শিগগিরই নতুন কাজ নিয়ে ফিরছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে সেটা বলিউডের না, হলিউডের। ‘সিটাডেল’ শিগগিরই অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেতে চলেছে। রুশো ব্রাদার্সের এই প্রজেক্টে প্রচারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সেখানে এক সাক্ষাৎকারে জানান, অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় তার পছন্দ না। এই দৃশ্যে তিনি নিরাপদ বোধ করেন না। অ্যাকশন দৃশ্য নিয়ে ভয়ানক কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে এই অভিনেত্রীর।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি কোনো দিনই নিজে স্টান্ট করতে পছন্দ করি না। তবে এখানে আমি স্টান্ট নিজেই করেছি, কারণ পরিচালকের আদেশ ছিল এই দৃশ্যে যতটা সম্ভব যেন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মুখ দেখা যায়, তাই নিজেই স্টান্ট করেছি। যদিও এই দৃশ্যে নিরাপদ বোধ করি না। অ্যাকশন দৃশ্য নিয়ে আমার ভয়ানক কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে। শুধু সিটাডেলে নয় বলিউডে কাজ করার সময় থেকেই।
বলিউডে অ্যাকশন দৃশ্যের কথা মনে করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘১৫-২০ বছর আগে আমি যখন বলিউডে অ্যাকশন দৃশ্যে কাজ করেছি, তখন আমার কোনো বডি ডাবল ছিল না, নিজেই করতাম। তবে আমার একজন ছোটখাটো লোক ছিলেন যিনি মেয়েদের চুল পরে, হাতের চুল কেটে এই অ্যাকশন দৃশ্যগুলো করতেন, যেগুলো খুব ভয়ংকর ছিল। কারণ আমাদের কাছে তখন কোনো মহিলা ছিলেন না। তখন থেকে সেগুলো হয়তো আমি শিখতেও পেরেছি।’
লন্ডনে ‘সিটাডেল’-এর শুটিং করার সময় তিনি চোট পেয়েছিলেন। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘লন্ডনে একটি বৃষ্টির দিনের শেষে যখন শুটিং করছি, তখন বিশেষ আলো ছিল না। তাই তাড়াহুড়া করছিলাম। আমি ছুটে যাচ্ছিলাম, যেখানে থামার কথা ছিল, তার একটু আগেই পৌঁছে যাই। তাই ক্যামেরাটা আমার সামনে চলে এসে আমার ভ্রুতে ক্ষত করে দিল। আমার ভ্রুতে এখনো দাগ রয়ে গিয়েছে। ভ্রুর ওপর কিছুটা অস্ত্রোপচারের আঠা লাগিয়ে সেদিনকার মতো কাজ শেষ করেছিলাম।’
ওয়েব সিরিজ সিটাডেল প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘প্রথম এপিসোডগুলো বেশ আকর্ষণীয়। বিশেষত ট্রেনের দৃশ্যে প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে। যেখানে বিস্ফোরণের দৃশ্যও রয়েছে। সেই বিস্ফোরণে প্রচুর মানুষ মারা যাবে, আর সেখানে আমাকে ও রিচার্ডকে দেখা যাবে।’
মধ্যে খানিক বিরতি নিলেও এবার নানা চমকে পর্দায় হাজির হচ্ছেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। সম্প্রতি বিভিন্ন কনটেন্ট ও নাটকে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত তুমুল জনপ্রিয় সিরিজ ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। সম্প্রতি এ সিরিজের চরিত্রগুলোকে নিয়েই অমি তৈরি করেন ‘ব্যাচেলর ভাইব’, যেখানে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে হাজির হন চমক। অনেকটা হঠাৎ করেই চমক এই চমকটি দিয়েছেন দর্শকদের। এরইমধ্যে এখানে তার উপস্থিতিও নজর কেড়েছে। নেটমাধ্যমেও ‘ব্যাচেলর ভাইব’-এ চমকের উপস্থিতি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এদিকে, এর বাইরে আরও একটি চমক নিয়ে দ্রুত হাজির হচ্ছেন এ অভিনেত্রী। হাল সময়ের তরুণ সংগীতশিল্পী শেখ সাদীর সঙ্গে একটি গানচিত্রে পারফর্ম করেছেন তিনি। এরইমধ্যে ফেসবুকে গানচিত্রটির টিজার ভিডিও প্রকাশ করেন চমক। ভিডিওতে দুজনকে সাদা পোশাকে রোমান্টিক মুডে দেখা গেছে। ক্যাপশনে চমক লিখেন, এবার এমন এক পারফরম্যান্স আসছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এছাড়া, ‘নিবেদিতা’ নামের একটি টেলিছবিতেও কাজ করেছেন চমক; যা দ্রুতই প্রচার হবে ‘চ্যানেল আই’য়ে। এটি পরিচালনা করেছেন মুস্তফা তারিক হাদি। এতে চমক জুটিবদ্ধ হয়েছেন প্রান্তর দস্তগীরের সঙ্গে। একটি প্রতিবন্ধী মেয়ের ভালোবাসা, সংগ্রাম ও জয়ের গল্প ‘নিবেদিতা’; যেখানে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে দেখা মিলবে চমকের। এর বাইরে আরও বেশ কিছু নতুন কাজ নিয়েও হাজির হচ্ছেন তিনি, সেখানেও থাকবে নানা চমক।
দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে গান গেয়ে স্রোতাদের মন জয় করে আসছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান। কিন্তু ক্যারিয়ারের রজত জয়ন্তীতে পা রেখে আর গান না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান শ্রোতা-ভক্তদের। তবে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি প্রযুক্তিভিত্তিক ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন তাহসান। যেই প্রতিষ্ঠানটির ইভেন্ট, সেই প্রতিষ্ঠানেরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তাহসান। সেখানে উপস্থিত আয়োজক ও অতিথিদের কয়েকটি গান গেয়ে শোনান তিনি। তাই ভক্ত শ্রোতাদের মনেও প্রশ্ন জাগে, এটাই কি তবে তাহসানের শেষ পারফর্ম হতে যাচ্ছে? পারফর্মের পর এক বক্তৃতায় উপস্থাপকের এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাহসান।
গায়ককে প্রশ্ন ছোড়া হয়, আপনি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন। আমরা সবাই জানি, আপনার ভক্তরা জানেন, আপনি নিজেও জানেন হয়তো; আপনি ঘোষণা করেছেন যে আপনি গান থেকে সরে আসছেন। আমি নিশ্চিত আপনার ভক্তরা এতে হৃদয় ভেঙেছেন। আপনি কি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান? এটা কি সত্যি, এটা কি আপনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত? তখন তাহসান বলেন, আমি নিশ্চিত নই যে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য এটি সঠিক মঞ্চ, কারণ মানুষ মঞ্চে আমার বলা কথার কেবল অংশবিশেষ নেয় এবং তা দিয়ে আরেকটি খবর তৈরি করে ফেলে। তাই আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হয় যে আমি কী বলছি। তবে একটি বড় বিষয় বলবো, অনেক বছর আগে আমার ভাই আমাকে বলেছিলেন যে, সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সময়কাল খুব সীমিত। কেনো তুমি ঝুঁকি নিচ্ছ? আমি তখন লিভার ব্রাদার্সের চাকরি ছেড়ে প্রথম অ্যালবামের কাজ ধরেছি। আমার ভাইয়ের কথা ছিল, যেকোন শিল্পীর মেয়াদকাল খুব কম। তুমি এই এরিয়াতে গেলে আবার তো ফেরত আসতে পারবে।
সো আমি এটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছিলাম; যে আর্টিস্টের মেয়াদকাল কমও হতে পারে, কিন্তু আর্টিস্টকে তৈরি করা ‘আর্ট’-এর মেয়াদ তার বিদায়ের পরও থাকতে পারে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয়েছে যে আমি ততটুকু সময়ই কাজ করবো যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের ভালোবাসার শিখরে থাকব, মানুষের সেই ভালোবাসাটা পাব। কারণ আমি দেখেছি যে অন্য ক্যারিয়ারে রিটায়ারমেন্ট আসে। কিন্তু এই ক্যারিয়ারটায় যেটা হয়, একটা সময় মানুষ ভুলে যায়। সো ভুলে যাওয়ার ক্ষতটার চেয়ে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নেওয়াই বেটার।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো সরাসরি অংশ নিতে যাচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এক নারী। ২৬ বছর বয়সী মরিয়ম মোহামেদ দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবেন আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ৭৪তম ‘মিস ইউনিভার্স’ আসরে। গত রোববার আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরিয়মকে ‘মিস ইউনিভার্স ইউএই’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের পাক ক্রেত শহরে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১৩০টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেবেন। মরিয়ম বলেন, ‘এই খেতাব অর্জন আমার জন্য ভাষায় প্রকাশের অতীত এক সম্মান। এটি শুধু আমার নয়- এটি প্রতিটি স্বপ্নবাজ মানুষের প্রতিচ্ছবি, যারা আমিরাতকে নিজের ঘর মনে করে।’ তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাকে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস দিয়েছে।
আমি এমন নারীদের কণ্ঠস্বর হতে চাই, যারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কৌতূহলী এবং আত্মপ্রত্যয়ে ভরপুর। মিস ইউনিভার্স ইউএই শুধু সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা নয়, এটি প্রভাব সৃষ্টির একটি প্ল্যাটফর্ম। মরিয়ম প্রথম আমিরাতি নারী হিসেবে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে এর আগে অংশ নিয়েছিলেন অ্যামিলিয়া ডোব্রেভা। তবে জন্মসূত্রে তিনি আমিরাতের নন, তার জন্ম কসোভোতে। দীর্ঘদিন দুবাইয়ে বসবাসের সূত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন এই মডেল।
অভিনেত্রী রুনা খানের অভিনয়ে সম্মোহিত হন না এমন দর্শক কমই পাওয়া যাবে। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করতে জুড়ি নেই তার। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত ওয়েব প্ল্যাটফরম ও ফ্যাশন শো-গুলোতে বেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
দক্ষ অভিনয়ের পাশাপাশি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতেও বেশ পটু রুনা খান। তবে অনেক দিন ধরে কিছু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনার শিকার হচ্ছেন এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুনা খান জানিয়েছেন, নিজের নৈতিক বিষয়গুলো কখনো বিসর্জন দেননি। তবুও তিনি সফল। অভিনেত্রী বলেন, ‘২০০৫ থেকে ২০২৫, বিশ বছর ধরে একজন পেশাদার মডেল-অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করছি।
এই দীর্ঘ সময়ে আমার কাছে যেসব কাজের প্রস্তাব এসেছে, তার মধ্যে যেগুলো ভালো লেগেছে, কেবল সেটাই করেছি। অন্যদিকে গত বিশ বছরে আমার অধিকাংশ নারী সহকর্মীর ক্যারিয়ার গড়ে উঠেছে ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে। পরিচালকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে-পরকীয়া- এসবের মাধ্যমে তাদের ক্যারিয়ার হয়েছে। যতদিন পরিচালকের সঙ্গে প্রেম বা সম্পর্ক, ততদিন সেই পরিচালকের কাজে ওই অভিনেত্রী; সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর একটা পাসিং শটেও তাকে আর পাওয়া যায় না।
এসব অসততার চর্চা করে পর্দায় তারা বোঝানোর চেষ্টা করে, লম্বা হাতার ব্লাউজ, গাঢাকা পোশাক পরা মানেই শালীনতা! অথচ তাদের বাস্তব জীবনে শালীনতার রেশমাত্র নেই। এই পুরো শ্রেণির মাথায় আগুন ধরে গেছে, জীবন-যৌবন দিয়ে, পরিচালকের প্রেমিকা হয়েও তারা ক্যারিয়ার গড়তে পারল না। আর আমি কারো সঙ্গে প্রেম-পরকীয়া ছাড়া যোগ্যতা দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলাম। এটা সহ্য করতে না পেরে বলা হচ্ছে, আমার পোশাক অশালীন।’
পোশাকের কারণে মাঝেমধ্যেই আলোচনায় ওঠে আসেন রুনা খান। ফটোশুটকে ঘিরেই এই আলোচনা পৌঁছে যায় বিতর্কে।
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘কাপড়ের আবার অশালীনতা কী? অশালীন তো হয় কর্ম। বিশেষ করে আমাদের নাটকের অভিনেত্রীদের বেশির ভাগের জীবন চূড়ান্ত অশালীন কর্মকাণ্ডে ভরা, আর পর্দায় শরীরঢাকা কাপড় পরে তারা শালীনতা প্রতিষ্ঠা করেন! পোশাকের কোনো শালীনতা-অশালীনতা হয় না। বোরকা যেমন পোশাক, সুইমস্যুটও পোশাক, যার যেটা ভালো লাগবে, পরবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, এটা আমাদের সমাজে যায় না। কিন্তু পরিচালকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে কাজ করা পৃথিবীর কোন সমাজে গ্রহণযোগ্য? দেখুন, কার স্কিন কে কতখানি দেখাবে, সেটা তার ব্যাপার। আর স্কিন কী রুনা খানই প্রথম দেখিয়েছে? আমি তো শাবানা আপাকেও ক্লিভেজ দেখিয়ে নাচতে দেখেছি। আমি সিনেমা দেখা মানুষ ভাই; পর্দায় শাবনূর, মৌসুমী, শাবনাজ আপা- প্রত্যেকের ক্লিভেজ দেখেছি। তাহলে কি ২০-২৫ বছর বয়সে দেখানো যাবে, আর আমার ৪০ বছর বলে দেখানো যাবে না? কিন্তু এই দেশে তো ৫০-এর অভিনেত্রীও দেখাচ্ছেন। তাহলে? এই দৃষ্টিভঙ্গিটা কারা তৈরি করছেন? যারা ব্যক্তিগত জীবনে অশালীনতার চর্চা করে পর্দার পোশাক দিয়ে শালীনতার কথা বলেন।’
পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপূজা কার্নিভালের মঞ্চে উঠে এক আবেগঘন বক্তব্য দিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বললেন, ‘আমি বাংলার জন্য কাজ করি, কোনো নির্দিষ্ট দেশের জন্য নয়।’ তবে বাংলাদেশি এই অভিনেত্রীর উপস্থিতি ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে দুর্গাপুরে। গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয়োজনে দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয় জেলা পর্যায়ের দুর্গাপূজা কার্নিভাল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলাশাসক পোন্নাম্বালাম এস, পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে কার্নিভালে অংশ নেন জয়া আহসান। অন্য অতিথিদের সঙ্গে বেলুন ওড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি। পরে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা পর্দায় কাজ করি। কিন্তু যাদের জন্য কাজ করি, যারা আমাদের ভালোবাসেন, তাদের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পাই। আমি বাংলার জন্য কাজ করি, দেশের ভিত্তিতে নয়। পৃথিবীর যেখানেই বাংলা ভাষাভাষী মানুষ থাকুন না কেন, আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই, এই বাংলা সংস্কৃতির জন্য কাজ করতে চাই।’
নিজের ফোনে কার্নিভালের মুহূর্ত ধারণও করেন জয়া। বক্তব্য শেষে সঞ্চালকের অনুরোধে রবীন্দ্র সংগীত ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ পরিবেশন করেন তিনি, সঙ্গে সঙ্গত দেন এক স্থানীয় শিল্পী।
জয়ার এই উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান শেষে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি। তারা অভিযোগ তোলে, ‘একজন বাংলাদেশি নাগরিককে রাজ্য সরকারের আয়োজিত দুর্গাপূজা কার্নিভালের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন। এটি বাংলার নিজস্ব শিল্পীদের প্রতি অপমান।’
বিক্ষোভকারীরা ‘বাংলার মঞ্চে বিদেশি কেন?’ প্ল্যাকার্ড হাতে জয়ার ছবিতে কালি লাগিয়ে প্রতিবাদ জানান। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিও তোলে তারা। মহকুমা শাসকের দপ্তর ও সরকারি বাসভবনের সামনে মানববন্ধন করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন দলের জেলা সহসভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির এই প্রতিক্রিয়াকে ‘সঙ্কীর্ণ রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘শিল্পীর কোনো দেশ, ধর্ম বা জাত হয় না। দুর্গাপুরের মতো শহরে জয়া আহসানের মতো গুণী শিল্পীর আগমন সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে রাজনীতির রঙে রাঙাতে চাইছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন হাসান মাসুদ। একের পর এক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। তবে, হঠাৎ করেই শোবিজ অঙ্গন থেকে যেন হারিয়ে যান এ অভিনেতা। এখন আর পর্দায় দেখা যায় না তাকে। সম্প্রতি হানিয়া আমিরকে নিয়ে মন্তব্য করে এসেছেন আলোচনায়। এবার জানালেন, একটা চাকরির খোঁজে রয়েছেন তিনি। আর অভিনয়ে ফিরতে চান না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, আমি এখন একটা জব খুঁজছি। পেলেই আমি জবে ঢুকে যাব। সেটা যে ক্ষেত্রেই হোক। সেটা সাংবাদিকতা হতে পারে। এডমিনিস্ট্রেশন হতে পারে। আমি চেষ্টা করছি। হারিয়ে যাব একেবারে। একসময় সাংবাদিকতা করতেন তিনি। আর সেই পুরনো পেশায় ফেরার ইঙ্গিতও দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, সাংবাদিকতায় ফেরার ইচ্ছা আছে, যদি সে রকম ভালো অফার পাই। দর্শকদের উদ্দেশে হাসান মাসুদ বলেন, আমার শুধু একটাই অনুরোধ দর্শকদের কাছে, আপনারা সব সময় সৎ থাকবেন। সত্য কথা বলবেন। একটা প্রবণতা এখন খুব বেড়েছে পরকীয়া করার। এটা থেকে আপনারা বিরত থাকবেন। তাহলেই আপনারা ভাল থাকবেন। সুখে থাকবেন। তিনি ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সিনেমায় অভিনয় করেন। সেইসঙ্গে টেলিভিশন নাটকেও কাজ করেন।
যাকে সবাই দেখতে চেয়েছিল সেই মানুষটা হতে পারেননি বলে নিজেকে ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। রবিবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক স্ট্যাটাসে এমনটা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
সেই পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি এমন একজন মেয়ে হতে চেয়েছিলাম, যে সবাইকে খুশি রাখে- যে অনুগত, বাধ্য, শান্তভাবে মানিয়ে নেয়। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।
আমি সেই মানুষটা হতে পারিনি, যাকে সবাই দেখতে চেয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম, সত্যি করেছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম, পরিবারের প্রত্যাশিত মেয়ে হতে, চেষ্টা করেছিলাম সমাজের বানানো ‘নারী’ হতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। আর সেই ব্যর্থতার জন্য আজ নিজেকেই ধন্যবাদ জানাই।’
ব্যর্থতার কারণ উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘আমি অন্য কারও স্ক্রিপ্টে বাঁচার জন্য জন্মাইনি। আমার কথা অনেকের কাছে অস্বস্তিকর, আমার কাজ অনেকের সান্ত্বনার সীমা ভেঙে দেয়। আমি সহজ মানুষ নই, কিন্তু নির্মমও নই।
আমি কাউকে আঘাত দিই না, অসম্মানও করি না- যদিও অনেকেই আমার প্রতি তা করে।’
চলতি মাসের শেষে ৪২ বছরের পা দেবেন বাঁধন। জীবনের এই সময়ে এসে নাকি শান্তি খুঁজে পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।
তার ভাষ্যে, ‘চল্লিশের পর এসে আমি নিজের সঙ্গে শান্তিতে আছি। এখন আমি বাঁচি আমার মতো করে- স্বাধীনভাবে, সৎভাবে, বিনা ক্ষমাপ্রার্থনায়। কেউ এতে কষ্ট পেলে, উপেক্ষা করুক, ব্লক করুক, ঘৃণা করুক। আমার কিছু আসে যায় না। কারণ, যাদের আমি অস্বস্তিতে ফেলি, তাদের পাশাপাশি আছে অনেকেই, যারা আমাকে ভালোবাসে, বোঝে, আমার সত্যে শক্তি খুঁজে পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা-আমি নিজেকে ভালোবাসি।
সবশেষে বাঁধন লিখেন, ‘আমি ভাঙা নই। আমি শুধু এমন এক পৃথিবীর কাছে অস্বস্তিকর, যে পৃথিবী এখনো আসল নারীকে ভয় পায়। ভালোবাসি তোমায়, আজমেরী হক বাঁধন। তুমি যে নারী হতে চেয়েছিলে, শেষ পর্যন্ত তুমি সেই নারীই হয়েছো।’
আপাতত একের পর এক কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। গত চার মাসে চারটি ভিন্ন ধরনের কাজ করলেন তিনি। ‘মা’, ‘সরজমিন’, ‘দ্য ট্রায়াল সিজন ২’ মুক্তির পাশাপাশি এখন নতুন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তিনি। বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কাজল।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাগ্য ভাল যে এত ভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারছি। জীবনে কোনো কিছু পরিকল্পনা করে করিনি। ফলে এটা আমার ভাগ্য।’ উল্লেখযোগ্য বিষয়, তার অভিনীত সাম্প্রতিক তিনটি চরিত্রই এক মায়ের। কেনো এই ধরনের চরিত্রের প্রতি বার বার আকৃষ্ট হচ্ছেন কাজল?
অভিনেত্রীর কথায়, ‘খুব কাকতালীয়ভাবে প্রত্যেকটি চরিত্র এমন মায়ের, যে সারাক্ষণ সন্তানদের ভীষণ আগলে রাখে। ‘সরজমিন’ গত বছর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা এই বছরে হল। তবে আমি ব্যক্তিগত জীবনেও এরকমই। হয়তো সেই কারণেই এমন চরিত্র আমার কাছে আসে।’
তার ভিন্ন চরিত্রের কথা মাথায় রেখে নারীবাদের প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নারীবাদ মানে প্রত্যেক নারীর অপর নারীর পাশে দাঁড়ানো। নিজের সমর্থনে নিজের পাশে দাঁড়ানো। এমন বলছি না যে এতে অন্য লিঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই হচ্ছে মেয়েদের নিজের শক্ত করে তোলা, প্রতিষ্ঠিত করা।’ সূত্র: আনন্দবাজার
দশেরার ছুটির শুরুতে মুক্তি পাওয়া ঋষভ শেঠির নতুন ছবি ‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ এখন ভারতের বক্স অফিসে রাজত্ব করছে। মুক্তির মাত্র তিন দিনের মাথায় এই কন্নড় সিনেমা আয় করেছে ১৬২ কোটি রুপি, যা চলতি বছরের অন্যতম সেরা ওপেনিং হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
তিন দিনে রেকর্ডভাঙা আয় গত শনিবার পর্যন্ত (তৃতীয় দিন) ছবিটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ১৬২ দশমিক ৮৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে। বিশ্লেষণ সংস্থা স্যাকনিল্কের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিনে ‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ আয় করে ৬১ দশমিক ৮৫ কোটি রুপি, পরের দিন ৪৬ কোটি, আর তৃতীয় দিনে আরও ৫৫ কোটি রুপি। তিন দিনে এই অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৫০ কোটির গণ্ডি। মাত্র তিন দিনেই ছবিটি বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী কন্নড় সিনেমা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে, পেছনে ফেলেছে ‘সু ফ্রম সো’–এর আয় (৯২ কোটি রুপি)।
‘সিকান্দার’ ও ‘গেম চেঞ্জার’-কে টপকাল ঋষভ শেঠির এই ছবি শুধু আঞ্চলিক সিনেমার মধ্যেই নয়; বরং পুরো ভারতে বড় বাজেটের চলচ্চিত্রগুলোকেও টেক্কা দিচ্ছে। গত শনিবারই এটি পেছনে ফেলেছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’ (১১০ কোটি রুপি) ও রামচরণের ‘গেম চেঞ্জার’ (১৩১ কোটি রুপি)-কে। এ অর্জনের সঙ্গে ‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ এখন কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ সিনেমা, যা ১৫০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করল।
বিদেশেও সাড়া ফেলেছে ‘কানতারা’
শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও ছবিটির জনপ্রিয়তা ক্রমে বাড়ছে। মুক্তির প্রথম দুই দিনেই আন্তর্জাতিক বাজারে ছবিটি আয় করেছে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২২ কোটি রুপি)। সপ্তাহান্তে এ আয় আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডে তাদের রিভিউতে ছবিটির প্রশংসা করে লিখেছে, ‘ছবির প্রিকুয়েল অংশের ক্লাইম্যাক্স ও গুলিগা দৃশ্যগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এগুলো বহুবার দেখার মতো। অভিনয়ে ঋষভ একেবারে প্রকৃতির শক্তি, যেন চরিত্রের মধ্যে তিনি নিজেই এক রহস্যে রূপ নিয়েছেন। ছবির চিত্রায়ণ এতই আকর্ষণীয় ও গল্প এতই মুগ্ধকর, যে কেউ অবধারিতভাবে হারিয়ে যায় ঋষভের তৈরি করা সিনেমা দুনিয়া।’
ঋষভ শেঠির নতুন অধ্যায়
‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ আসলে জনপ্রিয় ‘কানতারা’ সিনেমার প্রিকুয়েল। আগের ছবিটির অনন্য সাফল্যের পর দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া, আর ঋষভ শেঠি যেন সে প্রত্যাশারও ঊর্ধ্বে চলে গেছেন। ছবিটি ইতিহাস, মিথ ও লোকজ বিশ্বাসের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা এক শক্তিশালী পিরিয়ড অ্যাকশন ড্রামা, যেখানে ঋষভ আবারো তার পরিচালনা ও অভিনয়ের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
এখনো ছবিটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ কমার কোনো লক্ষণ নেই। সমালোচকদের মতে, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে এটি শিগগিরই ২০০ কোটির ক্লাবে জায়গা করে নিতে পারে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
বলিউড সুপারস্টার সালমান খান প্রথমবারের মতো নিজের অতীত প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কারণ নিয়ে বহুদিন ধরে নানা গুঞ্জন থাকলেও এবার নিজেই সেই বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি। সম্প্রতি কাজল ও টুইঙ্কল খান্নার টকশো তে এসব কথা জানান সালমান। নিজের প্রেম জীবনের কথা বলতে গিয়ে সালমান বলেন, ‘যখন সম্পর্কে একজন সঙ্গী অন্যজনের তুলনায় দ্রুত সাফল্য পায়, তখন সম্পর্কের ভেতর সমস্যার শুরু হয়। কোনো একজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।’ সালমান আরও বলেন, ‘সম্পর্কে টিকে থাকতে হলে দুজনেরই একসঙ্গে এগোতে হবে। কাউকে যেন অন্যজনের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে না হয়।’
বলিউডে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন ছিল, খারাপ ব্যবহারের কারণেই ঐশ্বরিয়া ও ক্যাটরিনার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক ভেঙেছিল। কিন্তু অভিনেতার এই বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, আসল কারণ হয়তো ক্যারিয়ারের উচ্চতা ও পারস্পরিক অনিরাপত্তা।
উল্লেখ্য, সালমান খানের জীবনে একাধিকবার সম্পর্ক এলেও কোনোটিই পরিণতি পায়নি। সংগীততা বিজলানির সঙ্গে তার বিয়ের প্রস্তুতিও একসময় চূড়ান্ত হয়েছিল। এমনকি কার্ড ছাপা পর্যন্ত হয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেটিও ভেঙে যায়।
ঢালিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় থাকেন পরীমনি। তারকাদের মধ্যে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি অনুসারীও তার, প্রায় ১৬ মিলিয়ন। পরীমনি এবার এসেছেন জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকের’ দশম পর্বে।
এই পর্বে বেশকিছু চমকপ্রদ কথা বলেছেন অভিনেত্রী। প্রায় ১০০ মিনিটের ওই কথোপকথনে পরীমনি এমন কিছু কথা বলেছেন, যা আগে কখনো বলেননি।
আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত পরীমনি বলেছেন, এখন আমি অনেক ভেবেচিন্তে কাজ করি। যেটা আগে করতাম না। এর আগে অভিনেত্রী বলেছিলেন, এই বদলে যাওয়া তার সন্তানদের জন্য।
রুম্মান রশীদ খানের সঞ্চালনায় পডকাস্টে পরীমনি বলেন, এতদিন আমার কোনো সঞ্চয় ছিল না; কিন্তু এখন আমি মাসে একটা সঞ্চয় করি, আমার বাচ্চাদের জন্য। আমার যদি দুই টাকাও উপার্জন হয়, সেটা যেন সন্তানরা বড় হয়ে ভোগ করতে পারে।
পরীমনি মজা করে পডকাস্টে বলেন, আমি এখন পুণ্য ও প্রিয়মের মা বটে! তবে আরও ৯৮টি বাচ্চার মা হতে চাই। মোট ১০০ বাচ্চার মা হয়ে ওদের দেখভাল করতে চাই। আল্লাহ যাতে আমাদের এই সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করার জন্য বড়লোক করতে পারে। কারণ এ যুগে সন্তানদের বড় করার জন্য অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন। ব্যক্তি পরীমনি বা নায়িকা পরীমনি অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারে, তবে মা হিসেবে আমি নিজেকে কখনো ব্যর্থ হতে দেব না।
কথার ফাঁকে অভিনেত্রী জানান, সিনেমায় অভিনয়ের আগে তিনি নাচের স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে সেখানে গুণী নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌকে দেখে মুগ্ধ হয়ে রীতিমতো পালিয়ে গিয়ে আর স্কুলে ফিরে যাননি! ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ প্রযোজনা করছেন জেড আই ফয়সাল।
ভারতীয় অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও রাশমিকা মান্দানা গোপনে বাগদান সেরেছেন বলে গুঞ্জন রটেছে। পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে এই বাগদান সম্পন্ন হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানায়, তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তবে, এখনো পর্যন্ত এই জুটি তাদের বাগদান বা বিয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেননি।
এম৯ নিউজ জানিয়েছে, তারা এখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে চান না এবং ব্যক্তিগত পরিসর বজায় রাখতে আগ্রহী।
সম্প্রতি রাশমিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি শাড়ি পরা ছবি পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক ভক্ত ধারণা করেন, এটি সম্ভবত তার বাগদানের অনুষ্ঠানের ছবি। এই ছবি ঘিরে ভক্তদের মাঝে জল্পনা আরও বেড়ে যায়।
দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিনে রাশমিকা ‘থাম্মা’ সিনেমার ট্রেলার এবং গানের প্রতি ভালোবাসার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে তাকে তিলক পরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখা যায়।
ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, শুভ দশমী, আমার প্রিয়রা... এ বছর আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ কারণ আপনারা ‘থাম্মা’ ট্রেলার আর গানকে যেভাবে ভালোবাসা দিচ্ছেন, তাতে আমি সত্যিই আপ্লুত... আপনারা যেভাবে পাশে আছেন, তা আমার জন্য বড় পাওয়া। খুব শিগগিরই প্রচারে দেখা হবে।
রাশমিকা ও বিজয়কে বিজয়কে বিভিন্ন সময় একসঙ্গে ছুটি কাটাতে দেখা গেছে। তারা সবসময় তাদের ব্যক্তিগত জীবন গোপন রেখেছেন। এখনো পর্যন্ত তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান বা বিয়ের কথা স্বীকার করেননি।
বর্তমানে পরিচালক আদিত্য সরপোতদারের হরর-কমেডি সিনেমা ‘থাম্মা’র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে রাশমিকা। যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন আয়ুষ্মান খুরানা। এছাড়া, সিনেমায় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও পরেশ রাওয়ালসহ আরও অনেকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী ২১ অক্টোবর। অন্যদিকেট, বিজয়কে সর্বশেষ দেখা গেছে গৌতম তিন্নানুরির পরিচালিত তেলেগু স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘কিংডম’ সিনেমায়।
নব্বই দশকের বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জুহি চাওলাকে এখন আর পর্দায় দেখা যায় না। একটা সময় তিনি একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। সিনেমায় না থেকেও তিনি এখন ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী। অথচ গত দুই বছরে তাকে কোনো নতুন সিনেমায় দেখা যায়নি।
তবু পর্দার বাইরে নীরবে গড়ে তুলেছেন বিপুল এক সাম্রাজ্য। গত এক বছরে যোগ করেছেন ৩ হাজার ১৯০ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। তার মোট সম্পদ এখন দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৯০ কোটি রুপিতে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
একসময় বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে জুহি চাওলা ছিলেন অন্যতম। আজ তিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রীও।
সম্প্রতি হারুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৫ জানাচ্ছে, গত এক বছরে জুহির সম্পদ বেড়েছে ৬৯ শতাংশ। এর সুবাদে নারী তারকাদের মধ্যে ধনসম্পদের তালিকায় সবার ওপরে উঠে এসেছেন অভিনেত্রী।
সামগ্রিকভাবে বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তার ওপরে আছেন কেবল বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান, যার সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৪৯০ কোটি রুপি। জুহির পরে অবস্থান করছেন হৃতিক রোশন ২,১৬০ কোটি, করণ জোহর ১,৮৮০ কোটি এবং অমিতাভ বচ্চন আছেন ১,৬৩০ কোটি রুপি।
আজকের দিনে জুহি চাওলা শুধু সাবেক সুপারস্টার নন, তিনি ভারতের সবচেয়ে সফল নারী বিনিয়োগকারী অভিনেত্রীও বটে। বলি গ্ল্যামার থেকে ব্যবসায়িক দূরদর্শিতা—দুই জগতে সমান দক্ষতায় নিজের অবস্থান শক্ত করে রেখেছেন তিনি। সিনেমায় না থেকেও যে সাফল্যের গল্প লেখা হয়েছে, তা জুহি চাওলা যেন তারই প্রমাণ। মাত্র এক বছরে বেড়েছে তিন হাজার ১৯০ কোটি রুপি। গত বছরও জুহির সম্পদ ছিল ৪ হাজার ৬০০ কোটি রুপি। সেখান থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৯০ কোটি রুপিতে। এই আর্থিক সাফল্যের সুবাদে হারুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৫–এর শীর্ষ ১০ স্বনির্মিত নারী উদ্যোক্তার তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন জুহি চাওলা।
অভিনেত্রীর এ বিপুল সম্পদের মূল উৎস হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম আলোচিত দল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। দীর্ঘদিনের বন্ধু সহ–অভিনেতা বশাহরুখ খান এবং স্বামী জয় মেহতার সঙ্গে কেকেআরের সহমালিক তিনি। তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান—রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট ও দ্য মেহতা গ্রুপের মাধ্যমে এ মালিকানা শেয়ার করে নেন তারা। ২০২৪ সালের আইপিএল শিরোপা জেতার পর কেকেআরের ব্র্যান্ড ভ্যালু হু হু করে বেড়েছে। আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি অনুযায়ী, গোটা লিগের বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪৫ লাখ কোটি রুপিতে, যার মধ্যে কেকেআরের একক মূল্যই ১ হাজার ৯১৫ কোটি রুপি।
উল্লেখ্য, জুহি চাওলা ১৯৮৬ সালে ‘সালতানাত’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। তারপর থেকেই একে একে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’–এর মতো একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন এ অভিনেত্রী। ২০১০ সালের দিকে ধীরে ধীরে সিনেমা থেকে দূরে সরে আসেন তিনি। বেছে নেন কেবল নির্বাচিত কিছু প্রকল্প। সর্বশেষ কাজ করেছেন নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্রাইডে নাইট প্ল্যান’ (২০২৩)–এ, যেখানে তার সহ–অভিনেতা ছিলেন ইরফান খানের ছেলে বাবিল খান।