বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
২৮ কার্তিক ১৪৩২

নাটকে এখন বাজেট নয়, সংকট ভালো গল্পের

আপডেটেড
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৪২
সৈয়দ ইকবাল
প্রকাশিত
সৈয়দ ইকবাল
প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৩৪

প্রতি বছর ঈদ উৎসবে দেশের বিভিন্ন টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলসহ প্রায় তিন শ থেকে চার শ নাটক নির্মিত হয়ে থাকে। কখনও কখনও এই সংখ্যা কমবেশি হয়ে থাকে। এখনকার সময়ে টিভি চ্যানেল থেকে ইউটিউবেই নাটক নির্মাণের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে কিছু ইউটিউব চ্যানেলের নাটক টিভিতে প্রচার হওয়ার পর সেগুলো আবার ইউটিউবেও প্রচার হচ্ছে। আবার বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা শুধু নিজস্ব ইউটিউবের জন্যই নাটক নির্মাণ করে থাকে। অন্যদিকে বর্তমানে প্রায় সব টিভি চ্যানেলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থাকায় তাদের নিজেদের নির্মিত নাটক টিভিতে প্রচারের পর আবার সেগুলো নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। ফলে এখন একটি নাটক বানানোর লগ্নিকৃত টাকা দুই মাধ্যম থেকেই প্রযোজক বা লগ্নিকারক ফেরত পাচ্ছেন। যার কারণে নাটকের বাজেট এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। একটা সময় বলা হতো বাজেট নেই, নাটকে বাজেট কম- এটা এখনকার সময়ে নাটকের বাজেটের দিকে তাকালে বলা যাবে না।

বিশেষ করে ইউটিউবের আধিপত্য হওয়ার পর থেকেই গত কয়েক বছর ধরে একেকটি নাটক অনেক টাকায় বানানো হচ্ছে। একটা সময় নাটকের বাজেট নিয়ে নানান ধরনের কথা শোনা যেত। পরিচালক-অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নাটকের কলাকুশলীরা সব সময় বলত- নাটকের বাজেট কমে গেছে, এত কম বাজেটে নাটক বানানো সম্ভব নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ইউটিউবের কল্যাণে এখন নাটকের সেই বাজেট কয়েকগুণ বেড়েছে। অথচ ইউটিউবের আগে নাটকের বাজেট অনেক কমে গিয়েছিল। ২০১৬-২০১৭ সালেও নাটক এখনকার মতো এত বাজেটে নির্মিত হতো না। ২০১৮ সাল থেকে আস্তে আস্তে নাটকের বাজেট বাড়তে থাকে। নরমালি এখন একটি নাটক বানাতে চার-পাঁচ-ছয় লাখ টাকা নির্মাতারা হরহামেশাই পাচ্ছেন। এর থেকেও কম বাজেটে ছোট কিছু কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। ওইদিকের হিসেবে না গিয়ে যেগুলো আমাদের মেইনস্ট্রিমের নাটক বলে চিহ্নিত তা নিয়েই কথা হচ্ছে।

আর্টিস্ট ভেদে এখন একেকটি নাটকের বাজেট দশ-বারো-পনেরো লাখ পর্যন্ত পাচ্ছেন নির্মাতারা। এবার ঈদে তো আঠারো-বিশ লাখ এমনকি পঁচিশ লাখে নাটক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই যে এত এত বাজেট পাচ্ছেন নির্মাতারা, নাটকের গল্পে কতটা ভেরিয়েশন পাচ্ছেন দর্শক? সেই একই অভিনয়শিল্পীদের একই প্রেম কাহিনি, কমেডি গল্প, চিল্লাচিল্লি কিংবা প্রেম হওয়ার শুরুতে ঝগড়া, তারপর প্রেম, পরিবার মানে না- টাইপের গল্প অথবা প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, প্রেমিক চাকরি পায় না, পরিবার মানে না ইত্যাদি ইত্যাদি গল্প। অনেকটা নতুন বোতলে পুরোনো মদের মতো গল্প। আর এখন যোগ হয়েছে নাটকে গানের ব্যবহারসহ ঢাকার বাইরে শুটিং- দামি ক্যামেরা এবং বিজ্ঞাপনের মতো ইউনিট-ক্রু নিয়ে মুভ করা। বাজেট বাড়ছে, খরচ করতে সমস্যা নেই। কিন্তু যেই গল্পের জন্য নাটক- সেই গল্পের জন্য কতটা খরচ করে নাটক নির্মিত হচ্ছে? মানে ভালো গল্পের এবং ‘খরচওয়ালা’ গল্পের পেছনে কি সেই বাজেটটা যাচ্ছে?

বিশিষ্ট সাংবাদিক, নাট্যকার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রেজানুর রহমান বলেন, ‘নাটকে ভালো গল্পের সংকট রয়েছে এটা যেমন সত্যি, তেমনি অনেকের কাছে ভালো গল্প থাকার পরও সে বাজেটের জন্য তা বানাতে পারছেন না- এটাও সত্যি। আসলে এখন কোনো লেভেল কোম্পানি (ইউটিউব), টিভি কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রথমেই নির্মাতার কাছে জিজ্ঞাসা করেন- ‘যে গল্প নিয়ে কাজ করবেন সেটির ভিউ হবে নাকি’- এই কথায় নির্মাতা নতুন কোনো কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করতে চান না। সেই একই ফর‌ম্যাটে কাজ করতে হচ্ছে তাকে। এখন দেখা গেছে কেউ একজন একটি গল্প নিয়ে কাজ করায় সেটির ভিউ হয়েছে- সবাই সেটা বানাতে ছুটে। মানে হলো ভিউয়ের পেছনে দৌঁড়াচ্ছি। ভিউ-ই যখন এখন একমাত্র বাণিজ্য তখন তো গল্প ফ্যাক্ট না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্মাতাদের স্বাধীনতা দিতে হবে। নির্মাতারা স্বাধীনতা না পেলে কাজ করা মুশকিল। অমুকটার মতো, তমুককে নিয়ে জুটি করে নাটক বানানোর জন্য প্রেসার না দিয়ে তাকে স্বাধীনতা দিতে হবে। এখন গল্পসহ ‘পাঁচজন- পাঁচজন’ জুটিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলে দেয়া হচ্ছে নাটক বানানোর জন্য। সেই ‘পাঁচজন-পাঁচজন’ জুটির দশজন এতো ব্যস্ত যে, তাদেরকে মেনটেইন করতে গেলে নাটকের দিকে নজর দেয়া যাচ্ছে না। তারা ব্যস্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু জুটি বেঁধে দিলেই বিপদ। নির্মাতাকে বলতে হবে- স্বাধীনভাবে গল্পে যে ধরনের আর্টিস্ট যায়, তাদেরকে নিয়েই বানান। তাহলে নতুন গল্প এবং নতুন আর্টিস্টও ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হবে। বর্তমানে যারা কম্প্রমাইজ করে কাজ করছেন যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ফলে মনে রাখার মতো নাটক হচ্ছে না। এখন আমাদের লাখ লাখ টাকা বাজেট যাচ্ছে, শত শত নাটকও হচ্ছে। কিন্তু অর্জনের জায়গাটা ফাঁকাই থেকে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কথা বলছে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ নাটকে লোকেশন (প্রয়োজন না হলেও), লাইট-ক্যামেরাসহ এগুলোতে অপ্রয়োজনীয় বাজেট ব্যবহার, মেইন আর্টিস্টদের বেশি রেম্যুনারেশন (আর্টিস্টরা নিজেরাই নিজেদের পারিশ্রমিক ঠিক করছেন), শুটিং ইউনিটে বিলাসবহুল খরচ করায় বেশির ভাগ নাটকের মূল বাজেট সেখানেই চলে যাচ্ছে। ফলে নাটকে এত এত বাজেট পাওয়ার পরও যেই ভিন্নধর্মী গল্পটির পেছনে বাজেটটা খরচ করার কথা- সেখানে কি খরচ হচ্ছে না। সেই একই গল্প, একই মেকিং এবং কমেডি টাইপ নাটকগুলোই নির্মিত হচ্ছে। এখন তো একটি নাটকের গল্পের সঙ্গে আরেকটি নাটকের নামেরও বেশ মিল পাওয়া যায়। যেমন- ‘তুই আমারই’, ‘তোর জন্য’, ‘আজকাল তুমি আমি’, ‘তোমাতে হারাই’, ‘তোমায় ভালোবেসে’- এবারের ঈদের এই নাটকগুলোর নাম প্রায় কাছাকাছি। এরকম ইউটিউবে খুঁজলে আরও অনেক নাটক পাওয়া যাবে যেগুলোর নাম প্রায় কাছাকাছি। আরও রয়েছে ইউটিউবে ‘কাটতি টাইপ’ নাটকের নাম। যা আসলে শিল্পমানের নাটকের নাম নয়। ফলে দর্শক আসলে একটি নাটক দেখে তার মনের মধ্যে সেটি ‘দাগ’ কাটাতে পারছেন না। আর এখনকার নাটকগুলোতে প্রায় একই অভিনয়শিল্পী (অমুকের সঙ্গে তমুক, তমুকের সঙ্গে অমুক- ধরাবান্দা জুটি) হওয়ায় দর্শক আরও বিভ্রান্ত হচ্ছেন যে সে আসলে কোন নাটকটা দেখেছেন। ফলে মনের মধ্যে অনুভূতি সৃষ্টি করা এবং খুব ভাবনায় ভাবানোর মতো নাটক এখন খুব একটা দেখা যায় না।

নাটকে বাজেট বাড়লেও গল্পের অভাব কিংবা শিল্পমান সম্পন্ন নাটক কম নির্মিত হওয়ার পেছনে কারণ কি? এই বিষয়ে কথা বলেন নির্মাতা রাকেশ বসু। তিনি বলেন, ‘বাংলা নাটকের এখন সব থেকে বড় সমস্যা হলো- গল্প সংকট। একটা সময় বাজেট নিয়ে সবাই কম-বেশি কথা বলতেন। কিন্তু এখন বাজেট সমস্যা থেকে গল্প সংকটটাই অনেক বড় ইস্যু একটা ভালো কাজের জন্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীরা যে ধরনের কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এবং ভিউ কাউন্ট হয় সেই একই ধরনের গল্প নিয়েই কাজ করেন। সে ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা হলো ভিউ হওয়া একই গল্পের পুনরাবৃত্তি। ফলে অভিনয়শিল্পীরা জনপ্রিয়তার দিকে নজর দিতে গিয়ে ভালো গল্পের কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বারবার।’

আগে একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট ফাইনাল হতো। টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান প্রধানসহ ক্রিয়েটিভ টিম মিলে গল্পটি ফাইনাল হওয়ার পর কোন অভিনয়শিল্পী কোন চরিত্রে অভিনয় করবে সেটা ভেবেচিন্তে কাস্টিং ফাইনাল করা হতো। এরমধ্যে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কয়েকদফায় রাইটার ও পরিচালকসহ মিটিং হতো। তারপর ফাইনালি নাটকটি নির্মাণে যাওয়া হতো। নাটক নির্মাণের পর তা দেখে প্রিভিউ কমিটির মতামত থাকত এবং সেখানে পাস হলেই তা ফাইনালি সম্প্রচারে যেত।

আর এখন অনেকটা ঝালমুড়ি বানানোর মতোই নাটক বানানো হয়। মানে অমুক-তমুকের ভিউ আছে- আগে তাদের ডেট ‘লক’ করা হোক। তারপর তারা যেই গল্প পছন্দ করবেন কিংবা অনেক সময় অভিনয়শিল্পীও গল্প দিচ্ছেন সেটা নিয়ে- ডে নাইটের কিছু সিক্যুয়েন্স বানিয়ে (শুটিংয়ের সুবিধার্থে) শুটিংয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে। স্লো-মো শট, গানের কিছু শট, নায়ক-নায়িকার দেখাদেখি-চোখাচোখি আর বিয়ে দিবে না বাবা-মা, ছেলে বেকার, চাকরি হয় না, পরিবার মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয় আর চিল্লাচিল্লি ভরা কমেডি গল্প। বেশির ভাগ নাটকই এখন এভাবে নির্মিত হচ্ছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি এখন সেট বানানোতেও ভালো খরচ করে নাটক নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে।

ইউটিউবের সঠিক নিয়মনীতি না থাকা, নাটকে প্রিভিউ সিস্টেম না থাকায় এবং ‘ভিউই’ একমাত্র বাণিজ্য হওয়ায় দিনকে দিন মানহীন নাটক বানানোর প্রতিযোগিতা হচ্ছে এবং তা নিম্নমানের তলানিতে যাচ্ছে বলে অনেকে অভিমত দেন। এর পাশাপাশি একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকের কথাও তারা উল্লেখ করেন তা হলো- একটা সময় যারা নাটক নির্মাণ ও ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তারা টেলিভিশন ও থিয়েটারে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। আর এখন শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যেই (বেশির ভাগ) ইউটিউব চ্যানেল করে নাটকের নামে ‘কনটেন্ট’ বানানো হয়।

অথচ গল্পনির্ভর, জীবনবোধের নাটক, সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের গল্প, আমাদের চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কত কত গল্প। প্রতিদিন সংবাদের পাতায় কত গল্প প্রকাশ পায়, অথচ আমাদের দেশের নাটক নির্মাতারা এসব গল্প দেখেন না। কারণ এসব গল্পে ভিউ পাওয়া যায় না। তাই ইউটিউব মালিক তথা প্রযোজকরা ওই ধরনের গল্প নিয়ে কাজ করতে বা নির্মাণে আগ্রহ পান না।

ইউটিউবে ভিউ হচ্ছে সস্তা-চটুল, কমেডি তথা সুরসুরি প্রেম মার্কা গল্পের। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা বাজেট দিয়ে যেসব ‘নাটক’ বানানো হচ্ছে তা আসলে কতটা সমাজে প্রভাব ফেলছে? কি শিখছেন তরুণ প্রজন্ম? অবশ্য তরুণ প্রজন্ম নাকি যা বানানো হচ্ছে- তাই দেখতে চায় বলে তাদের অভিমত। এত এত বাজেটের টাকা আদতে ‘শ্রাদ্ধ’ করাই হচ্ছে বলে প্রকৃত নাট্যপ্রেমী তথা সত্যিকারের সংস্কৃতপ্রেমীরা অভিমত দেন। তাদের মতে, বেশি বাজেট এলে বেশির ভাগ নাটককে ঝকঝকে তকতকে বানানো আর ‘ফুটেজ’ ছাড়া আর কিছুই না বলেও অনেকে অভিমত দেন। তাই ভালো বাজেট দিয়ে ভালো গল্প এবং ভিন্নধর্মী চরিত্রসহ জীবনবোধের নাটক বানানোর তাগিদ দেন তারা।

বর্তমানে নাটক নির্মাণের একটা চিত্র তুলে ধরলে এখনকার পরিস্থিতিটা আরও পরিষ্কার বোঝা যাবে। এখন নাটকের কয়েকজন মেইন নায়ক তারা তাদের নিজেদের প্রযোজনা হাউস থেকে নাটক বানিয়ে তা নিজেই বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল এবং টিভি চ্যানেলে তাদের চাহিদামতো সরবরাহ করছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক নাট্য নির্মাতা বলেন, ‘এভাবে আসলে কাজ করে অভ্যস্ত না। এই ভিউ বাণিজ্য এসে একজন নির্মাতার হাত-পা বন্দি হয়ে গেছে। আমরা আসলে বিক্রি হয়ে গেছি। এখন তো চাহিদাসম্পন্ন নায়করা তাদের প্রযোজনা হাউস থেকে নাটক তৈরি করেন। তারা নিজেদের বানানো ডিরেক্টর টিম, প্রোডাকশন টিমসহ ডিওপি এবং কো-আর্টিস্ট- সবই তারা ঠিক করেন। ডিরেক্টরকে দিয়ে শুধু ডিরেকশন (আসলে নামে ডিরেকশন) দেওয়ান। কোথায় এডিটিং হবে, কোথায় মিউজিক হবে এবং কীভাবে কাজটা কোথায় কত টাকায় বিক্রি হবে- সবই তিনি (নায়করা) ঠিক করেন। এভাবে চললে তো আসলে নাটকের ‘মান’ বলে কিছু থাকবেই না। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’

ভালো নাটক বানানোর কিছু ব্যতিক্রম চিত্রও রয়েছে। কিছু যে ভালো গল্পের নাটক নির্মিত হচ্ছে না তা বলা যাবে না। যারা সত্যিকারের ভালো গল্পের খোঁজ করেন এবং জীবনবোধের গল্পসহ ভিন্নরকম কিছু বা আইডলজির জায়গা থেকে কাজ করছেন তারা ঠিকই শত প্রতিকূলতায় কিছু নাটক বানাচ্ছেন। আমাদের দেশে ওটিটিতে ওয়েবসিরিজ ও ওয়েবফিল্মে ভিন্নধর্মী গল্পের কাজ হওয়ায় সেগুলো দর্শকদের কাছে সাড়া ফেলেছে। ফলে তার কিছুটা ছোঁয়া নাটকেও লেগেছে বলা যায়। এবারের ঈদে ভিন্নধর্মী গল্পের তেমনকিছু নাটক হচ্ছে- ‘স্মৃতিসারক’, ‘বিদায় বসন্তে মধ্যাহ্ন রোদে’, ‘নিখোঁজ’, ‘বোঝা’, ‘শেষমেষ’, ‘সম্ভবত প্রেম’, ‘কিছু কথা বাকি’, ‘দুনিয়া’, ‘অভাব’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘অভিশাপ’, ‘অভাব, ‘জাদুর শহর’, ‘গর্ভ’, ‘কলিজার টুকরা’, ‘স্বপ্নটা সামান্যই’সহ আরও কিছু নাটক।

এখন প্রায় একই মুখ ঘুরেফিরে সব নাটকেই দেখতে হচ্ছে বলে সব নাটক একইরকম লাগার কথা দর্শকরা অভিমত দিয়েছেন। এক সময় নাটকে নিশো, মেহজাবীন, অপূর্ব, তানজিন তিশাকে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা যেত। এখনকার সময়ে অপূর্ব ও তানজিন তিশাকে নাটকে দেখা গেলেও নিশো-মেহজাবীনকে দেখা যায় না। নিশো চলচ্চিত্র ও ওটিটির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় গত কয়েক ঈদ উৎসবে তাকে নাটকে দেখা যায়নি।

অন্যদিকে মেহজাবীনও বর্তমানে ওটিটির কাজের সঙ্গে সম্প্রতি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। তারপরও নাটকে মেহজাবীনের কাজের আগ্রহ রয়েছে; কিন্তু ভালো গল্পের অভাবে কাজ করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। ‘সাবা’ ও ‘প্রিয় মালতী’ শিরোনামের দুটি ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন ভক্তদের মেহু। তার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা ঘোষণার অনুষ্ঠানে নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি নাটকে একেবারেই কাজ করতে চাই না, বিষয়টা তেমন না। আমি আসলে ভালো গল্প পাই না। ভালো গল্প পেলে অভিনয় অবশ্যই করব। আমার কাছে যে স্ক্রিপ্টগুলো আসে সেগুলো পছন্দ হয় না। দর্শক আসলে ভিন্নতা চায়। আমি অনেক দিন পর সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলের ‘অনন্যা’ করেছি। কারণ এটার গল্পটা ভিন্ন। এটার জন্য আমি সাড়াও পেয়েছি বেশ। তাই আমি এরকম ভিন্ন ভিন্ন গল্পের কাজ করতে চাই। তেমন স্ক্রিপ্ট পেলে কাজ করব।’

ঈদে রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার এবং তৃতীয় লিঙ্গের ইস্যুতে নাটকটিকে শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা শ্রেণি ধর্মের বিষয়ের সঙ্গে তুলনা করে। ফলে কর্তৃপক্ষ নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়। ভিন্নধর্মী গল্প নিয়ে নাটক বানাতে গেলেও নানান সমস্যার কথা উল্লেখ করেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে ভিন্ন ধরনের গল্পের নাটক বানানো হচ্ছে। তবে সেটা সংখ্যায় কম। এখন আলাদা টাইপের গল্পের নাটক বানাতে গেলেও নানান ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আমি নিজেও ‘রূপান্তর’ নিয়ে একপ্রকার জটিলতায় রয়েছি। তাই যারা ইউটিউবের মালিক এবং প্রযোজক তারা ভিন্ন টাইপের গল্পের নাটক বানাতে রিস্ক নেয় না। বাধ্য হয়েই গদবাঁধা গল্পের নাটক বানায়। নাচ-গান আর বিউটি লোকেশনসহ কাজগুলো হচ্ছে।’

নাট্যপ্রেমী-বিনোদনপ্রেমী তথা সংস্কৃতিপ্রেমীদের প্রত্যাশা, নাটকের গল্পে সমাজের বাস্তবচিত্র থাকবে। কারণ ‘সমাজের দর্পণই হচ্ছে নাটক’। একটা সময় বিটিভিতে নাটক প্রচারের মাধ্যমে মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমের সাজটা কেমন হবে- তা সেই নাটক থেকে শিখত মধ্যবিত্ত সমাজ। সময় বদলেছে, মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। সমাজের আমূল পরিবর্তনে নিজেদের ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ যেন নাটকের মাধ্যমে প্রচার হয়ে তা আবার সমাজে প্রভাব ফেলুক- তা কারোরই কাম্য নয়। কারণ আজকে পর্দায় যা দেখানো হবে তাই দেখবেন দর্শক। সংস্কৃতিকর্মী তথা ক্রিয়েটিভরাই প্রকৃত ‘দর্শক’ তৈরি করেন। সারা পৃথিবীতেই রুচিহীন-সস্তা কনটেন্টেরই ‘ভিউ’ বেশি, এটাই স্বাভাবিক। এরমধ্যেও নিজেদের দর্শক নিজস্ব গল্প দিয়ে নিজেদেরই তৈরি করতে হবে- এমনটাই মনে করেন প্রকৃত সংস্কৃতিপ্রেমীরা।


মেয়েদের নিয়ে নোংরামি ছড়ানো মানসিক অসুস্থতা: স্পর্শিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। ইতোমধ্যেই দক্ষ অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তবে বিয়ের পর বেশ কিছুদিন থেকে তাকে অভিনয়ে দেখা যায় না।

যদিও স্যোশাল মিডিয়ায় বেশ সরব থাকেন অর্চিতা স্পর্শিয়া। নিজের ভালো লাগার বিষয়গুলো সবসময়ই ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করে থাকেন।

সম্প্রতি ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে অর্চিতা স্পর্শিয়া লিখেছেন, ‘যাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তা বানিয়ে বলে দিলেই কিছু প্রমান হয়না। না তোহ যাকে ছোট করার চেষ্টা করেন সে ছোট হয়, না তোহ কাউকে ছোট করে আপনি বড় হন। অযথা শুধু নোংরামি ছড়ানো হয়। আর কোনও মেয়েকে বা মেয়েকে নিয়ে বাজে কথা বলা পারিবারিক মানুষিক অসুস্থতা। দেশ, সমাজ এবং আমাদের জীবন চলা উচিত সুস্থ রাজনীতি, সুস্থ মন মানুষিকতা, এবং সুশিক্ষার ওপর।’ এয়ারটেল পরিচালিত ‘ইম্পসিবল ৫’ এ অভিনয় করে ২০১৩ সালে অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন স্পর্শিয়া।


প্রিয়াঙ্কার চমক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি যেমন দ্যুতি ছড়িয়েছেন, গায়িকা হিসেবেও তার অর্জন কম নয়। তবে অনেক দিন ধরেই গান গাইতে দেখা যাচ্ছে না দেশি গার্ল-খ্যাত বলিউড এই তারকাকে। বিরতি ভেঙে এবার ভক্তদের জন্য তিনি নিয়ে আসছেন নতুন চমক।

‘ক্রিসমাস কার্মা’ সিনেমার জন্য ‘লাস্ট ক্রিসমাস’র দেশি রূপে গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন গুরিন্দর চাড্ডা। চিরচেনা ক্রিসমাস ক্লাসিক ‘লাস্ট ক্রিসমাস’র নতুন সংস্করণে প্রিয়াঙ্কার জাদুকরী কণ্ঠে একটি অনন্য দেশি ছোঁয়া যোগ করেছেন এমনই মন্তব্য করেছেন সিনেমাটির নির্মাতা পক্ষ।

এই মিউজিক্যাল চলচ্চিত্রটি আগামী ১৪ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে। ভারতে ১২ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এই সাউন্ডট্র্যাকের তালিকায় রয়েছেন আরও অনেক আন্তর্জাতিক তারকা। গ্যারি বার্লো, বিলি পোর্টার, নিতিন সাওনি, শ্যাজনে লুইস, পিক্সি লট এবং বয় জর্জ।

সম্পূর্ণ অ্যালবামটি সিনেমা মুক্তির দিনেই প্রকাশ পাবে। লাস্ট ক্রিসমাস মূলত ১৯৮৪ সালে ব্রিটিশ পপ জুটি ওয়াহাম দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছুটির গান হিসেবে বিবেচিত হয়। গানটি লিখেছেন এবং রেকর্ড করেছেন প্রয়াত সংগীতশিল্পী জর্জ মাইকেল।


বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গন হারাল এক অনন্য কিংবদন্তিকে। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে কোটি দর্শকের হৃদয়ে তিনি বেঁচে ছিলেন এবং বেঁচে থাকবেন তাঁর অনবদ্য অভিনয় ও অমর সংলাপের মাধ্যমে।

মঙ্গলবার সকালে ধর্মেন্দ্রর টিম গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে এখনো শেষকৃত্য সম্পর্কিত বিস্তারিত জানা যায়নি।

এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সোমবার রাতেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও পরিবার তা অস্বীকার করে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিশ্চিত হয়।

হাসপাতালের বাইরে দিনভর ভিড় করেন তার পরিবারের সদস্য ও বলিউড তারকারা। ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওল, মেয়ে এষা দেওল ও আহানা দেওল ছাড়াও শাহরুখ খান, সালমান খান, গোবিন্দ প্রমুখ তারকারা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হম ভি তেরে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে ধর্মেন্দ্রর। এরপর ‘ফুল অউর পাথর’, ‘আয়ে দিন বাহার কে’ ও ‘শোলে’-র মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অল্প সময়েই শীর্ষ অভিনেতার স্থানে পৌঁছে যান। সত্তর দশকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাকে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষদের একজন হিসেবে আখ্যায়িত করে। বলিউডে তিনি পরিচিত হন “হি-ম্যান অব ইন্ডিয়া” নামে।

‘শোলে’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘গুলামি’, ‘তহলকা’সহ অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে তার উপস্থিতি দর্শকদের মনে অম্লান দাগ রেখে যায়। নব্বইয়ের দশকে তিনি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ে মনোযোগ দেন এবং পরে দুই ছেলে সানি ও ববির সঙ্গে ‘আপনে’ ও ‘যমলা পাগলা দেওয়ানা’ সিরিজে একসঙ্গে কাজ করেন। সর্বশেষ তাকে দেখা যায় ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যাইসা উলঝা জিয়া’ ছবিতে।

অভিনয়ের পাশাপাশি ধর্মেন্দ্র রাজনীতিতেও যুক্ত ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের বিকানের আসন থেকে বিজেপির সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যক্তিজীবনে তিনি দুইবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর, দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী। দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল প্রথম স্ত্রীর ঘরে, আর দুই মেয়ে এষা ও আহানা দেওল হেমা মালিনীর ঘরে জন্ম নেন।


ভদ্ররা চুপ থাকে, অভদ্ররা ভাবে জবাব দিতে পারে না: প্রভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দেশের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়মিত সক্রিয় রয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আগের মতো আড়ালে না থেকে এখন খোলামেলাভাবেই নিজের ভাবনা প্রকাশ করছেন তিনি।

সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে ভদ্রতা ও অভদ্রতা নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন প্রভা। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘যে ভদ্র সে ভদ্রতার খাতিরে চুপ হয়ে যায়। আর অভদ্র মানুষটা ভাবে, ওর জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেই।’

প্রভার এমন মন্তব্য মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টে হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে, মন্তব্য করেছেন শতাধিক অনুরাগী। বেশিরভাগ ভক্তই প্রভার সঙ্গে একমত পোষণ করে লিখেছেন- ভদ্র মানুষ চুপ থাকলেও সে দুর্বল নয়।

২০০৫ সালে মডেলিংয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন প্রভা। এরপর একের পর এক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। শুধু অভিনয় নয়, নিজেকে একজন দক্ষ মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবেও গড়ে তুলেছেন। নিউইয়র্কের ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

এদিকে চলতি বছর একসঙ্গে দুটি সিনেমার ঘোষণা দেন প্রভা। একটি সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ‘দেনা পাওনা’, অন্যটি ঝুমুর আসমা জুঁই পরিচালিত ‘দুই পয়সার মানুষ’। বর্তমানে এই দুটি চলচ্চিত্রের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি।


‘আমার সোনার বাংলা’ আমাদের গান: নচিকেতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি নিয়ে জোর চর্চা চলছে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে। সম্প্রতি এ গান গাওয়া নিয়ে ভারতের এক রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ‘দেশদ্রোহিতার’ অভিযোগ। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, এটা আমাদের গান। রবীন্দ্রনাথের গান মানে এটা আমার দেশের গান। আসলে আমাদের দেশের রাজনীতিকরা খুবই মূর্খ! এদের আর কিছু বলতে ইচ্ছে করে না। এদের শুধু করুণা করা যায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদাহরণ টেনে নচিকেতা বলেন, দুর্গাপুরে এসে নরেন্দ্র মোদি নিজেই তো বলে গিয়েছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা’। তখন তো কিছু হলো না। তার মানে স্পষ্ট, এরসঙ্গে দেশের কোন সম্পর্ক নেই। আসলে কতগুলো লোক বাঁদরামি করছে।

মঞ্চে এই গান গেয়েছেন নচিকেতা নিজেও। তিনি বলেন, বহুবার গেয়েছি। কেন গাইব না! রবীন্দ্রনাথের গান গাইব না কেন? আসলে আমাদের দেশের এই রাজনীতিবিদগুলোকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গেয়ে তোপের মুখে পড়েন আসাম রাজ্যের সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস। এরপরই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ মামলা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গানটি গেয়ে প্রতিবাদ জানান। যার জেরে অভিভাবকদের ‘চিঠি’ পাঠিয়ে সতর্ক করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


ফের বড় পর্দায় দেখা যাবে আনুশকাকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দীর্ঘ বিরতির পর অভিনেত্রী আনুশকা শর্মাকে দেখা যাবে ফের পর্দায়। মুক্তির অপেক্ষায় ‘চাকদা এক্সপ্রেস’।এটি ভারতীয় নারী ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর জীবন ভিত্তিক বায়োপিক।

২০১৮ সালের 'জিরো' ছবির পর আনুশকা শর্মাকে আর বড় পর্দায় দেখা যায়নি। ২০২২ সালে তিনি তার বহু আলোচিত ছবি 'চাকদা এক্সপ্রেস'-এর শুটিং শেষ করেন। শুরুতে ছবিটি ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তির কথা থাকলেও, তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

সম্প্রতি ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক জয় লাভ করার পর ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ টিম ছবিটি দ্রুত মুক্তি দিতে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। জানা গেছে, নির্মাতারা ব্যক্তিগতভাবে নেটফ্লিক্স ভারতের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে চিঠি লিখে ছবিটি দ্রুত মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

নির্মাতারা চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমরা ব্যক্তিগতভাবে নেটফ্লিক্স ভারতের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছি যে, আমরা কি বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে ছবিটি মুক্তি দিতে পারি? ঝুলনদির মতো কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বের উপর নির্মিত একটি বায়োপিক দর্শকদের কাছে পৌঁছানো দরকার।’

বর্তমানে ছবিটি স্বত্ব পুরোপুরি নেটফ্লিক্সের হাতেই রয়েছে। যদিও, ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক জয়ের পর এই বায়োপিকটি নতুন করে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তাই অনেকেই আশা করছেন, এই মাসেই ছবিটি মুক্তি পেতে পারে। ছবিতে ঝুলন গোস্বামীর চরিত্রে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে আনুশকা শর্মাকে।


শাকিবের প্রতি মিনিটের দাম পৌনে দুই লাখ টাকা!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

চিত্রনায়ক শাকিব খান রাজধানীর বনানীতে এক আন্তর্জাতিক এক্সেসরিজ ব্র্যান্ডের নতুন শোরুম উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অল্প কিছুক্ষণের জন্য তার উপস্থিতির ব্যাপারটা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। এই আয়োজনে শাকিব খান নাকি মাত্র ২০ মিনিটে ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। তাঁর মানে প্রতি মিনিটে শাকিব নিয়েছেন পৌনে দুই লাখ টাকা?

বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় উপস্থাপক ও রেডিও জকি গোলাম কিবরিয়া নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, বাংলাদেশের সুপারস্টার সময় দিয়েছে ২০ মিনিট । পেমেন্ট নিয়েছে ৩৫ লাখ। কাজ ছিলো একটা ব্র্যান্ড প্রোমোটের! কোথাও সেই ব্র্যান্ডের নাম নাই ফেসবুকে। এমন কি সুপারস্টারের কোথাও ব্র্যান্ড ট্যাগ দেখিনি। সবাই আছে তার গোঁফ আর লুক নিয়ে। ইন্টারেস্টিং। কোন এজেন্সি করেছে এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট?

এদিকে শাকিব খান আজ দুপুরে নিজের ফেসবুকে বনানীর আলোচিত ইভেন্টের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। তবে শাকিব খান যে প্রতি মিনিটে পৌনে দুই লাখ টাকা নিয়েছেন বা ২০ মিনিটে তা শাকিব সংশ্লিষ্ট কেউ বা তাঁর তরফ থেকে জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। এদিকে শাকিব খান এখন ব্যস্ত রয়েছেন সাকিব ফাহাদ পরিচালিত ‘সোলজার’ নিয়ে। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন তানজিন তিশা। সিনেমাটি আগামী বছর মুক্তির কথা রয়েছে।


কখনো রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছে নেই: তাহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাহসান দ্রুত একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনেও দাঁড়াবেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তাহসান।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জন নিয়ে আমি এমন একটি কথা বলেছি। এখন কেন, ভবিষ্যতেও কখনো রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছে নেই আমার। যা ছড়িয়েছে তা মিথ্যে।

তাহসান বলেন, কনসার্টে যখন গান ছাড়ার কথাটা বলেছি, সে সময় খুব কম মানুষ ছিল। সেটা যে এভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে ভাবিনি। অভিনয় থেকে যেভাবে ধীরে ধীরে বিরতি নিয়েছি, সেভাবে গান থেকেও বিরতি নেব। আমি তো একটু আবেগপ্রবণ, কবি মানুষ। এমনভাবে বলে ফেলেছি যে ছড়িয়ে গেছে। আমার ওই একটা কথার ফলে অনেক কিছু হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এখন কিছু মানুষ ভাইরাল হওয়ার নেশায় থাকে। এটা পৃথিবীজুড়েই চলছে। আমাকে নিয়ে ছড়ানো গুজবটা তেমনি ভাইরাল হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় এগুলো পার্ট অব দ্য গেম। একটা খেলার মতো। এ কারণে খুব চিন্তা করে কথা বলতে হয়। কোন কথাটা নিয়ে কখন কী হয়ে যাবে, এটা ভাবতে হয়।

তাহসান বলেন, এখন আমরা এক যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে, দর্শক কম কিন্তু সমালোচক বেশি। কিন্তু এই সময়ে সত্য নিউজ প্রচার করা খুব জরুরি। তাই আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ করব সত্য নিউজটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিন।

তাহসান আরো বলেন, কয়েক মাস আগে কোনো এক অনলাইনে নিউজ হয়েছে আমি নাকি বাবা হয়েছি! সারা দেশে ভাইরাল হয়ে গেল। আমার কাছে অভিনন্দিত বার্তা আসতে শুরু করল। অথচ ওটা ছিল তিন-চার বছর আগে আমার এক ছোট ভাই বাবা হয়েছিল, আমি হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ছবি তুলেছিলাম- সেই ছবি।

তাহসান বলেন, যারা এসব ফেক নিউজ ছড়ায় আমি তাদের নিয়ে পোস্ট করলে উল্টে তারা ফেমাস হয়ে যাবে। তাই এই কাজগুলো হচ্ছে সাংবাদিক ভাইদের, যারা আমাদের মতো আর্টিস্টদের রক্ষা করবে। কারণ, আমরা যারা কাজ করি তারা এবং বিনোদনের সাংবাদিকরা সম্পূরক।


নারীর যন্ত্রণা বুঝতে পুরুষেরও এই অভিজ্ঞতা থাকা উচিত: রাশমিকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

নারীর যন্ত্রণা বুঝতে পুরুষেরও অভিজ্ঞতা থাকা উচিত বলে মনে করেন দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। নতুন সিনেমা মুক্তির আগেই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি। শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন সিনেমা ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’। এমন মুহূর্তে অদ্ভুত ইচ্ছে প্রকাশ করে অভিনেত্রী জানালেন তিনি চান পুরুষেরও পিরিয়ড হোক।

সম্প্রতি রাশমিকা মান্দানা জগপতি বাবুর ‘জয়াম্মু নিশ্চয়াম্মু রা’ শোতে ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ সিনেমার প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানেই এমন কথা বলেন অভিনেত্রী।

স্কুলজীবনে রাশমিকা মান্দানার করা এক অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে এনে সঞ্চালক জগপতি বাবু মজা করে জানতে চান— অভিনেত্রী কি সত্যিই চাইতেন পুরুষের পিরিয়ড হোক? জবাবে সম্মতি জানিয়ে রাশমিকা মান্দানা বলেন, পুরুষেরও অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত যে, এ সময় নারীদের ঠিক কতটা যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।

তার এমন মন্তব্য শোনে উপস্থিত দর্শকরা যেমন শোরগোল ফেলে দেন, ঠিক তেমনই দারুণ প্রশংসিত হয়েছেন। অভিনেত্রী বলেন, আমি চাই পুরুষেরও ঋতুস্রাব হোক। তখনই কেবল ওরা বুঝতে পারবেন ঠিক কতটা যন্ত্রণা হয়। প্রতি মাসে নারীদের কতটা অস্বস্তি ও অসুবিধায় পড়তে হয়।

জগপতি বাবুর ‘জয়াম্মু নিশ্চয়াম্মু রা’ শোতেই নজর কাড়ে অভিনেত্রীর হাতের আংটিও। রাশমিকা মান্দানা যখন দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়াচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ঝলমল করে ওঠে তার হাতের আংটিটি। সেটি দেখেই জগপতি বাবু মজা করে বলেন, তোমার জীবনে এত বিজয়! বিজয় দেবেরাকোন্ডা বন্ধু হয়, বিজয় সেতুপতির ভক্ত, বিজয় থালাপতি চিরকালের ভক্ত। মনে হচ্ছে তুমি বিজয় আর বিজয়ম- দুটোই দখল করে নিয়েছ। এই কথা শোনেই লজ্জায় লাল হয়ে যান রাশমিকা মান্দানা।

‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ সিনেমায় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার বিপরীতে রয়েছেন দীক্ষিত শেঠি। এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রাহুল রবীন্দ্রন। তিনি বলেন, এ সিনেমা মুক্তির পর নাকি মেয়েরা নতুন করে বিচার করবেন এবং বুঝতে শেখবেন তাদের প্রেমিকদের।

এ ছাড়া অভিনেত্রীর হাতে বর্তমানে একাধিক সিনেমা রয়েছে। তিনি এখন ‘মাইসা’ নামক একটি সিনেমায় কাজ করছেন। বলিউডের এই প্রজেক্টটি নারীকেন্দ্রিক। এ ছাড়া আগামীতে বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে একটি পিরিয়ড অ্যাকশন সিনেমাতেও কাজ করবেন রাশমিকা মান্দানা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন রাশমিকা মান্দানা। যদিও নিজেদের প্রেমের সম্পর্ককে কখনই প্রকাশ্যে স্বীকৃতি দেননি এ তারকা জুটি। নিজেরা একত্রে ছবি না দিলেও তাদের ট্রিপের বা অন্য সময় পোস্ট করা ছবি দেখে দুইয়ে দুইয়ে চার করেই ফেলেন ভক্ত-অনুরাগীরা।

অন্যদিকে সদ্যই রটে যায়, গত ৩ অক্টোবর নাকি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আংটি বদল সেরেছেন তারা। নিজেরা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি। তবে একটি শোতে এই প্রসঙ্গ ওঠায় সেটাকে অস্বীকার করেননি অভিনেত্রী। বরং কায়দা করে এড়িয়ে গেছেন।


মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের কোলজুড়ে এসেছে পুত্রসন্তান। ৪২ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো মা হলেন অভিনেত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রীর স্বামী বলিউড অভিনেতা ভিকি কৌশল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে অভিনেতা লেখেন, আমাদের খুশির কারণ ভূমিষ্ঠ হয়েছে। এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন হৃদয়ের ইমোজি।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন ক্যাটরিনা ও ভিকি। গোপনীয়তা বজায় রেখে বসেছিল সেই বিয়ের আসর। ২০২৪ সাল থেকে ক্যাটরিনার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। মূলত, অভিনেত্রী দীর্ঘদিন লন্ডনে নিজের মায়ের কাছে গিয়ে থাকছিলেন। সেই সময় থেকে শুরু হয় জল্পনা। পাশাপাশি, অভিনয় থেকেও দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি।

এক দশক আগে এক সাক্ষাৎকারে ক্যাটরিনা জানিয়েছিলেন, পরিবার-স্বামী-সন্তান এই বিষয়গুলোকে তিনি বিশেষ মর্যাদা দেন। অভিনেত্রী বলেন, অন্যরকমের ভাবনাচিন্তা অনেকের থাকতেই পারে। কিন্তু আমার জন্য এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিয়ে করার স্বপ্ন দেখি। সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করতে চাই।


কেনো অভিনয় থেকে দূরে, জানালেন কুসুম শিকদার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ছোট ও বড়পর্দার অভিনেত্রী কুসুম শিকদার একটা সময় নাটক ও সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তবে এখন আর আগের মতো পর্দায় নিয়মিত নন অভিনেত্রী।

দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন এ তারকা। সেভাবে আর তাকে পর্দায় দেখা না গেলেও সামাজিক মাধ্যমে তার সরব উপস্থিতি রয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই বিরতির কারণ জানালেন কুসুম শিকদার। যেখানে তার কথায় পেশাদারত্ব ও প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব উঠে এসেছে।

অভিনেত্রী বলেন, কাজের প্রতি শতভাগ নিষ্ঠা বজায় রাখতে না পারার আশঙ্কা থেকেই তিনি সাময়িকভাবে নিজেকে কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখতে না পারা কেবল নিজের নয়, সবার জন্যই ক্ষতিকর।

কুসুম শিকদার বলেন, কথা দিয়ে কথা না রাখলে সবার ক্ষতি, আমার মনে হচ্ছিল যে, আমি এমন একটি সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে, আমি হয়তো কথা দিয়ে কথা রাখতে পারব না। তিনি বলেন, তখন আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি, আপাতত আমি কাজ না করি। যদি কখনো আবার পারি করব বলে জানান অভিনেত্রী।


নতুন রূপে ধরা দিলেন জয়া আহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে দেখে বোঝার উপায় নেই বয়স যে কখন থমকে দাঁড়িয়েছে। অভিনেত্রীর রূপলাবণ্যে দেখা যায়, দিন দিন যেন তার বয়স কমে যাচ্ছে। অভিনয় আর সৌন্দর্যের দারুণ মিশেলে খানিক ব্যতিক্রমই অভিনেত্রী। দুদেশে পুরোদস্তুর অভিনয় করে চলেছেন তিনি। আর অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও তার সরব উপস্থিতি। প্রায়ই নিত্যনতুন রূপে ধরা দেন জয়া আহসান। তার ভালোলাগা-মন্দলাগা জানান দেন ভক্ত-অনুরাগীদের।

সাম্প্রতিক সময়ে যেমন অভিনয়ে প্রশংসিত, ঠিক তেমনই ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টেও তার উপস্থিতি এখনো তুঙ্গে। কাজের প্রতি একাগ্রতা আর কমার্শিয়াল শুটে তার সক্রিয় অংশগ্রহণই প্রমাণ করে প্রিয় মুখ জয়া। আবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অভিনেত্রী নিজেকে মেলে ধরেছেন অন্য এক রূপে।

তার প্রতিটি লুকেই নিজস্ব সৌন্দর্যের ছাপ স্পষ্ট ফুটে ওঠে। সম্প্রতি একের পর এক শাড়ির সাজে নজর কেড়েছেন জয়া আহসান। এবারও দেখা গেছে অন্য এক জয়াকে। সাদা রঙের শাড়ি আর ঐতিহ্যবাহী গহনায় তিনি হয়ে উঠেছেন অনন্য অভিনেত্রী।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তার পোস্ট করা বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। একই সঙ্গে ভক্তরাও যেন জয়াকে নতুন করেই দেখলেন। সাদা রঙের শাড়িতে গলায় গহনার সংমিশ্রণে লাবণ্যময় উপস্থিতি ফুটিয়ে তুলেছেন এক ক্ল্যাসিক বাঙালি রূপ। ছবির পটভূমিতেও আছে পুরোনো দিনের আসবাব ও সবুজ গাছপালার আবহ, যেন বাঙালি নারীর ঐতিহ্য ও আভিজাত্য ফুটে উঠেছে।

অভিনেত্রীর শুধু স্টাইলই নয়, ছবির আড়ালে রয়েছে এক প্রোমোশনাল দিকও। জয়া আহসানের পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন- পরনের এই গহনাগুলো একটি গহনা ব্র্যান্ডের প্রচারের অংশ।


কোনোভাবেই ভয় কাটছিল না আমার শুটিংয়ে প্রথম দিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

এই সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নীহা। একেবারে প্রথম যেদিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন নিশ্চয়ই এখনকার মতো সাবলীল ছিলেন না। কেমন ছিল প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা, জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। ভিজ্যুয়াল ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়াই প্রবীর দাদার (প্রবীর রায় চৌধুরী) ‘লাভ সেমিস্টার’ নাটকে।

নতুন মুখ খুঁজছিলেন প্রবীর দাদা। তখন ইমরাউল রাফাত ভাই আমার নাম বলেছিলেন। রাফাত ভাইয়ের সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয়।

তিনিও একাধিকবার আমাকে অভিনয়ের অফার দিয়েছিলেন। কম বয়স আর পরীক্ষা থাকার কারণে তখন রাজি হইনি। পরে প্রবীর দাদার অফার পেয়ে ভেবেচিন্তে শখের বসেই রাজি হই। প্রবীর দাদা নাটকের চরিত্রটা সম্পর্কে পুরো ধারণা দিয়েছিলেন, গ্রুমিংও করিয়েছিলেন। প্রস্তুতি শেষে অবশেষে যেদিন শুটিং শুরু হলো, আমার কোনোভাবেই ভয় কাটছিল না।

প্রবীর দাদা বললেন, শুটিং স্পটের সবার সঙ্গে যেন নিজে গিয়ে কথা বলি। এতে সহজে মিশতে পারব। আমি তা-ই করি।

খুব কাজে দিয়েছিল। যদিও প্রবীর দাদা প্রথম দিন আমার কোনো সংলাপ রাখেননি, শুধু দুইটা মোমেন্ট রেখেছিলেন।

চারদিকে ক্যামেরার সামনে আমি যখন ভয়ে ভয়ে প্রথম সংলাপহীন অভিনয় করলাম, তখনই ভয় কেটে গিয়েছিল। পাশাপাশি সবাই আমাকে সাহস দিচ্ছিল, প্রশংসা করছিল। পরের দৃশ্যে সেই ভয়টা আর ছিল না।

এভাবেই আমার প্রথম দিনের শুটিং শেষ হয়।

সেদিনের পুরো সময়টাই আমার কাছে বিশেষ স্মৃতি হয়ে থাকবে, কোনো দিন ভুলতে পারব না। মুক্তির পর প্রথম যখন দৃশ্যটা পর্দায় দেখি, আমার খুব লজ্জা লাগছিল। মা-বাবাসহ নিকটজনরা মুখিয়ে ছিল নাটকে আমাকে দেখতে। প্রবীর দাদা আমার জন্য সুন্দর সূচনা করে দিয়েছিলেন। জোভান ভাইও সহশিল্পী হিসেবে খুব সাপোর্টিভ ছিলেন, যার কারণে আমরা এখন পর্যন্ত আটটি নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি আমিও, যে কারণে আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে গিয়েছিলাম শখের বসে, আর এখন ‘লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের’ মধ্যেই দিন কাটে আমার। দর্শকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। প্রথম নাটকে আমি বেশ ভালো পারিশ্রমিকও পেয়েছিলাম, তবে টাকার অঙ্ক বলতে চাচ্ছি না। যদি পারিশ্রমিক না-ও পেতাম, তবু আমি নাটকটি করতাম।


banner close