‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহর করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খানকে জবাব দাখিল করতে সমন জারি করেছেন আদালত।
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক আগামী ১৫ মে জবাব দাখিলের জন্য সমন জারি করেন।
মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের সেরেস্তাদার শফিকুল ইসলাম বলেন, বাদীপক্ষ কোর্ট ফি দাখিল করায় সোমবার বিচারক জবাব দাখিলের জন্য সমন জারি করেন।
গত ৩০ এপ্রিল আদালতে মামলা করেন রহমত উল্লাহ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোর্ট ফি দাখিলের জন্য ১৫ মে দিন ধার্য করেন।
এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় গত ২১ মার্চ শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রহমত উল্লাহর আইনজীবী।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক বার্তায় এ বিষয়টি স্পষ্ট করে আইএসপিআর।
ওই বার্তায় বলা হয়, মাইলস্টোনের ঘটনায় কিছু সংবাদমাধ্যমে লেখা হচ্ছে, গতকালের বিমানটি একটি প্রশিক্ষণ বিমান ছিল। আমরা বিনীতভাবে আবারও জানাতে চাই, এটি ছিল যুদ্ধে ব্যবহারের উপযোগী একটি যুদ্ধবিমান। সেটি একটি প্রশিক্ষণ মিশনে অংশ নিয়েছিল।
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি স্কুল ভবনের ওপর এসে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে এই খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
পরে জানা যায়, বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান স্কুলটির চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানের পাইলটসহ ২৭ জন নিহত হয়েছে এবং ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে হতাহতের তথ্য গোপনের যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের প্রত্যেকের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। নিহতদের প্রত্যেকের নাম-পরিচয় যাচাই ও তালিকা করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা যাচ্ছে না, সেগুলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে এ ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, বিভিন্ন মহল থেকে হতাহতের তথ্য গোপন করা হচ্ছে দাবি করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, এ দাবি সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ মর্মান্তিক ঘটনায় আহত-নিহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী প্রশাসন, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একযোগে কাজ করছে। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই, এই দুর্ঘটনায় আপনার পরিচিত কেউ যদি নিখোঁজ থেকে থাকে তবে অতিদ্রুত স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সেখানে একটি কন্ট্রোল রুম বসানো হচ্ছে।
এ ছাড়া এখনো কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রি খাতা ও অন্যান্য নথি থেকে যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হওয়া জেটটি এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট হালকা ওজনের যুদ্ধবিমান। যেটি তৈরি করে চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন (সিএসি)। অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য চীনে এটি জে-৭ নামে পরিচিত। তবে রপ্তানির সময় এর নামকরণ হয় এফ-৭।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে এফ-৭ বিজিআই একটি বহু পরিচিত যুদ্ধ বিমান। এটি আকাশ থেকে আকাশে স্বল্পপাল্লার ইনফ্রারড হোমিং মিসাইল এবং লেজার গাইডেড ও জিপিএস গাইডেড বোমা দিয়ে ভূমি আক্রমণে সক্ষম।
বাংলাদেশে এই মডেলের বিমানের তৃতীয় দুর্ঘটনা এটি। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে টাঙ্গাইলের মধুপুরের রসুলপুরে ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়ার সময় বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপু নিহত হন। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয় এফ-৭ এমবি। এতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ নিহত হন।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মোট ৩৬টি এফ-৭ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই এফ-৭ বিজিআই ভ্যারিয়েন্ট। তবে এফ-৭ এমবি ও এফটি-৭ ভ্যারিয়েন্টও রয়েছে। তবে মোট ফাইটার ভ্যারিয়েন্ট ৩৬টি।
লাইটওয়েট মাল্টিরোল ফাইটার ধরনের এই যুদ্ধবিমানগুলোর গতি সাধারণত মাক ২ দশমিক ২ বা শব্দের গতির অন্তত ২ দশমিক ২ গুণ। এগুলোতে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, লেজার গাইডেড বোমা, জিপিএস গাইডেড বোমা এবং বাড়তি জ্বালানি ট্যাংক ও অস্ত্র বহনের জন্য পাঁচটি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে। এই যুদ্ধবিমানগুলো ১ হাজার ৫০০ কেজির মতো ভার বহন করতে পারে।
এ ধরনের যুদ্ধবিমানের ককপিটে একজনমাত্র পাইলট বসতে পারেন। ককপিট সম্পূর্ণ কাচের। এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হয়েছে কেএলজে-৬ এফ রাডার। এই যুদ্ধবিমান ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭ হাজার ৫০০ মিটার বা ৫৭ হাজার ৪২০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, বেশির ভাগ রাশিয়ার বিগ-২১ ও অন্যান্য সমসাময়িক অনেক যুদ্ধবিমানের চেয়ে এটি বেশি দ্রুত ম্যানুভার বা দিক পরিবর্তনে সক্ষম। এর পাল্লা কমবেশি ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার।
১৯৬০ থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বহরে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ও দ্রুতগামী জেট ছিল জে-৭। আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট এয়ারফোর্স টেকনোলজি ডটকম এর তথ্য অনুযায়ী, জে-৭ এর নকশার অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়কালে তৈরি যুদ্ধবিমান মিগ-২১ থেকে।
এভিয়েশনভিত্তিক ওয়েবসাইট এয়ারোস্পেস গ্লোবাল নিউজের তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানির সময় চীনা কোম্পানিটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান আমদানিকারকের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করে। সে সময় এর নামের সঙ্গে কিছু সংকেত ব্যবহার করা হয়। যেমন, বাংলাদেশ যদি এই সিরিজের যুদ্ধবিমান আমদানি করে তাহলে এফ-৭ এর পর ইংরেজি অক্ষর ‘বি’ যুক্ত হবে। আর গ্লাস ককপিটের নকশার ক্ষেত্রে ‘জি’ এবং উন্নত সংস্করণ বোঝাতে ইমপ্রুভড এর ‘আই’ যুক্ত হবে। এ সংস্করণের যুদ্ধবিমানে থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল গ্লাস ককপিট, উন্নত রাডার ব্যবস্থা ও অ্যাভিওনিক্স (ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা) প্রযুক্তি।
এয়ারোস্পেস গ্লোবাল নিউজ (এজিএন) বলছে, এই ধরনের জেট সারা বিশ্বেই আকাশ প্রতিরক্ষা, বহুমুখী অভিযান ও পাইলদের প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যবহার হয়। তবে নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের চেয়ে এর দুর্ঘটনার হার বেশি। এর কারণ, পুরোনো নকশার এয়ারফ্রেম, সীমিত নিরাপত্তা, আধুনিক ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাব।
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক।
সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের বিষয়টি জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, শোক পালনের উদ্দেশ্যে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সব সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এ ছাড়া আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
গতকাল দুপুরে দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে ওই প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ২০ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তবে আহতদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুলের মাঠে আছড়ে পড়ে বলে সোমবার আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক শোক প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি আজ থেকে তিন দিন জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে অনুষ্ঠেয় সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে সরকার।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক শোকবার্তায় বলেন, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে হারালাম। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শোকবার্তায় বলেন, এই দুর্ঘটনা আমাদের জাতির জন্য গভীর বেদনাদায়ক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। তিনি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজকের এইচএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীদের জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উক্ত দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করায় আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
স্থগিত হওয়া পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।
সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও সকল বেসরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপারগতায় রোগীকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট অথবা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্যও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মান বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার একটি হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত শিশুশ্রম নিরসনে কার্যক্রম বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় সচিব একথা বলেন।
শ্রম সচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক পথ শিশু আছে যারা বিভিন্ন নেশায় আকৃষ্ট হয়। আমাদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের স্কুলমূখী করানো। সরকার ১৯৯০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। সরকার পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। আমরা চাই শিশুরা স্কুলে যাবে কাজে নয়।
শ্রম সচিব মতবিনিময় সভায় বলেন, আজ সভায় উপস্থিত ৪৮ টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থকে শিশু শ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। বিভিন্ন এনজিও , উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং সরকারের সমন্বিত উদ্দ্যোগ ও আন্ত:সমন্বয় পারে শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে।
শ্রম সচিব আরও বলেন, আমরা গত ১৯ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করেছি। আমরা শিশুশ্রম প্রতিরোধ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তরুন সমাজকে সম্পৃক্ত করেছি। শিশুশ্রম প্রতিরোধে লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে আমাদের মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪৩ টি সেক্টরকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও দিবসটিতে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে শিশুশ্রম প্রতিরোধ করার জন্য।
শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মিজ জাহেদা পারভীন বলেন, সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তার বিধান রয়েছে। এই বিধান বাস্তবায়ন করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনে ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিশুশ্রম নিরসনে সরকার, আইএলও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, শ্রমিক ও মালিক পক্ষসহ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষ তাগিদ দেওয়া হবে। দারিদ্র্যই শিশুশ্রমের মূল কারণ। প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার হচ্ছে নিরাপদ শৈশব ও শিক্ষার সুযোগ পাওয়া। এই অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা মুনিরা সুলতানা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। আইএলও সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষ নিয়ে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশ শিশুশ্রম বিষয়ক কনভেনশন-১৩৮ এবং কনভেনশন -১৮২ অনুস্বাক্ষর করেছে। আইএলও কর্তৃক ২০০৪ সাল থেকে ১২ জুন ''বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস'' পালন করা হয়। বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিরসনে আইএলও এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে শিশুশ্রম নিয়া কাজ করছি। কর্মজীবী শিশুদের জন্য স্কুল চালু করা হয়েছে। আমরা চাই শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ। আমরা শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করছি। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আমরা সামাজিক আন্দোলন করছি। আমরা চাই শিশুশ্রম শুন্যে নেমে আসুক। আমরা শিশুদের নিয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। আমরা এতিম শিশুদের নিয়াও কাজ করছি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার।
মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, উপসচিব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি এবং অ্যাকশন এইড ও কারিতাসসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক উপলক্ষ্যে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় শোকের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ফলে, আগামী ২২ জুলাই (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠেয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান একদিন পিছিয়ে ২৩ জুলাই (বুধবার), সকাল ১১:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-তে অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটি ট্র্যাজেডির দিন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আজ ওই দুর্ঘটনায় হতাহতদের দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, 'আজকে আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বড় একটা ট্র্যাজেডির দিন। এত বড় ট্রাজিক ঘটনা, বিয়োগান্তক ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনে আর ঘটে নাই।'
উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, উনারা চিকিৎসার প্রয়োজনে যতরকম প্রস্তুতি দরকার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তারপরও যদি প্রয়োজন হয় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনবেন। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আমাদের শিক্ষার্থীদের বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা করা হবে। কোন কিছুতেই কোন ঘাটতি থাকবে না।'
ড. আসিফ নজরুল বলেন, কিন্তু আমরা যা আজ হারিয়েছি কোন কিছুর বিনিময়ে সেটা পূরণ করার মত নয়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামসহ ১৯ জন নিহত ও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিমানটি আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় (যা বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে)। দুর্ঘটনা মোকাবেলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উক্ত বিমানের বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজ এর দোতালা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, আহত সকলকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্স এর সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৮ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৭০ জন, ঢাকা সিএমএইচ এ ১৪ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে ১১ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আইএসপিআর জানায়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের লাশ দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। তবে যেসব লাশের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না, সেক্ষেত্রে ডিএন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে হস্তান্তর করা হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, মর্মান্তিক এই বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এতে আরও বলা হয়, ‘রাজধানী উত্তরার দিয়াবড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পরিচয় শনাক্ত হওয়া নিহতদের লাশ দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে কর্তৃপক্ষ। তবে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না তাদের ক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে হাসপাতাল এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের অযথা ভিড় না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আজ সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় হতাহতের স্মরণে আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সোমবার (২১ জুলাই) এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা বলেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিমানসেনা এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা কখনো পূরণ হবার নয়। তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি আরও বলেন, "আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের বিষয়টি জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, শোক পালনের উদ্দেশ্যে দেশের সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সকল সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এছাড়াও আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আজ সোমবার এক শোকবার্তায় বলেন, ‘বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ।’
তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সকল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয় ।