সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
৬ পৌষ ১৪৩২

অনিলের হাত ধরেই ‘বিগ বস ওটিটি’র তৃতীয় সিজন শুরু

অনিল কাপুর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৩ জুন, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৩ জুন, ২০২৪ ০০:০৩

বিগ বস ওটিটি-৩ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। কে হবেন এর হোস্ট? এটা নিয়ে বলিউডে নানা খবর চাউর ছিল। কেননা সালমান খানের হোস্ট হচ্ছেন না সেটা আগেই জানা গেছে। ফলে সালমানের স্থলে কে করবেন এত বড় শোর ওটিটি-৩ ভার্সনের হোস্ট! সারা বিশ্বে বিগ বসের আজকে যে জনপ্রিয়তা তার বেশিরভাগ অংশই হচ্ছে সালমানের জনপ্রিয়তার কারনেই। শেষমেষ জানা যায় এই শোর ওটিটি ভার্সনের উপস্থাপনা করবেন অনিল কাপুর। ‍

যদির শুরুতে সালমান খানের ছবি দিয়ে প্রথম পোস্টার প্রকাশ্যে আসা থেকে নতুন সিজনের ঘোষণা, এরপর শেষমুহূর্তে সঞ্চালক পরিবর্তন। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসে অনিল কপুর এই সিজনে সঞ্চালনার দায়িত্ব নেবেন। ইতিমধ্যে, প্রতিযোগিদের একটি তালিকাও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো বিগ বসের মঞ্চ সামলাবেন অনিল কাপুর।

‘বিগ বস ওটিটি ৩’-এর প্রিমিয়ার সম্প্রতি শুরু হয়েছে। নির্মাতারা দর্শকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চব্বিশ ঘণ্টা সাতদিনের সব মুহূর্ত তুলে ধরবেন। অনুষ্ঠানটি প্রতিদিন রাত ৯টায় প্রচারিত হবে।

‘বিগ বস ওটিটি’র তৃতীয় সিজনের প্রতিযোগী অভিনেতা রণবীর শোরে, লভ কাটারিয়া, সানা মকবুল, সাই কেতন রাও, পৌলমী পোলো দাস এবং মুনিশা খাতওয়ানি ‘বিগ বস ওটিটি ৩’-এ অংশগ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে শিবানী কুমারী, বিশাল পাণ্ডে, আরমান মালিক এবং তার দুই স্ত্রী এবং সানা সুলতানের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীরাও রয়েছেন। এ ছাড়া জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার চন্দ্রিকা দীক্ষিত, সাংবাদিক দীপক চৌরাসিয়া, র‌্যাপার নেজি এবং কুস্তিগির নিরজ গোয়াতও বিগ বস ওটিটি হাউজে থাকছেন।

চলতি সিজনে অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, সংগীতশিল্পী, সংবাদ জগৎ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমের লোকেরা উপস্থিত থাকছেন যা এই সিজনকে আরও টানটান করে তুলবে বলে আশাবাদী সবাই। এখন দেখার বিষয় সালমানের জায়গায় অনিল কাপুর কতটা জমাতে পারেন এই শো।


ভিজ্যুয়ালের চমক থাকলেও গল্পের খরায় সমালোচনার মুখে ‘অ্যাভাটার ৩’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

জেমস ক্যামেরনের বিশ্বখ্যাত ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘অ্যাভাটার’-এর তৃতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দুই কিস্তির আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর এই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা থাকলেও মুক্তির পর থেকে অভিজ্ঞতা অনেকটা মিশ্র। অনেক দর্শক ও সমালোচকের মতে, জেমস ক্যামেরন পর্দায় জাদুকরী দৃশ্য তৈরি করতে পারলেও গল্পের গভীরতায় এবার খেই হারিয়েছেন। প্যান্ডোরার আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের মানুষ বা ‘মাংকওয়ান’ গোষ্ঠীকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও সিনেমার মূল গাঁথুনি দর্শকদের মন জয় করতে হিমশিম খাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের একটি বড় অংশ সিনেমাটিকে ‘একই গল্পের পুনরাবৃত্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষ করে এক্স (সাবেক টুইটার) ও ফেসবুকে সিনেমাটি নিয়ে চলছে নানা রসিকতা। জেমস ক্যামেরন ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট বা ভিএফএক্স-এর ওপর মাত্রাতিরিক্ত জোর দিলেও গল্পের আবেগের জায়গাটি নড়বড়ে হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ক্ষুব্ধ দর্শক তো সিনেমাটিকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ বলে মন্তব্য করেছেন। দর্শকদের বড় অভিযোগ—৩ ঘণ্টা ১০ মিনিটের এই দীর্ঘ সিনেমায় কেবল কারিগরি কারসাজি আছে, কিন্তু গত কিস্তিগুলোর মতো হৃদয়ছোঁয়া অনুভূতি নেই।

কারিগরি দিক থেকে সিনেমাটি অনন্য হওয়ায় অনেক সমালোচক মনে করছেন, এটি বরাবরের মতোই ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ক্যাটাগরিতে অস্কারের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে। প্যান্ডোরার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও নাভিদের নিজেদের রেষারেষির বিষয়টি নতুন মাত্রা যোগ করলেও দীর্ঘ সময় ধরে একই ধরনের দৃশ্যপট অনেক দর্শকের কাছে ক্লান্তিকর মনে হয়েছে। তবে গল্পের সমালোচনা থাকলেও বক্স অফিসে কিন্তু এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি বক্স অফিসে শক্তিশালী সূচনা করেছে। যদিও দ্বিতীয় কিস্তির তুলনায় উদ্বোধনী আয়ের গ্রাফ এবার কিছুটা নিম্নমুখী, তবুও চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা দেখার অপেক্ষায় আছেন এটি আগের মতো ২ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে পৌঁছাতে পারে কি না।


সাফল্যের মূলমন্ত্র জানালেন শাকিব খান: নিজেকে প্রতিনিয়ত বদলানোর নেপথ্য দর্শন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান মানেই বড় পর্দায় নতুন নতুন চমক আর ভিন্ন সব লুক। ক্যারিয়ারের দুই দশক পেরিয়েও প্রতিটি সিনেমায় তিনি যেভাবে নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়ছেন, তা নিয়ে ভক্তদের মাঝে দীর্ঘদিনের কৌতূহল ছিল। সম্প্রতি সেই কৌতূহলের অবসান ঘটিয়েছেন মেগাস্টার নিজেই। নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রামে একটি স্টাইলিশ ছবি পোস্ট করার পর এক ভক্তের প্রশ্নের জবাবে শাকিব খান তুলে ধরেন তাঁর জীবনের পরিবর্তনের দর্শন ও সাফল্যের নেপথ্য কাহিনী।

সেই ভক্ত শাকিব খানকে মেনশন করে প্রশ্ন করেছিলেন, একজন মানুষ কীভাবে প্রতিনিয়ত এবং এত দ্রুত নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেন? ভক্তের এই আন্তরিক কৌতূহল এড়িয়ে যাননি সুপারস্টার। উত্তরে তিনি জানান, সময়, অভিজ্ঞতা আর শেখার অদম্য ইচ্ছা থাকলে যে কেউ নিজেকে বদলে ফেলতে সক্ষম। শাকিবের মতে, যারা এগিয়ে যাওয়া বা নতুন কিছু শেখা বন্ধ করে দেয়, তারা আসলে সময়ের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রতিটি দিনই নিজেকে আরও উন্নত ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একেকটি সুবর্ণ সুযোগ।

নিজের নিরন্তর পথচলার কথা উল্লেখ করে শাকিব খান আরও বলেন যে, তিনি কখনো এক জায়গায় থেমে থাকেন না; বরং প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিজেকে আরও নিখুঁত করার চেষ্টা চালিয়ে যান। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এই মানসিকতাকেই তিনি তাঁর দীর্ঘস্থায়ী সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে দেখছেন। তাঁর এই ইতিবাচক মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ভক্তরা মনে করছেন, এই নিরলস পরিশ্রম আর আধুনিক মানসিকতাই তাঁকে দুই দশক ধরে ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষস্থানে টিকিয়ে রেখেছে। বর্তমানে তিনি তাঁর আসন্ন প্রজেক্টগুলো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন, যেখানে দর্শক আবারও তাঁকে সম্পূর্ণ নতুন কোনো অবতারে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।


সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নোরা ফাতেহি

আপডেটেড ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১১
বিনোদন ডেস্ক

মুম্বাইয়ের ব্যস্ত সড়কে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। আলোর ঝলকানি আর মঞ্চের গতির বিপরীতে মুহূর্তের অসতর্কতা তাঁকে বড় ধরনের বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। জানা গেছে, মুম্বাইয়ের একটি জনবহুল রাস্তায় একটি দ্রুতগতির গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নোরার গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। দুর্ঘটনার পরপরই চারপাশে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাথায় চোট পাওয়ার কারণে চিকিৎসকেরা কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নোরার সিটি স্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে স্ক্যান রিপোর্টে স্বস্তির খবর মিলেছে; তাঁর মাথায় বড় ধরনের কোনো জখম বা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। যদিও শারীরিক ধকল সামলে নিতে চিকিৎসকরা তাঁকে কয়েকদিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকার কড়া পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু নোরা যেন নিজের সংকল্পে ছিলেন অনড়।

চিকিৎসকদের সেই পরামর্শ উপেক্ষা করেই হাসপাতাল থেকে সরাসরি নিজের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন এই অভিনেত্রী। দুর্ঘটনাকবলিত সেই গাড়িতে নোরার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বখ্যাত মার্কিন সংগীতশিল্পী ডেভিড গুয়েটা। তাঁরা দুজনেই জনপ্রিয় সানবার্ন ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। মাথার তীব্র যন্ত্রণা আর দুর্ঘটনার আতঙ্ক সঙ্গী করেই নোরা শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বিপদের মুহূর্তেও নিজের পেশাদারিত্ব এবং অদম্য মনোবলের এমন নজির দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্তরা। নোরার এই দৃঢ়তা যেমন সবাইকে অবাক করেছে, তেমনি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দর্শকদের প্রতি নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে নোরা ফাতেহি আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত তারকা।


শিকড়ের টানে বাংলা শিখছেন বলিউডের নবাব সাইফ আলি খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা সাইফ আলি খানের রক্তে বইছে ঠাকুর পরিবারের উত্তরাধিকার। মা শর্মিলা ঠাকুরের মাধ্যমে বাংলার মাটির সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান দীর্ঘদিনের হলেও এতদিন বাংলা ভাষা বা সাহিত্য চর্চায় তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে এবার সেই অপূর্ণতা ঘোচাতে এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পতৌদির নবাব। হঠাৎ করেই বাংলা ভাষা শেখার প্রতি তাঁর এই গভীর আগ্রহ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাইফ আলি খান জানিয়েছেন, তিনি আগামী তিন মাস সব ধরনের শুটিং থেকে সম্পূর্ণ বিরতি নিচ্ছেন। এই দীর্ঘ বিরতি তিনি কোনো বিনোদনের জন্য নয়, বরং নিবিড়ভাবে বাংলা ভাষা শেখার পেছনে ব্যয় করবেন। জানা গেছে, বাড়িতে নিয়মিত শিক্ষক রেখে ভাষাটি রপ্ত করার জন্য তিনি কঠোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর এই বিশেষ উদ্যোগের পেছনে ব্যক্তিগত কৌতূহল নাকি পেশাগত কোনো বড় পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে, তা নিয়ে সিনেমাপাড়ায় চলছে জোর গুঞ্জন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, একজন বরেণ্য বাঙালি ব্যক্তিত্বের বায়োপিকে অভিনয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে সাইফের কাছে। সেই চরিত্রের সংলাপে নিখুঁত বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তোলার জন্যই মূলত তিনি এই ভাষা রপ্ত করার মিশন হাতে নিয়েছেন। তবে সেই রহস্যময় ব্যক্তিত্ব কে বা চলচ্চিত্রটির নাম কী, সে বিষয়ে অভিনেতা এখনো মুখ খোলেননি। মায়ের শিকড়ে ফেরার এই টানে সাইফকে সার্বক্ষণিকভাবে সাহায্য করছেন মা শর্মিলা ঠাকুর। মায়ের সাহচর্যে সাইফ কতটা দ্রুত বাংলা রপ্ত করতে পারেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

নতুন এই মিশনের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবনের এক কঠিন সময়ের কথাও সম্প্রতি জনসমক্ষে এনেছেন সাইফ। চলতি বছরের শুরুতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার এক ভয়াবহ ট্রমা আজও তাঁকে তাড়া করে ফেরে। টুইঙ্কেল খান্না ও কাজলের একটি টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি জানান, সেই রাতের আতঙ্ক এখনো তাঁর চোখে ভেসে ওঠে। বিশেষ করে ছোট ছেলে জেহ-র নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি আজও শিউরে ওঠেন। সব মিলিয়ে জীবনের এক নতুন বাঁকে দাঁড়িয়ে সাইফ আলি খান যেমন একদিকে পুরোনো ক্ষত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন, তেমনি ভাষা ও শিল্পের মাধ্যমে নিজের শিকড়কে আরও গভীরভাবে আঁকড়ে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।


জীবনের প্রথম পুরস্কার মাকে উৎসর্গ করলেন আরিয়ান খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান তার পরিচালনার প্রথম কাজেই বাজিমাত করেছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আয়োজিত ‘এনডিটিভি ইন্ডিয়ান অফ দ্য ইয়ার’ অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা নবাগত পরিচালকের (বেস্ট ডেবিউ ডিরেক্টর) সম্মাননা জিতেছেন তিনি। নিজের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘দ্য বাডাস অফ বলিউড’-এর অভাবনীয় সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার গ্রহণের সময় এক আবেগঘন ও রসবোধপূর্ণ বক্তব্যে আরিয়ান এই অর্জন তার মা গৌরী খানকে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবার মতো আমিও পুরস্কার খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই পুরস্কারটি বাবার জন্য নয়, আমার মায়ের জন্য।’ মায়ের শাসনের কথা স্মরণ করে তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘মা সবসময় আমাকে বলতেন—তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাও, কাউকে নিয়ে মজা কোরো না আর গালিগালাজ কোরো না। অথচ ঠিক এই গুণগুলোর জন্যই আজ এনডিটিভি আমাকে এই পুরস্কার দিয়েছে। আজ রাতে বাড়ি ফেরার পর নিশ্চিতভাবেই আমাকে বকুনি একটু কম খেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরিয়ানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার দিদিমা সবিতা ছিব্বর। নাতির সাফল্যে গর্বিত দিদিমা জানান, পুরো দেশ আজ তার নাতির কৃতিত্বকে সম্মান জানাচ্ছে, যা তার জন্য অত্যন্ত গর্বের। দিদিমার এমন প্রতিক্রিয়ায় আরিয়ান মঞ্চ থেকেই প্রতিশ্রুতি দেন যে, তার পরবর্তী পুরস্কারটি তিনি দিদিমাকে উৎসর্গ করবেন। অনুষ্ঠান শেষে দর্শকাসনে গিয়ে দিদিমাকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্যটি উপস্থিত সবার প্রশংসা কুড়ায়।

মুম্বাইয়ের ধীরুভাই আম্বানি স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রোডাকশন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন আরিয়ান। শিশুশিল্পী হিসেবে ‘কভি খুশি কভি গম’ এবং বিভিন্ন অ্যানিমেটেড ছবিতে কণ্ঠ দিলেও পরিচালক হিসেবে ‘দ্য বাডাস অফ বলিউড’-এর মাধ্যমে তার অভিষেক হলো। রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে নির্মিত সাত পর্বের এই সিরিজে অভিনয় করেছেন লক্ষ্য, ববি দেওল এবং সাহের বাম্বার মতো তারকারা। বলিউড গ্ল্যামার, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেপথ্য কাহিনী নিয়েই সিরিজটি নির্মিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকে এনডিটিভি ভারতের প্রগতি ও পরিচয়ের ধারক ব্যক্তিদের সম্মান জানিয়ে আসছে। বিজ্ঞান, ব্যবসা, খেলাধুলা এবং বিনোদনসহ ১৪টি ভিন্ন বিভাগে বিশেষ অবদানের জন্য এই বছরও অসামান্য ভারতীয়দের পুরস্কৃত করা হয়েছে।


দেবের নায়িকা হয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ছোটপর্দার জ্যোতির্ময়ীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

টালিউডের ছোটপর্দার অভিনেত্রী জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু এবার পা রাখছেন রুপালি জগতে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাওয়া ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে তার। আর প্রথম সিনেমাতেই তিনি নায়িকা হিসেবে পেয়েছেন টলিউড সুপারস্টার দেবকে। সিনেমায় একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, যার কিছু ঝলক ইতিমধ্যে দর্শকদের নজর কেড়েছে।

বর্ধমানে বেড়ে ওঠা জ্যোতির্ময়ী ছোটবেলা থেকেই মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি পোস্ট করার সূত্র ধরেই এক পরিচিতের মাধ্যমে প্রথম ফটোশুটের সুযোগ পান। সেখান থেকেই শোবিজ দুনিয়ায় তার পথচলা শুরু। টেলিভিশনের ‘বধূঁয়া’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন। তার সেই অভিনয় নজর কাড়ে সুপারস্টার দেবের, যার ফলে তিনি ডাক পান ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমায়।

বর্ধমানের সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা এই অভিনেত্রীর জন্য কলকাতা পর্যন্ত যাত্রাটা সহজ ছিল না। তিনি জানান, ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকে নিয়মিত বর্ধমান থেকে কলকাতায় যাতায়াত করতে হতো। তবে পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছিল তার সঙ্গে। কোনো রক্ষণশীলতার বেড়াজালে তাকে পড়তে হয়নি।

নিজের প্রথম সিনেমাতেই দেব এবং বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার বিষয়ে জ্যোতির্ময়ী জানান, শুটিংয়ের সময় তিনি বুঝতেই পারেননি এত বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিবেশ এতটাই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল যে তার জন্য অভিনয় করা সহজ হয়ে গিয়েছিল।

আগামী দিনে ছোটপর্দায় তাকে আর দেখা যাবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে জ্যোতির্ময়ী জানান, বিষয়টি এখনই চূড়ান্ত করে বলা কঠিন। আপাতত তিনি ২৫ ডিসেম্বর সিনেমা মুক্তির দিকেই তাকিয়ে আছেন।


অবৈধ বেটিং অ্যাপে প্রচার: মিমি-অঙ্কুশ ও যুবরাজসহ একাধিক তারকার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

অবৈধ বেটিং বা জুয়া অ্যাপ প্রচারণা ও সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। শুক্রবার সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গ ও বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা এবং জাতীয় দলের সাবেক দুই ক্রিকেটারের মোট ৭ কোটি ৯৩ লাখ রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকা) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।

বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির তালিকায় রয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ও অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। ইডি মিমি চক্রবর্তীর ৫৯ লাখ রুপি এবং অঙ্কুশ হাজরার ৪৭ লাখ ২০ হাজার রুপির সম্পত্তি জব্দ করেছে। এছাড়া বলিউডের অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার ২ কোটি ২ লাখ, সোনু সুদের ১ কোটি এবং নেহা শর্মার ১ কোটি ২৬ লাখ রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, উর্বশী রাউতেলার বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিটি তার মায়ের নামে ছিল।

তালিকায় রয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় দুই সাবেক ক্রিকেটারও। এর মধ্যে যুবরাজ সিংয়ের ২ কোটি ৫০ লাখ এবং রবিন উথাপ্পার ৮ লাখ ২৬ হাজার রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

দীর্ঘদিন ধরেই এই অবৈধ বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে ইডি। এর আগে তদন্তের স্বার্থে মিমি চক্রবর্তী ও অঙ্কুশ হাজরাকে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে ডেকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এই তারকারা অবৈধ উৎস থেকে অর্থ গ্রহণ করে অ্যাপটির প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন এবং আর্থিক সুবিধা ভোগ করেছিলেন। উল্লেখ্য, একই মামলার তদন্তে এর আগে ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার প্রায় সাড়ে ১১ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।


নাবিলা যখন ‘বনলতা সেন’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আগামী ঈদের সিনেমার দৌড়ে শামিল হতে যাচ্ছে কবি জীবনানন্দ দাশের কাল্পনিক নারী চরিত্র অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘বনলতা সেন’। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। গত বছরেই সিনেমাটি মুক্তির কথা থাকলেও তৎকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে সব ঠিক থাকলে আগামী ঈদুল ফিতরে (২০২৬) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

সিনেমাটিতে নামভূমিকায় অর্থাৎ ‘বনলতা সেন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। তবে এই কাঙ্ক্ষিত চরিত্রটি নিজের করে নেওয়া নাবিলার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। জানা যায়, শুরুতে পরিচালক তাকে অন্য একটি চরিত্রের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু নাবিলা সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে নির্মাতাকে সাফ জানিয়ে দেন, তিনি বনলতা সেন চরিত্রটিই করতে চান। পরবর্তীতে তিন দফা চ্যালেঞ্জিং অডিশনের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে তবেই চরিত্রটি নিশ্চিত করেন তিনি।

সিনেমায় জীবনানন্দ দাশের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা খায়রুল বাসারকে। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নাজিবা বাশার, প্রিয়ন্তী উর্বী, রুপন্তী আকীদ, শরিফ সিরাজ ও সুমাইয়া খুশি প্রমুখ।

নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল জানান, সিনেমাটি নির্মাণে কিছুটা বেশি সময় লাগলেও এর গুণগত মানের বিষয়ে তিনি কোনো আপস করেননি। তিনি বলেন, জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে কাজ করা অনেক বড় দায়বদ্ধতার বিষয়। গবেষণা, প্রস্তুতি এবং উপযুক্ত অভিনয়শিল্পী খোঁজার পুরো প্রক্রিয়াটিই ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। আগামী ঈদে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ও ‘পিনিক’-এর মতো সিনেমার ভিড়ে নাবিলার ‘বনলতা সেন’ দর্শকদের মন কতটা জয় করতে পারে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।


মহাকাশে বিয়ের স্বপ্নভঙ্গ, আবারও নতুন সম্পর্কের খোঁজে টম ক্রুজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দীর্ঘদিনের প্রেমিকা কিউবান-স্প্যানিশ অভিনেত্রী আনা দে আরমাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবারও নতুন করে প্রেমে পড়তে প্রস্তুত হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ। শোনা যাচ্ছিল, তাদের বিয়ের আয়োজন হবে মহাকাশে, যা প্রায় চূড়ান্তও ছিল। কিন্তু হঠাতই সেই স্বপ্নে ছেদ পড়ে এবং আনা দে আরমাসের সিদ্ধান্তে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের সেই ধকল কাটিয়ে ৬৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা এখন নতুন জীবনসঙ্গিনীর সন্ধান করছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানা যায়, আনা দে আরমাসের সঙ্গে টম ক্রুজের সম্পর্কের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র নয় মাস। যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া এই প্রেম লন্ডন ও মাদ্রিদ পর্যন্ত গড়ালেও শেষ পর্যন্ত তা টেকেনি। সংশ্লিষ্টদের মতে, টম ক্রুজের আধিপত্যবাদী স্বভাব এবং দুজনের মধ্যে ২৬ বছরের বয়সের বিশাল ব্যবধানই এই বিচ্ছেদের মূল কারণ। মূলত আনা নিজেই এই সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

বিচ্ছেদে কিছুটা মুষড়ে পড়লেও টম ক্রুজ দীর্ঘ সময় একা থাকতে রাজি নন। অভিনেতার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তিনি নতুন সম্পর্কের জন্য মুখিয়ে আছেন এবং বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করেছেন তাকে কারও সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। তবে এবার প্রেমিকা হিসেবে টমের পছন্দ ব্রিটিশ উচ্চবিত্ত সমাজের কোনো নারী। যদিও চলচ্চিত্র জগতের বাইরে গিয়ে এমন যোগাযোগ স্থাপন করা তার জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে পড়ছে।

এদিকে টম ক্রুজের নতুন সঙ্গিনী হিসেবে বেশ কয়েকজন বড় তারকার নাম গুঞ্জনে উঠে এসেছে। এই তালিকায় রয়েছেন ডেমি মুর, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এবং জেনিফার লোপেজের মতো তারকারা। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকান অভিনেত্রী চার্লিজ থেরনের প্রতি টম বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং শিগগিরই তার সঙ্গে যোগাযোগের পরিকল্পনা করছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।


শেষ হলো নতুন ‘স্পাইডার ম্যান’-এর শুটিং, জানা গেল মুক্তির তারিখ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সুপারহিরো ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘স্পাইডার ম্যান’-এর পরবর্তী কিস্তি ‘স্পাইডার ম্যান: ব্র্যান্ড নিউ ডে’-এর শুটিং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছেন সিনেমাটির পরিচালক ডেসটিন ড্যানিয়েল ক্রেটন। বড় বাজেটের এই সিনেমাটি আগামী বছর বিশ্বজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে পরিচালক ক্রেটন সিনেমাটির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে সিনেমার প্রধান অভিনেতা টম হল্যান্ডের কাজের প্রতি একাগ্রতা ও নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। টমকে উদ্দেশ্য করে নির্মাতা লেখেন, ‘পর্দার ভেতরে এবং বাইরে তোমার উদার নেতৃত্ব এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠার জন্য ধন্যবাদ। দর্শকরা বড় পর্দায় তোমাদের এই দুর্দান্ত কাজটি দেখার জন্য আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’ পরিচালক আরও উল্লেখ করেন যে, এটি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় এবং ফলপ্রসূ কাজ হতে যাচ্ছে।

নতুন এই কিস্তিতে দর্শকদের জন্য বড় চমক হিসেবে থাকছেন মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের জনপ্রিয় চরিত্র ‘হাল্ক’ খ্যাত মার্ক রাফালো। এছাড়া ‘দ্য পানিশার’ চরিত্রে জন বার্নথাল এবং ‘স্পাইডার-ম্যান: হোমকামিং’-এর স্করপিয়ন চরিত্রে মাইকেল মান্ডোকে দেখা যাবে। জনপ্রিয় সিরিজ ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ তারকা স্যাডি সিঙ্কও যুক্ত হয়েছেন এই সিনেমায়। পাশাপাশি এমজে এবং নেড চরিত্রে যথারীতি জেনডায়া ও জেকব বাটালন ফিরে আসছেন।

সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ক্রিস ম্যাককেনা ও এরিক সোমারস। এর আগে গত আগস্ট মাসে সনি পিকচার্স এবং মার্ভেল স্টুডিওস এই সিনেমার জন্য টম হল্যান্ডের নতুন একটি ‘স্পাইডি স্যুটের’ ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছিল। সবকিছু ঠিক থাকলে সনি ও মার্ভেলের যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমাটি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ৩১ জুলাই বিশ্বজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।


যুক্তরাষ্ট্রে মৌসুমী-শাবনূরের আবেগঘন পুনর্মিলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমার নব্বইয়ের দশকের দুই জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও শাবনূর। একসময়ে রূপালি পর্দায় তাদের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও বাস্তব জীবনে তাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এই দুই তারকার আবেগঘন পুনর্মিলন হয়েছে, যা ভক্তদের মাঝে দারুণ উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে।

গত বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল চিত্রনায়িকা শাবনূরের ৪৬তম জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটি উদযাপন করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে একমাত্র ছেলে আইজানকে নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি সেখানে আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা অমিত হাসানের বাসায় অবস্থান করছেন। শাবনূরের আগমনের খবর পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সপরিবারে বসবাসরত মৌসুমী নিজেকে আর আটকে রাখতে পারেননি।

প্রিয় সহকর্মীর আগমনের সংবাদ পেয়ে একগুচ্ছ ফুল হাতে অমিত হাসানের বাসায় ছুটে যান মৌসুমী। দীর্ঘদিন পর একে অপরকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ঢাকাই সিনেমার এই দুই নক্ষত্র। তারা একে অপরকে ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরেন। এই আনন্দঘন মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন স্বয়ং শাবনূর। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘অনেকদিন পর মৌসুমী আপুর সাথে দেখা। আপুকে কাছে পেয়ে মনটা ভরে গেছে, কী যে ভালো লেগেছে!’

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে মৌসুমী এবং একই বছর ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে শাবনূরের। তিন দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে তারা দুজনেই উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা। বিদেশের মাটিতে পর্দার এই দুই চিরচেনা নায়িকার পুনর্মিলনের দৃশ্য নেটিজেনদেরও আবেগপ্রবণ করেছে।


অনুষ্ঠানে হেনস্তার শিকার দক্ষিণী অভিনেত্রী নিধি আগারওয়াল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিধি আগারওয়াল সম্প্রতি তার ‘রাজা সাব’ সিনেমার গান মুক্তির অনুষ্ঠানে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন ভক্তের সীমাহীন আচরণের শিকার হন তিনি, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময় ভক্তরা অভিনেত্রীর সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে, ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে নিধির পোশাক ধরে টানাটানি করা হয় এবং কয়েকজন তার খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গায়িকা চিন্ময়ী শ্রীপাদা ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এরা মানুষ নাকি হায়েনা?’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, এমন ঘটনার জন্য নিরাপত্তা ও সম্মানের বিষয়টি কোথায়? তবে অভিনেত্রী নিধি আগারওয়াল বা সিনেমাটির নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


হাজার কোটির পথে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’, ভাঙল ‘বাহুবলী’র রেকর্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে বক্স অফিসে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে বলিউড তারকা রণবীর সিংয়ের। নানা বিতর্ক আর আইনি জটিলতা পেছনে ফেলে গত ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাটি এখন হাজার কোটি রুপির ক্লাবে প্রবেশের অপেক্ষায়। মুক্তির মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ৫০০ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়ে সিনেমাটি এখন ভারতীয় বক্স অফিসে নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মুক্তির মাত্র তেরো দিনেই ‘ধুরন্ধর’ দেশ ও বিদেশের দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। বক্স অফিস রিপোর্ট বলছে, এখন পর্যন্ত ভারতে ছবিটির আয় দাঁড়িয়েছে ৪৩৭ কোটি ২৫ লাখ রুপি এবং বিশ্বব্যাপী এর মোট সংগ্রহ ৬৭৪ কোটি ৫০ লাখ রুপি। প্রথম সপ্তাহে ভারতে ২০৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার ব্যবসার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও ২৩০ কোটি টাকা আয় করে সিনেমাটি তার জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।

আয়ের দিক থেকে সিনেমাটি ইতোমধ্যেই আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা’, শাহরুখ খানের ‘ডাঙ্কি’ এবং হৃতিক রোশনের ‘ওয়ার’-এর মতো ব্লকবাস্টারগুলোকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। এমনকি এসএস রাজামৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’-এর বিশ্বব্যাপী ৬৫০ কোটি টাকার রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে রণবীর সিং ও অক্ষয় খান্না অভিনীত এই সিনেমা। স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়ের বিচারে রণবীর কাপুর অভিনীত ‘অ্যানিম্যাল’-এর পরেই বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ‘ধুরন্ধর’।

দক্ষিণী সিনেমার দাপটের যুগে বলিউডের এই ঘুরে দাঁড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। আয়ের এই গতি বজায় থাকলে খুব শীঘ্রই সিনেমাটি ১০০০ কোটি রুপির ক্লাবে প্রবেশ করবে এবং হয়তো ৯১৫ কোটি টাকা আয় করা ‘অ্যানিম্যাল’-এর রেকর্ডও ভেঙে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রণবীর সিংয়ের ক্যারিয়ারের মন্দা কাটিয়ে ‘ধুরন্ধর’ এখন বলিউডের নতুন গর্ব হয়ে উঠেছে।


banner close