শনিবার, ১ জুন ২০২৪

শুক্রবার ৩৩ সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘বীরত্ব’

শুক্রবার দেশের ৩৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বীরত্ব সিনেমাটি।
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:০১

সাইদুল ইসলাম রানা পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বীরত্ব’। চলচ্চিত্রের প্রধান দুই চরিত্রে জুটি বেঁধে প্রথমবার অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন ইমন ও মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-এর মঞ্চ থেকে আসা নিশাত নাওয়ার সালওয়া। শুক্রবার দেশের ৩৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

চলচ্চিত্র মুক্তি সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার এফডিসির ভিআইপি প্রজেকশন হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী, অন্যান্য কলাকুশলিরা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অন্যরা।

এ সময় প্রথম সিনেমা প্রসঙ্গে নির্মাতা সাইদুল ইসলাম রানা বলেন, বীরত্ব একজন সাহসী যুবকের জীবনের নানা রকম ঘাত-প্রতিঘাতের গল্প। চরিত্র সেটাই যেটা ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করে, যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে আর্তকে আশ্রয় দেয়। আমার গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা ডা. রাজু এ রকম চরিত্রের একজন। আপনারা সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখলে সেটা অনুভব করতে পারবেন।

সিনেমাটিতে রাজু চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমন। তিনি বলেন, আমার প্রথম সিনেমাতেও আমি রাজু চরিত্রে অভিনয় করি। তবে এটাতে ভিন্নতা হলো ‘বীরত্ব’ একটা অন্য রকম গল্প, অন্য রকম ছবি। যেখানে গল্পের মাধ্যমে সমাজের অনেক নেগেটিভ কিছু তুলে ধরেছি। বাংলাদেশের যত ডাক্তার আছে তারা তো বীর। আমি তাদের রিপ্রেজেন্ট করেছি। একজন ডাক্তার দেশের জন্য ও দেশের মানুষের কতটা সেবা করতে পারে সেটা দেখতে পাবে এই সিনেমায়। আপনি চাইলে দেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে পারবেন না! তবে একটা সিনেমার মাধ্যেম সেটা বলা সম্ভব। ওভার-অল সমাজ সচেতনতার বিভিন্ন ধরনের মেসেজ এই সিনেমায় আছে।

বীরত্ব চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে সালওয়ার। তিনি বলেন, আমি এই সিনেমায় ডাক্তার দিনাত চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমরা প্রত্যেকে এই সিনেমার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। আমরা ২০ বছরের পুরোনো একটা ফ্যাক্টরি ওপেন করে কাজ করেছি ভোর ৪টা পর্যন্ত। তখন নানান কিছুর ভয় ছিল। তবে এই সিনেমার গল্পের মধ্যে একটা অদ্ভুত মায়া আছে, যা দর্শক পছন্দ করবে বলে আমি মনে করি। যেহেতু এটি আমার প্রথম সিনেমা, তাই এটা নিয়ে প্রত্যাশা অনেক।

বীরত্ব দিয়ে দীর্ঘদিন পর প্রেক্ষাগৃহে আসছেন নিপুণ আক্তার। চলচ্চিত্রটির জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থিত যৌনপল্লিতে বেশ কয়েক দিন থাকতে হয়েছিল তাকে। এ নিয়ে নিপুণ বলেন, ‘এই সিনেমায় আমাকে একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে দেখা যাবে। যে জীবনে সব হারিয়েও বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। আমার বিশ্বাস, আমার চরিত্রটি অনেক অসহায় নিপীড়িত মেয়েদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহায়তা করবে।’

এই চলচ্চিত্র দিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় খল চরিত্রে অভিষেক হচ্ছে ইন্তেখাব দিনারের। সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন আহসান হাবিব নাসিম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কচি খন্দকার, বর্দা মিঠু, মনিরা আক্তার মিঠু, আরমান পারভেজ মুরাদ, শিল্পী সরকার অপু, শিশুশিল্পী মুনতাহা এমেলিয়াসহ অনেকে।

পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপও লিখেছেন নির্মাতা সাইদুল ইসলাম রানা। পিং-পং এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন শুক্লা বণিক।


জন্মদিনে আয়োজনহীন কুমার বিশ্বজিৎ

কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জুন, ২০২৪ ০০:০৩
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

চিরসবুজ বলে খ্যাত জননন্দিত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। এই গায়কের বয়স যেন আজও এক রহস্যের ধাঁধায় মোড়ানো। দেখে বোঝার উপায় নেই বালাই ষাট পেরিয়ে গত বছর একষট্টিতে পা দিয়েছেন তিনি। আর আজ ১ জুন স্পর্শ করলেন জীবনের ৬২তম বসন্ত। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দেখা যায় তার জন্ম ১৯৬৩ সালের এই দিনে। সব সময়েই হাস্যোজ্জ্বল এ শিল্পীর হাসিটিও যেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসার অবিস্মরণীয় স্মিত হাসির মতোই রহস্যময়। সে হাসিরও কোনো বয়স হয় না; কিন্তু নিজের জন্মদিনের মতো বিশেষ এই দিনেও নির্মল হাসির মানুষটি যেন নিরেট নির্বিকার। জন্মদিনে আনন্দ-উল্লাস করার পরিবর্তে অনেকটা ছলছল চোখে স্তব্ধ হয়ে আছেন একমাত্র ছেলে নিবিড়ের পাশে।

কানাডায় ঘটে যাওয়া এক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়। এরপর তাকে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং আইসিইউতে নেওয়া হয়। যদিও দীর্ঘ ১৪ মাস পর ঠিক এক মাস আগে (১ মে) জ্ঞান ফিরেছে নিবিড়ের। তাতে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন নন্দিত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি জানান ‘আমার ছেলের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে; কিন্তু কবে পুরোপুরি সুস্থ হবে, তা বলা মুশকিল। এখনো হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। সে এখন তার মা-বাবাকে নিতে পারছে; কিন্তু কথা বলছে না। অপেক্ষায় আছি কখন বাবা বলে ডাকবে।’

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন নিবিড়। তার পর থেকেই বাবা-মা দুজনেরই ঠিকানা কানাডার সেই সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল। এই দীর্ঘ ১৪ মাস কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন সংগীত মঞ্চের বাইরে। এর মধ্যে দুবার তিনি দেশে এসেছেন।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দেওয়া কুমার বিশ্বজিৎ ১৯৭৭ সালে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে বেতারে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। পেশাগতভাবে গানে পা রাখেন ১৯৮২ সাল থেকে। ১৯৮৫ সালে আলাউদ্দিন আলীর সুর-সঙ্গীতে নূর হোসেন বলাইর ‘আমরা দুজন দুটি শান্ত ছেলে’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এ চিরসবুজ গায়ককে। পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

চার দশক আগের তরুণ-তরুণীর মনে কাঁপন ধরানো গান ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে...’ আজও নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের মনে দোলা দেয়। বিটিভিতে ‘শিউলীমালা’ অনুষ্ঠানে প্রথম প্রচারিত হয় গানটি। এরপর অডিওতে ছড়িয়ে দেওয়া সেই মন মোহনী গানের তরঙ্গ আজও সব বয়সের সঙ্গেই সমান মানানসই। সেই একই কণ্ঠের জাদুতে এখনো এ শিল্পী জয় করে চলেছেন কোটি মানুষের হৃদয়। এক গানেই রাতারাতি তারকাখ্যাতি পাওয়া বিশ্বজিতের আরেকটি শ্রোতাপ্রিয় গান- ‘চতুর্দোলাতে চড়ে দেখো ঐ বধূ যায়...’ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই যশখ্যাতি পেয়ে যান কুমার বিশ্বজিৎ।


সিনেমায় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে সজল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নাটকের জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। অভিনয়ে পরিণত এই অভিনেতা এখন ভালো গল্পের বাইরে যেমন ইচ্ছের বিরূদ্ধে নাটকে যেমন অভিনয় করছেন না ঠিক তেমনি তিনি এখন ভীষণ মনোযোগী ভালো গল্পের সিনেমাতে অভিনয় করার। বড় পর্দায় চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সজলের সবকিছুতে একটা অদ্ভুত পরিবর্তন এসেছে। গল্প ও নিজের চরিত্র চ্যালেঞ্জিং না হলে তিনি কাজ করবেন না। পরিচালক জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় এর আগে একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। যে কারণে এরই মধ্যে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে সজলের কাজের একটা চমৎকার বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। তাই তারই পরিচালনায় প্রবল বিশ্বাস নিয়ে সজল আবারো একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন। সিনেমার নাম ‘ঋতুকামিনী’। ছবিটিতে সজল অভিনয় করছেন জামাল চরিত্রে। আর তার বিপরীতে কুমকুম চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা অধরা খান।

সিনেমাটিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে সজল বলেন,‘ জাহিদ হোসেন ভাই ভীষণ গুনী একজন নির্মাতা, খুব ভালো মনের একজন মানুষ। তার নির্দেশনায় আমি এর আগে সুবর্ণভূমি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলাম। আমি বিশ্বাস করি সুবর্ণভূমি আমাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে অভিনেতা হিসেবে। আর ঋতুকামিনীর জামাল চরিত্রটিও এক কথায় অসাধারণ। আমি জামালের মাঝে ডুবে আছি। দিনরাত জামাল হিসেবেই ক্যামেরার সামনে অভিনয় করছি। এতটা প্রেমে পড়িনি এর আগে কোনো চরিত্রে। মন থেকে কৃতজ্ঞতা রইলো জাহিদ ভাইয়ের প্রতি। অধরার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। কুমকুম চরিত্রে অধরাও যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন একজন অভিনেত্রী হিসেবে। তার আগামীটা অনেক সুন্দর হবে একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটা প্রত্যাশা করা যায়।’ অধরা বলেন, ‘সজল ভাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন বড় মাপের অভিনেতা। আমি তার অভিনয়ের ফ্যান। তার সঙ্গে অভিনয় করে আমিও নিজেকে সমৃদ্ধ করছি। তিনি এত সহযোগিতা পরায়ণ একজন শিল্পী, আমাকে তার বিনয়, আচরণ ভীষণ মসুগ্ধ করেছে। জামাল কুমকুমের রসায়ণ দেখার জন্য দর্শককে আমন্ত্রণ জানালাম।’

বিষয়:

প্রথমবার ওয়েব ফিল্মে রিচি সোলায়মান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের একসময়ের নন্দিত অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। বহু নাটকে অভিনয় করে তিনি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তার স্বামী রাশেক মালিক বতর্মানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশের ডিটেক্টিভ। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে রিচি আমেরিকাতেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত রিচি ঢাকাতে অবস্থান করছেন দুই সন্তানকে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে বিকশিত করে তোলার জন্য। এরই মধ্যে টুকটাক নাটকে কাজও করেছেন তিনি। বলা চলে পুরো সময়টাই বিগত কয়েক বছর শুধুই সন্তানদেরই দেবার চেষ্টা করেছেন তিনি।

এবার অভিনয়কে ঘিরে একটি সুখবর দিলেন রিচি। জানালেন প্রথমবার তিনি একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করেছেন। সাত্যকি তরফদারের রচনায় ও বিজয়া জানার পরিচালনায় ওয়েব ফিল্ম ‘গিরগিটি’তে অভিনয় করেছেন রিচি। এরই মধ্যে কলকাতায় গিয়ে এই ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করে এসেছেন রিচি সোলায়মান। ওয়েব ফিল্মে রিচি একজন পুলিশ অফিসার শোভনার ভ‚মিকায় অভিনয় করেছেন। যিনি মূলত একটি খুনের রহস্যের উদঘাটন করেন।

প্রথমবার ওয়েব ফিল্ম অভিনয় করা প্রসঙ্গে রিচি বলেন, ‘আমেরিকাতে একটি অনুষ্ঠানে আরটিভির আশিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আশিক ভাইই আমাকে কাজের কথা বললে আমি এটা বলি যে, আমি আমার মনের মতো গল্প, চরিত্র না পেলে কাজ করব না। আশিক ভাই জানতেন না যে আমি ঢাকায় থাকি। তো আশিক ভাই বললেন, আমি তোমার জন্য একটি ওয়েব ফিল্ম রেডি করছি, তুমি তাতে কাজ করবে। অবশেষে আশিক ভাইয়ের পরিকল্পনাতেই গিরগিটিতে আমার কাজ করা।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘পুরো কাজটাই এরইমধ্যে কলকাতাতে হয়েছে। আমি ছাড়া বাকী সবাই কলকাতার। ভীষণ যত্ন নিয়ে কাজটি করা হয়েছে। আমাদের দেশে মেয়েদেরকে প্রাধান্য দিয়ে গল্প খুব কমই হয়। এই নিয়ে আমাদের শিল্পীদেরও ভীষণ মন খারাপ থাকে। যাইহোক গিরগিটি-একটি নারী প্রধান গল্পের ওয়েব ফিল্ম। যেহেতু পুরো কাজটাই কলকাতায় হয়েছে, তারা তাদের শতভাগ পেশাদারি দায়িত্বে থেকে কাজটি করেছে। আমার বিশ্বাস এই কাজটি দর্শকের মন ভরিয়ে দেবে।’ বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের প্রযোজনায় ‘গিরগিটি’ ওয়েব ফিল্মটি শিগগিরই বিশেষ কোনো দিবসে ‘আরটিভি প্লাস’-এ প্রচার হবে।

বিষয়:

নতুন ছবিতে ঝলক দেখালেন মিথিলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩১ মে, ২০২৪ ০০:০৮
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশি মডেল অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বেশ কয়েক বছর ধরে ঢালিউড-টালিউড মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাজের সুবাদে এই কলকাতা, এই ঢাকা-এভাবেই ছুটতে দেখা যায় তাকে। দুই বাংলায় একের পর এক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তার। গেলো রোজার ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছিলেন ‘কাজলরেখা’ নিয়ে। এবার তাকে দেখা যাবে গোয়েন্দা সিনেমায়। তবে এপার বাংলায় নয়, ওপার বাংলায়।

ছবির নাম ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন দুলাল দে। ছবিটির ঘোষণা গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসেছিল। এবার সাক্ষাৎ টিজারসহ মুক্তির বার্তা। বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে এর প্রথম ঝলক। সেখানে অবশ্য কেবল দুটি দৃশ্যে দেখা গেছে মিথিলাকে। গোটা টিজার আবর্তিত হয়েছে ছবির মুখ্য চরিত্র অরণ্য তথা জীতু কমলকে ঘিরে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে, গোয়েন্দা গল্প হলেও ছবিটি কিঞ্চিৎ ভিন্ন। এখানকার গোয়েন্দা অরণ্য চিকিৎসাশাস্ত্রের সঙ্গে জড়িত। আবার ক্রিকেট খেলতেও বেশ পছন্দ করে। সেসব সমান্তরালে জায়গা করে নিয়েছে গল্পে। বিষয়টি নিয়ে অভিনেতা জীতু কমল বলেছেন, ‘অভিনয় আমার একমাত্র পছন্দ ছিল না। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। খেলতেও পারি। আবার সুস্থ রাজনীতিও পছন্দ করি। অভিনেতা না হলে এই দুটোর কোনও একটা অবশ্যই হতাম। এখন দেখছি, অভিনেতা হওয়ারও অনেক সুবিধা। যে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না, তা অভিনয়ের মাধ্যমে কিছুটা হলেও মিটিয়ে নিতে পারছি!’

এই ছবিতে মিথিলাকে দেখা যাবে নার্সের ভূমিকায়। তাকে বেছে নেওয়ার কারণ জানিয়ে নির্মাতা বলেছেন, ‘মিথিলা ছাড়া অন্য কারও মধ্যে চরিত্রটিকে খুঁজে পাইনি। তাই অন্য কারও সঙ্গে চরিত্রটি নিয়ে আলাপও করিনি।’ সিনেমার গল্প ও নিজের চরিত্র নিয়ে মিথিলা বলেন, ‘ছবির গল্প যেমন সুন্দর তেমনি আমার চরিত্রটিও অনেক চমৎকার মনে হয়েছে। এ ধরনের গল্প ও চরিত্রে আগে কখনো কাজ করিনি। আমার বিশ্বাস ছবির গল্প, চিত্রনাট্য সবার অভিনয়, লোকেশনসিহ সবমিলিয়ে দর্শককে ভিন্নমাত্রার এক বিনোদন দেবে। তবে এর বেশি আপাাতত কিছু বলতে চাই না।’

‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’ সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন শিলাজিৎ মজুমদার, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, আলোক স্যান্যাল, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকনাথ দে প্রমুখ। আগামী জুলাইতে সিনেমাটি মুক্তি পাবে। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন শিলাজিৎ মজুমদার, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, আলোক স্যান্যাল, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকনাথ দে প্রমুখ। আগামী জুলাইতে ছবিটি মুক্তি পাবে।


সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে দীপিকা

আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৪ ০০:০৪
বিনোদন ডেস্ক

নানা কারণে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনয় আর গ্ল্যামারে বলিউড জয় করেছেন বহু আগেই। এখন তার খ্যাতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কাজ করেছেন হলিউডে, বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিনোদন আয়োজনে হাজির হন নিয়মিত। যদিও বর্তমানে গর্ভবতী হওয়ার কারণে সব ধরনের অনুষ্ঠান থেকেই দূরে সরে রয়েছেন তিনি।

২০০৭ সালে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির মাধ্যমে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের নায়িকা হয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এরপর তারা আরও কয়েকটি ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন। সব ছবিই হয়েছে সফল। তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এক জরিপে শাহরুখকে টপকে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন দীপিকা!

গত এক দশকে যেসব ভারতীয় তারকাকে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে, তার ১০০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ তথা আইএমডিবি। এতে এক নম্বরে আছেন দীপিকা। অর্থাৎ গত এক দশকে তাকেই সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন শাহরুখ খান।

তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ আছেন যথাক্রমে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও আলিয়া ভাট। সেরা দশের পরবর্তী জায়গাগুলো দখল করেছেন ইরফান খান (পঞ্চম), আমির খান (ষষ্ঠ), সুশান্ত সিং রাজপুত (সপ্তম), সালমান খান (অষ্টম), হৃতিক রোশন (নবম) ও অক্ষয় কুমার (দশম)।

ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, আইএমডিবিতে প্রতি মাসে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ভিজিটর আসে। তাদের অনুসন্ধান থেকেই ‘টপ ১০০ মোস্ট ভিউড ইন্ডিয়ান স্টারস অব দ্য লাস্ট ডিকেড’ তৈরি করেছে প্ল্যাটফর্মটি।

তালিকার সেরা ২০-এর অধিকাংশ তারকাই বলিউডের। তবে দক্ষিণ থেকে জায়গা করে নিয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু (১৩), তামান্না ভাটিয়া (১৬) ও নয়নতারা (১৮)। অন্যদিকে অভিনেতা হিসেবে দক্ষিণ থেকে এগিয়ে আছেন প্রভাস (২৯), ধানুশ (৩০) ও রাম চরণ (৩১)।

প্রসঙ্গত, প্রথম দুটি স্থান দখল করা দীপিকা ও শাহরুখকে সর্বশেষ একসঙ্গে দেখা গেছে গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘জাওয়ান’ ছবিতে। এটি বক্স অফিসে বলিউডের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল।


১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবে পরিবেশিত ভিন্ন মাত্রার রাগ ও তাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নৃত্য-ছন্দে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বর্ণনা আবার ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশনায় ঈশ্বরের বন্দনা। পৃথিবীতে যখন কোনো সংকট দেখা দেয় তখন ভগবান বিষ্ণু ধরিত্রীর উদ্ধারে ও জীবকুলের কল্যাণে বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন। মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম, বৌদ্ধ ও সবশেষে তিনি কল্কি অবতার ধারণ করে মানব জাতির কল্যাণ করবেন।

মনিপুরি নৃত্যের ছন্দে ধর্ম বন্দনা ও প্রকৃতির রূপ যেন ধরা দিয়েছে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব ২০২৪ এর পরিবেশনায়। তচনচ, মেনকূপ, চালী নানান তালের সমন্বয়ে দশাবতারে পরিবেশিত হয়েছে শাস্ত্রীয় নৃত্য মনিপুরী। বাংলাদেশে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চা ও প্রসার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের সংগীতের সমৃদ্ধ এ ধারায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে চলছে ৬ দিনব্যাপী ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব।

সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৬ থেকে ৩১ মে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের চতুর্থ দিনের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার।

শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানে শুরুতেই পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘মঙ্গলাচরণ এবং বর্ষা পল্লবী’। ওড্যিস্যি অ্যান্ড টাগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রামের পরিবেশনায় নৃত্য পরিচালনা করেছেন প্রমা অবন্তি।

এরপর একক সংগীত রাগ ‘ইমন’ পরিবেশন করেন বিটু শীল ও ‘রাগ কেদার’ পরিবেশন করেন ড. ফকির শহিদুল ইসলাম সুমন।

একক শাস্ত্রীয় নৃত্য ‘মনিপুরি বসন্ত প্রবন্ধ’ পরিবেশন করেন মনোমী তানজানা অর্থী। এই নৃত্যে বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বর্ণনা করা হয়। নৃত্য রচনা করেছেন গুরু শ্রীমতী কলাবতী দেবী।

শাস্ত্রীয় নৃত্য কথক পরিবেশন করে নৃত্যায়ন নৃত্যদল। তুলশীদাস রচিত গণেশ বন্দনা এবং বিন্দাদীন রচিত ঠুমরি পরিবেশন করেন তারা। নৃত্য নির্মাণ করেন গুরু শ্রী সন্দীপ মল্লিক। নৃত্য পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মনিরা পারভীন।

এরপর পরিবেশিত হয় শাস্ত্রীয় একক সংগীত। পরিবেশনা করেন ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী। তিনি উপস্থাপন করেন ‘রাগ শ্রী (ধ্রুপদ)’। যোগ রাগে একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন শোভন মজুমদার। ভগবান বিষ্ণু ধরিত্রীর উদ্ধারে ও জীবকুলের কল্যাণে “দশাবতার” একক মনিপুরি নৃত্য পরিবেশন করেন বাবরুল আলম চৌধুরী। তিনি পরিবেশন করেন তাল- তচনচ, মেনকূপ, চালী যার রচয়িতা কবি জয়দেব এবং নৃত্য পরিচালনা করেছেন গুরু কলাবতী দেবী। এরপর নৃত্য কথক পরিবেশন করেন মো. মাসুম হোসাইন। তিনি নৃত্যে উপস্থাপন করেন- গুরু বন্দনা ও শুদ্ধ নৃত্য। ১৬ মাত্রার তাল ত্রিতাল এবং ১৪ মাত্রা তাল ধামার পরিবেশন করেন তিনি। নৃত্য পরিচালনায় করেন শ্রীমতী মধুমিতা রায়। এ পর্যায়ে একক শাস্ত্রীয় সংগীত ‘রাগ মধুকোষ’ পরিবেশন করেন অলোক সেন।

একক শাস্ত্রীয় নৃত্য ওড্যিস্যি পরিবেশন করেন মো. জসীম উদ্দিন। পল্লবী শব্দের অর্থ বিস্তার। নির্ধারিত রাগে কিছু বোলবাণী যোগে এর বিস্তার ঘটে। যে রাগের ওপর ভিত্তি করে পল্লবী সৃষ্টি হয় সেই রাগ অনুযায়ী এর নামকরণ। নৃত্য নির্মাণ করেন গুরু রতিকান্ত মহাপাত্র, নৃত্য পরিচালনায করেন বেনজীর সালাম।

কৃষ্ণ কীর্তনাম, ‘রাগ ভিম পলাশ’, তাল আদি পরিবেশন করেন সাইফুল ইসলাম সাকী। কীর্তনাম হলো ভরতনাট্যম নৃত্যের সাহিত্য আধারিত নৃত্যাভিনয়ের নাম। এরপর একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন ড. অসিত রায়। একক নৃত্য ‘ভরতনাট্যম’ পরিবেশন করেন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী অংকিতা দে।

পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে কথাকলি আট্টআকথা গল্প ‘উত্তরা স্বয়মবরম’। পরিবেশনা করেন স্বপ্নচূড়া কালচারাল একাডেমি। নৃত্য পরিচালনা করেন আফরিনা আফরোজ চৌধুরী। সবশেষে শাস্ত্রীয় সমবেত সংগীত পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কণ্ঠশিল্পীরা।

বিষয়:

ক্যারিয়ারের রজতজয়ন্তীতে শাকিব খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উজ্জ্বল নক্ষত্র শাকিব খান। দেশসেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানকে বর্তমানে অনেক নামেই ডাকা হয়। কিং খান, নাম্বার ওয়ান, ঢালিউড কিং, ভাইজান, রাজকুমারসহ নানা উপাধি এই সুপারস্টারের। ভক্তদের অনেকে তাকে মেগাস্টার বলেও সম্বোধন করেন। ২০০৭ সালের পর থেকে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব যেন একাই কাঁধে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শাকিব খান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতীয় সিনেমাতেও অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেন তিনি।

ঢালিউডের শীর্ষ এই তারকা শাকিব খান স্পর্শ করলেন ক্যারিয়ারের ২৫তম বসন্ত। ১৯৯৯ সালে শাকিব খান প্রথম চুক্তিবদ্ধ হন ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ নামে একটি সিনেমায়। আফতাব খান টুলু পরিচালিত সে সিনেমার মাধ্যমে তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে ‘অনন্ত ভালোবাসা’ শাকিবের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। ১৯৯৯ সালের আজকের দিনে মানে ২৮ মে ছবিটি মুক্তি পায়। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ পরিচালনা করেন প্রয়াত সোহানুর রহমান সোহান। সেখানে শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ছোটবোন ইরিন জামান। দুজনেরই অভিষেক চলচ্চিত্র হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে ‘অনন্ত ভালোবাসা’। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং নায়ক হিসেবে নজর কাড়েন শাকিব খান।

অভিনয় জীবনের দ্বিতীয় বছরেই সে সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রী শাবনূরের বিপরীতে ইস্পাহানী-আরিফ জাহান পরিচালিত গোলাম (২০০০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন শাকিব খান। সে বছর তিনি এজে রানা পরিচালিত ‘আজকের দাপট’ চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার বিপরীতে, আবু সাঈদ খান পরিচালিত ‘দুজন দুজনার’ চলচ্চিত্রে পপির বিপরীতে এবং দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বিষে ভরা নাগিন’ চলচ্চিত্রে মুনমুনের বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন।

২০০১ সালে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত ‘শিকারি’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘মায়ের জেহাদ’, ‘রাঙ্গা মাস্তান’, ‘হিংসার পতন’, ‘বন্ধু যখন শত্রু’ চলচ্চিত্রগুলো। ২০০২ সালে মুক্তি পায় ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’ ও ‘স্ত্রীর মর্যাদা’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘নাচনেওয়ালী’ ‘বিশ্ব বাটপার’। ২০০৩ সালে অভিনয় করেন ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘ক্ষমতার দাপট’ ও ‘সবার উপরে প্রেম’ চলচ্চিত্রে। ওই বছর তার অভিনীত মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘সাহসী মানুষ চাই’ চলচ্চিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয় এবং দুটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। ২০০৪ সালে শাকিব অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘নয়ন ভরা জল’, ‘আজকের সমাজ’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘রুখে দাঁড়াও’ উল্লেখযোগ্য।

২০০৫ সালে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত এম এ রহিম পরিচালিত ‘সিটি টেরর’। ২০০৬ সালে শাকিব খান অভিনীত ১৩টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় এবং সেগুলো সে বছরের সেরা ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিল। এই সাফল্যের ফলে তার পারিশ্রমিক তিন লাখ থেকে ছয়-সাত লাখে উত্তীর্ণ হয়। তারপর কেবলই সাফল্যের গল্প। আসছে ঈদে এই তারকার মুক্তি পাবে তুফান নামের একটি সিনেমা, যার টিজার, পোস্টার এরই মধ্যে বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে চলচ্চিত্রমহলে।

বিষয়:

নতুন গেটআপে অপূর্ব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

রোমান্টিক নাটকের বরপুত্র বলে খ্যাত অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এখন আর আগের মতো নেই। নিজেকে বারবার ভেঙে নতুন নতুন লুকে হাজির হচ্ছেন টিভি নাটক ও ওয়েব সিরিজে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ঈদের একটি নাটকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক গেটআপে এই তারকাকে। ‘মন দুয়ারী’ শিরোনামের ফিকশন ঘরানার এই নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করছেন জাকারিয়া সৌখিন। এরই মধ্যে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন অপূর্ব।

নাটকটি নিয়ে দারুণ আশাবাদ ব্যক্ত করে অপূর্ব বলেন, ‘অনেক সুন্দর একটি গল্পের নাটক মন দুয়ারী। আমার চরিত্রটিও অসাধারণ মনে হয়েছে। এ ধরনের চরিত্রে আমি আগে অভিনয় করিনি। নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে আমার অনেক কিছুর পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস নাটকটি প্রচারে এলে দর্শকের অবশ্যই ভালো লাগবে।’

নাটকটিতে অপূর্বর দাদির চরিত্রে অভিনয় করছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেত্রী দিলারা জামান। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন আমার বয়স ৮২। এই বয়সেও যে কাজ করছি সেটাই তো আসলে অনেক। মন দুয়ারী নাটকটিতে কাজ করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে নির্মাতাদের বলব আমার বয়সটার দিকে খেয়াল রেখে আমাকে দিয়ে কাজ করানো উচিত। কারণ অন্যদের মতো আমি রাত জেগে কাজ করতে পারি না, অনেক কষ্ট হয়। এই কষ্টটা এই বয়সে সহ্য করা বা মেনে নেওয়া অনেক কঠিন।

অপূর্বকে নিয়ে এই অভিনেত্রীর ভাষ্য, অপূর্ব আমার নাতির চরিত্রে যথারীতি খুব ভালো অভিনয় করেছে। সত্যি বলতে অপূর্ব এখন একজন পরিণত অভিনেতা। এক কথায় চমৎকার অভিনয় করে। ফিকশনের গল্পটা এমন যে বিদেশ থেকে অপূর্ব দেশে আসে ওয়ারিস বুঝে নিতে। একটা সময় অপূর্ব বিদেশে ফেরত যেতে চায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে না। কী কারণে অপূর্ব শেষমেশ যেতে পারে না তা দেখতে হলেই ফিকশনটি উপভোগ করতে হবে। এটা সত্যি সৌখিন অনেক যত্ন নিয়ে কাজটি নির্মাণ করেছে। অপূর্বসহ আরও যারা এতে অভিনয় করেছে প্রত্যেকেই খুব চমৎকার অভিনয় করেছে। আমি ভীষণ আশাবাদী ফিকশনটি নিয়ে।

বিষয়:

অবিস্মরণীয় এক নাম হুমায়ুন ফরীদি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশীয় শোবিজের এক অবিস্মরণীয় নাম হুমায়ুন ফরীদি। আশি ও নব্বইয়ের দশকে যে কজন অভিনয়শিল্পী মঞ্চ ও টিভি নাটককে জনপ্রিয় এবং আলোচিত করেছিলেন, হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। এই কিংবদন্তি জীবদ্দশায় তিন দশকেরও বেশি সময় চলচ্চিত্রেও সমান দাপটের সঙ্গে অভিনয়ের মাধ্যমে রং ছড়িয়েছেন। নায়ক কিংবা খলনায়ক সব চরিত্রেই সমান পারদর্শিতা দেখানো এই গুণী শিল্পী কাটিয়েছেন অভিনয়ের বর্ণাঢ্য জীবন। তিনি এখনো আছেন সবার হৃদয়ে।

নন্দিত ও বরেণ্য এই অভিনেতা অমর হয়ে রয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখো কোটি দর্শকের হৃদয়ে। ভক্তদের ভালোবাসায় তিনি কিংবদন্তি হয়েই থাকবেন। নাটক, চলচ্চিত্র কিংবা মঞ্চ- সবখানেই ছিল তার অবাধ বিচরণ। শুধু অভিনয় দিয়েই দর্শককে বিমোহিত করেছিলেন ডাকসাঁইটে এই অভিনেতা। তাকে বলা হয় অভিনেতাদের অভিনেতা, একজন আদর্শ শিল্পী।

শক্তিমান এই তারকার আজ ৭২তম জন্মবার্ষিকী। ফরীদির জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় আজ বিকাল ৫টায় আহমেদ রেজাউর রহমান এজাজের সম্পাদনায় ‘হুমায়ুন ফরীদি সাধারণ এক অসাধারণ’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের লেখায় বইটি সমৃদ্ধ হয়েছে। চলচ্চিত্র, মঞ্চ, টেলিভিশনের ব্যক্তিত্বরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে হুমায়ুন ফরীদিকে স্মরণ করবেন।

১৯৫২ সালের এই দিনে ঢাকার নারিন্দায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম ঢাকায় হলেও শৈশব-কৈশোর তার কেটেছে ঢাকার বাইরে। বাবার চাকরির সুবাদে ঘুরতে হয়েছে মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুরসহ আরও অনেক জেলায়। যে কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনাও হয়েছে তার বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্কুলে।

চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করেন ১৯৭০ সালে। স্বাধীনতার পর অর্থনীতি নিয়ে ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে অনার্স সম্পন্ন করেন। তবে ছেলেবেলা থেকেই অভিনয়ে ঝোঁক ছিল তার। তাই অর্থনীতিতে এত ভালো ফলাফল করেও পেশা হিসেবে বেছে নেন অভিনয়কে। এরপর মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র- তিন মাধ্যমেই দাপিয়ে বেড়ান এই গুণী অভিনেতা। তিন দশকের বর্ণিল ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্র।

হুমায়ুন ফরীদির অভিনয়ে হাতেখড়ি অবশ্য মাত্র ‎১২ বছর বয়সে। ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জের মহল্লার নাটক ‘এক কন্যার জনক’-এ অভিনয়ে করেন তিনি। স্কুল জীবনেই নাটকের নির্দেশনা দেওয়া অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। ‘ভূত’ নামে নাটকের নির্দেশনা দেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নাট্যজন সেলিম আল দীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে হুমায়ুন ফরীদির। ১৯৭৬ সালে সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। এই উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক, ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। এরপর ঢাকা থিয়েটারে ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসি’, ‘ফণীমনসা’, ‘শকুন্তলা’, ‘কীত্তনখোলা’, ‘কেরামত মঙ্গল’ নাটকগুলোতে অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসিত হন হুমায়ুন ফরীদি। নাট্যজগতে অদ্বিতীয় ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

হুমায়ুন ফরীদি টিভি পর্দায় প্রথম অভিনয় করেন আতিকুল ইসলাম চৌধুরীর ‘নিখোঁজ সংবাদ’ নাটক দিয়ে। তবে ১৯৮৩ সালে সেলিম আল দীনের রচনায় ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’ নাটকে সেরাজ তালুকদারের চরিত্রে অভিনয় করে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা পান ফরীদি। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি ফরীদিকে।

বিষয়:

জাহ্নবীকে হটিয়ে ধড়ক সিরিজে তৃপ্তি দিমরি

আপডেটেড ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডে এই সময়ের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবি ব্লকবাস্টার হওয়ার পর থেকেই অহংকারে যেন মাটিতে পা পড়ছে না ‘ভাবী-২’ নামে খ্যাত এই অভিনেত্রীর। তার ঝুলিতে এখন একের পর ছবির প্রস্তাব। বলিউডের নামজাদা প্রযোজকরা এখন তৃপ্তির সঙ্গে ছবি করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। তৃপ্তির ঝুলিতে এখন একগুচ্ছ সিনেমা। বলিউডের হটকেক নাকি নতুন ছবির ক্ষেত্রে কোনো রকম বাছ-বিচারে যাচ্ছেন না। বরং স্ক্রিপ্ট একটু পছন্দ হলেই সবুজ সংকেত দিয়ে দিচ্ছেন। এ কারণেই তৃপ্তির বাড়ির বাইরে প্রযোজকদের লাইন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তৃপ্তি স্পষ্ট বলেন, ‘আপাতত ক্যারিয়ার ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে মন দিতে চাই না।’

এবার নতুন আরেকটি খবর দিলেন বলিউডের নতুন জাতীয় ক্রাশ তৃপ্তি দিমরি। জানালেন করণ জোহরের ‘ধড়ক’ সিনেমার নতুন কিস্তিতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। জানা গেছে, শ্রেণিবৈষম্য, জাতিভেদের কবলে পড়ে বলি হওয়া প্রেমের গল্প নিয়ে আসছেন করণ জোহর। গত সোমবার সিনেমার ঘোষণা করলেন এই পরিচালক।

২০১৮ সালে কলকাতার প্রেক্ষাপটে ‘ধড়ক’ সিনেমা তৈরি করেছিলেন করণ জোহর। তার প্রযোজিত এই ছবি দিয়েই বলিউডে পা রাখেন জাহ্নবী কাপুর। তবে এবার সিক্যুয়ালের ঘোষণায় চমক দিলেন করণ। জাতপাত, শ্রেণিবৈষম্যের ঘেরাটোপে এক ভালোবাসার গল্প নিয়ে আসছেন পরিচালক-প্রযোজক। ‘ধড়ক-২’-এ তার সঙ্গী তৃপ্তি দিমরি এবং সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী। এর মাধ্যমে প্রথমবার জুটি বাঁধছেন তারা। দুই তারকাই বর্তমান প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। অতঃপর বলিউডের এই ফ্রেশ জুটিকে যে দর্শকদের মন্দ লাগবে না, সেটা আশা করাই যায়।

‘ধড়ক-২’ ছবির টিজার পোস্টারেই মিলল গল্পের ইঙ্গিত। যেখানে প্রথমেই বলা হয়েছে, ‘এক রাজা ছিল, ছিল এক রানিও। তবে দুজনের জাত ছিল আলাদা। ব্যস প্রেমকাহিনি শেষ।’ এই ছবি যে লাভ জেহাদের মতো বিষয়কে কেন্দ্র করেই তৈরি হচ্ছে, তা আর বুঝতে বাকি রইল না! দলিত শ্রেণির ওপর অত্যাচার, ভিনজাতে প্রেমের অপরাধীদের ওপর চোখরাঙানি, পোস্টারের ঝলকে সেসব কথাও উঠে এল। করণ প্রযোজিত এই সিনেমা যে ভিন্ন স্বাদের এক প্রেমকাহিনি দেখাবে, তা বেশ আন্দাজ করা যাচ্ছে সহজেই।

বিষয়:

নতুন অবতারে দেব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

শারদীয় দুর্গাপূজা আসতে বাকি হাতে আরও কয়েক মাস। শপিং-খাওয়াদাওয়ার এসব ঠিকঠাক শুরু না হলেও, বলাই যায় সিনেমা দেখার প্ল্যান বাঙালি করেই রেখেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও তাই পরিচালকরা প্রস্তুত, একের পর এক ধামাকাদার উপহার নিয়ে। প্রস্তুত সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ছবি ‘টেক্কা’ও। আর এই সিনেমায় বড় চমক হচ্ছেন দেব। নির্বাচনের আবহেই অভিনেতা সেই সুখবর ভাগ করেছেন এই চিত্রতারকা। টেক্কা সিনেমায় যেখানে একেবারেই অন্যরূপে দেখা মিলবে এই অভিনেতার।

গত বছর শারদীয় উৎসবে মুক্তি পেয়েছিল সৃজিত মুখিার্জ পরিচালিত ছবি ‘দশম অবতার’। সেই ছবির অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার পূজায় দর্শককে তিনি উপহার দিচ্ছেন ‘টেক্কা’। আর এর মাধ্যমে প্রথমবার দেব ও রুক্মিণীকে নিয়ে ছবি বানাতে বানাচ্ছেন সৃজিত। ছবিতে দেব-রুক্মিণী ছাড়াও রয়েছেন নবাগতা সৃজা দত্ত, টোটা রায়চৌধুরী, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-সহ ইন্ডাস্ট্রির তারকারা।

ছবির শুটিংও বেশ খানিকটা হয়ে গেছে। এবার পুজোর জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে। এর আগও শুটিংয়ের পোশাক পরেই ক্যামেরা সামনে পোজ দিয়েছিলেন দেব। তার পরনে সেই বাদামি রঙয়ের শার্ট, উসকো-খুসকো চুল, গাল ভর্তি দাড়ি। টেক্কায় এটাই যে দেবের লুক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টেক্কার প্রথমভাগের শুটিং শেষের খবর শেয়ার করার সুখবরও অভিনেতা দিয়েছিলেন তাঁর ভক্তদের। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেবের জুটি দেখতে তাই মুখিয়ে নেটিজেনরা। বাদামি রংয়ের ঢিলেঢালা প্যান্ট, হালকা রংয়ের শার্ট, গালভর্তি দাড়ি, হাতে বন্দুক নিয়ে শুটিংয়ের একটি দৃশ্য ফাঁস হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভাইরাল হওয়া সেই ছবি-ভিডিয়ো এক মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। অভিনেতার ফ্যান পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। অভিনেতার ভক্তেরা রীতিমতো উত্তেজিত সিনেমাটি দেখার জন্য। দেব মানেই একের পর এক চমক পর্দায়, একথা বলাই যায়। সৃজা দত্ত ছবিতে থাকছেন একজন সাংবাদিকের চরিত্রে। অন্যদিকে দেব-রুক্মিণীর চরিত্রগুলো ভীষণই ইন্টারেস্টিং বলা চলে। তাই দেবের পাশাপাশি রুক্মিণীর চেহারায়ও বড় চমক বলা চলে।

লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেব। ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে শনিবার ছিল তার লড়াই। নির্বাচন মিটতেই শুটিংয়ের একটি ছবি পোস্ট করে পুজোয় যে টেক্কা আসছে তা মনে করালেন অভিনেতা। ভক্তেরাও যে তাকে দেখার প্রতীক্ষায়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না বলা চলে।

বিষয়:

আবেগে ভাসছেন বলিউড বাদশা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আবারও আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। এর মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো আইপিএলের ট্রফি জিতল শাহরুখের দল। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০১২, ২০১৪ সালে আইপিএলের ট্রফি জিতেছিল। আইপিএলে চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব পাওয়া মাত্রই আবেগে ভাসলেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। নিজের দল কেকেআর ম্যাচ জেতার পর পাশে থাকা স্ত্রী-কন্যাকে জড়িয়ে ধরেন বলিউড বাদশাহ। এরপর একে একে প্রকাশ্যে আসে শাহরুখের মিষ্টি পারিবারিক মুহূর্ত; যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল ।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দশ বছর পর আইপিএল ট্রফি জিতে পরিবারের সঙ্গে আবেগে ভাসলেন শাহরুখ খান। মেয়ে সুহানাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এ সময় সুহানাকে বলতে শোনা গেল, ‘আর ইউ হ্যাপি নাও?’। যেন কোনো বিরাট বোঝা নামল শাহরুখের বুক থেকে! ততক্ষণে হাসিতে উজ্জ্বল সুহানার মুখ। হানার পর শাহরুখকে এসে জড়িয়ে ধরে খুদে আব্রাম। পিছিয়ে থাকলেন না আরিয়ানও।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেসব ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাচ শেষে কখনো গৌরীকে জড়িয়ে ধরলেন শাহরুখ, আবার কখনো টিভি স্ক্রিনে ছুড়ে দিলেন উড়ন্ত চুমু।

ক্রিকেট নিয়ে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের আবেগ বেশিই চোখে পড়ে। সিনে দুনিয়ার এই সম্রাট ভারতের খেলা হলে স্টেডিয়ামে গিয়ে হাজির হন। শাহরুখ কতটা ক্রিকেটপ্রেমী তা আইপিলে নায়কের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলা চলাকালীন বা জয়ের পর স্পষ্ট চোখে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই ট্রফি লাভে নিজেকে উজাড় করে উদ্‌যাপন করবেন এ নায়ক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

রোববার রাতে আইপিএলের ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিন রাতে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেছেন শাহরুখ। জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ‘জাওয়ান’ তারকা।

অসুস্থতাকে একপাশে রেখে ঠিকই আইপিএলের ফাইনাল দেখতে চেন্নাই পৌঁছেছিলেন শাহরুখ খান। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর চিপক গ্যালারি থেকে ভাইরাল হয় মাস্কে ঢাকা বাদশার উদ্বিগ্ন মুখ! এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়াম থেকে এদিন একের পর এক প্রকাশ্যে আসে শাহরুখের মিষ্টি পারিবারিক মুহূর্ত। যা কি না ইন্টারনেটে ভাইরাল। তবে অনুরাগীদের চোখ ভিজল বাবা-মেয়ের আবেগ দেখে। কলকাতার জয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন সুহানা খান। যে মুহূর্ত আবেগী করেছে শাহরুখ তথা কেকেআর ভক্তদের।

এ বছর গোটা আইপিএল সিজনে একেবারে বাবার ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতে দেখা গেছে সুহানা খানকে। আহমেদাবাদে বাবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ও খেয়াল রেখেছেন সুহানা। ফাইনালের দিন বিকেলেও যখন কিং খান মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদের জন্য রওনা হচ্ছেন, তখনো সুহানাকে দেখা গেল ভাই আব্রামকে নিয়ে বাবার পাশে।

বিষয়:

নতুন অধ্যায়ে বিপাশা বসু

আপডেটেড ২৮ মে, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন ডেস্ক

হিন্দি চলচ্চিত্রের এক সময়ের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী বিপাশা বসু। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এই তারকা আবেদনময়ী হিসেবেও বেশ পরিচিত দর্শক মহলে। ১৯৯৬ সালে ফোর্ডস গোদরেজ সিন্থল সুপার মডেল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। সেই থেকেই শুরু হয় তার শোবিজে পথ চলা। স্বামী, সন্তান আর সংসারের ব্যস্ততার কারণে অনেক দিন ধরেই অভিনয় থেকে দূরে সরে রয়েছেন ৪৫ বছর বয়সি এই বলিউড তারকা।

বছর দুয়েক আগে মা হয়েছেন বিপাশা বসু। তার পর থেকে মেয়ে দেবীকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে তার জীবন। তবে এবারে জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখতে চলেছেন বিপাশা। লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন তিনি। বিপাশা বসু জানিয়েছেন তিনি একটি বই লিখবেন। তবে কোনো গল্প কিংবা উপন্যাস নয়, বইটি তার স্মৃতিকথা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যে যে বিষয়গুলো তার জীবনের মোড় ঘুরিয়েছে, সেই বিষয়গুলোই লিপিবদ্ধ করা হবে তার বইতে। পাশাপাশি, নিজেকে খোঁজার উপায় এবং জীবনে শান্তির বার্তাই পাঠকের কাছে পৌঁছে দেবে বিপাশার বইটি।

বিপাশা বসু বলেন, ‘আমি জীবনে প্রচুর উত্থান-পতন দেখেছি; কিন্তু তার পরেও আজ যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি, তা সম্ভব হয়েছে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোয় মন দেওয়ার ফলেই। এবার সেগুলো আমি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।’

বিপাশার এই বইটির শিরোনাম এখনো চূড়ান্ত নয়। বইটি আগামী বছর প্রকাশিত হবে। বিপাশা বসু দীর্ঘদিন ধরে বলিউডে কাজ করছেন এবং তার অভিনয়ের মাধ্যমে বহু মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এখন তিনি তার জীবনের অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে চাইছেন। অনুরাগীরা তার এই নতুন উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত এবং অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তার বইয়ের জন্য। এই বইয়ের মাধ্যমে বিপাশা তার জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, সংগ্রাম এবং সাফল্যের গল্প শেয়ার করবেন, যা পাঠকদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে। তার জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো এবং শান্তির বার্তা পাঠকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিপাশার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

২০০২ সাল থেকে বলিউডি অভিনেতা জন আব্রাহামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে রয়েছেন বিপাশা বসু। ২০০৫ এবং ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন ইস্টার্ন আই বিপাশাকে এশিয়ার সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী মহিলা হিসেবে উল্লেখ করে। করণ সিং গ্রোভার কে বিয়ের পর এই অভিনেত্রী বেশ সুখেই আছেন উল্লেখ করে বিপাশা বলেন, আমি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি করণের স্ত্রী হিসেবে।

বিষয়:

banner close