মঞ্চ থেকে পরিচয় মহসিনা আক্তারের। এবার যাত্রা সিনেমাতে। মঞ্চ কিংবা সিনেমা- অভিনয় তার পছন্দের জায়গা। আজকের আলাপে সে কথাই উঠে এল।
সাক্ষাৎকার: শরীফ নাসরুল্লাহ
অভিনন্দন, সিনেমায় অভিষেক হলো
অনেক ধন্যবাদ।
কীভাবে সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন?
একেবারে অকস্মাৎ। জড়াতে চাইছিলাম কী চাইছিলাম না, তার মধ্য দিয়েই জড়িয়ে গিয়েছি। ২০২০-এ প্রথমে আমরা পেন্ডামিকের জন্য ঘর থেকে বেরই হতে পারলাম না। একটা সময় একটু শিথিল হলো। তখন আমি টাঙ্গাইলে আমার বাড়ি গিয়েছিলাম। ওখানে ফোনটা এল। আমি সত্যি বলতে এসব বিষয়ে খোঁজ রেখেছি, কাজ করতে চেয়েছি এমন না। আমি আমার কাজ নিয়ে ব্যস্তই ছিলাম। এ সময় মন্ত্রাস চলছিল এ অর্থে যে, নাটকটা আমরা শুরু করলাম। ১৭ মার্চ লকডাউনের কারণে নাটকটা বন্ধ হয়ে গেল। লকডাউনে আমি বাড়ি চলে গেলাম। যখন একটু শিথিল হলো যাতায়াত করা যায়, তখন আমি বাড়িতে ছিলাম। ওই সময় আমাকে বলল যে, এ রকম একটা চিন্তা করা হচ্ছে। এখনো বিষয়টা তারা জানে না, কী হবে। আমাকে একটা ছোট্ট স্টোরি বোর্ডের মতো পাঠানো হলো স্টোরি লাইনের। আমি এটা করতে চাই কি না। প্রথমে যিনি ফোন দিলেন একজন কাস্টিং ডিরেক্টর সুমন ভাই। তিনি বললেন, আপু আপনি যদি হ্যাঁ বলেন আমি পিপলু আর খানকে বলব। আমি বললাম, ঠিক আছে আমাকে নাম্বারটা দেন। আমিই কল করব। যেহেতু উনি সিনিয়র। ওনার সঙ্গে কখনো আমার দেখা হয়নি। সত্য কথা বলতে, তাকে আমি চিনি যখন তিনি ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’ বানান। এই সুবাদে তার নামটা ভালোভাবে জানি। আমার হ্যাঁ বলার সঙ্গে সঙ্গেই একটা নতুন নাম্বার থেকে ফোন চলে এল। পিপলু আর খান বললেন, আমি একটা প্রথমে ছোট ফিল্ম ভাবছিলাম এখন বড় ভাবছি বা অন্যকিছু, আপনি আমাদের এখানে একবার আসেন। উনি ‘রিজওয়ান’ দেখেছেন, সেটা অনেক আগে। বললেন, আমি যদি একবার যাই। সত্যি বলতে ঢাকায় আসার তখন ইচ্ছাটা অত ছিল না। কারণ এক ছুটি কাটাতে আসছি। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকব। আমি একটু গাঁইগুঁই করছিলাম। কিন্তু উনি গাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। গেলাম এই শর্তে যে, যাব এরপর চলে আসব। ওই দিন একটা সময় ওনাদের সঙ্গে থেকে চলে আসব। অডিশন বলা যেতে পারে, এ রকম আর কী। পরে এলাম। এভাবেই জড়ালাম। ওনারা যা করতে বললেন করলাম। তখন তিনি বললেন, আমরা চাই আপনি এটা করেন।
সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কী
সে সময় আসলে ঘরে থাকতে থাকতে আর অনলাইন রিহার্সেল করতে করতে জীবনের সব আশা সীমানায় চলে এসেছিল। চারদিকে সবকিছু খুলছে, শুধু থিয়েটার খুলছিল না। খোলার কথাও না, যেখানে মৌলিক চাহিদা সংকট, জীবন নিয়ে সংকট, সেখানে থিয়েটার নিয়ে ভাবার কথাও না। সে সময় আমরা প্রস্তুত হচ্ছিলাম যে, কবে ‘মন্ত্রাস’ করব। তখন এই প্রস্তাব আসা আর সশরীরে করা এটা একটা বিশাল গিফট আমার জন্য। যখন সবকিছু স্থবির, তখন আপনি সচলভাবে এটা করছেন এটা একটা বড় ব্যাপার না?
মঞ্চ না সিনেমা কোনটা চ্যালেঞ্জিং
দুইটাই চ্যালেঞ্জিং। কাজের জায়গায় পার্থক্য আছে অবশ্যই। তবে আমি অভিনেতা হিসেবে যখন জানি যে, আমার কাজটা এপারে। ক্যামেরা হোক কিংবা মঞ্চ, আমার মনোযোগ সবসময় দর্শকও না, ক্যামেরাও না। সে ক্ষেত্রে আমার ওখানটায় ঝামেলা হয়নি। সবকাজেই ঝুঁকি আছে যতক্ষণ কাজটা শেষ না হয়। এটাই ঝুঁকি যে, কাজটা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত মনোযোগ ধরে রাখা যায় কি না। আমার সব শক্তি দিয়ে কাজটা শেষ করতে পারি কি না। এই চ্যালেঞ্জ সব ক্ষেত্রেই আছে। মঞ্চে রাখঢাকের কোনো উপায় নেই, সবার সামনে দাঁড়াতে হবে। সেই তুলনায় সিনেমা অনেক বেশি ডিরেক্টরের হাতে, পরিচালক চাইলে ছোট করতে পারেন। পা কাজ করছে না, দেখলাম না। মাথা কাজ করছে না, অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলাম। মঞ্চে এই সুযোগটা থাকে না। সেই দিক থেকে বলতে গেলে, মঞ্চ কঠিন জায়গা।
পর্দায় অভিনয় কী চলমান থাকবে?
অভিনয় সেটা যেকোনো মাধ্যম হোক সবজায়গায় করব। থিয়েটারের কাজে যদি কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পর্দায় চলে গেলে অনেকেই মঞ্চ থেকে হারিয়ে যান।
এটা আমার চয়েস। আপনি যদি মনে করেন মঞ্চ না করলে আপনার হবে না। আপনি তাহলে সেখানে সময় ব্যয় করবেন। এখানে খারাপ-ভালোর কিছু নেই। এটা একেক জনের চয়েস। আমার লক্ষ্যটাই মঞ্চ ছিল। এ বিষয়ে আরও জানতে চাই, করতে চাই, করছি। একটা একটা করে ছোট ছোট স্টেপ পার করছি। শেষ পর্যন্ত আপনার পছন্দ কোনটা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
‘বিস্ময়কর সবকিছু’ কেমন চলছে?
আমরা যেটা ভেবেছিলাম যে, এ রকম থিয়েটার মানুষ দেখবে কি না। প্রথম যে শো ছিল, সেখান থেকেই অভিজ্ঞতা আলাদা। এটা ভাবার দরকার নেই যে, দর্শক দেখবে কি না। দর্শককে নিয়ে এত ছোট চিন্তা করার দরকার নেই। দর্শক তারটা বুঝুক। যদি আপনি ভালো ও প্রয়োজনীয় কনটেন্ট দেন, দর্শক দেখবে। স্পর্ধার যত নাটক করেছি, সবটিতে সাড়া পেয়েছি। কিন্তু ‘বিস্ময়কর সবকিছু’ থেকে একেবারে আলাদা অভিজ্ঞতা পেয়েছি। এখন হাতে অনেক শো। এই যে মানুষ বসে থাকে। তাদের মনে হয় না যে, দেড় ঘণ্টা হয়ে গেছে। এই যে মানবিক জায়গাটা ভাগাভাগি করা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যে একটা ব্যক্তির মনে ছাপ ফেলে যাওয়া এটা দরকার।
পেশাদার নাট্যচর্চায় আপনারা মানে স্পর্ধা নিয়ে একটা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতা কী?
অভিজ্ঞতা হলো, প্রথম হচ্ছে নাটকের একটা মান নির্ধারণ করা। নাটক দেখে দর্শক যেন তৃপ্ত হন। দ্বিতীয়, আমাদের চিন্তা আমরা গ্লোরিফাই করি, আগে যারা কাজ করতেন তারা রিকশা ভাড়া নিতেন না। এই গ্লোরিফাই করার প্রবণতা এখনো আছে। এর মানে হলো, আমি চাই আপনিও ফ্রি করেন। এই মানসিকতাগুলো বদলাতে হবে। আমি যদি ফ্রি করি, তাহলে আমাকে অন্য জায়গায় অর্থ জোগানের জন্য কাজ করতে হবে। তাহলে কাজে আমার মনোযোগ থাকবে না। থিয়েটারে সময় দিতে হবে, তাই আমার জীবনযাপনের জন্য সপ্তাহে সাত দিন সকাল-বিকেল কাজ করতে হয়। আমি তো মানুষ। আমি কতদিন এভাবে কাজ করতে পারব। সেই জায়গা থেকে আমাদের এই গ্লোরিফাই করার প্রবণতা বদলাতে হবে। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা তৈরি করতে হবে থিয়েটারে। এ কারণে আমরা ছোট ছোট পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের যে থিয়েটার দল সেখানে যদি আমরা নানা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম রাখি। যে অর্থ দিয়ে আমরা থিয়েটার করতে পারি এবং আমরা যারা সারা দিন শ্রম দেব, তারা যেন মোটামুটি একটা আয় করে জীবন চালাতে পারি। এটা সবগুলোই নিরীক্ষা। এটা সম্ভব। কারণ মানুষ এখন শিখতে চায়, জানতে চায়।
তার মানে দাঁড়ায় সাধারণত আমরা যদি পেশাদার নাট্যচর্চার চিন্তা করি, তাহলে রূপটা দাঁড়ায় এ রকম যে, একটা শো করা হলো, সেখান থেকে যে টাকা এল, সেটাই মূল অর্থ। কিন্তু ব্যাপারটা যদি এ রকম হয় যে, শোয়ের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, কর্মশালা বা আরও অন্য কিছু থাকে। সেগুলোও অর্থের উৎস হতে পারে…
অবশ্যই। আপনি দেখেন, প্রশিক্ষণ কীভাবে আপনার থিয়েটারকে লাভবান করবে। আপনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তার মানে আপনি প্রশিক্ষিত মানুষ তৈরি করছেন। অন্যদিকে আপনার সংগঠনে টাকা আসছে। আপনি যে পেশায় আসতে চাচ্ছেন সেটার একটা পথ তৈরি হচ্ছে। আবার এই টাকায় আপনি নতুন একটি নাটকও তৈরি করতে পারছেন। আবার এই নাটক দিয়ে দর্শকের কাছ থেকেও টিকিটের টাকা পাচ্ছেন। এগুলো সম্পূরক ভাবতে হবে। পরিশ্রম হয়তো অনেক হবে। কিন্তু কিছু একটা করতে চাইলে কাজ তো করতেই হবে।
নতুন আরেকটি নাটক মঞ্চে আনার কথা বলেছিলেন, তার কোনো খবর আছে?
অনুবাদ এগিয়েছে। আশা করছি আগামী বছর মার্চের দিকে আমরা নিয়ে আসতে পারব।
দর্শকের উদ্দেশ্যে আপনার কিছু বলার আছে?
অবশ্যই। আমিও দর্শকদের মতোই। কারণ আমি এখন পর্যন্ত একটি শটও দেখিনি। আমিও অপেক্ষায় আছি। সবাই ভালো কাজ দেখুক। সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে থাকুক। বাংলাদেশের সিনেমা আরও প্রসার হোক। দর্শককে পাশে থাকতে বলব।
মধুপুর বনাঞ্চলের কুল ঘেঁষা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সন্তোষপুর বনাঞ্চল। ৩ হাজার ৬৩৯ একর আয়তনের সংরক্ষিত এ বনে সামাজিক বানর, শাল,গজারী, রাবার,আগর বাগান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
ঈদকে ঘিরে যান্ত্রিক জীবনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কুরবানি ঈদের তৃতীয় দিনেও আনন্দ উপভোগ করতে সন্তোষপুর বনাঞ্চলে দেখা গেছে হাজারো মানুষের উচ্ছ্বাস। ভ্যাপসা গরম কিংবা তপ্ত রোদের তীব্রতাও যেনো থামাতে পারেনি তাদের এই আনন্দযাত্রা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সরেজমিনে সন্তোষপুর শাল, গজারি, রাবার ও আগর বাগানে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। আগত পর্যটকরা খাবার ছিটিয়ে বানরকে কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা করছেন। পরে তা আবার ক্যামেরায় বন্দি করে নিচ্ছেন। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেশের নানা প্রান্তের বিনোদন প্রেমী লোকজন পরিবার-
পরিজন ও প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠছেন। দর্শনার্থীদের এ সমাগমকে কেন্দ্র করে ফরেস্ট বিট অফিস সংলগ্ন মাঠে ভ্রাম্যমান খাবার ও বাচ্চাদের খেলাধূলার দোকানের পসরা বসিয়েছে দোকানিরা। একই অবস্থা উপজেলার পদ্মবিল খ্যাত বড়বিলা ও আলাদিনস পার্কের।
স্থানীয় হেলাল মিয়া ও আইনুদ্দিন বলেন, সন্তোষপুর রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে । এতে করে বনে থাকা বানরের খাদ্য ঘাটতিও পূর্ণ হচ্ছে।
রাজধানীর উত্তরা ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে ঘুরতে আসা রাহিম, শফিকুল ইসলামসহ একাধিক দর্শনার্থীদের দাবি সন্তোষপুর বনে প্রবেশের কাচা রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার ও স্পটটিতে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা করা হলে এ পর্যটন স্পটটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
উর্মি রানী জানান, প্রথমবারের মতো সন্তোষপুরে ঘুরতে এসেছি। এখানকার সামাজিক বানরের দল ও বনের সবুজায়ন দেখে আমি মুগ্ধ। এখানে গণশৌচাগার ও বসার নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা থাকলে আরও অনেক সুন্দর হতো।
শিল্পী আক্তার জানান, ঈদের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে এমন প্রাকৃতিক জায়গাগুলোতে ঘুরতে ফিরতে পেরে বেশ ভালোই লেগেছে। এখানে না আসলে এ সৌন্দর্য উপভোগ করার শান্তি উপলব্ধি করতে পারতাম না। রাস্তার অবস্থা ভালো হলে লোকজনের উপস্থিতি আরও বাড়বে। এতে করে এখানকার পরিবেশও উন্নত হবে। তাই সরকারের নিকট রাস্তা সংস্কার ও বসার ছাউনী তৈরীর দাবি জানান তিনি।
গারো পাহাড়ের পাদদেশে সবুজ ছায়া, অচেনা পাখির কলতান আর পাহাড়ি ঝরনার স্রোতধারায় মিলেছে মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাস। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশকেন্দ্রে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই ভিড় করছেন এই পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্রে। ভ্যাপসা গরম কিংবা তপ্ত রোদও যেন থামাতে পারেনি এই আনন্দযাত্রা।
ঈদের তৃতীয় দিন, সোমবার, গজনী অবকাশকেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায় ভ্রমণপিপাসুদের মিলনমেলা। দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। অনেকেই এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে। বিশেষ করে তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৯৯৩ সালে গজনী অবকাশকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। শেরপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কাংশা ইউনিয়নের প্রায় ৯০ একর পাহাড়ি এলাকায় বিস্তৃত এই পর্যটনকেন্দ্র। এখানে রয়েছে লাল মাটির উঁচু-নিচু পাহাড়, ঝরনা, গহিন বন, লেক, রংধনু ব্রিজ, পদ্ম সিঁড়ি, স্মৃতিসৌধ, গারো মা ভিলেজ, জলপরি, ডাইনোসর ও ড্রাগন টানেলের মতো কৃত্রিম ভাস্কর্য। শিশুদের জন্য রয়েছে চুকুলুপি পার্ক, নাগরদোলা, এক্সপ্রেস ট্রেন, সুপার চেয়ারসহ নানা রাইড। আধুনিক বিনোদনের অংশ হিসেবে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, কেবল কার, ওয়াকওয়ে, জিপ লাইনিংয়ের মতো ব্যবস্থাও।
দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে অবকাশকেন্দ্রের ঝুলন্ত ব্রিজ। ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে পাহাড়ি লেকের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দর্শনার্থীরা পান ভিন্নধর্মী অনুভূতি, এক ধরণের রোমাঞ্চ।
দায়িত্বে থাকা লুৎফর রহমান লাজু জানান, "ঈদের ছুটিতে গজনীতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। অনেকেই ঝুলন্ত ব্রিজে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন, প্রকৃতি উপভোগ করেন। তাই আমরা প্রতিদিনই ব্রিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করি। কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে দ্রুত মেরামত করি। দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন, সেজন্য আমি ও আমার সহকর্মীরা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দর্শনার্থীদেরও নিয়ম মেনে চলার জন্য অনুরোধ করি।”
কেন্দ্রটির অন্যতম আকর্ষণ, ৮০ বর্গফুট উচ্চ ওয়াচ ভিউ টাওয়ার। যেখান থেকে পুরো গজনী অবকাশ এলাকা এক নজরে দেখা যায়।
আরও রয়েছে পাতালপুরী। সিমেন্টের তৈরী একটি বিশাল বাঘের মুখ দিয়ে প্রবেশ করে পাহাড়ের ভেতর মাটির নিচ দিয়ে অন্য আরেক প্রান্ত দিয়ে বের হতে হয়। ভেতরে অন্ধকার এবং অন্য রকম এক অনুভূতি পাওয়া যায়।
এছাড়াও শেরপুর জেলা ব্র্যান্ডিং কর্নারে তুলে ধরা হয়েছে জেলার ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও ইতিহাস, বিশেষ করে বিখ্যাত তুলসীমালা চাল।
গজনী অবকাশকেন্দ্রে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ২০ টাকা, ওয়াচ টাওয়ারে উঠতে ১০ টাকা ও ঝুলন্ত ব্রীজের প্রবেশ ফি ২০ টাকা। যানবাহনের পার্কিংয়ের জন্যও নির্ধারিত হারে ফি নেওয়া হয়।
শেরপুরের শ্রীবরদি উপজেলার গৃহিণী সানজিদা জেরিন বলেন, ‘আমরা মা-ছেলে ঘুরতে এসেছি। তবে রোদ ও গরম থাকলেও আমার ছেলে ইব্রাহীমের আনন্দের কোনো কমতি নেই।’
পাশের জামালপুর জেলা থেকে সন্তানদের নিয়ে গজনীতে ঘুরতে এসেছেন ওমর ফারুক নামের এক চাকুরীজীবি। তিনি জানান, প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে ছুটি পেলেই সেখানে সপরিবার ঘুরতে যান।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমীন জানান, ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় হওয়ায় সাদাপোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
গজনী অবকাশকেন্দ্র পরিদর্শনকালে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, "গজনী অবকাশকেন্দ্র ঝিনাইগাতীর গর্ব। ঈদের ছুটিতে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিনোদনের নানা উপকরণ উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের স্বাগত জানাই। পর্যটকদের নিরাপত্তা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট। ভবিষ্যতে কেন্দ্রটির আরও উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।"
এবারের ঈদুল আযহায় চরকি তার গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসছে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক প্যাকেজ। এই এক ওটিটিতেই সিনেপ্রেমিরা পেয়ে যাবেন ভরপুর বিনোদন। সেই মহা আয়োজনের নাম ‘বিরাট গরুর হাট’। গ্রামীণফোন নিবেদিত এই আয়োজনে থাকছে দর্শকনন্দিত সেরা ৪টি চলচ্চিত্র। এগুলোর সব কটিই ইতোমধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের রোজার ঈদে। চলুন, দেখে নেয়া যাক- ঈদ আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে কোন সিনেমাগুলো আসছে চরকির পর্দায়।
.বরবাদ
এ পর্যন্ত দেশে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে দর্শক আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে সুপারস্টার শাকিব খানের ‘বরবাদ’। এটি রচনা ও পরিচালনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্দেশনায় অভিষেক ঘটে মেহেদী হাসান হৃদয়ের। ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে নজর কেড়েছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। ২০২৩-এর ব্যবসা সফল মুভি ‘প্রিয়তমা’র পর শাকিবের সাথে এটি ইধিকার দ্বিতীয় কাজ।
অ্যাকশন ছবিটির আরও এক বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন ভারতীয় অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান এবং মানব সচদেবের আইটেম গান দর্শকমহলে বেশ আলোচিত হয়।
এছাড়া নানা চরিত্রে দেখা গেছে মিশা সওদাগর, দিলারা জামান, সাম ভট্টাচার্য, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, ইন্তেখাব দিনার, রিয়া গাঙ্গুলী চক্রবর্তী, নরেশ ভূঁইয়া, নাদের চৌধুরী, এবং কাজী হায়াৎকে।
২০২৩ সালে ব্যাপক প্রতিযোগিতা করেছিলো ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’ ছবি দুটি। তারপর চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মত শাকিবের সাথে চলচ্চিত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। ঈদুল ফিতর ২০২৫-এর সেরা ছবির কাতারে অনায়াসে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে নেয় ‘দাগি’।
নিশোর প্রথম ছবি ‘সুড়ঙ্গ’-এর মত এখানেও তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন তমা মির্জা। একটি বিশেষ চরিত্রে ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল।
নির্দেশনার পাশাপাশি সিনেমার কাহিনী, চিত্রনাট্য, ও সংলাপ লিখেছেন শিহাব শাহীন। ২০১৫ সালের ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর পর এটি নির্মাতার দ্বিতীয় মুভি।
ছবির অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মনোজ কুমার প্রামানিক, গাজী রাকায়েত, মনিরা আক্তার মিঠু, মিলি বাশার, এবং রাশেদ মামুন অপু।
রোজার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্যে আরও একটি সুপরিচিত শিরোনাম ‘জংলি’। এম রাহিমের পরিচালনায় মুভিটির শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন এ সময়কার জননন্দিত তারকা সিয়াম আহমেদ। ছবিতে তার প্রধান সহশিল্পী হিসেবে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, এরফান মৃধা শিবলু, এবং সোহেল খানকে।
ঈদুল ফিতরে মোশাররফ করিমের ভক্তদের ঈদ আনন্দটা আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলো ‘চক্কর ৩০২’। সিনেমাটির গল্প লেখা থেকে শুরু করে, পরিচালনা, ও সহ-প্রযোজনা করেছেন এ সময়ের উদীয়মান অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন।
ছবিতে মোশাররফ করিমের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।
অন্যান্য কুশিলবদের মধ্যে ছিলেন ইন্তেখাব দিনার, তারিন জাহান, রওনক হাসান, মৌসুমী নাগ, শাশ্বত দত্ত্ব, সারা আলম, সুমন আনোয়ার, আহমেদ গোলাম দস্তগীর শান, ডিকন নূর, ও ফারজানা বুশরা।
ঈদুল আযহা ২০২৫-এ চরকির ‘বিরাট গরুর হাট’ হতে যাচ্ছে মহা আড়ম্বড়পূর্ণ। তা বলা বাহুল্য যে, ৪টি ছবির মধ্যে শাকিবের ‘বরবাদ’ দর্শক আগ্রহে অন্যগুলো থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকবে। তারপরেই সিনেপ্রেমিদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে নিশোর ‘দাগি’র উপর। একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহকদের আকষর্ণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সিয়াম-বুবলির ‘জংলি’। আর ‘চক্কর ৩০২’-এর জন্য মোশাররফ করিম ভক্তদের সরব উপস্থিতি থাকবে ওটিটি দর্শকমহলে। সব মিলিয়ে, এ বছরের সেরা চলচ্চিত্রগুলো আরও একবার নতুন উদ্যমে হৈচৈ তুলতে যাচ্ছে বিনোদন জগতে।
বলিউডে নিজের অবস্থান ধীরে ধীরে শক্ত করে তুলেছেন অভিনেত্রী দিশা পাটানি। ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ছবিতে সংক্ষিপ্ত উপস্থিতিতেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তৈরি করেছেন নিজস্ব পরিচিতি। অ্যাকশন ও নাচিয়ে হিসেবে দারুণ সুনাম তার। এবার সেই সুনাম ও পরিচিতি ছড়িয়ে দিতে চলেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। প্রথমবারের মতো পা রাখছেন হলিউডে, তাও আবার অস্কারজয়ী নির্মাতার ছবিতে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওটিটিপ্লে’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রায় দুই দশক পর সিনেমা পরিচালনায় ফিরেছেন খ্যাতিমান নির্মাতা কেভিন স্পেসি। তার নতুন সিনেমা ‘হোলিগার্ডস’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে দিশা পাটানিকে। ইতোমধ্যেই সিনেমাটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে মেক্সিকোর মনোরম লোকেশনে।
‘হোলিগার্ডস’ একটি সুপারন্যাচারাল থ্রিলার ঘরানার সিনেমা। থ্রিল, রহস্য আর অতিপ্রাকৃত উপাদানের সমন্বয়ে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে দিশার সহ-অভিনেতা হিসেবে রয়েছেন হলিউডের খ্যাতনামা তারকারা– ডল্ফ লুন্ডগ্রেন, টাইরেস গিবসন এবং ব্রিয়ানা হিল্ডব্র্যান্ড। এমন তারকাবহুল কাস্টিং এবং অস্কারজয়ী পরিচালকের ব্যানারে ছবিটি নিঃসন্দেহে দিশার ক্যারিয়ারে এক মাইলফলক হয়ে উঠতে যাচ্ছে।
ইতোপূর্বে দিশা নিজের ইনস্টাগ্রামে সিনেমার বিহাইন্ড দ্য সিন মুহূর্তের কিছু ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়েছিলেন। তার ফ্যানদের অনেকেই মনে করছেন, এ সিনেমা হতে চলেছে দিশার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
তবে এখনও সিনেমাটির ফার্স্টলুক কিংবা ট্রেলার প্রকাশ পায়নি। মুক্তির তারিখও নির্ধারিত হয়নি। তবে চলচ্চিত্রপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দিশার হলিউড অভিষেক কেমনভাবে আলোড়ন তোলে, তা দেখার জন্য।
রাশমিকা মান্দানা অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডে শক্ত জায়গা গড়ে তুলেছেন। এর পাশাপাশি ইতোমধ্যে তিনি নিজেকে প্যান-ইন্ডিয়া তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে এই সফলতার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক কঠিন সময়ের গল্প। সেই গল্প এবার নিজেই প্রকাশ করলেন দক্ষিণ ভারতের এ সুন্দরী অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক ফ্যান তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে রাশমিকাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কী করেন যখন জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় আসে? যখন সবকিছু ভুল হচ্ছে, বাঁচার ইচ্ছেটাও হারিয়ে যাচ্ছে... তখন কীভাবে সামলান নিজেকে?’
এই প্রশ্নের উত্তরে রাশমিকা জানান, তিনিও একসময় জীবনের খুব নিচু পর্যায়ে ছিলেন। সেখান থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেই আবেগী গল্প শেয়ার করেছেন তিনি।
রাশমিকা লেখেন, ‘আপনি শুধু নিশ্বাস নিন। নিজের চারপাশে এমন মানুষ রাখুন যাদের আপনি বিশ্বাস করেন। বিশ্বাস রাখুন, এই দিনটাও পেরিয়ে যাবে। পরদিন আবার একইভাবে দিনটাকে সামলান। একদিন দেখবেন, আপনি অনেক ভালো অনুভব করছেন। তখন নিজেকে নিয়েই গর্ব হবে। এই কঠিন সময়টাকে পেরিয়ে এসেছেন বলে।’
দেশীয় শোবিজে অংসখ্য শিল্পীর ভিড়ে একটু একটু স্পট লাইটে আসছেন তরুণ মডেল-অভিনেতা সায়র নিয়োগী। মানিকগঞ্জে বেড়ে ওঠা এই তরুণের শৈশব কেটেছে সিনেমার চরিত্রগুলোর নকল করতে করতে। সেই নেশাই আজ পরিণত হয়েছে পেশায়। পরিবারে কেউ অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত না থাকায় চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক, কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র সায়র বলেন, ‘অন্যের অভিনয় দেখে বরাবরই ভালো লাগত। কিন্তু আমার অভিনয় কিভাবে অন্যের ভালো লাগবে সেই কাজে আমাকে দক্ষ করে তুলেছে থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট, আমার ডিপার্টমেন্ট।’
গ্র্যাজুয়েশন শেষে বর্তমানে তিনি যুক্ত আছেন তীরন্দাজের সঙ্গে। সায়রের প্রথম টিভিসি ছিল বিকাশের। ভয় ছিল, কণ্ঠ শুকিয়ে যাচ্ছিল তবু নিজের সেরাটা দিতে ভোলেননি বলে জানান এই উঠতি শিল্পী। এরপর স্টার হান্টে জায়গা করে নেন সেরা ২০-এ। শোবিজে তিনি পরিচিতি পান ‘সাহেব’ নামে। ওই সময় তার পারফর্মের প্রশংসা করেন দুই বাংলার আলোচিত অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা।
অনুকরণ বা অনুসরণ নয়, বরং নিজের মতো করে এগিয়ে চলাই সায়রের আসল চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে তিনি দীপ্ত টিভির প্রচার চলতি ধারাবাহিক ‘দেনা-পাওনা’তে অভিনয় করছেন। সামনে সিনেমায়ও অভিনয়ের আভাস দিলেন নতুন এই সম্ভাবনাময় তরুণ। প্রাথমিকভাবে চরিত্রাভিনেতা হলেও সায়রের লক্ষ্য প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা। তার ভাষায়, ‘আমি চাই না, আমার করা কোনো চরিত্রে সায়র নিয়োগীকে খুঁজে পাওয়া যাক। আমি চাই, আমি যেন একদম সেই চরিত্র হয়ে উঠি।’
অভিনয়ের এই যাত্রায় তিনি অনুপ্রাণিত হন টালিউড তারকা দেব ও বাংলাদেশের শরীফুল রাজের মতো শিল্পীদের সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্পে। সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, নাটক, থিয়েটার- সবরকম প্ল্যাটফর্মেই চুটিয়ে অভিনয় করতে চান এই তরুণ অভিনেতা। আর যদি রায়হান রাফির সঙ্গে একদিন কাজ করার সুযোগ পান—তাহলেই পূর্ণ হবে তার এক অভিনয়স্বপ্ন।
না ফেরার দেখে পাড়ি জমালেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মুকুল দেব। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে দিল্লিতে তাঁর মৃত্যু হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অভিনেতা। শেষ কয়েক দিন ছিলেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। আজ ২৪ মে (শনিবার) সকালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। হিন্দি, পাঞ্জাবি, দক্ষিণ ভারতীয় ছবি ও টেলিভিশনেরও জনপ্রিয় মুখ ছিলেন মুকুল দেব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মুকুল দেব। ভর্তি ছিলেন আইসিইউ-তে। ‘সন অফ সর্দার’ সিনেমায় মুকুল দেবের সঙ্গে কাজ করা অভিনেতা বিন্দু দারা সিং মুকুলের মৃত্যুর খবরটি ইন্ডিয়া টুডে-কে নিশ্চিত করেছেন।
মনোজ বাজপেয়ী টুইট করেন, ‘আমার এই মুহূর্তে ঠিক কী অনুভূতি হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। মুকুল ছিলেন আমার আত্মিক ভাই। শিল্পী হিসাবে ওর উষ্ণতা ও আবেগ ছিল অতুলনীয়। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল, খুব অল্প বয়সে। ওর পরিবারের এই ক্ষতিতে শোকাহত। প্রত্যেকের জন্য প্রার্থনা করছি। মিস ইউ মেরি জান... যতক্ষণ না আমাদের আবার দেখা হয়, ওম শান্তি।’
প্রথম ছবি ‘দস্তক’–এ পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেন মুকুল দেব। এই ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনও। সালমান খানের সঙ্গে ‘জয় হো’ ছবিতে মুকুলের অভিনয় নজর কেড়েছিল। এ ছাড়া হিন্দি ‘সন অব সরদার’, ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘আর রাজকুমার’ ছাড়া বাংলা, মালয়ালি, পাঞ্জাবি ও মারাঠি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। টালিউড নায়ক জিৎ–এর ‘আওয়ারা’, ‘বচ্চন’, ‘সুলতান: দ্য স্যাভিয়ার’ সিনেমায় অভিনয় করেন মুকুল।
নয়াদিল্লিতে এক পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম মুকুল দেবের। তাঁর বাবা হরি দেব সেই সময়ের সহকারী পুলিশ কমিশনার ছিলেন। বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে ছোট ছেলের প্রাথমিক পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন তিনিই। হরি দেব মুকুলকে আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি পশতু ও ফারসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা। এ ছাড়া মুকুল ‘ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় উড়ান অ্যাকাডেমি’র একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাইলটও ছিলেন।
কিছুদিন আগেই কর্ণাটকে শো করতে গিয়ে কন্নড় ভাষা নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন সংগীতশিল্পী সোনু নিগম। জল গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। সেই ইস্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই কর্ণাটকের এসবিআই কর্মীর কন্নড় বলায় আপত্তির ঘটনা নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আবারও ভাষা নিয়ে উত্তাল কর্ণাটক। এবার এর রোষানলে পড়েছেন দক্ষিণী সিনেমার নায়িকা তামান্না ভাটিয়া। সরকারি সাবানের বিজ্ঞাপনী দ্যূত হিসেবে দক্ষিণী এ সুন্দরীকে বেছে নেওয়ায় বিক্ষুদ্ধ হয়েছেন কর্ণাটক রাজ্যের বাসিন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিক্ষোভের পাহাড়। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে সিদ্দারামাইয়ার সরকারকে। প্রতিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিতর্কের কারণে শেষমেশ মুখ খুলতে বাধ্য হলেন কর্ণাটকের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী এমবি পাতিল।
সম্প্রতি তামান্না ভাটিয়ার নাম কর্ণাটকের সরকারি সাবান ‘মাইসোর স্যান্ডেলর বিজ্ঞাপনী দ্যূত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকেই প্রতিবাদের ঝড়। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বাসিন্দাদের দাবি, কন্নড় চলচ্চিত্রের কোনো নায়িকাকে না বেছে কেন তামান্নাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হলো? প্রশ্ন তুলে একই কণ্ঠে আওয়াজ তুলেছে কর্ণাটকবাসীর একাংশ। অনেকে আবার কন্নড় অভিনেত্রী রুক্মিণী বসন্তের নামও প্রস্তাব করেছেন। জানা গেছে, ‘মাইসোর স্যান্ডেল’ সংস্থার সঙ্গে দুবছরের চুক্তি হয়েছে তামান্নার। যার জন্য মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন তিনি।
একটি সূত্রে জানা গেছে, ৬.২০ কোটি রুপিতে চুক্তিবদ্ধ হন তামান্না। তবে এ প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষিণী সুন্দরীকে নির্বাচন করলেও সেটি ভালো মনে নেয়নি কর্ণাটকবাসীদের একাংশ। এরপর প্রতিবাদের আগুন তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে। বিপাকে পড়ে সবশেষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামতে হয় মন্ত্রী এমবি পাতিলকে। তার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে তিনি তামান্না ভাটিয়াকে বিজ্ঞাপনী দ্যূত হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পাতিলের ভাষ্য, কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি আমাদের সম্পুর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। এমনকি কিছু কন্নড় সিনেমা তো বলিউড সিনেমার ব্যবসাকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে। মাইসোর স্যান্ডেল কর্ণাটকে খুব জনপ্রিয় এক প্রসাধনী সংস্থা। এবার সেই জায়গাটা আরও পোক্ত করতে হবে। ‘তবে এবার মাইসোর স্যান্ডেলের ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর স্টেট সেক্রেটারি স্টাইন রেনাটে হাহেইমের নেতৃত্বে একটি নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদল আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়। এতে নরওয়ের দূতাবাসের সিনিয়র উপদেষ্টা গানহিল্ড এরিকসেন, ক্রিস্টিন লুন্ডেন ও রাষ্ট্রদূত আরাল্ড গুলব্রাডসেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য শক্তি, বন সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী নবায়নযোগ্য শক্তি নীতির প্রশংসা করে নরওয়েজিয়ান দল। রিজওয়ানা হাসান জানান, জলবায়ু তহবিলের সুষম বণ্টন, লবণাক্ততা ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সুপেয় পানি ও অভিযোজন প্রকল্পে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
বন ও নদী সংরক্ষণ বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের নদী ও বনাঞ্চল রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। জলবায়ু তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড় অংশ এখানেই ব্যয় করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, ভূমি পুনরুদ্ধার ও বনায়নের মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। এছাড়া কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের পরিবেশগত ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি উল্লেখ করেন, এই শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণ এখনও উদ্বেগজনক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কার ছাড়া এটিকে 'সবুজ' হিসেবে প্রচার করা যায় না। নরওয়ের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও নীতিগত সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
নরওয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। রিজওয়ানা হাসান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দুর্নীতি কমানোর মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হলো দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা। আমরা নদী ও বন রক্ষায় কাজ করছি, কিন্তু জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের মতো ক্ষেত্রে পরিবেশ ও মানবাধিকারের প্রশ্নে আপস করব না।
স্টাইন রেনাটে হাহেইম বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতের অগ্রগতিতে গভীরভাবে সমর্থন জানায়। আমরা টেকসই উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
উভয় পক্ষ জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, বন সংরক্ষণ ও সবুজ শিল্পের প্রসারে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আলোচিত চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার বলেন, ‘দুপুরে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে সেগুলো যাচাই-বাছাই ও নতুন মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার নুসরাত ফারিয়াকে সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকালে নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত রোববার নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়।
নারী নির্যাতনের একটি মামলায় সঙ্গীতশিল্পী মামলায় মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার তালিবুর রহমান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডেমরার স্টাফ রোড এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় নারী নির্যাতনে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
যোগাযোগ করা হলে ডেমরা পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান ইউএনবিকে জানান, ‘ইসরাত জাহান প্রিয়া নামে ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর সাথে রুবেলের টেলিফোনে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে প্রায় সাত মাস আগে রুবেল প্রিয়াকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কীর্তন করে টেমরা থানার অধীন আমতলা নামক স্থানে একটি ফ্লাট বাসায় রাখে। বিগত সাত মাসে প্রিয়ার সাথে সম্পর্ক করে এবং পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি।’
সম্প্রতি প্রিয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যেটা দেখে প্রিয়ার বাবা-মা ডেমরা থানা যোগাযোগ করেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত দশটায় আমতলার বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রিয়াকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু রুবেল সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে প্রিয়া ডেমরা থানা এসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেল তখন একটি গাড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
বাংলাদেশের গায়ক হলেও নোবেল খ্যাতি অর্জন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলা চ্যানেলের গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’ থেকে। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় জিততে না পারলেও তৃতীয় হন নোবেল, আর নিজের সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে খুব সহজেই দুই দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর থেকে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলেও এই আলোচিত গায়কের সুখ্যাতি নিমেষেই নষ্ট হয়ে যায় তার ব্যক্তিগত জীবন সবার সামনে আসার পর। স্ত্রীকে মারধর, মাদক সেবন, মদের ঘোরে ভাঙচুর, টাকা নিয়ে শো করতে না যাওয়া—এমন নানা অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ হন নোবেল।
২০১৯ সালে মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। পরবর্তীতে খ্যাতির মধ্যে থাকা অবস্থায় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিক্ততা শুরু হয় স্ত্রীর সঙ্গে, যার শেষ পরিণতি হয় বিচ্ছেদ।
২০২৩ এর নভেম্বরে অন্যের স্ত্রী ফারজানা আরশির সাথে অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে নোবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তিনি আবারও বিয়ে করেছেন। পরবর্তীতে ফারজানা আরশি পুলিশের কাছে গায়কের নামে অভিযোগ দায়ের করে জানান যে নোবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি, জোর করে গোপালগঞ্জের বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এরপরে মাদক খাইয়ে ওই অন্তরঙ্গ ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো।
ব্যক্তিগত জীবনের বাইরেও একই বছর শরীয়তপুরের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে অর্থ নিয়েও না যাওয়ায় ঢাকার মতিঝিল থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালে বেশ কিছু মাস রিহ্যাবে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পর নোবেল সম্প্রতি আবারও গানের জগতে ফিরে এসেছিলেন এবং বেশ কিছু নতুন গানের কাজ করছিলেন।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানসূচক পুরস্কার গ্রহণের আগে সোমবার একজন আলোকচিত্রীর সাথে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয় হলিউড তারকা ডেনজেল ওয়াশিংটনের।
ফ্রান্সের কান থেকে এএফপি জানায়, ৭০ বছর বয়সী ওয়াশিংটন নিউ ইয়র্কের পরিচালক স্পাইক লির সাথে তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘হাইয়েস্ট টু লোয়েস্ট’ এর প্রিমিয়ার শো দেখার জন্য প্রথমবারের মতো উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।
দুইবারের অস্কারজয়ী এই অভিনেতাকে প্রদর্শনীর আগে সম্মানসূচক পাম ডি'অর প্রদান করা হয়। সহ-অভিনেতা এসাপ রকি ও তার সঙ্গী রিহানা ভিআইপি হিসেবে তার সঙ্গে ছিলেন।
দর্শকদের একজন এএফপিকে জানান ওয়াশিংটন বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ অবাক করা। আমি খুবই আবেগে আপ্লুত।’
এর আগে লাল গালিচায় একজন আলোকচিত্রীর সাথে প্রবীণ অভিনেতার মুখোমুখি হতে দেখা গেছে।
এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার সময় ফটোগ্রাফার অভিনেতার হাত ধরে ফেলেন। ওয়াশিংটন তাকে ঝাঁকি দিলেন ও তার দিকে আঙুল তুলে কয়েক বার বলেন, ‘থামো’ (স্টপ ইট)।
তবে এই অদ্ভুত ঘটনা সত্ত্বেও, তার এবং লির ছবির প্রশংসায় ওয়াশিংটনের মেজাজ নিঃসন্দেহে উজ্জীবিত হয়েছে।
প্রখ্যাত জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক,আকিরা কুরোসাওয়া’র পরিচালিত ১৯৬৩ সালের চলচ্চিত্র ‘হাই অ্যান্ড লো’-এর ছায়া অবলম্বনে, ‘হাইয়েস্ট টু লোয়েস্ট’ ছবিটি সম্পর্কে আমেরিকান বাণিজ্য ও বিনোদন ভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য হলিউড রিপোর্টার বলেছে ছবিটি‘ বুদ্ধি, উচ্চ শৈলী ও গতিময়তা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
জামিন পেয়েছেন আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। মঙ্গলবার (২০ মে) বিশেষ সাবমিশন শেষে তাকে জামিন দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
নুসরাত ফারিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন ইউএনবিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ আমাদের সাবমিশনে সন্তুষ্ট হয়ে অবশেষে চলচ্চিত্র নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করলেন।’