এত দিন টেলিভিশনের জনপ্রিয় তারকা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অভিনেত্রী শেহনাজ গিল। বিগ বসের কল্যাণে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। আর এই ঈদের পরে, শেহনাজ হয়ে যাবেন বলিউডের নায়িকা।
যেনতেনভাবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু হচ্ছে না শেহনাজের। একেবারে সালমান খানের ঈদের ছবি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ দিয়ে বড় পর্দায় আসছেন পাঞ্জাবি এই মেয়ে। অথচ পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি থেকেই নাকি বিতাড়িত হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই কথাই স্মরণ করলেন এক সাক্ষাৎকারে।
শেহনাজ জানান, পাঞ্জাবি একটি ছবিতে, দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শেহনাজ। ছবির অন্যান্য সবাইকে প্রিমিয়ারে দাওয়াত দেয়া হলেও শেহনাজকে কিছুই জানানো হয়নি। ভীষণ খারাপ লেগেছিল তার।
সিদ্ধার্থ কাননের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শেহনাজ বলেন, ‘আমি একটি ছবিতে দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তার ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত আমাকে দাওয়াত করেনি। তারা সবাইকে বলেছে। এমনকি প্রডাকশন হাউসের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরও। এটা ছিল একটি পাঞ্জাবি ছবি। আমি ছবিটি দেখেছি। আমি প্রিমিয়ারের ভিডিও ও ছবি দেখেছি। ওই দিন ভীষণ কেঁদেছিলাম। তারা আমাকে একবার বলেছিল, পরে আবার সেটি বাতিল করে দেয়। আমি জানি না কেন, আমি ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। পাঞ্জাবি ইন্ডাস্ট্রি আমার সব দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল।’
শেহনাজ গিল তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মিউজিক ভিডিও দিয়ে। পরে পাঞ্জাবি ছবি ‘সাত শ্রী আকাল ইংল্যান্ড’ দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয়। ‘কালা শাহ কালা’, ‘ডাকা অ্যান্ড হংসলা রাখ’ ছবিগুলোতে শেহনাজ অভিনয় করেছেন।
‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ পরিচালনা করছেন ফরহাদ শামজি। আগামী ২১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন সালমান খান, পূজা হেগড়ে, শেহনাজ গিল, পলক তিওয়ারি, জেসি গিল, ভূমিকা, সিদ্ধার্থ নিগম ও ভেঙ্কটেশ দাগুবাতি।
মিস্টার পারফেকশনিস্ট-খ্যাত বলিউড তারকা বলে কথা। তার মেয়ের বিয়েতে এলাহি কাণ্ড না হলে কী চলে? হ্যাঁ তেমনটাই হয়েছে। বরং প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বলিউড তারকারা উপস্থিত ছিলেন আমির খানের মেয়ে ইরা খানের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। এমনকি যেসব তারকার সঙ্গে আমির খানের শত্রুতা, তারাও এসে উপস্থিত আসরে। সবমিলিয়ে তারার হাট বসে ইরা খানের বিয়ের রিসেপশনিস্ট পার্টিতে।
গত ১০ জানুয়ারি রাজস্থানের উদয়পুরে রাজকীয় আয়োজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আমিরকন্যা ইরা খান ও নূপুর শিখরে। শনিবার মুম্বাইয়ে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করেন আমির খান। এতে ২ হাজার ৫০০ জনকে নিমন্ত্রণ জানান মিস্টার পারফেকশনিস্ট। ইরার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেন তারার মেলা বসেছিল। আমির খানের নিমন্ত্রণে ইরার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একঝাঁক তারকা। নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারটি তারায় তারায় ভরে উঠেছিল।
উপস্থিত অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন- সস্ত্রীক শাহরুখ খান, জয়া বচ্চন, রেখা, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনি, অনিল কাপুর, রণবীর কাপুর, সুস্মিতা সেন, ক্যাটরিনা কাইফ, কঙ্গনা রানৌত, ফারহান আখতার, জুহি চাওলা, এশা দেওল, রীতেশ দেশমুখ, এ আর রহমান, সুনিধি চৌহান, ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার প্রমুখ।
এ দিন কালো রঙের স্যুট-বুট পরে বন্ধু আমিরের মেয়ের বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন শাহরুখ খান। আমিরের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে দেখা গিয়েছে শাহরুখকে। এ দৃশ্য খুব কমই দেখেছেন ভক্তরা।
নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারে (এনএমএসিসি) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মুকেশ এবং নীতা আম্বানিও। তবে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমিরের সাবেক স্ত্রী কিরণ রাও। কিন্তু আমির-কিরণ পুত্র আজাদ খান উপস্থিত ছিলেন।
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান ব্যক্তিগত জীবনে রীনা দত্তের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। এ সংসার আলো করে জন্ম নেয় কন্যা ইরা খান। কয়েক দিন আগে বাবার জিম ট্রেইনার নূপুর শিখরের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন করেন ইরা। এরপর ধর্মীয় রীতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।
কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের একটি সাক্ষাৎকার। ‘কফি উইথ করণ’-এ এসেই নাকি বিস্ফোরক সব কথা বলেছেন কৃতি। ভাইরাল হওয়া এই সাক্ষাৎকারে নাকি কৃতি এমন সব কথা বলেছেন, যা কি না ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক! একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের হাত ধরেই এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল হওয়ায় রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন কৃতি।
ব্যাপারটা একটু খোলাসা করে বলা যাক। ভাইরাল হওয়া সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, ‘কফি উইথ করণ’-এ এসে কৃতি নাকি করণকে চ্যালেঞ্জ জানান, টাকা আয় করার ক্ষেত্রে। আর এই চ্যালেঞ্জ ছুড়তে গিয়ে কৃতির মুখে শোনা যায় বেশ কয়েকটি ট্রেন্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ার কথা। এই সাক্ষাৎকার পড়ে অনেকেই মনে করছেন, কৃতি ইচ্ছে করেই এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছেন। এমন মন্তব্য ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
এই বিষয়টি কৃতির নজরে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কৃতি লিখেছেন, ‘আমাকে নিয়ে একাধিক জায়গায় খবর ছাপা হয়েছে যে আমি নাকি ‘কফি উইথ করণ’-এ অংশ নিয়ে ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের প্রচার করেছি। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। এই খবরগুলো ছাপার পেছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্যই কাজ করছে। আমি এমন কোনো কাজ করিনি। ওয়েবসাইটগুলোকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি এবং আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। এই ধরনের ভুয়া খবর থেকে সতর্ক থাকুন।’
সম্প্রতি ‘মিমি’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন বলিউডের উঠতি তারকা কৃতি শ্যানন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তার কাজের পরিধি। ঝুলিতে রয়েছে বেশ কিছু ছবি। এরই মাঝে নিজের ইমেজ বাঁচাতে, নিজেই মাঠে নামলেন কৃতি। জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে ‘কফি উইথ করণ’-এ আসার কথা কৃতির। কিন্তু অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন বিপাকে পড়তে হবে- তা কখনো ভাবেননি এই অভিনেত্রী। মিথ্যা খবর ছড়ানোয় সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
‘জিরো’ সিনেমার ব্যর্থতার পর চার বছরের লম্বা বিরতি। এরপর ‘পাঠান’ আর ‘জাওয়ান’ দিয়ে ইতিহাস, বলিউড বাদশাহ ফিরেছেন তার আপন মেজাজে। সর্বশেষ দুটি সিনেমার প্রচারে শাহরুখকে তেমন বাইরের ইভেন্টে না পাওয়া গেলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ছিলেন বেশ সরব।
এই সময়টায় ‘আস্ক এসআরকে’, সেশনে, ভক্তদের সঙ্গে আড্ডা দেন শাহরুখ। ভক্তদের নানা প্রশ্নের উত্তর, রসিকতায়-মজারছলে কাজের এবং নিজের কথা জানাতে ওই সেশনে তিনি নিয়মিত হাজির হয়েছেন।
কিন্তু এই সেশন নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। মোবাইল হাতে নিয়ে বা কম্পিউটার-ল্যাপটপের সামনে বসে অচেনা-অজানা লোকজনের সঙ্গে শাহরুখের হাসিঠাট্টার সময় কোথায়? দিনরাত শুটিংয়ে যেখানে বাড়ি ফেরাও দায়। তখনো মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে ‘এসআরকে সেশনে’ শাহরুখ হাজির হয়েছেন নিয়মিত।
তাই অনেকের জিজ্ঞাসা, ওই সেশনের সব প্রশ্নের উত্তর কি শাহরুখ নিজে দেন? নাকি নায়কের হয়ে অন্য কেউ বা তাঁর টিম কাজটি করেন। ‘এসআরকে’ সেশনের উত্তরদাতা আসলে কে?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, এই প্রশ্ন সবখানে ঘুরপাক খাচ্ছে অনেক দিন ধরে। কয়েক দিন আগে মুম্বাইয়ে ‘এসআরকে সেশন’ নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শাহরুখ নিজে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধোঁয়াশা দূর করেন।
‘আজকে একটা ব্যাপার স্পষ্ট করা প্রয়োজন’ বলে মাইক্রোফোন হাতে একটু সিরিয়াস ভঙ্গিতে শাহরুখ যখন অনুষ্ঠানে কথা বলা শুরু করেন, তখন নড়েচড়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শক।
শাহরুখ বলেন, ‘অনেকে জানতে চেয়েছেন আমার সেশনে আমার হয়ে অন্য কেউ কথা বলেন কি না। আমার প্রিয় ভক্তদের বলতে চাই, ব্যক্তিগত সব প্রশ্নের উত্তর আমি নিজে দিই। তবে কাজের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করা হলে আমি সেই উত্তর দিতে টিমের সহায়তা নিই। কিন্তু সব কথা আমি নিজে লিখি।’
এই ‘এসআরকে’ সেশনেই শাহরুখ জানিয়েছিলেন কবে তাঁর বিরতি শেষ হতে চলেছে, কেনইবা চার বছর তিনি ছিলেন আড়ালে। ‘পাঠান’ ও ‘জাওয়ান’ হয়ে শাহরুখ কবে আসবেন, কী চমক দেখাবেন, কেন ‘জাওয়ান’-এ শাহরুখ ন্যাড়া মাথার লুক বেছে নিয়েছিলেন- ভক্তদের সেসব কৌতূহলও শাহরুখ মিটিয়েছেন এই সেশনে এসে।
গত ১ নভেম্বর ৫০-এ পা দিলেন অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। কিন্তু এবারের জন্মদিন বড্ড ফিকে ছিল সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর। শ্বশুরবাড়ির কেউ শুভেচ্ছাবার্তা দেননি, অভিনেত্রীর পাশে দেখা মেলেনি স্বামী অভিষেক বচ্চনেরও। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় স্ত্রীর একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন বটে। তবে শুধুই ‘শুভ’ জন্মদিন লিখে দায় সেরেছেন জুনিয়র বচ্চন। গত রোববার মণীশ মালহোত্রার বাড়ির দীপাবলি উদ্যাপনের অনুষ্ঠানেও সেই একা এলেন ঐশ্বরিয়া। নিন্দকরা বলেন, ননদ ও শাশুড়ির সঙ্গে আদায়-কাঁচকলা সম্পর্ক অভিনেত্রীর। স্বামীর সঙ্গেও নাকি নিত্যদিন ঝামেলা হয় ঐশ্বরিয়ার! সে কথা নিজের মুখেই কবুল করে নেন অভিষেক। তবু কোন জাদুবলে এখনো টিকে রয়েছে তাঁদের সম্পর্ক?
২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেককে বিয়ে করেন ঐশ্বরিয়া। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বচ্চন পরিবারের বৌমা তিনি। ২০১১ সালে জন্ম দেন মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের। বলিউডের অন্যতম নামজাদা পরিবারের সদস্য সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলিউড অভিনেত্রী। গত প্রায় দুই দশকের পথচলায় একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বচ্চন পরিবারকে ঘিরে। এমনকি বার কয়েক অভিষেক-ঐশ্বর্যের বিবাহবিচ্ছেদের কানাঘুষাও শোনা গিয়েছে। তবু প্রতিবার নিন্দকদের ভুল প্রমাণ করেছেন তাঁরা। তবে এটা সত্য যে, প্রায় দিনই নাকি ঝামেলা হয় অভিষেক-ঐশ্বর্যের।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই সে কথা স্বীকার করে নেন জুনিয়র বচ্চন। ২০১০ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো রোজ ঝগড়া হয়।’ যদিও তখন তাঁদের বিয়ের বয়স ছিল মোটে তিন। অভিষেক যেমন তাঁদের দাম্পত্যের এই দিকটা তুলে ধরেন- পাশপাশি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মূলত বাদানুবাদ হয়, বড় কোনো অশান্তি নয়। তা ছাড়াও আমরা রাগ করে ঘুমাতে যেতে পারি না। রাতে ঘুমানোর আগে সব অশান্তি মিটিয়ে নিই।’
তবে সেই মিটমাট করার দায়িত্ব নাকি অভিষেকের, ঐশ্বরিয়া এগিয়ে আসেন না একেবারেই। অভিনেতার কথায়, ‘অশান্তি মেটানোর প্রথম পদক্ষেপ আমাদের ছেলেদের করতে হয়। যদি তাড়াতাড়ি পুরুষ ভুলটা মাথা পেতে নেয়, তাহলে আর কোনো অশান্তিই থাকবে না। হতেই পারে তুমি ঠিক, তবে সেটা তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’ তবে গোটাটা মজার ছলেই বলেছিলেন অভিষেক সে সময়। বর্তমান সময়ে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁদের সম্পর্ক, তা বোঝা দায়।
নব্বইয়ের দশকে বলিউডে অ্যাকশন ও রোমান্টিক ঘরানার ছবির পাশাপাশি যে আদ্যোপান্ত পরিবারকেন্দ্রিক ছবিও বক্স অফিসে ব্যবসা করতে পারে, তা প্রমাণ করে দিয়েছিল ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিটি। বলিউড পরিচালক সুরজ বরজাতিয়ার এই ছবিটি সেই সময়ে রেকর্ড গড়েছিল।
সাড়ে ৪ কোটি টাকা খরচ করে সুরজ যে ছবি তৈরি করেছিলেন, তা মুক্তির পর বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে। বলিউড সূত্রে খবর পাওয়া যায়, মোট ১৩৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে বক্স অফিস থেকে ৩০ গুণ বেশি উপার্জন করে ছবিটি। সম্প্রতি ২৯ বছরে পা দিল এই ছবিটি।
‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিটি মুক্তির পর প্রেম (সালমান খান) ও নিশার (মাধুরী দীক্ষিত) জুটি দর্শকের মনে জায়গা করে নেয়। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে মাধুরীকে বেছে নিলেও মাধুরীর বিপরীতে প্রেমের চরিত্রের জন্য সালমান খান প্রথম পছন্দ ছিলেন না পরিচালকের।
জানা যায়, সালমান নন, বরং ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতে বলিপাড়ার অন্য খানকে চেয়েছিলেন সুরজ। এমনকি তাকে অভিনয়ের প্রস্তাবও দিয়ে ফেলেছিলেন পরিচালক। পরিচালকের প্রেমের চরিত্রের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন আমির খান। আমিরের কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়েও গিয়েছিলেন সুরজ। তবে সুরজের কাছে ছবির চিত্রনাট্যের প্রাথমিক খসড়া শোনার পর আমির সরাসরি প্রেমের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব খারিজ করে দেন।
বলিপাড়ায় কানাঘুষা শোনা যায়, প্রেমের চরিত্র যে ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, তা আকর্ষণীয় মনে হয়নি আমিরের। অভিনেতা মনে করেছিলেন, এই চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারবেন না তিনি। তাই সুরজের প্রস্তাব খারিজ করে দেন অভিনেতা। আর তখনই এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান সালমান। সেই ছবিতে সুরজের হাত ধরেই বলিপাড়ায় পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন সালমান।
১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সুরজ। এই ছবির মাধ্যমে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন সালমান। এই ছবিতেও সালমানের চরিত্রের নাম ছিল প্রেম। ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবির পর আবার প্রেম নামের চরিত্রেই অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হলো সালমানকে।
সুরজের প্রস্তাব ফেরাননি সালমান। মাধুরীর বিপরীতে অভিনয় করে বহুল প্রশংসা কুড়োতে শুরু করেন অভিনেতা। তারকা সমন্বিত ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতে সালমান, মাধুরীর সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল রেনুকা সাহানে, মণীশ বহেল, রীমা লাগু, অনুপম খের, দিলীপ জোশী, অলোক নাথ, সতীশ শাহ, বিন্দু, দীনেশ হিঙ্গুর মতো একাধিক তারকাকে।
১৯৯৪ সালের ৫ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিটি। বলিপাড়ার অন্দরমহল থেকে জানা যায়, এই ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে দুই বছর ধরে কাজ করছিলেন সুরজ। ১৯৯০ সাল থেকে ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবির শুটিং শুরু করেছিলেন সুরজ। তামিলনাড়ুর উটি শহরে এ ছবিটির শুট হয়েছিল।
চলতি বছরের এপ্রিলে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সালমান অভিনীত ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিটি। কিন্তু এই ছবিটি মুক্তির পর তেমন সাড়া পায়নি। এই বছরের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে সালমানের ‘টাইগার ৩’ ছবিটির।
ওটিটি দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন নার্গিস ফাখরি। সৌজন্যে নতুন ওয়েব সিরিজ ‘টাটলুবাজ’। এই মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নার্গিস। তবে সাফ জানিয়েছেন, বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে চাইলেও কোনো কিছুর জন্যই নগ্ন হতে তিনি রাজি নন। তার কথায়, বহু মানুষই ওটিটিমাধ্যমে চোখ রাখতে এখনো অস্বস্তিতে ভোগেন।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নার্গিস বলেন, ‘আমি মনে করি সিনেমা আমাকে অনেক পিছিয়ে রেখেছে। অনেক চরিত্রেই আমায় মানাতে পারে। আমি সেসব চরিত্রে কাজ করতে চাই। তবে আমি কোনো প্রকল্পের জন্য কখনোই নগ্ন হব না। আমার নগ্নতা নিয়ে সমস্যা আছে। তবে আমি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে হলে আপত্তি করব না। সমকামীর চরিত্রে, কিংবা কোনো নারীর চরিত্রে বিবাহিত নারী হিসেবে দেখানো হলেও আমার সমস্যা নেই। অভিনেত্রী হিসেবে যেকোনো চরিত্রে মানিয়ে নেয়াই আমার কাজ।’
তবে বহু মানুষই ওটিটিতে চোখ রাখতে এখনো অস্বস্তি বোধ করেন, সে প্রসঙ্গে নার্গিস ফাখরি বলেন, ‘দর্শক কী দেখবেন, আর কী দেখবেন না, সেটা বেছে নেয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। তবে ওটিটিতে অনেক বিষয় রয়েছে, কারোর কোনো কিছু পছন্দ না হলে তিনি অন্যকিছু দেখতে পারেন। এটাই তো ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সৌন্দর্য। এখানে অনেক বিকল্প আছে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমিশা প্যাটেল মন্তব্য করেন, ওটিটি মানেই শুধু যৌনতার গন্ধ, ওখানে খালি সমকামী, গে, লেসবিয়ানদের গল্প বলা হয়। ভারতীয় দর্শক এখনো স্বচ্ছ, ভালো সিনেমা দেখার অপেক্ষায় থাকেন। আমিশার পর এবার নার্গিস ফাখরির কথায়ও ওটিটির বিষয়বস্তুর কথা উঠে এল। তবে ওটিটিতে শুধুই যৌনতা, তেমন কথা অবশ্য বলেননি নার্গিস। প্রসঙ্গত ‘রকস্টার’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন নার্গিস ফাখরি।
বলিউডে একটি কথা বেশ প্রচলিত, যারা দেখতে সুন্দরী, ঝলমলে চরিত্রে রুপালি পর্দায় এসেছেন, ‘নায়িকা’ হিসেবেই পরিচিত, যাদের সব জায়গায়, গুণের আগে রূপই প্রাধান্য পায়; তারা অতটা মেধাবী নন। শুধু রূপের ঝলকেই পার পেয়ে যান। এমন ধারণাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেড়নেকর। তার মতে, যারা নায়কের হাত ধরে গাছের তলায় নাচানাচি করে, তাদেরও মেধা থাকতে হয়।
২০১৫ সালে ‘দম লাগা কি হাইশা’ ছবি দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু এই অভিনেত্রীর। প্রথম ছবিতেই একেবারে গ্ল্যামারের ধার দিয়েও হাঁটেননি ভূমি। ওজন বাড়িয়ে নিজের চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। পরের দুটি ছবি ‘টয়লেট: এক প্রেমকথা’ ও ‘শুভ মঙ্গল সাবধান’ ছবি দুটিতেও তিনি ছিলেন গ্ল্যামারহীন। এসব কারণে মানুষ মনে করেছিল, ভূমি কি তাহলে গ্ল্যামারহীন চরিত্রে অভিনয় করতেই পছন্দ করেন?
কিন্তু না, ২০১৯ সালে ‘পতি পত্নী অউর ওহ’ ছবিতে একেবারে গ্ল্যামারাস রূপে ফিরলেন। আর সম্প্রতি তিনি জানালেন, যারা মনে করে রুপালি পর্দায় যারা গ্ল্যামার হয়ে আসেন, তারা মেধাবী নন, এ ধারণার একদমই বিপরীত তিনি।
ভূমি বলেন, ‘অভিনেত্রী হিসেবে গ্ল্যামারের বিষয়টি আমি উপভোগ করি। আমি সহজাতভাবেই গ্ল্যামারাস। আসলে আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার অভিনীত ছবিগুলোতে গ্ল্যামার লুকে আসার সুযোগ পাইনি আমি। কিন্তু এ নিয়ে আমার কোনো অভিযোগও নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারণ আমি যেসব ছবি করেছি, মানুষ মনে করেছে আমি খুবই সিরিয়াস অভিনেত্রী। কমেডি সত্যিকারের কঠিন আর্ট ফর্ম।…মানুষ মনে করে, নায়িকার কাজ শুধু গাছের তলায় নাচা আর গান গাওয়া। না, এটা করতেও মেধাবী হতে হয়।’
চলতি বছর ভূমির হাতে পাঁচ-পাঁচটি ছবি। এর মধ্যে দুটি ‘ভিড়’ ও ‘আফওয়া’ মুক্তি পেয়েছে। ‘দ্য লেডি কিলার’, ‘ভক্ষক’ ও ‘মেরা হাজবেন্ড কি বিবি’ আছে মুক্তির অপেক্ষায়।
ভারতজুড়ে আলোচিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমার গল্পটি নিছক কাল্পনিক— সিনেমার সঙ্গে এরকম একটি ঘোষণা জুড়ে দেয়ার দাবি নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল জামিয়া উলামা-ই-হিন্দ। তবে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এ আবেদনটি শুনতেই রাজি হননি। তারা আবেদনটি নিয়ে যেতে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টে।
বুধবার আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টে তোলা হয়। জরুরিভিত্তিতে শুনানির জন্য আবেদনটি তালিকার শুরুর দিকে রাখা যায় কি না, এমন আর্জির পর ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সেই আর্জি নাকচ করে দেন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা যেতে পারে বলে জামিয়া উলামা-ই-হিন্দ ও একট সিনেমা নিয়ে আবেদন করা আরেকটি পক্ষকে পরামর্শ দেন তিনি।
জামিয়ার পক্ষের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারকে ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটি নিয়ে সংবিধানের ২২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে (রিট আবেদন) হাইকার্টে যাওয়া যেতে পারে। সেখানে সম্মানিত বিচারকরা রয়েছেন। আমাদের (সুপ্রিম কোর্ট) কেন ২২৬ অনুচ্ছেদের (রিট) আদালতে পরিণত হতে হবে?’ রিট হলে হাইকোর্ট যেন তা দ্রুত শুনানি করেন, সে বিষয়েও তিনি আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান।
কেরালার মেয়েদের ধর্মান্তরিত করে মুসলিম বানিয়ে ‘লাভ জিহাদে’র অংশ হিসেবে জঙ্গি সংগঠন আইএসে যুক্ত করা হয়েছে— ট্রেলার থেকে মিলেছে এমন ধারণা। বলা হচ্ছে, বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাকে কেরালার ৩২ হাজার মেয়ের ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা দেখানো হয়েছে।
এসব বিষয় নিয়েই সিনেমাটির মুক্তি স্থগিত করা থেকে শুরু করে নানা ইস্যুতে আবেদন গড়াচ্ছে আদালতে। শুক্রবার (৫ মে) মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে সিনেমাটির। তবে এটি যেন মুক্তি না পায়, তেমন আবেদনও পড়েছিল আদালতে। জামিয়ার পক্ষ থেকে সর্বশেষ আবেদনে বলা হয়েছে, সিনেমার কাহিনী যে কাল্পনিক- অন্তত সে কথাটি যেন জুড়ে দেয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্ট এ-সংক্রান্ত আবেদন হাইকোর্টে ঠেলে দিলেও এরই মধ্যে সিনেমাটির নির্মাতাপক্ষের আইনজীবী হারিশ স্যালভে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এ ধরনের কোনো ঘোষণা রাখতে রাজি নন। ‘সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত’ বলে যে ট্যাগলাইন ব্যবহার করা হচ্ছে কেরালা গার্লসে, সেটিই তারা রাখতে চান।
জামিয়া উলামা-ই-হিন্দ মনে করছে, কেরালা গার্লস সিনেমায় গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কেই হেয় করা হয়েছে। তাদের আবেদনেও বলা হয়েছে, সিনেমায় কেরালার ৩২ হাজার মেয়েকে ‘লাভ জিহাদে’র প্রলোভন দেখিয়ে আইএসে যোগ দেয়াতে পশ্চিম এশিয়ায় পাচার করার মতো ‘ক্ষতিকর প্রোপাগান্ডা’ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সিনেমাটি স্পষ্টতই ভারতের সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সিনেমায় যে বার্তাটি দেয়া হচ্ছে তা হলো— অমুসলিম তরুণীদের তাদের সহপাঠীদের মাধ্যমে প্রলোভিন দেখিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের পশ্চিম এশিয়ায় পাচার করা হচ্ছে, যেখানে তারা জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। সিনেমায় এমন ধারণাও দেয়া হয়েছে, উগ্রপন্থিদের বাইরেও সাধারণ মুসলিম তরুণ-তরুণীরাও অমুসলিমদের প্রলোভন দেখানোর মাধ্যমে উগ্রবাদে দীক্ষিত করার বিষয়ে উগ্রপন্থিদের দেখানো পথেই কাজ করে যাচ্ছেন।
বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খান সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময়ই বেশ সক্রিয়। অভিনেত্রী প্রায়ই ইনস্টাগ্রামে তার ভক্তদের সঙ্গে জীবনের নানা ছোটখাটো বিষয় ভাগ করে নেন। সম্প্রতি অভিনেত্রী তার আসন্ন সিনেমা ‘অ্যায় ওয়াতান মেরে ওয়াতান’ এর শুটিং শেষের পর একটি বিশেষ মুহূর্তের কথা তুলে ধরেছেন।
অ্যায় ওয়াতান মেরে ওয়াতান ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেত্রী। অবশেষে সেটার কাজ শেষ হলো। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে সারাকে। সেই ছবির লুক সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ছবির নির্মাতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকে এই ছবিতে কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য।
ছবিতে সারা আলি খানকে সবুজ পাড় সাদা শাড়ি পরে একটি রিকশায় বসে থাকতে দেখা যায়। অভিনেত্রী পোস্টটির ক্যাপশনে মহাত্মা গান্ধীর বিখ্যাত একটি লাইন উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘এমন ভাবে বাঁচো যেন এটাই তোমার শেষদিন। এমন ভাবে শেখো যেন তুমি চিরকাল বেঁচে থাকবে।’ তারপর তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ কান্নান স্যার আমায় এই চরিত্রটির জন্য বাছার জন্য। এই চরিত্র যেন শক্তি, সম্ভ্রম এবং প্যাশনের আদর্শ মিশেল। এই ছবি চিরকাল আমার সঙ্গে থেকে যাবে।’
কান্নান আইয়ার পরিচালিত এই ছবিতে একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রে দেখা যাবে সারাকে। একটি সত্য ঘটনার ওপর নির্ভর করে বানানো হয়েছে ছবিটি। ছবির গল্পে উঠে আসবে এক কলেজ ছাত্রীর জীবনের গল্প। কলেজে পড়াকালীন সে কীভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে, সাধারণ এক কলেজপড়ুয়া থেকে কীভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামী হয়ে ওঠেন সেই গল্পই এখানে দেখা যাবে। গল্পের প্রেক্ষাপট হচ্ছে ১৯৪২ সাল। অর্থাৎ যখন গোটা দেশ ভারত ছাড়ো আন্দোলন নিয়ে উত্তাল সেই সময়। সারার চরিত্রের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হবে সাহসিকতা, দেশাত্মবোধ এবং ত্যাগের গল্প। তবে এই ছবি বড়পর্দায় নয়, মুক্তি পাবে ওয়েব মাধ্যমে। অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাবে এই ছবি।
সারা আলি খানকে শেষ ‘গ্যাসলাইট’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল, যা ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পেয়েছিল। ‘অ্যায় ওয়াতান মেরে ওয়াতান’ ছাড়াও, অভিনেত্রীকে হোমি আদাজানিয়া পরিচালিত ‘মার্ডার মুবারক’ এ দেখা যাবে। ছবিতে অর্জুন কাপুরের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতেও দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। এ ছাড়াও অভিনেত্রীর লিস্টে অনুরাগ বসুর ‘মেট্রো ইন দিনোও’ রয়েছে। যেখানে তাকে আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে দেখা যাবে।
ঈদ উৎসবে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটল বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার। দীর্ঘ সময় বলিউড থেকে দূরে একসময়ের এই জনপ্রিয় নায়িকা। থাকেন না ভারতেও। এবার এলেন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগের (আইপিএল) খেলা উপলক্ষে। আইপিএল এমন একসময় চলছে, যখন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হলো। সে উৎসবে প্রীতি যোগ দেবেন না তা কি হয়! সালমান খানের বোন অর্পিতা শর্মার ঈদ উদযাপন আয়োজন পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে বেশ মাস্তি করলেন প্রীতি জিনতা।
প্রীতি তার ফেসবুক পেজ থেকে দুটি ভিডিও শেয়ার দিয়েছেন। তাতে দেখা গেল ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত এই অভিনেত্রী। ছবি তুলছেন বলিউডের অন্য তারকাদের সঙ্গে। বলে রাখা ভালো, এই ঈদের সালমান খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ মুক্তি পেয়েছে। এ উপলক্ষে বড়সড় পার্টিরও আয়োজন করা হয়েছে সালমানের বোন অর্পিতার পক্ষ থেকে। সেখানেই গিয়েছিলেন প্রীতি। প্রীতির সেলফিতে ধরা পড়লেন সালামন খান, সোহেল খান, পূজা হেগড়ে, অপির্তা শর্মা, সোনাক্ষী সিনহাসহ বলিউডের আরও জনপ্রিয় তারকারা।
ভিডিও শেয়ার দিয়ে প্রীতি লিখেছেন, ‘এই সপ্তাহ মারাত্মক ব্যস্ততায় গেল। প্রচুর ঘুরলাম, কিছু উদযাপনও করলাম। উৎসবের সময় ভারতে আসা দারুণ একটা ব্যাপার। আর এবারে ঈদ একদমই ফিরিয়ে দেয়নি। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় সময় কাটাতে পেরে অসাধারণ লাগল। যারা সবাই আমার পরিবারের মতো।’
১৯৯৮ সালে মণি রত্নমের ছবি ‘দিল সে’ দিয়ে দারুণ অভিষেক হয় প্রীতি জিনতার। এরপর ‘সংঘর্ষ’, ‘হার দিল জো পেয়ার কারেগা’, ‘ফর্জ’, ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’, ‘দিল চ্যাহতা হ্যায়’, ‘কাল হো না হো’, ‘বীর জারা’, ‘কাভি আল বিদা না কেহনা’ ‘জান-এ-মান’-এর মতো অসাধারণ সব ছবি উপহার দিয়েছেন। ২০১৮ সালে ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ নামের একটি ছবিতে তাকে শেষ দেখা গেছে।
গত বছরের আগস্টে মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর। তার ও আনন্দ আহুজার সংসারে আসে ছেলে বায়ু কাপুর আহুজা। এখন মাঝেমধ্যেই অভিনেত্রীকে সন্তান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়। ছেলের বয়স সাত মাস। এই অভিনেত্রী জানান, তিনি এখনো তার সন্তানকে স্তন্যপান করান। মাতৃত্ব নিয়েই এখন তার সব ভাবনা। পাশাপাশি তিনি দ্রুত ওজন কমানোর জন্যও আপাতত কোনো পরিকল্পনা করছেন না।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সোনম স্বাভাবিক ও দ্রুত জন্ম দেয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন। একই সঙ্গে জানান, স্তন্যপান করানো খুব একটা কঠিন কাজ নয়। ছেলে হওয়ার আগে তার শারীরিক অবস্থা যেমন ছিল, এখনো তিনি সেই রকম শারীরিক অবস্থায় পৌঁছাননি। এমনকি তার জন্য তিনি বিশেষ উঠেপড়ে চেষ্টাও করছেন না।
তবে হ্যাঁ, সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম শুরু করেছেন। কিন্তু মাতৃত্বকালীন ওজন পুরোপুরি কমিয়ে ফেলার জন্য কোনো ডায়েট শুরু করেননি। তিনি জানিয়েছেন, অন্তত এক বছর তিনি সন্তানকে স্তন্যপান করাবেন। আর এর জন্য তার নিজের সঠিক খাবার, বিশ্রাম ও এনার্জির প্রয়োজন আছে।
তিনি গ্রেজিয়া ইন্ডিয়াকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি বুড়িয়ে যাওয়ায় ভয় পাই না। কিন্তু আমি যেন নিজেকে আর আমার মতো করে ফিল করতে পারি না। তাই শুটিং থাকলে আমি আগে থেকে আমার মাপ পাঠিয়ে দিই। স্রেফ কোনো পোশাকে আমি ফিট করলাম না বলে মন খারাপ করে ফিরে আসতে চাই না। সেটা আমার মনে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি আগে যা ছিলাম তেমন অবস্থায় এখনো ফিরে যাইনি। কিন্তু আমি নিজেকে তার জন্য কষ্ট দেয়ারও চেষ্টা করছি না। আমি এখনো স্তন্যপান করাচ্ছি। আশা করছি অন্তত একটা বছর এটা চালিয়ে যাব। আর এর জন্য আমার শরীরের সঠিক পরিমাণ খাদ্য, বিশ্রাম এবং এনার্জির প্রয়োজন আছে। আমি শরীর চর্চা করছি, কিন্তু কোনো পাগল করা ডায়েটে নেই।’
২০১৮ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন সোনম ও আনন্দ। মুম্বাইয়ে তাদের বিবাহবাসর বসেছিল। গত বছর তাদের সন্তান হয়।
গত শনিবার থেকে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পাহাড়ি ভুটানের ছবিতে সয়লাব। এই ছবির সিরিজ শুরু হয়েছিল দীপিকার একটি ‘একা’ ছবি দিয়ে, যাতে ‘পিকু’ অভিনেত্রীকে জঙ্গলের পাথরের ওপর বসে থাকতে দেখা যায়। ভক্ত মনে প্রশ্ন, তাহলে রণবীর-দীপিকার সুখের সংসারে ভাঙন ধরার যে গুজব, তা কি তাহলে সত্য হতে চলল!
গত মাসেই এক অনুষ্ঠানে পাপারাজ্জিদের সামনে ঝটকা মেরে রণবীরের হাত সরিয়ে দিয়েছিলেন দীপিকা। তখন থেকেই লেগে পড়েছিল নিন্দুকরা বিচ্ছেদের জল্পনা নিয়ে। তবে ইনস্টাগ্রামে যে ছবিগুলো এই অভিনেত্রী শেয়ার করেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে খুব সম্ভবত একক সফরেই গিয়েছিলেন তিনি। কারণ রণবীরসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও নেই কোনো ছবিতে।
ভুটানের আকাশ, জঙ্গল, নদী, সেখানকার কচিকাঁচাদের ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন তিনি। জঙ্গলে পাথরের ওপর বসে থাকতে দেখা গেছে যেই ছবিটিতে সেখানে দীপিকা পরে আছেন একটি কালো রঙের অ্যাথলিজার, যা ইঙ্গিত করছে খুব সম্ভবত হাইকিং করতেই গিয়েছিলেন দীপিকা।
ভুটানের খাবারও কিন্তু চেখে দেখেছেন। দীপিকা এর আগেও জানিয়েছেন তিনি খেতে ভালোবাসেন। আর কোথাও ঘুরতে গিয়ে সেখানকার খাবারের স্বাদ নিতে ভোলেন না একেবারেই। একটি ছবিতে ভুটানের কিছু বাচ্চার সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুলতে দেখা গেল তাকে।
দীপিকাকে শেষ দেখা গেছে, শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘পাঠান’ সিনেমায়। তিনি ইতিমধ্যেই ‘ফাইটার’-এর শুটিং শুরু করেছেন। এই সিনেমায় তাকে প্রথমবার হৃতিক রোশনের বিপরীতে দেখা যাবে। ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা। হাতে রয়েছে প্রভাস এবং অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তার ‘প্রজেক্ট কে’। যদিও বিগ বি এই ছবির সেটে চোট পাওয়ায় শুটিং আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। অমিতাভের সঙ্গে ‘দ্য ইন্টার্ন’-এর রিমেকেও তাকে দেখতে পাবেন ভক্তরা।