শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

পপ তারকা ক্রিসের ১৩ বছর কারাদণ্ড বহাল

আপডেটেড
২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:১০
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:১০

কানাডিয়ান পপ তারকা ক্রিস উ-কে ধর্ষণসহ একধিক অপরাধের জন্য ১৩ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন চীনের এক আদালত। গত বছরের নভেম্বরে দেয়া সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ক্রিস উ। এই রায়ের বিপরীতে আপিল করেও রেহাই পাননি এই পপ তারকা। সেই আপিল খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির আরেক আদালত। ফলে ১৩ বছর কারাগারেই কাটাতে হবে এই শিল্পীকে। শুক্রবার রায়ের জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিসের পরিবার, ঘনিষ্ঠজন এবং চীনে কানাডিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ২০২১ সালের জুলাইয়ে চীনের ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্রিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় পুলিশের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি যৌনতায় লিপ্ত হতে ‘বারবার কমবয়স্ক নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসেন’– অনলাইনে এমন মন্তব্যের জের ধরে পুলিশ একটি তদন্ত চালায়। এরপর তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে তদন্তে ২০১৮ সালে ও ২০২০ সালেও একাধিক নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পান আদালত। এক বিবৃতিতে আদালত জানিয়েছেন, ‘নারীদের সম্মতি ছাড়াই মদ্যপ অবস্থায় যৌন সম্পর্ক করেছেন; এটি ধর্ষণ। এর মধ্যে অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীও রয়েছে।’

যদিও সেই নারীরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল না বলে দাবি করেছে ক্রিস। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল কোরীয় ব্যান্ড এক্সোতে যোগ দেন ক্রিস উ। এই ব্যান্ড তাকে এনে দিয়েছিল খ্যাতি। ২০১৪ সালে একক ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে ব্যান্ড ছেড়ে চীনে চলে আসেন ক্রিস উ। এখানে এসে গায়ক, অভিনেতা, মডেল হিসেবেও সফল ছিলেন ক্রিস উ। তিনি হলিউডের সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন, মডেল হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার।

বিষয়:

হঠাৎ বিস্ফোরক মন্তব্য পরিণীতির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

গত বছরই বিয়ে করে নতুন জীবনে পা দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অনিয়মিত এ অভিনেত্রী। তার কাজের সংখ্যা হাতেগোনা। মাসখানেক আগেই ‘চমকিলা’ সিনেমায় চমক দেখিয়েছিলেন। তবে এখন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার সঙ্গে সুখের ঘরকন্নায় ব্যস্ত বলিউড অভিনেত্রী। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে আলোচনায় থাকেন তিনি। এবার তার পোস্টে জীবন দর্শনের পাঠ। অভিনেত্রী বলছেন, ‘বিষাক্ত মানুষের জীবন থেকে ছুড়ে ফেলা উচিত! দুনিয়া কী ভাবছে, যায় আসে না।’

বৃহস্পতিবারই (২৫ জুলাই) সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন পরিণীতি চোপড়া। যে ভিডিওতে হাতের ওপর থুতনি রেখে উদাস হয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে তাকে। ভিডিওটি পোস্ট করে লম্বা পোস্টে পরিণীতি লিখেছেন, ‘এ মাসে আমি কিছু সময় বিরতি নিয়েছিলাম, যা কি না নিজের জীবনের প্রতি আমার চিন্তাভাবনাই বদলে দিল। এটা আমায় বোঝাল যে, জীবনে গুরুত্বহীন জিনিসকে (বা মানুষ) গুরুত্ব দিও না। এক সেকেন্ডও নষ্ট করো না। জীবন একটা টিকটিক ঘড়ি। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত নিজের পছন্দে বাঁচো। অন্যের জন্য বেঁচে থাকা বন্ধ করো! নিজের মতো লোকজন খুঁজে বের করো। আর জীবন থেকে বিষাক্ত লোকদের ছেঁটে ফেলতে ভয় পেও না। গোটা বিশ্ব কী ভাবছে, লোকজন কী ভাবছে, এটা ভাবা বন্ধ করো। পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের প্রতিক্রিয়া বদলে ফেলো। জীবন ছোট। এটা আজ যেমন, সেভাবেই বাঁচতে শেখো।’

এদিকে পরিণীতির এ পোস্টের নিচে কমেন্টের বন্যা বইছে দুদিন ধরে। অনেকেরই উৎসুক প্রশ্ন, তবে কি রাঘব চাড্ডার সঙ্গে পরিণীতির সম্পর্কে কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে? একজন প্রশ্ন করেছেন, ‘এই পোস্টটি কি বিশেষ কারোর জন্য?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘খুবই ঠিক কথা বলেছেন। আমরা সবাই একই পরিস্থিতির সম্মুখীন। বিষাক্ত লোকদের জন্য আমাদের একটা মুহূর্তও নষ্ট করা উচিত নয়। জীবনে সুখী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত এবং সাহসী হন।’ কেউ আবার উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমি আশা করি আপনি ঠিক আছেন। আমরা সব সময় আপনার পাশে আছি।’

তবে ঠিক কী কারণে, কোন ক্ষোভ থেকে পরিণীতি এ ধরনের পোস্ট করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। অভিনেত্রীর এ পোস্ট রাঘব চাড্ডাকে নিয়ে কি না, সেটাও স্পষ্ট নয়। যদিও কিছু দিন আগেই রাঘব চাড্ডার ছবি পোস্ট করে পরিণীতি লিখেছেন, ‘তোমার মতো কেউ হয় না’!

বিষয়:

নব্বইয়ে সৈয়দ হাসান ইমাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম আজ পা রাখলেন জীবনের নব্বইতম বছরে। এ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বর দাবি, শোবিজে একমাত্র তিনিই কেবল নব্বই বসন্ত স্পর্শ করলেন। ১৯৩৫ সালের আজকের এ দিনে ভারতের বর্ধমানে মামাবাড়িতে তিনি জন্ম নেন। সেখানেই শৈশব কেটেছে নন্দিত এ অভিনেতার। এ জীবন্ত কিংবদন্তি শুধু অভিনেতাই নন, তিনি একাধারে একজন আবৃত্তিকার, সফল সংগঠক, সংগীত শিল্পী। ১৯৫০ সালে কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানের এক নাটিকায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু হয় হাসান ইমামের। ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ হাসান ইমামের জীবনের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে কাজ করেন তিনি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ শিল্পী সভাপতি হিসেবে দীর্ঘসময় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সৈয়দ হাসান ইমাম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার ছাড়াও স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। জন্মদিনে দেশে নেই এ বরেণ্যব্যক্তি। স্ত্রীসহ সুদূর আমেরিকায় রয়েছেন হাসান ইমাম।

দেশের বাইরে থাকলেও প্রতি বছর তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান আত্মীয়স্বজন, ভক্ত অনুরাগী ও শোবিজাঙ্গনের লোকেরা। সবার ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ‘আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আমি সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ। এ বয়সে পুরোপুরি ভালো থাকা না গেলেও যতটুকু সুস্থ আছি ভালোই আছি। সুস্থতার জন্য মোটামুটি নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি। আমি আমার জীবনটা উপভোগ করেছি। নানা সংগ্রাম ও সংকটের মধ্যেও জীবনকে উপভোগ করে গেছি। আবার জন্ম নিলে আমি এ জীবনই চাইতাম।’

শৈশব নিয়ে হাসান ইমাম বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি ছিল বাগেরহাটে। বাবার নাম ছিল সৈয়দ সোলেমান আলী ও মা সৈয়দা সায়ীদা খাতুন। ভারতের বর্ধমানে নানা বাড়িতে আমার জন্ম। আগেকার মায়েরা যখন অন্তঃসত্ত্বা হতো তখন সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে তাদের বাপের বাড়িতে অবস্থান নিত। আমার বেলায়ও এমনটি ঘটেছে। আমার শৈশব কেটেছে বর্ধমানে। বাবা মারা যাওয়ার আগে চেয়েছিলেন আমি যেন মামা বাড়িতে থেকেই পড়ালেখা করি। কারণ সেখানে পড়ালেখার পরিবেশটা ভালো ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গেও আমার সম্পৃক্ততা গড়ে ওঠে।’

সৈয়দ হাসান ইমাম ১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানে যোগ দেন। ১৯৬০ সাল থেকে হাসান ইমামের অভিনয় জীবন শুরু। এ বছর থেকে তিনি চলচ্চিত্রে এবং ১৯৬৪ সাল থেকে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে সমগ্র পাকিস্তানের চলচ্চিত্র উৎসবে হাসান ইমাম শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান লাভ করেন খান আতাউর রহমানের ‘অনেক দিনের চেনা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। তিনি ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র শতবর্ষের কেন্দ্রীয় উৎসবে ডামা সার্কেল প্রযোজিত ‘তাসের দেশ’, ‘রাজা ও রানী’ এবং ‘রক্তকরবী’ নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটকে জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত অভিনয় করা এ বরেণ্য ব্যক্তির জন্মদিনে দৈনিক বাংলার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বিষয়:

আবারও জাজের ঘরে পূজা চেরি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

চলচ্চিত্রের আলোচিত প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় চিত্রনায়িকা পূজা চেরির। এই প্রতিষ্ঠানের ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’, ‘নূরজাহান’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। মাঝে পূজার সঙ্গে জাজ মাল্টিমিডিয়ার দূরত্ব তৈরি হয়। তিন বছর প্রতিষ্ঠানটির কোনো ছবিতে দেখা যায়নি এই নায়িকাকে। এবার সেই দূরত্ব ভেঙে আবারও এক হচ্ছেন জাজ মাল্টিমিডিয়া ও পূজা। সেই খবরই জানালেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ।

এর মাধ্যমে নিজের চেনা ও ভরসার ঘরেই আবারও ফিরছেন এই অভিনেত্রী। জাজের কর্ণধার আব্দুল আজিজ জানান, প্রতিষ্ঠানটির ‘নারী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পূজা। নবীন পরিচালক এম এইচ খোকন ছবিটি নির্মাণ করবেন। ছবিটির শুটিং হবে আগামী অক্টোবরে। ছবিটি রোজার ঈদে মুক্তি দেওয়া হবে বলেও জানান প্রযোজক আব্দুল আজিজ।

তবে এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি পূজা চেরি। এই নায়িকা অভিনীত আরও কিছু ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’, ‘শান’, এবং ‘গলুই’ সিনেমার সাফল্যের পর হঠাৎ করেই হোঁচট খান ঢালিউডের তরুণ অভিনেত্রী পূজা চেরি। বলা চলে সিনেমা থেকে এক প্রকার দূরেই সরে পড়ছিলেন তিনি। তার হাতে কাজ কমতে কমতে একেবারে শূন্যের কোঠায় চলে এসেছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় কিছুদিন আগে এই নায়িকার মায়ের মৃত্যু। মূলত মায়ের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েন তিনি। কারণ মা-ই ছিলেন তার একমাত্র অভিভাবক এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।

ধীরে ধীরে মায়ের মৃত্যু শোক ভুলে গিয়ে আবার কাজে মন দেওয়ার চেষ্টা করছেন পূজা চেরি। কিন্তু চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি। পূজা অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘আগন্তুক’ মুক্তি পায় সম্প্রতি। ব্যবসায়িক দিক দিয়ে এটি দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপর সম্প্রতি এই নায়িকার মা মারা গেছেন। সব মিলিয়ে সময়টা একেবারেই পক্ষে ছিল না পূজার। মায়ের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে আবারও মিডিয়ায় সরব হয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে শাকিব খানের সঙ্গে র‌্যাম্পে হেঁটেছেন এই অভিনেত্রী। তখন অনেকেই বলেছিলেন আবারও হয়তো শাকিব-পূজার সম্পর্কের পালে হাওয়া লাগল। এসবের তোয়াক্কা না করে পূজা নিজের মতো করে এগিয়ে যেতে চেয়েছেন।

বিষয়:

বচ্চন পরিবারকে চ্যালেঞ্জ ঐশ্বরিয়ার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

না। তার বচ্চন পরিবারকে দরকার নেই। অন্তত টাকা-পয়সার ক্ষেত্রে তো নয়ই। তাই তো বচ্চন পরিবার থেকে সমস্ত শিকড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে একেবারে বেরিয়ে আসতে প্রস্তুত ঐশ্বরিয়া রাই। আর সে কারণেই যেন নিজের সম্পত্তি নিয়ে ডঙ্কা বাজিয়ে ফেললেন জুনিয়র বচ্চন ঘরনি। বচ্চন পরিবারকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেন ঐশ্বর্য।

বলিউড সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে নিজের সম্পত্তির খতিয়ান দিয়েছেন ঐশ্বর্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ বছর ধরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পর ঐশ্বর্যের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮৬২ কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে ঐশ্বর্যের দুবাইয়ের বাড়িও। তথ্য অনুযায়ী, ঐশ্বর্য প্রতিটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে পান ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও বেশ কিছু জনপ্রিয় ব্র্য়ান্ডের মুখ তিনি। বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি। যার পারিশ্রমিক ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা।

বলিউডে এমনিতেই অভিষেক ও ঐশ্বর্যর বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জনে সরব। তার মাঝেই ঐশ্বর্যর সম্পত্তির পরিমাণের খবর সামনে আসায় আরও বেশি হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে বলিপাড়ায়।

বলিউডে অভিনেতাদের চেয়ে অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তুলনামূলক কম। তবে অনেক অভিনেত্রী তাদের জনপ্রিয়তার কারণে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী দুই যুগের বেশি সময় ধরে মাতিয়ে রেখেছেন সিনেমাপ্রেমীদের। তার ক্যারিয়ারে রয়েছে অনেক ব্যবসাসফল ছবি। এ ছাড়া তিনি অনেকগুলো আন্তর্জাতিক কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন।

বচ্চন পরিবারে ফাটল ধরার খবর নতুন নয়! মাসখানেক ধরেই অভিষেক-ঐশ্বর্যর বিবাহ বিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে। শোনা যায়, ননদ শ্বেতা ও শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে কোন্দলের জন্যই নাকি ঐশ্বর্য রাই বচ্চন বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বলিপাড়ার অন্দরে মাসখানেক ধরেই এমন গুঞ্জন। সম্পত্তির জেরেই নাকি এহেন বিবাদ! জুনিয়র দম্পতিও একাধিক অনুষ্ঠানে আলাদা উপস্থিতিতে সেই গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিয়েছেন। সম্প্রতি অভিষেক বচ্চনের এক প্রতিক্রিয়া নিয়ে ডিভোর্সের জল্পনা আরও বাড়িয়েছে। একাংশের ধারণা, দাম্পত্য ভাঙার পোস্টে লাইক ঠুকে জুনিয়র বচ্চন সম্ভবত সিলমোহরই বসিয়েছেন বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে।

বিষয়:

উনপঞ্চশেও স্নিগ্ধ তারিন জাহান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

একাধারে তিনি নৃত্যশিল্পী, মডেল ও অভিনেত্রী। তবে অভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যদিও গল্পের দুর্বলতা, মানানসই চরিত্রের অভাব, মেধাহীন নির্মাণ ও সিন্ডিকেটের কারণে অভিনয় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন এই নাট্যাভিনেত্রী। তবুও এ প্রজন্মের অনেক উঠতি টিভি অভিনেত্রী আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করেন তাকে।

বলা হচ্ছে নানা প্রতিভার অধিকারী তারিন জাহান। আলোকিত এই অভিনেত্রীর আজ জন্মদিন। আটচল্লিশ বসন্ত পেরিয়ে আজ তিনি পা রাখলেন জীবনের উনপঞ্চাশতম বছরে। যদিও বিশেষ এই দিনটি নিয়ে পারিবারিকভাবে কোনো আয়োজন করছেন না বলে মন্তব্য করেছেন তারিন। তবে বরাবরের মতো এবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অগ্রিম শুভেচ্ছা বার্তা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এই তারকা। উনপঞ্চাশেও স্নিগ্ধ ও লাস্যময়ী এই তারকা।

১৯৭৬ সালের এই দিনে (২৬ জুলাই) জন্ম নেন তারিন জাহান (সূত্র উইকিপিডিয়া)। এইসব দিনরাত্রি, সংশপ্তক, ফুল বাগানের সাপ, কথা ছিল অন্যরকম, ইউটার্ন, মায়া, হারানো আকাশ, রাজকন্যা, সবুজ ভেটে, অগ্নিবলাকা প্রমুখ নাটকে অভিনয় করে দর্শক হৃদয় জয় করে নেন তারিন।

১৯৮৫ সালে ‘নতুন কুঁড়ি’তে অভিনয়, নাচ এবং গল্প বলা প্রতিয়োগিতায় প্রথম হন। তখন থেকেই তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে ছোট পর্দায় কাজ করতে শুরু করেন। আলোচিত ধারাবাহিক সংশপ্তক-এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করে নজর কাড়েন তারিন। তিনি প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তৌকির আহমেদের সঙ্গে কাঁঠাল বুড়ি নাটকে, যেটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলায় প্রচারিত প্রথম নাটক।

অনেক গুণে গুণান্বিত তারিন নৃত্যশিল্পী ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি ওস্তাদ হাসান ইকরাম উল্লাহর কাছে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন। মিউজিক শুনলেই তিনি নাচতেন। নাচের প্রতি আগ্রহ দেখে মা তাহমিনা বেগম সাড়ে তিন বছরের তারিনকে ভর্তি করিয়ে দেন তপন দাস গুপ্তার কাছে। ১৯৮২ সালে তিনি নাচ শেখা শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন। ২০১১ সালে ‘আকাশ দেব কাকে’ শিরোনামের প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতার সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তারিন। সিনেমার নাম ‘এটা আমাদের গল্প।’ গত ২৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে এটি মুক্তি পেয়েছে। নির্মাণ করেছেন মানসী সিনহা।

বিষয়:

সংসদ সদস্য পদ হারাচ্ছেন কঙ্গনা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৫
বিনোদন ডেস্ক

ফের আলোচনার কেন্দ্রে বলিউড অভিনেত্রী তথা হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানা‘ ‘বেফাঁস’ মন্তব্যের জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন কঙ্গনা। তবে এবার কোনো মন্তব্যের জন্য নয়। সংশয় তৈরি হয়েছে তার সাংসদ পদ নিয়ে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে জয়লাভ করে সংসদে পা রাখেন কঙ্গনা।এবার তার জয় নিয়েই হিমাচল প্রদেশের হাইকোর্টের নোটিশ। তবে কি সাংসদ পদ খোয়াতে চলেছেন বলি ‘কুইন’? জল্পনা শুরু হয়েছে।

কঙ্গনার নির্বাচন বাতিল করার আবেদন করেন কিন্নর জেলার এক বাসিন্দা। তিনিও মান্ডি আসন থেকেই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ, তার মনোনয়নপত্র ভুলভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। সে কারণেই তিনি কঙ্গনার নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে নোটিশ জারি করে ২১ আগস্টের মধ্যে কঙ্গনাকে জবাবের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জ্যোৎস্না রাওয়াল।

মান্ডি লোকসভা আসন থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংকে হারিয়ে জয়ী হন কঙ্গনা। মান্ডি লোকসভা আসনে ৭৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন তিনি। তবে এই আসন থেকে লড়তে চেয়েছিলেন কিন্নরের বাসিন্দা লায়ক রাম নেগি। মান্ডির রিটার্নিং অফিসার ছিলেন সেখানকার জেলাশক। লায়ক রাম নেগির দাবি, জেলা শাসক ভুলভাবে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বন বিভাগের প্রাক্তন কর্মী লায়ক রাম নেগি। কর্মজীবনের মেয়াদ পূরণের আগেই অবসর নিয়ে তিনি ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।

লায়ক রাম নেগির দাবি, রিটার্নিং অফিসার তথা জেলা শাসকের কাছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে বন বিভাগের জারি করা একটি ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-ও জমা দিয়েছিলেন। এরপর রিটার্নিং অফিসার তাকে বিদ্যুৎ, জল ও টেলিফোন বিভাগের ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’ জমা করতে বলেন। এর জন্য মাত্র এক দিন সময় দেওয়া হয়েছিল তাকে। তবে এক দিনের মধ্যেই সেগুলোও তিনি জোগাড় করে জমা দিয়েছিলেন।

লায়ক রাম নেগির অভিযোগ, তারপরেও রিটার্নিং অফিসার সেগুলো গ্রহণ করেননি, বরং বাতিল হয়ে যায় তার মনোনয়ন। হাইকোর্টে লায়ক রাম নেগির দাবি, তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হলে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারতেন। তার দাবি, কঙ্গনার নির্বাচন বাতিল করা হোক। এই মামলায় তিনি পার্টি করেছেন রিটার্নিং অফিসার তথা জেলা শাসককেও। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে পড়েছেন কঙ্গনা।

বিষয়:

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে স্তব্ধ সংগীতাঙ্গন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

নিভে গেল গেল আরও একটি প্রদীপ। চলে গেলেন বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র শাফিন আহমেদ। আশি আর নব্বইয়ের দশকে কিশোর-তরুণ শ্রোতাদের মন মাতানো ‘চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা এই অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও’ আজ জন্মদিন, নাই নাই নাইসহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের শিল্পী, দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল মাইলসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে শোকস্তদ্ধ দেশের সংগীতাঙ্গন।

এই তারকার মৃত্যুতে শোকের পাশাপাশি অনেক স্মৃতিচারণ করেন তার সহকর্মীরা। শাফিন আহমেদ আর কখনো ফিরবেন না, তা মানতে পারছেন না ব্যান্ড আন্দোলনের সহযোদ্ধারা। তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যান্ড তারকা নকীব খান, ফুয়াদ নাসের বাবু। কান্না জড়িত কণ্ঠে তারা বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে ব্যান্ড মিউজিক করতাম, এক স্টেজে গান থেকে অনেক স্মৃতি। তার মৃত্যু আমাদের জন্য বিশাল ক্ষতি।’

রেনেসাঁ ব্যান্ডের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার নকীব খানের ভাষায়, ‘শাফিন আহমেদের মৃত্যু দেশের ব্যান্ড মিউজিক ও ব্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক বিরাট ক্ষতি।’ তিনি বলেন, ‘সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এরকম একটা খবর পাব কখনো কল্পনাও করিনি। আমরা কখনো শুনিনি শাফিন অসুস্থ। আমাদের জন্য তার মৃত্যুর খবর মেনে নেওয়া কঠিন। কিছু বলার ভাষা নেই, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের সোনালি সময়ের কথা স্মরণ করে রেনেসাঁর এই শিল্পী বলেন, ‘শাফিনের অনেক কনট্রিবিউশন আছে ব্যান্ড মিউজিকে। সে নিজে গান লিখত, সুর করত, নিজেই গাইত। সে খুব ভালো একজন মিউজিশিয়ান ছিল। ভালো গিটার বাজানো থেকে শুরু করে সে নিজেই একটা ব্যান্ড ছিল। আমাদের মাঝ থেকে থেকে এ ধরনের প্রতিভা চলে যাওয়া এটা আসলে ভাবতে পারছি না। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

শাফিন আহমেদের সঙ্গে সর্বশেষ এক মাস আগে দেখা হয়েছিল নকীব খানের। সে কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সে আমেরিকা যাওয়ার কিছুদিন আগেই। দীর্ঘদিন পর দেখা। সে তো দেশে খুব একটা থাকত না, যাওয়া-আসার মধ্যে থাকত, দেখা হতো না। সে দিন দেখা হয়ে কিছুক্ষণ গল্প হলো। তার যে কোনো ধরনের অসুস্থতা ছিল, সে রকম কিছু জানায়নি।’

ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সংগীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, প্রথম শোনায় খবরটি বিশ্বাস হয়নি। সকাল সকাল এমন একটা খবর পাব, যেটা খুবই মর্মাহত করেছে আমাদের। প্রথম শোনায় বিশ্বাস হয়নি, এখনো মনে হচ্ছে খবরটা হয়তো ভুল হতে পারে। শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়েছিল তার গান। তার আকস্মিক মৃত্যুতে ভীষণ শোকাহত।’

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর খবরে শোকাহত সোলসের পার্থ বড়ুয়া। বললেন, ‘এ মুহূর্তে তার কিছু বলার ভাষা নেই।’ শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন সংগীতশিল্পী মেহরীন মাহমুদও। তিনি বলেন, ‘শাফিন ভাইয়ের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে গান করা হয়নি, কিন্তু গান নিয়ে অনেক আলাপ ও কাজ করা হয়েছে। উনার যেকোনো আয়োজনে আমন্ত্রণ জানাতেন। আমিও সানন্দে যেতাম। সেটা অ্যালবাম প্রকাশ থেকে শুরু করে যেকোনো পারিবারিক আয়োজনে ডাক পড়ত আমার।’

বিষয়:

গুলিকাণ্ডে মুখ খুললেন সালমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

১৪ এপ্রিল সকালে বলিউড তারকা সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ি গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে আচমকা গুলি বর্ষণের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সালমান খানের বাড়িতে গুলি চালানোর মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে তারা। যেখানে সালমান খানের দেওয়া বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে সালমান জানিয়েছেন, বাড়িতে গুলি চালানোর সময় তিনি কোথায় ছিলেন এবং কী করছিলেন। ৪ জুন, সালমান মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যান্টি এক্সটর্শন সেলের কাছে তার বক্তব্য রেকর্ড করেছিলেন।

মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের দেওয়া একটি বিবৃতিতে সালমান খান বলেছিলেন, ‘আমি পেশায় একজন ফিল্ম স্টার এবং গত ৩৫ বছর ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। অনেক সময়ে, বান্দ্রার ব্যান্ডস্ট্যান্ডের কাছে আমার বাড়ির গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের কাছে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ভক্তদের ভিড় জমে। তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা জানাতে আমি আমার ফ্ল্যাটের দোতলার বারান্দা থেকে হাত নাড়ি। এ ছাড়া যখন আমার বাড়িতে, বন্ধুদের এবং পরিবারের পার্টি থাকে, আমার বাবা আসেন। আমিও তার সঙ্গে বারান্দায় সময় কাটাই। কাজ শেষে বা খুব ভোরে আমি বারান্দায় যাই। সুন্দর বাতাস উপভোগ করি। আমি নিজের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও নিতে বাধ্য হয়েছি।’

সালমান আরও বলেন, ‘২০২২ সালে, আমার বাবা বান্দ্রা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই সময় আমার বাবা একটি চিঠি পেয়েছিলেন যেখানে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ চিঠিটি আমার অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের অন্য পাশের একটি বেঞ্চে রাখা ছিল। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে, আমি আমার টিমের একজন কর্মচারীর কাছ থেকে অফিসিয়াল ই-মেইল আইডিতে একটি মেইল পেয়েছি। যেখানে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের মতো আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমার টিম বান্দ্রা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগও করেছে।’

অভিনেতা বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারিতে, দুই ব্যক্তি জাল নাম ও পরিচয়পত্র নিয়ে পানভেলে আমার খামারবাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। পানভেল তালুকা পুলিশ ওই দুজনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে। আমি পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে দুজন অপরাধী যে আমার খামারবাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল তারা রাজস্থানের ফাজিলকা গ্রামের। যেটি লরেন্স বিষ্ণোইয়েরও গ্রাম। আমি আমার সঙ্গে থাকা সবাইকে, আমার আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের সব সময় সতর্ক থাকতে বলেছি। মুম্বাই পুলিশ আমাকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দিয়েছে। আমার নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্য, দেহরক্ষী, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেহরক্ষীরা আমার সঙ্গে থাকে।’

বিষয়:

ট্রলের শিকার মেহজাবীন চৌধুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে বাংলাদেশ। এ ইস্যুতে বেশ সরব দেশের শোবিজ অঙ্গনও। ছোটপর্দার শীর্ষ মডেল-অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও সরব ছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একটু দেরিতে হলেও ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। যেটাকে ঘিরে ভক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রীতিমতো ট্রলের শিকারও হতে হচ্ছে তাকে।

পোস্টে তিনি তুলে ধরেছেন নারী নিগ্রহ, ছাত্রদের প্রতি নির্যাতন এবং সরকারের নানা সফলতা ও ব্যর্থতার কথা। পোস্টে মেহজাবীন চৌধুরী লিখেছেন, ‘ছোটবেলা থেকে জেনেছি, পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র নারীর গায়ে হাত তোলা সমর্থন করে না। আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থও কখনো নারীর প্রতি সহিংসতা শেখায়নি। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য, গণমাধ্যম বা সামাজিকমাধ্যমে আজকাল এর ভিন্ন চিত্র, মর্মান্তিক সব ভিডিও দেখতে হচ্ছে। একজন নয়, দুইজন নয়, আমারই অসংখ্য বোনের ওপর নির্বিকার ভঙ্গিতে হামলা চালানো হচ্ছে, রক্তাক্ত করা হচ্ছে। কী নির্মম, কী নৃশংস!’

তিনি আরও লিখেছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধিকারের দাবি যে কেউ তুলতে পারে। কিন্তু তাই বলে নারীর গায়ে হাত তোলা, ‘আবু সাঈদ’-এর মতো সম্ভাবনাময় তরুণকে হত্যা করা- এসব কি সভ্যতার পর্যায়ে পড়ে? সমাধানের অন্য কোনো উপায় কি ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? পরিস্থিতি হয়তো আজ কিংবা কাল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু যে মায়ের বুক খালি হলো, যে পরিবারের মুখের হাসি চলে গেল, আমরা কি সেই শূন্যতা অন্য কিছুর বিনিময়ে পূর্ণ করতে পারব?’ তাহলে কেন এই ব্যর্থ আস্ফালন?’

পোস্টের শেষাংশে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ছাত্ররা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দমিয়ে না রেখে তাদের যৌক্তিক দাবিতে সমর্থন দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আমি মেহজাবীন চৌধুরী আকুল আবেদন করছি। আমার বিশ্বাস, আমরা নিরাশ হবো না।’

অভিনেত্রীর পোস্টে মন্তব্যের ঘরে সাদিয়া তাসনিম সাবা নামে একজন লিখেছেন, ‘থাক আপা এতদিন এত কিছু হয়ে গেল, আপনি কই ছিলেন? আপনি তো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ফলোয়ারধারী সেলিব্রিটি। আমরা মরতেছি। আপনি ঘুমাচ্ছেন? আপনার অভিনয় ভালো লাগতে। কিন্তু এতটা পারদর্শী জানা ছিল না। মেহদি হাসান নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন? ঘুম ভাঙতে এত দেরি হলো কেন? আরেকটু ঘুমিয়ে নিতেন। সিমা আক্তার মিমের ভাষ্য, কেউ তাদের পোস্ট পড়বেন না। এতদিন তারা কোথায় ছিল? দেশপ্রেম কই ছিল? আজ আসছে প্রেম দেখাতে। বয়কট সব সেলিব্রিটি।

বিষয়:

চলে গেলেন শাফিন আহমেদ

শাফিন আহমেদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্তরা হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। শাফিন আহমেদের ভাই হামিন আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

শাফিন আহমেদ বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী ও সুরকার। তিনি মাইলস ব্যান্ডের সদস্য। তিনি মাইলসের বেজ গিটারিস্ট ও প্রধান গায়ক ছিলেন। ব্যান্ডের বাইরে তিনি সলো ক্যারিয়ারে সুনাম অর্জন করেছেন। এছাড়া বেশকিছু সলো কিংবা মিক্সড অ্যালবামে তার গান রয়েছে।

১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন শাফিন আহমেদ। তার মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম ও বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্ত। এ পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে ছোট বেলা থেকেই শাফিন আহমেদ গানের ভেতরেই বড় হন।

বাবার কাছে মাঝে মধ্যে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিখেছেন আর মার কাছে শিখেছেন নজরুলগীতি। এরপর বড় ভাই হামিন আহমেদসহ ইংল্যান্ডে পড়াশোনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংগীতের সংস্পর্শে এসে ব্যান্ড সংগীত শুরু করেন এবং মাইলস ব্যান্ড গড়ে তোলেন, যা পরে বাংলাদেশের অগ্রগামী ব্যান্ডদলসমূহের মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি সেই সময় প্রচারিত বিটিভির নিয়মিত মাইলসকে নিয়ে করা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন।

শাফিন আহমেদের জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, ফিরিয়ে দাও ও ফিরে এলেনা অন্যতম। ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণে মাইলস ছাড়েন শাফিন আহমেদ এবং রিদম অব লাইফ নামে নতুন একটি ব্যান্ডদল প্রতিষ্ঠা করেন।

বিষয়:

বিচিত্র সময়ে দীপিকা পাড়ুকোন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করে দিয়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। এই দেড় দশকে অনেক উত্থানের ঘটনা ঘটেছে তার ক্যারিয়ারে। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয় করেছেন হলিউডের সিনেমায়ও। বর্তমানে দীপিকা অভিনীত কল্কি সিনেমাটি ব্যবসায়িক দিক থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রশিল্পের অনেক রেকর্ড ভেঙে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে সাফল্যের সঙ্গে। যদিও ছবিটির সিক্যুয়ালে কোনো এক রহস্যময় কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে দীপিকাকে।

তবে এসব নিয়ে আপাতত ভাবছেন না এই অভিনেত্রী। বর্তমানে বিচিত্র এক সময় পার করছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। প্রথমবার মা হওয়া বলে কথা। এ কারণে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন এই বলিউড ও হলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী। গর্ভবতী অবস্থায়ও বেশ কিছুদিন সিনেমার শুটিং করলেও এখন শুটিং থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। আগামী বছরখানেক সব ধরনের শুটিং থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দীপিকা। বর্তমানে স্বামী বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং ও তার পরিবারের সঙ্গেই একান্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

সেপ্টেম্বরেই নতুন অতিথি আসছে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের সংসারে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম তারা সুখবর প্রকাশ করেন। অনেকের ধারণা ছিল, ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী। আবার এক দলের দাবি, সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিচ্ছেন রণবীর-দীপিকা। তবে এখনও পর্যন্ত দীপিকাকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তিনি মা হতে চলেছেন। তার নির্মেদ, সুঠাম শরীরে মেদের লেশমাত্র নেই। সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন ওজন বৃদ্ধি পায় মেয়েদের। তবে এ ক্ষেত্রে দীপিকা ব্যতিক্রম।

সম্প্রতি নিজের নামের পাশে আরও একটি খেতাব জুড়ে গেছে দীপিকার। ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টারস ২০২৪’-এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন দীপিকা। প্রথম ভারতীয় তারকা হিসেবে এই অনন্য অর্জন তার।

দীপিকা পাড়ুকোন গত দুই বছরে শুধু বক্স অফিসেই বিস্ফোরণ ঘটাননি, তিনি অনেক জায়গায় ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের সমাপনী মঞ্চেও ভারতের হয়ে হাজির ছিলেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোর অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

বিষয়:

পুরোপুরি ফিট হয়েই দেশে ফিরছেন শাবনূর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমানোর পর মাঝে-মধ্যে দেশে আসেন ঢালিউডের শিশিরস্নাত নায়িকা শাবনূর। তবে আজও তাকে পর্দায় দেখতে মুখিয়ে আছেন তার ভক্তরা। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর নিজের জন্মদিনে আগের দিন কাউকে না বলে আচমকা ঢাকায় এসে চমকে দেন শাবনূর। ওই সময় তিনটি নতুন সিনেমায় অভিনয় করার খবর দিয়ে নতুন করে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা ছড়িয়ে ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে- ‘মাতাল হাওয়া’, ‘রঙ্গনা’ ও ‘এখনও ভালোবাসি’। এমনকি এফডিসিতে রঙ্গনা সিনেমার পোস্টারের জন্য ফটোশুটেও অংশ নেন। সিনেমাটির শুটিংও করার কথা ছিল; কিন্তু এরই মধ্যে যেভাবে এসেছিলেন, সেভাবেই চুপিসারে অস্ট্রেলিয়া চলে যান। কবে আবার ফিরবেন সেটাও কেউ জানত না। যার দরুন চলচ্চিত্রমহল ও শাবনূরভক্তদের মধ্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়।

শাবনূরের গোপনে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়া নিয়ে যখন দেশের গণমাধ্যমে নানা রকম খবর প্রচার হচ্ছিল এবং তার সিনেমা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা উঠছিল, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সব গুঞ্জন, গুজবের অবসান ঘটান।

এ অভিনেত্রী জানান, সময় হলেই সবার সামনে আসল সত্যিটা প্রকাশ পাবে। মূলত পরিচালকের শর্ত ছিল কমপক্ষে ১৫ কেজি ওজন কমাতে হবে। ওজন না কমালে রঙ্গনা সিনেমার শুটিং করা সম্ভব হবে না। পরিচালকের কথা অনুয়ায়ী ওজন কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। কিছুদিন আগে ওজন কমিয়ে ফেসবুকে নিজের নিউ লুক প্রকাশ করেন শাবনূর। যা দেখে রীতিমতো চমকে ওঠেন অনেকেই। এবার সেই চমক আরও বাড়িয়ে দিয়ে ইনস্টাগ্রামে আরও দুটি নতুন ছবি শেয়ার করছেন। এই ছবিই বুঝিয়ে দিচ্ছেন অতিরিক্ত ঘাম ঝরিয়ে নিজেকে শুটিংয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করেছেন নন্দিত এই অভিনেত্রী। জানা গেছে খুব শিগগিরই দেশে ফিরে রঙ্গনা ছবির শুটিং শুরু করবেন তিনি।

শাবনূর বলেন, আমি সব সময় আমার দর্শক আর ভক্তদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এখনো দিই। তাই বলছি, তোমরা যেটা চাইবে সেটাই হবে। তোমরা যেটা পছন্দ কর, সেটাই করব। তোমরা যেটা পছন্দ কর না সেটা কখনই করব না ইনশাল্লাহ।

উল্লেখ্য, মা হওয়ার পর থেকেই ফিটনেসে পরিবর্তন এসেছে শাবনূরের। অতিরিক্ত মুটিয়ে গেছেন তিনি। শারীরিকভাবে অসুস্থতারও শিকার হয়েছেন। গেল কয়েক বছরে বহুবার তাকে ফেরাতে চেয়েছেন অনেক নির্মাতা। তবে শাবনূর সময় নিয়েছিলেন ফিট হয়ে ফিরবেন বলে। সেই সঙ্গে তিনি দোয়া চান সবার কাছে সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার জন্য। শেষবার যখন তিনি দেশে এসেছিলেন, তখনও শাবনূর ফিট ছিলেন না। আর ফিট না হয়ে সিনেমায় তার নতুন ইনিংস শুরু করাটা অনেকে ইতিবাচকভাবে নেননি। তারা পরামর্শ দেন শাবনূরকে আরও সময় নিতে। হয়তো তাদের পরামর্শই শুনেছেন নায়িকা। ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ায়।

বিষয়:

শুভ জন্মদিন ডলি জহুর

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০৪
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের প্রথিতযশা এক অভিনেত্রীর নাম ডলি জহুর। এরই মধ্যে অভিনয় জীবনের সাড়ে চার দশক পার করেছেন তিনি। একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করা এ নন্দিত তারকার একই সঙ্গে মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রে অবাধ বিচরণ ছিল এক সময়। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকের সিনেমায় নায়ক-নায়িকাদের মায়ের চরিত্রে ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু নানা কারণে শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন দীর্ঘদিন। মাঝখানে অভিনয়ে ফিরলেও চলচ্চিত্রে আর কাজ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

এক সময়ের তুমুল ব্যস্ত এ অভিনেত্রী আর আগের মতো কাজ করছেন না উল্লেখ করে এ বরেণ্যশিল্পী বলেন, এখন আমি অভিনয়ের চেয়ে নির্মাণ নিয়ে বেশি ভাবছি। গত বছর ‘দাঁড়কাক’ নামের একটি টেলিছবি বানিয়েছিলাম। টেলিফিল্মটি চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হয়েছিল। মূলত আমি নির্মাণে আসব, এমন চিন্তাভাবনা কখনোই ছিল না। দাঁড়কাকের গল্পটা পেয়ে শখ জাগে ক্যামেরার পেছনে দাঁড়ানোর। আগামীতে আরও কয়েকটি নাটক টেলিফিল্ম নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।

আজ ১৭ জুলাই এ বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের আজকের দিনে ঢাকার গ্রিন রোডে জন্মগ্রহণ করেন ডলি জহুর। তার বেড়ে ওঠাও সেখানে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। তবে প্রতিবারের মতো এবারের জন্মদিনেও বিশেষ কোনো আয়োজন থাকছে না বলে জানান তিনি। ডলি জহুর বলেন, ‘এখন আর আগের মতো জন্মদিন পালন করা হয় না। একান্ত ঘরোয়াভাবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কাটা হবে। এর বাইরে বাড়তি কোনো আয়োজন নেই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি নাট্যচক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন ডলি জহুর। এক সময় নিয়মিত মঞ্চে অভিনয় করেছেন। ঢাকাই মঞ্চের সাড়া জাগানো ‘মানুষ’ নাটকে সন্ধ্যারানীর চরিত্রে অভিনয় তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। এ ছাড়া ‘ময়ূর সিংহাসন’ ও ‘ইবলিশ’ নাটক দুটিও তার মঞ্চাভিনয়ের সেরা কাজ।

ডলি জহুর প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ‘শঙ্খনীল কারাগার’ সিনেমায় রাবেয়া চরিত্রে অভিনয় করে। এরপর ‘ঘানি’ সিনেমার জন্য এ পুরস্কার পান। ‘আগুনের পরশমণি’, ‘রং নম্বর’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’সহ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন গুণী এই শিল্পী। এখনো টেলিভিশন নাটকে সরব তিনি।

ডলি জহুর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অসাধারণ’। এর পর অংসখ্য জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘আগুনের পরশমণি’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘রং নাম্বার’, ‘ঘানি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘নিরন্তর’, ‘এবাদত’ প্রমুখ। ব্যক্তিজীবন : ১৯৭৬ সালের ৫ নভেম্বর অভিনেতা জহুরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন ডলি জহুর। বিয়ের নয় বছর পর তাদের ঘর আলোকিত করে পুত্র রিয়াসাতের জন্ম হয়। ডলি জহুর তার স্বামীকে হারান ২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর। সেই থেকে জীবনের কঠিন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে ছেলেকে মানুষ করেছেন। বর্তমানে রিয়াসাত সস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। ছেলের সঙ্গেই বছরের বেশির ভাগ সময় কাটে ডলি জহুরের।

বিষয়:

banner close