মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

মিজু আহমেদকে হারানোর ছয় বছর

মিজু আহমেদ
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক

২০১৭ সালের ২৭ মার্চ একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য সন্ধ্যার পর ট্রেনে করে ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন অভিনেতা। বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাতেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তিনি। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তার হার্টবিট পাননি। পরে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন অভিনেতা মিজু আহমেদ। তিনি মূলত খল অভিনেতা হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে বেশি পরিচিত।

বাংলা চলচ্চিত্রের এই ভার্সেটাইল অভিনেতার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। একজন প্রযোজক হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তার চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস মুভিজ’-এর ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি। ১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম মিজানুর রহমান। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। শৈশব থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রি বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন মিজু আহমেদ।

বড় পর্দায় তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘তৃষ্ণা’ (১৯৭৮), ‘মহানগর’ (১৯৮১), ‘স্যারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘চাকর’ (১৯৯২), ‘সোলেমান ডাঙ্গা’ (১৯৯২), ‘ত্যাগ’ (১৯৯৩), ‘বশিরা’ (১৯৯৬), ‘আজকের সন্ত্রাসী’ (১৯৯৬), ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ (১৯৯৭), ‘কুলি’ (১৯৯৭), ‘লাঠি’ (১৯৯৯), ‘লাল বাদশা’ (১৯৯৯), ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’ (২০০০), ‘ঝড়’ (২০০০), ‘কষ্ট’ (২০০০), ‘ওদের ধর’ (২০০২), ‘ইতিহাস’ (২০০২), ‘ভাইয়া’ (২০০২), ‘হিংসা প্রতিহিংসা’ (২০০৩), ‘বিগ বস’ (২০০৩), ‘আজকের সমাজ’ (২০০৪), ‘মহিলা হোস্টেল’ (২০০৪), ‘ভণ্ড ওঝা’ (২০০৬) ইত্যাদি।


পরী-রাজকে ইঙ্গিত করে দীপনের পোস্ট, উত্তরে যা বললেন পরী

অভিনেত্রী পরীমনি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সব সময় সরব অভিনেত্রী পরীমনি। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে নানা ঘটনা শেয়ার করে নেন ভক্তদের সঙ্গে। আর সেসব নিয়েই চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। পরীমনির সময়টা ভালো যাচ্ছে না গত ২৯ মে মধ্যরাতে শরিফুল ইসলাম রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে তিন অভিনেত্রীর নিজেদের মধ্যকার ক্যাজুয়াল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়া থেকে। এসব নিয়েই নতুন করে কলহ শুরু হয় পরীমনি ও শরিফুল রাজের দাম্পত্য জীবনে। দুজনেই এখন হাঁটছেন বিচ্ছেদের পথে। শিল্পী, নির্মাতা, ভক্ত-অনুরাগী কারোরই চোখ ফাঁকি দিচ্ছে না তাদের ঘটনা।

চলচ্চিত্র নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন এসব ঘটনাকে তাক করেই সোমবার সকালে নাম প্রকাশ না করে একটি লম্বা পোস্ট লেখেন নিজের ফেসবুকে। যেখানে তিনি চলমান রাজ-সুনেরাহ-পরীমনি বিতর্ক নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। বলতে চাইলেন, এসব ঘটনার কারণে তার মুক্তি-প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘অন্তর্জাল’-এর প্রচারণায় ব্যাঘাত ঘটছে।

দীপঙ্কর দীপন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভাই ও বোন প্লিজ থামেন। আমাদের ক্ষমা করে দেন। একবার না বারবার এসব হচ্ছে। নিজেদের টাকা ও ব্যক্তিগত জীবন নষ্ট করে, দিনরাত অপরিসীম কষ্ট করে একটা কনটেন্ট বানিয়ে নিয়ে আসি, দর্শকদের সামনে সেটা যখন উপস্থাপন করি, তখনই আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা কাহিনি সামনে চলে আসে। সিনেমার কনটেন্টের থেকে দর্শকদের আগ্রহ চলে যায় আপনাদের প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, সন্তান- এসব দিকে। যা সামনে আসারই কথা না। একবার না বারবার হচ্ছে এসব- সত্যি আমি টায়ার্ড, আপসেট। প্রত্যেকের জীবনেই এসব আছে- কিন্তু এসব আমরা সামনে নিয়ে আসি না। এসব নিয়ে কথা বলি না পাবলিকলি। আপনারা তো পাশের মানুষটাকেও কিছু বলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে। নিজেদের পাবলিক করলে পাবলিক তো মজা নেবেই।’

এই পোস্ট পড়ে কারও বুঝতে বাকি রইল না, দীপন তার ‘অন্তর্জাল’ ছবিটিকে সামনে নিয়েই এই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রাজ ও পরীর ঘটনাকে ঘিরে। সেই পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করে পরীমনিও পাল্টা জবাব দিলেন। দীপঙ্কর দীপনকে পরী বললেন, ‘জীবনকে সিনেমার কাছে তুচ্ছ করে দেয়া কোনো মেকারের সঙ্গে যায় না।’

পরী লিখেছেন, ‘জি, ১০ দিন যে জামাই বাসা ছেড়ে গেছে, এটা তো আপনার সিনেমার নায়িকার কারণেই জানাজানি হলো ভাইয়া! সিনেমা ফ্যাক্ট আবার কারোর ঘাড়ে চেপে লাইম লাইটে আসাটাও ফ্যাক্ট! যেটা আপনার সিনেমার এই মেয়েটা করল। সবখানে লাফাতে লাফাতে গিয়ে ইন্টারভিউ দিচ্ছে। এত ডাক তো তার কোনো কালে আর আসে নাই। এখন বইলেন খালি আমার থু থু না চাইটা যেন সিনেমার কথাটাও ঠিকমতো বলে। আপনার কিন্তু আরও বড় শিল্পীরা আছেন এই সিনেমায়, তাদের এখনো ওনার মতো প্রমোশনে যেতে দেখেনি। নাকি সব দায়িত্ব এবার এই একজনেরই!’

অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘আর ভাইয়া, আপনার সঙ্গে তো আমার পার্সোনালি অনেক ভালো সম্পর্ক! এত বড় স্ট্যাটাস লিখতে পারলেন অথচ আমাকে একটা কল করে কিছু বলতে পারলেন না! আফসোস! আর এমন তুচ্ছ করে তুচ্ছ লিখবেন না প্লিজ ভাইয়া। জীবনটাকে সিনেমার কাছে তুচ্ছ করে দেয়া কোনো মেকারের সঙ্গে যায় না। জীবন দামি। সব থেকে দামি।’

অন্যদিকে এসব ঘটনা সাংবাদিক ও দর্শকদের এড়িয়ে চলার অনুরোধ করেন দীপঙ্কর দীপন। তার পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘সাংবাদিক ভাইবোন, পত্রিকার মালিক পক্ষ, আপনাদের অনুরোধ করি, প্লিজ ইগনোর করেন এসব। এসব ছাড়া আপনাদের পত্রিকা চলবে না- আমি বিশ্বাস করি না। অনেক শক্ত আপনাদের ভিত্তি। সস্তা ইউটিউবার আর ল্যাপটপ বেজড অনলাইন পত্রিকা করুক, আপনারা কেন? আপনারা স্টাবলিশ স্বনামধন্য সাংবাদিকরা একবার ইগনোর করে দেখুন, সব থেমে যাবে। দর্শকদের অনুরোধ করি, যখন দেশের বাইরে কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে, আপনাদের দেশের সিনেমার স্ট্যান্ডার্ড কেমন? তখন সামনে আসবে কিন্তু তারকাদের বিয়ে, প্রেম, বিচ্ছেদের গল্প। এসব দিয়ে নিজের দেশের ব্র্যান্ডিং হবে না, ওসব কেউ মাথায়ই আনবে না। আসবে কনটেন্ট, নিজের দেশের সিনেমার পর্দায় কী চলছে সেটা- তারকাদের ঘরে কী চলছে সেটা না। ওটা তারা আলোচনা করুক, যারা চায় এই দেশে সিনেমা বন্ধ হয়ে যাক। তারা তিলকে তাল করবে- আপনারা জাস্ট ইগনোর করুন। কথা বলা, শেয়ার করা বন্ধ করে দিন। আপনাদের আগ্রহ কমলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। সবার ঘরেই নানা প্রবলেম থাকে, ওগুলো নিয়ে কথা বলার কী আছে! কনটেন্ট নিয়ে কথা বলুন, আলোচনা করুন, সমালোচনা করুন, ভালো কাজকে অনুপ্রেরণা দিন। সত্যি বলছি- ভালো কাজ আপনারা যা দেখেন, এই দেশে তা খুব কষ্ট করে হয়। চোখে পানি চলে আসার মতো কষ্ট। আমার একার না, সবার। সবাই কষ্ট করে। এই কষ্টকে মূল্যায়ন করুন- ব্যক্তিগত জীবনে কারও ভুল বা খামখেয়ালিকে নয়। আপনারা এসব নিয়ে আগ্রহ কমালে সব কমে আসবে ক্রমান্বয়ে।’

‘অন্তর্জাল’ নির্মাতা দীপন আরও বলেন, ‘আজীবনই পৃথিবীতে কেচ্ছা-কাহিনির জনপ্রিয়তা বেশি। কিন্তু এটা বাংলাদেশের সিনেমা, মূলত মেইনস্ট্রিম সিনেমা বিনির্মাণের সময়। আমরা অনেক পরিচালক, রাইটার, শিল্পী-কুশলী প্রাণপণে চেষ্টা করছি। এ বিনির্মাণে সবার দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন। কষ্ট করতে আমরা রাজি আছি, আরও করব, নিজেদের উন্নত করব। আমাদের মোটিভেশন দরকার। অল্প অল্প করে জমা হতাশা একসঙ্গে হয়ে আমাকে বা আমাদের মেরে ফেলতে পারে। বাংলাদেশের সিনেমার ভীষণ সম্ভাবনা- তুচ্ছ কারণে সেটা নষ্ট না করি।’

প্রসঙ্গত, রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক ও সমালোচনা। সেই সূত্র ধরে পরী গণমাধ্যমে রাজ আর সুনেরাহর প্রেমের কথা প্রকাশ করেন। তার দাবি, ১০ দিন হলো সুনেরাহ ও রাজ একসঙ্গে আছেন। কারণ গত ২০ মে থেকেই রাজ বাসায় থাকছেন না। নিজের জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেছেন।

এর পরই একটি গণমাধ্যমে পরী বলেছেন, তিনি রাজকে আর স্বামী হিসেবে ভাবতে চান না। নিজেকে রাজের সাবেক বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন তিনি। এমনকি আগামীতে বিবাদ মিটিয়ে রাজ যদি ফিরতে চান, সংসার করতে চান, সেই সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য পরীর। তাদের মধ্যকার এই গণ্ডগোল এখনো চলমান।


আবার ব্যাটারি গলির গল্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

তরুণদের কাছে বেশ পরিচিতি পেয়েছে রাজধানী ঢাকার নাখালপাড়ার ব্যাটারির গলি। এটার বড় কারণ ‘ফিমেল’ নামে এক ঘণ্টার নাটক। এর ফলে এই গলির বাসিন্দাদের চিনে ফেলেছেন দর্শকরা। এরই মধ্যে ফিমেল ও ফিমেল-২ নির্মিত হয়েছে। ‘ফিমেল’ এবং ‘ফিমেল-২’-এর সফলতার ধারাবাহিকতায় কাজল আরেফিন অমি নির্মাণ করছেন ‘ফিমেল-৩’।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ব্যাটারি গলিতে আর আগের মতো গ্যাঞ্জাম নেই। এলাকায় ঘটে যাওয়া দুটো বড় ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিমেল (নারী) নিয়ে তারা আর কোনো ঝামেলায় জড়াবেন না। বিয়ে করে সংসারী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এতিম আকবর ও কুত্তা মিজান। কিন্তু এখান থেকেই ঝামেলা শুরু হয়। এতিম আকবর চায় কুত্তা মিজানের আগে বিয়ে করতে, অন্যদিকে কুত্তা মিজান চায় এতিম আকবরের আগে বিয়ে করে দেখিয়ে দিতে। তাদের দুজনের প্রতিযোগিতার কারণে ঘটক শিবলু বিপাকে পড়ে যান। ব্যাটারি গলিতে ঘটতে থাকে নানা রকম মজার ঘটনা। এ রকম একটি গল্প নিয়েই নির্মিত হচ্ছে ‘ফিমেল-৩’।

‘ফিমেল-৩’তে অভিনয় করেছেন ব্যাচেলর পয়েন্টখ্যাত মিশু সাব্বির, জিয়াউল হক পলাশ, মারজুক রাসেল, চাষী আলম, শরাফ আহমেদ জীবন, সাইদুর রহমান পাভেল, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, সুমন পাটোয়ারী, লামিমা লাম, শিমুল শর্মা, আরফান মৃধা শিবলুসহ আরও অনেকে।


এবার নায়ক ফারুকের আসনে লড়তে চান হিরো আলম

এর আগেও একাধিকবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৫ জুন, ২০২৩ ১৩:০৯
প্রতিনিধি, বগুড়া

এবার ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে লড়তে চান আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনটিতে মিডিয়া জগতের কর্মী হিসেবে প্রার্থী হতে চান তিনি।

সোমবার বিকেলে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন বলে দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি মিডিয়াকর্মী। নায়ক ফারুকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সমবেদনা আছে। আমি তার এলাকায় ঘুরে দেখেছি, এখনো অনেক কাজ বাকি। আসনের মেয়াদ আছে পাঁচ মাস। এ সময়ের মধ্যে নায়ক ফারুকের হয়ে কিছু কাজ করতে পারলে নিজেরও ভালো লাগবে। এ জন্য আজ বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশনে যাব মনোনয়ন ফরম নিতে।

এর আগে নিজ জেলা বগুড়া থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন হিরো আলম। বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) দুটি আসন থেকেই সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন তিনি।


মনে হয় আমি সবই করতে পারি

আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৩ ১৪:৩৯
বিনোদন প্রতিবেদক

জিনাত শানু স্বাগতা একাধারে অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী। নাটক কিংবা সিনেমার পাশাপাশি গান নিয়েও মাঝেমধ্যে দর্শক-শ্রোতাদের চমকে দেন তিনি। গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে তার নতুন গান ‘সে সামথিং’। গানটিতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন হাসান আজাদ। গানটি এবং বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে দৈনিক বাংলার সঙ্গে গল্প হলো এই তারকার।

‘সে সামথিং’ গানটি নিয়ে জানতে চাই

‘সে সামথিং’ গানটি দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া। যেখানে আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন হাসান আজাদ। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুরও করেছি আমরা দুজন। সংগীত আয়োজন করেছেন সন্ধি এবং গানটির ভিডিও নির্দেশনায় ছিলেন অনিন্দ্য কবির অভিক। এই বছরে হাসানের সঙ্গে এটি আমার দ্বিতীয় গান। আমার কথানির্ভর গান খুব ভালো লাগে। গানটি লেখার সময় মনে হয়েছে এটা করাপ্টেড মানুষের ইনসাইড। কিন্তু পরে আমার মনে হলো আমরা সবাই কমবেশি করাপ্টেড। আমরা যখন কোনো ভুল করে ফেলি তখন আমাদের নিজেদের ভেতরের চেতনাই আমাদের তাড়া করে। সেই উপলব্ধি মনে মনে বলার ভাষাটা এখানে আছে। আর গানটির নাম দেখেই বোঝা যায় কথা বলার যে অধিকারবোধ, সেটা উঠে এসেছে। কারণ আমরা কমবেশি সবাই কথা বলতে চাই। আর হাসানের সঙ্গে গান করার সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো হাসান বাংলায় লিখতে পারে না। আর আমি ইংরেজি লিখতে পারি না। মানে হাসান যত ভালো ইংরেজি লেখে, আমি তত ভালো বাংলা লিখতে পারি।

আপনি গান শেখান, অনেক স্টুডেন্ট আছে। কেমন যাচ্ছে এই পথচলা?

আমি এখন গান কম শেখাচ্ছি। তবে স্কুলের বাচ্চাদের নাটক শেখাই। গত বছর শিশুমেলা নাট্যোৎসবে আমার ডিরেকশনে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। এবারও আশা করছি শিশু-কিশোর নাট্যোৎসবে ডিরেকশন দেব।

এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে?

ব্যস্ততা অনেক কিছু নিয়ে। গান করছি, আরও গান করব। ঈদে বেশ কিছু নাটক করব। দেশের বাইরে ছিলাম, তাই শুরু করতে পারিনি। খুব শিগগির করব। এ ছাড়া আমার অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায়। বৈশাখী টেলিভিশনে একটি ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে। একটি মঞ্চ নাটকের ডিরেকশন দিচ্ছি, যার নাম ‘কালমৃগয়া’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি নাটক।

চলচ্চিত্র তিনটি নিয়ে বিস্তারিত শুনতে চাই

চলচ্চিত্র তিনটি হলো ‘অসম্ভব’, ‘মানুষের বাগান’ ও ‘দেয়ালের দেশ’। অরুণা বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘অসম্ভব’-এ কাজ করেছি। সেখানে আমি পাঁচটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। ‘মানুষের বাগান’ চলচ্চিত্রে অনেক চরিত্র আছে, অনেক শিল্পী আছে, সেখানে আমি ছোট একটি ইন্টারেস্টিং চরিত্র করেছি। ‘দেয়ালের দেশ’ চলচ্চিত্রে অনেক ভালো অভিনয়শিল্পী আছেন। সেখানে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিছুদিন আগেই এর ডাবিং শেষ করলাম। আশা করি এ বছর তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাবে। আমার চরিত্রগুলো দর্শক খুব পছন্দ করবে।

ওটিটির ব্যস্ততা কেমন?

ওটিটিতে কাজ করছি। যেমন- পাঁচফোড়ন, কাইজার করেছি। কাইজার-২ আসবে। সেখানেও আমি আছি। আশা করছি ওটিটিতে আরও বেশ কিছু কাজ আসবে।

নাটক, সংগীত, সিনেমা, ওটিটি সব জায়গায় কাজ করছেন। কোন প্ল্যাটফর্মে বেশি স্বাছন্দ্যবোধ করেন?

আমি একজন পারফর্মার, একজন আর্টিস্ট। সব জায়গায় স্বাছন্দ্যবোধ করি। আমি প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করি যখন আমার বয়স সাড়ে তিন বছর। আমি প্রথম বিটিভিতে যখন গান গাই, তখন বয়স সাড়ে তিন বছর। আমার মনে হয় আমি সবই করতে পারি। ছোট থেকেই আয়নার সামনে উপস্থাপনাও করতাম। অর্থাৎ তখন থেকেই আমার পারফরম্যান্সই ছিল খেলার অংশ। তাই এখন আমি সব মাধ্যমেই কাজ করতে পারি।


ভালো কিছু করতে পারলাম কি না, সেই স্বস্তিটা গুরুত্বপূর্ণ

খায়রুল বাসার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিফাত সুলতানা

নিয়মিত নাটক ও ওয়েব কন্টেন্টে কাজ করে ছোট পর্দার প্রিয় মুখ হয়ে উঠছেন অভিনেতা খায়রুল বাসার। মূকাভিনেতা হিসেবে তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখন অভিনয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খায়রুল বাসার তার ক্যারিয়ার শুরুর গল্প ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বললেন দৈনিক বাংলার সঙ্গে।

কেমন আছেন? কিছুদিন আগেই ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একটু আধটু পাগল না হলে এই দুনিয়ায় বাঁচা বড় দায়।’ কারণ কী?

ভালো আছি। ওটা একটা নাটকের চরিত্র। নাটকের নাম ‘প্রিয় লাইলি’। আমি একজন টিউশন শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকে হঠাৎ করেই লাইলির সঙ্গে দেখা হয়, প্রেম হয়। তারপর প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর সে পাগল হয়ে যায়। আমার পছন্দের একটা চরিত্র টিউশন মাস্টার। সেই ছবিটিই সবার সঙ্গে শেয়ার করেছি।

ঈদের কাজগুলো থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন?

গত ঈদের কাজগুলো খুব ভালো ছিল। ‘ডুবসাঁতার-২’, ‘বাবুই পাখির বাসা’, ‘দই ফুচকা’, ‘দ্য ফাস্ট কেস’- এগুলো দর্শক পছন্দ করেছেন।

আসন্ন ঈদের ব্যস্ততা কেমন?

ব্যস্ততা একটু কম। একটা ফিল্মের কাজ করছি। সেই ব্যস্ততায় এদিকে একটু কাজ কম করা হচ্ছে। ঈদের নাটক এখনো সেভাবে শুরু করিনি। তবে ‘প্রিয় লাইলি’ করলাম ঈদের জন্য। আরেকটা কাজ করলাম ‘সাদা পায়রা সাদা ফুল’ নামে। সামনে আরও তিন বা চারটা ফিকশন শুরু করব।

নাটকে নতুন জুটি হিসেবে সাদিয়া আয়মান ও খায়রুল বাসার বেশ পরিচিতি পাচ্ছে। এটা কেমন উপভোগ করছেন?

এটা খুব ভালো লাগছে। দর্শক আমাদের জুটিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন। গত ঈদে যে কয়টা কাজ এসেছে, বেশির ভাগ সাদিয়ার সঙ্গে। একসঙ্গে প্রায় ১১টি নাটকে কাজ করার সুযোগ হলো। সাদিয়া খুবই সুন্দর। ওর তো ক্যারিয়ার মাত্র শুরু। তার পরও আমার কাছে মনে হয় সে খুব ভালো অভিনয় করে। তার সঙ্গে অভিনয় করে কমফোর্ট ফিল করি। আমাদের যোগাযোগ ভালো। এগুলো দর্শক ভালোভাবে নিচ্ছেন। তাদের প্রশংসা আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে আরও উৎসাহিত করে। মনে হয়, সামনে এই জুটি আরও ভালো কাজ দিতে পারবেন।

ওটিটির ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?

যে ছবিটা করছি তার জন্য অন্যদিকে খুব একটা নজর দিতে পারছি না। তবে অনেক কাজ জমে আছে। ঈদের পর শুরু করব।

অভিনয়ের শুরুটা নিয়ে একটু শুনব

অভিনয়ে অনেক বছর হয়ে গেল। শুরুটা আমার মূকাভিনয় দিয়ে। ২০১১ সাল থেকে আমরা একটা সংগঠন দাঁড় করাই। আমাদের ক্যাম্পাসে মীর লোকমান ভাইয়ের মূকাভিনয় দেখে উৎসাহ পাই। একটা অনুষ্ঠানে ৮ ঘণ্টার মতো একটা শো ছিল। আমি সেখানে ছিলাম, কিন্তু আমার মনে হয়েছিল সময়টা ৫ মিনিটে চলে গেছে। তখন মনে হলো, এটা মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখার মতো একটা আর্ট। আমার শেখার আগ্রহ তৈরি হয়। তারপর একটা সংগঠন তৈরি করে সেখান থেকে মূকাভিনয় শেখা। তখন একটা গানের সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। সংগঠনের সঙ্গে থাকাকালীন একটা পরিচিতি হয়ে যায়। টুকটাক অভিনয়ও করি। তখন অনেকে আসতেন শর্টফিল্ম করবেন, তারপর সেগুলো বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে। তাদের সঙ্গে কাজ করতাম। চেষ্টা করতাম ভালো কিছু করার। এ রকম করেই পর্দায় অভিনয়ে মন চলে আসা। সারা দিন পরিশ্রম করেও ক্লান্ত হতাম না। ভালো লাগত। তখন মনে হলো অভিনয় নিয়েই থাকব। ক্যারিয়ার তৈরি করব। বিজ্ঞাপন করতাম। সালেহ সোবহান অনীম ভাই এবং সৈয়দ আহমেদ শাওকী ভাইয়ের হাত ধরেই আমার প্রথম ফিকশন। প্রজন্ম টকিজের শর্টফিল্ম ‘পুনরাবৃত্তি’ করি। ২০১৭ সালে আরেকটা নাটক ‘কথা হবে’ করার পর দুটো কাজ ভালো আলোচনায় আসে। তখন থেকে অভিনয়ের ডাক আসা শুরু হয়। ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’, ‘উনপঞ্চাশ বাতাস’ করি। ২০২০ সালে কাছে আসার গল্পে কাজ করি। ২০২১ সালেও কাছে আসার গল্পে কাজের ডাক আসে। তারপর ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘চরের মাস্টার’, ‘মহানগর’- এসব মিলিয়েই আমার চলা শুরু হয়। এখন ব্যস্ততা তৈরি হচ্ছে।

কোনো পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন?

আমি যখন মনস্থির করে ফেলি আমি অভিনয়ই করব, তখন কোনো চাকরির পরীক্ষা দিতাম না। অভিনয়ের পেছনে একটা দায়িত্ববোধ ছিল। কারণ অভিনয় একটা বিপ্লবের মতো, বিদ্রোহের মতো। এটা প্রেমের জায়গা। এই বিষয়গুলো কাজে লাগিয়ে সুন্দর গল্পে কাজ করা, একটা সুন্দর চরিত্রকে প্রকাশ করা। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ শুরু থেকেই ছিল। আমি যখন বাস্তবের কিছু চরিত্র দেখি, তখন সেটা থেকে খুব প্রভাবিত হই। সবকিছু থেকেই শিখি। অভিজ্ঞতা নিই। এটাই ধরে রাখব।

কখনো হতাশা কাজ করেছিল?

২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়টা খুব কঠিন ছিল। খুব কঠিন অভিজ্ঞতা আছে। হতাশা ছিলই। এখনো হতাশা কাজ করে। একটা কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে না পারলে, গল্প ভালো না পেলে নানা হতাশা কাজ করে। হতাশা আজীবন থাকবেই। এটা আমার জন্য উর্বর একটা ব্যাপার। আমি যত বেশি হতাশ হই, ততবেশি কাজে প্রভাবিত হই। একটা সময় ছিল আমার দিনগুলো গুনে গুনে যেত। তখনো অভিনয় নিয়ে চিন্তা ছিল। এখনো আছে। তবে আমার আত্মবিশ্বাস প্রবল। ভালো কিছু করতে পারলাম কি না, সেই স্বস্তি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।


বাজেট সাংস্কৃতিক জাগরণের অনুকূল নয়: উদীচী

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সাংস্কৃতিক জাগরণের অনুকূল নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী। শুক্রবার এক বিবৃতিতে উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটও আরও একবার দেশের সংস্কৃতিকর্মীদের হতাশ করেছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘একটা সমাজ টিকে থাকে সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন ধরে দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান লক্ষ করা যাচ্ছে, নানাভাবে তারা এ দেশে মৌলবাদী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। এসব অপতৎপরতা রোধ এবং সামাজিক সংকট মোকাবিলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সংস্কৃতি চর্চা। দেশকে অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদমুক্ত, মানবচেতনাসম্পন্ন ধারায় পরিচালনা করা এবং প্রজন্মের মানবিক গুণাবলির উৎকর্ষ সাধনেও সংস্কৃতির অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। কিন্তু সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রটি বরাবরই উপেক্ষিত থাকছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে গেলে যে ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার, তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রতি বছরই বাজেটে সংস্কৃতি খাত অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতি খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা শিল্পকলা একাডেমিতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ আর শিল্পকলা একাডেমিকেন্দ্রীক শহুরে মানুষের চিত্তবিনোদনের কাজেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু দেশের যে বিশাল জনগোষ্ঠী গ্রামে বসবাস করে, তাদের সংস্কৃতির বিকাশে কর্মরত যেসব ব্যক্তি-উদ্যোগ বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ রয়েছে, সেখানে এই বাজেট বরাদ্দের কণামাত্রও পৌঁছাবে না।


ডি’ক্যাপ্রিওর নতুন প্রেমিকা!

লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিও ও নিলম গিল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

প্রেম বড়ই কঠিন অনুভূতি। কীভাবে এবং কখন জীবনে তার প্রবেশ ঘটে তা বোঝা কঠিন। এই যেমন হলিউড সুপারস্টার লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিওর কথাই ধরা যাক। বুধবার রাতের ঘটনা। লন্ডনের এক নামী রেস্তোরাঁয় গোপনে প্রবেশ করলেন। পেছনে এলেন এক জনপ্রিয় মডেলকন্যা। ততক্ষণে আলোকচিত্রীরা তাদের ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেছেন। ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা থাকলেও গোপনীয়তার যাবতীয় চেষ্টা বিফলে গেছে।

ছবি ছড়িয়ে পড়তেই নেট দুনিয়ায় আলোচনা শুরু, আবার প্রেম করছেন ‘টাইটানিক’-এর জ্যাক। তা হলে সঙ্গে ‘রোজ’ কে? লিওনার্দোর সঙ্গে কে ছিলেন? ব্রিটিশ মডেলকন্যার নাম নিলম গিল। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ২৮ বছরের এই তন্বীটি কিন্তু লিওর থেকে প্রায় ২০ বছরের ছোট।

ছড়িয়ে পড়া ছবি থেকে আরও তথ্য জানা গেছে। লিওর সঙ্গে ছিলেন তার বেশ কয়েকজন বন্ধু। মজার বিষয়, এসেছিলেন অভিনেতার মা ইরমেলিন ইন্ডেনবির্কেন; যা দেখে অনেকেই মনে করছেন ‘পাকা দেখা’ সেরে ফেলেছেন লিও। মায়ের সঙ্গে প্রেমিকার আলাপ করিয়ে দিতেই নাকি এই বিশেষ ডিনারের পরিকল্পনা।

লিওর পরনে ছিল কালো জ্যাকেট। মাথায় ছিল কালো ক্যাপ, মুখে মানানসই কালো মাস্কে ঢেকে তিনি ক্যামেরা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অন্যদিকে নীলমের পরনে ছিল কালো পোশাক। গত সপ্তাহেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে এই যুগলকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকেই দুজনের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।

অবশ্য এর আগেও মডেলকন্যাদের সঙ্গে ডিনার ডেটে দেখা গেছে লিওনার্দোকে। গত মাসেই ম্যানহ্যাটনে আন্তর্জাতিক মডেল জিজি হাদিদের সঙ্গে ডিনার ডেটে গিয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন ‘দ্য ডিপার্টেড’খ্যাত অভিনেতা। মার্চ মাসে তাদের অস্কারের পার্টিতেও দেখা গিয়েছিল।

বিষয়:

মালাইকার অন্তঃসত্ত্বার গুজবে চটেছেন অর্জুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

উইকিপিডিয়া বলছে মালাইকার বয়স এখন ৪৯, আর অর্জুনের ৩৭। ১২ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গেই চুটিয়ে প্রেম এবং লিভ-ইনও করছেন মালাইকা। আর তা নিয়েই চর্চার শেষ নেই। তারই মাঝে গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি গসিপ ম্যাগাজিনের দৌলতে খবর রটে যায় মালাইকা নাকি ফের মা হতে চলেছেন! যদিও সে সময়ই এ ধরনের ভুল খবরের তীব্র নিন্দা করেছিলেন অর্জুন। ফের একবার মালাইকার মা হওয়ার গুঞ্জনে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।

অর্জুন কাপুর সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আসলে মানুষ ভুলে যায় সেলিব্রিটিরাও মানুষ’। তার কথায়, ‘এই ক্লিকবিট সংস্কৃতি নেতিবাচকতার থেকেও খারাপ…। এই নেতিবাচক বিষয়গুলো আজকাল মানুষের মনোযোগ টানতে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো খুবই সাময়িক। তবে এটা খুব সত্যি কথা আমরা যারা অভিনেতা, তাদের ব্যক্তিগত জীবন সব সময় ব্যক্তিগত থাকে না। আর এই পেশায় আসার সময় এটা মেনে নিয়েই আসতে হবে। এটাও সত্য়ি, আমরা দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করি। কিন্তু এটাও তো মাথায় রাখতে হবে, আমরাও মানুষ। তাই আমার অনুরোধ কোনোকিছু লেখার আগে একটু ভাবুন। অনুমানের ভিত্তিতে কিছু লিখবেন না, জেনে নিয়ে তবেই লিখুন। কারণ, এ ধরনের কিছু লিখে দিলে আমাদের জীবনেও প্রভাব পড়ে।’

গসিপ ম্যাগাজিনে মালাইকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের ওপর বিশ্বাস রাখি। কখনো কোনো বিষয়ে পিছয়ে আসিনি বা কথা বলি না এমনটাও নয়, তাহলে কেন এমন লিখবেন যা চিরকাল থেকে যাবে! আমরা সবাই কাজ করার জন্যই এসেছি, তথ্য যাচাই না করে কিছু লিখবেন না। অন্যের জীবন নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না, যাতে মূল্য চোকাতে হয়। প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না, আজ আপনি যা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন, কাল সেটাই আপনার ওপর থেকে বিশ্বাসের ভিত নড়িয়ে দেবে।’


মালাইকার অন্তঃসত্ত্বার গুজবে চটেছেন অর্জুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

উইকিপিডিয়া বলছে মালাইকার বয়স এখন ৪৯, আর অর্জুনের ৩৭। ১২ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গেই চুটিয়ে প্রেম এবং লিভ-ইনও করছেন মালাইকা। আর তা নিয়েই চর্চার শেষ নেই। তারই মাঝে গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি গসিপ ম্যাগাজিনের দৌলতে খবর রটে যায় মালাইকা নাকি ফের মা হতে চলেছেন! যদিও সে সময়ই এ ধরনের ভুল খবরের তীব্র নিন্দা করেছিলেন অর্জুন। ফের একবার মালাইকার মা হওয়ার গুঞ্জনে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।

অর্জুন কাপুর সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আসলে মানুষ ভুলে যায় সেলিব্রিটিরাও মানুষ’। তার কথায়, ‘এই ক্লিকবিট সংস্কৃতি নেতিবাচকতার থেকেও খারাপ…। এই নেতিবাচক বিষয়গুলো আজকাল মানুষের মনোযোগ টানতে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো খুবই সাময়িক। তবে এটা খুব সত্যি কথা আমরা যারা অভিনেতা, তাদের ব্যক্তিগত জীবন সব সময় ব্যক্তিগত থাকে না। আর এই পেশায় আসার সময় এটা মেনে নিয়েই আসতে হবে। এটাও সত্য়ি, আমরা দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করি। কিন্তু এটাও তো মাথায় রাখতে হবে, আমরাও মানুষ। তাই আমার অনুরোধ কোনোকিছু লেখার আগে একটু ভাবুন। অনুমানের ভিত্তিতে কিছু লিখবেন না, জেনে নিয়ে তবেই লিখুন। কারণ, এ ধরনের কিছু লিখে দিলে আমাদের জীবনেও প্রভাব পড়ে।’

গসিপ ম্যাগাজিনে মালাইকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের ওপর বিশ্বাস রাখি। কখনো কোনো বিষয়ে পিছয়ে আসিনি বা কথা বলি না এমনটাও নয়, তাহলে কেন এমন লিখবেন যা চিরকাল থেকে যাবে! আমরা সবাই কাজ করার জন্যই এসেছি, তথ্য যাচাই না করে কিছু লিখবেন না। অন্যের জীবন নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না, যাতে মূল্য চোকাতে হয়। প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না, আজ আপনি যা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন, কাল সেটাই আপনার ওপর থেকে বিশ্বাসের ভিত নড়িয়ে দেবে।’

বিষয়:

শিল্পকলায় আশিষ অভিকুন্তকের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আগামী ২ জুন থেকে আয়োজিত হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের কর্মশালা ‘নিরীক্ষার কল্পনাপ্রবণতা’। প্রখ্যাত ভারতীয়, স্বাধীন ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটি পরিচালনা করবেন।

উদ্যোক্তারা জানান, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মী ও নির্মাতার পাশাপাশি নিরীক্ষাধর্মী এই চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন থিয়েটার নির্মাতা, অভিনয়শিল্পীসহ শিল্প ও সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত যেকোনো মাধ্যমের শিল্পীরা। আগামী ২ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে চলবে এই কর্মশালা। এ ছাড়াও আশিষ অভিকুন্তকের নির্বাচিত চলচ্চিত্র নিয়ে আগামী ২ জুন থেকে ৪ জুন প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে আশিষের নির্মিত চলচ্চিত্রের রেট্রোস্পেকটিভ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, যা সর্বসাধারণ ও দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এ উপলক্ষে নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক প্রদর্শনীগুলোতে উপস্থিত থাকবেন এবং ২ জুন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিট দ্য ডিরেক্টর সেশন’। নির্মাতা এই সেশনে সরাসরি দর্শকদের সামনে উপস্থিত থেকে তার চলচ্চিত্র ও নির্মাণ প্রক্রিয়া বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিবেন।

এ ছাড়া আয়োজনে আরও উপস্থিত থাকবেন আশিষ অভিকুন্তকের সহধর্মিণী ও তার একাধিক চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী দেবলীনা সেন। ৩ জুন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে চিত্রশালা মিলনায়তনে তিনি দর্শকদের সামনে উপস্থিত হবেন ‘নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয়’ শীর্ষক একটি অধিবেশনে। কর্মশালার শেষ দিন ৬ জুন বিকেল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে ‘সিনেমা প্রায়োগা’ শিরোনামের একটি মাস্টার ক্লাসে অংশ নেবেন নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক। এই অধিবেশনটিও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।


বরাদ্দ বেড়েছে সংস্কৃতি খাতে

আপডেটেড ১ জুন, ২০২৩ ১৯:৪৩
বিনোদন প্রতিবেদক

বরাদ্দ বেড়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৪৩৭ কোটি এবং উন্নয়ন ২৬২ কোটি টাকা। যা গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দের তুলনায় ৬২ কোটি টাকা বেশি।

২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৬৬২ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৫৫৬ কোটি টাকা।

পরিচালন বাবদ ২০২২-২৩ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে খরচ হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের মূল বাজেটে পরিচালন বরাদ্দ ছিল ৩৯০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল ২৪৭ কোটি টাকা। আর ২০২১-২২ অর্থ পরিচালন ব্যয় ছিল ৩৪৮ কোটি টাকা এবং উন্নয় ব্যয় ছিল ২০৮ কোটি টাকা।

আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত, নাটক ইত্যাদির বিকাশে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশজ সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন শিল্প-সাহিত্যের গবেষণা, প্রদর্শন, প্রকাশনা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ চিহ্নিতকরণ, খনন, সংস্কার, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট সংরক্ষণসহ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ভাষা শহীদ দিবস এবং বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসসমূহ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উদযাপন করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মনীষী ও গুণীজনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নিয়মিত পুরস্কার/সম্বর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া, অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।’


এবার কিন্তু আমি আর ছেড়ে কথা বলব না: পরীমনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

ঢালিউডে ‘শরিফুল রাজ-সুনেরাহ’ ইস্যু নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এসব নিয়েই খারাপ সময় কাটছে পরীমনির। এসবের মধ্যেই একজনকে দিলেন কঠোর হুঁশিয়ারি। যাকে পরীমণি ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘দিদি মিড লাইফ ক্রাইসিস ঠিকঠাক ডিল না করাটাও কিন্তু বিশাল মানসিক সমস্যা। একবার ৬ তলা বাড়ির মালিক বানায়ে দিছিলেন আমাকে। বাড়িটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন আবার আমার ঘরের মধ্যে ঢুকে পরতে যাবেন না দিদি।’

কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘এবার কিন্তু আমি আর ছেড়ে কথা বলব না আপনাকে। আর কোনো করুণা হবে না আপনার মিড লাইফ ক্রাইসিস নিয়ে।’


‘একজন বিক্রয়কর্মীর মৃত্যু’

আপডেটেড ১ জুন, ২০২৩ ১৯:১৭
বিনোদন প্রতিবেদক

‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ মার্কিন নাট্যকার আর্থার মিলারের এক বিখ্যাত সৃষ্টি। উইলি লোম্যান নামের একজন বিক্রয়কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকে উপজীব্য করে রচিত এই কাহিনি আধুনিক সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন পাঠ্য, তেমনি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের রঙ্গমঞ্চে প্রদর্শিত হচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে। ঢাকার মঞ্চে নতুন করে এটি হাজির করল থিয়েটারিয়ান নামের একটি নবীন নাট্যদল। এটি তাদের প্রথম প্রযোজনা। তারই দ্বাদশ প্রদর্শনী হলো সোমবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে। সেটি উপভোগের অভিজ্ঞতা ছিল মনোমুগ্ধকর।

ফতেহ্ লোহানীর অনুবাদ এবং আশিকুর রহমান লিয়নের নির্দেশনায় নাটকটির মঞ্চসজ্জা, আলোক প্রক্ষেপণ, শব্দ নিয়ন্ত্রণ, রূপসজ্জা, পরিচ্ছদ, নাট্যরূপ ও অভিনয়—সবই আকর্ষণীয় ছিল। এমন একটা চমৎকার মঞ্চনাটকের আরও বেশি প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন। সব মিলিয়ে নাটকটি যেকোনো পাঠক বা দর্শকের জীবনবোধকে আন্দোলিত করার সামর্থ্য রাখে।

পুঁজিবাদী সমাজে সাধারণ মানুষের নিরন্তর লড়াই, আপ্রাণ প্রয়াস এবং কখনো কখনো মৃত্যুর মতো বেদনাদায়ক বাস্তবতার কাছে পরাজয় ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের মূল নির্যাস। পুঁজিবাদের বেড়াজালে যে সমাজের জন্ম, সেখানে জনগণের অস্তিত্ত্বের মাপকাঠি নিরূপণ হয় অর্থের পাল্লায়। আর এমন আত্মকেন্দ্রিক সমাজে বিত্তের কাছে ব্যক্তির সত্ত্বা প্রতিনিয়ত পরাস্ত হয়। পরিণামে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। ব্যক্তির জীবন সংগ্রাম, স্মৃতি, অনুশোচনা, পিতা-পুত্রের সম্পর্ক ও টানাপোড়েন, নারী-পুরুষের জটিল রসায়ন প্রভৃতি বিষয় উঠে এসেছে। পুঁজিবাদী সমাজকে এখানে দেখা যায় ক্ষুধার্ত রাক্ষসের রূপে। তাই বাংলাদেশের সমকালীন নাগরিক জীবন বাস্তবতায় এই নাট্যপ্রযোজনা হয়ে ওঠে খুব প্রাসঙ্গিক।

চেতনাপ্রবাহ রীতিতে লেখা ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র উইলি লোম্যানের অস্থিরতা, স্ববিরোধিতা, আশাবাদ আর নৈরাশ্যের দোলাচল, ফ্ল্যাশব্যাক, সংসার-সম্পর্ক, প্রেম—ইত্যাদি প্রকাশে বাস্তবমুখী অভিনয়পদ্ধতির মনস্তাত্ত্বিক নির্যাসের সঙ্গে যুৎসই অনুসঙ্গ হয়েছে অভিব্যক্তিবাদী প্রকাশ। পুঁজিবাদী সমাজে আমরা কেমন করে বেঁচে থাকি আর প্রতিনিয়ত মারা যাই—সেই প্রশ্ন নাটকটির পরতে পরতে উত্থাপিত হয়েছে। স্মৃতি, স্বপ্ন, দ্বন্দ্ব এবং তর্কের এক মিশ্র ছবি এই নাটক, যা উইলি লোম্যানের জীবনের শেষ দিনটির বয়ান করে।

তিনি একজন ব্যর্থ বিক্রয়কর্মী বা সেলসম্যান, যিনি ‘অ্যামেরিকান ড্রিম’ সম্পর্কে ভুল ধারনা নিয়ে জীবনটা পার করেছিলেন। তার মৃত্যু তাই পুঁজিবাদী বিশ্বে মধ্যবিত্তের মৃত্যুর খুব সাধারণ ঘটনা ছাড়া কিছু নয়। ভোগবাদী পৃথিবীতে সবাই পণ্য হিসেবে গণ্য। বড় বড় কোম্পানি তার শ্রমিকদের রক্ত-মাংস থেকে শুরু করে মন ও মনন পর্যন্ত চুষে খায়, তারপর পরিত্যক্ত ছোবড়া হিসেবে সেকেলে শ্রমিকদের ছুড়ে ফেলে নতুন শ্রমবাজার ও শ্রমশক্তির দিকে ঝোঁকে। এটিই যেন বর্তমান বিশ্ব-অর্থনীতির পুঁজি তত্ত্বের লুকোনো রহস্য। আর এই শোষণমূলক অর্থনীতির পরতে পরতে লুকেয়ে থাকে লাখো মানুষ ও তাদের পরিবারের গল্প, নানা রঙের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আর ব্যর্থতার কাহিনী। এরকমই এক স্বপ্নভঙ্গের গল্প নিয়ে তৈরি আর্থার মিলারের ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’।

উইলি লোম্যানের চরিত্রে তৌহিদ বিপ্লব ও তার স্ত্রী লিন্ডার ভূমিকায় পলি চৌধুরী অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তাদের দু-জনেই বয়সে তরুণ। কিন্তু উইলি ও লিন্ডার বার্ধক্য মঞ্চে আরও বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলতে তাদের আরও করণীয় আছে বলে মনে হয়। এই দীর্ঘ নাটকে উইলি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মঞ্চে ছিলেন কখনো বিক্রয়কর্মী, কখনো, বাবা, কখনো স্বামী, কখনো বন্ধুর ভূমিকায়। কণ্ঠের কাজে তৌহিদ কিছুটা বৈচিত্র্য আনার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারেন। বিফ লোম্যানের চরিত্রে মো. মাইনুল ইসলাম তাওহীদ বেশ প্রাণবন্ত অভিনয় করেছেন। মঞ্চে তার উপস্থিতিও ছিল বেশ দীর্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য চরিত্রে আহমেদ সুজন, রামকান্ত মণ্ডল শ্রীকান্ত, নাজমুল নাঈম, আব্দুল হাই, মাধবীলতা, রিগ্যান সোহাগ রত্ন, আব্দুর রহমান সোহাগ, সায়েদুর রহমান নয়ন, তৌহিদা সিকদার, ফজলে হাসান রাব্বী, ফারাবী জামান শেহজাদী সাবলীল অভিনয় করেছেন।

চার্লি এবং বেন নামের দুটি চরিত্রের আবির্ভাব এই নাটকের বিভিন্ন দৃশ্যকে সমৃদ্ধ ও গতিময় করেছে। চার্লির ভূমিকায় আমিরুল মামুন চমৎকার কাজ করেছেন। একাধিক দৃশ্যে তিনি হাসি-কান্নাকে এমনভাবে একাকার করে দেন, যা এক গভীর জীবনদর্শনের অসাধারণ শৈল্পিক উপস্থাপন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে।

আগ্রহী দর্শকদের জন্য তথ্য দিয়ে রাখা, মহিলা সমিতি মঞ্চে ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের পরবর্তী প্রদর্শনী হবে আগামী ১৭ জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ৭টায়।


banner close