বুধবার, ১ মে ২০২৪

আরাভ খানের আমন্ত্রণে সাকিবসহ আরও যারা দুবাই গেলেন

আপডেটেড
১৭ মার্চ, ২০২৩ ২০:৪৭
বিনোদন প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৭ মার্চ, ২০২৩ ২০:৪৫

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানের দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের বিষয়টি এখন দেশের অন্যতম আলোচনার বিষয়। স্থানীয় সময় গত বুধবার রাত ৮টায় জমকালো আয়োজনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধন করেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি ছাড়াও বিনোদন জগতের একঝাঁক তারকা দুবাইয়ে সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

এরমধ্যে আছেন চিত্রনায়িকা দীঘি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে ছিলেন না বলে দাবি করেছেন দীঘি। আরাভের ফেসবুক ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস, হিরো আলম, গায়ক নোবেল, রুবেল খন্দকার, বেলাল খান ও জাহেদ পারভেজ পাভেলসহ বিনোদন জগতের অনেকেই সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী আয়োজনটি উপস্থাপনা করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। মঞ্চে এসে আরাভ খানকে প্রশংসায় ভাসান তিনি। তবে সাকিব আল হাসান মঞ্চে ওঠেননি।

আলোচিত গায়ক নোবেলের সঙ্গে ছবি দিয়েছেন আরাভ খান। তিনিও দুবাই গেছেন স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে।

তবে শুধু সেখানে উপস্থিত হয়েই তারকারা কাজ শেষ করেছেন এমন নয়। তাদের দেখা গেছে নানা ধরনের ভিডিও পোস্ট করতে। একইসঙ্গে যারা যেতে পারেননি তারাও ভিডিও দিয়েছেন। এরমধ্যে আছেন ইংলিশ ক্রিকেটার বেনি হাওয়েল, শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের পেসার উসুরু উদানা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের বাঁহাতি আগ্রাসী ওপেনার এভিন লুইস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রোহান মোস্তফা, আফগানিস্তানের ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই, পাকিস্তানের ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমিরসহ আরও অনেকে।

আরাভ খানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন শিল্পী বেলাল খান। ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইনও।

এ দিকে দুবাইয়ের ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটির মালিক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা পুলিশের বিশেষ (এসবি) শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদ।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যান। এই মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। মামলায় রবিউলের ভাড়া করা এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে ৯ মাস জেল খেটে বের হন।

২০২০ সালে রবিউল ভারতীয় পাসপোর্ট পান। সেখানে তার নাম বদলে লেখা হয় ‘আরাভ খান’। সেখান থেকে চলে যান দুবাই। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরব আমিরাত সরকার তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়। রবিউল এখন সেখানেই আছেন।


লাক্সের অ্যাম্বাসাডর হচ্ছেন সুহানা খান

আপডেটেড ১ মে, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান। বাবার পথে নিজের পথ সুগম করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে একটি শর্টফিল্ম এবং একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তার। বতর্মানে বাবার সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় শুরু করেছেন সুহানা। গত বছর জোয়া আখতারের ‘দ্য আর্চিস’ সিনেমার মাধ্যমে শাহরুখ ও গৌরী দম্পতির কন্যা সুহানা খানের অভিষেক হয়। গত বছরই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি নামি প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও নির্বাচিত হন সুহানা। এবার লাক্সের পরবর্তী ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খানকে লাক্সের পরবর্তী অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এর আগে শাহরুখ খান নিজেও এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিকবার কাজ করেছেন। বহুবছর ধরে লাক্স বলিউড ডিভাদের নতুন পরিচয় দিয়েছে। সেই লাক্সের এবার নতুন মুখ হলেন সুহানা। জানা গেছে, সোমবার থেকে লাক্সের নতুন বিজ্ঞাপনের শুট শুরু করছেন শাহরুখকন্যা।

এর আগে শাহরুখকেও দেখা গিয়েছিল লাক্সের বিজ্ঞাপনে। ২০০৫ সালে লাক্সের সঙ্গে পথচলা শুরু করেন শাহরুখ খান। লাক্সের একটি বিজ্ঞাপনে গোলাপের পাপড়ি ভরা বাথটাবে শাহরুখকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। আর তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে হেমা মালিনি, কারিনা কাপুর খান, শ্রীদেবী, জুহি চাওলা। বাবার পথ অনুসরণ করে একই পথে হাঁটতে যাচ্ছেন সুহানা।

মুম্বাইয়ের ধীরুভাই আম্বানি ইনস্টিটিউশন থেকে পড়াশোনা শেষ করে ব্রিটেনের আরডিংলে কলেজে পড়াশোনা করেন সুহানা। তারপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। সেখানকার নিউ ইয়র্ক ইডিনিভার্সিটি থেকে ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি।

সামনে সুহানাকে দেখা যাবে সুজয় ঘোষের পরিচালনায় একটি চলচ্চিত্রে। ‘কিং’ নামের সিনেমাটিতে তার বাবা শাহরুখ খানও থাকছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়। জানা যাচ্ছে, সুজয় ঘোষের এই স্পাই থ্রিলারে সুহানার চরিত্রকে আরও বলিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যে শাহরুখের জন্য বিশেষভাবে একটি চরিত্র ডিজাইন করা হয়েছে। কিং খানকে ‘হ্যান্ডলার’-এর চরিত্রে দেখা যেতে পারে। যিনি রহস্য সমাধানে সুহানাকে চালিত করবেন। এটি ঘিরে ইতোমধ্যেই দর্শক আগ্রহ তুঙ্গে।


সাময়িক বিরতিতে তাপসী পান্নু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দক্ষিণী অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। তবে নিজেকে দক্ষিণী অভিনেত্রী ভাবতে আপত্তি এই নায়িকার। নিজেকে কেবল ভারতীয় তারকা বলতেই বেশি পছন্দ তার। ২০২৩ সালের শেষের দিকে শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘ডাঙ্কি’ সিনেমায় অভিনয় করে নতুন করে আলোচনায় আসেন। কিছুদিন আগে বিয়ে করে নতুন জীবনে প্রবেশ করে আরেক অধ্যায় সূচনা করেন। বলা চলে, পেশাগত ও ব্যক্তিগত দুই জীবনেই ফুরফুরে মেজাজে আছেন তাপসী পান্নু।

অভিনয় জীবনের এক যুগ পেরিয়ে এখনো নিজের বৈশিষ্ট্য ও সাফল্য ধরে রেখেছেন তাপসী। এর পুরো কৃতিত্ব নিজের মেধা ও প্রচেষ্টাকেই দিতে চান অভিনেত্রী। তার ভাষ্য, ‘আমি এখন এমন এক অবস্থানে আছি, মনে হচ্ছে কিছু কাজ তো করেছি। আমি সত্যিই অনেক পরিশ্রম করেছি এবং নিজের যোগ্যতায় সব করেছি। সুতরাং আমার সাফল্য কোনো দুর্ঘটনা বা ভাগ্যের জোরে পাওয়া না। প্রতিনিয়ত চেষ্টার মধ্যে থেকেছি। তাই এই অবস্থানটা আমার জন্য বেশ আনন্দের ও সন্তুষ্টির।’

বর্তমানে কাজ থেকে কিছুটা বিশ্রামে আছেন তাপসী। বললেন, ‘আমার এখন বিরতি দরকার। সময়টা উপভোগ করা, বিশ্রাম নেওয়া দরকার। এরপর এমন কিছু দিয়ে কাজে ফেরা উচিত, যেটা পুনরায় আমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।’

নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তাপসীর পর্যালোচনা এ রকম, “এখন বিশ্ব যখন অ্যাকশন, স্পাই ঘরানার ছবিতে মেতে আছে, আমি এগুলো ক্যারিয়ারের শুরুতেই করেছি ‘বেবি’ (২০১৫) ও ‘নাম শাবানা’ (২০১৭) ছবিতে। আবার ২০১৯ সালেই ‘বদলা’ ছবিতে খল চরিত্রে কাজ করেছি। নিজের চেহারা আমূল পরিবর্তন করে ‘সান্ড কি আঁখ’ (২০১৯) ছবিতে অভিনয় করেছি। স্পোর্টস-ড্রামা জনরার ছবিতেও আমাকে দেখা গেছে। হত্যা রহস্য, টাইম ট্রাভেল, থ্রিলার, ভৌতিক, বায়োপিক কত রকম ছবি করেছি। এত ধরনের ছবিতে কাজ করা নিঃসন্দেহে কঠিন ব্যাপার।”

তাপসী পান্নুকে আগামীতে দেখা যাবে জয়াপ্রদ দেসাই নির্মিত ‘ফির আয়ি হাসিন দিলরুবা’ সিনেমায়। এটি ২০২১ সালের ‘হাসিন দিলরুবা’ ছবির দ্বিতীয় কিস্তি। এতে তাপসীর সঙ্গে আছেন বিক্রান্ত ম্যাসি ও সানি কৌশল। ছবিটি মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে।

বিষয়:

বলিউডে ফিরছেন ইমরান খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মিস্টার পারফেকশনিস্ট বলে পরিচিতি পাওয়া বলিউড সুপারস্টার আমির খানের ভাগ্নে ইমরান খান। ‘জানে তু ইয়া জানে না’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা ইমরা পরবর্তী সময়ে ক্যারিয়ারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমাই হিট দেওয়ার পর কেমন যেন দিশা হারিয়ে ফেলেছিলেন এই অভিনেতা। সাফল্যের পাল্লা কমতে কমতে এক সময় বলিউড থেকেই হারিয়ে যান তিনি। যদিও সম্পর্কে তিনি বলিউডের মহারথী আমির খানের ভাগ্নে। মামার নামের প্রতাপও কাজে লাগেনি তার।

তবে গত বছর অভিনেতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, বলিউডে ফিরছেন তিনি। ইমরানের এই ঘোষণা তার ভক্তদের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল। এবার নতুন খবর এই যে, মামা আমির খানের ব্যানারেই ফিরছেন ইমরান। আর সিনেমাটির শুটিং ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

সূত্রের খবর অনুসারে, গত বছর সিনেমায় ফেরার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেওয়ার আট মাস পর অবশেষে কামব্যাক প্রজেক্ট শুরু করে দিয়েছেন ইমরান। তিনি আমির খান প্রডাকশনস প্রযোজিত একটি কমেডি ঘরানার সিনেমায় ‘হ্যাপি প্যাটেল’ নামক চরিত্রে অভিনয় করবেন। ইতোমধ্যে গোয়ায় শুটিং শুরু হয়ে গেছে সিনেমাটির।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হ্যাপি প্যাটেল দিয়ে পরিচালনায় অভিষেক হতে যাচ্ছে ভারতের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা বীর দাসের। আমির খানের প্রযোজনায় ‘দিল্লি বেলি’ চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ইমরান ও বীর দাস। এবার বীর দাসের পরিচালনায় অভিনয় করছেন ইমরান।

শুরুতে শোনা যায়, ডিজনি প্লাস হটস্টারের একটি স্পাই সিরিজ দিয়ে ইমরানের প্রত্যাবর্তন হওয়ার কথা। যেখানে তিনি একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করবেন।

চলচ্চিত্র নির্মাতা আব্বাস টায়ারওয়ালা সিরিজটি তৈরি করার কথা ছিল। তবে গত বছর হটস্টার জিও অধিগ্রহণ করার পরে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। তাই অবশেষে মামার প্রযোজনাতেই ফিরছেন ইমরান।

১৯৮৮ সালের রোমান্টিক সিনেমা ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ এবং ১৯৯২ সালে ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’ চলচ্চিত্রে আমিরের সঙ্গে কাজ করেন খুদে ইমরান। এরপর ২০০৮ সালে জেনেলিয়া ডি’সুজার সঙ্গে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ দিয়ে প্রধান অভিনেতা হিসেবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন ইমরান। অভিনেতাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালের ‘কাট্টি বাট্টি’-তে, যেটিতে তার সঙ্গে ছিলেন কঙ্গনা রানৌত।

বিষয়:

নতুন ৪ সিনেমা নিয়ে আসছেন মিথিলা

আপডেটেড ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৬
বিনোদন প্রতিবেদক

গুণী চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম ৪০০ বছরের পুরোনো গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন ‘কাজল রেখা’ সিনেমাটি। আর এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুই বাংলার এই সময়ের ব্যস্ত অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। ‘কাজল রেখা’য় তিনি কঙ্কণ দাসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ঈদে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমার প্রতি দর্শকের রয়েছে একটা আলাদা ভালো লাগা। কারণ ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় বাংলার ঐতিহ্য খুঁজে পাচ্ছেন দর্শক। আর প্রত্যেক চরিত্রে শিল্পীদের অনবদ্য অভিনয়ও দর্শকের মনে ভালো লাগার সৃষ্টি করছে। যে কারণে দর্শকের মধ্যে সময় যত যাচ্ছে ‘কাজল রেখা’ সিনেমার প্রতি ভালোলাগা বাড়ছে ততই। দর্শকও বাড়ছে দিন দিন ‘কাজল রেখা’র।

সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স ‘কাজল রেখা’র একটি বিশেষ প্রদর্শনী হয়। সেখানে সিনেমাটি উপভোগ করতে গিয়েছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফা। সুবর্ণা মোস্তফা সিনেমাটি দেখে তার ফেসবুকে ‘কাজল রেখা’ নিয়ে তার ভালো লাগার কথা লিখেছিলেন। সেখানে তিনি মিথিলাকে নিয়ে লিখেছিলেন ‘মিথিলা এক দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীতে পরিণত হয়েছে।’ সুবর্ণা মোস্তফার এমন প্রশংসায় মিথিলাও তার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এদিকে অফিসিয়াল কাজে বেশকিছুদিন কানাডায় থাকার পর গত ২৬ এপ্রিল রাতে ঢাকায় এসেছেন মিথিলা। এসে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অফিসের কাজেই। আজ মিথিলার মেয়ে আয়রার জন্মদিন। তাই মেয়েকে ঘিরেও তার পরিকল্পনা আছে। এদিকে মিথিলা জানান, দুই বাংলায় তার অভিনীত চারটি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। বাংলাদেশে যে দুটি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায় সে দুটি হলো অরুণ চৌধুরীর ‘জলে জলে তারা’ ও লুবনা শারমিনের ‘নূলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’। অন্যদিকে ওপার বাংলায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অর্ণব মিদ্দার ‘মেঘলা’ ও দুলাল দের ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ।

‘কাজল রেখা’র জন্য সাড়া পাওয়া এবং মুক্তি প্রতিক্ষীত চারটি সিনেমা প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘কাজল রেখা’ মুক্তির পর এখন পর্যন্ত যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, এতটা আমি সত্যিই আশা করিনি। কারণ আমার পর্দায় উপস্থিতি ছিল কম এবং চরিত্রটিও ছিল নেগেটিভ। যেহেতু প্রথমবার নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করা, তাই একটু চিন্তাতেও ছিলাম। কিন্তু সব মিলিয়ে যা হলো, যেভাবে সবার ভালোবাসা পাচ্ছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ আমি। আর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চারটি সিনেমা নিয়েই আমি আশাবাদী। বিশেষত মেঘলায় আমাকে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে। বাকিগুলোরও গল্প এবং নির্মাণ এককথায় দুর্দান্ত।’


নয়া অবতারে রণবীর কাপুর

রণবীর কাপুর। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই রূপ পালটে ফেললেন অ্যানিমালখ্যাত তারকা রণবীর কাপুর। এই তো কয়েক দিন আগেই রামচন্দ্রর বেশে দেখা গিয়েছিল তাকে। ‘রামায়ণ’-এর সেট থেকে ফাঁস হয়েছে ছবি। তাতে আবার সীতা হিসেবে দক্ষিণী অভিনেত্রী সাই পল্লবীকেও দেখা গেছে। সেই ছবি ভাইরাল হতে না হতেই ভোলবদল রণবীরের। বিমানবন্দরে একেবারে ভিন্ন অবতারে ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন অভিনেতা।

কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল। কপালে রাজতিলক। খালি গায়ে মেরুন-সোনালি পারের উত্তরীয়। আর তার সঙ্গে মানানসই ধুতি। ‘রামায়ণ’-এর সেটে এভাবে রামচন্দ্র হয়ে উঠেছিলেন রণবীর। তার পাশে সীতা হিসেবে সাই পল্লবীর মুখে ছিল স্মিত হাসি। সেই ছবি এখনো নেটপাড়ায় রাজত্ব করছে। রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায়। এর মধ্যেই আবার রণবীরের নয়া লুক ভাইরাল।

এদিন কালো পোশাক পরে বিমানবন্দরের সামনে গাড়ি থেকে নামে রণবীর। দেখা যায় অভিনেতার মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা। দুইকানের পাশ দিয়ে চুল প্রায় নেই বললেই চলে। নতুন এই লুকে তারকার দিক থেকে চোখ ফেরানোই দায়, এমনই মত অনুরাগীদের। অনেকে আবার এর জন্য ‘অ্যানিমাল’ কানেকশন খুঁজে পাচ্ছেন। ঠিক যেন আব্রারের ভাই আজিজের লুকে দেখা যাচ্ছে রণবীরকে। তাহলে ‘অ্যানিমাল পার্ক’-এর প্রস্তুতি শুরু? এমন প্রশ্ন উঠছে।

যদিও সূত্রের খবর মানলে, রণবীরের আগামী ডেটগুলো নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ ছবির জন্যই দেওয়া। রামের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য নাকি অনেক দিন ধরেই মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন রণবীর। তার মধ্যেই চলছে কড়া শরীরচর্চা। যাতে এই চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন তার জন্য তিরন্দাজিও শিখেছেন রণবীর।

প্রসঙ্গত, ছবির পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি ছবির স্বার্থে খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয়ের ওপর নজর রাখছেন। রামের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিরামিষ ডায়েট আর নিয়মিত কঠোর শরীরচর্চা করতে হচ্ছে রণবীরকে। ছবিতে রাজা দশরথের চরিত্রে অভিনয় করবেন অরুণ গোভিল এবং কৈকেয়ীর ভূমিকায় থাকবেন লারা দত্ত। অন্যদিকে ১৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা যশ। ছবিতে রাবনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাকে। উল্লেখ্য, অভিনয় না করলেও নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’-এর সহ-প্রযোজক তিনি।

বিষয়:

চলতি বছরেই বিয়ে শাকিব খানের!

শাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৩৬
বিনোদন প্রতিবেদক

ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খান এর আগে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন। দুজনের সঙ্গেই বিচ্ছেদ হয়ে গেছে শাকিবের। শাকিবের কাছে অপু-বুবলী দুজনই অতীত। নতুন খবর হচ্ছে এবার আর কোনো নায়িকা নয়, এমনকি নিজের ইচ্ছাতেও নয়, পরিবারের ইচ্ছাতে বিয়ে করবেন ঢালিউড কিং খ্যাত এই তারকা। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষদিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব এখন পরিবারের ওপর। তারাই খুঁজে বের করছেন নায়কের জন্য পাত্রী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, শাকিবের জীবনে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী সাবেক হওয়া সত্ত্বেও প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এ কারণে শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে। সেই মোতাবেক তার জন্য পাত্রী দেখা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, শাকিব পরিবারের ইচ্ছাতেই এবার বিয়ে করতে চান। কারণ, আগে দুইবার নিজ পছন্দে বিয়ে করে জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। সে ভুলটি আর করতে চান না এই চিত্রনায়ক।

সম্প্রতি জানা গেছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ। বছর কয়েক আগে, গণমাধ্যমের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেছিলেন, বউ হিসেবে ডাক্তার মেয়ে তার পছন্দ।

আরও পড়ুন: আবারও নাম ভূমিকায় জয়া আহসান

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সীগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

শাকিবের পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতি ঈদে সিনেমা মুক্তির আগে শাকিবকে টেনে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেন বুবলী। নিজের সিনেমায় যাতে প্রভাব না পড়ে, এ কারণে শাকিব কিছু বলেন না। তবে গত ঈদে বুবলী যা যা বলেছেন, এতে শাকিব রাগ করেছেন। কলকাতায় গিয়েও বুবলী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শাকিব তার সিনেমার কাজে খুশি, যা পুরোপুরি মিথ্যাচার।

বুবলীর সম্প্রতি মিথ্যাচারের বিরক্ত হয়ে তাকে কড়াকড়িভাবে বাসায় আসতেও বারণ করেছেন শাকিব ও তার পরিবার। এ-ও বলে দেওয়া হয়েছে, সন্তান শেহজাদ এলে যেন বুবলীর সঙ্গে নয়, পরিবারের অন্যদের সঙ্গে আসে।

বিষয়:

‘লাক্স’-এর শতবছর পূর্তি অনুষ্ঠানে মিম

আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:১১
বিনোদন প্রতিবেদক

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমের যাত্রা শুরু হয় লাক্সের মাধ্যমেই। ২০০৭ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার খেতাব জয় করেই তিনি হ‍ুমায়ুন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শককে মুগ্ধ করেন। এরপর বহু নাটকেও তিনি অভিনয় করেছেন। বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করে খ্যাতি লাভ করেছেন এই নন্দিত তারকা।

এই প্রজন্মের চলচ্চিত্রের অভিনেত্রীদের মধ্যে বিদ্যা সিনহা মিম যখন যেখানে কাজ করেছেন সেখানেই তিনি তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। যখন তিনি নাটকে অভিনয় করতেন, তখন তিনি ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। আবার যখন নাটক ছেড়ে সিনেমায় পুরোপুরি মগ্ন হলেন তখন তিনি তার সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রয়াত খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য মিম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন।

২০২২ সালে রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমাতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে তিনি একজন জাত অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকের কাছ থেকে স্বীকৃতপ্রাপ্ত হন। এই সিনেমায় মিমের দুর্দান্ত অভিনয় দর্শককে হলমুখী করে তোলে। এরপর একই পরিচালকের ‘দামাল’ সিনেমাতেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির প্রথম সম্মাননা প্রদান (বিএফডিএ) অনুষ্ঠান। এই আয়োজনে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার উঠে যেতে পারে মিমের হাতে।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘লাক্স’-এর এক শ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন লাক্স সুপারস্টার বিদ্যা সিনহা মিম। অনুষ্ঠানে পারফর্মও করবেন তিনি। লাক্স সুপারস্টার হওয়ার পর লাক্সের বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেছেন মিম। এদিকে ওয়াহিদ তারেক পরিচালিত ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমায় মিম শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ছবিতে মিমের অভিনয় নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট শহীদুল্লা কায়সার-পান্না কায়সারের মেয়ে অভিনেত্রী, রাজনীতিনবিদ শমী কায়সার।

বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘লাক্স আসলে আমার জীবনজুড়ে আছে। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার হিসেবেই আমার জীবনের নতুন দিগন্তের সূচনা। আজ লাক্সের শতবছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকতে পারছি- এটাও এক অন্যরকম ভালোলাগা। আর অভিনয় আমার পেশা। সিনেমাতে কিংবা ওয়েব সিরিজে যখন অভিনয় করি পূর্ণ মনোযোগ দিয়েই করি। কোনটা আসলে পুরস্কার আনবে, কোনটা আনবেনা-তা নিয়ে ভাবিনা কখনো। তবে দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমায় নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।’


তারিনের কলকাতায় অন্যরকম যাত্রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

শোবিজের প্রিয়মুখ অভিনেত্রী ইয়াসমিন জাহান তারিন। প্রায় তিন দশক ধরে টেলিভিশন নাটকে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন। এ ছাড়া নৃত্যশিল্পী হিসেবেও সুখ্যাতি আছে তার। গত বছর ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ নামের সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী।

এবার বিনোদন জগতের এই প্রিয় মুখের নতুন অধ্যায় শুরু। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশেও অভিষেক হলো তারিনের। ‘এটা আমাদের গল্প’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারিন।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। পরিচালনা করেছেন ছোট ও বড় পর্দার দাপুটে অভিনেত্রী মানসী সিনহা। তারিনের পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহাগ সেন, আর্য দাশগুপ্ত, তাপসী মুন্সীসহ অনেকে।

গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারিন জানান, ‘অনেক আগে বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন মানসী দিদি। তখনই তার সঙ্গে প্রথম দেখা। পরবর্তী সময়ে তার ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার গল্প আমার পছন্দ হয়ে যায় এবং কাজটি করি। কলকাতায় অভিনয় ও সিনেমার প্রচারে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। কারণ, এটা আমার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা।’

ছবির টিজার থেকে বোঝা যায়, এই ছবির গল্প শুধু দুটি মানুষের নয়; বরং আরও নানা মানুষের গল্প। সম্পর্ক বিশ্বাসীদের কথাই বলবে ‘এটা আমাদের গল্প’। পাশাপাশি ‘এটা আমাদের গল্প’-এ ফুটে উঠবে সম্পূর্ণ ভিন্ন সম্প্রদায়, পরিস্থিতি ও পরিবেশের দুই পরিবারের কাহিনি। এই সিনেমার মূল আকর্ষণ অপরাজিতা আঢ্য ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। দুই প্রবীণ মানুষের ভালোবাসা দিয়েই সাজানো ‘এটা আমাদের গল্প’। তবে তাদের ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা। ছকবাঁধা এই ভালোবাসার গল্পেই এগিয়ে যায় সিনেমাটি।

জানা গেছে, সিনেমায় তারিন বাংলাদেশের মেয়ে। যার বিয়ে হয় কলকাতার বনেদি পরিবারে। সিনেমায় অপরাজিতা আঢ্যের ছেলের বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের গুণী এই অভিনেত্রী। চরিত্রের নাম মিসেস বসু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টলিউডে অভিষেক সিনেমার পোস্টার এবং কোন কোন হলে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অভিনেত্রী।


রাজনীতি নিয়ে বিদ্যার ভয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বর্তমানে বিনোদন জগতের মানুষেরা রাজনৈতিক মতামত দেওয়ার আগে দুবার ভাবেন। বিশেষ করে, কোনো ছবি মুক্তির সময় বয়কট প্রসঙ্গে তাদের আরও সতর্ক থাকতে হয়। এটা বিদ্যার ব্যাপারেও এক বলে জানান তিনি।

বলিউডে বিদ্যা অনেক সাহসী একটি নাম। পর্দায় অনেক সাহসী সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে পর্দায় যত সাহসী হন না কেন, বাস্তবে অনেক কিছু নিয়েই কথা বলতে ভয় পান অভিনেত্রী। যে বিষয়গুলোর একটি রাজনীতি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বিদ্যা অভিনীত সিনেমা ‘দো অউর দো পেয়ার’। এ উপলক্ষে ইউটিউব চ্যানেল ‘আনফিল্টারড বাই সমদীশ’-এ হাজির হয়েছিলেন তিনি। যেখানে নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই বিদ্যা জানান, তাকে যেকোনো বিষয়েই প্রশ্ন করা যাবে রাজনীতি ছাড়া। অন্য যা-ই জানতে চাওয়া হোক, তিনি খোলামেলাভাবে কথা বলবেন।

বিদ্যা বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে ভয় করে। কী জানি বাবা, কখন বয়কট করে দেবে আমাকে।’ বিষয়টির আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, তার সঙ্গে কখনো এ ধরনের ঘটনা (বয়কট) ঘটেনি।

বিদ্যার ভাষ্যে, ‘কোন কথা কখন যে কার খারাপ লাগবে! আমি সেই কারণে রাজনীতি থেকে দূরে দূরেই থাকি।’

অভিনেত্রী জানান, এ অবস্থা তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে। এখন যেকোনো বিষয়েই মানুষ বুঝে না বুঝে নিজের মত দেয়। এরপর সেটা সবাইকে মানাতে উঠেপড়ে লাগে। এ কারণেই নানা সমস্যা তৈরি হয়।

এই সাক্ষাৎকারে বিদ্যা কথা বলেন তার বহুল আলোচিত সিনেমা ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ নিয়েও। তিনি জানান, সিনেমাটিতে অভিনয়ের প্রস্তাবে হ্যাঁ বলার আগে তিনি কতটা দ্বিধায় ভুগেছেন। বিদ্যা বলেন, ‘স্বল্পদৈর্ঘ্যের পোশাক, শরীর দেখানো পোশাক পরা নিয়েও সংশয়ে ছিলাম। তার ওপর ওই ধরনের নাচ...! যখন ভেবেছিলাম, অভিনেত্রী হবো, কখনো কল্পনা করিনি যে এ ধরনের কাজ করব। সাময়িকভাবে মনে হয়েছিল, এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। আবার পরক্ষণেই মনে হয়েছিল, ক্যামেরায় দর্শক আমাকে ওইভাবে দেখবেন...!’ বিদ্যা বালান পর্দায় নানা ধরনের শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এমনকি নিজের ইমেজ ভেঙে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ সিনেমায় খোলামেলা হতেও পিছপা হননি।


তৃতীয় সপ্তাহে ‘লিপস্টিক’-এর সাফল্য দেখছেন আদর-পূজা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক

এবারের ঈদুল ফিতরে ১১টি ছবির মুক্তি পাওয়ায় শুরুর সপ্তাহে অনেক ছবিই হল পায়নি। ফলে দর্শকদের মধ্যে অনেক ভালো গল্পের ছবিও পৌঁছাতে পারেনি। তাদের মধ্যে একটি হলো হালের আজাদ আদর ও পূজা চেরি অভিনীত ‘লিপস্টিক’। ভিন্নধর্মী গল্প ও নির্মাণের কারণে ছবিটি নিয়ে ঈদের আগেই আজাদ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিল, ‘আমার ছবিটি দর্শকদের দেখতে দিলে একটা আওয়াজ তুলবে।’ যদিও ছবির টিম আশা করেছিল শাকিব খানের ‘রাজকুমার’-এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল পাবে এই লিপস্টিক। কিন্তু না, আশায় গুড়েবালি! ছবিটি মাত্র ৭টি হল পেয়েছিল। এটাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলেও অভিযোগ করেছিলেন ছবির সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ভালো গল্পের মানসম্মত সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও ছবিটিকে হল-বঞ্চিত করা হয়েছে।

ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে এসে সেই লিপস্টিকই হল সংখ্যায় চমকে দিল। শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে ৩১টি সিনেমা হলে চলছে ‘লিপস্টিক’, যা প্রথম সপ্তাহের চেয়ে চার গুণেরও বেশি! সহজেই আঁচ করা যায়, হল মালিকরা ছবিটির মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তবে সেই সম্ভাবনা বাস্তবে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে কি না, তা জানা যাবে সপ্তাহের শেষে।

সিনেমাটিকে পূজা চেরি তার ক্যারিয়ারের সেরা ছবি হিসেবে মন্তব্য করেছেন। আর আদর আজাদও বলেছেন এমন ছবি তার জন্যও সেরা। কয়দিন আগে ছবিটির প্রতি তার আত্মবিশ্বাসের কথাও জানিয়েছেন। নায়কের ভাষ্য, ঈদের আগে বলেছিলাম, আমাদের ‘লিপস্টিক’ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল পাবে। এটা বলেছিলাম আমাদের কনটেন্টের জোরে। একটু দেরিতে হলেও কথা কিন্তু সত্য। দর্শকের আগ্রহ, হল মালিকদের চাহিদা, সিনেমাটির ইতিবাচক আলোচনা এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতায় ছবিটির হলসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। বলেছিলাম, আমাদের কনটেন্টের দম আছে। আসলেই আছে। যারা যারা এখনো দেখতে পারেননি, দেখার পর এটাই বলবেন, শিওর।’

বেশি হল পাওয়া মানে বেশি দর্শকদের সিনেমাটি দেখার সুযোগ তৈরি হওয়া- এমনটিই বললেন পূজা চেরি। পাশাপাশি দর্শকদের ‘লিপস্টিক’ হলে গিয়ে দেখার আহ্বান জানালেন এই নায়িকা।

‘লিপস্টিক’ ছবিটির পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান। এতে আজাদ আদর ও পূজা চেরি ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, চিকন আলীসহ অনেকেই।


দীর্ঘদিন পর মাসুম শাহরিয়ারের লেখা ধারাবাহিক, পরিচালনায় হান্নান মাহমুদ

(বা থেকে) নাট্যকার মাসুম শাহরিয়ার ও পরিচালক হান্নান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

নাট্যকার হিসেবে মাসুম শাহরিয়ারের আলাদা একটা পরিচিতি রয়েছে। ভিন্নসব গল্প লিখে তিনি অনেক আগেই দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার লেখা অসংখ্য ধারাবাহিক ও একক নাটক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু পুরস্কারও অর্জন করেছে। তার লেখা সর্বশেষ ধারাবাহিক নাটক ছিল ‘আম্মা’, যা ২০২১ সালে প্রচার শেষ হয়।

অন্যদিকে তরুণ নির্মাতা হান্নান মাহমুদ (সজীব মাহমুদ) বেশ কয়েক বছর ধরে টিভি নাটক পরিচালনা করে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন। একক নাটকসহ ধারাবাহিক নাটক বানিয়ে তিনি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ‘প্রিয়তমা খ্যাত’ পরিচালক হিমেল আশরাফের সহকারী হয়ে পরিচালনার হাতেখড়ি শিখেছন এবং তাকেই ‘গুরু’ হিসেবে মানেন হান্নান মাহমুদ তথা সজীব মাহমুদ।

মাসুম শাহরিয়ারের রচনা ও হান্নান মাহমুদের পরিচালনায় এই প্রথম দর্শক ভিন্নকিছু দেখতে যাচ্ছেন। ‘বোকা স্বর্গ’ নামের দীর্ঘ ধারাবাহিক নিয়ে টিভি নাটকের দর্শকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছেন এই জুটি। ইতোমধ্যে ধারাবাহিকটির বেশি কয়েকদিন শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। পূবাইল-কালীগঞ্জসহ বেশকিছু জায়গায় এর শুটিং হয়েছে। সামনে আরও কয়েক লটে এর শুটিং সম্পন্ন করে তারপর প্রচারে যাবে বলে হান্নান মাহমুদ জানান।

নাট্যকার মাসুম শাহরিয়ার নাটকটি বলেন, ‘ধারাবাহিক নাটক আসলে দর্শক গল্পের জন্যই দেখেন। গল্পে যতো বেশি টুইস্ট দেয়া যায়- ততোই তারা মজা পান। আমি চেষ্টা করেছি ‘বোকা স্বর্গ’ তেমনিভাবে লিখতে। বাকিটা দর্শক দেখে ভালো বলতে পারবেন।’

পরিচালক হান্নান মাহমুদ বলেন, ‘মাসুম ভাইয়ের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে। তিনি গল্প এতো সুন্দর করে বুনন করেন, যা দর্শকরা বেশ মজা পান। ‘বোকা স্বর্গ’ নাটকটিও তেমন একটা গল্প। দীর্ঘদিন পর দর্শক অন্যরকম একটা ধারাবাহিক দেখতে পাবেন- এটা নিশ্চিত।’ হান্নান মাহমুদের পরিচালনায় সর্বশেষ আলোচিত ধারাবাহিকের মধ্যে ছিল বাংলাভিশনের ‘মমতাজ মহল’, দীপ্ত টিভির ‘প্রেম নিকেতন’ এবং এশিয়ান টেলিভিশনের ‘সোনার পাখি’।

এবার তার পরিচালনায় ‘বোকা স্বর্গ’তে অভিনয় করেছেন টিভি নাটকের একঝাঁক তারকাশিল্পী। হালের সেসব অভিনয়শিল্পী নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তারা হলেন- ঝুনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, আজিজুল হাকিম, শতাব্দি ওয়াদুদ, সৈয়দ জামান শাওন, প্রিয়ন্তি উর্বি, সারিকা সাবা, শিবলী নোমান, স্বর্ণলতা, আসমা পাঠান রুম্পা, আহসানুল হক মিনু, আমিনুল হক হেলাল, শফিউল আলম বাবু, নূরে আলম নয়ন, নাবিলা আলম পলিন, মন্দিরা, সঞ্জয় নাথ, ফারজানা, বর্ণা প্রমূখ।

দীর্ঘ ধারাবাহিকটি শিগগিরই যেকোনো একটি বেসকারী টিভি চ্যানেলে দেখা যাবে বলে নির্মাতা উল্লেখ করেন।


পারিশ্রমিক বাড়ালেন আল্লু অর্জুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

একটু একটু করে নিজেকে পাকাপোক্ত করে দক্ষিণী সিনেমা জগতে বেশ শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন আল্লু অর্জুন। বলা চলে, গত কয়েক বছর ধরে চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছেন এই তারকা। বিশেষ করে তিন বছর আগে ‘পুষ্পা’ সিনেমায় বক্স অফিসে ব্লকব্লাস্টার ব্যবসা করার পর থেকে নির্মাতাদের আস্থার জায়গায় পরিণত হন তিনি। এই সিনেমা পুষ্পরাজের চরিত্রে দর্শকপ্রিয়তা পান আল্লু অর্জুন। সঙ্গে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সিনেমাটির সিক্যুয়াল ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আরও চার মাস থাকলেও সিনেমাটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। এর মাঝেই নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

দর্শকের সামনে আবারও ফিরছে পুষ্পরাজ-শ্রীভল্লি জুটির অনস্ক্রিন রসায়ন। তিন বছর পর আগামী ১৫ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আগে আলোচনায় আল্লু অর্জুনের পারিশ্রমিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এক লাফে ১০০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি রুপিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছেন অভিনেতা।

ভারতীয় বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। শুধু বক্স অফিস নয়, পুরস্কারের মঞ্চেও বাজিমাত করছে দক্ষিণি সিনেমা। তাই দক্ষিণ ভারতের অভিনেতাদের পারিশ্রমিক বাড়ানোকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ভারতের সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।

‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’-এর বাজেট ৫০০ কোটি রুপির মতো। মুক্তির চার মাস থাকলেও সিনেমাটি ইতোমধ্যে হাজার কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। উত্তর ভারতে সিনেমাটির হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২০০ কোটি রুপি। আর দক্ষিণ ভারতে হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২৭০ কোটি রুপি। অর্থাৎ মুক্তির আগে হল থেকেই ৪৭০ কোটি রুপি আয় হয়েছে।

এ ছাড়া জানা গেছে ওটিটি জায়ান্ট নেটফ্লিক্স ‘পুষ্পা-২’-এর স্ট্রিমিং রাইটস ২৭৫ কোটি রুপিতে কিনেছে। একই সময়ে অডিও এবং স্যাটেলাইট রাইটসের চুক্তি সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, নির্মাতারা তা থেকে ৪৫০ কোটি রুপি আয় করেছে। এভাবে রিলিজের আগেই ১ হাজার ১৯৫ কোটি রুপি আয় করেছে সিনেমাটি।

বিষয়:

আবারও নাম ভূমিকায় জয়া আহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টালিউডের এক সময়ের ব্যস্ত পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী দীর্ঘ ১০ বছর নতুন একটি সিনেমা পরিচালনায় হাত দিচ্ছেন। ‘ডিয়ার মা’ শিরোনামের এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন বাংলাদেশের আলোকিত মডেল অভিনেত্রী জয়া আহসান। তার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন চন্দন রায় সান্যাল। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কেও।

নিউক্লিয়ার পরিবারে বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধনের এক অন্যরূপ উঠে আসবে সিনেমাটিতে। পরিচালকের কথায়, ‘রক্তের সম্পর্কের চেয়েও ভালোবাসার সম্পর্ক বেশি জোরালো হয়। মেয়েকে বড় করার মধ্য দিয়ে মায়ের জীবনের একটা উত্তরণ হয় এবং সে পরিপূর্ণ হয়। আমরা কাছের মানুষের ওপর অধিকার বোধ জাহির করি। আসলে কারও ওপর অধিকার ফলানো যায় না। মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম কিছু মোচড় উঠে আসবে এখানে।’

ছবিতে বাচ্চা মেয়েটির নাম ঝিমলি, যার দুটি বয়স দেখানো হবে- পাঁচ এবং বারো। শুধু মা-মেয়ে নয়, স্বামী-স্ত্রী, একজন শিক্ষক, গৃহ সহায়িকা এ রকম নানা সম্পর্কের আলাদা রূপ উঠে আসবে ছবিতে। কাহিনিতে থ্রিলারের ছোঁয়াও আছে। সিনেমার গল্প নিয়ে পরিচালক বলেন, ‘টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই তো মানুষ চেনা যায়। থ্রিলার উপাদান কাহিনির অন্য দিক তুলে ধরবে।’

ছবির গল্প ও নিজের চরিত্র নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘এই গল্পটি আগে কখনো বলা হয়নি। তাই এটি পর্দায় বলা খুব জরুরি ছিল। এ ধরনের চরিত্রও আমি আগে করিনি। টোনিদা (অনিরুদ্ধ) সংবেদনশীলভাবে গল্প বলেন, যেটা আমার খুব ভালো লাগে।’

অনিরুদ্ধর ছবির অভিনেতা নির্বাচনের মধ্যে বৈচিত্র্য আছে। বাংলাদেশের অভিনেত্রী হলেও, জয়া টালিউডের নিয়মিত মুখ। এর আগে পরিচালকের ‘কড়ক সিং’ দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন।

পরিচালকের সঙ্গে ‘ডিয়ার মা’-এর গল্প লিখেছেন শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে শুটিং। তবে তার আগে অভিনেতাদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করছেন পরিচালক। জানালেন, জয়া ও চন্দন দুজনেই ওয়ার্কশপের জন্য আপাতত কলকাতায় রয়েছেন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে দেবকে নিয়ে শেষ বাংলা ছবি ‘বুনোহাঁস’ করেছিলেন অনিরুদ্ধ। বলিউডে সফল নির্মাতার হঠাৎ টালিউডে ফেরার ইচ্ছে নিয়ে আনন্দ বাজারকে বলেন, ‘কিছু কিছু গল্প থাকে, যেগুলো নিজের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে। ‘ডিয়ার মা’ তেমনই একটা কাহিনি। হিন্দিতে ছবি করলেও, বাংলা সব সময়েই মনের কাছাকাছি ছিল। আমি আগামী দিনেও হিন্দি, বাংলা দুই ভাষাতেই কাজ করব।’

বিষয়:

banner close