উইকেন্ড আসতেই ছুটির মুডে থাকেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সময় রাখেন নিজের জন্য, মেয়ের জন্য। গতকাল শনিবার ভোরবেলা মেয়ের সঙ্গে কাটানো একটা মজার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিওয় দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা, মেয়ে মালতি আর দেবর ফ্রাঙ্কলিনকে নিয়ে একটি আরবান ফার্মে গিয়েছিলেন সময় কাটাতে।
প্রিয়াঙ্কা যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি একটি শার্ট ও প্যান্টের সঙ্গে টুপি পরে একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তার কাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটা ছাগল। সেটা তার কাঁধে হাঁটছে এবং সেখানে দাঁড়িয়ে আবার গাছের পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে। অভিনেত্রীর পোস্ট দেখে স্পষ্ট যে, ছাগলটা যখন তার পিঠে হাঁটছে, তার ব্যথা লাগছে, তবুও বিষয়টায় যে তিনি মজা পেয়েছেন বেজায়, সেটাও স্পষ্ট। তাকে রীতিমতো পোজ দিতে ও হাসতে দেখা যায়। অনর্গল কথাও বলে যান প্রিয়াঙ্কা।
এর পরই দেখা যায় ছোট মালতি কখনো ঘোড়ার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কখনো কুকুরের সঙ্গে খেলছে। কখনো আবার দেখা যায় মেয়েটি কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছাগলদের খাওয়া দেখছে। অন্যদিকে তার কাকা ফ্রাঙ্কলিন পাখিদের সঙ্গে খেলায় ব্যস্ত ছিলেন।
এই ভিডিও পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘কেফার সাবা আরবান ফার্মে কাটানো একটা দিন আমাদের প্রিয় কাকু ফ্রাঙ্কলিন জোনাসের সঙ্গে। ভীষণ মজা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ মিস লিমোর।’ প্রিয়াঙ্কার এই পোস্টে কমেন্ট করেন আরেক বলি সুন্দরী প্রীতি জিনতা। তিনি জানান তার যমজ সন্তানদের এখানে নিয়ে যাবেন বেড়াতে। অনেকের আবার নজর কেড়েছে ছোট্ট মালতির হাঁটাচলা, কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা।
অন্যদিকে, আজ বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন পরিণীতি চোপড়া। দিদি প্রিয়াঙ্কা তার বিয়েতে আসবেন কি না এখনো স্পষ্ট নয়। তবে না এলেও বোনের জন্য কিন্তু শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছেন। এদিন ইনস্টাগ্রামে পরিণীতির একটি ছবি পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘আশা করি এই ছবির মতোই তুমি তোমার সব থেকে বিশেষ দিনটিতে আনন্দে এবং খুশিতে আছ। অনেক ভালোবাসা নিও।’
সাদিয়া জাহান প্রভা অনেক আগেই নিজেকে একজন সুঅভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। যদিও ব্যক্তিগত নানা কারণে অভিনয় থেকে দীর্ঘ সময় দূরে ছিলেন তিনি। তবে, গত কয়েক বছর ধরেই তিনি অভিনয় করছেন। খুব বেছে বেছে কম নাটকেই কাজ করা হচ্ছে তার। কারণ চাকরি নিয়েও তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। পাশাপাশি ভ্রমণ করতেও খুব ভালোবাসেন এ অভিনেত্রী। তাই মাঝে-মধ্যেই দেশ-বিদেশে ঘুরতে দেখা যায় তাকে। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব প্রভা। নিজের ভ্রমণের বিভিন্ন ছবি-ভিডিও তিনি শেয়ার করেন এ মাধ্যমে। সম্প্রতি একটি বিদেশ ভ্রমণের ছবি শেয়ার করেন এ তারকা। আর তাতে একটি নেতিবাচক মন্তব্য চোখ এড়ায়নি প্রভার। মন্তব্যটি হলো, দেশ-বিদেশ ঘোরাঘুরি করার এত টাকা কোথা থেকে পায়? কী ব্যবসা করেন উনি? এখন তো নাটকেও দেখা যায় না। এই মন্তব্যের বিপরীতে বেশ কড়া জবাবই দিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রভা উত্তরে বলেন, চাকরি করি ভাই। ঠিক মতোন পড়াশোনা করেছি তো, ভালো চাকরিই পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ্। আবার, বাবা-মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো আমার। তাই বাড়িভাড়া, বাজার, বিল- এসব দিতে হয় না আমাকে। নাটক দুটি করলেও অনেক টাকা পাই, আলহামদুলিল্লাহ্। প্রভা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আর কোনো তথ্য লাগবে আমার আয়ের উৎসের? এদিকে, প্রভার এই মন্তব্যের প্রশংসা করেছেন অনেক নেটিজেন। অনেকে সেখানে মন্তব্য করেও প্রভার কড়া জবাবকে বাহ্বা দেন।
২০১৭ সালে চোখ ধাঁধানো আয়োজনে বিয়ে সারেন দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় তারকা জুটি সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। যদিও ২০২১ সালে সেই সম্পর্ক তাদের ভেঙে যায়। প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ। বিগত কয়েক বছর ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে তাদের ব্যক্তিগত জীবন। এরপরও প্রায়ই তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে আলোচনার ঝড় ওঠে।
সামান্থার সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর অভিনেত্রী শোভিতা ধূলিপালাকে নিয়ে নতুন করে সংসার পেতেছেন নাগা চৈতন্য। এবার শোনা যাচ্ছে, নাগার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতেই নাকি দক্ষিণী সিনেমায় খুব একটা কাজ পাচ্ছেন না অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী ও প্রযোজক লক্ষ্মী মানচু মন্তব্য করে বলেন, তেলেগু ইন্ডাস্ট্রির এক তারকার সাবেক স্ত্রী বিয়ে ভাঙার পর থেকে কাজ পাচ্ছেন না। যদিও সরাসরি কোনো নাম নেননি লক্ষ্মী মানচু।
কিন্তু অনুরাগীদের দাবি, তিনি প্রিয় বন্ধু সামান্থার কথাই বুঝিয়েছেন। ‘দক্ষ: এ ডেডলি কন্সপিরেসি’ সিনেমার প্রচারে এসে লক্ষ্মী বলেন, পুরুষের থেকে এই সমাজে নারীর অনেক বেশি সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। নিজের মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, এক মহাতারকার সাবেক স্ত্রী আছেন, যিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন। বিবাহবিচ্ছেদের পর এমনকি সিনেমাও ওই অভিনেত্রীর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, যেগুলোর প্রস্তাব একসময় তাকেই দেওয়া হয়েছিল।
লক্ষ্মীর দাবি- ওই তারকা রাগ করতে পারেন, সেই আশঙ্কার কথা জানিয়েই তার সাবেক স্ত্রীকে কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ভালো কাজ করার অপেক্ষায় এখন সেই অভিনেত্রী এবং আমার তার নাম আলাদা করে উল্লেখের প্রয়োজন নেই বলে জানান লক্ষ্মী মানচু।
সামান্থার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক লক্ষ্মীর। তাহলে কি বন্ধুর কথাই বললেন মানচু? সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকরা। উত্তরে লক্ষ্মী বলেন, আপনাদের মনে হচ্ছে সামান্থার কথা বলছি। যদিও একজন নয়, পাঁচ-ছয়জন তারকার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এবং আমি ওদের সবারই ঘনিষ্ঠ। কিন্তু আমার বক্তব্য- কোনো পুরুষকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে না। অথচ একজন নারীর ওপর বিয়ের পর সন্তান-শ্বশুরবাড়ি- অজস্র দায়িত্ব এসে পড়ে। আমাদের কেউ স্বাধীনতা দেয় না, আমাদের আদায় করে নিতে হয়।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর প্রেমে থাকার পর ২০১৭ সালে সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের বিয়ে হয়। মাত্র চার বছরের মাথায় সেই সংসার ভেঙে যায়। গত বছর শোভিতা ধূলিপালার সঙ্গে বিয়ে হয় নাগা চৈতন্যর। অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি জনপ্রিয় পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু।
আরবাজ খানের সঙ্গে প্রায় দুই দশকের দাম্পত্য ভেঙেছে, এরপর অর্জুন কাপুরের সঙ্গে ছয় বছরের ‘পোক্ত’ প্রেমেও ভাঙন। শুধু সম্পর্কই নয়, তার ক্যারিয়ার নিয়েও সমালোচনা করতে ছাড়েন না অনেকে। যার জেরে একাধিকবার ‘বদনামের ভাগী’ হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে! কিন্তু সব ঝড়ঝাঁপটা পেরিয়ে আপন প্রেমে মজেছেন মালাইকা আরোরা। এবার তাকে ঘিরে সব সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন বলিউডের ‘মুন্নি’। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে গিয়ে মালাইকা আরোরা বলেন, ‘আমার কী করা উচিত, কী উচিত নয়, মানুষ উপদেশ দিতে ভালোবাসে। আমার ক্যারিয়ার, সাজপোশাক থেকে সম্পর্ক- সবকিছু নিয়েই আমাকে বিচার করা হয়। তবে যেদিন থেকে এগুলোর ব্যাখ্য দেওয়া নিজে থেকে বন্ধ করে দিয়েছি, সেদিন থেকেই নিজেকে হালকা বলে মনে হয়।’ নিজের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘নিজের জন্য আমি যেটা সিদ্ধান্ত নিই, সেটাই। ’
মালাইকা আরো যোগ করেন, ‘আমার নামের পাশে বরাবর ‘বেশি সাহসী’, ‘বেশি স্পষ্টভাষী’, ‘বেশি মুখর’ এহেন যাবতীয় তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন আমি এই বিশেষণগুলোকে নিজের বর্ম হিসেবে ব্যবহার করি। কারও যদি আমাকে ‘অতিরিক্ত’ বলে মনে হয়, তাহলে তারা আমার জন্য যথেষ্ট নয়।’
বরাবরই নিজের শর্তে চলায় বিশ্বাসী মালাইকা। আরবাজের সঙ্গে দুই দশকের দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে আসা থেকে ১২ বছরের ছোট অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেম, ব্যক্তিগত জীবনেও সাহসিকতার ছাপ রেখেছেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে মালাইকার মন্তব্য, ‘ফ্যাশন হোক বা ফিটনেস, যেটাই হোক না কেন, আমি কখনো কোনো ছকবাঁধা ফর্মুলা অনুসরণ করিনি। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যেদিন আপনি গোটা বিশ্বের জন্য বাঁচা ছেড়ে দিয়ে নিজের শর্তে চলবেন, ঠিক সেদিন থেকেই জীবনের আসল মন্ত্র উপভোগ করতে পারবেন।’
দক্ষিণ ভারতের তামিলের জনপ্রিয় অভিনেতা জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর। মানুষ তাকে চেনেন থালাপতি বিজয় নামে। তবে কেবল সিনেমাতে নয়, বাস্তব জীবনে বিজয় সত্যিকারের সুপারস্টার।
বিজয় ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের একজন। তাই তার সম্পদের পরিমাণ নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নানা সময়ে বিজয়ের সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিজয়ের আর্থিক সাফল্য তার সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই চমকপ্রদ। ২০১৯ সাল থেকে তিনি কলিউডের শীর্ষ আয়কারীদের মধ্যে আছেন। তার বার্ষিক আয় ১০০ থেকে ১২০ কোটি রুপির মধ্যে। এটা মূলত সিনেমা ও ব্র্যান্ড প্রমোশন থেকে পাওয়া আয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, বিজয়ের আয়ের বড় অংশ আসে ধারাবাহিক বক্স অফিস হিট ও হাই-প্রোফাইল ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট থেকে। বিভিন্ন বড় বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে তার চুক্তি আছে। সেখান থেকে বছরে প্রায় ১০ কোটি রুপ আয় হয়।
জিকিউ ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, চেন্নাইয়ের নীলাঙ্কারাই বিজয়ের সমুদ্রপাড়ে বিজয়ের বিলাসবহুল একটি বাংলো রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৯.৬ মিলিয়ন ডলার (৮০ কোটি রুপি)।
এছাড়া বিজয়ের আরও কয়েকটি সম্পত্তি রয়েছে তিরুভল্লুর, তিরুপোরুর, তিরুমাঝিসাই ও ভান্ডালুর এলাকায়। এসব সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলার (১০০ কোটি রুপি)।
বিজয়ের সংগ্রহের বহরে বেশি কিছু বিলাসবহুল গাড়িও আছে। তার গাড়ির সংগ্রহে রয়েছে- রোলস রয়েস গোস্ট, বিএমডাব্লিউ এক্স৫ ও এক্স৬, অডি এ৮ এল, রেঞ্জ রোভার ইভোক, ফোর্ড মাস্ট্যাং, মার্সিডিজ বেঞ্জ জিএলএ, ভলভো এক্সসি৯০।
এর মধ্যে রোলস রয়েস গোস্টের বাজারমূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ রুপি, অডি এ৮ এলের বাজারমূল্য ১ কোটি ১৭ লাখ রুপি, রেঞ্জ রোভার ইভোক ৬৫ লাখ রুপি, ফোর্ড মাস্ট্যাং ৭৪ লাখ রুপি, মার্সিডিজ বেঞ্জ জিএলএ, ৮৭ লাখ রুপি, ভলভো এক্সসি৯০ ৮৭ লাখ রুপি।
জিকিউ ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিজয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫৭ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৭৪ কোটি রুপি)।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ঘিরে নেটদুনিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে একজন নারী মডেল খোলামেলা পোশাক পরে বসে থাকার ভিডিওটি সামনে আসায় পর শুরু হয় ওই তুমুল সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি। মুক্তির ফেসবুক স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অসংখ্য শিল্পী, সাংবাদিক ও দর্শক তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।
এখানেই শেষ নয়, ‘চাঁদের আলো’ সিনেমার নায়িকা মুক্তির পর এবার সিনেমাটির নায়ক ওমর সানীও একই প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিজ ফেসবুকে ইঙ্গিত দিয়েছেন- অনেক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আসলে ব্যবসায়িক উদ্দেশে আয়োজিত হয়। এসব অনুষ্ঠানে গুণী শিল্পীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
নায়কের অভিযোগ-কিছু মানুষ অতিথি সেজে বা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টাকা দিয়ে পুরস্কার সংগ্রহ করেন। ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার কিংবা এক লাখ টাকার বিনিময়ে পুরস্কার পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
সানীর মতে, এ ধরনের লোভ ও অসৎ কর্মকাণ্ডের কারণেই এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় আর এতে বিনোদন অঙ্গনের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
ওমর সানীর এই বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তার স্ট্যাটাসের মন্তব্য ঘরে বেশিরভাগ মানুষই তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
শিল্পী ও দর্শকদের একটি বড় অংশ বলছেন, অশ্লীল পোশাক ও টাকার বিনিময়ে পুরস্কার দেওয়ার অভিযোগ সত্য হলে, তা শুধু বিনোদন অঙ্গনের জন্যই নয়, পুরো সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। কম সময়ের মধ্যে অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলনে চমক জানিয়েছেন, আমি যেখানে যাই ওটাই চমক।
অভিনেত্রী বলেন, আমার লাইফটাই তো চমক, এভরিডে ইজ চমক। চমক ইজ উইথ মি। আমি যেখানে যাই ওটাই চমক। চমককে এমন কোনো ফিল্ডে দেখা যেতে পারে না যে ফিল্ডে চমক তাকে এক্সপ্লোরই করে নাই।
নিজের কাজের কথা উল্লেখ করে চমক বলেন, আমার জীবনের অনেক অনেক ওয়ে এক্সপ্লোর করছি একচুয়ালি। যেমন- আগে আমি মনে করতাম, আমি দুটো অসাধারণ নাটক বা ওটিটি কিংবা সিনেমা করলে সেটা বোধহয় অনেক বড় একটা অর্জন হবে। কিন্তু আমার কাছে এখন জীবনের অর্জন সংজ্ঞাটা একটু বদলে গেছে।
চমক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমি দুটো বড় কাজ করলে ওইগুলো আর্টিস্ট হিসেবে আমাকে অনেক বড় জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি সোসাইটিকে কী মেসেজ দিচ্ছি বা মানুষের কী উপকার হচ্ছে?
অভিনেত্রীর মতে, যে কাজ কোনো অর্থ তৈরি করে না, মানুষের জীবনে বড় পরিবর্তন আনে না, সেই কাজে আসলে আমি আর যুক্ত হতে চাই না। আমি বুঝে না বুঝে অনেক কাজ করে ফেলেছি। এখন ওই কাজগুলোই পছন্দ করছি, যেগুলো মানুষের এবং আমাদের সোসাইটিতে একটা ভিন্নতা নিয়ে আসতে পারে।
শুধু দেশেই নয়, প্রিয়াঙ্কা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন হলিউডেও শত বাঁধার মুখেও যেভাবে সফল হয়ে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সেই গল্প প্রেরণার। তার যাত্রা ও উত্থানের পথ ছিল অনেক চড়াই উৎরাইয়ের। তবু থেমে থাকেননি তিনি। এগিয়ে গেছেন নিজের লক্ষের দিকে। বলিউডে যাত্রার শুরুর দিককার অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন গ্লোবাল তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, সিনেমা শিল্পে নতুনদের জন্য জায়গা পাওয়া একসময় ছিল ভীষণ কঠিন। আর এই অভিজ্ঞতাই তাকে নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করে।
২০০০ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জিতে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন প্রিয়াঙ্কা। ২০০২ সালে হিন্দি ও তামিল সিনেমায় অভিনয় শুরু করলেও বলিউডে টিকে থাকা সহজ ছিল না। তার ভাষায়, ‘বলিউড একসময় বাইরের লোকদের জন্য একেবারেই বন্ধ ছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকেরা কাজ করে আসছিলেন। কোনো সম্পর্ক বা পরিচয় না থাকলে সুযোগ পাওয়া দুঃসাধ্য ছিল। তবু আমি হাল ছাড়িনি। আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলাম, ব্যর্থতা মেনে নিতে চাইনি, তাই লেগে থেকেছি।’
এই সংগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকেই ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন পার্পল পেবল পিকচার্স। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি যে জায়গা পাইনি, সেই জায়গা অন্যদের দেওয়ার জন্যই এই প্রতিষ্ঠান গড়েছিলাম। অনেক মেধাবী নির্মাতা ও লেখক আছেন যারা সুযোগ পান না। তাদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি।’
এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম সিনেমা ছিল ভোজপুরি ভাষার ‘বাম বাম বল রহা হ্যায় কাশি’ (২০১৬)। এরপর ‘ভেন্টিলেটর’ (মারাঠি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতে। ‘পাহুনা: দ্য লিটল ভিজিটর্স’ (২০১৮), ‘পানি’ (২০১৯) সহ একাধিক ভাষার সিনেমা প্রযোজনা করেন তিনি। ‘দ্য স্কাই ইজ পিংক’ এবং ‘দ্য হোয়াইট টাইগার’ -এ অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন দেশি গার্ল। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা সম্প্রতি শেষ করেছেন ‘সিটাডেল’ সিরিজের দ্বিতীয় মৌসুমের শুটিং। শিগগিরই তাকে দেখা যাবে ফ্র্যাঙ্ক ই. ফ্লাওয়ার্সের অ্যাকশন-ড্রামা দ্য ব্লাফ ছবিতে। পাশাপাশি ফিরছেন ভারতীয় সিনেমাতেও। এস. এস. রাজামৌলির আলোচিত ছবি ‘এসএসএমবি ২৯’-তে দেখা যাবে তাকে। এতে তার সহশিল্পী মহেশ বাবু ও পৃথ্বীরাজ সুকুমারন।
দক্ষিণের অন্যতম দামি অভিনেতা ধানুশ। কিন্তু অনেকেরই অজানা শৈশবে ফুল বিক্রি করতেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার নতুন সিনেমা ‘ইডলি কড়াই’। সম্প্রতি সিনেমার অডিও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে ধানুশ বলেন, ছোটবেলায় প্রতিদিন ইডলি খেতে ইচ্ছা করতো। কিন্তু কেনার পয়সা ছিল না। ভোর ৪টায় উঠে ভাই-বোনরা মিলে ফুল জোগাড় করে বিক্রি করতাম।
বয়সকে কখনোই গুরুত্ব দেননি বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ৮৩ বছর বয়সেও পুরোদমে অভিনয়ের পাশাপাশি সঞ্চালনার কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পর্দায় তার উপস্থিতি সবসময়ই বড় চমক। এখনো কঠোর পরিশ্রম করেন প্রতিদিন।
তবে দীর্ঘদিন ধরেই অনেক রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন অমিতাভ। যা কখনো প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেতা। চার দশক আগে তিনি মৃত্যুর হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচেছিলেন। এরপর থেকেই এক যন্ত্রনা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮২ সালে ‘কুলি’ ছবির শুটিংয়ের সময়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন অমিতাভ। সেই সময়ে তার পেটে গুরুতর চোট লাগে। এমনকী একটা সময়ে চিকিৎসকেরা তাকে ‘মৃত’ বলেও ঘোষণা করেছিলেন। তবে জানেন কি ৪৩ বছর আগে কারো একটি ভুলের শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে অমিতাভকে?
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘কুলি’ সিনেমার শুটিংয়ে স্টান্ট করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার সময় ‘হেপাটাইটিস বি’ রোগে আক্রান্ত হন অমিতাভ। তাতেই নষ্ট হয়ে লিভারের একটা বড় অংশ। সুস্থ থাকতে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। মাছ-মাংসও খান না। ডাল, সবজি, রুটি খান। বেশিরভাগ দিন দই-ভাত খান। এ ছাড়াও আমলা, তুলসীর রস খান। মদ্যপান, ধূমপান সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করেছেন।
১৯৮২ সালে এই ছবির শুটিংয়ের সময় যে অঘটন ঘটে, তার জন্য সেই সময় তাকে ২০০ জন ৬০ ব্যাগ রক্ত দিয়েছিলেন। অমিতাভ জানিয়েছেন, এই ২০০ জনের মধ্যে একজনের শরীরে ছিল ‘হেপাটাইটিস বি’ ভাইরাস। সেখান থেকেই তার শরীরে সংক্রমিত হয় এই রোগ। ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারিয়েছে তার লিভার। ২০০০ সালের আগে পর্যন্ত এই ভয়ানক বিষয়টি জানতে পারেননি তিনি। সেই সময় আবার যক্ষায় আক্রান্ত হন তিনি। দিনে ৮-১০টা করে ওষুধ খেয়ে সঞ্চালনার কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। ফলে গত কয়েক বছরে অনেকটাই অকেজো হয়ে এসেছে তার লিভার।
অমিতাভ বচ্চন বলেন, ‘১৯৮২ সালের ঘটনা। পরবর্তীকালে নিয়মিত চেকআপের সময়ে জানা যায় আমার লিভারের ৭৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এখন আমি আমার ২৫ শতাংশ লিভারের সাহায্যে বেঁচে আছি।’ এই ঘটনার পর থেকেই লাইফস্টাইল বদলেছেন অমিতাভ। কাজের পাশাপাশি ফিটনেসের প্রতিও দিয়েছেন অতিরিক্ত নজর। তাই ৮২ বছর বয়সেও দিব্যি সুস্থ রয়েছেন এ বর্ষীয়ান অভিনেতা।
কৈশোরে সংসার শুরু করেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ১৬ বছর মা হন তিনি। বলতে গেলে সন্তান ঝিনুক আর তিনি প্রায় এক সঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন। মা-ছেলের বোঝাপড়াটাও বন্ধুর মতো। ঝিনুকের বন্ধুরাও তাকে আন্টির বদলে দিদি ডাকে।
সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিনেমা, ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।
শ্রাবন্তীর ভাষ্য, তখন আমি দশম শ্রেণি। ‘চ্যাম্পিয়ন’ মুক্তি পেয়েছিল। তার পরের বছর, মানে ক্লাস ইলেভেনে আমার ছেলে হয়। অনেকে এটা শুনে আমায় বলবে ‘ইঁচড়ে পাকা’!
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। কীভাবে সামলেছেন?
শ্রাবন্তী বলেন, ‘না, এখন আর গায়ে মাখি না। আর আমার মনে হয়, ছোট বয়সে মা হওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন ঝিনুক হওয়ার পাঁচ বছর পরে আবার আমি কাজে ফিরি। তখন আমার মাত্র ২১ বছর বয়স। তবে এটা সত্যি, ১৬ বছরটা মা হওয়ার জন্য খুবই কম বয়স। ওটা বাড়াবাড়ি।’
অভিনেত্রী জানান, সিনেমায় অভিনয়ের আগে চিত্রনাট্য নিয়ে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। তার ভাষ্যে, দেবী চৌধুরাণীর চিত্রনাট্য যখন এসেছিল, সবার প্রথমে ওকে আমি শুনিয়েছিলাম। বেশ অবাকই হয়েছিল। আসলে আমরা মা-ছেলের থেকে বেশি বন্ধু। মাত্র তো ১৬ বছরের পার্থক্য! ছেলের বন্ধুরা তো আমারই বন্ধু! দুয়েকজন ছাড়া আর কেউ ‘আন্টি’ বলে না। আমি ওদের সবার দিদি।
সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী কথা বলেন জেন-জিদের প্রসঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘ছেলে এবং ওর বন্ধুদের সঙ্গে মিশি তো। তাই লিঙ্গসাম্য নিয়ে ওদের সচেতনতা, ওদের ভাষা সহজেই বুঝতে পারি। আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এত বাড়বাড়ন্ত তো ছিল না। কত পোর্টাল তৈরি হয়েছে, যা পারে তাই লিখে দেয়। তাই নতুনদের বলতে চাই, প্রথম কাজ ভালো না হলে পরেরটা যাতে ভালো হয়, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। অন্য কোনো কিছু নিয়ে মন খারাপ যেন না করে।’
পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। তিনি কমেডি চলচ্চিত্র ‘জানান’ এর মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এরপর টেলিভিশন নাটক ‘ফির ওহি মহব্বতে’ অভিনয় শুরু করেন। এই নাটকগুলোর জন্য তিনি ‘হাম অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট টেলিভিশন সেনসেশন ফিমেল’ পুরস্কার লাভ করেন।
পাশাপাশি আমির বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র ‘পারওয়াজ হ্যায় জুনুন’ এবং পাঞ্জাবি কমেডি চলচ্চিত্র ‘সর্দারজি ৩’ -এর মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব রয়েছেন। এর মাধ্যমে সে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝেও ব্যাপর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
যেখানে ফানি ভিডিও থেকে শুরু করে নান্দনিক ছবি শেয়ার করে থাকেন। হানিয়ার ইনস্ট্রাগামে ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা ১৮.৮ মিলিয়ন। তরুণ প্রজন্মের কাছে একাধারে স্টাইল আইকন ও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে পরিচিত।
১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করা এ অভিনেত্রী খুব অল্প সময়েই তিনি প্রাণবন্ত অভিনয় ও উচ্ছ্বল ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে দর্শকদের মনে স্থান করে নেন।
তিনি জনপ্রিয় নাটক ‘তেরে বিন’ -এ মীরাব চরিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেন।
এছাড়াও ‘পিয়ার কে সাদকে’, ‘ইনকার’ এবং ‘দিল না উমীদ তো নয়ি’ -এর মতো নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।
ঢাকাই সিনেমার নব্বইয়ের দশকের চিত্রনায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকাল মাদারীপুর জেলার শিবচড় উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। হিট নায়িকা হয়েও বস্তিতে থেকে করুণ জীবন যাপন করেছেন তিনি। অবশেষে সাঙ্গ হলো সেই জীবনের ঘানি টানা।
মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করছেন শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান। তিনি জানান, চিত্রনায়িকা বনশ্রী বেশকিছু অসুখে ভুগছিলেন। তিনি মারা গেছেন। আজই বাদ আসর তাকে মাদারীপুর দাফন করা হবে।
সনি রহমান বলেন, ‘বনশ্রী আপার ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তিনি গত পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার হৃদরোগ, কিডনির সমস্যাসহ একাধিক ব্যাধি ছিল। তিনি চলে যাওয়ার আগে অনেক কষ্ট করেছেন। এক সন্তান রেখে গেছেন। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
তিনি জানান, আজ বাদ আসর শিবচর পৌরসভা গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শিবচরের মাদবরের চর ইউনিয়নের মেয়ে বনশ্রী। ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে জন্ম তার। বাবা মজিবুর রহমান মজনু শিকদার ও মা সবুরজান রিনার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বনশ্রী বড়। সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি।
১৯৯৪ সালে ‘সোহরাব রুস্তম’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে বনশ্রীর। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে ছবিটি ব্যবসা সফল হয়। পরিচিতি পান বনশ্রী। এরপর আরও গোটা দশেক সিনেমায় অভিনয় করেন।
নায়ক মান্না, আমিন খান, রুবেলের বিপরীতেও নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন বনশ্রী। রুপালি পর্দার মতো জীবনও হয়ে ওঠে আলো ঝলমল।
তবে খুব বেশিদিন সেই সুখ সয়নি বনশ্রীর কপালে। ভাগ্যদোষে ছিটকে পড়েন তিনি সিনেমা থেকে। পথে পথে ঘুরে দিন কেটেছে তার। থেকেছেন বস্তিতেও। তার দুই সন্তান ছিল। তার মধ্যে মেয়েটি ছিনতাই হয়ে গেছে। রেখে গেছেন কেবল এক পুত্রকে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ খ্যাত বেবী নাজনীন দীর্ঘ সময় ধরে শোবিজ অঙ্গনে কাজ করতে না পারার আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৭ বছর আমি কোনো কাজের সুযোগ পাইনি। শোবিজ অঙ্গন কী, সেটা দেখিনি, কাজ করতে পারিনি। এখন যখন ফিরেছি, দেখি ইন্ডাস্ট্রি আর আগের মতো নেই সবকিছু প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কোথায় কাজ করব? কী করব? এসব নিয়ে সংশয়ে ছিলাম, আজও আছি।’
গত রোববার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) আয়োজিত পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ডের ২৪তম আসর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন। সেখানেই এসব কথা বলেন গুণী এই সংগীতশিল্পী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমি কোনো কাজ পাইনি। শিল্পী হিসেবে যা করবার, বলবার ছিল সেটার জায়গা ছিল না।’
এ সময় দেশের সামগ্রিক অবস্থা সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়ে বেবী নাজনীন বলেন, দেশের সামগ্রিক অবস্থায় নানা সংশয় তৈরি হয়েছে মানুষের মনে, সংশয় তৈরি হয়েছে আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। সার্বিক অবস্থায় দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রগুলো। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নেই, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নেই- সংস্কৃতির এই প্রধান দুই মাধ্যম যেভাবে বিলুপ্তের পথে, তাতে এই সেক্টরে যারা কাজ করতে আসবে তাদের পথ কতটা সুগম হবে তা ভাবতে হবে।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, যেহেতু এসব ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, তাই এখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা সময়ের দাবি বলে মনে করছি। কিছু মাধ্যমের অনুদান আমাদের অনান্য সাংস্কৃতিক মাধ্যমের জন্য যথেষ্ট নয়।
এদিন বেবী নাজনীন জানান তার নতুন গানের গান চলছে। দর্শক-শ্রোতারা প্রিয় এই শিল্পীর কণ্ঠে শিগগিরই নতুন নাম পাবেন।
অসামান্য শ্রোতাপ্রিয়তার পাশাপাশি বেবী নাজনীন বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ২০০৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার।
উল্লেখ্য, গানের বাইরে রয়েছে বেবী নাজনীনের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তিনি।