শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশ্যে এল শাকিব-বুবলীর সন্তান শেহজাদ

শবনম বুবলী ও তার ছেলে শেহজাদ খান।
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:১৭

অবশেষে প্রকাশ্যে এল আলোচিত অভিনেতা শাকিব খান ও শবনম বুবলীর সন্তান শেহজাদ খান। এরই মধ্যে তার কিছু ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। তবে শাকিব বা বুবলী কেউই সন্তানের বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, আজ সন্ধ্যা নাগাদ তারা তাদের বিয়ে, সন্তান এবং সংসার বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেহজাদ খানের বয়স আড়াই বছর। তার পুরো নাম শেহজাদ খান বীর। বুবলী ২০২০ সালের মার্চে শেহজাদ খানের জন্ম দেন। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্টের নিউইর্য়কে অবস্থান করছিলেন। সেখাকার লং আইল্যান্ড জ্যুইশ মেডিকেল হাসপাতালে ছেলের জন্ম দেন এ অভিনেত্রী। তারও মাস কয়েক আগে থেকে আড়ালে চলে যান বুবলী। সেই আড়াল ভেঙে প্রায় নয় মাস পর প্রকাশ্যে আসেন।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই শাকিব খান ও বুবলীর প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। তবে বিষয়টি তারা দুজনই অস্বীকার করেন। আড়াল ভেঙে এসে বুবলী প্রেম বিয়ে সন্তান প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলেননি। এরই মধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুবলী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বেবি বাম্পের দুটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন ‘মি উইথ মাই লাইফ, থ্রো ব্যাক আমেরিকা’।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বসগিরি ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হয়ে প্রথমবার পর্দায় আসেন বুবলী। এর আগে তিনি সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করেছেন।


ব্ল্যাকে ফিরছেন তাহসান!

আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০১
  বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের ব্যান্ড সংগীতে অন্যতম একটি দল ব্ল্যাক। ১৯৯৯ সালে জন কবির, জাহান ও টনির হাত ধরে গঠিত হয় ব্যান্ডটি। পরে মিরাজ ও তাহসান যোগ দেন। ২০০২ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম আমার পৃথিবী প্রকাশিত হয়। বেশ শ্রোতাপ্রিয়তাও পায় ব্ল্যাক। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা থাকার পরেও ভেঙে যায় দলটি। মজার ব্যাপার হলো, এখনো ব্ল্যাক টিকে আছে একমাত্র জাহানের হাত ধরে। বাকিরা কেউ কেউ দেশের বাইরে, কেউ ব্ল্যাক থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে ক্যারিয়ার গড়েছেন।

শূন্য দশকে জন্ম হলেও এই ব্যান্ডটি ২০০৫ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার একটি মিলনায়তনে শেষবারের মতো গান শুনিয়েছে। এরপর ১৯ বছর কেটে গেছে, ব্ল্যাকের এই পাঁচ সদস্যকে আর একসঙ্গে পাওয়া যায়নি। এখনো তাদের গান, নাম ব্ল্যাকের পুরোনো অনুরাগীদের মুখে মুখে ফেরে। ব্যান্ড ছাড়লেও তাঁদের বন্ধুত্বটা এখনো অটুট।

ব্ল্যাকের ২৫ বছরপূর্তিতে পঞ্চপাণ্ডবকে ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছে ব্ল্যাক। কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জনটা ছড়িয়েছিল; একটিও ভিডিওতে তেমনটাই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তাহসান, জন কবির, জাহান, মিরাজ ও টনি।

ব্ল্যাকের অনুরাগীদের জন্য সুখবর মিলেছে। আগামী ১০ মে ‘রক অ্যান্ড রিদম ৪.০: রেজারেকশন অব ব্ল্যাক’ কনসার্টে হাজির হবেন তাহসান, জন কবির, জাহান, মিরাজ ও টনি। কনসার্টে অংশ নিতে কানাডা থেকে উড়ে আসবেন টনি। কনসার্ট শেষে কানাডায় পাড়ি দেবেন তিনি।

তবে জাহান জানিয়েছেন, শুধু এই কনসার্ট উপলক্ষেই তারা এক হচ্ছেন। তারপর যে যার জায়গায় ফিরে যাবেন আবার। এই কনসার্টে তাহসান, জন কবিরদের সঙ্গে ব্ল্যাকের বর্তমানের লাইনআপের সদস্যদেরও পরিবেশনা দেখা যাবে। এদিন ব্ল্যাকের বর্তমান লাইনআপের ‘সমান্তরাল’ গানের ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হবে। এই গানে তাহসান, জন কবিররা নেই। পাশাপাশি কনসার্টের দিন ব্ল্যাকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটও উন্মুক্ত করা হবে।

২০০৫ সালে চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ব্ল্যাকের শব্দ প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ চৌধুরী মবিন মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত মিরাজকে আর ব্যান্ডে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাকের কার্যক্রম অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। ২০০৮ সালে তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশের আগে ব্ল্যাক ছাড়েন তাহসান। ২০১১ সালে প্রকাশিত ব্ল্যাক অ্যালবামের লাইনআপে জন কবির, টনি ছিলেন। এরপর জনও ব্ল্যাক ছেড়েছেন। টনি দেশের বাইরে।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা: প্রতিবাদে উত্তাল চিত্রপুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান (মঙ্গলবার) শেষে হঠাৎ করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ মানববন্ধন করে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোকে সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি; কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা শাহ, রুবেল, রত্না।

অন্যদিকে এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। একই সঙ্গে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘অনাহূত এক পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাই-বোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, এরই মধ্যে শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিক নেতাদের যৌথ আলোচনায় প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে প্রতিবাদ স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।


পর্দায় ফিরছেন প্রীতি জিনতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের মিষ্টি মেয়ে বলে পরিচিত প্রীতি জিনতা। দীর্ঘদিন ধরেই সিনে পর্দায় নেই এক সময়ের নিয়মিত এই অভিনেত্রী। মাঝে একটি ওয়েব সিরিজে দেখা গেলেও সিনেমা হলের দর্শক থেকে দূর আছেন। অনেক দিন পর আবার প্রিয় বলিউডের সিনেমায় প্রত্যাবর্তন ঘটছে লাস্যময়ী এই তারকার। নিজের নতুন সিনেমার শুটিং সেট থেকে রাজকুমার সন্তোষীর সঙ্গে প্রথম ছবিও শেয়ার করেছেন প্রীতি। ছবিটি প্রকাশের পরপরই ভক্তরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালনায় ‘লাহোর ১৯৪৭’-এ সানি দেওল ও প্রীতি জিনতা ছাড়াও অভিনয় করছেন শাবানা আজমি, অভিমন্যু সিং, আলি ফজল এবং মোনা সিংসহ একাধিক তারকা।

২০০৭ সালে ‘ঝুম বরাবর ঝুম’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ তাকে মূল নারীপ্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছিল। পরেও আরও কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রীতি জিনতা, তবে সেগুলোতে অতিথি চরিত্রেই পাওয়া গেছে তাকে। প্রায় দেড় দশক পর আবারও প্রধান নারী চরিত্রে ফিরছেন বলিউডের মিষ্টি নায়িকা প্রীতি জিনতা। আমির খানের প্রযোজনায় ‘লাহোর ১৯৪৭’-এ সানি দেওলের বিপরীতে পর্দায় ফিরছেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সিনেমাটির শুটিং শুরু করেছেন প্রীতি। আমির খান, সানি দেওল এবং রাজকুমার সন্তোষী প্রথমবারের মতো একসঙ্গে কাজ করছেন এই সিনেমার পেছনে। একাধিক সূত্রের দাবি, অতিথি শিল্পী হিসেবে এতে থাকতে পারেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির। যদিও এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট হয়নি।

বর্তমানে আইপিএলের খেলার মাঠে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে প্রীতি জিনতাকে। আইপিএলের দল পাঞ্জাব কিংসের মালিক প্রীতি। যে কারণে তিনি প্রায়ই স্টেডিয়ামে আসেন তার দলকে সমর্থন করতে। সম্প্রতি একটি ম্যাচ চলাকালীন প্রীতির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল।

১৯৯৮ সালে ‘দিল সে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন প্রীতি। এরপর ‘সোলজার’, ‘সংঘর্ষ’, ‘দিল্লাগি’, ‘কেয়া কেহেনা’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘বীর জারা’র মতো আইকনিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ‘ওয়েলকাম টু নিউইয়র্ক’-এ নায়িকা হিসেবে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে সিনেমাটি তেমন সাফল্য পায়নি। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি অনেক সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বিয়ের পর সংসার, স্বামী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। নিউইয়র্কেই বাস করছেন পরিবারের সঙ্গে। তবে এবার আবারও বলিউডের পর্দা কাঁপাতে ফিরছেন প্রীতি। সালটা ২০১৬। আমেরিকান ব্যবসায়ী জেনে গুডেনাফকে বিয়ে করে লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকতে শুরু করেন প্রীতি জিনতা।

বিষয়:

সাংবাদিকদের ‍ওপর কতিপয় শিল্পীর হামলা: দুজন সাময়িক, একজন আজীবন নিষিদ্ধ

আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৪১
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাতে দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কারসহ সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জয় চৌধুরীর হামলার নির্দেশনা ও উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে সিনে সাংবাদিকরা। ১ মাসের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন খল অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্ত। এছাড়া ন্যাক্কারজনক ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বিনোদন সাংবাদিকরা।

ঘটনার তদন্তের জন্য ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১১ সদস্যের একটি কমিটি আলোচনায় বসে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জনকে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তগুলোর ঘোষণা দেন সাংবাদিক লিমন আহমেদ। তিনি জানান, আলোচনার শুরু পরও জয় চৌধুরী উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লিমন বলেন, ‌‘তাকে নিয়ে শিল্পী সমিতিও যদি কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন তবে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকা হবে।’

বৈঠকে শিল্পী সমিতি আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।

১১ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না ছিলেন। এছাড়াও সিনিয়র সংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বিএফডিসিতে শপথগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সদস্যরা। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই ঘটে অপ্রীতিকর এক ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শপথগ্রহণ শেষে সমিতির অফিসে খবরের কাগজ পত্রিকার এক সাংবাদিক চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার নিতে চান। ময়ূরীর মেয়েকে প্রশ্ন করেন—‘আপনি আপনার মায়ের সিনেমা দেখেন কি না? দেখলে কেমন লাগে?’ ময়ূরীর মেয়েকে এমন প্রশ্ন করাতেই রেগে যান খল-অভিনেতা শিবা শানু। তিনি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন। সাংবাদিকরা না যেতে চাইলে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে অফিসে থেকে বের করে দেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন ২০ সাংবাদিক। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো’র দিকে।


কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা আহমেদ

আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৭
বিনোদন প্রতিবেদক

মহানায়কখ্যাত প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেতা বুলবুল আহমেদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা আহমেদ। তার মা ডেইজি আহমেদও ছোটপর্দার গুণী অভিনেত্রী। তবে বাবা ও মায়ের পরিচয়ের বাইরেই ঐন্দ্রিলা দেশীয় শোবিজে নিজের আলাদা একটি অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। টিভি নাটকের দর্শকনন্দিত এই অভিনেত্রী অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাতেও অনবদ্য। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘পার্টনারশিপ অ্যানালাইন্স ম্যানেজার’ হিসেবে কর্মরত আছেন। যে কারণে চাইলেও তিনি অভিনয়টা নিয়মিত করতে পারেন না।

এরই মধ্যে বেশ কয়েক বছর আগে যখন তিনি চাকরিতে যোগ দেননি, তখন টানা কয়েকটি ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর সময় বের করা যেন একটু কঠিনই হয়ে গেছে তার জন্য। তবে উপস্থাপনাটা নিয়মিত করে যাচ্ছেন তিনি। গেল ঈদেও তিনি মাছরাঙ্গা, এসএ টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন। কয়েক বছর আগে মা দিবসের অনুষ্ঠানেরও উপস্থাপনা করেছেন তিনি। অভিনয়ে তিনি যেমন দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন, ঠিক তেমনি উপস্থাপনাতেও দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। বর্তমানে শুধু বাংলাভিশনে তার উপস্থাপনায় এবং সুব্রত দের প্রযোজনায় প্রচার হচ্ছে ‘আমাদের রান্নাঘর’ অনুষ্ঠানটি। বিগত তিন বছর ধরে তিনি এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন।

ঐন্দ্রিলা জানান, তিনি নিয়মিতই অভিনয়ের প্রস্তাব পান। অভিনয় এবং উপস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, টিভি নাটক কিংবা শর্টফিল্মে অভিনয়ের জন্য নিয়মিতই প্রস্তাব আসে। যখন স্ক্রিপ্ট চাই, স্ক্রিপ্টও পাঠান তারা; কিন্তু আমার মনের মতো হয় না বিধায় কাজ করা হয়ে উঠছে না। আবার এটাও সত্যি যে সেসব কাজ ছেড়ে দিয়ে আমার মন খারাপও হয় না। বিজ্ঞাপনে কাজ করারও প্রস্তাব আসে। ব্যাটে বলে মিলে গেলেই বিজ্ঞাপনে কাজ করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন তো বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি। সেখানেও নিয়ম মেনে চলতে হয়। অফিস মেইনটেইন করেই কিন্তু আমাকে অভিনয় বা উপস্থাপনা বা বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য সময় বের করতে হয়। তবে যাই করি না কেন নিজের কাছে আগে ভালো লাগতে হয়। পরে না হয় দর্শকের কথা ভাবব। নিজের ভালো লাগলেই সেই কাজটা করা যেতে পারে। ভালো না লাগলে নয়।’


সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলার বার্তা মিমির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ওপার বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবিতে মিমির অভিনয় বারবার দর্শককে মুগ্ধ করে। ‘বোঝো না সে বোঝো না’ থেকে ‘পোস্ত’র মতো ছবিতে ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে জুড়ি মেলা ভার দর্শকের। আসছে মিমি চক্রবর্তীর নতুন ছবি আলাপ। ভোটের আগেই রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার কথা ঘোষণাও করেন বঙ্গতনয়া মিমি চক্রবর্তী। তবে সামাজিক দায়িত্ব আজও নিজের কাঁধে বহন করছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। পৃথিবীর বুকে আজও যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে প্লাস্টিক। বিশ্ব পৃথিবী দিবসে নিজের হাতে সমুদ্রের পাড় থেকে প্লাস্টিক কুড়িয়ে সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলার বার্তা দিলেন মিমি।

হলুদ মনোকিনির ওপর পাতলা স্রাগ জড়িয়েই পরিবেশ পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েন মিমি। নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে সেই বিশেষ মুহূর্তটাকে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। ভিডিওর ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এখনো কিন্তু, খুব একটা দেরি হয়নি। আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলেই পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটাকে রক্ষা করা সম্ভব। প্রকৃতিও আমাদের ক্ষমা করে দেবে’। মিমির এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে মিমির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভক্তরা।

হ্যাপি আর্থ ডে-তে পৃথিবীরকে পরিষ্কার রাখার বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনও। ঘাসের মাঝে গা এলিয়ে শুয়ে হাতে উজ্জ্বল লাল রঙের ফুল নিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন সন্দীপ্তা। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমরা যদি সকলে একসঙ্গে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করি তাহলে আমাদের পৃথিবী সুস্থ থাকবে। সকলের ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত হবে। হ্যাপি আর্থ ডে।’

মিমির ইনস্টা হ্যান্ডেলে চোখ রাখলে দেখা যায় নিত্য-নতুন ছবি আর রিল ভিডিও। কখনো জিমে গিয়ে শরীরচর্চার ছবি তো কখনো আবার পোষ্যর সঙ্গে কাটানো কোয়ালিটি সময়ের ক্লিপিং। বর্তমানে মিমি ব্যস্ত রয়েছেন তার আপকামিং মুভি ‘আলাপ’ নিয়ে। রক্তবীজের পর আরও একবার টলি হ্যাঙ্ক আবিরের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন মিমি চক্রবর্তী। আগামী ২৬ এপ্রিল বড় পর্দায় আবির-মিমির আলাপ দেখার অপেক্ষায় বাংলা ছবির দর্শক।

ওপার বাংলার নায়কের সঙ্গেও জুটি বেঁধেছেন বিউটিকন্যা মিমি চক্রবর্তী। শাকিবের সঙ্গে বড় পর্দায় নতুন রসায়ন দেখার অপেক্ষায় দর্শক। রায়হান রাফির নির্দেশনায় তৈরি হচ্ছে তুফান। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে এপার বাংলার এসভিএফ এবং ওপার বাংলার প্রযোজনা সংস্থা ‘চরকি’ ও ‘আলফা আই’। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি তুফান বক্স অফিসে কতটা তুফানি করবে সেটা তো সময়ের অপেক্ষা।

বিষয়:

সিনেমাপাড়ায় কোরবানি ঈদের প্রস্তুতি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

রোজার ঈদের সিনেমার রেশ এখনো কাটেনি। এবার ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম সপ্তাহ শেষে এখন চলছে দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে ছবিগুলো। কোন ছবি কতটা ব্যবসা করছে তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে কোনো ছবিই প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা করতে পারছে না। চারটি সিনেমা মুক্তির পর পরই প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামিয়েও দেওয়া হয়েছে। তারপরও রোজার ঈদে বক্স অফিসের ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নেননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এরইমধ্যে আবারও ঈদের আমেজ সিনেমাপাড়ায়। সিনেমাপাড়া ও বিভিন্ন পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঈদেও মুক্তির তালিকায় রয়েছে প্রায় এক ডজন ছবি। কোরবানির ঈদে মুক্তির জন্য এরই মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়েছে ১০টি ছবি-রায়হান রাফীর ‘তুফান’, সানী সানোয়ারের ‘এশা মার্ডার-কর্মফল’, এমডি ইকবালের ‘রিভেঞ্জ’, এম রাহিমের ‘জংলি’, বদিউল আলম খোকনের ‘আগুন’, রাখাল সবুজের ‘পুলসিরাত’, হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘কবি’, আরাফাত হোসেনের ‘রঙ্গনা’, আলোক হাসানের ‘লীলা’ এবং মিঠু খানের ‘নীলচক্র’।

এই ছবিগুলোর বাইরেও আছে আরও বেশ কয়েকটি ছবি, যেগুলো কোরবানির ঈদে মুক্তির জন্য হঠাৎ করেই লাইনে দাঁড়িয়ে যাবে। এরই মধ্যে প্রযোজক সমিতিতে ‘এশা মার্ডার-কর্মফল’, ‘রিভেঞ্জ’ ও ‘কবি’ মুক্তির জন্য আবেদনও করেছেন নির্মাতারা। ‘কবি’ পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল বলেন, ‘আগেই ঘোষণা দিয়েছি আমার ছবিটি কোরবানির ঈদে মুক্তি দেব। গান ও গল্প আমার ছবির প্রধান আকর্ষণ। আর কোন ছবি এল বা গেল সেটা নিয়ে ভাবছি না।

‘এশা মার্ডার-কর্মফল’ পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্ত। একটা ঈদে এত ছবি কেন মুক্তি পাবে! সবাইকে তো ক্ষতিটা বুঝতে হবে। রোজার ঈদেই তো একটা শিক্ষা হলো সবার। আমি উদ্যোগ নিয়েছি, কিছুদিনের মধ্যে প্রযোজক-পরিচালকদের নিয়ে বসব। একটা সুরাহা করতে হবে।’

মূলত এখনকার সিনেমা হয়ে গেছে ঈদনির্ভর। একমাত্র ঈদেই দর্শক সিনেমা দেখেন। এ কারণে ছবি ব্যবসায়ীরাও নিজেদের ছবি ঈদ উৎসবে মুক্তির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। এটা অনেকটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘রোজার ঈদেও আমি সতর্ক করেছিলাম অনেককে ফোন করে। এবারও বলছি, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবেন না। সারা বছর পড়ে আছে, তাহলে কেন দুই ঈদে পাড়াপাড়ি করবেন? সিনেমা তো শিল্প। এখানে পাড়াপাড়ি করে কোনো লাভ হবে না। বরং নিজের ক্ষতিই হবে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে আমার পাঁচ দশকের সম্পর্ক। যখন সোনালি যুগ ছিল তখনো কিন্তু পাঁচ-সাতটির বেশি ছবি মুক্তি পায়নি। তখন তো হল ছিল ১ হাজার ২০০টির বেশি। আর এখন সব মিলিয়ে দেড় শ হল হবে কি না সন্দেহ। কোরবানির ঈদের পরেও ভালো সময় আছে। অক্টোবর-নভেম্বরেও সিনেমা ভালো চলে। তখন মুক্তি দিলে ক্ষতি কী!’

বিষয়:

শিল্পীর কোনো গণ্ডি থাকে না: জয়া আহসান

আপডেটেড ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০২
বিনোদন প্রতিবেদক

এই ঢাকা এই কলকাতা- প্রায় এক দশক ধরে এভাবেই চলছে দুই বাংলার আলোকিত তারকা জয়া আহসানের ব্যস্ততা। তবে শুরু থেকেই ঢাকার চেয়ে টালিগঞ্জের সিনেমাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছেন এই অভিনেত্রী ও প্রযোজক। কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করে যেমন দর্শক ও সুধী মহলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করছেন, তেমনি প্রতি বছরেই একাধিকবার বগলদাবা করে নিচ্ছেন সেখানকার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। দুই বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে হিন্দি সিনেমাতে অভিনয় করেও মুগ্ধ করেছেন দর্শককে। জয়ার ভাষ্য, ‘একজন শিল্পীর গণ্ডি যতদূর বাড়ানো সম্ভব সেটা সে বাড়াবে। আমিও এক সময় বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছি, তারপর কলকাতা গিয়ে কাজ করছি। সম্প্রতি আমার হিন্দি সিনেমাও মুক্তি পেয়েছে। তাই আমি মনে করি, শিল্পীর কোনো ভুবন বা সীমানা থাকা উচিত নয়। একজন শিল্পী সব জায়গায় কাজ করবে। এর কোনো কারণ লাগে না।’

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে বহু পুরস্কার অর্জন করা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে যখন বাংলাদেশের জন্য কোনো পুরস্কার পাই এটা আমার নিজের জন্য যতটা আনন্দের তার থেকে বেশি আনন্দিত বোধ করি আমি বাংলাদেশের হয়ে পুরস্কার হাতে নিতে পেরে। এবারের ফিল্ম ফেয়ারে বাংলাদেশের অনেকেই কিন্তু নমিনেশন পেয়েছিলেন, পুরস্কার পেয়েছে যেটা বড় বিষয় এবং খুবই গর্বের।’

চির সবুজ বলে পরিচিত পাওয়া জয়া আহসান বর্তমানে নির্মাতা আশফাক নিপুণের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো প্রথম ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। এ ছাড়া কলকাতায় ‘ডিয়ার মা’ নামে একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। দুই বাংলায় কাজের ধরন বা পার্থক্য প্রসঙ্গে জয়া সত্যি বলতে, খুব একটা পার্থক্য নেই। ভাষাগত কিছু টার্ম ছাড়া কাজের ধরন, ইমোশন, ডায়ালগ, সংস্কৃতি সব একই মনে হয় আমার কাছে। তবে আমরা এগিয়ে আছি আমাদের সাহসের জায়গায়। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদারের মতো চিৎকার করে আমাদের গল্প জানান দিতে চাই, কাজের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে চাই। সেই জায়গা থেকে মনে হয় আমরা অনেক সাহসী। তবে ওই বাংলায় সবাই গুছিয়ে কাজ করে, কাজের পরে কি হবে সেটা একবারে ঠিক করে কাজটা শুরু করে। তাই কিছু জায়গায় পরিবর্তন তো আছেই, তবে প্রায় একই বিষয়। আমাদের অনেক কাজ সেখানে ভীষণ প্রশংসিত। সেটা আমার কান পর্যন্ত এসে পৌঁছায়।


রূপান্তর নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:৪৩
বিনোদন প্রতিবেদক

ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত ‘রূপান্তর’ নাটকের কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা জোভানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালত, নোয়াখালীতে। মামলার বাদী হিসেবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ।

ইউটিউব চ্যানেল একান্ন মিডিয়া থেকে নাটকটি সরিয়ে ফেলার পর এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তার মতে, দর্শকরা নাটকটির কনসেপ্ট হয়তো বোঝেনি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই দেখছি, আসলে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকরা নানান স্ট্যাটাস ও মন্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এ নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা জোভানকে অনলাইনে তুলোধোনা করছে নেটিজেনরা।

এছাড়া জোভান ও সামিরা খান মাহি দুজনের ফেসবুক পেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে। জোভানের ১৯ লাখের পেজ ও মাহির ২৪ লাখের লাইক-ফলো করা পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনায় পড়ে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

জোভান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে। নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয়, তারা না দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে।’

সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না। বললেন, যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।

নেটিজেনদের কিংবা নিজের অনুসারীদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে এটা নিয়ে জোভান দুঃখও প্রকাশ করেছেন।

জোভান ছাড়াও ‘রূপান্তর’ নাটকে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক প্রমূখ।

বিষয়:

সাফল্যের দেখা পাচ্ছেন না মানুষী  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

২০১৭ সালে মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হঠাৎ করেই আলোড়ন তৈরি হয় ভারতীয় তরুণী মানুষী চিল্লারকে ঘিরে। সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্তায় তিনি বিশ্ব জয় করেছেন। আর মিস ওয়ার্ল্ড হওয়া মানেই বলিউডে রাজকীয় অভিষেক, এমনটা বরাবরই হয়ে এসেছে। সুযোগটা পেয়েছেন মানুষীও; কিন্তু শুরুতেই হোঁচট। ক্যারিয়ারের প্রথম তিনটি ছবিতেই চরম ব্যর্থতা বরণ করে নিতে হয়েছে তাকে।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে মানুষীর নতুন ছবি ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’। ৩৫০ কোটি রুপির বিশাল বাজেটে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। কিন্তু মুক্তির ১০ দিন পেরিয়ে ছবিটির বক্স অফিস কালেকশন মোটে ৮০ কোটি রুপি! যেটাকে সিনেমা বাণিজ্যের ভাষায় বলা হয় ‘ডিজাস্টার’।

বক্স অফিসে এমন মুখ থুবড়ে পড়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মানুষী। বললেন, ‘আমি নিজেকে বুঝিয়ে নিয়েছি যে, জীবনে অনেক কিছু তো একেবারে রাতারাতি পেয়েছি। যেগুলোর জন্য আমি খুব একটা পরিশ্রম করিনি। তবে এখন যদি আমি কাজের প্রতি মনোযোগী থাকি এবং পরিশ্রম করি, তাহলে নিশ্চয়ই সামনে ভালো কিছু পাব।’

মানুষী মনে করেন, বক্স অফিস কালেকশনে অভিনয়শিল্পীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তার ভাষ্য, ‘অভিনেতা হিসেবে সবাই চান যে, তার ছবিটা মানুষ দেখুক, তাকে পছন্দ করুক। কিন্তু কখনও কখনও সেটা হয় না, এবং এটা সাধারণ ব্যাপার। এটা ভেবেই মনকে শান্ত করেছি। আমার কাছে, ভালো কাজ করা এবং নতুন গল্প-চরিত্র ফুটিয়ে তোলাই একমাত্র কাজ। বক্স অফিস কালেকশনে অভিনয়শিল্পীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সুতরাং যেটাতে আমার নিয়ন্ত্রণ নেই, সেটা নিয়ে বেশি চিন্তাও করি না।’

‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ ছবির নাম ভূমিকায় আছেন অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ। আলি আব্বাস জাফর নির্মিত এই ছবিতে মানুষী অভিনয় করেছেন ক্যাপ্টেন মিশা চরিত্রে।

উল্লেখ্য, মানুষী চিল্লারের বলিউড অভিষেক হয় ২০২২ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ ছবি দিয়ে। এরপর তাকে দেখা গেছে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান ফ্যামিলি’ (২০২৩) সিনেমায়। ওই দুটি ছবিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল।

বিষয়:

অজানা তথ্য ফাঁস করলেন কারিনা

আপডেটেড ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:১৭
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের ছোট নবাব সাইফ আলী খানকে ২০১২ বিয়ে করেন ‘বেবো’খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। মূলত সাইফ আলী খানকে বিয়ে করেই নামের সঙ্গে শব্দটি ব্যবহার করছেন কারিনা। বলিউডের জনপ্রিয় ও অন্যতম সেরা তারকা দম্পতি হিসেবে ধরা হয় তাদের। তাদের দুজনের নামকে সংক্ষেপ করে সাইফিনা বলেও ডাকেন অনেকে। দুজনেই বলিউডের অভিজাত ও আলোচিত পরিবারের সন্তান হলেও তারা একে অপরের আলোয় আলোকিত নন। নিজ গুণে আলাদা শিল্পীসত্তা তৈরি করেছেন কারিনা-সাইফ। তাদের দাম্পত্যের বয়স প্রায় এক যুগ। সাইফ-কারিনা এখন দুই সন্তানের জনক-জননী। কিন্তু এক সময় কারিনাকে অনেকেই নিষেধ করেছিলেন সাইফকে বিয়ে করতে।

সাইফ-কারিনার যে সময় বিয়ে হয়, তখন কারিনা ছিলেন বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। কারিনার আগে সাইফের বিয়ে হয় অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে। সেই পক্ষের দুই ছেলেমেয়েও রয়েছেন অভিনেতার।

এ ছাড়া মাঝেমধ্যেই একাধিক প্রেমের খবরও মিলেছে এ অভিনেতার। তবে সাইফ-কারিনার প্রেমকাহিনি ঠিক যেন রূপকথা। ২০১২ সালে বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। ২০১৯ সালেও রোমান্সে ভাটা পড়েনি মোটেই। শোনা যায়, সাইফের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানও করেছিলেন দুবার।

কারিনা সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন অজানা তথ্য ফাঁস করেছেন। প্রথমবার ‘তাসান’-ছবির সেটে কারিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সাইফ। সে সময় তারা ছিলেন গ্রিসে। প্রথমবার না বলেন কারিনা। এর পর একইভাবে লাদাখেও প্রেম নিবেদন করে বসেন সাইফ। কারিনা খুব বেশি দিন মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেননি। বিয়ের আগে প্রায় পাঁচ বছর একত্রবাস করেছিলেন। কিন্তু সাইফের সঙ্গে কারিনার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই নাকি অসন্তুষ্ট হন অনেকে।

কারিনা জানান, অনেকেই ভয় দেখিয়েছিলেন, উপদেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন এই বিয়ে না করেন। তাতে তার ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবে। কাজ পেতে অসুবিধা হবে। কারিনা বলেন, ‘যখন অনেকেই আমাকে এই এক কথা বলতে শুরু করলেন, তখন তাদের বলেছিলাম, যদি সাইফকে বিয়ে করলে প্রযোজকরা কাজ না দেন, দেবেন না। মরে তো যাব না!’

যদিও বিয়ের পরও একাধিক ভালো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। শেষমেশ লোকে কী বলবে, তা না ভেবে সাইফের সঙ্গে ঘর বাঁধেন অভিনেত্রী।


হঠাৎ আলোচনায় প্রীতি জিনতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের একসময়ের শীর্ষ তারকা প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনেকটাই অনিয়মিত। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, গালে টোলপড়া হাসি দিয়ে দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলা এ অভিনেত্রীকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল ‘ভাইয়াজি সুপারস্টার’ ছবিতে। ওই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সানি দেওল। বিরতি ভেঙে ছবিটির মাধ্যমে বলিউডে ফেরার চেষ্টা করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। কারণ ‘ভাইয়াজি সুপারস্টার’ ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল।

বর্তমানে ভারতে চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এবারের আসরেও খেলছে তার দল পাঞ্জাব ইলেভেন কিংস। বর্তমানে আইপিএল ও তার দল নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই তারকা। এর মধ্যেই পুরোনো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আলোচনায় এসেছেন প্রীতি। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারের সেই ভিডিওতে তিনি স্বীকার করেছেন, স্টারকিড কিংবা বলিউডে যাদের পরিচিত কেউ নেই, তাদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মনের বিরুদ্ধে গিয়ে করতে হয় এমন কিছু কাজ, যা অনেকে কল্পনায়ও ভাবতে পারবেন না।

প্রীতি জিনতা বলেন, ‘বলিউডে ছবি পাওয়ার জন্য যতদূর খুশি যেতে পারে ছেলেমেয়েরা। যাদের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। তবে শুধু ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বলছি না, যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকলেই এ সমস্যা। সেসব ছেলেমেয়ের জন্য বলিউড নিরাপদ জায়গা নয়।’ ওই সাক্ষাৎকারে প্রীতি জানিয়েছেন, তিনি নিজেও ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডের একজন হিসেবে এমন অনেক প্রস্তাব পেয়েছেন, যা তার কাছে কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো ছিল না। তবুও হাল ছেড়ে দেননি। নিজের অভিনয়ের প্রতি বিশ্বাস ধরে রেখেছিলেন। যার সুবাদে কারও সহযোগিতা ছাড়াই চলচ্চিত্র জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। তবে এও সত্য, নেপথ্যে কেউ না থাকলে অথবা কারও সহযোগিতা ছাড়া বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করা মুশকিল।

এদিক থেকে তিনি কিছুটা ভাগ্যবতী, কারণ যারা প্রতিভাকে মূল্যায়ন করেন, তেমনি কিছু মানুষের ছত্রছায়ায় কাজ করে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। অভিনেত্রীর এ কথা যে এখনও প্রাসঙ্গিক, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তা স্বীকারও করেছেন নেটিজেনদের অনেকে।

এদিকে পুরোনো ভিডিওর সূত্রে আলোচনায় আসা প্রীতি জিনতাকে নিয়ে দর্শক কৌতূহলও বেড়ে চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, এ অভিনেত্রীকে আবারও বড় পর্দায় দেখা যাবে কিনা। যদিও এ বিষয়ে প্রীতির পক্ষ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি। তিনি এখন আইপিএলে নিজের দল পাঞ্জাব কিংসের সমর্থনে ছুটছেন এক স্টেডিয়াম থেকে আরেক স্টেডিয়ামে। এর বাইরে তিনি সময় কাটাচ্ছেন স্বামী ও যমজ সন্তান নিয়ে।

বিষয়:

নতুন লুকে অমিতাভ বচ্চন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

চলতি বছর বলিউডের সবচেয়ে প্রত্যাশিত সিনেমার তালিকায় প্রথমেই যে নামটি আসে তা হলো নাগ অশ্বিন পরিচালিত ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। এই ছবিতে রহস্যময় একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিগবি খ্যাত বলিউডের ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। নিজের রহস্যময় চরিত্রের এই পোস্টার শেয়ার করে অমিতাভ লিখেছেন, ‘এবার জানার সময় হয়েছে যে তিনি কে!’

বিজ্ঞান কল্পকাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্রটিতে প্যান ইন্ডিয়া তারকা প্রভাসের সঙ্গে প্রথমবার জুটি বেঁধেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। প্রভাস-দীপিকা ছাড়াও এই সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসানের মতো দুই মহাতারকা। সিনেমার প্রচার শুরু করে অনেক আগেই ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’-এর কিছু ঝলক সামনে এনেছিলেন নির্মাতা। এবার অমিতাভ বচ্চনের রহস্যময় চরিত্রের লুক প্রকাশ করে সিনেমাপ্রেমীদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।

পোস্টার লুকে অভিতাভকে দেখা যাচ্ছে, আপাদমস্তক কাপড়ে ঢেকে রেখেছেন, শুধু চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে। উস্কোখুস্কো লম্বা পাকা চুল-দাড়ি। একটি মন্দিরের ভেতরে বসে উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। রহস্যময় চরিত্রের এই পোস্টার শেয়ার করে টুইটারে লেখা হয়েছে ‘এবার জানার সময় হয়েছে তিনি কে!’

লুকটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভক্তরা নানা মন্তব্য করছেন। একজন লিখেছেন, ‘আগামী আপডেটের অপেক্ষা করতে পারছি না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে এই সিনেমাটির জন্য অপেক্ষা করছি।’

৬০০ কোটি রুপি বাজেটের ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমার একটি হতে চলেছে। ছবিতে ভিএফএক্সের চোখ ধাঁধানো কারিকুরি দেখা যাবে। সিনেমাটি বেশ বড় আকারে আনতে চাইছেন নির্মাতারা। অনেকেই ধরে নিয়েছেন, এ ছবি এ বছর বক্স অফিসের অনেক হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেবে। ছবিতে পৌরাণিক চরিত্র ‘কল্কি’র ভূমিকায় দেখা যাবে প্রভাসকে, আর দীপিকা আসবেন ‘পদ্মা’র ভূমিকায়।

অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আরও চরিত্রে রয়েছেন দুলকার সালমান, দিশা পাটানি, শ্বাসত চ্যাটার্জি, রাম গোপাল ভার্মাসহ অনেকে। আগামী ৯ মে সিনেমাটি মুক্তি পেতে পারে।

অমিতাভ বচ্চনকে শেষ দেখা গিয়েছিল অ্যাকশন সিনেমা ‘গণপথ: এ হিরো ইজ বর্ন’-এ। ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এ সিনেমাটি গেল বছরের অক্টোবরে মুক্তি পেয়েছিল। এ ছাড়াও তার ঝুলিতে রয়েছে কোর্টরুম ড্রামা ফিল্ম ‘সেকশন ৮৪’।

বিষয়:

banner close