মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবে পরিবেশিত ভিন্ন মাত্রার রাগ ও তাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৪ ২০:১৫

নৃত্য-ছন্দে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বর্ণনা আবার ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশনায় ঈশ্বরের বন্দনা। পৃথিবীতে যখন কোনো সংকট দেখা দেয় তখন ভগবান বিষ্ণু ধরিত্রীর উদ্ধারে ও জীবকুলের কল্যাণে বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন। মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম, বৌদ্ধ ও সবশেষে তিনি কল্কি অবতার ধারণ করে মানব জাতির কল্যাণ করবেন।

মনিপুরি নৃত্যের ছন্দে ধর্ম বন্দনা ও প্রকৃতির রূপ যেন ধরা দিয়েছে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব ২০২৪ এর পরিবেশনায়। তচনচ, মেনকূপ, চালী নানান তালের সমন্বয়ে দশাবতারে পরিবেশিত হয়েছে শাস্ত্রীয় নৃত্য মনিপুরী। বাংলাদেশে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চা ও প্রসার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের সংগীতের সমৃদ্ধ এ ধারায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে চলছে ৬ দিনব্যাপী ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব।

সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৬ থেকে ৩১ মে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের চতুর্থ দিনের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার।

শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানে শুরুতেই পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘মঙ্গলাচরণ এবং বর্ষা পল্লবী’। ওড্যিস্যি অ্যান্ড টাগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার চট্টগ্রামের পরিবেশনায় নৃত্য পরিচালনা করেছেন প্রমা অবন্তি।

এরপর একক সংগীত রাগ ‘ইমন’ পরিবেশন করেন বিটু শীল ও ‘রাগ কেদার’ পরিবেশন করেন ড. ফকির শহিদুল ইসলাম সুমন।

একক শাস্ত্রীয় নৃত্য ‘মনিপুরি বসন্ত প্রবন্ধ’ পরিবেশন করেন মনোমী তানজানা অর্থী। এই নৃত্যে বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতির অপরূপ রূপ বর্ণনা করা হয়। নৃত্য রচনা করেছেন গুরু শ্রীমতী কলাবতী দেবী।

শাস্ত্রীয় নৃত্য কথক পরিবেশন করে নৃত্যায়ন নৃত্যদল। তুলশীদাস রচিত গণেশ বন্দনা এবং বিন্দাদীন রচিত ঠুমরি পরিবেশন করেন তারা। নৃত্য নির্মাণ করেন গুরু শ্রী সন্দীপ মল্লিক। নৃত্য পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মনিরা পারভীন।

এরপর পরিবেশিত হয় শাস্ত্রীয় একক সংগীত। পরিবেশনা করেন ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী। তিনি উপস্থাপন করেন ‘রাগ শ্রী (ধ্রুপদ)’। যোগ রাগে একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন শোভন মজুমদার। ভগবান বিষ্ণু ধরিত্রীর উদ্ধারে ও জীবকুলের কল্যাণে “দশাবতার” একক মনিপুরি নৃত্য পরিবেশন করেন বাবরুল আলম চৌধুরী। তিনি পরিবেশন করেন তাল- তচনচ, মেনকূপ, চালী যার রচয়িতা কবি জয়দেব এবং নৃত্য পরিচালনা করেছেন গুরু কলাবতী দেবী। এরপর নৃত্য কথক পরিবেশন করেন মো. মাসুম হোসাইন। তিনি নৃত্যে উপস্থাপন করেন- গুরু বন্দনা ও শুদ্ধ নৃত্য। ১৬ মাত্রার তাল ত্রিতাল এবং ১৪ মাত্রা তাল ধামার পরিবেশন করেন তিনি। নৃত্য পরিচালনায় করেন শ্রীমতী মধুমিতা রায়। এ পর্যায়ে একক শাস্ত্রীয় সংগীত ‘রাগ মধুকোষ’ পরিবেশন করেন অলোক সেন।

একক শাস্ত্রীয় নৃত্য ওড্যিস্যি পরিবেশন করেন মো. জসীম উদ্দিন। পল্লবী শব্দের অর্থ বিস্তার। নির্ধারিত রাগে কিছু বোলবাণী যোগে এর বিস্তার ঘটে। যে রাগের ওপর ভিত্তি করে পল্লবী সৃষ্টি হয় সেই রাগ অনুযায়ী এর নামকরণ। নৃত্য নির্মাণ করেন গুরু রতিকান্ত মহাপাত্র, নৃত্য পরিচালনায করেন বেনজীর সালাম।

কৃষ্ণ কীর্তনাম, ‘রাগ ভিম পলাশ’, তাল আদি পরিবেশন করেন সাইফুল ইসলাম সাকী। কীর্তনাম হলো ভরতনাট্যম নৃত্যের সাহিত্য আধারিত নৃত্যাভিনয়ের নাম। এরপর একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন ড. অসিত রায়। একক নৃত্য ‘ভরতনাট্যম’ পরিবেশন করেন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী অংকিতা দে।

পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে কথাকলি আট্টআকথা গল্প ‘উত্তরা স্বয়মবরম’। পরিবেশনা করেন স্বপ্নচূড়া কালচারাল একাডেমি। নৃত্য পরিচালনা করেন আফরিনা আফরোজ চৌধুরী। সবশেষে শাস্ত্রীয় সমবেত সংগীত পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির কণ্ঠশিল্পীরা।

বিষয়:

সিনেমা হলে দর্শক কমে যাওয়ায় পোপের উদ্বেগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ভ্যাটিকানে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতাদের উদ্দেশে সিনেমা হলের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ লিও। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে সিনেমা হল টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ মানুষের সম্মিলিতভাবে ছবি দেখার অভিজ্ঞতাকে রক্ষা করা জরুরি।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারকা অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট, মোনিকা বেলুচ্চি, ক্রিস পাইনে, ভিগো মর্টেনসেনসহ বহু নামী অভিনেতা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পুরস্কারজয়ী নির্মাতা স্পাইক লি, গাস ভ্যান স্যান্ট এবং স্যালি পটার।

পোপ লিও প্রথম মার্কিন নাগরিক হিসেবে পোপ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনিশ্চয়তায় ভরা সময়ে সিনেমা আশা জাগানোর এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।’

তিনি জানান, বহু শহর-উপশহরে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; এর ফলে সিনেমা দেখার সম্মিলিত অভিজ্ঞতা হুমকির মুখে।

তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানান হাল না ছেড়ে সমাজ ও সংস্কৃতিতে সিনেমার গুরুত্ব রক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে।

করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বহু দেশে প্রেক্ষাগৃহের আয়ে বড় পতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এ বছর গ্রীষ্মকাল ছিল ১৯৮১ সালের পর সবচেয়ে খারাপ আয়ের সময়।

পোপ লিও বলেন, ১৩০ বছরের ইতিহাসে সিনেমা শুধু আলো-ছায়ার খেলা থেকে মানবজীবনের গভীর প্রশ্ন তুলে ধরার শক্তিতে রূপ নিয়েছে। তার ভাষায়, ‘সিনেমা কেবল চলমান ছবি নয়, এটি আশাকে এগিয়ে নেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রমাগত অনলাইন উত্তেজনায় ভরপুর এই যুগে গল্পগুলোকে শুধু যান্ত্রিক নিয়মে সাজালে চলবে না। যন্ত্রের নিয়ম একই জিনিস বারবার পুনরাবৃত্তি করে, কিন্তু শিল্প সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।’

তিনি নির্মাতাদের আহ্বান জানান, যেখানে প্রয়োজন, গল্প বলার ক্ষেত্রে ধীরতা, নীরবতা ও ভিন্নতার গুরুত্ব রক্ষা করতে হবে।

সহিংসতা, যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও নিঃসঙ্গতার মতো কঠিন বাস্তবতাকে সততার সঙ্গে তুলে ধরতে উৎসাহ দেন তিনি। তার মতে, ভালো সিনেমা কষ্টকে ব্যবহার করে না; বরং তা বুঝতে সাহায্য করে।

অস্ট্রেলিয়ার অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট বলেন, ‘পোপের বক্তব্য অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি আমাদের বলেছেন কঠিন, বেদনাদায়ক গল্প থেকেও দূরে না সরে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে।’

পোপ লিও ছবির পেছনে কাজ করা অগণিত কারিগরের ভূমিকাও প্রশংসা করেন। তার ভাষায়, ‘ছবি নির্মাণ এক যৌথ পরিশ্রম, যেখানে কেউ একা নয়।’

অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত তারকারা একে একে পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের মধ্যে নির্মাতা স্পাইক লি পোপকে উপহার দেন তার নিজ শহরের বাস্কেটবল দলের একটি জার্সি, যাতে লেখা ছিল ‘পোপ লিও ১৪’।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে আমন্ত্রণ পাওয়া আমার জন্য বিস্ময়কর ছিল। রোমে বহুবার এসেছি, কিন্তু এই প্রথম ভ্যাটিকানে এসে পোপের সঙ্গে দেখা হলো। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’

অনুষ্ঠানের আগে ভ্যাটিকান পোপ লিওর পছন্দের চারটি সিনেমার তালিকাও প্রকাশ করে। সেগুলো ছিল ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’, ‘ইটস এ ওয়ানডারফুল লাইফ’, ‘অর্ডিনারি পিপল’ এবং ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।


আবারো ঢাকায় গাইতে আসছেন আতিফ আসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম আবারও বাংলাদেশে আসছেন গান শোনাতে।

আতিফ আসলাম পাকিস্তানের শিল্পী হলেও বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তাই তাকে আবারো বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে মেইন স্টেজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ‘আতিফ আসলাম অ্যাট মেইন স্টেজ শো’ শিরোনামের কনসার্টের আয়োজন করেছে তারা। আগামী ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এই ওপেন এয়ার কনসার্ট। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ওই দিন বেলা ১টায় দর্শকদের জন্য ভেন্যুর গেট খুলে দেওয়া হবে। কনসার্ট শুরু হবে বিকেল ৫টায়, চলবে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। শিগগিরই শুরু হবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। টিকিট পাওয়া যাবে জেনারেল ও ফ্রন্ট ভিআইপি- এই দুই ক্যাটাগরিতে।

গত বছর ঢাকায় আয়োজিত দুই কনসার্টে আতিফ আসলামের সঙ্গে ছিলেন দেশের শিল্পীরাও। লেটস ভাইভ আর্ট অ্যান্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যালে আতিফের সঙ্গে পারফর্ম করেন বাংলাদেশের আহমেদ হাসান সানি, ব্যান্ড কাকতাল, ফিরোজ জং ও কার্নিভাল। আর ম্যাজিকাল নাইট ২.০ কনসার্টে ছিলেন তাহসান ও কাকতাল। ১৩ ডিসেম্বরের কনসার্টে আতিফের সঙ্গে দেশের কোনো শিল্পী কিংবা ব্যান্ড থাকবে কি না, তা জানা যায়নি এখনো। এ বিষয়ে শিগগির বিস্তারিত ঘোষণা আসবে বলে জানানো হয়েছে আয়োজকদের পক্ষ থেকে।


নিজের জন্য ভোট চাইলেন জেসিয়া ইসলাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

২০১৭ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিলেন জেসিয়া ইসলাম। সেরা সুন্দরীর খেতাব জেতার পরও বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনে জেসিয়া ইসলাম নিজের একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারেননি।

নাটক, সিনেমা কিংবা মডেলিং কোন জগতেই তার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বরং ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা তাকে আরও বেশি বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। তবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৫’-এর মঞ্চে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন জেসিয়া। আর এই মঞ্চে সেরার দৌড়ে টিকে থাকতে প্রাথমিক ধাপেই সেরা ২০ সুন্দরীর একজন হয়ে উঠতে চান তিনি। এই লক্ষ্য পূরণে তিনি ভোট চেয়েছেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন জেসিয়া। সেখানে তিনি বলেন, ‘হ্যালো, আমি জেসিয়া ইসলাম, ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৫’ আমি আপনাদের সাপোর্টেই আরও একটু এগিয়ে যেতে পারি, টপ টুয়েন্টিতে জায়গা করে নিতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমাকে সাপোর্ট করার জন্য ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’ অ্যাপ ডাউনলোড করুন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ভোটিং কাউন্ট হবে, আর প্রথম ভোট সবার জন্য ফ্রি। তাই আপনার পরিবার ও বন্ধুমহলকেও উৎসাহিত করুন ভোট প্রদানের জন্য।’

নিজের এই লড়াইকে তিনি কেবল ব্যক্তিগত জয় হিসেবে দেখছেন না। জেসিয়ার কথায়, ‘কারণ জিতলে শুধু আমি জিতব না, জিতবে পুরো বাংলাদেশ। আমি আশা করব, সবাই আমাকে সাপোর্ট করবেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে আরেকটু এগিয়ে নিতে। সবাইকে ধন্যবাদ।’

প্রসঙ্গত, মডেলিং ও নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জেসিয়া ইসলামকে। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘দরদ’ এ জেসিয়া ইসলাম অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও সোনাল চৌহান। ‘মাসুদ রানা-৯’ ছবিতে এজেন্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এদিকে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরের সঙ্গে প্রেম ছিল জেসিয়ার। সেই সম্পর্কের জেরে এক রাতে প্রকাশ্য রাস্তায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারও জন্ম দেন তারা। যা নিয়ে নেট দুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।


আলোচিত সেই পোশাক পরার কারণ জানালেন মিথিলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। গত সেপ্টেম্বরে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জয়ের পর দেশের পতাকা হাতে তিনি অক্টোবরের শেষ দিকে প্রতিযোগিতার মূল মঞ্চ থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন।

থাইল্যান্ড থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের চলমান বিতর্ককে কেন্দ্র করে মিথিলা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। ভিডিওতে তিনি দেশের মানুষের প্রতি তার তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিযোগিতার কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।

ভিডিওতে মিথিলা বলেন, আমাকে অন্যান্য দেশের মানুষ ট্রল করলে আমার কিছু আসে যায় না, কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ তো দেখতেছে আমি কী কষ্ট করতেছি। একটা এত বড় দেশ, এত বড় দেশ থেকে যদি একজন ভালো কন্টেস্ট্যান্ট এসে চেষ্টা করে, এত কষ্ট, এত ডিসিপ্লিন, টাইমলি সবকিছু করা, এত এফোর্ট, এত কিছু শিখে, এত কিছু করেও যদি নিজের দেশের মানুষের থেকে অ্যাপ্রিসিয়েশন না পায়, তাহলে তো এটা খুবই কষ্টের।

বিকিনি পরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর আমি কতবার বলব, আমি যদি বিকিনি না পরি, তাহলে আমি টপ থার্টিতেই যেতে পারব না। তো আপনারা তো চান যে আমি জিতি। তো জিততে হলে আমাকে তাহলে তো বিকিনি পরতে হবে। এখানে আসলে রিলিজিয়নের কিছু নেই। এখানে আমাকে জিততে হলে, বাংলাদেশকে যদি জেতাতে হয়, তাহলে আমাকে পরতে হবে।

মিথিলা আরও বলেন, এই জায়গাটা কিন্তু অনেক বড় একটা জায়গা। এতগুলো মানুষের সঙ্গে কম্পিটিশন এবং সবাই ভালো। এখানে কেউ খারাপ না, সবাই ভালো। তো এদের সঙ্গে কম্পিট করতে হলে আমাকে কিন্তু অনেক ভালো করতে হবে, আমার দেশের মানুষকেও অনেক আগায় আসতে হবে।


মিস ইউনিভার্স খেতাব বিজয়ীরা যা যা পান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর বসেছে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ও ফুকেটে। সেখানে ইতোমধ্যে আলোচনায় আছেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তানজিয়া জামান মিথিলা।

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ও জমজমাট এ মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা হাতে সগৌরবে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

মিস ইউনিভার্সের বার্ষিক বাজেট ১০০ মিলিয়ন ডলার। বিজয়ী হওয়ার পরবর্তী এক বছর মিস ইউনিভার্সের সব খরচ বহন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। একজন মিস ইউনিভার্স স্বপ্নের মতো জীবনযাপনের সুযোগ পান।

চলুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতিযোগিতার বিজয়ী কী পান।

নগদ টাকা-

মিস ইউনিভার্সকে এক বছরের বেতন হিসেবে নগদ আড়াই লাখ ডলারের চেক দেওয়া হয়, টাকার অঙ্কে যা ৩ কোটির বেশি।

নিউইয়র্কে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট-

মিস ইউনিভার্সের বিজয়ীকে এক বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি মিস ইউনিভার্স সংগঠনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে দেওয়া হয়। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের মিস ইউনিভার্সের বিজয়ীরা সেখানে পাকাপাকিভাবে থাকার সুযোগ পান।

ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ-

মিস ইউনিভার্স বিজয়ীকে পরবর্তী এক বছর বাজার করা, রান্না, খাওয়া, পোশাক, প্রসাধনসামগ্রী বা অন্য কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ দেওয়া হয়।

সেটিতে করে তিনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে পারেন। আগে থেকে কেবল মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অনুমোদন নিতে হয়। প্রতিটি সফরের হোটেল খরচ, খাওয়া, ফটোশুট বা প্রেস মিটিংয়ের আয়োজন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ।

তবে শর্ত থাকে যে যেখানেই যান না কেন, মিস ইউনিভার্সের পক্ষ থেকে কিছু দাতব্য কাজে অংশ নিতে হবে। এর বাইরে মিস ইউনিভার্সের বিজয়ী ব্যক্তিগতভাবে কোনো কনসার্ট, ইভেন্ট, ফ্যাশন শো, অ্যাওয়ার্ড শো, পার্টি বা সিনেমার প্রদর্শনীতে যেতে চাইলেও মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ সব ব্যবস্থা করে দেয়।

এছাড়া মিস ইউনিভার্সের ত্বক ও ডায়েটের জন্য বিশেষজ্ঞ, ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট থাকবে। খাবার জিনিস থেকে পোশাক সবই পাবেন মিস ইউনিভার্স অরগানাইজেশনের সৌজন্যে।


ফারিণ এবার শাকিবের নায়িকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

একসঙ্গে দুটি সুখবর। একটি তাসনিয়া ফারিণ নিজেই জানিয়েছেন, অন্যটি একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পোস্টের সূত্রে জানা গেছে।

হঠাৎই গত শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে তাসনিয়া ফারিণ জানান, তার নামের আগে এবার যোগ হচ্ছে নতুন পরিচয়। তিনি এখন আর শুধু অভিনেত্রীই নন, প্রযোজনায়ও নাম লেখাচ্ছেন। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ফড়িং ফিল্মস’। ভক্তদের সুখবরটা জানিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফারিণ লিখেছেন, ‘নতুন অধ্যায়ের শুরু। ‘ফড়িং ফিল্মস’ আমার প্রোডাকশন হাউস। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’ প্রযোজক হিসেবে ফারিণকে শুভকামনা জানিয়েছেন সহকর্মীরা।

এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরুতে কী নির্মাণ করতে যাচ্ছেন, ফোনে জানতে চাইলে আপাতত কিছুই বলতে চাইলেন না অভিনেত্রী। তবে ফড়িং ফিল্মসের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘তাসনিয়া ফারিণের নতুন যাত্রা। সীমানা ছাড়িয়ে ওড়ার গল্প। এই মাসে প্রথম প্রযোজিত কাজ প্রকাশ পাবে।’ একটি সূত্র জানায়, একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার প্রযোজক হয়েছেন ফারিণ। ছোট থেকেই শুরু করতে চান। এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন ফারিণ। চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তারা। তবে এই নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কখনোই নিশ্চিত কিছু জানায়নি। অবশেষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে, ‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ফারিণ। চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন এমন হাসিমুখের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ফারিণ লিখেছেন, ‘আমার নতুন যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। হৃদয় ভরা ভালোবাসা। তৈরি হচ্ছি ‘প্রিন্স’–এর জন্য।’

আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে সিনেমার শুটিং শুরু হবে। শুরু থেকেই সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন ফারিণ। সিনেমার পরিচালক আবু হায়াত বলেন, ‘সিনেমার একদম শুরু থেকেই শাকিব খান ও ফারিণের অংশ দিয়ে দৃশ্য ধারণ হবে। আমরা সিনেমার প্রিপ্রোডাকশনের কাজ প্রায় সব শেষ করেছি। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা টানা শুটিংয়ের আগপর্যন্ত রিহার্সাল করে যাব।’ ‘প্রিন্স’ আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। ‘ইনসাফ’ সিনেমায় শরীফুল রাজের বিপরীতে সর্বশেষ ফারিণকে দেখা যায়।


পাওনা দিতে পারলে শিল্পটা আজ হারিয়ে যেত না: জয়া আহসান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ভালোবাসার শাড়িগুলোর ভেতর জামদানির স্থান থাকে সবচেয়ে ওপরে। বাংলাদেশের যেসব নারী শাড়ি পছন্দ করেন, তাদের সংগ্রহে অন্তত একটি জামদানি থাকেই। অভিনেত্রী জয়া আহসানও তেমনি একজন। শরীরে জামদানি জড়িয়ে বহু দেশে নিজেকে উপস্থাপন করে প্রশংসা পেয়েছেন। জামদানি শাড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে আছে অসংখ্য মানুষের শ্রম ও ঘাম। তাদের একজন তাঁতশিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর। সকালে তিনি মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি আক্ষেপও জানালেন জয়া।

দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে জয়া লিখেছেন, ‘জামদানি শাড়ি আমার কাছে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি অংশ। এ শাড়ির প্রতিটি সুতা, প্রতিটি নকশা আমাকে নিজের পরিচয় জানান দেয়। আমি অনুভব করি, এটি আমার আবেগের ভাষা, যা আমাকে আমার সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত করে।’

জয়া আরও লিখেছেন, ‘ছবিতে আমি যে সাদা রঙের অপূর্ব শাড়িটি পরে আছি, এটি তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের তাঁতশিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর (৮৩)। তিনি গত শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আমরা সত্যিই একজন রত্ন হারিয়েছি। কারণ, এই জামদানির নকশাটি তিনি ছাড়া আর কেউই তৈরি করতে পারতেন না-আর হয়তো পারবেনও না।’

কাজের তুলনায় তাঁতশিল্পীরা উপযুক্ত পারিশ্রমিক পান না। ফলে এই শিল্প দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন জয়া।

জয়া বলেন, ‘জামদানি শাড়ি তৈরি ও নকশা করা বিশাল ধৈর্য এবং পরিশ্রমের কাজ। কিন্তু এর তুলনায় আয় তেমন হয় না। ফলে তাঁতিদের পরবর্তী প্রজন্ম এই কাজে আগ্রহ পায় না। আমরা যদি তাঁতিদের যথাযথ সম্মান ও পাওনাটা দিতে পারতাম, তবে হয়তো এই শিল্পটাও আজকের মতো হারিয়ে যেতে বসত না।’

ওস্তাদ আলী আকবরকে স্মরণ করে জয়া বলেন, ‘এই মোটিভটি শুধু আলী আকবর ভাই-ই তৈরি করতে পারতেন; আর কোন কারিগর পারতেন না। তার শরীর নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই গুণটিও হারিয়ে গেল। একজন পরিশ্রমী, সত্যিকারের শিল্পীর প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। আপনারা সবাই আমাদের এই ওস্তাদ তাঁতিকে আন্তরিক প্রার্থনায় রাখবেন।’

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে ‘জয়া আর শারমিন’, ‘উৎসব’, ‘তাণ্ডব’, ‘ফেরেশতে’, ‘ডিয়ার মা’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায় দেখা গেছে জয়া আহসানকে। সামনে আরও কয়েকটি নতুন প্রকল্পে দেখা যাবে তাকে।


ভালোবাসা এখনো চিঠিতে বসবাস করে: দীঘি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আন্তর্জাতিক আয়োজনে গত ১০ অক্টোবর ষষ্ঠবারের মতো শুরু হওয়া সংগীতানুষ্ঠান ‘রিয়াদ সিজন’-এ অংশ নিচ্ছে বিশ্বের ১৪ দেশ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিশেষ কিছু দিন, যেখানে তারা নিজস্ব সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপস্থাপন করবেন।

সেই আসরে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। গত ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ পর্ব, যা চলছে ‘বাংলাদেশ কালচার’ শিরোনামে গত শুক্রবার পর্যন্ত। আর সেখানেই মঞ্চ মাতাতে গেছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীত ও অভিনয় তারকারা। এর মধ্যে রয়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।

জানা গেছে, অভিনেত্রী দীঘি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিল্পীর মধ্যে রয়েছেন- সংগীতের যুবরাজ কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, জনপ্রিয় গায়ক মনির খান, বেলাল খান, আকাশ মাহমুদ, মুহাম্মদ ইমরান, ইশরাত জাহান জুঁই, পুষ্পিতা মিত্র, হুমায়রা ইশিকা ও ডিজে তুরিন এমএনআর।

আজ বাংলাদেশের শেষ পর্বে চমক হিসেবে মঞ্চে থাকছেন সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই মাসব্যাপী সংগীত সফর শেষ করে দেশে ফিরে আবার সৌদি আরবে মুগ্ধতা ছড়াবেন এ তারকা। এছাড়া শেষ দিনের আয়োজনে আরও গান গাইবেন আকাশ মাহমুদ, ডিজে তুরিন এমএনআর, পুষ্পিতা মিত্র ও ইশরাত জাহান জুঁই।

আর এ আয়োজনে বিশেষ পারফর্মে অংশ নেবেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সেখানে হোটেলের রুমে দীঘির অনুপস্থিতিতে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী একটি চিঠি লিখে রেখে যান। প্রিয় তারকার সঙ্গে দেখা করার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে লেখা সেই চিঠিটি দেখে রীতিমতো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।

সামাজিক মাধ্যমে চিঠিটি প্রকাশ করে দীঘি তার অনুভূতি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘সকালে হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় রিসেপশনে বলে গিয়েছিলাম আমার রুমটা পরিষ্কার করে রাখতে। অনেক কেনাকাটা করে রুমে ঢুকে দেখি আমার টেবিলে একটি ছোট চিরকুট রাখা। সম্ভবত যিনি রুম ক্লিন করেছিলেন, তিনি বাঙালি। এই ডিজিটাল আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কেউ এভাবে একটু দেখা করতে চাচ্ছে, ব্যাপারটি খুব মিষ্টি লাগল।’

অভিনেত্রী আরও বলেন, এই নোটের মাধ্যমে আবারো নতুন করে উপলব্ধি করলাম- ভালোবাসা এখনো চিঠিতে বসবাস করে। আর আমার এমন ভক্তের জন্য এখনো নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। তাদের এই ভালোবাসাটা আজীবন চলমান থাকুক।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে দীঘির পোস্টে কমেন্টবক্সে মডেল ও অভিনেত্রী বারিশা হক লিখেছেন- অবশ্যই দেখা করা উচিত। এছাড়া অগণিত ভক্ত-অনুরাগী তাদের ভালোবাসা ও শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্য করেছেন।


মসজিদ দেখে প্রফুল্ল সোনাক্ষী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহার বিয়ের প্রায় দেড় বছর হতে চলল। মুসলিম বিয়ে করায় প্রায়ই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। শোনা গিয়েছিল, মেয়ের সিদ্ধান্তে নাকি অখুশি ছিল সিনহা পরিবার। বার বার প্রশ্ন উঠেছে, অভিনেত্রী কী বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তন করেছেন?

অভিনেত্রী সম্প্রতি আবুধাবিতে যান সেখানকার পর্যটন বিভাগের আমন্ত্রণে। অভিনেত্রী নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানান, আবুধাবিতে পৌঁছে প্রথমে যাবেন শেখ জায়েদ মসজিদে। তিনি কখনো মসজিদের ভেতরে যাননি। সোনাক্ষীর কথায়, ‘আমি মন্দিরে, গির্জায় গিয়েছি বহু বার। কিন্তু মসজিদের ভেতরে যাইনি। ভীষণ উত্তেজিত লাগছিল।’

যখন সোনাক্ষী তার উচ্ছ্বাসপ্রকাশ করছেন, সেই সময় অভিনেত্রীর স্বামী স্বাভাবিক ছন্দে বলে ওঠেন, ‘আমি কিন্তু ধর্ম পরিবর্তন করাতে নিয়ে যাচ্ছি না!’ স্বামীর কথা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েন নায়িকা।

অভিনেত্রী একাধিক বার জানিয়েছেন, ধর্ম কখনো তাদের সম্পর্কে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। তিনি যেমন ঈদ পালনে স্বামীকে সঙ্গ দেন, তেমনই জাহির সোনাক্ষীর সঙ্গে পূজা করেন। তাই কখনো ধর্ম পরিবর্তনের কথা মাথায় আসেনি। বরং তারা একে অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।


মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টোকিওতে শুরু হয়েছে মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৫-এর মূল পর্বের আসর। গত মঙ্গলবার থেকেই জমে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকতা। আর সেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন জেসিয়া ইসলাম।

আগামী ২৭ নভেম্বর টোকিওতেই অনুষ্ঠিত হবে মূল প্রতিযোগিতা। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন জেসিয়া ইসলাম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জেসিয়া জানান, তিনি টপ-২০ এর তালিকায় পৌঁছতে চান। এ জন্য সবার ভালোবাসা ও ভোট প্রত্যাশী তিনি। মিস ইন্টারন্যাশনালের অফিসিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করে জেসিয়াকে ভোট করা যাবে।

উল্লেখ্য, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পথশিশুদের পুনর্বাসন ও শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে। সামাজিক দায়িত্ববোধ আর মানবিকতার বিষয়টি তার যাত্রাকে দিয়েছে আরও গাঢ়তা।


সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিপাকে শার্লিন, হাসপাতালে ভর্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

শার্লিন চোপড়া- ভারতের অন্যতম আলোচিত বলিউড অভিনেত্রী। প্রায়ই উগ্র পোশাক, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এবার এই অভিনেত্রী সৌন্দর্যবর্ধনমূলক অস্ত্রোপচারের কারণে সৃষ্ট শারীরিক জটিলতা নিয়ে ভুগছেন বলে জানা গেছে।

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বক্ষস্থলের আকার বৃদ্ধি করতে কয়েক বছর আগে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন শার্লিন। তবে সম্প্রতি তার পিঠ, ঘাড় ও কাঁধে তীব্র ব্যথা দেখা দিলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপাচার করে শরীরে থাকা কৃত্রিম ‘ইমপ্ল্যান্ট’ অপসারণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে শার্লিন জানান, কৃত্রিম উপায়ে স্তনবৃদ্ধি করায় তার শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ওজনের কারণেই পিঠ, ঘাড়, বুক ও কাঁধে অসহনীয় ব্যথা শুরু হয়। পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় অবশেষে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হন তিনি।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন যে, এই ব্যথার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত ভারী স্তন। নিজের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে অভিনেত্রী দ্রুত ‘ইমপ্ল্যান্ট’ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন এবং সম্প্রতি তিনি সেই অস্ত্রোপচার করান।

শার্লিন আরও জানান, স্তন ছাড়া মুখেও তিনি ‘ফিলার’ ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু নিজের আসল রূপ ফিরে পেতে গত বছরের আগস্ট মাসেই মুখের সমস্ত ফিলার সরিয়ে ফেলেন। তিনি বর্তমানে ‘ইমপ্ল্যান্ট’ অপসারণ করে অপেক্ষাকৃত হালকা জীবনযাপন শুরু করেছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।


নতুন রূপে ধরা দিলেন প্রিয়াংকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে হলিউডে নিজের জায়গা পাকা করেও আবারও ভারতে ফিরছেন। এর আগে ২০২১ সালে প্রশংসিত সিনেমা ‘দ্য হোয়াইট টাইগার’-এর পর এবার তিনি দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কিংবদন্তি নির্মাতা এসএস রাজামৌলির পরিচালনায় ‘গ্লোবট্রটার’ সিনেমায় কাজ করছেন।

গত বুধবার সেই সিনেমার চরিত্র ‘মন্দাকিনী’র প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে প্রশংসার বন্যা বয়ে যায়। তারকা থেকে শুরু করে ভক্ত-অনুরাগী- সবাই তার নতুন লুক দেখে উচ্ছ্বসিত। প্রথম পোস্টারেই এক ভিন্ন অবতারে ধরা দিয়েছেন প্রিয়াংকা চোপড়া।

‘মন্দাকিনী’র এই তাক লাগানো লুক প্রকাশের পর থেকেই বলিউড ও হলিউডের তারকাসহ বন্ধুদের প্রশংসার ঢল নেমেছে। প্রিয়াংকার স্বামী জনপ্রিয় গায়ক নিক জোনাস তার স্ত্রীকে নতুন অবতারে দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘অসাধারণ!’ অন্যদিকে বলিউড অভিনেতা রণবীর সিং মন্তব্য করেছেন- ‘খুব কুল।’

‘গ্লোবট্রটার’ সিনেমায় তাকে দেখা গেছে, হলুদ শাড়ি পরে একহাতে বন্দুক তাক করে গুলি ছুড়তে। পোস্টারটি শেয়ার করে ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন- যতটা দেখা যায়, সে তার চেয়েও বেশি কিছু, মন্দাকিনীকে স্বাগত জানাও। প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রিয়াংকা এক্সে একটি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, অর্থাৎ (AskPCJ) সেশন আয়োজন করেছিলেন। সেখানে তিনি ‘গ্লোবট্রটার’ নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি তেলেগু ভাষা শেখা নিয়েও তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়াকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন পরিচালক এসএস রাজামৌলি। এ নির্মাতা বলেন, যিনি ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্বমঞ্চে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, তাকে স্বাগতম- দেশি গার্ল! দুনিয়া তোমার মন্দাকিনীর নানা রূপ দেখার অপেক্ষায়।


আমার কাজ ইউটিউবে দেখানোর জন্য নয়: শাবনূর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দীর্ঘ সময় পর ‘রঙ্গনা’ দিয়ে পর্দায় ফিরছেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। এতে তার ভক্তরা বেশ উচ্ছ্বসিত।

তবে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই নিজের নতুন সিনেমার কিছু ফুটেজ ইউটিউব ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় প্রযোজনা সংস্থার ওপর তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন শাবনূর।

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন অভিনেত্রী।

শাবনূরের ওই পোস্টে তিনি চলচ্চিত্র জগতে পেশাদারিত্বের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এখনকার সময়ের চলচ্চিত্র জগতে মানসম্মত সিনেমা নির্মাণ কঠিন হয়ে পড়েছে এবং শিল্পীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান হারাচ্ছেন।

শাবনূর লেখেন- আমি বড় পর্দার অভিনেত্রী। আমার কাজ ইউটিউবে বিনামূল্যে দেখানোর জন্য নয়। যদি আমি আগে জানতাম এই প্রজেক্টটি সিনেমা হলের বদলে ইউটিউব কনটেন্ট হিসেবে প্রকাশিত হবে, তবে আমি কখনই এতে অংশ নিতাম না।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয় এবং ভক্তদের উচ্ছ্বাসে শাবনূরও আশাবাদী ছিলেন। মহরতের পর কিছু অংশের শুটিংও করেন। তবে নানা জটিলতায় কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। শাবনূর জানান, প্রযোজকের সঙ্গে কথা ছিল তিনি দেশে ফিরে ডিসেম্বরে বাকি অংশের শুটিং শেষ করবেন।

কিন্তু তার আগেই অনুমতি ছাড়া ফুটেজ প্রকাশ করায় তিনি হতবাক। পোস্টে লেখেন- আমি কখনই বলিনি যে ‘রঙ্গনা’ ছবিতে আর কাজ করব না। তাহলে কেন আমার অনুমতি ছাড়াই ছবির অসম্পূর্ণ ক্লিপগুলো ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশ করা হলো? এখন আবার বলা হচ্ছে, পুরোনো সব দৃশ্য বাদ দিয়ে নতুন করে শুটিং হবে, যা একদমই গ্রহণযোগ্য নয়।

এছাড়া শুরু থেকেই প্রযোজনা সংস্থার অপেশাদার আচরণের কথা উল্লেখ করেন শাবনূর। তিনি জানান, কাজ শুরুর আগেই একটি নিম্নমানের পোস্টার প্রকাশ করা হয়, যা ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল। এছাড়া শুটিং ইউনিটে অব্যবস্থাপনা এবং বিদেশে শুটিং ও সম্পাদনার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগও তোলেন তিনি।

এতে নিজের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ও পেশাগত মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে শাবনূর বলেন, এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, পুরো বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যও এক দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা।


banner close