জনপ্রিয়তায় অভিনেত্রী জয়া আহসান দুই বাংলাতেই বেশ জনপ্রিয়। দুই বাংলাতেই রয়েছে চিরসবুজ এই অভিনেত্রীর অনেক ভক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়া কোনো নতুন ছবি দেওয়া কিংবা কোনো মন্তব্য করা তা নিয়ে রীতিমতো নেটদুনিয়ায় চাউর হওয়ার মতো অবস্থা। সমানতালেই জয়া অভিনয় করে চলেছেন কলকাতা ও ঢাকাই সিনেমায়। সব সময় এত হাসিখুশি ও চনমনে থাকা জয়ার মনে যে বড় কোনো দুঃখ রয়েছে তাকে দেখলে তা বোঝাই যায় না হয়তো। তবে সবার মনের মধ্যেই থাকে গোপন কোনো ব্যথার কথা। ঠিক তেমনিভাবে জয়াও তার মনে লুকানো বড় দুঃখের কথা খোলাসা করেছেন।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘শর্মিলা শো’-তে তার জীবনে বড় দুঃখ কী জানতে চাইলে জয়া বলেন, বাবা-মায়ের যাওয়াটাই হলো আমার জীবনের বড় দুঃখ। জানান, তার চেহারা হুবহু বাবার মতো। হাসিটাও অবিকল বাবার। বাবার মতোই রাগী হয়েছেন তিনি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে বাবা না থাকার দুঃখ তিনি কখনো ভুলবেন না বলেও উল্লেখ করেন।
সাক্ষাৎকারে এপার বাংলা-ওপার বাংলার পরিচালকদের প্রশংসা করে অভিনেত্রী জানান, ‘দুই বাংলার পরিচালকদের জন্যই তিনি জয়া হয়ে উঠতে পেরেছেন। তাদের জন্যই নিজের অভিনীত চরিত্রগুলোর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করার সুযোগটাও পেয়েছেন।’
কলকাতার অভিনেত্রীরা বাংলাদেশে এলে একটা চাপা অভিমান নিয়ে ফিরে যান- উপস্থাপিকার এমন প্রশ্ন একদমই মানতে নারাজ জয়া। এ প্রশ্নের পাল্টা যুক্তিতে জয়া বলেন, ‘এমনটা হওয়ার কথা নয়। সম্প্রতি স্বস্তিকা মুখার্জি বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাকে বলতে শোনা গেছে, বাংলাদেশ থেকে তিনি লাগেজ লাগেজ ভালোবাসা নিয়ে ফিরেছেন। ভালোবাসা ছাড়া অন্তত বাংলাদেশ থেকে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই বাংলায় মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত দুটি ছবি। পশ্চিমবঙ্গে ‘ভূতপরী’ আর বাংলাদেশে ‘পেয়ারার সুবাস’। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জয়া এ কথা বলেন। এ সময় তার ব্যক্তিগত কথাও বললেন মজার ছলে।
জয়ার জীবনে প্রেম তালিকা তৈরি হলে সেখানে কাকে কাকে রাখা হবে? জানতে চাইলে জয়া মুচকি হেসে বলেন, ‘এই তালিকা আমি মিডিয়ার সামনে কেন বলব? তবে তোমার (উপস্থাপিকার) কানে কানে আমি সব বলে দেব।’
গত বছর কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’ এবং সৃজিত মুখার্জির সিনেমা ‘দশম অবতার’ করে ওপার বাংলায় দারুণ আলোচনায় ছিলেন জয়া। নতুন বছর নিয়ে এলেন ‘ভূতপরী’ আর ‘পেয়ারার সুবাস’ নামে দুটি চমক। সামনেও আসছে জয়া ভক্তদের জন্য নতুন কিছু ছবি।
‘দিল্লি ক্রাইম’ সিরিজে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত অভিনেত্রী হুমা কুরেশি এবার দর্শকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন ও রহস্যময় এক অবতারে। কন্নড় সুপারস্টার যশ এবং বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানির সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত ‘টক্সিক’ সিনেমায় তাঁকে দেখা যাবে ‘এলিজাবেথ’ নামক এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। সম্প্রতি সিনেমার নির্মাতারা এই চরিত্রে হুমার প্রথম ঝলক বা পোস্টার প্রকাশ করেছেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিমিষেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রকাশিত পোস্টারে হুমা কুরেশিকে এক অন্ধকার ও গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে দেখা গেছে। কালো পোশাকে অনেকটা ‘গথ কুইন’ বা ‘ডার্ক অ্যাঞ্জেল’ ঘরানার লুকে ভিনটেজ গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হুমার এই উপস্থিতি পুরো সিনেমার গল্পের গভীরতা ও অন্ধকার জগতের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে কবরস্থানের মতো একটি আবহ তাঁর চরিত্রটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। পরিচালক গীতু মোহনদাস জানান, এলিজাবেথ চরিত্রটির জন্য এমন একজন অভিনেত্রীর প্রয়োজন ছিল যাঁর অভিনয়ের গভীরতা অনেক বেশি এবং হুমার মাঝে তিনি সেই নিখুঁত দক্ষতা খুঁজে পেয়েছেন। নির্মাতাদের মতে, এই সিনেমাটি হুমার ক্যারিয়ারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ হতে যাচ্ছে।
নিজের নতুন এই চরিত্র নিয়ে হুমা কুরেশিও বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি জানান, গীতু মোহনদাসের সাহসী চিন্তাভাবনা এবং গল্পের ব্যাপ্তি তাঁকে এই প্রকল্পের প্রতি শুরু থেকেই আগ্রহী করে তুলেছিল। প্রথমবার চিত্রনাট্য শোনার পরেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এলিজাবেথ চরিত্রটি তাঁর জন্য একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। যশের মতো বড় তারকার সাথে স্ক্রিন শেয়ার করার বিষয়টিও দর্শকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে কাজ করবে।
‘টক্সিক: আ ফেয়ারি টেল ফর গ্রোন-আপস’ শিরোনামের এই সিনেমাটি ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। কাকতালীয়ভাবে একই দিনে মুক্তি পাবে রণবীর সিংয়ের অ্যাকশন ড্রামা ‘ধুরন্ধর ২’। ফলে বক্স অফিসে দুই বড় সিনেমার মধ্যে এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা। যশের ১৯তম প্রধান চরিত্রের সিনেমা হিসেবে এটি প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এবং বর্তমানে এর শুটিং ও পরবর্তী কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। রাজীব রবির সিনেমাটোগ্রাফিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি আধুনিক ও প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী এক লোকজ আখ্যান হিসেবে পর্দায় ধরা দেবে।
জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুনকে এক নজর দেখার উন্মাদনা শেষ পর্যন্ত রূপ নিয়েছিল এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে। সেই মর্মান্তিক ঘটনার এক বছরেরও বেশি সময় পর এবার বড় ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিল হায়দরাবাদ পুলিশ। ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ার চলাকালীন পদদলিত হয়ে এক নারী ভক্তের মৃত্যুর ঘটনায় আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে আদালতে আনুষ্ঠানিক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশের এই সিদ্ধান্তের ফলে এই দক্ষিণী সুপারস্টার এখন বড় ধরনের আইনি সংকটের মুখে পড়েছেন।
২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের আরটিসি এক্স রোডস এলাকার সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো চলাকালীন এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রিয় তারকাকে দেখার জন্য সেখানে কয়েক হাজার ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন। ভিড় সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় এক পর্যায়ে ভয়াবহ পদদলনের সৃষ্টি হয়, যাতে রেভাথি নামে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী প্রাণ হারান এবং তাঁর ছোট সন্তান শ্রীতেজ মারাত্মকভাবে আহত হন। ঘটনার এক বছর পর হায়দরাবাদের নামপল্লি আদালতে জমা দেওয়া এই চার্জশিটে আল্লু অর্জুনসহ মোট ২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ দাবি করেছে যে, প্রিমিয়ার শোতে অভিনেতার উপস্থিতির বিষয়ে আগে থেকে তথ্য থাকলেও আয়োজকরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনেতাকে সেখানে উপস্থিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও তিনি তা উপেক্ষা করে হাজির হন। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লু অর্জুনের ব্যক্তিগত ম্যানেজার, স্টাফ এবং বেসরকারি দেহরক্ষীদের উসকানিমূলক আচরণ ভিড়কে আরও অনিয়ন্ত্রিত ও বিপজ্জনক করে তুলেছিল। এছাড়াও থিয়েটার কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথ না থাকাকেও এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-এ ধারাসহ জননিরাপত্তা বিপন্ন করার একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ঘটনার পরপরই ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আল্লু অর্জুনকে একবার গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে মামলাটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করল। অন্যদিকে, নিহত রেভাথির পরিবার ন্যায়বিচারের পাশাপাশি আহত শিশুটির দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিনোদন জগতের অন্যতম শীর্ষ তারকার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ও বিচারিক তৎপরতা বর্তমানে ভারতজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান ও অভিনেত্রী কেয়া পায়েল অভিনীত নতুন নাটক ‘কোটিপতি’ বর্তমানে ইউটিউবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মুক্তির মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নাটকটি ৩০ লাখেরও বেশি ভিউ অতিক্রম করে এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছে। মানবিক মূল্যবোধ আর পারিবারিক সম্পর্কের এক অসাধারণ আখ্যান নিয়ে নির্মিত এই নাটকটি বর্তমান সময়ের দর্শক রুচির এক সার্থক প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সিএমভির ব্যানারে নির্মিত এই নাটকটি পরিচালনা করেছেন এস আর মজুমদার এবং এর হৃদয়ছোঁয়া চিত্রনাট্য লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। নাটকের গল্পটি আবর্তিত হয়েছে একজন কোটিপতির জীবনকে ঘিরে, যিনি অঢেল সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও একজন সাধারণ মধ্যবিত্তের মতো জীবনযাপন এবং মানবিকতার মূল্যকে সবার উপরে স্থান দিতে সচেষ্ট থাকেন। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ছাপিয়ে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান এবং সহকর্মীদের সাথে হাসি-কান্নার এক নিটোল পারিবারিক প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এই নাটকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবের মন্তব্য ঘরে দর্শকরা নাটকটিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। সাধারণ দর্শকরা মনে করছেন, নাটকটি কেবল বিনোদনের খোরাক নয় বরং নতুন প্রজন্মের জন্য একটি মানবিক শিক্ষা ও সঠিক দিকনির্দেশনা। বিশেষ করে বিত্তবানদের মধ্যে যে উদার মানবিক মন থাকা প্রয়োজন, নাটকটি সেই বার্তাই খুব সাবলীলভাবে পৌঁছে দিয়েছে। জোভান ও পায়েলের অনবদ্য অভিনয়ের পাশাপাশি গুণী অভিনেতা আজিজুল হাকিম, নাদের চৌধুরী, কিংকর আহসান ও মিলি বাশারের শক্তিশালী উপস্থিতি নাটকটির গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সাফল্যের এই মুহূর্তে পরিচালক এস আর মজুমদার এবং প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায় অভিভূত ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, কোটিপতি হওয়া গর্বের বিষয় হতে পারে, কিন্তু মানুষের কল্যাণ ও মানবিকতাই যে জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ, সেই ধ্রুব সত্যটিই তাঁরা গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। দর্শকদের এমন অভূতপূর্ব সাড়া প্রমাণ করে যে, জীবনঘনিষ্ঠ ও সুস্থ ধারার গল্পের প্রতি মানুষের আগ্রহ এখনো অটুট। পারিবারিক টানাপোড়েন আর মানবিকতার এই চমৎকার মেলবন্ধন ‘কোটিপতি’ নাটকটিকে চলতি বছরের অন্যতম সফল ডিজিটাল কন্টেন্টের তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে।
বলিউডে বড় ধরনের ব্যবসায়িক সংঘাত এড়াতে পিছিয়ে গেল আলিয়া ভাট অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘আলফা’র মুক্তির তারিখ। যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই নারী গোয়েন্দা ঘরানার সিনেমাটি আগামী ২০২৬ সালের ১৭ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে আসার কথা ছিল। তবে একই দিনে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের নতুন সিনেমা ‘ব্যাটেল অব গালওয়ান’ মুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসায় ‘আলফা’র প্রযোজক আদিত্য চোপড়া এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মূলত সালমান খানের মতো বড় তারকার সিনেমার সঙ্গে সরাসরি টক্কর দিয়ে ব্যবসায়িক ঝুঁকি নিতে চাইছে না যশরাজ ফিল্মস।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২৭ ডিসেম্বর, সালমান খানের জন্মদিনে। ভক্তদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে অভিনেতা তাঁর আসন্ন সিনেমা ‘ব্যাটেল অব গালওয়ানে’র প্রথম ঝলক বা টিজার প্রকাশ করেন। গালওয়ান উপত্যকার ভারত-চীন সংঘাতের সত্য ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিতে সালমান খানকে বীর সেনা কর্নেল বিকুমল্লা সন্তোষ বাবুর ভূমিকায় দেখা গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর অ্যাকশন অবতারে সালমানের এই উগ্র ও দেশাত্মবোধক লুক দেখে চলচ্চিত্র বিশ্লেষক এবং ভক্তরা মনে করছেন, এটি বক্স অফিসে এক বিশাল ঝড় তুলবে। প্রখ্যাত সিনে-বিশ্লেষক তরণ আদর্শ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যে, সালমানের এই সিনেমার সম্ভাব্য দাপট বিবেচনায় নিয়ে ‘আলফা’র মুক্তি স্থগিত করা হয়েছে।
আলিয়া ভাটের ‘আলফা’ সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মাঝে শুরু থেকেই ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে। এটি যশরাজ স্পাই ইউনিভার্সের প্রথম নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র, যেখানে আলিয়ার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন শর্বরী এবং অনিল কাপুর। বিশেষ করে ববি দেওলকে এই ছবিতে আবারও এক ভয়ংকর খলচরিত্রে দেখা যাবে, যার কিছুটা আভাস ‘ওয়ার ২’ সিনেমার সঙ্গে দেখানো প্রোমোতে পাওয়া গিয়েছিল। অন্যদিকে, অপূর্ব লাখিয়া পরিচালিত ‘ব্যাটেল অব গালওয়ান’ ছবিতে সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রাঙ্গদা সিং। সিনেমাটি ২০২৬ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তির জন্য চূড়ান্ত থাকলেও ‘আলফা’র নতুন মুক্তির তারিখ সম্পর্কে এখনও কোনো ঘোষণা দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বলিউড পাড়ায় এই সিদ্ধান্তকে একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বড় বাজেটের দুটি সিনেমা একই দিনে মুক্তি পেলে উভয়েরই ব্যবসায়িক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সালমানের ‘টাইগার’ ইমেজের বিপরীতে আলিয়া ভাটের নতুন ‘স্পাই’ অবতারে দেখার অপেক্ষায় থাকা ভক্তদের এখন আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যশরাজ ফিল্মসের পক্ষ থেকে শীঘ্রই ‘আলফা’র জন্য একটি নতুন ও নিষ্কণ্টক মুক্তির তারিখ জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত বক্স অফিসের শীর্ষস্থান ধরে রাখতে এবং দর্শকদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতেই এই কৌশলগত রদবদল করা হয়েছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আবারও রূপালি পর্দায় জীবন্ত হতে চলেছে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের গৌরবময় ইতিহাস। নানা ব্যক্তিগত ও কারিগরি জটিলতায় থমকে থাকা ‘প্রীতিলতা’ সিনেমার কাজ পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে, অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এই ঐতিহাসিক চলচ্চিত্রের বাকি অংশের শুটিং শুরু হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা রাশিদ পলাশ লেখেন, “এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশাআল্লাহ ২০২৬”। নির্মাতার এই ঘোষণার পরপরই সেখানে মন্তব্য করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তিনি সংক্ষেপে লেখেন, “আমিও প্রস্তুত আছি”। এই ছোট্ট অথচ বলিষ্ঠ বার্তার মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, সব বাধা কাটিয়ে নতুন বছরে আবারও অগ্নিকন্যা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে যাচ্ছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
সিনেমাটির নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিচালক জানান, ২০২০ সালের শেষের দিকে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনী নিয়ে বড় পরিসরে কাজ শুরু হয়েছিল। তখন ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং সম্পন্ন হয়। তবে এর পরপরই পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতি এবং অন্যান্য কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে প্রজেক্টটি দীর্ঘ সময়ের জন্য থমকে যায়। দীর্ঘ এই বিরতির পর এখন তারা পুরোপুরি গুছিয়ে মাঠে নামছেন। এবারের শুটিংয়ের বড় একটি অংশ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক লোকেশনে ধারণ করা হবে, যেখানে প্রীতিলতার বীরত্বগাথার মূল পটভূমি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রীতিলতা বেশে পরীমণির ‘ফার্স্ট লুক’ বা প্রথম অবয়ব প্রকাশের পর দর্শক ও সমালোচক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর সেই সাহসী লুকটি সাধারণ মানুষের মধ্যে সিনেমাটি নিয়ে বিপুল আগ্রহ তৈরি করে। যদিও সমসাময়িক সময়ে প্রীতিলতাকে নিয়ে নির্মিত অন্য একটি সিনেমা (তিশা অভিনীত) মুক্তি পেয়েছে, তবে রাশিদ পলাশ ও পরীমণি জুটির এই কাজটির জন্য সিনেমাপ্রেমীরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। ইতিহাসের এক রক্তঝরা অধ্যায়কে নতুন প্রজন্মের সামনে শৈল্পিকভাবে তুলে ধরাই এই চলচ্চিত্রের মূল লক্ষ্য। পরীমণির এই রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঢাকাই সিনেমার জন্য এক বড় চমক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বিদায়ের লগ্নে দাঁড়িয়ে ২০২৫ সালকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, এ বছর বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গন ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। চলচ্চিত্র, নাটক, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং কোক স্টুডিও বাংলার মতো বড় আয়োজনগুলো শ্রোতাদের উপহার দিয়েছে অসংখ্য মন মাতানো গান। বছরজুড়ে নতুন গানের ব্যাপক জয়জয়কার থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইউটিউব এবং বিভিন্ন মিউজিক অ্যাপের পরিসংখ্যানে দশটি গান বিশেষত শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গেড়ে নিয়েছে।
এ বছরের অন্যতম বড় চমক ছিল ‘তাণ্ডব’ সিনেমার গান ‘লিচুর বাগানে’। প্রীতম হাসানের অনবদ্য সুর ও সংগীতায়োজনে গানটিতে তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন জেফার রহমান, মঙ্গল মিয়া ও আলেয়া বেগম। ভিন্নধর্মী গায়কী ও রিদমের কারণে গানটি মুক্তির পরপরই আলোচনার তুঙ্গে চলে আসে। একইভাবে ‘বরবাদ’ সিনেমার ‘চাঁদ মামা’ গানটিও প্রীতম হাসানের জাদুকরী স্পর্শে তরুণ প্রজন্মের প্লে-লিস্টে শীর্ষ স্থান দখল করে নেয়, যেখানে তাঁর সাথে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন অদিতি রহমান দোলা। চলচ্চিত্রের বাইরে সংগীতশিল্পী ঈশান মজুমদারের নিজস্ব সৃজনে তৈরি ‘গুলবাহার’ গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ঈশান ও শুভেন্দু দাস শুভর কণ্ঠে গাওয়া এই গানটির ভিউ ইতোমধ্যে ৩ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়ে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।
রোমান্টিক ঘরানার গানে বরাবরের মতো ইমরান ও কনা জুটি তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছেন। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় ও ইমরানের সংগীতায়োজনে ‘জ্বীন-৩’ সিনেমার ‘কন্যা’ গানটি সিনেমা মুক্তির আগেই দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অন্যদিকে, চলচ্চিত্র ‘দাগি’-র শিরোনাম সংগীত ‘একটুখানি মন’ গানটি জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান ও মাশা ইসলামের কণ্ঠে এক ভিন্ন মাত্রা পায়। কবি সাদাত হোসাইনের কথা ও সাজিদ সরকারের মেলোডিয়াস সুর গানটিকে বছরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক সংগীতে পরিণত করেছে।
কোক স্টুডিও বাংলার এবারের আসরও ছিল শ্রোতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। হাবিব ওয়াহিদ ও মেহেরনিগরি রুস্তমের কণ্ঠে আধুনিক ও ক্লাসিক্যাল সুরের মিশেলে তৈরি ‘মহাজাদু’ গানটি সব শ্রেণির শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। একই আয়োজনের ‘বাজি’ গানটি ইমন চৌধুরী ও লোকজ সুরের জাদুকর হাশিম মাহমুদের কণ্ঠে এক অপূর্ব লোকসংগীতের আধুনিক রূপ হিসেবে ধরা দিয়েছে। এ ছাড়াও কোক স্টুডিওর ‘লং ডিস্ট্যান্স লাভ’ গানটি এর গভীর কথামালার জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল, যেখানে শুভেন্দু দাসের গিটার ও সায়ান চৌধুরী অর্ণবের পিয়ানোর কাজ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ব্যতিক্রমী প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তসনিয়া ফারিণও। তাঁর নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে মুক্তি পাওয়া ‘মন গলবে না’ গানটি এ বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়, যেখানে তাঁর সাথে দ্বৈত কণ্ঠে ছিলেন ইমরান। ব্যান্ড সংগীতের ভক্তদের জন্য এ বছরের বড় প্রাপ্তি ছিল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের কালজয়ী গান ‘এই অবেলায়’-এর দ্বিতীয় কিস্তি বা ‘এই অবেলায়-২’। প্রায় ১০ মিনিটের দীর্ঘ এই গানটি ব্যান্ডের বর্তমান ভোকাল শেখ ইশতিয়াকের কণ্ঠে পুরনো আবেগ ও নতুনত্বের এক অসাধারণ সমন্বয় হিসেবে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। সব মিলিয়ে মেলোডি, ফোক, রক এবং পপ—সব ঘরানার গানের এই মেলবন্ধন ২০২৫ সালকে বাংলাদেশের সংগীত ইতিহাসের এক স্মরণীয় বছর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী বছর দেশের গানের জগত শ্রোতাদের জন্য আর কী নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়।
রিয়ালিটি শো ‘বিগ বস ১৯’-এ নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং ১৬০ জন দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরার দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন তানিয়া মিত্তল। তখন অনেকেই তাঁর ব্যবসায়ী পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে এবার সেই সব সমালোচনার জবাব দিতে এক অভাবনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। সরাসরি নিজের মালিকানাধীন কনডম তৈরির ফ্যাক্টরি বা কারখানা ঘুরিয়ে দেখিয়ে নেটিজেনদের চমকে দিয়েছেন এই উদ্যোক্তা।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে তানিয়া তাঁর কারখানার ভেতরকার কর্মযজ্ঞ তুলে ধরেন। ভিডিওতে দেখা যায়, বিশাল একটি আধুনিক কারখানায় স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে কনডম তৈরির বিভিন্ন ধাপ চলছে। কাঁচামাল প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে উৎপাদন এবং সবশেষে উন্নত প্রযুক্তিতে প্যাকেজিং—প্রতিটি স্তরই তিনি দর্শকদের বুঝিয়ে বলেন। তানিয়া জানান, কনডম যেহেতু মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সাথে সরাসরি জড়িত, তাই তাঁর কারখানায় গুণমান নিয়ন্ত্রণে কোনো আপস করা হয় না। প্রতিটি পণ্য বাজারজাত করার আগে ল্যাবে কঠোরভাবে ‘লিক টেস্ট’ ও মান পরীক্ষা করা হয়।
ভিডিওতে তানিয়াকে তাঁর কারখানার শ্রমিকদের সাথে বেশ সাবলীলভাবে কথা বলতে দেখা যায়। কর্মীরা তাঁকে ‘বস’ বা ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন এবং জানান যে তাঁরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিবেশে কাজ করেন ও নিয়মিত পারিশ্রমিক পান। এর মাধ্যমে তানিয়া প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, তিনি কেবল নামমাত্র মালিক নন, বরং কারখানার প্রতিদিনের কার্যক্রমের সাথে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ব্যবসায়িক প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন তানিয়া। তিনি বলেন, “আমাদের সমাজে যৌন স্বাস্থ্য বা কনডম নিয়ে কথা বলতে এখনো অনেকে লজ্জাবোধ করেন। অথচ এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং দায়িত্বশীল শিল্প। এই জড়তা ভাঙতেই আমি সরাসরি কারখানার ভেতরের চিত্র সবার সামনে আনতে চেয়েছি।”
তানিয়ার এই সাহসী পদক্ষেপ নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ তাঁর ব্যবসায়িক সফলতায় অবাক হয়েছেন, আবার অনেকে সামাজিক ট্যাবুর বিরুদ্ধে তাঁর এই স্পষ্ট অবস্থানের প্রশংসা করেছেন। রিয়ালিটি শো-র গ্ল্যামার ছাপিয়ে একজন আত্মবিশ্বাসী ও সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরলেন তানিয়া মিত্তল। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়কার মতো কোনো চাপ বা সমালোচনা তাঁকে দমাতে পারেনি, বরং নিজের কাজে তিনি এখন আরও বেশি সরব।
ঢাকার সিনেমাপ্রেমীদের জন্য সপ্তাহান্তের ছুটিতে বড় চমক নিয়ে এসেছে হলিউডের দুই ভিন্ন ঘরানার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে রাজধানীর প্রেক্ষাগৃহগুলোতে একযোগে মুক্তি পেয়েছে হরর-কমেডি ঘরানার ‘অ্যানাকোন্ডা’ এবং জনপ্রিয় অ্যানিমেশন অ্যাডভেঞ্চার ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। দীর্ঘ বিরতির পর দর্শকপ্রিয় ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের এই নতুন সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে যেমন রোমাঞ্চ কাজ করছে, তেমনি খুদে দর্শক ও অ্যানিমেশন ভক্তদের জন্য স্পঞ্জববের নতুন অভিযান বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে।
টম গরমিকান পরিচালিত ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিনেমাটিতে একদল মানুষের জীবনের মধ্যবয়সের সংকট এবং একটি পুরোনো সিনেমা রিবুট করার প্রচেষ্টা এক ভিন্নধর্মী আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পের মোড় ঘোরে যখন তারা একটি আসল অ্যানাকোন্ডা নিয়ে শুটিং শুরু করে এবং দুর্ঘটনাবশত সাপটি মারা যায়। এরপর রহস্যময় এক গহীন জঙ্গলে তারা আটকা পড়ে এবং এক অজানা ভয়ংকর প্রাণীর মুখোমুখি হয়। এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় তারকা পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক এবং স্টিভ জাহান। হাসি আর আতঙ্কের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণে তৈরি এই সিনেমাটি দর্শকদের একদম নতুন এক অভিজ্ঞতা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ঢাকার পর্দায় এখন দেখা যাচ্ছে স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ছবিটি বক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে এবং উদ্বোধনী দিনেই প্রায় ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এবারের গল্পে স্পঞ্জবব তার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় পোষা প্রাণী গ্যারিকে খুঁজতে সমুদ্রের অতল গহ্বর থেকে শুরু করে মহাশূন্য পর্যন্ত এক দুঃসাহসিক অভিযানে নামে। পথে তাকে ফ্লাইং ডাচম্যানসহ বিভিন্ন ভিলেনের মোকাবিলা করতে হয়। সব মিলিয়ে শিশুসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে উপভোগ করার মতো এই দুটি চলচ্চিত্র ঢাকার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে এই শীতে এক নতুন উন্মাদনার সৃষ্টি করেছে।
বলিউডের বক্স অফিস ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করল সাম্প্রতিক সুপারহিট সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। মাত্র চতুর্থ ভারতীয় সিনেমা হিসেবে এটি এক হাজার কোটি টাকার আয়ের অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করে এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে। মুক্তির পর থেকেই প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দাপট বজায় রাখা এই সিনেমাটি প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় করে চলেছে, যা এর জনপ্রিয়তার এক উজ্জ্বল প্রতিফলন। এই অর্জনের মাধ্যমে ‘ধুরন্ধর’ এখন বলিউডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয়কারী শীর্ষ চারটি সিনেমার তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছে।
বলিউডে এক হাজার কোটি টাকার গণ্ডি অতিক্রম করা সিনেমার তালিকায় এখনও শীর্ষস্থানটি দখল করে আছে আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’। চীনের বাজারে অভাবনীয় সাফল্যের ওপর ভর করে এই সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ হাজার ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী উচ্চতায় পৌঁছেছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শাহরুখ খানের ব্লকবাস্টার ‘জাওয়ান’, যার মোট আয়ের পরিমাণ ১ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। শাহরুখেরই আরেক মেগা হিট ‘পাঠান’ ১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা আয় করে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। বর্তমানে ‘ধুরন্ধর’ ১ হাজার ৬ কোটি টাকার ব্যবসা সম্পন্ন করে এই তালিকার চতুর্থ শক্তিশালী সদস্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বড় বাজেটের অ্যাকশন-থ্রিলার এবং জনপ্রিয় তারকাদের অনবদ্য উপস্থিতি এখনও দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহমুখী করতে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার এই আকাশছোঁয়া সাফল্য বলিউডের নির্মাতাদের জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আগামী দিনে আরও বড় ও উচ্চাভিলাষী প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার সাহস জোগাবে। আয়ের চাকা এখনও সচল থাকায় ‘ধুরন্ধর’ সামনের দিনগুলোতে তালিকায় আরও ওপরে উঠে আসার সম্ভাবনা তৈরি করেছে, যা বলিউডের বিশ্বব্যাপী আধিপত্যের নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করল।
ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী জেমসের কনসার্টটি চরম বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে পণ্ড হয়ে গেছে। গত শুক্রবার রাতের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে জেমস একে আয়োজকদের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
জানা গেছে, জেমস ও তাঁর দল অনুষ্ঠানের জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফরিদপুর পৌঁছান এবং শহরের নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের গেস্ট হাউসে অবস্থান করছিলেন। সেখানে থাকাকালীনই তাঁরা অনুষ্ঠানস্থলে গোলযোগের খবর পান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে হয়ে পড়লে এবং আয়োজকরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে জেমস তড়িঘড়ি করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্ষুব্ধ ও কড়া মেজাজে গেস্ট হাউস ত্যাগ করে গাড়িতে উঠছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি কেবল নিবন্ধিত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত থাকলেও জেমসের আসার খবরে কয়েক হাজার অনিবন্ধিত বহিরাগত দর্শক স্কুল প্রাঙ্গণে ভিড় জমান। তাঁদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে একদল লোক দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় মঞ্চ ও স্কুল ভবন লক্ষ্য করে নির্বিচারে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হলে আয়োজক কমিটির আহ্বায়কসহ প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানিয়েছেন, জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আয়োজকদের পক্ষ থেকেই তাঁদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে না পেরে যেমন সাধারণ দর্শক ও শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়েছেন, তেমনি আয়োজকদের এমন সমন্বয়হীনতায় সংগীতপ্রেমীদের মাঝেও তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জেমস স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের এমন বড় আয়োজনে নিরাপত্তার যে ঘাটতি ছিল, তা সত্যিই দুঃখজনক। মূলত দর্শকদের সামাল দেওয়ার প্রস্তুতিতে বড় ধরনের খামতি থাকায় উৎসবের রাতটি ফরিদপুরবাসীর জন্য এক তিক্ত অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছে।
আসন্ন ২০২৬ সালকে রাঙিয়ে দিতে বিশ্ববিখ্যাত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স দর্শকদের জন্য নিয়ে আসছে বিনোদনের এক বিশাল সমাহার। জানুয়ারির শুরু থেকেই নতুন নতুন সব সিনেমা, জনপ্রিয় সিরিজের পরবর্তী সিজন এবং শ্বাসরুদ্ধকর থ্রিলারের মাধ্যমে দর্শকদের বুঁদ করে রাখতে প্রস্তুত এই প্ল্যাটফর্মটি। এই তালিকার অন্যতম আকর্ষণ হলো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ড্রামা সিরিজ ‘ব্রিজারটন’-এর চতুর্থ সিজন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ২৯ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এই বহুল আলোচিত সিজনের প্রথম অংশ, তবে এর দ্বিতীয় অংশটি দেখার জন্য দর্শকদের আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
রহস্য ও রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি আসছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার সিরিজ ‘হিজ অ্যান্ড হার্স’। লেখক অ্যালিস ফিনির অত্যন্ত জনপ্রিয় মার্ডার মিস্ট্রি উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিরিজে একজন গোয়েন্দা এবং এক সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের টানাপোড়েন দেখানো হয়েছে। একটি বিচিত্র হত্যাকাণ্ড কীভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এই দম্পতিকে আবারও এক করে দেয়, সেই রোমাঞ্চকর কাহিনীই সিরিজের মূল উপজীব্য।
কেবল নতুন কাজই নয়, যারা পুরোনো সব মাস্টারপিস সিনেমাগুলো আবারও দেখতে চান তাঁদের জন্যও পহেলা জানুয়ারি থেকেই থাকছে বড় চমক। নতুন বছরের প্রথম দিনেই প্ল্যাটফর্মটিতে যুক্ত হতে যাচ্ছে অস্কারজয়ী সিনেমা ‘টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেভ’, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর ‘ডুন’, ‘ডিসট্রিক্ট নাইন’ এবং সংগীত নির্ভর ‘পিচ পারফেক্ট’। এ ছাড়াও ছোটদের পছন্দের তালিকায় থাকা জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘ডেসপিকেবল মি’ এবং এর সিক্যুয়ালটিও একই দিনে মুক্তি পাবে।
ক্রীড়াপ্রেমী ও রিয়ালিটি শো ভক্তদের জন্যও মাসজুড়ে থাকছে নানা আয়োজন। ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘মানডে নাইট র: ২০২৬’ এবং ৮ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ‘লাভ ইজ ব্লাইন্ড: জার্মানি’র দ্বিতীয় সিজন। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে অর্থাৎ ১৫ তারিখে রহস্য গল্পপ্রেমীদের জন্য আসছে ‘আগাথা ক্রিস্টি’স সেভেন ডায়ালস’ এবং কমেডি সিরিজ ‘দ্য আপশ’স’-এর সপ্তম পার্ট। সব মিলিয়ে নতুন বছরের প্রথম মাসেই দর্শকদের বিনোদনের শতভাগ খোরাক মেটাতে নেটফ্লিক্স এক জমকালো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ৬০তম জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এক অভাবনীয় ও উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে মুম্বাই শহরে। শাহরুখ খানের জন্মদিনে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা আলোকিত হওয়ার নজির থাকলেও, এবার সালমানের জন্মদিনে তাঁর নিজের শহর এক অনন্য উপায়ে ভালোবাসা জানাল তাঁকে। জন্মদিনের আগের রাতে মুম্বাইয়ের অন্যতম পরিচিত ল্যান্ডমার্ক ‘বান্দ্রা-ওরলি সি-লিঙ্ক’ সেজে উঠেছিল বর্ণিল আলোকসজ্জায়। রাতের অন্ধকার ছাপিয়ে সেখানে বারবার ভেসে উঠছিল ‘ভাইজানে’র মুখ এবং নিচে জ্বলজ্বল করছিল ‘শুভ জন্মদিন সালমান খান’ লেখা শুভেচ্ছা বার্তা। সমুদ্রতট জুড়েও ছিল একই ধরনের নান্দনিক আলোকসজ্জা, যা ক্যামেরাবন্দি করতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভিড় জমে গিয়েছিল।
সাধারণত সালমান তাঁর গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে জন্মদিন পালন করলেও, এবারের বিশেষ এই মাইলফলকটি উদযাপনে তিনি বেছে নিয়েছেন পানভেলের নিজস্ব খামারবাড়ি। রাত বাড়ার সাথে সাথে সেখানে নামি-দামি সব তারকার সমাগম হতে শুরু করে। আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ছিলেন সঞ্জয় দত্ত, টাবু, জেনেলিয়া দেশমুখ, রণদীপ হুডা, আদিত্য রায় কাপুর, রাকুলপ্রীত সিং, হুমা কুরেশি এবং মহেশ মঞ্জরেকরের মতো বলিউডের শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা। বিনোদন জগতের বাইরে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনিও এই রাজকীয় উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও সালমানের প্রাক্তন বান্ধবী সঙ্গীতা বিজলানি এবং ইউলিয়া ভন্তুরও উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে বাড়তি জৌলুস যোগ করেন।
সব বড় আয়োজনের ভিড়েও ‘বার্থডে বয়’ সালমান খান ছিলেন তাঁর চিরাচরিত ছিমছাম সাজে; একটি সাধারণ কালো টি-শার্ট আর নীল ডেনিম প্যান্টে তাঁকে বেশ প্রাণবন্ত দেখাচ্ছিল। উৎসবের আমেজে এক অনন্য দৃশ্য তৈরি হয় যখন সালমানের বাবা বরেণ্য চিত্রনাট্যকার সেলিম খানকে মাথায় সান্তা ক্লজের লাল টুপি পরে থাকতে দেখা যায়। পরিবারের সদস্য আর আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে বড় একটি চকলেট কেক কাটার পর সালমান খামারবাড়ির প্রধান গেটের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিক ও ছবিশিকারিদের সাথে কুশল বিনিময় করতে বেরিয়ে আসেন। সেখানে তিনি সংবাদকর্মীদের আনা বড় সাদা কেকটি কাটেন এবং সবার মধ্যে ভাগ করে দেন। এ সময় আবেগঘন এক মুহূর্তে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের প্রিয় সাংবাদিক বন্ধু ভারতী দুবেকে জড়িয়ে ধরেন এবং তাঁর কপালে বন্ধুত্বের পরশ এঁকে দেন। ষাট বসন্ত পার করা এই তারকার প্রতি অনুরাগীদের এমন বাঁধভাঙা ভালোবাসা আবারও প্রমাণ করল যে, কেন তিনি আজও বলিউডের অবিসংবাদিত ‘ভাইজান’।
বড়দিনের উৎসবের আমেজে ওপার বাংলার দর্শকদের জন্য হাজির হলো এক বিশাল চমক। জল্পনা ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নির্মাতা চন্দ্রশীষ রায় প্রকাশ করলেন ‘কাকাবাবু’ ফ্র্যাঞ্চাইজির চতুর্থ চলচ্চিত্র ‘বিজয়নগরের হীরে’র প্রথম ঝলক। আবারও ক্রাচ হাতে রহস্যের সন্ধানে অদম্য রাজা রায়চৌধুরী ওরফে কাকাবাবুর ভূমিকায় পর্দায় ফিরছেন টলিউড মহাতারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বড়দিনে প্রকাশিত এই টিজারটি কাকাবাবু ভক্তদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কালজয়ী কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে কাকাবাবুকে এবার দেখা যাবে বিজয়নগরের হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন হীরার রহস্য উন্মোচন করতে। চলচ্চিত্রের প্রথম ঝলকে দেখা গেছে, ঐতিহাসিক হাম্পির পটভূমিতে নিজের তীক্ষ্ণ মগজাস্ত্র আর অসীম সাহস নিয়ে অভিযানে নেমেছেন কাকাবাবু। তাঁর ছায়াসঙ্গী সন্তুর চরিত্রে বরাবরের মতোই আরিয়ান ভৌমিককে দেখা গেছে, যিনি এবারও কাকাবাবুর প্রতিটি পদক্ষেপে পাশে থাকবেন। টিজারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সেই চিরচেনা দৃঢ়তা ও মগজাস্ত্রের ব্যবহার দর্শকদের প্রত্যাশাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই রোমাঞ্চকর অভিযানে প্রসেনজিৎ ও আরিয়ান ভৌমিকের পাশাপাশি আরও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সত্যম ভট্টাচার্য ও শ্রেয়া ভট্টাচার্যসহ একঝাঁক প্রতিভাবান শিল্পী। অ্যাডভেঞ্চার ও রহস্যে ঘেরা এই ছবিটি আগামী ২০২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। বড়দিনের এই বিশেষ উপহারের মাধ্যমে নির্মাতা চন্দ্রশীষ রায় বুঝিয়ে দিলেন, কাকাবাবুর সাহসিকতার আগুন আবারও বড়পর্দায় জ্বলে উঠতে প্রস্তুত।