একটু একটু করে নিজেকে পাকাপোক্ত করে দক্ষিণী সিনেমা জগতে বেশ শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন আল্লু অর্জুন। বলা চলে, গত কয়েক বছর ধরে চাহিদার শীর্ষে অবস্থান করছেন এই তারকা। বিশেষ করে তিন বছর আগে ‘পুষ্পা’ সিনেমায় বক্স অফিসে ব্লকব্লাস্টার ব্যবসা করার পর থেকে নির্মাতাদের আস্থার জায়গায় পরিণত হন তিনি। এই সিনেমা পুষ্পরাজের চরিত্রে দর্শকপ্রিয়তা পান আল্লু অর্জুন। সঙ্গে জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে সিনেমাটির সিক্যুয়াল ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আরও চার মাস থাকলেও সিনেমাটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। এর মাঝেই নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন দক্ষিণের জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
দর্শকের সামনে আবারও ফিরছে পুষ্পরাজ-শ্রীভল্লি জুটির অনস্ক্রিন রসায়ন। তিন বছর পর আগামী ১৫ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পুষ্পা-২’। মুক্তির আগে আলোচনায় আল্লু অর্জুনের পারিশ্রমিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এক লাফে ১০০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি রুপিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছেন অভিনেতা।
ভারতীয় বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। শুধু বক্স অফিস নয়, পুরস্কারের মঞ্চেও বাজিমাত করছে দক্ষিণি সিনেমা। তাই দক্ষিণ ভারতের অভিনেতাদের পারিশ্রমিক বাড়ানোকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন ভারতের সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।
‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’-এর বাজেট ৫০০ কোটি রুপির মতো। মুক্তির চার মাস থাকলেও সিনেমাটি ইতোমধ্যে হাজার কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। উত্তর ভারতে সিনেমাটির হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২০০ কোটি রুপি। আর দক্ষিণ ভারতে হল স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ২৭০ কোটি রুপি। অর্থাৎ মুক্তির আগে হল থেকেই ৪৭০ কোটি রুপি আয় হয়েছে।
এ ছাড়া জানা গেছে ওটিটি জায়ান্ট নেটফ্লিক্স ‘পুষ্পা-২’-এর স্ট্রিমিং রাইটস ২৭৫ কোটি রুপিতে কিনেছে। একই সময়ে অডিও এবং স্যাটেলাইট রাইটসের চুক্তি সম্পর্কেও তথ্য দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, নির্মাতারা তা থেকে ৪৫০ কোটি রুপি আয় করেছে। এভাবে রিলিজের আগেই ১ হাজার ১৯৫ কোটি রুপি আয় করেছে সিনেমাটি।
প্রকৃতির রুদ্ররোষে হলিউড! জেমি লি কার্টিস, প্যারিস হিলটন, অ্যান্থনি হপকিনস, ম্যান্ডি মুরেরদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ি দাবানলের গ্রাসে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আতঙ্ক সর্বত্র। আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলতে থাকা ঘরবাড়ির ছবি শেয়ার করে একাধিক হলিউড তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে। দেশি গার্লখ্যাত বলিউড ও হলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়ির অনতিদূরেই এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বুধবার গভীর রাতে সেই ছবি শেয়ার করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নিজেও এখন আমেরিকাবাসী। বিগত কয়েক বছর ধরেই লস অ্যাঞ্জেলেসে নিক জোনাসের সঙ্গে ঘরকন্না পেতেছেন তিনি। পাশাপাশি হলিউডেও তিনি বেশ পরিচিত মুখ। বুধবার রাতে তার বেভারলি হিলসের বাংলো বাড়ির বারান্দা থেকে যে দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেন অভিনেত্রী, তা দেখে শিউরে উঠতে হয়! দাউদাউ করে জ্বলছে সর্বত্র। বিধ্বংসী দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একাধিক ইনস্টাগ্রাম স্টোরি শেয়ার করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই তার প্রার্থনা, ‘রাতে যেন আমরা সবাই সুরক্ষিত থাকি।’
এদিকে এই আতঙ্কের মধ্যেই নতুন একটি সুখবর পেলেন প্রিয়াঙ্কা। আসন্ন অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ভারতের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘অনুজা’। সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একটি নয় বছর বয়সী মেয়ের গল্প উঠে এসেছে এই সিনেমায়। মেয়েটি তার বড় বোন পলকের সঙ্গে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করে। সে এমন একটি সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়, যা তার ভবিষ্যৎ এবং পরিবার, উভয়কেই প্রভাবিত করে।
এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সিনেমাটি এমন একটি বিষয়ের ওপর নির্মিত, যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শিশুকে প্রভাবিত করবে। এই শিশুরা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একেবারেই ভাবে না এবং কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়।’ তিনি আরও বলেন, মর্মস্পর্শী, চিন্তা করতে সাহায্য করবে এমন একটি গল্পের সিনেমা ‘অনুজা’। এটি আমাদের জীবনের গতিপথকে প্রভাবিত করতে দারুণভাবে সাহায্য করবে। আমি এমন একটি অসাধারণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত।
সিনেমাটি নির্মাণ করেছে সালাম বালক ট্রাস্ট (এসবিটি) নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত কাজ করে ছিন্নমূল শিশুদের সহায়তার জন্য। ‘অনুজা’র চিত্রনাট্য লিখেছেন আদম জে গ্রেভস। সিনেমাটি নির্মাণও করেছেন তিনি।
শোবিজ তথা সংগীতাঙ্গনে এখন একটাই আলোচনা। আর সেটা হচ্ছে সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের নতুন বিয়ে নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এ উন্মাদনার প্রমাণ মিলছে। গত ৪ জানুয়ারি বিয়ের খবর প্রকাশ পায় তাহসানের। এরপর থেকেই গায়ক এবং তার নতুন জীবনসঙ্গী রোজা আহমেদের বিয়ের ছবি ঘুরছে শত শত পোস্টে। শুভকামনার বন্যার সঙ্গে চলছে নানা কৌতূহল। সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন- হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি? সেই প্রশ্নের জবাব মিলল এবার। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দেশের একটি এয়ারলাইনসের বিমানে করে মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা হন তারা। সূর্যময় দ্বীপরাজ্যে মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্তগুলো কাটাবেন এ দম্পতি। দ্বিতীয় বিয়ের পর যেন মধুর সমস্যায় পড়েছেন তাহসান খান। একদল ভক্ত তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। আবার অন্য একটি দল স্ত্রী রোজা আহমেদের সঙ্গে তার বয়সের পার্থক্য ও দুজনের অতীত নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন। বিষয়গুলো নিয়ে বরাবরের মতোই নীরব তাহসান।
অতীতেও অভিনেত্রী মিথিলার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। প্রতিবারই এই অভিনেতা থেকেছেন নীরব ভূমিকায়। এবারও শুরু থেকেই তাই করেছেন। বিয়ে করলেও কোনো ঢাকঢোল পেটাননি। বরং পারিবারিক আয়োজনেই সব অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। বিয়ের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাহসান খান ও সিঁথি সাহার নতুন গান ‘একা ঘর আমার’। বিরহ ধাচের গানটি লিখেছেন তাহসান নিজেই। সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজ হাতে অনুপম মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করেন তাহসান। সঙ্গে ছিলেন সিঁথি সাহা, সাজিদ সরকারসহ আরও অনেকে।
আর এই অনুষ্ঠানের হাজির হয়ে নতুন গানের পাশাপাশি বিয়ে নিয়েও সাংবাদিকদের নানারকম প্রশ্নের মুখোমুখি হন তাহসান। সেখানে বিয়ে নিয়ে নানা সমালোচনা-বিতর্কের জবাবে ঠাণ্ডা মাথায় তাহসান বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে রসবোধটা একটু বেশি। এ ছাড়া আমরা জাতিগতভাবে একটু বেশি বিচারকধর্মী। কিছু মানুষ আছেন যারা সব সময় চুলচেরা বিশ্লেষণ নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত থাকেন। এটা উচিত না। এসব বিষয় মাথায় রাখলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।’
বিয়ের পরের অনুভূতি জানতে চাইলে মিষ্টি হেসে তাহসান বলেন, ‘আমি অন্য আর দশজন মানুষের মতোই। বিয়ে হলো আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটা অংশ। আর্টিস্ট হিসেবে মানুষ আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক কিছু জানতে চায় তাই বিয়ের মতো এত বড় একটি বিষয় লুকিয়ে রাখতে চাইনি। এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।’
ছবি নিষিদ্ধ করার ডাক, তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকিসহ একাধিক বিতর্কের জাল পেরিয়ে অবশেষে ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির আলো দেখতে চলেছে আগামী ১৭ জানুয়ারি। তার প্রাক্কালেই নতুন ট্রেলার প্রকাশ্যে এনে ঝাঁজালো কঙ্গনা রানাউত। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘সবচেয়ে বিতর্কিত নেত্রী’ বলে সম্বোধন করলেন। ‘ইন্দিরাই ইন্ডিয়া’, নতুন ট্রেলারে সত্তর দশকের উত্তাল সময়ের ঝলক দেখা গেল। নেতা-মন্ত্রীদের দাবার চালে তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কতটা প্রভাবিত হয়েছিল, ‘ইমার্জেন্সি’র নয়া ট্রেলারে সেই আওয়াজও স্পষ্ট। জয়প্রকাশ নারায়ণের ভূমিকায় অনুপম খের, যুব অটল বিহারি বাজপেয়ীর চরিত্রে শ্রেয়স তলপড়ে, ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর চরিত্রে মিলিন্দ সোমানকে দেখা গেল সেই ঝলকে। কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন মহিমা চৌধুরী এবং সতীশ কৌশিকও।
ট্রেলার প্রকাশ্যে এনে কঙ্গনার মন্তব্য, ‘বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার পর এমার্জেন্সি অবশেষে ১৭ জানুয়ারি বড়পর্দায় আসছে। আমি খুব খুশি। এই গল্প শুধু এক বিতর্কিত নেত্রীর নয়, এই ছবি বর্তমান প্রেক্ষাপটেও ভীষণ প্রাসঙ্গিক। সাধারণতন্ত্র দিবসের মাত্র এক সপ্তাহ আগে রিলিজ করছে। সপরিবারে কিংবা কাছের মানুষকে নিয়ে দেশপ্রেম উদযাপন করার একেবারে যোগ্য সময়।’
সত্তর দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’। ছবিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। প্রথমে ২০২৩ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে রিলিজ ডেট হিসেবে চলতি বছরের ১৪ জুন তারিখটি নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের কারণে ফের ছবির মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ৬ সেপ্টেম্বর নতুন মুক্তির তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়। কিন্তু সেই সময়েও সেন্সর বোর্ডের চোখ রাঙানিতে মুক্তির আলো দেখতে পারেনি ‘ইমার্জেন্সি’।
প্রসঙ্গত, ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র। ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শিরোমণি অকালি দলের তরফ থেকেও আপত্তি ওঠে। অভিযোগ ওঠে ছবিটি শিখ সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। এই সম্প্রদায় সম্পর্কে ভুল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই অভিযোগে চণ্ডীগড়ের জেলা আদালতে মামলা নথিভূক্ত করার আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী রবিন্দর সিং। তার জেরে অভিনেত্রী তথা সাংসদকে নোটিশও পাঠানো হয়েছিল। আগস্ট মাসে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছিলেন তারকা সাংসদ। তবে এবারে সেন্সরের ছাড়পত্র নিয়েই এমার্জেন্সি মুক্তি পাচ্ছে।
বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। দেখতে দেখতে ক্যারিয়ারের দেড় দশক পার করে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এই দেড় দশকে অনেক উত্থানের ঘটনা ঘটেছে তার ক্যারিয়ারে। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয় করেছেন হলিউডের সিনেমায়ও। দীপিকা পাড়ুকোন গত দুই বছরে শুধু বক্স অফিসেই বিস্ফোরণ ঘটাননি, তিনি অনেক জায়গায় ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছেন। বর্তমানে ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোর অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
গতকাল ৫ জানুয়ারি ৩৯ বছরে পা রাখলেন দীপিকা পাড়ুকোন। আজকের বলিউডে ডিভার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। সে বছরই প্রথম পোশাকশিল্পী সুনীত বর্মার জন্য মার্জার সরণীতে হেঁটেছিলেন। তার পর থেকে একাধিক বিজ্ঞাপন ও মিউজ়িক ভিডিওয় কাজ। অভিনয়ের সফর শুরু কন্নড় ছবি ‘ঐশ্বর্য’ থেকে।
তার পরেই ২০০৭ সালে বলিউডে পা। প্রথম ছবিতেই বলিউডের বাদশাহের বিপরীতে তিনি। ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে শান্তিপ্রিয়ার চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন দীর্ঘাঙ্গী অভিনেত্রী। টানা টানা চোখে টানা কাজল, সারল্যে ভরা হাসিতে মুগ্ধ করেছিলেন দীপিকা। এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি দীপিকাকে। ১৭ বছর বলিউডে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে ভারতের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। পারিশ্রমিকের দিক থেকেও এগিয়ে তিনি। নায়িকার ৩৯ তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক তার সম্পত্তির পরিমাণ।
বর্তমানে দীপিকা প্রায় ৫০০ কোটির সম্পত্তির মালিক। জানা গেছে, প্রতি ছবির জন্য ৩০ কোটি টাকার আশপাশে পারিশ্রমিক নেন তিনি। হিসাব বলছে, প্রতি মাসে দীপিকার আয় ৩ কোটি টাকা। বার্ষিক আয় ৪০ কোটিক আশপাশে ঘোরাফেরা করে।
২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের প্রভাদেবীতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছিলেন দীপিকা। পরে স্বামী রণবীর সিংহের সঙ্গে জোট বেঁধে বান্দ্রাতে শাহরুখের বাড়ির কাছেই আরও একটি বাসস্থান ক্রয় করেন দীপিকা। ১১,২৬৬ বর্গফুটের সেই বাড়ির দাম ১১৯ কোটি টাকা।
এখানেই শেষ নয়। ওরলিতে পাঁচ কামরার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে দীপিকা-রণবীরের, যার দাম ৪০ কোটি টাকা। মাঝে মধ্যেই ছুটি কাটাতে আলিবাগে ছুটে যান এই তারকা দম্পতি। সেখানেও তাদের একটি বাংলো রয়েছে। সেই বাংলোর দাম ২২ কোটি টাকা। এ ছাড়া বেশ কিছু সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন দীপিকা। অভিনয়ের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ব্র্যান্ডের মুখ হিসাবেও আয় করেন তিনি। বর্তমানে তার নিজস্ব পোশাক ও ত্বক পরিচর্যার ব্র্যান্ডও রয়েছে।
মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। আজ রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। অভিনেতার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে উনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক।’
সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগীরা কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুকে শোক জানিয়েছেন।
মৃত্যুকালে প্রবীর মিত্রের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
জানা গেছে, প্রবীর মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাঁকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন।
প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইসলাম জানিয়েছেন, রাতে গোসল শেষে ফ্রিজার গাড়িতে প্রবীর মিত্রের লাশ ধানমন্ডির বাসায় রাখা হবে। আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর এফডিসিতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চ্যানেল আইতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ফেসবুকে চাউর হতে থাকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ফেসবুকে নেটিজেনরা বাংলা নাটকের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে নানাজনের টাইমলাইনে পোস্ট দিতে থাকেন এ বিষয়ে। পাত্রীর ছবি দিয়ে সেসব পোস্ট করা হয়। যেখানে জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাহসান খান। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ঘটা করে সংবাদও প্রচার করেছেন। তবে গতকাল শনিবার একাধিক গণমাধ্যম থেকে ঘটনার সত্যতা নিয়ে তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে করেননি বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এখনো বিয়ে হয়নি। কোনো আনুষ্ঠানিকতাও হয়নি। একটা ঘরোয়া আয়োজন ছিল, সেখানে এ ছবিগুলো তোলা। গতকাল সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাব।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাহসান ও রোজার একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে। চলে নানান আলোচনা। তাতে নেটিজেনরা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাতে থাকেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। এমনো লিখেছেন কেউ কেউ, ‘অবশেষে চাঁদের আলো খুঁজে পেয়েছেন তাহসান। তার সেই প্রিয় গান যেন অবশেষে সত্য হয়ে ধরা দিল!’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোজা আহমেদ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। রোজা নিউইয়র্কে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করে পরবর্তী সময়ে নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা বলেও জানান তাহসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোজা বেশ জনপ্রিয়, অসংখ্য অনুসারী রয়েছে তার।
প্রায় ১৮ বছর আগে ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান ও অভিনেত্রী মিথিলা। এরপর ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তারা কন্যাসন্তানের মা-বাবা হন। পরে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাহসান। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এদিন দুপুরে তাহসান ও মিথিলা যৌথভাবে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সাবেক এই দম্পতির বিচ্ছেদের বিষয়টি তাদের অনেক ভক্ত সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। পরে মিথিলা ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিতকে বিয়ে করেন।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গণমাধ্যমকে অঞ্জনার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। অঞ্জনার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
জানা গেছে, তিন সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। শুরুতে জ্বর ছিল। সারা শরীর কেঁপে জ্বর আসত। একটা সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায়, তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয় দিন তাকে রাখা হয় সিসিইউতে।
সেখানকার চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল বদলে গত বুধবার অঞ্জনাকে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার অবস্থার কখনো উন্নতি, কখনো অবনতি হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন এই নায়িকা।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এ ছবির পর তাকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি।
১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।
শনিবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে অঞ্জনার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি এফডিসিতে পৌঁছালে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শেষবারের মতো এই চিত্রনায়িকাকে দেখতে আসেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ভক্ত থেকে সংবাদকর্মীরা। জোহরের নামাজের পর প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
অঞ্জনাকে শেষবিদায় জানাতে এদিন এফডিসিতে এসেছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, চিত্রনায়িকা নূতন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চিত্রনায়ক মেহেদী, অভিনেতা সুব্রত, নাসরিন, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, জয় চৌধুরী, রোমানা মুক্তিসহ অনেকে। পরিচালকদের মধ্যে ছটকু আহমেদ, শাহিন সুমন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, চয়নিকা চৌধুরী, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এসেছিলেন প্রযোজক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক, চিত্রগ্রাহক সমিতির সদস্যসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা।
বিয়ে করে আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার পর মাঝেমধ্যে নিজ দেশ ভারতে এলেও কোনো ভারতীয় সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। তবে প্রস্তাব যে পান না, তা কিন্তু না। প্রতিবারই দেশে ফিরলে অনেক বড় বড় নির্মাতা তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ব্যাটে-বলে মেলেনি। তবে এবার মিলেছে। কয়েকদিন আগে ভারতে এসেছেন এই হলিউড-বলিউড তারকা। আর এসেই ভারতের ব্লকবাস্টার নির্মাতা এস এস রাজামৌলির সিনেমায় কাজ করার বিষয়ে দফায় দফায় কথাবার্তা চলে প্রিয়াঙ্কার। এরই মধ্যে রাজামৌলির ‘এসএসএমবি২৯’ সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন অভিনেত্রী।
আর এর মারফতে প্রায় ৬ বছর পর ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাও আবার বলিউড নয়, তাকে দেখা যাবে দক্ষিণী সিনেমায়। খবরটা দুদিন আগের হলেও এবার সামনে এসেছে ছবিতে প্রিয়াঙ্কার আকাশ ছোঁয়া পারিশ্রমিকের বিষয়টি। জানা গেছে, যার জন্য বলিউডের এই দেশি গার্লকে দেওয়া হবে ৩০ কোটি রুপি। যা এই সময়ের অভিনেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক।
নির্মাতার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এস এস ‘জঙ্গল অ্যাডভেঞ্চার’ ধাঁচে নির্মিত এই ছবিতে মহেশ বাবুর বিপরীতে অভিনয় করবেন। যার জন্য তিনি ৩০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেবেন- যা ভারতীয় সিনেমায় যেকোনো অভিনেত্রীর জন্য সর্বোচ্চ। এর আগে এই নায়িকা ভারতে একটি সিনেমা করার জন্য ১৫ কোটি রুপি নিতেন। বর্তমানে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। তার সবশেষ মুক্তি পাওয়া ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমার জন্য তিনি ২০ কোটি রুপি নিয়েছিলেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারহিট নির্মাতা এস এস রাজামৌলি। ব্লকবাস্টার হিট ‘বাহুবলি’ সিরিজের দুই সিনেমা দিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। এরপর তিনি নিজের কাজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ‘আরআরআর’ সিনেমায়। তারকাবহুল সেই সিনেমা অস্কারেও বাজিমাত করেছিল।
এবার রাজামৌলি আসছেন নতুন সিনেমা নিয়ে। যার গল্পে দেখানো হবে আফ্রিকান জঙ্গলে রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। এতে মহেশ বাবু একটি অনুসন্ধানকারী চরিত্রে অভিনয় করবেন। তার চরিত্রে দেখা যাবে লর্ড হনুমানের বৈশিষ্ট্য। প্রিয়াঙ্কার চরিত্রটি হবে শক্তিশালী এবং অ্যাকশনে ভরপুর। ভারতে প্রিয়াঙ্কার সবশেষ সিনেমা ছিল ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক।’ যে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৮ সালে।
জাপানি লাইফস্টাইল থেকে অনুপ্রাণিত তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড ‘মাইক্লো বাংলাদেশ’ গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানসম্মত ও পছন্দের পোশাক দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ডটি মাত্র এক বছরে ১২টি শোরুম চালু করে এরইমধ্যে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে মাইক্লো বাংলাদেশের ১৩তম শোরুম উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। এ প্রসঙ্গে তাহসান খান বলেন, 'মাইক্লো' বাংলাদেশে এতো সুন্দর মানসম্মত তৈরি পোশাক নিয়ে আসছে তা দেখে আমার অবাক লাগছে। লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মাইক্লো' তাঁরা তাদের স্টাইল এবং মানের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।'
অভিনেত্রী নাদিয়া বলেন, 'মাইক্লো বাংলাদেশের পোশাকের গুণগত মান খুবই ভালো। এ কারণেই অল্প সময়েই সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মাইক্লোর এই নতুন যাত্রায় অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।'
মাইক্লো বাংলাদেশের অপারেশন উপদেষ্টা কাজী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, 'মাইক্লো বাংলাদেশ মানসম্মত, টেকসই ও সাশ্রয়ী মূল্যের পছন্দের পোশাক দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ১৩তম শোরুম চালু করে মাইক্লো আরও একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে আরামদায়ক, পরিবেশ-বান্ধব পোশাক সরবরাহের আমাদের যাত্রা চালিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত।'
তিনি আরও বলেন, 'মাইক্লোতে আমরা গুণমান এবং সাশ্রয়ী মূল্যকে অগ্রাধিকার দেয়। গ্রাহকের চাহিদার কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা সিটিতে আরও একটি আমাদের নতুন শোরুম।'
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাইক্লোর পরিচালক (ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ইনোভেশন অ্যান্ড মার্কেটিং) বাবু আরিফ বলেন, 'বসুন্ধরা সিটিতে বড় পরিসরে এই শোরুমটি মাইক্লোর জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। জাপানি পোশাক, লাইফস্টাইল ও কোয়ালিটি থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ায় মাইক্লো জাপানি গুণগতমান ও উদ্ভাবনী কাপড়ের উপাদানকে অনুসরণ করছে। একইভাবে পোশাক তৈরি ও গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করছে। আমি বিশ্বাস করি, দাম, মান ও চাহিদা বিবেচনায় সর্বসাধারণের পোশাকের প্রিয় ব্র্যান্ডই নয় বরং ফ্যাশনে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠবে মাইক্লো।’
অন্যদিকে, মাইক্লোতে আন্তর্জাতিক মানের বিক্রয় সেবা নিশ্চিত করতে চান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মার্চেন্ডাইজিং, সেলস, হিউম্যান রিসোর্স ও স্টোর অপারেশন) এ এইচ এম আরিফুল কবির। তিনি বলেন, 'বসুন্ধরা সিটিতে এটি আমাদের তৃতীয় স্টোর। আমরা সমগ্র বাংলাদেশে মাইক্লো প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।'
মাইক্লোর গ্লোবাল বিজনেস ডিরেক্টর তাদাহিরো ইয়ামাগুচি বলেন, 'মাইক্লো একটি ব্র্যান্ডের চেয়েও বেশি কিছু; এটি সৃজনশীলতা, টেকসইতা এবং উদ্ভাবনের প্রতীক। আমরা আধুনিক জীবনযাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আমাদের জাপানি-অনুপ্রাণিত ডিজাইনের মাধ্যমে পোশাক শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
প্রসঙ্গত, উদ্বোধন উপলক্ষে বসুন্ধরা সিটি লেভেল ৫- এ ক্রেতাদের জন্য সপ্তাহব্যাপী আকর্ষণীয় পুরস্কারের পাশাপাশি রয়েছে সব পণ্যের ওপর বিশেষ মূল্যছাড়। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামে নতুন শোরুম উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সময়ই অভিনয় ছাড়ার আভাস দিয়েছিলেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শক্তিমান অভিনেতা থালাপতি বিজয়। তার সেই আভাস এবার বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। বর্তমানে রাজনীতির মাঠে ব্যস্ততা বাড়ায় খুব শিগগিরই রুপালি জগতকে বিদায় জানাবেন অসংখ্য হিট ছবির এই নায়ক। এরই মধ্যে নিজের শেষ এবং ৬৯তম সিনেমা ‘জননায়ক’-এর পোস্টার শেয়ার করে অভিনয়কে বিদায়ের কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি। এইচ বিনোদ পরিচালিত এই সিনেমায় শ্রুতি হাসানের বিপরীতে দেখা যাবে থালাপতি বিজয়কে। ছবিতে বিজয়কে দেখা যাবে একজন রাজনৈতিক নেতার চরিত্রেই। থালাপতি বিজয় এক্স হ্যান্ডলে ‘জননায়ক’ সিনেমার ফার্স্ট লুক শেয়ার করেছেন। সেখানে সাদা পোশাক পরা অবস্থায় জনগণের সামনে তাকে দেখা গেছে। সেলফি তোলার পোজ নিয়েছেন বিজয়। সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান গ্লিটজের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ছবির বাকি অংশের শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। সর্বশেষ ‘পুলি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন বিজয়-শ্রুতি। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে না পারলেও প্রশংসা কুড়ান এই জুটি। প্রায় ১০ বছর পর ফের একসঙ্গে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই তারকা যুগল।
বিজয়-শ্রুতি ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন- ববি দেওল, প্রকাশ রাজ, পূজা হেগড়ে, প্রিয়ামণি, মমিতা বাইজু প্রমুখ। কেভিএন প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। বর্তমানে চেন্নাইয়ে ‘জননায়ক’ সিনেমার শুটিং চলছে।
থালাপতি বিজয়ের বাবার নাম এস এ চন্দ্রশেখর। তিনি ছিলেন তামিল সিনেমার পরিচালক। মা শোভা চন্দ্রশেখর ছিলেন গায়িকা। শিশুশিল্পী হিসেবে রুপালি জগতে পা রেখে তামিল সিনেমার শীর্ষ নায়কদের একজনে পরিণত হয়েছেন থালাপতি বিজয়।
ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন এই নায়ক। প্রায় এক বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেন। ২০২৬ সালের তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিজয়।
রুপালি পর্দায় অভিষেকের আট বছর পর অর্থাৎ ১৯৯২ সালে ‘নালায়া থেরপু’ সিনেমার প্রথম নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। তার প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘পুভে উনাকাগা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে। তবে ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অভিনেতার ‘থিরুমালাই’ সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যুক্ত করে।
ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে আমেরিকা থেকে বেশ কয়েকদিন আগেই নিজের দেশ ভারতে এসেছেন দেশি গার্ল’খ্যাত বলিউড ও হলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এসেই দক্ষিণী সিনেমার প্রভাবশালী পরিচালক এস এস রাজামৌলির ‘এসএসএমবি২৯’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই সিনেমার মাধ্যমে ৩০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে বলিউডের অভিনেত্রীদের সব পারিশ্রমিকের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন এই লাস্যময়ী। যদিও এটা এখন কিছুটা পুরোনো খবর। তবে নতুন খবর হচ্ছে, হাজার কোটি রুপিরে মহা বাজেটের এই সিনেমায় ভয়ংকর এক ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এর আগে এন্টি হিরোইনের চরিত্রে দেখা গেলেও এবারই প্রথমবার পুরোপুরি খল চরিত্রে হাজির হতে দেখা যাবে তাকে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে বিশ্বের সিনেমার ধারা। এখনকার সিনেমায় ভিলেনদের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। বড় বড় সব তারকারা এখন ভিলেন হয়ে পর্দায় আসছেন। বলা যায়, এক ধরনের প্রতিযোগিতাও চলে এই বিষয়টি নিয়ে। বিশেষ করে ভারতের সিনেমাগুলোতে খল চরিত্রে প্রথম সারির তারকাদের দেখা যাচ্ছে। গেল কয়েক বছরে সুপারহিট ‘কবির সিং’, ‘কেজিএফ’, ‘অ্যানিমেল’, ‘পুষ্পা’, ‘টাইগার’, ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ ছবিগুলো তার দৃষ্টান্ত।
ববি দেওল এবং সঞ্জয় দত্তের মতো বড় অভিনেতারা ভিলেনের চরিত্রে দাপট দেখাচ্ছেন। তবে তাদের সবাইকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এবার এক অভিনেত্রী। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে ‘সবচেয়ে দামি ভিলেন’ হিসেবে নাম লেখালেন প্রিয়াঙ্কা। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর সূত্রমতে, এস এস রাজামৌলির ‘এসএসএমবি২৯’ ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা হতে যাচ্ছে।
এর আগে কোনো পুরুষ বা নারী শিল্পী ভিলেন চরিত্রে এত পারিশ্রমিক নেননি বলে দাবি পিঙ্কভিলার। এর আগে ববি দেওল ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার জন্য ৪-৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। সঞ্জয় দত্ত ‘কেজিএফ ২’ এবং ‘লিও’ সিনেমায় ভিলেন চরিত্রের জন্য ৮-৯ কোটি রুপি নিয়েছেন। বিজয় সেতুপতি ‘জওয়ান’ সিনেমায় ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করে ২১ কোটি রুপি এবং সাইফ আলি খান ‘আদিপুরুষ’ সিনেমায় রাভনের চরিত্রে পেয়েছিলেন ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক। অন্যদিকে ইমরান হাশমি ‘টাইগার ৩’ সিনেমায় ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করার জন্য ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক পেয়েছেন।
অচিরেই ‘এসএসএমবি২৯’ সিনেমার কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, ছবিটি একটি জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চারের গল্প নিয়ে নির্মিত হবে এবং এর শুটিং হবে হায়দরাবাদ ও কেনিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে। এ ছাড়া প্রিয়াঙ্কাকে খুব শিগগিরই সিটাডেল সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তিতে দেখা যাবে। এসএস রাজামৌলির পরবর্তী ছবিতেও তিনি মহেশ বাবুর বিপরীতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
নাট্য সংগঠন এথিক- এর আলোচিত মঞ্চনাটক ‘হাঁড়ি ফাটিবে’। এই জনপ্রিয় মঞ্চনাটকটি নাট্যপ্রেমীদের মধ্যে বেশ আলোচনা জাগিয়েছে। উৎপল দত্ত'র কালজয়ী নাটক এটি। এথিক- এর অন্যতম সমাদৃত এই মঞ্চ প্রযোজনা ৮৯ তম প্রদর্শনী হবে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে (বেইলি রোড)।
নতুন আঙ্গিকে নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন মিন্টু সরদার এবং সহযোগী নির্দেশক মনি কানচন।
টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব) অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন ‘রিকশা গার্ল’ ছবির নির্বাহী প্রযোজক আসাদুজ্জামান সকাল। কাহিনী বলার অনন্য দক্ষতা এবং সাংস্কৃতিক গভীরতা ফুটিয়ে তোলায় দর্শক ও সমালোচকদের মন ছুঁয়েছে এই সিনেমাটি। এতে অসাধারণ অবদান রাখায় আসাদুজ্জামান সকালকে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘রিকশা গার্ল’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলের এক তরুণী রিকশা চিত্রশিল্পীর সংগ্রাম ও সহনশীলতার গল্প। বাংলাদেশের জীবনযাত্রার বাস্তব চিত্র ও শক্তিশালী কাহিনী রূপায়নের জন্য সিনেমাটি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে, সকাল এই প্রেরণাদায়ক গল্পটি পর্দায় নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, যা অর্থপূর্ণ ও ইতিবাচক সিনেমা তৈরির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
পুরস্কার গ্রহণের পর, আসাদুজ্জামান সকাল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, `ট্র্যাব থেকে এই স্বীকৃতি পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। ‘রিকশা গার্ল’ এমন একটি গল্প যা সাধারণ মানুষের হৃদয়-মনের প্রতিফলন, এবং আমি গর্বিত যে আমি এমন একটি প্রকল্পের অংশ হতে পেরেছি যা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। এই পুরস্কারটি শুধু একটি ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং পুরো টিমের কঠোর পরিশ্রম ও আবেগের অর্জন।’
টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব) আয়োজিত ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ডস টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র জগতে অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়। সৃজনশীল ব্যক্তি হিসেবে সকালের এই জয় বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে তার প্রভাব আরও দৃঢ় করেছে।