ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহুল পরিচিত ও সফল মুখ আনুশকা শেঠি। বহুল আলোচিত সিনেমা ‘বাহুবলী’র মুক্তির পর থেকেই প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়েছিল দক্ষিণের দুই জনপ্রিয় তারকা প্রভাস ও আনুশকা শেঠিকে ঘিরে। পর্দায় তাদের জুটি বরাবরই পছন্দ সবার। তবে পর্দার বাইরে ব্যক্তিজীবনেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন দুজন, এমন ধারণাই চলছিল অনুরাগীদের মনে। এর আগে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে তাদের কথিত প্রেমের গল্প।
তারা বিয়ে করছেন- এমন কথাও চাউর হয়েছিল সিনে পাড়ায়। তবে হঠাৎ করেই একটি সংবাদ যেন সবকিছুর সমাপ্তি ঘোষণা করল! বাগদান সেরে ফেলেছেন আনুশকা শেঠি!
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বাতাসে এখন এই খবরই ভেসে বেড়াচ্ছে। প্রভাস নয়, কন্নড় এক চলচ্চিত্র প্রযোজককে জীবনসঙ্গী বানাচ্ছেন আনুশকা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এই তথ্য। রিপোর্ট মোতাবেক, ওই প্রযোজকের সঙ্গে বাগদানও সেরে ফেলেছেন বাহুবলীর দেবসেনা।
চলতি বছরের শেষেই বিয়ে করবেন দুজনে। তবে ওই প্রযোজকের নাম এখনো জানা যায়নি।
‘নিউজ ৯ লাইভ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কন্নড় সিনেমার প্রযোজকের সঙ্গে আনুশকা শর্মা বাগদান সেরেছেন। এই বছরের শেষেই বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করবেন।
এখনই অভিনেত্রীর পরিবার বিয়ে নিয়ে কোনো কিছু প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। আনুশকা শেঠি তার সমবয়সি জীবনসঙ্গীই খুঁজেছেন। অর্থাৎ ৪২ বছরের আনুশকার হবু স্বামীর বয়সও নাকি তাই।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মন ভাঙল প্রভাস-আনুশকা শেঠি জুটির ভক্তদের। একসঙ্গে একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তারা।
ভক্তদের মধ্যেও তাদের নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়ছিল। যদিও নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উভয় তারকা। বেশ কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে আনুশকা শেঠিকে প্রভাসের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেই সময়ও তিনি বলেছিলেন তারা ভীষণ ভালো বন্ধু। তাদের বন্ধুত্বের বন্ধন এতটাই মজবুত যে রাত ৩টার সময় ফোন করে সাহায্য চাইতেও সংকোচবোধ করেন না কেউ। প্রভাসও একই বক্তব্য দিয়েছেন একাধিকবার।
বলিউড অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাওয়াত মানেই যেন নিত্যনতুন বিতর্ক। তবে এবার বারাণসীতে গিয়ে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন তিনি। নগরীতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে চাট খাওয়ার পর পরিবেশ দূষণের অভিযোগে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী। তবে বরাবরের মতোই চুপ থাকেননি কঙ্গনা, পাল্টা তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সমালোচকদের কড়া জবাব দিয়েছেন।
সম্প্রতি বারাণসী সফরে গিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাট খাওয়ার ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন কঙ্গনা। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, খাওয়া শেষে এঁটো প্লেটটি নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে রাস্তায় ছুড়ে ফেলেছেন তিনি। পবিত্র নগরীতে এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণের জন্য মুহূর্তেই তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং তাঁকে ট্রল করতে শুরু করেন অনেকে।
এই সমালোচনার কড়া জবাব দিতে কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিওর কিছু জুম করা স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলেন, ঠিক তার পায়ের কাছেই আবর্জনা ফেলার একটি পাত্র বা ডাস্টবিন রাখা ছিল। কঙ্গনা দাবি করেন, তিনি তাঁর এঁটো প্লেটটি রাস্তায় নয়, বরং ওই নির্দিষ্ট পাত্রেই ফেলেছেন।
অভিযোগকারীদের একহাত নিয়ে অভিনেত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ করার আগে চারপাশ ভালো করে দেখে নিন, যাতে আপনাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত না হয়। বারাণসী কেন, আমি কোনো শহরকেই আবর্জনা ফেলে নোংরা করি না।’
অভিনেত্রীর এই তথ্য-প্রমাণসহ পাল্টা জবাবের পরও বিতর্ক পুরোপুরি থামেনি। তবে নেটিজেনদের একাংশ এখন কঙ্গনার পক্ষে কথা বলছেন। তাঁদের মতে, অভিনেত্রীকে হেয় করার অসৎ উদ্দেশ্যেই হয়তো প্রথমে আবর্জনা ফেলার পাত্রটি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে মিথ্যা রটানো হয়েছিল।
কাজল ও টুইঙ্কেল খান্নার যৌথ উপস্থাপনায় আয়োজিত শো ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’-এ অতিথি হিসেবে এখনও দেখা মেলেনি বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের। প্রিয় তারকাকে কেন এই শোতে দেখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে ভক্তদের কৌতূহলের শেষ ছিল না। অবশেষে সেই নীরবতা ভেঙে নিজেই কারণ জানালেন শাহরুখ, একইসঙ্গে দুই সহশিল্পীর কাছে চাইলেন ক্ষমাও।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে শাহরুখ জানান, শো-টিতে অতিথি হতে না পারায় তাঁর নিজেরও খারাপ লেগেছে। তবে ব্যস্ততাই ছিল প্রধান অন্তরায়। বর্তমানে তিনি তাঁর নতুন সিনেমা ‘কিং’-এর শুটিং নিয়ে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মাঝে হাতে চোট পাওয়ার কারণেও শিডিউল মেলানো সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি। তবে ব্যস্ততার পাশাপাশি স্বভাবসুলভ রসবোধ মিশিয়ে শোতে না যাওয়ার আরেকটি ‘মজার’ কারণও দেখিয়েছেন কিং খান। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ওখানে খাবার খাওয়ার একটা ঝামেলা আছে। কারণ ওদের শোয়ে প্রচুর খাবার থাকে!’
সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা কমেনি তাঁর। কাজ ও অসুস্থতার কারণে যেতে না পারায় কাজল ও টুইঙ্কেলের কাছে ক্ষমা চেয়ে শাহরুখ বলেন, ‘আমি না যাওয়ার জন্য ওদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমার সত্যিই যাওয়া উচিত ছিল।’ তবে অতিথি হতে না পারলেও ‘প্রায়শ্চিত্ত’ হিসেবে শো-এর প্রতিটি পর্ব তিনি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কাজল ও টুইঙ্কেলের এই শো-টি শুরু থেকেই নানা কারণে আলোচনায় রয়েছে। কখনও দাম্পত্য জীবন, আবার কখনও স্বামীদের পরকীয়া ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল ফেলেছেন দুই সঞ্চালিকা। এত সব বিতর্কের মাঝেও শাহরুখের নিয়মিত শো দেখার বিষয়টি তাঁর আগ্রহেরই প্রমাণ দেয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লন্ডনে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ সিনেমার রাজ-সিমরনের ব্রোঞ্জ মূর্তি উদ্বোধনকে কেন্দ্র করেই মূলত বন্ধুদের এই আড্ডা ও স্মৃতিচারণ উঠে আসে।
রাজনীতি আর বিনোদন জগতের দুই ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা তাঁরা। একজন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অন্যজন মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরি। এতদিন তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে ফিসফাস চললেও, এবার জাপান সফরে গিয়ে সেই গুঞ্জনেই যেন আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিলেন তাঁরা। ট্রুডোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ করে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছেন এই গায়িকা।
সম্প্রতি জাপান সফরে গিয়েছেন এই আলোচিত জুটি। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ট্রুডোর সাক্ষাতের সময় সঙ্গী হিসেবে দেখা গেছে কেটি পেরিকে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় জোর আলোচনা। তবে জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলেছেন খোদ গায়িকা নিজেই। সফরের মাঝপথেই ট্রুডোর সঙ্গে একগুচ্ছ ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
কেটি পেরির শেয়ার করা ছবিগুলো দেখে ভক্তদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। ছবিতে দুজনকে বেশ ফুরফুরে ও রোমান্টিক মেজাজে দেখা গেছে। একটি সেলফিতে ট্রুডোর গালে গাল ঠেকিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় কেটিকে, যেখানে দুজনের চোখেই ছিল নতুন সম্পর্কের দীপ্তি। অন্য একটি ফ্রেমে নিভৃতে খাবার উপভোগ করতেও দেখা গেছে তাঁদের। ক্যাপশনে কেটি লিখেছেন, ‘টোকিও টাইম অন ট্যুর অ্যান্ড মোর’—যা স্পষ্টভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে এই সফর শুধুই ভ্রমণ নয়, বরং সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশেরও একটি উপলক্ষ।
ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসতেই নেটমাধ্যমে মন্তব্যের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। ভক্তদের মাঝে বিস্ময় আর উচ্ছ্বাস—দুটোই চোখে পড়ার মতো। রাজনীতি এবং গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের এমন মেলবন্ধন সচরাচর দেখা যায় না বলেই নেটিজেনদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন এই জুটি। উল্লেখ্য, গত বছরজুড়েই ট্রুডো ও কেটিকে বিভিন্ন সময়ে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে দেখা গেছে, যা তাঁদের প্রেমের গুঞ্জনকে উসকে দিয়েছিল। এবার টোকিও সফরে সেই গুঞ্জনকেই বাস্তবে রূপ দিলেন তাঁরা।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মুক্তির মিছিলে আরিফিন শুভ ও জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী অভিনীত সিনেমা ‘নূর’। রায়হান রাফী পরিচালিত প্রেমনির্ভর এই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহের বদলে সরাসরি মুক্তি পাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপ প্লাসে। তবে মুক্তির আগেই সিনেমাটির টিজারের একটি দৃশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর প্রকাশিত ৪২ সেকেন্ডের টিজারে শুভ-ঐশীর একটি চুমুর দৃশ্য মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের একাংশ এটিকে নিছক প্রচারণার কৌশল বলে মন্তব্য করলেও, অনেকে আবার দুই তারকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গুঞ্জন রটে, পর্দার বাইরেও হয়তো প্রেমে জড়িয়েছেন এই জুটি।
অবশেষে এসব গুঞ্জন ও আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন নায়িকা ঐশী। দেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুভর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেবলই পেশাদারি। ভাইরাল হওয়া দৃশ্যটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘নূর সিনেমায় একটি চুমুর দৃশ্য রয়েছে, যা আমি কেবল অভিনয়ের অংশ হিসেবেই দেখছি। গল্পের প্রয়োজনে যেমন কাউকে ধাক্কা দেওয়া বা চড় মারার দৃশ্য করতে হয়, এটিও তেমনই। এর বাইরে বাস্তবে শুভর সঙ্গে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘নূর’। এদিকে ঐশী বর্তমানে শাকিব খানের বিপরীতে ‘সোলজার’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন, যার অধিকাংশ কাজই শেষের পথে বলে জানা গেছে।
দুই বাংলার জনপ্রিয় গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হৃদ্যন্ত্রের জটিলতা দেখা দেওয়ায় শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল আছেন।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই নচিকেতার শরীর ভালো যাচ্ছিল না। অসুস্থতার কারণে তিনি আসানসোলের শো বাতিল করতে বাধ্য হন।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) আরেকটি শো থাকার কথা ছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আগামী সব শো আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতেও অসুস্থতার কারণে নচিকেতা একটি শো বাতিল করেছিলেন। তখন তার পরিবার জানিয়েছিল, গায়কের সারভাইকাল স্পন্ডিলাইটিস রয়েছে। এটি শীতে বেড়ে যায় এবং টানা শো করার ফলে সমস্যা আরও জটিল হয়।
তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সারভাইকাল নয়, এবার হার্টের সমস্যায় চিকিৎসাধীন এই জনপ্রিয় শিল্পী। পরিবারের তরফ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ভক্তরা।
আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে ২৪তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে গুণী অভিনেত্রী আরজুমান্দ আরা বকুল অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঝরা পাতার চিঠি’, যা পরিচালনা করেছেন শায়লা রহমান। বকুল এতে একজন লেখকের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রটি ভালোবাসা, অনুশোচনা ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনবোধ ও আত্মঅনুসন্ধানের গল্প উপস্থাপন করে। আরজুমান্দ আরা বকুল বলেন, ‘ঝরা পাতার চিঠি মানুষ ও জীবনের সম্পর্কের গল্প। আধুনিকতায় থাকা সত্ত্বেও মানুষ সত্যিকার অর্থে ভালোবাসা, বিবেক ও অনুশোচনার ভেতরেই নিজেকে খুঁজে পায়। আমরা দর্শকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে এই গল্প ভাগাভাগি করার অপেক্ষায় আছি।’
জনপ্রিয় গায়ক কাজী শুভর বাবা কাজী শাহ আলম আর নেই। তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন কাজী শুভ নিজেই।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে শুভ লেখেন, ‘আব্বা আর নাই’। তার সেই পোস্টে ভক্ত-অনুরাগীরা এসে শিল্পীকে শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় বাংলাদেশের বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় দক্ষিণ বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার বাবার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্থানীয় কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে।
কাজী শুভর বাবা কাজী শাহ আলম বিজেএমসি কর্মকর্তা ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বৈচিত্র্যময় ধাঁচের গানে কণ্ঠ দিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কাজী শুভ। ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ কিংবা ‘মন পাঁজরে’ গান দিয়ে সহজেই নিজেকে চিনিয়েছিলেন কাজী শুভ। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি শুরু থেকেই সুর করছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কাজী শুভ। অডিওতে তার গাওয়া ও সুরের অনেক গানই শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। ফোক গানে রয়েছে তার বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা। পাশাপাশি বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার গানেও তিনি নিজেকে আলাদাভাবে পরিচিত করেছেন।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো সিনেমার গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। সোয়াইবুর রহমান রাসেলের পরিচালনায় ‘নন্দিনী’ সিনেমার জন্য তিনটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কাজী শুভ। একইসঙ্গে গানগুলোতে সুরও করেছেন তিনি।
চলতি বছর বলিউড রেকর্ড ব্যবসা সফল সিনেমাগুলো মধ্যে একটি ‘সাইয়ারা’। বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছিল অহন পাণ্ডে-অনীত পাড্ডা অভিনীত সিনেমাটি। তবে বছর শেষে চমক দেখাল রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’। প্রথম দিনেই ব্যবসার নিরিখে ভেঙে দিল ‘সাইরারের’ রেকর্ড।
স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম দিন ‘ধুরন্ধর’-এর আয় হয়েছে ২৭ কোটি রুপি। যেখানে ‘সাইয়ারা’ প্রথমদিন মোটে ২১ কোটি রুপি ব্যবসা করছিল।
রণবীরের সিনেমাগ্রাফ অনুযায়ী ‘পদ্মাবত’ আয় করেছিল। আর ‘সিম্বার’ খাতা খুলেছিল ২০.৭২ কোটি দিয়ে। পরে ৩৯০ কোটি রুপি ব্যবসা হাঁকিয়ে ক্ষান্ত হয় রণবীরের এই পুলিশি ড্রামা। তেইশ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রকি অউর রানি’ ওপেনিং ইনিংসে আয় করেছিল ১১.১০ কোটি রুপি। এবার ‘ধুরন্ধর’ দিয়ে বক্স অফিসে দাপুটে প্রত্যাবর্তন অভিনেতার।
করোনাকাল থেকেই রণবীর সিংয়ের ফিল্মি কেরিয়ারে খানিক ভাঁটা পড়েছিল ‘৮৩’, ‘সার্কাস’, ‘জয়েশভাই জোয়ারদার’ কোনো ছবিই দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। তেইশে ‘রকি অউর রানি’ ভালো আয় করলেও ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’, ‘গদর ২’ কিংবা ‘অ্যানিম্যাল’-এর ব্যবসার ধারকাছেও ছিল না। চব্বিশ সালে রোহিত শেট্টির ‘সিংহম এগেইন’-এর ডাকসাইটে কাস্টিংয়ে রণবীর সিং থাকলেও, মুখ্য চরিত্রে থাকা অজয় দেবগণ, করিনা কাপুরই সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন।
এদিকে স্বামীর সাফল্যে গর্বিত দীপিকা পাড়ুকোনের বলেন, ‘ধুরন্ধর’ দেখলাম। ৩ ঘণ্টা ৩৪ মিনিটের সিনেমার প্রতিটা মুহূর্ত মূল্যবান। রণবীর তোমার জন্য ভীষণ ভীষণ গর্বিত আমি। গোটা টিমকে শুভেচ্ছা রইল।’
‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় রণবীর সিং ছাড়াও রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত, অক্ষয় খান্না, আর. মাধবন অর্জুন রামপাল, সৌম্য ট্যান্ডন, নবীন কৌশিক, মানব গোহিল, ডেনিশ প্যান্ডরসহ অনেকে।
ঢালিউড কুইন খ্যাত চিত্র নায়িকা অপু বিশ্বাস নতুন একটি সিনেমায় যুক্ত হলেন। ‘দুর্বার’ নামের এই সিনেমায় তার বিপরীতে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুন নূর সজলকে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে সিনেমাটির শুটিং- এমনই খবর মিলল।
কামরুল হাসান ফুয়াদ পরিচালিত এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় জুটি বাঁধছেন সজল ও অপু বিশ্বাস। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল্লাহ জহির বাবু।
এ প্রসঙ্গে নির্মাতা ফুয়াদ গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘দুর্বার’ একটি থ্রিলার ও মার্ডার-মিস্ট্রি ঘরানার সিনেমা। তবে এখনই গল্পের বিস্তারিত জানাতে নারাজ তিনি। নির্মাতার পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে একটানা শুটিং করে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শেষ করা হবে। জানা গেছে, পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি শুটিং ফ্লোরে যাওয়ার আগে কোনো খামতি রাখতে চান না শিল্পীরা। তাই সজল ও অপু বিশ্বাসসহ অন্য কলাকুশলীরা বর্তমানে রিহার্সালে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মূল শুটিং শুরুর আগে আগামী ১৪ ডিসেম্বর তাদের নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ফটোশুট করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এই সিনেমায় অপু ও সজল ছাড়াও অভিনয় করছেন জান্নাতুল নূর, সানজু জনসহ আরও কয়েকজন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর কোরবানি ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে অপু-সজল জুটির ‘দুর্বার’।
এদিকে ‘দুর্বার’ ছাড়াও অপু বিশ্বাসের হাতে রয়েছে আরও নতুন কাজ। বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত ‘সিক্রেট’ নামের একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি, যেখানে তার নায়ক আদর আজাদ। ‘দুর্বার’-এর কাজ শেষ করেই তিনি ‘সিক্রেট’-এর শুটিংয়ে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
একসময় নিয়মিতই বড় পর্দা ও ছোট পর্দায় দেখা যেত কুসুম শিকদারকে। ‘লাল টিপ’, ‘গহীনে শব্দ’ কিংবা ‘শঙ্খচিল’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন দর্শকের মনে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ের পর্দায় তাকে দেখা যায় খুবই কম। এতদিন এই ‘নীরবতা’ নিয়ে দর্শকের কৌতূহল কম ছিল না। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কুসুম শিকদার। চলচ্চিত্র ও নাটকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী সম্প্রতি চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে দীর্ঘ বিরতি, কাজের নির্বাচন ও ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন। গত বছর ‘শরতের জবা’ সিনেমা দিয়ে আবারও বড় পর্দায় ফিরলেও এরপর কুসুম শিকদারকে নতুন কোনো কাজে দেখা না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল- হঠাৎ করেই কী তিনি হারিয়ে গেছেন? জবাবে কুসুম শিকদার বলেন, ‘হারিয়ে গেলাম কোথায়? যদি কাজের কথা বলেন, তাহলে নাটক করতেই আমার আগ্রহ নেই এখন। সিনেমার অনেক প্রস্তাবই এসেছে। চাইলে অবশ্যই কাজ করতে পারতাম। হ্যাঁ বলে কাজে নেমে যাওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু আমি একটু খুঁতখুঁতে, একটু পারফেকশনিস্ট। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মনে হয়েছে কোথাও ঘাটতি আছে, বা যারা বানাচ্ছেন, তারা পুরোপুরি প্রস্তুত নন। তাই সেগুলো করা হয়নি।’
কুসুম শিকদার জানান, ‘শরতের জবা’ মুক্তির পর অন্তত ১২টি সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছেন। তবে সব কটি ফিরিয়ে দিয়েছেন। এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমি ধীরগতির মানুষ। ধীরে কাজ করি। আমার বিশ্বাস, ধীরলয়ে কাজ করলে মানটাও ভালো হয়। সিনেমার জন্য এক বছর খুব কম সময়। ‘শরতের জবা’ করতে আমার দুই বছর লেগেছে। আর লেখা ধরলে তো আরও বেশি সময় লাগে। মনমতো গল্প, প্রস্তুত প্রজেক্ট হলে অবশ্যই আমি করব।’ অনুষ্ঠানে নিজের রূপ ও ফিটনেস নিয়েও কথা বলেন ‘লাল টিপ’-এর অভিনেত্রী। কুসুম শিকদারের মতে, বাহ্যিক যত্নের পাশাপাশি ভেতরের পরিচর্যাই আসল।
তিনি বলেন, ‘আমি মন খুব সতেজ রাখার চেষ্টা করি। পারতপক্ষে মিথ্যে বলি না। কৃতজ্ঞ মানুষ হতে চেষ্টা করি। আমার ভেতরে প্রবলভাবে মুগ্ধ হওয়ার ক্ষমতা আছে, ভালোবাসার শক্তি আছে। এই বিষয়গুলো আমি লালন করি। আমার বিশ্বাস, ভেতরে যদি এগুলো থাকে, তাহলে সেটার প্রভাব বাইরেও পড়ে। মানুষকে সুন্দর রাখে।’
অভিনয় থেকে দূরে থাকা নয়, বরং নিজের মতো করে কাজের অপেক্ষায় থাকার কথাই বারবার উঠে আসে কুসুম শিকদারের কথায়। তিনি মনে করেন, পর্দায় নিয়মিত থাকা নয়—ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়াটাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ৯ লাখ অনুসারী হারিয়েছেন বলিউড অভিনেতা অনুপম খের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তার অনুসারীসংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অভিনেতা নিজেই তার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে এ ব্যাপারে তার উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেন। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এক্সে তার উদ্দেশে একটি পোস্টও দিয়েছেন অনুপম। তিনি নিজের পোস্টে ইলন মাস্ককেও ট্যাগ করেন।
পোস্টটি অভিযোগ নয়, বরং পর্যবেক্ষণ বলে উল্লেখ করে অনুপম খের জিজ্ঞাসা করেন, মাস্ক বা তার দলের কেউ কী জানেন যে প্রযুক্তিজগতে কী ঘটছে, কারণ এত বিপুলসংখ্যক অনুসারীর হঠাৎ চলে যাওয়া তাকে বিভ্রান্ত করেছে।
গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অনুপম খের একটি পোস্ট দেন। এই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় মি. ইলন মাস্ক, গত ১৫ দিনে আমি ৯ লাখের বেশি অনুসারী হারিয়েছি! আপনি কি কারণটি জানেন? অথবা আপনার দলের কেউ? যাহোক, এটি একটি পর্যবেক্ষণ, অভিযোগ নয়! এখনো।’
অনুপম খেরের এ পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে তার ভক্ত ও অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তাদের মতামত জানান। একজন ব্যবহারকারী অনুমান করেছেন, এক্সে যেসব অ্যাকাউন্ট সচল নয় বা বট অ্যাকাউন্ট, তা তারা সরিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে এমনটি হতে পারে।
অন্য এক ব্যবহারকারী বলেছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলো কেউ হয়তো ডিঅ্যাকটিভেট (নিষ্ক্রিয়) করেছেন বা ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। ইলন মাস্ক এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে এত মন্তব্যের ভিড়ে নজর কেড়েছে এক্সের এআই চ্যাটবট গ্রোকের মন্তব্য। একজন ব্যবহারকারী গ্রোককে হঠাৎ এই বিপুলসংখ্যক অনুসারী কমে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে গ্রোক জানায়, এক্স তাদের প্ল্যাটফর্মের গ্রহণযোগ্যতা ও সত্যতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ফেক অ্যাকাউন্ট, বট ও নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোকে তারা সরিয়ে ফেলছে। যেসব অ্যাকাউন্টে ক্রিপ্টো স্ক্যাম, স্প্যাম, অটোমেটেড কনটেন্ট ও ভুয়া নাম রয়েছে, যা এক্সের নিয়ম মানে না, সেসব অ্যাকাউন্টই মুছে ফেলা হচ্ছে।
গ্রোক আরও জানায়, এই পরিবর্তনের ফলে আরও অনেক ব্যক্তির অনুসারীর সংখ্যা কমেছে। যার মধ্যে রয়েছেন রিয়ানা, টেইলর সুইফট, জাস্টিন বিবার, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো হাইপ্রোফাইল তারকারা। তারাও বিপুলসংখ্যক অনুসারী হারিয়েছেন। গ্রোক উল্লেখ করে, জাস্টিন বিবার ২ কোটি অনুসারী হারিয়েছেন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হারিয়েছেন ৯ কোটি। অনুপম খেরের অনুসারী হারানোর কারণ মোটেও ব্যক্তিগত কোনো কারণ নয়। এটি এক্সের এই অভিযানেরই অংশ!
নিউজ১৮-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, অনেক আন্তর্জাতিক তারকা অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুলসংখ্যক অনুসারী হারিয়েছেন। তা কয়েক হাজার থেকে শুরু করে কয়েক কোটি পর্যন্ত। যেমন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গায়িকা টেইলর সুইফটের অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ কমেছে। কিম কার্ডাশিয়ান ৬৪ লাখ অনুসারী হারিয়েছেন। তা ছাড়া কেটি পেরির তালিকা থেকে ৩০ থেকে ৫০ লাখ অনুসারী কমেছে।
ইলন মাস্কের অ্যান্টিস্প্যাম প্রচারণার একটি অংশ এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এই স্প্যাম ক্র্যাকডাউন ক্যাম্পেইনের কথা তিনি ২০২৪ সালের এপ্রিলে ঘোষণা দেন।
৭০ বছর বয়সেই অনুপম এই সময়ের ব্যস্ততম অভিনেতাদের একজন। হিন্দি, ইংরেজি সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের নিয়মিত মুখ তিনি। সবশেষ চলতি বছর বিশ্বজিৎ সরকারের ‘কানু’ সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে অনেক ওঠানামাও দেখেছেন। কিন্তু আজও অভিনয় ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারেন না তিনি। আবার এমনও দেখা গেছে, এই বয়সে ফিটনেসের জন্যও আলোচনা হচ্ছে তাকে নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুপম খেরের জিমের ছবি দেখলে তাক লেগে যায়।
একেবারেই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষ অনুপম খের। বাবা ছিলেন বন বিভাগের সাধারণ এক কেরানি। অনুপম খের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিজেই জীবনসংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সময়। তিনি নিজেই গত বছর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘দারিদ্র্য আমাদের সবচেয়ে সস্তা বিলাসিতা। আমার বাবা খুব আশাবাদী ছিলেন। পরীক্ষায় কখনো ৬০-এর মধ্যে ৫৯ পেলেও বাবা বলে গিয়েছেন, পরেরবার যেন আরও ভালো হয়। আর এটাই আমাকে অদম্য সাহস জোগায় জীবনের ব্যর্থতার সময়।’ সাক্ষাৎকারে নিজের কঠিন দিনগুলোর কথাও স্মরণ করেন অভিনেতা। অনুপমের ভাষ্যে, ‘আমি আমার সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে চাই। আমি আমার ব্যর্থতা এবং আমার খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে শিখি। কিন্তু আমি সেগুলো মনে রাখি না। জীবনে অপেক্ষা করার মতো অনেক কিছুই আছে। আমি অনেক ভাগ্যবান। ১৯৮১ সালে আমি ৩৭ টাকা দিয়ে মুম্বাই এসেছিলাম। নিজের জীবন নিয়ে সত্যিই আমি খুব খুশি।’ বর্তমানে এই অভিনেতার সম্পদের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা। সিনেমাপ্রতি পারিশ্রমিক নেন ৩ থেকে ৪ কোটি রুপি।
আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে ২৪তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে গুণী অভিনেত্রী আরজুমান্দ আরা বকুল অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঝরা পাতার চিঠি’, যা পরিচালনা করেছেন শায়লা রহমান। বকুল এতে একজন লেখকের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রটি ভালোবাসা, অনুশোচনা ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনবোধ ও আত্মঅনুসন্ধানের গল্প উপস্থাপন করে। আরজুমান্দ আরা বকুল বলেন, ‘ঝরা পাতার চিঠি মানুষ ও জীবনের সম্পর্কের গল্প। আধুনিকতায় থাকা সত্ত্বেও মানুষ সত্যিকার অর্থে ভালোবাসা, বিবেক ও অনুশোচনার ভেতরেই নিজেকে খুঁজে পায়। আমরা দর্শকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে এই গল্প ভাগাভাগি করার অপেক্ষায় আছি।’
চলতি বছর বলিউড রেকর্ড ব্যবসা সফল সিনেমাগুলো মধ্যে একটি ‘সাইয়ারা’। বক্স অফিসে রীতিমত ঝড় তুলেছিল অহন পাণ্ডে-অনীত পাড্ডা অভিনীত সিনেমাটি। তবে বছর শেষে চমক দেখাল রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’। প্রথম দিনেই ব্যবসার নিরিখে ভেঙে দিল ‘সাইরার’র রেকর্ড।
স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম দিন ‘ধুরন্ধর’-এর আয় হয়েছে ২৭ কোটি রুপি। যেখানে ‘সাইয়ারা’ প্রথমদিন মোটে ২১ কোটি রুপি ব্যবসা করছিল।
রণবীরের সিনেমাগ্রাফ অনুযায়ী ‘পদ্মাবত’ আয় করেছিল। আর ‘সিম্বা’র খাতা খুলেছিল ২০.৭২ কোটি দিয়ে। পরে ৩৯০ কোটি রুপি ব্যবসা হাঁকিয়ে ক্ষান্ত হয় রণবীরের এই পুলিশি ড্রামা। তেইশ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রকি অউর রানি’ ওপেনিং ইনিংসে আয় করেছিল ১১.১০ কোটি রুপি। এবার ‘ধুরন্ধর’ দিয়ে বক্স অফিসে দাপুটে প্রত্যাবর্তন অভিনেতার।
করোনাকাল থেকেই রণবীর সিংয়ের ফিল্মি কেরিয়ারে খানিক ভাঁটা পড়েছিল ‘৮৩’, ‘সার্কাস’, ‘জয়েশভাই জোয়ারদার’ কোনও ছবিই দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। তেইশে ‘রকি অউর রানি’ ভালো আয় করলেও ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’, ‘গদর ২’ কিংবা ‘অ্যানিম্যাল’-এর ব্যবসার ধারকাছেও ছিল না। চব্বিশ সালে রোহিত শেট্টির ‘সিংহম এগেইন’-এর ডাকসাইটে কাস্টিংয়ে রণবীর সিং থাকলেও, মুখ্য চরিত্রে থাকা অজয় দেবগণ, করিনা কাপুরই সমস্ত লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন।
এদিকে স্বামীর সাফল্যে গর্বিত দীপিকা পাড়ুকোনের বলেন, “ধুরন্ধর’ দেখলাম। ৩ ঘণ্টা ৩৪ মিনিটের সিনেমার প্রতিটা মুহূর্ত মূল্যবান। রণবীর তোমার জন্য ভীষণ ভীষণ গর্বিত আমি। গোটা টিমকে শুভেচ্ছা রইল।’
‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় রণবীর সিং ছাড়াও রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত, অক্ষয় খান্না, আর. মাধবন অর্জুন রামপাল, সৌম্য ট্যান্ডন, নবীন কৌশিক, মানব গোহিল, ডেনিশ প্যান্ডরসহ অনেকে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন