বছর দুয়েক আগে প্রয়াত নৃত্য পরিচালক সরোজ খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বায়োপিকের ঘোষণা করেছিলেন প্রযোজক ভূষণ কুমার। এরপর এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পাকা খবর প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু বলিউডে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, সরোজের বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য নাকি প্রস্তাব পেয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত। ছবিটি পরিচালনা করবেন হানসাল মেহতা।
বায়োপিকে সরোজের ভূমিকায় অভিনয় করবেন মাধুরী। আবার কারও মতে, নৃত্যপরিচালকের বায়োপিকে নিজের ভূমিকাতেই অভিনয় করবেন মাধুরী। তবে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত এ রকম কোনো বায়োপিকের প্রস্তাব পাননি অভিনেত্রী। সূত্রের দাবি, বিগত এক মাস ধরে মাধুরী আমেরিকায় ছিলেন। এর মধ্যে নতুন কোনো ছবি নিয়ে তিনি কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি।
বায়োপিকের খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসেছেন ‘স্কুপ’খ্যাত পরিচালক হানসাল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবটাই গুজব। এখনো বিষয়টা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’ বলিপাড়ার এক সূত্রের দাবি, ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে এখনো ঘষামাজা করা হচ্ছে। কিন্তু কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি এখনো। তবে সরোজের বায়োপিক যে মাধুরীকে ছাড়া অসম্পূর্ণ, সে কথাও মেনে নিয়েছেন অনেকে। তবে এখনো পর্যন্ত মাধুরীর কাছে প্রস্তাব যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত। অভিনয়ের পাশাপাশি অনবদ্য নাচের জন্য বহুবার প্রশংসিত হয়েছেন এই বলি সুন্দরী। অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে পুরোপুরি না সরিয়ে বেছে বেছে কাজ করেন এই অভিনেত্রী। তবে নৃত্য পরিচালক সরোজ খানের বায়োপিকে এই অভিনেত্রীকেই দেখতে চায় তার ভক্তরা। তাই এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অস্কারের ৯৬তম আসরে যাচ্ছে বাংলাদেশের ছবি ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’। এই প্রতিযোগিতার বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে লড়বে ছবিটি। এটি পরিচালনা করেছেন তরুণ পরিচালকমোহাম্মদ রাব্বি মৃধা। তার প্রথম চলচ্চিত্র এটি।
অস্কারে বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে ছবি মনোনয়নের বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আহ্বান করা হলে মোহাম্মদ রাব্বি মৃধার প্রথম চলচ্চিত্র ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’ এবং মাশরুর পারভেজ পরিচালিত ‘গোয়িং হোম’ ছবি দুটি জমা পড়ে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ছবি দুটি দেখার পর মোহাম্মদ রাব্বি মৃধার প্রথম চলচ্চিত্র ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’ ছবিকে চূড়ান্ত করে ৯৬তম অস্কার বাংলাদেশ কমিটি।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু শাহেদ ইমনের প্রযোজনায় ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী দীপান্বিতা মার্টিন, মোস্তফা মনোয়ার, প্রিয়াম অর্চি প্রমুখ।
অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের আয়োজনে ২০২৪ সালের ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ৯৬তম অস্কার অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ক্যালিফোর্নিয়ার ডলবি থিয়েটারে ২৪টি শাখায় দেওয়া হবে পুরস্কার। বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম সেগুলোরই একটি।
সিনেমা হলে চলছে বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত অন্তর্জাল ছবিটি। ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ছবিটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। পরিচালক দীপংকর দীপন পরিচালিত এই সিনেমাটিকে বলা হচ্ছে দেশের প্রথম সাইবার থ্রিলার সিনেমা। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ১৮৪ হলে চলছে ছবিটি। ছবিটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী মিমসহ সব কলাকুশলী। এতে অবশ্য মিম ছাড়াও প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের স্টার সিনেপ্লেক্সে ছিল অন্তর্জালের বিশেষ প্রদর্শনী। সেখানে তারকাসহ হাজির হন সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবাই। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিমসহ অনেকেই।
সেখানেই মিম জানান, ছবিটি দেখে এক দর্শক নিজের স্বর্ণের ব্রেসলেট উপহার দিয়েছেন নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে! হাত উঁচিয়ে সেই ব্রেসলেট দেখানও মিম।
গোলাপি রঙের ব্লেজার পরে উপস্থিত হন নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি দেখা শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘সকাল থেকে খুব রেসপন্স অনেক ভালো পাচ্ছি। যারা যারাই দেখেছেন, বের হয়ে টেক্সট করছেন, ফোন দিচ্ছেন, খুব ভালো বলছেন। এই সময়ে এরকম একটি ছবি হতে পারে, বিষয়টিকে তারা উৎসাহ দিচ্ছেন।’
এরপর নিজের হাত উঁচিয়ে মিম বললেন, ‘কিছুক্ষণ আগে একজন দর্শক ছবিটা দেখে আমাকে এই গোল্ডের ব্রেসলেট উপহার দিয়েছেন।’
প্রায় ছয় কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত হয়েছে ‘অন্তর্জাল’। এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত আছে দেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে অন্তর্জাল টু নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছেন প্রযোজক।
উইকেন্ড আসতেই ছুটির মুডে থাকেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সময় রাখেন নিজের জন্য, মেয়ের জন্য। গতকাল শনিবার ভোরবেলা মেয়ের সঙ্গে কাটানো একটা মজার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিওয় দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা, মেয়ে মালতি আর দেবর ফ্রাঙ্কলিনকে নিয়ে একটি আরবান ফার্মে গিয়েছিলেন সময় কাটাতে।
প্রিয়াঙ্কা যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি একটি শার্ট ও প্যান্টের সঙ্গে টুপি পরে একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তার কাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটা ছাগল। সেটা তার কাঁধে হাঁটছে এবং সেখানে দাঁড়িয়ে আবার গাছের পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে। অভিনেত্রীর পোস্ট দেখে স্পষ্ট যে, ছাগলটা যখন তার পিঠে হাঁটছে, তার ব্যথা লাগছে, তবুও বিষয়টায় যে তিনি মজা পেয়েছেন বেজায়, সেটাও স্পষ্ট। তাকে রীতিমতো পোজ দিতে ও হাসতে দেখা যায়। অনর্গল কথাও বলে যান প্রিয়াঙ্কা।
এর পরই দেখা যায় ছোট মালতি কখনো ঘোড়ার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কখনো কুকুরের সঙ্গে খেলছে। কখনো আবার দেখা যায় মেয়েটি কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছাগলদের খাওয়া দেখছে। অন্যদিকে তার কাকা ফ্রাঙ্কলিন পাখিদের সঙ্গে খেলায় ব্যস্ত ছিলেন।
এই ভিডিও পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘কেফার সাবা আরবান ফার্মে কাটানো একটা দিন আমাদের প্রিয় কাকু ফ্রাঙ্কলিন জোনাসের সঙ্গে। ভীষণ মজা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ মিস লিমোর।’ প্রিয়াঙ্কার এই পোস্টে কমেন্ট করেন আরেক বলি সুন্দরী প্রীতি জিনতা। তিনি জানান তার যমজ সন্তানদের এখানে নিয়ে যাবেন বেড়াতে। অনেকের আবার নজর কেড়েছে ছোট্ট মালতির হাঁটাচলা, কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা।
অন্যদিকে, আজ বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন পরিণীতি চোপড়া। দিদি প্রিয়াঙ্কা তার বিয়েতে আসবেন কি না এখনো স্পষ্ট নয়। তবে না এলেও বোনের জন্য কিন্তু শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছেন। এদিন ইনস্টাগ্রামে পরিণীতির একটি ছবি পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘আশা করি এই ছবির মতোই তুমি তোমার সব থেকে বিশেষ দিনটিতে আনন্দে এবং খুশিতে আছ। অনেক ভালোবাসা নিও।’
শিশুদের কাছে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুর। ইকরি, হালুম, টুকটুকি থেকে শুরু করে সবগুলি চরিত্র তাদের প্রিয়। তবে শিশুদের প্রিয় এই অনুষ্ঠানটি এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুরাও শুনতে পারবে। কারণ তাদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব। উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)। সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দি ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ এই পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হয়েছে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচারিত হবে।
বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি এবং শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর। ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।
ঢাকায় গান গাইতে আসছেন ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ‘অঞ্জন ইন ঢাকা মেট্রোপলিস উইথ আহমেদ হাসান সানি’ শীর্ষক কনসার্টে গাইবেন এই গায়ক। কনসার্টের আয়োজন করছে কারখানা ও আর্কলাইট ইভেন্টস। আসার আগে অঞ্জন দত্ত ভক্তদের কাছে চেয়েছেন গানের তালিকা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অঞ্জন দত্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, প্রিয় ঢাকা, আমি অঞ্জন দত্ত আর আহমেদ হাসান সানি আগামী ৩০ তারিখ আসছি ঢাকার আলোকি অডিটোরিয়ামে। মূলত একটা সন্ধ্যা আপনাদের সঙ্গে গান, স্মৃতিচারণা, আড্ডা, মানে সব মিলিয়ে একটা আনন্দের সময় কাটাতে এসে পড়ব।
দর্শকদের উদ্দেশে অঞ্জন বলেন, দেখা হবে। আমার থেকে কী কী গান শুনতে চান কমেন্টে জানাতে পারেন, দেখি কোনগুলো গাওয়া যায়।
প্রি-বুকিংয়ে ব্যাপক সাড়ার পর দর্শকরা এখন হাতে পাচ্ছে টিকিট। এ নিয়ে আর্কলাইট ইভেন্টসের কো-ফাউন্ডার ডা. ইমতিয়াজের ভাষ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গান করবেন অঞ্জন দত্ত। তার সঙ্গে আরও গান করবেন বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী আহমেদ হাসান সানি।
ঢাকার আহমেদ হাসান সানি সাম্প্রতিক সময়ে ‘শহরের দুইটা গান’, ‘আমরা হয়তো’ ইত্যাদি গানে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন। তারও আগে ‘মুক্তাঞ্চল’ অ্যালবাম দিয়ে কিংবা ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমায় গান গেয়েও প্রশংসিত হয়েছেন।
এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশে গান করতে এসেছেন অঞ্জন দত্ত। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত মঞ্চে গান শুনিয়ে গেছেন এই শিল্পী।
বলিউডের মেগাস্টার সালমান খান। একের পর ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে ভারতীয় সিনেমার বক্স অফিসে তিনি এক রাজা। সবচেয়ে বেশি ১০০ কোটি আয়ের সিনেমা এই তারকার দেয়া। সম্প্রতি শাহরুখ খানের পরপর দুটি সিনেমা বক্স অফিসে ৫০০ কোটির আয় ছাড়িয়েছে।
তাই বলিউডে এখন আয়ের নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি হচ্ছে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এবার সেই প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানালেন সালমান খানও। সম্প্রতি গিপ্পি গ্রেওয়ালের নতুন পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র ‘মওজা হি মওজা’র ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠানে গিয়ে সালমান খান বলেন, ‘১০০ কোটির ক্লাব এখন সবার নিচে।’
একটি ভাইরাল পোস্টে দেখা যায় সেই অনুষ্ঠানে সালমান খানকে সঞ্চালক জিজ্ঞেস করছেন, ‘১০০ কোটির ক্লাব প্রসঙ্গে যদি কথা বলি, আপনি তো সেই ক্লাবের একেবারে পোস্টার বয়। আজকাল পাঞ্জাবি সিনেমাও ১০০ কোটি টাকা আয় করে ফেলছে, কী বলবেন সেই বিষয়ে?’
উত্তরে সালমান খান বলেন, ‘আমার মনে হয় ১০০ কোটির ক্লাব এখন সবার নিচে। এখন পাঞ্জাবি, হিন্দি বা অন্য সব ইন্ডাস্ট্রির জন্য বক্স অফিস বেঞ্চমার্ক ৪০০, ৫০০ কিংবা ৬০০ কোটির ওপর হবে। মারাঠি সিনেমাগুলোও এখন সহজেই ১০০ কোটি আয় করে নিচ্ছে। এখন ১০০ কোটি টাকা আয় করা কোনো ব্যাপার নয়। আমার মনে হয় একটা সিনেমার জন্য বেঞ্চমার্ক এবার ১ হাজার কোটি হওয়া উচিত।’
পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র ‘মওজা হি মওজা’ সিনেমাটি আগামী ২০ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে। এটি একটি কমেডি ঘরানার চলচ্চিত্র। অন্যদিকে সালমান খানকে আগামীতে ‘টাইগার ৩’ সিনেমায় দেখা যাবে। তার সঙ্গে থাকবেন ক্যাটরিনা কাইফ। চলতি বছরের দীপাবলিতে মুক্তি পাবে বহুল প্রত্যাশিত সিনেমাটি।
চলছে বলিউড সম্রাট অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয় শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-এর সিজন-১৫। সেখানেই প্রতিযোগীদের সামনে নানা প্রশ্নের ডালি নিয়ে হাজির হচ্ছেন এই শাহেনশাহ। চলতি সপ্তাহেই শোয়ের হট সিটে বসতে দেখা যাবে রাঁচি থেকে আসা ‘মাধুরিমা’ নামে এক প্রতিযোগীকে। পঞ্চম প্রশ্নের জবাব দিয়ে ১০ হাজার টাকা জিতে নেন মাধুরিমা। আর বিগ বি তাকে প্রশ্ন করে এই ১০ হাজার টাকা তার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? মাধুরিমা উত্তরে জানান, অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এক দিন তার পরিবারকে ১০ হাজার টাকার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
মাধুরিমা তখন পুরোনো স্মৃতিতে ফিরে গিয়ে বলেন, ‘সেটা ছিল ১৯৯২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আমার হাত ভেঙে যায়। আমার বাবা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন। মাসে তার বেতন ছিল ৭০০ টাকা। বাবা মাইনে পেতেন মাসের ৭-৮ তারিখে। এদিকে সেটা ছিল ৪ তারিখ, আমাদের কাছে মাসের শেষ। তাই আমাদের কাছে অপারেশনের টাকা ছিল না। মা বাড়িতে এসে দেখেন মাত্র ১০ টাকা রয়েছে। তখন ধার করে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। খরচ হয়েছিল ১০ হাজার টাকা।’ মাধুরিমার মুখে এ কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অমিতাভ, চোখে জল এসে যায় এই অভিনেতার।
মাধুরিমা বলেন, হাত ভাঙার পর আমার বাবা-মাকে অনেকেই বলেছিলেন, যে আমায় বিয়ে করতে চায়, তার সঙ্গে পণ দিয়ে আমার বিয়ে দিয়ে দিতে। তবে আমার বাবা-মা শোনেননি। আমায় পড়াশোনা করিয়েছেন। আমার বিয়েতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল ১০ হাজার টাকায়, তার বোনের বিয়েতেও একই খরচ হয়েছে।
মাধুরিমাকে তার স্বপ্নের বিষয়ে প্রশ্ন করেন অমিতাভ। তখন তিনি জানান, তার স্বপ্ন নিজের বাড়ি বানানোর। কারণ এখনো পর্যন্ত তিনি ভাড়া বাড়িতেই থাকেন।
অমিতাভ বচ্চন মাধুরিমার উদাহরণ দিয়ে দর্শকদের উদ্দেশে বার্তা দেন এই পণপ্রথার মতো ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করতে।
অমিতাভ বচ্চনকে আগামীতে দেখা যাবে দক্ষিণী পরিচালক নাগ অশ্বিনের ‘প্রজেক্ট কে’ ছবিতে এবং বিকাশ বহেলের পরিচালনায় ‘গণপথ’ ছবিতে। যেটি আগামী ২০ অক্টোবর মুক্তির অপেক্ষায়।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও কৃতী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। আজ ছিল কারিনা কাপুরের জন্মদিন। অভিনেত্রীকে ভালোবাসার মানুষের সংখ্যা কিন্তু মোটেও কম নয়। অনুরাগীরা তো রয়েছেনই, বলিউড তারকাদেরও অনেক পছন্দের তিনি। তার কথা বলার স্টাইল থেকে শুরু করে নখরা, বান্ধবীদের গ্যাংয়ের সঙ্গে পার্টি, দুই ছেলে তৈমুর-জাহাঙ্গীর সবই থাকে চর্চায়। তবে বাইরে থেকে দেখলে কারিনাকে যতই ‘নাক উঁচু’ মনে হোক না কেন, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কিন্তু গলায় গলায় ভাব এই অভিনেত্রীর। শাশুড়ি থেকে দুই ননদ, আগের পক্ষের দুই ছেলে-মেয়ে সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক কারিনা কাপুর খানের।
২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর কারিনা বিয়ে করেছিলেন সাইফ আলি খানকে। দুজনের বয়সের ফারাক পাক্কা ১০ বছরের। তবে তা ছাপ ফেলতে পারেনি তাদের প্রেমে। বিয়ের আগে বেশ কয়েকবছর সাইফের সঙ্গে লিভ ইনও করেছিলেন কারিনা। ২০১১ সালে যখন সাইফের বাবা মনসুর আলি খান মারা যান, তখনও বিয়ে হয়নি সাইফ-কারিনার। সাইফের পরিবারের পাশে স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিনেত্রী। সেই কঠিন সময় থেকেই কারিনা তাদের পাশে ছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, ‘বিয়ের দিন কারিনা কিন্তু কোনো ডিজাইনার দামি হাল ফ্যাশনের পোশাক বেছে নেননি। বরং শাশুড়ি শর্মিলার বিয়ের পোশাকই গায়ে তুলেছিলেন। বরাবরই কারিনাকে বলতে শোনা যায়, শাশুড়ি শর্মিলা তার অনুপ্রেরণা। এক সাক্ষাৎকারে শাশুড়ি মার প্রশংসা করে কারিনা একবার বলেছিলেন, ‘আমার চোখে আমার শাশুড়ি চিরকাল বেগম হয়েই থাকবেন। আমি সবসময় তাকে অনুসরণ করি।’
দুই ননদ সাবা আর সোহাকেও কিন্তু মাথায় করে রাখেন কারিনা। যে কোনো অনুষ্ঠানে এখনো চলে যান সাইফের বাড়িতে। মুম্বাইয়ে যে কোনো অনুষ্ঠান হলেও আমন্ত্রিতের তালিকায় থাকেন সোহা, কুণাল খেমু ও তাদের মেয়ে ইনায়া। দুই ছেলেকেও ভাইবোনদের সঙ্গে মিশে বড় হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন কারিনা। রাখি হোক বা হোলি, প্রায়ই দেখা যায় ছোটদের পার্টি বসেছে। আর তাতে শামিল হয়ে যান সাইফের প্রথম বিয়ের দুই সন্তান সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খান। সারা-ইব্রাহিম-তৈমুর-ইনায়া-জেহ প্রায়ই ধরা দেয় এক ফ্রেমে। কারিনা গর্ব করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো শেয়ার করে নেন ভক্তদের সঙ্গে। নেটিজেনরাও তা খুব পছন্দ করে।
এক সাক্ষাৎকারে সারা আলি খান জানিয়েছিলেন, সাইফকে বিয়ের পর কারিনা তাদের দুই ভাইবোনকে বলেছিলেন, তাদের মা হতে চান না তিনি। কারণ তাদের জন্য অমৃতাই সেরা। তবে ভালো বন্ধু হতে পারেন। বন্ধুত্বের সম্পর্কই রাখতে চান কারিনা স্বামীর প্রথম পক্ষের দুই সন্তানের সঙ্গে।
দীর্ঘদিনের বিরতি পেরিয়ে আবারও একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা সাইমন সাদিক ও আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। সিনেমার নাম ‘ডোডোর গল্প’ (Story of Dodo)। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।
সম্প্রতি পরীমনি ও সাইমন সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ‘ডোডোর গল্প’র কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, পরিচালনা করছেন কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক। সিনেমাটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছে। এর প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ)।
সিনেমাটিতে ফটোগ্রাফার রায়হান চরিত্রে অভিনয় করবেন সাইমন সাদিক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক দিন পর পরী আর আমি একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। এ সিনেমাটির গল্প প্রেক্ষাপট একেবারে আলাদা। অন্যরকম একটা বার্তাসমৃদ্ধ গল্প। একেবারে ভিন্ন ধারার কাজ হতে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, পরিচালক এটি যত্নসহকারে নির্মাণ করবেন। আমরা চেষ্টা করব শতভাগ দিতে। আশা করছি, দর্শক সুন্দর একটি গল্প পেতে যাচ্ছেন।
সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক খাদেমুল জাহান বলেন, আমরা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির কাজ শুরু করব। টানা কাজ করে চলতি বছরের শেষদিকে সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার ইচ্ছা আছে।
আজ চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে ওয়েব ফিল্ম পূর্ণমিলনে। জনপ্রিয় নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় ফিল্মের গল্প তৈরি হয়েছে কাজিনদের সম্পর্কের নানান বাঁক-মাত্রা, আনন্দ-হাসি, টুকরো অভিমান, কিছু টানাপোড়ন, সংশয় আর দ্বন্দ্ব নিয়ে।
যেখানে আছে একটি বিয়ের গান। এই গানে কন্ঠ দিলেন জনপ্রিয় সংগীত তারকা আঁখি আলমগীর।
`আমরার সিলটী দামান/মুখত রুমাল দিয়া তাইনে চাবাইন ফান/ আমরার কইন্যা রূপবান/ আরশি পরশি মিইল্যা হলদি মেন্দি লাগান’ কথার এই গানটি লিখেছেন হালের জনপ্রিয় গীতিকার সোমেস্বর অলি। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ নিরব। আর আঁখি আলমগীরের সঙ্গে গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন সাইফ জামান।
এরইমধ্যে গানটি প্রকাশ পেয়েছে। সবাই বেশ প্রশংসাও করছেন গানটির।
এদিকে এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধছেন সিয়াম আহমেদ ও তাসনিয়া ফারিণ। সিয়াম-ফারিণ ছাড়াও এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন শাশ্বত দত্ত, নূর ইমরান মিঠু, তাজনূভা জাবীন, নওবা তাহিয়া, দীপ্ত দে, জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল, টুনটুনি হামিদ, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শোয়েব মনির, হামিদুর রাহমান, গোলাম ফরিদা ছন্দা, মালা ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান সিনেমাটি নিয়ে বলেন, ‘কোনো ট্যুরে গেলে বন্ধুত্ব হয়, আবার অফিস ও ইউনিভার্সিটিতে বন্ধুত্ব হয়। আমরা স্কুল-কলেজের বন্ধুত্বের গল্প দেখি। তবে একটা গল্প দেখানো হয় না সেটা হলো কাজিনদের বন্ধু্ত্বের গল্প। এবার আমার গল্প হলো কাজিনদের বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে।
‘আমাদের ফান, ফর্তি ও পুনর্মিলনে সবাইকে নস্টালজিক ফিল দিবে। সিনেমাটা দর্শক একাও দেখতে পারবে আবার পরিবার, বন্ধু, কাজিন সবাইকে নিয়েই উপভোগ করতে পারবেন।‘
৩০ বছরের বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। বরাবরের মতো হানিফ সংকেতের অন্যবদ্য উপস্থাপনায় এবারের ইত্যাদি জমেছে নেত্রকোনার বিজয়পুরে। বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজন করে ধারণ করা হয় ইত্যাদি। তারই ধারাবাহিকতা নেত্রকোনার বিজয়পুরকে বেছে নিয়েছে ইত্যাদি টিম।
এবারের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে নেত্রকোণার বিজয়পুরে সাদামাটির পাহাড়ের সামনে। সবুজ বনানী, পাহাড় আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। অধিকাংশ সময়ই রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে এবার দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয় ১৩ সেপ্টেম্বর। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে নেত্রকোণায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানীরা। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় দুপুর ২টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল।
এবারের অনুষ্ঠানে মাটি ও মানুষের শিল্পী নেত্রকোণার সন্তান কুদ্দুস বয়াতি এবং ইসলাম উদ্দিন পালাকার দু’জনে একসাথে তাদের পরিচিত ঢংয়ে নেত্রকোণা অঞ্চলের দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। এছাড়াও নেত্রকোণাকে নিয়ে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদির সংগীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন বিজয়পুরেরই স্থানীয় দুই শতাধিক গারো, হাজং এবং বাঙালি নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন মালা মার্থা আরেং, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম। গানটি চিত্রায়ণ করা হয়েছে দুর্গাপুরেরই কিছু মনোরম লোকেশানে।
বরবরের মতো ছিলো দর্শকপর্ব। এছাড়াও নেত্রকোণার মঞ্চে যথারীতি সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। নিয়মিত অন্যান্য পর্বসহ রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ নাট্যাংশ। এবারের ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন-সোলায়মান খোকা, শেলী আহসান, সুভাশিষ ভৌমিক, আঞ্জুমান আরা শিরিন, আবদুল্লাহ রানা, জিল্লুর রহমান, আমিন আজাদ, আনোয়ার শাহী, নজরুল ইসলাম, জামিল হোসেন, বিলু বড়ুয়া, জাহিদ শিকদার, মুকিত জাকারিয়া, শাহেদ আলী, আনন্দ খালেদ, সুজাত শিমুল, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি, সিয়াম নাসির, সাবরিনা নিসা, সাদিয়া তানজিন, সাজ্জাদ সাজু, সুবর্ণা মজুমদার, সিলভিয়া কুইয়া, মোনালিসা দীপা, মতিউর রহমান, দেবাশিষ মিঠু, বেলাল আহমেদ মুরাদসহ আরো অনেকে। বরাবরের মত এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।
ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
আলোচিত তারকা দম্পতি পরীমনি ও শরিফুল রাজের সংসার অবশেষে ভেঙেই গেল। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বামী রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরী। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সারাদিন পরীমনি ও রাজ কেউই কোনো মন্তব্য করেননি। দিনভর নানা আলোচনার পর অবশেষে বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জানালেন বিস্তারিত। সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া স্বামী শরিফুল রাজকে ডিভোর্স দেয়ার খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
পুরোনো এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট পোস্ট করে পরী লিখেছেন, নিশ্চই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই। সে সময়ও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিলো। তারপরও এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করে গেছে বারবার।
পরী লেখেন, 'সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে। একই রকম ভুলের ক্ষমা কতবার করা যায় আমি জানি না।
এসব কিছুর পরেও একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক চেয়েছিলেন পরীমণি। সেটা জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ধারণ করেনি। সবার সামনে আমার বউ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর একজন মানুষ। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে গেল প্রতিনিয়ত।
রাজকে একাধিকবার সুযোগ দিয়েছেন জানিয়ে এই তারকা লেখেন, আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বারবার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেত, কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এসবের কারণে আমি অসন্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে পরী লিখেছেন, আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক মাধ্যমে। এটাও তাকে আমার একপ্রকার ক্ষমা করে দেওয়া। না হয় সে আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে, তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার পরে সন্তানের যাবতীয় দায়িত্ব নিজেই পালন করতে চান পরী। সেটা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করবো। এতদিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার সমস্ত অভিভাবকের দায়িত্ব এখন তার মায়ের। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন। ধন্যবাদ।'
তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এমনকি রাজও কথা বলেননি এ বিষয়ে।
আজ বুধবার দুপুরেই জানা গেছে স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী পরিমনি। জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পরীমনি। তবে এ বিষয়ে পরীমনি এবং শরিফুল রাজের অনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে তাদের একটি তালাকানামা। সেই তালাকনামায় পরীমনি বিচ্ছেদের চারটি কারণ উল্লেখ করেছেন।
কারণগুলো হলো―মনের অমিল হওয়া, ববিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া ও মানসিক অশান্তি। মূলত এই চার কারণ উল্লেখ করেই পরীমনি রাজ বরাবর তালাকনামা পাঠিয়েছেন।
১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটারও পাঠিয়েছেন এই নায়িকা। এমন ইঙ্গিত অবশ্য পরী রেখেছিলেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসেও।
১৭ সেপ্টেম্বর তিনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কালকের দিনটা আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন!’ তারপর একটি সাইনিং ইমো দিয়ে লেখেন, আল্লাহ ভরসা।
পরীর সেই স্ট্যাটাসে একজন শুভ কামনা জানিয়ে লেখেন, ‘দিনটি আনন্দময় ও মনের মতো হোক।’ জবাবে পরী লেখেন, ‘হোক, কষ্টের অবসান।’ পরীর এমন জবাবে অনেকেই তখন রাজের সাথে বিচ্ছেদের আভাস পেয়েছিলেন!
‘গুণিন’ সিনেমার সেটে শরিফুল রাজ-পরীমনির পরিচয় ও প্রেম হয়। পরে ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকা দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। রাজের সঙ্গে সংসারজীবনের ১০ মাসের মাথায় তার কোলজুড়ে আসে সন্তান।