রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
১ ভাদ্র ১৪৩২

এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র

ছবি: সংগৃহীত
ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:১৬

নতুন সিনেমার মাধ্যমে ঈদ বিনোদনটা বেশ পুরনো। বিগত কয়েক দশকে ঢালিউড চলচ্চিত্রের অনেক চড়াই- উৎরাই হলেও ঈদের সময় বাংলা ছবির শোরগোলটা ছিল স্বাভাবিক। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এমনকি ব্যবসায়িক সিনেমাগুলোর পাশাপাশি মূলধারার কাতারে শামিল হচ্ছে শৈল্পিক ও নিরীক্ষাধর্মী ছবিগুলোও। তাই ভিন্ন স্বাদে বাড়ছে দর্শকদের প্রত্যাশা। চলুন, ঈদুল ফিতর ২০২৪-এ মুক্তি পাওয়া তেমনি কিছু বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।

রাজকুমার

২০২২ সালের ২৯ মার্চ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশের পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়েছে ‘রাজকুমার’ নিয়ে। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার এই মুভিতে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নায়িকা হয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আর এ নিয়ে মোট ৩টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করলেন পরিচালক হিমেল আশরাফ।

এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মোস্তফা, আফজাল হোসেন, ফারুক আহমেদ এবং ডা. এজাজ।

রাজকুমার’ বাংলাদেশের একটি গ্রাম্য যুবকের আমেরিকার যান্ত্রিক শহরে তার মাকে খোঁজার গল্প। এই অক্লান্ত যাত্রায় একে একে যুবকটি সম্মুখীন হয় অভিবাসন বাধা, ভিন্ন সংস্কৃতি, এমনকি প্রেম-ভালবাসার।

কাজলরেখা

দেশের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রকার গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণার ফসল এই চলচ্চিত্র। মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির গল্প, পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন সেলিম নিজেই। সিনেমার পটভূমিক আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের।

মুভির নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। সুচ কুমারের ভূমিকায় থাকছেন শরিফুল রাজ। আর খলচরিত্র কঙ্কণ দাসী হিসেবে রয়েছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা।

চলচ্চিত্রটিতে আরও আছেন ছোট পর্দার তারকা খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, ও শাহানা সুমি।

লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী

ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকি’র ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের ১২টি ওয়েব ফিল্মের একটি ‘মনোগামী’। পরিচালনায় আছেন স্বয়ং প্রজেক্ট তত্বাবধায়ক প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রজেক্টের অধীনে ইতোমধ্যে তার পরিচালিত ও অভিনীত ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ফিল্মটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরে ‘মনোগামী’র মাধ্যমে তিনি তুলে ধরতে যাচ্ছেন নারী-পুরুষের সম্পর্কের তীক্ত সত্য কিছু দিক। এর আগে তার এই প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিলো ‘ব্যাচেলার’ (২০০৪) ছবিতে। এবারে আলোকপাত করা হয়েছে বিবাহিত জীবনের দিকে।

সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন এ সময়ের বিনোদন পাড়ার সবচেয়ে পরিচিত মুখ চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে আছেন সঙ্গীতশিল্পী ও ইউটিউবার জেফার রহমান এবং নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমাকে।

দেয়ালের দেশ

বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত এই রোমান্টিক ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চিত্র-পরিচালনা করলেন মিশুক মনি। ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও সবই তার লেখা। চলচ্চিত্রের গল্প এগিয়েছে দুটি ভিন্ন সময়কে কেন্দ্র করে।

`দেয়ালের দেশ’-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছেন শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। ব্যবসায়িক ছবির নায়িকা হিসেবে সুপরিচিত বুবলীকে এবার দেখা যাবে অকৃত্রিম বাস্তবধর্মী চরিত্রে।

চলচ্চিত্রের অন্যান্য সহশিল্পীরা হলেন জিনাত শানু স্বাগতা, আজিজুল হাকিম, সাবেরী আলম, শাহাদাত হোসেন, এ কে আজাদ সেতু, সমাপ্তি মাশুক, এবং দীপক সুমন।

মেট্রো সিনেমার ব্যানারে যৌথ ভাবে ছবির প্রযোজনা করেছেন মাহফুজুর রহমান ও মিশুক মনি।

ওমর

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্রকার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ দীর্ঘদিন পর বিনোদন পাড়ায় ফিরছেন ‘ওমর’-এর মাধ্যমে। মুভির শিরোনামটি ঠিক করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবির গল্প নিয়ে এখনও ‘ওমর’ টিমের কেউই তেমন কিছু প্রকাশ করেননি। তবে চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।

চলচ্চিত্রের নাম চরিত্রে রয়েছেন শরীফুল রাজ। বিশেষ একটি চরিত্রে আবির্ভূত হবেন কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এছাড়া আরও থাকছেন ফজলুর রমান বাবু, নাসির উদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এরফান মৃধা শিবলু, ও আয়মান সিমলাকে। মাস্টার কমিউনিকেশন্সের ব্যানারে মুভির প্রযোজনায় ছিলেন খোরশেদ আলম।

মায়া: দ্য লাভ

স্বরচিত কাহিনী, সংলাপ, ও চিত্রনাট্য নিয়ে জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালনা করেছেন ‘মায়া: দ্য লাভ’। রোমান্টিক ঘরানার এই সিনেমায় শবনম বুবলীর বিপরীতে রয়েছেন তিন অভিনেতা; সাইমন সাদিক, জিয়াউল রোশান, এবং আনিসুর রহমান মিলন।

তিন নায়ক ও এক নায়িকার চতুর্মুখী প্রেমকাহিনী নিয়ে এগিয়ে গেছে এই চলচ্চিত্রের গল্প। বুবলী এই প্রথম কোনও মুভিতে তিন নায়কের বিপরীতে অভিনয় করলেন।

সিনেমাটির প্রযোজক হিসেবে আছেন আলিনুর আশিক ভুঁইয়া।

এশা মার্ডার: কর্মফল

মিশন এক্সট্রিম মুভি সিরিজ-খ্যাত পরিচালক সানী সানোয়ারের নতুন চমক ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। পরিচালক নিজেও পেশায় একজন গোয়েন্দা পুলিশ হওয়ায় রহস্য ও অপরাধ জগতের সরব উপস্থিতি থাকবে চলচ্চিত্রে। সিনেমাটি পটভূমিতে আছে আজিমপুরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের সত্য ঘটনা।

শ্রেষ্ঠাংশে নারী পুলিশ কর্মকর্তার বেশে আবির্ভূত হবেন আজমেরী হক বাঁধন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে পূজা ক্রুজকে। এর বাইরেও সিনেমাটিতে রয়েছে এক ঝাঁক তারকা। তারা হলেন শতাব্দী ওয়াদুদ, শহিদুজ্জামান সেলিম, শরীফ সিরাজ, মিশা সওদাগর, মাজনুন মিজান, সুমিত সেনগুপ্ত, ফারুক আহমেদ, এজাজ আহমেদ, নিবির আদনান নাহিদ, আনিসুল হক বরুণ, সুষমা সরকার এবং দীপু ঈমাম।

মোনা: জ্বীন-২

`জ্বীন’ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় জাজ মাল্টিমিডিয়া এবারের ঈদুল ফিতরে নিয়ে আসছে ‘মোনা: জ্বীন-২’। সিক্যুয়াল হলেও এতে আগের চলচ্চিত্রের অনেক কিছুই পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরিচালনায় নাদের চৌধুরীর বদলে থাকছেন কামরুজ্জামান রোমান। আর নাম ভূমিকায় পূজা চেরীর পরিবর্তে রয়েছেন নতুন মুখ সুপ্রভাত।

জামালপুরের এক বাড়িতে জ্বীনের উৎপাত নিয়ে সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ‘মোনা’র চিত্রনাট্য। জ্বীনের ভয়ে নিজ বাড়িতে থাকতে না পেরে মালিক বাড়িটি ভাড়া দেন একটি মাদ্রাসাকে। কিন্তু সেই মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরাও কিছু দিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। নানা রকম ভৌতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এক পর্যায়ে উন্মুক্ত হতে শুরু করে আসল রহস্য।

‘মোন: জ্বীন-২’-এর অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন আহমেদ রুবেল, তারিক আনাম খান, দীপা খন্দকার, আরিয়ানা, সামিনা বাসার, সাজ্জাদ হোসেন, মাহমুদুল হাসান মিঠু, শেহজাদ ওমর, রেবেকা, এবং শামীম।

মেঘনা কন্যা

ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত এই অপরাধ-সংক্রান্ত নাট্য-চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে নারী পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। একদিকে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে নিষিদ্ধপল্লীর অন্ধকার জগতের দিকে, অন্যদিকে এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শহুরে নারীদের অসহায়ত্বকে। সিনেমার সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ খান হীরক ও ফাহমিদুর রহমান।

`মেঘনা কন্যা’র প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, কাজী নওশাবা আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি এবং সাজ্জাদ হোসেইন।

মুভিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন চিরকুট ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট শারমিন সুলতানা সুমি।

আহারে জীবন

এই চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে প্রায় ২৫ বছর পর একসঙ্গে হলেন গুণী নির্মাতা ছটকু আহমেদ এবং প্রখ্যাত চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনার পাশাপাশি রচনাও করেছেন ছটকু আহমেদ। সামাজিক ছবিটির পটভূমিতে রয়েছে করোনাকালীন দুর্দশা ও নানা ধরনের সামাজিক টানাপোড়েন।

ফেরদৌসের সঙ্গে ‘আহারে জীবন’ সিনেমায় জুটি বেধেছেন নায়িকা পূর্ণিমা। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুচরিতা, জয় চৌধুরী, মিশা সওদাগর, কাজী হায়াত, তুষার খান, মারুফ আকিব, মৌমিতা মৌ, সাহানুর রেবেকা এবং অহনা আঁখি।

ঈদুল ফিতর ২০২৪-এ এই ১০টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রতিটি স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু ও নাট্যধারাকে প্রতিনিধিত্ব করছে। তন্মধ্যে ব্যবসায়িক সিনেমা হিসেবে অন্য সবগুলোর থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকছে শাকিব খানের রাজকুমার মুভি। এই তালিকার ২য় ব্যবসায়িক চলচ্চিত্রটি ‘মায়া: দ্যা লাভ’। ফেরদৌস-পূর্ণিমা জুটির ভক্তরা আলাদা ভাবে চোখ রাখবেন ‘আহারে জীবন’ ছবিতে।

এছাড়া বাকি সবগুলোতেই থাকছে নিরীক্ষা ও তথাকথিত নির্মাণশৈলীর বাইরে শিল্পের ছোঁয়া। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কাজলরেখা’, ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’, ‘ওমর’, ও ‘দেয়ালের দেশ’। ক্রাইম-ড্রামা ‘মেঘনা কন্যা’ এবং থ্রিলার ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ দারুণ কিছু নাটকীয়তার প্রত্যাশা রাখছে। পরিশেষে, ভৌতিক মুভি ‘মোনা: জ্বীন-২’-এর সংযোজন পরিপূর্ণ একটি প্যাকেজে পরিণত করেছে বড় পর্দার এবারের ঈদ আয়োজনকে।


আলিয়ার ‘আলফা’তে কোন চরিত্রে চমক দেবেন ববি দেওল?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের খ্যাতিমান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মসের ‘পুরুষতান্ত্রিক’ স্পাই ইউনিভার্সের ভিড়ে গোয়েন্দা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন আলিয়া ভাট। খবরটি ২০২৪ সালেই জানা গিয়েছিল। এদিকে গত বৃহস্পতিবার মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার টু’ সিনেমায় মিলল প্রযোজনা সংস্থার পরবর্তী গোয়েন্দা গল্পের সিনেমার ঝলক। এতে বড় চমক হিসেবে দেখা গেল ‘লর্ড ববি’কে অর্ধাৎ ববি দেওলকে। ২০২৩ সালে আলোচিত ‘অ্যানিম্যাল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন এই অভিনেতা। পর্দায় ঠাণ্ডা মস্তিষ্কের হিংস্র খলনায়ক হিসেবে নজর কেড়েছিলেন তিনি। তার অভিনীত ‘জামাল কুদু’ নাচের শৈলীতে বুঁদ থেকেছে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বলিউডের অনেক দর্শক। এবার যশরাজের গোয়েন্দা শিবিরে নাম লেখালেন তিনি।

জুলাই মাসে ‘ওয়ার টু’ সিনেমার ট্রেলার শেয়ার করে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন আলিয়া ভাট। সে সময়ে অনেকেই ভেবেছিলেন হৃতিকের মেগাবাজেট স্পাই ড্রামায় সম্ভবত তাকেও দেখা যাবে। তবে গত বৃহস্পতিবার সিনেমাটি মুক্তির দিনই সিনেমার শেষপ্রান্তে সব পরিস্কার করে দিল সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থা। হৃতিক-এনটিআরের ফ্রেন্ডশিপ ইনিংস শেষ হতে না হতেই ক্যামেরায় ফুটে উঠে এক কিশোরীর হাতে গ্রিক অক্ষর ‘আলফা’ ট্যাটু করানোর দৃশ্য। যে ট্যাটু এঁকে দিতে দেখা গেল ববি দেওলকে। এই অক্ষরের গুরুত্ব কী? কিশোরীর মনে প্রশ্ন জাগতেই ববি খোদাই মেশিন থামিয়ে উত্তর দিলেন, আলফা লেখা কারণ দুনিয়ার সব জঙ্গলে যেন এই অক্ষরেরই রাজত্ব চলে। সম্ভবত যশরাজের গোয়েন্দা ব্রহ্মাণ্ডের পরবর্তী সিনেমার প্লট এমন প্রেক্ষাপটেই সাজানো হয়েছে।

কোন চরিত্রে চমক দেবেন ববি দেওল? জানা গেল, আলিয়া ভাটের ‘আলফা’ সিনেমাতে অভিনেতাকে খল চরিত্রে পাওয়া যাবে। অ্যানিম্যাল-এর পর এবার আবার ভিলেন বেশে কেমন চমক দেন তিনি? সবার নজর থাকবে সেদিকে।


১৩ বছর পর ফিরছেন সমীরা রেড্ডি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

একসময় বলিউডের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন সমীরা রেড্ডি। ‘রেস’, ‘দে দানা দন’সহ বেশ কয়েকটি হিট ছবির নায়িকা তিনি। ১৩ বছর ধরে পর্দায় অনুপস্থিত সমীরা। ২০১২ সালের ‘তেজ’ ছিল তার শেষ ছবি।

দীর্ঘ বিরতির পর এবার ফিরছেন ভৌতিক ছবি ‘চিমনি’ নিয়ে। সমীরা জানান, তার এই প্রত্যাবর্তনের প্রেরণা এসেছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে, নিজের ছেলের কাছ থেকে। বলেন, ‘এক বছর আগে আমার ছেলে রেস দেখে অবাক হয়ে বলল, ‘মা, তুমি আবার অভিনয় করছ না কেন?’ আমি বললাম, কারণ আমি তো তোমাদের দেখাশোনাতেই ব্যস্ত। ও-ই আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করল।

‘চিমনি’ শুটিং সেটে প্রথম দিনে নার্ভাস ছিলেন তিনি। সমীরার মনে হয়েছিল, যেন সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করছেন। তবে ক্যামেরা চালু হওয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বলেন, ‘অ্যাকশন শুনেই আমি চরিত্রে ঢুকে গেলাম এবং পরিচালক যেমন চেয়েছেন, তেমনভাবে অভিনয় করলাম।’ এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘চিমনি’র টিজার। শিগগিরই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা।


টিকটকার প্রিন্স মামুন ফের গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জনপ্রিয় টিকটকার প্রিন্স মামুন ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশ ফের গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান।

ওসি জানান, বিজ্ঞ আদালতের জারি করা ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর লায়লা বলেন, “মামুন গ্রেপ্তার হয়েছে এটা সত্যি। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা আমি নিশ্চিত নই। ওর বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা চলমান।”

এর আগে গত বছরের জুন মাসে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। মামলাটি করেন লায়লা আখতার ফারহাদ। তবে পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি খারিজ করে দেয়।

এ ছাড়া প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে অনলাইনে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগও তোলা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম মামলাটি খারিজের আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া জানান, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি হওয়ায় ওই মামলার অভিযোগের ধারা কার্যকর নেই।

প্রিন্স মামুনের জনপ্রিয়তা আসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, বিশেষ করে টিকটক ও লাইকি অ্যাপে নিজের তৈরি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করে। সেখান থেকেই তিনি পরিচিতি পান।


৫২৭ কোটি টাকা! বলিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডিভোর্স

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

তারকাদের বিচ্ছেদ মানেই কোটি কোটি টাকার মামলা। আর সেই তারকা যদি হন হৃতিক রোশন, তাহলে তো কথাই নেই। হৃতিক রোশন ও সুজান খানের বিয়ে যেমন আলোচিত হয়েছিল, তেমনই তাদের বিচ্ছেদ নিয়েও হয়েছে বিস্তর আলোচনা। জানেন কি, এটিই বলিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ।

হৃতিক (নির্মাতা রাকেশ রোশনের ছেলে) ও সুজান (অভিনেতা সঞ্জয় খানের মেয়ে) শৈশবের বন্ধু। ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ (২০০০) দিয়ে হৃতিক যখন বলিউডে অভিষেকের অপেক্ষায়, তখনই সুজানের সঙ্গে তার প্রেম চলছিল। চার বছর প্রেমের পর ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। তাদের দুই ছেলে হৃহান (২০০৬) ও হৃদান (২০০৯)।

২০১০ সালের ‘কাইটস’ ছবির শুটিং চলাকালে হৃতিক ও সুজানের সম্পর্কে ফাটল ধরার গুঞ্জন শোনা যায়। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়; শেষ হয় ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন। তবে বিচ্ছেদের পরও তারা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন; দুই সন্তানের যৌথ অভিভাবকত্ব পালন করছেন। প্রায়ই তাদের সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়।

বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ্ছেদ নিষ্পত্তিতে সুজান ৩৮০ কোটি রুপি (প্রায় ৫২৭ কোটি টাকা) পান। নগদ অর্থ, সম্পত্তি, বিনিয়োগ বা অন্য কোনো সম্পদ- কোন পথে এই অঙ্ক তাকে দেওয়া হয়েছিল, তা প্রকাশ করা হয়নি। তবু এটি বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ হিসেবে রেকর্ড গড়ে।

বর্তমানে হৃতিক প্রেম করছেন অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে, আর সুজান সম্পর্কে আছেন আর্সলান গোনির সঙ্গে। হৃতিককে শিগগিরই দেখা যাবে ‘ওয়ার ২’ ছবিতে, যা মুক্তি পাচ্ছে ১৪ আগস্ট।


আমির-সালমান-অক্ষয়ের সিনেমা পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে ‘সাইয়ারা’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

মোহিত সুরির পরিচালনায় ‘সাইয়ারা’ ২০২৫-এ বলিউডে একের এর এক রেকর্ড গেড়েছে। এই সিনেমার সুবাদে নবাগত আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডা যেন রাতারাতি হয়ে উঠেছেন বি-টাউনের নতুন সেনসেশন। শুধু তারকাখ্যাতি নয়- ‘সাইয়ারা’ জায়গা করে নিয়েছে বছরের অন্যতম আলোচিত ও ব্লকবাস্টার ছবির তালিকায়। সেইসঙ্গে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে সিনেমাটি।

বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘সাইয়ারা’ ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা। এটি বিশ্বব্যাপী আয় ৫৪১.১৩ কোটি রুপি, যার মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ আয় চার সপ্তাহে পৌঁছেছে ৩১৯.৭১ কোটি রুপি।

সিনেমাটি ইতোমধ্যেই পেছনে ফেলেছে আমির খানের ‘সিতারে জামিন পর’, অজয় দেবগনের ‘রেইড ২’, সালমান খানের ‘সিকান্দার’ এবং অক্ষয় কুমারের ‘স্কাই ফোর্স’-এর মতো ছবিকে।

‘সাইয়ারা’ বিশেষ করে তরুণদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছে। সিনেমা হলে দর্শকদের কাঁদার দৃশ্যও ভাইরাল হয়েছে- এটা প্রমাণ করে, গল্পের আবেগ কতটা গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে তাদের মন।

সিনেমার হলে সাফল্যের পর ওটিটিতে আসছে সিনেমাটি। যশরাজ ফিল্মসের কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মা ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা করেছেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নেটফ্লিক্সে ‘সাইয়ারা’র স্ট্রিমিং শুরু হবে। আহান ও অনিতের পোস্টার সম্বলিত রি-শেয়ার করা পোস্টে মুক্তির তারিখ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার ঢেউ।


যে কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন প্রিয়াংকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আজ আমরা যার কথা বলছি, তিনি শুধু বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজনই নন— তিনি হলিউডেও বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি এখন আন্তর্জাতিক তারকা। যদিও তার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে।

সেখান থেকে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করা এবং ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হয়ে ওঠার লড়াইটা সহজ ছিল না।

এরপর বলিউডের সীমা টপকে তিনি এখন হলিউডেও নিজের একটি জায়গা তৈরি করেছেন। সেখানেও নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্বের ছাপ রেখেছেন।

তিনি আর কেউ নন ‘দেশি গার্ল’খ্যাত অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া। তিনি এখন গ্লোবাল আইকন। বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় প্রতিনিধিত্বের এক উজ্জ্বল মুখ। কিন্তু আপনি জানেন কি, এ অভিনেত্রী সাফল্যের পেছনে রয়েছে সংগ্রামে গল্প?

প্রিয়াংকার এ জায়গায় পৌঁছানোর লড়াইটা সহজ ছিল না। তার যাত্রাপথে এসেছে বহু চ্যালেঞ্জ। গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ, ক্যারিয়ারের শুরুতে অবহেলা— বলিউড হোক কিংবা হলিউড, তাকে বারবার প্রমাণ করতে হয়েছে নিজের যোগ্যতা। তবে তিনি টিনএজ লাইফেই এতটা মানসিক চাপে ছিলেন, মাত্র ১৮ বছর বয়সে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন অভিনেত্রী।

এ হৃদয়বিদারক তথ্য প্রকাশ করেছেন তার সাবেক ম্যানেজার। তবু, সব বাধা পেরিয়ে প্রিয়াংকা আজ এক অনুপ্রেরণা— যার গল্প শুধু সাফল্যের নয়, সাহস, আত্মবিশ্বাস ও অদম্য মানসিক শক্তির প্রতিচ্ছবি।


ঐশ্বরিয়ার সম্পদ কত?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মিস ওয়ার্ল্ড খেতাবজয়ী ঐশ্বরিয়া রাই রূপে ও অভিনয়গুণে সবার হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। পর্দায় ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি জাদুর মতো। ছিল ভক্তদের চোখ না সরানোর মতো মুহূর্ত। যদিও অভিনেত্রীকে আগের মতো সিনেমায় দেখা যায় না। তবুও তার সাফল্যের গল্প থেমে থাকেনি। অভিনয়ের শুরু থেকে নিজের উপার্জনকে টেকসই বিনিয়োগে রূপান্তরিত করেছেন ঐশ্বরিয়া। বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছেন এক অবিশ্বাস্য মাইলফলকের দোরগোড়ায়। ঐশ্বরিয়ার মোট সম্পত্তি এখন ১০০০ কোটি রুপির ঘরে; যা বাংলাদেশি মূল্যে প্রায় ১৩৮৮.৬ কোটি টাকা। পর্দার রানী ঐশ্বরিয়া যেন আসীন হচ্ছেন অর্থের সিংহাসনে। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য থেকে জানা যায়, ভারতের অন্যতম ধনী অভিনেত্রী হতে চলেছেন ঐশ্বরিয়া। বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাদের মধ্যে একজন তিনি। ঐশ্বরিয়া নাকি সিনেমা প্রতি প্রায় ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন।

এছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি, উচ্চ মানের ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে প্রমোট করার জন্য ৬ থেকে ৭ কোটি রুপি আয় করেন ঐশ্বরিয়া। এ শক্তিশালী ব্র্যান্ড প্রেজেন্স অভিনেত্রীকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করেছে। যার মাধ্যমে তার মোট সম্পত্তি ৯০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অভিনয় এবং ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট ছাড়াও, ব্যবসার দুনিয়ায় পদার্পণ করেছেন বলিউডের এ বিউটি কুইন। নিজস্ব বুদ্ধিমান বিনিয়োগের কারণে, বলিউডের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী নারী হিসেবে পরিচিত ঐশ্বরিয়া। এছাড়া রিয়েল এস্টেট ব্যবসার কথাও শোনা যায়। ঐশ্বরিয়া একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিক। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় একটি বিরাট বাংলোতে বসবাস করছেন ঐশ্বরিয়া। যার মূল্য ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া দুবাইয়ের একটা ভিলার মালিক অভিনেত্রী। এদিকে বলিউডে পা রাখার সময়েই মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয় করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। এখন সিনেমায় অভিনয়ের কাজ তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে শুরুর দিকে যে টাকা উপার্জন করেছিলেন। সেটাকে বিনিয়োগ করে বহুগুণ করে তোলার অঙ্কে এই অভিনেত্রী যে পাকা, সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হয় না। এ কারণে ঐশ্বরিয়ার মোট সম্পত্তি খুব শিগগির পৌঁছে যাবে ১০০০ কোটি টাকার ঘরে।


বড় কিছু নিয়ে ফিরছেন শাকিব খান, দিলেন বার্তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

প্রায় এক মাস হলো যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। তিনি যাওয়ার সপ্তাহ দুই পর ছেলে শেহজাদ খান বীরকে নিয়ে দেশটিতে উড়াল দেন অভিনেত্রী শবনম বুবলীও। শাকিব যে শুধু ঘোরাঘুরি করছেন না, সেটা বোঝা গেল তার সর্বশেষ ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের স্টোরি দেখে।

গত শুক্রবার তার ফেসবুক পেজের একটি স্টোরিতে শাকিব খান লিখেছেন, ‘বড় পর্দার জন্য বড় বড় স্বপ্ন নিয়ে দিনের পর দিন ছোটাছুটি চলছে। এই সময়ের নীরবতা মানে কোনো শূন্যতা নয়; বরং এটি এমন একটি মুহূর্ত, যা চুপচাপ রয়েছে বড় কিছু ঘটার অপেক্ষায়।’

শাকিব খান আরও উল্লেখ করেন, ‘খুব শিগগিরই এমন কিছু নিয়ে ফিরে আসছি, যাতে থাকছে সাহসী, স্মরণীয় এবং আইকনিক কিছু।’ তবে শাকিব খানের এই পোস্ট এমন ইঙ্গিত দেয়, নিশ্চয়ই নতুন কোনো প্রোজেক্ট বা কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন এই তারকা, যা ভক্তদের জন্য বিশেষ কিছু হবে।

শোনা যাচ্ছে, চলতি মাসের শেষে শাকিবের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে বিজ্ঞাপন নির্মাতা সাকিব ফাহাদ পরিচালিত সিনেমার শুটিং করার কথা রয়েছে তার, যেটি মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে আসছে ডিসেম্বরে। এছাড়া আগামী বছরের ঈদের ছবি নিয়ে চলছে আলোচনা।


পরিচালক বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে নায়ক হন আলমগীর!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

নব্বই দশক পুরোটাই মাতিয়ে রেখেছিলেন যে অভিনেতা তার নাম আলমগীর। আলমগীর সিনেমায় আছে মানেই, সিনেমাটি দেখতে হবে- এমনটাই ছিল তখনকার মানুষের ভাষ্য। সেই আলমগীর চলচ্চিত্রে এসেছিলেন একটি কাকতালীয় ঘটনার কারণে। আলমগীরদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া এসেছিলেন একজন চিত্র পরিচালক।

এই পরিচালক যদি সেদিন বাসাটি ভাড়া না নিতেন তাহলে হয়তো এদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি পেত না আলমগীরকে।

এমনটাই জানালেন কন্যা আঁখি আলমগীর। এক ফেসবুক পোস্টে আঁখি আলমগীর একটি ছবি শেয়ার করে বলেন, ছবিতে পুরোটা দেখা যাচ্ছে না, এল শেপ্ড এই বাড়িটি তেজগাঁও স্টেশন রোডে অবস্থিত আমার দাদার বাড়ি। ১৯৫৫ সালে নির্মিত। আমার জন্যে অনেক বেশি আবেগের কারণ জন্মের পর থেকে এখানে অনেক বছর ছিলাম। যতটা সামনে দেখা যাচ্ছে পেছনে তার চেয়েও বড়, সন্ধ্যা হলে বিশাল জমির উপর অবস্থিত বিরাটাকার এই বাড়িতে ভয় পাওয়া যেমন মনে আছে তেমন মনে আছে চাচা ফুফু আর কাজিনদের সাথে কাটানো সুন্দর সময় গুলো। আঁখি আলমগীরের এখানেই বেড়ে ওঠা। স্মৃতি মনে করে গায়িকা বললেন, এখানেই আমাদের সবার বেড়ে ওঠা।

ছোট্ট আমার কাছে দাদার বাথরুমের বাথটাব ছিলো সবচেয়ে মজার জায়গা। আরেকটা বাথটাব বাড়ির পেছনে গাছের নিচে কেন ফেলা ছিল তার উত্তর জানা নাই। ছাদে যাওয়া আমাদের ছোটদের একদম নিষেধ ছিল, আমরা কি আর কথা শুনতাম। চলে যেতাম যখন তখন, পরে ভুতের ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো হলো। মনে পড়ে দাদি এখানেই মারা যান, তার অনেক আগে দাদা, তবে আমি দেখিনি দাদাকে, ভেঙে ফেলার আগের এই ছবি।

আঁখি আলমগীর বলেন, এখন এখানে অনেক অনেক অ্যাপার্টমেন্ট, এত বছর পরেও যখন যাই আগের বাড়ির একটা বাতাস কোথা থেকে যেন গায়ে হাত বুলিয়ে যায়। আধুনিক যান্ত্রিক জীবনের পরতে পরতে আমি বার বার অতীত কে ফিরে পাই। খুঁজতে হয়না, অতীত আমাকে খুঁজে নেয়। তার বাবা অর্থাৎ নায়ক আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার কাকতালীয় ঘটনার কথা উল্লেখ করে আঁখি আলমগীর লিখেছেন, এই বাড়ির একটা অংশ ভাড়া নিতে এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় পরিচালক আলমগীর কুমকুম। তার ভালো লাগে এই বাড়ির এক সুদর্শন তরুণকে। এভাবেই আবিষ্কৃত হন বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর। পরবর্তীকালে কুমকুম আংকেল আমার নাম রাখেন আঁখি। যদিও আলমগীরের পিতা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ এর একজন অন্যতম প্রযোজক। তারপরেও ছেলে আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার ঘটনাটা ভিন্নভাবে ঘটেছে। আলমগীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আলমগীর কুমকুম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক আমার জন্মভূমি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়।


হিন্দির ওপর কঠিন প্রতিশোধ নিলেন কাজল!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

গোটা ভারতে হিন্দি আগ্রাসন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর সেই বিতর্কের আগুনে বারুদ ঢেলেছে, দিল্লি পুলিশের বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলার ঘটনা। ঠিক এরই মাঝে এবার এন্ট্রি নিলেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। এক অনুষ্ঠানে হিন্দিতে কথা না বলে, মারাঠিতে কথা বলায়, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেন জন্মসূত্রে বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী কাজল।

সম্প্রতি মা তনুজাকে নিয়ে একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তনুজা। আর সেখানেই সাংবিদকের সঙ্গে মারাঠিতে কথা বলতে থাকেন কাজল। এক সাংবাদিক কাজলকে অনুরোধ করেন হিন্দিতে অনুবাদ করতে। আর তখনই রীতিমতো চটে যান কাজল। সাংবাদিকতে স্পষ্ট বলেন, এখন আমাকে হিন্দিতে কথা বলতে হবে? কোনও প্রয়োজন নেই, যাদের বোঝার, তারা বুঝে যাবেন। কাজলের এই মন্তব্যের ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। তবে কাজলের এমন আচরণে সোশাল মিডিয়ার একাংশ বড্ড ক্ষেপেছেন। তাদের বক্তব্য, হিন্দি সিনেমা থেকেই আপনি নাম করেছেন! এখন সেই হিন্দি ভাষা নিয়েই এমন উক্তি। অনেকে আবার সমর্থন করেছেন কাজলকে।


যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে, রোজের বাজিমাত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ফুরফুরে মেজাজে আছেন ব্ল্যাকপিংক তারকা রোজে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে তার। এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে আট শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন রোজে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেছে এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস কর্তৃপক্ষ। এতে ভিডিও অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার, বেস্ট কোলাবোরেশন, বেস্ট পপ, বেস্ট ডিরেকশন, বেস্ট আর্ট ডিরেকশন ও বেস্ট ভিজ্যুয়াল ইভেক্টস বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন রোজে। বেস্ট পপ বিভাগে ‘টক্সিক টিল দ্য এন্ড’ গানের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রোজে লিখেছেন, ‘আমি প্রচণ্ড অবাক হয়েছি, কী বলব বুঝতে পারছি না। আমি রীতিমতো বাক্‌রুব্ধ।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজকের দিনটা একদম অবিশ্বাস্য, অদ্ভূত ব্যাপার। কী ঘটছে?’

ব্ল্যাকপিংকের বাকি তিন সদস্যও মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হলেন—জেনি (লাইক জেনি), জিসু (আর্থকোয়াক) ও লিসা (বর্ন এগেইন)।

বেস্ট পপ বিভাগে রোজে ছাড়াও মনোনয়ন পেয়েছেন জিমিন (হু), এসপা (উইপ্লাশ), স্ট্রে কিডস (চিক চিক বুম)।

এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউবিএস অ্যারেনায় আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের আসর বসবে।

জেনির জন্ম ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণ কোরিয়ায়, মাঝে বছর পাঁচেক নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে আসেন জেনি, ২০১৬ সালে নাম লেখান ব্ল্যাকপিংকে।

মাত্র সাত বছরের ক্যারিয়ারে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়েছেন কোরীয় ব্যান্ড ব্ল্যাকপিংকের সদস্য জেনি; গানের বাইরে অভিনয়েও অভিষেক ঘটেছে তার।

দুই বছরের বিরতির পর ‘ডেডলাইন’ কনসার্ট দিয়ে গানে ফিরেছে ব্ল্যাকপিংক। লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, টরন্টো, প্যারিস, লন্ডনসহ ১৬ শহরে মোট ৩১টি কনসার্টে গাইবেন জেনি, লিসারা।


কিছু অবাঞ্ছিত মানুষ আমার মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তিত: পরীমনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

নেটিজেনদের অহেতুক চর্চা নিয়ে মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এক ফেসবুক পোস্টে অতিউৎসাহী লোকদের নিয়ে তিনি নিজের জমিয়ে রাখা কথা বললেন। মূলত তার দত্তক মেয়েকে নিয়ে নেটিজেনদের মাথা ব্যথার কারণে এই পোস্ট করেছেন।

পরীমনি বলেন, ‘আমাদের সবার জীবনের আনাচে-কানাচে অতিউৎসাহী লোকদের অভাব নেই। তাদের জীবনের সমস্ত অভাব পূরণ হয় অন্যের জীবন নিয়ে চর্চা করে। মনে রাখবেন, আমরা যারা শোবিজ অঙ্গনে কাজ করি, তাদেরও ব‍্যক্তিগত জীবন খুব সাদামাটা, সাধারণ সবার মতোই। আমার তো একদমই তাই।’ ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়িকা ক্ষোভের সঙ্গে ফেসবুকে বলেন, ‘ঘরের মধ্যে আমি চুলে একগাদা তেল মেখে আরাম করে ঘরের কাজ করতে থাকি। বাড়িতে বাচ্চাদের খাবার আমি রান্না করি (শারীরিক অসুস্থতা বা শুটিংয়ে না থাকলে) বাচ্চাদের যাবতীয় কাজ আমি নিজের হাতেই করি। আর বাচ্চারা তো আমার জীবনে আসলই মাত্র তিন বছর হতে যাচ্ছে। কিন্তু এর আগে আমার নানা ভাইয়ের রান্না থেকে শুরু করে তার যাবতীয় কাজ আমি নিজের হাতেই করতাম।’ পরীমনি বলেন, ‘এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত জীবন। কিন্তু কি অদ্ভুত ব্যাপার, পাবলিক ফিগার বলে পইপই করে জীবনের সব কিছু জানাতে হবে আজকে আমার, নেন জানেন। কিছুদিন ধরে খেয়াল করলাম কিছু অবাঞ্ছিত মানুষ আমার মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তিত। রীতিমতো পোস্ট করছে আমাকে ট্যাগ করে, কমেন্ট করছে আমার পোস্টে যে, আপনার দত্তক মেয়েকে তো দেখি না আর।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘কই সেই দত্তক মেয়ে! এ রকম নানা ধরনের কথা আর কী। ভাই, প্রথমত মেয়েটা আমার মেয়ে। কথায় কথায় দত্তক দত্তক বলে এদের কি মজা লাগে আমি সত্যিই বুঝি না। আমি এটাও খেয়াল করেছি, আমার মেয়ের ছবি/ভিডিও দিলেই কিছু মাথামোটা লোকজন কন্টেন্ট পেয়ে যায় ব‍্যাস। দত্তক শব্দটা দিয়ে একটা ক‍্যাপশন দেয় আর ভিউ ব্যবসা শুরু করে। আমার মেয়ে কোনো বিজনেস এলিমেন্ট না—এটা একদম ভালোমতো বুঝে নেন এখন থেকে।’ শেষে পরীমনি বলেন, ‘আমার ইচ্ছে হলে আমি আমার বাচ্চাদের ছবি দেব, না ইচ্ছে হলে দেব না। এই সিম্পল কথাটা মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেন আরামছে। এই কমেন্টে কমেন্টে আমার বাচ্চাদের খুঁজবেন না আর। আমি আমার বাচ্চাদের খালে ফালায়ে দিছি হিহিহি খুশি? হ‍্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে। আমার সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষী, অনুসারীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’


ইনকাম সোর্সের অন্য কোনো পথ থাকলে শোবিজ ছেড়ে দিতাম: অহনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান। এরপর নাটকে অভিনয় করে দর্শক মহলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সম্প্রতি ওমরাহ পালন করে এসে বোরকা এবং হিজাব পরতে শুরু করেছেন তিনি। এমনকী বলেছিলেন অভিনয়ও ছেড়ে দেবেন, তবে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

বর্তমানে বোরকা এবং হিজাব পরিধান করে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে দেখা যায় অহনাকে। তবে অভিনয়ও জারি রেখেছেন এ অভিনেত্রী, যা ঘিরে প্রায় সময়ই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় অভিনেত্রীকে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ধর্মীয় চেতনা থাকলে কেন এখনো অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি? সম্প্রতি সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বিতর্কের জবাবে অহনা জানান, অভিনয় বাদে উপার্জনের জন্য অন্য কোনো মাধ্যম থাকলে শোবিজাঙ্গন ছেড়ে দিতেন তিনি।

অহনা বলেন, ‘ইনকাম সোর্সের এই মুহূর্তে অন্য কোনো পথ থাকলে আমি সেখানেই যেতাম। কিন্তু নাই, এজন্য আমাকে কাজ করতে হচ্ছে। কারণ বসে থাকলে রাজার সম্পত্তিও ফুরিয়ে যায়।’

এ সময় সমালোচকদের উদ্দেশে অভিনেত্রী বলেন, ‘আপনাদের যদি মনে হয়, সিমপ্যথির জন্য মাথায় কাপড় দিচ্ছি, এসব বলছি...এতে আপনাদের যদি দয়া হয়, খুব কষ্ট লাগে, তাহলে আমার মাসিক খরচটা আপনারা এসে দিয়ে যাইয়েন। এখানে টিভি চ্যানেলের বিকাশ নাম্বার আছে, সেখানে এসে দিয়ে যাইয়েন।’


banner close