মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

১৩ বছর পর বাপ্পার কণ্ঠে জুলফিকার রাসেলের গান

জুলফিকার রাসেল ও বাপ্পা মজুমদার
আপডেটেড
১০ এপ্রিল, ২০২৩ ০৯:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৩৪

গানটি অনেকভাবেই বেশ অর্থবহ। সেসব আলাপের আগে পরিচিতি হওয়া যাক; গানটির নাম ‘বন্ধু চেনা দায়’। জুলফিকার রাসেলের কথায় এটির কণ্ঠ, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পা মজুমদার।

গানটির রেকর্ডিং শেষ, এখন চলছে ভিডিও তৈরির শুটিং। মুক্তির পরিকল্পনা আসছে পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) উৎসবে।

গানটির ভিডিও নির্মাণ করছেন অনিন্দ কবীর অভিক। বাপ্পা মজুমদারের সাম্প্রতিক গানচিত্রে খুব বেশি মডেল বা কোরিওগ্রাফির বালাই থাকে না। তবে এই গানটির শুটিং আয়োজন বেশ বিস্তৃত। আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) শুটিং ফ্লোর থেকেই কথা বললেন এ প্রসঙ্গে।

বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘এবারের কাজটি একটু বিস্তৃত পরিসরে শুট হচ্ছে। যেখানে আমার পাশাপাশি কোরিওগ্রাফির একটা বড় অংশ রয়েছে। কাজ চলছে, শেষ হলে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।’

এবার আসা যাক কেন গানটি অনেকভাবেই অর্থবহ। প্রথম কারণ, টানা ১৩ বছর পর জুলফিকার রাসেলের গীতিকবিতা কণ্ঠে তুলেছেন বাপ্পা মজুমদার। যে জুটির মাধ্যমে সংগীতাঙ্গন পেয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় ও সমৃদ্ধ গান। বাপ্পা-জুলফি জুটির একক অনেক গানের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘একই শহরে’, ‘ইচ্ছে করেই একসাথে’, ‘আবার পথে দেখা’, ‘স্বপ্নরানী’, ‘পরস্পর’ প্রভৃতি।

২০১০ সালে ‘পরস্পর’ অ্যালবামটির পর দুজনকে আর একসঙ্গে পাওয়া যায়নি। সেই দীর্ঘ দূরত্ব ঘোঁচে চলতি বছর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়া ‘কিছু নেই যার’ গানটির মাধ্যমে। না, গানটি জুলফিকার রাসেলের কথায় সুর-সংগীত বাপ্পা করলেও কণ্ঠে তুলেছেন টিনা রাসেল। সেই বিবেচনায় মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘বন্ধু চেনা দায়’ গানটিই হচ্ছে ১৩ বছর পর বাপ্পা-জুলফি জুটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ গান।

আবার একসঙ্গে ফেরা প্রসঙ্গে গীতিকবি জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘প্রথমত গানটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। অনেকদিন পর সুরের উপর গানটি লিখেছি। তারচেয়ে বড় কথা ১৩ বছর পর বাপ্পা দা আমার কথায় গাইলেন। মাঝের সময়ে আমরা দুজনই অসংখ্য গান করেছি। তবু এই গানটি আমার জন্য বেশ অর্থবহ।’

বাপ্পা মজুমদার বললেন, ‘১৩ বছর পর আবার আমি আর জুলফি একসঙ্গে গান করলাম। এখন দেখার পালা শ্রোতারা কতোটা পছন্দ করে। তবে এই কাজটি আমার কাছে দুটি কারণে বেশ অর্থবহ। প্রথমটি তো বললাম জুলফির কথায় আবারও গাইলাম। আরেকটি বিষয় হলো, চলতি বছরের শুরুটা হয় এই গানটি কম্পোজিশনের মাধ্যমে। যতদূর মনে পড়ে ২ জানুয়ারি গানটি সুর করি। ফলে বছরের প্রথম সুর হিসেবে এটির প্রতি আমার বাড়তি আদর রয়েছে।’

বাপ্পা মজুমদার জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই এপ্রিলেই গানচিত্রটি প্রকাশ করছেন তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। পাশাপাশি প্রকাশ হবে বেশ ক’টি আন্তর্জাতিক অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে।


পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রীর স্টেট সেক্রেটারি স্টাইন রেনাটে হাহেইমের নেতৃত্বে একটি নরওয়েজিয়ান প্রতিনিধিদল আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়। এতে নরওয়ের দূতাবাসের সিনিয়র উপদেষ্টা গানহিল্ড এরিকসেন, ক্রিস্টিন লুন্ডেন ও রাষ্ট্রদূত আরাল্ড গুলব্রাডসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য শক্তি, বন সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী নবায়নযোগ্য শক্তি নীতির প্রশংসা করে নরওয়েজিয়ান দল। রিজওয়ানা হাসান জানান, জলবায়ু তহবিলের সুষম বণ্টন, লবণাক্ততা ও বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সুপেয় পানি ও অভিযোজন প্রকল্পে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

বন ও নদী সংরক্ষণ বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের নদী ও বনাঞ্চল রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। জলবায়ু তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড় অংশ এখানেই ব্যয় করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, ভূমি পুনরুদ্ধার ও বনায়নের মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। এছাড়া কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের পরিবেশগত ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজওয়ানা হাসান। তিনি উল্লেখ করেন, এই শিল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণ এখনও উদ্বেগজনক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংস্কার ছাড়া এটিকে 'সবুজ' হিসেবে প্রচার করা যায় না। নরওয়ের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও নীতিগত সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নরওয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। রিজওয়ানা হাসান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দুর্নীতি কমানোর মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হলো দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা। আমরা নদী ও বন রক্ষায় কাজ করছি, কিন্তু জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের মতো ক্ষেত্রে পরিবেশ ও মানবাধিকারের প্রশ্নে আপস করব না।

স্টাইন রেনাটে হাহেইম বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন ও নবায়নযোগ্য শক্তি খাতের অগ্রগতিতে গভীরভাবে সমর্থন জানায়। আমরা টেকসই উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

উভয় পক্ষ জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, বন সংরক্ষণ ও সবুজ শিল্পের প্রসারে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।


কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আলোচিত চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার বলেন, ‘দুপুরে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে সেগুলো যাচাই-বাছাই ও নতুন মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার নুসরাত ফারিয়াকে সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকালে নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত রোববার নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়।


নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার সঙ্গীতশিল্পী নোবেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নারী নির্যাতনের একটি মামলায় সঙ্গীতশিল্পী মামলায় মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার তালিবুর রহমান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডেমরার স্টাফ রোড এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় নারী নির্যাতনে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

যোগাযোগ করা হলে ডেমরা পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান ইউএনবিকে জানান, ‘ইসরাত জাহান প্রিয়া নামে ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর সাথে রুবেলের টেলিফোনে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে প্রায় সাত মাস আগে রুবেল প্রিয়াকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কীর্তন করে টেমরা থানার অধীন আমতলা নামক স্থানে একটি ফ্লাট বাসায় রাখে। বিগত সাত মাসে প্রিয়ার সাথে সম্পর্ক করে এবং পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি।’

সম্প্রতি প্রিয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যেটা দেখে প্রিয়ার বাবা-মা ডেমরা থানা যোগাযোগ করেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত দশটায় আমতলার বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রিয়াকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু রুবেল সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে প্রিয়া ডেমরা থানা এসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। রুবেল তখন একটি গাড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।

বাংলাদেশের গায়ক হলেও নোবেল খ্যাতি অর্জন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলা চ্যানেলের গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’ থেকে। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় জিততে না পারলেও তৃতীয় হন নোবেল, আর নিজের সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে খুব সহজেই দুই দেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি।

এরপর থেকে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলেও এই আলোচিত গায়কের সুখ্যাতি নিমেষেই নষ্ট হয়ে যায় তার ব্যক্তিগত জীবন সবার সামনে আসার পর। স্ত্রীকে মারধর, মাদক সেবন, মদের ঘোরে ভাঙচুর, টাকা নিয়ে শো করতে না যাওয়া—এমন নানা অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ হন নোবেল।

২০১৯ সালে মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। পরবর্তীতে খ্যাতির মধ্যে থাকা অবস্থায় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিক্ততা শুরু হয় স্ত্রীর সঙ্গে, যার শেষ পরিণতি হয় বিচ্ছেদ।

২০২৩ এর নভেম্বরে অন্যের স্ত্রী ফারজানা আরশির সাথে অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে নোবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তিনি আবারও বিয়ে করেছেন। পরবর্তীতে ফারজানা আরশি পুলিশের কাছে গায়কের নামে অভিযোগ দায়ের করে জানান যে নোবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি, জোর করে গোপালগঞ্জের বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে এরপরে মাদক খাইয়ে ওই অন্তরঙ্গ ছবিগুলো তোলা হয়েছিলো।

ব্যক্তিগত জীবনের বাইরেও একই বছর শরীয়তপুরের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে অর্থ নিয়েও না যাওয়ায় ঢাকার মতিঝিল থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে।

২০২৪ সালে বেশ কিছু মাস রিহ্যাবে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পর নোবেল সম্প্রতি আবারও গানের জগতে ফিরে এসেছিলেন এবং বেশ কিছু নতুন গানের কাজ করছিলেন।


কানের লাল গালিচায় আলোকচিত্রীর সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ডেনজেল ওয়াশিংটনের 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানসূচক পুরস্কার গ্রহণের আগে সোমবার একজন আলোকচিত্রীর সাথে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয় হলিউড তারকা ডেনজেল ওয়াশিংটনের।

ফ্রান্সের কান থেকে এএফপি জানায়, ৭০ বছর বয়সী ওয়াশিংটন নিউ ইয়র্কের পরিচালক স্পাইক লির সাথে তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘হাইয়েস্ট টু লোয়েস্ট’ এর প্রিমিয়ার শো দেখার জন্য প্রথমবারের মতো উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।

দুইবারের অস্কারজয়ী এই অভিনেতাকে প্রদর্শনীর আগে সম্মানসূচক পাম ডি'অর প্রদান করা হয়। সহ-অভিনেতা এসাপ রকি ও তার সঙ্গী রিহানা ভিআইপি হিসেবে তার সঙ্গে ছিলেন।

দর্শকদের একজন এএফপিকে জানান ওয়াশিংটন বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ অবাক করা। আমি খুবই আবেগে আপ্লুত।’
এর আগে লাল গালিচায় একজন আলোকচিত্রীর সাথে প্রবীণ অভিনেতার মুখোমুখি হতে দেখা গেছে।

এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার সময় ফটোগ্রাফার অভিনেতার হাত ধরে ফেলেন। ওয়াশিংটন তাকে ঝাঁকি দিলেন ও তার দিকে আঙুল তুলে কয়েক বার বলেন, ‘থামো’ (স্টপ ইট)।

তবে এই অদ্ভুত ঘটনা সত্ত্বেও, তার এবং লির ছবির প্রশংসায় ওয়াশিংটনের মেজাজ নিঃসন্দেহে উজ্জীবিত হয়েছে।
প্রখ্যাত জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক,আকিরা কুরোসাওয়া’র পরিচালিত ১৯৬৩ সালের চলচ্চিত্র ‘হাই অ্যান্ড লো’-এর ছায়া অবলম্বনে, ‘হাইয়েস্ট টু লোয়েস্ট’ ছবিটি সম্পর্কে আমেরিকান বাণিজ্য ও বিনোদন ভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য হলিউড রিপোর্টার বলেছে ছবিটি‘ বুদ্ধি, উচ্চ শৈলী ও গতিময়তা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।


জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জামিন পেয়েছেন আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। মঙ্গলবার (২০ মে) বিশেষ সাবমিশন শেষে তাকে জামিন দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

নুসরাত ফারিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন ইউএনবিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ আমাদের সাবমিশনে সন্তুষ্ট হয়ে অবশেষে চলচ্চিত্র নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করলেন।’


নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার জামিনের শুনানির জন্য আগামী ২২মে দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম)ম্যাজিস্ট্রেট নাজনীন আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন সকাল ৯টার দিকে নুসরাত ফারিয়াকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেক বাদে তাকে এজলাসে নেওয়া হয়।

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই বিল্লাল ভূঁইয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানি শেষে নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গতকাল (রবিবার) দুপুরের দিকে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ভাটারা থানাধীন এলাকায় এক হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আসনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয় শিল্পী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়।

আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানা গত ২৯ এপ্রিল তা এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করে।

আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ নায়িকাকে।

রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ২০১৩ সালে নাম লেখান উপস্থাপক হিসেবে। কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার আশিকী সিনেমায় বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। প্রথম সিনেমাতেই সাড়া ফেলে দেন তিনি। এরপর ঢালিউড ও টালিউড মিলিয়ে প্রায় ২০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

২০২৩ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত।


এক যুগ পর জয়া আহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

প্রায় এক যুগ পর একসঙ্গে পর্দায় পাওয়া যাবে জয়া আহসান ও শাকিব খানকে। ঈদুল আজহায় মুক্তির প্রস্তুতি চলছে নতুন সেই সিনেমা ‘তাণ্ডব’। এরই মধ্যে সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে সত্যিই এটি ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে কি না তা এখনো নিশ্চিত করেননি নির্মাতা রায়হান রাফী। তবে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া জানান, এই ছবিতে এক বদলে যাওয়া শাকিবকে পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ নামে একটি সিনেমায় একত্রে দেখা গিয়েছিল শাকিব খান ও জয়া আহসানকে। এরপর আর একসঙ্গে কাজ করেননি তারা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও পর্দা ভাগাভাগি করছেন এ দুই তারকা। এতদিন পর শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লাগছে? কতটা পরিবর্তন এসেছে অভিনেতার? জানতে চাইলে জয়া আহসান বলেন, ‘তার ডেডিকেশন লেভেলটা অনেক বেড়েছে। খুব মন দিয়ে কাজ করেন। নিজের চরিত্রের জন্য সর্বোচ্চটা তিনি দেন, যেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করার মতো।’

‘তাণ্ডব’ ছবিতে জয়া আহসান অভিনয় করলেও শাকিবের নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে না এই তারকাকে। বরং শাকিবের নায়িকা হিসেবে ছবিতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হামলাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাবে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার গল্প। সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে কাজ করছেন জয়া আহসান। এরই মধ্যে ‘তাণ্ডব’-এর শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ছবির অভিনয়শিল্পীরা। এই ছবিতে কাজ করছে একঝাঁক তারকা।

একসঙ্গে কাজ না করলেও জয়া আহসান ও শাকিব খান দুজনেই এককভাবে ব্যস্ত ছিলেন কাজ নিয়ে। একই সঙ্গে ঢাকা ও কলকাতায় কাজ করেছেন দুই তারকাই। বিশেষ করে কলকাতার সিনেমায় জয়ার সম্পৃক্ততা ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। অন্যদিকে শাকিব খানও আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছেন। গত বছর শাকিব অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়।

সিনেমাগুলো নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি প্রচুর সমালোচনাও সইতে হয়েছে অভিনেতাকে। গত বছর উৎসবের বাইরে শাকিবের ‘দরদ’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেলেও সেটি সাফল্য পায়নি। সম্প্রতি ঈদুল ফিতরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত দুটি সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘বরবাদ’। সিনেমা দুটি নিয়ে নিজের সঙ্গেই নিজেকে লড়াই করতে হয়েছে অভিনেতাকে। দুটি সিনেমাতেই তিনি সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিদেশি নায়িকা, যা গত কয়েক বছর ধরেই তার সিনেমায় দেখা যাচ্ছে।


চমকে দিলেন অ্যাম্বার হার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিরহেই দিন কাটাচ্ছিলেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। তবে সেই বিষাদকে আনন্দে রূপ দিয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এই অভিনেত্রী। তবে এবার আর কোনো কোর্টরুম নয় বরং এবার তিনি খবরে এসেছেন মাতৃত্বের মহিমা নিয়ে। ‘দ্য ওয়ার্ড’ খ্যাত জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী একসঙ্গে দুই নবজাতকের মা হয়ে চমকে দিয়েছেন ভক্তদের। মা দিবসের সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা দুটি ছোট্ট পায়ের ছবি যেন জানিয়ে দিল, তার জীবনে এসেছে এক পুত্র এবং এক কন্যা। ৩৯ বছর বয়সে জীবনের সবচেয়ে বড় ও আনন্দঘন এই ভূমিকার খবর নিজেই ভাগ করে নিলেন পুরো বিশ্বের সঙ্গে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তারকা লিখেছেন, আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবরটি শেয়ার করছি যে, আমি যমজ ভাইবোনকে (অ্যাম্বার হার্ডের ছেলে-মেয়ে) হার্ড গ্যাংয়ে স্বাগত জানিয়েছি। আমার মেয়ে অ্যাগনেস এবং পুত্র ওশান আমার হাত পূর্ণ করে রেখেছে। চার বছর আগে যখন আমার প্রথম কন্যা ওনাঘের জন্ম হয়েছিল, তখন আমার পৃথিবী চিরতরে বদলে গিয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর হতে পারে না। আচ্ছা, এখন আমি তিনগুণ বেশি আনন্দিত!’

তবে এখন এ অভিনেত্রীর লক্ষ্য হলো হলিউডে সফলভাবে ফিরে আসা। রাডার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, তিনি একটি ‘চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন’ করতে চান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তার অনুকূলে যাচ্ছে না। হার্ড বেশকিছু চলচ্চিত্রে কাজ করতে ইচ্ছুক, এমনকি প্রযোজক হিসেবেও কাজ শুরু করতে চান। তবে জনি ডেপের জনপ্রিয়তা ও ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-এর প্রতি দর্শকের ভালোবাসা এই পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একটি সূত্র থেকে জানা যায়, হার্ডের প্রতিনিধি যদিও তার ক্যারিয়ার এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন কিন্তু বাস্তবে তিনি কাঙ্ক্ষিত সুযোগ পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে, জনি ডেপ ইতোমধ্যেই হলিউডে নিজের হারিয়ে ফেলা জায়গা পুনরুদ্ধার করেছেন। এই অভিনেতা বর্তমানে পেনেলোপ ক্রুজের সঙ্গে ‘দ্য ডে ড্রিংকার’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন এবং ‘পাইরেটস’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তার ফিরে আসারও জোর গুঞ্জন রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে এ অভিনেতার করা মানহানির মামলায় জয়ের পর থেকেই হার্ড ও ডেপের মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে। অভ্যন্তরীণ এক সূত্রের দাবি, ‘তারা একে অপরকে কখনো ক্ষমা করবে না।’


এবার নাম ভূমিকায় নাজিফা তুষি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 বিনোদন প্রতিবেদক

টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাজিফা তুষিকে ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার আর কোনো নতুন সিনেমায় দেখা যায়নি। ‘হাওয়া’ মুক্তির তিন বছর পার হয়ে গেলেও প্রায়ই সিনেমার খবরে শিরোনাম হয়েছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। তবে পর্দায় উপস্থিতি মেলেনি। এর মধ্যে দুটি সিনেমার কাজ শেষ করলেও তা এখনো মুক্তি পায়নি। দর্শকরাও বলছিলেন, ‘হাওয়া’র পর কি তবে ‘হাওয়া’-ই হয়ে গেলেন পর্দার গুলতি? তবে সেই কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে এবার অভিনেত্রী জানালেন নতুন সিনেমার খবর।

জানালেন, এরই মধ্যে নতুন আরেকটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন নাজিফা তুষি। সিনেমাটির নাম ‘সখী রঙ্গমালা’। এর কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘রঙ্গমালা’ রূপে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। অষ্টাদশ শতকের নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের কাহিনি ঘিরে ২০০ বছরেরও আগের আখ্যান নিয়ে লেখা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।

সরকারি অনুদানে এটি নির্মাণ করছেন ‘চন্দ্রাবতী কথা’ পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী। সিনেমার খবরটি নিশ্চিত করে নাজিফা তুষি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সিনেমাটির শুটিং করছেন তিনি। এর মধ্যে এক লটের শুটিং শেষও করে ফেলেছেন। শিগগিরই অংশ নেবেন পরের লটে।

নাজিফা তুষি বলেন, ‘প্রায় দুইশ বছর আগের গল্প, স্পিরিচুয়াল বিষয় নিয়ে কাজ; মনে হয়েছে এই কাজটা আমার করা উচিত। এ রকম একটা ঐতিহাসিক গল্পের উল্লেখযোগ্য একটা চরিত্র হতে পারাটাও আনন্দের। সিনেমাটির গল্প নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের, আমি নিজেও নোয়াখালীর মেয়ে; সেদিক থেকে একটা অন্যরকম ভালো লাগা তো আছেই। সব কিছু মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করছি।’

পরিচালক জানিয়েছেন, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করছি। যেহেতু অনুদানের সিনেমা, সেটার প্রথমাংশ পাবার পর সিনেমাটি প্রায় ৪০ ভাগ অংশের শুটিং শেষ করেছি এরমধ্যে। বাকি অংশের কাজও শিগগিরই শেষ করব।

২০২৩-২৪ সালে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘সখী রঙ্গমালা’র রঙ্গমালা চরিত্রে নাজিফা তুষি এবং ফুলেশ্বরী চরিত্রে অভিনয় করছেন স্বর্ণালী চৈতি। এ ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন স্বর্ণালী চৈতি, প্রান্তর দস্তিদার, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তৌফুকুল ইমন, শিল্পী সরকার অপু প্রমুখ। চলতি বছরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।


গল্পভিত্তিক মিউজিক ভিডিওতে মৌ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

প্রথমবারের মতো গল্পভিত্তিক মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন নন্দিত মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। ‘তুমি রবে নীরবে’ শিরোনামে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গানটিকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হচ্ছে এই ভিডিওর মাধ্যমে। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন টরন্টোপ্রবাসী গজল শিল্পী শিরিন চৌধুরী। গত শনিবার রাজধানীর ৩০০ ফিটে শুরু হয়েছে মিউজিক ভিডিওটির শুটিং। এরপর বনানী কবরস্থান, সংসদ ভবন এলাকার পর আজ এর দৃশ্য ধারণ হচ্ছে মিরপুরে। এক নিঃসঙ্গ মায়ের অন্তর্জগৎ ও হারিয়ে যাওয়া মেয়ের ফিরে আসার করুণ বাস্তবতার গল্পে এটি নির্মাণ করছেন চয়নিকা চৌধুরী। এখানে মায়ের চরিত্রে সাদিয়া ইসলাম মৌ এবং তার মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে মডেল নিদ্রিতা সরকারকে। নির্মাতা জানিয়েছেন, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করা হলেও তার স্বপ্ন ছিল বনানী কবরস্থানে শুটিং করার। তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এর মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া তিনি এও জানান, সংসদ ভবন এলাকার মতো জনবহুল এরিয়ায় কোনো প্রকার প্রটোকল এবং বাধা-নিষেধ ছাড়া নির্বিঘ্নে শুটিং করেছেন, যা তার কাছে অনেকটাই অকল্পনীয় এই সময়ে। চয়নিকা চৌধুরী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গানটিকেই একটি গল্পের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এই গানের মধ্য দিয়ে অনেক বছর পর মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করছি।

তা ছাড়া গল্পভিত্তিক কোনো মিউজিক ভিডিওতে এটাই প্রথম কাজ মৌয়ের। মিউজিক ভিডিও হলেও এখানে কোনো লিপসিং নেই, পুরোটাই গল্পপ্রধান। আগামী ১১ মে, আন্তর্জাতিক মা দিবসে মিউজিক ভিডিওটি অন্তর্জালে উন্মুক্ত হবে বলে জানা গেছে।


শুরুটা কেমন করবেন সামান্থার?

সামান্থা রুথ প্রভু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রথমবার প্রযোজক হিসেবে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর। তার সঙ্গে সহকারী প্রযোজক হিসেবে আছেন প্রযোজক শুভম। তাদের প্রযোজিত সিনেমাটি আগামী ৯ মে মুক্তি পাচ্ছে। প্রযোজক হিসেবে কেমন করবেন সামান্থা- এমন কৌতুহল দক্ষিণী সিনেমাপাড়ায়। তবে জীবনের প্রথম প্রযোজনার সিনেমা নিয়ে বেশ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই অভিনেত্রী। ছবিটির সফলতার জন্য বেশ জোরেশোরেই প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন মন্দিরেও যাচ্ছেন আশীর্বাদ নিতে।

এরইমধ্যে অভিনেত্রী তিরুপতি বালাজি মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন। সামান্থার সঙ্গে ছিলেন পরিচালক রাজ নিদিমোরু, যা তাদের ডেটিংয়ের গুঞ্জনকে আরও উসকে দিয়েছে। তিরুপতিতে যাওয়ার সময় হালকা গোলাপি রঙের সালোয়ার-কামিজ বেছে নিয়েছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। তার চুল ছিল খোলা। মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে তোলা পাপারাজ্জির ভিডিওতে দেখা যায়, অভিনেত্রীকে সেখানে উপস্থিত অন্যান্য ভক্ত-অনুরাগীর মধ্যে মন্দিরের চ্যানেলটি পায়ে হেঁটে অতিক্রম করতে। এদিন সামান্থা ও রাজ দুজনেই একসঙ্গে মূল মন্দিরের দিকে হেঁটে পৌঁছান। সেখানে অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীও উপস্থিত ছিলেন।

আরেক ভিডিওতে সেখানে উপস্থিত একজন পুরোহিতের সাহায্যে তাকে পূজা দিতে দেখা গেছে সামান্থাকে। রাজ ও ডিকের স্পাই অ্যাকশন-থ্রিলার সিরিজ ‘সিটাডেল: হানিবানি’-এর সহপরিচালক ছিলেন রাজ নিদিমোরু, যেখানে সামান্থা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সিটাডেলের দ্বিতীয় সিজন কয়েক দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অভিনেত্রী সামান্থা তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ত্রালালা মুভিং পিকচার্স চালু করেন এবং প্রত্যেকের জন্য পারিশ্রমিকে সমতা বজায় রাখার ঘোষণা দেন। সম্প্রতি বিআইএফএফইএসে সিনেমায় লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নন্দিনী রেড্ডি জানান, সামান্থা তাকে বলেছিলেন, তিনি তার প্রথম প্রযোজনায় কাজ করা প্রত্যেকের জন্য পারিশ্রমিকে সমতা বজায় রেখেছেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় তারকা, যিনি তার সিনেমার অভিনেতাদের মধ্যে পারিশ্রমিকের সমতা নিশ্চিত করেছেন।

কর্মক্ষেত্রে সামান্থা বর্তমানে তার আসন্ন ধারাবাহিক ‘রক্ত ব্রহ্মাণ্ড: দ্য ব্লাডি কিংডম’-এর শুটিং করছেন। রাজ ও ডিকে পরিচালিত এ সিরিজটি ‘রক্তাক্ত অ্যাকশন এবং দর্শনীয় দৃশ্যসহ একটি কাল্পনিক রাজ্যের পটভূমিতে তৈরি একটি আকর্ষণীয়, তীক্ষ্ণ আখ্যান’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।


আজীবন সন্মাননা পাচ্ছেন জ্যাকি চ্যান

জ্যাকি চ্যান। ছবি সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক কুংফু তারকা চ্যান কং স্যাং। বিশ্বজুড়ে যিনি ‘জ্যাকি চ্যান’ নামে পরিচিত। জ্যাকি চ্যান একজন হংকংভিত্তিক অভিনেতা, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার, মার্শাল আর্টিস্ট, চলচ্চিত্র প্রণেতা, রঙ্গ অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্য লেখক, উদ্যোক্তা, কণ্ঠশিল্পী, ও স্টান্ট পারফর্মার। খ্যাতিমান এই সুপারস্টার চলতি মাসের ৭ এপ্রিলে জীবনের ৭২ বছরে পা রাখেন। বিশ্ববিখ্যাত মার্শাল আর্ট তারকা এবং হলিউড অ্যাকশন হিরো জ্যাকি চ্যানকে আজীবন সম্মাননা দিচ্ছে সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই উৎসবটি মূলত স্বাধীন চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়। এ উৎসবের ৭৮তম আসর অনুষ্ঠিত হবে ৬ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।

উৎসব কর্তৃপক্ষ জানায়, এবার বিশেষ সম্মান জানাতে যাচ্ছে এমন একজন শিল্পীকে যিনি বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সিনেমার মাঝে সেতুবন্ধন গড়েছেন। উৎসবের অংশ হিসেবে চ্যান ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকবেন। তার পরিচালিত ও অভিনীত দুটি বিখ্যাত ছবি ‘প্রজেক্ট অ্যা’ (১৯৮৩) এবং ‘পুলিশ স্টোরি’ (১৯৮৫)- প্রদর্শন করবেন। এ ছাড়া ১০ আগস্ট তিনি উৎসবে একটি সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন।

লোকার্নোর শিল্পনির্দেশক গিওনা এ. নাজারো বলেন, ‘জ্যাকি চ্যান শুধু অভিনেতা নন; তিনি পরিচালক, প্রযোজক, কোরিওগ্রাফার, গীতিকার, গায়ক এবং এক সাহসী স্টান্ট পারফর্মার। তার প্রভাব এশিয়ান সিনেমা থেকে শুরু করে হলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাকে সম্মানিত করা মানে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সম্মান।’

তিনি আরও বলেন, ‘জ্যাকি চ্যান সিনেমার শরীরী ভাষাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যেখানে সংগীতনাট্যের ছন্দ, মার্শাল আর্টের শৈলী ও কমেডির সৌন্দর্য মিলেমিশে এক নতুন রূপ ধারণ করেছে। সিনেমায় জ্যাকি চ্যান আসার আগে এবং পরে- এই দুই সময়কে আলাদা করে চেনা যায়।’

জ্যাকি চ্যান ১৯৯৫ সালে ‘রাম্বল ইন দ্য ব্রংক্স’ ও ১৯৯৮ সালের জনপ্রিয় ‘রাশ আওয়ার’ সিনেমার মাধ্যমে হলিউডে ব্যাপক সাফল্য পান। এরপর তার সাফল্যের গল্প বেশ দীর্ঘ। সিনেমায় যেমনটা দেখা যায়, ব্যক্তি জ্যাকি চ্যান কিন্তু তার থেকে খুব বেশি আলাদা নন। কঠিন জীবন সংগ্রাম তাকে শিখিয়েছে বিচিত্র সব বিদ্যা। অনর্গল কথা বলতে পারেন, ক্যান্টোনিজ, ম্যান্ডারিন, ইংলিশ, জাপানিজ, জার্মান, কোরিয়ান ও থাই ভাষায়। ৫৬ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন দুইশর বেশি সিনেমায়, পেয়েছেন জগৎজোড়া খ্যাতি। ২০১৬ সালে অর্জনের খাতায় যোগ করেছেন অস্কারও।


অভিনেত্রীই হতে চান প্রিয়াঙ্কা

আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০২
বিনোদন প্রতিবেদক

বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ভোলা। রুপে-গুণে তার তুলনা নেই। সেই অঞ্চলের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। দু চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন নেপালে। অবশেষে সেখানে স্বপ্ন জয় হয়েছে তার। গত ১৯ এপ্রিল নেপালের কাঠমান্ডুর পাঁচতারকা হোটেল ইয়াক্যাং অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই বাংলার গ্ল্যামার প্রতিযোগিতা ‘বর্ষা সুন্দরী’র সিজন ফোর। সেখানে ‘অপরূপা’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তাকে। দেশে ফিরে পেয়েছেন কাছের-দূরের মানুষের ভালোবাসা। সেই প্রশংসা আর ভালোবাসাকে শক্তি হিসেবে নিয়ে নিজেকে শোবিজেই প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। হয়ে ওঠতে চান দেশসেরা অভিনেত্রীদের একজন।

এরইমধ্যে রাসেল শিকদার, অংকুরের পরিচালনায় বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করে দর্শকের নজর কেড়েছেন। পাশাপাশি রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ‘সেলিব্রিটিস চয়েজ’সহ কয়েকটি প্রতিথযশা ফ্যাশন হাউজেরও মডেল হয়েছেন তিনি। অপেক্ষায় আছেন ভালো গল্পের, ভালো নির্মাতার। ব্যাটে বলে মিললেই অভিনয় করতে প্রস্তুত প্রিয়াঙ্কা। শৈশব থেকেই সিনেমার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন প্রিয়াঙ্কার। তবে নাটক, সিনেমা এবং ওটিটি- সব মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরতে চান তিনি।

এই তরুণ তুর্কী বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অনেক প্রিয় প্রিয় শিল্পীর অভিনয়ই আমি দেখেছি। তাদের অভিনয় দেখে দেখে নিজের মনের মধ্যে স্বপ্ন বুনেছি একদিন আমিও অভিনয় করবো, তাদের মতো বড় শিল্পী হবো। সেই স্বপ্ন নিয়েই শোবিজে পথচলা। আমি সৌভাগ্যবান যে একটি ভালো প্লাটফর্মের মধ্য দিয়ে নিজের মেধা ও সৌন্দর্য্যকে কিছুটা হলেও প্রমাণ করতে পেরেছি। এই সাফল্যকে প্রেরণা হিসেবে নিয়ে আগামীর দিনগুলো রঙিন করতে চাই।’

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) -তে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। শোবিজে পথচলার পাশাপাশি নিজের উচ্চশিক্ষাও শেষ করতে চান মেধাবী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী।


banner close