গতকাল রাজধানীর দুটি ও নারায়ণগঞ্জের একটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে যুবরাজ শামিম পরিচালিত সিনেমা ‘আদিম’। এরই মধ্যে ছবিটি গত বছর মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি হিসেবে অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। দেশে মুক্তির পর কেমন দেখছেন দর্শক? এসব নিয়েই দৈনিক বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন পরিচালক যুবরাজ শামিম।
দেশের তিনটি হলে আপনার প্রথম সিনেমা আদিম মুক্তি পেয়েছে। আপনি হলে হলে ঘুরছেনও। দর্শকদের কেমন সাড়া পেলেন?
নানা কারণেই সিনেমাটির প্রচারণা করতে পারিনি। আমাদের ছবিতে কোনো তারকা অভিনয়শিল্পী নেই। প্রচারণা করতে যে পরিমাণ অর্থ লাগে সেটাও নেই। আমরা স্পন্সরের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পাইনি। তবুও কিছু মানুষ আমাদের ছবিটি দেখতে আসছেন- এটাও আমাদের জন্য খুব আনন্দের। যেমন গতকাল (শুক্রবার) যমুনায় সকালের শোতে ১৫-২০ জন, নারায়ণগঞ্জের ৩৫ আসনের হলে ২৫ জন দর্শক এসেছিল। আর দুপুরের পর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সের শোতে ৫০ জনের বেশি দর্শক ছিল। এটা আমাকে খুবই অভিভূত করেছে। আমার ধারণা ছিল ৪-৫ জন দর্শক হবে হয়তো। কিন্তু পরিচিত লোকজনের বাইরে অনেকেই এসে ছবিটি দেখেছেন।
ছবিটি দেখার পর দর্শকের কোনো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন?
যারা শেষ পর্যন্ত দেখেছেন সবাই খুব প্রশংসা করেছেন। অনেকেই আবার ছবি চলাকালীন মাঝপথে উঠে বের হয়ে গেছেন। তাদের কাছে হয়তো ছবিটি ভালো লাগেনি। তবে আলাদা করে একজনের কথা বলতে পারি, তিনি ছবি শেষ করে আমার সঙ্গে পরিচিত হলেন। তারপর বললেন, ছবিটির এত কম প্রচার করলেন কেন? এটি একটানে বসে দেখার মতো ছবি। আমরা ফেস্টিভ্যালে যাওয়া মানে যেরকম ছবি ভাবি, এটা সেরকম না। ভালোমতো প্রচার করলে আরও মানুষ দেখত।
আমরা যতদূর জানি, বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে আপনি সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। আজ অনেক যুদ্ধ অর্জনের পর ছবিটি মুক্তি পেল। কেমন লাগছে?
সবাই তো জানেন ছবিটি কাছের মানুষদের অর্থায়নে নির্মাণ করেছি। অনেক মানুষ সিনেমার শেয়ার কিনেছেন। আজ নিজের কাছে অবাক লাগে, আমার মতো একজন অচেনা-অজানা মানুষের ওপর এতগুলো মানুষ আস্থা রেখেছেন। ২০১৭ সালে যখন ছবিটা শুরু করি, তখন সবাই ভালোবেসে পাশে থেকেছেন। এটা আমার জন্য সবচেয়ে বেশি আনন্দের। যারা আমার ছবিতে বিনিয়োগ করেছেন, সবাইকে বলে নিয়েছি তারা আমার ছবির লাভ-ক্ষতি দুটিরই পার্টনার। কারণ তারা শুরু থেকেই আমার সঙ্গে ছিলেন। তাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে। আরেকটা কথা বলতে চাই, আজ শুধু আদিম মুক্তি পায়নি। আমিও মুক্তি পেলাম। এখন অন্য কাজে মন দিতে পারব। নতুন সিনেমা নিয়ে এগোতে পারব।
আপনার আদিম সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা সবাই প্রায় অচেনা-অজানা মানুষ। তারা কেমন অভিনয় করেছেন বলে আপনার মনে হয়?
দেখুন আমার অভিনয়শিল্পীরা সবাই টঙ্গীর বসতি এলাকায় থাকেন। তাদের ঠিকমতো বুঝিয়ে অভিনয়ে নিয়ে এসেছি। একটা কথা বলি, আমি যতটুকু যেভাবে চেয়েছি, সেটাই তারা করেছেন। আমি সন্তুষ্ট।
নিয়মিত নাটক ও ওয়েব কন্টেন্টে কাজ করে ছোট পর্দার প্রিয় মুখ হয়ে উঠছেন অভিনেতা খায়রুল বাসার। মূকাভিনেতা হিসেবে তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালে। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এখন অভিনয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খায়রুল বাসার তার ক্যারিয়ার শুরুর গল্প ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বললেন দৈনিক বাংলার সঙ্গে।
কেমন আছেন? কিছুদিন আগেই ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘একটু আধটু পাগল না হলে এই দুনিয়ায় বাঁচা বড় দায়।’ কারণ কী?
ভালো আছি। ওটা একটা নাটকের চরিত্র। নাটকের নাম ‘প্রিয় লাইলি’। আমি একজন টিউশন শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকে হঠাৎ করেই লাইলির সঙ্গে দেখা হয়, প্রেম হয়। তারপর প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর সে পাগল হয়ে যায়। আমার পছন্দের একটা চরিত্র টিউশন মাস্টার। সেই ছবিটিই সবার সঙ্গে শেয়ার করেছি।
ঈদের কাজগুলো থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন?
গত ঈদের কাজগুলো খুব ভালো ছিল। ‘ডুবসাঁতার-২’, ‘বাবুই পাখির বাসা’, ‘দই ফুচকা’, ‘দ্য ফাস্ট কেস’- এগুলো দর্শক পছন্দ করেছেন।
আসন্ন ঈদের ব্যস্ততা কেমন?
ব্যস্ততা একটু কম। একটা ফিল্মের কাজ করছি। সেই ব্যস্ততায় এদিকে একটু কাজ কম করা হচ্ছে। ঈদের নাটক এখনো সেভাবে শুরু করিনি। তবে ‘প্রিয় লাইলি’ করলাম ঈদের জন্য। আরেকটা কাজ করলাম ‘সাদা পায়রা সাদা ফুল’ নামে। সামনে আরও তিন বা চারটা ফিকশন শুরু করব।
নাটকে নতুন জুটি হিসেবে সাদিয়া আয়মান ও খায়রুল বাসার বেশ পরিচিতি পাচ্ছে। এটা কেমন উপভোগ করছেন?
এটা খুব ভালো লাগছে। দর্শক আমাদের জুটিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন। গত ঈদে যে কয়টা কাজ এসেছে, বেশির ভাগ সাদিয়ার সঙ্গে। একসঙ্গে প্রায় ১১টি নাটকে কাজ করার সুযোগ হলো। সাদিয়া খুবই সুন্দর। ওর তো ক্যারিয়ার মাত্র শুরু। তার পরও আমার কাছে মনে হয় সে খুব ভালো অভিনয় করে। তার সঙ্গে অভিনয় করে কমফোর্ট ফিল করি। আমাদের যোগাযোগ ভালো। এগুলো দর্শক ভালোভাবে নিচ্ছেন। তাদের প্রশংসা আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে আরও উৎসাহিত করে। মনে হয়, সামনে এই জুটি আরও ভালো কাজ দিতে পারবেন।
ওটিটির ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?
যে ছবিটা করছি তার জন্য অন্যদিকে খুব একটা নজর দিতে পারছি না। তবে অনেক কাজ জমে আছে। ঈদের পর শুরু করব।
অভিনয়ের শুরুটা নিয়ে একটু শুনব
অভিনয়ে অনেক বছর হয়ে গেল। শুরুটা আমার মূকাভিনয় দিয়ে। ২০১১ সাল থেকে আমরা একটা সংগঠন দাঁড় করাই। আমাদের ক্যাম্পাসে মীর লোকমান ভাইয়ের মূকাভিনয় দেখে উৎসাহ পাই। একটা অনুষ্ঠানে ৮ ঘণ্টার মতো একটা শো ছিল। আমি সেখানে ছিলাম, কিন্তু আমার মনে হয়েছিল সময়টা ৫ মিনিটে চলে গেছে। তখন মনে হলো, এটা মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখার মতো একটা আর্ট। আমার শেখার আগ্রহ তৈরি হয়। তারপর একটা সংগঠন তৈরি করে সেখান থেকে মূকাভিনয় শেখা। তখন একটা গানের সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। সংগঠনের সঙ্গে থাকাকালীন একটা পরিচিতি হয়ে যায়। টুকটাক অভিনয়ও করি। তখন অনেকে আসতেন শর্টফিল্ম করবেন, তারপর সেগুলো বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে। তাদের সঙ্গে কাজ করতাম। চেষ্টা করতাম ভালো কিছু করার। এ রকম করেই পর্দায় অভিনয়ে মন চলে আসা। সারা দিন পরিশ্রম করেও ক্লান্ত হতাম না। ভালো লাগত। তখন মনে হলো অভিনয় নিয়েই থাকব। ক্যারিয়ার তৈরি করব। বিজ্ঞাপন করতাম। সালেহ সোবহান অনীম ভাই এবং সৈয়দ আহমেদ শাওকী ভাইয়ের হাত ধরেই আমার প্রথম ফিকশন। প্রজন্ম টকিজের শর্টফিল্ম ‘পুনরাবৃত্তি’ করি। ২০১৭ সালে আরেকটা নাটক ‘কথা হবে’ করার পর দুটো কাজ ভালো আলোচনায় আসে। তখন থেকে অভিনয়ের ডাক আসা শুরু হয়। ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’, ‘উনপঞ্চাশ বাতাস’ করি। ২০২০ সালে কাছে আসার গল্পে কাজ করি। ২০২১ সালেও কাছে আসার গল্পে কাজের ডাক আসে। তারপর ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘চরের মাস্টার’, ‘মহানগর’- এসব মিলিয়েই আমার চলা শুরু হয়। এখন ব্যস্ততা তৈরি হচ্ছে।
কোনো পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন?
আমি যখন মনস্থির করে ফেলি আমি অভিনয়ই করব, তখন কোনো চাকরির পরীক্ষা দিতাম না। অভিনয়ের পেছনে একটা দায়িত্ববোধ ছিল। কারণ অভিনয় একটা বিপ্লবের মতো, বিদ্রোহের মতো। এটা প্রেমের জায়গা। এই বিষয়গুলো কাজে লাগিয়ে সুন্দর গল্পে কাজ করা, একটা সুন্দর চরিত্রকে প্রকাশ করা। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ শুরু থেকেই ছিল। আমি যখন বাস্তবের কিছু চরিত্র দেখি, তখন সেটা থেকে খুব প্রভাবিত হই। সবকিছু থেকেই শিখি। অভিজ্ঞতা নিই। এটাই ধরে রাখব।
কখনো হতাশা কাজ করেছিল?
২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়টা খুব কঠিন ছিল। খুব কঠিন অভিজ্ঞতা আছে। হতাশা ছিলই। এখনো হতাশা কাজ করে। একটা কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে না পারলে, গল্প ভালো না পেলে নানা হতাশা কাজ করে। হতাশা আজীবন থাকবেই। এটা আমার জন্য উর্বর একটা ব্যাপার। আমি যত বেশি হতাশ হই, ততবেশি কাজে প্রভাবিত হই। একটা সময় ছিল আমার দিনগুলো গুনে গুনে যেত। তখনো অভিনয় নিয়ে চিন্তা ছিল। এখনো আছে। তবে আমার আত্মবিশ্বাস প্রবল। ভালো কিছু করতে পারলাম কি না, সেই স্বস্তি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সাংস্কৃতিক জাগরণের অনুকূল নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী। শুক্রবার এক বিবৃতিতে উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটও আরও একবার দেশের সংস্কৃতিকর্মীদের হতাশ করেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘একটা সমাজ টিকে থাকে সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন ধরে দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান লক্ষ করা যাচ্ছে, নানাভাবে তারা এ দেশে মৌলবাদী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। এসব অপতৎপরতা রোধ এবং সামাজিক সংকট মোকাবিলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সংস্কৃতি চর্চা। দেশকে অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদমুক্ত, মানবচেতনাসম্পন্ন ধারায় পরিচালনা করা এবং প্রজন্মের মানবিক গুণাবলির উৎকর্ষ সাধনেও সংস্কৃতির অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। কিন্তু সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রটি বরাবরই উপেক্ষিত থাকছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে গেলে যে ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার, তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রতি বছরই বাজেটে সংস্কৃতি খাত অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতি খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা শিল্পকলা একাডেমিতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ আর শিল্পকলা একাডেমিকেন্দ্রীক শহুরে মানুষের চিত্তবিনোদনের কাজেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু দেশের যে বিশাল জনগোষ্ঠী গ্রামে বসবাস করে, তাদের সংস্কৃতির বিকাশে কর্মরত যেসব ব্যক্তি-উদ্যোগ বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ রয়েছে, সেখানে এই বাজেট বরাদ্দের কণামাত্রও পৌঁছাবে না।
প্রেম বড়ই কঠিন অনুভূতি। কীভাবে এবং কখন জীবনে তার প্রবেশ ঘটে তা বোঝা কঠিন। এই যেমন হলিউড সুপারস্টার লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিওর কথাই ধরা যাক। বুধবার রাতের ঘটনা। লন্ডনের এক নামী রেস্তোরাঁয় গোপনে প্রবেশ করলেন। পেছনে এলেন এক জনপ্রিয় মডেলকন্যা। ততক্ষণে আলোকচিত্রীরা তাদের ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেছেন। ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা থাকলেও গোপনীয়তার যাবতীয় চেষ্টা বিফলে গেছে।
ছবি ছড়িয়ে পড়তেই নেট দুনিয়ায় আলোচনা শুরু, আবার প্রেম করছেন ‘টাইটানিক’-এর জ্যাক। তা হলে সঙ্গে ‘রোজ’ কে? লিওনার্দোর সঙ্গে কে ছিলেন? ব্রিটিশ মডেলকন্যার নাম নিলম গিল। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ২৮ বছরের এই তন্বীটি কিন্তু লিওর থেকে প্রায় ২০ বছরের ছোট।
ছড়িয়ে পড়া ছবি থেকে আরও তথ্য জানা গেছে। লিওর সঙ্গে ছিলেন তার বেশ কয়েকজন বন্ধু। মজার বিষয়, এসেছিলেন অভিনেতার মা ইরমেলিন ইন্ডেনবির্কেন; যা দেখে অনেকেই মনে করছেন ‘পাকা দেখা’ সেরে ফেলেছেন লিও। মায়ের সঙ্গে প্রেমিকার আলাপ করিয়ে দিতেই নাকি এই বিশেষ ডিনারের পরিকল্পনা।
লিওর পরনে ছিল কালো জ্যাকেট। মাথায় ছিল কালো ক্যাপ, মুখে মানানসই কালো মাস্কে ঢেকে তিনি ক্যামেরা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অন্যদিকে নীলমের পরনে ছিল কালো পোশাক। গত সপ্তাহেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে এই যুগলকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকেই দুজনের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।
অবশ্য এর আগেও মডেলকন্যাদের সঙ্গে ডিনার ডেটে দেখা গেছে লিওনার্দোকে। গত মাসেই ম্যানহ্যাটনে আন্তর্জাতিক মডেল জিজি হাদিদের সঙ্গে ডিনার ডেটে গিয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন ‘দ্য ডিপার্টেড’খ্যাত অভিনেতা। মার্চ মাসে তাদের অস্কারের পার্টিতেও দেখা গিয়েছিল।
উইকিপিডিয়া বলছে মালাইকার বয়স এখন ৪৯, আর অর্জুনের ৩৭। ১২ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গেই চুটিয়ে প্রেম এবং লিভ-ইনও করছেন মালাইকা। আর তা নিয়েই চর্চার শেষ নেই। তারই মাঝে গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি গসিপ ম্যাগাজিনের দৌলতে খবর রটে যায় মালাইকা নাকি ফের মা হতে চলেছেন! যদিও সে সময়ই এ ধরনের ভুল খবরের তীব্র নিন্দা করেছিলেন অর্জুন। ফের একবার মালাইকার মা হওয়ার গুঞ্জনে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
অর্জুন কাপুর সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আসলে মানুষ ভুলে যায় সেলিব্রিটিরাও মানুষ’। তার কথায়, ‘এই ক্লিকবিট সংস্কৃতি নেতিবাচকতার থেকেও খারাপ…। এই নেতিবাচক বিষয়গুলো আজকাল মানুষের মনোযোগ টানতে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো খুবই সাময়িক। তবে এটা খুব সত্যি কথা আমরা যারা অভিনেতা, তাদের ব্যক্তিগত জীবন সব সময় ব্যক্তিগত থাকে না। আর এই পেশায় আসার সময় এটা মেনে নিয়েই আসতে হবে। এটাও সত্য়ি, আমরা দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করি। কিন্তু এটাও তো মাথায় রাখতে হবে, আমরাও মানুষ। তাই আমার অনুরোধ কোনোকিছু লেখার আগে একটু ভাবুন। অনুমানের ভিত্তিতে কিছু লিখবেন না, জেনে নিয়ে তবেই লিখুন। কারণ, এ ধরনের কিছু লিখে দিলে আমাদের জীবনেও প্রভাব পড়ে।’
গসিপ ম্যাগাজিনে মালাইকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের ওপর বিশ্বাস রাখি। কখনো কোনো বিষয়ে পিছয়ে আসিনি বা কথা বলি না এমনটাও নয়, তাহলে কেন এমন লিখবেন যা চিরকাল থেকে যাবে! আমরা সবাই কাজ করার জন্যই এসেছি, তথ্য যাচাই না করে কিছু লিখবেন না। অন্যের জীবন নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না, যাতে মূল্য চোকাতে হয়। প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না, আজ আপনি যা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন, কাল সেটাই আপনার ওপর থেকে বিশ্বাসের ভিত নড়িয়ে দেবে।’
উইকিপিডিয়া বলছে মালাইকার বয়স এখন ৪৯, আর অর্জুনের ৩৭। ১২ বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গেই চুটিয়ে প্রেম এবং লিভ-ইনও করছেন মালাইকা। আর তা নিয়েই চর্চার শেষ নেই। তারই মাঝে গত বছরের নভেম্বর মাসে একটি গসিপ ম্যাগাজিনের দৌলতে খবর রটে যায় মালাইকা নাকি ফের মা হতে চলেছেন! যদিও সে সময়ই এ ধরনের ভুল খবরের তীব্র নিন্দা করেছিলেন অর্জুন। ফের একবার মালাইকার মা হওয়ার গুঞ্জনে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
অর্জুন কাপুর সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আসলে মানুষ ভুলে যায় সেলিব্রিটিরাও মানুষ’। তার কথায়, ‘এই ক্লিকবিট সংস্কৃতি নেতিবাচকতার থেকেও খারাপ…। এই নেতিবাচক বিষয়গুলো আজকাল মানুষের মনোযোগ টানতে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো খুবই সাময়িক। তবে এটা খুব সত্যি কথা আমরা যারা অভিনেতা, তাদের ব্যক্তিগত জীবন সব সময় ব্যক্তিগত থাকে না। আর এই পেশায় আসার সময় এটা মেনে নিয়েই আসতে হবে। এটাও সত্য়ি, আমরা দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করি। কিন্তু এটাও তো মাথায় রাখতে হবে, আমরাও মানুষ। তাই আমার অনুরোধ কোনোকিছু লেখার আগে একটু ভাবুন। অনুমানের ভিত্তিতে কিছু লিখবেন না, জেনে নিয়ে তবেই লিখুন। কারণ, এ ধরনের কিছু লিখে দিলে আমাদের জীবনেও প্রভাব পড়ে।’
গসিপ ম্যাগাজিনে মালাইকার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের ওপর বিশ্বাস রাখি। কখনো কোনো বিষয়ে পিছয়ে আসিনি বা কথা বলি না এমনটাও নয়, তাহলে কেন এমন লিখবেন যা চিরকাল থেকে যাবে! আমরা সবাই কাজ করার জন্যই এসেছি, তথ্য যাচাই না করে কিছু লিখবেন না। অন্যের জীবন নিয়ে এমন কিছু লিখবেন না, যাতে মূল্য চোকাতে হয়। প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না, আজ আপনি যা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন, কাল সেটাই আপনার ওপর থেকে বিশ্বাসের ভিত নড়িয়ে দেবে।’
বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আগামী ২ জুন থেকে আয়োজিত হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের কর্মশালা ‘নিরীক্ষার কল্পনাপ্রবণতা’। প্রখ্যাত ভারতীয়, স্বাধীন ও নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটি পরিচালনা করবেন।
উদ্যোক্তারা জানান, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মী ও নির্মাতার পাশাপাশি নিরীক্ষাধর্মী এই চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন থিয়েটার নির্মাতা, অভিনয়শিল্পীসহ শিল্প ও সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত যেকোনো মাধ্যমের শিল্পীরা। আগামী ২ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে চলবে এই কর্মশালা। এ ছাড়াও আশিষ অভিকুন্তকের নির্বাচিত চলচ্চিত্র নিয়ে আগামী ২ জুন থেকে ৪ জুন প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে আশিষের নির্মিত চলচ্চিত্রের রেট্রোস্পেকটিভ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, যা সর্বসাধারণ ও দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এ উপলক্ষে নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক প্রদর্শনীগুলোতে উপস্থিত থাকবেন এবং ২ জুন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিট দ্য ডিরেক্টর সেশন’। নির্মাতা এই সেশনে সরাসরি দর্শকদের সামনে উপস্থিত থেকে তার চলচ্চিত্র ও নির্মাণ প্রক্রিয়া বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিবেন।
এ ছাড়া আয়োজনে আরও উপস্থিত থাকবেন আশিষ অভিকুন্তকের সহধর্মিণী ও তার একাধিক চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী দেবলীনা সেন। ৩ জুন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে চিত্রশালা মিলনায়তনে তিনি দর্শকদের সামনে উপস্থিত হবেন ‘নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয়’ শীর্ষক একটি অধিবেশনে। কর্মশালার শেষ দিন ৬ জুন বিকেল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে ‘সিনেমা প্রায়োগা’ শিরোনামের একটি মাস্টার ক্লাসে অংশ নেবেন নির্মাতা আশিষ অভিকুন্তক। এই অধিবেশনটিও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বরাদ্দ বেড়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৪৩৭ কোটি এবং উন্নয়ন ২৬২ কোটি টাকা। যা গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দের তুলনায় ৬২ কোটি টাকা বেশি।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাজেটে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৬৬২ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ৫৫৬ কোটি টাকা।
পরিচালন বাবদ ২০২২-২৩ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে খরচ হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের মূল বাজেটে পরিচালন বরাদ্দ ছিল ৩৯০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল ২৪৭ কোটি টাকা। আর ২০২১-২২ অর্থ পরিচালন ব্যয় ছিল ৩৪৮ কোটি টাকা এবং উন্নয় ব্যয় ছিল ২০৮ কোটি টাকা।
আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত, নাটক ইত্যাদির বিকাশে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশজ সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন শিল্প-সাহিত্যের গবেষণা, প্রদর্শন, প্রকাশনা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ চিহ্নিতকরণ, খনন, সংস্কার, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট সংরক্ষণসহ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ভাষা শহীদ দিবস এবং বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসসমূহ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উদযাপন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মনীষী ও গুণীজনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নিয়মিত পুরস্কার/সম্বর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া, অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।’
ঢালিউডে ‘শরিফুল রাজ-সুনেরাহ’ ইস্যু নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এসব নিয়েই খারাপ সময় কাটছে পরীমনির। এসবের মধ্যেই একজনকে দিলেন কঠোর হুঁশিয়ারি। যাকে পরীমণি ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘দিদি মিড লাইফ ক্রাইসিস ঠিকঠাক ডিল না করাটাও কিন্তু বিশাল মানসিক সমস্যা। একবার ৬ তলা বাড়ির মালিক বানায়ে দিছিলেন আমাকে। বাড়িটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন আবার আমার ঘরের মধ্যে ঢুকে পরতে যাবেন না দিদি।’
কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘এবার কিন্তু আমি আর ছেড়ে কথা বলব না আপনাকে। আর কোনো করুণা হবে না আপনার মিড লাইফ ক্রাইসিস নিয়ে।’
‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ মার্কিন নাট্যকার আর্থার মিলারের এক বিখ্যাত সৃষ্টি। উইলি লোম্যান নামের একজন বিক্রয়কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকে উপজীব্য করে রচিত এই কাহিনি আধুনিক সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন পাঠ্য, তেমনি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের রঙ্গমঞ্চে প্রদর্শিত হচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে। ঢাকার মঞ্চে নতুন করে এটি হাজির করল থিয়েটারিয়ান নামের একটি নবীন নাট্যদল। এটি তাদের প্রথম প্রযোজনা। তারই দ্বাদশ প্রদর্শনী হলো সোমবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চে। সেটি উপভোগের অভিজ্ঞতা ছিল মনোমুগ্ধকর।
ফতেহ্ লোহানীর অনুবাদ এবং আশিকুর রহমান লিয়নের নির্দেশনায় নাটকটির মঞ্চসজ্জা, আলোক প্রক্ষেপণ, শব্দ নিয়ন্ত্রণ, রূপসজ্জা, পরিচ্ছদ, নাট্যরূপ ও অভিনয়—সবই আকর্ষণীয় ছিল। এমন একটা চমৎকার মঞ্চনাটকের আরও বেশি প্রচার ও প্রসার প্রয়োজন। সব মিলিয়ে নাটকটি যেকোনো পাঠক বা দর্শকের জীবনবোধকে আন্দোলিত করার সামর্থ্য রাখে।
পুঁজিবাদী সমাজে সাধারণ মানুষের নিরন্তর লড়াই, আপ্রাণ প্রয়াস এবং কখনো কখনো মৃত্যুর মতো বেদনাদায়ক বাস্তবতার কাছে পরাজয় ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের মূল নির্যাস। পুঁজিবাদের বেড়াজালে যে সমাজের জন্ম, সেখানে জনগণের অস্তিত্ত্বের মাপকাঠি নিরূপণ হয় অর্থের পাল্লায়। আর এমন আত্মকেন্দ্রিক সমাজে বিত্তের কাছে ব্যক্তির সত্ত্বা প্রতিনিয়ত পরাস্ত হয়। পরিণামে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। ব্যক্তির জীবন সংগ্রাম, স্মৃতি, অনুশোচনা, পিতা-পুত্রের সম্পর্ক ও টানাপোড়েন, নারী-পুরুষের জটিল রসায়ন প্রভৃতি বিষয় উঠে এসেছে। পুঁজিবাদী সমাজকে এখানে দেখা যায় ক্ষুধার্ত রাক্ষসের রূপে। তাই বাংলাদেশের সমকালীন নাগরিক জীবন বাস্তবতায় এই নাট্যপ্রযোজনা হয়ে ওঠে খুব প্রাসঙ্গিক।
চেতনাপ্রবাহ রীতিতে লেখা ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র উইলি লোম্যানের অস্থিরতা, স্ববিরোধিতা, আশাবাদ আর নৈরাশ্যের দোলাচল, ফ্ল্যাশব্যাক, সংসার-সম্পর্ক, প্রেম—ইত্যাদি প্রকাশে বাস্তবমুখী অভিনয়পদ্ধতির মনস্তাত্ত্বিক নির্যাসের সঙ্গে যুৎসই অনুসঙ্গ হয়েছে অভিব্যক্তিবাদী প্রকাশ। পুঁজিবাদী সমাজে আমরা কেমন করে বেঁচে থাকি আর প্রতিনিয়ত মারা যাই—সেই প্রশ্ন নাটকটির পরতে পরতে উত্থাপিত হয়েছে। স্মৃতি, স্বপ্ন, দ্বন্দ্ব এবং তর্কের এক মিশ্র ছবি এই নাটক, যা উইলি লোম্যানের জীবনের শেষ দিনটির বয়ান করে।
তিনি একজন ব্যর্থ বিক্রয়কর্মী বা সেলসম্যান, যিনি ‘অ্যামেরিকান ড্রিম’ সম্পর্কে ভুল ধারনা নিয়ে জীবনটা পার করেছিলেন। তার মৃত্যু তাই পুঁজিবাদী বিশ্বে মধ্যবিত্তের মৃত্যুর খুব সাধারণ ঘটনা ছাড়া কিছু নয়। ভোগবাদী পৃথিবীতে সবাই পণ্য হিসেবে গণ্য। বড় বড় কোম্পানি তার শ্রমিকদের রক্ত-মাংস থেকে শুরু করে মন ও মনন পর্যন্ত চুষে খায়, তারপর পরিত্যক্ত ছোবড়া হিসেবে সেকেলে শ্রমিকদের ছুড়ে ফেলে নতুন শ্রমবাজার ও শ্রমশক্তির দিকে ঝোঁকে। এটিই যেন বর্তমান বিশ্ব-অর্থনীতির পুঁজি তত্ত্বের লুকোনো রহস্য। আর এই শোষণমূলক অর্থনীতির পরতে পরতে লুকেয়ে থাকে লাখো মানুষ ও তাদের পরিবারের গল্প, নানা রঙের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আর ব্যর্থতার কাহিনী। এরকমই এক স্বপ্নভঙ্গের গল্প নিয়ে তৈরি আর্থার মিলারের ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’।
উইলি লোম্যানের চরিত্রে তৌহিদ বিপ্লব ও তার স্ত্রী লিন্ডার ভূমিকায় পলি চৌধুরী অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তাদের দু-জনেই বয়সে তরুণ। কিন্তু উইলি ও লিন্ডার বার্ধক্য মঞ্চে আরও বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলতে তাদের আরও করণীয় আছে বলে মনে হয়। এই দীর্ঘ নাটকে উইলি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মঞ্চে ছিলেন কখনো বিক্রয়কর্মী, কখনো, বাবা, কখনো স্বামী, কখনো বন্ধুর ভূমিকায়। কণ্ঠের কাজে তৌহিদ কিছুটা বৈচিত্র্য আনার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে পারেন। বিফ লোম্যানের চরিত্রে মো. মাইনুল ইসলাম তাওহীদ বেশ প্রাণবন্ত অভিনয় করেছেন। মঞ্চে তার উপস্থিতিও ছিল বেশ দীর্ঘ ও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য চরিত্রে আহমেদ সুজন, রামকান্ত মণ্ডল শ্রীকান্ত, নাজমুল নাঈম, আব্দুল হাই, মাধবীলতা, রিগ্যান সোহাগ রত্ন, আব্দুর রহমান সোহাগ, সায়েদুর রহমান নয়ন, তৌহিদা সিকদার, ফজলে হাসান রাব্বী, ফারাবী জামান শেহজাদী সাবলীল অভিনয় করেছেন।
চার্লি এবং বেন নামের দুটি চরিত্রের আবির্ভাব এই নাটকের বিভিন্ন দৃশ্যকে সমৃদ্ধ ও গতিময় করেছে। চার্লির ভূমিকায় আমিরুল মামুন চমৎকার কাজ করেছেন। একাধিক দৃশ্যে তিনি হাসি-কান্নাকে এমনভাবে একাকার করে দেন, যা এক গভীর জীবনদর্শনের অসাধারণ শৈল্পিক উপস্থাপন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে।
আগ্রহী দর্শকদের জন্য তথ্য দিয়ে রাখা, মহিলা সমিতি মঞ্চে ‘ডেথ অব অ্যা সেলসম্যান’ নাটকের পরবর্তী প্রদর্শনী হবে আগামী ১৭ জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ৭টায়।
গত সোমবার রাতে অভিনেতা শরিফুল ইসলাম রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির নিজেদের মধ্যকার ক্যাজ্যুয়াল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা। সেসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসার ঘটনায় নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল ও শরিফুল রাজ।
এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন, অভিনেত্রী তানজিন তিশা। যুক্তরাষ্ট্রে বসে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি এ ঘটনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি অভিনেতা রাজের কাছে কিছু প্রশ্নও রেখেছেন।
স্ট্যাটাসে তিশা লিখেছেন, ‘দুটি শো-তে অ্যাটেন্ড করার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে আমি আমেরিকাতে আছি। বাংলাদেশে যখন সকাল তখন এখানে গভীর রাত। এ জন্য বাংলাদেশের খবরা-খবর খুব বেশি জানি না আমি৷ আমাকে জড়িয়ে যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, সেটি পরে আমি দেখেছি, জানতে পেরেছি।’
দুঃখ প্রকাশ করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এটা নিয়ে আমি বলতে চাই, স্যোশাল মিডিয়াতে আমার যে ভিডিও আপ করা হয়েছে, সেটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত ভিডিও। ৬-৭ বছর আগে আমরা বন্ধুরা ফান করে ভিডিওটি করেছিলাম। যেহেতু এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও, তাই এটার এক্সপ্লানেশন (ব্যাখ্যা) দেয়ার কিছু আছে বলে মনে করি না। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব জীবন আছে, পার্সোনালিটি আছে, ব্যক্তিগত ব্যাপার আছে, যেটাকে জাজ করার অধিকার অন্য কাউকে আমি দিতেও চাই না। তাই আমার দর্শক ও অনুরাগীদের উদ্দেশে এতটুকুই বলব ৬-৭ বছর আগের সামান্য একটা ক্লিপ দিয়ে ব্যক্তি তানজিন তিশাকে জাজ করে ফেলবেন না, প্লিজ। আপনাদের ভালবাসা আর দোয়ায় আমি আজ এই পর্যন্ত এসেছি। আমার অভিনয় আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখবেন, আমি আমার অভিনয় দিয়েই আপনাদের কাছে বেঁচে থাকতে চাই সবসময়, প্রিয় হয়ে থাকতে চাই। যদিও আমি বলেছি আমার এই ঘটনা নিয়ে কাউকে এক্সপ্লানেশন দিতে চাই না, তবে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আর দর্শকদের যদি এই ঘটনা বিব্রত করে, কষ্ট দেয় আমি মন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘এই ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা, অনলাইন নিউজে, ফেসুবকে গ্রুপে, কমেন্টে বলা হচ্ছে-লেখা হচ্ছে— শরীফুল রাজের সঙ্গে তিশার ‘আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও ফাঁস।’ যথাযথ সম্মান নিয়েই আপনাদের বলছি, এই ভিডিওর মধ্যে শরীফুল রাজ কোথা থেকে এলো? কী গোপনীয়তা এখানে? তার ফেসবুক আইডি থেকে এটি প্রকাশ পেয়েছে বলেই কেন ভাবছেন সেখানে আমি তার সাথে আছি৷ ভিডিওতে আমি একা এবং সেটা কোনো আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও না, বরং সেটা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ৷ সুতরাং ‘আপত্তিকর’ বা ‘গোপন ভিডিও ফাঁস’ শব্দগুলো কারেকশন করা উচিত। এটা বিব্রতকর এবং অসম্মানজনক।”
অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিশা আরও লিখেছেন, ‘একজন মানুষের প্রাইভেসি, হ্যাম্পার করা, হ্যারেসমেন্ট করা বা পারসোনাল ভিডিও অনুমতি ছাড়া পাবলিকলি প্রকাশ করা, এটা বিগ ক্রাইম। সো যার আইডি বা যিনি এটি আপ করেছেন বাংলাদেশে ফিরে আমি তার বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে ইতোমধ্যেই অনেকই ধারণা করতে পারছেন, অনেকের মুখে মুখেও এটি শোনা যাচ্ছে কে বা কারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আমি এখানে কারোর নাম উল্লেখ করতে চাই না, আমি দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে পদক্ষেপ নেব। সেই আইনই বলে দেবে কে বা কারা এই ব্যক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে, কে বা কারা এই ভয়ংকর অপরাধে জড়িত।’
শরীফুল রাজের উদ্দেশে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘রাজের আইডি থেকে ভিডিওগুলো আপ করা হয়েছে এবং রাজ তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে দুঃখ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। শুধু দুঃখ প্রকাশেই কেন ঘটনা শেষ করতে চাইছ রাজ? এই যে তোমাকে জড়িয়ে কয়েকটা মেয়ের সম্মান নষ্ট হলো, তাদের ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল সবাই, পরিবারের সামনে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে, এত সিলি সিলি ক্যাপশন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ভিডিওগুলোকেও আপত্তিকর বানানো হলো, এই দায়ভার কী তোমার না? কারণ তুমিই তো বলেছ তোমার আইডি হ্যাক করা হয়েছে। তোমার দায়িত্বশীলতার জায়গায় তুমি কী করছ? কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছ না? কেন এর পেছনের মূল হোতাকে খুঁজে বের করছ না?’
সবশেষে তিশা বলেন, ‘যদিও দেশে এসেই আমি এই ব্যপারে ব্যবস্থা নিব, তবুও রাজ আমি তোমার কাছ থেকে এতটুকু দায়িত্বশীল মনোভাব আশা করেছিলাম সত্যি। আসলে তানজিনা তিশা তার কাজ দিয়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এবং কাজ নিয়েই এই পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে আছে দর্শকের মনে কাজ নিয়েই থেকে যেতে চায়। তাই দর্শকদের কাছে অনুরোধ, আপনাদের তানজিন তিশা কে কাজের মাধ্যমেই বাঁচিয়ে রাখুন।’
গত সোমবার রাতে অভিনেতা শরিফুল ইসলাম রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে তিন অভিনেত্রীর নিজেদের মধ্যকার ক্যাজ্যুয়াল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা। সেসব ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসা নিয়ে কথা বললেন শরিফুল রাজ। এ বিষয়ে একটি ব্যাখা দিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজ।
শরীফুল রাজ লিখেছেন, মানুষ প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে পরিণত হয়। জন্মের পর নিজের পায়ে চলতে শিখতেও কয়েক বছর লেগে যায়। আর ঠিকঠাক কথা বলা শিখতে লেগে যায় আরও কিছু বছর। কিন্তু এই বলা আর চলার যাত্রা কখনো শেষ হয় না। তবে এ যাত্রায় আমরা কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হই, যাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ, কাজের আলাপ কিংবা কাজহীন দিনের আলাপ, সুস্থতা ও পাগলামী সবকিছুই ভাগ করে নেওয়া যায়। যাদের সঙ্গে চলার বা কথা বলার বিশেষ কোনো শর্ত থাকে না। শর্ত থাকে কেবল একটাই, সেটার নাম বন্ধুত্ব।
বন্ধুত্বের কোন আভিধানিক ভাষা হয় না জানিয়ে তিনি লেখেন, নিশ্চয়ই আপনাদের প্রত্যেকেরই এমন অনেক বন্ধু রয়েছে- যাদের সঙ্গে আপনারা আভিধানিক শব্দে কথা বলেন না। একসঙ্গে পথ চলার সময় ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে পথ চলেন না। যাদের সঙ্গে অনেক বেফাঁস কথা বলেন। কারণ বন্ধুত্ব তো এমনই। লিঙ্গ, বর্ণ, বয়সসহ সব সীমারেখার ওপরে মানুষের বন্ধুত্ব। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কের মাঝখানে লৈঙ্গিক পরিচয়ের সীমারেখা টেনে, ব্যাপারটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়। যখন কেউ বন্ধুদের মধ্যকার দ্বিধাহীন আড্ডার আলাপ টক অব দ্য টাউনে পরিণত করে। আমিও তেমনই এক সমস্যায় পড়েছি।
সিনেমার ডাবিংয়ে ব্যস্ত আছেন রাজ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে সিনেমার ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত। আমার সিনেমার কিছু গল্পের স্ক্রিপ্ট রিডিং করার কথা, এগুলো নিয়েই আমি ঠিকমতো সময় দিতে পারছি না। যখনই সময় পাচ্ছি গল্পের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছি, তার মধ্যে হঠাৎ করে কে বা কারা এসব করে আমাকে হেনস্তার শিকার করছে, যা ভাবতেই আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমাকে নিয়ে শেষ যতদিন থেকে নানাবিধ সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে ঘটনার চাউর করছে আমি তার শুরু থেকেই নীরব ছিলাম। কিন্তু নীরবতা মানেই দুর্বলতা না।’
রাজ আরও লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড বা অ্যাকসেস এমন কারও কাছে আছে অথবা হ্যাক করে কেউ আমার দীর্ঘকালের বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গের নিতান্ত বন্ধুত্বের আড্ডার ঘটনা লিক করে দেয়। যে বা যারা এ কাজ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের হেনস্তা করা। হয়তো তারা সফলও হয়েছে। আমি আমার তিন বন্ধু ও সহকর্মীর কাছে শর্তহীন দুঃখ প্রকাশ করছি; যারা আমার খুব ভালো বন্ধু দীর্ঘদিনের। সেই বন্ধুত্বের কোনো লিঙ্গ নেই। আমার কারণে তাদের হেনস্তার শিকার হতে হলো বলে। আমার সব শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক ও সমালোচকদের কাছেও আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। বন্ধুদের আড্ডার ঘটনা নোংরা উদ্দ্যেশে স্প্রেড করে মিসলিড করা হয়েছে বলে।’
ভক্তদের উদ্দেশ্য রাজ লিখেছেন, 'বহুবার হোঁচট খেয়েই তো হাঁটতে শিখেছি! আবারও হোঁচট খেলাম। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা সঙ্গে থাকলে নিশ্চয় আরও পরিণত হবো, শিখবো অতীতের ভুল থেকে। আমাকে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় রাখবেন। কারণ আপনাদের সমর্থন ছাড়া একজন শরিফুল রাজ কিছুই নয়। জগতের সব প্রাণী সুখী হোক। সবাইকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।’
লেখক ও নাট্যনির্মাতা মোহন খান আর নেই। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর আগে তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেকের বেশি সময় চিকিৎসা চলে এই নাট্য নির্মাতার। ওই সময় তার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। সেটা অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয় বলে জানান তার ছেলে ইউশা মোহন। তারপর অবস্থা উন্নতির দিকেই যাচ্ছিল। এর মধ্যে মোহন খানের ঘাড়ে স্পাইনাল কর্ডের ওপরে প্রেশার পয়েন্টে আরও একটি অস্ত্রোপাচার করতে হয়। এরপরই অবস্থার অবনতি ঘটে। অসুস্থ হয়ে পড়লে শুরুতে আইসিইউ এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় তাকে।
লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যুরবরণ করেন তিনি। মোহন খানের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
দেশের নাট্য অঙ্গনে পরিচিত মুখ মোহন খান। তার বড় কারণ বিগত তিন দশক ধরে তিনি এই অঙ্গনে বিচরণ করেছেন। তার পরিচালনায় দেশের নাটকের অধিকাংশ অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ ও রচনা করেন। তার পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বিটিভিতে প্রচার হয়। তার লেখা ও পরিচালনায় নাটক ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড় খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুর লতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি নাটক বানিয়ে তিনি প্রশংসিত হন। তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তার মৃত্যুর পর ফেসবুকে তারকারা তার সঙ্গে ছবি শেয়ারের পাশাপাশি নানা ধরনের স্মৃতিময় পোষ্টও করছেন।
জানা যায়, আজ মোহন খানের মরদেহ তার লালমাটিয়ার বাড়িতে নেয়া হবে। বুধবার বাদ জোহর লালমাটিয়া শাহি মসজিদে নামাজে জানাজা হবে। এরপর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে এখন হলিউডে রাজত্ব করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আপাতত ব্যস্ত হলিউড প্রোজেক্ট ‘হেডস অব স্টেট’ নিয়ে। অন্যদিকে শিগগিরই ফারহান আখতারের ‘জি লে জারা’র সঙ্গে বলিউডে ফিরবেন তিনি। তবে এসবের মধ্যে এক মজার খবরে আলোচনায় আছেন প্রিয়াঙ্কা। অভিনেত্রী নাকি নাক ডাকেন ঘুমের মধ্যে। আর স্বামী নিক জোনাস যখন সে কথা বলেন, তখন তা বিশ্বাসই করেন না অভিনেত্রী। তা নিজেই স্বীকার করলেন।
প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গেছে প্রাইম ভিডিওতে কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। যার মধ্যে একটি হলো ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন কি না। প্রিয়াঙ্কা জবাবে বলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে বলে আমি নাকি নাক ডাকি। কিন্তু আমি তা মনে করি না একেবারেই। আমার বিশ্বাস হয় না।’
২০১৮ সালে রাজস্থানের উমেধ প্যালেসে ধুমধাম করে রাজকীয় বিয়ে সেরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ১০ বছরের ছোট প্রেমিক নিক জোনাসের সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন নায়িকা। পরিবার-আত্মীয়-বন্ধুদের উপস্থিতিতে বসেছিল প্রিয়াঙ্কার বিয়ের গ্র্যান্ড আসর। হিন্দু ও ক্যাথলিক- দুই রীতিতেই বিয়ে সারেন তারা।
প্রিয়াঙ্কার ‘হেডস অব স্টেট’-এ তার সঙ্গে দেখা যাবে জন সিনা এবং প্রধান চরিত্রে ইদ্রিস এলবাকে। ছবিটি পরিচালনা করছেন ইলিয়া নাইশুলার এবং প্রযোজনা করেছে অ্যামাজন স্টুডিও। এটি এ মাসেই ফ্লোরে গিয়েছে। একই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বলিউড ছবি ‘জি লে জারা’তে তার সঙ্গে থাকবেন আলিয়া ভাট ও ক্যাটরিনা কাইফ।