কারও কাছে তিনি মিয়া ভাই, কারও কাছে তিনি নায়ক ফারুক। আবার ছিলেন জননেতা। তিনি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গত ১৫ মে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তার আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা নিয়েছেন সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে। কিন্তু কিছুতেই ফেরানো যায়নি এই জনপ্রিয় অভিনেতা ও জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্যকে।
বেঁচে থাকলে আজ ৭৫ বছর পার করতেন ফারুক। চিত্রনায়ক ফারুক সবার কাছে মিয়া ভাই হিসেবে বেশি পরিচিত ছিলেন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলা চলচ্চিত্রে তার অবদান ভোলার নয়। একাধারে তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী এবং অভিনেতা। ব্যস্ত সময় পার করলেও তার ছিলো অভিনয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া এই তারকার জন্মদিন আজ। কিন্তু জন্মদিন হলেও ১৯৭৫ সালের পর থেকে কখনই নিজের জন্মদিনের কেক কাটেননি।
কারণ কি?
২০২০ সালের জন্মদিনে নিজেই সেই কারণ জানিয়েছিলেন অভিনেতা। ফারুক বলেছিলেণ, ‘আগস্ট শোকের মাস। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই কালো রাতের পর থেকে বাঙালি জাতির জন্য এই মাস শোক আর বেদনার। পঁচাত্তরের ঘটনার পর আমার জীবন থেকে জন্মদিন পালন তুলে নিয়েছি। আমি ৪৫ বছর ধরে জন্মদিনের কেক কাটি না।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর থেকে কোনো দিন নিজের জন্মদিনে কেক কাটেনি ফারুক। তিন দশকের বেশি সংসার করছি, কখনো কেক কাটতে দেখিনি।’
ফারুক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে আছে, খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হ’। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘লাঠিয়াল’। খান আতাউর রহমানের ‘সুজন সখী’, আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’। আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত সিনেমা ‘সারেং বৌ’। মূলত গ্রামীন চরিত্রে অনবদ্য হয়ে ওঠেন ফারুক। তারপর থেকেই তিনি সবার কাছে মিয়াভাই হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। অভিনয়ের কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেশকিছু পুরস্কার পান ফারুক।
অবশেষে দেশে মুক্তি পেল মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’। যদিও তার আগে অভিনেত্রীর শুটিং করা দ্বিতীয় ছবি ‘প্রিয় মালতী’ আগে মুক্তি পেয়েছে। বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের দর্শকরাও বড় পর্দায় দেখতে পারছেন ‘সাবা’। ছবিটি মুক্তির আগে বেশ কয়েকটি প্রচারণায় দেখা মিলেছে মেহজাবীনের। সেসব জায়গায় ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতাও ভাগাভাগি করেছেন তিনি।
‘সাবা’র গল্পে দেখা যাবে- নিখোঁজ বাবা, হুইলচেয়ারে বন্দি মা আর সীমাবদ্ধতায় ঘেরা এক তরুণীর জীবনসংগ্রাম। সেই তরুণী সাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাকসুদ হোসাইন। তারও এটিই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি, এসকেএস টাওয়ার, সনি স্কয়ার, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, শ্যামলী সিনেমা, নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ ও মাগুরার মম ইন মুভি থিয়েটারে। এদিকে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন মেহাজীবন। সেখানেও ছবিটির প্রশংসা করেছেন সবাই। পাশাপাশি মেহজাবীন নিজেও হাজির ছিলেন স্টার সিনেপ্লেক্সে। সেসব জায়গায় দর্শকদের কাছ থেকে দারুণ সব মন্তব্য পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মেহজাবীন বলেন, এই অভিজ্ঞতা অন্যরকম। হলে ছবি মুক্তি পেলে দর্শকদের কাছ থেকে সরাসরি সাড়ার যে অনুভূতি, সেটা অন্য কিছুতে মেলে না। এবারের ছবিটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক দর্শকদের মাঝে পৌঁছবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। মেহজাবীন বলেন, এটি শুধু মা-মেয়ের গল্প নয়। ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাদের জীবনকে পাল্টে দেয়। আমি বিশ্বাস করি, ‘সাবা’ দর্শকের মনে এক বিশেষ অনুভূতির জন্ম দেবে।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় এই সময়ে আলোচিত মুখ মীনাক্ষী চৌধুরী। ‘গোট’, ‘হিট ২’, ‘লাকি ভাস্কর’ ও ‘সংক্রান্তি বসতুনাম’–মতো একের পর এক সফল সিনেমায় অভিনয় করে সাড়া ফেলেছেন। সৌন্দর্য আর অনিন্দ্য অভিনয় দিয়ে অল্প সময়ে জয় করে নিয়েছেন অগণিত দর্শকহৃদয়। একইভাবে মনোযোগ কেড়েছেন বড় বড় নির্মাতার। সেই সুবাদে এবার বলিউড সিনেমায় অভিষেক হতে চলেছে মীনাক্ষীর।
আজকালসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ‘ফোর্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক হতে চলেছে মীনাক্ষী চৌধুরীর। অন্যদিকে এই সিনেমা দিয়ে বিরতি ভেঙে বলিউডে ফিরেছেন অভিনেতা জন আব্রাহাম।
শুধু তাই নয়, জন নির্মাতা বিপুল শাহের কাছ থেকে ‘ফোর্স ৩’ সিনেমার রাইটসও কিনে নিয়েছেন। তিনি চাইছেন, এবার সিনেমার গল্পকে একেবারে শিকড়ে ফিরিয়ে আনতে; যেখানে থাকবে দেশি আবেগ, সঙ্গে টানটান অ্যাকশন ও থ্রিলারের জমাট মিশেল। এ কারণে তিনি পরিচালক ভাব ধুলিয়া ও সৃজনশীল টিমের সঙ্গে বসে চিত্রনাট্যের খুঁটিনাটিতে নজর রেখেছেন।
পাশাপাশি বহু অভিনেত্রীর অডিশনের পর শেষমেশ জন আব্রাহাম ও ভাব ধুলিয়া দুজনেই মীনাক্ষী চৌধুরীকে নির্বাচন করেছেন। শুধু গ্ল্যামার বাড়াতে নয়, এই ছবিতে মীনাক্ষী থাকবেন একেবারে অ্যাকশন-প্যাকড চরিত্রে।
নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, বলিউডে অভিষেক স্মরণীয় করে রাখা এবং অভিনীত চরিত্র দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য মীনাক্ষীকে কয়েক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়টাতে অভিনেত্রীকে দিয়ে কয়েকটি অ্যাকশন ওয়ার্কশপ করানো হবে, যাতে চরিত্রটিকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তিনি।
প্রযোজনা সূত্র আরও জানিয়েছে, আগামী নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে ‘ফোর্স ৩’ সিনেমার শুটিং। বর্তমানে জোরকদমে চলছে প্রি-প্রোডাকশন। এই সিনেমার কাজ শুরুর আগে পরিচালক রোহিত শেঠির সঙ্গে রাকেশ মারিয়া বায়োপিক-এর কাজ শেষ করবেন জন।
অক্টোবরের মধ্যেই সেই শুট শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপরই জন পুরোপুরি মন দেবেন ‘ফোর্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় অধ্যায়ে। ছবিটি মুক্তি পেতে পারে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে। এদিকে জন আব্রাহামের সঙ্গে মীনাক্ষী চৌধুরীর জুটি ইতোমধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছে দর্শকদের মধ্যে। ‘ফোর্স ৩’ সিনেমায় নতুন এই নায়িকা কেমন চমক দেখান আর জন কীভাবে ফিরিয়ে আনেন ফ্র্যাঞ্চাইজির পুরোনো স্বাদ, তা দেখার জন্য অনেকে এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
চার বছর আগে শুটিং শেষ করে ২০২১ সালেই মুক্তির অনুমতি পেয়েছিল ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ সিনেমাটি। নানা ঘটনা কেন্দ্র করে শুটিংয়ের সময়েও হয়েছিল বিতর্ক। সব ঝামেলা কাটিয়ে গেল শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ছবিটি। সিনেমা মুক্তি পেলেও এখন পর্যন্ত হদিস নেই সিনেমাটির নায়িকা নিশাত নাওয়ার সালওয়ার।
সিনেমাসংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে নেই কোনো যোগাযোগ। এমনকি ফেসবুকে সরব থাকলে নায়িকার ওয়ালে দেখা যায়নি সিনেমাসংশ্লিষ্ট কোনো খবর। অবাক করা বিষয় হলো, নায়িকা এখন কোথায় আছেন, তা জানেন না ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকও। পরিচালক জানান, ছবি নিয়ে পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের প্রচারণা চালালেও কোথাও নেই নায়িকা নিশাত সালওয়া। গণমাধ্যমে ছবিটির পরিচালক বলেন, ‘নায়িকার সঙ্গে আমাদের কারও কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কিছুই জানি না। যোগাযোগ থাকলে নাহয় বলা যেত। যেখানে কথাই হচ্ছে না, সেখানে ছবির প্রচারের বিষয়ে কিছুই বলার সুযোগও তো নেই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হন নিশাত সালওয়া। এরপর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন। তারপর নাম লেখান সিনেমায়। ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’ তার প্রথম সিনেমা। ২০২০ সালে শুটিং শেষ করলেও মুক্তির জন্য কয়েকবার দিনক্ষণ ঠিক করেও তা পিছিয়ে যায়। এরমধ্যে মুক্তি পায় নায়িকার অন্য দুই সিনেমা ‘বুবুজান’ ও ‘বীরত্ব’। এরপর তিনি অভিনয় করেছিলেন বরেণ্য অভিনেত্রী ও নির্মাতা সারাহ বেগম কবরীর পরিচালনায় ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমায়। সেই সিনেমার শুটিং শেষ হলেও তা কবে মুক্তি পাবে কেউই জানেন না। তবে পাঁচ বছর আগে শুটিং শেষ করা নায়িকার প্রথম সিনেমা মুক্তি পেল শুক্রবার।
থাইল্যান্ডের সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস গ্র্যান্ড প্রাচুয়াপ খিরি খান ২০২৬-এর মুকুট জয়ের মাত্র একদিন পরই খেতাব হারালেন সুপান্নি নয়নোনথং। এই সুন্দরীর একাধিক বিতর্কিত ভিডিও অনলাইনে ফাঁস হওয়ার পর প্রতিযোগিতার নীতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে অসঙ্গতি দেখিয়ে খেতাব বাতিল করে আয়োজক কমিটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয়নোনথংয়ের কর্মকাণ্ড প্রতিযোগিতার নীতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই তাকে আসন্ন মিস গ্র্যান্ড থাইল্যান্ড ২০২৬-এও অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে না।
ভিডিওগুলোতে তাকে ধূমপান করতে, অন্তর্বাস পরে নাচতে এবং সেক্স টয় ব্যবহার করতে দেখা যায়। এসব দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর ২৭ বছর বয়সি নয়নোনথং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ক্ষমা চান। তিনি জানান, করোনাকালে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন এবং অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে অনলি ফ্যানস-এ কনটেন্ট তৈরি করেছিলেন। পরে মায়ের মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন, ‘এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, নিজেকে আরো উন্নত করব এবং যেন আর কখনো এমন কিছু না ঘটে।’
নয়নোনথং অভিযোগ করেছেন, কিছু অবৈধ জুয়ার ওয়েবসাইট তার ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে তিনি আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই ঘটনা থাইল্যান্ডে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার নীতি-নৈতিকতা ও প্রতিযোগীদের ব্যক্তিগত জীবনের সীমারেখা নিয়ে সৃষ্টি করেছে নতুন বিতর্ক।
ছোটপর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা ২০০৬ সালে মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিনোদন জগতে পা রাখেন। ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘লস প্রজেক্ট’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু। এরপর অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলেন প্রভা।
তবে দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে দেখা যায়নি বড়পর্দায়। অবশেষে দুই দশকের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নাম লিখিয়েছেন বড়পর্দায়। সরকারি অনুদানের দুটি সিনেমায় অভিনয় শেষ করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমেও সরব থাকেন অভিনেত্রী।
গত বুধবার দুপুরে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে ভক্তদের মাঝে ধরা দেন প্রভা। কথা বলার সময় এক দর্শক অভিনেত্রীকে বলেন, তার ছবি ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া প্রোফাইল চালানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রভা বলেন, হ্যাঁ, অনেক ফেক আইডি দেখেছি। কালকেও একটা দেখেছি। এমনকি ওই আইডি থেকে আমার ছবিসহ পোস্ট দিয়ে লেখা হয়েছে- আইডির রিচ কমে গেছে, সবাই কমেন্টে সাড়া দিন। এগুলো মোটেই আমার নয় বলে জানান অভিনেত্রী।
ভুয়া প্রোফাইল দেখলে যেন তা রিপোর্ট করা হয় এবং শুধুমাত্র তার অফিসিয়াল পেজ বা ভেরিফায়েড আইডিতেই যোগাযোগ রাখা হয়। তিনি বলেন, তার নামে খোলা কোনো ভুয়া আইডি থেকে কেউ রাজনৈতিক মন্তব্য, দেশবিরোধী কথা বা অর্থ দাবি করলে তা যেন কেউ বিশ্বাস না করেন।
প্রভা বলেন, আমার নামের প্রোফাইল ব্যবহার করে যদি কেউ এমন কিছু করে, সেটা আমি নই।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী আরও বলেন, আপনাদের কি কোনো যোগ্যতা নেই যে, আমার ছবি বা কাজ দিয়ে ফেক করতে হবে? আল্লাহ সবাইকে কোনো না কোনো গুণ দিয়ে পাঠিয়েছেন, সেটা কাজে লাগান। কিন্তু এসব নকল প্রোফাইল বন্ধ করুন বলে জানান প্রভা।
‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন রানি মুখার্জি। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ তিন দশকের অভিনয়জীবনে অবশেষে ধরা দিল কাঙ্ক্ষিত জাতীয় পুরস্কার।
গত মঙ্গলবার দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন রানি। এ সম্মাননা হাতে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। পুরস্কারটি তার প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেন রানি মুখার্জি।
‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমাটি একজন মায়ের তার সন্তানের জন্য লড়াইয়ের বাস্তব গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রানি মুখার্জি বলেন, আমার এই সম্মান পৃথিবীর সব মায়ের জন্য। একজন মা হিসেবে এ সিনেমাটি আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এটি দেখিয়েছে একজন মা তার সন্তানের ভালোর জন্য কতটা দূরে যেতে পারে।
অভিনেত্রী বলেন, ‘একজন অভিনেতা হিসেবে আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এ সম্মান আমার কাছে এক বিশাল প্রাপ্তি। আমার এ পুরস্কার আমি আমার বাবাকে উৎসর্গ করতে চাই। আমার বাবা সবসময় এ মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
তিনি বলেন, আজকে আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। আমি মন থেকে বিশ্বাস করি, তিনি আমার সঙ্গেই আছেন। আমার এই পথচলায় আমার মা-ও সবসময় আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। তার শক্তিই আমাকে এ ধরনের একটি সিনেমা দর্শকদের সামনে আনতে সাহায্য করেছে বলে জানান রানি মুখার্জি।’
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নতুন নতুন কাজ নিয়ে অভিনেত্রী ও কোরিওগ্রাফার জ্যোতি সিনহার দুটি পরিবেশনা প্রচার হবে দুটি টিভি চ্যানেলে।
এর মধ্যে আগমনী নামের নাচটি মহালয়ার দিন বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে; পুজোর সময়েও আবার প্রচার করা হবে।আরেকটি পরিবেশনা মাতৃবন্দনা। প্রচার করা হবে এনটিভির পূজা অনুষ্ঠানমালায়।
জ্যোতির নির্দেশনায় নাচে অংশগ্রহণ করেছে তরুণ নৃত্যশিল্পী শ্রেয়া, বিজয়া,অর্থী, মনীষা, শর্মিলা ও জ্যোতি নিজে। নেপথ্য গানে স্বপ্নীলা চৌধুরী, সংগীতায়োজনে সুদীপ চক্রবর্তী, বাদ্যে থরেম রাতুল সিংহ, চিত্রগ্রহণে সজীব বৈদ্য ও সানি, স্থিরচিত্রে রিফাত ওসাগর,রূপসজ্জায় সুব্রত দাশ,ব্যবস্থাপনায় সুপ্রম।
দৈনিক বাংলাকে জ্যোতি বলেন,‘পূজা উপলক্ষে এই কাজগুলো করেছি।এই দুটি পরিবেশনায় মণিপুরি নাচের সাথে সমকালীন নৃত্যধারা ও থিয়েট্রিক্যাল উপাদানের সমন্বয় করা হয়েছে নিরীক্ষামূলকভাবে।’
ইউটিউবে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন নাটক প্রকাশ পাচ্ছে তানিয়া বৃষ্টির। দর্শকদের কাছে সাড়াও ফেলছে। এরই মধ্যে অল্প সময়ের ব্যবধানে বৃষ্টি অভিনীত তিনটি নাটক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে।
নাটকগুলো হচ্ছে- নির্মাতা মাসুদ রানা অনিকের ‘জামাই বউ বাটপার’ ও ‘পানু হেটস রানু’ এবং পরিচালক শহীদ উন নবীর ‘দাদির দাদাগিরি’। তিনটি নাটকেই ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছেন তানিয়া বৃষ্টি।
২০২২ সালে জাকিউল ইসলাম রিপন নির্দেশিত ‘পিনিকেই ঝিনিক’ নাটকে দুর্দান্ত অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তানিয়া বৃষ্টি। মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেন। এক নাটকেই সবার দৃষ্টি ঘুরে যায় বৃষ্টির দিকে। এরপর একে একে সব ভালো গল্পে যেমন কাজ করার প্রস্তাব আসতে থাকে, গুণী নির্মাতা ও প্রজন্মের মেধাবী নির্মাতারা তাকে নিয়ে একের পর এক নাটক নির্মাণ শুরু করেন।
সেই ধারাবাহিকতায় ২০২২ থেকে ২০২৫ অবধি তানিয়া বৃষ্টি একের পর এক নাটকে অভিনয় করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার অভিনীত আলোচিত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘মেথর’,‘ সানগ্লাস ফ্যামিলি’, ‘জামাই বউ চোর’, ‘বউ বেশি বুঝে’ ইত্যাদি।
সাফল্যের ব্যাপারে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, অনেক কষ্ট-সংগ্রামের পর আজ একজন অভিনেত্রী হিসেবে ভালো একটি অবস্থানে আসতে পেরেছি। দর্শক আমার অভিনীত প্রতিটি নাটক প্রবল আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন। আমার অভিনীত নাটক দেখে তারা তাদের ভালো লাগার কথা প্রকাশ করেন; এটাই তো আসলে চেয়েছিলাম আমি।
তিনি বলেন, দর্শকদের জন্যই ভালো ভালো গল্পের নাটকে কাজ করার চেষ্টা করি। আগে এমন একটা সময় ছিল- নিজেকে যুদ্ধের মাঠে টিকিয়ে রাখার জন্য গল্পের দিকে মনোযোগ দিতে পারতাম না। যে কারণে যে কাজই এসেছে করে ফেলতাম। কিন্তু এখন তো সেই সময় ও সুযোগটা এসেছে। গল্প নিজের মনের মতো নির্বাচন করতে পারছি। ভালো লাগলে কাজ করছি, না লাগলে করছি না। এই যে গল্প নির্বাচনের স্বাধীনতা- এটা সব শিল্পীই চায়। কারো কারো জীবনে সেই সুযোগ আসে, কারো কারো জীবনে আসে না। আমাকে নিয়ে এখন যারা নিয়মিত কাজ করছেন, তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমার ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাতে আমি ভালো কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি।
তানিয়া বৃষ্টি তার অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবেই দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন। ভালো ভালো গল্পের নাটকে তিনি অভিনয় করার সুযোগ খুঁজতেন। কেউ কেউ সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেনও; কিন্তু তানিয়া বৃষ্টির মধ্যে যে অভিনয়ের সুপ্ত প্রতিভা আছে, তা সত্যিকার অর্থেই খুঁজে বের করতে পেরেছিলেন পরিচালক জাকিউল ইসলাম রিপন।
দেশের জনপ্রিয় মডেল পিয়া জান্নাতুল। মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী— অনেক পরিচয়েই চেনানো যায় তাকে। স্পষ্ট বক্তা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। গত বছর আইনজীবীর পোশাকে পিয়ার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।
ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়ানো পিয়ার মুচকি হাসি আলোড়ন ফেলে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে পিয়া মনে করেন, সেই হাসির কারণে বেশ ভুগতে হয়েছে তাকে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন পিয়া।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিয়া জান্নাতুল।
সেখানে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই আলোচনায় আসে সেই মুচকি হাসির প্রসঙ্গ। জানান, সেই হাসির জন্য তাকে বিশাল মাসুল গুনতে হয়েছে; বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর।
গতবছর সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কালো কোট পরে ব্যারিস্টার সুমনের পাশে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছেন পিয়া। মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে।
সেই এক ঝলক হাসিই রাতারাতি তাকে ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তুলে দেয়। ক্লিপটি ঘিরে তৈরি হয় অসংখ্য রিলস, মিম আর ভিডিও। এই আইনজীবী-মডেল বলেন, ‘তখন কোন ভুলে হাসছিলাম আমি জানি না, এবং সেটা ভাইরাল হওয়ার কারণে আমি নিজে যে পরিমাণ ভোগান্তির মধ্য দিয়ে গিয়েছি বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর, সেটা বলার বাইরে।’
পিয়া জান্নাতুল ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ২০০৮ সালে।
২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। বর্তমানে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন এ মডেল-অভিনেত্রী। পাশাপাশি মডেলিং জগতেও রয়েছে তার বিচরণ।
নাটক ও সিনেমায় একের পর এক চমক দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডেও অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন। কান চলচ্চিত্র উৎসবেও তার ছবি প্রশংসা কুড়িয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় শুরু থেকে রাজপথে সরব ছিলেন বাঁধন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী। তবে মাঝেমধ্যে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। গত মার্চ মাসের শেষ দিকে অভিনেত্রীকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’র এজেন্ট বলে দাবি করেছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। সেসময় এক পোস্টে হতাশা প্রকাশ করে তিনি লিখেছিলেন, আবারো ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম- কী দারুণ এক যাত্রা! এবার নতুন করে সাইবার বুলিংয়ের কবলে পড়েছেন বাঁধন। এই বিষয়টি ফেসবুক পোস্টে জানিয়ে লেখেন, আমি জীবনের সবচেয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছি (বিস্তারিত পরে বলবো)। আমাকে গালি দেয়ার শব্দভাণ্ডার আপগ্রেড হয়েছে। এখন নতুন শব্দ হলো ‘নাগিন’। এরপর তিনি যোগ করেন, মানুষ আমাকে নানা নাম দিয়ে ডেকেছেন। কিন্তু এই নামটা মনে হয় একদম নতুন। আর সত্যি বলতে ‘নাগিন’ নামটি খুব পছন্দ হয়েছে। সবাই রাস্তা খালি করেন, শহরে নাগিন আজমেরী হক। বাঁধনের এই ধরনের পোস্ট নিয়ে নেটিজেনদের অনেকে রসিকতা করছেন। কেউ কেউ মানসিক সমর্থন জানিয়ে অভিনেত্রীর পাশেও দাঁড়িয়েছেন।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। একটা সময় অভিনয়ে বেশ সরব ছিলেন। দর্শকপ্রিয়তা পেলেও সময়ের বিবর্তনে দর্শকদের চোখের আড়ালে চলে যান অভিনেত্রী। এখন কাজ করছেন খুব বেছে বেছে।
তবে গ্ল্যামারাস এ অভিনেত্রী নিজের ক্যারিয়ারে কখনো কোনো বাজে প্রস্তাব পাননি। সম্প্রতি কালের কণ্ঠের নিয়মিত আয়োজন ‘গসিপ এন্ড গ্লিটজ’-এ হাজির হয়ে এ কথা বলেন কুসুম শিকদার।
কথোপকথনে উঠে আসে কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গ। কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার ফিল্মই তো তিনটা।
আর শেষেরটা তো আমারই। মিডিয়ায় আমি শুনি আজকাল গল্পটল্প নানা কাহিনি। আমি জানি না। আমাদের সময়ে এসব কম ছিল, অথবা ছিল না।
থাকলেও আসলে অনেক সময় দু-একটা ঘটনা যে ঘটেনি, তা নয়। আল্লাহ তো বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন। আমি সিদ্ধান্ত নেব আমি কোন রাস্তায় যাব। আমি যদি দেখি যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, তো আমি তো ছাতা নিয়ে যাব। আমারও এমন দু-একটা ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। বাট, আমি তো বুঝতে পেরেছি। আমি তো হ্যান্ডেল করেছি ব্যাপার। ওর মধ্যে ঢুকিনি।’
ওপার বাংলার জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতা। শুধু ওপার বাংলায় নয়, এই বাংলায়ও সমান জনপ্রিয় জীবনধর্মী গানের অন্যতম এই গায়ক। তবে জীবনধর্মী গান গাইলেও নিজের জীবনের প্রতি খুব একটা যত্নশীল কখনো ছিলেন না নচিকেতা। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নচিকেতাকে সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন।
অনেকটা ধমকের সুরে শাসনও করলেন গায়ককে। একটি ভারতীয় নিউজ চ্যনেলের শেয়ার করা ভিডিওতে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘নচি একটু খাওয়াদাওয়া করো।’ তারপর দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘আপনারা তো চান ও বেঁচে থাকুক, প্রতিবছর এসে গান করুক। শরীরটা যদি ঠিক না রাখে তাহলে কিভাবে হবে? আমাকে বললে আমি তো ওর ডায়েটটা করে দিতে পারি।’
‘কথা শোনে না।’ এরপর তিনি ফের গায়কের দিকে চেয়ে বলেন, ‘আর কত রোগা হবে? ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করো। তোমায় প্রোটিন খেতে হবে। তোমার হিমোগ্লোবিনও কম।
তারপর মুখ্যমন্ত্রী নিজের কথা বলেন, ‘আমারও হিমগ্লোবিন একটু কম আছে। তবে আমার সময় হয় না। সকালে বেরিয়ে গিয়ে রাতে বাড়ি ঢুকলে তিন বেলার খাবার তো খেতে পারি না। এক বেলা খেতে পাই। আর ভাত-রুটি তো আমি খাই না প্রায় ২০ বছর হয়ে গিয়েছে। আমি অল্প অল্প খাই তাও। কিন্তু আমি আমার মতো করে চলি।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নচিকেতার বিরুদ্ধে করা এক মামলা খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ছিল, এক লাইভ কনসার্টে ভগবান রামকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন নচিকেতা, যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে এবং জনগণের মনে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। দুই বছর আগে করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর না করায় ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদের’ পক্ষ থেকে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংগঠনের এক নেতা। তবে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই, তাই এফআইআর করার কোনো ভিত্তিই তৈরি হয়নি। ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়কেই বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অভিনয়ের পাশপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কাজের হালনাগাদ নিয়মিত দেন। এবার এক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ‘প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বেশ কয়েকটি ছবি ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে মিথিলাকে দেখা যায়, তার প্রিয় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে মিথিলা লিখেছেন, আমার প্রাণপ্রিয় বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসতে পেরে মনটা ভরে গেল। নারী ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ‘সুফিয়া কামাল সেমিনার সিরিজ’-এ আমার পিএইচডি গবেষণার কিছু অংশ।’
‘লিঙ্গ এবং প্রারম্ভিক শৈশব শিক্ষা নিয়ে উপস্থাপন করার সুযোগ পেলাম। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দারুণ একটি সময় কাটল।’
প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পেরে আমি আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি আরো লিখেছেন, ‘তাদের অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পেরে আমি আনন্দিত। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’