বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
২৩ আশ্বিন ১৪৩২

১৩ বছর পর বাপ্পার কণ্ঠে জুলফিকার রাসেলের গান

জুলফিকার রাসেল ও বাপ্পা মজুমদার
আপডেটেড
১০ এপ্রিল, ২০২৩ ০৯:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৩৪

গানটি অনেকভাবেই বেশ অর্থবহ। সেসব আলাপের আগে পরিচিতি হওয়া যাক; গানটির নাম ‘বন্ধু চেনা দায়’। জুলফিকার রাসেলের কথায় এটির কণ্ঠ, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পা মজুমদার।

গানটির রেকর্ডিং শেষ, এখন চলছে ভিডিও তৈরির শুটিং। মুক্তির পরিকল্পনা আসছে পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) উৎসবে।

গানটির ভিডিও নির্মাণ করছেন অনিন্দ কবীর অভিক। বাপ্পা মজুমদারের সাম্প্রতিক গানচিত্রে খুব বেশি মডেল বা কোরিওগ্রাফির বালাই থাকে না। তবে এই গানটির শুটিং আয়োজন বেশ বিস্তৃত। আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) শুটিং ফ্লোর থেকেই কথা বললেন এ প্রসঙ্গে।

বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘এবারের কাজটি একটু বিস্তৃত পরিসরে শুট হচ্ছে। যেখানে আমার পাশাপাশি কোরিওগ্রাফির একটা বড় অংশ রয়েছে। কাজ চলছে, শেষ হলে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।’

এবার আসা যাক কেন গানটি অনেকভাবেই অর্থবহ। প্রথম কারণ, টানা ১৩ বছর পর জুলফিকার রাসেলের গীতিকবিতা কণ্ঠে তুলেছেন বাপ্পা মজুমদার। যে জুটির মাধ্যমে সংগীতাঙ্গন পেয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় ও সমৃদ্ধ গান। বাপ্পা-জুলফি জুটির একক অনেক গানের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘একই শহরে’, ‘ইচ্ছে করেই একসাথে’, ‘আবার পথে দেখা’, ‘স্বপ্নরানী’, ‘পরস্পর’ প্রভৃতি।

২০১০ সালে ‘পরস্পর’ অ্যালবামটির পর দুজনকে আর একসঙ্গে পাওয়া যায়নি। সেই দীর্ঘ দূরত্ব ঘোঁচে চলতি বছর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়া ‘কিছু নেই যার’ গানটির মাধ্যমে। না, গানটি জুলফিকার রাসেলের কথায় সুর-সংগীত বাপ্পা করলেও কণ্ঠে তুলেছেন টিনা রাসেল। সেই বিবেচনায় মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘বন্ধু চেনা দায়’ গানটিই হচ্ছে ১৩ বছর পর বাপ্পা-জুলফি জুটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ গান।

আবার একসঙ্গে ফেরা প্রসঙ্গে গীতিকবি জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘প্রথমত গানটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। অনেকদিন পর সুরের উপর গানটি লিখেছি। তারচেয়ে বড় কথা ১৩ বছর পর বাপ্পা দা আমার কথায় গাইলেন। মাঝের সময়ে আমরা দুজনই অসংখ্য গান করেছি। তবু এই গানটি আমার জন্য বেশ অর্থবহ।’

বাপ্পা মজুমদার বললেন, ‘১৩ বছর পর আবার আমি আর জুলফি একসঙ্গে গান করলাম। এখন দেখার পালা শ্রোতারা কতোটা পছন্দ করে। তবে এই কাজটি আমার কাছে দুটি কারণে বেশ অর্থবহ। প্রথমটি তো বললাম জুলফির কথায় আবারও গাইলাম। আরেকটি বিষয় হলো, চলতি বছরের শুরুটা হয় এই গানটি কম্পোজিশনের মাধ্যমে। যতদূর মনে পড়ে ২ জানুয়ারি গানটি সুর করি। ফলে বছরের প্রথম সুর হিসেবে এটির প্রতি আমার বাড়তি আদর রয়েছে।’

বাপ্পা মজুমদার জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই এপ্রিলেই গানচিত্রটি প্রকাশ করছেন তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। পাশাপাশি প্রকাশ হবে বেশ ক’টি আন্তর্জাতিক অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে।


শারমান যোশির সঙ্গে সিনেমায় থাকছেন না তিশা

বিপরীতে সুস্মিতা চ্যাটার্জি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মাসকয়েক আগে কলকাতার সিনেমার খবরে শিরোনামে এসেছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। ওপার বাংলার সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা ছিল তার। এম এন রাজ পরিচালিত ‘ভালোবাসার মরশুম’ নামে সেই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন বলিউডের ‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত অভিনেতা শারমান যোশি।

গেল মে মাসের শেষদিকে কলকাতায় সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শারমান যোশি ও সিনেমার আরেক নায়িকা সুস্মিতা চ্যাটার্জি।

কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন তানজিন তিশা। মহরতের কিছুদিন পর শুটিং শুরু হলেও কোথাও দেখা যায়নি তিশাকে।

এরমধ্যে খবর, সিনেমাটিতে তিশা আর থাকছেন না বলেই জানা গেছে। যদিও এ সিনেমাটি নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতেও দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের এক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, তানজিন তিশা ভিসা জটিলতায় পড়েছেন। সে কারণেই তিনি শুটিংয়ে অংশ নিতে পারেননি। এখনো নিশ্চিত না, তিনি পরবর্তী সময়ে যুক্ত হতে পারবেন কি না। তবে সিনেমার টিম তার আশা ছেড়ে দিয়েছে।

এদিকে তিশার অনুপস্থিতিতে শারমান যোশির বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার সুস্মিতা চ্যাটার্জি, যিনি সম্প্রতি পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনে আলোচনায়।

এর আগে এই সিনেমাটিতে তিশা ছাড়াও অভিনয়ের কথা ছিল খায়রুল বাসারের। কিন্তু নাম ঘোষণার পরপরই এক স্ট্যাটাসে অভিনেতা জানিয়ে দেন, সিনেমাটিতে থাকছেন না তিনি।

এদিকে ‘ভালোবাসার মরশুম’ অনিশ্চিত হলেও তানজিন তিশা সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘সোলজার’-এ। সবকিছু ঠিক থাকলে এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে তার।

এরইমধ্যে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছে।


জসিমের চলে যাওয়ার ২৭ বছর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনের নায়ক জসিম। খল অভিনেতা হিসেবে সিনেমায় নাম লিখিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক নম্বর অ্যাকশন হিরো। গতকাল বুধবার জসিমের চলে যাওয়ার ২৭ বছর পার হলো। ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর আকস্মিক মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

তার অনবদ্য অভিনয়, বিশেষ করে অ্যাকশন দৃশ্যে তার নিপুণ উপস্থাপন আজও দর্শকদের হৃদয়ে অমলিন।

বিএফডিসিতে নায়ক জসিমের নামে রয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোর’। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক করেন জসিম।

যদিও এই অভিনেতার শুরুটা তারও অনেক আগে। শুরুর দিকে তিনি ‘এক্সট্রা আর্টিস্ট’ হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ করতেন। বিষয়টি এক সাক্ষাৎকারে জসিম নিজেই জানিয়েছিলেন। সেই এক্সট্রা আর্টিস্ট থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।

জসিমকে নিয়ে অভিনেতা পারভেজ গাঙ্গুয়ার স্মৃতিচারণ

ঢাকার পল্টনে বেকারির দোকান ছিল অভিনেতা পারভেজ গাঙ্গুয়ার। সেই দোকানেই যাতায়াত ছিল চিত্রনায়ক জসিমের। জসিমের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন গাঙ্গুয়া। এরপর জসিমের তত্ত্বাবধানে অভিনয় জগতে নাম লেখান আলোচিত এই খল অভিনেতা।

জসিম গাঙ্গুয়াকে হাতেকলমে অভিনয়ের পাঠ শিখিয়েছেন।

গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গাঙ্গুয়া বলেন, ‘জসিম ভাই আমার দোকানে আসতেন। বেকারি থেকে খাবার কিনতেন। এভাবেই তার সঙ্গে আমার পরিচয় গড়ে ওঠে। একসময় বললেন, তুমি চলচ্চিত্রে আসো, চলচ্চিত্রে এলে ভাল করবে। আমি নিজেও তার কথা শুনে আগ্রহী হলাম। এরপর জসিম ভাই আমাকে এফডিসিতে নিয়ে গেলেন। একদিন দেখলাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্রের শুটিং হচ্ছে। সেটা মনে হয় ১৯৭৪ সালের কথা। আমি ছবিতে ছোট্ট একটা চরিত্রে অভিনয় করলাম। এরপর জসিম ভাইয়ের কাছে এসে বললাম, আমি অভিনয় করেছি। শুনে জসিম ভাই খুবই খুশি হলেন।’

জসিমের সঙ্গে প্রথম অভিনয় প্রসঙ্গে গাঙ্গুয়া বলেন, ‘এরপর অনেক ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করলাম। তবে জসিম ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম ছবিতে কাজ করা হলো ‘আক্রোশ’ চলচ্চিত্রে। জসিম ভাই আমাকে বললেন, তোমাকে আমি অভিনয় শেখাব। তার কথা অনুযায়ী জসিম ভাইয়ের লালমাটিয়ার বাড়িতে চলে যাই। সেখানে তিনি একাই থাকতেন। আমাকে জসিম ভাই হাতেকলমে অভিনয় শেখাতে লাগলেন। পরে জসিম ভাই নাসরিন ভাবীকে বিয়ে করে উত্তরায় চলে গেলেন। আমি সেখানে গেলাম। জসিম ভাই আমাকে বলতেন, অভিনয় হলো কথা না বলেও বোঝাতে হবে যে তুমি কিছু একটা করতে যাচ্ছ। তুমি এক পা এগোবে, তোমার সেই পা কথা বলবে। এভাবেই জসিম ভাইয়ের কাছে অভিনয় শিখলাম।’

গাঙ্গুয়া বলেন, ‘জসিম ভাইয়ের সিনেমা ‘মাস্তান রাজা’য় অভিনয় করে আমি প্রথম আলোচনায় আসি। এরপর ‘বাবার আদেশ’, ‘গরিবের ওস্তাদ’ আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘প্রেমগীত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তুমুল আলোচনায় চলে আসি। আমি জসিম ভাইয়ের কাছে অভিনয়ের যে শিক্ষা পেয়েছি এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রে তার চার ভাগের এক ভাগ হয়তো দিতে পেরেছি। বাকিটা দেওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে জসিম ভাই যে আমাকে শিখিয়েছেন এই ব্যাপারটা টের পেয়েছিলেন নায়ক মান্না। মান্না আমার কাছ থেকে অভিনয় শিখতে আগ্রহী হন।’

মান্নার সঙ্গে নির্মাতা এনায়েত করিমের ছবিতে কাজ করতে গিয়ে কথা হয়। গাঙ্গুয়া বলেন, ‘এনায়েত করিম ভাইয়ের একটি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে আমি তাকে টুকটাক পরামর্শ দিয়েছি, তখন তিনি জানতে পারেন আমাকে অভিনয় শিখিয়েছেন জসিম ভাই। ‘রুটি’ চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে মান্না আমাকে ধরলেন তাকে অভিনয় শেখাতে হবে। তখন আমি তাকে বললাম, আপনি মান্না বাইরের যে মানুষ, সে মানুষটা যেন চলচ্চিত্রের মানুষ না হয়। ‘রুটি’ ছবিতে আমার শিখিয়ে দেওয়া বিষয়গুলো মান্না প্রয়োগ করেন। এরপর মান্নার সংলাপ দেওয়া থেকে শুরু করে কথা বলা সবকিছুই আলাদা হতে থাকে। পরে ‘লাল বাদশাহ’ তুমুল হিট হলো। মান্না নিজেও খুশি হয়েছেন, আমাকে সবসময় তিনি ওস্তাদ বলে ডাকতেন।’

জসিমের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গাঙ্গুয়া বলেন, ‘জসিম ভাই যখন নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করলেন তখন তো তিনি আর খলনায়কের অভিনয়টা করতে পারতেন না। কিন্তু তার ইচ্ছা- অভিনয়ের ব্যাপারগুলো প্রয়োগ করার। তখন তিনি আমাকে বলতেন- তোমার মাধ্যমে আমি আমার অভিনয় দক্ষতা দেখাতে চাই। এজন্যই জসিম ভাই আমাকে খুবই ভালোবেসে শেখাতেন। একসঙ্গে জসিম ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করা হয়েছে। তবে শেষদিকে ‘স্বামী কেন আসামি’ ছবিতে আমার কাজ করা হয়নি, কোনো এক কারণে জসিম ভাইয়ের সঙ্গে আমার মনোমালিন্য হয়েছিল। যদিও পরে সেটা ঠিক হয়ে যায়।’

ব্যক্তি জসিম ছিলেন অনেক নরম ও মানবিক- এমনটাই জানিয়ে গাঙ্গুয়া বললেন, ‘সহকর্মীদের প্রতি তার ছিল ভালোবাসা। যারা সিনেমার ফাইটে অংশ নিতেন তাদের কথা জসিম ভাই খুবই চিন্তা করতেন। তিনি ফাইটারদের নিয়ে সংগঠন চালু করেন এফডিসিতে। এছাড়া ফাইটারদের বিপদে-আপদে তিনি পাশে থাকতেন। তাদের চিকিৎসা থেকে শুরু সবকিছুই তিনি তদারক করতেন। অসুস্থতার কারণে কোনো শিল্পী কাজ না করতে পারলে তাকে সহায়তা করতেন জসিম ভাই।’


১০ বছর পর একসঙ্গে বাপ্পী ও মাহিয়া মাহি!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

এক যুগের বেশি অর্থাৎ তের বছর আগে শাহিন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয়েছিল চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী ও মাহিয়া মাহির। সিনেমাটি সেসময় ব্যবসাসফল হয়েছিল এবং এর মধ্য দিয়ে ঢালিউড পেয়েছিল একটি নতুন জুটি।

সেই সিনেমাটির পর বেশ কিছু ছবিতেই একসঙ্গে কাজ করেছেন বাপ্পি-মাহি। তাদের দুজনকে সর্বশেষ একসঙ্গে দেখা গেছে শাহনেওয়াজ শানু পরিচালিত ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’ সিনেমাতে, ২০১৮ সালে।এরপর তাদের দুজনকে আর একসঙ্গে পাওয়া যায়নি।

এদিকে গতকাল সকালে নিজের ফেসবুক পেজে বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন মাহিয়া মাহি। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘১০ বছর পর বন্ধুর সঙ্গে।’

সেই পোস্টে অনেকেই তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, পাশাপাশি জুটিটির প্রশংসা করেছেন অনেকেই।

সেই পোস্টে অনেকেই তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, পাশাপাশি জুটিটির প্রশংসা করেছেন অনেকেই।

কেউ কেউ আবার তাদের জুটিকে মিস করছেন জানিয়ে মন্তব্যও করেছেন।

তবে মাহি কি হিসেবে ‘১০ বছর পর একসঙ্গে’ লিখেছেন, তা স্পষ্ট নয়। যেখানে তাদেরকে একসঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অনেক দামে কেনা’ ও ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’ ছবিতে।

জানা গেছে, বাপ্পী ও মাহি দুজনেই এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

সেখানেই একত্রিত হয়ে আড্ডার ফাঁকে ছবিটি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, সিনেমা ছেড়ে হঠাৎ করেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। এরপর সেখানে ব্যর্থ হয়ে আবারও সিনেমায় ফেরার ঘোষণা দেন কিন্তু তার আর ফেরা হয়নি। গেল বছরে পট পরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান নায়িকা। অন্যদিকে অনেক দিন ধরেই পর্দায় নেই বাপ্পি, কিছুদিন আগে তিনিও পাড়ি দেন সেখানে।

যাওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি তাকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেননি।


‘সোলজার’- এ অভিনয় করছেন তৌকীর আহমেদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

তরুণ পরিচালক সাকিব ফাহাদের সোলজার চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন তৌকীর আহমেদ। তবে কোন চরিত্রে অভিনয় করছেন, এখনই তা খোলাশা করতে চাইলেন না তিনি।

গতকাল তৌকীর আহমেদ একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, দুই–তিন বছর পর সিনেমায় কাজ করছেন। চরিত্রটি পছন্দ হওয়ায় কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। গত রোববার থেকে শুটিংয়ে যোগ দেন তৌকীর। বলেন, সিনেমার শুটিংয়ে ফিরে খুবই ভালো লাগছে। আশা করছি ভাল কিছু হবে।’

সোলজার সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন শাকিব খান, বিপরীতে তানজিন তিশার থাকার কথা শোনা যাচ্ছে। সিনেমায় তারিক আনাম খান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীসহ অনেকের অভিনয়ের কথা রয়েছে। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে আছেন কামরুল হাসান।

সিনেমাটির বিষয়বস্তু নিয়ে শাকিব খানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নির্মাতা ফাহাদ বলেন, ‘আমরা দেশপ্রেম নিয়ে একটা গল্প করার চেষ্টা করছি। বর্তমান সময়ের মানুষের মধ্যে যে সামগ্রিক ভাবনা, চিন্তা আর বাস্তবতা, সেই গল্পই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

ঈদকেন্দ্রিক মুক্তির ধারা ভেঙে, সিনেমাটি অন্য সময় মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাহাদ। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ঈদ ছাড়া অন্য সময়ে যদি ভালো সিনেমা মুক্তি পায়, তাহলে হলমালিক থেকে শুরু করে পরিবেশক, প্রযোজক- সবাই লাভবান হবেন।’


‘সবিতাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দক্ষিণি তারকা নাগা চৈতন্য সম্প্রতি অভিনেতা জগপতি বাবুর টক শো ‘জয়াম্মু নিশ্চয়াম্মুরা’তে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রথমবারের মতো খোলামেলা কথা বলেছেন তার স্ত্রী ও অভিনেত্রী সবিতা ধুলিপালার সঙ্গে সম্পর্ক এবং তাদের প্রেমের গল্প নিয়ে।

প্রেম শুরু ইনস্টাগ্রামে

নাগা চৈতন্য জানান, তাদের প্রেমের সূচনা হয়েছিল ইনস্টাগ্রামে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি আমার সঙ্গীকে একদিন ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পাব। আমি ওর কাজের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। একদিন আমি আমার ক্লাউড কিচেন নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম। সবিতা সেটিতে একটা ইমোজি দিয়ে মন্তব্য করে। সেখান থেকেই কথোপকথন শুরু হয়, এরপর আমাদের দেখা হয়।’ এর পর থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। দীর্ঘ দুই বছরের সম্পর্কের পর ২০২৪ সালে তারা বিয়ে করেন।

‘থান্ডেল’ নিয়ে অভিমান

চৈতন্যর সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘থান্ডেল’ তাকে দিয়েছে ক্যারিয়ারের প্রথম ₹১০০ কোটি রুপি হিট। কিন্তু স্ত্রী সবিতা ছবিটি নিয়ে একেবারেই খুশি ছিলেন না। কারণ, ছবির একটি গানে ব্যবহৃত হয় ‘বুজ্জি ঠাল্লি’ নাম—যা আসলে সবিতার ডাকনাম। বিষয়টি নিয়ে নাগা বলেন, ‘ও ভাবল আমি পরিচালক চান্দু মন্ডেটিকে বলেছি নামটা গানটিতে ব্যবহার করতে। কিন্তু আমি কেনো তা করব? ও এতটাই রেগে গিয়েছিল যে কয়েকদিন আমার সঙ্গে কথা বলেনি।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, কোনো সম্পর্ক বাস্তবসম্মত হয় না, যদি তাতে ঝগড়া না থাকে।’

‘সবিতাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না’

একই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে যখন জগপতি বাবু তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কোন জিনিস ছাড়া বাঁচতে পারবেন না?’ নাগা চৈতন্যের উত্তর ছিল স্পষ্ট, ‘সবিতা, আমার স্ত্রী। আমি কারও জীবনের সঙ্গে নিজের জীবন বদলাতে চাই না। আমি এখন যেমন আছি, তাতেই সুখী।’

সাম্প্রতিক কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন

‘থ্যাঙ্ক ইউ’, ‘লাল সিং চাড্ডা’ ও ‘কাস্টডি’র পর ধারাবাহিক ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছিলেন নাগা চৈতন্য। তবে ‘থান্ডেল’ তাকে নতুন সাফল্য এনে দিয়েছে। সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত এই সিনেমায় তিনি মৎস্যজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি দুর্ঘটনাবশত পাকিস্তানের জলসীমায় প্রবেশ করেন। বর্তমানে তিনি পরিচালক কার্তিক দান্ডুর একটি পৌরাণিক থ্রিলার সিনেমার কাজ করছেন।

সবিতা ধুলিপালা ও নাগা চৈতন্য ২০২২ সালে প্রেম শুরু করেন; ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে হায়দরাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে বিয়ে করেন। এর আগে সামান্থা রুথ প্রভুকে বিয়ে করেছিলেন এই দক্ষিণি তারকা। তবে সেই সংসার ভেঙে যায় ২০২১ সালে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


‘সোলজার’- এ তৌকীর আহমেদ, সানের সঙ্গে শাকিবের চুক্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

তরুণ পরিচালক সাকিব ফাহাদের সোলজার চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন তৌকীর আহমেদ। তবে কোন চরিত্রে অভিনয় করছেন, এখনই তা খোলাশা করতে চাইলেন না তিনি।

তৌকীর আহমেদ একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, দুই–তিন বছর পর সিনেমায় কাজ করছেন। চরিত্রটি পছন্দ হওয়ায় কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। গত রোববার থেকে শুটিংয়ে যোগ দেন তৌকীর। বলেন, সিনেমার শুটিংয়ে ফিরে খুবই ভালো লাগছে। আশা করছি ভাল কিছু হবে।’

সোলজার সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন শাকিব খান, বিপরীতে তানজিন তিশার থাকার কথা শোনা যাচ্ছে। সিনেমায় তারিক আনাম খান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীসহ অনেকের অভিনয়ের কথা রয়েছে। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে আছেন কামরুল হাসান।

সিনেমাটির বিষয়বস্তু নিয়ে শাকিব খানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নির্মাতা ফাহাদ বলেন, ‘আমরা দেশপ্রেম নিয়ে একটা গল্প করার চেষ্টা করছি। বর্তমান সময়ের মানুষের মধ্যে যে সামগ্রিক ভাবনা, চিন্তা আর বাস্তবতা, সেই গল্পই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

ঈদকেন্দ্রিক মুক্তির ধারা ভেঙে, সিনেমাটি অন্য সময় মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাহাদ। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ঈদ ছাড়া অন্য সময়ে যদি ভালো সিনেমা মুক্তি পায়, তাহলে হলমালিক থেকে শুরু করে পরিবেশক, প্রযোজক- সবাই লাভবান হবেন।’

সানের সঙ্গে শাকিবের চুক্তি

সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শাকিব খান। সম্পাদিত চুক্তির আওতায় মনপুরা, বিশ্বসুন্দরী, হাওয়াখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে দুটি সিনেমা করবেন ঢালিউড তারকা। জানা গেছে, এর মধ্যে একটি সিনেমা সোলজার–এর শুটিং শুরু হয়ে গেছে। অপর সিনেমাটির নামও বিস্তারিত শিগগিরই জানানো হবে।

চুক্তি প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘দেশের বাইরে শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তারা মূলধারার চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করেন। তাই বলব, এই চুক্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো।’

সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শাকিব খানসান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের সৌজন্যে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘শাকিব খান নিঃসন্দেহে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় একটি নাম। ২৬ বছরের বেশি সময় ধরে শুধু চলচ্চিত্র নিয়েই তিনি ভেবেছেন, সময় দিয়েছেন। সেজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। তার সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠানের যাত্রা ইন্ডাস্ট্রির জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’ সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অজয় কুমার কুন্ডু।


চমকের নানা চমক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মধ্যে খানিক বিরতি নিলেও এবার নানা চমকে পর্দায় হাজির হচ্ছেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। সম্প্রতি বিভিন্ন কনটেন্ট ও নাটকে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত তুমুল জনপ্রিয় সিরিজ ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। সম্প্রতি এ সিরিজের চরিত্রগুলোকে নিয়েই অমি তৈরি করেন ‘ব্যাচেলর ভাইব’, যেখানে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে হাজির হন চমক। অনেকটা হঠাৎ করেই চমক এই চমকটি দিয়েছেন দর্শকদের। এরইমধ্যে এখানে তার উপস্থিতিও নজর কেড়েছে। নেটমাধ্যমেও ‘ব্যাচেলর ভাইব’-এ চমকের উপস্থিতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এদিকে, এর বাইরে আরও একটি চমক নিয়ে দ্রুত হাজির হচ্ছেন এ অভিনেত্রী। হাল সময়ের তরুণ সংগীতশিল্পী শেখ সাদীর সঙ্গে একটি গানচিত্রে পারফর্ম করেছেন তিনি। এরইমধ্যে ফেসবুকে গানচিত্রটির টিজার ভিডিও প্রকাশ করেন চমক। ভিডিওতে দুজনকে সাদা পোশাকে রোমান্টিক মুডে দেখা গেছে। ক্যাপশনে চমক লিখেন, এবার এমন এক পারফরম্যান্স আসছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এছাড়া, ‘নিবেদিতা’ নামের একটি টেলিছবিতেও কাজ করেছেন চমক; যা দ্রুতই প্রচার হবে ‘চ্যানেল আই’য়ে। এটি পরিচালনা করেছেন মুস্তফা তারিক হাদি। এতে চমক জুটিবদ্ধ হয়েছেন প্রান্তর দস্তগীরের সঙ্গে। একটি প্রতিবন্ধী মেয়ের ভালোবাসা, সংগ্রাম ও জয়ের গল্প ‘নিবেদিতা’; যেখানে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে দেখা মিলবে চমকের। এর বাইরে আরও বেশ কিছু নতুন কাজ নিয়েও হাজির হচ্ছেন তিনি, সেখানেও থাকবে নানা চমক।


মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নিতে চান তাহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে গান গেয়ে স্রোতাদের মন জয় করে আসছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান। কিন্তু ক্যারিয়ারের রজত জয়ন্তীতে পা রেখে আর গান না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান শ্রোতা-ভক্তদের। তবে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন তাহসান। যেই প্রতিষ্ঠানটির ইভেন্ট, সেই প্রতিষ্ঠানেরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাহসান। সেখানে উপস্থিত আয়োজক ও অতিথিদের কয়েকটি গান গেয়ে শোনান তিনি। তাই ভক্ত শ্রোতাদের মনেও প্রশ্ন জাগে, এটাই কি তবে তাহসানের শেষ পারফর্ম হতে যাচ্ছে? পারফর্মের পর এক বক্তৃতায় উপস্থাপকের এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাহসান।

গায়ককে প্রশ্ন ছোড়া হয়, আপনি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন। আমরা সবাই জানি, আপনার ভক্তরা জানেন, আপনি নিজেও জানেন হয়তো; আপনি ঘোষণা করেছেন যে আপনি গান থেকে সরে আসছেন। আমি নিশ্চিত আপনার ভক্তরা এতে হৃদয় ভেঙেছেন। আপনি কি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান? এটা কি সত্যি, এটা কি আপনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত? তখন তাহসান বলেন, আমি নিশ্চিত নই যে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য এটি সঠিক মঞ্চ, কারণ মানুষ মঞ্চে আমার বলা কথার কেবল অংশবিশেষ নেয় এবং তা দিয়ে আরেকটি খবর তৈরি করে ফেলে। তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হয় যে আমি কী বলছি। তবে একটি বড় বিষয় বলবো, অনেক বছর আগে আমার ভাই আমাকে বলেছিলেন যে, সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সময়কাল খুব সীমিত। কেনো তুমি ঝুঁকি নিচ্ছ? আমি তখন লিভার ব্রাদার্সের চাকরি ছেড়ে প্রথম অ্যালবামের কাজ ধরেছি। আমার ভাইয়ের কথা ছিল, যেকোন শিল্পীর মেয়াদকাল খুব কম। তুমি এই এরিয়াতে গেলে আবার তো ফেরত আসতে পারবে।

সো আমি এটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছিলাম; যে আর্টিস্টের মেয়াদকাল কমও হতে পারে, কিন্তু আর্টিস্টকে তৈরি করা ‘আর্ট’-এর মেয়াদ তার বিদায়ের পরও থাকতে পারে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয়েছে যে আমি ততটুকু সময়ই কাজ করবো যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের ভালোবাসার শিখরে থাকব, মানুষের সেই ভালোবাসাটা পাব। কারণ আমি দেখেছি যে অন্য ক্যারিয়ারে রিটায়ারমেন্ট আসে। কিন্তু এই ক্যারিয়ারটায় যেটা হয়, একটা সময় মানুষ ভুলে যায়। সো ভুলে যাওয়ার ক্ষতটার চেয়ে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নেওয়াই বেটার।


প্রথমবারের মতো ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় আরব আমিরাতের সুন্দরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো সরাসরি অংশ নিতে যাচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এক নারী। ২৬ বছর বয়সী মরিয়ম মোহামেদ দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবেন আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ৭৪তম ‘মিস ইউনিভার্স’ আসরে। গত রোববার আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরিয়মকে ‘মিস ইউনিভার্স ইউএই’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের পাক ক্রেত শহরে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৩০টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেবেন। মরিয়ম বলেন, ‘এই খেতাব অর্জন আমার জন্য ভাষায় প্রকাশের অতীত এক সম্মান। এটি শুধু আমার নয়- এটি প্রতিটি স্বপ্নবাজ মানুষের প্রতিচ্ছবি, যারা আমিরাতকে নিজের ঘর মনে করে।’ তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাকে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস দিয়েছে।

আমি এমন নারীদের কণ্ঠস্বর হতে চাই, যারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কৌতূহলী এবং আত্মপ্রত্যয়ে ভরপুর। মিস ইউনিভার্স ইউএই শুধু সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা নয়, এটি প্রভাব সৃষ্টির একটি প্ল্যাটফর্ম। মরিয়ম প্রথম আমিরাতি নারী হিসেবে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে এর আগে অংশ নিয়েছিলেন অ্যামিলিয়া ডোব্রেভা। তবে জন্মসূত্রে তিনি আমিরাতের নন, তার জন্ম কসোভোতে। দীর্ঘদিন দুবাইয়ে বসবাসের সূত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন এই মডেল।


আমার অধিকাংশ নারী সহকর্মী ক্যারিয়ার গড়েছে ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে: রুনা খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অভিনেত্রী রুনা খানের অভিনয়ে সম্মোহিত হন না এমন দর্শক কমই পাওয়া যাবে। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করতে জুড়ি নেই তার। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত ওয়েব প্ল্যাটফরম ও ফ্যাশন শো-গুলোতে বেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

দক্ষ অভিনয়ের পাশাপাশি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতেও বেশ পটু রুনা খান। তবে অনেক দিন ধরে কিছু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনার শিকার হচ্ছেন এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুনা খান জানিয়েছেন, নিজের নৈতিক বিষয়গুলো কখনো বিসর্জন দেননি। তবুও তিনি সফল। অভিনেত্রী বলেন, ‘২০০৫ থেকে ২০২৫, বিশ বছর ধরে একজন পেশাদার মডেল-অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করছি।

এই দীর্ঘ সময়ে আমার কাছে যেসব কাজের প্রস্তাব এসেছে, তার মধ্যে যেগুলো ভালো লেগেছে, কেবল সেটাই করেছি। অন্যদিকে গত বিশ বছরে আমার অধিকাংশ নারী সহকর্মীর ক্যারিয়ার গড়ে উঠেছে ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে। পরিচালকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে-পরকীয়া- এসবের মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার হয়েছে। যতদিন পরিচালকের সঙ্গে প্রেম বা সম্পর্ক, ততদিন সেই পরিচালকের কাজে ওই অভিনেত্রী; সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর একটা পাসিং শটেও তাকে আর পাওয়া যায় না।

এসব অসততার চর্চা করে পর্দায় তারা বোঝানোর চেষ্টা করে, লম্বা হাতার ব্লাউজ, গাঢাকা পোশাক পরা মানেই শালীনতা! অথচ তাদের বাস্তব জীবনে শালীনতার রেশমাত্র নেই। এই পুরো শ্রেণির মাথায় আগুন ধরে গেছে, জীবন-যৌবন দিয়ে, পরিচালকের প্রেমিকা হয়েও তারা ক্যারিয়ার গড়তে পারল না। আর আমি কারো সঙ্গে প্রেম-পরকীয়া ছাড়া যোগ্যতা দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলাম। এটা সহ্য করতে না পেরে বলা হচ্ছে, আমার পোশাক অশালীন।’

পোশাকের কারণে মাঝেমধ্যেই আলোচনায় ওঠে আসেন রুনা খান। ফটোশুটকে ঘিরেই এই আলোচনা পৌঁছে যায় বিতর্কে।

এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘কাপড়ের আবার অশালীনতা কী? অশালীন তো হয় কর্ম। বিশেষ করে আমাদের নাটকের অভিনেত্রীদের বেশির ভাগের জীবন চূড়ান্ত অশালীন কর্মকাণ্ডে ভরা, আর পর্দায় শরীরঢাকা কাপড় পরে তারা শালীনতা প্রতিষ্ঠা করেন! পোশাকের কোনো শালীনতা-অশালীনতা হয় না। বোরকা যেমন পোশাক, সুইমস্যুটও পোশাক, যার যেটা ভালো লাগবে, পরবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, এটা আমাদের সমাজে যায় না। কিন্তু পরিচালকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে কাজ করা পৃথিবীর কোন সমাজে গ্রহণযোগ্য? দেখুন, কার স্কিন কে কতখানি দেখাবে, সেটা তার ব্যাপার। আর স্কিন কী রুনা খানই প্রথম দেখিয়েছে? আমি তো শাবানা আপাকেও ক্লিভেজ দেখিয়ে নাচতে দেখেছি। আমি সিনেমা দেখা মানুষ ভাই; পর্দায় শাবনূর, মৌসুমী, শাবনাজ আপা- প্রত্যেকের ক্লিভেজ দেখেছি। তাহলে কি ২০-২৫ বছর বয়সে দেখানো যাবে, আর আমার ৪০ বছর বলে দেখানো যাবে না? কিন্তু এই দেশে তো ৫০-এর অভিনেত্রীও দেখাচ্ছেন। তাহলে? এই দৃষ্টিভঙ্গিটা কারা তৈরি করছেন? যারা ব্যক্তিগত জীবনে অশালীনতার চর্চা করে পর্দার পোশাক দিয়ে শালীনতার কথা বলেন।’


আমি বাংলার জন্য কাজ করি, কোনো নির্দিষ্ট দেশের জন্য নয়: জয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপূজা কার্নিভালের মঞ্চে উঠে এক আবেগঘন বক্তব্য দিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বললেন, ‘আমি বাংলার জন্য কাজ করি, কোনো নির্দিষ্ট দেশের জন্য নয়।’ তবে বাংলাদেশি এই অভিনেত্রীর উপস্থিতি ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে দুর্গাপুরে। গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয়োজনে দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয় জেলা পর্যায়ের দুর্গাপূজা কার্নিভাল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলাশাসক পোন্নাম্বালাম এস, পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে কার্নিভালে অংশ নেন জয়া আহসান। অন্য অতিথিদের সঙ্গে বেলুন ওড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি। পরে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা পর্দায় কাজ করি। কিন্তু যাদের জন্য কাজ করি, যারা আমাদের ভালোবাসেন, তাদের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পাই। আমি বাংলার জন্য কাজ করি, দেশের ভিত্তিতে নয়। পৃথিবীর যেখানেই বাংলা ভাষাভাষী মানুষ থাকুন না কেন, আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই, এই বাংলা সংস্কৃতির জন্য কাজ করতে চাই।’

নিজের ফোনে কার্নিভালের মুহূর্ত ধারণও করেন জয়া। বক্তব্য শেষে সঞ্চালকের অনুরোধে রবীন্দ্র সংগীত ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ পরিবেশন করেন তিনি, সঙ্গে সঙ্গত দেন এক স্থানীয় শিল্পী।

জয়ার এই উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান শেষে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি। তারা অভিযোগ তোলে, ‘একজন বাংলাদেশি নাগরিককে রাজ্য সরকারের আয়োজিত দুর্গাপূজা কার্নিভালের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন। এটি বাংলার নিজস্ব শিল্পীদের প্রতি অপমান।’

বিক্ষোভকারীরা ‘বাংলার মঞ্চে বিদেশি কেন?’ প্ল্যাকার্ড হাতে জয়ার ছবিতে কালি লাগিয়ে প্রতিবাদ জানান। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিও তোলে তারা। মহকুমা শাসকের দপ্তর ও সরকারি বাসভবনের সামনে মানববন্ধন করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন দলের জেলা সহসভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির এই প্রতিক্রিয়াকে ‘সঙ্কীর্ণ রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘শিল্পীর কোনো দেশ, ধর্ম বা জাত হয় না। দুর্গাপুরের মতো শহরে জয়া আহসানের মতো গুণী শিল্পীর আগমন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে রাজনীতির রঙে রাঙাতে চাইছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’


অভিনয়ে না ফেরার সিদ্ধান্ত হাসান মাসুদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন হাসান মাসুদ। একের পর এক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। তবে, হঠাৎ করেই শোবিজ অঙ্গন থেকে যেন হারিয়ে যান এ অভিনেতা। এখন আর পর্দায় দেখা যায় না তাকে। সম্প্রতি হানিয়া আমিরকে নিয়ে মন্তব্য করে এসেছেন আলোচনায়। এবার জানালেন, একটা চাকরির খোঁজে রয়েছেন তিনি। আর অভিনয়ে ফিরতে চান না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, আমি এখন একটা জব খুঁজছি। পেলেই আমি জবে ঢুকে যাব। সেটা যে ক্ষেত্রেই হোক। সেটা সাংবাদিকতা হতে পারে। এডমিনিস্ট্রেশন হতে পারে। আমি চেষ্টা করছি। হারিয়ে যাব একেবারে। একসময় সাংবাদিকতা করতেন তিনি। আর সেই পুরনো পেশায় ফেরার ইঙ্গিতও দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, সাংবাদিকতায় ফেরার ইচ্ছা আছে, যদি সে রকম ভালো অফার পাই। দর্শকদের উদ্দেশে হাসান মাসুদ বলেন, আমার শুধু একটাই অনুরোধ দর্শকদের কাছে, আপনারা সব সময় সৎ থাকবেন। সত্য কথা বলবেন। একটা প্রবণতা এখন খুব বেড়েছে পরকীয়া করার। এটা থেকে আপনারা বিরত থাকবেন। তাহলেই আপনারা ভাল থাকবেন। সুখে থাকবেন। তিনি ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সিনেমায় অভিনয় করেন। সেইসঙ্গে টেলিভিশন নাটকেও কাজ করেন।


ব্যর্থ হয়েছি, সেই মানুষটা হতে পারিনি যাকে সবাই দেখতে চেয়েছিল: বাঁধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

যাকে সবাই দেখতে চেয়েছিল সেই মানুষটা হতে পারেননি বলে নিজেকে ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। রবিবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক স্ট্যাটাসে এমনটা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

সেই পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি এমন একজন মেয়ে হতে চেয়েছিলাম, যে সবাইকে খুশি রাখে- যে অনুগত, বাধ্য, শান্তভাবে মানিয়ে নেয়। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।

আমি সেই মানুষটা হতে পারিনি, যাকে সবাই দেখতে চেয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম, সত্যি করেছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম, পরিবারের প্রত্যাশিত মেয়ে হতে, চেষ্টা করেছিলাম সমাজের বানানো ‘নারী’ হতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। আর সেই ব্যর্থতার জন্য আজ নিজেকেই ধন্যবাদ জানাই।’

ব্যর্থতার কারণ উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘আমি অন্য কারও স্ক্রিপ্টে বাঁচার জন্য জন্মাইনি। আমার কথা অনেকের কাছে অস্বস্তিকর, আমার কাজ অনেকের সান্ত্বনার সীমা ভেঙে দেয়। আমি সহজ মানুষ নই, কিন্তু নির্মমও নই।

আমি কাউকে আঘাত দিই না, অসম্মানও করি না- যদিও অনেকেই আমার প্রতি তা করে।’

চলতি মাসের শেষে ৪২ বছরের পা দেবেন বাঁধন। জীবনের এই সময়ে এসে নাকি শান্তি খুঁজে পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।

তার ভাষ্যে, ‘চল্লিশের পর এসে আমি নিজের সঙ্গে শান্তিতে আছি। এখন আমি বাঁচি আমার মতো করে- স্বাধীনভাবে, সৎভাবে, বিনা ক্ষমাপ্রার্থনায়। কেউ এতে কষ্ট পেলে, উপেক্ষা করুক, ব্লক করুক, ঘৃণা করুক। আমার কিছু আসে যায় না। কারণ, যাদের আমি অস্বস্তিতে ফেলি, তাদের পাশাপাশি আছে অনেকেই, যারা আমাকে ভালোবাসে, বোঝে, আমার সত্যে শক্তি খুঁজে পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা-আমি নিজেকে ভালোবাসি।

সবশেষে বাঁধন লিখেন, ‘আমি ভাঙা নই। আমি শুধু এমন এক পৃথিবীর কাছে অস্বস্তিকর, যে পৃথিবী এখনো আসল নারীকে ভয় পায়। ভালোবাসি তোমায়, আজমেরী হক বাঁধন। তুমি যে নারী হতে চেয়েছিলে, শেষ পর্যন্ত তুমি সেই নারীই হয়েছো।’


banner close