রোববার, ২৮ মে ২০২৩

আজিম মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলে শান্তিতে মরতে পারতাম: সুজাতা

আজিম ও সুজাতা
আপডেটেড
২৬ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫০
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক

ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ছিলেন আজিম। তার অভিনীত সিনেমার মধ্যে আছে ‘হারানো দিন’, ‘নতুন সুর’, ‘মেঘ ভাঙ্গা রোদ’, ‘ডাকবাবু’, ‘সাত ভাই চম্পা’ ও ‘ভানুমতি’। পরিচালিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে—‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘জীবন মরণ’, ‘বদলা’, ‘গাদ্দার’, ‘দেবর ভাবী’। ‘মালা’, ‘ডাকবাবু’, ‘আমির সওদাগর’, ‘ভেলুয়া সুন্দরী’, ‘মধুমালা’, ‘রাখাল বন্ধু’ প্রভৃতি ছবিতে নায়ক ছিলেন আজিম।

তিনি ১৯৩৭ সালের ২৩ জুলাই সিলেটের হবিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন মুন্সেফ। তাই আজিমের শৈশব-কৈশোর কাটে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। পরবর্তীতে ঢাকার হাটখোলার ভবগতী ব্যানার্জী রোডে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে আজিমের পরিবার। ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

আজ এই চলচ্চিত্রাভিনেতার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাকে নিয়ে লিখেছেন স্ত্রী অভিনেত্রী সুজাতা। সেই লেখার অংশবিশেষ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

আজিম একজন বরেণ্য অভিনেতা ছিলেন। তাকে হারিয়ে এই ২০ বছরে শুধু একটি কথাই বারবার মনের মধ্যে উচ্চারিত হয়, তার কি একটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও প্রাপ্য নয়! মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কে রাষ্ট্র এত বছরেও স্বীকৃতি দিতে পারল না! এটা নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, চরম দুঃখবোধ আছে।

আমার এক ছেলে ফয়সাল আজিম, পুত্রবধূ, দুই নাতি—এদের নিয়ে জীবনযাপন। জানি না আমি কতদিন বাঁচবো, আমার বয়সও তো কম হলো না। তবে এই দুঃখবোধ নিয়েই কি মরতে হবে! যদি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় পেতেন, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতেন—হয়তো স্ত্রী হিসেবে শান্তিতে মরতে পারতাম। আমার সন্তান নাতিরা গর্ব নিয়ে বাঁচতে পারতো।

একজন যথার্থ মানুষকে সম্মাননা না দেয়ায় রাষ্ট্রের দায় থেকে যায়। আজিম অস্ত্র হাতে ময়দানে যুদ্ধ করেননি। তবে তিনি ছিলেন অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধ করা যোদ্ধাদের চরম সময়ের বন্ধু। জীবন বাজি রেখে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাই বলতেই পারি, একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালে দুই হাত বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন।

উনি মুক্তিযোদ্ধাদের কীভাবে সাহায্য করতেন কিছু উদাহরণ দেই।

আমাদের ১৯৬৭ সালে বিয়ে হয়। ১৯৭১ সাল চলে আসে। সারাদেশে যুদ্ধ চলছে। শাশুড়ির কথায় আমাকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। তখন গাড়িটির দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা। একমাস আগে কিনে দেয়া নতুন গাড়িটি বিক্রি করে সব টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে দেন। আমাকে বলেছিলেন, সবার আগে প্রয়োজন দেশ, গাড়ি বেঁচে থাকলে কেনা যাবে। তখন তো শুটিং বন্ধ ছিল। যুদ্ধ চলছে। হাতে তো ওভাবে টাকা ছিল না। যেভাবে সম্ভব হয়েছে আজিম টাকা জোগাড় করে দিতেন।

একদিন এক মুরগিওয়ালা এসেছেন। তার কাছ থেকে দুইটা মুরগি নিলেন, আর অনেক টাকা দিলেন। আমার চোখে পড়লো। বললাম, এত টাকা দিলেন আর দুইটা মুরগি নিলেন? উনি আমাকে ডেকে ঘরে নিয়ে গিয়ে বললেন, আস্তে কথা বলো। উনি মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযোদ্ধারা নানা ধরনের বেশে আসতেন, আজিম ওনাদের কী সাহায্য করবেন তা জোগাড় করে রাখতেন।

আমি একটি বই লিখেছি ‘শিমুলির একাত্তর’ নামে, সেখানেও এই কথাগুলো আছে। সেখানে আরও বিস্তারিত আছে। এখনো বেঁচে আছেন সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। উনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। উনি জানেন আজিমের অবদান। বিচিত্রার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর ছোট ভাই ফতেহ আলীও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তারাও জানেন এইসব ঘটনা। এমন অনেকে আছেন যাদের হয়তো তখন আমি চিনে উঠতে পারিনি।

অভিনেত্রী সুমিতা দি থাকতেন এফডিসির ফ্লোরে, তাকে সাহায্য করতেন গিয়ে। চিত্রপরিচালক প্রদীপ দে এখনো বেঁচে আছেন—উনিও জানেন আজিম সাহেবের অবদান।

স্বাধীনতার পরে আমরা আবার শুটিং শুরু করলাম। কয়েকজন স্বনামধন্য পরিচালক ও এফডিসিকে আজিম উপহার দিয়েছেন। যেমন ইয়ার খান, আকবর কবির পিন্টু, আকবর হুদা মিন্টুকে পরিচালক বানিয়েছেন।

জসিম ওনার হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসেছেন। জসিমের ‘দোস্ত দুশমন’ ছবির প্রায় সমস্ত ব্যয় উনি করেছিলেন। জসিম শুধু ১০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। তখন এত ট্রান্সপোর্ট ছিল না। উনি নিজের গাড়ি দিয়ে শুটিংয়ের পর শিল্পী কলাকুশলীদের পৌঁছে দিতেন। তার কাছে কিছু চেয়ে কেউ কোনো দিন খালি হাতে ফেরেননি। এতটাই উদার মনের ছিলেন তিনি।


‘অন্তর্জাল’ দেখার পর তরুণরা লুমিন হতে চাইবেন

‘অন্তর্জাল’ সিনেমার পোস্টার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

সাইবার যুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘অন্তর্জাল’। দীপঙ্কর দীপনের সাইবার থ্রিলার এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এই ঈদুল আজহায়। এই ছবিতে অভিনেতা সিয়াম আহমেদকে পাওয়া যাবে লুমিন চরিত্রে। যিনি দেশসেরা নিভৃতচারী এক প্রোগ্রামারের চরিত্রে আছেন।

গত শুক্রবার একটি পোস্টার শেয়ার করে সিয়ামও জানিয়ে দিলেন তার চরিত্রের কথা। সেই সঙ্গে জানালেন লুমিন চরিত্রটি তার অসম্ভব প্রিয় ও ভালোবাসার একটি চরিত্র।

সিয়ামের ভাষ্য, সিনেমায় লুমিন একজন প্রোগ্রামার। চরিত্রটা যখন আমি পাই, তখন দীপঙ্করদা আমাকে একজন সত্যিকারের লুমিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আমি সেই লুমিন হয়ে উঠার চেষ্টা করি।

সিয়াম বলেন, ‘আমার-আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা পড়াশোনা শেষ করার পর ভালো সুযোগের আশায় বিদেশে পাড়ি জমায়। লুমিন রাজশাহীর একটা ছেলে। এই ছেলেটির আমেরিকা-কানাডায় গিয়ে পড়াশোনা করে পরিবারসহ সেটেল হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু লুমিন সেটা করে না। লুমিন চলে যায় সাঁওতাল পল্লীতে। ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রোগ্রামিং শিখিয়েছে। আমার মনে হয় এটাই বাংলাদেশ।’

অন্তর্জাল দেখার পর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মে লুমিনের মতো অনেকে হতে চাইবেন। এটাই চরিত্রটির সার্থকতা বলে মনে করেন ঢাকাই ছবির এই নায়ক।

‘অন্তর্জাল’ চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন দীপংকর দীপন, সাইফুল্লাহ রিয়াদ ও আশা জাহিদ। চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সরকারের আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে নির্মিত এই সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মোশন পিপল স্টুডিও। সার্বিক সহযোগিতায় স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট।


কী হচ্ছে সৃজিত-মিথিলার সংসারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি থাকে না। এবার ব্যক্তিজীবন নিয়ে গুজবের মধ্যে পড়লেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। কিছুদিন আগেও কানাঘুষো চলছিল সৃজিত-মিথিলার সম্পর্কে গোলযোগ ঘটেছে। কিন্তু সেই খবরে তেমন একটা পাত্তা দেননি এই জুটি। এবার তাদের এই হাঁড়ির খবরে নতুন করে সুর তুলছে কলকাতার প্রথম সারির একটি গণমাধ্যম।

গত শুক্রবার গণমাধ্যমটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে সৃজিত কিংবা মিথিলার নাম ও ছবি উল্লেখ না করে এক তারকা দম্পতির সম্পর্ক ভাঙার খবর দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আর মাত্র দুই মাস, তার পরই টালিউডের খ্যাতনামা পরিচালকের ঘর ছাড়বেন স্ত্রী। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, স্বামী-নির্মাতা নতুন এক নারী সঙ্গী পেয়েছেন। তবে আকার-ইঙ্গিতে যা বোঝানো হয়েছে, তাতে নেটিজেনদের মন্তব্য, তির ছোড়া হয়েছে মিথিলা ও সৃজিতের দিকে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘একজন টালিউডের হিট পরিচালক। অন্যজন অভিনেত্রী। সীমান্ত পেরিয়ে প্রেম, তারপর বিয়ে। মাঝে একটা বছর ভালোই চলছিল সব। কিন্তু টালিপাড়ার পরিচালকের মন যে উড়ুউড়ু। কখনো অভিনেত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন, কখনো আবার ‘এক্স’কেই প্রেম বানিয়েছেন। তবে বিয়ে করে ঘর বেঁধেছিলেন। কিন্তু খুব বেশি দিন আর এগোয়নি তাদের একসঙ্গে পথচলা। তার আগেই গুঞ্জন, ভাঙন ধরেছে সম্পর্কে। দ্বিতীয় নারীর প্রবেশ ঘটেছে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। যদিও আগেরবারের মতো কোনো অভিনেত্রী নন, পরিচালকের মনে মজেছে ক্যামেরার নেপথ্যে থাকা এক কম বয়সী নারীতে।’

সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘পরিচালকের স্ত্রীর অবশ্য শুধুই যে অভিনয় ধ্যানজ্ঞান, এমনটা নয়। নিজের অন্যান্য কাজের কারণে দেশের বাইরেই কাটাতে হয় অনেকটা সময়। পরিচালক সেই ফাঁকেই মন দিয়েছেন অন্য কোথাও। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের কানাঘুষা, আজকাল পার্টিতে সারাক্ষণ নতুন নারীই নাকি পরিচালকের সঙ্গী। সে খবর পৌঁছেছে তার স্ত্রীর কাছেও। অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইচ্ছা ছিল এই দেশে। সেই মতো বেশ কিছু ছবি ও সিরিজও করেন। তবে সঙ্গ দিলেন না স্বামী!’

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর যোগাযোগ করা হয় রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার সঙ্গে। তবে মিথিলা বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই খবরের সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই। খবরে কি আমার নাম আছে?’ বোঝা গেল এই গুঞ্জন খুব একটা গায়ে জড়ালেন না অভিনেত্রী। আবার এই বিষয়ে সরাসরি মুখও খুললেন না তিনি।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে সৃজিত-মিথিলার বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তখনো তারা গুঞ্জনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। মিথিলা জানিয়েছিলেন, কাজের সূত্রে তারা দুজনই ভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেন। এ কারণে তাদের একসঙ্গে দেখা যায় না।

বিয়ের পর প্রায়ই পারিবারিক কিংবা পেশাগত বিভিন্ন আয়োজনে একসঙ্গে দেখা দিতেন মিথিলা ও সৃজিত। এ ছাড়া কন্যা আইরাকে নিয়ে ঘুরতেও যেতেন। সেসব ছবি শেয়ার করে নিতেন অনুসারীদের সঙ্গে। তবে মিথিলার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ডিসেম্বরের পর থেকে তাদের একসঙ্গে কোনো ফ্রেমে পাওয়া যায়নি।


যাত্রা শুরু করলো ‘পাঠশালা ফিল্ম ক্লাব’

আপডেটেড ২৭ মে, ২০২৩ ১৯:১৯
বিনোদন প্রতিবেদক

পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘পাঠশালা ফিল্ম ক্লাব’। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ প্রাথমিকভাবে ১২ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার পান্থপথের দৃক পাঠ ভবনে দুপুর ২টায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা মৃণাল সেনের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনে এ ক্লাব গঠন ও সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পাঠশালা ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাঠশালার ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন একই ব্যাচের শিক্ষার্থী শিশির বিন্দু বিশ্বাস। সহ-সভাপতি পদে আছেন পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরীফ নাসরুল্লাহ ও চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী কুলসুমা বেগম।

ক্লাবের নির্বাহী সম্পাদক হয়েছেন পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহীম খলিল, অর্থ-সম্পাদক হয়েছেন ডিরেকশন কোর্সের শিক্ষার্থী রওনক মুরাদ, চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষর্থী রুহিনা ফেরদৌস হয়েছেন প্রকাশনা সম্পাদক। আর প্রচার সম্পাদক হয়েছেন তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম। এছাড়া প্রশিক্ষণ ও অনুষ্ঠান সম্পাদক হয়েছে চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুকান্ত কুমার এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারহানা সেতু।

সিনেমাটোগ্রাফি প্রফেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন দপ্তর সম্পাদক হিসেবে। এছাড়া কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্ক্রিনপ্লে অ্যান্ড ডিরেকশন প্রফেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থী শিকড় চৌধুরী, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান, পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসান তারেক এবং চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজিয়া রহমান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে পাঠশালা ক্লাবের পাঁচ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ খ ম হারূন আল রশিদ, পাঠশালার ফটোগ্রাফি বিভাগের হেড অব ডিপার্টমেন্ট খন্দকার তানভীর মুরাদ তপু, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক এন রাশেদ চৌধুরী এবং এডিটিং বিভাগের শিক্ষক ময়ুখ আল বারী।

দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে গত শুক্রবার মৃণাল সেনের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক মাহমুদুল হোসেন। মৃণাল সেনের ওপর ‘মৃণালের চোখে মৃণাল’ শিরোনামে প্রবন্ধ পাঠ করেন চলচ্চিত্র বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ নাসরুল্লাহ। অনুষ্ঠান শেষে প্রদর্শিত হয় মৃণাল সেনের নির্মিত চলচ্চিত্র ভুবন সোম (১৯৬৯)।

দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শনিবার সকাল ১১টায় মৃণাল সেনের নির্মিত চলচ্চিত্র পদাতিক (১৯৭৩) প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হয়। মৃণাল সেন ও তার চলচ্চিত্রের ওপর ক্লাস নেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক ও শিক্ষক মইনুদ্দীন খালেদ। মুক্ত আলোচনার পর ৫টা ৪৫ মিনিটে মৃণাল সেনের আকালের সন্ধানে (১৯৮২) প্রদর্শনের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান শেষ হয়।


প্রথমবারের মতো নাটকের গানে কণ্ঠ দিলেন খায়রুল বাসার

খায়রুল বাশার।
আপডেটেড ২৭ মে, ২০২৩ ২০:২১
বিনোদন প্রতিবেদক

বেশকিছু নাটক ও ওয়েব কন্টেন্টে কাজ করে ছোটপর্দার প্রিয় মুখ হয়ে উঠছেন অভিনেতা খায়রুল বাসার। এবার প্রথমবারের মতো একটি নাটকের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই অভিনেতা।

নাটকের নাম ‘প্রিয় লাইলী’। ‘ভালোবাসতে শেখাও আরও’এই গানটির কথা লিখেছেন রোহিত সাধু খান। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন সজীব খান।

প্রথমবারের গানে কণ্ঠ দেয়া প্রসঙ্গে খায়রুল বাসার বলেন, ‘গানটিতে কন্ঠ দেয়া অনেকটা জোর করেই। যেহেতু সঙ্গীতের ছাত্র ছিলাম আগে একটু টুকটাক গান গাইতাম। অনেকদিন পর গানটিতে কণ্ঠ দিলাম, চেষ্টা করলাম আরকি। কেমন হয়েছে তা দর্শক বলতে পারবে। আশা রাখছি ভালো লাগবে।’

অনুপম দাসের রচনায় ‘প্রিয় লাইলী’ নাটকটির গল্প লিখেছেন খায়রুল বাসার নিজেই। নাটকটি পরিচালনা করেছেন জামাল মল্লিক। নাটকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, নাটকটির নব্বই দশকের গল্প। যেখানে সরল একটা প্রেমের গল্প। টিউশন মাস্টার এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেম হয়। মেয়েটার বাবা ছিল খুব প্রভাবশালী। যখন তাদের প্রেমের খবর জানতে পেরে যায় বাবার হাতে তাদের চিঠি পড়ে যায়। তখন মেয়েটার বাবা একটি নীরব গেম খেলে, যেটি তাদের মধ্যে কেউই জানতে পারে না। একপর্যায়ে তাদের প্রেম ভেঙে যায় এবং ছেলেটি পাগল হয়ে যায়। এভাবেই চলবে নাটকের গল্পটি।’

কিছুদিন আগে মানিকগঞ্জে নাটকটির শুটিং শেষ হয়। নাটকটিতে জুটি বেঁধেছেন সাদিয়া আয়মান ও খায়রুল বাসার। নাটকটি আসন্ন ঈদুল আজহায় প্রচারিত হবে।


‘টাইগার থ্রি’র শুট ভীষণ হেকটিক ছিল

এই বছর দীপাবলিতে ‘টাইগার থ্রি’ নিয়ে আসছেন সালমান খান
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অবশেষে শেষ হলো ‘টাইগার থ্রি’র শুটিং। এই বছর দীপাবলিতে ‘টাইগার থ্রি’ নিয়ে আসছেন সালমান খান এবং ক্যাটরিনা কাইফ। ছবির শুটিং শেষ করলেন সালমান। শুটিং শেষে নিজেই ভক্তদের জানালেন সে খবর। সালমান জানালেন, এই ছবির শিডিউল ভীষণই হেকটিক ছিল। একই সঙ্গে তিনি আশা করছেন, এই বছরের দীপাবলির সময় মুক্তি পাবে ছবিটি।

গত বৃহস্পতিবার বলিউডের একটি পুরস্কার অনুষ্ঠানের সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে সালমান খান বলেন, ‘গত রাতে আমি টাইগার থ্রির শুটিং করছিলাম। অবশেষে এই ছবির শুটিং শেষ হলো। আশা করছি, এই ছবি আগামী দীপাবলিতে দেখা যাবে। ভীষণ হেকটিক শুট ছিল। যদিও ভীষণ ভালো হয়েছে।’

আপাতত অভিনেতা কিছুদিনের জন্য আবুধাবিতে থাকবেন। তাকে পুরস্কার অনুষ্ঠানের মঞ্চে পারফর্ম করতে দেখা যাবে। এই শোয়ের তিনিই শো স্টপার। তবে এদিনের এই প্রেস কনফারেন্সে শুধু সালমান খান ছিলেন না। তার সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বচ্চন, ভিকি কৌশল, ফারাহ খান, রাজকুমার রাও। এই অ্যাওয়ার্ড শোতে সালমানের সঙ্গে রাকুল প্রীত সিং, নোরা ফাতেহি, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজসহ অনেকেই পারফর্ম করবেন।

সালমান খানকে সেদিন মুম্বাই বিমানবন্দরে দেখা যায়। একদম নতুন লুকে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে এক খুদে ভক্ত তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাকে আলিঙ্গন করেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

‘টাইগার থ্রি’ ছবি পরিচালনা করেছেন মণীশ শর্মা। সালমানের সঙ্গে এখানে ক্যাটরিনা কাইফ, ইমরান হাশমিকে দেখা যাবে। এ ছাড়া আরও একটি চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখ খানকে। এই ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে থাকবেন তিনি। এখানে তাদের বেশ কিছু দুর্ধর্ষ অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যাবে। আগামীতে ছবিটি হিন্দি, তামিল এবং তেলুগু ভাষায় মুক্তি পাবে।


শুধু সিনেমা মুক্ত হয়নি, আমিও মুক্ত হয়েছি!

যুবরাজ শামিম
আপডেটেড ২৭ মে, ২০২৩ ১১:৪৫
অপূর্ণ রুবেল

গতকাল রাজধানীর দুটি ও নারায়ণগঞ্জের একটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে যুবরাজ শামিম পরিচালিত সিনেমা ‘আদিম’। এরই মধ্যে ছবিটি গত বছর মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি হিসেবে অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। দেশে মুক্তির পর কেমন দেখছেন দর্শক? এসব নিয়েই দৈনিক বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন পরিচালক যুবরাজ শামিম

দেশের তিনটি হলে আপনার প্রথম সিনেমা আদিম মুক্তি পেয়েছে। আপনি হলে হলে ঘুরছেনও। দর্শকদের কেমন সাড়া পেলেন?

নানা কারণেই সিনেমাটির প্রচারণা করতে পারিনি। আমাদের ছবিতে কোনো তারকা অভিনয়শিল্পী নেই। প্রচারণা করতে যে পরিমাণ অর্থ লাগে সেটাও নেই। আমরা স্পন্সরের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পাইনি। তবুও কিছু মানুষ আমাদের ছবিটি দেখতে আসছেন- এটাও আমাদের জন্য খুব আনন্দের। যেমন গতকাল (শুক্রবার) যমুনায় সকালের শোতে ১৫-২০ জন, নারায়ণগঞ্জের ৩৫ আসনের হলে ২৫ জন দর্শক এসেছিল। আর দুপুরের পর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সের শোতে ৫০ জনের বেশি দর্শক ছিল। এটা আমাকে খুবই অভিভূত করেছে। আমার ধারণা ছিল ৪-৫ জন দর্শক হবে হয়তো। কিন্তু পরিচিত লোকজনের বাইরে অনেকেই এসে ছবিটি দেখেছেন।

ছবিটি দেখার পর দর্শকের কোনো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন?

যারা শেষ পর্যন্ত দেখেছেন সবাই খুব প্রশংসা করেছেন। অনেকেই আবার ছবি চলাকালীন মাঝপথে উঠে বের হয়ে গেছেন। তাদের কাছে হয়তো ছবিটি ভালো লাগেনি। তবে আলাদা করে একজনের কথা বলতে পারি, তিনি ছবি শেষ করে আমার সঙ্গে পরিচিত হলেন। তারপর বললেন, ছবিটির এত কম প্রচার করলেন কেন? এটি একটানে বসে দেখার মতো ছবি। আমরা ফেস্টিভ্যালে যাওয়া মানে যেরকম ছবি ভাবি, এটা সেরকম না। ভালোমতো প্রচার করলে আরও মানুষ দেখত।

আমরা যতদূর জানি, বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে আপনি সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। আজ অনেক যুদ্ধ অর্জনের পর ছবিটি মুক্তি পেল। কেমন লাগছে?

সবাই তো জানেন ছবিটি কাছের মানুষদের অর্থায়নে নির্মাণ করেছি। অনেক মানুষ সিনেমার শেয়ার কিনেছেন। আজ নিজের কাছে অবাক লাগে, আমার মতো একজন অচেনা-অজানা মানুষের ওপর এতগুলো মানুষ আস্থা রেখেছেন। ২০১৭ সালে যখন ছবিটা শুরু করি, তখন সবাই ভালোবেসে পাশে থেকেছেন। এটা আমার জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের। যারা আমার ছবিতে বিনিয়োগ করেছেন, সবাইকে বলে নিয়েছি তারা আমার ছবির লাভ-ক্ষতি দুটিরই পার্টনার। কারণ তারা শুরু থেকেই আমার সঙ্গে ছিলেন। তাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে। আরেকটা কথা বলতে চাই, আজ শুধু আদিম মুক্তি পায়নি। আমিও মুক্তি পেলাম। এখন অন্য কাজে মন দিতে পারব। নতুন সিনেমা নিয়ে এগোতে পারব।

আপনার আদিম সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা সবাই প্রায় অচেনা-অজানা মানুষ। তারা কেমন অভিনয় করেছেন বলে আপনার মনে হয়?

দেখুন আমার অভিনয়শিল্পীরা সবাই টঙ্গীর বসতি এলাকায় থাকেন। তাদের ঠিকমতো বুঝিয়ে অভিনয়ে নিয়ে এসেছি। একটা কথা বলি, আমি যতটুকু যেভাবে চেয়েছি, সেটাই তারা করেছেন। আমি সন্তুষ্ট।

বিষয়:

আলিয়া এবার বাঙালি মেয়ে

আলিয়া ভাট
আপডেটেড ২৬ মে, ২০২৩ ১৬:৩২
বিনোদন ডেস্ক

২৫ মে করণ জোহরের জন্মদিন। এই বিশেষ দিনেই প্রকাশ্যে এল পরিচালকের নতুন ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানির’ প্রথম ঝলক। ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রণবীর সিংহ ও আলিয়া ভাট। তাদের লুক ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তবে টালিপাড়া থেকে এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন টোটা রায় চৌধুরী ও চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়।

এ যাবৎ নির্মাতাদের তরফে এই ছবি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলা নিষেধ ছিল। বিভিন্ন সময়ে টালিপাড়ায় গুঞ্জন শোনা গিয়েছে, টোটা এবং চূর্ণী কি ছবিতে বাঙালি চরিত্রেই অভিনয় করেছেন? তাদের সম্পর্ক কী রকম? না, দুই অভিনেতাই এতদিন এ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে বৃহস্পতিবার প্রযোজনা সংস্থার তরফে এই ছবিতে তাদের যে ফার্স্ট লুক প্রকাশ করা হয়েছে, তা দুজনের চরিত্রের বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটিয়েছে। রনধওয়া ও চট্টোপাধ্যায়- এই দুই পরিবারের গল্প নিয়েই ছবি। সেখানে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের চরিত্রের মধ্যে দেখা যাচ্ছে আলিয়াকে। অভিনেত্রীর দুপাশে বসে রয়েছেন টোটা ও চূর্ণী। অর্থাৎ এই প্রথম কোনো বাঙালি চরিত্রে দর্শক দেখবেন আলিয়াকে। অনুমান করা যায় আলিয়ার অভিভাবকের চরিত্রেই রয়েছেন দুই বাঙালি শিল্পী।

তারা কি স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে? এ প্রসঙ্গে এখনো মুখ খুলতে নারাজ টোটা। ভারতের ‍আনন্দবাজার অনলাইনকে হাসতে হাসতে অভিনেতা বললেন, ‘এখনই রহস্যটা ফাঁস করতে চাইছি না। আর তো কয়েকটা মাত্র দিন। ধীরে ধীরে দর্শক ঠিকই বুঝতে পারবেন।’

ফার্স্ট লুকে বাঙালি পাঞ্জাবিতে টোটা। নিজেকে কেমন লাগছে তার? অভিনেতা বললেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আসলে সেট থেকে শুরু করে আমাদের পোশাক পরিকল্পনা, প্রতিটি জিনিসের মধ্যেই করণের ব্যক্তিগত ছোঁয়া রয়েছে। এতটাই খুঁতখুঁতে মানুষ উনি।’

জন্মদিনে করণকে মেসেজ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টোটা। অভিনেতা বললেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই ছবি এবং সাক্ষাৎকার নিয়ে করণ ব্যস্ত থাকবেন বলে তার টিমের তরফে দিনকয়েক আগেই আমাকে জানিয়ে দেয়া হয়। তাই তারা ফোন করতে বারণ করেছিলেন। আমি মেসেজ করে রেখেছি। পরে নিশ্চয়ই উত্তর আসবে।’

চূর্ণীর যে লুকটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে অভিনেত্রীকে ফুল তোলা হলুদ ফুলিয়ার জামদানি শাড়িতে দেখা যাচ্ছে। নিজের লুক দেখে অভিনেত্রীও উচ্ছ্বসিত। চূর্ণী বললেন, ‘শুটিংয়ের সময় আমি তো কলকাতা থেকে আমার ব্যক্তিগত রূপটানশিল্পী বা হেয়ার ড্রেসার নিয়ে যেতে পারিনি। কারণ প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, সবটাই ওরা করবেন।’

এই ছবিকে একটা সম্পূর্ণ বিনোদনের প্যাকেজ হিসেবেই উল্লেখ করতে চাইছেন চূর্ণী।


ঈদের পরে দুই সিনেমা

‘মা’ ও ‘আদিম’র সিনেমা পোস্টার
আপডেটেড ২৬ মে, ২০২৩ ১৫:৫৮
বিনোদন প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো দিয়েই দেশের প্রেক্ষাগৃহে গত এক মাস কেটেছে। ঈদের পর শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে দেশীয় দুটি সিনেমা। যুবরাজ শামীম পরিচালিত গণ-অর্থায়নে নির্মিত ছবি ‘আদিম’ এবং অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত ও চিত্রনায়িকা পরীমনি অভিনীত ‘মা’ সিনেমা। যে ছবি দুটির মধ্যে একটি জয় করেছে রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব, আরেকটি ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্ম-এ।

দুই প্রেক্ষাগৃহে ‘মা’
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মৃত ঘোষণা করা সাত মাসের এক সন্তানকে নিয়ে অসহায় মায়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে ‘মা’ সিনেমায়। ছবিটির গল্প লিখেছেন পুলক কান্তি বড়ুয়া। পরিচালনার পাশাপাশি এ সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন অরণ্য আনোয়ার। দুটি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে সিনেমাটি। সেগুলো হলো স্টার সিনেপ্লেক্স মিরপুর ও ব্লকবাস্টার সিনেমাস। এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন পরীমনি, আবুল কালাম আজাদ, সাজু খাদেম, ফারজানা ছবি, রেবেনা করিম জুঁই, শিল্পী সরকার অপু, লাবণ্য, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

গত ২০ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক বিভাগ মার্শে দ্যু ফিল্মে প্রদর্শিত হয়েছে ‘মা’ সিনেমাটি। সেখানে ছবিটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন বিদেশি অতিথিরা। এই সিনেমায় মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমনি। আবার একই সময়ে বাস্তবেও তিনি মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন। ফলে ছবিটি তার মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। কিছুদিন আগে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন ছবিটির শুটিং অভিজ্ঞতা। পরীমনি জানিয়েছিলেন, পরীমনির অভিনয় জীবনে, ব্যক্তিগত জীবনে, পুরো সফরে এই অংশটা ফ্রেমবন্দি করে রাখতে চান তিনি। ছবিটি তার ছেলে রাজ্যকে উপহার দিতে চান।

তিন প্রেক্ষাগৃহে ‘আদিম’
‘আদিম’ নির্মিত হয়েছে গণমানুষের অর্থায়নে। ছবিটির গল্প টঙ্গীর একটি বস্তিকে ঘিরে। শুটিংও হয়েছে সেখানে। এই ছবিতে নেই কোনো গ্ল্যামার মুখ। ছবির অভিনয়শিল্পীরাও সেই বস্তির বাসিন্দা। যুবরাজ শামীম পরিচালিত এই ছবির রয়েছে বিশাল অর্জন। গত বছর ৪৪তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পেয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে ছবিটি। এই ছবির জন্য ‘স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড’সহ ‘নেটপ্যাক সম্মাননা’ও জিতে নেন নির্মাতা।

সর্বশেষ ‘আদিম’ দিল্লির ‘হ্যাবিটেড আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ প্রদর্শিত হয়েছে। বিশ্বনন্দিত সব সিনেমার সঙ্গে প্রদর্শনের পাশাপাশি পেয়েছে প্রশংসা। চলতি বছরের আগস্টে ছবিটি বুলগেরিয়ায় একটি উৎসবে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে। বুলগেরিয়ার সমুদ্র তীরবর্তী ভার্না শহরে অনুষ্ঠেয় ৩১তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল লাভ ইজ ফোলির ইন্টারন্যাশনাল কমপিটিশন বিভাগে ‘আদিম’ মনোনীত হয়েছে।

দেশের তিনটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। সেগুলো হলো- স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখা, যমুনা ব্লকবাস্টার ও ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ। ছবিতে অভিনয় করেছেন বাদশা, দুলাল, সোহাগী, সাদেক প্রমুখ।


পাঠশালায় আগামীকাল মৃণাল সেনের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন শুরু

মৃণাল সেন
আপডেটেড ২৫ মে, ২০২৩ ১৬:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক

পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা মৃণাল সেনের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ ২০২৩)। পান্থপথের দৃক পাঠ ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিকাল ৫টায় পাঠশালার ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

মৃণাল সেনের নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনার মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি সাজানো হয়েছে। একইসঙ্গে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করবে ‘পাঠশালা ফিল্ম ক্লাব’।

পাঠশালার ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফিল্ম ক্লাব গঠিত হবে। যারা চলচ্চিত্রনির্মাণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও উৎসব, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের নিয়ে নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে মৃণাল সেনের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক মাহমুদুল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ খ ম হারূন এবং চলচ্চিত্রনির্মাতা ও শিক্ষক এন রাশেদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় প্রদর্শিত হবে মৃণাল সেনের চলচ্চিত্র ‘ভুবন সোম’ (১৯৬৯)।

দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শনিবার সকাল ১১টায় মৃণাল সেনের নির্মিত চলচ্চিত্র ‘পদাতিক’ (১৯৭৩) প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হবে। দুপুর ১টায় পাঠশালা ফিল্ম ক্লাব গঠন করা হবে। দুপুর ৩টায় মৃণাল সেন ও তার চলচ্চিত্রের ওপর একটি মাস্টার ক্লাস নেবেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক ও শিক্ষক মইনুদ্দীন খালেদ। মুক্ত আলোচনার পর পৌনে ৬টায় মৃণাল সেনের ‘আকালের সন্ধানে’ (১৯৮২) প্রদর্শনের মাধ্যমে দুই দিনের এ অনুষ্ঠান শেষ হবে।


মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প ‘বুকপকেটে জীবন’

‘বুকপকেটে জীবন’ নাটকের একটি দৃশ্য
আপডেটেড ২৫ মে, ২০২৩ ০০:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক

মধ্যবিত্ত পরিবারের চিরচেনা গল্পের আভাস, জীবনসংগ্রামের ভিন্ন এক আহ্বান নিয়ে নির্মিত হলো নতুন নাটক ‘বুকপকেটে জীবন’।

গল্পের মূল চরিত্র পত্রিকার ফটোসাংবাদিক আবু রায়হান মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তির আদর্শ রূপ। সংসারে টাকা বাঁচানোর বিচিত্র কৌশল তার জানা! তার স্ত্রী হামেদা বেগমের রান্নাঘরের বাইরে কোনো জীবন নেই! তবে তাদের ছেলে তানভীর অথবা তানিন স্বপ্নবিলাসী! প্রতিদিন সকাল-রাতে ডাইনিং টেবিলে একত্রিত হয় পরিবারের সবাই। তাদের আলোচনায় তানভীরের চাকরি, তানিনের বিয়ে, অফিসের বেতন না হওয়া, সংসার খরচ কমানোর মতো হাজারো কথা! একদিন বাস্তবতায় ছন্দপতন হয় আবু রায়হানের পরিবারে! তবুও জীবন চলে জীবনের নিয়মে! সেই জীবনের অনেকটাই উঠে এসেছে ‘বুকপকেটে জীবন’ টেলিফিল্মে।

টেলিফিল্মে আবু রায়হান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। তিনি বলেন, ‘বুকপকেটে জীবন’ আমাদের চেনাজানা গল্প। তবে গল্প বলায় নতুনত্ব আছে। গল্পের নানা মুহূর্ত প্রশ্নবিদ্ধ করবে এ সময়কে!’

তার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান। ইয়াশ জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ এক যুবকের চরিত্রে অভিনয় করে অন্য জীবনের এক গন্ধ পেয়েছি! আমি আশা করছি মধ্যবিত্ত পরিবারের সব বড় সন্তান তার নিজের জীবন খুঁজে পাবে ‘বুকপকেটের জীবনে’।

আহমেদ তাওকীরের গল্প এবং চিত্রনাট্যে টেলফিল্মটি নির্মাণ করেছেন অনন্য ইমন। বুকপকেটে জীবন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সেই গল্পই বলতে চাই, যা সবাইকে ছুঁয়ে যাবে। ‘বুকপকেটে জীবন’ নামের মাঝেই কিন্তু অন্য এক গল্পের আভাস মেলে। আশা করছি দর্শক তাদের জীবনের ছায়া খুঁজে পাবে আমার এই কাজটিতে।’

বুকপকেটে জীবন টেলিফিল্মে তারিক আনাম খান, ইয়াশ রোহান ছাড়াও অভিনয় করেছেন নিশাত প্রিয়ম, শাহরিয়ার নেয়াজ জনি, অলঙ্কার চৌধুরী, শেলী আহসানসহ অনেকে। সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে শেষ হয়েছে টেলিফিল্মটির শুটিং। আসছে ঈদুল আজহায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনে প্রচার হবে ‘বুকপকেটে জীবন’।

বিষয়:

বিয়ে করলেন সংগীতশিল্পী ইমরান

ইমরান মাহমুদুল ও তার স্ত্রী মেহের আয়াত জেরিন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেই এ খবর জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে জুড়ে দেন বর-কনের বেশ কয়েকটি ছবি। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ‘বিয়ে মানুষের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ থেকে (২৪ মে, ২০২৩) আমি ও আমার স্ত্রী মেহের আয়াত জেরিন আমাদের জীবনের নতুন এই অধ্যায় শুরু করলাম।’

চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের মাধ্যমে উঠে আসা এ শিল্পী আরও লেখেন, ‘পারিবারিকভাবেই আমাদের এই বিয়ের আয়োজন। তাই ছোট পরিসরে অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশেই বিয়েটা হলো।’

ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে হলেও ইমরান জানান, তার বড় বোন ও দুলাভাই আগামী নভেম্বরে আমেরিকা থেকে দেশে আসবেন। তখনই আয়োজন করা হবে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার।

ভক্তসহ সবার কাছে দোয়া চেয়ে ইমরান লেখেন, ‘আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন, আমরা যেন একে অপরের পাশে থেকে নিজেদের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে চলতে পারি জীবনের বাকিটা পথ।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইমরান মাহমুদুলের সংগীত ক্যারিয়ার শুরু হয়। এরপর তিনি একক গায়ক হিসেবে নাম কুড়ান। পাশাপাশি একজন সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। শুরু করেন প্লেব্যাকও। বলা হয়ে থাকে, টানা এক দশক হলো দেশের অন্যতম সেরা সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন ইমরান। পেয়েছেন বেশ কিছু পুরস্কারও।


কানে স্টল নিয়েও যেতে পারলেন না বাংলাদেশের কর্মকর্তারা

কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের ফাঁকা স্টলে বসে আছেন ‘মা’ সিনেমার পরিচালক অরণ্য আনোয়ার
আপডেটেড ২৪ মে, ২০২৩ ১৭:০২
বিনোদন প্রতিবেদক

৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্টল বরাদ্দ নিয়েও যেতে পারলেন না বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার কোনো কর্মকর্তা। প্রায় আট লাখ টাকার বিনিময়ে এই আয়োজনের বাণিজ্যিক বিভাগ মার্শে দ্যু ফিল্মে স্টল বরাদ্দ নিয়েছিল দেশের চলচ্চিত্রের কাণ্ডারি এই সংস্থা। কিন্তু শেষমেশ পুরো ফেস্টিভ্যালজুড়ে একরকম ফাঁকা পড়েছিল স্টলটি।

গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের স্টলে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার ট্রেলার উদ্বোধনের সময় দেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঘোষণা দিয়েছিলেন আগামী বছর (এ বছর) বাংলাদেশের স্টল থাকবে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর ফেস্টিভ্যালের প্রস্তুতির সময়ই আবেদন করে এফডিসি। আবেদন ও টাকা পরিশোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্টলও বরাদ্দ দেয় কান উৎসব। পাশাপাশি স্টল সাজানোর জন্য বিভিন্ন সামগ্রীও ভাড়া নেয়া হয়। সাজানো-গোছানো স্টল থাকলেও সেখানে স্টল সামলানো বা দেখাশোনার কেউই ছিল না। এর বড় কারণ, যারা যেতে চেয়েছিলেন তারা ভুগছিলেন জিও (গভর্নমেন্ট অর্ডার) জটিলতায়। কারণ শেষ মুহূর্তে ভিসার জন্য দাঁড়ালেও ফ্রান্স দূতাবাস ভিসা দেয়নি সংশ্লিষ্টদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল এফডিসি থেকে শুরুতে তথ্য মন্ত্রণালয়ে ২০ জনের তালিকা দেয়া হয়। যেখানে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ছিলেন স্পন্সরকারী ব্যক্তিরাও। মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা ছোট করতে বলা হয়। শেষমেশ তালিকা ছোট হয়ে আসে ছয়ে। সে তালিকায় ছিলেন এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, সংস্থাটির কর্মকর্তা এ কে এম আমিনুল করিম খান (সহকারী পরিচালক নিরাপত্তা ও প্রশাসন), রফিকুল ইসলাম (ল্যাব চিফ, অতিরিক্ত পরিচালক বিক্রয়), আরও ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার এবং অভিনেতা জায়েদ খান।

এই তালিকা ছোট করতে গিয়েই তথ্য মন্ত্রণালয় বিলম্ব করে ফেলে। তাদের তালিকা যখন ফ্রান্স অ্যাম্বাসিতে, তখন ফেস্টিভ্যালের বেশ কয়েক দিন পার হয়ে গেছে। তারা ভিসা হাতে পেয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে ফেস্টিভ্যাল শেষ হয়ে যাওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। যে কারণে ভিসা দিতে অসম্মতি জানায় ফ্রান্স দূতাবাস। ফলে টিকিট কেটে সব প্রস্তুতি থাকার পরও যেতে পারলেন না কেউই।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব রকম প্রস্তুতি ছিল। স্টলে রাখার জন্য নানা রকম সুভিন্যুর তৈরি করেছিলাম। স্টলের জন্য আমরা প্রায় ১৮ লাখ টাকার স্পন্সরও পেয়েছিলাম। তাই খরচ নিয়েও সমস্যা ছিল। কিন্তু না যেতে পারায় আমাদেরও খারাপ লাগছে।’

তবে গত কয়েক দিন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি ছিল দেশের স্টলে। পাশাপাশি সেই স্টলে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগে মার্কেট স্ক্রিনিং হওয়া অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ সিনেমার পরিচালকসহ অনেকেই। পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের পালে-ই থিয়েটারে ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার শেষে পুরো টিম ফিরে যায় ঢাকায়। এরপর থেকে যথারীতি ফাঁকা পড়ে থাকে স্টলটি।


আলোচনায় ‘প্রবাসী-২’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

প্রবাসীদের বাস্তব জীবনের তিনটি বিশেষ মুহূর্ত নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘প্রবাসী-২’। মাত্র ৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের এই শর্টফিল্মটি দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীসহ সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছে এখন! দেশের অন্যতম ফুড প্রোডাক্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টস লিমিডেটের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে নন্দিত এই শর্টফিল্মটি। স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টের ফেসবুক পেজে গত ৩০ এপ্রিল শর্টফিল্মটি মুক্তির পর থেকে লাখ লাখ ভিউয়ের পাশাপাশি শেয়ার ও ইতিবাচক মন্তব্য করে দর্শকরা ছড়িয়ে দিয়েছেন।

শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ, শিমূল শর্মা, শরাফ আহমেদ জীবনসহ অনেকেই। স্বল্পদৈর্ঘ্য এই ফিল্মে প্রবাসীদের জীবনের অপ্রকাশিত সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না আর বিশেষ মুহূর্তগুলো ফুটে উঠেছে চমৎকারভাবে।

শাফায়েত হোসেন শাওন পরিচালিত শর্টফিল্মটি এরই মধ্যে স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টসের ফেসবুক পেজে প্রায় ৮ হাজার শেয়ার, ৩ হাজার কমেন্টস ও ৫১ হাজারের বেশি লাইকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ ছাড়া অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশের ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে ৭ হাজার শেয়ার ও ৪ হাজার কমেন্ট এবং ১ লাখ ৩৭ হাজার লাইক দিয়েছেন ভক্তরা। সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটির বেশি মানুষ ভিডিওটি অনলাইনে দেখে ২ লাখের বেশি কমেন্টে করে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

স্বল্পদৈর্ঘ্য এই ফিল্মটি নিয়ে অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ বলেন, ‘প্রবাসী ভাই-বোনদের প্রতি আমার আবেগের জায়গাটা সব সময়ই আলাদা। বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুবাধে তাদের কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কতটা কষ্টে তারা জীবন কাটান, সেটা কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যাবে না। স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টস প্রযোজিত এ কাজ করার সময় বুঝে উঠতে পারিনি, এটি এত বেশি দর্শকপ্রিয় হবে।’

স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক মাঈন উদ্দিন বলেন, “ফেনী জেলা তথা সারা দেশের লাখ লাখ প্রবাসীর কষ্টার্জিত আয়ে ফেনীসহ পুরো দেশ সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। পুরো দেশের সবার প্রিয় প্রতিষ্ঠান স্টার লাইন গ্রুপ সব সময় মানুষের শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সেই শ্রদ্ধা থেকেই স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্ট প্রবাসীদের জীবনের বাস্তবতা নিয়ে ‘প্রবাসী-১’ ও প্রবাসী-২’ নামে দুটি শর্টফিল্ম তৈরিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। স্বল্প সময়ে ফিল্মটি এত বেশি ছড়িয়ে পড়বে, তা ভাবিনি।”

বিষয়:

banner close