প্রায় সময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন অভিনেতা জায়েদ খান। সিনেমা কিংবা অভিনয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয় এই অভিনেতাকে ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই মজা করে লিখেন জায়েদ খানের কোনো ভক্ত নেই। যদিও জায়েদ খান বরাবরই প্রমাণ করার চেষ্টা করেন নারীরা তার বিশাল ভক্ত। তবে এবার কোনো সাধারণ নারী নয়, জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরী জায়েদ খানের ভক্ত বলে জানা গেছে। তবে সেটি সিনেমা পর্দায়। সিনেমার পর্দায় জায়েদ খানের ভক্ত হিসেবে দেখা যাবে পূজা চেরীকে।
আজ রোববার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন এই সিনেমার শুটিং। এ সিনেমার গল্প জায়েদ খানকে কেন্দ্র করে। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, জায়েদ খান নায়ক হিসেবে সিনেমার শুটিং করতে যান গ্রামে, সেখানেই জায়েদ খানের ভক্ত হিসেবে হাজির হবেন পূজা চেরী। সিনেমার নাম ‘লিপস্টিক’। এটি পরিচালনা করছেন কামরুজ্জামান রোমান। বিষয়টি গণমাধ্যমে জানিয়েছেন জায়েদ খান।
তিনি বলেন, ‘আজ রোববার থেকে শুটিং শুরু হচ্ছে। এই সিনেমায় আমি আমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে যাচ্ছি। এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য মাইলফলক। এমন একটি কাজের সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। আর এখানে আমার ভক্তের চরিত্রে অভিনয় করছেন পূজা চেরী।’
এই সিনেমার মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো পূজা চেরীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে যাচ্ছেন জায়েদ খান। এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘পূজা চেরী আমার পছন্দের অভিনেত্রী। ভীষণ ট্যালেন্টেড শিল্পী সে। তাঁর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছি, আবার সে আমার ভক্ত চরিত্রে অভিনয় করছে, এটা ভালো লাগার মতো বিষয়।’
‘লিপস্টিক’ নামের এই সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন আদর আজাদ ও মিশা সওদাগর।
নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। সময়ের পরিক্রমায় অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হয়েছেন অনেক আগেই। এর মধ্যে কয়েকবারই সিনেমায় ফেরার কথা জানিয়েছিলেন নায়িকা। এরপর তিনি সত্যি ফিরেছিলেন লাইট-ক্যামেরার সামনে। গেল বছরের এপ্রিলে ‘রঙ্গনা’ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘ অনেক বছর পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান শাবনূর। মে মাসে অর্ধেকের বেশি সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শেষ করে আবার সিডনিতে ফিরে যান নায়িকা। এরপর কেটে যায় ১৪ মাসেরও বেশি সময়।
চলতি বছরের ৮ আগস্ট থেকে সিনেমার বাকি অংশের শুটিং হওয়ার কথা থাকলেও দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশেই ফিরতে পারেননি শাবনূর। এরপর ‘রঙ্গনা’র দ্বিতীয় ধাপের শুটিং শুরু করার কথা থাকলেও পরে জানা যায়, সম্মানীর কারণে শাবনূরের নতুন শিডিউল পাচ্ছেন না এই নির্মাতা। মাঝপথে থেমে গেছে ‘রঙ্গনা’র কাজ। এর আগে শাবনূর জানিয়েছিলেন, নির্মাতা তার সঙ্গে নাকি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। সব মিলিয়ে এমনও রটনা রটে, সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে শাবনূর তার ভক্তদের আশ্বস্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তিনি সিনেমাটিতে কাজ করছেন। এরপর আরো কয়েক মাস কেটে গেলেও তার শুটিংয়ে ফেরার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে এই সিনেমার নির্মাতা আরাফাত বলেন, ‘কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, ‘রঙ্গনা’র শুটিং আর হচ্ছে না। এটা পুরোপুরি অবাস্তব কথা। শিগগিরই শাবনূর আপা দেশে আসবেন, তারপর শুরু হবে শুটিং। শাবনূর আপার সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে সিনেমার শুটিং করার পরিকল্পনা আছে।’
বর্তমান সময়ে নাটকের জনপ্রিয় জুটি নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। জুটি বেঁধে এরই মধ্যে তারা দেড় শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। গত ঈদেও একাধিক নাটক মুক্তি পেয়েছে তাদের। এর মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এসেছে কয়েকটি নাটক।
এবার নতুন আরও এক ইতিহাস গড়লেন এ জুটি। তাদের অভিনীত নাটক ‘শশুরবাড়িতে ঈদ’ ভিউয়ের দৌড়ে আগেই পেছনে ফেলেছিল বাংলা নাটকের সর্বাধিক ভিউয়ের নাটক ‘বড় ছেলে’কে। এবার আরও একটি অর্জন জমা হয়েছে এ জুটির ঝুলিতে। মাত্র ১৪ মাসে নাটকটি ইউটিউবের সর্বাধিক ভিউয়ের খাতায় নাম লেখায়। যা দ্রুততম সময়ে অধিক ভিউ। এখন পর্যন্ত নাটকটি দেখেছেন ৬ কোটির অধিক দর্শক। এটি বাংলা নাটকের ইতিহাসে অনন্য এক রেকর্ড।
গত বছরের এপ্রিল মাসে ইউটিউবে মুক্তি পায় নাটকটি। গত আট বছর ধরেই শীর্ষ এই স্থানটি ধরে রেখেছিল ‘বড় ছেলে’ নাটক। ভিউয়ের দিক থেকে এখন এটির অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। এর ভিউ ৫ কোটি ৪৮ লাখ পেরিয়েছে।
‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করার ঘটনাকে ঘিরে। বিয়ের পর দূরে থাকলেও এবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখে পড়েন জামাই।
চলতি বছর ফের গানে নিয়মিত হলেন কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। স্টেজ শোর পাশাপাশি নতুন গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেন তিনি।
আজ সোমবার (৩০ জুন) ‘প্রাণের বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি দেশের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন আরিফ হোসেন বাবু। এটির সংগীত পরিচালনা করেছেন রোহান রাজ। এ গান প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘গানটির কথাগুলো খুব সুন্দর। প্রচলিত মডার্ন সুরে দেশের এ গান। শুনতে বেশ ভালো লাগে। রোহান যেমন ভালো গায়, তেমনই এ গানে ভালো সংগীতও করেছে। আশা করছি, শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’ গীতিকার-সুরকার আরিফ হোসেন বাবু বলেন, ‘গান নিয়ে সাবিনা আপার পাশে দাঁড়ানোও একটা সৌভাগ্যের বিষয়। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এমন একজন কিংবদন্তির কণ্ঠে আমার একটি গান থাকা এটি অনেক বড় আনন্দের বলতে পারি।’ সংগীত পরিচালক রোহান রাজ বলেন, ‘গান নিয়ে ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখেছি। যাদের গান শুনে বড় হয়েছি তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য ভীষণ আনন্দের। তার মধ্যে সাবিনা আপা আমাদের লিজেন্ড। তিনি আমার সংগীতে গেয়েছেন, এটিই আমার জন্য বড় পাওয়া।’ সাবিনা ইয়াসমিনের সর্বশেষ প্রকাশিত গান ‘আমার পতাকা লাল-সবুজে আঁকা’। তার সঙ্গে গানটিতে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। এটি লিখেছেন মনিরুজ্জামান মনির। সুর-সংগীত পরিচালনা করেছেন মনোয়ার হোসাইন টুটুল।
দুই বাংলার তিন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী—ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও চঞ্চল চৌধুরী—প্রথমবারের মতো একসঙ্গে বড় পর্দায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন। পরিচালক অমিতাভ ভট্টাচার্য পরিচালিত নতুন ছবি ‘ত্রিধারা’-তে দেখা যাবে এই তিনজনকে।
ছবির প্রযোজনায় রয়েছেন অমিত মুখোপাধ্যায়। প্রাথমিক কথাবার্তা চললেও দর্শকদের প্রত্যাশা, এই ছবি মুক্তি পেলে দুই বাংলার অভিনয়প্রেমীরা এক ফ্রেমে তিন কিংবদন্তিকে দেখতে পাবেন।
‘ত্রিধারা’ নাম থেকেই স্পষ্ট, এটি তিনটি ভিন্ন জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে। প্রেম, অতীত এবং জীবনের বাস্তবতা—এই ত্রিমুখী রসায়নের জটিলতায় গাঁথা হবে সিনেমার কাহিনি।
চরিত্রদের জীবনে ২৫ বছর আগেকার প্রেম হঠাৎ ফিরে এলে কীভাবে তা বর্তমানকে এলোমেলো করে দেয়, কীভাবে মানুষ নিজের ভাঙা জীবনকে গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করে—এই টানাপড়েনকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হবে ‘ত্রিধারা’।
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা হয়নি, প্রাথমিক পর্যায়ে কলাকুশলীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী কেউই এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি।
এদিকে, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে ব্যস্ত আছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত পরিচালিত ছবি ‘গৃহপ্রবেশ’ নিয়ে। ছবিতে আরও রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, জিতু কমল, সোহিনী সেনগুপ্ত ও রুদ্রনীল ঘোষ।
ছোটপর্দায় শুদ্ধ অভিনয়ের জন্য তাসনিয়া ফারিণ অনেক আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কখনও গল্পের আবেগঘন কেন্দ্রবিন্দু, কখনও বা কাঁধে চেপে থাকা সম্পর্কের ভার—সবই তিনি বহন করেছেন সুনিপুণ দক্ষতায়। সিনেমার পর্দা তো ভিন্ন মেজাজের! আবার যদি হয় বাণিজ্যিক সিনেমা? সেটি যেন এক অন্য মহাকাব্য; যেখানে আবেগের পাশাপাশি লাগে অ্যাকশন, গ্ল্যামার আর সঠিক ‘স্ক্রিন প্রেজেন্স’। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাফ’ যেন সেই পরীক্ষাতেই ফারিণের সাহসী অংশগ্রহণ।
মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তি ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়’। মানুষের এই বদলে যাওয়াটা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় হয়। কখনও তা নান্দনিক, কখনও তা জরাজীর্ণ। তবে মানুষ সময়ের সঙ্গে বদলে যেতে থাকে। সেটি নানাভাবে নানামাত্রায়। এই বদলে যাওয়া কখনও প্রশংসিত, কখনও বা তিরস্কৃত। নাটক ও ওটিটি কনটেন্টের অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণও বদলে গেলেন। তার এই বদলে যাওয়া প্রশংসিত হলেও ঢের অবাক হয়েছেন দর্শকরা।
যে ফারিণকে এতকাল যারা দেখেছেন কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া প্রেমিকার চরিত্রে, পাশের বাসার মিষ্টি মেয়ের চরিত্রে কিংবা ঝগড়াটে প্রেমিকা হিসেবে। সেই ফারিণ সিনেমায় এসে হয়ে উঠলেন অ্যাকশন গার্ল! শাড়ি পরে ভারতের দক্ষিণী নায়িকাদের মতো তুমুল মারপিট করলেন। পুলিশের পোশাকে তার ক্যারিশমা দেখলেন সবাই। শুধুই কী তাই, ফারিণ আইটেম গানেও নাচলেন। নাচালেন দর্শকদেরও। কীভাবে ফারিণ এতটা বদলালেন? প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ, কয়েক বছর আগেও নাটকের অভিনেত্রীরা সিনেমায় এসে এমন চরিত্র করবেন তা যেন কল্পনারও বাইরে ছিল। যারাও এসেছেন তারাও আর্টফিল্ম টাইপের সিনেমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছেন। নাচগান আর অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমায় তাদের ভাবাও যায়নি। অথচ ফারিণ সেটি করে দেখালেন। কোমল ফারিণ হয়ে উঠলেন মারকাটারি জাহান খান। ইনসাফ ফারিণের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক সিনেমা। নাটক-ওটিটি কিংবা ভিন্ন ধারার গল্পের সিনেমার পর ‘ইনসাফ’-এ ফারিণ নিজেকে যে রূপে উপস্থাপন করেছেন, তা সাহসী, শারীরিক ও মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং—একজন ‘অ্যাকশন হিরোইন’। এই রূপান্তরের পেছনে লুকিয়ে আছে তার পরিশ্রম, প্রস্তুতি এবং আত্মনিবেদন। ফারিণের মতে, পুরো প্রজেক্টে তার আত্মবিশ্বাস এসেছিল মূলত স্ক্রিপ্ট পড়ে, নির্মাতা ও সহ-অভিনেতাদের প্রতি বিশ্বাস থেকে। জাহান চরিত্রটি শুধু মানসিক গভীরতা নয়, চাইছিল শারীরিক প্রস্তুতিও। এখানেই ফারিণের রূপান্তর সবচেয়ে দৃশ্যমান। ট্রেনিং, স্টান্ট রিহার্সাল, দিনের পর দিন কঠিন শুটিং— সব কিছু মিলিয়ে ফারিণ যেন নিজেকেই নতুন করে চিনেছেন। যারা ছবিটি দেখেছেন, তারা জানেন— এই অভিনেত্রী শুধু সংলাপে নয়, শরীরী অভিব্যক্তি, লড়াইয়ের দৃশ্য–এমনকি গানেও দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ‘আকাশেতে লক্ষ তারা’ গানে তার পারফরম্যান্স, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত।
দুই দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার জিয়াউল ফারুক অপূর্বের। মডেলিং দিয়ে শুরু, এরপর নাম লেখান অভিনয়ে। নান্দনিক অভিনয় ও চরিত্রের ভিন্নতায় আজ তিনি টেলিভিশন নাটকের বরপুত্র, অনেকে তাকে রাজপুত্রও বলে থাকেন। রোমান্টিক অবয়বের জন্য ভক্তরা তাকে ‘রোমান্স কিং’ বলেও আখ্যা দেন।
গতকাল শুক্রবার জনপ্রিয় এ তারকার জন্মদিন। দেখতে দেখতে জীবনের অনেকগুলো বসন্ত পার করে দিলেন। ঘড়ির কাঁটা বারোটা বাজার আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহকর্মী, ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এ সুপারস্টার।
মজার বিষয় হলো, আজ বাবা-ছেলে দুজনেরই জন্মদিন।
নিজের জন্মতারিখেই পৃথিবীতে আসেন অপূর্বর একমাত্র ছেলে জায়ান ফারুক আয়াশ। বাবা-ছেলে দুজনেই সবার ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। নিজের জন্মদিন নিয়ে কখনও কোন আয়োজন না করলেও আয়াশকে ঘিরে প্রতিবারই বাসায় ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজন রাখা হয়। তবে এবার দেশের বাইরে থাকায় ছেলেকে নিয়ে কোনো আয়োজন নেই বাবা অপূর্বের।
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, ‘আজকের দিনটা শুধুই একটা তারিখ নয়, বরং জীবনের সবচেয়ে অলৌকিক উপহার স্মরণ করার দিন। আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু এই দিনটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, কারণ আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ, আমার ছেলে আয়াশেরও জন্মদিন। একই দিনে আমরা দুজন, বাবা ও ছেলে—জীবনের এই অনন্য বন্ধনটুকু ভাগ করে নেওয়া যেন এক অদ্ভুত আশীর্বাদ, জীবনের সবচেয়ে সেরা উপহার।’
সবার ভালোবাসায় সিক্ত হওয়া নাটকের এই ‘বড় ছেলে’ আরো বলেন, ‘সকাল থেকেই চারপাশটা ভরে উঠেছে অফুরন্ত ভালোবাসায়। বন্ধু-বান্ধবের শুভেচ্ছা, পরিবারের আলিঙ্গন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়া, আর আপনাদের—আমার কাছের কিংবা দূরের ভক্তদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা। প্রতিটি বার্তা, প্রতিটি ফোন, প্রতিটি মিষ্টি শব্দ আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
এই দিনে বুঝি—জীবনে সত্যিকারের সৌভাগ্য কী! আমার আয়াশকে সঙ্গে নিয়ে এই দিনটা উদযাপন করতে পারা, এবং আপনাদের সবার শুভকামনায় সিক্ত হওয়া—এ যেন জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত।’
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশে থাকার জন্য, এই আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য, এবং আবারও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে আমরা কতটা ভাগ্যবান—সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা। আমার এবং আয়াশের পক্ষ থেকে, অসংখ্য ভালোবাসা, হৃদয়ের গভীর থেকে আরও একবার—ধন্যবাদ।’
এর আগে অপূর্ব বলেছিলেন, এই বিষয়টা খুবই বিরল মনে হয় আমার কাছে যে, বাবা-ছেলের জন্মদিন একই তারিখে। আমি সত্যি ভীষণ ভাগ্যবান বাবাদের একজন। নিজেকে পৃথিবীর সেরা ভাগ্যবান বাবা বলে মনে হয়। আয়াশ আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। আমি কখনোই আমার জন্মদিন ঘটা করে পালন করি না তবে এ দিনটা আয়াশকে ঘিরেই কাটিয়ে দেই সবসময়। সেই আয়োজনের আনন্দে নিজের জন্মদিনের কথা ভুলেই যাই।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। আগামী সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রি-বুকিংয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া না পেলেও মুক্তির পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। দর্শকের ভালোবাসা আর প্রশংসায় ভাসছে আমির খানের নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পার’। বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ছবিটি। চার দিনেই নাম লিখিয়েছে ১০০ কোটি রুপি আয়ের ক্লাবে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ৮০ কোটি রুপির বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি মুক্তির মাত্র চার দিনেই আয় করেছে ১০০ কোটি রুপি। এখন পর্যন্ত মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটিতে। ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের কাছেও মিলছে প্রশংসা।
ছবির এই অর্জনে খুশি চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। উচ্ছ্বসিত বর্ষীয়ান লেখক-চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘কে বলে ভালো ছবির দিন শেষ? ‘সিতারে জমিন পার’ তার প্রমাণ। আমির খান ও তার পুরো দলকে অভিনন্দন।’
বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে নির্মিত মানবিক এই ছবিতে আমির খানকে দেখা গেছে একজন বাস্কেটবল কোচের চরিত্রে। আর এস প্রসন্ন পরিচালিত সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া দেশমুখ। এতে অভিনয় করেছেন ১০ জন বিশেষভাবে সক্ষম শিল্পী। তাদের সবার অভিনয় দর্শক হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে।
কাশ্মীর ইস্যুতে ছবিটিকে বয়কটের ডাক এলেও এর গল্প, অভিনয় ও নির্মাণের মুন্সিয়ানার স্রোতে ভেসে গেছে সব নেতিবাচকতা। দর্শক ছবিটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন। ভালো রিভিউ দিচ্ছেন। সেসব রিভিউ দর্শক বাড়াচ্ছে সিনেমাটির।
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত মুখ জায়েদ খান। জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই স্টেজ শোয়ের কারণে তিনি অবস্থান করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর এখন পর্যন্ত আর তিনি দেশে ফিরেননি। অনুমান করা যাচ্ছে, সহসা তিনি দেশে ফিরবেনও না।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষাভাষীদের গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’য় ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ নামের বিশেষ শোয়ের মাধ্যমে প্রথমবার হোস্ট হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। প্রথম পর্বটি প্রচার হতে যাচ্ছে ৪ জুলাই, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
তবে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ প্রথম পর্বে কে বা কারা থাকছেন সে বিষয়টি আগাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন জায়েদ খান। তিনি বললেন, ‘সেটা না হয় চমক হিসেবেই তোলা থাক।’
জায়েদ খান বলেন, ‘এটা আমার জন্য এক নতুন যাত্রা। আমি এমন একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যেখানে আমাদের গল্পগুলো উঠে আসবে-বাস্তব, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং চেতনাকে নাড়া দেওয়ার মতো।’
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে টিক্কা খানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জায়েদ খান। কয়েক সেকেন্ডে পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাকে। তার জন্য বরাদ্দ ছিল একবাক্যের একটি সংলাপ। এতেই বাজিমাত করেছেন তিনি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন এই ঢালিউড তারকা। পরিকল্পনা করছেন জায়েদ খান হলিউডে সিনেমা করার বিষয়েও।
ওপার বাংলার নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির ব্যক্তিগত জীবন তথা বিয়ে-ডিভোর্স নিয়ে চর্চা যেন একটু বেশিই। তিনবার ভেঙেছে এই নায়িকার সংসার। কিন্তু ভালোবাসায় ভরসা রাখেন অভিনেত্রী। সম্পর্কের প্রতি তার বিশ্বাস এখনো অটুট। শুধু তাই নয়, বিয়েতে এখনো বিশ্বাস রাখেন নায়িকা! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই বললেন শ্রাবন্তী।
নায়িকা বলেন, ‘আমি এখনও বিয়েতে বিশ্বাস করি। কারণ আমি আমার বাবা-মাকেও দেখেছি। আমি মনে করি যারা বিয়ে করছেন, তারা ভালো থাকুন। তাদের যেন একে অপরের প্রতি স্বচ্ছতটা বজায় থাকে। কেন বিয়ে করবে না? এটা তো আমরা বহু বছর ধরে দেখে আসছি।’
কিন্তু নায়িকার কোনো দাম্পত্য সম্পর্কই স্থায়িত্ব লাভ করেনি। কোথায় ভুলটা ছিল- এমন প্রশ্নে শ্রাবন্তীর জবাব, ‘আমার যেটা ভুল ছিল, আমি জীবনে ভুল মানুষ বেছে নিয়েছিলাম, যেটা হয়তো আমার আরও ভালো করে বুঝে নিয়ে করা উচিত ছিল। আসলে আমি তো খুব ইমোশোনাল একজন মানুষ। সেখানে আমার মনে হয়, আবেগে না ভেসে, আরও বাস্তবতা দিয়ে জীবনটাকে দেখা উচিত ছিল। আমি বলব নিজের ভালো থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নিজের সম্মানটা যেখানে বজায় থাকবে সেখানে এগিয়ে যাওয়া উচিত।’
নায়িকা আরও বলেন, ‘একটাই জীবন, তাই লোকে কী বলছে না বলছে, সেটা দেখে এগিয়ে যাওয়া উচিত নয়। নিজের মন যেটা বলছে, যেটা করলে আপনার ধারণা আপনার ভালো হবে, সেটাই করা উচিত।’
বয়স ১৮ হওয়ার আগেই পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। এই বিয়ে সূত্রেই ছেলে ঝিনুক ওরফে অভিমন্যুকে জন্ম দেন তিনি। তারপর অবশ্য ২০১৬ সালে রাজীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন অভিনেত্রী। এরপর শ্রাবন্তী ফের প্রেমে পড়েন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কৃষাণ ব্রিজের সঙ্গে। তবে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সেই বিয়ের মেয়াদ ছিল মাত্র ১ বছর। তারপর ফের তৃতীয় বার রোশন সিংকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। এক গুরুদুয়ারাতে গিয়ে প্রায় চুপিচুপিই দুজনে বেঁধেছিলেন গাঁটছড়া। কিন্তু দেখা যায় যে, বছর ঘোরার আগেই, দুজনের সমস্যা শুরু। ছাদ আলাদা হয় রোশন ও শ্রাবন্তীর। তারপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দুজনে আইনিভাবে আলাদা হয়েছেন।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর সহশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির একটি বিতর্কিত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় কনা তার ফেসবুক পেজে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে লিখেন, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—সবই আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে।" ঠিক এক ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে ন্যান্সি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-বিচ্ছেদ, এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—বাণীতে শেয়াল রাণী।"
ন্যান্সির এই 'শেয়াল রাণী' উক্তিটি সরাসরি কনাকে উদ্দেশ্য করে বলে ধারণা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে কনার পোস্টের ভাষাকে হুবহু উদ্ধৃত করে এই মন্তব্য করায় বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গত বছরের একটি ঘটনাও সামনে আসছে। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই ন্যান্সি একটি শেয়ালের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা সে সময় কনাকে ইঙ্গিত করে করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। ওই সময় কনার 'দুষ্টু কোকিল' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
যদিও দুই শিল্পীই কখনও প্রকাশ্যে একে অপর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি, তবুও ন্যান্সির এই সাম্প্রতিক পোস্টকে অনেকেই কনার প্রতি পরোক্ষ আক্রমণ হিসেবে দেখছেন।
উল্লেখ্য, কনা ২০০০ সালে এবং ন্যান্সি ২০০৬ সালে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ন্যান্সির এই মন্তব্যের পর দুই শিল্পীর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।
গেল বছর থেকেই দেবের ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ছবিটি নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। তবে তখনও পর্যন্ত ছবিটি নিয়ে কোনো আপডেট ছিল না। অবশেষে জানা গেল, জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ছবিটির শুটিং। তবে শুরুর দিকে ‘প্রজাপতি ২’-তে দেবের নায়িকা হিসেবে তাসনিয়া ফারিণের নাম শোনা গেলেও এখন আর তিনি থাকছেন না। ভিসা জটিলতার কারণে বাদ পড়েছেন তিনি।
এবার ছবিটিতে দেবের নায়িকা হচ্ছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে ছবিটি নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতার আলোচনা হয়েছে। অতনু-দেব-অভিজিৎ ঠিক করেছেন, কলকাতায় তারা প্রথম শুটিং শুরু করবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশের বাইরে শুটিং করবেন। অতনু রায় চৌধুরী প্রযোজিত ‘প্রজাপতি ২’ ছবিটি পরিচালনা করবেন অভিজিৎ সেন।
প্রকাশিত হয়েছে কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের বায়োগ্রাফি, আশা ভোঁসলে: আ লাইফ ইন মিউজিক। বইটি লিখেছেন রম্যা শর্মা।
এই জীবনীতে আশা ভোঁসলের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা পড়ে বা জেনে অবাক হবেন অনেকেই।
বইটিতে তার স্বামী গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যিনি আশার থেকে ২০ বছর বড় ছিলেন। এই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত দুঃখ আর কষ্টে গিয়ে পৌঁছেছিল।
আশা ভোঁসলে লিখেছেন, ওদের পরিবার খুব রক্ষণশীল ছিল, তারা একটা গায়িকাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।
স্বামীকে নিয়ে আশা বলেন, আমার স্বামীর মেজাজ খুব খারাপ ছিল। হয়তো তিনি কষ্ট দিতে ভালোবাসতেন, হয়তো তিনি স্যাডিস্ট ছিলেন। কিন্তু বাইরের কেউ এসব জানতে পারত না। আমি তাকে সবসময় সম্মান দিয়েছি, কখনো প্রশ্ন করিনি। আমি শুধু নিজের কর্তব্য পালন করতাম।
তিনি আরও বলেন, একবার আমার মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি। আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। আমি চার মাসের গর্ভবতী ছিলাম এবং হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, যেখানে অবস্থা এত খারাপ ছিল যে মনে হয়েছিল আমি নরকে চলে এসেছি।
যোগ করে কিংবদন্তি এই গায়িকা বলেন, মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলাম, তখন পুরো এক বোতল ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার গর্ভের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আমি মারা যাইনি। আমি আবার জীবনে ফিরে এসেছিলাম।
কাজল তার নতুন হরর সিনেমা ‘মা’-এর প্রচারের সময় আলটপকা মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন। অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে এটিকে ‘ভুতুড়ে জায়গা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, বলাই বাহুল্য তার এই কথা অনেকেরই ভালো লাগেনি। সমালোচনার পর কাজল তার এক্স অ্যাকাউন্টে নতুন একটি পোস্টে সুর বদল করেন।
কাজলের বক্তব্য
নতুন বিবৃতিতে কাজল বলেন, ‘আমার ছবি ‘মা’-এর প্রচারের সময় রামোজি ফিল্ম সিটি নিয়ে আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে চাই। আমি রামোজি ফিল্ম সিটিতে একাধিক প্রকল্পের শুটিং করেছি এবং বছরের পর বছর ধরে সেখানে অনেকবার থেকেছি। আমি বরবারই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এটিকে পেশাদার জায়গা বলে মনে করেছি। দেখেছি অনেক পর্যটক এখনে ঘুরতে আসেন। এটি একটি দুর্দান্ত পর্যটন গন্তব্য; পরিবার ও শিশুদের জন্য একেবারে নিরাপদ।’
যেভাবে বিতর্ক
গালাট্টা ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, কাজলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কখনো নেতিবাচক শক্তির অভিজ্ঞতা পেয়েছেন কি না।
তিনি বলেন, ‘আমার একাধিকবার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। একে নেতিবাচক শক্তি বা যা-ই বলুন, কখনো কখনো, আপনি যখন কোনো জায়গায় যান, তখন আপনার মনে হয় যে কিছু ঠিক নেই। আমি এমন জায়গায় শুটিং করেছি, যেখানে আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি, যেখানে আমার মনে হয়েছে যদি আমি এই জায়গা ছেড়ে যেতে পারি তবে ভালো হবে। এ রকম বেশ কয়েকটি জায়গা আছে। একটি প্রধান উদাহরণ হায়দরাবাদের রামোজি রাও স্টুডিও, যা বিশ্বের সবচেয়ে ভুতুড়ে জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান যে কিছুই (ভূত) দেখিনি।’ ‘মা’ ২৭ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত ছবির অন্যতম প্রযোজক কাজলের স্বামী অজয় দেবগন।