শরীফ নাসরুল্লাহ
দুলদুলের গায়ের রং ময়লা। মানে কালো। তাই পরিবার থেকে গান গাওয়ার একটা সুযোগ পাওয়া গেল। রং ফর্সা নয়। গানের গলা দিয়ে যদি ভালো বিয়ে হয়! এই ছিল পরিবারের আশা। সে আশাই যে বাংলা গানের ‘আশা’ হয়ে উঠবে, তা কে জানত!
কলকাতার ঢাকুরিয়ার মেয়েটি তখন কৈশোরে। মনটা পড়ে থাকে কালবৈশাখীর আম কুড়ানো কিংবা বুড়ি ছোঁয়া খেলায়। কখনো কাঁচা মরিচ আর তেঁতুল দিয়ে কাঁঠালের মুচিমাখা আর কাঁচা আম খাওয়া। পারলে দু-তিন ঘণ্টা কাটিয়ে দেয়া পুকুরে সাঁতার কেটে। বাড়ি ঘেঁষে বেড়িয়ে গেছে ট্রেনলাইন। চাচাতো ভাইবোনদের নিয়ে ট্রেনের সঙ্গে দে ছুট। পরে যখন সত্যজিতের ‘পথের পাঁচালী’ দেখবেন, তখন অবাক বিস্ময়ে অপু-দুর্গাকে দেখে বলবেন, ‘অপু বা দুর্গা সে তো আমিই।’
কৈশোরের দুরন্ত এই মেয়েটি একদিন সবকিছু ফেলে গান ভালোবেসে ফেলবেন। এমনই যে মৃত্যুশয্যায়ও চোখ মুছবেন গানের সুরে! তার ডাকনাম দুলদুল ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠবেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। চিরদিন থাকবেন বাংলা গানের সন্ধ্যা প্রদীপ হয়ে।
সালটা ১৯৩১। আজকের দিন। নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আর হেমপ্রভা দেবীর শেষ সন্তানটি হলো মেয়ে। নাম রাখা হলো সন্ধ্যা। তারা তিন ভাই তিন বোন। এর মধ্যে এক ভাই আর বোন ছোট সময়েই মারা যায়। বাবা ছিলেন ধর্মভিরু। তাই বাবার কণ্ঠে ভাবগম্ভীর ধর্মীয় শ্লোক শোনা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। মা টপ্পা গাইতেন। বড় বোনরা লিখত কবিতা। ভাইবোন, চাচিরা মিলে ঘরের আঙিনায় নতুন শাড়ি টাঙিয়ে করতেন জলসা। সেখানে চলত গান, আবৃত্তি, নাটক। এ রকম পারিবারিক এক সাংস্কৃতিক পরিবেশেই কখন যেন নিজের কণ্ঠেই গান তুলে নিলেন সন্ধ্যা। জলসায় তাই অভিনয়টা করলেও গানটাতেই ছিল মূল আকর্ষণ।
বাড়ির আঙিনা পেরিয়ে সন্ধ্যা ছুটলেন বাইরের অনুষ্ঠানেও। কিন্তু তখনো সন্ধ্যা জানেন না, গান বলে একটা ব্যাপার আছে, যা শিখতে হয়। বয়স কত আর? থ্রি কি ফোরে পড়েন। কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যে যারা গানের প্রদীপ জ্বেলে দিয়েছিলেন, তারা সন্ধ্যার দুই সহোদর, বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ ও মেজো ভাই ধীরেন্দ্রনাথ।
সন্ধ্যা স্মৃতিচারণা করলেন এভাবে, ‘জলসায় নিয়ে গিয়ে শিল্পীদের গান শোনানো- সেও মেজোদারই কাজ। মেজোদাকে একদিন দেখলাম, বেশ চিন্তিত মুখে আমার দিকে তাকিয়ে। উনি বললেন, তোকে গান শেখালে কেমন হয় তাই ভাবছি। তখন আমি ক্লাস থ্রি-ফোরে পড়ি। মেজোদাকে তার ভাবনা ভাবতে দিয়ে হারিকেনের আলোয় পড়ার বই খুলে নিশ্চিন্ত হয়ে পড়তে শুরু করলাম। গান তো শুনলেই শেখা যায়। তার জন্য আবার আলাদা করে শেখানোর যে কোনো ব্যবস্থা থাকতে পারে, আমার মাথায় সে কথা ঢুকল না।’
তারপর সেই মেজো ভাই সন্ধ্যাকে নিয়ে গেলেন সন্তোষ বসুমল্লিকের কাছে। বাড়ির কাছেই থাকতেন তিনি। গানটান গাইতেন। সন্ধ্যার ভাষায়, ‘পড়ার বইয়ের অ-আ-ই-ঈ-এর মতো গানের সা-রে-গা-মা আছে এই প্রথম জানলাম।’ স্কুলপড়ুয়া। তাই গান শেখা অত ভালো লাগল না। তবু সন্তোষ বসুমল্লিকের কাছেই হাতেখড়িটা হয়ে গেল সন্ধ্যার। শিখতেন একটু-আধটু ভজন। খেয়ালের একটা-দুটি বন্দিশ। ওই করে করে প্রথমবার আকাশবাণীতে রেকর্ডিং করে পেয়েছিলেন পাঁচ টাকা। প্রথম রোজগার। বেশ আনন্দ পেয়েছিলেন সন্ধ্যা।
তেরো বছর দশ মাস বয়সে প্রথম গান রেকর্ড করেছিলেন। গিরীন চক্রবর্তীর কথা ও সুরে এইচএমভি থেকে বেরিয়েছিল রেকর্ডটি। এভাবেই বিভিন্ন জায়গায় শিখছেন, জলসায় গাইছেন। একটু একটু করে গলার ধার বাড়ছে। এর মধ্যে ঘটে গেল এক মজার কাণ্ড। তার মূলেও ওই মেজো ভাই। ’৪৩-৪৪ সালের অল বেঙ্গল মিউজিক কনফারেন্স। সেই সংগীত প্রতিযোগিতায় চুপ করে মেজো ভাই নাম দিয়ে এলেন সন্ধ্যার। বড় ভাই শুনে তো রাগে খুন। তার কথায়, ‘বাচ্চা মেয়ে। গলার আড় ভাঙেনি, তাকে কিনা কম্পিটিশনে নাম দেয়া!’ কিন্তু মেজো ভাইয়ের বোনকে নিয়ে যে উচ্ছ্বাস থামেই না।
সন্ধ্যার অবশ্য এ নিয়ে রা নেই। সন্ধ্যা বলেন, ‘কাকে যে কম্পিটিশন বলে, কম্পিটিশনে কীভাবে গাইতে হয়, কিছুই জানি না। আর জানি না বলেই নার্ভাস হওয়ার কোনোও কারণ নেই। খবরটা বিশেষ গুরুত্ব দিলাম না।’ ১৯৪৩ সালের ৫ ডিসেম্বর। কলকাতার গড়পাড়ের রামমোহন লাইব্রেরি হলে প্রতিযোগিতা হলো। সন্ধ্যা ভজন গাইলেন। তারপর এল ফলাফল। সন্ধ্যা স্মৃতিচারণা করে তার আত্মজীবনী ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’তে লিখেছেন, ‘সেদিন রাত প্রায় দশটা হয়ে গিয়েছে, তবু মেজোদার কোনো পাত্তাই নেই। গান নিয়ে বসতে হলো না। নিশ্চিন্ত হয়ে খাওয়াদাওয়া শেষ করে আমি দিব্যি শোয়ার ব্যবস্থা করছি, এমন সময় চিৎকার করতে করতে মেজোদা বাড়ি এসে ঢুকলেন- ভজনে তুই ফার্স্ট হয়েছিস।…মেজোদা তখন বলছেন, জানিস খবরটা পেয়ে, বুঝলি, আমার এত আনন্দ হয়েছে যে বাসে উঠতে ভুলে গিয়েছি। সেই গড়পাড় থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি চলে এসেছি।’
এই যে শুরু হলো, তারপরে শুধু গান আর গান। শুধু সন্ধ্যা নয়, হয়ে উঠলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কী করে তিনি গীতশ্রী হয়ে উঠলেন, সেও এক দারুণ গল্প। তিন বছর পর ১৯৪৬ সালের ৬ এপ্রিল। তার বয়স সাড়ে ১৪। ‘গীতশ্রী’ নামের ওই সংগীত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ছোট্ট সন্ধ্যা। সেখানে বিচারক ছিলেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ মহম্মদ দাবির খাঁ ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই পরীক্ষায়ও প্রথম হয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যার গাওয়া গানে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিচারকরা। তাকে ‘গীতশ্রী’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।
এরপর থেকে সন্ধ্যা খেয়াল, ঠুংরি, ভজন, গজল, কীর্তন, ভাটিয়ালি, বাউল, রবীন্দ্র, নজরুলসহ একের পর এক আধুনিক গান গেয়েছেন। আর সেই গানে তার জন্য সুরের ঝাঁপি খুলে দিয়েছিলেন রবীন চট্টোপাধ্যায়, অনুপম ঘটক, নচিকেতা ঘোষ, সুধীন দাশগুপ্ত, শ্যামল মিত্র, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সলিল মুখোপাধ্যায়, কবির সুমনরা। সন্ধ্যার উত্থান রবীন আর অনুপমের হাতে হলেও জীবনের শেষ দিকে একেবারে অন্য ধরনের সুরে হাজির হয়েছিলেন সন্ধ্যা, সেটা সুমনের কল্যাণে।
বাংলা গানেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন চিরভাস্বর। তবু বোম্বের আঁচ লেগেছিল গায়। শচীন দেববর্মনসহ আরও কয়েকজন নামকরা সংগীত পরিচালকের সুরে গেয়েছিলেন সন্ধ্যা। তখন বন্ধুত্ব হয় আরেক কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে। সন্ধ্যা মুম্বাই গেলে লতার টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সংবাদমাধ্যমে। তবু তাদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। সন্ধ্যার স্মৃতিচারণা, ‘বোম্বেতে আসার কিছুদিন পর লতা একদিন আমাকে এসে বলল, দেখো হিয়াঁ এক পেপারমে লিখা হ্যায়- আব তো সন্ধ্যা মুখার্জি আ গয়ি তো লতা মঙ্গেশকর কেয়া করেগি? জ্বলেগি? লতা আমার দিকে সোজাসুজি তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা তুম বলো ম্যায় কেয়া জ্বলুঁ? আমি আর কী বলব। ওর দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম। লতাও হাসল। এই ছিল আমাদের সম্পর্ক।’
নানা সুরকার আর ওস্তাদের কাছে গান শিখেছেন সন্ধ্যা। কিন্তু তিনি যার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি আর কেউ নন ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁ। তাকে বাবা বলে ডাকতেন। তার মৃত্যুর পরে তার ছেলে মুনাওয়ার খাঁর কাছে শিখতেন।
১৯৫৪ সালে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ ছবিতে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের লিপে সন্ধ্যার কণ্ঠে ‘গানে মোর কোন
ইন্দ্রধনু’ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। তারপর থেকে সুচিত্রা-সন্ধ্যা হয়ে উঠল যুগলযাত্রা। সন্ধ্যার কণ্ঠই যেন হয়ে উঠেছিল সুচিত্রার কণ্ঠ! সর্বকালের সেরা প্রেম যেমন পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন সুচিত্রা-উত্তম, তেমনই তাদের প্রেমকে কণ্ঠে রাঙিয়ে দিয়েছিলেন সন্ধ্যা-হেমন্ত জুটি।
নানা রকমের গান গেয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এই যে এত বড় শিল্পী, তিনি সম্মান পাননি নিজের দেশ থেকে! জীবনের শেষ দিকে পদ্মশ্রী পুরস্কার নিয়ে এক অপমানকর প্রস্তাব এসেছিল তার কাছে। তিনি যদি চান তাহলে তার নাম রাখা হবে এই পুরস্কারের তালিকায়। অথচ তখনো তার সমসাময়িকরা ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন! প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এ পুরস্কারের তার দরকার নেই। দর্শক-শ্রোতারাই তার বড় পুরস্কার। কারণ তারাই তাকে ‘গীতশ্রী’ বানিয়েছেন।
লেখাপড়া আর গানবাজনা দুটি সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল তাকে। ক্লাস টেনে বাধ্য হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দেন। তারপর গানেই ডুবে ছিলেন। ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগন গান শোনাবার’, ‘মধুমালতি’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘এই মধুরাত’, ‘চন্দন ও পালঙ্কে’, ‘হয়তো কিছুই নাহি পাব’, ‘আমি তার ছলনায়’, ‘তুমি না হয়’, ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’- কতসব জনপ্রিয় গান গেয়েছেন অক্লান্ত। সন্ধ্যার কথায়, ‘এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। বেসিক রেকর্ড করেছি, ছায়াছবিতে গান গেয়েছি, বিভিন্ন কম্পিটিশনে যোগদান করেছি। কনফারেন্সেও গাইছি। ক্লান্তি বলে আমার কিছু নেই। এত উৎসাহ কীভাবে পেতাম জানি না।’
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভুবন ছেড়ে চলে যান সন্ধ্যা। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। নব্বইয়েও কি ক্লান্তি তাকে ছুঁতে পেরেছিল? ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার শিল্পী হাসপাতালে নার্সদের কাছে অনুরোধ করলেন গান শোনার। কিন্তু তাকে নিতে হবে বিশ্রাম। সন্ধ্যা নাছোড়বান্দা, গান শুনবেনই। অগত্যা মোবাইলে চালানো হলো গান। সন্ধ্যায় কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে ১০৪ নম্বর শয্যা তখন ভেসে যাচ্ছে সুরের ইন্দ্রজালে। কিন্তু আচমকা নার্সরা খেয়াল করলেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের হৃৎস্পন্দন নামতে শুরু করেছে। ‘ম্যাডাম ম্যাডাম’ ডাকেও আর সাড়া মেলেনি। সিপিআর, ভেন্টিলেশন দেয়া হলেও আর চোখ খুললেন না শিল্পী। সেদিন সন্ধ্যায় সন্ধ্যা প্রদীপ নিভে গেল ঠিক, কিন্তু তিনি গানের যে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে গেলেন, তা নিভবে না কোনো দিন।
রাজধানীর কল্যাণপুরে মদ্যপ অবস্থায় উবার চালককে মারধরের অভিযোগে কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১৯ জুলাই) মধ্যরাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উবার অ্যাপের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে কল্যাণপুরের হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছান নোবেল ও তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। গন্তব্যে পৌঁছেও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানান এবং চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তিনি চালক আকবর হোসেনকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন। পরে খবর পেয়ে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নোবেল, উবার চালক এবং ভাড়ায় চালিত গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। ওসি সাজ্জাদ রোমান বলেন, ‘নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তার বক্তব্য শুনে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিনোদন জগতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের অভিনয় দক্ষতা, স্টারডম ও ভক্তদের ভালোবাসার বিবেচনায় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকা-২০২৫ প্রকাশ করেছে অরম্যাক্স মিডিয়া।
জুন মাস পর্যন্ত শীর্ষ ১০-এর তালিকায় দক্ষিণী তারকাদের দাপট আবারও দেখা গেছে। একদিকে যেমন শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ‘বাহুবলী’খ্যাত অভিনেতা প্রভাস, ঠিক তেমনি পেছনে ফেলেছেন কিং খান শাহরুখকে ‘পুষ্পা ২’ খ্যাত তারকা আল্লু অর্জুন। আর এ তালিকায় জায়গা পাননি বলিউডের দুই খ্যাতনামা— ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খান ও মিস্টার পারফেকশনিস্ট অভিনেতা আমির খান।
অরম্যাক্স মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসের আপডেটে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ অভিনেতার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন সালমান খান ও আমির খান। তবে বলা বাহুল্য, দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির আধিপত্য বলিউডের অনেক তারকার কাছে যেন এক সতর্ক বার্তা হয়ে এলো।
এ তালিকার প্রথম হয়েছেন প্রভাস। ‘কাল্কি ২৮৯৮ এ ডি’-র মতো বড় বাজেটের সিনেমা ও ভক্তদের আবেগ মিলিয়ে সে জায়গা ধরে রেখেছেন এ অভিনেতা। দ্বিতীয় স্থানে আছেন তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয়। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন স্টাইলিশ সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ মুক্তির আগেই সামাজিক মাধ্যমে তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী।
চতুর্থ স্থানে নেমে গেছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। ‘জওয়ান’ ও ‘ডানকি’-র সাফল্য সত্ত্বেও তিনি শীর্ষ তিনের বাইরে অবস্থান করছেন। পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থানে রয়েছেন একে একে দক্ষিণী তারকা—অজিত কুমার, মহেশ বাবু, জুনিয়র এনটিআর ও রামচরণ।
আবার নবমে আছেন বলিউডের খিলাড়িখ্যাত অভিনেতা অক্ষয় কুমার। এ অভিনেতা ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় হয়তো তাকে এ তালিকায় টিকিয়ে রেখেছে। দশম স্থানে উঠে এসেছেন নানি। ‘হিড়োহি’ বা ‘দাসরা’র মতো সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য তিনি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।
ঢালিউড সিনেমায় ইতোমধ্যে বেশ শক্ত জায়গা তৈরি করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। এছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়ায়ও বেশ সরব থাকেন তিনি। নুসরাত ফারিয়া পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘সময় নিজেই সব বলে দেয়। সত্য কখনো দেরি করে, হার মানে না। মহাবিশ্ব দেখছে, আমি ছেড়ে দিলাম।’ এদিকে কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা অভিনেত্রীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আরিয়ার নামে একজন লিখেছেন, ‘ঠিক বলেছেন নুসরাত ফারিয়া আপু সময় সব সময় তার যোগ্য জবাব দেয়।’ আরেকজনের কথায়, ‘দারুন কথা একটু ধৈর্য ধরলে সব পাওয়া যায়।’ ফারিয়া প্রথমে রেডিও জকি হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর মডেলিং এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শোবিজে প্রবেশ করেন। ২০১৫ সালে তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আশিকী’ দিয়ে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। এটি একটি ভারতীয়-বাংলাদেশি যৌথ প্রযোজনার ছবি, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন অঙ্কুশ হাজরা। এই চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং নুসরাত ফারিয়াকে জনপ্রিয় করে তোলে।
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে এবার দেখা যাবে এক নতুন রূপে। মিউজিক ভিডিওতে হাজির হচ্ছেন তিনি। এটি দিয়েই প্রথমবার গানের ভিডিওতে মডেল হিসেবে অংশ নেবেন তিনি। গানচিত্রটির পরিচালনায় আছেন আলোচিত নির্মাতা তানিম রহমান অংশু।
‘ময়না’ নামের এই গানচিত্র নির্মাণ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী সিনেমা নির্মাতা অংশু।
অনুমান করা যায়, এই গানে নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু আছে। যার সুবাদে বুবলী এতে অংশ নিয়েছেন। তবে কাজটি সম্পর্কে এর বেশি কিছু তথ্য প্রকাশে অপারগতা জানান সংশ্লিষ্টরা। এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটাই হতে যাচ্ছে সংবাদ পাঠিকা থেকে নায়িকা হওয়া শবনম বুবলীর প্রথম গানচিত্র।
সম্প্রতি বিএফডিসিতে সেট তৈরি করে গানটির শুটিং শেষ হয়েছে।
গানটির সুরকার কলকাতার আকাশ সেন। কিছুদিনের মধ্যে গানটি গানচিল মিউজিক থেকে প্রকাশ হবে ইউটিউবসহ বৈশ্বিক সংগীত মাধ্যমগুলোতে।
অবশেষে ‘পটারহেড’দের জন্য এসে গেল আরেকটি সুখবর। প্রকাশ করা হয়েছে হ্যারি পটার চরিত্রে ডমিনিক ম্যাকলাফলিনের ফার্স্টলুক! সেই চিরাচরিত ঢঙে যিনি চরিত্রটির সিগনেচার গোল চশমা এবং স্কুল ইউনিফর্ম পরে হাসছেন।
ম্যাকলাফলিনের সঙ্গে হারমায়োনি গ্রেঞ্জার চরিত্রে আরাবেলা স্ট্যানটন এবং রন উইজলি চরিত্রে অ্যালাস্টার স্টাউট আছেন।
আগেই জানানো হয়েছিল, কাস্টিং কলে অডিশন দেওয়া ত্রিশ হাজারেরও বেশি অভিনেতার মধ্য থেকে এই তরুণ ত্রয়ীকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১৪ জুলাই) ঘোষিত নতুন কাস্টিংয়ে নেভিল লংবটম চরিত্রে ররি উইলমোট, ডাডলি ডার্সলি চরিত্রে আমোস কিটসন, ম্যাডাম রোলান্ডা হুচ চরিত্রে লুইস ব্রেলি এবং গ্যারিক অলিভান্ডার চরিত্রে অ্যান্টন লেসারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সিরিজটি ২০২৭ সালে এইচবিও এবং এইচবিও ম্যাক্সে আত্মপ্রকাশ করবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
বড় পর্দায় ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস: পার্ট ২’-এর মাধ্যমে হ্যারির যাত্রা শেষ হওয়ার প্রায় ১৪ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিও লিভসডেনে প্রযোজনা শুরু করেছে।
চরিত্রের গভীরতা, আত্মস্থ অভিনয় আর চোখে না দেখা অনুভবকে পর্দায় ছুঁয়ে দেওয়ার ক্ষমতায় বলিউড অভিনেত্রী টাবু বরাবরই অন্যদের থেকে আলাদা। সংবেদনশীল মা, রহস্যে মোড়া নারী কিংবা প্রতিবাদী আত্মা। প্রতিটি ভূমিকায় তিনি নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন। এবার সেই গুণী অভিনেত্রী সম্পূর্ণ ভিন্ন এক রূপে ফিরছেন বড়পর্দায়।
বলিউড আর দক্ষিণী সিনেমার গণ্ডি ছাড়িয়ে, টাবু এবার অভিনয় করতে চলেছেন একেবারে শক্তিশালী, নির্মম এবং জটিল এক খল চরিত্রে। দক্ষিণ ভারতের খ্যাতনামা নির্মাতাপুরী জগন্নাথ পরিচালিত নতুন সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। ছবিতে টাবুর বিপরীতে থাকছেন জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় সেতুপতি, যিনি তার অভিনয়ের পরিধি ও চরিত্র নির্বাচনের জন্যই আলাদা করে পরিচিত।
টাবু ও বিজয়ের এই প্রথম একসঙ্গে কাজ, আর এই যুগলবন্দি নিয়েই ইতোমধ্যে বলিউড ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে শুরু হয়েছে চর্চা। নির্মাতাদের ভাষায়, দুই অভিজ্ঞ শিল্পীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে এই ছবির মূল আকর্ষণ। যদিও ছবির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে জানা গেছে, এটি হবে একটি অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার সিনেমা। বর্তমানে চলছে চিত্রনাট্যের কাজ। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষ দিকে শুটিং শুরু হবে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
টাবুর এই চরিত্রটি তার আগের সব নেতিবাচক ভূমিকাগুলোর চেয়েও বেশি তীক্ষ্ণ ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে জটিল বলে দাবি নির্মাতাদের। ‘মকবুল’, ‘হায়দার’, ‘অন্ধাধুন’-এ তিনি যে ধূসর আবহে অভিনয় করেছেন, তা এখনো সিনেমাপ্রেমীদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে। তবে এবারের চরিত্রে তিনি হতে চলেছেন আরও ভয়ঙ্কর, আরও প্রভাবশালী। এই চরিত্রের জন্য টাবু নিচ্ছেন বিশেষ প্রস্তুতি।
শুধু মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নয়, মারপিটের দৃশ্যগুলোকে বাস্তবসম্মত করে তুলতে তাকে শিখতে হচ্ছে বিশেষ রকমের স্টান্ট ও ফিজিক্যাল ট্রেনিংও। চরিত্রের খুঁটিনাটি বুঝে নিতে নিজেই ব্যস্ত রেখেছেন নিজেকে।
এদিকে টাবুর হাতে বর্তমানে রয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘দৃশ্যম ৩’, যা এই জনপ্রিয় থ্রিলার ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। প্রথম দুটি কিস্তিতে একজন ক্ষুব্ধ পুলিশ অফিসার হিসেবেই তিনি ছিলেন দর্শকদের কাছে আতঙ্ক ও সহানুভূতির মিশ্রণ। নির্মাতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তৃতীয় কিস্তিতে তার চরিত্র আরও জটিল ও দ্বন্দ্বে ভরা হবে।
টাবু মানেই অভিনয়ে ভরসা। আর এবার যখন তিনি পুরোদস্তুর খলচরিত্রে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের আগ্রহও তুঙ্গে। এই ছবিটি শুধু তার ক্যারিয়ারের জন্য নয়; বরং সমগ্র ভারতীয় সিনেমার খলচরিত্রের উপস্থাপনাতেই একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এখন শুধু অপেক্ষা। এই ভয়ঙ্কর সুন্দর টাবুকে বড় পর্দায় দেখার। সূত্র: গিল্ড ডটকম।
বলিউডে নিজের যাত্রা শুরু করেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন নবাগত অভিনেত্রী শানায়া কাপুর। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘আঁখোঁ কী গুস্তাখিয়া’-তে নিজের অভিনয় ও উপস্থিতি দিয়ে দর্শকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
স্টারকিডদের তালিকায় নতুন সংযোজন শানায়া কাপুর, জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় কাপুরের কন্যা। তবে শুধুই পরিচিতি নয়, অভিনয়, ফ্যাশন সেন্স ও গ্ল্যামারের দিক থেকেও ইতিমধ্যে বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করতে শুরু করেছেন এই উঠতি তারকা।
পর্দায় অভিষেকের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন শানায়া। তার সাম্প্রতিক ফটোশ্যুট ও স্টাইল স্টেটমেন্ট অনুরাগীদের হৃদয় জয় করেছে। আর এখন বলিউডে পা রেখেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণে নেমে পড়েছেন তিনি।
‘আঁখোঁ কী গুস্তাখিয়া’ ছবিতে শানায়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সন্তোষ সিং, কাহিনী লিখেছেন মানসী বাগলা। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে জি স্টুডিওস ও মিনি ফিল্মস।
শানায়া কাপুর বেড়ে উঠেছেন একেবারে ফিল্মি পরিবেশে, পরিবারে বেশিরভাগ সদস্যই যুক্ত অভিনয় জগতে। তবে তিনি চান স্টারকিড নয়, নিজের প্রতিভা দিয়েই বলিউডে নিজস্ব পরিচয় গড়তে। আত্মবিশ্বাস, কঠোর শরীরচর্চা আর নিজেকে শানিয়ে নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিনি।
দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা। শুধু তা-ই নয়, অনেক দিন পর তাকে বড় ব্যানারের কোনো ছবিতেও দেখা গেল। আমির খান প্রযোজিত ও অভিনীত ছবি ‘সিতারে জমিন পার’-এর মূল নায়িকা বা ছবিতে আমির খানের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেল থাকে। এখানে ‘সুনীতা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
সিনেমা মুক্তির পর বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাফল্যের বাইরে দর্শকদের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন জেনেলিয়া। ফলে সব কিছু মিলিয়ে সিনেমাটি জেনেলিয়ার জন্য হয়ে উঠেছে বিশেষ। ছবিটির মাধ্যমে দীর্ঘ ১৩ বছর পর একটি হিন্দি ছবিতে ফিরলেন তিনি। শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরে নাল লাভ হো গেয়া’ ছবিতে। এরপর তিনি ‘ইটস মাই লাইফ’ ও ‘মিস্টার মাম্মি’-র মতো কয়েকটি ওটিটিও ছবিতে অভিনয় করেন।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইম জেনেলিয়াকে নিয়ে সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। সেখানে নিজের ফিরে আসার সবার এভাবে গ্রহণ করাতে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত তিনি। অভিনেত্রী বলেন, গত ১০ বছরে খুব বেশি কাজ করিনি। হয়তো বন্ধুবান্ধবের জন্য কিছু করেছি, গানের মধ্যে বা ছোটখাটো রোলে। দুই একটা ওটিটি ফিল্ম করেছি। তখন মনে হতো, মানুষ হয়তো আমাকে ভুলে গেছে। এটাই ভেবেছিলাম। আমার অস্তিত্ব যে আছে সেটা আমিও ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মানুষ যখন বলছে, ‘তোমাকে আবার দেখতে চাই’, এটা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
জেনেলিয়া আরও বলেন, সিতারে জমিন পার তো আমির খানের ছবি, স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি মানুষের চোখে পড়বে। কিন্তু আমি ভাবতেই পারিনি সেই আলোচনার ভেতরেও আমি আছি। কেউ যখন বলে, ‘তোমাকে আরও দেখতে চাই’-এটা একজন অভিনেতা ও মানুষ হিসেবে বিরল সৌভাগ্যেরই বলা যায়।
জেনেলিয়া জানালেন, ছবির প্রস্তাবটি আমির খানের কাছ থেকেই পেয়েছিলেন তিনি। তার ভাষ্য, একদিন আমির রিতেশকে কোথাও আমির খান দেখে জিজ্ঞেস করেন, ‘জেনেলিয়া কি কাজ করছে এখনো?’ রিতেশ তখন বলে, হ্যাঁ করছে। এরপর আমির আমাকে বলেন পরিচালক আরএস প্রসন্নর সঙ্গে দেখা করতে। আমি অডিশন দিই, আর সেখান থেকেই ছবিতে আমার জায়গা হয়। অনেকেই ভাবতে পারে, ২০ বছরের ক্যারিয়ারের পরেও কেন অডিশন? কিন্তু আমি মনে করি, এটা একটা দারুণ প্রক্রিয়া-এভাবেই কাজ পাওয়া উচিত। আমি খুব খুশি যে সেই পথেই এগিয়েছি।
‘সিতারে জমিন পার’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে একদল বিশেষভাবে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্কদের ঘিরে, যারা একটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ পায় এক আত্মকেন্দ্রিক ও উদ্ধত কোচের কাছে-এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। জেনেলিয়া সেখানে তার সাহসী ও সমর্থনকারী স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
ছবির সাফল্য নিয়ে জেনেলিয়া আরও বলেন, ‘ছবির মুক্তির দিন থেকে রবিবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত যেভাবে কালেকশন বেড়েছে, সেটা অনেকটাই মুখে মুখে প্রচারের কারণে। আমি বিশ্বাস করি, আপনি যদি একটা ভালো ছবি বানান, তাহলে সেটা নিজেই তার দর্শক খুঁজে নেয়। আমি খুব খুশি ছবিটা যা করেছে, বিশেষ করে আমাদের ‘সিতারাদের’ জন্য। আমি সত্যিই চাইছিলাম ছবিটা তাদের জন্য একটা ব্লকবাস্টার হোক। এটা আমার জীবনে প্রথম ছবি, যেখানে ‘ইনক্লুশন’ বা সবার গ্রহণযোগ্যতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। এটা ভীষণভাবে গর্বের।’
গত কয়েক বছরে ব্যস্ততা ও দর্শকপ্রিয়তায় নায়িকাদের মধ্যে বেশ এগিয়ে রয়েছেন শবনম বুবলী। ধারাবাহিকভাবে ঈদসহ বড় উৎসবে মুক্তি পেয়েছে তার ছবি। সবশেষ চলতি বছরের রোজার ঈদে ‘জংলি’ সিনেমা নিয়ে হাজির হন বুবলী। এতে তার নায়ক ছিলেন সিয়াম আহমেদ। শাকিব খানের ‘বরবাদ’ ছবির সঙ্গে মুক্তি পায় ছবিটি। তারপরও সিনেপ্লেক্সে বেশ ভালো দর্শকপ্রিয়তা পায়। গত কোরবানির ঈদেও বুবলীর ‘সর্দার বাড়ির খেলা’ ছবিটি মুক্তির কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তবে, সামনেই মুক্তি পাবে ছবিটি। রাখাল সবুজ পরিচালিত সরকারি অনুদানের এ ছবিতে বুবলীর নায়ক জিয়াউল রোশান। অন্যদিকে, এ নায়িকার ‘পিনিক’ শিরোনামের থ্রিলার ছবিও প্রস্তুত। যেকোনো সময় এ ছবির মুক্তির ঘোষণাও আসতে পারে। জাহিদ জুয়েলের পরিচালনায় এতে তার নায়ক আদর আজাদ। অন্যদিকে, গত মাসে বুবলী শুটিং করেছেন নতুন আরও একটি সিনেমার। ‘শাপলা শালুক’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার। এতে বুবলী অভিনয় করছেন সজলের বিপরীতে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন লোকেশনে এই ছবির শুটিং হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথমবার জুটি বাঁধছেন সজল-বুবলী। ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন- সুমন আনোয়ার, আয়মান শিমলা, দিলরুবা দোয়েল, রফিকুল রুবেল, বাপ্পী প্রমুখ। এদিকে, নিজের নতুন এ তিন ছবি প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘শাপলা শালুক’র কাজ কিছুটা বাকি রয়েছে। তবে, যে তিনটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর গল্প দর্শক পছন্দ করবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনটি ছবিতেই আমি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করেছি। আশা করছি, মুক্তি পেলে ছবি তিনটি দর্শকপ্রিয়তায় থাকবে।
তেলেগু চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেতা ও সাবেক বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই। রবিবার (১৩ জুলাই) ভোর রাতে তিনি হায়দরাবাদের ফিল্মনগর এলাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। কোটা শ্রীনিবাস রাও রেখে গেছেন স্ত্রী রুক্মিণী ও দুই কন্যাকে।
জন্ম ও শুরু
১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কাঙ্কিপাড়ু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কোটা শ্রীনিবাস রাও। তার মা কোটা সীতারামার অনুপ্রেরণায় ছাত্রজীবনেই তিনি মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন।
চলচ্চিত্র জীবন
১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রাণম খারেদু’ ছবির মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয়। এরপর দীর্ঘ অভিনয়জীবনে তিনি অভিনয় করেছেন প্রায় ৭৫০টি সিনেমায়। এর মধ্যে রয়েছে তামিল, হিন্দি, কন্নড় ও একটি মালয়ালম ভাষার সিনেমাও।
খলঅভিনেতা, চরিত্রাভিনেতা এবং কমেডিয়ান—সব ধরনের ভূমিকায় তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৯টি নন্দী পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৫ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।
রাজনৈতিক জীবন
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজয়ওয়াড়া (পূর্ব) বিধানসভা আসনের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢাকা ও কলকাতা দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সমানতালে কাজ করছেন তিনি। গত কোরবানি ঈদেই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তার দুই সিনেমা ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’। তার আগে মুক্তি পায় ‘জয়া ও শারমিন’ নামে আরও এক সিনেমা।
দুই মাসে মুক্তি পায় জয়ার তিন সিনেমা। সেগুলোর প্রচার-প্রচারণায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় ডাক আসে কলকাতা থেকে। উড়াল দেন সেখানে। অংশ নেন ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’ নামে একটি সিনেমার শুটিংয়ে। যা সম্প্রতি শেষ করেছেন। এটি দুই বছর আগে মুক্তি পাওয়া ‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমার সিকুয়েল। চলতি বছরেই সিনেমাটির মুক্তির সম্ভাবনা আছে।
এদিকে ১৮ জুলাই সেখানে মুক্তি পাচ্ছে জয়া অভিনীত সিনেমা ‘ডিয়ার মা’। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী নির্মিত এ সিনেমার প্রচার নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে এর ট্রেলার। সেখানে জয়ার সঙ্গে তার দত্তকসন্তানের রসায়ন তুলে ধরা হয়েছে।
‘ডিয়ার মা’ সিনেমায় জয়া আহসানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন চন্দন রায় সান্যাল। আরও অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এবং মালায়ালাম অভিনেত্রী পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন।
এদিকে এ সিনেমা নিয়ে আলোচনায় মধ্যেই জয়া অভিনীত আরও এক টালিউড সিনেমার মুক্তির ঘোষণা আসে। আগামী ১ আগস্ট মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাস অবলম্বনে এটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নাম পূর্ণিমা। নব্বই দশকের শেষ ভাগে যাত্রা শুরু করে তিনি হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। শুক্রবার (১১ জুলাই) ছিল এই গ্ল্যামার কন্যার জন্মদিন। এদিন ৪৪ বছরে পা রাখলেন তিনি।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন পূর্ণিমা। তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। চট্টগ্রামেই কেটেছে তার শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাজীবন।
অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে। সেই সময় থেকেই তাকে ঘিরে গড়ে ওঠে আলাদা একটা উন্মাদনা। নানা ধরনের চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় তাকে দ্রুত জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।
এরপর প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি টেলিভিশনেও করেছেন চমৎকার কাজ।
২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ সিনেমার জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, হৃদয়ের কথা, ধোঁকা, শিকারী, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, মেঘের পরে মেঘ, টাকা, শাস্তি, মনের সাথে যুদ্ধ, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা, পরাণ যায় জ্বলিয়া রে, মায়ের জন্য পাগল, শুভ বিবাহ তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
হুমায়ূন আহমেদের কাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘সুভাতে’ শ্রবণপ্রতিবন্ধী চরিত্রে তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
বর্তমানে পূর্ণিমা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তবে জন্মদিনে দেশের বন্ধু, সহকর্মী এবং ভক্তদের ভালোবাসা হৃদয়ে বহন করেন এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা। আমি যে সময়টায় কাজ করেছি, সেই সময়ের দর্শকরা আজও আমাকে মনে রেখেছেন-এটাই আমার জন্য আশীর্বাদ। নাটক বা সিনেমায় ফেরার ইচ্ছা আমার আছে। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্প পেলে কাজ করব।’
পূর্ণিমা ঢাকাই চলচ্চিত্রে এক শান্ত অথচ শক্তিময় সৌন্দর্যের প্রতীক। তিনি আবার রুপালি পর্দায় ফিরে আসবেন বলে আশা করেন তার অনুরাগীরা।
বলিউড হোক বা দক্ষিণি- সিনেমাপ্রতি কে কত পারিশ্রমিক পান, সেটা সাধারণত বেশ গোপনেই রাখা হয়। তবে মাঝে মধ্যে কিছু প্রতিবেদন কিংবা বিশ্বস্ত সূত্র সেই পর্দা সরিয়ে দেয়, আর তখনই সামনে আসে তারকাদের চোখধাঁধানো পারিশ্রমিকের অঙ্ক। এত দিন ভারতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। পারিশ্রমিকের দৌড়ে দীপিকার চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই আলিয়া ভাটও। তবে সাম্প্রতিক এক চুক্তিতে বদলে গেছে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীর নাম। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, যিনি প্রায় ছয় বছর পর ভারতীয় সিনেমায় ফিরছেন। তিনি একটি ছবির জন্য ৩০ কোটি রুপি নিয়েছেন। এটিই এখন পর্যন্ত কোনো ভারতীয় অভিনেত্রীর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
এস এস রাজামৌলির পরবর্তী ছবিতে মহেশ বাবুর বিপরীতে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একদিকে এটি তার বলিউডে প্রত্যাবর্তনের ছবি, অন্যদিকে দক্ষিণি ছবিতেও তিনি ফিরছেন দুই দশকের বেশি সময় পর। বলিউড হাঙ্গামার খবর অনুযায়ী, এই ছবির জন্য প্রিয়াঙ্কা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৩০ কোটি রুপিতে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে সিনেমার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ‘এ কারণেই এত দেরিতে প্রিয়াঙ্কার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি নিজের পারিশ্রমিকের বিষয়ে একচুলও ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না। আর কেনই বা ছাড় দেবেন? শুধু পুরুষ তারকারাই কেন বড় অঙ্ক পাবেন?’
অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সিরিজ ‘সিটাডেলের’ জন্য প্রিয়াঙ্কা নিয়েছিলেন প্রায় ৪১ কোটি রুপি। যদিও সেটি ছিল ৬ ঘণ্টার কনটেন্ট, তাই সেই পারিশ্রমিককে স্বাভাবিকই বলছেন অনেকে। তবে রাজামৌলি-মহেশ বাবুর ছবির জন্য তার নেওয়া ৩০ কোটি রুপি এখন পর্যন্ত কোনো ভারতীয় অভিনেত্রীর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
রাজামৌলির এই ছবিতে সই করার আগপর্যন্ত দীপিকা পাড়ুকোন ছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। ‘কাল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবির জন্য তিনি নিয়েছেন ২০ কোটি রুপি। আলিয়া ভাট ছবিপ্রতি ১৫ কোটি, আর কারিনা কাপুর খান, ক্যাটরিনা কাইফ, কিয়ারা আদভানি, নয়নতারা, সামান্থা রুথ প্রভুদের পারিশ্রমিক ১০ কোটি রুপির আশপাশে। তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর থেকে খুব একটা ভারতীয় ছবিতে দেখা যায়নি প্রিয়াঙ্কাকে। ‘জয় গঙ্গাজলের’ পর তিনি অভিনয় করেছেন কেবল একটি হিন্দি ছবিতে- ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’, যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। তার বহুল আলোচিত নারীকেন্দ্রিক ছবি ‘জি লে জারা’ (আলিয়া ও ক্যাটরিনাকে সঙ্গে নিয়ে) অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। ফলে গত ৬ বছরে তাকে ভারতের কোনো প্রেক্ষাগৃহে কিংবা ওটিটিতেও দেখা যায়নি।