রোগ্রাম করলাম। যেটার প্রযোজনায় ছিল নৃত্যকথা। এবারও সেই পরিকল্পনায় এগোব। নাচ নিয়ে টেলিভিশনে বেশ কিছু অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি নৃত্যকথা তো আছে। এ ছাড়া নাচের কিছু প্রোডাকশন করব আমরা।


সন্তান বড় হয়ে দোষারোপ করবেই

টুইঙ্কেল খান্না
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মনের কথা প্রকাশ্যে জাহির করতে কোনো দিনই কুণ্ঠাবোধ করেন না টুইঙ্কেল খান্না। অভিনয় কেরিয়ারকে দুই দশক আগেই চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন শাহরুখ-আমিরদের এই সহ-অভিনেত্রী। অক্ষয় কুমারের সহধর্মিণী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন সফল লেখিকা। মেয়ে নিতারার সঙ্গে ছুটি কাটানোর ছবি পোস্ট করে মাতৃত্ব নিয়ে অকপটে নানা কথা স্বীকার করে নিলেন টুইঙ্কেল। সাবেক অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গেল, ছেলেমেয়েদের জন্য সবটা উজাড় করে দিলেও দিনের শেষে তারা মা-কে দোষারোপ করতে ছাড়ে না।

আপাতত গোল্ডস স্মিথ ইউনিভার্স অব লন্ডন থেকে ফিকশন রাইটিংয়ে মাস্টার ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা করছেন টুইঙ্কেল। ভিডিওর শুরুতেই বললেন, ‘মাতৃত্বের আনন্দ’-এর কথা। ট্রেন স্টেশনে দেখা মিলল অক্ষয় পত্নীর। এরপর ধীরে ধীরে মা-মেয়ের একান্ত দিনযাপনের টুকরো ঝলক উঠে এল। এরপর টুইঙ্কেল লিখলেন, ‘ক্লান্তিকর ট্রিপে সন্তানদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসা, যদিও মনে মনে একটা সলো-ট্রিপের ইচ্ছে পুষে রাখা, উন্মাদের মতো তাদের পিছু ধাওয়া করা যদি তারা অন্য প্ল্যাটফর্মে দৌড়ে যায়, যেন তুমি দিগ্বিদিকশূন্য ম্যারাথন রানার।’

এরপর টুইঙ্কেল আরও লেখেন, সন্তানদের মনের কথা নিমেষে বুঝতে পারার মধ্যেও একটা প্রশান্তি আসবে। পৃথিবীর বিস্ময়কর জিনিসগুলো তাদের সামনে মেলে ধরার মধ্যে একটা ভালো লাগা থাকবে। দুই সন্তানের মা-এর উপলব্ধি, ‘আপনি চেষ্টা করবেন বিরক্ত না হতে, যেহেতু আপনি হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় তাদের বাথরুম ব্যবহার করতে বলেছিলেন। এখন খোলা মাঠে তারা বলবে আপনাকে টয়লেট খুঁজে দিতে কিন্তু সন্তানদের খুশির কথাটা নিজের আগে ভাববে মায়েরা।’

এই ভিডিও শেয়ার করে টুইঙ্কেল দীর্ঘ বিবরণীতে লেখেন, ‘আপনি যা খুশি করে নিন, যখন সন্তানরা বড় হয়ে যাবে তখন আপনাকে দোষারোপ করবেই। আমরা শুধু আশা করতে পারি যে ওরা উপলব্ধি করবে, খুব কম মা-ই ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ হয়। হোম অ্যালোনে যে মা ছিল- যে ছুটিতে যাওয়ার আগে নিজের সন্তানকে বাড়িতে ভুলে চলে যায়, একবার নয়, ছবির সিকুয়েলেও। সে কিন্তু শয়তান নয়, একটু বেশি উত্তেজিত। মায়েরা হয়তো পারফেক্ট (নিঁখুত) হয় না, কিন্তু আমরা সবাই চেষ্টা করি নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে, আমাদের খুব খারাপ দিনেও।’

টুইঙ্কলের এই পোস্টে প্রশংসার বন্যা। মায়েরা একেবারে সহমত, মিসেস ফানিবোনসের এই ভাবনার সঙ্গে। ১৯৯৫ সালে ‘বরসাত’ ছবির সঙ্গে অভিনয় সফর শুরু করেছিলেন রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কাপাডিয়ার বড় মেয়ে টুইঙ্কেল । পরবর্তী সময়ে ‘বাদশা’, ‘জোরু কা গুলাম’, ‘ইন্টারন্যাশন্যাল খিলাড়ি’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন টুইঙ্কেল । ২০০১ সালে অভিনয় কেরিয়ারে ইতি টানেন অভিনেত্রী। ওই বছর অক্ষয় কুমারের সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন তিনি। দুই সন্তান আরভ-নিতারাকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ এই তারকা দম্পতির।


অভিনয় ছাড়াও যেভাবে বেঁচে আছেন ফরীদি

আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৩ ১৪:০০
অপূর্ণ রুবেল

অভিনয়ের কিংবদন্তি বলা হয় তাকে। অনেক জুনিয়র অভিনেতার কাছে তিনি গুরু। প্রয়াত এই অভিনেতার নাম হুমায়ূন ফরীদি। সব ধরনের চরিত্রে স্বাচ্ছন্দ্যে মানিয়ে নেয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন গুণী এই অভিনেতা। ছিলেন আবৃত্তিকারও। ভাষা আন্দোলনের বছরে ২৯ মে গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন ফরীদি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় অভিনয়ের দিকে ঝুঁকে যান। আশির দশকের দিকে তার চলচ্চিত্রে আগমন। তবে তার আগে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের আসন পাকাপোক্ত করেন এই জাঁদরেল অভিনেতা। অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও চলচ্চিত্রে। পর্দায় তার উপস্থিতি মানে দর্শকদের বুঁদ হয়ে থাকার ক্ষণ শুরু। অভিনয়ের কারণেই তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কার। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে মরণোত্তর একুশে পদক পান তিনি।

তবে অভিনয়ের বাইরেও প্রতিবছর তার জন্মদিন ও মৃত্যুদিনে তাকে স্মরণ করেন সহকর্মী ও ভক্তরা। নানা স্মৃতিকথার বাইরেও হুমায়ূন ফরীদির নানা উক্তির মাধ্যমে তৈরি মিম ও কার্ডে সয়লাব হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় হুমায়ূন ফরীদির বলা, ‘উঠে দাঁড়াতে একটা হাত লাগে, আর ঘুরে দাঁড়াতে আঘাত’।

এ ছাড়া বেশ কিছু উক্তি ঘুরে বেড়ায় ফেসবুকে। চলুন কয়েকটিতে চোখ বুলিয়ে নিই:

প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ফরীদি বলেছেন, ‘কেন প্রেমে পড়লাম, কেন ভালোবাসলাম, এর কারণ যদি তুমি খুঁজতে যাও, দেখবে তুমি কিছুই খুঁজে পাচ্ছো না। অন্ধকার ঘরে তুমি কালো বিড়ালকে খুঁজছো, কিন্তু বিড়ালটি সেই ঘরে নেই, ভালোবাসাটি এমন।’

‘কাউকে ভালোবাসার অনেক পথ আছে, কিন্তু তাকে ভোলার কোনো পথ নেই!’

‘তুমি যখন কাউকে ভালোবাসবে তখন একবুক সমুদ্র নিয়ে ভালোবাসবে। একবুক সমুদ্র না হলে সেই প্রেমের কোনো অর্থ থাকে না।’

নিজের জীবন নিয়ে বলেছেন, ‘আমি যাকে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছি, সে আমাকে ফেলে গেছে। আমাদের জীবনেও প্রায়ই এমনটা হয়। যাদের আমরা একান্তই খুব কাছের মানুষের মতো প্রাধান্য দিই, নিয়তির দোষে তাদের সঙ্গেই আমাদের বেশি ছাড়াছাড়ি হয়।’

মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মৃত্যুর মতো এত স্নিগ্ধ, এত গভীর, সুন্দর আর কিছু নেই, কারণ মৃত্যু অনিবার্য। তুমি যখন জন্মেছ তখন তোমাকে মরতেই হবে। মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় থাকলে কেউ পাপ করবে না। যেটা অনিবার্য তাকে ভালোবাসাটাই শ্রেয়। মৃত্যুকে ভয় পাওয়াটা মূর্খতা। জ্ঞানীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো, গ্রহণ করো, বরণ করে নাও।’

‘জীবন মানে ক্রমাগত, মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া।’

ফরীদির এসব উক্তি শুধু মিম আকারে সামাজিক মাধ্যমে আছে তা নয়, এসব নিয়ে লেখা হয়েছে নানা ব্লগও। গুগল করলে সহজেই মেলে এসব। তবে এসব সূত্র খুঁজতে গিয়ে পাওয়া যায় বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ফরীদির দেয়া সাক্ষাৎকার। বিশেষ করে ২০১০ বা ১১ সালের দিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের ‘আমার আমি’ অনুষ্ঠান ফরীদির বলা কথাগুলোর ভিডিও লিংক শেয়ার করেন অনেকে।

অনেকের ধারণা, অভিনয়ের বাইরে এই কথামালাতেও প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে হুমায়ূন ফরীদিকে। কারণ, ফরীদির বলা ভালোবাসা, বিরহ এবং দিন যাপনের সঙ্গে যুক্ত এসব কথা সহজেই মিলে যায় যে কারও জীবনের সঙ্গে।


banner close