বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও কৃতী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। মাত্র ২০ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন কাপুর পরিবারের এ সন্তান। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ‘রিফিউজি’ ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ তার। তার পরে ‘কাভি খুশি কাভি গম’, ‘জব উই মেট’, ‘হিরোইন’, ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’, ‘কুরবান’, ‘ওমকারা’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন কারিনা। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টশন’ ছবির শুটিং চলাকালীন অভিনেতা সাইফ আলি খানের প্রেমের পড়েন কারিনা। বছর পাঁচেক প্রেমের পর ২০১২ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন সাইফ ও কারিনা। ২০১৬ সালে প্রথম সন্তান তৈমুরের জন্ম দেন নায়িকা।
আগে বলিউডে চল ছিল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই কাজ কমিয়ে দেওয়ার। সেই প্রথা ভেঙেছেন কারিনা। তৈমুর গর্ভে থাকাকালীন চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এখন বলিপাড়ার নায়িকাদের পথপ্রদর্শক তিনি। তবে ছেলে তৈমুরের জন্মের পর থেকে বার বার সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন সাইফ-কারিনা। কারণ ছেলের নাম। অভিনেত্রীর পুত্রসন্তানের নামকরণে চটে যান গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীরা। তাদের মতে, তৈমুর লঙ্গের মতো অত্যাচারীর নামে কারিনার পুত্রের নাম রাখা উচিত হয়নি। প্রথম মা হওয়ার অনুভূতির পাশপাশি ছেলেকে নিয়ে এমন সমালোচনা সামলেছেন কীভাবে, এত বছর পর তা নিয়ে মুখ খুললেন কারিনা।
মুম্বাইয়ের এক অনুষ্ঠানে এসে খোলামেলা আড্ডার দেখা গেল কারিনা কাপুরকে। তার কথায়, ‘আমার মনে হয় না কোনো মা বা তার সন্তানকে এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এত বছর কেটে গেলেও এখনও ধন্দে অভিনেত্রী, কেন তাদের সঙ্গে এমনটা হয়েছিল। কারিনা বলেন, আমি এখনো জানি না, এর পেছনে কারণ কী ছিল। কাউকে অসন্তুষ্ট করার জন্য কোনো কিছু করা হয়নি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশে বাকস্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। শুধু তাই নয়, যার যা খুশি সেটা সে সেটা করতে পারে। আমি ও সাইফ সেটাই বিশ্বাস করে এসেছি।’
পাশপাশি, কারিনা স্পষ্ট জানান, তার ছেলের নামের সঙ্গে অত্যচারী শাসক তৈমুর লঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। এই নাম নেওয়া হয়েছে সাইফ আলির ছোটবেলার এক বন্ধুর নামের অনুসরণে। কারিনা বলেন, ‘আমরা যখন ছেলের নামকরণ নিয়ে ভাবছি, সেই সময় সাইফ জানায় তার ছোটবেলার এক বন্ধুর নাম তৈমুর। সাইফ সব সময় বলত, এই নামটা তার খুব পছন্দ। যদি আমাদের ছেলে হয়, তা হলে বন্ধুর নামে ছেলের নাম তৈমুর রাখবে।’ যদিও ছেলে তৈমুরের নাম নিয়ে যখন বিতর্ক চলছিল সারা দেশে, সেই সময় সাইফ জানান তার ছেলের নামের মানে ‘ইস্পাত’ বা ‘লোহা’। এর সঙ্গে শাসক তৈমুরের কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে ছেলের নাম নিয়ে যখন প্রায় ঝড় উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়, তা কারিনার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল বলেই জানান অভিনেত্রী। কারিনার কথায়, ‘সেই মুহূর্তেই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আমার সন্তানের যে রকম ইচ্ছে নাম আমি দেব। ততক্ষণ পর্যন্ত আমার কিছু যায় আসে না, যতক্ষণ আমার সন্তান ভাল আছে। আমরা ভাল আছি। দুনিয়ার মানুষ যা ইচ্ছে বলুক, যে ভাবে ইচ্ছে ট্রোল করুক, আমি কান দেব না।’
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। অনেকে তাকে বলিউড শাহেনশাহ এবং বিগ বি বলেও মন্তব্য করেন। এক কথায়, ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব তিনি। অমিতাভ বচ্চনের ক্যারিয়ারে একাধিকবার নানা ওঠা-পড়া এসেছে। তবু তারই মাঝে লড়াই চালিয়ে যেতে পিছপা হননি কখনও। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ভীষণভাবে অ্যাক্টিভ অভিনেতা। সব সময়ই নানা চিন্তাশীল বিবৃতি দিতে দেখা যায় তাকে। যা অমিতাভ বচ্চনকে অন্য সব তারকার থেকে আলাদা করে বলা চলে। বচ্চন পরিবার ঘিরে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার ‘বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন’-এর খবরে এ অভিনেতা ভীষণ বিব্রত অনেকদিন ধরেই। বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে হঠাৎ ক্ষমা চান বর্ষীয়ান এই তারকা। কেন ক্ষমা চাইলেন এ অভিনেতা? তিনি কোনো ‘বড়সড় ভুল’ করে ফেলেছেন কি না! বিষয়টা কী? এ নিয়ে অনেক নেটিজেনের মনে তুমুল আগ্রহের জন্ম নেয়।
আবারও অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের জল্পনার অনেকটা বিরক্ত হয়ে এবার খানিকটা অন্যরকম পোস্ট দিলেন বলিউড শাহেনশাহ। যা দেখে অবাক তার ভক্ত-অনুরাগী ও নেটিজেনরা। অমিতাভের পোস্টে সবাই প্রশ্ন করতে শুরু করেছে এসব কী হচ্ছে? সোমবার দিবাগত রাতে হঠাৎই অমিতাভ বচ্চন একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে তিনি একটি মাত্র শব্দ এবং একটি ইমোজি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘চুপ।’ সঙ্গে রাগের ইমোজিও জুড়েছেন অভিনেতা। এই পোস্ট দেখে অনেকেরই মনে প্রশ্ন, তবে কি রেগে গিয়েছেন অভিনেতা? একজন লিখেছেন, ‘কী হয়েছে আপনার?’ কেউবা লিখেছেন, ‘এই একটি শব্দের খুব প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই বচ্চন পরিবার নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের গুজবও রটে গেছে। এরই মধ্যে একটি অনুষ্ঠানে নিজের নামের সঙ্গে থাকা ‘বচ্চন’ শব্দটি বাদ দিয়েছেন বলেও খবর প্রকাশ করে ভারতের প্রায় সব গণমাধ্যম। তবে কিছু ঘটনায় বারবার প্রশ্ন উঠেছে আদৌ কি তাদের দুজনের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে? যদিও এই তারকা দম্পতি এই গুজবে কোনোরকম মুখ খোলেননি। এরই মাঝে অমিতাভ বচ্চনের এই পোস্টে চলছে নানা আলোচনা। অনেকে আবার এই টুইটকে তার ছেলে ও বউমার সম্পর্কের সঙ্গেও জুড়েছেন। তবে একটি টুইট করার পর এ বিষয়ে আর কিছুই জানাননি অভিনেতা।
অমিতাভ বচ্চন সম্প্রতি তার ব্লগে লিখেছেন, তিনি তাঁর পরিবার সম্পর্কে বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন না। তবে একটা কথা তিনি উল্লেখ করেন, যা গুজব সেটা শুধুই গুজব। কোনো কিছু যাচাই ছাড়া বলার মধ্যে কোনো সত্যতা নেই।
বলিউডের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অন্যতম মেধাবী অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ ছবিতেই রোমান্টিক ছবিতে দেখা গেছে তাকে। তবে সেই বৃত্ত ভেঙে রোমান্টিক খোলস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। যখনই সুযোগ পেয়েছেন ভিন্ন ধরনের চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এই অভিনেত্রীর কথায়, এমন অনেক চরিত্র আছে, যা পর্দায় তুলে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে আছি। অপেক্ষায় আছি, পর্দায় সুপার হিরো হয়ে ওঠার। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই ইচ্ছা প্রকাশের পাশাপাশি কৃতি এও বলেছেন, “বলিউডে ‘কৃষ’ ছাড়া মনে রাখার মতো সুপার হিরো সিনেমা আর তৈরি হয়নি বললেই চলে। এ রকম আরও কিছু সিনেমা নির্মিত হলে বিষয়টা মন্দ হয় না। সে ক্ষেত্রে আমার জন্য হয়তো সুযোগ তৈরি হবে সুপার উইম্যান হয়ে ওঠার।”
সুপার হিরো সিনেমার প্রতি নিজের দুর্বলতার কথা এভাবেই অকপটে স্বীকার করেছেন কৃতি। কিন্তু কবে স্বপ্নের সেই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাবেন, তা শুধু সময়ই বলে দেবে। আপাতত অভিনয়ে নিজেকে ভাঙতে ব্যতিক্রমী বেশ কিছু চরিত্র বেছে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এখন তিনি আলোচনায় আছেন তার ‘দো পাত্তি’ সিনেমা নিয়ে।
এদিকে কাজের বাইরেও ব্যক্তি কৃতির ব্যক্তিজীবন নিয়ে নানা গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে বলিউডে। শোনা যাচ্ছে, কবির বাহিয়া নামে একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এই অভিনেত্রীর। এই গুঞ্জনে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমে কৃতি বলেছেন, ‘যখন কারও সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়, তখন সেই মানুষটির মনের অবস্থা কেমন হয়– তা রটনাকারীরা কখনও জানার চেষ্টা করেন না। যদি জানার চেষ্টা করতেন, তাহলে নিত্যদিন এত মিথ্যা গুজব-গুঞ্জন কানে আসত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারকা জুটি নিয়ে মন্তব্য, জল্পনা-কল্পনার কথা দর্শক অনুরাগীরা বলতেই পারেন। কিন্তু একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে অহেতুক মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেওয়া সমর্থন করি না। কবির বাহিয়ার সঙ্গে আমার সত্যিকারের সম্পর্ক কী, কীভাবে পরিচয়, কোথায় সাক্ষাৎ– তা ঠিকভাবে না জেনেই প্রেম ও বিয়ের খবর রটিয়ে দেওয়া মেনে নিতে পারছি না। আশা করছি, এ প্রসঙ্গে কেউ কোনো প্রশ্ন করে আমাকে আর বিরক্ত করবেন না।’
সময়ের আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণ। নির্মাতাদের কাছে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রীদের মধ্যেও তারা অন্যতম। বছরের বেশিরভাগ সময় শুটিং করে কাটাতে হয় তাদের। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের ছেড়ে ফুরসত পেলে একসঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে যান তারা।
আজ রোববার মেহজাবীন চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে একসঙ্গে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল। এদিন রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ব্যতিক্রমী এক ইকর্মাস প্রতিষ্ঠান পাইকারী.কম.বিডির ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম’-এ গ্র্যান্ড লঞ্চিং অনুষ্ঠিত হলো। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় এই দুই অভিনেত্রী।
এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বিনোদন জগতের তারকা ব্যক্তিত্বরা, তেমন আমন্ত্রিত হয়েছে উৎসুক ক্রেতাসাধারণ ও পাইকারি.কম.বিডি-র বর্তমান মেম্বাররাও। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে এই প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ মেম্বারশীপ প্রোগ্রামের শুভ সূচনা ঘোষণা করে।
মূলত বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করা একটি প্রতিষ্ঠান। এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠান পাইকারি.কম.বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাবির হোসেন। তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের মেম্বারশীপ ফি দিয়েই যে কেউ পাইকারি.কম.বিডি-র মেম্বার হয়ে যেতে পারবে। আর শুধুমাত্র মেম্বারই এক্সক্লুসিভলি পাবেন আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিনা লাভে বিক্রি হওয়া পণ্য কেনার সুযোগ। শুধুমাত্র এককালীন মেম্বারশীপ ফি প্রদান করেই একজন মেম্বার সারা বছর পাবেন বিনা লাভে বিক্রিত পণ্য কেনার সুবিধা।
এই উদ্যোগের প্রংশসা করে মেহজাবীন তার এক মন্তব্যে বলেন, অনলাইনে কেনাকাটাতো সবাইকে করতেই হয়। আপনারাও নিশ্চয়ই করেন। কিন্তু অনলাইনে বিনা লাভে কেউ পণ্য বিক্রি করছে, এটা সত্যিই ব্যতিক্রম! এরকম বিদেশে শুনেছি, আমাদের দেশে এমন উদ্যোগে নেওয়ায় পাইকারি.কম.বিডি-র প্রশংসা করতেই হয়।
অন্যদিকে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এমন কোনও প্রতিষ্ঠানের কথা শুনিনি যারা লাভ ছাড়া পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। পাইকারী.কম.বিডি গ্রাহকদের একটু স্বস্তি দেওয়ার জন্য বিনা লাভেই পণ্য বিক্রি করছে!
বিজ্ঞাপনী সংস্থা হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেতা এফ এস নাঈম। তার সহযোগিতায় ছিলেন আরেক অভিনেত্রী সারা আলম। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ব্যতিক্রমী উপস্থাপন ভঙ্গির জন্য খ্যাত আলোচিত গায়ক আলী হাসান।
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বলিউডের হিট অ্যান্ড ফিট অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির। একের পর এক বিতর্ক পিছু করছে তার। প্রায়ই স্বামী রাজ কুন্দ্রার বিষয়ে শিরোনামে আসতে হয় অভিনেত্রীকে। কখনো আবার তদন্তকারী সংস্থার তলব। এরপর নাম জড়িয়েছিল বিটকয়েন জালিয়াতি মামলায়। যার কারণে বাড়িছাড়া হতে হয়েছে শিল্পাকে। এই অভিনেত্রীর নামে কেনা জুহুর সমুদ্রমুখী বিলাসবহুল বাংলো বাড়িটি এখন ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডির (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) নজরদারিতে। শুধু এই বাড়ি নয়, তাদের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এরপরও রেহাই মেলেনি অভিনেত্রীর। একাধিকবার সাক্ষাতের পরও রাজের পর্নোকাণ্ডের জেরে পুনরায় ইডি ডাক পাঠিয়েছে শিল্পাকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি আরও একবার রাজ-শিল্পার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। বেশ কিছুদিন ধরে মুম্বাই এবং উত্তরপ্রদেশের ১৫টি এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা। সে কারণে বাদ যায়নি রাজকুন্দ্রাসহ সংশ্লিষ্ট মামলায় জড়িত বাকিদের বাসস্থানও।
প্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাপ খোলার জন্য বছরখানেক আগেই হাজতবাস হয়েছিল রাজের। দুই মাস জেলে কাটানোর পর জামিন পেয়েছিলেন। সেই স্মৃতি অতীতের খাতায় ফেলে যখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন রাজ-শিল্পা, তখনই আবার দুয়ারে কড়া নাড়া শুরু করেছে ইডি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে আরও জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি পুলিশের কাছে ভ্যারিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে।
সেখানে অমিত ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে অভিযুক্ত হিসেবে। যারা বিটকয়েনে বিনিয়োগের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা তুলেছেন। যাদের কাছ থেকে তারা টাকা তোলেন, তাদের প্রতি মাসে বিটকয়েনে ১০ শতাংশ টাকা রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ক্রিপ্টো সম্পত্তি গড়ে তোলার লোভে অনেকেই টাকা ঢালেন ওই সংস্থায়। কিন্তু ওই সংস্থা সবাইকে ঠকানোয় একাধিক মামলা দায়ের হয়।
এ মামলার তদন্তে নেমেই মূলত রাজের সঙ্গে ওই সংস্থার সংযোগ খুঁজে পায় ইডি। হাজার কোটির দুর্নীতি, ইডির মামলা, যাবতীয় আইনি জটের মাঝেই গত আগস্টে ৩ কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি কিনে আবার সংবাদ শিরোনামে আসেন রাজ ও শিল্পা। যার সুবাদে তাদের দিকে বেড়ে যায় ইডির নজরদারি।
শোবিজে ‘সুগার ড্যাডি’ নিয়ে কমবেশি আলোচনা সব সময়ই থাকে। অনেক অভিনেত্রী ও মডেলের সুগার ড্যাডি থাকা নিয়ে সমালোচনাও কম হয় না। এ নিয়ে কথাও বলেন মডেল-অভিনেত্রীরা। এবার কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ‘বরাবর নিজের কাজ নিজেই জোগাড় করে এসেছি। কোনো দিন তথাকথিত ‘সুগার ড্যাডি’ নেই। ভালোবাসার মানুষজনেরও বড়ই অভাব। সব মিলিয়ে নিজেই নিজের হর্তাকর্তা-বিধাতা। ফলে, যা-ই ঘটুক ঠিক চালিয়ে নেব’- আনন্দবাজারে লিখেছেন তিনি।
আরজি কর-কাণ্ডে সরকারের বিরোধিতা করায় তাকে দিয়ে কোনো কাজ করানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজারে এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘দু-দুটো বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেছিলেন এজেন্সির সঙ্গে। এজেন্সির যিনি প্রতিনিধি, তিনি আমাকে পছন্দ করেন। চেয়েছিলেন, কাজটা আমিই করি। কিন্তু তারও তো কোথাও বাধা রয়েছে। বললেন, ‘দিদি, আরজি কর-কাণ্ডে তোমার বক্তব্য তোমার বিরুদ্ধে গেছে। তুমি সরকারের বিরোধিতা করেছ। তোমাকে দিয়ে কাজ না করানোর নির্দেশ এসেছে।’ দুটো কাজ থেকেই ভালো অঙ্কের পারিশ্রমিক পেতাম।’
কাজ বেহাত হলেও বিষয়টি নিয়ে তিনি বিচলিত নন বলে জানান শ্রীলেখা মিত্র। তার ভাষ্যে, ‘আমি আর এ ধরনের ঘটনায় বিচলিত হই না। কোনোকালেই মধু মাখিয়ে কথা বলতে পারি না। বাকিরা যতটা না মনের গভীর থেকে মৃতা চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন, আমার চাওয়া ছিল আরও গভীর।’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ভয় না পাওয়ার আরও একটা কারণ, আমার মাথার ওপর কোনো দায় নেই। ঋণের বোঝা নেই। প্রচুর চাহিদা নেই। দামি গাড়ি, দামি বাড়ি, দামি পোশাকের বিলাসিতা নেই। ফলে, প্রচুর অর্থের প্রয়োজনও নেই। একইভাবে, যতটা সম্ভব সৎ থেকে কাজ করা যায় ততটাই সৎ আমি। একমাত্র দেয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে মিথ্যা কথা বলি না। বললেও এমন মিথ্যা বলি না, যা অপরের ক্ষতি করবে।’
বলিউডের আলোচিত তারকা দম্পতি অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার দাম্পত্য কলহ নিয়ে সরগরম চারপাশ। নিত্যদিনই কোনো না কোনো ঘটনা সামনে আসছে। এত গুঞ্জন রটলেও অভিষেক বা ঐশ্বর্য একবারও মুখ খোলেননি। তবে এবার সেই গুঞ্জনে পারদ দিল একটা ভিডিও। যা দেখে নিন্দুকরা নিশ্চিত করে বলছে এবার সত্যি সত্যি বিচ্ছেদ হচ্ছে অভিষেক-ঐশ্বর্যর। সম্প্রতি সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই গ্লোবাল উইমেনস ফোরামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাইতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বুধবার রাতের দিকেই ফেরেন তিনি। বুধবারের সেই অনুষ্ঠানের একাধিক ঝলক ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুবাই উইমেন এস্টাবলিশমেন্টের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে অভিনেত্রীর দর্শকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়।
এই অনুষ্ঠানের সময় অভিনেত্রীর পেছনের পর্দায় ফুটে ওঠে শুধু ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ নামটা। এমনিতে অফিসিয়ালি তিনি বিয়ের পর থেকেই বচ্চন উপাধি ব্যবহার করে থাকেন। তবে হঠাৎ সেটি না দেখে ফের উঠেছে অভিষেকের সঙ্গে ডিভোর্সের প্রসঙ্গ। এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘গর্জিয়াস। যারা কিছুদিন আগে ঐশ্বরিয়াকে তার লুক নিয়ে ট্রল করেছিল, তারা আজ কোনায় বসে কাঁদছে।’ অন্যজন লেখেন, ‘সুন্দরী, স্মার্ট, ঐশ্বরিয়ার তুলনা তিনি নিজেই।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘কেউ কি দেখেছে, নামের থেকে বচ্চন মিসিং।’ চতুর্থজন লিখেছেন, ‘আমি এখনো ভাবতে পারি না, ওর মতো মেয়ের বিয়েতেও সমস্যা হতে পারে!’
চলতি বছরের শুরুতেই সামনে এসেছিল, ঐশ্বরিয়া আর অভিষেক থাকছেন না আর এক ছাদের তলায়। জলসা বাংলো ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে নিজের মায়ের কাছে চলে গিয়েছেন তিনি। এরপরই অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠানে বচ্চন পরিবারের সঙ্গে না গিয়ে আলাদা যান ঐশ্বর্য-আরাধ্য। তারপর থেকে একের পর এক শিরোনাম এই বলি দম্পতির ডিভোর্সকে ঘিরে।
এমনকি, নভেম্বর মাসে বউকে জন্মদিনে শুভেচ্ছাও জানাননি অভিষেক বচ্চন। যদিও নিজের সিনেমা ‘আই ওয়ান্ট টু টক’-এর প্রচারের সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ঐশ্বরিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ যে তিনি আরাধ্যকে যত্ন নিয়ে বড় করেছেন। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছেন, যাতে তিনি নিশ্চিন্তে সিনেমার শুট করতে পারেন। অন্যদিকে ছেলে ও পুত্রবধূর বিচ্ছেদ নিয়ে কিছুদিন আগে মুখ খুলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। এক ব্লকে বিগ-বি লিখেছিলেন, ‘গুজব শুধুমাত্র গুজব, যা যাচাই করা হয় না। আমি আমার পরিবারের সম্পর্কে খুব একটা কথা বলি না।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গেও নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। চলতি বছরের শুরুতে প্রসাধনী ও হোম কেয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যানের পরিচালক হিসেবে যুক্ত হন তিনি। এরপর প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত হন শোবিজের একাধিক তারকা। এবার প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত হলেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান। গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে তাহসানের সঙ্গে চুক্তি সই করেন রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর চিত্রনায়ক শাকিব খান। রিমার্ক-হারল্যানের বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে একটি করে নতুন গান প্রকাশ করবেন তাহসান। প্রথম গান ‘মাঝে মাঝে মনে হয়’-এর প্রোমোও প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে তাহসান বলেন, তাহসান বলেন, ‘শাকিব খান সব সময় সিনেমাকে এমন উচ্চতায় নিতে চান, যা দেখে দর্শক উপভোগ করবে এবং বলবে আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা। আমিও একই কারণে রিমার্কে যুক্ত হয়েছি। রিমার্ক আমাকে নিজের মতো গান করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। যে প্রোমোটা দেখানো হয়েছে, সেটা মাত্র শুরু। প্রতি মাসে এমন গান উপহার দেব, যেটা দেখে ও শুনে যেন মনে হয় বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক মানের গান হচ্ছে।’
প্রায় দুই যুগ ধরে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন তাহসান। নিয়মিত মৌলিক গান করায় এখনো দর্শকের ভালোবাসা পাচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি। তাহসান বলেন, ‘২৫ বছরে যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটার মূল কারণ মৌলিক গান। রিমেক গান করে তাড়াতাড়ি হিট হওয়া যায়। কিন্তু মৌলিক গান হিট করা অনেক কঠিন। আমরা মৌলিক গান করতে পেরেছি বলেই এত ভালোবাসা পেয়েছি। আরও ভালো কাজ করতে চাই। নতুন গানগুলোতেও সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
তাহসান জানান, শাকিব খানের ‘তুফান’ দেখে মনে হয়েছে, এটা ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড একটা সিনেমা। এটা এক দিনে সম্ভব হয়নি। অনেক মানুষ একটা ভিশন নিয়ে কাজ করেছে বলেই এটা হয়েছে। কিন্তু এটা আমি অকপটে স্বীকার করতে পারি, মিউজিকে আমরা এখনো ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড কাজ করতে পারছি না। রিমার্কের কাছ থেকে যে আশ্বাস পেয়েছি, তাতে আমার বিশ্বাস, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মিউজিককে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজের কণ্ঠনালির সমস্যার কথা উল্লেখ করে এই শিল্পী জানান, এখনো তার চিকিৎসা চলছে। এখন ভালো আছি। কিন্তু কনসার্টে ১০-১২টির বেশি গান গাওয়া সম্ভব হয় না। আগে যেমন প্র্যাকটিস করতে পারতাম, এখন তেমন পারছি না।
বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করে দিয়েছেন তিনি। এই দেড় দশকে অনেক উত্থানের ঘটনা ঘটেছে তার ক্যারিয়ারে। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয় করেছেন হলিউডের সিনেমায়ও। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে দীপিকা অভিনীত ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমাটি ব্যবসায়িক দিক থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রশিল্পের অনেক রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আলোচনার জন্ম দেয়। ওই সময়ই ছবির নির্মাতার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় ‘কল্কি’র সিক্যুয়াল নির্মাণ করা হবে। তবে শুরুতে শোনা যাচ্ছিল, সিক্যুয়ালে কোনো এক রহস্যময় কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে দীপিকাকে। পরে শোনা যায়, দীপিকাই থাকছেন ‘কল্কি-২’-তে। ছবিতে সংগ্রামী এক মায়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছেন ‘কল্কি’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রযোজক দুই বোন প্রিয়াঙ্কা এবং স্বপ্না দত্ত।
সম্প্রতি ভারতের ৫৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমা প্রদর্শনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা এবং স্বপ্না দত্ত। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিনেমাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। এ সময় সিনেমায় দীপিকা পাড়ুকোনের চরিত্র সম্পর্কে স্বপ্না দত্ত বলেন, ‘দ্বিতীয় কিস্তিতেও দীপিকা পাড়ুকোন থাকছেন। এখানে কিছু অংশে দীপিকাকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে।’
এদিকে বাস্তবজীবনে মা হওয়ার পর বিচিত্র বিচিত্র সময় পার করছেন দীপিকা। আপাতত মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন তিনি। এখন ছোট্ট দুয়াকে ঘিরেই তার দিন কাটছে। আর সেই কারণেই কী ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’র সিক্যুয়াল থেকে বাদ যেতে চলেছেন তিনি- এমন সংশয়ও দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই নাকি ছবির ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ শুটিং শেষ হয়ে গেছে। তবে এখনই ফ্লোরে ফিরছেন না দীপিকা। শোনা যাচ্ছে, মেয়ে একটু বড় হয়ে গেলে তবেই ফ্লোরে ফিরতে পারবেন তিনি।
‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’-তে সুমতির চরিত্রে দেখা গিয়েছিল দীপিকাকে। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে ছবির গল্প। তার সন্তানকে বাঁচানো নিয়েই আবর্তিত হয়েছে ছবির গল্প। তবে কি সিক্যুয়ালে দেখা যাবে না এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রকে? সদ্য ছবির প্রযোজক এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘কল্কি’র সিক্যুয়ালের গল্প দীপিকাকে ছাড়া সম্ভব নয়। ছবির দ্বিতীয় লটের বেশ কিছুটা অংশে দেখা যাবে দীপিকাকে। তবে তিনি ছাড়াও ছবির অন্যান্য দিক থাকবে। আপাতত দীপিকাকে বাদ রেখেই ছবির কাজ চলছে। দীপিকা মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে ফিরলে তার অংশের শুটিং হবে, এমনটাই জানিয়েছেন প্রযোজক।
বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। বর্তমানে অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও বিভিন্ন রিয়েলিটি শোর বিচারক হয়ে দর্শকের সামনে আসেন এই ‘ধারকান’ কন্যা। ফ্যাশন সচেতন শিল্পার পয়স ৪৬ পেরিয়ে গেলেও নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন ঠিক যেন অষ্টাদশীর ন্যায়। তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই, দুই সন্তানের মা তিনি। বলিউডের অন্যতম ‘ফিট’ অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির সময়টা ভালো যাচ্ছে না। একের পর এক ঝামেলায় জড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এবার একটু স্বস্তির খবর মিলল এই অভিনেত্রীর। পুরনো একটি অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন তিনি।
গত বছর একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ‘ভাঙ্গি’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন শিল্পা শেঠি। এ শব্দটি বাল্মিকী সম্প্রদায়ের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয় নায়িকার বিরুদ্ধে। শিল্পার বিরুদ্ধে করা হয় এফআইআর। সেই এফআইআর ১১ বছর পর প্রত্যাহার করে নেন রাজস্থান হাইকোর্ট। জানা গেছে, রাজস্থান হাইকোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত প্যাটেল এবং রাজ্যের আইনজীবীর সমস্ত যুক্তি শোনার পর ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর কোতোয়ালি চুরু থানায় দায়ের করা এফআইআর নম্বর ২৫৮/২০১৭ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, আইপিসি ১৫৩ (এ) ধারা এবং ধারার অধীনে অভিযুক্ত অপরাধের জন্য।
২০১৩ সালে অশোক পানওয়ার কর্তৃক এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছিল পুলিশের কাছে। সালমান খান এবং শিল্পা শেঠি কথোপকথনের সময় নায়িকা ‘ভাঙ্গি’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন, যা বাল্মিকী সম্প্রদায়ের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল সেই সময়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করা এবং তদন্ত শুরু হয়েছিল। আদালতে শিল্পা শেঠির আইনজীবী প্রশান্ত প্যাটেল বলেন, ‘২০১৩ সালে যে কথাটি অভিনেত্রী বলেছিলেন, এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে যে অভিযোগ করা হয়েছিল, সেটি করা হয়েছিল ২২/১২/২০১৭ সালে। হিসাব করলে বোঝা যাবে, প্রায় তিন বছর পর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, যা একেবারেই যুক্তিহীন।’ প্যাটেল আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে যে অপরাধ করা হয়েছিল তার অভিযোগ করা হয় ২০১৭ সালে একটি ধারার অধীনে। ২০১৩ সালে এ ধারা প্রচলিত ছিল না তাই ২০১৭ সালের এ ধারার অধীনে কিছুতেই অভিনেত্রীকে শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়।’
সময়টা আগের মতো জমজমাট নেই চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর। তার অভিনীত সবশেষ ছবিগুলো খুব একটা ব্যবসায়িক সফলতা পায়নি। একাধিক সিনেমা আটকে থাকলেও মিলছে না মুক্তি। বলা চলে আলোচনা থেকে অনেকটা দূরেই রয়েছেন এই নায়িকা। সম্প্রতি নতুন একটি সিনেমা হাতে পেয়েছেন বুবলী। কক্সবাজারে গোপনে চলছে এই ছবির শুটিং। এ কারণে ছবিটি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাননি বুবলী এবং সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। শুটিং পর্ব শেষ হলেই বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতাপক্ষ।
তবে এবার কাজের খবর নয়, হঠাৎ করে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়ার অ্যাপের প্রচারণামূলক একটি ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে বুবলী জানিয়েছেন, সেই জুয়ার অ্যাপের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার খবরও। প্রচারণামূলক সেই ভিডিওতে বুবলীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বুবলী। ...একজন শুভেচ্ছাদূত। তোমরা সবাই কি তৈরি আছ? অনলাইন স্পোর্টস এবং ক্রিকেট অভিজ্ঞতাকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য।...শুধুমাত্র একটি আঙুলের ছোঁয়ায়। সুযোগ হাতছাড়া কোরো না।....জেতার আনন্দ উপভোগ করো, নিরাপত্তার স্বার্থে।...যেখানে খেলা শুধু জেতার জন্য।’
শবনম বুবলী সাধারণত তার ফেসবুক পোস্টের মন্তব্যের ঘর সবার জন্য উন্মুক্ত রাখেন। তবে জুয়ার অ্যাপের প্রচারণামূলক এই ভিডিওটি পোস্টের পর মন্তব্যের ঘর বন্ধ করে রেখেছেন।
গত শুক্রবার রাতে ভিডিওটি পোস্ট করার পরপরই সমালোচনার মুখে পড়েন। কেউ কেউ বলেন, বুবলীও তাহলে জুয়ার অ্যাপের প্রচারণা শুরু করলেন! নাজমুন নাহার নামের একজন লিখেছেন, ‘শেষমেশ বুবলীও কি জুয়ার প্রমোশন করল।’ এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বুবলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঢালিউডের জুয়ার অ্যাপের প্রচারণায় কোনো নায়িকার অন্তর্ভুক্তি এবারই প্রথম নয়। এর আগে নুসরাত ফারিয়া, পরীমনি, অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহির মতো তারকাদেরও দেখা গেছে। তবে বাংলাদেশের আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া ও বাজি ধরা নিষিদ্ধ। প্রচার-প্রচারণায়ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গেল জুন মাসে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষকদের বরাতে প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে তারকাদের এ ধরনের বিজ্ঞাপনচিত্রে নেওয়া হয়। এতে সাধারণ মানুষ তারকাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে জুয়ার ফাঁদে পা দেন।
এর আগে অনলাইনে জুয়ার বিস্তার নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে টিআইবি।
ক’দিন ধরেই বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমান সংবাদের শিরোনাম। নিজের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সরব ছিলো মিডিয়া। দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন এই মিউজিক মায়েস্ট্রো। এই মুহূর্তে বিষাদেই ডুবে রয়েছেন এই অস্কারজয়ী সুরকার। তবে বিষাদের মেঘের মাঝেই উঁকি দিল আনন্দের সংবাদও।
সদ্যই ভক্তদের দুঃসংবাদ দেওয়া এ আর রহমান এবার দিলেন সুসংবাদ। ‘হলিউড মিউজিক ইন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে’সংগীত-ফিচার ফিল্ম ও স্কোর-ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে সেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে এ আর রহমানের ঝুঁলিতে আছে অস্কার ও গ্র্যামির মতো অ্যাওয়ার্ড। এবার তার সফলতার মুকুটে আরো একটি পালক যুক্ত হলো। ‘দ্য গোট লাইফ’চলচ্চিত্রের পেরিয়োন গানের জন্য পেয়েছেন এ সম্মানসূচক পুরস্কার। এই আনন্দের সংবাদটি এ আর রাহমান নিজেই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছেন। সাবেক স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার পর সামাজিক মাধ্যমে এটাই তার প্রথম পোস্ট। অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে সংগীত পরিচালক লিখেছেন, ‘এ অর্জনে আমি এবং আমাদের গোটা টিম গর্বিত।
এ সিনেমাটিকে জীবন্ত করার জন্য যারা অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। পুরো ‘দ্য গোট লাইফ’ টিম এবং দশর্কদের ধন্যবাদ। তাদের ভালোবাসায় আমাদের কষ্ট সফল হয়েছে।’ গত ২৮ মার্চ মুক্তি পায় দক্ষিণের সিনেমা ‘দ্য গোট লাইফ’। মুক্তির পরই সিনেমাটি আলোচনায় আসে। সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। তার চরিত্রের নাম নাজিব, ঘটনাচক্রে মরুভূমিতে ছাগল চরায়। সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করেন ব্লেসি। সিনেমাটি দর্শক-সমালোচকদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি বক্স অফিসেও দারুণ আয় করেছে।
এদিকে সম্প্রতি এ আর রহমান-সায়রা বানুর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের কথা জানান সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ। এরপর সায়রা বানু ও এ আর রহমানও গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এ আর রহমান। তাদের তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও আমিন।
শুরুতে উপস্থাপনা ও টুকটাক গান করলেও নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমেই পরিচিত পান দুই বাংলার এই সময়ের আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। কয়েক বছর আগেও টিভি খুললেই দেখা মিলত মিথিলার। রোমান্টিক গল্পে তার অভিনয় মুগ্ধ করত দর্শকদের। তবে গত চার বছর নাটকে দেখা নেই মিথিলার। এখন মাঝে মধ্যে ওয়েব সিরিজ ও সিনেমায় অভিনয় করছেন। তবে নাটক থেকে একেবারেই দূরে আছেন। মিথিলার মতে, গল্প ও চরিত্র পছন্দ না হওয়ার কারণেই নাটকে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রায় চার বছর টেলিভিশনের কোনো কাজ করছি না। তাই বলে এমন নয় যে নাটকে আর অভিনয় করব না। সত্যি বলতে, লাস্ট কয়েক বছর ধরে যে ধরনের চিত্রনাট্য পাচ্ছি, তা আমাকে টানছে না। চরিত্র পছন্দ হচ্ছে না, গল্প খুব গতানুগতিক মনে হচ্ছে। গল্প শুনে মনে হয়, এমন গল্পে আগেও অভিনয় করেছি। এ কারণেই মূলত নাটকে কাজ করা হয়ে উঠছে না।’
মিথিলা এখন এমন ধরনের কনটেন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে চান, যেখানে অভিনয় করার সুযোগ থাকবে। নিজেকে ভেঙে নতুন চরিত্রে থিতু হওয়ার চ্যালেঞ্জটা নিতে চান। মিথিলা বলেন, ‘টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করার সময় একই ধরনের চরিত্র করেছি অনেকবার। পাশের বাসার মেয়ে টাইপ চরিত্র, প্রেমের গল্পের নায়িকা। কিন্তু ওটিটি ও সিনেমায় আসার পর সব সময় চেষ্টা করেছি ভিন্ন কিছু করার। এই সিদ্ধান্তটা আসলে নিজের জন্যই নেওয়া।’
কাজলরেখা সিনেমা ও অ্যালেন স্বপন ওয়েব সিরিজের উদাহরণ টেনে মিথিলা বললেন, ‘একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখতে চাই। সেই চাওয়া থেকেই কাজলরেখা সিনেমায় কঙ্কন দাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। প্রথমে আমিও হয়তো ভাবিনি, চরিত্রটি করতে পারব। কিন্তু শিল্পীর জায়গা থেকে চিন্তা করেছি, এটা করা উচিত। মাই শেলফ অ্যালেন স্বপনের শায়লা চরিত্রটি দেখার পর অনেকে বলেছে, তারা নাকি ভাবেননি আমি এমন চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারব।’
মিথিলা বলেন ‘দেশে বড় একটা পরিবর্তন এসেছে। সব মিলিয়ে গত দুই-তিন মাস কাজ নিয়ে কেউ হয়তো ভাবছিল না। দেশে যখন বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন আসে, সবাই তখন সেটা নিয়েই ভাবে। এখন আবার সিনেমা-সিরিজ নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে। কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়েছে এরই মধ্যে। নতুন বছর নিয়ে সবার মতো আমারও অনেক প্রত্যাশা।’
‘জেলো’খ্যাত মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ। বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০২২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই তারকা। বিয়ের মাত্র দুই বছর পরই বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করে বসেন এই তারকা জুটি। কিন্তু এখন এই বিবাহবিচ্ছেদ প্রেমের মতোই জটিল মনে হচ্ছে তাদের কাছে। বিচ্ছেদের আবেদন করার মাত্র কয়েক মাস পরই জানা গেছে, জেনিফার লোপেজ নাকি বিষয়গুলো পুনরায় ঠিক করার চেষ্টা করছেন। মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী এই অভিনেত্রী আবারও বেন অ্যাফ্লেকের কাছে যাওয়ার জন্য পারিবারিক সময়কে কাজে লাগাচ্ছেন। হিট ওয়ার্ল্ডও একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে।
মার্কা এই জুটির ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাতে বলেছে, বেন অ্যাফ্লেক চেষ্টা করছেন নিজেকে জেন (জেনিফার লোপেজ) থেকে দূরে রাখতে, কিন্তু সে এটা হতে দেবে না। একই অনুষ্ঠানে দুজনেই উপস্থিত হচ্ছেন এবং বাচ্চাদের নিয়ে সব ধরনের কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন লোপেজ তাকে একসঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপনের জন্য চাপ দিচ্ছেন, যদিও বেন অ্যাফ্লেক রাজি হচ্ছেন না।
প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের সন্তানরা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ কীভাবে মেনে নেবে এটা ভেবে জেনিফার লোপেজও বেশ চিন্তিত। কারণ, তাদের পরিবার ইতোমধ্যেই ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তবে বেন অ্যাফ্লেক এই পুনর্মিলন নিয়ে এখনো দ্বিধায় আছেন। বেন অ্যাফ্লেক এবং জেনিফার লোপেজ প্রথমবারের মতো ডেটিং শুরু করেন একুশ শতকের শুরুর দিকে। তৎকালীন হলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী জুটিতে পরিণত হন তারা। ২০০৫ সালে তারা বাগদান সম্পন্ন করলেও শেষ পর্যন্ত সেটা বাতিল করে আলাদা হয়ে যান। মাঝে দীর্ঘ বিরতির পর ২০২১ সালে এসে পুনরায় ডেট করতে শুরু করেন, যেটি ২০২২ সালে এসে পূর্ণতা পায় বিয়ের মাধ্যমে।