রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আবার দীপিকা ঝলক

ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০৩
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০৩

প্রথমবার দক্ষিণী তারকা প্রভাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। সিনেমার ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী শুক্রবার। ছবিতে প্রভাস ছাড়াও ‘অশ্বথামা’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বলিউড শাহেন শাহ অমিতাভ বচ্চন। ৬০০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমায় পৌরাণিক চরিত্র ‘কল্কি’র ভূমিকায় দেখা যাবে প্রভাসকে। আর দীপিকাকে দেখা যাবে ‘পদ্মা’র ভূমিকায়। খলনায়ক হয়েছেন কমল হাসান।

এর আগে করোনা সংকটসহ নানা কারণে একাধিকবার পিছিয়েছে সিনেমার মুক্তি। গত ২৩ জুন সিনেমাটির অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। দুই দিনে সারা ভারতে প্রায় ৭ লাখ অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। স্যাকনিল্ক ডটকমের তথ্য অনুসারে, ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনে সারা ভারতে ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫০টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে তেলেগু ভার্সনে। টু-ডি এবং থ্রি-ডি ফরম্যাটে মোট টিকিট বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৮ হাজার ৫০৭টি। প্রথম দিনের ১০ হাজার ৮২টি শো থেকে মোট আয় হয়েছে ২০ কোটি ৬৮ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি)।

জানা গেছে একই সঙ্গে হিন্দি ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পাবে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমা। পাশাপাশি তামিল, মালায়ালাম, কন্নড়, ইংরেজিসহ আরও কয়েকটি ভাষায় ডাবিং করে মুক্তি দেওয়া হবে এটি। সায়েন্স ফিকশন ঘরানার এই ছবিটি মুক্তির আগেই নাকি তার অনেকটা ফেরত পাচ্ছেন প্রযোজকরা।

‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমাটিকে ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি সংযোজন বলে মনে করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। ছবিটির মুক্তির জন্য রীতিমতো উন্মুখ হয়ে আছেন এই বলিউড ও হলিউড অভিনেত্রী। দীপিকার ধারণা, মুক্তির আগেই যেভাবে শোরগোল পড়েছে, মুক্তির পর পুরো ভারতজুড়ে হইচই ফেলে দেবে সিনেমাটি। পাশাপাশি ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা প্রভাসের প্রশংসাও করেন দীপিকা।

কয়েকদিন আগে মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে সিনেমা মুক্তির উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই রাতে এক মঞ্চে বলিউড ও দক্ষিণী তারকাদের সমাগম হয়েছিল। নিজের বেবি বাম্প নিয়েই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন দীপিকা। আলাপচারিতার একপর্যায়ে দীপিকাকে ধন্যবাদ জানান প্রভাস। বলেন, ‘দীপিকা সুন্দরী, অভিনেত্রী হিসেবেও দুর্দান্ত; সবচেয়ে বড় কথা তিনি মহাতারকা। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ।’

বিষয়:

অভিমানী আসিফ আকবর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশের আপামর শ্রোতাদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় একজন গায়ক আসিফ আকবর। সংগীতাঙ্গনে তাকে বলা হয় বাংলা গানের যুবরাজ। প্রতিবাদী ও স্পষ্টবাদী বলেও পরিচিত তিনি। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে গান গাওয়ার সুযোগ পাননি অসংখ্য হিট গানের এই গায়ক। এমনকি তার গাওয়া কোনো গানও বাজানো হতো না এ দুই প্রচারমাধ্যমে।

এখন আসিফ আকবরের কাছে নিয়মিত ফোন আসছে বেতার ও বিটিভি থেকে। তাকে ঘিরে সাজানোর পরিকল্পনা করছে নতুন নতুন সংগীতানুষ্ঠান! কিন্তু আসিফ আকবর তো অন্য অনেকের মতো নন। বরাবরই প্রতিবাদী, অভিমানীও বটে। তাই এসব ফোন আর পরিকল্পনার গল্প শুনে কাতর হননি তিনি। বরং বিনয়ের সঙ্গে ফেরালেন সেই প্রস্তাব। জানান দিলেন, ২৪ বছরের ক্যারিয়ারের ১৮ বছরই কেটেছে কালো তালিকায়। বাকিটাও কাটুক না হয় এমন।

আসিফ আকবর বলেন, ‘বাংলাদেশ বেতারের একজন কর্মী আমাকে দাওয়াত দিয়েছে তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। মেয়েটির বিনয়ী প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই হলো। আরও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী বেতারে আছেন, যারা বিগত ষোল বছর আমার গান চালাতে চাইত, পারত না- এখন পারছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকেও ফোন পেয়েছি। প্রোগ্রাম প্রডিউসার বলেছে, আপনাকে নিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে চাই। তাকেও বিনয়ের সাথে না করে দিয়েছি। আমি নিকট অতীতে দেখেছি বিটিভিতে আমার গান চলেছে ঠিকই, শুধু নামটি বদলে দিয়েছে।’

শুধু সরকারি দুই মাধ্যম নয়, আসিফ আকবর স্পষ্ট কণ্ঠে জানালেন আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত। শুধু বিটিভি নয়, অন্য কোনো টেলিভিশন চ্যানেলেও গান না গাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আসিফ লেখেন, ‘চব্বিশ বছরের ক্যারিয়ারে (ওয়ান-ইলেভেনসহ ) জীবন থেকে চলে গেছে আঠারো বছর। যৌবন পেরিয়ে এখন আমি মধ্যবয়সি। ফাঁকে ফাঁকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গাইতাম, এখন আর গাই না, সেখানেও আর কখনো গাইব না। এসব নিয়ে আর কষ্ট পাই না। দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। সেই মাথা ভরা চুল আর নেই, সাদাও হয়ে গেছে কিছু, চোখের দৃষ্টিও ঝাপসা হয়েছে একটু। তবুও রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ আমাকে দেশে থাকতে দেওয়ার জন্য। গান গাওয়া আমার পেশা, মঞ্চে গাইব আর অল্প কয়েকটা বছর। কোটি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তাদের সামনে গাইবার ইচ্ছা আছে, নিশ্চয়ই তারাও বঞ্চিত হয়েছে! বেতার/বিটিভিতে আমার জায়গায় সুযোগ পাবে অন্য কেউ একজন, সেখানেই আনন্দ খুঁজে নেব।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অডিও ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে সর্বোচ্চ সফল আধুনিক গানের শিল্পী আসিফ আকবর। যিনি বিএনপি সমর্থন করেন বলে রাজনৈতিক বঞ্চনার শিকার হয়েছেন গত ১৮ বছর ধরে।

বিষয়:

বিরানব্বই বসন্তে আশা ভোঁসলে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

উপমহাদেশের অন্যতম প্রথিতযশা গায়িকা আশা ভোঁসলে। ভারতের প্লে-ব্যাক শিল্পী হিসেবে খ্যাতি পাওয়া দুই দিকপালে, একজন লতা মুঙ্গেশকর এবং আরেকজন আশা ভোঁসলে। একই মায়ের দুই সহোদরা। দুজনেই হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি। পৃথিবীর ইতিহাসেই এটা বিরল। লতা মঙ্গেশকর একপর্যায়ে বয়সের কারণে প্লে-ব্যাক ছেড়ে দিলেও আশা ভোঁসলে তারপরেও দীর্ঘদিন ভারতীয় প্লে-ব্যাককে প্রায় একতরফা শাসন করে এসেছিলেন।

আজ জীবনের ৯২তম বছরে পা রাখলেন আশা ভোঁসলে। ১৯৩৩ সালের আজকের দিনে মহারাষ্ট্রের সাংলিতে মঙ্গেশকর পরিবারে জন্ম তার। মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন পুনে থেকে কোলহাপুরে এবং পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ে। ১৯৪৩ সালে জীবনে প্রথমবার সিনেমায় গান করেন আশা ভোঁসলে। মারাঠি সিনেমা ‘মাঝা বাল’-এর ‘চালা চালা নভ বালা’ গানটি শোনা যায় তার কণ্ঠে। হিন্দি সিনেমার জগতে পা রাখা ১৯৪৮ সালে হংশরাজ বেহলের ‘চুনারিয়া’ দিয়ে।

তবে হিন্দি সিনেমাতে আশার প্রথম একক গান শোনা গিয়েছিল ১৯৪৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রাত কি রানি’-তে। ১৯৫০ সাল থেকে হিন্দি সিনেমার জগতে ধীরে ধীরে শুরু হয় তার উত্থান। প্রায় ছয় দশক ধরে গান করছেন কিংবদন্তি এ শিল্পী। তার গান শ্রোতাদের এখনো মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় গান করেছেন তিনি। গেয়েছেন সংগীতের বিভিন্ন ধারায়। সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে তার নামও রয়েছে। পেয়েছেন দাদাসাহেব ফালকে, পদ্মবিভূষণসহ অসংখ্য সম্মাননা। এখনো গান করে যাচ্ছেন আশা। সেই যে শৈশবে শুরু করেছিলেন এই নবতিপর বয়সেও তার কোনো বিশ্রাম নেই। গেয়েই চলেছেন অবিরাম। কণ্ঠেও ধরে রেখেছেন সেই সুধাকর জাদু। এ বিষয়ে তাই একবার সংবাদমাধ্যমে নিজের শেষ ইচ্ছার কথা জানান এভাবে, ‘যতক্ষণ নিঃশ্বাস আছে, ততক্ষণ গান গেয়ে যেতে চাই।’

গানের প্রতি তার এই দুর্নিবার পিপাসা থাকার কারণেই বয়স তার জীবনীশক্তিকে কাবু করতে পারেনি। তারই কথায়, তার চিরনবীন হয়ে থাকার মন্ত্র হলো, ‘সামনের দিকে এগিয়ে চলা।’ শুধু গানের প্রতিই নয়, সংসারের প্রতিও তার দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল সেই শৈশব থেকেই। তাই তো কৈশোর না পেরোতেই পরিবারের কাউকেই না জানিয়ে তারই গানের শিক্ষকের সঙ্গে প্রেম করে সংসারী হয়ে যান। যদিও তার সেই সংসার খুব বেশিদিন টেকেনি। তবে তাতে যে তার জীবনের জন্য সামান্য হলেও একটা ক্ষত রেখে গেছে এটা আশা ভোঁসলে মুখ ফুটে স্বীকার না করতে চাইলেও প্রতিটি নারীমন কিন্তু এমন করেই ভাবেন। নিজের জন্মদিনে সেসবও কি মনে পড়ে না? এমন কথায় জন্মদিনে তিনি এই বার্তা দিয়ে রাখেন- ‘জীবনে কোনো অনুশোচনা নেই। বেঁচে আছি, সবার ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি, এতেই আমি খুশি।’

বিষয়:

বিদ্রূপের মুখে জাহ্নবী

জাহ্নবী কাপুর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০৮
বিনোদন ডেস্ক

বলিউডের প্রথম লেডি সুপারস্টার বলে খ্যাতি পাওয়া বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, অনবদ্য অভিনয়ের জন্যও আলোচিত এই স্টার কিড। সর্বশেষ শরণ শর্মা পরিচালিত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ সিনেমায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ক্রিকেটভিত্তিক এই সিনেমায় রাজকুমার রাওয়ের বিপরীতে মহিমা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জাহ্নবী। সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করে সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি ঠিকই; কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো এমন একটি ভিডিও, যা দেখে অভিনেত্রীর ক্রিকেট প্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ভিডিওটি কিছু মাস আগের, যখন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’র প্রচার করছিলেন জাহ্নবী।

ভিডিওতে তিনটি ইন্টারভিউকে কোলাজ করে দেখানো হয়েছে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে, তিনটি ইন্টারভিউই একই দিনের কারণ অভিনেত্রী একই শাড়ি পরেছিলেন তিনটি ভিডিও। তিনটি সাক্ষাৎকারেই অভিনেত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্নের পাশাপাশি একটি কমন প্রশ্ন করা হয়।

‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ সিনেমাটি যেহেতু ক্রিকেটভিত্তিক এ কারণে স্বভাবতই ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় জাহ্নবী কাপুরকে। শ্রীদেবী কন্যাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘তার প্রিয় ক্রিকেটার কে?’ খুব অদ্ভুতভাবে তিনি একই দিনে তিনজন ক্রিকেটারের নাম উচ্চারণ করেন। প্রথম ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জাহ্নবী মাহি অর্থাৎ মহেন্দ্র সিং ধোনির ফ্যান বলছেন নিজেকে।

দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রী নিজেকে রোহিত শর্মার ফ্যান জানাচ্ছেন এবং তৃতীয় সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে বিরাট কোহলির ডাই হার্ট ফ্যান বলে উল্লেখ করেছেন। একই দিনে তিনজন আলাদা আলাদা ক্রিকেটারের নাম বলায় স্বাভাবিকভাবেই মজা পেয়েছেন নেট পাড়ার বাসিন্দারা।

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে নেটিজেনরা নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘এই ভাবেই মুড সুইং হয়’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘সবাইকেই সম্মান দিতে জানেন এই অভিনেত্রী।’ আবার একজন লিখেছেন, ‘সকলেই তার কাছে সমান।’ অভিনেত্রীর পক্ষে কথা বলে একজন লিখেছেন, ‘তিনি বলেছেন ধোনি তার প্রিয়। রোহিতের তিনি ভক্ত। বিরাটের বিশাল বড় ভক্ত। তিনি পয়েন্ট করে উল্লেখ করে দিয়েছেন আলাদা আলাদা ক্রিকেটারকে তিনি কেমনভাবে দেখেন।’


আজ বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াতের জন্মদিন

আপডেটেড ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:২১
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও লেখক আবুল হায়াত। থিয়েটার, টিভি নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে এখনো তার উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করে। নিজেকে ছড়িয়েছেন দুই হাতে; প্রতিটি ক্ষেত্রে দর্প নিয়ে ছুটে চলেছেন সমানতালে। এই দুরন্ত ছুটে চলা মানুষটি বছরে দুইবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে সিক্ত হন। জন্ম ১৯৪৪ সাল এই জনপ্রিয় অভিনেতার জন্মদিন ৭ সেপ্টেম্বর হলেও ২৫ জুন তাকে সিক্ত হতে হয় ভক্ত-অনুরাগী ও কাছের মানুষের শুভেচ্ছায়।

বিষয়টি নিয়ে কিছুটা বিব্রতবোধ করলেও দুটি তারিখেই হাসিমুখে সবার শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি। তাহলে সত্যিকারের জন্মদিন কোনটি? এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হায়াত বলেন, ‘আমার প্রকৃত জন্মদিন মূলত ৭ সেপ্টেম্বর। সার্টিফিকেটে আব্বা দিয়েছিলেন ২৫ জুন। তবে প্রতি বছর এই দিনে অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বরই আসল জন্মদিনটা পালন করা হয়।’

আশি পেরিয়ে আজ একাশিতে পা রাখলেন ‘চিরসবুজ’খ্যাত তারকা আবুল হায়াত। একই দিনে তার নাতনিরও জন্মদিন। এ কারণে প্রতিবার সবাইকে নিয়ে বেশ আনন্দঘন পরিবেশেই জন্মদিন পালন করেন তিনি।

চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটক এবং প্রায় এক হাজারেরও বেশি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করা এ শিল্পীর প্রবল ইচ্ছে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিনয়ের ওপর ক্লাস নেওয়া। কোনো প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে তিনি তা ভেবে দেখবেন বলেও জানান। পাশাপাশি তিনি বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তার অভিনয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় আবুল হায়াত মঞ্চে প্রথম ‘টিপু সুলতান’ নাটকে অভিনয় করেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে মঞ্চে তার প্রথম নাটক আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’। টিভিতে তার প্রথম নাটক ছিল জিয়া হায়দারের প্রযোজনায় ‘ইডিপাস’।

মঞ্চে তার নির্দেশিত প্রথম নাটক ‘আগন্তুক’ এবং টিভিতে ‘হারজিৎ’। প্রথম অভিনীত সিনেমা ঋত্বিক কুমার ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম। ১৯৭৪ সালে আলী যাকেরের নির্দেশনায় মঞ্চে ‘বাকি ইতিহাস’ নাটকে অভিনয় করে তিনি ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড ফর ইনট্রিডিউসিং ন্যাচারালিস্টিক অ্যাক্টিং অন বাংলাদেশ স্টেজ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এটি বাংলাদেশে দর্শনীর বিনিময়ে প্রথম মঞ্চনাটক। আবুল হায়াত বহু বছর ধরে টিভি নাটক, সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনে সফলতার সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন।

বিষয়:

সেরা আয়করদাতা শাহরুখ খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড ‘বাদশা’র নয়া রেকর্ড। এবার দেশের সর্বাধিক আয়করদাতা হিসেবে পেলেন স্বীকৃতি অভিনেতা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে কর বাবদ ৯২ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন শাখরুখ খান। যার ফলে সর্বোচ্চ করদাতাদের তালিকায় শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।

ফরচুন ইন্ডিয়ার দাবি, একের পর এক হিট সিনেমার জেরে ২০২৪ আর্থিক বছরে এসআরকে-র আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার কোটি টাকা। ফলে রোজগারের নিরিখে গত অর্থ বর্ষে তার ধারে কাছে অন্য সুপারস্টাররা পৌঁছতেই পারেননি। তবে শাখরুখ ছাড়াও আয়করদাতাদের শীর্ষ তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীর। তালিকায় রয়েছেন একাধিক নামি খেলোয়াড়ও।

আয়কর দপ্তর সূত্রে খবর, শুধুমাত্র হিট সিনেমা থেকেই যে শাহরুখ আয় করেছেন, এমনটা নয়। ব্র্যান্ড ও নানা ধরনের ব্যবসা থেকেও মোটা টাকা রোজগার করেছেন বলিউডের বাদশা। পর্দার ‘বাজিগর’-র পরই তালিকায় নাম রয়েছে তামিল মেগাস্টার থালাপতি বিজয়ের। ৮০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন তিনি।

গত আর্থিক বছরে বলিউড তারকা সালমান খানের কোনো সিনেমা বিরাট হিট করেছে এমনটা নয়। কিন্ত তা সত্ত্বেও ৭৫ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন সালমান খান। ফলে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ‘ভাইজান’। সিনেমার পাশাপাশি সাম্প্রতিক অতীতে টিভি শো-তে বেশি করে দেখা যাচ্ছে তাকে। সেখানে উপস্থাপক হিসেবে তাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে ভক্তকুল। ফলে টিভি শো থেকে সলমনের উপার্জনের পরিমাণ বেড়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তালিকায় চতুর্থ স্থানে নাম করেছে অমিতাভ বচ্চনের। গত আর্থিক বছরে ৭১ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন বলিউডের ‘শাহেনশা’। এ বছরের ২৭ জুন মুক্তি পায় নাগ অশ্মিন পরিচালিত ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। ব্লকবাস্টার এই সিনেমায় অশ্বথামার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বিগ বি-কে। ছবিটি হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, সর্বাধিক আয়করদাতাদের তালিকায় নাম রয়েছে ক্রিকেটার বিরাটের। ষষ্ঠ স্থানে থাকা কিং কোহলি আয়কর বাবদ জমা করেছেন ৬৬ কোটি টাকা। খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও এমএস ধোনি, শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও হার্দিক পাণ্ডিয়া মোট অঙ্কের আয়কর জমা দিয়েছেন। তাদের দেওয়া করের পরিমাণ যথাক্রমে ৩৮, ২৮, ২৩ ও ১৩ কোটি টাকা।

বিষয়:

অমর হয়েই থাকবেন সালমান শাহ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:১৮
জাহাঙ্গীর ‍বিপ্লব

দেশীয় চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ। অকাল প্রয়াত এই জনপ্রিয় তারকার আজ ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের এই দিনে ৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র পরিবার ও সিনেমাপ্রেমিকে হতবাক করে আকস্মিকভাবে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। যদিও তার চলে যাওয়া স্বাভাবিক নাকি অপমৃত্যু- এ নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে ভক্তদের মনে। এই অভিনেতার প্রয়াণ দিবস এলেই সিলেট শহরের দাড়িয়া পাড়ার নানার বাসাতে সালমান ভক্তদের ভিড় জমে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সালমান শাহর মৃত্যুর পর বাসাটির নাম রাখা হয়েছে ‘সালমান শাহ হাউস’। এখানেই কেটেছে সালমানের ছোটবেলার সেই দুরন্ত সময়। বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাস সৃষ্টিকারী নায়ক সালমান শাহর চলে যাওয়ার এত বছর পরেও তার জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। এখনও টিভি পর্দায় তার সিনেমা প্রচার হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেন। তার অভিনীত সিনেমার গান টিভিতে প্রচার হলে তা দর্শক এড়িয়ে যেতে পারেন না। এমনও দেখা গেছে, পাশাপাশি দুটি চ্যানেলের একটিতে নতুন কোনো সিনেমা প্রচার হচ্ছে আবার অন্যটিতে সালমান শাহর সিনেমা প্রচার হচ্ছে, দর্শক তখন সালমান শাহর সিনেমাতেই স্থির থেকেছেন। সিনেমায় সালমানের বিপরীতে কে আছেন- সেটা জরুরি না দর্শকের কাছে। ভিন্নমাত্রা ও দুর্দান্ত অভিনয় দিয়েই আজও দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছেন ফ্যাশন সচেতন এই তারকা।

সালমান শাহর জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহর অভিনয় জীবন শুরু হয়। ওই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে তৌকীর আহমেদ অভিনয় করলেও সালমান শাহর চরিত্রটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরবর্তীতে আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন সালমান। সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও তার উপস্থিতি দর্শকের মধ্যে ভীষণ সাড়া ফেলেছিল।

আর চলচ্চিত্রে অভিষেকেই বাজিমাত করেন চিরসবুজ এই নায়ক। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে বহুল আলোচিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমাতে সালমানের অভিষেক হয়। পরবর্তীতে মৌসুমীর সঙ্গে আরও দুটি সিনেমা ‘স্নেহ’, ‘অন্তরে অন্তরে’তে অভিনয় করলেও আর কোনো সিনেমাতে তাদের দেখা যায়নি। এরপর আরেক জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের সঙ্গেই জুটি করে তোলেন তিনি। সালমান শাহর সঙ্গে জুটি হয়ে আরও অভিনয় করেছিলেন শাবনাজ, শাহনাজ, লিমা, শিল্পী, শ্যামা, সোনিয়া, বৃষ্টি, সাবরিনা ও কাঞ্চি।

সালমানের মৃত্যুর ২৮ বছরের মধ্যে সিনেমাতে অনেক নায়কের আবির্ভাব ঘটেছে। কিন্তু অভিনয় আর ফ্যাশন দিয়ে আর কোনো নায়ক আজ পর্যন্ত সালমান শাহর জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। অনেক চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিচালকের ভাষ্যমতে সালমান শাহ ছিলেন ধূমকেতুর মতো, এলেন দেখলেন জয় করলেন আবার চলেও গেলেন। কোনো নায়কের মৃত্যুর এত বছর পরেও ভক্তদের হৃদয়ে এতটা ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর চলচ্চিত্র ইতিহাসে কমই আছে। যে সময়টাতে সালমান মৃত্যুবরণ করেছেন, সেই সময়টাতে যারা ছোট ছিলেন, তাদের কাছেও ছোটবেলার গল্পের বিষয় ছিলেন সালমান শাহ। আজও তারা মনে মনে প্রত্যাশা করেন, ইস! যদি একবার ফিরে আসতেন সালমান শাহ। কিন্তু মৃত্যুই সত্য। এখান থেকে ফিরে আসার কোনো পদ্ধতি নেই। কিন্তু একজন সত্যিকারের তারকার কখনো মৃত্যু হয় না। অনন্তকাল ধরে দেশের চলচ্চিত্র ও দর্শকের মাঝে বেঁচে থাকবেন তিনি।

বিষয়:

হঠাৎ ভালোবাসায় জোভান–তটিনী

`হঠাৎ ভালোবাসা’ নাটকের একটি দৃশ্যে জোভান-কেয়া পায়েল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

ভালোবাসা হঠাৎ করেই হয়ে যায়। মুহূর্তে ভালোলাগা জন্মে তা মায়ায় পরিণত হয়। সেই মায়া থেকে ফেরা সম্ভব হয় না। তেমনি গল্পের নাটক ‘হঠাৎ ভালোবাসা’।

বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিম সাইরা তটিনী জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন নাটকটিতে। জোভান–তটিনী ছাড়াও নাটকটিতে আছেন মনিরা মিঠু, আবদুল্লাহ রানা, শাহবাজ সানী প্রমুখ।

নাটকটির পরিচালক ইমরাউল রাফাত জানান, গল্পে নব্বই দশকের প্রেমের গল্প এই সময়ের প্রেক্ষাপটে তুলে ধরেছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, সফট রোমান্টিক ধাঁচের নাটক এটি। বললেন, অনেক গল্পে কাজ করা হয়। কিন্তু এই গল্পটি আমার একটু বেশি প্রিয়।

একটি থাই সিনেমা ও তুমুল জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘হঠাৎ ভালোবাসা’ নির্মাণ করেছেন বলেও জানান ইমরাউল রাফাত।

পরিচালক জানান, কয়েক মাস আগে শুটিং হওয়া নাটকটি গত জুলাই মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থগিত করেন। এখন ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। এ কারণে নাটকটি মুক্তি দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার কেএস এন্টারটেনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় ‘হঠাৎ ভালোবাসা’ নাটকটি।


তুমুল বিতর্কে অরুণা বিশ্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

আশি ও নম্বই দশকের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। চাপা ডাঙ্গার বউ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। তারপর অভিনয় করেছেন অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে। এখন তাকে মাঝেমধ্যে চলচ্চিত্রে দেখা যায়। পাশাপাশি সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো একটি সিনেমাও পরিচালনা করেন তিনি। ছবির নাম ‘অসম্ভব’।

গত দুদিন ধরে শোবিজে আলোড়ন তৈরি করা ‘আলো আসবেই’ শিরোনামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিয়ে সরব গণমাধ্যমসহ গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে প্রায় ১৬০ জন আওয়ামীপন্থি অভিনয়শিল্পী, নির্মাতার একজোট হয়ে নানান কথোপকথন উঠে এসেছে এই গ্রুপে। এই গ্রুপে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম পানি ঢালার’ পরামর্শও দিয়েছিলেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আলাপচারিতার অংশ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অরুণা বিশ্বাসের শাস্তি দাবি করেছেন সহশিল্পী থেকে শুরু করে ভক্তরা।

তবে অরুণা বিশ্বাস যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর পরই, গোপনে দেশ ছেড়ে কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন, তা হয়তো অনেকেই জানতেন না। ৫ আগস্টের পর কয়েকজন বিনোদন সাংবাদিক তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে অরুণা নিজেই জানান, তিনি বাংলাদেশে নেই। জানা গেছে, শেখ হাসিনার সরকার পতনের দুই-তিন দিন পরই কানাডা চলে যান তিনি। গত আট আগস্ট দেশ ছাড়ার সময় অরুণা বিশ্বাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ ছাড়ার আভাস দেন। সেদিন ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রিয় জন্মভূমি আমার, ভালো থেকো বাংলাদেশ।’

অরুণা বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে, অরুণা বিশ্বাস বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই সুযোগ বুঝে আগস্টের ৬-৯ তারিখের মধ্যে দেশত্যাগ করেছেন। আগে থেকেই সেখানে তার ছেলে থাকেন।

এর আগে গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রোফাইল ‘লাল’ করায় এক সংগীতশিল্পীকে নিয়ে অরুণা বিশ্বাস লেখেন, ‘বয়স যদি কম থাকত পিটাইতে পিটাইতে বাবা ডাক শিখাইতাম।’

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যাতে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকরা যুক্ত ছিলেন।

অরুণা বিশ্বাস ছাড়াও এই গ্রুপে ছিলেন সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।

বিষয়:

আজ আবার পর্দায় ফিরছেন থালাপতি বিজয়

আপডেটেড ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:১৮
বিনোদন ডেস্ক

দক্ষিণী সিনেমার প্রভাবশালী তারকা থালাপতি বিজয়। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বেছে বেছে কাজ করেন বলে এই অভিনেতার ছবির সংখ্যা খুব বেশি না। প্রায় ৬৮টি তামিল ছবিতে এ পর্যন্ত অভিনয় করেছেন থালাপতি বিজয়। তবে প্রতিটি ছবিই বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের ফ্যানবলয় তৈরি করেছেন এই নায়ক। মাঝখানে বিধান সভা নির্বাচন ও নানা কারণে অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও আবার সদর্পে হাজির হচ্ছেন লিও-খ্যাত এই তারকা। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে বিজয় অভিনীত নতুন ছবি ‘দ্য গোট-গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’।

তবে মুক্তির আগেই অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে চমক দেখাচ্ছে বিজয়ের সিনেমা। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের তামিল সিনেমার মধ্যে এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় হিট। কেননা মুক্তির আগেই সিনেমাটি অগ্রিম টিকিট বিক্রি থেকে তুলে নিয়েছে ৫ কোটি রুপি।

সিনেমাটি বিজয়ের অন্য সিনেমা থেকে ভিন্ন রকম হতে যাচ্ছে। কেননা প্রথমত, এ সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ শুরু থেকেই দেখা গেছে। দ্বিতীয় বিষয় হলো, বিজয় ঘোষণা দিয়েছেন তিনি রাজনীতি করবেন। তার রাজনৈতিক দল গঠনের কাজও শেষ। এখন তিনি রাজনীতিতেই আত্মনিয়োগ করবেন। হতে পারে গোট তার শেষ সিনেমা। সে কারণে দর্শকের আগ্রহ আরও কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

‘দ্য গোট-গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ ছবিটির অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শনিবার। বিক্রি শুরু হতে না হতেই এ সিনেমা তুলে নিয়েছে ৫ কোটি রুপি। এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সিনেমার বক্স অফিস বিশ্লেষক সাইট সাচনিল্ক। এখানেই শেষ নয়, টিকিট বিক্রির ট্রেন্ডিং গ্রাফ দেখাচ্ছে সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ বাড়ছে বৈ কমছে না। তাই বলা যায়, দিন যত যাবে সিনেমাটি তত বেশি আয় করবে।

তামিলনাড়ুতে এ বছর যে কয়টি সিনেমা আশা জাগিয়েছে, তার মধ্যে গোট অন্যতম। এ বছর মুক্তি পাওয়া তামিল সিনেমার মধ্যে সেরা ১০টি এখন পর্যন্ত ২০০ কোটি রুপি আয় করতে পারেনি। জুলাইয়ে মুক্তি পাওয়া ধানুষ অভিনীত ‘রায়ান’-এর আয় সর্বোচ্চ ১৬০ কোটি রুপি। সবচেয়ে হতাশ করেছে কমল হাসান অভিনীত ‘ইন্ডিয়ান টু’। আয় করেছে ১৫১ কোটি রুপি। মাত্র পাঁচটি সিনেমা আয় করেছে ১০০ কোটি রুপির বেশি। হতাশ করেছিল রজনীকান্তের ‘লাল সালাম’ও। আয় করেছিল মাত্র ৩৬ কোটি রুপি। বিজয়ের নতুন সিনেমাটির প্রযোজনা ও পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছে এজিএস প্রোডাকশনস।


ধোঁয়াশা কাটালেন আনুশকা শর্মা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেত্রী ও প্রযোজক আনুশকা শর্মা। এক সময় একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করলেও ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে বিয়ের পর থেকে অনেকটাই দূরে চলে যান অভিনয় থেকে। সেভাবে তাকে আর নতুন সিনেমায় অভিনয় করতে এখন আর দেখা যায় না। বর্তমানে স্বামী, সন্তান ও সংসার নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই বলিউড তারকা। কিছুদিন আগে চাউর হয়েছিল বিরাট ও আনুশকা তাদের সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে লন্ডনে বসবাসের পরিকল্পনা করছেন। তবে সেই খবরকে গুজব প্রমাণ করে দিয়ে ফের ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন এই অভিনেত্রী।

প্রথমবার মা হওয়ার পর ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিক ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ সিনেমার কাজও করেন। কিন্তু সিনেমাটি নিয়ে নেকফিক্সের সঙ্গে যে চুক্তি ছিল, তা বাতিল করেছেন এই অভিনেত্রী। ফলে সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয়বার মা হয়েছেন আনুশকা। দুই সন্তানকে নিয়েই এখন তার সময় কাটে। ছেলে অকায়ের জন্মানোর পর লন্ডনেই পাকাপাকি ছিলেন তিনি। এমনকি বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হওয়ার পর এ অভিনেত্রীর স্বামী বিরাট কোহলিও পাড়ি দিয়েছিলেন লন্ডনে। তারপর লন্ডনের অলিগলিতে মাঝেমধ্যেই ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারকা জুটি। সেই ছবি দেখে অনেকেই ভেবেছেন আর হয়তো ফিরবেন না তারা দেশে। এমনিতে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে কোনো ভাবেই ক্যামেরার সামনে আনতে চান না তারা। ছেলে অকায়কে এখনো প্রকাশ্যে আনেননি তারা।

সম্প্রতি লন্ডন থেকে ভারতে এসেছেন এই অভিনেত্রী। দেশে ফিরেই একটি পোশাক বিপণির নতুন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। সামনেই যেহেতু দুর্গাপূজা, নবরাত্রি এবং দীপাবলি, সেই উপলক্ষেই নির্মিত হয়েছে বিজ্ঞাপনটি। এতে নানা রঙের বাহারি সালোয়ার স্যুটে দেখা মিলছে এ অভিনেত্রীর। খোলা চুল, হাইহিল আর হালকা মেকআপে যেন মোহময়ী আনুশকা। উৎসবের থিমে সাজানো এ বিজ্ঞাপনটিতে তাকে দেখে দারুণ খুশি নেটিজেনরা। বিজ্ঞাপনটি সামনে আসতেই তাই ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন তার অনুরাগীরা।

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে আনুশকা জানিয়েছেন– খুব বেশি কাজ তিনি করবেন না। হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমায় বা বিজ্ঞাপনে কাজ করবেন। হয়তো বছরে একটা। কারণ ছেলেমেয়ের তাকে প্রয়োজন।

বিষয়:

‘সময় এখন দেশ গড়ার’

সাবিনা ইয়াসমিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবিনা ইয়াসমিন- দেশের সংগীতাকাশের উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের নাম। জীবন্ত এই কিংবদন্তিকে গানের পাখি এমনকি প্লে-ব্যাক সম্রাজ্ঞী বলেও ডাকা হয়। আধুনিক, দেশাত্মবোধক, প্লে-ব্যাক- সব ঘরানাতেই যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ের গভীরে স্থায়ী হয়ে আছে তার সুরের জাদুমাখা গান। একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ছয়বার বাচসাস পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। আজ তিনি পা রাখলেন একাত্তর-তম বছরে। জন্মদিনের পরিকল্পনা ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন জাহাঙ্গীর বিপ্লব

কেমন আছেন? এবারের জন্মদিনের পরিকল্পনা কেমন?

কিছুটা শারীরিক জটিলতায় ভুগছি, তবে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। সত্যি কথা বলতে জন্মদিন আমি কখনোই বিশেষ কোনো আড়ম্বরের সঙ্গে করি না। সাদামাটাভাবেই পালন করি। এবারের জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। বাসা থেকে কোথাও যাচ্ছি না। বাসাতেই সময় কাটবে আমার। এখন দেশের যে পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই আসলে জন্মদিন উদযাপনেরও তেমন কোনো আগ্রহ নেই। এখন সময়টা অন্যরকম। এখন দেশ গড়ার সময়, নতুন করে দেশটা ঠিকঠাকভাবে গড়ে তোলার সময়। সবকিছু স্বাভাবিক হোক, তখন না হয় নিজের জন্মদিন উপলক্ষে কিছু একটা করা যেতে পারে। আপাতত সবার দোয়া চাই- আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন-ভালো রাখেন।

এখনকার সিনেমা ও প্লে-ব্যাক নিয়ে মন্তব্য কী?

আমি জানি না। কেমন সিনেমা হচ্ছে এ নিয়েও আমার কোনো ধারণা নেই। হলে গিয়ে আমি সিনেমা দেখি না। সে কারণে জানিও না এখনকার সিনেমা কেমন। তবে ভালো যদি হয় সে তো খুশিরই খবর। ইন্ডাস্ট্রির জন্যও খুশির খবর। আর সিনেমার গানও দেখা হয় না। আমার কাজ শুধু গান করে দেওয়া। ওই পর্যন্তই। তারপর সেই সিনেমাটি আর দেখা হয় না। সেটা মুক্তি পাওয়া না পাওয়া নিয়েও খবর রাখা হয় না। সর্বশেষ কবে হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছি তাও আমার মনে নেই।

প্লে-ব্যাকে রেকর্ডসংখ্যক স্বীকৃতিতে আপনার অনুভূতি?

সত্যি এটা যেকোনো শিল্পীর জন্যই খুব আনন্দ ও গর্বের বিষয়। কেউ পায়নি এতগুলো পুরস্কার- আমি একাই এতগুলো পুরস্কার পেয়েছি, এটা ভেবে তো খুবই ভালো লাগে আমার। মানুষের, শ্রোতাদের ভালোবাসার জন্যই এগুলো পেয়েছি। এত ভালো ভালো সুরকার ছিলেন যারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন গান করার জন্য- এত ভালো ভালো ডিরেক্টর ছিলেন-এ জন্য অবশ্য আমি সবার কাছেই কৃতজ্ঞ।

ডুয়েট না সিঙ্গেল- কোন গানে কণ্ঠ দিতে ভালো লাগে?

আমার কাছে দুটিই সমান মনে হয়। আলাদাভাবে একক গানে কণ্ঠ দিতে ভালো লাগে বা ডুয়েট গানে কণ্ঠ দিতে ভালো লাগে এমন নয়। গান ভালো হলে ডুয়েট-সিঙ্গেল সব গানই ভালো। সব গানই আনন্দের। ভালো লাগার। ডুয়েট-সিঙ্গেল বুঝি না। গান তো গানই। তবে এখন একটা গান প্রচলিত হচ্ছে সিনেমায়। সেটা হলো আইটেম গান। এই গান কোন ধরনের হয়, এটাও আমি বুঝি না।

শিল্পীদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলকে কীভাবে দেখেন…

এটাকে আমি তো ভালোই বলব। নিজের গান নিজে প্রচার না করলে আর কে করে দেবে। অন্য কেউ করে দেবে? আমারও তো নিজের নামে একটা চ্যানেল আছে। তবে আমি নিজের গান নিজে আপলোড করি না। আমার যারা অ্যাসিস্ট্যান্ট আছেন তারা আমার গান আপলোড করেন।

বিষয়:

অন্যরকম প্রচারণায় নুসরাত ফারিয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন প্রতিবেদক

বহু মাত্রিক প্রতিভার অধিকারী নুসরাত ফারিয়া। শুরুতে রেডিও জকি, এরপর টিভি উপস্থাপনা এবং তারপর সিনেমার নায়িকা হিসেবে নাম লেখান ‘আশিকি’খ্যাত এই তারকা। চলচ্চিত্রে তার শুরুটাই হয় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার সিনেমার মারফতে। এরপর একে একে সমান তালে নজর কাড়তে থাকেন দুই বাংলার দর্শকের মধ্যে। কেবল নায়িকা হিসেবেই নয়, এরইমধ্যে গায়িকা হিসেবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা দূত হয়ে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন।

তবে বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন কোনো ছবিতে অভিনয় করছেন না দুই বাংলার এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তারপরও নানা কারণে রয়েছেন আলোচনায়। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন একটি জুয়ার অ্যাপের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার সুবাদে। সম্প্রতি সেই অ্যাপের একটি গানেও দেখা গেছে তাকে। গানে গানে জুয়ার প্রচারণা চালিয়েছেন নুসরাত ফারিয়া।

‘সবাই মিলে খেলব, আনন্দ করে ফিরব, সাবধানে খেলে যাব...’ এমন কথার একটি গানের জমকালো পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। গানের শেষাংশে তাকে বলতে দেখা গেছে, ‘প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পথচলায় আমি ভীষণ রোমাঞ্চিত।’ শুভেচ্ছাদূত নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে তৈরি সম্প্রতি প্রকাশিত গানটির ইউটিউব ভিউও বেশ। ভিডিওর বর্ণনায় লেখা হয়েছে, ‘শুভেচ্ছাদূত নুসরাত ফারিয়ার অফিশিয়াল গানের ভিডিও। বাংলাদেশের নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম...।’

এর আগে জুয়ার প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হিসেবে নাম লেখানোর খবর এসেছিল ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির। প্রতিষ্ঠানটির একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবেও দেখা যায় তাকে। জানা গেছে, বাংলাদেশের আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া ও বাজি ধরা নিষিদ্ধ। প্রচার-প্রচারণায়ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারও আগে বিভিন্ন সময়ে জুয়ার ওয়েবসাইটের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নাম শোনা গেছে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহির মতো তারকার।

চলতি বছরের জুন মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে তারকাদের বিজ্ঞাপনচিত্রে নেওয়া হয়। এতে সাধারণ মানুষ তারকাদের কথায় প্রলুব্ধ হয়ে জুয়ার ফাঁদে পা দেন। বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেছিলেন, ‘জুয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো কোটি কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করে। সেখান থেকে কিছু অংশ বিজ্ঞাপনে ব্যয় করে। তারকারাও নৈতিক ব্যাপারটা মাথায় রাখছেন না।’

এদিকে অনলাইনে জুয়ার বিস্তার নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে টিআইবি।

বিষয়:

পর্দা ও বাস্তবের মহানায়ক উত্তম কুমার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাহাঙ্গীর বিপ্লব

উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি ও উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের নাম উত্তম কুমার। নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সদা হাস্যোজ্জ্বল এক দীপ্ত অবয়ব। বাঙালির মননে এবং আবেগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে নামটি। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন উত্তম কুমার। এ কারণে মৃত্যুর এত বছর পর আজও তার উজ্জ্বল উপস্থিতি বিরাজমান। উত্তম কুমার ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কাঙ্ক্ষিত অভিনেতা। ছিলেন ভীষণ কোমল হৃদয়ের প্রচণ্ড বিনয়ী এবং আন্তরিক। পর্দার বাইরেও জনমানুষের তিনি যে কতখানি কাছের ছিলেন, তা শুনলে কারও কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। তার ভুবন ভোলানো হাসি আজও মানুষের মনে গেঁথে আছে। আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন তিনি।

উত্তম কুমার কেবল একজন অভিনেতাই নন, প্রযোজক, পরিচালক, সংগীত পরিচালক ও গায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন উত্তম কুমার। ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ও ‘চিড়িয়াখানা’য় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। সুবোধ ঘোষ ও তরুণ রায়ের দুটি ছোট গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন উত্তম কুমার। ‘বন পলাশির পদাবলী’র পরিচালনার কাজ আজও দর্শকমনে অমলিন তিনি।

মহানায়ক খ্যাতি পাওয়া এই কিংবদন্তির আজ ৯৯তম জন্মদিন। কিংবদন্তি এই নায়কের জন্ম ১৯২৬ সালের এই দিনে (৩ সেপ্টেম্বর) কলকাতার ভবানীপুরে। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা নায়কের আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। জন্মদিন উপলক্ষে আইনি জট খুলে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুক্তি পেল উত্তম কুমারের অভিনব জীবন নিয়ে ‘যেতে নাহি দিব’ নামের ডকু ফিচারটি। এই ডকু ফিচারে মহানায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুজন মুখার্জি। পাশাপাশি এই ছবিতে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় টিভি তারকা স্বস্তিকা দত্ত এবং সুদীপ সরকার। ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রবীর রায়। এই ডকু-সিরিজে উঠে এসেছে কিংবদন্তি অভিনেতার জীবনের বিভিন্ন ঘটনার কোলাজ।

একাধারে মেধাবী, প্রজ্ঞাবান, বিনয়ী, কোমল হৃদয় এবং দুর্দান্ত প্রতিভাবান এই অভিনেতা এত বিখ্যাত হওয়া সত্ত্বেও শুটিং ইউনিটের অতি সাধারণ কর্মীরও দেখভাল করতেন। বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য তার ত্যাগ ছিল অবর্ণনীয়। চলচ্চিত্র থেকে উপার্জন করা সব অর্থ ফের বিনিয়োগ করেছেন চলচ্চিত্রেই। চলচ্চিত্র প্রযোজনায় তার প্রযোজিত বহু চলচ্চিত্র ফ্লপ তকমা পাওয়ার পরও ফের টাকা ঢালতে দ্বিধা বোধ করেননি।

এমনও হয়েছে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনেতা হিসেবে বড় পারিশ্রমিকে যুক্ত হয়েছিলেন কিন্তু অর্থের সংকুলান না হওয়ায় পরিচালক চলচ্চিত্রের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন উত্তম কুমার নিজের পারিশ্রমিক কেটে নিজের গাঁট থেকে পয়সা দিয়েছেন যেন চলচ্চিত্রটা অর্থের অভাবে পড়ে না থাকে, চলচ্চিত্রের শুটিং যেন বন্ধ না হয়ে যায়। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করেছেন। উত্তম কুমারের আত্মজীবনী ‘আমার আমি’ পড়লেই বোঝা যায় চলচ্চিত্রের প্রতি কতটা ত্যাগী ও আত্মপ্রাণ ছিলেন। আত্মজীবনীতে উত্তম কুমার লিখেছিলেন, ‘চলচ্চিত্র আমাকে এতটা দিয়েছে, আর আমি দেব না সেই চলচ্চিত্র শিল্পকে।’

বিষয়:

banner close