 
        				দুই বাংলার আলোচিত গায়ক-সুরকার-গীতিকার কবীর সুমনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে গান। ‘প্রিয় সুমনের গানে’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন প্রবীর সরদার। সুর ও সংগীত করেছেন বিভুব্রত আচার্যী। গেয়েছেন রাকা ভট্টাচার্য।
এরই মধ্যে গানটি শুনেছেন কবীর সুমন। ২৯ মার্চ গানটি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবীর। গানটি নিয়ে প্রবীর সরদার বলেন, ‘বাংলা গানের ইতিহাসে কবীর সুমন এক অনবদ্য নাম। কলকাতার পাশাপাশি বাংলাদেশেও তিনি সমান জনপ্রিয়। তার গানের শব্দশৈলী, সুর আমাকে সব সময় বিমোহিত করে, অনুপ্রেরণা জোগায়। নিজের ভালোলাগা থেকে গানটি করেছি। এই গান দিয়েই শিল্পীর ৭৫তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছি আমরা। গানটি সুমন অনুসারী শ্রোতাদের ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস।
 
                        ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা শাকিব খানের আগামী সিনেমা ‘প্রিন্স: ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ এখনো শুটিংয়ে না গেলেও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। সম্প্রতি এ সিনেমার নায়িকা ইধিকা পাল অভিনয়ের জন্য ৩০ লাখের বেশি পারিশ্রমিক দাবি করেছেন। যদিও এ বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড ফিল্মস।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শাকিব খান ছাড়া ‘প্রিন্স’ সিনেমার অন্য কোনো শিল্পীর নাম আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করিনি।
শুধু মৌখিকভাবে অনেকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কারো সঙ্গে চুক্তি হয়নি। অথচ কোনো কিছু চূড়ান্ত হওয়ার আগেই কিছু সংবাদমাধ্যমে শিল্পী এবং তাদের পারিশ্রমিক নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে, যা আমাদের নজরে এসেছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সেই সঙ্গে বিষয়টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিব্রতকরও বটে।
প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, শিল্পী ও সিনেমা সম্পর্কিত আমরা সব কিছু অফিশিয়ালি জানাব। শুরু থেকে ‘প্রিন্স: ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমা নিয়ে সংবাদকর্মী ও দর্শকদের আগ্রহ সমর্থন আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা আপনাদের প্রত্যাশা পূরণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে ‘প্রিন্স: ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমার প্রযোজক শিরিন সুলতানা জানিয়েছেন, এ সিনেমায় তিনজন নায়িকা; দুজন পরিচিত মুখ এবং একজন নতুন শিল্পী থাকবেন।
‘প্রিন্স: ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমার গল্প লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন। এটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন সুমন ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আসছে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি বলে প্রযোজনা সূত্রে জানা গেছে।
 
                        কয়েক বছর আগে আজান নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন বলিউডের গায়ক সোনু নিগম। এবার তিনিই আজান শুরুর আগেই গান গাওয়া থামিয়ে দিলেন। যার ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রশংসায় ভাসছেন এই গায়ক। গত বুধবার হাঙ্গামা এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের শ্রীনগর নামের একটি এলাকায় পারফর্ম করতে যান সোনু নিগম। সেখানে ছিল তার প্রথম অনুষ্ঠান। মঞ্চ থেকে তার ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আজান শুরু হবে বলে শ্রোতাদের কাছে দুই মিনিট চেয়ে নেন সোনু নিগম। এ সময় গায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে দুই মিনিট সময় দিন দয়া করে। এখানে এখনই আজান শুরু হবে।’ এরপর দুই মিনিটের জন্য অনুষ্ঠান বন্ধ রাখেন তিনি।
আজান শেষ হওয়ার পরে তিনি আবার গান গাওয়া শুরু করেন। সে সময় উপস্থিত দর্শকরা তার এই আচরণকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন। এদিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতেই প্রশংসায় ভাসছেন গায়ক। এর আগে, একই বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সোনু। ২০১৭ সালে মুম্বাইয়ে তার বাসার কাছে একটি মসজিদে ভোরবেলায় আজান চলার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। তখন বিতর্ক এবং বয়কটের ডাকও উঠেছিল গায়কের বিরুদ্ধে; এবার তার এই সিদ্ধান্ত হলো প্রশংসার কারণ।
 
                        অভিনয়, ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য দিয়ে অল্প সময়েই ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন। স্রোতে না ভেসে ভালো গল্পের নাটক, ওয়েব সিরিজ–এমনকি সিনেমাতেও রয়েছে তার পদচারণা। বলছি, অভিনেত্রী ও মডেল আইশা খানের কথা। এবার তিনি হাজির হয়েছেন নতুন আঙ্গিকে। দেশের অন্যতম বৃহৎ লোকসংগীত প্রতিযোগিতা ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা ২০২৫’-এর সঞ্চালক হিসেবে দেখা যাচ্ছে তাকে।
দেশের নানা প্রান্তে অডিশন রাউন্ডে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালনের পর এবার পুরো আসরেরই মূল উপস্থাপনার দায়িত্বে আছেন তিনি। বাংলাদেশের লোকসংগীতকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা এই রিয়েলিটি শো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিভাবান শিল্পীদের জন্য এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম। এই আয়োজনের অংশ হতে পেরে আনন্দিত আইশা।
তিনি বলেন, ‘এর আগে অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। এত বড় আয়োজনের দায়িত্ব এবারই প্রথম নিয়েছি। ম্যাজিক বাউলিয়ানার এবার পঞ্চম আসর চলছে। তৃতীয় ও চতুর্থ আসরে অডিশন পর্বে কাজ করলেও এবার পুরো আয়োজনেই উপস্থাপনার দায়িত্বে আছি। দেশের নানা প্রান্তের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। আমি যদিও গানের মানুষ নই, তবুও এই শোতে এসে গান ও সংগীতজগৎ নিয়ে অনেক কিছু শিখছি। গানের মানুষের সঙ্গে প্রতিদিনের মেলামেশা আমার জানার পরিধি আরও বাড়াচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠানটির প্রচার শুরু হয়েছে। দর্শকের প্রতিক্রিয়া বেশ ইতিবাচক। আমার মনে হচ্ছে, এই অভিজ্ঞতা আমার ক্যারিয়ারে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
তিনি আরও জানান, প্রতিযোগীদের গান, সুর, তাল, লয়, ভঙ্গি ও উপস্থাপনা বিচার করে নির্বাচিত করা হয়েছে সেরা শিল্পীদের। তাদের প্রতিভার ঝলক এখন দেখছেন দেশের দর্শক। গত ৭ আগস্ট রাজধানীর এক পাঁচতারকা হোটেলে ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
শুধু উপস্থাপনাই নয়, অভিনয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন আইশা খান। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন নিজের তৃতীয় সিনেমা ‘শেকড়’-এর কাজ। প্রসূন রহমান পরিচালিত এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমার বিশ্ব প্রিমিয়ার হবে কানাডার টরন্টোয় ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব সাউথ এশিয়া (ইফসা)-তে। দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই বিদেশে ছবির প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে–এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত আইশা।
অন্যদিকে, সোহেল আরমান পরিচালিত ‘সংবাদ’ নামের আরেকটি সিনেমার প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন তিনি। একসময় নাটকে নিয়মিত মুখ হলেও এখন ছোটপর্দায় তার উপস্থিতি তুলনামূলক কম। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একই ধাঁচের গল্পে কাজ করতে ভালো লাগে না। ওটিটির ক্ষেত্রেও প্রথম দিকে বেশ কিছু প্রস্তাব এলেও পরে মনের মতো গল্প আর পাইনি। এ কারণে দর্শক হয়তো আমাকে কম দেখছেন। আমি সব সময় ভালো গল্প আর চরিত্রের অপেক্ষায় আছি।’
লোকসংগীতের এই বিশাল আয়োজন, নতুন দুটি সিনেমা–সব মিলিয়ে আইশা খানের ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে নতুন গতি ও ভিন্ন এক মাত্রা–এমটিই মনে করছেন তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
 
                        নাটকে বিরতি দিয়ে ওটিটিতে নিয়মিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তারপর থেকেই তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায়। ছোটপর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এবার পুরোপুরি চলচ্চিত্রে মনোনিবেশ করেছেন। তার অভিনীত প্রথম নির্মিত সিনেমা ‘সাবা’ মুক্তি পায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর। মাকসুদ হোসাইন পরিচালিত ছবিটি মুক্তির পর দর্শক ও সমালোচক– দুই মহল থেকেই প্রশংসা কুড়ায়। যদিও এটি ছিল তার প্রথম শুটিং করা সিনেমা, তবে মুক্তির দিক থেকে ‘প্রিয় মালতি’- দর্শকের সামনে আসে আগে, গত বছরের শেষ দিকে। সেই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় নতুন যাত্রা শুরু হয় মেহজাবীনের।
এই দুই সিনেমা নিয়ে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘সাবা’ ও ‘প্রিয় মালতি’। দুটি ছবিই তাকে এনে দিয়েছে সম্মাননা ও স্বীকৃতি। তবে এই দুই সিনেমার পর নতুন কোনো প্রজেক্টে যুক্ত হচ্ছেন কি না, তা নিয়ে ছিল রহস্য। অবশেষে ভক্তদের জন্য এলো নতুন সুখবর–মেহজাবীন চৌধুরী এবার যুক্ত হয়েছেন আলোচিত সিনেমা ‘দম’-এ।
সিনেমাটির পরিচালনায় রয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেদওয়ান রনি। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর তিনি নতুন সিনেমা নির্মাণে ফিরছেন। জানা গেছে, ‘দম’ একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে কাজ করবেন দুই তারকা চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো। ক্যামেরার সামনে ও পেছনে এই দুই অভিনেতার মেলবন্ধন নিয়ে প্রত্যাশা তুঙ্গে।
রেদওয়ান রনি জানিয়েছেন, ‘দম’ একজন সাধারণ মানুষের জ্বলে ওঠার গল্প। আমি এমন একটি চরিত্র খুঁজছিলাম, যার ভেতরের শক্তি দর্শককেও নাড়া দেবে। এই সিনেমায় সেই অনুপ্রেরণার গল্প বলব।
গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সিনেমাটির শুটিং। শুধু বাংলাদেশে নয়, সৌদি-আরব, জর্ডান এবং কাজাখস্তানের নানা লোকেশনে চলছে দৃশ্যধারণ। নির্মাতা কিছুদিন আগে নিজের সামাজিক মাধ্যমে কিছু ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন–‘দম এর দম পরীক্ষা।’ এরপর থেকে জল্পনা শুরু হয়, কাজাখস্তানেই চলছে ছবির কাজ।
এর আগে গুঞ্জন উঠেছিল, সিনেমাটিতে নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে পূজা চেরিকে। গণমাধ্যমেও সে খবর ছড়িয়ে পড়ে, তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। পূজা চেরি থাকলেও এবার সামনে এসেছে নতুন নাম–মেহজাবীন চৌধুরী। যদিও নির্মাতা রেদওয়ান রনি এখনই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে–মেহজাবীন অভিনয় করছেন এই সিনেমায়।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘দম’-এর আনুষ্ঠানিক মহরত। প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ, আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট ও চরকি যৌথভাবে সিনেমাটি নির্মাণ করছে। এর আগে এই তিন প্রতিষ্ঠান মিলে বানিয়েছে, সুড়ঙ্গ, দাগী ও তুফান। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দম।
রেদওয়ান রনির এটি তৃতীয় চলচ্চিত্র। তার প্রথম সিনেমা ‘চোরাবালি’-তে তিনি জয় করেছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর নির্মাণ করেন ‘আইসক্রিম’। প্রায় ১০ বছর পর ‘দম’-এর মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় ফিরছেন তিনি। সেই প্রত্যাবর্তনের সঙ্গী হচ্ছেন সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
 
                        অভিনয়ের পাশাপাশি গান নিয়েও সরব থাকেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। ২০১৮ সালে প্রকাশ পেয়েছে তার প্রথম গান ‘পটাকা’। এখন পর্যন্ত চারটি গান প্রকাশ পেয়েছে এই অভিনেত্রীর। গত বছরের শুরুতে ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের সংগীতায়োজনে রেকর্ড করেছিলেন নতুন গান। সেসময় জানিয়েছিলেন, দ্রুতই গানটি শুনতে পারবেন শ্রোতারা। দেড় বছর পার হয়ে গেলেও এখনো প্রকাশ পায়নি সেই গান।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গান প্রকাশের দেরি হওয়ার কারণ, সেই সঙ্গে গান নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা জানান ফারিয়া। গান প্রকাশের বিলম্ব হওয়ার কারণ জানিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘আসলে অনেকগুলো মানুষের সমন্বয়ে একটি ভালো কাজ হয়। তাই একটু সময়ে লেগে যায় গান প্রকাশের ক্ষেত্রে। আর আমি তো শুধু গান প্রকাশ করি না, একটা মিউজিক ভিডিও তৈরি করি। দর্শকের কাছে যেন একটু ভিন্ন রকম লাগে। এ কারণেই দেরি হচ্ছে। নতুন বেশ কয়েকটি গান রেডি করা আছে। ফুয়াদ আল মুক্তাদির, সঞ্জয়সহ বেশ কয়েকজন সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে নিজের পছন্দের শিল্পীদের সঙ্গে কোলাবরেশন করার ইচ্ছা আছে। পরিকল্পনা করছি, দেখা যাক কতদূর কী হয়।’
গানের পাশাপাশি সিনেমা নিয়েও ব্যস্ততা বাড়ছে এই অভিনেত্রীর। এ মাসের শেষ দিকে নতুন সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে ফারিয়ার। শিগগির আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
ঢালিউডের পাশাপাশি টালিউডের অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফারিয়া। তবে কয়েক বছর ধরে সেই ইন্ডাস্ট্রির কোনো কাজে দেখা যায়নি তাকে। এ প্রসঙ্গে ফারিয়া বলেন, ‘ওপার বাংলায় কাজ করছি না, বেশ কয়েক বছর হয়ে গেছে। বিশেষ কোনো কারণ নেই। ভিসা জটিলতা, ট্রাভেল সব কিছু মিলিয়েই এখন ওখানে কাজ করা কঠিন।’
 
                        অনেকদিন ধরে বড়পর্দার বাইরে এক সময়ের সুপারস্টার গোবিন্দ। তাকে নানা রিয়েলিটি শো বা টকশোতে দেখা গেলেও সিনেমায় দেখতে পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় গোবিন্দ অভিনীত ‘রঙিলা রাজা’।
নতুন খবর হলো, আবারও বড়পর্দায় ফিরছেন গোবিন্দ। এরচেয়েও বড় চমক হলো, গোবিন্দ ফিরছেন বলিউডের ভাইজানের হাত ধরে। সালমান ও গোবিন্দ শেষবার একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ২০০৭ সালে ডেভিড ধাওয়ানের ‘পার্টনার’ সিনেমায়।
প্রায় দুই দশক পর এই দুই সুপারস্টারের পর্দায় ফেরা নিশ্চিত হলে তা দর্শকদের জন্য একটি ব্লকবাস্টার চমক হবে।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সালমান খান এবং গোবিন্দ ইতোমধ্যেই একটি নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এখনও নামকরণ করা হয়নি। আপাতত বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।
আসন্ন ‘বিগ বস ১৯’-এর মঞ্চে গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা সালমান খান ও গোবিন্দর একসঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এরপর গোবিন্দ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
গোবিন্দ ফিল্ম সিটি থেকে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘নতুন শুরুর জন্য প্রস্তুত।’ ভক্তরা এখন শুধু এই প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন।
 
                        দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত পাঁচ দশক ধরে একের পর এক সিনেমায় কাজ করে যাচ্ছেন। আর ব্লকবাস্টার উপহার দিয়ে চমক দিচ্ছেন দর্শকদের। কিন্তু এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে অবসরে যাচ্ছেন তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার গুঞ্জন ছড়িয়েছে দক্ষিণের আরেক তারকা কমল হাসানের সঙ্গে আগামীতে একটি সিনেমায় দেখা যাবে রজনীকান্তকে। শোনা যাচ্ছে কমল হাসানের সঙ্গে সিনেমাটি শেষ করার পর অভিনয়কে বিদায় জানাবেন থালাইভা।
যদিও স্যোশাল মিডিয়ায় এ গুঞ্জন নিয়ে হইচই শুরু হলেও অভিনেতার পক্ষ থেকে এখনও কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধারনা করা হচ্ছে, ২০২৭ সালে নেলসন দিলীপ কুমারের পরিচালনায় রজনীকান্ত-কমল হাসানের সিনেমার শুটিং শুরু হবে। কারণ পরিচালকের চিত্রনাট্য এবং অন্যান্য প্রাক-প্রযোজনা কাজ শেষ করতে ১ বছর সময় লাগতে পারে।
বর্তমানে রজনীকান্ত ব্যস্ত রয়েছেন ‘জেলার ২’ সিনেমা নিয়ে। এটার পর সুন্দর সির সঙ্গে তার পরবর্তী সিনেমার কাজ শুরু করবেন এবং আগামী বছরের শেষ নাগাদ এটি শেষ করে কমল হাসানের সঙ্গে সিনেমাতে যোগ দেবেন রজনীকান্ত।
 
                        ২০১০ সালে ‘দাবাং’ ছবি দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন সোনাক্ষী সিনহা। সালমান খানের বিপরীতে ‘রাজ্জো’ চরিত্রে আত্মপ্রকাশেই জয় করে নেন তরুণ দর্শকের হৃদয়। এরপর ‘আকিরা’, ‘নুর’, ‘ডাবল এক্সএল, ‘লুটেরা, ‘দহাড়’, ‘হীরামান্ডি’র মতো বৈচিত্র্যময় সিনেমায় নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহার কন্যা। এবার তার নতুন অভিযান ‘জটাধারা’—এ ছবির মাধ্যমে প্রথমবার তাকে তেলেগু ছবিতে দেখা যাবে।
১৫ বছরের অভিনয়জীবন পেরিয়ে দক্ষিণের ছবিতে আত্মপ্রকাশ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত সোনাক্ষী। ভেঙ্কট কল্যাণ ও অভিষেক জয়সোয়াল পরিচালিত জটাধারাকে তার জীবনের ‘বিশেষ অধ্যায়’ বলে মনে করছেন তিনি। ডেকান ক্রনিকল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘১৫ বছর পর নতুন করে আত্মপ্রকাশ করছি, তা–ও তেলেগু ছবিতে, আমার কাছে এটা বিশেষ অনুভূতি। ‘দাবাং’ মুক্তির সময় যেমন উত্তেজনা আর টান অনুভব করেছিলাম, এখন ঠিক তেমনই লাগছে। ‘জটাধারা’ যেন আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে সেই প্রথম দিনের অনুভূতিতে। নিজেকে আবার নবাগত মনে হচ্ছে।’
‘স্ত্রী’ নয়, এখনো ‘বান্ধবী’
২০২৪ সালের ২৩ জুন প্রেমিক জাহির ইকবালকে বিয়ে করেন সোনাক্ষী। বিয়ের পরের জীবনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিয়ে আমার জীবন খুব একটা বদলায়নি। এখনো নিজেকে জাহিরের বান্ধবী বলেই ভাবি, স্ত্রী নয়; আর সেটা দারুণ লাগে। একটাই পার্থক্য, মা–বাবার বাসার বদলে এখন ওর সঙ্গে থাকি। বিয়ের আগে যেমন কাজ করতাম, এখনো তেমনই করছি। বরং জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে। এমন একজন সঙ্গী পেয়েছি, যার সঙ্গে জীবনের খুঁটিনাটি ভাগ করতে পারি। জাহির আমার সবচেয়ে বড় সমর্থন আর শক্তি। ছোট ছোট বিষয়েও ওর পরামর্শ নিই, যদিও কখনো কখনো মনে হয়, একটু স্বাধীনচেতা হওয়াও দরকার।’
এমন চরিত্রে প্রথমবার
‘জটাধারা’-তে সোনাক্ষীকে এক ব্যতিক্রমী চরিত্রে দেখা যাবে। পুরাণ, আধিভৌতিক আর থ্রিলারের মিশ্রণে নির্মিত ছবিটিতে তিনি অভিনয় করছেন ‘ধন পিশাচিনী’ চরিত্রে। এই ভূমিকাকে জীবনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। ‘এমন চরিত্রে আগে কখনো কাজ করিনি,’ বলেন সোনাক্ষী। ‘নির্মাতারা আমাকে এই চরিত্রে ভেবেছেন, এটা আমার জন্য গর্বের। জানতাম, আমার মধ্যে এমন শক্তিশালী, ভয়ংকর চরিত্রে অভিনয়ের সামর্থ্য আছে। আশা করি, এবার দর্শকদের সত্যিই ভয় দেখাতে পারব।’
মাত্র ১৫ দিনের প্রস্তুতি
চরিত্রে ঢোকার জন্য হাতে সময় ছিল মাত্র ১৫ দিন। সেটাই তার কাছে ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ‘তবে আমি এমন অভিনেত্রী, যত কম সময় পাই, তত মনোযোগী হই। সেটে পা রাখার পরই চরিত্রটা যেন নিজের ভেতর ঢুকে যেত। ভেঙ্কট স্যার আমাকে খুব সহজভাবে সব ব্যাখ্যা করেছেন, তাই অন্য ভাষার ছবিতেও কাজটা সহজ মনে হয়েছে,’ বললেন শত্রুঘ্ন–কন্যা।
 
                        দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা রজনীকান্তের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। দীর্ঘদিনের গুঞ্জন অবশেষে সত্যি হতে চলেছে, এবার দক্ষিণী সিনেমায় পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী।
দক্ষিণী নির্মাতা নেলসন দিলীপকুমারের পরিচালনায় তামিল সিনেমা ‘জেলার ২’-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন বিদ্যা বালান। এ সিনেমায় তাকে দেখা যাবে আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বড় মেয়ের চরিত্রে। সেখানে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করছেন ‘ফাটাকেষ্ট’ খ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
সম্প্রতি দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘জেলার ২’-এর টিম শুটিং ফ্লোরের একটি নেপথ্য দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছে। সেই ভিডিও মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সিনেমার কিছু অ্যাকশন দৃশ্য ও শুটিং সেটের ঝলক।
কেরালার মেয়ে বিদ্যা বালান এর আগেও টালিউড ও বলিউড- দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করেছেন। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে তার গভীর ভালোবাসা। তবে দক্ষিণের সিনেমায় প্রথমবারের মতো অভিষেক হচ্ছে তার। যদিও এর আগে ২০১৯ সালে ‘নেরকোন্ডা পারবাই’ সিনেমায় একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বিদ্যা বালানকে।
এ সিনেমায় রজনীকান্তও থাকছেন একটি বিশেষ চরিত্রে। তবে রজনীকান্তের বিপরীতে বিদ্যা বালানকে দেখা যাবে কি না, তা অবশ্য এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে জানা গেছে, বর্তমানে চেন্নাইয়ে চলছে সিনেমার শুটিং। পরবর্তী অংশের কাজ হবে গোয়ায়। সেই সঙ্গে আগামী জানুয়ারিতে শুরু হবে সিনেমার পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ।
 
                        দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র জগতে তাকে বলা হয় নতুন ‘লেডি সুপারস্টার’। অভিনয়ের সূক্ষ্মতা, সংলাপ প্রক্ষেপণ, অভিব্যক্তি- সব দিক থেকেই তিনি নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। জাতীয় পুরস্কারের স্বীকৃতি আগেই এসেছে তার ঝুলিতে। এখন লক্ষ্য- বলিউডে নিজের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করা। তিনি কীর্তি সুরেশ। সম্প্রতি ‘এলে ম্যাগাজিন’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয়জীবন, চ্যালেঞ্জ আর বলিউডে নতুন যাত্রা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
এক কালের জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেত্রী মেনেকা ও প্রযোজক সুরেশ কুমারের কন্যা কীর্তির শৈশব কেটেছে বিনোদন দুনিয়াতেই। মাত্র আট বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে পর্দায় প্রথম পা রাখেন। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা- দুই জায়গাতেই ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তবে নায়িকা হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ২০১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ সিনেমায়। সেই সময়েই বোঝা গিয়েছিল, কীর্তির মধ্যে কিছু বিশেষ আছে। কিন্তু তাকে জাতীয় পর্যায়ের আলোচনায় নিয়ে আসে ২০১৮ সালের তেলুগু ছবি ‘মহানতি’।
এই জীবনীভিত্তিক ছবিতে কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কীর্তি। সাবিত্রীর মতো জটিল, বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বকে পর্দায় জীবন্ত করে তোলা সহজ ছিল না, কিন্তু কীর্তি সেটি করেছিলেন অসাধারণ মুনশিয়ানায়। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শক ও সমালোচক উভয়েই। ‘মহানতি’ তাকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং সর্বভারতীয় খ্যাতি। ছবিটি বক্স অফিসেও দারুণ সফল হয়। এরপর তিনি ‘রং দে’, ‘থেরি’, ‘দসারা’র মতো ছবিতে অভিনয় করে নিজের বহুমাত্রিকতা প্রমাণ করেছেন।
দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ারে কীর্তি কখনোই নিজেকে একধরনের চরিত্রে সীমাবদ্ধ রাখেননি। কখনো প্রেম, কখনো বেদনা, কখনো আবার অন্তর্দ্বন্দ্ব- প্রতিটি চরিত্রেই নিজের অভিনয় প্রতিভাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে কীর্তি বলেন, ‘মহানত’- এর সাফল্যের পর অনেক জীবনীমূলক ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছি। আমি চাইনি দর্শক আমাকে কেবল একধরনের চরিত্রেই দেখুক। আমার বিশ্বাস, একজন অভিনেত্রীর কাজ হলো নিজেকে বারবার ভাঙা ও নতুন করে গড়া। তাই আমি ঝুঁকি নিতে ভয় পাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই রকম চরিত্রে অভিনয় করলে নিরাপদ থাকা যায়, কিন্তু তাতে বিকাশ ঘটে না। আমি চাই প্রতিটি ছবিতে নিজেকে নতুনভাবে দেখতে, নতুনভাবে প্রমাণ করতে। দর্শক যেন ভাবতে না পারেন- এই চরিত্রে কীর্তি আগেও ছিলেন।’
দক্ষিণ ভারতে একাধিক ভাষায় কাজ করলেও কীর্তির সাম্প্রতিক ফোকাস এখন বলিউড। কারণ তার মতে, ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের পরিসর যত বিস্তৃত হচ্ছে, ভাষার দেয়াল তত ভেঙে যাচ্ছে।’ বরুণ ধাওয়ানের বিপরীতে ‘বেবি জন’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন কীর্তি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কালীস, আর এই কাজের অভিজ্ঞতা তার কাছে ছিল একেবারেই নতুন।
‘বলিউডের পরিবেশে এসে বুঝেছি, এখানকার কাজের ধরন অনেকটা আলাদা,’ বলেন কীর্তি। ‘যে ইন্ডাস্ট্রিতে আমি বড় হয়েছি, সেখানে সময়ের ছন্দ, লোকজনের মনোভাব সবকিছুই একটু ভিন্ন। কিন্তু এই পার্থক্যই আমাকে শিখতে সাহায্য করছে। নতুন মানুষ, নতুন চিন্তা, নতুন সংস্কৃতি- সব মিলিয়ে এটা আমার জন্য এক সুন্দর যাত্রা।’
 
                        পশ্চিমবঙ্গের ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তাসনিয়া ফারিণের। পরে তার দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপ্রতি ২’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল কিন্তু ভিসা জটিলতায় হয়নি। জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে কলকাতা গেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। গত শুক্রবার গিয়েছিলেন ‘স্বার্থপর’ সিনেমার প্রিমিয়ারে। অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর পরের সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে তাকেও দেখা যেতে পারে। সিনেমাসহ নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গণমাধ্যমকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ফারিণ। সেখানে কথা বলেছেন বিনোদন অঙ্গন, নারীপ্রধান সিনেমাসহ নানা প্রসঙ্গে।
অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর পরের সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে ফারিণ বলেন, ‘আগামী ছবি কি না জানি না। তবে অনেক আগে থেকেই টোনিদার (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) সঙ্গে কথা চলছে। ফলে তার সঙ্গে কাজের জন্য মুখিয়ে আছি। আর চঞ্চলদা সেই কাজে থাকবেন কি না এটাও কিন্তু জানি না।’ এই পরিচালকের সবশেষ সিনেমা ‘ডিয়ার মা’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী জয়া আহসান। সেই ছবিতে জয়ার অভিনয় দেখে মুগ্ধ ফারিণ। তিনি বলেন, ‘আমি আর চঞ্চলদা টোনিদার বাড়িতে একসঙ্গে দেখেছি ছবিটা। জয়া আহসান আপু কী ভালো অভিনয় করেছেন। খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। প্রতিটি দৃশ্য ভীষণ যত্ন করে ক্যামেরায় ধরেছেন টোনিদা।’
ভিসা জটিলতায় দেবের নায়িকা হওয়া হয়নি। এ নিয়ে কোনো আফসোস আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আর বলবেন না! তারা অনেকদিন পর্যন্ত আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। আমিও আসার খুবই চেষ্টা করেছি। বেশ টানাপোড়েন গেছে তখন। শেষ পর্যন্ত ব্যাটে-বলে হলো না। এই তো দিন দুই আগে ‘স্বার্থপর’ ছবির প্রিমিয়ারে দেখাও হলো দেবদার সঙ্গে। উনি বললেন ‘যাক! অবশেষে এলে। দেখা হলো আমাদের।’ এর আগে দেবদার সঙ্গে সব কথা ফোনে হয়েছিল। মুখোমুখি এই প্রথম।’
ইদানীং কলকাতার শিল্পীরা বাংলাদেশে কাজ করছেন, আবার এ দেশের শিল্পীরাও কলকাতার বাংলা সিনেমায় কাজ করছেন। এতে কি স্থানীয় শিল্পীরা অনিশ্চয়তায় ভোগেন? এ প্রসঙ্গে ফারিণ বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমার অন্তত হয়নি। কেউ কখনো কারও জায়গা দখল করতে পারে না। যদি দখল করতেই পারত, তা হলে ওপার বাংলা থেকে আমাকে অভিনয়ের ডাক পেয়ে এপার বাংলায় আসতে হতো না। এপার বাংলার কেউ সেই কাজটা করে দিতেন। আমাকে এত ঝক্কি সইয়ে ডাকা হতো না। তাই আমি কারও– বা কেউ আমার ‘রিপ্লেসমেন্ট’ হতে পারব না। আমি এভাবে ভাবিই না। আপনাদের ইধিকা পাল আমাদের দেশে কাজ করছেন। যথেষ্ট ভালো কাজ করছেন। আবার আমাদের চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান বা মোশাররফ করিম আপনাদের ছবিতে অভিনয় করছেন। এই আদান-প্রদানটাই তো দরকার। এতে দুদেশের মঙ্গল। আমাদেরও কাজের সুযোগ বাড়বে।’
সিনেমায় নারীশিল্পীদের পারিশ্রমিক আর নারীকেন্দ্রিক সিনেমা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন ফারিণ। তিনি বলেন, ‘২০২৫-এ যতটা বদলানোর দরকার ছিল সেই অনুযায়ী সত্যিই কী নারীর অবস্থান বদলেছে? আমি তো দেখতে পাই না। পরিবর্তনটা আরও বেশি হওয়া দরকার ছিল। আমি আমার কথাই বলি। আমার লড়াই বা যাত্রাপথ খুব কঠিন ছিল। আমাদের এক টাকা পারিশ্রমিক বাড়াতে অনেকটা পথ পেরোতে হয়। সেখানে একটা নতুন নায়ক দুটি ছবি করেই পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ফেলেন। তার সেই দাবি গ্রাহ্যও হয়। তার ওপর কাজের সময়ের বিষয়টিও আছে। তাহলে আমরা কোথায় এগোলাম? রইল বাকি নারীকেন্দ্রিক ছবি। সেখানেও নায়িকা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ, ক্লিশে। হয় নারী নির্যাতন, নয় নারীর অধিকার। নারীর কাজ, তার লড়াই নিয়ে ছবিতে উদযাপন হয় কই? তার বাইরে আমাদের কেউ বের করতেই চান না! অথচ সেই ছবি ভালো ব্যবসা না করলে, তখন দোষ দেওয়া হয়, নারীকেন্দ্রিক ছবি বলেই চলল না! তুমি নারীকেন্দ্রিক ছবিকে সেই বাজেট দিচ্ছ না। হিট হওয়ার মতো গল্প দিচ্ছ না। পুরুষের ক্ষেত্রে কিন্তু এসবের বিন্দুমাত্র কমতি নেই। এদিকে আশা করা হবে খ্যাতনামা নায়কের সমান একজন নায়িকা ব্যবসা দেবে! এ দিকটা বিবেচনা করা উচিত। কোয়েল মল্লিকের ‘স্বার্থপর’ যেমন। অনেকদিন পর মন ভালো করা ছবি। এক নারী পরিচালক এ ধরনের ছবি বানানোর সাহস করছেন। তাকে, কোয়েলদিকে কুর্নিশ। এ ধরনের ছবি আরও বানানো উচিত।’
চরিত্রের প্রয়োজনে শিল্পীদের সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়। ফারিণ কী এমন দৃশ্য করবেন? ‘কোন দৃশ্য সাহসী? তার মাপকাঠি কী? আমার জানা নেই। তাই উত্তরও অজানা (হাসি),’ বলেন ফারিণ।
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই বিয়ে করেছেন ফারিণ। এটা কি অভিনয়ে প্রভাব ফেলে? এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘আপনারা হয়তো আগামী দিনে আমার উদাহরণ দেবেন। বলবেন, অল্প বয়সে বিয়ে করেও অভিনয় করে গেছে (হা...হা হাসি)। বিয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সত্যিই বিরোধ নেই। একজন নায়িকা কত বছর বয়সে বিয়ে করবেন, সেটাই বা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে কেনো? আমার সঠিক সময় কোনটা, সেটা আমি ঠিক করব। আমি তো দেখছি, বিয়ের পর আমার কাজ বেড়েছে! ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, বিশ্ব এই ট্যাবু ভাঙতে পেরেছে। হলিউড থেকে আমাদের দেশ- নায়িকার বিয়ে নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামান না! হয়তো আগে বিয়ের পর নায়িকারা সময় বের করতে পারতেন না। তাই বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছিল।’
একসময় তাহসানের সঙ্গে ফারিণের প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন ফারিণ। তিনি বলেন, ‘পুরোটাই ভুলভাল। আমি অনেকদিন প্রেমের কথা প্রকাশ্যে আনিনি। এদিকে আমার আর আমার প্রেমিকের (তিনিই স্বামী) হাতের ছবি দিচ্ছি। লোকে কিছু না জেনে হঠাৎ করে তাহসানের নাম জড়িয়ে দিল। তারপরই প্রেমিককে প্রকাশ্যে আনি। সবার ভুল ভাঙে।’
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন করা হয় ফারিণকে। তবে এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন তিনি। ফারিণ বলেন, ‘দেখুন, আমি না একেবারেই রাজনীতিমনস্ক নই। বেশি কথা বলতেও ভালোবাসি না। ফলে এ বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি বলতে পারব না। বলতে চাইও না। আর আমার মনে হয়, একজন শিল্পীর এত জটিল বিষয় নিয়ে কথা না বলাই শ্রেয়।’
 
                        ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। নতুন জীবনের এই শুরুতে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে সবকিছুর জবাব দিয়েছেন এক আবেগঘন পোস্টে, যেখানে উঠে এসেছে তার আত্মবিশ্বাস, সাহস আর জীবনের প্রতি গভীর উপলব্ধি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফারিয়া লেখেন, ‘কেউই এই ভেবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন না যে একদিন এই সম্পর্কের ইতি ঘটবে।
ভালোবাসা, ধৈর্য আর আশা নিয়ে আমরা সবাই চেষ্টা করি যেন সম্পর্কটা টিকে থাকে। আমরা যতই শক্তিশালী, শিক্ষিত বা সফল হই না কেনো, মন চায় সম্পর্কটা আঁকড়ে ধরতে, যদি না সেখানে কোনো বিশ্বাসঘাতকতা থাকে।’ 
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি আরও যোগ করেন, ‘যারা একাধিকবার বিয়ে করেছেন, তারা তাদের অতীত নিয়ে গর্ব করেন না। একটা সম্পর্ক ভাঙার পর আবার নতুন করে ভালোবাসা, বিশ্বাস আর আস্থা রাখা বিশাল সাহসের ব্যাপার। নতুন করে শুরু করতে শক্তি লাগে, লজ্জা নয়।’
ফারিয়া অনুরাগীদের উদ্দেশে অনুরোধ করেন, ‘দয়া করে কাউকে বিচার করবেন না, গুজব ছড়াবেন না, কটু কথা বলবেন না। কারণ আপনি জানেন না একজন মানুষ হাসিমুখে উঠে দাঁড়াতে কত কঠিন লড়াই করেছেন।’ সেই সঙ্গে জীবনের অনিশ্চয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘কথায় হোন কোমল, আচরণে রাখুন দয়া। কারণ জীবন কাউকেই ছাড় দেয় না। আর আগামীকাল কী অপেক্ষা করছে, তা কেউ জানে না।’ ব্যক্তিগত জীবনের উত্থান-পতনকে শক্তির রূপে দেখছেন শবনম ফারিয়া। তার কথায়, ‘নতুন সম্পর্ক মানে নতুন করে বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সাহস নিয়ে পথচলা, যা কখনোই লজ্জার নয়, বরং জীবনের প্রতি এক নতুন আস্থা।’
 
                        ঢালিউড অভিনেতা শাকিব খানের সঙ্গে দুই নায়িকার সিনেমায় কাজ না করার ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত। যে সিনেমায় দুই বা তার অধিকসংখ্যক নায়িকা থাকবে, সেই সিনেমায় অভিনয় করতে আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মিষ্টি জান্নাত। অভিনেত্রী বলেন, শাকিব খানের সঙ্গে তার কাজের গুঞ্জন যেহেতু উঠেছে, তাই কিছু একটা অবশ্যই দর্শকদের দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে তিনি শর্তজুড়ে দিয়েছেন যে, তিনি কোনোভাবেই একাধিক নায়িকা নিয়ে নির্মিত সিনেমায় কাজ করবেন না। তিনি বলেন, আমি কোনো দুই নায়িকার সিনেমায় কাজ করতে চাই না। এটি আমি বরাবরই না করেছি। অনেক সিনেমা আমি ক্যানসেল করেছি, আমার পছন্দ না।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, এখানে আসলে ঝামেলা হয়। আর অফকোর্স সুপারস্টার, ওনার সঙ্গে তো আমি দুই নায়িকার সঙ্গে সিনেমা করব না। এটা মানুষ খারাপ বলুক, ভালো বলুক, তাদের ব্যাপার। বাট আমি করব না। এটা শাকিবকে আমিও না করেছি। আই অ্যাম সো সরি অ্যাবাউট দিস।
অভিনেত্রী বলেন, আমি শাকিব খানকে অলওয়েজ বলে দিয়েছি। আমি সিঙ্গেল ওর সঙ্গে কাজ করব। কারণ আমার ওই যে লাইক দুই নায়িকা, এক নায়িকা ও রকম ছবি আমি করতে চাই না। আর গুঞ্জন যেহেতু উঠেছে, সেহেতু তো অবশ্যই দেখতে পাবেন।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, আমি তো কখনো বলিনি যে ধামাকা মানেই শাকিব খান আসবে। আপনারা বানিয়েছেন। ধামাকা মানে যে শাকিব খানের সঙ্গে আমার সিনেমা আসবে, এ রকম তো বিষয় নয়।
তবে কাজের ক্ষেত্রে তিনি যে কোনো প্রযোজকের কাছে অনুরোধ করে সুযোগ নিতে চান না, সে বিষয়টি স্পষ্ট করে অভিনেত্রী বলেন, আমি রিকোয়েস্ট করে কোনো সিনেমা করব, ওই লেভেল আমার সঙ্গে যায় না। আমি ওরকম মানুষ না। আমার এতটুকু সেলফ রেসপেক্ট আছে।