বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিশ্বের প্রভাবশালীর তালিকায় আলিয়া ভাট

আপডেটেড
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:২১
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:২০

আরও এক উচ্চতায় বলিউডের এই সময়ের চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। টাইমস ম্যাগাজিনে ২০২৪ সালের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় নাম উঠেছে এই তারকার। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী মানুষের তালিকায় জায়গা পেলেন বলি ডিভা আলিয়া ভাট। অভিনেত্রীর মাথায় উঠল গ্লোবাল স্টারের তকমা। আলিয়ার কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রশংসা করে তার সম্পর্কে ম্যাগাজিনে লিখেছেন ব্রিটিশ লেখক এবং পরিচালক টম হার্পার।

পরিচালক টম হার্পার আলিয়ার সুনাম করে লিখেছেন, আলিয়া শুধু বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতের একজন প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীই নন, প্রায় এক দশকের বেশি তিনি ভারতীয় ছবিতে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।

অভিনেত্রীর প্রশংসা করে টম হার্পার লিখেছেন, ‘হার্ট অব স্টোন’-এর সুবাদে আলিয়ার সঙ্গে পরিচয়। ওটাই তার ইংরেজি সিনেমায় হাতেখড়ি। জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও মাটিতে পা রেখে চলা একজন মজার মানুষ। তার কাজের একটা ধরন রয়েছে। ভীষণ মনোযোগী। চরিত্রের প্রয়োজনে যেকোনো রকম ঝুঁকি নিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না আলিয়া। তিনি প্রকৃত অর্থে আন্তর্জাতিক মানের তারকা।

এদিকে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভক্তদের খুশির খবর ভাগ করে নিয়েছেন আলিয়া। ম্যাগাজিনের একটি স্নিপেট শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘#TIME100 @time-এর অংশ হতে পেরে সম্মানিত। সদয় কথার জন্য প্রিয়তম টম হার্পারকে ধন্যবাদ।’

বিখ্যাত পরিচালক মহেশ ভাট ও অভিনেত্রী সোনি রাজদানের ছোট মেয়ে আলিয়া। পরিবারের সবচেয়ে কনিষ্ঠ কন্যা তিনি। বলিউডের ময়দানে দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। একই সঙ্গে পা রেখেছেন হলিউডেও। ‘হার্ট অব স্টোন’ সিনেমার সুবাদে হলিউডের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির হাত ধরে সিনেমায় পা রেখেছিলেন আলিয়া ভাট। তারপর নিজেই ছক ভাঙতে শুরু করেছিলেন। ‘হাইওয়ে’, ‘উড়তা পাঞ্জাব’, ‘রাজি’, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন আলিয়া। জাতীয় পুরস্কার ও একাধিক ফিল্মফেয়ারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকেও পুরস্কার পেয়েছেন রণবীর কাপুর ঘরনি। আলিয়া ভাট ছাড়াও এই তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ, মাইক্রোসফ্টের সিইও সত্য নাদেলা, অলিম্পিয়ান কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক এবং অভিনেতা-পরিচালক দেব প্যাটেল।


লুক পাল্টালেন শাহরুখ খান

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:২০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড বাদশা বলে কথা। বছরজুড়েই আলোচনায় থাকা এই সুপারস্টারের রয়েছে নানা উপাধি। নানা কারণে কয়েকদিন পরপরই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন কিং খান খ্যাত এই তারকা। সম্প্রতি লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর পরই নতুন সিনেমা ‘কিং’ এর জন্য ওজন কমিয়ে আবার খবরে শাহরুখ খান। এবার নতুন লুকে নতুন আলোচনার জন্ম দিলেন তিনি। কিছুদিন আগেও ঘাড় পর্যন্ত চুল ছিল। কিন্ত আচমকা সেই উধাও সেই চুল। মাথায় এখন ছোট ছোট চুল। আসন্ন আইফা অ্যাওয়ার্ডসের জন্য গত মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন চেহারাতেই ধরা দিলেন কিং খান। শুধু আইফাতে থাকছেনই না শাহরুখ, করণ জোহরের সঙ্গে শোয়ের পরিচালনাও করছেন। করণ ও শাহরুখ দুজনেই অংশ নেন সাংবাদিক সম্মলেনে।

এই অনুষ্ঠানে শাহরুখ খানকে একটি অল ব্ল্যাক লুকে দেখা গেছে। তিনি ডি’ইয়াভোল লাক্সারি কালেক্টিভ ব্র্যান্ডের একটি কালো টুপি পরেছিলেন, যেখানে তার বড় ছেলে আরিয়ান খানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। একটি পাপারাজ্জো অ্যাকাউন্ট ইভেন্টের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে, যেখানে শাহরুখকে অনুষ্ঠানে আসতে এবং সামনের সারির আসনের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাণা ডাগ্গুবতীকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।সেই অনুষ্ঠানে করণ জোহরকেও দেখা গিয়েছিল। করণ এবং শাহরুখ দুজনেই মঞ্চে উঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আবুধাবিতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (আইফা) ২০২৪-এর ২৪তম আসর বসতে চলেছে।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, তিন দিনব্যাপী চলবে আইফা ২০২৪। প্রথম দিন (২৭ সেপ্টেম্বর) আইফা উৎবোধনের দিন, যা চারটি দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাকে উদযাপন করবে। দ্বিতীয় দিন (২৮ সেপ্টেম্বর) আইফা অ্যাওয়ার্ডের রাত। উৎসবের শেষ দিন, ২৯ সেপ্টেম্বর মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য আইফা রক্স-কে উৎসর্গ করা হয়েছে। শাহরুখ ও করণের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের সহ-সঞ্চালনা করবেন ভিকি কৌশল।

আইফার সঞ্চালনার দায়িত্ব নিয়ে শাহরুখ খানকে বলতে শোনা গেল, ‘আইফা ভারতীয় সিনেমার একটি উদযাপন, যা বিশ্বজুড়ে অনুরণিত হয় এবং বছরের পর বছর ধরে এই যাত্রার অংশ হওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের। আমি আইফার শক্তি, আবেগ এবং মহিমাকে আবারও জীবন্ত করে তোলার অপেক্ষায় রয়েছি, কারণ আমরা এই সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সিনেমার একটি অবিস্মরণীয় উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি!’ শাহরুখকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘ডাঙ্কি’ ছবিতে। ভক্তরা তাকে আগামীতে সুজয় ঘোষ পরিচালিত ‘কিং’ ছবিতে দেখতে পাবেন। এতে তার মেয়ে সুহানা খানও অভিনয় করবেন। ইতোমধ্যেই এই সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে।

বিষয়:

দুর্বার গতিতে ছুটছেন শ্রদ্ধা কাপুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের হাস্যোজ্জ্বল অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর। তার অভিনয় দক্ষতা আর নজরকাড়া সৌন্দর্যে মোহিত হন দর্শক। একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমা আছে শ্রদ্ধার ঝুলিতে। তার প্রথম ছবি ‘আশিকী-টু’ বলিউড বক্স অফিসে হইচই ফেলে দিয়েছিল। যদিও এরপর সেভাবে সফলতার দেখা পাননি। কিন্তু হতাশ হননি। চেষ্টা চালিয়ে গেছেন বলেই এখন তার বৃহস্পতি তুঙ্গে। এর প্রমাণ মিলবে ১৫ আগস্ট মুক্তি পাওয়া ‘স্ত্রী-টু’ সিনেমার আয়ের হিসাব কষলে। মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে চালকের আসনে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় হরর-কমেডি চলচ্চিত্র ‘স্ত্রী ২’। রাজকুমার রাও-শ্রদ্ধা কাপুরের চলচ্চিত্রটি একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। শুরুতে ১৯ দিনের মধ্যে ভারতীয় বক্স অফিসে ৫০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করে হরর সিনেমা হিসেবে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করে সিনেমাটি।

এবার আরও একটি নতুন মাইলফলক গড়ল ‘স্ত্রী ২’। গত বছরের রেকর্ড গড়া বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ‘পাঠান’-এর রেকর্ডও ভেঙেছে ছবিটি। শুধু তাই নয়, ছবিটি দিয়ে এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী ২’ ছবিটির হিন্দি সংস্করণের আয়কেও ছাপিয়ে গেছেন শ্রদ্ধা কাপুর। গত রোববার পর্যন্ত ‘স্ত্রী ২’ ভারতীয় বক্স অফিস থেকে ৫২৭ কোটি রুপি আয় করেছে। অন্যদিকে ‘পাঠান’ ছবিটি গত বছর ৫২৪ কোটি ৫৩ লাখ রুপি আয় করেছিল ভারতীয় বক্স অফিস থেকে। ফলে রোববার সিদ্ধার্থ আনন্দের এই স্পাই থ্রিলারের আয়কে ছাপিয়ে গেল ‘স্ত্রী ২’।

এদিকে দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকেও ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে ‘স্ত্রী ২’। প্রথম কিস্তির পর দ্বিতীয় কিস্তিতেও গল্পে হরর ও কমেডি উপাদান ভরপুর দেখা গেছে। সেই সঙ্গে এর ভিএফএক্স-এর প্রশংসাও করছেন দর্শকরা।

অমর কৌশিক পরিচালিত ২০১৮ সালে মুক্তি পায় রাজকুমার রাও এবং শ্রদ্ধা কাপুরের ‘স্ত্রী’। সিনেমাটির প্রথম দিনে সেই সিনেমাটি ৬.৮২ কোটি টাকা আয় করে এবং প্রথম সপ্তাহে পৌঁছায় ৬০.৩৯ কোটিতে। ভারতে ১২৯ কোটি আয় করে সুপারহিট হয় সিনেমাটি। এর পর থেকেই এটির সিক্যুয়ালেলের অপেক্ষায় ছিলেন দর্শকরা।

বাবা শক্তি কাপুর বলিউডের নামজাদা অভিনেতা হলেও তার পথচলা সহজ ছিল না। প্রতি মুহূর্তে সংগ্রাম করতে হয়েছে। একের পর এক বাধার দেয়াল টপকাতে হয়েছে তাকে। এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের কঠিন সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে অনেক ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এমনও হয়েছে যে, জানি অভিনয় করব। কথাবার্তা হয়েছে। দুদিন বাদে হয়তো শুটিং করতে যাব।

বিষয়:

শুভ জন্মদিন কনকচাঁপা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০৭
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

দেশীয় সংগীতাঙ্গনে যারা কালজয়ী প্লে-ব্যাক শিল্পী হিসেবে আলোকিত হয়ে আছেন, তাদের মধ্যে কনকচাঁপা অন্যতম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গুণী সংগীতশিল্পী নিজেকে সবসময় একজন কণ্ঠশ্রমিক হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েই তিনি শ্রোতা-দর্শকের ভালোবাসার কনকচাঁপায় নিজেকে পরিণত করেছেন। ১৯৯৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশে যতগুলো ছবি হয়েছে প্রায় সবগুলো ছবিতেই ছিল কনকচাঁপার কণ্ঠের উপস্থিতি। বিশেষ করে শাবনূরের ছবি মানেই ছিল কনকচাঁপার গান। শাবনূরের কণ্ঠের সঙ্গে কনকচাঁপার কণ্ঠের অনেকটা সাদৃশ্যতার কারণেই সে সময় কনকচাঁপাকে দিনে চার-পাঁচটি গানও রেকর্ড করতে হয়েছে।

এই প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পী আজ পা রাখছেন জীবনের ৫৬তম বছরে। রাত ১২টার পর থেকেই ভক্ত-অনুরাগী ও কাছের মানুষদের কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন কনকচাঁপা। তবে জন্মদিনকে ঘিরে কনকচাঁপা সচরাচর বিশেষ কোনো আয়োজন করেন না। দিনটিতে তিনি অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই অতিবাহিত করেন। তাই যথারীতি এবারের জন্মদিনেও তার জন্মদিনকে ঘিরে নেই বিশেষ আয়োজন। তবে দিনটিতে তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার বহু ভক্তের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। চলচ্চিত্র ও সংগীত জগতের বহু শিল্পী তার জন্মদিনকে উপলক্ষ করে যে স্ট্যাটাস দেন তাতেও তিনি সাড়া দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মিডিয়া, পত্র-পত্রিকাও তার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ সংবাদ করে থাকে। আজকের দিনে পুরোটা সময়ই তিনি পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন বলে মনস্থির করেছেন।

কনকচাঁপা বলেন, ‘জন্মদিনে আমার কখনোই নিজ উদ্যোগে কোনো বিশেষ আয়োজন করা হয় না। তবে মাঝেমধ্যে আমার স্কুলের শিক্ষার্থী, ভক্তরা বিশেষ আয়োজন করে ফেললে তখন অনেকটা নিরুপায় হয়েই তাতে অংশ নিতে হয়। যেহেতু এই সুন্দর একটি দিনে পৃথিবীতে আমার জন্ম হয়েছে। আল্লাহর রহমতে সুন্দর একটি জীবন হয়েছে আমার। সুস্থ-সুন্দরভাবে বেঁচে আছি, তাই মহান আল্লাহর কাছে সব সময়ই আমি শোকরিয়া করি। আগামী দিনগুলোতেও যেন এভাবে বেঁচে থাকতে পারি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে।’

কনকচাঁপার পারিবারিক নাম রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ সালে ঢাকার শান্তিবাগে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার দাদার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে। তার বাবা আজিজুল হক মোর্শেদ। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় কনকচাঁপা। বাবা আজিজুল হক মোর্শেদের কাছেই প্রথম সংগীতের হাতেখড়ি। তার পর বাংলা সংগীতের মহারথী প্রয়াত সংগীতশিল্পী বশীর আহমেদ এবং স্বনামধন্য সুরকার (স্বামী) মইনুল ইসলাম খানের কাছে সংগীতে তালিম নিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন এই সুরের পথিক। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুলসংগীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী।

প্রায় ৪০ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন কনকচাঁপা। নারী শ্রেষ্ঠ প্লে-ব্যাক কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লার পরে তিনিই একাধিক তিনবার জাতীয় চলচ্চিত পুরস্কার লাভ করেন। এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রে তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনকচাঁপা। প্রকাশিত হয়েছে ৪৬টি একক গানের অ্যালবাম এবং ১৫টি যৌথ অ্যালবাম। করেছেন ৪ হাজারের বেশি স্টেজ শো। তার জন্মদিনে দৈনিক বাংলার পক্ষ থেকে ‍শুভেচ্ছে।

বিষয়:

ভালো কাজের সন্ধানে অনন্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডের মেয়ে অনন্যা পান্ডে। বাবার পথ ধরে রুপালি জগতে নাম লিখিয়েছেন। কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি আলোচিত সিনেমায়। তবে এখনো সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সারা বছরই আলোচনায় থোকেন এ স্টারকিড। অনন্যা পান্ডে গত সপ্তাহে প্রাইম ভিডিও ইন্ডিয়ায় মুক্তি পাওয়া ‘কল মি বে’-তে তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বর্তমানে কলিন ডি’কুনহা পরিচালিত শো’য়ের প্রচারে ব্যস্ত এই অভিনেত্রী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা জানিয়েছেন, একজন অভিনেত্রী এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে তিনি কীভাবে জাজমেন্টকে মোকাবেলা করেন।

সাক্ষাৎকারে অনন্যাকে প্রশ্ন করা হয়, বাস্তব জীবনে তিনি এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন কিনা, যেখানে তিনি তার চরিত্র বেলার মতো জাজমেন্টের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে জাজমেন্ট (বিচার) হয় এবং মানুষ সব ধরনের মানুষকে সব ধরনের কথা বলে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমি বুঝতে পেরেছি যে সেদিকে মনোযোগ না দেওয়া উচিত, কারণ লোকেরা যাই বলুক না কেন, আপনি যাই করুন না কেন, আপনি কীভাবে এটি করবেন, তারা দিনের শেষে নেতিবাচক কিছু বলার খোঁজ করবে। তাই আমি মনে করি ভালো কাজ করা এবং সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত।’

অনন্যা দক্ষিণ দিল্লির এক উত্তরাধিকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি শোতে একজন হস্টলার হয়ে ওঠেন। এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, বেলা চরিত্রের থেকে তিনি একেবারেই আলাদা। অনন্যা পান্ডে বলেছিলেন ‘যেমনটি আমি বলেছি, তার পুরো যাত্রাটি আমার জীবন এবং আমার যাত্রা থেকে খুব, খুব আলাদা, কারণ আমি খুব উদার পরিবার থেকে এসেছি এবং আমার কাছে এসব জিনিস ছিল না যে তোমাকে এভাবে দেখতে হবে। তোমাকে এখানে যেতে হবে, এভাবে কথা বলতে হবে। আমার জীবনে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। সুতরাং ছোটবেলা থেকেই যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তাকে বোঝার চেষ্টা করা নতুন কিছু ছিল যা আমাকে আবিষ্কার করতে হয়েছিল।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ দিয়ে অভিষেক হয় অনন্যার। এরপর তাকে ‘পতি-পত্নী অউর অউ’, ‘খালি পিলি’, ‘লাইগার’ ইত্যাদি ছবিতে দেখা গেছে। কিন্তু তার অভিনয় কিংবা পুরো ছবি, কোনোটাই পায়নি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

বিষয়:

অন্য উচ্চতায় সেলেনা গোমেজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

কিশোর বয়স থেকেই অভিনয় ও গান দিয়ে বিশ্ব দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মার্কিন তরুণ অভিনেত্রী, গায়িকা এবং উদ্যোক্তা সেলেনা গোমেজ। তবে অভিনয়ের চেয়ে কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই বেশি স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি। এবার তার ক্যারিয়ারে যুক্ত হলো ভিন্ন এক তকমা। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কনিষ্ঠ স্বনির্ভর বিলিয়নিয়ারের তালিকায় সম্প্রতি নাম উঠল এ শিল্পীর। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ৩২ বছর বয়সি সেলেনার মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১.৩ বিলিয়ন ডলার।

ছোটবেলায় বার্নি এবং ডিজনি চ্যানেলের তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা সেলেনা গোমেজের বিপুল সম্পদের বেশিরভাগই এসেছে তার ‘রেয়ার বিউটি‍‍’ নামক মেকআপ কোম্পানি থেকে। যা তিনি পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বর্তমানে এই কোম্পানিতে তার শেয়ার মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই ব্র্যান্ডের সাফল্য তাকে টেইলর সুইফট এবং রিহানার মতো কনিষ্ঠ স্বনির্ভর নারী ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এ ছাড়া সেলেনা গোমেজ মানসিক স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ান্ডারমাইন্ড-এ বিনিয়োগ করার পাশাপাশি সংগীত, অভিনয়, সম্পত্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পার্টনারশিপ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করেন।

ব্লুমবার্গের তথ্য মতে, লুই ভিতোঁ, কোচ এবং পুমার মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে এন্ডোর্সমেন্ট চুক্তি থেকে গোমেজ মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। তিনি হুলুর জনপ্রিয় সিরিজ ‍‍‘অনলি মার্ডার্স ইন দ্য বিল্ডিং’-এ অভিনয়ের জন্য প্রতি সিজনে কমপক্ষে ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। এই সিরিজটি সম্প্রতি পঞ্চম সিজনের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। গত বছর এই গায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অনুসরণকারী নারীও হয়েছিলেন সেলেনা। ইনস্টাগ্রামে তার ৪২৪ মিলিয়নেরও বেশি অনুসরণকারী রয়েছে, যা টেইলর সুইফট এবং কাইলি জেনারের চেয়েও বেশি। সেলেনা গোমেজের কণ্ঠে সর্বশেষ প্রকাশিত গান ‘সিঙ্গেল সুন’। এটি গেল বছর প্রকাশ হয়েছিল। বর্তমানে অভিনয়ের মনোনিবেশ করেছেন এই গায়িকা। কিছুদিন আগে যুক্ত হয়েছেন মার্কিন গায়িকা লিন্ডা রনস্ট্যাডের বায়োপিকে। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।

বিষয়:

জন্মদিনেও অন্তরালে সাদিকা পারভিন পপি

আপডেটেড ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:৫৬
বিনোদন প্রতিবেদক

সিনেমাপ্রেমীদের স্বপ্নের নায়িকা, ঢালিউডের অনিন্দ্য সুন্দরী সাদিকা পারভিন পপির আজ জন্মদিন। এক এক করে জীবন বসন্তের ৪৫ বছর পার করে ৪৬-এ পা দিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। তবে দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে আছেন তিনি। প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে দূরে রেখেছেন। অনেকেই বলেছেন তিনি বিয়ে করেছেন, তার সন্তানও হয়েছে। কিন্তু এই দুটি খবরের একটিরও সত্যতা মেলেনি। আবার কেনই বা তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছেন তারও কোনো খবর নেই। পপিকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোনো অনুষ্ঠানে বা কোনো তারকার ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠানেও দেখা যাচ্ছে না। জন্মদিনে পপি সব সময়ই তার পরিবারকে নিয়ে উদ্‌যাপন করতেন; কিন্তু এখন কীভাবে তিনি তার জন্মদিন উদ্‌যাপন করবেন, তা সবার কাছে অজানা থাকলেও ভক্তরা তাকে স্মরণ করছেন এই দিনে।

পপি ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে খুলনায় দাদাবাড়িতে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে পপি বড়। পড়াশোনা করেছেন খুলনার মুন্নুজান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’-তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন পপি। ঢাকাই চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম আবেদনময়ী এই অভিনেত্রী এ পর্যন্ত বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘গঙ্গাযাত্রা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

পপি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র- ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘চারিদিকে শত্রু’, ‘দরদী সন্তান’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ‘গুপ্ত ঘাতক’, ‘অনেক দিনের আশা’, ‘ভালোবাসার ঘর’, ‘কে আমার বাবা’, ‘লাল বাদশা’, ‘জিদ্দী’, ‘দুজন দুজনার’, ‘জানের জান’, ‘হীরা চুনি পান্না’, ‘আমার বউ’, ‘দাম দিয়ে প্রেম যায় না কেনা’, ‘ক্ষেপা বাসু’, ‘ক্ষমতার দাপট’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’, ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

এদিকে পপি অভিনীত ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ সিনেমাটি মুক্তির কথা ছিল চলতি মাসে। পরিচালক বলেছিলেন, যত ঝড় তুফানই আসুক, এবার আর ছবিটির মুক্তির তারিখ কিছুতেই পেছাব না; কিন্তু নিজের দেওয়া সেই শেষ কথাটিও রাখতে পারলেন না সাদেক সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এরই মধ্যে ছবির সেন্সর ছাড়পত্র পেয়ে গেছি। ভেবেছিলাম পপিকে নিয়েই প্রচার করে ছবিটি মুক্তি দেব। আপাতত সেটা আর করা যাচ্ছে না।’

তবে হঠাৎ করে দেশের রাজনৈতিক অবস্থার বড় একটা রদবদলে সিনেমা হল প্রায় বন্ধের মুখে পড়ায় সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন পরিচালক। যে কারণে সহসা পর্দাতেও ফেরা হচ্ছে না একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পপির। সিনেমায় পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিকা পারভিন পপি।

বিষয়:

প্রিয় প্রাঙ্গণে ফিরলেন দীপা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের জনপ্রিয় একটি নাম দীপা খন্দকার। কোনো রকম মঞ্চ অভিজ্ঞতা ছাড়াই কেবলমাত্র নিজের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সাফল্যের সঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন ক্যারিয়ায়ের ২৫টি বছর। বিরতি ছাড়াই কাজ করেছেন অভিনয় ও মডেলিংয়ে। কখনো কখনো পুরো মাসজুড়ে তার ব্যস্ততা ছিল আবার কখনো কখনো কাজ একটু কমিয়ে সংসারে সময় দিয়েছেন। তবে কখনোই তিনি অভিনয় থেকে দূরে সরে যাননি। কারণ অভিনয়ই তার কাছে মনেপ্রাণে নেশা, পেশা। নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবেই তাই সবসময় ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন নন্দিত এই তারকা। এছাড়া সময়ের আরেক জনপ্রিয় মাধ্যম ওটিটিতেও কাজ করছেন সমান তালে। তবে দীপার অভিনয়ের পছন্দের মাধ্যম নাটক ও প্রিয় টিভি চ্যানেল বিটিভি। অভিনয় জীবনের শুরুতে দীপা খন্দকার বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন। বলা যায় অভিনেত্রী হিসেবে তার আজ যে অবস্থান তার নেপথ্যে বিটিভির একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে বিটিভি থেকে কাজের প্রস্তাব আসলে দীপা তা বেশ আগ্রহ নিয়েই করার চেষ্টা করেন। বিটিভিতে অবশ্য শিল্পীদের সম্মানীও আগের তুলনায় বেড়েছে। যে কারণে শিল্পীদেরও বিটিভির কাজের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেকাংশে। এরই মধ্যে দীপা খন্দকার বিটিভিরই প্রযোজনায় নাসরীন মুস্তাফা রচিত এক পর্বের সাপ্তাহিক নাটক ‘ঘর’-এ অভিনয় করেছেন। এরইমধ্যে বিটিভিতে নাটকটির দৃশ্য ধারনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানালেন দীপা খন্দকার। তিনি জানান এতে তার বিপরীতে আছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ।

দীপা খন্দকার বলেন, ‘নাটকটির গল্প একটি বাচ্চাকে ঘিরে। জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের নাটক ঘর। নাট্যকার চমৎকার একটি গল্প রচনা করেছেন। যে কারণে কাজটি করেও ভীষণ ভালোলেগেছে। আশা করছি নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে। নাটকটি শিগগিরই বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হবে।’

এদিকে দীপা খন্দকার জানান আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর জাহিদ প্রীতমের নির্দেশনায় একটি ওয়েব’-এর কাজ করার কথা রয়েছে। এদিকে দীপা কোরবানির ঈদের আগে শেষ হওয়া সিনেমা জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘ঋতুকামিনী’র ডাবিং-এর কাজ শেষ করলেন। এই সিনেমায় তিনি একেবারেই ভিন্ন ধরনের চরিত্র ‘আমেনা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরইমধ্যে হৈচৈ’তে প্রচার চলছে দীপা খন্দকার অভিনীত ভিকি জাহেদ পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘রুমী’। দীপ্ত প্লের জন্য এরই মধ্যে দীপা শেষ করেছেন মাহমুদুর রহমান হিমি পরিচালিত ‘হাইড অ্যান্ড সিক’ নাটকের কাজ। গত ঈদে দীপা খন্দকার’কে ছোটকাকু সিরিজে এবং ভুতের নাটক অনিমেষ আইচের ‘পিছনে তাকাবেন না’তে অভিনয়ে দেখা গেছে। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘ডার্কওয়ার্ল্ড’ সিনেমায় সর্বশেষ অভিনয়ে দেখা গেছে দীপা খন্দকারকে। দীপা অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘ভাইজান এলোরে’, ‘পায়ের ছাপ’, ‘অপরাজেয়’, ‘জিন টু’। মুক্তির অপেক্ষায় আছে শহীদ রায়হানের ‘মনোলোক’।

বিষয়:

জন্মদিনে একাধিক চমক দেখাবেন অক্ষয়

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:১৫
বিনোদন ডেস্ক

‘খিলাড়ি’খ্যাত বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। নব্বই দশক থেকে শুরু করে এই তারকা আজ পর্যন্ত বিরামহীন অভিনয় করে যাচ্ছেন। অভিনয়ই তার একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। এ কারণে সালমান খান, আমির খান এমনকি শাহরুখ খানদের মতো বছরে একটি সিনেমা করলে তার চলে না। ৫৭ পেরিয়ে আজ এই সুপারস্টার স্পর্শ করলেন জীবনের ৫৮তম বসন্ত। ১৯৬৭ সালের এই দিনে (৯ সেপ্টেম্বর জন্ম অক্ষয় কুমারের। জন্মদিনের আগে শনিবার গণেশ চতুর্থীর দিন সমাজমাধ্যমে নিজের নতুন ছবির ইঙ্গিত দেন অক্ষয় কুমার। তিনি লিখেছেন, ‘এই দিনটার থেকে নতুন কিছু ঘোষণা করার জন্য আর কোনো ভালো দিন হতে পারে না।’ অভিনেতা জানান, বিশেষ দিনেই এই ছবিসংক্রান্ত বাকি তথ্য তিনি প্রকাশ্যে আনবেন।

তবে জন্মদিনের আগেই বলিউডে ছবি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, অক্ষয়ের নতুন ছবিটি হরর কমেডি হতে চলেছে। পরিচালনায় থাকবেন দক্ষিণী পরিচালক প্রিয়দর্শন। সেদিক থেকে দেখলে, ‘ভুলভুলাইয়া’র ১৭ বছর পর আবার অভিনেতা-পরিচালকের জুটিকে দেখতে চলেছেন দর্শক। যদিও ১৪ বছর আগে এই জুটির থেকে দর্শক পেয়েছিলেন ‘খাট্টা মিঠা’ ছবিটি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটির বিস্তারিত জানাবেন নির্মাতারা। সূত্রের খবর, কালো জাদু এবং সেই সম্পর্কিত বিভিন্ন কুসংস্কার ছবির প্রেক্ষাপট। ছবিতে অক্ষয়ের বিপরীতে থাকবেন তিন নায়িকা। ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর, ধীরে ধীরে ছবির বাকি অভিনেতাদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। চলতি বছরের শেষে ছবির শুটিং শুরু হতে পারে, চলবে আগামী বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত। মুম্বাই ছাড়াও ছবির একটা বড় অংশের শুটিং হবে হায়দরাবাদে। এ ছাড়া লোকেশনের মধ্যে রয়েছে গুজরাট, কেরল এবং শ্রীলঙ্কা।

ছবির তিন নায়িকা কারা, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আলিয়া ভাট, কিয়ারা আদভানি এবং দক্ষিণী অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশ ছবিতে থাকতে পারেন। যদিও নির্মাতারা খোলসা না করা পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে আঁচ পাওয়া কঠিন। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়দর্শন জানিয়েছিলেন রামমন্দির নিয়ে তার তথ্যচিত্রের কাজ প্রায় শেষ। তার পরেই তিনি নতুন ছবির কাজে হাত দেবেন। তখনই তিনি ইঙ্গিত দেন, ছবিটি ভৌতিক ঘরানার এবং তা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বার্তা দেবে। এ ছাড়া নির্মাতা প্রিয়দর্শনের আগামী ছবিতে অভিনয় করবেন ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি অক্ষয় কুমার। আজ এই তারকার বিশেষ দিনে মুক্তি পাবে সিনেমাটির পোস্টার।


অভিমানী আসিফ আকবর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের আপামর শ্রোতাদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় একজন গায়ক আসিফ আকবর। সংগীতাঙ্গনে তাকে বলা হয় বাংলা গানের যুবরাজ। প্রতিবাদী ও স্পষ্টবাদী বলেও পরিচিত তিনি। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে গান গাওয়ার সুযোগ পাননি অসংখ্য হিট গানের এই গায়ক। এমনকি তার গাওয়া কোনো গানও বাজানো হতো না এ দুই প্রচারমাধ্যমে।

এখন আসিফ আকবরের কাছে নিয়মিত ফোন আসছে বেতার ও বিটিভি থেকে। তাকে ঘিরে সাজানোর পরিকল্পনা করছে নতুন নতুন সংগীতানুষ্ঠান! কিন্তু আসিফ আকবর তো অন্য অনেকের মতো নন। বরাবরই প্রতিবাদী, অভিমানীও বটে। তাই এসব ফোন আর পরিকল্পনার গল্প শুনে কাতর হননি তিনি। বরং বিনয়ের সঙ্গে ফেরালেন সেই প্রস্তাব। জানান দিলেন, ২৪ বছরের ক্যারিয়ারের ১৮ বছরই কেটেছে কালো তালিকায়। বাকিটাও কাটুক না হয় এমন।

আসিফ আকবর বলেন, ‘বাংলাদেশ বেতারের একজন কর্মী আমাকে দাওয়াত দিয়েছে তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। মেয়েটির বিনয়ী প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই হলো। আরও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী বেতারে আছেন, যারা বিগত ষোল বছর আমার গান চালাতে চাইত, পারত না- এখন পারছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকেও ফোন পেয়েছি। প্রোগ্রাম প্রডিউসার বলেছে, আপনাকে নিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে চাই। তাকেও বিনয়ের সাথে না করে দিয়েছি। আমি নিকট অতীতে দেখেছি বিটিভিতে আমার গান চলেছে ঠিকই, শুধু নামটি বদলে দিয়েছে।’

শুধু সরকারি দুই মাধ্যম নয়, আসিফ আকবর স্পষ্ট কণ্ঠে জানালেন আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত। শুধু বিটিভি নয়, অন্য কোনো টেলিভিশন চ্যানেলেও গান না গাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আসিফ লেখেন, ‘চব্বিশ বছরের ক্যারিয়ারে (ওয়ান-ইলেভেনসহ ) জীবন থেকে চলে গেছে আঠারো বছর। যৌবন পেরিয়ে এখন আমি মধ্যবয়সি। ফাঁকে ফাঁকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গাইতাম, এখন আর গাই না, সেখানেও আর কখনো গাইব না। এসব নিয়ে আর কষ্ট পাই না। দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সেই মাথা ভরা চুল আর নেই, সাদাও হয়ে গেছে কিছু, চোখের দৃষ্টিও ঝাপসা হয়েছে একটু। তবুও রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ আমাকে দেশে থাকতে দেওয়ার জন্য। গান গাওয়া আমার পেশা, মঞ্চে গাইব আর অল্প কয়েকটা বছর। কোটি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তাদের সামনে গাইবার ইচ্ছা আছে, নিশ্চয়ই তারাও বঞ্চিত হয়েছে! বেতার/বিটিভিতে আমার জায়গায় সুযোগ পাবে অন্য কেউ একজন, সেখানেই আনন্দ খুঁজে নেব।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অডিও ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে সর্বোচ্চ সফল আধুনিক গানের শিল্পী আসিফ আকবর। যিনি বিএনপি সমর্থন করেন বলে রাজনৈতিক বঞ্চনার শিকার হয়েছেন গত ১৮ বছর ধরে।

বিষয়:

বিরানব্বই বসন্তে আশা ভোঁসলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

উপমহাদেশের অন্যতম প্রথিতযশা গায়িকা আশা ভোঁসলে। ভারতের প্লে-ব্যাক শিল্পী হিসেবে খ্যাতি পাওয়া দুই দিকপালে, একজন লতা মুঙ্গেশকর এবং আরেকজন আশা ভোঁসলে। একই মায়ের দুই সহোদরা। দুজনেই হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি। পৃথিবীর ইতিহাসেই এটা বিরল। লতা মঙ্গেশকর একপর্যায়ে বয়সের কারণে প্লে-ব্যাক ছেড়ে দিলেও আশা ভোঁসলে তারপরেও দীর্ঘদিন ভারতীয় প্লে-ব্যাককে প্রায় একতরফা শাসন করে এসেছিলেন।

আজ জীবনের ৯২তম বছরে পা রাখলেন আশা ভোঁসলে। ১৯৩৩ সালের আজকের দিনে মহারাষ্ট্রের সাংলিতে মঙ্গেশকর পরিবারে জন্ম তার। মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন পুনে থেকে কোলহাপুরে এবং পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ে। ১৯৪৩ সালে জীবনে প্রথমবার সিনেমায় গান করেন আশা ভোঁসলে। মারাঠি সিনেমা ‘মাঝা বাল’-এর ‘চালা চালা নভ বালা’ গানটি শোনা যায় তার কণ্ঠে। হিন্দি সিনেমার জগতে পা রাখা ১৯৪৮ সালে হংশরাজ বেহলের ‘চুনারিয়া’ দিয়ে।

তবে হিন্দি সিনেমাতে আশার প্রথম একক গান শোনা গিয়েছিল ১৯৪৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রাত কি রানি’-তে। ১৯৫০ সাল থেকে হিন্দি সিনেমার জগতে ধীরে ধীরে শুরু হয় তার উত্থান। প্রায় ছয় দশক ধরে গান করছেন কিংবদন্তি এ শিল্পী। তার গান শ্রোতাদের এখনো মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় গান করেছেন তিনি। গেয়েছেন সংগীতের বিভিন্ন ধারায়। সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে তার নামও রয়েছে। পেয়েছেন দাদাসাহেব ফালকে, পদ্মবিভূষণসহ অসংখ্য সম্মাননা। এখনো গান করে যাচ্ছেন আশা। সেই যে শৈশবে শুরু করেছিলেন এই নবতিপর বয়সেও তার কোনো বিশ্রাম নেই। গেয়েই চলেছেন অবিরাম। কণ্ঠেও ধরে রেখেছেন সেই সুধাকর জাদু। এ বিষয়ে তাই একবার সংবাদমাধ্যমে নিজের শেষ ইচ্ছার কথা জানান এভাবে, ‘যতক্ষণ নিঃশ্বাস আছে, ততক্ষণ গান গেয়ে যেতে চাই।’

গানের প্রতি তার এই দুর্নিবার পিপাসা থাকার কারণেই বয়স তার জীবনীশক্তিকে কাবু করতে পারেনি। তারই কথায়, তার চিরনবীন হয়ে থাকার মন্ত্র হলো, ‘সামনের দিকে এগিয়ে চলা।’ শুধু গানের প্রতিই নয়, সংসারের প্রতিও তার দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল সেই শৈশব থেকেই। তাই তো কৈশোর না পেরোতেই পরিবারের কাউকেই না জানিয়ে তারই গানের শিক্ষকের সঙ্গে প্রেম করে সংসারী হয়ে যান। যদিও তার সেই সংসার খুব বেশিদিন টেকেনি। তবে তাতে যে তার জীবনের জন্য সামান্য হলেও একটা ক্ষত রেখে গেছে এটা আশা ভোঁসলে মুখ ফুটে স্বীকার না করতে চাইলেও প্রতিটি নারীমন কিন্তু এমন করেই ভাবেন। নিজের জন্মদিনে সেসবও কি মনে পড়ে না? এমন কথায় জন্মদিনে তিনি এই বার্তা দিয়ে রাখেন- ‘জীবনে কোনো অনুশোচনা নেই। বেঁচে আছি, সবার ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি, এতেই আমি খুশি।’

বিষয়:

বিদ্রূপের মুখে জাহ্নবী

জাহ্নবী কাপুর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০৮
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের প্রথম লেডি সুপারস্টার বলে খ্যাতি পাওয়া বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, অনবদ্য অভিনয়ের জন্যও আলোচিত এই স্টার কিড। সর্বশেষ শরণ শর্মা পরিচালিত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ক্রিকেটভিত্তিক এই সিনেমায় রাজকুমার রাওয়ের বিপরীতে মহিমা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জাহ্নবী। সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করে সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি ঠিকই; কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো এমন একটি ভিডিও, যা দেখে অভিনেত্রীর ক্রিকেট প্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ভিডিওটি কিছু মাস আগের, যখন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’র প্রচার করছিলেন জাহ্নবী।

ভিডিওতে তিনটি ইন্টারভিউকে কোলাজ করে দেখানো হয়েছে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে, তিনটি ইন্টারভিউই একই দিনের কারণ অভিনেত্রী একই শাড়ি পরেছিলেন তিনটি ভিডিও। তিনটি সাক্ষাৎকারেই অভিনেত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্নের পাশাপাশি একটি কমন প্রশ্ন করা হয়।

‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ সিনেমাটি যেহেতু ক্রিকেটভিত্তিক এ কারণে স্বভাবতই ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় জাহ্নবী কাপুরকে। শ্রীদেবী কন্যাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘তার প্রিয় ক্রিকেটার কে?’ খুব অদ্ভুতভাবে তিনি একই দিনে তিনজন ক্রিকেটারের নাম উচ্চারণ করেন। প্রথম ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জাহ্নবী মাহি অর্থাৎ মহেন্দ্র সিং ধোনির ফ্যান বলছেন নিজেকে।

দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রী নিজেকে রোহিত শর্মার ফ্যান জানাচ্ছেন এবং তৃতীয় সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে বিরাট কোহলির ডাই হার্ট ফ্যান বলে উল্লেখ করেছেন। একই দিনে তিনজন আলাদা আলাদা ক্রিকেটারের নাম বলায় স্বাভাবিকভাবেই মজা পেয়েছেন নেট পাড়ার বাসিন্দারা।

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে নেটিজেনরা নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘এই ভাবেই মুড সুইং হয়’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘সবাইকেই সম্মান দিতে জানেন এই অভিনেত্রী।’ আবার একজন লিখেছেন, ‘সকলেই তার কাছে সমান।’ অভিনেত্রীর পক্ষে কথা বলে একজন লিখেছেন, ‘তিনি বলেছেন ধোনি তার প্রিয়। রোহিতের তিনি ভক্ত। বিরাটের বিশাল বড় ভক্ত। তিনি পয়েন্ট করে উল্লেখ করে দিয়েছেন আলাদা আলাদা ক্রিকেটারকে তিনি কেমনভাবে দেখেন।’


আজ বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াতের জন্মদিন

আপডেটেড ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:২১
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও লেখক আবুল হায়াত। থিয়েটার, টিভি নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে এখনো তার উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করে। নিজেকে ছড়িয়েছেন দুই হাতে; প্রতিটি ক্ষেত্রে দর্প নিয়ে ছুটে চলেছেন সমানতালে। এই দুরন্ত ছুটে চলা মানুষটি বছরে দুইবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে সিক্ত হন। জন্ম ১৯৪৪ সাল এই জনপ্রিয় অভিনেতার জন্মদিন ৭ সেপ্টেম্বর হলেও ২৫ জুন তাকে সিক্ত হতে হয় ভক্ত-অনুরাগী ও কাছের মানুষের শুভেচ্ছায়।

বিষয়টি নিয়ে কিছুটা বিব্রতবোধ করলেও দুটি তারিখেই হাসিমুখে সবার শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি। তাহলে সত্যিকারের জন্মদিন কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হায়াত বলেন, ‘আমার প্রকৃত জন্মদিন মূলত ৭ সেপ্টেম্বর। সার্টিফিকেটে আব্বা দিয়েছিলেন ২৫ জুন। তবে প্রতি বছর এই দিনে অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বরই আসল জন্মদিনটা পালন করা হয়।’

আশি পেরিয়ে আজ একাশিতে পা রাখলেন ‘চিরসবুজ’খ্যাত তারকা আবুল হায়াত। একই দিনে তার নাতনিরও জন্মদিন। এ কারণে প্রতিবার সবাইকে নিয়ে বেশ আনন্দঘন পরিবেশেই জন্মদিন পালন করেন তিনি।

চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটক এবং প্রায় এক হাজারেরও বেশি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করা এ শিল্পীর প্রবল ইচ্ছে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিনয়ের ওপর ক্লাস নেওয়া। কোনো প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে তিনি তা ভেবে দেখবেন বলেও জানান। পাশাপাশি তিনি বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তার অভিনয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় আবুল হায়াত মঞ্চে প্রথম ‘টিপু সুলতান’ নাটকে অভিনয় করেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে মঞ্চে তার প্রথম নাটক আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’। টিভিতে তার প্রথম নাটক ছিল জিয়া হায়দারের প্রযোজনায় ‘ইডিপাস’।

মঞ্চে তার নির্দেশিত প্রথম নাটক ‘আগন্তুক’ এবং টিভিতে ‘হারজিৎ’। প্রথম অভিনীত সিনেমা ঋত্বিক কুমার ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম। ১৯৭৪ সালে আলী যাকেরের নির্দেশনায় মঞ্চে ‘বাকি ইতিহাস’ নাটকে অভিনয় করে তিনি ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড ফর ইনট্রিডিউসিং ন্যাচারালিস্টিক অ্যাক্টিং অন বাংলাদেশ স্টেজ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এটি বাংলাদেশে দর্শনীর বিনিময়ে প্রথম মঞ্চনাটক। আবুল হায়াত বহু বছর ধরে টিভি নাটক, সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনে সফলতার সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন।

বিষয়:

সেরা আয়করদাতা শাহরুখ খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড ‘বাদশা’র নয়া রেকর্ড। এবার দেশের সর্বাধিক আয়করদাতা হিসেবে পেলেন স্বীকৃতি অভিনেতা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে কর বাবদ ৯২ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন শাখরুখ খান। যার ফলে সর্বোচ্চ করদাতাদের তালিকায় শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।

ফরচুন ইন্ডিয়ার দাবি, একের পর এক হিট সিনেমার জেরে ২০২৪ আর্থিক বছরে এসআরকে-র আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার কোটি টাকা। ফলে রোজগারের নিরিখে গত অর্থ বর্ষে তার ধারে কাছে অন্য সুপারস্টাররা পৌঁছতেই পারেননি। তবে শাখরুখ ছাড়াও আয়করদাতাদের শীর্ষ তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীর। তালিকায় রয়েছেন একাধিক নামি খেলোয়াড়ও।

আয়কর দপ্তর সূত্রে খবর, শুধুমাত্র হিট সিনেমা থেকেই যে শাহরুখ আয় করেছেন, এমনটা নয়। ব্র্যান্ড ও নানা ধরনের ব্যবসা থেকেও মোটা টাকা রোজগার করেছেন বলিউডের বাদশা। পর্দার ‘বাজিগর’-র পরই তালিকায় নাম রয়েছে তামিল মেগাস্টার থালাপতি বিজয়ের। ৮০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন তিনি।

গত আর্থিক বছরে বলিউড তারকা সালমান খানের কোনো সিনেমা বিরাট হিট করেছে এমনটা নয়। কিন্ত তা সত্ত্বেও ৭৫ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন সালমান খান। ফলে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ‘ভাইজান’। সিনেমার পাশাপাশি সাম্প্রতিক অতীতে টিভি শো-তে বেশি করে দেখা যাচ্ছে তাকে। সেখানে উপস্থাপক হিসেবে তাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে ভক্তকুল। ফলে টিভি শো থেকে সলমনের উপার্জনের পরিমাণ বেড়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তালিকায় চতুর্থ স্থানে নাম করেছে অমিতাভ বচ্চনের। গত আর্থিক বছরে ৭১ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন বলিউডের ‘শাহেনশা’। এ বছরের ২৭ জুন মুক্তি পায় নাগ অশ্মিন পরিচালিত ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। ব্লকবাস্টার এই সিনেমায় অশ্বথামার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বিগ বি-কে। ছবিটি হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, সর্বাধিক আয়করদাতাদের তালিকায় নাম রয়েছে ক্রিকেটার বিরাটের। ষষ্ঠ স্থানে থাকা কিং কোহলি আয়কর বাবদ জমা করেছেন ৬৬ কোটি টাকা। খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও এমএস ধোনি, শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও হার্দিক পাণ্ডিয়া মোট অঙ্কের আয়কর জমা দিয়েছেন। তাদের দেওয়া করের পরিমাণ যথাক্রমে ৩৮, ২৮, ২৩ ও ১৩ কোটি টাকা।

বিষয়:

banner close