সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ফের ঢাকা মাতাবেন আতিফ আসলাম

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৪ ১৩:৩২

পাকিস্তানে জন্ম হলেও বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। দুনিয়াজুড়ে যার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত-অনুসারী। গান গেয়ে জয় করেছেন কোটি শ্রোতার মন। বলিউডের বহু সুপারহিট গানের স্রষ্টা তিনি। বাংলাদেশের সংগীত অনুরাগীরও পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসছেন জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই গায়ক নিজেই। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই ঢাকায় কনসার্টে মাতাবেন তিনি। এ দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।

মুহূর্তের মধ্যেই আতিফের এই পোস্ট ঝড় তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মাত্র ৪০ মিনিটেই ৯ হাজার রিয়েক্ট ১ হাজার কমেন্ট জমা পড়ে সেই ভিডিওতে। আতিফকে বাংলাদেশে দেখতে কতটা উদ্‌গ্রীব হয়ে আছেন তার ভক্তরা, সেই চিত্র ফুটে উঠেছে তার পোস্টের কমেন্ট বক্সেই।

যদিও সেই পোস্টে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি এই তারকা। কবে বাংলাদেশে আসছেন, কী প্রোগ্রামে আসছেন সেসবও পরিষ্কার করেননি। তবে আতিফের পোস্টের পর থেকেই এটা নিশ্চিত, খুব শিগগিরই বাংলাদেশে পা রাখছেন বলিউডের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।

মাসখানেক আগেই আতিফ আসলামের বাংলাদেশে আসার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সে সময় স্টার বক্স এজেন্সি নামে একটি প্রতিষ্ঠান জানায়, ২০২৪ সালে কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসবেন আতিফ আসলাম।

এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন। এবার স্টার বক্স এজেন্সির দাবি সত্যি হলে গানের তালে আবারও ঢাকা মাতাতে দেখা যাবে তাকে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, ‘জাল’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। ‘জেহের’ সিনেমার ‘ওহ লামহে ওহ বাতে’ গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য- ‘পেহলি নাজার ম্যায়’, ‘বেখুদা তুমহি হো’, ‘তু জানে না’, ‘ম্যায় রং শরবতো কা’, ‘দিল দিয়া গাল্লা’সহ প্রায় শতাধিক গান।


নয়া অবতারে রণবীর কাপুর

রণবীর কাপুর। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই রূপ পালটে ফেললেন অ্যানিমালখ্যাত তারকা রণবীর কাপুর। এই তো কয়েক দিন আগেই রামচন্দ্রর বেশে দেখা গিয়েছিল তাকে। ‘রামায়ণ’-এর সেট থেকে ফাঁস হয়েছে ছবি। তাতে আবার সীতা হিসেবে দক্ষিণী অভিনেত্রী সাই পল্লবীকেও দেখা গেছে। সেই ছবি ভাইরাল হতে না হতেই ভোলবদল রণবীরের। বিমানবন্দরে একেবারে ভিন্ন অবতারে ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন অভিনেতা।

কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল। কপালে রাজতিলক। খালি গায়ে মেরুন-সোনালি পারের উত্তরীয়। আর তার সঙ্গে মানানসই ধুতি। ‘রামায়ণ’-এর সেটে এভাবে রামচন্দ্র হয়ে উঠেছিলেন রণবীর। তার পাশে সীতা হিসেবে সাই পল্লবীর মুখে ছিল স্মিত হাসি। সেই ছবি এখনো নেটপাড়ায় রাজত্ব করছে। রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায়। এর মধ্যেই আবার রণবীরের নয়া লুক ভাইরাল।

এদিন কালো পোশাক পরে বিমানবন্দরের সামনে গাড়ি থেকে নামে রণবীর। দেখা যায় অভিনেতার মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা। দুইকানের পাশ দিয়ে চুল প্রায় নেই বললেই চলে। নতুন এই লুকে তারকার দিক থেকে চোখ ফেরানোই দায়, এমনই মত অনুরাগীদের। অনেকে আবার এর জন্য ‘অ্যানিমাল’ কানেকশন খুঁজে পাচ্ছেন। ঠিক যেন আব্রারের ভাই আজিজের লুকে দেখা যাচ্ছে রণবীরকে। তাহলে ‘অ্যানিমাল পার্ক’-এর প্রস্তুতি শুরু? এমন প্রশ্ন উঠছে।

যদিও সূত্রের খবর মানলে, রণবীরের আগামী ডেটগুলো নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ ছবির জন্যই দেওয়া। রামের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য নাকি অনেক দিন ধরেই মাছ-মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন রণবীর। তার মধ্যেই চলছে কড়া শরীরচর্চা। যাতে এই চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন তার জন্য তিরন্দাজিও শিখেছেন রণবীর।

প্রসঙ্গত, ছবির পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি ছবির স্বার্থে খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয়ের ওপর নজর রাখছেন। রামের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিরামিষ ডায়েট আর নিয়মিত কঠোর শরীরচর্চা করতে হচ্ছে রণবীরকে। ছবিতে রাজা দশরথের চরিত্রে অভিনয় করবেন অরুণ গোভিল এবং কৈকেয়ীর ভূমিকায় থাকবেন লারা দত্ত। অন্যদিকে ১৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা যশ। ছবিতে রাবনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাকে। উল্লেখ্য, অভিনয় না করলেও নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’-এর সহ-প্রযোজক তিনি।

বিষয়:

চলতি বছরেই বিয়ে শাকিব খানের!

শাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:২০
বিনোদন প্রতিবেদক

ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খান এর আগে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন। দুজনের সঙ্গেই বিচ্ছেদ হয়ে গেছে শাকিবের। শাকিবের কাছে অপু-বুবলী দুজনই অতীত। নতুন খবর হচ্ছে এবার আর কোনো নায়িকা নয়, এমনকি নিজের ইচ্ছাতেও নয়, পরিবারের ইচ্ছাতে বিয়ে করবেন ঢালিউড কিং খ্যাত এই তারকা। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষদিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব এখন পরিবারের ওপর। তারাই খুঁজে বের করছেন নায়কের জন্য পাত্রী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, শাকিবের জীবনে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী সাবেক হওয়া সত্ত্বেও প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এ কারণে শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে। সেই মোতাবেক তার জন্য পাত্রী দেখা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, শাকিব পরিবারের ইচ্ছাতেই এবার বিয়ে করতে চান। কারণ, আগে দুইবার নিজ পছন্দে বিয়ে করে জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। সে ভুলটি আর করতে চান না এই চিত্রনায়ক।

সম্প্রতি জানা গেছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ। বছর কয়েক আগে, গণমাধ্যমের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেছিলেন, বউ হিসেবে ডাক্তার মেয়ে তার পছন্দ।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সীগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

শাকিবের পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতি ঈদে সিনেমা মুক্তির আগে শাকিবকে টেনে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেন বুবলী। নিজের সিনেমায় যাতে প্রভাব না পড়ে, এ কারণে শাকিব কিছু বলেন না। তবে গত ঈদে বুবলী যা যা বলেছেন, এতে শাকিব রাগ করেছেন। কলকাতায় গিয়েও বুবলী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শাকিব তার সিনেমার কাজে খুশি, যা পুরোপুরি মিথ্যাচার।

বুবলীর সম্প্রতি মিথ্যাচারের বিরক্ত হয়ে তাকে কড়াকড়িভাবে বাসায় আসতেও বারণ করেছেন শাকিব ও তার পরিবার। এ-ও বলে দেওয়া হয়েছে, সন্তান শেহজাদ এলে যেন বুবলীর সঙ্গে নয়, পরিবারের অন্যদের সঙ্গে আসে।

বিষয়:

‘লাক্স’-এর শতবছর পূর্তি অনুষ্ঠানে মিম

আপডেটেড ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:১১
বিনোদন প্রতিবেদক

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিমের যাত্রা শুরু হয় লাক্সের মাধ্যমেই। ২০০৭ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার খেতাব জয় করেই তিনি হ‍ুমায়ুন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শককে মুগ্ধ করেন। এরপর বহু নাটকেও তিনি অভিনয় করেছেন। বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করে খ্যাতি লাভ করেছেন এই নন্দিত তারকা।

এই প্রজন্মের চলচ্চিত্রের অভিনেত্রীদের মধ্যে বিদ্যা সিনহা মিম যখন যেখানে কাজ করেছেন সেখানেই তিনি তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। যখন তিনি নাটকে অভিনয় করতেন, তখন তিনি ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। আবার যখন নাটক ছেড়ে সিনেমায় পুরোপুরি মগ্ন হলেন তখন তিনি তার সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রয়াত খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকীর আলো’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য মিম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন।

২০২২ সালে রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমাতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে তিনি একজন জাত অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকের কাছ থেকে স্বীকৃতপ্রাপ্ত হন। এই সিনেমায় মিমের দুর্দান্ত অভিনয় দর্শককে হলমুখী করে তোলে। এরপর একই পরিচালকের ‘দামাল’ সিনেমাতেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির প্রথম সম্মাননা প্রদান (বিএফডিএ) অনুষ্ঠান। এই আয়োজনে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার উঠে যেতে পারে মিমের হাতে।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘লাক্স’-এর এক শ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন লাক্স সুপারস্টার বিদ্যা সিনহা মিম। অনুষ্ঠানে পারফর্মও করবেন তিনি। লাক্স সুপারস্টার হওয়ার পর লাক্সের বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেছেন মিম। এদিকে ওয়াহিদ তারেক পরিচালিত ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমায় মিম শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ছবিতে মিমের অভিনয় নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট শহীদুল্লা কায়সার-পান্না কায়সারের মেয়ে অভিনেত্রী, রাজনীতিনবিদ শমী কায়সার।

বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘লাক্স আসলে আমার জীবনজুড়ে আছে। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার হিসেবেই আমার জীবনের নতুন দিগন্তের সূচনা। আজ লাক্সের শতবছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকতে পারছি- এটাও এক অন্যরকম ভালোলাগা। আর অভিনয় আমার পেশা। সিনেমাতে কিংবা ওয়েব সিরিজে যখন অভিনয় করি পূর্ণ মনোযোগ দিয়েই করি। কোনটা আসলে পুরস্কার আনবে, কোনটা আনবেনা-তা নিয়ে ভাবিনা কখনো। তবে দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমায় নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।’


তারিনের কলকাতায় অন্যরকম যাত্রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

শোবিজের প্রিয়মুখ অভিনেত্রী ইয়াসমিন জাহান তারিন। প্রায় তিন দশক ধরে টেলিভিশন নাটকে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন। এ ছাড়া নৃত্যশিল্পী হিসেবেও সুখ্যাতি আছে তার। গত বছর ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ নামের সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী।

এবার বিনোদন জগতের এই প্রিয় মুখের নতুন অধ্যায় শুরু। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশেও অভিষেক হলো তারিনের। ‘এটা আমাদের গল্প’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারিন।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। পরিচালনা করেছেন ছোট ও বড় পর্দার দাপুটে অভিনেত্রী মানসী সিনহা। তারিনের পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহাগ সেন, আর্য দাশগুপ্ত, তাপসী মুন্সীসহ অনেকে।

গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারিন জানান, ‘অনেক আগে বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন মানসী দিদি। তখনই তার সঙ্গে প্রথম দেখা। পরবর্তী সময়ে তার ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার গল্প আমার পছন্দ হয়ে যায় এবং কাজটি করি। কলকাতায় অভিনয় ও সিনেমার প্রচারে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। কারণ, এটা আমার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা।’

ছবির টিজার থেকে বোঝা যায়, এই ছবির গল্প শুধু দুটি মানুষের নয়; বরং আরও নানা মানুষের গল্প। সম্পর্ক বিশ্বাসীদের কথাই বলবে ‘এটা আমাদের গল্প’। পাশাপাশি ‘এটা আমাদের গল্প’-এ ফুটে উঠবে সম্পূর্ণ ভিন্ন সম্প্রদায়, পরিস্থিতি ও পরিবেশের দুই পরিবারের কাহিনি। এই সিনেমার মূল আকর্ষণ অপরাজিতা আঢ্য ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। দুই প্রবীণ মানুষের ভালোবাসা দিয়েই সাজানো ‘এটা আমাদের গল্প’। তবে তাদের ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা। ছকবাঁধা এই ভালোবাসার গল্পেই এগিয়ে যায় সিনেমাটি।

জানা গেছে, সিনেমায় তারিন বাংলাদেশের মেয়ে। যার বিয়ে হয় কলকাতার বনেদি পরিবারে। সিনেমায় অপরাজিতা আঢ্যের ছেলের বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের গুণী এই অভিনেত্রী। চরিত্রের নাম মিসেস বসু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টলিউডে অভিষেক সিনেমার পোস্টার এবং কোন কোন হলে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অভিনেত্রী।


রাজনীতি নিয়ে বিদ্যার ভয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বর্তমানে বিনোদন জগতের মানুষেরা রাজনৈতিক মতামত দেওয়ার আগে দুবার ভাবেন। বিশেষ করে, কোনো ছবি মুক্তির সময় বয়কট প্রসঙ্গে তাদের আরও সতর্ক থাকতে হয়। এটা বিদ্যার ব্যাপারেও এক বলে জানান তিনি।

বলিউডে বিদ্যা অনেক সাহসী একটি নাম। পর্দায় অনেক সাহসী সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে পর্দায় যত সাহসী হন না কেন, বাস্তবে অনেক কিছু নিয়েই কথা বলতে ভয় পান অভিনেত্রী। যে বিষয়গুলোর একটি রাজনীতি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বিদ্যা অভিনীত সিনেমা ‘দো অউর দো পেয়ার’। এ উপলক্ষে ইউটিউব চ্যানেল ‘আনফিল্টারড বাই সমদীশ’-এ হাজির হয়েছিলেন তিনি। যেখানে নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই বিদ্যা জানান, তাকে যেকোনো বিষয়েই প্রশ্ন করা যাবে রাজনীতি ছাড়া। অন্য যা-ই জানতে চাওয়া হোক, তিনি খোলামেলাভাবে কথা বলবেন।

বিদ্যা বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে ভয় করে। কী জানি বাবা, কখন বয়কট করে দেবে আমাকে।’ বিষয়টির আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, তার সঙ্গে কখনো এ ধরনের ঘটনা (বয়কট) ঘটেনি।

বিদ্যার ভাষ্যে, ‘কোন কথা কখন যে কার খারাপ লাগবে! আমি সেই কারণে রাজনীতি থেকে দূরে দূরেই থাকি।’

অভিনেত্রী জানান, এ অবস্থা তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে। এখন যেকোনো বিষয়েই মানুষ বুঝে না বুঝে নিজের মত দেয়। এরপর সেটা সবাইকে মানাতে উঠেপড়ে লাগে। এ কারণেই নানা সমস্যা তৈরি হয়।

এই সাক্ষাৎকারে বিদ্যা কথা বলেন তার বহুল আলোচিত সিনেমা ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ নিয়েও। তিনি জানান, সিনেমাটিতে অভিনয়ের প্রস্তাবে হ্যাঁ বলার আগে তিনি কতটা দ্বিধায় ভুগেছেন। বিদ্যা বলেন, ‘স্বল্পদৈর্ঘ্যের পোশাক, শরীর দেখানো পোশাক পরা নিয়েও সংশয়ে ছিলাম। তার ওপর ওই ধরনের নাচ...! যখন ভেবেছিলাম, অভিনেত্রী হবো, কখনো কল্পনা করিনি যে এ ধরনের কাজ করব। সাময়িকভাবে মনে হয়েছিল, এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। আবার পরক্ষণেই মনে হয়েছিল, ক্যামেরায় দর্শক আমাকে ওইভাবে দেখবেন...!’ বিদ্যা বালান পর্দায় নানা ধরনের শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এমনকি নিজের ইমেজ ভেঙে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ সিনেমায় খোলামেলা হতেও পিছপা হননি।


তৃতীয় সপ্তাহে ‘লিপস্টিক’-এর সাফল্য দেখছেন আদর-পূজা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন প্রতিবেদক

এবারের ঈদুল ফিতরে ১১টি ছবির মুক্তি পাওয়ায় শুরুর সপ্তাহে অনেক ছবিই হল পায়নি। ফলে দর্শকদের মধ্যে অনেক ভালো গল্পের ছবিও পৌঁছাতে পারেনি। তাদের মধ্যে একটি হলো হালের আজাদ আদর ও পূজা চেরি অভিনীত ‘লিপস্টিক’। ভিন্নধর্মী গল্প ও নির্মাণের কারণে ছবিটি নিয়ে ঈদের আগেই আজাদ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিল, ‘আমার ছবিটি দর্শকদের দেখতে দিলে একটা আওয়াজ তুলবে।’ যদিও ছবির টিম আশা করেছিল শাকিব খানের ‘রাজকুমার’-এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল পাবে এই লিপস্টিক। কিন্তু না, আশায় গুড়েবালি! ছবিটি মাত্র ৭টি হল পেয়েছিল। এটাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলেও অভিযোগ করেছিলেন ছবির সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ভালো গল্পের মানসম্মত সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও ছবিটিকে হল-বঞ্চিত করা হয়েছে।

ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে এসে সেই লিপস্টিকই হল সংখ্যায় চমকে দিল। শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে ৩১টি সিনেমা হলে চলছে ‘লিপস্টিক’, যা প্রথম সপ্তাহের চেয়ে চার গুণেরও বেশি! সহজেই আঁচ করা যায়, হল মালিকরা ছবিটির মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তবে সেই সম্ভাবনা বাস্তবে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে কি না, তা জানা যাবে সপ্তাহের শেষে।

সিনেমাটিকে পূজা চেরি তার ক্যারিয়ারের সেরা ছবি হিসেবে মন্তব্য করেছেন। আর আদর আজাদও বলেছেন এমন ছবি তার জন্যও সেরা। কয়দিন আগে ছবিটির প্রতি তার আত্মবিশ্বাসের কথাও জানিয়েছেন। নায়কের ভাষ্য, ঈদের আগে বলেছিলাম, আমাদের ‘লিপস্টিক’ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল পাবে। এটা বলেছিলাম আমাদের কনটেন্টের জোরে। একটু দেরিতে হলেও কথা কিন্তু সত্য। দর্শকের আগ্রহ, হল মালিকদের চাহিদা, সিনেমাটির ইতিবাচক আলোচনা এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতায় ছবিটির হলসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে। বলেছিলাম, আমাদের কনটেন্টের দম আছে। আসলেই আছে। যারা যারা এখনো দেখতে পারেননি, দেখার পর এটাই বলবেন, শিওর।’

বেশি হল পাওয়া মানে বেশি দর্শকদের সিনেমাটি দেখার সুযোগ তৈরি হওয়া- এমনটিই বললেন পূজা চেরি। পাশাপাশি দর্শকদের ‘লিপস্টিক’ হলে গিয়ে দেখার আহ্বান জানালেন এই নায়িকা।

‘লিপস্টিক’ ছবিটির পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান। এতে আজাদ আদর ও পূজা চেরি ছাড়াও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, চিকন আলীসহ অনেকেই।


দীর্ঘদিন পর মাসুম শাহরিয়ারের লেখা ধারাবাহিক, পরিচালনায় হান্নান মাহমুদ

(বা থেকে) নাট্যকার মাসুম শাহরিয়ার ও পরিচালক হান্নান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

নাট্যকার হিসেবে মাসুম শাহরিয়ারের আলাদা একটা পরিচিতি রয়েছে। ভিন্নসব গল্প লিখে তিনি অনেক আগেই দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার লেখা অসংখ্য ধারাবাহিক ও একক নাটক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু পুরস্কারও অর্জন করেছে। তার লেখা সর্বশেষ ধারাবাহিক নাটক ছিল ‘আম্মা’, যা ২০২১ সালে প্রচার শেষ হয়।

অন্যদিকে তরুণ নির্মাতা হান্নান মাহমুদ (সজীব মাহমুদ) বেশ কয়েক বছর ধরে টিভি নাটক পরিচালনা করে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন। একক নাটকসহ ধারাবাহিক নাটক বানিয়ে তিনি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ‘প্রিয়তমা খ্যাত’ পরিচালক হিমেল আশরাফের সহকারী হয়ে পরিচালনার হাতেখড়ি শিখেছন এবং তাকেই ‘গুরু’ হিসেবে মানেন হান্নান মাহমুদ তথা সজীব মাহমুদ।

মাসুম শাহরিয়ারের রচনা ও হান্নান মাহমুদের পরিচালনায় এই প্রথম দর্শক ভিন্নকিছু দেখতে যাচ্ছেন। ‘বোকা স্বর্গ’ নামের দীর্ঘ ধারাবাহিক নিয়ে টিভি নাটকের দর্শকদের সামনে হাজির হতে যাচ্ছেন এই জুটি। ইতোমধ্যে ধারাবাহিকটির বেশি কয়েকদিন শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। পূবাইল-কালীগঞ্জসহ বেশকিছু জায়গায় এর শুটিং হয়েছে। সামনে আরও কয়েক লটে এর শুটিং সম্পন্ন করে তারপর প্রচারে যাবে বলে হান্নান মাহমুদ জানান।

নাট্যকার মাসুম শাহরিয়ার নাটকটি বলেন, ‘ধারাবাহিক নাটক আসলে দর্শক গল্পের জন্যই দেখেন। গল্পে যতো বেশি টুইস্ট দেয়া যায়- ততোই তারা মজা পান। আমি চেষ্টা করেছি ‘বোকা স্বর্গ’ তেমনিভাবে লিখতে। বাকিটা দর্শক দেখে ভালো বলতে পারবেন।’

পরিচালক হান্নান মাহমুদ বলেন, ‘মাসুম ভাইয়ের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে। তিনি গল্প এতো সুন্দর করে বুনন করেন, যা দর্শকরা বেশ মজা পান। ‘বোকা স্বর্গ’ নাটকটিও তেমন একটা গল্প। দীর্ঘদিন পর দর্শক অন্যরকম একটা ধারাবাহিক দেখতে পাবেন- এটা নিশ্চিত।’ হান্নান মাহমুদের পরিচালনায় সর্বশেষ আলোচিত ধারাবাহিকের মধ্যে ছিল বাংলাভিশনের ‘মমতাজ মহল’, দীপ্ত টিভির ‘প্রেম নিকেতন’ এবং এশিয়ান টেলিভিশনের ‘সোনার পাখি’।

এবার তার পরিচালনায় ‘বোকা স্বর্গ’তে অভিনয় করেছেন টিভি নাটকের একঝাঁক তারকাশিল্পী। হালের সেসব অভিনয়শিল্পী নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তারা হলেন- ঝুনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, আজিজুল হাকিম, শতাব্দি ওয়াদুদ, সৈয়দ জামান শাওন, প্রিয়ন্তি উর্বি, সারিকা সাবা, শিবলী নোমান, স্বর্ণলতা, আসমা পাঠান রুম্পা, আহসানুল হক মিনু, আমিনুল হক হেলাল, শফিউল আলম বাবু, নূরে আলম নয়ন, নাবিলা আলম পলিন, মন্দিরা, সঞ্জয় নাথ, ফারজানা, বর্ণা প্রমূখ।

দীর্ঘ ধারাবাহিকটি শিগগিরই যেকোনো একটি বেসকারী টিভি চ্যানেলে দেখা যাবে বলে নির্মাতা উল্লেখ করেন।


পারিশ্রমিক বাড়ালেন আল্লু অর্জুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

একটু একটু করে নিজেকে পাকাপোক্ত করে দক্ষিণী সিনেমা জগতে বেশ শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন আল্লু অর্জুন। বলা চলে, গত কয়েক বছর ধরে চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছেন এই তারকা। বিশেষ করে তিন বছর আগে ‘পুষ্পা’ সিনেমায় বক্স অফিসে ব্লকব্লাস্টার ব্যবসা করার পর থেকে নির্মাতাদের আস্থার জায়গায় পরিণত হন তিনি। এই সিনেমা পুষ্পরাজের চরিত্রে দর্শকপ্রিয়তা পান আল্লু অর্জুন। সঙ্গে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সিনেমাটির সিক্যুয়াল ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আরও চার মাস থাকলেও সিনেমাটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। এর মাঝেই নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

দর্শকের সামনে আবারও ফিরছে পুষ্পরাজ-শ্রীভল্লি জুটির অনস্ক্রিন রসায়ন। তিন বছর পর আগামী ১৫ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আগে আলোচনায় আল্লু অর্জুনের পারিশ্রমিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এক লাফে ১০০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি রুপিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছেন অভিনেতা।

ভারতীয় বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। শুধু বক্স অফিস নয়, পুরস্কারের মঞ্চেও বাজিমাত করছে দক্ষিণি সিনেমা। তাই দক্ষিণ ভারতের অভিনেতাদের পারিশ্রমিক বাড়ানোকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ভারতের সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।

‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’-এর বাজেট ৫০০ কোটি রুপির মতো। মুক্তির চার মাস থাকলেও সিনেমাটি ইতোমধ্যে হাজার কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। উত্তর ভারতে সিনেমাটির হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২০০ কোটি রুপি। আর দক্ষিণ ভারতে হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২৭০ কোটি রুপি। অর্থাৎ মুক্তির আগে হল থেকেই ৪৭০ কোটি রুপি আয় হয়েছে।

এ ছাড়া জানা গেছে ওটিটি জায়ান্ট নেটফ্লিক্স ‘পুষ্পা-২’-এর স্ট্রিমিং রাইটস ২৭৫ কোটি রুপিতে কিনেছে। একই সময়ে অডিও এবং স্যাটেলাইট রাইটসের চুক্তি সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, নির্মাতারা তা থেকে ৪৫০ কোটি রুপি আয় করেছে। এভাবে রিলিজের আগেই ১ হাজার ১৯৫ কোটি রুপি আয় করেছে সিনেমাটি।

বিষয়:

আবারও নাম ভূমিকায় জয়া আহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টালিউডের এক সময়ের ব্যস্ত পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী দীর্ঘ ১০ বছর নতুন একটি সিনেমা পরিচালনায় হাত দিচ্ছেন। ‘ডিয়ার মা’ শিরোনামের এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন বাংলাদেশের আলোকিত মডেল অভিনেত্রী জয়া আহসান। তার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন চন্দন রায় সান্যাল। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কেও।

নিউক্লিয়ার পরিবারে বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধনের এক অন্যরূপ উঠে আসবে সিনেমাটিতে। পরিচালকের কথায়, ‘রক্তের সম্পর্কের চেয়েও ভালোবাসার সম্পর্ক বেশি জোরালো হয়। মেয়েকে বড় করার মধ্য দিয়ে মায়ের জীবনের একটা উত্তরণ হয় এবং সে পরিপূর্ণ হয়। আমরা কাছের মানুষের ওপর অধিকার বোধ জাহির করি। আসলে কারও ওপর অধিকার ফলানো যায় না। মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম কিছু মোচড় উঠে আসবে এখানে।’

ছবিতে বাচ্চা মেয়েটির নাম ঝিমলি, যার দুটি বয়স দেখানো হবে- পাঁচ এবং বারো। শুধু মা-মেয়ে নয়, স্বামী-স্ত্রী, একজন শিক্ষক, গৃহ সহায়িকা এ রকম নানা সম্পর্কের আলাদা রূপ উঠে আসবে ছবিতে। কাহিনিতে থ্রিলারের ছোঁয়াও আছে। সিনেমার গল্প নিয়ে পরিচালক বলেন, ‘টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই তো মানুষ চেনা যায়। থ্রিলার উপাদান কাহিনির অন্য দিক তুলে ধরবে।’

ছবির গল্প ও নিজের চরিত্র নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘এই গল্পটি আগে কখনো বলা হয়নি। তাই এটি পর্দায় বলা খুব জরুরি ছিল। এ ধরনের চরিত্রও আমি আগে করিনি। টোনিদা (অনিরুদ্ধ) সংবেদনশীলভাবে গল্প বলেন, যেটা আমার খুব ভালো লাগে।’

অনিরুদ্ধর ছবির অভিনেতা নির্বাচনের মধ্যে বৈচিত্র্য আছে। বাংলাদেশের অভিনেত্রী হলেও, জয়া টালিউডের নিয়মিত মুখ। এর আগে পরিচালকের ‘কড়ক সিং’ দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন।

পরিচালকের সঙ্গে ‘ডিয়ার মা’-এর গল্প লিখেছেন শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে শুটিং। তবে তার আগে অভিনেতাদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করছেন পরিচালক। জানালেন, জয়া ও চন্দন দুজনেই ওয়ার্কশপের জন্য আপাতত কলকাতায় রয়েছেন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে দেবকে নিয়ে শেষ বাংলা ছবি ‘বুনোহাঁস’ করেছিলেন অনিরুদ্ধ। বলিউডে সফল নির্মাতার হঠাৎ টালিউডে ফেরার ইচ্ছে নিয়ে আনন্দ বাজারকে বলেন, ‘কিছু কিছু গল্প থাকে, যেগুলো নিজের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে। ‘ডিয়ার মা’ তেমনই একটা কাহিনি। হিন্দিতে ছবি করলেও, বাংলা সব সময়েই মনের কাছাকাছি ছিল। আমি আগামী দিনেও হিন্দি, বাংলা দুই ভাষাতেই কাজ করব।’

বিষয়:

থামছে না ‘দুই সতীনের’ বাগযুদ্ধ

আপডেটেড ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৪
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

দেশীয় চলচ্চিত্রের সফল তিন তারকা শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। এক সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে শুরুতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেম ও গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান। আব্রাম খান জয় নামের একটি সন্তানও আছে। অপুর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর একই কায়দায চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে গোপনে বিয়ে করেন ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব। এই দম্পতির মধ্যেও বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। যদিও বুবলী এখনো দাবি করে যাচ্ছেন শাকিবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়নি, এখনো তিনি শাকিবের বৈধ স্ত্রী। বীর নামের একটি সন্তানও রয়েছে তাদের।

কিন্তু সাবেক এই দুই স্ত্রীকে নিয়ে শাকিব খান গণমাধ্যমের কাছে বরাবরই বলে আসছেন, অপু এবং বুবলী- দুজনই এখন তার অতীত। এমনকি বুবলী কোনো অনুষ্ঠানে যাবে কিংবা থাকলে সেই অনুষ্ঠানে হাজির হন না শাকিব। কোনো কোনো বড় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে শাকিব খানকে নিমন্ত্রণ জানালে, এই নায়ক আয়োজকদের বলে দেন, ‘যদি বুবলী থাকে তাহলে আমি সেখানে যাব না’। শাকিবের উপস্থিতি বেশি জরুরি ভেবে একপর্যায়ে আয়োজকরা বুবলীকে অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা হয় না। তবে দুই সন্তান জয় এবং বীরের স্বার্থে মাঝেমধ্যে দেখা হয় শাকিবের সঙ্গে অপু-বুবলীর।

এদিকে শাকিবের কাছে অতীত দুই সাবেক স্ত্রী অপু ও বুবলীর মধ্যকার বাগযুদ্ধ যেন থামছেই না। বেশ কয়েক বছর ধরে চলা দুই সতীনের এই কথার লড়াই ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। কখনো তারা কোনো অনুষ্ঠানে, টিভি সাক্ষাৎকারে কিংবা গণমাধ্যমের কাছেও একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা রকম মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পরস্পরের বিরুদ্ধাচারণ করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেন বুবলী। এসব বিষয় নিয়ে বুবলীর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

বেশ কিছু দিন ধরেই শাকিবের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করা, নিজের প্রচারের নতুন কৌশল হতে পারে বলে মনে করছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’


সমঝোতায় সাংবাদিক ও শিল্পীরা, পালিত হবে চলচ্চিত্রের কালো দিবস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

গত ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টায় বিএফডিসির বাগানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত কমিটির বিজয় উপলক্ষে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংবাদ গ্রহণ করতে আসা সাংবাদিকদের উপর শিল্পী সমিতির কতিপয় সদস্যদের হামলা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এতে ক্ষুদ্ধ সাংবাদিকেরা ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও দোষী শিল্পীদের শাস্তি চেয়ে শিল্পী সমিতিকে ৫ দফা দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। ঘটনার রাতেই প্রযোজক আরশাদ আদনান পরিস্থিতি শান্ত করতে একটি তদন্ত কমিটির প্রস্তাব দিয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেন। আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, মাসুম জয় এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্নাকে নিয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল রাত ৯টায় এফডিসিতে অবস্থিত চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির স্টাডি রুমে তদন্ত কমিটি আলোচনায় বসে। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কজন সাংবাদিক ও পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, প্রযোজক নেতা মোহাম্মদ ইকবাল। সেখানে বসে আলোচনার মাধ্যমে সবাই ঘটনার সমাধান ও মীমাংসার জন্য নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত হয়-

* ঘটনার দিনই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ঘটনার জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছে।

* শিবাশানু, সুশান্ত, জামানকে শিল্পী সমিতি থেকে এক মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। তাদের শোকজ নোটিশ দিয়ে ভবিষ্যতে কোনো উচ্ছৃঙ্খল কাজে জড়িত না হওয়ার জন্য সাবধান করা হবে।

* যত দ্রুত সম্ভব আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা বাবদ ব্যয় বুঝিয়ে দেবে শিল্পী সমিতি।

* হামলার শিকার সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইলসহ নানা যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বুঝিয়ে দেবে শিল্পী সমিতি।

* বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীকে ১ মাসের জন্য শিল্পী সমিতি থেকে ১ মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়৷ একইসাথে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সে যদি জড়িত হয় তবে সমিতি থেকে তার স্থায়ীভাবে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। অন ক্যামেরায় সে দু:খ প্রকাশ করেছে। কিন্তু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তার সফল সমাপ্তি ঘটেনি।

আজ শুক্রবার ১১ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির পুনরায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলোর আনুষ্ঠানিক সমাধান সম্পন্ন হয়েছে।

এসময় আরশাদ আদনান বলেন, 'আমরা খুবই মর্মাহত এই ঘটনায়। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের বিবেক। তাদের উপর আঘাত মেনে নেয়া যায় না। তাই পুরো ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হয়েছে। সেইসাথে আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা ব্যয় ও সাংবাদিকদের নানা যন্ত্রপাতির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আশা করছি এই বেদনার ক্ষত ভুলে আবার একসঙ্গে পথ চলবে বিনোদন সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রের শিল্পীরা৷'

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি বলেন, 'এই ঘটনায় শিল্পী সমিতি অনুতপ্ত। আমাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের যে সম্পর্ক সেখান থেকে এই ঘটনাটি কাম্যই নয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা মর্মাহত। মহামান্য রাষ্ট্রপতির পুত্র আরশাদ আদনান ভাইয়ের চমৎকার অংশগ্রহণে আমরা এই ঘটনার একটা সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছেছি। সাংবাদিক ও শিল্পীরা আগের মতোই এক পরিবারের হয়ে কাজ করব।'

এদিকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চাওয়ায় জয় চৌধুরীকে বিনোদন সাংবাদিকরা বয়কট করেছে। সেই ঘোষণা বহাল থাকবে। পাশাপাশি এই নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল চলচ্চিত্রের কালো দিবস পালন করবেন বিনোদন সাংবাদিকরা ৷


ব্ল্যাকে ফিরছেন তাহসান!

আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০১
  বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের ব্যান্ড সংগীতে অন্যতম একটি দল ব্ল্যাক। ১৯৯৯ সালে জন কবির, জাহান ও টনির হাত ধরে গঠিত হয় ব্যান্ডটি। পরে মিরাজ ও তাহসান যোগ দেন। ২০০২ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম আমার পৃথিবী প্রকাশিত হয়। বেশ শ্রোতাপ্রিয়তাও পায় ব্ল্যাক। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা থাকার পরেও ভেঙে যায় দলটি। মজার ব্যাপার হলো, এখনো ব্ল্যাক টিকে আছে একমাত্র জাহানের হাত ধরে। বাকিরা কেউ কেউ দেশের বাইরে, কেউ ব্ল্যাক থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে ক্যারিয়ার গড়েছেন।

শূন্য দশকে জন্ম হলেও এই ব্যান্ডটি ২০০৫ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার একটি মিলনায়তনে শেষবারের মতো গান শুনিয়েছে। এরপর ১৯ বছর কেটে গেছে, ব্ল্যাকের এই পাঁচ সদস্যকে আর একসঙ্গে পাওয়া যায়নি। এখনো তাদের গান, নাম ব্ল্যাকের পুরোনো অনুরাগীদের মুখে মুখে ফেরে। ব্যান্ড ছাড়লেও তাঁদের বন্ধুত্বটা এখনো অটুট।

ব্ল্যাকের ২৫ বছরপূর্তিতে পঞ্চপাণ্ডবকে ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছে ব্ল্যাক। কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জনটা ছড়িয়েছিল; একটিও ভিডিওতে তেমনটাই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তাহসান, জন কবির, জাহান, মিরাজ ও টনি।

ব্ল্যাকের অনুরাগীদের জন্য সুখবর মিলেছে। আগামী ১০ মে ‘রক অ্যান্ড রিদম ৪.০: রেজারেকশন অব ব্ল্যাক’ কনসার্টে হাজির হবেন তাহসান, জন কবির, জাহান, মিরাজ ও টনি। কনসার্টে অংশ নিতে কানাডা থেকে উড়ে আসবেন টনি। কনসার্ট শেষে কানাডায় পাড়ি দেবেন তিনি।

তবে জাহান জানিয়েছেন, শুধু এই কনসার্ট উপলক্ষেই তারা এক হচ্ছেন। তারপর যে যার জায়গায় ফিরে যাবেন আবার। এই কনসার্টে তাহসান, জন কবিরদের সঙ্গে ব্ল্যাকের বর্তমানের লাইনআপের সদস্যদেরও পরিবেশনা দেখা যাবে। এদিন ব্ল্যাকের বর্তমান লাইনআপের ‘সমান্তরাল’ গানের ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হবে। এই গানে তাহসান, জন কবিররা নেই। পাশাপাশি কনসার্টের দিন ব্ল্যাকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটও উন্মুক্ত করা হবে।

২০০৫ সালে চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ব্ল্যাকের শব্দ প্রকৌশলী ইমরান আহমেদ চৌধুরী মবিন মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত মিরাজকে আর ব্যান্ডে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর ব্ল্যাকের কার্যক্রম অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। ২০০৮ সালে তৃতীয় অ্যালবাম প্রকাশের আগে ব্ল্যাক ছাড়েন তাহসান। ২০১১ সালে প্রকাশিত ব্ল্যাক অ্যালবামের লাইনআপে জন কবির, টনি ছিলেন। এরপর জনও ব্ল্যাক ছেড়েছেন। টনি দেশের বাইরে।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা: প্রতিবাদে উত্তাল চিত্রপুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান (মঙ্গলবার) শেষে হঠাৎ করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ মানববন্ধন করে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা। টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোকে সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি; কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা শাহ, রুবেল, রত্না।

অন্যদিকে এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। একই সঙ্গে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘অনাহূত এক পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বেশ কজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, যা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা এ ঘটনার জন্য সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাই-বোনদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, এরই মধ্যে শিল্পী সমিতির নেতা ও সাংবাদিক নেতাদের যৌথ আলোচনায় প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে প্রতিবাদ স্মারকলিপি প্রদান করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।


banner close