দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন দেশীয় চলচ্চিত্রে শিশিরস্নাত-খ্যাত অভিনেত্রী শাবনূর। দেশের মাটিতে ঘটা করে নিজের জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে কাউকে না জানিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন নব্বই দশকের ডাকসাঁইটে অভিনেত্রী শাবনূর। এসেই একের পর এক চমকপ্রদ খবর দেন তিনি। শুরুতে মাহফুজ আহমেদের বিপরীতে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘মাতাল হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার ঘোষণা দেন। সেই ছবির শুটিং শুরুর আগেই ‘রঙ্গনা’ নামের আরেকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। তরুণ নির্মাতা আরাফাত হোসাইন পরিচালিত এই ছবিটির এরই মধ্যে পোস্টারও প্রকাশ করা হয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় অনেকটা জমকালো আয়োজনে রাজধানীর একটি ক্লাবে রঙ্গনার মহরত অনুষ্ঠিত হলো। আর এই মহরতেই শাবনূরকে নিয়ে আরও একটি নতুন ছবির ঘোষণা দেয় রঙ্গনার প্রযোজনা সংস্থা এম এস ফিল্মস। নতুন এই ছবির নাম ‘এখনো ভালোবাসি’। দুটি সিনেমাই প্রযোজনা করছেন মৌসুমী আক্তার মিথিলা।
দীর্ঘ বিরতি পেরিয়ে আপন ভুবনে ফেরা প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, ‘রঙ্গনা সিনেমার জন্যই দেশে এসেছি। এই সিনেমার গল্প ও গান আমাকে টেনে এনেছে। সিনেমাটিতে আমাকে ভিন্ন ঘরানার একটি চরিত্রে দেখা যাবে। আপাতত গল্প বলা যাবে না। তবে সময় উপযোগী গল্প। দশ বছর আগে আমাদের সিনেমার এক ধরনের দর্শক ছিল, এখন আরেক ধরনের দর্শক। সবকিছু বিবেচনা করে বর্তমান প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই গল্পটি তৈরি হয়েছে। এখনকার দর্শক এ ধরনের গল্পই পছন্দ করে। পরিচালক সিনেমাটির জন্য অনেক পরিশ্রম করছেন। ক্যামেরার সামনে আসতে আর বেশি দিন লাগবে না। শিগগিরই কাজটি শেষ করব। এখন ‘রঙ্গনা’র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
নতুন নির্মাতাদের প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। এখনকার নতুন নির্মাতারা অনেক ভালো করছেন। ‘রঙ্গনা’র গানটা শুনেই বলেছি- এখনই শুটিং শুরু করলে ভালো হতো। কাজে ফিরতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। গল্প নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না তবে পর্দায় চমক দেখাব।
‘রঙ্গনা’র শুটিংয়ের পরই ‘এখনো ভালোবাসি’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে বলে নির্মাতা জানিয়েছেন। দুটি সিনেমা করেই থেমে থাকতে চান না শাবনূর। বললেন, এখানেই থেমে থাকব না। পরপর কাজ করব। চেষ্টা করব একটির পর আরও কাজ করার। একটি কথা বলতে চাই, কামব্যাক বলতে কিছু নেই। শিল্পীদের কখনো মরণ হয় না। শিল্পীরা সারা জীবন বেঁচে থাকে তার কাজের মাধ্যমে। তাই আমার এই ফেরাকে কামব্যাক বলতে চাই না।
‘রঙ্গনা’ সিনেমাটির কাহিনি লিখেছেন নির্মাতা নিজেই। চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন তন্ময় মুক্তাদির। খুব শিগগিরই সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। বর্তমানে চলছে শুটিংয়ের প্রস্তুতি। দুই ঈদের এক ঈদে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
জনপ্রিয় তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সম্পর্ক বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু হয়েছিল। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে একমাত্র কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান ২০১৩ সালে জন্ম নেয়। ‘আদর্শ দম্পতি’ হিসেবে পরিচিত ছিল ভক্তদের মধ্যে। ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ অনেকেই হতাশ করেছিল। আট বছর পর বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন মিথিলা। তিনি বলেন, তখন অনেক অল্পবয়সি এবং তরুণী মা ছিলেন। ভালো মন্দ বিচার করার শক্তি তার ছিল না। একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মিথিলা জানান, বিচ্ছেদের চূড়ান্ত ঘোষণার আগে তারা প্রায় দুই বছর আলাদা ছিলেন এবং এ সময়ে তিনি তাহসানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটা মানতেই পারছিলেন না।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, তাহসানের সঙ্গে সেপারেশনে থাকার সময় ভেবেছিলেন শেষ পর্যন্ত হয়তো বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়নি।
তিনি বলেন, যে কোনো বিচ্ছেদ বা যে কোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহজ না খুবই কঠিন। বন্ধু বা এটা যে কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে। আমি ছিলাম তখন অনেক অল্পবয়সী এবং তরুণী মা। আমি যে কোনো একটা ভালো মন্দ বিচার করব বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসব, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ আমার একটা ১ বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো নিজের জীবনের।
অভিনেত্রী জানান, ২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম। হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। একে তো আমার বাচ্চা আছে তারপর আমি জানলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যৎ না। আমি তখন চাকরি করতাম, কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। কিন্তু আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।
মিথিলা বলেন, মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষাভাষীদের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’য় উপস্থাপক হিসেবে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের অভিষেক হচ্ছে। নাম ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উপস্থাপনায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।
জায়েদ খান প্রতি শুক্রবার রাতে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন ভিন্ন ভিন্ন অতিথি নিয়ে। প্রথম পর্বে অতিথি হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (০৪ জুলাই ) রাত ৮টায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হয়।
টক শো সঞ্চালক হিসেবে নিজের অভিষেক প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক থেকে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘এটা আমার জন্য এক নতুন যাত্রা। আমি এমন একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যেখানে আমাদের সেই গল্পগুলো উঠে আসবে- যেগুলো বাস্তব, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং চেতনাকে নাড়া দেওয়ার মতো।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন এই ঢালিউড তারকা। হলিউডে সিনেমা করার বিষয়েও পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।
বলা দরকার, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে টিক্কা খানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জায়েদ খান। কয়েক সেকেন্ড পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাকে। তার জন্য বরাদ্দ ছিল একবাক্যের একটি সংলাপ। এতেই বাজিমাত করেছেন তিনি। জায়েদ খান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সোনার চর’। চলতি বছরের শুরুতে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। এতে আরও অভিনয় করেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন ও পাপিয়া মাহি।
‘ভানুমতী ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং চলাকালীন তীব্র ব্যথায় কাবু হয়ে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এই ঘটনায় তার ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অভিনেত্রী নিজেই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বুঝি, সব ঘটনার পিছনে কোনো কারণ থাকে।’
‘গতকাল আমি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং করছিলাম। হঠাৎ অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণা। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন যন্ত্রণার সঙ্গে আমি লড়াই করছি। সমস্ত সহ-অভিনেতাদের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ। এই ছবি আমার কাছে খুব বিশেষ।’
তার কথায়, ‘প্রতিজ্ঞা করছি, যাই ঘটে যাক এই ছবিকে আমি আরও বিশেষ করে তুলব। আমার চিকিৎসার কথা মাথায় রেখেই আমার পরিচালক ও প্রযোজকেরা শুটিংয়ের দিন ক্ষণ সাজাচ্ছেন। নিজের চোখের খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি এবং শুটিংও করছি।’
বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও একটি বড় ইতিহাস গড়লেন। হলিউডের বিখ্যাত ওয়াক অফ ফেম-এর ২০২৫ সালের মোশন পিকচার বিভাগের জন্য তার নাম মনোনীত হয়েছে। দীপিকা হলেন প্রথম এবং একমাত্র ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে সম্মানে ভূষিত হলেন।
হলিউড চেম্বার অফ কমার্স সম্প্রতি ২০২৫ সালের ওয়াক অফ ফেম-এ স্থানপ্রাপ্ত বিশিষ্টদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় দীপিকার পাশাপাশি রয়েছেন ডেমি মুর, এমিলি ব্লান্ট, র্যাচেল ম্যাক অ্যাডামস, স্ট্যানলি টুসি এবং টিমোথি চালামেটের মতো বিশ্ববিখ্যাত তারকারা।
দীপিকা পাড়ুকোন ২০১৭ সালে ‘XXX: Return of Xander Cage’ ছবির মাধ্যমে তিনি হলিউডে পা রাখেন। এর আগেও টাইম ম্যাগাজিন তাকে ২০১৮ সালে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে বেছে নিয়েছিল। এছাড়াও তিনি টাইম ১০০ ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ফিফা বিশ্বকাপে ট্রফি উন্মোচনের মতো মঞ্চে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
এখন পর্যন্ত দীপিকার তিনটি বলিউড সিনেমা একাধিকবার ১০০০ কোটির ঘর পার করেছে। অভিনয়ের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তার কাজও প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে।
১৭ বছর পর ফের একসঙ্গে বড়পর্দায় দেখা যাবে বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং সাইফ আলি খানকে। প্রবীণ পরিচালক প্রিয়দর্শনের আসন্ন হাই-অক্টেন থ্রিলার ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করছেন এই জুটি। ছবির নামও ইতোমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ‘হাইওয়ান’। নাম ঘোষণার পর থেকেই ছবিটি নিয়ে উৎসাহের পারদ তুঙ্গে।
‘হাইওয়ান’ মূলত ২০১৬ সালের সুপারহিট মালয়ালম ছবি ‘ওপ্পামে’র হিন্দি রিমেক। মালয়ালম ছবিটিতে মোহনলাল মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বলিউড রিমেকে অক্ষয় কুমারকে এবার দেখা যাবে খলনায়কের চরিত্রে। সাইফ আলি খানও এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন।
২০০৮ সালের ‘তাশান’-এর পর এই প্রথমবার পর্দায় ফিরছে অক্ষয়-সইফ জুটি। তাদের আগের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি একসময় দর্শকদের দারুণ মন জয় করেছিল। সেই পুরনো রসায়ন আবার ফিরে আসবে কি না, এখন সেটাই দেখার।
ছবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘হাইওয়ান’ নামটি একাধিক বিকল্পের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে, কারণ এটি গল্পের থিম ও চরিত্রগুলির গভীরতা সবচেয়ে ভালোভাবে প্রকাশ করে। থ্রিলারধর্মী এই গল্পের অন্ধকার ও রহস্যময় পরিবেশকে আরও জোরালো করে তুলতে এই নামটি যথাযথ বলে মনে করা হচ্ছে।
‘হাইওয়ান’-এর শুটিং শুরু হতে চলেছে আগামী অগস্টে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, ছবিটি ২০২৬ সালে মুক্তি পেতে পারে। ইতোমধ্যেই ভক্তরা প্রতীক্ষায় দিন গুনতে শুরু করেছেন।
অক্ষয় কুমার সম্প্রতি প্রিয়দর্শনের আরেকটি ছবি ‘ভূত বাংলা’র শুটিং শেষ করেছেন। অন্যদিকে, সাইফ আলি খান শেষ বার দেখা গিয়েছেন ‘জুয়েল থিফ’-এ, যেখানে তার পারফরম্যান্স দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। এখন ‘হাইওয়ান’-এর মাধ্যমে তারা আবারও প্রমাণ করতে চলেছেন, পরিণত অভিনয়ে এখনো তারা বলিউডের প্রথম সারির তারকা।
পশ্চিমা বিশ্বের তারকাদের অনেকেই কিশোরী বয়সে কুমারিত্ব হারিয়েছেন। কেউ কেউ হয়েছেন গর্ভবতীও। এরকম কথা শোনা গিয়েছিল বলিউডের এক তারকার ক্ষেত্রেও। তিনি কারিনা কাপুর খান। উইকিপিডিয়া বলছে তার বয়স ৪০ পেরিয়েছে। বলিপাড়ায় তাকে নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। অনেকেরই মতে তিনি নাকি বড়লোকের বখে যাওয়া সন্তান, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘স্পয়েল্ট ব্র্যাট’।
গুঞ্জন রয়েছে মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্কুলে থাকাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন কারিনা। ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যায়, টিনএজার কারিনার সঙ্গে নাকি ঘটে যায় এমন এক ঘটনা, যা নিয়ে সে সময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ বছর বয়সে কারিনা নাকি হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা। বাবা হিসেবে কার নাম উঠে আসে জানেন? তার আগে একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক কারিনা কাপুরের ছোটবেলা। ১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে জন্ম নেন কারিনা। বাবা রণধীর কাপুরের সঙ্গে মা ববিতার সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না।
কাপুর পরিবারের নিয়মানুসারে বিয়ের পর বউদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের নিষেধাজ্ঞা ছিল, আর এই যুক্তিই কোনোভাবে মানতে পারেননি ববিতা। দুই মেয়ে, কারিনা ও কারিশমাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি। প্রথম যমুনাবাই নার্সিং স্কুলে কারিনাকে ভর্তি করা হলেও কিছু বছর পরেই বলিউডের বেবোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেরাদুনের ওয়েলহাম গার্লস স্কুলে। সেখানেই দীর্ঘ সময় কাটান তিনি।
রটনা বলে, ওই স্কুলে থাকতে থাকতে নাকি নবম শ্রেণিতে আচমকাই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। তখন তার বয়স মোটে ১৪ বছর। এখানেই কি শেষ? সন্তানের বাবা হিসেবে উঠে আসে হৃতিক রোশনের নামও। তার সঙ্গে কারিনার যে বিশেষ সম্পর্ক ছিল এ খবর কে না জানেন?
যদিও এই ঘটনার কোনো উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় না, তাই এটা নিছকই রটনা নাকি সত্যিই ঘটেছিল এমন কোনো ঘটনা, তা এখনো ধোঁয়াশা। কারিনাও কখনো এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
বাংলাদেশের সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নাম, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা আর নেই। বুধবার (০২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ‘সাগরের তীর থেকে’ গানটি দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছিলেন এ গুণী সংগীতশিল্পী।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন জীনাত রেহানা। চিকিৎসা চলছিল তার। অবশেষে বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। জীনাত রেহানার স্বামী ছিলেন দেশের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ। তিনি আগেই প্রয়াত হয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (০২ জুলাই) জোহরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকাল ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে এই গুণী শিল্পীকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে যুক্ত হন জীনাত রেহানা। তার কণ্ঠে গাওয়া ১৯৬৮ সালের গান ‘সাগরের তীর থেকে’ শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেয়। গানটি তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি। ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবেও সংগীতজগতে যাত্রা শুরু করেন তিনি। যদিও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে তাকে নিয়মিত গানে পাওয়া যায়নি, তবুও তার গাওয়া বেশ কিছু গান আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।
আধুনিক, আধ্যাত্মিক ও ছোটদের গান, তিন ক্ষেত্রেই তিনি রেখেছেন অনন্য অবদান। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘একটি ফুল আর একটি পাখি বলতো কি নামে তোমায় ডাকি’, ‘আমি কাকন দিয়ে ডেকেছিলেম মুখে লজ্জা ছিল বলে’, ‘কপালে তো টিকলি পরবো না’, ‘আমি যার কথা ভাবছি মনে আনমনে’, ‘আমায় যদি ডাকো কাছে’, ‘কণ্ঠবীণা’, ‘মনে রেখো, স্মৃতি থেকে’ ইত্যাদি।
৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৯ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এই অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ২০টি।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৭৫ লাখ টাকা। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ২০ লাখ টাকা করে।
অনুদানের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান, মায়ের ডাক, জুলাই, রূহের কাফেলা, পরোটার স্বাদ, খোঁয়ারি, জীবন অপেরা, জলযুদ্ধ, কবির মুখ দ্য টাইম কিপার, কফিনের ডানা, নওয়াব ফুজুন্নেসা ও জুঁই।
অনুদানের জন্য মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—মন্দ-ভালো, ফেলানী, ঝুঁকির মাত্রা, জীবনের গান, হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই, ভরা বাদর, ১২৩০, বৃন্দারাণীর আঙুল, একটি সিনেমার জন্য, দাফন, সাঁতার, মাংস কম, গগন, অতিথি, বোবা, অদ্বৈত, আশার আলো, গর্জনপুরের বাঘা, হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস এবং অপসময়।
নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। সময়ের পরিক্রমায় অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হয়েছেন অনেক আগেই। এর মধ্যে কয়েকবারই সিনেমায় ফেরার কথা জানিয়েছিলেন নায়িকা। এরপর তিনি সত্যি ফিরেছিলেন লাইট-ক্যামেরার সামনে। গেল বছরের এপ্রিলে ‘রঙ্গনা’ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘ অনেক বছর পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান শাবনূর। মে মাসে অর্ধেকের বেশি সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শেষ করে আবার সিডনিতে ফিরে যান নায়িকা। এরপর কেটে যায় ১৪ মাসেরও বেশি সময়।
চলতি বছরের ৮ আগস্ট থেকে সিনেমার বাকি অংশের শুটিং হওয়ার কথা থাকলেও দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশেই ফিরতে পারেননি শাবনূর। এরপর ‘রঙ্গনা’র দ্বিতীয় ধাপের শুটিং শুরু করার কথা থাকলেও পরে জানা যায়, সম্মানীর কারণে শাবনূরের নতুন শিডিউল পাচ্ছেন না এই নির্মাতা। মাঝপথে থেমে গেছে ‘রঙ্গনা’র কাজ। এর আগে শাবনূর জানিয়েছিলেন, নির্মাতা তার সঙ্গে নাকি কথা দিয়ে কথা রাখেননি। সব মিলিয়ে এমনও রটনা রটে, সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে শাবনূর তার ভক্তদের আশ্বস্ত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তিনি সিনেমাটিতে কাজ করছেন। এরপর আরো কয়েক মাস কেটে গেলেও তার শুটিংয়ে ফেরার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে এই সিনেমার নির্মাতা আরাফাত বলেন, ‘কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, ‘রঙ্গনা’র শুটিং আর হচ্ছে না। এটা পুরোপুরি অবাস্তব কথা। শিগগিরই শাবনূর আপা দেশে আসবেন, তারপর শুরু হবে শুটিং। শাবনূর আপার সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে সিনেমার শুটিং করার পরিকল্পনা আছে।’
বর্তমান সময়ে নাটকের জনপ্রিয় জুটি নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। জুটি বেঁধে এরই মধ্যে তারা দেড় শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। গত ঈদেও একাধিক নাটক মুক্তি পেয়েছে তাদের। এর মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এসেছে কয়েকটি নাটক।
এবার নতুন আরও এক ইতিহাস গড়লেন এ জুটি। তাদের অভিনীত নাটক ‘শশুরবাড়িতে ঈদ’ ভিউয়ের দৌড়ে আগেই পেছনে ফেলেছিল বাংলা নাটকের সর্বাধিক ভিউয়ের নাটক ‘বড় ছেলে’কে। এবার আরও একটি অর্জন জমা হয়েছে এ জুটির ঝুলিতে। মাত্র ১৪ মাসে নাটকটি ইউটিউবের সর্বাধিক ভিউয়ের খাতায় নাম লেখায়। যা দ্রুততম সময়ে অধিক ভিউ। এখন পর্যন্ত নাটকটি দেখেছেন ৬ কোটির অধিক দর্শক। এটি বাংলা নাটকের ইতিহাসে অনন্য এক রেকর্ড।
গত বছরের এপ্রিল মাসে ইউটিউবে মুক্তি পায় নাটকটি। গত আট বছর ধরেই শীর্ষ এই স্থানটি ধরে রেখেছিল ‘বড় ছেলে’ নাটক। ভিউয়ের দিক থেকে এখন এটির অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। এর ভিউ ৫ কোটি ৪৮ লাখ পেরিয়েছে।
‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করার ঘটনাকে ঘিরে। বিয়ের পর দূরে থাকলেও এবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখে পড়েন জামাই।
চলতি বছর ফের গানে নিয়মিত হলেন কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। স্টেজ শোর পাশাপাশি নতুন গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেন তিনি।
আজ সোমবার (৩০ জুন) ‘প্রাণের বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি দেশের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন আরিফ হোসেন বাবু। এটির সংগীত পরিচালনা করেছেন রোহান রাজ। এ গান প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘গানটির কথাগুলো খুব সুন্দর। প্রচলিত মডার্ন সুরে দেশের এ গান। শুনতে বেশ ভালো লাগে। রোহান যেমন ভালো গায়, তেমনই এ গানে ভালো সংগীতও করেছে। আশা করছি, শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’ গীতিকার-সুরকার আরিফ হোসেন বাবু বলেন, ‘গান নিয়ে সাবিনা আপার পাশে দাঁড়ানোও একটা সৌভাগ্যের বিষয়। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এমন একজন কিংবদন্তির কণ্ঠে আমার একটি গান থাকা এটি অনেক বড় আনন্দের বলতে পারি।’ সংগীত পরিচালক রোহান রাজ বলেন, ‘গান নিয়ে ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখেছি। যাদের গান শুনে বড় হয়েছি তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য ভীষণ আনন্দের। তার মধ্যে সাবিনা আপা আমাদের লিজেন্ড। তিনি আমার সংগীতে গেয়েছেন, এটিই আমার জন্য বড় পাওয়া।’ সাবিনা ইয়াসমিনের সর্বশেষ প্রকাশিত গান ‘আমার পতাকা লাল-সবুজে আঁকা’। তার সঙ্গে গানটিতে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। এটি লিখেছেন মনিরুজ্জামান মনির। সুর-সংগীত পরিচালনা করেছেন মনোয়ার হোসাইন টুটুল।
দুই বাংলার তিন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী—ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও চঞ্চল চৌধুরী—প্রথমবারের মতো একসঙ্গে বড় পর্দায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন। পরিচালক অমিতাভ ভট্টাচার্য পরিচালিত নতুন ছবি ‘ত্রিধারা’-তে দেখা যাবে এই তিনজনকে।
ছবির প্রযোজনায় রয়েছেন অমিত মুখোপাধ্যায়। প্রাথমিক কথাবার্তা চললেও দর্শকদের প্রত্যাশা, এই ছবি মুক্তি পেলে দুই বাংলার অভিনয়প্রেমীরা এক ফ্রেমে তিন কিংবদন্তিকে দেখতে পাবেন।
‘ত্রিধারা’ নাম থেকেই স্পষ্ট, এটি তিনটি ভিন্ন জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে। প্রেম, অতীত এবং জীবনের বাস্তবতা—এই ত্রিমুখী রসায়নের জটিলতায় গাঁথা হবে সিনেমার কাহিনি।
চরিত্রদের জীবনে ২৫ বছর আগেকার প্রেম হঠাৎ ফিরে এলে কীভাবে তা বর্তমানকে এলোমেলো করে দেয়, কীভাবে মানুষ নিজের ভাঙা জীবনকে গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করে—এই টানাপড়েনকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হবে ‘ত্রিধারা’।
যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা হয়নি, প্রাথমিক পর্যায়ে কলাকুশলীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী কেউই এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি।
এদিকে, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে ব্যস্ত আছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত পরিচালিত ছবি ‘গৃহপ্রবেশ’ নিয়ে। ছবিতে আরও রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, জিতু কমল, সোহিনী সেনগুপ্ত ও রুদ্রনীল ঘোষ।
ছোটপর্দায় শুদ্ধ অভিনয়ের জন্য তাসনিয়া ফারিণ অনেক আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কখনও গল্পের আবেগঘন কেন্দ্রবিন্দু, কখনও বা কাঁধে চেপে থাকা সম্পর্কের ভার—সবই তিনি বহন করেছেন সুনিপুণ দক্ষতায়। সিনেমার পর্দা তো ভিন্ন মেজাজের! আবার যদি হয় বাণিজ্যিক সিনেমা? সেটি যেন এক অন্য মহাকাব্য; যেখানে আবেগের পাশাপাশি লাগে অ্যাকশন, গ্ল্যামার আর সঠিক ‘স্ক্রিন প্রেজেন্স’। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাফ’ যেন সেই পরীক্ষাতেই ফারিণের সাহসী অংশগ্রহণ।
মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তি ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়’। মানুষের এই বদলে যাওয়াটা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় হয়। কখনও তা নান্দনিক, কখনও তা জরাজীর্ণ। তবে মানুষ সময়ের সঙ্গে বদলে যেতে থাকে। সেটি নানাভাবে নানামাত্রায়। এই বদলে যাওয়া কখনও প্রশংসিত, কখনও বা তিরস্কৃত। নাটক ও ওটিটি কনটেন্টের অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণও বদলে গেলেন। তার এই বদলে যাওয়া প্রশংসিত হলেও ঢের অবাক হয়েছেন দর্শকরা।
যে ফারিণকে এতকাল যারা দেখেছেন কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া প্রেমিকার চরিত্রে, পাশের বাসার মিষ্টি মেয়ের চরিত্রে কিংবা ঝগড়াটে প্রেমিকা হিসেবে। সেই ফারিণ সিনেমায় এসে হয়ে উঠলেন অ্যাকশন গার্ল! শাড়ি পরে ভারতের দক্ষিণী নায়িকাদের মতো তুমুল মারপিট করলেন। পুলিশের পোশাকে তার ক্যারিশমা দেখলেন সবাই। শুধুই কী তাই, ফারিণ আইটেম গানেও নাচলেন। নাচালেন দর্শকদেরও। কীভাবে ফারিণ এতটা বদলালেন? প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ, কয়েক বছর আগেও নাটকের অভিনেত্রীরা সিনেমায় এসে এমন চরিত্র করবেন তা যেন কল্পনারও বাইরে ছিল। যারাও এসেছেন তারাও আর্টফিল্ম টাইপের সিনেমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছেন। নাচগান আর অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমায় তাদের ভাবাও যায়নি। অথচ ফারিণ সেটি করে দেখালেন। কোমল ফারিণ হয়ে উঠলেন মারকাটারি জাহান খান। ইনসাফ ফারিণের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক সিনেমা। নাটক-ওটিটি কিংবা ভিন্ন ধারার গল্পের সিনেমার পর ‘ইনসাফ’-এ ফারিণ নিজেকে যে রূপে উপস্থাপন করেছেন, তা সাহসী, শারীরিক ও মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং—একজন ‘অ্যাকশন হিরোইন’। এই রূপান্তরের পেছনে লুকিয়ে আছে তার পরিশ্রম, প্রস্তুতি এবং আত্মনিবেদন। ফারিণের মতে, পুরো প্রজেক্টে তার আত্মবিশ্বাস এসেছিল মূলত স্ক্রিপ্ট পড়ে, নির্মাতা ও সহ-অভিনেতাদের প্রতি বিশ্বাস থেকে। জাহান চরিত্রটি শুধু মানসিক গভীরতা নয়, চাইছিল শারীরিক প্রস্তুতিও। এখানেই ফারিণের রূপান্তর সবচেয়ে দৃশ্যমান। ট্রেনিং, স্টান্ট রিহার্সাল, দিনের পর দিন কঠিন শুটিং— সব কিছু মিলিয়ে ফারিণ যেন নিজেকেই নতুন করে চিনেছেন। যারা ছবিটি দেখেছেন, তারা জানেন— এই অভিনেত্রী শুধু সংলাপে নয়, শরীরী অভিব্যক্তি, লড়াইয়ের দৃশ্য–এমনকি গানেও দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ‘আকাশেতে লক্ষ তারা’ গানে তার পারফরম্যান্স, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত।